(স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় দেওয়ায় উদ্দেশ্যে এই লেখা। ফাঁকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ভুল ত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিয়েন।)
১৯৭১ সাল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে রুখে দাঁড়ায় বাঙ্গালীরা ভারত তাতে সক্রিয় সহযোগিতা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আমরা মুসলমান বা হিন্দু সাম্প্রদায়িক চিন্তার চেয়ে যে চিন্তা কাজ করে তা হলো বাঙালীত্বের মনোভাব হিন্দু, মুসলিম সবাই একযোগে কাজ করে। কিন্তু তাহলে কি হবে? বাংলায় তো মীরজাফর করে একটা ঘৃণ্য নাম আছে তার উত্তরসূরিরা তো কোন মহৎ কাজ বানচাল করতে পিছপা হবে না তাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে একশ্রেণী তার ব্যতিক্রম ছিল না। যারা ইসলামের ধোয়া তুলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয় শুধু তাই নয় বাংলার বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগিতা এবং খুন ধর্ষণের মতো মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িয়ে পড়ে এরা। এই রাজাকাররা এবং পাকি সেনারা মিলে ৩ লক্ষ বাংলার মা-বোনকে নিষ্ঠুরভাবে ধর্ষণ করে এবং ৩০ লক্ষ নারী-পুরুষকে খুন করে।
এই মৌলবাদী রাজাকার বাহিনীর মির্জাফরির প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন বিদেশী লেখা থেকেও
পাকিস্তানী মাধ্যমিক শ্রেণীর ইতিহাস বইতে এই মৌলবাদী রাজাকারদের সম্পর্কে লেখা আছে, THE ARMED VOLUNTEERS OF JAMAT-E-ISLAMI also took part (in crackdown) and used the occasion to settle old scores with their political opponents. অর্থাৎ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্বেচ্ছায় নিজ জাতির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হয় জামায়াত।
পাকিস্তানের বর্বর জেনারেল নিয়াজীতো তার বই উৎসর্গই করেছেন এই বর্বর রাজাকারদের উদ্দেশে।
১৯৭১ সালের ২৩ জুলাই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ সাংবাদিক পিটার আর ক্যান এভাবেই বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী, শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর ভূমিকা।
একাত্তরে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের আর কোথাও তেমনটি ঘটেনি। মানবতা-বিরোধী এসব অপরাধে পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে এ দেশের কিছুসংখ্যক দালাল। এমনকি ওরা রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে নিজেরাও হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ,লুটপাট, অগি্নসংযোগ প্রভৃতি অপরাধে লিপ্ত হয়েছে। বিজয়ের আগমুহূর্তে ওরা দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের ধরে বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। মূলত জামায়াতে ইসলামীর আবেদনে এসব আধাসামরিক বাহিনী গঠন করেছিল পাকিস্তান সরকার। এসব বাহিনীর মূল শক্তি ছিল জামায়াতের ছাত্রকর্মীরা।
মার্কিন লেখক রবার্ট পেইন তাঁর ‘ম্যাসাকার’ গ্রন্থে লিখেছেন,
’…ধর্মান্ধ ছাত্রদের নিয়ে গোপনে তৈরি হলো আলবদর বাহিনী। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের গোপনে হত্যার চক্রান্ত করে। শুধু চক্রান্তই নয়, আলবদররা এই সব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। একই উদ্দেশ্য নিয়ে সে সময় আরও একটি বাহিনী তৈরি করা হয়। এর নাম ছিল আলশামস।’ রবার্ট পেইন আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনের ধর্মান্ধ মানুষগুলোকে নিয়ে ধর্মরক্ষার নামে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ গোপনে গঠন করেছিল এ বাহিনী। এদের বিশ্বস্ত সহযোগিতায় আরও হত্যায় বিষাদক্লিষ্ট হয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। এরা আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরা বা হত্যা করার ব্যাপারে পাকিস্তানি সৈন্যদের ব্যাপক সহযোগিতা করেছিল।’
মৌলবাদী শক্তির সহযোগীটা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয় নি পাকিস্তানের। ভারতীয় মিত্রবাহিনী এবং বাংলার মুক্তিবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি হয়। রাজাকাররাও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গা ঢাকা দেয়।
গা ঢাকা দিলে কি হবে? তাদের চরিত্র কি আর বদলে যাবে? তারাই তলে তলে বাংলাদেশকে বাংলাস্তান করার স্বপ্ন ছাড়তে পারলো না।
প্রথমে বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলাদেশকে একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসাবে উল্লেখ করলেও ক্ষমতার পালাবদলে ধর্ম নিরপেক্ষতার উপরে কাঁচি চালিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হল ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’। ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পরিবেশও তৈরি হয়ে গেলো। বাংলাদেশে ইসলামধর্ম পক্ষান্তরে রাষ্ট্রধর্মই হয়ে গেলো।
যতই যড়যন্ত্র হোক না কেন যারা এত কষ্টের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছেন যারা তাদের দেশকে ভালবাসেন তাদের মনে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে।
বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ধর্মান্ধতার বদলে মুক্তবুদ্ধির চর্চা শুরু হয়। আগ্নেয়াস্ত্রের বদলে অনেকে কলমকে অস্ত্র হিসাবে ধারণ করেন। বেরিয়ে আসেন বিভিন্ন ধর্মান্ধতা বিরুধী লেখক যারা ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের চরম নির্যাতনের শিকার হন। তার মধ্যে আছে প্রথা বিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন প্রমুখেরা। হুমায়ুন আজাদের ক্ষুরধার লেখার জন্য প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদীদের দ্বারা মারাত্মকভাবে তিনি আহত হন এবং পরে এই কারণে জামার্নিতে তিনি মারা যান। তসলিমা নাসরিনকে ধর্মবিরোধী লেখার দায়ে দেশ থেকে বিদায় করা হয়।
এই প্রসঙ্গে অনেক সময় মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারী মানুষরাও আমার মতামত জানতে প্রশ্ন করেছেন – যে তসলিমা একজন স্বেচ্ছাচারিণী তাকে কি সমর্থন করা যায়? প্রত্যুতরে আমি বলেছিলাম – সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। কারও লেখা বা যুক্তি যদি আমার পছন্দ না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ফতোয়াজারী করতে পারি না তার বিরুদ্ধে অস্ত্র নেওয়া বা মেরে ফেলার মতো অন্যায় করতে পারি না। কারণ তিনি তো অস্ত্র নিয়ে কাউকে আঘাত করছেন না, শুধু মাত্র লেখালেখি করছেন। তার লেখা খণ্ডন করে প্রতি-লেখা আমি দিতে পারি। পাঠকরা পড়েই কোনটা ভাল কোনটা মন্দ গ্রহণ করবে।
ধীরে ধীরে ইন্টারনেট ব্যবস্থার প্রচলন হলো আর তা বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে শানিত করার রাস্তা আরও প্রশস্ত হলো। কারণ মুক্তচিন্তকরা বোঝতে পারলেন তারা একা নন। তাদের মতো চিন্তা করার মানুষ প্রচুর আছে। ব্লগে এবং সুস্যায়াল মিডিয়াতে তারা লেখালিখির মাধ্যমে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেলেন।
৪-৫ বৎসর ধরে অনলাইনে লেখালেখির সুবাদে পশ্চিম বাংলা এবং বাংলাদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে মতের আধান প্রধান শুরু হলো এবং অনেকের সঙ্গেই আত্মিক একটা ভাবের সূচনাও হলো। তাই বাংলাদেশ যে আমার দেশের থেকে বাইরে চিন্তাও আমার মাথা থেকে উদাও হয়ে গেলো। কারণ তাদের সঙ্গে আমার ভাষা, সংস্কৃতির অদ্ভূদ মিলই এই কারণ।
আরও হয়তো আমি উগ্র জাতীয়তাবাদী নয় বলে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকেই সমান চোখে দেখার চেষ্টা করি। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষেরই মঙ্গল কামনা করি। আমার দেশের একজন নিপীড়িত মানুষের জন্য যেমন মন ভারাক্রান্ত হয় তেমনি পাকিস্থানের একজন নিপীড়িত মানুষের জন্য আমার মন ভারাক্রান্ত হয়।
যাইহোক এই অনলাইন মুক্তচিন্তকরা যে শুধু ভার্চুয়াল জগতে সীমাবদ্ধ তা নয় উনারা বিভিন্ন ইভেন্ট (গন ধর্ষণ থেকে শুরু করে নানা সামাজিক অনিয়মে বিরুদ্ধে) উপলক্ষে সভা সমাবেশ করার ব্যবস্থা করেন।
সেই সূত্রে নানা ইভেন্ট উপলক্ষে আমিও আমন্ত্রন পেতাম। যেহেতু আমি দূরে থাকি তাই সভা সমাবেশে যোগ দেওয়া সম্ভব হতো না। শুধুমাত্র তাদের কার্যক্রমকে সমর্থন করতাম।
সেইভাবে গত ৫ ফেব্রুয়ারী একটা ইভেন্টের সমাবেশে সব অনলাইন এক্টিভিস্ট , ব্লগারদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান দেখতে পাই। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম ৭১এর যুদ্ধাপরাধের আসামী মৌলবাদী জামাতে ইসালমী দলের নেতা রাজাকার কাদের মোল্লাকে ফাঁসির বদলে যাবত-জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়। যে এত খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত তাকে ফাঁসীর বদলে যাবৎজীবন কারাদণ্ড একটা আশ্চর্যজনকই ছিল।
তারপর এই অনলাইন এক্টিভিস্টরা এই রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে রাজপথে জড় হতে থাকেন। কিন্ত এখানে আরেকটা আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে এই সমাবেশকে সমর্থন করে বাংলাদেশের হাজার হাজার বাঙ্গালীরা জড় হতে থাকে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা কেউ বাকি জান নি এতে। টিভি এবং ইন্টারনেটে দেখলাম শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যতটুকু চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। সেখানে ছোট একটা শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধটি পর্যন্ত শরীরে লিখে রেখেছেন ফাঁসী চাই। মুখে এক চিৎকার রাজাকারদের ফাঁসী চাই, বাঙ্গালী আর জয় বাংলা।
এই আন্দোলনের যে দাবীগুলি গঠিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম –
১) সকল রাজাকারদের ফাঁসী সুনিশ্চিত করতে হবে।
২) ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট করতে হবে।
৩) জামাতি-ই-ইসলামী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই আন্দোলনে সংহতি জানাতে ভারতের গায়করা গান রচনা করে গান গেয়েছেন কবীর সুমন থেকে শুরু করে দোহার ব্যান্ড যা আন্দোলনকারীদের আরও সংঘবদ্ধ করেছে। শাহবাগে বাজছে এই গায়কদের গান।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান কুর্শিদ বাংলাদেশ সফরে গিয়ে শাহবাগ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারও এই আন্দোলনে নড়ে বসেছে। আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আইনের পরিবর্তন হয়েছে।
এদিকে মৌলবাদী শক্তিগুলিও বসে নেই। তারাও আন্দোলন প্রতিহত করতে উঠে পড়ে নেমেছে। এটাই স্বাভাবিক কারণ এটা যে তাদের টিকে থাকার লড়াই।
আন্দোলনকারীদের তথাকথিত‘নাস্তিক’ আখ্যা দেওয়া থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী নারীদের ‘বেশ্যা’ আখ্যা দেওয়া কোন কিছুই বাদ দেয় নি তারা। ফেসবুক খুললে উপপ্রচার এখানে নাকি তরুন-তরুনীরা উশৃঙ্খলতা করতে গেছে। ফটোশপের কারসাজিতে সিনেমা জগতের কোন অশ্লিল ছবিকে এডিট করে দেখানো হচ্ছে শাহবাগে কিভাবে তরুন-তরুণীরা অশ্লিতা করছে। কোন একটা টয়েলেটে এডিটের মাধ্যমে কন্ডোমের ছবি দেখিয়ে দেখানো বলা হচ্ছে, শাহবাগে যে কত মা-বোন তাদের সতীত্ব হারাচ্ছেন?
হাস্যকর বটে! যারা খুন, ধর্ষন করতে পিছপা হয় না। তাদের আবার মা-বোনদের সতীত্বের চিন্তা!
অথচ মধ্যপ্রাচ্যে যে গণতন্ত্রের দাবীতে তাহেরের স্কয়ারে আন্দোলন হয়েছিলো সেখানেও নারীদের উপর যৌন হয়রানীর অভিযোগ ওঠেছিলো।
কিন্তু শাহবাগে এত-বড় একটা আন্দোলন এত দিন থেকে চলছে কিন্তু সেখানে একটা যৌন হয়রানির ঘটনাও নেই। নারীরা নিজ মুখে বলছেন – যে তারা শাহবাগে কোন নিরাপত্তা-হীনতায় ভুগছেন না। সেখানে কোন নিরাপত্তা কর্মী নেই তবু ঘরের মতোই নিরাপদ।
যাদের তথাকথিত ‘নাস্তিক’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে তারাই তো প্রকৃত ধার্মিকের কাজ করছেন। বরং অনেক সময় বিভিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠান থেকেই যৌন হয়রানির খবর ব্যর হয়ে পড়ে।
এত অপপ্রচার চালিয়ে যখন আন্দোলনকে স্তিমিত করা যাচ্ছে না। তখন টার্গেট করা হলো ১৭ জন ব্লগারকে (অনলাইন লেখক) যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একদিন ফেইসবুক খুলে দেখলাম রাজিব হায়দার ( যিনি থাবা বাবা নামে অনলাইনে লিখতেন) উনাকে নিষ্ঠুরভাবে কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করেছে ছাগুরা (মৌলবাদীদের অনলাইনে ছাগু নামে ডাকা হয়। ছাগল থেকে ছাগু শব্দটির উৎপত্তি)।
প্রথমে বিশ্বাস করতে পারলাম না এই রাজীবের সঙ্গে একসময় ভাল সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে মতনৈক্যের জন্য সম্পর্ক না থাকলেও তার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে।
তারা তো সফল হতে যাচ্ছে এদিকে অনেক ব্লগারের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে তারা নিরাপত্তা-হীনতায় ভুগছেন। চিন্তা করলাম এই কোন সমাজে আমরা বাস করি? যেখানে ধর্মীয় অনৈতিকতার বিরুদ্ধে যুক্তি সহকারে লেখার অপরাধে খুন হতে হয়। আমরা মুক্তচিন্তকরা তো মনে করি সবকিছুর যেমন প্রতিক্রিয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তেমনি ধর্মেরও আছে। তাই সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ধর্মের খারাপ দিকগুলি তুলে আনা প্রয়োজন। আজ হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা, রাজীব, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন আক্রান্ত কাল আমরা হবো না বলে বিশ্বাস কি?
যাইহোক বাংলাদেশ সরকার একটা প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং ১৬ জন ব্লগারকে নিরাপত্তা দান সহ যে সোনার বাংলাদেশ ব্লগে ১৭ জনকে হত্যার তালিকা প্রকাশ করে। সেই ব্লগকে নিষিদ্ধ করে দেয়।
এদিকে আমার উপরও নানা হুমকি আসতে থাকে অনেকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে না লিখতে বলেন। আমি আমার একটা স্ট্যাটাসে লিখি -অনেকেই আমার ম্যাসেজে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মন্তব্য না করার জন্য বলছেন। যেহেতু আমি ভারতীয়। কিন্তু প্রথমেই আমি বলতে চাই মুক্তমনা, যুক্তিবাদীদের দেশ বলতে কিছু নেই এটা একটা সংকীর্ণতা, ধর্মীয় সংকীর্ণতা আর এর মাঝে ফারাক নেই। আমি মধ্যপ্রাচ্যের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে মন্তব্য করেছি, ব্লগ করেছি কেউ কিছু বলেন নি আমি পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মন্তব্য করেছি কেউ কিছু বলেন নি। তাহলে বাংলাদেশের ব্যাপারে বাঁধা কেন? এই দেশের সাথে তো আমার অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক। আমার প্রপিতামহ পূর্ববাংলার। ৭১এ আমার আত্মীয় স্বজন অত্যাচারিত হয়েছে পাকসেনা এবং রাজাকারদের দ্বারা। আমার দেশের সেনাদের কাটা মুণ্ডু নিয়ে বাংলাদেশে ঘুরেছে পাকসেনারা আর রাজাকাররা তাতে নেচেছে। বাংলাদেশকে সাহায্য করার অপরাধে আমার দেশে এই রাজ্য ত্রিপুরায় মিসাইল ফেলেছে পাকিরা যার প্রমাণ এখনও আছে। তবু আপনাদের অনুরূপে মন্তব্য বন্ধ করে ওয়েট এন্ড সি নীতি গ্রহণ করলাম।
এদিকে এই স্ট্যাটাসের পরিপেক্ষিতে অনেকেই আমাকে লেখালেখি চালিয়ে যেতে বললেন। তাদের অভিমত এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বাঙ্গালীদের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। আর ভারতীয়দের সমর্থন তো আরও প্রয়োজন।
এদিকে খবর পেলাম কলকাতা থেকে কিছু ভারতীয় যুবক সাইকেল যোগে শাহবাগে সংহতি জানাতে গেছেন। আরও জানলাম পশ্চিম বাংলার শিল্প-সাহিত্যিকরা শাহবাগে সংহতি জানাতে এই বাংলায় অনুষ্ঠান করছেন। বোঝতে পারলাম কাঁটা তার আমাদের মনে কাঁটা তার দিতে পারে নি। আমরা অপার বাংলার টানে আমরা এক হয়ে যেতে পারি।
বাংলার মানুষ বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। তারা পাকিস্তান, আফগানিস্তান দেখে শিক্ষা নিয়েছেন, মৌলবাদীদের হাতে দেশ গেলে কি পরিণতি হতে পারে। কারণ আজ এই দুই রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত।
এদিকে বাংলাদেশের অপশক্তিগুলিও বসে থাকছে না হরতাল, ঝটিকা হামলা চালাচ্ছে। গত ১৫ তারিখ জুম্মার নামাজের পর শাহবাগে আক্রমণ চালানোর উদ্দেশ্যে মৌলবাদীরা একত্রিত হতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ যদিও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আক্রমণ প্রতিহত করে।
আজ লাগাতার আন্দোলনের ২১দিন। আন্দোলনকারীরা সফল হন এই কামনা করি। সব অশুভ-শক্তি পরাজিত হোক মুক্তবুদ্ধির জয় হোক। বাংলার মানুষ যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এটাকে বল হয় শকুন কাঁদে গরুর শোকে।গরু মরলে শকুন মৃত গরু খাবে, তাই আনন্দ করা উচিত, কিন্তু আনন্দ না করে যদি কান্না শুরে করে তবে বুজতে হবে যে এরা মড়াখেকো সাধারন শকুন না, এরা জীবিত কে মেরে ফেলে সেই মৃতদেহ ভক্ষনকারী শকুন, হ্যাঁ এরাই হল জামাতী ইসলাম।
@অর্ফিউস, (Y)
(Y)
ভুল ত্রুটি অনেক বেশি হওয়ায় বললাম না, তবে আমার পরামর্শ থাকবে ছাপানোর জন্য দিয়েন না। শুধু শুধু কষ্ট করে কী লাভ।
আমি ইংরেজিতে দূর্বল, কিন্তু তারপরেও মনে হয় এইটার অর্থ আপনি যা বলেছেন ঠিক সেরকম না। দেখেন তো এমন হতে পারে কী নাঃ
“জামাতে ইসলামির সশস্ত্র রাজাকাররা(সেচ্ছাসেবীরা)ও এই ক্র্যাকডাউনে অংশগ্রহন করে এবং এই অবস্থাকে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঘায়েল করার জন্য ব্যাবহার করে। ”
আমার কাছে মোটেও “প্রশংসনীয় পদক্ষেপ” মনে হয় নাই। সারা বাঙলাদেশের মানুষ মুক্তমনা বন্ধের দাবী করলে ভোটের খাতিরে আম্লিগ সরকার মুক্তমনাও বন্ধ করবে। এমন কি হাসিনা অলরেডি তাওহিদি জোশে বলেওছে যে নবীর বিরুদ্ধে কোন কটুক্তি মেনে নেওয়া হবে না। সুতরাং এত আনন্দিত হওয়ার কিছু নাই এখানে। হাসিনা ইসলাম না মানলেও ভোটের ইসলাম ঠিকই মানে।
তখন আপনার মতামত কি এখনকার মতই হবে? একটা সোনার বাঙলা ব্লগ বন্ধে করে লাভ কী হয়েছে? জামাত-শিবির কি আমাদের মতন ব্লগে রাজনীতি করার সংগঠন? জামাত-শিবির সম্পূর্ন অন্তর্জালে না থাকলেও কিছুই হবে না। কারন ওরা কাজ করে মাঠ পর্যায়ে। আর মাঠ পর্যায়ে কাজ না করে আমরা এখানে যতই মত প্রকাশ করি কোন কাজ হবে না।
সকল রাজাকারের ফাঁসি চাওয়া হলেও আম্লিগের যে সমস্ত রাজাকার আছে তাদের বিচার চাওয়া হয় নাই। শুধু জামাতই প্রধান টার্গেট মনে হচ্ছে যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা যেহেতু যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ড চাই, সুতরাং জামাতের সাথে সাথে অন্যান্য যারা এই কাজ করেছে তাদেরও ফাঁসি চাই। কারন জামাতের ডলাতে ব্যাথা পাওয়া যায় আর আম্লিগের হলে পাওয়া যায় না তাতো না। 🙂
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী উঠেছে যদিও আমি এটাকে যৌক্তিক মনে করি না। বাঙলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ হউক এই দাবীটা খুব একটা জোড়ালো না। যদিও এইটাই আসল দাবী হওয়া উচিত ছিল।
ভারতের সাহায্য আরো প্রয়োজন কোন প্রয়োজনীয়তার নিরিখে?
ও আরেকটা কথা, আপনি এত গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তিত্ব আমি জানতামই না। পোস্টের তিনভাগের একভাগ কে আপনাকে কী জিজ্ঞেস করেছে তার ফিরিস্তি দেখে বললাম। ভালো লাগল।
@সাইফুল ইসলাম, দেখি অন্যরা কি বলে? আপনার একজনের কথায় তো আমি পিছপা হবো না। কারণ এটা শুধুই আপনার ব্যাক্তিগত মতামত।
@সুমিত দেবনাথ, কোন ইংরেজীকে অনুবাদ করতে যে তা একদম হুবুহু হতে হবে তা তো আমার জানা নেই অনেক ইংরেজী বইয়ের মূল বই এবং বাংলা অনুবাদ পড়ে তাই অনুধাবন করেছি। সমস্যা হলো অনেক নাস্তিক, মুক্তমনারা নিজেদের মহাজ্ঞানী ভাবেন। আর একটা আত্ম তৃপ্তিতে ভূগেন। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে কি বলে জানি ভূলে গেছি। ধ্বংসাত্মক সমালোচনা অনেককেই করতে পারে গঠনমূলক সমালোচনা করতে অনেকেই পারেন না। কেউই চট করে মহাজ্ঞানী হতে পারে নি পারবেও না। ভূল ত্রুটি করেই মানুষ শিক্ষা নেয়। আর কোন লেখকও হুট করে মহান হয় না। ভূল ত্রুটি করে ব্যর হয়ে আসে। এবং তার জন্য দরকার পাঠকের গঠনমূলক সমালোচনা। আশা করি আমার বক্তব্য বোঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
@সুমিত দেবনাথ,
আপনি লেখার ভুল ত্রুটির ব্যাপারে মতামত চাইলেন বলেই দিলাম। তাছাড়া আপনি আমার ফেসবুক বন্ধুর তালিকায় আছেন, নইলে আপনার লেখাটা এমন কোন লেখাই না যার জন্য খুব বেশি চিন্তিত হতে হয়।
গঠনমূলক আলোচনার কথা বলছেন বেশ ভালো কথা। গঠনমূলক আলোচনার প্রক্রিয়া জানেন তো? আপনি লেখার প্রথমেই লেখার ব্যাপারে মতামতের কথা বলেছেন যার জন্য আমি আমার সৎ মতামত দিতেছি। এবং অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত মতামত।
আমি ফেসবুকে আর ব্লগে হাবিজাবি লেখা হলেও লাইক দেয়া লাইকার না। যেটা মনে হয় সেটাই প্রকাশ করি। তাতে কার কেমন লাগল সেটা নিয়ে চিন্তা করে শক্তি ক্ষয় করি না। মতামত চেয়ে মতামত গ্রহন করতে না পেরে যদি অক্ষম আস্ফালন করেন তাহলে মতামত চাওয়াই আপনার উচিত হয় নি।
আমি আগেই বলেছি আমি ইংরেজি ভালো জানি না। কিন্তু আমার কাছে আপনার অনুবাদটা সঠিক অর্থবহ মনে হয় নাই। মুক্তমনার বহু ইংরেজি জানা লোক আছেন তারা আরো ভালো বলতে পারবেন। এমন কি আমার বলা অনুবাদটাও ভুল হতে পারে, এতে সমস্যার তো কিছু নাই। তারপরেও আপনার অনুবাদটা কেন আমার কাছে সঠিক মনে হয় নাই বলিঃ
political opponent এর বাঙলা কি “নিজ জাতি” হয়? আমার কাছে ভুল মনে হয়েছে।
আল্মিগ আর বিম্পি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করলে কি “নিজ জাতি” বলা সঠিক নাকি “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ”?
আপনার ভুল মনে হলে ভুল। বা আসলেই ভুল হলে ভুল। সমস্যার তো কিছু নাই। কিন্তু এই কথার পরে যেসমস্ত কথা বললেন সেগুলোর কী প্রয়োজন ছিল?
মহাজ্ঞ্যানী ভাবার মত কী বললাম? বরঞ্চ আপনি আমার করা প্রশ্নটার জবাবই দেন নাই। আপনার লেখার মূল নির্যাসের সাথে যেহেতু একমত সেজন্য ঐ ব্যাপারে কিছু বলি নাই। যে জায়গাতে আমার একটু দ্বীমত আছে সে ব্যাপারগুলোই ছুঁয়ে গেছি। সেটা কীভাবে অগঠনমূলক হল বুঝলাম না। আপনি মুক্তমনায় নিয়মিত হলে জানবেন আমি সাইফুল কাউকে পুন্দিয়ে কথা বলা বলি না। আপনি যেহেতু ঐপারের সেজন্য খুবই “ভদ্র” ভাষায় বললাম। পরের বার আপনার কথামত গঠনমূলকভাবে সমস্ত মূর্খ বিশেষন বাদ দিয়ে বলবেন আশা করি, নইলে আমি সাইফুলের এত সুবোধ রূপ নাও দেখতে পারেন।
@সাইফুল ইসলাম,
হাসিনা ইসলাম মানে না, এ তথ্য কোথায় পেলেন? অন্য প্রধান নেতা-নেত্রীরা হাসিনার চেয়ে বেশী ইসলাম মানে বলে আমার মনে হয় না।
সঠিক দাবি। একটা কাজ করলে কেমন হয়? আ’লীগ করবে জামাত-বিএনপির রাজাকারদের বিচার, আর বিএনপি সরকার এলে করবে আ’লীগের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। হাসিনা মেয়ে বিয়ে দিয়েছে ১৫ বছর (বা, আরো বেশি) হল। এই সময়ের মধ্যে বিএনপি তো বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায়ও এসেছিল, কিন্তু হাসিনার নি্কটাত্মীয় বলে কথিত রাজাকারের বিচার করল না কেন, বলতে পারেন, সাইফুল ভাই?
কি বোঝাতে চাইলেন, সাইফুল ভাই? পরিষ্কার করলে খুশি হই।
হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাই দেশের সিংহভাগ মানুষের ধর্মপ্রবর্তকের বিরুদ্ধে কটুক্তি মেনে না নেয়ার ঘোষনা দিয়ে উনি কোন অন্যায় করেছেন বলে মনে হয় না।
ভাল থাকবেন।
@কাজি মামুন,
জি, তেমনি কিছুদিন পরে তিনি ধর্ম নিরপেক্ষ বোরখা পড়বেন, আর তসবীহ টিপবেন,এতেও কোন অন্যায় হবে না।কিন্তু সমস্যা টা হল যে এই কজা গুলি তিনি ক্ষমতা হারানোর আসার ৬ মাস আগে পড়েন, ভোটের আগেই শুধু এই মহান কাজটি করেন।এতেও তিনি কোন অন্যায় বা ভন্ডামী করছেন বলে আমিও মনে করি না। যেহেতু তাঁর দলে অনেকদিন ধরেই অদৃশ্য কাফেরী সিল মারা আছে কাজেই এইসময় থেকেই তাঁর ধর্মযুদ্ধ শুরু হয়।বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ….
খালেদা আবার ভোটের আগে বোরখা পড়ার দরকার মনে করেন না, কারন তাঁর ভোট প্রাপ্তি ওটার উপর নির্ভর করে না; কারন যেহেতু বি এন পি মডারেট ইসলামী সিল লাগানো দল। আর এই সিলটা হাসিনার দলে লাগানোর জন্যেই হাসিনার এত সতর্কতা।
@কাজি মামুন,
আপনার প্রথম দুইটা প্রশ্নের উত্তর দিতেছি না কারন আমি নিজেরে নিজে অপমান করতে অভ্যস্ত না। পরেরগুলার ব্যাপারে বলিঃ
ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে শাহবাগ আন্দোলনের দাবী খুব একটা পরিষ্কার বা জোড়ালো যাই বলি, না। প্রধান দাবী উঠতেছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বন্ধকরন। এইটা মোটেও যৌক্তিক কোন দাবী না। মতাদর্শের মিল না থাকলেই তারে নিষিদ্ধ করতে হইব এই তত্ত্বে আমি বিশ্বাসী না। আপনার ব্যাপার জানি না।
বস্তুত এই দাবীর পিছলে লুকাইয়া আছে এমন ধারনা যে মুক্তিযুদ্ধে সমস্ত অপরাধ হইছিল খালি ধর্মের কারনে যেইটা এক্কেবারে মিছা কথা। ভুল বলাই মনে হয় ভালো এইখানে।
জামাতরে নিষিদ্ধ করতে হইব কারন প্রাতিষ্ঠনিকভাবে ওরা যুদ্ধাপরাধ করছে আর ওরা দেশের স্বাধীনতা মানে না। যে দেশের স্বাধীনতা মানে না তার তো এই দেশে থাকার আইনী, নৈতিক কোন অধিকারই নাই। সুতরাং নিষিদ্ধ হইতে হইব জামাত কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি না। আজকে বৌদ্ধ ধর্মানুসারীরা রাজনীতি করতে আসলে আমি বাধা দেওয়ার কোন যৌক্তিকতা দেখি না। যে সাম্প্রদায়িকতার ডরে ভয়ে এই দাবী তোলা হইতেছে ঐটারও কোন ঐতিহাসিক, যৌক্তিক ভিত্তি নাই। এমন কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কেউ দেখাইতে পারব না যার কারন নির্ভেজাল ধর্ম। সুতরাং সমস্যাটা ধর্মে না, সমস্যা সামাজিক ব্যাবস্থায়। রাজনীতিতে।
নির্ভর করে আপনি অন্যায় বলতেছেন কারে। খালি অযৌক্তিকতাই যদি অন্যান্য হয় তাইলে পরে অন্যায় করছে। কিন্তু আমি তা মনে করি না। অনেক অযৌক্তিক জিনিসই তো আছে যেইগুলা অন্যায় না। এইখানে খালি অযৌক্তিক না, এইটা পরিষ্কার রাজনৈতিক চাল। হাসিনা করতেছে ভোটের জন্য যেইটা আখেরে মুক্তমনার মতন সাইট কিংবা এ মতাদর্শাধারী যে কোন মুখ বন্ধ করতে রক্ষাকবচ হিসাবে ব্যাবহার করা হইব। সুতরাং গণতন্ত্রের আওয়াজ একটু বুইঝ্যা দিয়েন।
দেশের বেশির ভাগ মানুষ চাইলেই যদি ঐ অনুরোধ রক্ষা করা অন্যায়(ভুল?) না হয় তাইলে মুক্তমনার মতন সাইট আর রাজিব হায়দারের কেসে আপনার মতামত কী? সাধারন কোন পাবলিকরে দেখাইছেন মুক্তমনা বা রাজিবের লেখা? এইসমস্ত লেখা পইড়া কি সাধারন মানুষ উজ্জীবিত হইব নাকি উত্তেজিত হইব সেই ধারন না আছে?
@সাইফুল ইসলাম,
কিন্তু ধর্মীয় দলগুলি যদি সহিংস হয় তবে? আপনি জানেন যে এই দেশে প্রায় সব ধর্মীয় দলগুলো জঙ্গিপনা করে থাকে, ধর্মের সমালোচনা করলে দা। ছুরি কাচি পিস্তল যা পায় হাতে নিয়ে তাড়া করে।তাহলে এদেরকেও কি নিষিদ্ধ করা উচিত না ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না এই সহনশীলতার মহান গুনাবলি থেকে এনারা বেরিয়ে আসতে পারছেন?
@সাইফুল ইসলাম,
শেখ হাসিনা ধার্মিক না, এই তথ্য কোথায় পেলেন, তার উত্তর দিলে আপনি অপমানিত হতে যাবেন কেন, বুঝলাম না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি শেখ হাসিনাই বরং কম করেন অন্য নেতা-নেত্রীদের চেয়ে। বঙ্গবন্ধুকেও ইসলামের শত্রু আখ্যা দেয়া হত, কিন্তু আজ তো আমরা সবাই জানি, কসাই টিক্কা, ইয়াহিয়া বা ভুট্রোর চেয়ে উনি অনেক বেশী ধর্মপ্রাণ ছিলেন। ইয়াহিয়া বা ভুট্রো ব্যক্তিগত জীবনে ধর্ম পালনে উৎসাহী ছিলেন না, তবে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ধর্মকে ব্যবহার করতেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন উল্টো, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু রাজনীতির প্রয়োজনে ধর্মকে কখনো ব্যবহার করেননি।
আমিও বিশ্বাসী না। কোন মত/পথ নিষিদ্ধ হোক, আমিও তা চাই না, কারণ তা মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনের বিপক্ষে যায়।
তবে জামাত নিষিদ্ধকরণের একটা যুক্তি অনেকে তুলে ধরেন, তা হল, জামাত এই রাষ্ট্রের জন্মের বিরোধিতাই শুধু করেনি, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধও করেছে। তাই একে নিষিদ্ধ করা উচিত। ইন্ডিয়া, পাকিস্তানেও জামায়াত আছে, কিন্তু তারা নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার পেছনে উপরের যুক্তি তুলে ধরা হয় প্রায়শ।
তবে এখানেও আমি তুলে ধরতে চায় শ্রদ্ধেয় আদিল ভাইয়ের যুক্তি, তা হল, জামাত নিষিদ্ধ করলেই যে জামাতের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে, তা ভাবা ঠিক না, কারণ সে অন্য পোশাকে আবির্ভূত হতে পারে।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় উগ্র জাতীয়তা বোধ থেকে। সর্বদাই। একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন। প্রায়শই আমরা এমন মানুষ দেখি, যারা ধর্মিয় বিধিবিধানের ধার কাছ দিয়েও হাঁটেন না (যে্মন, অনেক মুসলমান নামায-রোযা করেন না, অনেক হিন্দু মন্দিরে যান না), তবু তারা নিজ ধর্মের সামান্যতম সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না। এর কারণ কি বলে হয় আপনার? এই মানুষগুলি আসলে ধর্মকে অতটা ভালবাসেন না, ভালবাসেন ধর্মভিত্তিক জাতীয়তা।
উদাহরণ দিন। আর হাসিনার তরফে দেশের সিংহভাগ মানুষের ধর্মপ্রবর্তকের বিরুদ্ধে কটূক্তি মেনে না নেয়ার ঘোষণা কেন অন্যায় ও অযৌক্তিক দুটোই মনে হয় আপনার কাছে, তার কারণ তো উল্লেখ করলেন না, সাইফুল ভাই।
দেখেন, সাইফুল ভাই, আপনি দার্শনিক, আর তাই আপনি ধর্মের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তির পসরা সাজিয়ে বই-পত্র লিখে সয়লাব করে ফেলতে পারেন, কিন্তু একজন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে, দেশের মানুষের সেন্টিমেন্টকে মূল্য দিতে হয় তাকে, তাদের বিশ্বাস ও অনুভূতিকে ধারণ ও প্রটেকশন দেবেন বলেই তো তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত, আর তাই হাসিনার মত একজন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার নির্বাচকমণ্ডলীর চাওয়ার বাইরে পা ফেলার সুযোগ কমই থাকে, এ ক্ষেত্রে হাসিনা এক প্রকার বন্দিই বলতে পারেন।
কিন্তু দেখেন, আপনি কিন্তু স্বাধীন। আপনার পেছনে কোন নির্বাচকমণ্ডলীর ইচ্ছাপূরণের দায় নেই।
আপনি নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, আ’লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের উল্লেখ ছিল, কিন্তু একই সঙ্গে ছিল ধর্মকে প্রটেকশন দেয়ার অঙ্গিকার। এই ইশতেহার না মানা কিন্তু একপ্রকার অন্যায়, আপনার কি মত?
@সাইফুল ইসলাম,
সামনে ভোট আর ভোতের আগে সবসময় হাসিনার শরীরে বোরখা আর হাতে তজবি দেখছি।
এইটা আবারও শিগগিরই দেব ইনশাল্লাহ। 🙂
– এরা ঠিক কারা? মানে ভারতীয় বাংগালী যাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন আগ্রহ নেই? নাকি ছাগু ধরনের লোকে, নাকি উগ্রী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী?
এ যুক্তিতে তো কারোরই অন্য কোন দেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার দরকার থাকে না।
@আদিল মাহমুদ, না ভারতীয়রা সাপোর্ট করছেন শাহবাগকে আর যারা বোঝছেন না তাদের বোঝিয়ে বললেই বোঝচ্ছেন। সমস্যা হল কিছু ছাগু যারা মুক্তমনার ভান ধরেছেন। আর কিছু আছে উগ্র বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী এদের চিন্তাশক্তি সীমিত এরা ভারতের রাজনৈতিক আগ্রাসী মনোভাব আর সাধারণ মানুষকে এক করে ফেলছেন।
এখানে একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশকে আক্রমন করার জন্য সমর্থন করছি না। বাঙ্গালী হিসাবে তো একটা টান আছেই তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা একজন মুক্তচিন্তক হিসাবে মুক্তিকামী মানুষদের সাপোর্ট দেওয়া। এইরকম আন্দোলন যদি পাকিস্থানেও চালু হয় তবে একজন বিশ্ববাসী হিসাবে তাদের সাপোর্ট নিশ্চয় দিবো।
@সুমিত দেবনাথ,
তাদের বলে দেখেন ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিষয়ে বাংলাদেশীদের লেখালেখির ব্যাপারে কি বলে?
বাংলাদেশকে ভারতের আক্রমন করার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? কলকাতায় আজ এমন ধরনের কোন আন্দোলন হলে আমাদের বাংলাতেও আমরা আগ্রহী হতাম , আলোচনা করতাম, সেটাই স্বাভাবিক, বোম্বে দিল্লীতে হলে অতটা আগ্রহী হতাম না।
পাকিস্তানেও কিছুদিন আগে মালালা ঘটনা কেন্দ্র করে মোটামুটি একটা গন বিস্ফোড়ন হয়েছিল, তখনো অন্য সব বিশ্ববাসীর মতই আমরাও আগ্রহ দেখিয়েছিলাম।
@আদিল ভাই।
আমিই সেই ভেকধারী নাস্তিক।এখন দেখছি নাস্তিক সার্টিফিকেট ইন্ডিয়া থেকে আনতে হবে!
কেউ যখন বলে দুই দেশের মধ্যে কাঁটাতার থাকলেও কলকাতার মানুষের মনে কাঁটাতার নেই।তখন আমি মন্তব্য করি, কিন্তু মমতা তো মাঝে মাঝে নির্মম হন। তার পর সুমিত প্রশ্ন করে আমি শিবির কিনা!!!!!
এবং উপরে ভেকধারী নাস্তিক এবং শেষে রাজাকার উপাধি পাই।হা হা হা …
এই আন্দোলে প্রতিদিন জাগরন মঞ্চে থেকে রাত জেগে অনলাইনে থেকে ,বিদেশি কোন মানুষের কাছে প্রমান করতে হয় আমি শিবির করি কিনা তখন মেজাজটা কেমন লাগে?
তার পর তার কিছু বন্ধুকে ডেকে আনে যাদের আমি চিনি না।এবং দলবদ্ধ আক্রমন করে আমাকে ব্লক করা হয়। এই হচ্ছে মুক্তমনা সুমিত।
পৃথিবীর যে কোন মানুষ আন্দোলন সমর্থন করতেই পারে।কবির সুমন করেছে।কিন্তু কেউ মন্তব্য করে দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এবং পরামর্শ দেয়।সমর্থন দেয়া আর নাক গলানো এক বিষয় না।
@ডাইনোসর,
গোলমেলে ব্যাপার। শুধু এখানে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এটা বা কোন পরামর্শ শুনলে রাগ করার কি আছে? আপনাদের পরিচয় মনে হয় দীর্ঘদিনের, আপনারাই ভাল বলতে পারেন।
এক বুশের কারনে যেমন আমেরিকান কেউ আমাদের প্রতি দরদ দেখালে তাকে গাল দেওয়া যায় না তেমনি মমতার কথাবার্তার কারনে কোন ভারতীয়কে সেসব উগ্রতা সমর্থন না করলে গালি দেওয়া যায় না।
অন্য আরো ব্যাপার আছে মনে হয়।
@আদিল মাহমুদ,
হা হা হা…. আসলে এর বাইরে কিছু নাই। তার পরামর্শ শুনে রাগ করি নাই বিরক্ত হইছি।
গালি দেবার প্রশ্নই আসে না।
কেবল এই কথা টুকুর পরেই সে আমাকে শিবির বলছে। এই ব্যপারটা নিয়ে আমিও আর মাথা ঘামাইনি। কিন্তু সে আজ একটা পোস্ট দিয়ে এই বিষয়টা আবার উস্কে দিতে চাচ্ছে। কারো ব্যক্তিগত ফেসবুকের কমেন্ট নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন ব্লগ লিখি নাই। অন্তত মুক্তমনার মতো ব্লগে এসব টেনে আনার কোন যৌক্তিকতা দেখি না।
@ডাইনোসর,
– ঘটনা আসলেই তা হলে খুব খারাপ কথা। সুমিত মিয়া কি বলেন দেখা যাক।
@আদিল মাহমুদ, যে লিংক দিলাম সেটা দেখতে অসুবিধা হলে এড্রেস বারে কপি-পেস্ট করে দেখুন – http://www.facebook.com/sumit.debnath.35513/posts/522119314506096?comment_id=5540253¬if_t=feed_comment
@ডাইনোসর, আমি তো কারও নাম নেই নি। ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাই নি এইভাব কেন তোমার? আর ঝগড়া বাদ দাও। আমি এখানে তোমার ব্যাপারে লিখি নি। আরও অনেকেই বাংলাদেশের ব্যাপারে না লিখতে বলেছেণ। :-s
@আদিল মাহমুদ, আপনি ঠিকই ধরেছেন আমাদের সম্পর্ক অনেকদিনের। আমি মি. ডাইনোসরকে আমার একজন ঘণিষ্ট বন্ধু হিসাবে ভাবতাম। কারণ আমরা যখন ফেবুতে দু-একজন মুক্তচিন্তক ছিলাম তার মধ্যে তিনিও একজন ছিলেন। এখনও বলছি উনার সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত সমস্যা নেই। ফেবুর কোন ঝগড়া এখানে টেনে আনে মুক্তমনার পরিবেশ নস্ট করার ইচ্ছা নেই। তবে তিনি যেহেতু এখানে কমেন্ট করেছেন। তাই কিছু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমার মনে হয়েছে তিনি আমার পরিচয়ে প্রথম থেকেই তীব্র ভারত বিরুধী। কিন্তু এই জিনিস তিনি বোঝতে রাজি নন সব মানুষ যে সমান নয়। আমি বাংলাদেশের ব্যাপারে কোন স্টেটাস আপডেড করলেই উনার গাত্র জ্বালা আরম্ভ হয়। যেন আমি বাংলাদেশের বড় শত্রু এবং বাংলাদেশ সরকার আমাকে মোস্ট ওয়ান্টেট তালিকায় রেখেছে।
আর আমি বলেছিলাম যে, শিবির যেভাবে আক্রমন করছে তেমনি যদি আন্দোলনকারীরা সহিংস হয় তবে গৃহযুদ্ধ লাগা অসম্ভব কিছু নয়। এখানে যে কি পাপ করেছিলাম জানি না?
আবার আমার আরেকটা পোস্টে তিনি দ্বিমত প্রকাশ করলে আমি রাগে উনাকে বলি আপনি শিবিরে যোগ দিয়েছেন নাকি। সেখানে একজন মুক্তমনার মুখের ভাষা দেখুন-
আমি কাউকে ডেকে আনতে যাইনি। উনার কমেন্ট দেখেই সবাই কমেন্ট করেছে। এবং পরবর্তীতে সবাই উনাকে ব্লক করার জন্য বলল। কারণ এখানে তাদের সমস্যা হতে পারে। এখানে আমার কিছু করার ছিল না।
@সুমিত দেবনাথ,
মুক্তমনা আসলেই এসব ব্যাক্তিগত রেষারেষি, বিশেষ করে অন্য ব্লগ বা ফেসবুকের বিষয়ের নয়। যা মনে হয় আপনাদের দু’জনার ব্যাক্তিত্ব ঘটিত সমস্যা হয়েছে, আমি দুজনকেই মোটামুটি চিনি, কার থেকে কিভাবে সমস্যা সেটা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না।
নিরপেক্ষ হিসেবে শুধু এটা বলতে পারি যে,
বাংলাদেশের ব্যাপারে কোন স্টেটাস আপডেড করলেই উনার গাত্র জ্বালা আরম্ভ হয় এবং এবং মমতার বদনাম করলেই শিবির আখ্যায়িত করা দুটোই যথেষ্ট আপত্তিকর।
আমি নিজে চাই যে ভারতের নাগরিকরা আমাদের দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলুক, আমাদের ব্লগে আসুক। প্রতিবেশী হলেও ভারতীয় নাগরিকরা আমাদের ব্যাপারে চরম উদাসীন।
@আদিল মাহমুদ,
হা হা হা……..তার কোন স্টেটাসে কি আমি এই ধরনের কোন মন্তব্য করেছি? সে কি দেখাতে পারবে?
@আদিল মাহমুদ, (Y) একান্ত বাধ্য নাহলে ঝগড়া ঝাটি করি না দাদা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। মুক্তমনার পরিবেশ নষ্ট করে এখানে ঝগড়া না করে। কোন সমস্যা থাকলে আমার ব্যাক্তিগত মেইলে আসার জন্য মি. ডাইনোসরকে অনুরোধ রাখবো। তবে তাকে উদ্দেশ্য করে তাকে কোন উক্তি নয় আবারও বলছি।
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক বলেছেন, বিশেষ করে ফেসবুক জিনিসটা আসলেই অকাজের। যেখানে একদিনে কয়েকশো বা তারো বেশি আইডি খোলা যায়,এইসব স্থানে কোন রেষারেষির বিশেষ মুল্য থাকে না। 🙂
@আদিল মাহমুদ,
“মমতার বদনাম করলেই শিবির আখ্যায়িত করা দুটোই যথেষ্ট আপত্তিকর।”
মমতা ত সত্যি সত্যি এক অমমতাময়ি নারী। জ্যোতি বসুর পর আর কেঊ পশিমবংগের ইতিহাসে এল না যে বাং্লা দেশের জন্যে ভাবেন।
এই মহিলাকে ডিফাইন করা কষ্টকর। তবে তাঁর পার্টি যা শুরু করেছে তাতে বেশি দিন গদিতে ্থাকতে পারবে কিনা তাতে সন্দেহ আছে।
যেখানে দিল্লি দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশের সংগে ভাল সম্পর্ক না রাখলে বিপদ আছে সেখানে এই অমমতাময়ি নারীর কোন মাথা ব্যথা নেই। কি বলবো। শুধু কষ্টই হয়।
“প্রতিবেশী হলেও ভারতীয় নাগরিকরা আমাদের ব্যাপারে চরম উদাসীন।”
ঠিক। যারা একদিন তদানিন্তন পুর্ববংগের বাসিন্দা ছিল তারাও যেন উদাসীন। হয়তোবা ভাবে “আর কি হবে …”।