আমার মনে হয় বাংলাদেশে নাস্তিকতা নিয়ে যারা কাজ করেছেন এবং করছেন, তাদের মূল লক্ষ্য একটাই। সেটা হলো মনুষ্যত্বের বিকাশ, জ্ঞাণ ও বিজ্ঞাণ চর্চার সহায়ক একটি পরিবেশ সৃষ্টি। কালের স্রোতে শান্তিপ্রিয় বাঙালী যখন ধীরে ধীরে বাঙালী মুসলিম এবং সম্প্রতি বাঙালীত্ব ছেড়ে মুসলিম হবার দিকে পা বাড়াচ্ছিলো, তখন এই একদল তারুণ্যে বিদ্রোহ ব্লগিঙের মাধ্যমে প্রতিবাদ শুরু করেছিলো। বাংলার বিশাল জনগোষ্ঠীকে জাকির নায়েকের উদ্ভট তত্ব, সৌদি/পাকি/আফগানী উগ্র ধর্মীয় জঙ্গীবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে টিকে থাকা, দেশের রাজনৈতিক দলগুলির ধীরে ধীরে ধর্মের প্রতি আরো বেশি করে ঝুঁকে পড়ার আত্মঘাতী চক্র এবং এসবের কুফল বিষয়ে সচেতন করে তুলতে তারা বেছে নিয়েছিলো ব্লগের আপাতঃ নিরাপদ আশ্রয়। বিভিন্ন মত ও পথের নাস্তিকের বিবিধ আক্রমনে ধর্মকে পুঁজি বানিয়ে ব্যবসা করা ধর্মজোঁকের দল মুহুর্মুহ মুর্ছা যাচ্ছিলো, এমনি সময় প্রথম প্রতি-আক্রমন আসে ধর্মকারী নামক একটি বিপুল বিনোদন ভিত্তিক ওয়েবসাইট সরকারের বন্ধ করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু ততোদিনে নাস্তিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ মুভমেন্টের রূপ পেয়ে গিয়েছিলো।
তবে এ কথা সত্য, নাস্তিকতা বলে আসলে কিছু নেই। এটি কোনো ধর্ম নয়, এর কোনো পুরোহিত নেই, নেই কোন পুস্তক। কেউ কারো চেয়ে বড়ো নয়, ছোটো নয়। সকলেই দেশ ও মানবতাকে ভালোবেসে সবুজ ও সোনার এই বাঙলাকে মুক্ত করতে চেয়েছিলো আধ্যাত্মিকতার খোলসে সউদি ও পাকিস্তানী সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশজ সংষ্কৃতিকে রক্ষায়, আক্রমন করেছিলো শত শত বছর ধরে গেঁড়ে বসা এক মরুভূমি ভিত্তিক সংস্কৃতিকে।
বাউলের দেশ এই বাংলায় বাউলেরাই যখন লাঞ্ছিত হচ্ছিলো, তখন বাংলার এই দামাল কলম যোদ্ধারাই ব্লগস্ফিয়ারে এক বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিলো মুক্তচিন্তার। তাদের মাঝে মত ও পথের সুস্পষ্ট বিভেদ অবশ্যই ছিলো, কেউ রসিকতা ও ব্যঙ্গকে ব্যবহার করে ধর্মীয় কল্পকাহিনী ও প্রভাবের গুরুত্ব হ্রাস করে একটু শ্বাস নেবার পরিবেশ সৃষ্টি করছিলেন, কেউবা সেই নতুন পরিবেশে জ্ঞাণের নতুন বীজতলা তৈরিতে হাত দিয়েছিলেন। কেউবা সমাজতন্ত্র ও মানুষের জন্য কাজ করার পাশাপাশি চিন্তার মুক্তির উদ্দেশ্যেও শ্রদ্ধানির্ভর নিধার্মিকতার চর্চা করছিলেন। এই পথগুলির মাঝে আন্ত-কলহ থাকলেও ভিত্তির ব্যাপারগুলিতে তারা এক হয়েই লড়াই করেছেন।
প্রতি আক্রমন এর পরেও এসেছে, আমরা নানা সময় ধর্মীয় সুবিধাভোগকারী দল, সংগঠন কিংবা ব্যক্তিদের বিষোদগার লক্ষ্য করেছি, ধর্মের কাঁঠাল ভেঙ্গে লালে লাল হয়ে যাওয়া মোল্লা কিংবা হুজুরদের নিরন্তর মিছিল দেখেছি, কারন আমরা তাদের রুটি রুজি ধরে টান দিয়েছিলাম। এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো স্ক্যাম, সবচেয়ে বড়ো বিনা পুঁজির ব্যবসা-ধর্মের লাভের গুড়ে টান পড়লে ব্যবসায়ীরা তো ক্ষিপ্ত হবেই।
কিন্তু ধর্ম, নৈতিকতা, সংষ্কারের কারবারী এই ধর্মবাজেরা কখনোই সোজা পথে প্রতিবাদ বা লড়াই করে নি। নাস্তিক, নিধার্মিক কিংবা মুক্তমনাদের গলা চেপে ধরতে বরাবরই তারা বেছে নিয়েছে পিঠে ছুড়ি মারা কিংবা রাতের অন্ধকারে গলা কেটে রেখে যাওয়া। বাঘের সাথে লড়াই করতে তারা বেছে নিয়েছে হায়েনার মতো নীচ যুদ্ধ কৌশল।
বিপুল জনগোষ্ঠীকে তারা বুঝিয়েছে, ধর্মের নামে ব্যবসায়ীদের আক্রমন করার অর্থই হলো ধর্মকেই মুছে ফেলা। অথচ সত্য হচ্ছে এই, যে নাস্তিকতা সবসময়ই ধর্মকে তার সঠিক স্থানে ‘ফেরৎ’ পাঠানোর কথাই বলে এসেছে, আর তা হলো ব্যক্তিগত পরিসর। ব্যক্তি তার ইশ্বরের সাথে কি আদান প্রদান করবে, কিংবা কি অনুনয় বিনয় করবে, তার গন্ডি ব্যক্তি পর্যায়েই থাকার কথা ছিলো। কিন্তু এই ব্যবসায়ীরা ব্যক্তির দুর্বলতাকে পুঁজি করে, তাদের ভুল বুঝিয়ে দেশজোড়া জঙ্গী ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রসার বাড়িয়েছে। আমরা একে বলে এসেছি ভুল, এবং ধর্মনিরপেক্ষ বা সেকুলার রাষ্ট্রের কর্মকান্ডে ধর্মের কোন স্থান থাকতে পারে না।
নাস্তিকতা আন্দোলনের প্রথম দিকে ব্লগগুলিতে ছাত্রশিবির কিংবা হিজবুত তাহরীরের সাথে নাস্তিকদের বাদানুবাদের সময় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা গিয়েছে। সে সময়টা ছিলো ধর্মীয় বলদারগু বা ইংরেজিতে বুলশিটের বিপক্ষে মেধাবীদের বিবিধ উত্তর তৈরির সময়। এই সময়টায় শিবির/হিজবুতের ধর্মান্ধ কর্মীদের সাথে বাদানুবাদের সময় তীব্র অশ্লীল গালিগালাজের মুখে তাদের একমাত্র সাধের ধন, সৌদি মহাপুরুষ মোহম্মদকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা কখনো কখনো হয়ে উঠেছিলো প্রতি-আক্রমনের অস্ত্র। আর সে অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ সৈনিকেরও অভাব ছিলো না। ব্লগ কর্তৃপক্ষ প্রায়শঃই এই যুদ্ধ সামাল দেবার জন্য অনেক ব্যন, ডিলিট করে থাকতে দেখা যায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারন আমরা দেখতে পাই নাস্তিকতা উত্থানের। সেটি হচ্ছে দীর্ঘ চার দশক ধরে একাত্তরে ধর্মের নামে করা অপরাধগুলি বিচারহীনতার চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছিলো। যতোবারই রাজাকারদের বিচারের কথা উঠেছে তারা ধর্মের রক্ষাকবচ ব্যবহার করেই বেঁচে গিয়েছে। এবার অসহিষ্ণু তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ তাদের এই রক্ষাকবচ ধরেই টান দিয়েছিলো, যাতে রাজাকারের পাল পালাতে গেলেও কোথাও জায়গা না পায়।
আজকে যখন দেশের তরুণ প্রজন্ম ফুঁসে উঠেছে রাজাকারদের বিচার নিয়ে চুদুরবুদুরের বিরূদ্ধে, তখন ঘড়ির কাঁটার মতোই আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজাকারদের ছানাপোনারা সেই ধর্ম নিয়েই চিৎকার শুরু করেছে। দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়কে পরিনত করেছে ‘হত্যা করে সেই অপরাধকেই জায়েজ করবার হাতিয়ার’ হিসেবে। তারা এতোই দুর্ধর্ষ যে, স্বাধীন দেশের ভেতরে বসে খোলা ময়দানে জনসমক্ষে তারা দেশের নাগরিকদের জবাই করবার হুমকি দেয়।
ঠিক এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্যেই নাস্তিকতা নামের আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, যেখানে ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ অপরাধ সংঘটন করতে পারবে না, কারো জীবন বিপন্ন হবে না কথা বলবার ‘অপরাধে’। জ্ঞাণ ও সংস্কৃতি ও সাহিত্যের সুস্থ চর্চার পরিবেশ সৃষ্টিতে নাস্তিকেরা তাই বাংলার ‘বেয়াদব’ সন্তানের দল।
এরা কারো ক্ষতি করে নাই কোনোদিন, করার উদ্দেশ্যও ছিলো না, হত্যা তো দুরে থাক। শুধুমাত্র মনের কথা বলবার অপরাধে আজ এদের জীবন হুমকির সম্মুখীন, এমন রাষ্ট্র কি সত্যিই আমরা চাই?
এদের রক্ষা করুন।
হু… ভালোকথা বলেছেন। আপনার যুক্তি আর সাইন্টিফিক আইডিয়া দারুন।আমার প্রশ্ন হলো আপনারা জ্বিহাদকে কি ভাবেন। জ্বিহাদ মানে সব বিধর্মীকে মেরে পেলা? আপনারা নাস্তিকরা ইসলামকে রাসুল (সঃ) কে, আল্লাহকে গালী দেন। কোথায় কোন ধর্মীয় ব্লগে কোন ব্লগাররা মোল্লারা হীন্দুকে গালী দিয়েছে? নাস্তিক যার কোন ধর্ম নেই।সে তারমত করে তার ফ্যামিলি ভাই বন্ধু থেকে শুরু করে তার নাস্তিকতা করলে কেও হয়ত কিছু বলত না।তাকে যেই মেরেছে অন্যায় করেছে।তার নামে ধর্ম দ্রুহীতার মামলা করা উচিত ছিলো। নাস্তিকরা আশলেই বেবসায়ী তারা নাম কামানুর জন্য যে কোন ধর্মকে গালী দেয়।নিজেকে মুক্তমনা বলার জন্য সবাইকে সাইন্স শিখায়।অথচ মিত্তুর পর কোন ধর্মের রিতি অনুসারে দাপন বা জালানু হবে তা জানেনা। ধর্মকে প্রয়োজনে নাস্তিকরাই বেশি ব্যাবহার করে। সুতরাং মোল্লা আর নাস্তিক দুটুকেই দেশ থেকে ।পাকি আর নাস্তিকস্থানে পাঠানো দরকার। (N) :guli:
আমি একজন ধর্ম প্রান মুসলমান। মহান আল্লহর উপর আছে আমার অগাধ বিশ্বাস। আমি বিশ্বাস করি আমার প্রতিটি স্বাস-নিশ্বাষ আল্লাহর হুকুমাধিন। আল্লাহর হুকুম ব্যাতিত আমাদের একটি নিশ্বাষ নেবারো উপায় নেই।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরানে এরশাদ করেন, আমিই তোমাদের সৃষটি করিয়াছি। আমিই মৃত্যু দান করিবো। তোমাদের প্রতিটি নিশ্বাষ আমার হুকুমের তামিল কারি।
আল্লাহ তায়ালা আরো এরশাদ করেন, যদি কোন ঈমানদার (আমরা সবাই জনমগতভাবে মুসলমান বিধায় সয়ংক্রিয়ভাবে ঈমানদার ) আমার হুকুম তামিল না করিয়া গুনাহ করিলো তাহার গুনাহ মাফ করিবার এখতিয়ার আমার নিজ হস্তে, কিন্তু কতল কিংবা কাহারো উপর অন্যায় আচরন কারির গুনাহ মাফ করিবার এখতিয়ার এক মাত্র মজলুম অথবা তাহার রক্তের সম্পর্কিয় নিকট জনের।
এখন চিন্তার বিষয় হলো আমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ বা তার রাসুলকে নিয়ে নিয়ে কটুবাক্য বলে বা লিখে তা কি আল্লাহর হুকুমের বাইরে ? যদি হয় তা কিভাবে ?
যদি এটা আল্লাহর হুকুমেই হয় তবে তবে তার বিরুধ্যাচরন করে আমরা কি প্রকারান্তে আল্লাহর হুকুমের বরখেলাপ করি ?
যেখানে আল্লাহ সয়ং বলছেনঃ আমিই সর্ব শক্তির অধিকারি এবং শেষ বিচারের মালিক, সেখানে আমরা তার গুনাহগারকে নিজ হস্তে শাস্তি দিতে যাওয়া কি প্রমান করে ? মহান আল্লাহ তায়ালার সর্বশক্তির উপর আমাদের অবিশ্বাস ? আমরা কি মনে করি যে আললাহ সয়ং যে ওয়াদা করেছেন তা পুরনে তিনি অক্ষম ? যদি না হয় তবে তাদের বিচারের ভার নিজ কাধে তুলে নিয়ে আমরা কি আমাদের ঈমানের দুর্বলতা প্রকাশ করি না ?
অপরদিকে হত্যাকারিকে মাফ করার অধিকার আল্লাহ বলছেন তার নিজেরও নাই। তার মানে হলো হত্যাকারির বিচার সমাজ বা রাষট্রকেই করতে হবে। যদিও হত্যাকারি এবং জুলুমকারি কে ভুক্তভুগি অথবা তার রক্তের সম্প্র্রর্কিয় নিকটজন চাইলে মাফ করতেও পারেন। কিন্তু তাদের বিচারে বাধা দেয়া কি আল্লাহর হুকুমের বরখেলাফ নয় ?
ইসলামি চিন্তাবিদরা একটু ব্যাক্ষা করবেন ?
@রফিক,
মুক্তমনা ওয়েব সাইট কি আপনার কাছে ইসলামী চিন্তাবিদের আখড়া মনে হচ্ছে?
@আরিফুর রহমান, না না, তবে ওনারা আসা যাওয়া করেনতো, ভাবলাম যদি লাইগা যায় ! তাইলে একটূ শিখতাম, এই আর কি !
খুব ভাল লিখেছেন।।
যদিও আপনাকে অনেক সময় আমার মনে হয়েছিল, কুটিল চরিত্রের।।
মানুষকে বুদ্দিদীপ্ত প্রতিভায় নয় খুব কুৎসিত মানসিকতা নিয়ে আক্রমন করেন তাই আপনি আর আমার বন্ধু তালিকায় নেই।।
ভাল লিখেন আরও.. শুভ কামনা…
@মিনহাজ, শাক দিয়ে আর কতো মাছ ঢাকবেন?? ধর্ম কে টেনে এনে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করে লাভ নেই!
আমি কয়েকটি কথা বলে আপনার ভুল ভাঙ্গাতে চাই। আপনি বলেছেন যে আমরাই শুধু অন্য ধর্মের সমালোচনা করতে পারবো আর অন্যরা করলেই আমাদের সমস্যা, আপনি ডাহা মিথ্যা কথা বললেন। খুব কম সংখ্যক মুসলমান আছে যারা অযথা আক্রমণ করে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলে। আর যতটুকুই না সমালোচনা হয় তা করে যুক্তি দিয়ে, মনগড়া, নোংড়া কিছু বলেনা। আর আপনারা যুক্তি দেবাতো দূরের কথা, আল্লাহ ও নবীর বিরুদ্ধে ইচ্ছা মতো যা খুশী তাই বলতে থাকেন। আজেবাজেভাবে কুরআনকে বিকৃত করে গালিগালাজ দেওয়া হয়। মোটেও কুরআন, হাদীস আপনারা গবেষনা করে কথা বলেননা। একটা কিছু অল্প পড়েই বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। আর আপনি বললেন “এটা-ই কি আপনাদের ইসলামি সভ্যতা?” হিন্দু ধর্মে কি সভ্যতা আছে তা জানার জন্য আর বেশী দূর নয়, ভারতের দিকে তাকালেই চলবে যেখানে নিজ ধর্মের ভীতরেই আছে শ্রেনী বিভক্ত, যেখানে দফায় দফায় আক্রমন করা হয় মুসলমানদের ওপর। Riot হয় কোথায় ঘন ঘন!!! বলেন!
আর এই কলামের লেখক আরিফুর রহমান (প্রকৃত নাম নিতাই ভট্টাচার্য) বললেন যে “বাঙালী যখন ধীরে ধীরে বাঙালী মুসলিম এবং সম্প্রতি বাঙালীত্ব ছেড়ে মুসলিম হবার দিকে পা বাড়াচ্ছিলো, তখন এই একদল তারুণ্যে বিদ্রোহ ব্লগিঙের মাধ্যমে প্রতিবাদ শুরু করেছিলো।” সে হিসেবে আমরাও বলতে চাই যে বাঙালীদের ভেতর বাঙালীত্ব ছেড়ে কেমন যেন হিন্দু উগ্রবাদীতার প্রবনতাটা দেখা যাচ্ছে। আপনি আরও বললেন যে ” সকলেই দেশ ও মানবতাকে ভালোবেসে সবুজ ও সোনার এই বাঙলাকে মুক্ত করতে চেয়েছিলো আধ্যাত্মিকতার খোলসে সউদি ও পাকিস্তানী সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশজ সংষ্কৃতিকে রক্ষায়” আপনি কথায় কথায় সউদির প্রসঙ্গ টানছেন কেন? সউদির সাথে আমাদের কি বিরোধ ছিল ১৯৭১ এ? আসলে আপনারা, মানে হিন্দু ও তাদের মুসলমান নামধারী সমর্থকরা, এই দেশ থেকে ইসলামটাকে দূর করতে চান, সেটাই আপনাদের লক্ষ্য। স্বীকার করে ফেলেন কথাটা ঠিক বললাম কিনা!!! আপনারা দফায় দফায় ইসলামী জঙ্গিবাদীর কথা বলেন, কেন বলেননা হিন্দু জঙ্গীবাদীর কথা, কেন বলেননা হিন্দু উগ্রবাদীর কথা??
@মিনহাজ,
কোন দেশে কি হচ্ছে তাতো আমার দেখার দরকার নেই। আমার নিজের দেশে এত সমস্যা, আমি পাশের দেশে দেখতে যাবো কেন? আর শান্তির ধর্ম ইসলাম!!! আজ সারাদেশে যেটা হলো, সেটা কোন দিক থেকে শান্তিপূর্ণ ছিল? বাংলাদেশের এত রাস্তা, কোন মোড়ে ছালা পেতে বসে যেতেন, না করেছিলো কে? আপনাদের নীতি হলো, “সব শালা খায়, আমি খেলেই দোষ?” যেটা দোষ, সেটা দোষই, তা যে শালাই খাক।
আজেকর জামাত টাণ্ডব থেকে বোঝা উচিত কারা রাজাকার :-Y
জামায়াত-শিবিরের বিচার হউক সেটা আমিও চাই তবে নবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধে যদি কোন জারজ সন্তান কথা বলে আর সেটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলেই যদি সেটাকে জামায়াত-শিবিরের সমর্থক হিসেবে ধরে নেওয়া হয় তা কিন্তু ঠিক হবেনা। যুদ্ধপরাধিদের শাস্তি আমরা চাই। তবে নবী(সাঃ) এর বিরুদ্ধে যেই কথা বলুক তারও নির্মম শাস্তি আমরা চাই!!!
@মিনহাজ, ভাই আপনারা মুসলমান রা সব ধর্মের সমালোচনা করতে পারবেন কিন্তু কেউ আপনাদের ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করতে পারবে না,করলে তাকে নির্মম শাস্তি পেতে হবে, কেন?যারা সমালোচনা করে তারা কুরআন হাদিস পড়ে বুঝে তারপর সমালোচনা করে, আর আপনারা না পড়ে না বুঝে-ই সমালোচকদের নির্মম শাস্তি দিতে চান।এটা-ই কি আপনাদের ইসলামি সভ্যতা?
@মিনহাজ, আমি মানলাম যে আপনার খুব খারাপ লাগছে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করাতে। কিন্তু, আল্লার উপর যদি আপনার আস্থা থাকে তাইলে নাস্তিকের নির্মম শাস্তিটা আল্লাকে কেন দিতে দেন না। নিজেদের হাতে শাস্তি দিতে আপনার আল্লাতো বলেন নাই। নাকি আল্লার শাস্তি দেয়ার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস করতে পারেন না!!!
@সাগর, আমি কিন্তু বলি নাই যে আমাদের নিজ হাতে শাস্তি তুলে নিব, আমি বলেছি, আমি মনে প্রাণে অভিশাপ দিচ্ছি আল্লাহ যেন এদের সর্বোচ্চ নির্মম শাস্তি বা গজব যেটা আছে সেটা যেন তাদের ওপর দেন।
@মিনহাজ, সব সময় কিন্তু সেটাই হয়ে আসছে। আল্লার উপর আপনারা আস্থা রাখতে পারেন নি। যেমন টা পারেননি রাজিবের ক্ষেত্রে। ইতিহাস তাই বলে। যুগে যুগে তাই হয়ে আসছে। আর যদি পারেন আপনার কষ্ট ও লাগতো না। আপনার বিশ্বাস করা উচিত ছিল যে, আল্লা নিয়ে যে যাই বলুক তাতে আল্লার কিছু যায় আসে না আর প্রয়োজন হলে আল্লা নিজেই বাবস্থা নিবেন। সেটা কিন্তু আপনার কথায় মনে হয় নাই। বেশির ভাগ আস্তিকের কথাতেই তা মনে হয় না। যাই হোক, আমি বলতে চাই, যদি আল্লাতে বিশ্বাস করেন, তো ১০০% করেন। মাঝামাঝি করার দরকার কি?
@সাগর,
কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে- আল কুরানের সূরা আল-ইমরান (সূরা নং – ৩) এর আয়াত নং-১৬৭ এ উল্লেখ আছে-
” তাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘ আস, তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর অথবা প্রতিরোধ কর।’ তাহারা বলিয়াছিল, ‘ যদি যুদ্ধ জানিতাম, তবে নিশ্চিতভাবে তোমাদের অনুসরন করিতাম।’ সেদিন তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীর নিকটতর ছিল।”
এছাড়াও কুরানের বেশ কয়েক জায়গাতে এরূপ আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা বা কাফেরকে হত্যা করার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, যারা কাফের, তাদেরকে হয় ঈমান আনয়ন করে মুমিন হতে হবে। যদিও আমাদের রাষ্ট্রীও আইন তা সমর্থন করেনা। এক্ষেত্রে শিবিরের লোকদের যদি বলা হয় যে তারা প্রকৃত মুমিনের কাজ করেছে, তাহলে এব্যাপারে আপনার কি মত?
@নাশিদ, আমার মত হচ্ছে, যদি ওদের কার্যকলাপ আপনার চোখে প্রক্রিত মুমিনের কাজ হয়, তো তাদের গিয়ে আপনার চুমা খাওয়া উচিত। আর আপনার ও এই কাজে আগিয়ে আসা উচিত। এবং আপনার এটাও বিশ্বাস করা উচিত যে তার আগের বাংলা ভাই আরও বেশি প্রকৃত মুমিন। তার গলায় আপনার গিয়ে ঝুলে থাকা উচিত। কাফের এর ডেফিনেশান নিয়ে ঝামেলা পাকাতে যাইয়েন না। তাইলে কোরআন বিপদে পরে যাবে। সাথে আপনার আল্লাও নাকশ হয়ে যাবে।
@সাগর, দেখুন সাগর, আমার মন্তব্যটি ছিল জ্ঞান জিজ্ঞাসা মাত্র। কোন ধরনের তর্কের জন্য নয়। মুমিনের ডেফিনেশন কি হবে তা আমি ঠিক করার কেউ নই ভাই। কুরানে এর ডেফিনেশন দেয়া আছে, আর আমার চোখে কোনটা মুমিনের কাজ আর কোনটা নয়, সেটা আমার বিচারে কি হবে, তা দিয়ে অন্য মুসলিম ব্যক্তি প্রভাবিত হবেনা। বরং কোনটি হাদিসে বা কুরানে আছে, সেটাই মুসলিম ব্যক্তি অনুসরন করবে। কুরানের কিছু কিছু আয়াত পড়লে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক যে বাংলাভাই বেশি মুমিন না হলেও শিবিরের ছেলেপেলেরা প্রকৃত মুমিনের কাজ করছে। ইসলাম কায়েম করার জন্য জিহাদ করছে। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হল, ইসলামে যে ধরনের দিকনির্দেশনা দেয়া আছে তা দিয়ে একটা শিবির পয়দা করা সহজ। এখন, কেউ যদি বলে যে, ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করা হচ্ছে, হুজুরেরা ইসলাম ব্যবহার করছে, আমি জানতে চাই, স্বয়ং ইসলাম ই কি এই পথ খুলে রাখেনি? ইসলাম কি হত্যা করতে বলেনি? ইসলাম অনুযায়ী একজন মানুষ খুব সহজেই কাফেরের দলভুক্ত হয়না?
@নাশিদ, আপনি মনে হয় সবই বুঝতে পারছেন। নতুন কিছু বলার দরকার দেখি না।
Good work . Keep writing….. (Y)
বাঙলা ভাষা এবং অক্ষর ছাড়া আর কোন ভাষা এবং অক্ষরে করা মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
ভাই এইদেশের মানুষকে বুঝানোটা অনেক কঠিন, তবে আমার ব্যক্তি গত মত হলো রায়হান আবীর বা অভিজিৎ রায় ওনারা যে ভাবে আগে বিবর্তন দিয়ে বা বিজ্ঞান দিয়ে এবং যুক্তি দিয়ে খুব ঠাণ্ডা মাথায় তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে সেটাই ভালো কাজে দিবে , এতে তারা প্রথমে বুঝতেও পারবেনা কি হচ্ছে :)) এদেরকে প্রথমে আরজ আলী দিলে এরা গালি দিয়ে বই ফেলে দিবে , এরা কারো লেখা না পড়েই তাকে গালি দিতে পারে
(Y)
ভাই আপনার লেখা পড়লাম। ছোটবেলায় শিশুতোষ একটা অনুষ্ঠান দেখতাম “মনের কথা”।
মনের কথা নিয়ে তখন সমস্যা না থাকলেও এখন অনেক সমস্যা। কেউ বলে তুই বেশী বলতাসস কেউ বলে এবার থামেন নইলে গলা কাটমু। কেউ বলে তুমি ভূল তা বলার অপরাধে তুমি আমার গলা কাটবা আমি তোমার তো গলা কাটি নাই। যাই হোক আমি গোরা হুজুরদের বিপক্ষে যেমন তেমনি নাস্তিকতার বিরুদ্ধেও আছি মানুষিকভাবে হাতে ছুরি নিয়ে কারো গলা কাটার ভঙ্গিতে নয়।
আমি বাংলাদেশের নাস্তিক সমাজকে শুধু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে, যুক্তি দিয়ে সমাজের মানুষের কাছে বাহবা পাওয়ার কৌশলী রূপীতে পেয়েছি। তারা বৈজ্ঞানিক কোন গবেষনা মূলক কাজে নিজেদের নিয়োগ করছে না।
এখন দেখা যাচ্ছে হুজুররা ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা করছে আপনারা বিজ্ঞানকে বেছে নিয়েছেন নিজেদের পরিচিতির পরিধি বারানোর জন্য। আপনারা ধর্ম পছন্দ করেন না ভালো কথা আপনারা আপনাদের সমাজে থাকুন। তা না করে আপনারা ভূল আপনাদের ধর্ম ভূল প্রচার শুরু করছেন। আপনারা কী ভাই বিজ্ঞানের প্রোফেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ধর্ম পড়ছে আসলেই বিপদে একদিক দিয়ে নাস্তিকরা টানে আরেকদিয়ে হুজুররা টানে।
বাঙালীত্ব ছেড়ে মানে কী। বাঙালীত্ব কী আছে এখনও। না ধমনীতে আছে না সংস্কৃতিতে আছে। বাঙাল বলতে কী বুজায় অনার্জ সমাজটাকে। অই সমাজের ইতিহাস কী ছিল?
আপনাদের লেখাগুলোতে অনেক সমস্যা থাকে যা আস্তে আস্তে বলব। তবে আপনারা জ্ঞণী হলেও বিবচনার উর্ধেনন ধর্ম ব্যবসায়ীদের মত আপনাদেরও অনেক নীতিগত সমস্যা আছ।
@ইফতেখার মাহমুদ বুলবুল,
আপনাদের যদি আমাদের লেখা পড়ে এতই গাত্রদাহ হয় তবে এসব লেখা না পড়লেই হয়। আমরা কি আপনাগো কামলা নিছি-বাই আহেন বাই আমাগো লেহা পড়েন, আর সুড়সুড়ি নিয়া নিজেই নিজের বিভিন্ন অনুভুতিকে আঘাতপ্রাপ্ত করেন! আর ধর্ম আসলেই বিপদে পড়েছে, অন্তর্জালের এই যুগে তার নিস্তার নাই। আগেতো এর বিরুদ্ধে কিছু কইলেই মাইরালামু, কাইট্টালামু কইরা রব তুলতেন, এখনো তুলছেন কিন্তু সমালোচনাকারীদের নাগাল পাচ্ছেন না। তথ্যের এই প্রবাহই মিথ্গুলোর কবর রচনা করবে একদিন। তা আমাদের নীতিগত সমস্যাগুলো নিয়ে আপনার জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করলে আমাদের মত নাদানেরা ইট্টু জ্ঞানের স্পর্শ পাইতাম।
@সুমন,
আপনাদের লেখা পড়ে গাএদাহ হয় তা আমি কোথায় বলেছি। অসুদ্ধ বাংলা লেখাকে অনেক আত্নিক লাগলেও লেখকের রুচিবোধের আর পারস্পারিক সহবস্হান উভয় বিষয়কে সংকির্ন
করে তোলে।
মুক্তমনা নীতিমালা অনুসারে আমার মুক্তমনায় প্রবেশ অধিকার রয়েছে তবে অভিযিত্ দা যদি নিষেধ করেন তবে আমি মুক্তমনা ত্যাগ করতে পারি।
কেউ যে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বল্লেই ক্ষতিগ্রস্হ হয় ধারণা টা ভূল তার প্রমাণ রাজীব ভাইয়ের হত্যাকান্ড। তার হত্যাকান্ড “থাবা বাবার” জন্য হয়নি। থাবা বাবা বল্গটি ছিল উছিলা এবং মূল এজেন্ডা বাস্তবায়নের নিয়ামক শক্তি, কিন্তু মূল ব্যপারটি ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাচার কৌশল।
আমি লেখার ভিতর অতি কথনে বিশ্বাসী নই। আমি জ্ঞাণ বেচিনা যে আপনাকে জ্ঞাণের স্পর্শ দিবো। আমি উপরের লেখার কতকগুলো সমস্যা দিয়েছি আশা করি বিষয়গুলা গভীর ভাবে দেখলে আপনার জ্ঞান বারুক বা কমুক কিছু কথার জবাব পাবেন।
মনে রাখবেন, চিল নিয়েছে কান বলে দৌড়ানোর আগে একটু কানে হাত দিয়ে দেখেন সেটা যেখানে থাকার সেখানেই আছে।