একজন ব্লগারের মৃত্যু এবং …
গত কয়েকদিন ধরেই একটি খবরে তোলপাড় সাড়া দেশ। তরুণ ব্লগার এবং স্থপতি রাজীব হায়দারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, যিনি শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণআন্দোলনে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলেন। কয়েক মাস আগে এমনি আরেকটি খবর হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েছিল। ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনও অনেকটা একই কায়দায় ছুরিকাহত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশে দাঙ্গা, খুন, রাহাজানি, মারামারি, কাটাকাটি, নির্যাতন এতটাই গা সওয়া হয়ে গেছে যে এই ঘটনাগুলো হয়তো আলাদা করে কারো নজরে পড়ার কথা না। কিন্তু তারপরেও এটা নজরে কেবল পড়েছে তা নয়, বহু মানুষের উষ্মার কারণ ঘটিয়েছে। বিশেষ করে কাদের মোল্লা সহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে যখন দেশ উত্তাল, সে সময় রাজীবের ওপর আঘাতে ঘটনাপ্রবাহে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। আমরা যারা লেখালিখির সাথে জড়িত, তাদের জন্য এ ব্যাপারটা উদ্বেগের – কারণ হল, যতটুকু বোঝা গেছে, ব্লগার রাজীব কিংবা আসিফকে কোন ব্যক্তিগত কারণে আক্রমণ করা হয়নি, এমনকি টাকা পয়সার জন্যও না। ঘটনায় প্রকাশ, আততায়ীরা কারো থেকেই সেলফোন, মানিব্যাগ কিছুই ছিনতাই করেনি। বোঝাই যায়, ছুঁচকো চুরি বা ছিনতাই এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল তার বাক-স্বাধীনতা হরণ এবং সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম বিভাজন তৈরি করার। তারা এ যাত্রা কতটুকু সফল হলেন তা সময়ই বলে দেবে। আপাতঃ দৃষ্টিতে রাজীব হত্যার শোক পরিণত হয়েছে শক্তিতে। আন্দোলন হয়েছে আরও বেগবান, আরও তেজোদীপ্ত। রাজীব হত্যার বদলা তথা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর না দেখে ঘরে ফিরবেন না বলে কফিন ছুঁয়ে ওয়াদা করেছেন তার সহযোদ্ধারা।
‘ধর্মানুভূতির উপকথা’র প্রাসঙ্গিকতা আবারো
রাজীব হত্যার ব্যাপারটা আমাদের অনেককেই ২০০৪ সালে হুমায়ুন আজাদের উপর ধর্মান্ধগোষ্ঠির আক্রমণের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। ব্যাপারটা আমার জন্য আরো বেশি আবেগময়, কারণ সেসময় হুমায়ুন আজাদ আমার প্রতিষ্ঠিত ‘মুক্তমনা’ ফোরামের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এ ব্যাপারটার স্মৃতিচারণা করে আমি কয়েকবছর আগে ব্লগে একটা লেখা লিখেছিলাম ‘স্মৃতিতে হুমায়ুন আজাদ’ শিরোনামে। সে লেখাতে বর্ণনা করেছিলাম আমার সাথে এবং সর্বোপরি মুক্তমনা সাইটের সাথে তাঁর যোগাযোগের প্রেক্ষাপট। লেখায় বলেছিলাম – হুমায়ুন আজাদের সাথে আমার যোগাযোগ হয় আমি দেশের বাইরে এসে মুক্তমনা তৈরি করার পরে। হঠাৎ তিনি একদিন আমাদের ইমেইল করেন তার বিখ্যাত ‘ধর্মানুভূতির উপকথা’ প্রবন্ধটি সংযুক্ত করে। অনুরোধ করেন মুক্তমনায় প্রকাশের জন্য। আমরা হই আনন্দিত এবং সেই সাথে আপ্লুত। আমরা লেখাটিকে পিডিএফ আকারে আমাদের সাইটে রেখে দেই। পরে অধ্যাপক আজাদ এই প্রবন্ধটিকে নিজের বইয়ে সংকলিত করেন যে বইটির শিরোনামও ছিল ‘ধর্মানুভূতির উপকথা’ সে লেখাটিতে অধ্যাপক আজাদ বলেছিলেন, ‘ধর্মানুভূতি নামক জুজুর উত্তেজনা ও ক্ষিপ্ততায় এখন যেন সারা বিশ্ব কাঁপছে’। সেই ক্ষিপ্ততার ফলাফল নিজের জীবন দিয়ে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে প্রমাণ করতে হয়েছে। তার লিখিত পাক সার জমিন উপন্যাসটি ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে দৈনিক ইত্তেফাকের ঈদ সংখ্যায় ছাপা হবার পর থেকে মৌলবাদীরা তার জীবননাশের হুমকি দিচ্ছিলেন। সেটা জানিয়ে তিনি মুক্তমনা ফোরামের মডারেটরদের কাছে ইমেইল করেন ২০০৪ সালের জানুয়ারির ৬ তারিখে। মৌলবাদীদের আস্ফালনের কিছু ছবি ইমেইলে সংযুক্ত করেছিলেন তিনি সেই ইমেইলে। যে কেউ ইন্টারনেটে সার্চ করলেই সেগুলোর হদিস পাবেন।
তারপরের ঘটনা সবারই জানা। ২০০৪ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি বই মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে নির্মমভাবে কোপানো হয়। অনেকেরই হয়তো মনে আছে হুমায়ুন আজাদের উপর আক্রমণের কয়েক সপ্তাহ আগে মওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী সংসদে ব্লাসফেমী আইন বাস্তবায়ন করে হুমায়ুন আজাদকে হত্যার উস্কানি দিয়েছিলেন।
হুমায়ুন আজাদ, কিংবা হাল আমলের আসিফ মহিউদ্দীন কিংবা রাজীব হায়দার – এরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিঃসন্দেহে। রাজাকার আলবদর সহ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অনবরত লিখেছেন। কিন্তু এর রাইরে এদের তিনজনেরই আরেকটি বিষয়ে মিল রয়েছে। এরা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেছেন বা এখনো করছেন। হুমায়ুন আজাদ তো সারা জীবন ধরেই ধর্মীয় রূপকথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, ধর্মান্ধতা এবং কুসংস্কারের বিপরীতে প্রগতিশীলতার জয়গান গেয়েছিলেন। ব্লগার আসিফ এবং প্রয়াত রাজীব – যিনি ‘থাবা বাবা’ নামে বিভিন্ন জায়গায় ব্লগ করতেন (মুক্তমনাতেও তিনি মন্তব্য করেছেন এ নামে), তাদের লেখা থেকেও কিন্তু আমরা বুঝি যে তারা সেই পক্ষেরই। কেন কেবল এদের মতো লোকই আক্রান্ত হয়ে চলেছেন? আমি এ নিয়ে বাংলাদেশনিউজ২৪ পত্রিকায় একটি লেখা লিখেছি আজ – কেন কেবল তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন? শিরোনামে।
বাংলাদেশে মুক্তমনা লেখকদের অরক্ষিত জীবন
বাংলাদেশে মুক্তমনা লেখকদের জীবন হাতে নিয়ে লেখালিখি করতে হয়। লেখালিখি তো অনেকেই করেন, এবং বহু বিষয়েই, কিন্তু আমরা দেখছি ক্রমাগতভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তারাই যারা ধর্মীয় কুসংস্কারকে ক্রিটিকালি দেখছেন, কিংবা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেছেন। বাংলার কৃষক দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্ববরকে ‘সত্যের সন্ধান’ বইটি লেখার কারণে শাসক শ্রেণীর গ্রেফতারী মামলা ও মত প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিলো। স্বাধীন বাংলাদেশেও কম নিগৃহ তাকে পোহাতে হয়নি। কবীর চৌধুরী, আলি আসগর, আহমদ শরীফ দের একসময় মুরতাদ আখ্যা পেতে হয়েছে, তসলিমাকে ফতোয়া দেয়া হয়েছে,তার মাথার দাম ধার্য করা হয়েছে, এমনকি ফতোয়াবাজ আমিনী এও বলেছিলেন – তসলিমা নাসরিনের কোন লেখা আমি পড়িনি, তবে তার ফাঁসি চাই’। তসলিমাকে অতঃপর দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, হুমায়ুন আজাদকে চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে প্রলম্বিত মৃত্যুর দিকে চলে যেতে হয়েছে, আর আজ আসিফ মহিউদ্দীনদের হতে হচ্ছে ছুরিকাহত, আর রাজীবকে তো জবাই করেই মেরে ফেলা হল। অথচ ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস-এর আর্টিকেল-১৯ এ পরিষ্কার বলা আছে –
“Everyone has the right to freedom of opinion and expression; this right includes freedom to hold opinions without interference and to seek, receive and impart information and ideas through any media and regardless of frontiers.”
বাংলাদেশের সংবিধানেও (অনুচ্ছেদ ৩৯ দ্রঃ) কিন্তু ‘প্রজাতন্ত্রে নাগরিকদের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা সুরক্ষিত’ থাকার উল্লেখ আছে সুস্পষ্টভাবেই। অথচ তারপরেও মুক্তচিন্তার লেখকেরা তাদের মতপ্রকাশের কারণে আক্রান্ত হন, নির্যাতিত হন, কিংবা বিপন্ন-বোধ করেন।
অথচ এমনটি হবার কথা ছিল না। এধরণের লেখালিখিতে যারা আক্রান্ত বোধ করেছেন, তাদের বোঝা উচিৎ, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যার সমালোচনা হয় না। ছাত্রদের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে কোন ঐতিহাসিক ভয় পান না এই ভেবে যে, চেঙ্গিস খানের সমালোচনা করা যাবে না, পাছে ‘চেঙ্গিসানুভূতি’ আহত হয়! কেউ ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে ভাবেন না দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের অত্যাচারের কথা কিংবা জাপানী বর্বরতার কথা অথবা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর নৃশংসতার কথা বলা যাবে না। কেউ বলেন না, এতে করে কারো ইতিহাসানুভূতিতে আঘাত লাগছে, মামলা করে দেবে! দেশের পত্রিকায় মাঝে মধ্যেই বিজ্ঞানের খবর বা বিশ্লেষণ ছাপাতে গিয়ে অনেক ভুল তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ পরিবেশন করা হয়, আমরা বলি না আমরা আদালতের শরণাপন্ন হব, আমাদের বিজ্ঞানুভূতি বিপন্ন। একটি ‘বিখ্যাত’ বাংলা পত্রিকা যেটি কিছুদিন আগে প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ধর্মীয় সুড়সুড়ি জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় ছিলেন, সেখানে মিরাজ রহমান নামে এক ‘লেখক’ বিজ্ঞানী জন ডালটন, জেমস্ ওয়াটসন, স্যামুয়েল মোর্স, আলবার্ট আইনস্টাইন, চার্লস ডারউইন সহ বড় বড় বিজ্ঞানীকে ‘চোর’ বানিয়ে দিয়েছেন, কারণ এই সব বিজ্ঞানীরা সবাই নাকি একটি ধর্মগ্রন্থের আয়াত থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের নিজস্ব তত্ত্বগুলো নির্মাণ করে বিজ্ঞানে অবদান রেখেছেন। এ সব লেখা আমাদের হাস্যরসের খোরাক যোগায়, হয় বিনোদনের আদি অকৃত্রিম উৎস। কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে লাইন বাই লাই সমালোচনাও করেন। কিন্তু কখনোই লেখককে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার কথা চিন্তাও করেননা। হুমায়ুন আজাদ কিংবা রাজীব বা এ ধরণের লেখা যদি কারো অপছন্দ হয়, তবে তার উত্তর লেখার মাধ্যমেই দেয়া যেত।
আমার দেশের আস্ফালন:
রাজীবের হত্যাকারীদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে, দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি লেখকদের দিতে হবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও। না কেবল ’১৯ জন ব্লগারের’ মৌখিক সরকারী নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়। যারা জীবন বিপন্ন করে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লিখছেন, প্রগতির চাকাকে সচল রাখছেন, তাদের নিরাপত্তাই জরুরী আগে। আমরা সবাই এখন জানি, রাজীবকে হত্যার চার দিন আগে সোনার বাংলা ব্লগে ‘থাবা বাবা’ তথা রাজীবের নামে উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়া হয়েছিল। এমনকি রাজীব মারা যাবার পরেও ফারাবী সাফিউর রহমান সহ কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘যেই ইমাম থাবা বাবার (রাজীব) জানাজা পড়াবে, সেই ইমামকেও হত্যা করা হবে’। ফারাবীকে যে পুলিশ খুঁজছে তা এমনি এমনি নয়।
ফারাবীর হুমকির পাশাপাশি আজ দেখলাম আরেক নতুন উপসর্গ যোগ হয়েছে। বিএনপি জামাতের মুখপত্র এবং মৌলবাদী গোষ্ঠির ফ্যানাটিক অর্গাজমের ‘সেক্স টয়’ আমার দেশ মুক্তমনা সাইটের নামে নতুন করে বিষেদগার শুরু করেছে। গুনে মানে আর মেধায় আমার দেশের অবস্থান ফারাবির মতোই, যার মানসিক সুস্থতা নিয়ে তার কাছের বন্ধুটিও সন্দিহান। অবশ্য আমার দেশ এটা না করলেই আমি বরং অবাক হতাম। ভাবতাম, মুক্তমনার প্রভাব তাহলে এখনো জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছয়নি। মাহমুদুর রহমানের তুর্কি নাচ দেখে বুঝলাম জায়গা মতোই আঘাত করা হয়েছে। সরকার ও দেশবাসীর প্রতি শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর খোলা চিঠি শিরোনামের লেখাটির ভেতরের দিকে ‘অন্তরালে ইসলাম অবমাননাকারী ‘অনলাইন চক্র’ অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়েছে। আধাপাতার দুই প্যারাগ্রাফের প্রতিটি লাইন মুক্তমনার প্রতি নৈবদ্য আকারে খিস্তি আকারে প্রকাশ করেছেন আমার দেশের প্রতিবেদক। যদিও নির্ভীক প্রতিবেদক নিজের নামটি প্রকাশ করেননি সেই প্রতিবেদনে। আমরা ধরে নিতে পারি, নামহীন এই ‘গরলামৃত’ উপাদেয় খিচুড়ি নীলকন্ঠী মাহমুদুর রহমানেরই কণ্ঠনির্গত।
লেখাটির নীচে ‘জিহাদী জোশে’ আক্রান্ত আমার দেশের ভক্তকূল ব্লগারদের হত্যার ফতোয়া দিচ্ছেন এভাবে –
যে সময় একজন ব্লগারকে জবাই করে হত্যা করেছে জামাত শিবির প্রতিক্রিয়াশীল চক্র, সেখানে মাহামুদুর রহমান আর তার পালিত শিষ্যরা প্রিয় ধর্মকে বাঁচানোর নামে প্রতিক্রিয়াশীলতাকে আঁকড়ে ধরেছেন। শকুন এবং হায়েনাদের সাথে সহবাস শুরু করেছেন। প্রতিবেদনের মৈথুনে নির্গত করে চলেছেন বিষাক্ত বীর্য। হুমকি দিচ্ছেন, ধামকি দিচ্ছেন, প্রেক্ষাপট গড়ে দিচ্ছেন আর কোন অনাগত তরুণ মুক্তমনাকে হত্যার।
যারা এ ধরনের হুমকি দেখেও না দেখার ভান করছেন বা চুপ করে আছেন, তাদের বোঝা প্রয়োজন যে, এখানে আসিফ, শফিক, কামাল, পারভেজ বা অনিরুদ্ধ মুখ্য ব্যাপার নয়। বাক স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় যদি আপনি বিশ্বাসী হন, তবে কেবল লেখালিখির কারণে যদি কাউকে নিগৃহীত, নির্যাতিত এবং ছুরিকাহত হতে হয়, তবে একটা সময় এর বিরুদ্ধে আপনাকে দাঁড়াতে হবে, অন্য সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখেই। হাত পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলে দেখবেন, পরশুদিন হুমায়ুন আজাদ ঘাতকের চাপাতিতে রক্তাক্ত হয়েছে, আজ রাজীব হায়দার খুন হয়েছেন, হয়ত আগামীকাল খড়গ নেমে আসবে আপনার কিংবা আমার গলাতেই।
শিবিরের নতুন ‘হিট লিস্ট’?
শিবির নাকি তাদের পরবর্তী আঘাত হানার জন্য নতুন হিট লিস্ট বানিয়েছে। এরকম একটি হিটলিস্ট বিভিন্ন হাত ঘুরে আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। চিঠিটা আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা নয়। হিটলিস্টের তালিকার একজনকে উদ্দেশ্য করে লেখা। ম্যাসেজে যা বলা হয়েছে তা হবহু তুলে দিলাম (তবে প্রেরকের নাম এবং সোর্সটা তার নিজের নিরাপত্তার কারণে মুছে দিলাম )–
ভাই আপনি আমাকে চিনবেন না । এটা আমার ফেইক আইডি । আমার আসল নাম […]
এই আইডি দিয়ে আমি অনেক জামাত শিবিরের সিক্রেট গ্রুপে আছি । আমি তাদের সাথে গলা মিলাই , তাদের মত ভান করি ।
তারা তাদের হিট লিস্টের প্রথম রাজীব ভাই কে তো হত্যা করেই ফেলেছে । আজ তারা পরবর্তী হিট লিস্ট প্রকাশ করেছে
2. আসিফ মহীউদ্দিন
3. অমি রহমান পিয়াল
4. জাফর ইকবাল (*)
5. শর্মি আমিন
6. ডা ইমরান
7. অভিজিত্ রায় (প্রবাস *)আপাতত এগুলো । জাফর স্যারকে কেন স্টার দিয়ে রেখেছে জানি না । জানার চেষ্টা করব ।
পরবর্তী হত্যা হবে তাদের প্ল্যান অনুসারে সাঈদীর রায়ের দিন । টার্গেট আপনি
আপনাকে আগে ভাগে জানিয়ে দিলাম । অনেক অনেক সতর্ক থাকবেন । তারা অনেক বেপরোয়া হয়ে যাবে রায়ের দিন ।
আর এইসব ব্যাপার কাউকে বলবেন না । আমার সমস্যা হবে । আমি শাহবাগে আছি , থাকব । আপনি ব্যক্তিগত ভাবে নিরাপদে থাকবেন , এক যাওয়া আসা করবেন না , থানার একটি জিডি করে রাখুন ,
আপনার সাথে আর কথা হবে না । জয় বাংলা
জয় আমাদের হবেই
স্ক্রিন শট এখানে :
ব্যক্তিগতভাবে নিজের নামটি হিটলিস্টে দেখে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছি। আমি শাহবাগে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে আন্দোলন করিনি, সেই সৌভাগ্য আমার হয়নি, তারপরেও আমার নামটি তারা তালিকায় স্থান দিয়েছেন, ব্যাপারটা কৌতুহলোদ্দীপক। আমি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নই, দেশে না থাকায় আমার টিকি পর্যন্ত পৌঁছানো তাদের জন্য সহজ ব্যাপার হবে না, কিন্তু শাহবাগের অগনিত ব্লগার যারা শিবিরের টার্গেট হয়ে অরক্ষিত অবস্থায় জীবন যাপন করছেন, মৃত্যুভয়ে ভীত না হয়ে লাগাতার শ্লোগান দিয়ে চলেছেন, আমার চিন্তাটা মূলতঃ তাদের নিয়েই। আমি আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও তাদের নিরাপত্তা দাবী করছি।
পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে
আরো একটা জিনিস মনে হল এ লেখাটি লিখতে গিয়ে। যারা ভাবেন বিনা রক্তে বিজয় অর্জিত হয়ে যাবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ধর্মান্ধতা এবং মৌলবাদ বিষয়ক জিনিস নিয়ে যখন থেকে লেখকেরা লেখা শুরু করেছেন, তারা জেনে গিয়েছেন তারা অনেকটা জীবন হাতে নিয়েই লেখালিখি করছেন। জামাত শিবির, রাজাকারেরা নির্বিষ ঢোরা সাপ না, তা একাত্তরেই আমরা জেনেছিলাম। আশি নব্বইয়ের দশকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেড়ে ওঠার সময়গুলোতে শিবিরের রগ কাটার বিবরণ আমি কম খবরের কাগজে উঠে আসেনি। আমার কাছের বন্ধুবান্ধবেরাই আহত হয়েছে। আদিল মাহমুদ যে কথাটি মুক্তমনা ব্লগে মন্তব্যে বলেছেন, সেটা স্মর্তব্য – স্বাধীনতা-উত্তোর জামাত শিবিরের নৃশংসতার আসল চেহারা বর্তমান নতুন প্রজন্ম তেমন কিছু দেখেনি, আমরা কিছুটা দেখেছি। হাত পায়ের কোন্ কোন্ রগ কাটা গেলে চিরজীবনের মত পঙ্গু করা যায়, গলার কোন জায়গায় কিভাবে কোপ দিলে সহজেই মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া যায় – এমন শিক্ষা এদের কোচিং আকারে দেওয়া হত শিবিরের আস্তানায়। নারায়ে তকবির বলে জ্যান্ত মানুষের কব্জি কেটে সে কাটা কব্জি নিয়ে তারা আনন্দ মিছিল করেছে তারা তালিবানী কায়দায় – এমন অজস্র খবর আশি এবং নব্বইয়ের দশকে পত্র-পত্রিকায় দেখা যেত। এগুলো চোখের সামনে দেখেই আমরা বড় হয়েছি।
রাজীবের মর্মান্তিক খবরে আমি ক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ, উন্মত্ত, কিন্তু বিশ্বাস করুন, এক ফোঁটা বিচলিত নই। জামাত শিবির সহ প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের সময় যে শেষ এ থেকে খুব ভাল করেই আমি বুঝতে পারছি। অতীত সাক্ষী – এরা সব সময়ই মরার আগে শেষ কামড় দিতে চেষ্টা করে। ৭১ এ বিজয় দিবসের দুই দিন আগে কি তারা কেন বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে উঠেনি? কিন্তু পেরেছিল কি তাদের সম্ভাব্য পতন ঠেকাতে? মনে আছে স্বৈরাচারের পতনের ঠিক আগে কি ভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল ডাক্তার মিলনকে? এগুলো আলামত। তাদের অন্তিম সময় সমাগত। ‘পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে’!
আর বিজয় আমাদের অবশ্যাম্ভাবী।
দেশে এই ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনৈতিক সুবিধাভোগী শ্রেনী কিসের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এমন ধ্বংসাত্বক দেশবিরোধী অপশক্তিতে পরিনত হয়েছে ? এর পেছনে কি শুধু বিগত সামরিক শাসন আর ধর্ম মুখোশ ধারীদের ধুর্ততাই দায়ী ? স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মাঝে ক্রম বর্ধমান ফারাক, আর ধর্মের শান্তির আশ্রয়ের আশায় ক্রমে ধর্ম ব্যবাসায়ীদের কবলে আক্রান্ত হয়েছে ধর্ম ভীরু সাধারন জনতা। এই জনতার পরোক্ষ বা অন্ধ সমর্থনপুষ্ট হয়েই এরা আজ এত ঔদ্বত্য দেখাচ্ছে । স্বাধীনতা পরবর্তী সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অস্থিরতাই রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী, ধর্মের লেবাসধারী এসব দল ও মতকে পুষ্ট করেছে । তাহলে এদের চেয়ে এদের বেড়ে ওঠার নিয়ামকগুলোও কি অপরাধী না ? আর তাদের অপরাধের দায়ভারও তো আমাদের নিতে হবে । তারাই আমাদের আজকের এই আন্দোলন প্রতিরোধকে আরো কঠিন করে দিয়ে গেছে । কিন্তু আমরা একবার যখন জেগেছি, তখন এখনও যারা স্বাধীনতা বিরোধী, লাল সবুজের পতাকা চায় না, ৫২, ৭১, এর অবদানকে ধলিস্যাৎ করতে চায়, তাদেরকে আমরা নিশ্চিহ্ন করবই । ঢাকা গিয়ে দুদিন শাহবাগে থেকে এসেছি । প্রয়োজনে আবার যাবো । [img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/guli.gif[/img]
রামগড়ুড়ের ছানা ভাই,মন্তব্য করার সময় মুক্ত মনা তে আন্ডার লাইন ( বোল্ড আর ইটালিকের পাশাপাশি)করার অপশন থাকলে আমার মনে হয় ভাল হত। এইটার অভাব খুব বোধ করি।কারন ইটালিকের চেয়ে আন্ডার লাইনে দিয়ে একটা জিনিস ভাল করে ফুটিয়ে তোলা যায় বলেই আমার মনে হয়।এই অপশনটা চালু করার একটা ব্যাবস্থা করা যায় না?একটু ভেবে দেখবেন ব্যাপারটা প্লিজ।
অনেকের বিরক্তির কারণ হলেও নাস্তিক-আস্তিকদের খিস্তিখেউড় আক্রমনাত্মক বিতর্ক কুতর্ক কটুক্তির প্রয়োজন আছে। এগুলো থেকে বিদ্বেষ, ঘৃণা, ক্ষোভ প্রকাশের নিত্যনতুন শব্দযোগে সমৃদ্ধ হয়ে চলেছে বাংলা ভাষা। পশু এবং পায়ুমৈথুন সংক্রান্ত বিষয়েও অনেক কিছু শেখা যায় জানা যায়।
বড় স্বস্তির ব্যাপার এই যে মুক্তমনা এ ব্যাপারে কোন অবদান না রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকে। আরো থাকবে আশা করি।
তবে সাফ সাফ একটা কথা বুঝি এখানে আকাশ মালিক ভাই বা অর্ফিউস ভাইসহ অনেকের এইধরণের ইসলামবিদ্বেষি যুদ্ধংদেহী উক্তি/কটুক্তি বা আচরণ গণজাগরণ আন্দোলনের দাবী আদায়ে ভাল কিছু বয়ে আনবে না। প্রজন্ম চত্বর সবার। আস্তিক নাস্তিক, ধনী-গরীব, শ্রমিক-মালিক, ছোট-বড় সবার কিন্তু দলাদলী আর ধর্মবিদ্বেষের কোন স্থান ওখানে নেই। এই মুহুর্তে এটা আমাদের মাথায় থাকলে ভাল হয়।
আর জামায়াত শিবিরকে ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দল বললে খুব বড় ভুল হবে। অন্যান্য ইসলামিক দলগুলো ধর্মান্ধ হলেও জামায়াত শিবিরের চোখকান খুব করে খোলা। জামায়াত শিবির হল ধর্মান্ধতাকে পুঁজি করে পুঁজির বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলা একটা পাকিস্তানী সংগঠন যার প্রধাণ দপ্তর লাহোরে। ওরা ধর্মান্ধতাকে ভক্তি করে পূজো করে; ধর্মকে নয়।
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানীদের বিপক্ষে যুদ্ধ করল তাদের মধ্যে কমবেশি আশিভাগ মুক্তিযোদ্ধাই হয়ত আস্তিক মুসলমান ছিল। আজ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দেশব্যাপি গণজাগরণের সাথে সম্পৃক্ত সকল মানু্ষের কমবেশী সত্তর-আশিভাগই হয়ত আস্তিক মুসলমান। এরা জামায়াত ইসলামির সাথে ইসলামের কোনরকম যোগসূত্র অস্বীকার করে।
রাজীব হত্যা তদন্তাধীন; তাই বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা। তবে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত সেটা কারা এবং কেন করেছে। ওদের একজন রাজীবের দরকার ছিল যে শাহবাগে যায় এবং ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে স্বস্তা কটুক্তি ও অবমাননাকর বক্তব্য দেয়। যে ধরণের কথাবার্তা সহজেই মানুষকে চেগিয়ে তুলতে পারে। এইখানে আজ নাস্তিকতার ধোঁয়া তুলে জামায়াত শিবির যে চাল চালবার চেষ্টা করছে আপনাদের কথাবার্তা সেই পালে শুধু হাওয়া দেয়া ছাড়া এখন আর কিছু করছে বা করবে বলে মনে হয় না।
ধর্মবিদ্বেষ আর ধর্ম সমালোচনার মধ্যে বিস্তর ফারাক। নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকভাবেই ধর্মের সমালোচনা করা যায়। উচিতও তাই।
খবরটা শোনার পরপরই অনলাইনে রাজীবের যেটুকু কমেন্ট বা পোস্ট দেখেছি তাতে ওসব লেখা কোন কারণেই আমার হয়ত পড়া হত না এবং পড়লেও বিরক্ত হতাম। কিন্তু যে কারণে আজ আমাকে পড়তে হল সেই প্রেক্ষাপট সহ্য করা বড় কঠিন। রাজীব হত্যাকারীদের শাস্তিও আমাদেরকেই আদায় করে নিতে হবে।
অভিজিৎদাকে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
আদিল মাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যগুলি খুব ভাল লাগে। বিক্ষিপ্ত মন স্থির হয়ে আসে।
নাস্তিক মানেই মুক্তমনা নয়। আস্তিক মানেই সঙ্কীর্ণমনা নয়। মানুষের মন বোধহয় এত সহজ ইকুয়েশন নয়।
এই কথার ফেরে মাহমুদুর রহমানকে তো কিছু করা যাবে না। নাকি যাবে?
মনে হয় সাংবাদিকতার এথিকস ও দায়বদ্ধতা আছে যেখানে উস্কানিমূলক কিছু প্রকাশ করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। দেশের অনেক জাতীয় দৈনিক কয়েক হাজারও বিক্রি হয় কি না সন্দেহ সেখানে লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার আছে এরকম বাংলাব্লগ আছে একাধিক। এই জন্য আমার মনে হয় আজ ব্লগেও দায়বদ্ধতা ও সচেতনতার পরিচয় দেয়াটাও কম জরুরী নয়।
@আফান্দি,
ভাই আমার মনে হয় যে আপনি আমার আগের মন্তব্যগুলা একটাও পড়েন নাই।পড়লে বুঝতেন যে আমি আপনার ধর্মের বিরুদ্ধাচারন করলেও মোটেও গালিগালাজ দেই না। বরং সব অন্যায়ের দোষ এখানে কিছু লেখক অন্য সব ধর্ম বাদ দিয়ে ইসলামের উপর চাপানোর চয়েসটা করে এটাকে আমি সঠিক মুক্ত মনার পরিচয় বলে মনে করি না এইসব মন্তব্য করেই এইখানে একজন বড়দরের অতি জনপ্রিয় লেখকের কাছে খাঁটি ইমানদার ভাই হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছে। :-Y ।আর এই পেজে আমার আক্রোশ শুধুই ধর্মান্ধদের প্রতি, সাধারন ধর্মপ্রান মুসলিমের প্রতি নয়, আর মুসলিম জাতির ওপরে তো প্রশ্নই আসে না।নিজের সাফাই দিচ্ছি না আমি। শুধুই আপনাকে ব্যখ্যা করলাম।
তবে ভাল লাগছে যে ২ পক্ষের কাছেই কালার হয়ে গেলাম। সেই দুই পক্ষের এক পক্ষ হল নাস্তিক কুলের কিছু মৌলবাদী মৌলানা( নাস্তিক মৌলানা!), ২য় পক্ষ হল আপনার মত ধার্মিক। :))
আর আদিল ভাইয়ের কথা আর কি বলব, উনার মত অসাধারণ লেখক আমি মুক্ত মনায় খুব বেশি দেখি নি।আমি উনার রীতিমত ভক্তে পরিনত হয়েছি, তাঁর নরম ধারার ধর্মীয় সমালোচনা মুলক লেখা দেখে, কারণ আমি বিশ্বাস করি যে জাতিগত বিদ্বেষ বা আক্রমণ, কোনদিনই মুক্ত মনের পরিচয় বহন করে না।
তবে হ্যাঁ মুসলিমদের মধ্যে যারা ধর্মান্ধ, তথা ধর্মীয় রাজনীতি তে বিশ্বাসী তাদের সাথে আমি বরাবরই উচ্চ কন্ঠেই কথা বলব। আর খুনি , ধর্ষক রাজাকারদের ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে ভাল যে ভাষা টা ব্যাবহার করতে পারি তা হল শুওরের বাচ্চা, হারামীর বাচ্চা এইসব। আরো অনেক বেশি অসংস্কৃত গালিই এদের জন্য দরকার, কিন্তু ভদ্র সমাজে তা দেয়া যায় না, কিন্তু ওরা আসলেই ওইগুলাই।
@অর্ফিউস,
পড়ুন,
বরং সব অন্যায়ের দোষ এখানে কিছু লেখক অন্য সব ধর্ম বাদ দিয়ে শুধু মাত্র ইসলামের উপর চাপানোর চেষ্টা করে এটাকে আমি সঠিক মুক্ত মনার পরিচয় বলে মনে করি না
@আফান্দি,
কোনদিন করেছেন? আপনার দু একটা লেখা দেন না দেখি কেমনে এই মহৎ কাজটি করা যায়। সদালাপে সুশীল শিক্ষিতের অভাব নেই, একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন না, অভিজিত, আদিল মাহমুদ, বিপ্লব পালের প্রতি তাদের এতো ক্ষোভ কেন, এরা তো নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিকভাবেই ধর্মের সমালোচনা করেন, কারো পায়ুপথে হাত ঢুকায়ে ধর্মের সমালোচনা করেন না। নিরাপদ দূরত্বে থেকে, আপনাদের এই সুবিধাবাদি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সুন্দর সুন্দর নীতি বাক্য আওড়ানো, সুশীল মানবিকতা মহানুভবতা দেখানো যত সুখের, এর বিপরীতটা যে তত আনন্দের নয় তা ধর্মের সমালোচনাকারী সকলেই জানেন। কেউ কেউ এর মাশুল দিয়েছেন নিজের জীবন দিয়ে, ডাজ নট ম্যাটার হাউ সুশীল কৌলীন রাবিন্দ্রীক শেক্সপিরিয়ান ভাষা ইউ ইউজ।
এনিওয়ে, আমি বা আমরা ইসলামের সমালোচনায়, মন্তব্যে অশ্রাব্য অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে আপনাদের মনে দুঃখ দিয়েছি বলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে একটা কথা না বলে পারছিনা, যারা শুক্রবারে আমার দেশের পতাকা কামড়ালো ছিড়লো, শহিদ মিনার পদদলিত করলো, তারা ব্লগে নাস্তিক্যবাদী কোন লেখা কেউ কোনদিন না লিখলেও এ কাজটা করতো। সুতরাং আপনাদের আল্লাহর দোহাই শাহবাগের কোন ব্যর্থতার দায় নাস্তিক্যবাদী লেখক বা ইসলামের সমালোচকদের ঘাড়ে চাপাবার চেষ্টা করবেন না।
@আকাশ মালিক,
আমার মনে হয় না যে এই নিয়ে ক্ষমা চাইবার দরকার আছে।৯ বছরের শিশু কে বিবাহ কারী কে পেডোফাইল আপনি বলতেই পারেন,শুধু মুহাম্মদ আর ইসলামের দোষ যেন পুরো মুসলিম জাতির উপর না পড়ে, এটাই মনে রাখা জরুরি।
কারন মুসলিমদের সবাই মুহাম্মদের বিধান অনুসরন করে না; যদিও নবীজির কথা মানতে পারছে না তাই পাপ করছে এই অদ্ভুত অপরাধবোধ প্রায় সব মুসলিমের ভিতর কাজ করে। মুসলিম রা যতই লাফ দিক না কেন, এরা জাতি হিসাবে অসহায়, এদের উপর সহানুভুতি থাকা ভাল। এর মাধ্যমেই হয়ত একদিন এরা ধর্মান্ধতা থেকে মুক্ত হতে পারবে, যেমন খ্রিষ্টান রা পেরেছিল অনেক আগেই।
@আকাশ মালিক,
একটা সমস্যা কী জানেন ভাই, আপনারা মন খুলে বলতে পারেন লিখতে পারেন, আমরা তা পারিনা, ইচ্ছে থাকা সত্বেও। দুঃখ এইটাই আশা করি বুঝতে পারছেন।
জলে থেকে কুমিরের সাথে লড়াই কত বিপদজ্জনক
@আকাশ মালিক,
আমার মনে হয় না যুক্তিবোধ সম্পন্ন কেউ শাহবাগের গণআন্দোলন ব্যর্থ হলে নাস্তিক/ইসলামের সমালোচকদের ঘাড়ে তার দায়ভার চাপাবার চেষ্টা করবেন। আমরা জানি যে ব্লগাররা আন্দোলনটির পুরোভাগে, আর তাই জামাতিরা কিছু ব্লগারের ইসলাম বিরোধী লেখাকে জনসম্মুখে এনে এটাকে ইসলাম বিরোধী আন্দোলন হিসাবে দেখানোর চেস্টা করছে। জনগনের দৃস্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য এখন জামাতি আর তাদের সহযোগীদের একটা কিছু ইস্যুর অতি জরুরী প্রয়োজন। থাবা বাবা-সহ আরো কিছু ব্লগারের লেখা এদের একটি ইস্যু তৈরী করার সুযোগ করে দিয়েছে সত্যি, কিন্তু সেজন্য এই ইসলাম বিরোধী/নাস্তিক ব্লগারদের কোনমতেই দায়ী করা চলে না। দায়ী যদি কাউকে করতে হয় তাহলে সেই ধর্মভীরুদেরই করা উচিত যারা এই যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে এখন জামাতিদের প্রচারনায় বিভ্রান্ত হয়ে সরে আসছেন।
@মনজুর মুরশেদ,
ঠিক বলেছেন।আর যারা জামাতের এই অপপ্রচারে সরে আসতে পারে, তারা এখনো দেশপ্রেমের অথবা আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে নি।অবশ্য এর একটা ভাল দিকও আছে, যদি ওখানকার সবাই নাস্তিক হয় ( তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম) তাহলে ধার্মিকদেরও বুঝতে হবে যে বাংলাদেশেও নাস্তিক কম নেই , আর তারা এক হতে জানে। 🙂
@অর্ফিউস,
আসলে আমার মতে এই আন্দোলন সফল; যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী না হলেও সফল। শুধু শাহবাগের জনসমাগম দিয়েই আন্দোলনের সফলতা/ব্যর্থতা বিচার করা ঠিক হবে না। এই আন্দোলন জামাতি/রাজাকারদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে, দেশের মানুষ যে এদের ঘৃণা করে তা পরিস্কারভাবে দেখিয়ে দিয়েছে; আমার তৃপ্তি এখানেই। একদিনেই সবকিছু পাওয়া যায় না। এই আন্দোলন তো মাত্র বীজ বোনার দিন, ভবিষ্যতে এর থেকে আরো বড় কিছু হবে সে আশা এখন আমরা করতেই পারি।
@মনজুর মুরশেদ,
আমার মতেও সফল, তবে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসী হতেই হবে, এটা একজন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী হিসাবে আমি আবার এই দাবী করছি। খুনীদের সর্বোচ্চ সাজাই হওয়া উচিত তাই না? 🙂
ঠিক আমি পুরোপুরি একমত (Y)
আসলে আমি আপাতত রাজাকারদের ফাঁসী আর জামাতের অবসান, এই দুটোই চাচ্ছি। বাকি ধর্মভিত্তিক দলগুলো নিয়ে পরে ধীরে সুস্থে চিন্তা ভাবনা করে এগোনো যেতে পারে। 🙂
@আকাশ মালিক,
আমার কথায় আপনি শেষমেষ এইখানে এসে পৌছালেন!
আকাশ ভাই আমি ধার্মিক নিধার্মিক কারো পক্ষ নিয়ে ওকালতি করছি না। আমি মনে হয় যা বলতে চেয়েছি সেটা খুব স্পষ্ট করেই বলেছি। আমাকে আপনার কাছে ধার্মিক নিধার্মিক সুশীল যাই মনে হোক না কেন, ‘আপনাদের আল্লাহর’ বা ‘আপনাদের নবীজির’ ধরণের কথা বলে আল্লাহ-নবীকে আমার কাঁধে বসিয়ে দেবার কোন প্রয়োজন ছিল না। আর বিশ্বাস করুন আপনি আমার মনে কোন দুঃখবোধ জাগাননি তাই ক্ষমা প্রার্থনারও কোন প্রয়োজন নেই।
আমরা আপরাধীদের শাস্তির দাবীতে আন্দোলন করছি। পুরো বাঙ্গালী জাতি এই অপরাধের ভিকটিম। এখানে অপরাধী আস্তিক না নাস্তিক সেটি অতীব হাস্যকর। কিন্তু জামায়াত সার্থকভাবে আর একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে এই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসবার চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য দুইটা এক গণজাগরণ থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা দুই ইসলামের ঝান্ডা যে তারাই উড়ায় সেটা প্রমাণ করা। তাই আবারও বলছি, এখন জামায়াতের কর্মকান্ডের সাথে ইসলামের সম্পর্ক খোজার প্রচেষ্টা শাহবাগের গণজাগরণকে ঘিরে জামায়াতের কৌশলের পালে শুধু জোর বাতাস লাগাবে। মানুন আর নাই মানুন এতে আপনি অনিচ্ছাকৃতভাবে গণজাগরণের ক্ষতিই করবেন। আমি আমার সমস্ত মানবিকতাবোধ যত্ন করে খাঁটের নিচে রেখে ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছি। জামায়াতে ইসলাম নিষিদ্ধ, ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের দাবিতে ওবস্থান নিয়েছি। আপনারাও জামায়াত শিবির এবং ইসলামকে এক সুতায় মেলাবার চেষ্টাটা অল্প সময়ের জন্য বন্ধ রাখুন। ধর্ম বিষয়ে বিদ্বেষপূর্ণ বা বাজে ভাষা ব্যবহারে বিরত থাকুন। এতে মনে হয় আমরা কিছু হারাব না।
আমি গাধার পিঠে চড়ে ঘুরে ঘুরে বেড়াই। আপনাকে ছোট করার বা জ্ঞান দেবার ধৃষ্টতা বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই। মুক্তমনাতে ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্তে সমৃদ্ধ বেশ কিছু দারুণ পোস্ট আছে যেগুলি আপনার লেখা। এই ধরণের লেখা বা আলোচনা আমার ভাল লাগে সে আমি লিখতে পারি আর না পারি এবং আমি এইধরণের গবেষণা পর্যালোচনাকেই সমর্থন করি।
সদালাপের সুশীল শিক্ষিতদের ক্ষোভের রহস্য সদালাপের সুশীলরাই ভাল বলতে পারবে।
@আফান্দি,
আই এম স্যরি, ভুল বুঝাবুঝির জন্যে। মাঝে মাঝে রাগ হয়, একটা সহজ বিষয় কেন অনেক শিক্ষিত বুদ্ধিমান মানুষও বুঝতে পারেন না যে, এই যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি দাবীটা সকল মানুষের। এখানে সকলের পরিচয় একটাই। একজন লিখেছে, রাজিব আমার ভাই। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই, তুমি আমার ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করো কেন? সে আস্তিক হলেও আমার ভাই, নাস্তিক হলেও আমার ভাই, আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। কুত্তা মগজি কিছু মানুষ এই সাধারন কথাটা বুঝেও না বুঝার ভান করে।
ধর্মীয় ইস্যুটা যে জামাতের মাষ্টার মাইন্ডেড চক্রান্ত, এই সময়ে নিজেকে ধার্মিক প্রমাণ করা যে বোকামী ও জামাতের পাতা ফাঁদে পা দেয়া, এই জিনিসটা অনেকে বুঝতেই চান না।
চারপাশ দেখে শুনে আসলেই বড় বিরক্ত, তাই কটাক্ষ-ব্যঙ্গের ভাষা ব্যবহার করে ফেলি। চেষ্টা করি সংযত হওয়ার, তবু রক্তমাংসের মানুষ তো মাঝে মাঝে পারিনা। আপনাকে ভুল বুঝে থাকলে আমি সত্যি দুঃখিত।
ভিকটিম বিচারপ্রার্থী এবং অপরাধী উভয়ের ক্ষেত্রেই আস্তিক নাস্তিক প্রসংগ অবান্তর।
@আফান্দি,
আপনি সব গুলিয়ে ফেলেছেন।এখানে কিন্তু মিথ্যা কথা কে ছাপানোর পক্ষে কোন দাবী করা হয়নি।আমার দেশ যেটা করেছে সেটা শুধু মিথ্যাই না, রীতিমত নোংরামি।হার্ডকোর পর্ন ওয়েবসাইটের ছবি কেটে এনে আসল ছবির সাথে ফটোশপ দিয়ে জুড়ে দেয়ার জন্য তাকে অসংখ্য মানুষের মানহানীর দায়ে ওই বদমাশটার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করা যেতে পারে।মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর হলুদ সাংবাদিকতা এক জিনিস না, এইটা বুঝার মত বুদ্ধি কি আপনার নেই? নাকি বুঝেও বুঝতে চান না?
সে ক্ষেত্রে ব্লগে অনেকে মুহাম্মদের চামড়া ছিলে নিলেও এইটা কিন্তু সত্যি কথার দ্বারাই নেয়া হয়, তবে হ্যা আপনাদের নবীজির কুকর্ম আর কু শিক্ষার জন্য সমগ্র মুসলিম জাতি কে দায়ী করা যায় না, কারন আসলে মুসলিমরাও ইসলাম ধর্মের প্রতারনার শিকার।প্রতারণা সব ধর্মই করেছে, কিন্তু অন্যরা সেই প্রতারণা থেকে বেরিয়ে আস্তে সক্ষম হয়েছে কিন্তু মুসলিমরা সেটি পারছে না।এখানেই পার্থক্যটা।
@অর্ফিউস,
(Y)
শিবির যদি ব্লগারদের জবাই করতে চায় আর এটা দোষ না হয় তাহলে আমাদেরও উচিৎ শিবির ধইরা জবাই দিয়া দেশ রক্ষা করা।
juddho oporadhider fashi chara aro to onek dabi nischoi ache..segulo kobe suru hobe…kinba ekhoni suru kora uchit na…r ei karonei amar sahabage mon teke na..
পরবর্তীতে বাঙলা ভাষায় এবং বাঙলা অক্ষরে ছাড়া আর অন্য কোন ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
ধর্ম কোন যুক্তি মানেনা। হত্যার মাধ্যমেই সমস্ত যুক্তির পরিসমাপ্তি এখানে।
@হুমায়ূন কবীর,
বুঝতে পারলাম। সঠিক কথা। ধন্যবাদ।
(Y)
ছোট মানুষ, বেশি কিছু বলতে পারলাম না। থাবা বাবার জন্য :candle:
মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রায়ই সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করা হয়,এখানেও করা হয়েছে, তবে যে কথাটি বলা হয়না তা হল এই স্বাধীনতা অবারিত বা শর্তহীন নয়। আমাদের দণ্ড বিধির ২৯৮ ধারা অনুযায়ী কারও ধর্মকে কটাক্ষ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
সারা বিশ্বেই ধর্ম এবং রাজনীতি দুটো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, এবং যে দেশ জ্ঞান, বিজ্ঞান শিল্প সংস্কুতিতে যত পশ্চাদপদ সে সব দেশে এ বিষয গুলোর স্পর্শকারতারতা তত বেশি। সে কারণেই এসব বিষয় নিয়ে যখন মন্তব্য করা হয় তখন তা সতর্কভাবে করা উচিত।
সারা বিশ্বের শতশত কোটি মানুষ যা বিশ্বাস করে বা মেনে চলে তা ভ্রান্ত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সময় অবশ্যই তা শালীন ভাবে এবং যুক্তি সহকারে বলা উচিত এটা একটি সাধারণ শিষ্টাচারেরও অংশ।
একদল লোকের কাছে মোহাম্মদ হলেন মাহাপূরুষ আবার আরেক দলের কাছে তিনি শুধু ভণ্ড, প্রতারক, রক্ত পিপাসু এক নীচ প্রকৃতির মানুষ। একদল যেমন তার কোন দোষ খুঁজে পান না আরেক দল পান না তার কোন গুন দেখতে। আসলে উভয় দলই ভ্রান্তির মধ্যে বাস করেন। আমার দৃষ্টিতে তিনি একজন অসম্ভব সফল মানুষ তবে তার দোষ, গুণ সবই ছিল।যারা তার কোন দোষ খুঁজে পান না তাদের মাঝে যে ভ্রান্তি আছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু যারা তার কোন গুণ খুঁজে পান না তারা কি নিজেদের কখনও একথা জিজ্ঞাসা করেন না যে একজন মাঠের রাখাল শুধু তাঁর কপটতা, শঠতা, চরিত্রহীনাতা আর রক্ত পিপাসা দিয়ে কি করে বিশাল এক সম্রাজ্যের মালিক হনেন? কেনই বা আজ দেড় হাজার বছর পরও শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ভাল, মন্দ মানুষ মিলে এখনও শতকোটি লোক তার ভক্ত রইল? এই শতকোটি লোক সবাই ভ্রান্তির মথ্যে আছে আর দু এক কোটি মুক্তমনা তার প্রকৃত চরিত্র চিনে ফেলেছে?
আমি নিজেকে একজন মুক্তমনা ভাবি এ কারণেই অনেক মুক্তমানর এ প্রশ্নের সহজ সরল ইকুয়েশন আমার মনপুতঃ হয়না।
অনেকের ধারণা ধর্ম ভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করলে, তাদের দমন পীড়ন চালালেই মনে হয় মানুষের মন থেকে ধর্মের অন্ধকার দূর হয়ে যাবে।
কিন্ত আমার তা মনে হয় না। আমেরিকার মত মহা পরাক্রমশালী রাষ্ট্র সারা বিশ্ব থেকে জঙ্গিবাদ দূর করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। হয়তো বিষ্ব থেকে জঙ্গিবাদ কিছুটা নির্মূলও হয়েছে, কিন্তু আবাক ভাবে আমি লক্ষ্য করছি সারা বিশ্বে হিজাব পরা মহিলার সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে ইসলামের প্রতি অনুরাগির সংখ্যা।
আমার এক খালাতো ভাই আমেরিকায় এক বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ থেকে গেছেন, সেখানে পিএইচডি করেছেন। বড় হওয়ার পর আমার ধার্মীক খালু কোনদিন তাকে নামাজ পড়াতে পরেন নি, বরং ধর্ম নিয়ে তিনি উপহাস করতেন। কিন্ত ২০১০ সালে যখন তিনি বাংলাদেশে আসলেন দেখলাম তাঁর মুখভর্তি দাড়ি এবং এখন তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী এবং তার এ অবস্থা হয়েছে ৯/১১ এর পর।
আমার কথা হচ্ছে ধর্মের পাঁকে নিমজ্জিত ব্যক্তি কে যদি উদ্ধার করতে হয় তবে তা করতে হবে ধীরে ধীরে, না হলে একটানে তুলতে গেলে হয় তার অর্ধেক ছিঁড়ে পাঁকে থেকে যাবে না হয়তো ্উদ্ধার কারীর হাত ছিড়ে যাবে।
পরিশেষে বলতে চায় যে ধর্মের অন্ধকারে নিমজ্জিত ব্যক্তিকে যদি আলোকিত করতেই হয় তবে তা করতে হবে আমাদের মানবতা, মহানুভবতা, বিজ্ঞতা এবং মায়া ,মমতা দারা। শক্তি প্রয়োগ করে কাজটি করতে গেলে তার ফল কতটুকু সুখকর হবে তা বলা মুষকিল।ধন্যবাদ।
@বিষন্নতা,
অসাধারন! (Y)
@বিষন্নতা,
আপনার সুচিন্তিত মতামত পড়ে ভালো লাগলো। আসলে কে কিভাবে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসবে এটা প্রেডিক্ট করাটা খুব দুরহ ব্যাপার। যেমন কিছু লোক আছেন যারা আদিল ভাই যে ক্যাটাগরিতে ফেলেন অর্থাত মডারেট মুসলিম, আমার মনে হয় এরাই সিংহভাগ, আবার কিছু আছেন খুব কট্টরপন্থি যারা ভবঘুরের ফেলা ক্যাটাগরিতে পড়েন। এখন যে যেমন তাকে তেমন দাওয়াই দিতে হবে। যেমন আমি ব্যাক্তিগতভাবে মডারেট ছিলাম, অভিজিতদা, কাশেম ভাই, আকাশ মালিক ভাই এদের লেখা আমাকে ধাক্কা দিয়েছে, প্রভাবিত করেছে এবং সাহায্য করেছে শিকড় শুদ্ধ ধর্মকে উপড়ে ফেলতে। কাউকে বুঝিয়ে শুনিয়ে কাজ হয় আবার কাউকে লাইনে আনার জন্যে লাগে গদাম। তাই আমার মনে হয়, সব ফ্রন্ট থেকেই ধর্মকে আক্রমন অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু সুশিল পনা করলে বিবর্তনের ধারায় একদিন নাস্তিকদের খুজতে হবে জাদুঘরে, যেমনটা হয়েছিল চার্বাকদের বেলায়। থাবা বাবার লেখা উগ্র(কারো কারো মতে, আমি সেই দলে নই) ছিল বলেই আজ কিন্তু অনেকে সেটা পড়ছে। আমি ব্যাবসা প্রশাসনে কাজ করি, এখানে শক মার্কেটিং নামে এক ধরনের পদ্ধতি আছে যার মুল সুর হল, অডিয়েন্সকে ডিস্টারবিং কিছু সো করতে হবে, সেটা তাহলে তার মনে গেথে যাবে যা পরে তাকে ঐ প্রডাক্ট কিন্তে উদ্বুদ্ধ করবে। PETA নামের এনিম্যাল রাইটস গ্রুপ এটা করে থাকে, ধুমপানের বিরুদ্ধেও এই ধরনের ক্যাম্পেইন চলে। মোদ্দা কথা হল, যার যা আছে তাই নিয়েই যুদ্ধ চলুক-সেটা হতে পারে আদিল মাহমুদ ভাইয়ের সমাজ বিশ্লেশনমুলক লেখা কিংবা অভিজিতদার বিজ্ঞানময় লেখা অথবা ভবঘুরের মারদাংগা লেখা। সকল অন্ধকার দুরিভুত হোক, জয় হোক মুক্তচিন্তার।
@সুমন,
সংখ্যালঘু দলের মরণ পথে স্বাগতম।
(Y) (Y)
@সুমন,
আপনার মন্তব্য পড়েও ভাল লাগলো। এ কথা ঠিক যে কে কিভাবে আলোর পথে আসবে তা বলা কঠিন।আপনি বলেছেন ক্ষেত্র বিশেষে গদাম দেওয়ারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে সারা পৃখবীতে অন্ততঃ ৫০০ কোটি আস্তিক আছে আর নাস্তিকের সংখ্যা মনে হয় ৫-১০ কোটির বেশি হবে না।এই ৫-১০ কোটি লোক কি ৫০০ কোটি লোক কে গদাম দেওয়ার শক্তি অর্জন করেছে? আর লঙ্কায় যাওয়ার আগেই যদি রাবণ হয়ে যায় তবে লঙ্কায় গেলে কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়।
তাছাড়া আমাদের উদ্দশ্যটা কি সেটাও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।আমরা কি মানুষ কে মুক্তমণা করতে চাচ্ছি না নাস্তিক করতে চাচ্ছি।কারণ মুক্তমনা হতে হলে নাস্তিক (Atheist)হতেই হবে আমার তা মনে হয় না। আমার কাছে একজন ধার্মিক আর একজন কট্টর নাস্তিককে প্রায় একই ক্যাটাগরির মনে হয়।যুক্তির কারণে বলা যায় আল্লাহ, ঈশ্বর বা ভগবান নাই কিন্তু কোন সৃষ্টিকর্তাই নাই প্রমাণ ছাড়া এ কথা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করাটা কতখানি যু্ক্তিযুক্ত? সৃষ্টিকর্তা আছেন বা নাই তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যখা নাই।তবে আমার বক্তব্য হচ্ছে সৃষ্টি রহস্য সংক্রান্ত জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়ে গেছে, সৃষ্টিকর্তা আছেন বা নাই দুটোই অপ্রমাণীত এ অবস্থায় যিনি দৃঢ় ভাবে বলবেন সৃষ্টিকর্তা আছেন তিনি যেমন মুক্তমনা নন তেমনি যিনি দৃঢ়ভাবে বলবেন নাই তিনিও মুক্তমনা নন।
তাছাড়া নাস্তিকতা একটি পরিপূর্ণ দর্শন বা জীবন ব্যবস্থা না যে এর উপরি ভিত্তি করে একটা সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে। সে কারণেই অনেক নাস্তিককে বিবাহর ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে বা মৃত্যুর পর আস্তিকের নিয়ম কানুন পালন করতে হয়।মুসলমান ঘরে জন্ম গ্রহনকারী একজন নাস্তিকের মৃত্যুর পর জানাজা পড়ানো নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। তখন আস্তিক, নাস্তিক সবাই তার জানাজা পড়ানোর ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে উঠেন। অথচ একজন নাস্তিকের জানাজা পড়ান কোন হুজুরের জন্য যেমন অবমাননাকর, তেমনি অবমাননাকর মৃত নাস্তিকের জন্যও।
সে কারণেই কোন ব্যক্তিকে ধর্ম থেকে বের করে এনে তাকে তার ধর্মের চেয়ে উন্নত মূল্যবোধ বা জীবন ব্যবস্থা যদি না দেওয়া যায় তবে সে মানুষটিকে বরং বিশৃংখ্ঙল করে দেওয়া হয়।
আসলে আমরা কি মহানুভব, মুক্তমনা মানুষ তৈরী করতে চাই না শুধু নাস্তিকের দল ভারী করতে চাই, কোন কাজ করার আগে আমাদের সে উদ্দেশ্য ঠিক করে নেওয়া উচিৎ।ধন্যবাদ।
@বিষন্নতা,
– আপনার এবং সুমনের আলোচনা বেশ ভাল লাগল।
মুক্তমনা হবার সাথে আস্তিক/নাস্তিকের তেমন সংযোগ নেই। নাস্তিক মানেই মুক্তমনের মানুষ এমন কোন কথা নেই। আমি নিজে কে আস্তিক কে নাস্তিক এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না, এসব ফালতু তর্কে তেমন সময়ও নষ্ট করি না। তবে এখানে শুধু বলতে হয় যে যুক্তিবিদ্যা মতে পজিটিভ দাবী করার স্বপক্ষে প্রমান দিতে হয়, নেগেটিভের স্বপক্ষে নয়। তাই কেউ ইশ্বর আছে বললে প্রমানের মূল দায় তার, যে নেই বলে তার নয়। নেই ওয়ালাদের প্রমান দেবার বাধ্যবাধকতা থাকলে ঈশ্বরের সাথে সাথে নানান দেশ/ধর্মের দেবদেবী ভূত প্রেত সব কিছুরই অস্তিত্ব থাকা সম্ভব মেনে নিতে হবে। কারন ঈশ্বর নেই এটা যেন প্রমান করা যায় না তেমনি বাকি সব ভূত দেবদেবীও নেই প্রমান করা যায় না। ঈশ্বর আছে নেই এই বিতর্কে তাই আছের দলের লোকের মূল দায়, সেটা যেহেতু বিজ্ঞানগ্রাহ্য ভাবে প্রমানের উপায়ের নেই তাই তাদেরই দায় বেশী কথা বেশী না বাড়ানো।
– সংখ্যা দিয়ে গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় সরকার নির্বাচন করা যায় তবে সেটার হিসেব করে কে সঠিক কে বেঠিক সেটা কিন্তু বলা যায় না। আর সব যুগেই জ্ঞান বিদ্যা বুদ্ধিতে যারা এগিয়ে থেকে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায় তাদের সংখ্যা থাকে মূল জনসমষ্টির অতি নগন্য অংশ (এটার মানে এই না যে নাস্তিকরাই কেবল সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলে)।
এখানে রেষারেষি গদাম দেওয়াদেওয়ি এমনকি আস্তিক নাস্তিক কে কোন ধর্মের ধার্মিক এসব বাদ দিয়ে উচিত কে সভ্যতাকে কি দিতে পারে এবং দিচ্ছে সেটার হিসেব করা। নিরপেক্ষভাবে সেটা করতে পারার জন্য দরকার নিজের নিজের ব্যাক্তিগত ঈশ্বরবিশ্বাস/ ধর্মবিশ্বাস এসবকে সমষ্টিগত জীবনে না টানা কিংবা প্রভাব বিস্তার করতে না দেওয়া। ধর্মীয় বিধিবিধানের বইতে যাইই লেখা থাক আপনি অফিস আদালতে কর্মক্ষেত্রে গেলে ধর্মের কোনই গুরুত্ব নেই। ধর্ম টেনে বা পূর্নভাবে মেনে এসব যায়গায় ফলাতে গেলেই পদে পদে গোলমাল বাধবে। এসব ধর্মবিশ্বাস ব্যাক্তিগত গন্ডি পেরিয়ে সমষ্টিগত জীবনে আসলেই শুরু হয় যত গোলমাল।
– নাস্তিকতা আসলেই কোন দর্শন তো নয়ই, জীবন বিধান হবার কোন প্রশ্নই আসে না। নাস্তিককে বিবাহ, উত্তরাধিকার, কিংবা মৃত্যুর পর যেসব আস্তিকিয় বিধান পালন করতে হয় সেসব না করলে জীবন অচল এমন ধারনা খুবই ভুল। আমাদের দেশের সামাজিক পরিবেশের কারনে অনেককে চাপে পড়ে করতে হয়। একজন লোকে মারা গেলে তার জানাযা পড়া হল কিনা সেটা কি তার দায় নাকি সে মরার পর কাঁদাকাটি করে জানাযা পড়াও বলে? সে নাস্তিক হলেও তার আত্মীয় স্বজনকে সামাজিক চাপের কারনে সেটা করতে হয়, নইলে লোকে মন্দ বলবে, হয়ত নিজেরাও কোন ধর্মের অনুসারী তাই জানাযা জাতীয় লোককৃত্য করে। পশ্চীমা দেশে এ জাতীয় সামাজিক চাপ অনেক কম বলে সেখানে নাস্তিকের মৃত্যুর পর এত ড্রামা করার প্রয়োজন হয় না।
আপনি নিজে শুধু নাস্তিক হওয়া দূরের কথা, শুধু প্রকাশ্যে ঘোষনা দিন যে আমি খৃষ্টান হয়ে গেছি, আপনার আশেপাশের লোকজন, এমনকি বাড়ির লোকের থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া আশা করবেন? আর হিন্দু হয়ে গেছেন এমন ঘোষনা দিলে সম্ভবত মজা আরো ভাল দেখবেন।
বিবাহের জন্য সিভিল কোর্টে বিকল্প ব্যাবস্থা আছে। ধর্মীয় বিধান বাদে বিবাহ খুবই সম্ভব। বহু দেশেই ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত উত্তরাধিকার আইন আছে যেগুলি ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইনের চেয়ে অনেক ফেয়ার। প্রাচীনপন্থী ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইনের মজা আমি নিজে অকালে পিতৃহারা হয়ে কিছুটা টের পেয়েছি, কোন ঘৃনিত সেক্যুলার সমাজে আমাকে সেই যন্ত্রনা পোহাতে হত না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার আলোচনাও অত্যন্ত ভাল লেগেছে তবে মনে হয় এখানে সামান্য ভুর বোঝাবুঝি হয়েছে। সংখ্যা দিয়ে সঠিকতা বা গুণগত মান নির্ণয় করা যায় না এ কথা সত্য। আমি এখানে সংখ্যা দিয়ে শুধু সঠিকতার দিকে ইঙ্গিত করিনি বরং তাদের ক্ষমতার কথাও বুঝাতে চেয়েছি। যদিও শুধু সর্খ্যা দিয়ে ক্ষমতা বৃঝানো যায়না এটাও সত্য কিন্তু সংখ্যার বিচারে তারা যেমন বেশি তেমনি বেশিরভাগ শক্তিশালী পদেও তারা অবস্থান করছে, কাজেই নাস্তিকদের চেয়ে তাদের গদাম দেওয়ার ক্ষমতা এবং মানসিকতা যে বেশী সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।
আরেকটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন আমি ঈশ্বর এর কথা বলিনি আমি বলেছি সুষ্টিকর্তার কথা । ঈশ্বর আর সৃষ্টিকর্তার মধ্যে পার্থক্য আছে, ঈম্বর হচ্ছেন সত্ত্বা, মানুষের কাছে যার চাওয়া পাওয়া আছে কিন্তু স্রষ্টা(যদি থাকেন) হলেন শক্তি। যুক্তিবিদ্যায় কোন কিছু আছে বললে তা প্রমান করতে হয় কিন্তু কোন কিছু নাই বললে তার প্রমাণ করার দরকার হয় না এটা সত্য।কিন্তু সৃষ্টি কর্তার ক্ষেত্রে মনে হয় বিষয়টি অতটা সহজ ইকুয়েশন নয়। কারণ আমার জানা মতে সৃষ্টির কারণ হিসাবে স্রষ্টার অস্তিত্ব চিন্তা করা হয়। সহজ কখায় বিষয়টি যদি এতটা সহজ হতো তবো যুক্তি বিদ্যার কোন অধ্যাপক আর স্রষ্টা থাকার পক্ষে যু্ক্তি দিতেন না।
জানাজা, বিবাহ, উত্তর অধিকারের কথা আমি এ কারণে টানিনি যে ধর্মীয় আইনে এ গুলো খুব উত্তম বরং এ কারণে বলেছি যে প্রতিটি মানুষের জীবনে এ বিষযক আইন গুলো অপরিহার্য় এবং এ গুলো পরিচালিত হয় প্রতিটি ব্যক্তির ধর্মীয় আইন দারা। নাস্তিকতায় এর কোন নিয়ম নাই দেখে এসব ক্ষেত্রে নাস্তিকরা বিভ্রান্তিতে ভুগেন।
ধর্মীয় আইনের বাইরে বিবাহ বাংলাদেশে আইন আছে এ কথা সত্য। কিন্তু এ আইনের প্রয়োগ সাধারণতঃ বর, কনে দুই ধর্মের হলে করা হয় । বাংলাদেশে কোন নাস্তিক (জন্মগত ভাবে বর, কনে একই ধর্মের হলে) এ আইনে বিয়ে করেছেন বলে আমি জানিনা।
মৃত্যুর পর একজন নাস্তিকের হয়তো জানাজার প্রয়োজন নাই কিন্তু মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজন তো আছে।সেটা কোন নিয়মে হবে?অবশ্য কিছু নাস্তিক মৃত্যুর পূর্বে তার দেহ মেডিকেল কলেজে দান করে গেছেন যা একটি ভাল ঊদাহরণ, কিন্তু তার সংখ্য হাতে গোনা কয়েকটি, যা দেশের নাস্তিকের সংখ্যর তুলনায়ও খুবই নগন্য।
উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে আপনি যে কথা বলেছেন তা দুঃখজনক।ধৃনীয় উত্তরাধিকার আইন খুব ভাল কিছু আমি তা বলিনি। কিন্তু ধর্মীয় আইনে বাহিরে সম্পত্তি বিলি বন্টনের কোন ব্যস্থা না খাকায় নাস্তিকের সম্পত্তি কিভাবে বন্টিত হবে? মৃত্যুর পর তো নাস্তিকের আত্মীয় সজনের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি লেগে যাবে।
এ সব সমস্যার সমাধানে যে আইনে করা সম্ভব না তাও নয়। কিন্তু যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত নাস্তিকদের জীবন বিশৃঙ্খলই থাকবে, বিশেষ করে অশিক্ষিত, জ্ঞানহীন হলে তো কথায় নেই।
সে কারষেই আমি সব সময় বলি মানুষকে আলোকিত না করে, মূল্যবোধ উন্নত না করে নাস্তিকতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করাটা বিপদজনক।
@বিষন্নতা,
মুক্তমনায় আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আলোচনা সবপক্ষকেই ঋদ্ধ করে। আদিল আপনার বেশ কিছু পয়েন্টের চমৎকার উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু আপনি তার প্রত্যুত্তরে যে কথাগুলো বলেছেন, তার
কিছু বক্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে যে আপনি আধুনিক জীবন যাত্রা এবং আইন কানুন সম্বন্ধে খুব স্পষ্ট ধারনা রাখেন না। এই ব্যাপারটা একটু পরিস্কার করি। এই যেমন আপনি বলেছেন –
আপনি জানেননা, তার মানে যে এটা হচ্ছে না বা হবে না, কিংবা নেই – তাতো নয়। আমার কথা বলতে পারি। আমি নিজেই বিয়ে করেছি কোন ধর্মীয় আইনের বা নিয়মের মাধ্যমে নয়, বরং সিভিল ম্যারেজের আওতায়, যেটা আদিল উল্লেখ করেছেন। দেশেও ধর্মীয় আইন কানুনের বাইরে বিয়ে করার বিধান আছে। অনেক মুক্তমনাই করেছেন, এবং এ ধরনের পোস্ট আমাদের আর্কাইভে খুঁজলেই আপনি পাবেন। আসলে ধর্ম ব্যপারটাকে এতোটাই বিস্তৃত করে ভাবা হয় যে, এর বাইরে যে অপশন আছে, সেটাই অনেকে জানেন না জানতে চাননা।
মেডিকেলে দেহ দান করা নিয়ে আমার নিজেরই একটা লেখা আছে। দেখতে পারেন এখানে। কতজন মানুষ সেটা করছে সেটা বড় কথা নয়, এ ধরনের স্বেচ্ছাপ্রনোদিত মহতী কাজের দুয়ার যে খোলা আছে সেটাই জানানো প্রয়োজন মনে করেছি আমি ।
মনে রাখবেন, মানুষ নিজেদের অধিকারের প্রয়োজনেই আইন বদলায়, সংখ্যা দিয়ে কিংবা স্ট্যাটাস কো দিয়ে বিচার করে নয়। একটা সময় সাড়া বিশ্বে নারীদের ভোটাধিকার ছিল না, একজন কৃষ্ণবর্ণ ব্যক্তি একজন শ্বেতকায়া ব্যক্তির সাথে এক জায়গায় বসতে বা এক বাহনে চলতে পারত না। কিন্তু সেই স্ট্যাটাস কো ছিল বলে সেটা বজায় রাখতে হবে সেই ধারণা থেকে কেউ বসে থাকেনি। হ্যা, দেশে বহু নাস্তিকই ধার্মিকদের ভয়ে নিজের পছন্দ মত জীবন চালাতে পারেন না; শিক্ষা, বিয়ে, জানাজা সবকিছুতেই ধর্ম ব্যাপারটা রবাহূতের মত আবির্ভূত হয়। কিন্তু সেটা হয় বলেই সেটার পক্ষে ওকালতি করতে হবে, তার কোন কারণ নেই।
তারপর ধরুন আপনি বলেছেন –
কেন নয়? খুব সহজ একটা যুক্তি দেই। যে সৃষ্টিকর্তা এই জটিল মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন, তার নিজেকে মহাবিশ্বের চেয়েও জটিল কিছু হতে হবে। তিনি কিভাবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া হলেন? বিনা প্রমাণে বিনা সৃষ্টিতে কোন এক সত্ত্বাকে মেনে নিলে (যিনি এই মহাবিশ্ব বানিয়েছেন বলে ধরে নিয়েছেন), একই যুক্তিতে ফ্লাইং স্প্যাগেটি মন্সটার, হাম্পটি ডাম্পটি, হাঁসজারু, চিল্লানোসোরাস সবকিছুকেই বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নিতে হয়। কি করে জানবো, একজন ফ্লাইং স্প্যেগেটি মন্সটার এই মহাবিশ্ব বানাননি? কোন প্রমাণ আছে, না বানানোর?
আসলে আধুনিক বিজ্ঞানের বইগুলো পড়লে দেখা যায় – যে অন্তিম রহস্যগুলোর ব্যাপারে ঈশ্বরকে সাক্ষীগোপাল হিসেবে হাজির করা হয়, তার অনেকগুলোই এখন বিজ্ঞান খুব ভালভাবে দিতে পারে। একটা সময় পদার্থের উৎপত্তি, প্রাণ এবং প্রজাতির উৎপত্তি সহ অনেক কিছুরই উত্তর আমরা জানতাম না। এখন অ্যালেন গুথ, স্টিফেন হকিং, ওয়েনবার্গ, ডারউইন, ফ্রান্সিস ক্রিক প্রমুখ বিজ্ঞানীদের কল্যাণে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর কিন্তু আমাদের জানা। হ্যা – আদম হাওয়া, গন্দম ফল শয়তান কিংবা ছয় দিনে বিশ্ব সৃষ্টির রূপকথার নানা কাহিনির চেয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলো অনেক শক্তিশালী। যে রহস্যগুলো এ যুগে থেকে যাবে, পরবর্তী যুগের বিজ্ঞানীরা সমাধান করবেন। এভাবেই সভ্যতা এগোয়।
উল্টোভাবে আমিও বলতে পারি, ঈশ্বর ব্যাপারটা যদি প্রমাণিত বিষয় হত, যাকে ছাড়া মহাবিশ্বের অস্তিত্ব, প্রাণের অস্তিত্ব প্রভৃতি ব্যাখ্যা করা যেত না, তাহলে যে কোন বিজ্ঞানের বইয়ে এ ব্যাপারটিকে ‘প্রমাণিত’ বিষয় হিসেবে মেনে নেয়া হত। কোন বিজ্ঞানী পাওয়া যেত না যিনি অবিশ্বাসী। বরং আমরা দেখি ব্যাপারটা উলটো। দেখুন নেচারের মত জার্নালেই বলা হয়েছে – Leading scientists still reject God (Nature, Vol. 394, No. 6691, p. 313 (1998)) ১৯৯৮ সালে নেচার পত্রিকার এই প্রবন্ধে এডওয়ার্ড লারসন ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস সদস্যের উপর করা এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেন; তাতে দেখা যায়, বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মাত্র সাত ভাগ ব্যক্তি-ঈশ্বরে বিশ্বাসী, বাকী ৯৩ ভাগ হয় অবিশ্বাসী নয়ত অজ্ঞেয়বাদী। আরো দেখুন, বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের সংখ্যা ১৯৩৩ সালে ছিল ৩৩ ভাগ ১৯৯৮ সালে সেটা কমে ৭ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন জরিপ চালালে এতা আরো কম পাওয়া যাবে। এই ট্রেন্ডটা কি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়? আপনার কথা জানিনা, বিজ্ঞানের জয়যাত্রা অপবিজ্ঞানকে যে হটিয়ে দিচ্ছে ক্রমশঃ – তার ছোট নমুনা হিসেবে অনেকে নেন এঙ্কে।
সবাই নাস্তিক হয়ে যাবেন – সেই বিশ্বাস থেকে আন্দোলন করেন না মুক্তমনারা। তবে যারা নাস্তিক, তাদের অধিকারটা যেন ধার্মিকদের পায়ের নীচে চাপা পড়ে না যায়, সেই ব্যাপারেই তারা সংবেদনশীল। যে কোন সংখ্যালঘু আন্দোলনের দিকেই তাকান । যখন আমেরিকায় কৃষ্ণবর্ণের লোকেরা তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিল, তারা বলেনি সবাইকেই কালো হয়ে যেতে হবে, কিংবা নারীরা যখন তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেন, তারা কিন্তু বলেন না সব পুরুষদের নারী হয়ে যেতে হবে। সমকামীরা তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করার মানে কিন্তু এই নয় যে তারা সবাইকে সমকামী বানানোর জন্য আন্দোলন করেন। তারা করেন তাদের অধিকারের জন্য। নাস্তিকদের ক্ষেত্রেই বা তা হবে না কেন? তাদেরকে কথা বলতে দিন, তাহলেই তো হয়।
ওয়েল, যে মূল্যবোধ নারীকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করে, অবিশ্বাসী দেখলেই গর্দানে কোপ লাগাতে বলে, বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করে, শূদ্র বা নীচু জাতিদের অপদস্থ করে, তাদের ছোঁয়া লাগলে চুল কেটে, পশ্চাৎদেশে ছাকা দিয়ে ছেড়ে দিতে বলে, বিধবা নাড়িদের পুড়িয়ে মারতে নির্দেশ দেয়, ‘জেনা’র কারনে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে বলে – সেই সব সনাতন মূল্যবোধের চেয়ে আমি বলব, নাস্তিকতার মূল্যবোধ খারাপ কিছু নয়। অধিকাংশ নাস্তিকই আসলে মানবতাবাদী। অধিকাংশ মুক্তমনা ধর্মবিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ধর্মের মধ্যে বিরাজমান নিষ্ঠুরতা আর অমানবিকতা উপলব্ধি করেই। মানবতাবাদকেই তারা প্রাধান্য দেন, কোন গায়েবী মূল্যবোধ নয়। মূল্যবোধ জিনিসটা আমরা জৈববিবর্তনিক পথেই উদ্ভুত বলে মনে করি, ধর্ম থেকে নয়। চুরি-ডাকাতি-খুন-ধর্ষণের মত সামাজিক অপরাধকে নাস্তিকেরাও আপনার মতোই অপরাধ বলেই গণ্য করেন। আপনি চোখ মেলে চারদিকে তাকালেই দেখবেন, একজন নাস্তিকও আপনার মতই বন্ধুবৎসল, স্নেহময় পিতা, এবং তারা আপনারই মতো সামাজিক এবং পারিবারিক দায়িত্ব সম্বন্ধে সজাগ।
সামাজিক গবেষণায় দেখা গেছে, কোন বিশেষ ধর্মের আনুগত্যের উপর মানুষের নৈতিক চরিত্র-গঠন নির্ভর করে না, নির্ভর করে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট আর সমাজ-সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপর। ভারত সহ বহু দেশের জেলখানায় দাগী আসামীদের মধ্যে একটি জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, আসামীদের শতকরা ৯০ থেকে ১০০ জনই ঈশ্বর এবং কোন না কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে বিশ্বাসী। আজ বাংলাদেশে জরিপ চালালেও একই ধরনের ফলাফল পাওয়া যাবে। কাজেই ধর্ম কখনোই মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার মনোপলি ব্যাবসা দাবী করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আমার অবিশ্বাসের দর্শন বইটায় লিখেছি। সেখানে বহু পরিসংখ্যানের উল্লেখ আছে। দেখে নিতে পারেন।
আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
@অভিজিৎ দাদা, একটু সমস্যায় পড়ি তখন যখন কেই বিগ ব্যাং কে চ্যালেঞ্জ করে বলে যে যদি তুমি বল যে আল্লাহ কে কে সৃষ্টি করেছে, সেক্ষেত্রে আমিও ( তারা) প্রশ্ন করতে পারি যে তোমার বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিল। বা বিগ ব্যাং ঘটল কেন।আর এই সম্পর্কে বিশেষ কিছু জ্ঞানের অভাবে হোঁচট খাই।
কিভাবে উত্তর দেব এই সব স্রষ্টা ভক্ত ধর্মান্ধদের, যে বিগ ব্যাং এর আগে কি ছিল।একটু পথ দেখিয়ে দিবেন দয়া করে।এই একটা ব্যাপারই আমাকে কোন বন্ধুদের সাথে আলোচনায় আর এগুতে দিচ্ছে না।
@অর্ফিউস,
ওয়েল এটা নিয়ে আমি আগেও লিখেছি।
আশির দশকে ইনফ্লেশন বা স্ফীতি তত্ত্ব আসার আগে সবাই ভাবতো, মহাবিশ্ব শুরু হয়েছে বিগ ব্যাং দিয়ে। কিন্তু ইনফ্লেশন তত্ত্ব এসে মহাজগতের ছবিটিকে একেবারেই উলটে দিয়েছে। লিন্ডে-গুথ-ভিলেঙ্কিনদের গবেষণা বলছে, বিগ ব্যাং দিয়ে মহাবিশ্বের শুরু নয়, বরং মহাবিশ্বের শুরু হয়েছে ইনফ্লেশশন দিয়ে। অর্থাৎ, বিগব্যাং এবং তারপরে স্ফীতির মাধ্যমে মহাবিশ্ব তৈরি (যা কিছুদিন আগেও সত্যি বলে ভাবা হত) হয়নি, বরং ইনফ্লেশনের ফলশ্রুতিতেই কিন্তু বিগব্যাং হয়েছে, তারপর সৃষ্ট হয়েছে আমাদের মহাবিশ্ব । আঁদ্রে লিন্ডে তার সায়েন্টিফিক আমেরিকানের একটা প্রবন্ধে (Self Reproducing Inflationary Universe, Andrei Linde, Scientific American, 1998 ) ব্যাপারটি পরিষ্কার করেছেন সাধারণ একটি বাক্যে –
“Inflation is not a part of big-bang theory as we thought 15 years ago. On the contrary, the big-bang is the part of inflationary model’
পুরো পেপারটা পড়তে পারেন এখান থেকে-
http://mukto-mona.net/science/physics/Inflation_lself_prod_inde.pdf
কাজেই বিগ ব্যাং এর আগে ছিল ইনফ্লেশন। আর কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্যে দিয়ে আর পরবর্তীতে ইনফ্লেশনের মাধ্যমে তথাকথিত শূন্য থেকে কিভাবে মহাবিশ্বের উৎপত্তি হতে পারে তার আলোচনা আছে লরেন্স ক্রাউসের – ‘A Universe from Nothing: Why There Is Something Rather than Nothing বইয়ে। অথবা দেখতে পারেন, এলেন গুথের ‘The Inflationary Universe’। আমার ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ বইটাতেও এ নিয়ে আলোচনা করেছি। করেছি ব্লগের অনেক লেখাতেই, যেমন এখানে, এখানে কিংবা এখানে।
@অভিজিৎ, অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার লিঙ্ক গুলোর জন্য। আপনার লেখাগুলি দিয়েই শুরু করব এই বিষয়ে পড়াশোনা।ধন্যবাদ । 🙂
@অভিজিৎদা,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ টপিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্যে। আপনার সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ জীবন কামনা করছি।
@সুমন,
একটা কথা আপনাকে আগেই বলব ভাবছিলাম। আপনি এত দিন পর পর এসে হঠাৎ করে মন্তব্য করেন কেন? আপনার লেখার হাত চমৎকার। আমার চেয়েও ভাল লেখেন আপনি। একটু নিয়মিত হওয়া যায় না? 🙂
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ আপনার উত্সাহের জন্যে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি মুক্তমনা তথা আপনাদের কাছে চিরঋণী, আপনাদের এই অলাভজনক প্রচেস্টার কল্যানেই আমার সামনে খুলে গেছে মুক্তচিন্তার অবারিত দুয়ার, পেয়েছি মুক্ত জীবনের স্বাদ। সেজন্যে আমি চাই মুক্তচিন্তার প্রসার, মনে প্রাণে চাই আপনাদের স্বপ্নযাত্রার সংগে থাকতে। কিন্তু আমি এখন প্রফেশনাল কস্ট একাউন্টিং কোর্স করতে দেশের বাইরে অবস্থান করছি। কাজ এবং পড়াশোনার ফাকে সময় বের করা খুব কঠিন। এরপরেও মুক্তমনার কোন লেখা আমি মিস করিনা। পড়াশোনার পাট চুকলে আশা করি আপনাদের এই আন্দোলনে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারবো। আমার সীমাবদ্ধতার জন্যে হ্মমা চেয়ে নিচ্ছি। ভালো থাকবেন, সকল অন্ধকার দুরিভুত হোক, জয়য়য হোক মুক্তচিন্তার।
@অভিজিৎ,
আলোচনা অংশ নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ্। প্রথমেই একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন যে আমার মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট হচ্ছে বাংলাদেশ্, তাই মন্তব্য গুলোকে সেভাবেই বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।
দু একটি ব্লগে আমার ধর্মের বিপক্ষে লেখা আছে। ধর্মের বিভি্ন্ অসঙ্গতি,নিষ্ঠুরতা,কুসংস্খার নিয়ে ব্লগের চেয়ে আমি বাস্তব জীবনে (আত্মীয় ও বন্ধু মহলে) ব্লগের চেয়ে বেশী সোচ্চার । তবে কোন খানেই আমি একপেশে আলোচনা পছ্ন্দ করিনা, আমি মুদ্রার দুই পিঠ দেখতেই পছ্নদ করি। যখন আমার ধার্মীক বন্ধুরা ধর্মের পক্ষে ওকালতি করে তখন আমি তাদের বিপক্ষে অবস্থান নেই, আবার আমার কোন বামপন্থী বন্ধু ধর্মের কঠোর সমালোচনা করা শুরু করলে তার সামনে আমি ধর্মের পক্ষে ওকালতি করি।
কোন এক ব্লগে ধর্মের বিপক্ষে লেখায় আমাকে গালিগালাজ করা হয়, সেখান থেকেই এ ব্লগের ঠিকানা জানা। এখানে এসে দেখলাম ধর্মের শুধু দোষই দেখান হয় কোন গুন দেখানো হয়না, তাই এর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।আমার বিশ্বাস যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তির মাধ্যমে সত্য বের হয়ে আসে।কারও যু্ক্তিকে শুধু সমর্থন করে গেলে , সে ব্যক্তি সত্য থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আমি অনেকদিন আগে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর “সংস্কৃতি কথা” নামের একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম যার প্রভাব আমার জীবনে খুব বেশি।
তিনি সেখানে বলেছিলেন সঠিক পথে চলতে হলে নিজের বিশ্বাসের অভ্রান্ততা সম্পর্কে সামান্য সন্দেহ পোষন করতে হয় আমি মনে প্রানে তার এ কথ বিশ্বাস করি।
আমি ধর্মের আইনের পক্ষে ওকালতি করার জন্যও মন্তব্যগুলো করিনি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে, জীবনে এ বিষয় গুলোর জন্য আইন দরকার তা রাষ্ট্র করুক,ধর্ম করুক বা নাস্তিকরা করুক আইনটি যদি ভাল হয় তবে কে করলো সেটি আমার কাছে মূখ্য নয়।
একজন ব্যক্তি ধার্মিক না নাস্তিক সেটাও আমার কাছে মুখ্য বিষয় নয মূখ্য বিষয় হচ্ছে তিনি মানবতা বাদী কিনা বা আলোকিত কিনা।
যেমন বৌদ্ধদের যে জীবন দর্শন আমার কাছে তা অত্যন্ত মানবিক এবং সমাজের জন্য কল্যাণকর মনে হয়। অপরদিকে নাস্তিকতার সুনির্দষ্ট কোন দর্শন না থাকায় তা দেশ, কাল, পাত্র দ্বারা প্রভাবিত।সে কারণে নাস্তিকদের মূল্যবোধের সীমারেখা টানা খৃব কঠিন।
বিজ্ঞানের হাতে যতটুকু প্রমাণ আছে তার ভিত্তিতে একজন মুক্তমনার আস্তিক বা নাস্তিক নয়, ঈশ্বর সস্পর্কে অজ্ঞেয়বাদী হওয়াটাই স্বাভাবিক। একখাটিই আমি বার বার বলার চেষ্টা করেছি্।
আপনি ভুল বুঝেছেন। এখানে আমি নাস্তিকদের নয় আস্তিকদের মূল্যবোধ উন্নত করার কথা বলেছি।
নারী হল শস্য ক্ষেত্র, অন্য ধর্মের লোককে আঘাত করা উচিত, মানুষের মধ্য জাত পাত ভেদ আছে আস্তকদের এ ধারণাগুলো পালটানোর চেষ্টা করে তাদের মূল্যবোধ উন্নত করার কথা বুঝিয়েছি। তবে এ কথা গুলোর বাইরেও ধর্মের বহু ভাল কথা আছে, ধর্মের শুধু নিকৃষ্ট কথা গুলোর উদাহরণ টেনে যদি বলেন এটাই ধর্মীয় মূল্যবোধ তাহলেও পক্ষপাতিত্ব করা হবে।
কোন মানুষের নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধ ধর্মের উপর খুব একটা নির্ভর করে না এ কথা সত্য।এখন জেলখানার ৯০% মানুষ আস্তিক আবার যখন পৃখিবীতে ৯০% লোক নাস্তিক হবে তখন দেখবেন জেলখানার ৯০% লোকই নাস্তিক।
আসলে আমি বলতে চাচ্ছি আস্তিকদের মধ্যে ভাল মন্দ মিশ্রিত একটি নীতি নৈতিকতা বা মূল্যবোধ আছে।তাদের সেখান থেকে বের করতে হলে এর চেয়ে ভাল নীতি নৈতিকত বা মূল্যবোধের পথ দেখিয়ে আনতে হবে না হলে বিশৃঙ্খলা বরং বাড়বে, কমবে না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@বিষন্নতা,
এটা হাইপোথিটিকাল। সত্যই তা হবে কিনা তা অনুমানসাপেক্ষ। তবে বাস্তবতা যেটা তা হল, ধর্ম, খোদায় বিশ্বাস কোনটাই জগতে কাউকে অপরাধ করা থেকে নিবৃত্ত করতে পারছে না। পারলে আস্তিকদের সংখ্যা পৃথিবীতে যাই হোকনা কেন, হত্যা, খুন ধর্ষণে অভিযুক্ত দাগি আসামীদের সংখ্যা ধার্মিকদের মধ্যে কম পাওয়া যেত। কিন্তু বাস্তবতা হল – কোথাওই, কোন দেশেই তা পাওয়া যায় না। আসলে জেলখানা পর্যন্তও যাওয়ার দরকার নেই। আইন আদালত, পুলিশ দারোগা কোন কিছুই লাগতো না, যদি মানুষ ঈশ্বরের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকতো। এমন তো নয় যে নাস্তিকদের শায়েস্তা করার জন্যই রাষ্ট্রের এইগুলো করতে হচ্ছে। বরং করতে হচ্ছে বক-ধার্মিকদের জন্যই।
আরেকটা মজার তথ্য আপনাকে জানিয়ে রাখি। ফিল জুকারম্যানের Society without God বইটা দেখতে পারেন। তিনি ২০০৫-০৬ সালে চৌদ্দমাস ধরে ডেনমার্ক ও সুইডেন এবং স্ক্যাণ্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে অবস্থান করে ধর্ম ও ঈশ্বর সংক্রান্ত বিষয়ে অসংখ্য মানুষ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলেন। লেখক বলেছেন ওই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতেই এখন ঈশ্বরে বিশ্বাসের হার সর্বনিম্ন । অথচ সেসব দেশেই অপরাধপ্রবণতা সবচেয়ে কম। শুধু তাই না, ডেনমার্ক – যেখানে ঈশ্বরে অবিশ্বাসের হার প্রায় শরকরা ৮০ ভাগের কাছাকাছি – বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে তারা এখন পৃথিবীর অন্যতম সুখি দেশ। ডেনমার্কের আরহাস শহরে প্রথমবারের মতো অবতরণের পর জুকারম্যান প্রথম যে জিনিসটা লক্ষ্য করেছিলেন তা হলোঃ পুলিশের অনুপস্থিতি। চারপাশ তাকিয়েও কোনো পুলিশের গাড়ি, মটরসাইকেল বা পায়ে হেঁটে টহলরত সৈন্য খুঁজে পেলেন না তিনি। টানা একত্রিশ দিন পর তার অপেক্ষার অবসান ঘটে, তিনি রাস্তায় দেখেন আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর এক সদস্যকে। সেই ২০০৪ সালে পুরো বছর জুড়ে প্রায় পঁচিশ লক্ষাধিক মানুষ বসবাসকারী মেট্রোপলিটন শহর আরহাসে সংগঠিত খুনের সংখ্যা ছিল এক। সমাজের অবস্থা মাপার সকল পরিমাপ- গড় আয়ু, শিক্ষার হার, জীবন যাপনের অবস্থা, শিশু মৃত্যুর নিম্নহার, অর্থনৈতিক সাম্যাবস্থা, লিঙ্গ সাম্যাবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, দুর্নীতির নিম্নহার, পরিবেশ সচেতনতা, গরীর দেশকে সাহায্য সবদিক দিয়েই ডেনমার্ক ও সুইডেন অন্যান্য সকল দেশকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে উপরে। অথচ পরিসংখ্যান বলে এই দুটো দেশেই ঈশ্বরে বিশ্বাসের হার সর্বনিম্ন। আমি বলছি না যে নাস্তিক হলেই লোকে ভাল হবে, কিন্তু আপনি যেভাবে বলছেন, ‘ পৃখিবীতে ৯০% লোক নাস্তিক হলে জেলখানার ৯০% লোকই নাস্তিক হবে’ ব্যাপারটা এতো রেসিপ্রোকাল নাও হতে পারে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনেই হয়, নাস্তিকেরা কম অপরাধপ্রবণ, কারণ তারা যুক্তি বুদ্ধি এবং মানবিকতার চর্চা বেশি করে, এবং করে হয়তো তারা অধিকতর আলোকিত বলেই।
@বিষন্নতা,
– আমার আসলেই বুঝতে ভুল হয়েছিল। কথা হল যে গদাম দেওয়াদেওয়ির কথা আসছে কেন? মুক্তমনা কিংবা নাস্তিককূলের পক্ষ থেকে আস্তিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জেহাদের ডাক দেওয়া হয়নি। কোন নাস্তিকের লেখা এখানে দেখেছেন যে নাস্তিক আস্তিকদের কায়দায় নাস্তিক হবার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছে? সে মূলত লেখে ঈশ্বরের অস্তিত্ব কেন থাকা সম্ভব নয় কিংবা দরকার নেই, ধর্মের নানান দূর্বলতা নিয়ে। নাস্তিক হয়ে যাও, আস্তিকদের ঘৃনা করো, ধরে পেটাও এসব প্রচার অন্তত সূস্থ মাথার নাস্তিকে করে না। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের সহি সূত্র খুঁজে দেখুন, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কি রকম বিদ্বেষময় কথাবার্তা আছে, ধর্মীয় মহাপুরুষরা নাস্তিক হবার অপরাধে আগুনে পুড়িয়ে জ্যান্ত মানুষ মেরেছেন সেসব উদাহরনও আছে। লেখালেখির বাইরে এখানে কিছুই করা হচ্ছে না, তাতেও কারো কারো প্রান চলে যাচ্ছে। এই হিটলারী মানসিকতাটাই বিপদজনক। সেটার চিকিতসার প্রয়োযনেই মুক্তচিন্তার লেখালেখির প্রয়োযন। যে আবর্জনা হাজার হাজার বছরে জন্মেছে সে আবর্জনা এত সহজে যায় না।
ঈশ্বর বিষয়ে যুক্তিবিদ্যার প্রফেসর প্রসংগে অভিজিত অনেক কথা বলেছে। আমি শুধু বলি যে ঈশ্বর বিশ্বাস এখনো জগতের অধিকাংশ লোকের মাঝেই নানান মাত্রায় বিরাজমান। যুক্তিবিদ্যার প্রফেসরও বায়াসড হতেই পারেন।
– অপরিহার্য কেন হতে যাবে? সিভিল বিবাহ, এমনকি বিবাহ ছাড়াই লিভ টুগেদার করে সুখে শান্তিতে ঘর করছে এমন বহু লোক আমি নিজেই দেখেছি। বলা ভাল যে বিদেশে সিভিল ম্যারেজ করে বহুদিন পর ধর্মীয় মতে সামাজিক বিয়ে করতেও আমি মুসলমানদেরই দেখেছি। তারা হয়ত জ্বীনা করার মহাপাপে পড়েছে তবে তাদের সাংসারিক জীবনে কিছুই হয়নি। ধর্মমতে পরে বিয়ে করতে হয়েছে সেই সামাজিকতা বা লোক দেখানো কারনে। নাস্তিকতা আস্তিকতা কোনটি নিয়েই আমার প্রেফারেন্স নেই, তবে নাস্তিকরা বিভ্রান্তিতে ভোগেন বলে আপনার যা মনে হয় সেটা সম্ভবত বাংলাদেশের সামাজিক পরিবেশের কারনে। সব নিয়ম ঐশ্বীগ্রন্থ থেকে এসে পড়ে না, মানুষ নিজ প্রয়োযনে অনেক নিয়ম বানিয়ে নেয়।
– এটা প্র্যাক্টিক্যাল সমস্যা, প্র্যাক্টিকেলিই সমাধান করা যেতে পারে। সব মৃত দেহই দান করা মনে হয় না সম্ভব। দেহ সতকারের জন্য মৃতদেহ বা অংগ দান করা ছাড়াও অন্য বহুভাবে সতকার করা যেতে পারে।
– ভুল কথা বললেন। আগেই বলেছি যে পশ্চীমা দেশগুলিতে মনুষ্য নির্মিত উত্তরাধিকার আইন আছে যেগুলি অনেক যুক্তিসংগত। আমার বাবা হঠাত উইল না করে মারা গেল আর ৩০ বছর দেখা নেই এমন চাচাতো ভাই যার সম্পত্তি আমার বাবার ১০ গুন এসে আমি এতিমের সম্পত্তি দাবী করবে এমন হওয়া সেসব দেশে সম্ভব নয়। মনুষ্য নির্মিত এমন আইনের মাঝে বিশৃখলার কি দেখলেন? একেবারে কোন আইন নেই এমন তো কোন দেশই নেই।
@আদিল মাহমুদ,
এটা ঠিক যে মানুষের একটা ইম্প্লিসিট বা এক্সপ্লিসিট মোরাল কোড থাকে। ধার্মিকদের একটা রেডিমেইড মোরাল কোড থাকে। ভুলে টুলে গেলে বই খুলে আবার দেখে নেয় খোদা কী বলে গেছে। তারপর নিজের ইম্প্লিসিট মোরাল কোডের সাথে অ্যালাইন করে নেয় সেটা।
নাস্তিকদের যেহেতু খোদা নেই, তাদের মোরাল কোডটা মোটের উপর ইম্প্লিসিট হয়। মূলত পশ্চিমা সমাজের সিভিল ল এর সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ। তবে নাস্তিকদের যদি এক্সপ্লিসিট মোরাল কোড দাঁড় করানো যায়, সেটা কেমন হবে? অনেক রকম হতে পারে কিন্তু। নাস্তিক মানেই যে এক ও অখণ্ড মোরাল কোড থাকবে তেমন কোনো কথা নেই। সমাজতন্ত্রী নাস্তিকদের একরকমের মোরাল কোড আছে। বিশেষ করে যারা একেবারে বিপ্লবের লাইনে আছে।
নাস্তিক হিসেবে আমারও মোরাল কোড আছে। সেটা হলো অনাক্রমণের নীতি।
সমাজতন্ত্রী মোরাল কোডের সাথে ধর্মীয় মোরাল কোডের অনেক সম্পর্ক আছে। আবার অনাক্রমণের নীতিও ভাঙাচোরা অবস্থায় অনেক ধর্মেই পাওয়া যায়।
সমস্যা হচ্ছে যে ধার্মিকেরা এটা উপলব্ধি করতে পারে না যে নাস্তিকদের আদৌ কোনো মোরাল কোড থাকতে পারে। সত্য কথা হচ্ছে প্রতিটি মানুষের এক্সপ্লিসিট অথবা একটা ইম্পলিসিট (ভাঙাচোরা বা শক্ত) মোরাল কোড আছেই।
@রূপম (ধ্রুব),
– আসলেই তাই। এজন্যই আমি মনে করি যে নাস্তিকদেরও নিজের নিজের ধর্ম থাকে, সেটা ঈশ্বর বিশ্বাস মত ধর্ম নয়। এখানে প্রতিটা মানুষই স্বাধীন ধর্মের অধিকারী। আস্তিকরাও যতই মুখে দাবী করেন, ব্যাক্তিগত বিবেচনায় তাদের ধর্মীয় সূত্রেও অনেক কিছুই আসলে মানেন না, শুধু মুখে স্বীকার করেন না এই যা।
– সমাজতন্ত্রীর ব্যাপার তেমন জানি না, তবে কট্টর বাম বা কম্যুনিজমের সাথে ধর্মীয় ব্যাবস্থার ভাল মিল আছে। দুই ব্যাবস্থাই ব্যাক্তি স্বাধীনতা, মুক্তকন্ঠে বিশ্বাসী না, কারো লাল বই আর কারো ধর্ম বই। দুই ব্যাবস্থাই সর্বদা গেল গেল আতংকে থাকে। ধর্মীয় সুত্রগুলিতে পরস্পর বিরোধী অনেক দর্শনই আছে, অনাক্রমন নীতিও তেমন। অনাক্রমনের যেমন ধারনা আছে তেমনি বিপরীতও আছে।
ধার্মিকরা ধর্মগত বিশ্বাসের কারনেই বিশ্বাস করতে পারে না যে নাস্তিকদের কোন কোড অফ এথিক্স আছে বা থাকতে পারে বলে। কারন তারা তাদের গ্রন্থানুযায়ী বিশ্বাস করতে বাধ্য যে নাস্তিক মানেই ঈশ্বরের অবাধ্য যে সব কিছু শুভর বিরুদ্ধে। এরপরের ধাপে আসে হল নিজ ধর্মের বাদে অন্যান্য ধর্মের লোকের ভাল কোন ব্যাবস্থা থাকতে পারে না। এটা এক ধরনের মানসিক বৈকল্য। ধর্মগ্রন্থগুলি এভাবেই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যায়।
@আদিল ভাই,
বাংলাদেশে লিভটুগেদার করার সমস্যা থাকলেও আমারও এটাই মনে হয় যে বিয়ে প্রথার আসলেই কোন দরকার নেই।যদি একসাথে ২ জন মানুষ থাকতে চায় তবে তাদের সমঝোতাই যথেষ্ট।যারা আসলেই কমিটেড রিলেশনশিপে বিশ্বাস করে, যেখানেও বিয়ে না করেও ডোমেস্টিক পার্টনারের উপর বিশ্বস্ত থাকা যায়, আর যারা সেটার বিশ্বাস করে না, সেখানে ৩বার না, ৩হাজার বার কবুল বলিয়েও পরকিয়া থামানো যায় না। কাজেই বিয়ে করার দিকে সব ধর্মই জোর দিয়েছে,এটা খুবই হাস্য কর মনে হয়।ধর্মীয় বিয়ের দরকার নেই, এমনি সিভিল বিবাহের দিকেও রাষ্ট্রের যে ঝোঁক, তা কিন্তু আসলে ধর্মীয় আইনের প্রতি রাষ্ট্রের পরোক্ষ সমর্থনেরই ফসল। আর এটা খুবই দুঃখ জনক।
আর এইযে দেখেন আমি আমি যে বিয়ের অপ্রয়োজনীয়তার কথা টা ব্যাখ্যা করলাম ছদ্ম নামে। আমার আপন জনরা যদি জানেন যে আমি এইসব চিন্তা ভাবনা করছি, তবে একঘরে হতে সময় লাগবে না।প্রিয়তমাও মনে হয় ছেড়ে কথা বলবে না( মতলব বাজও ভেবে বস্তে পারে, অবশ্য তারই বা কি দোষ এদেশে মতলব বাজ লোকেরা সংখ্যায় যে আশঙ্কা জনক ভাবে বেশি)।
ভাল মুসিবত দুনিয়ার এই অতি রক্ষণশীল অংশে।কেন জানি কেউ ধর্ম, তথা ইসলামী নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই মারমুখী হয়ে ওঠে, আর বিয়ের অপ্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বললে মতলব বাজ ছেলে হিসাবেই ধরে নিবে।বড় যন্ত্রণা এই দেশে।দেশ থেকে চলে গিয়ে বরং আপ্নারা ভাল আছেন বলেই আমার বিশ্বাস।
@বিষন্নতা,
উইকিপিডিয়া ভিন্ন কথা বলছে।১.১ বিলিওন নন রিলিজিয়াস মানুষ আছে দুনিয়াতে।
It has been estimated that 16% of the world population (1.1 billion people) are “non-religious”
@অর্ফিউস,
বাংলায় “নাস্তিক” শব্দটি আসলে বিভ্রান্তিকর, এ ব্যাপারটি আমি আমার বেশ কিছু মন্তব্যে ব্যখ্যা করেছি।আমি “নাস্তিক” বলতে শুধু “Atheist” দের বুঝিয়েছি, Agnostic, Deist বা Nonreligious (atheist,deist, agnostic ছাড়া অন্যান্য) ব্যক্তিদের নয়।ধন্যবাদ।
@বিষন্নতা,
আপনি এই জিনিসটি নিয়ে ভাল করে পড়ে দেখুন, এই Agnostic সম্প্রদায়ও কিন্তু ২টি ভাবে বিভক্ত।একভাগ একেবারেই নিরীশ্বরবাদী। এদেরকেও আপনি নাস্তিক কেন বলবেন না, ব্যাপারটা পরিষ্কার হল না।কাজেই আপনার সংখ্যাটি মনে হচ্ছে একটু কম হয়ে গেল। স্রষ্টার অস্তিত্ত্বে বিশ্বাস করে না এমন লোকের সংখ্যা আপানার পরিসংখ্যানের চেয়ে ঢের বেশি।
@বিষন্নতা,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। আমি হয়তো আমার বক্তব্য ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। গদাম দেয়া বলতে আমি শারীরিক আঘাত বোঝাইনি, বুঝিয়েছি কঠোরভাবে সমালোচনা করাকে। যেটা মাঝে মাঝে সাইফুল ভাই ও আল্লাহচালাইনা করে থাকেন, যেটা রাজিব স্যাটায়ারের মাধ্যমে করেছেন। মুক্তমনাদের অনেকেই বলছেন রাজিব স্যাটায়ার লিখে ঠিক করেননি, আমার আপত্তিটা এখানেই। ঠিক বেঠিক বিচার করার আমি আপনি কেউ না, বড়জোর আমরা আমাদের পছন্দ অপছন্দের কথা জানাতে পারি, একজন লেখক কিভাবে লিখবে সেটা আপনি বা আমি ঠিক করে দিতে পারিনা, তাইনা?
নাস্তিকতা বলতে আমি Agnostic, Deist, Sceptic, De facto Atheist, Atheist বুঝিয়েছি।
নাস্তিকতা, জীবন দর্শন, ঈশ্বরের উপস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে আপনার সংশয়ের প্রতিউত্তরে অভিজিতদা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী আলোচনা করেছেন। আমি উনার সাথে আরেকটু যোগ করে বলতে চাই সুন্দর জীবন যাপনের জন্য ধর্মের প্রয়োজন নেই, রাস্ট্রের নিয়ম কানুন মেনে আমরা খুব সহজেই সুনাগরিক হতে পারি। আর এই ঝক্কিঝামেলার যুগে ধর্মীয় নিয়মকানুন মানার মত এত সময় কার আছে বলুনতো!
আর আপনার মত আমিও চাই সবাই আলোকিত হয়েই ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসুক। তবে সাধারনত আলোকিত না হয়ে ধর্মের মত আজন্ম লালিত বস্তু ছাড়া যায়না। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ সুন্দর আলোচনার জন্যে। ভালো থাকবেন। বিঃদ্রঃ আমি মুর্ধণ্য স কিভাবে লিখতে হয় জানিনা, কেউ একটু পরামর্শ দিননা!
@সুমন,
আপনি অভ্র দিয়ে লেখেন তো?তাহলে শিফট চেপে ধরে রেখে , একই সাথে S এবং H এটা চাপুন তবেই “ষ” আসবে।
@অর্ফিউস,
ষ, পারছি! :rotfl:
ধন্যবাদ আপনাকে। এই নেন (B) (চিলড বিয়ার) শুধু আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
@সুমন, আপনিও ভাল থাকুন।বিয়ারের জন্য ধন্যবাদ। :))
ডানপন্থী পত্রিকাগুলিতে দেখলাম আসলেই পিয়াল, আরিফ জেবতিকের ছবি নিয়ে ফাঁসি চাই দাবি করে কোথায় কোথায় আলেম সমাজ মিছিল করছে। এনারা যেহেতু অন্ধবিশ্বাসী নন, যুক্তিবাদী তাই তাদের জানার দরকার পড়ে না পিয়াল, আরিফ জেবতিক আদৌ কবে কি লিখেছে। সামলাম রুশদীর সময় বাগেরহাটে ফাঁসির দাবীদার এক আলেম আমার চেনা একজনকে বলেছিলেন যে সালমানের বাড়ি নোয়াখালিতে।
বাংলা ব্লগে উন্মুক্ত লেখালেখি শুরু হবার পর থেকেই একটি চক্র (এদের মাঝে এক শ্রেনীর ব্লগারই বেশী) তালে আছে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার ছুতায় মুক্তকন্ঠ রুদ্ধ করে দিতে। এই শাহবাগ গনজোয়ারের রাজীব হত্যার পর এ জাতীয় প্রচারনায় এসব লোকে নিশ্চয়ই বগল বাজাচ্ছে। ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে অভিজিতের ছবি না উঠে পিয়াল/আরিফ জেবতিকের ছবি ওঠা দেখে বোঝা যায় আসলে এসবের উদ্দেশ্য কি। পিয়াল এমনকি ব্লগ জগতে আগের দিকে নাস্তিক দলের সাথে তীব্র বিতর্ক করত।
[img]https://fbcdn-sphotos-f-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/560174_593671950647031_2083210760_n.jpg[/img]
জাতির পতাকা আবার খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন।
জয় বাংলা! (Y)
@বিপ্লব রহমান,
বাঃ, আরেক দল নবীন প্রজন্ম দেখি আরেক আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছে :)) । আসিফ মহিউদ্দিন বোঝা গেল ইসলাম বিদ্বেষী, অমি রহমান আরিফ জেবতিক কোনদিন নবী রসূলের নামে কি কুতসা ছড়ালো কে জানে।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে ব্যাপারটা মনে হয় যারা ইসলাম নিয়ে লেখেন তা ঠিক নয় (আমার ধারনা ভুল হতে পারে)
যারা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সরাসরি জড়িত তাদের তালিকাটাই বেশি করে করা হচ্ছে।
আমি পূর্বে ও বলেছি যে টিভি তে দেখেছি ১৭ জনের তালিকা পাওয়া গেছে। এই ১৭ জন কী সবাই ধর্ম বিদ্বেষী কিনা জানা নেই।
@বিপ্লব রহমান,
এই লিফলেটে কোন মুছল্লীরা সাড়া দিবেনা। কারণ জনগনের প্রশ্ন- এটা এত দেরী করে যখনই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার,জামাত শিবিরের নিষিদ্ধ করনের আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছে তখনই ধার্মিকদের উত্তেজিত করার সংগে এর কী সম্পর্ক ?
আর তাছাড়া, মনে রাখতে হবে, কোন কুৎসা রটনা কেহ শুধু মাত্র ব্লগে লিখলে অতি অল্প লোকদের পক্ষে এটা জানা সম্ভব হয়, আর যে ব্যক্তি একটা জনগনের পত্রিকায় বা প্রচার পত্র বিলির দ্বারা দেশের সমস্ত জনগনকে প্রচার করিয়া দেয়-তার অপরাধ ব্লগে প্রচার কারীর চেয়ে অনেক গুন বেশী হয়-এতে যে জনগন এই কুৎসা সম্পর্কে আগে কিছুই জানতোনা তাদের এখন এটার আরো গভীরে জানতে হইবে।
জনগন জামাত শিবিরের আর ধর্মের গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হতে চায়না। ধর্মের সংগে এর কোনই সম্পর্ক নাই।
এটা আমার কথা নয়। তাহলে নীচে ধর্ম বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যই দেখুন।
দেখুন দৈনিক ইনকিলাব,ফেব্রুয়ারী,২০,২০১৩
@আঃ হাকিম চাকলাদার, এই ইনকিলাবই কিন্তু জামাতে চামচা ছিল এককালে।স্বার্থে আঘাত লাগায় সরে যায়। এরা আরেক হায়না। কাজেই সাবধান ভাই।
রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধী দালাল, ওরা সবাই দুগ্ধাপরাধী।
অনাত্মীয় ওরা; ওদের সকল সংগঠন। ওরা দুগ্ধাপরাধী।
পুঞ্জিভূত সমস্ত ঘৃনা, একসাথে করে ছুঁড়ে দাও,
দুগ্ধাপরাধীদের দিকে, সুনিপুণ ও লক্ষ্যভেদী সুতীব্র দক্ষতায়।
শুনেছি ১৭ জনের লিস্ট আছে ওদের কাছে। তদন্ত করে দেখা যেতে পারে।
রাজিব যুক্তিবিহীন অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন। তার বক্তব্য ব্লাসফেমীর পর্যায়ে পড়ে। উনি মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন নাই। উনির নোংরামীর চরম ভাষা ব্যবহার করেছেন তার ব্লগে।
আপনারা কেন হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খৃস্টান ধর্ম নিয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন না এটা নিয়ে একটা প্রবন্ধ রচনা করতে পারেন।
শার্দূল
@শার্দূল,
তো? ব্লাসফেমী করলে সমস্যা কি?জ্যান্ত পুড়িয়ে মারতে চান নাকি মধ্যযুগীয় কায়দায়?যেহেতু রাজিবের লেখাগুলো পড়া হয়নি কাজেই তিনি যুক্তিপুর্ন না যুক্তি বিহীন বক্তব্য দিতেন সেটা নিয়ে আর কিছু বললাম না।
@শার্দূল,
তাই নাকি? রাজিবের চেয়ে ঢের অশ্লীল, কুৎসিৎ এবং বিদ্বেষী বক্তব্য ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মপ্রচারকদের জীবনেই পাওয়া যায়। নারীকে শস্যক্ষেত্রের সাথে তুলনা করা, বিধর্মীদের কতল করা, শুদ্রদের পশ্চাৎ দেশে গরম লৌহ শলাকার ছ্যাকা দেয়া, যুদ্ধবন্দিনী কিংবা পালকপুত্রের স্ত্রীকে দেখে লালায়িত হয়ে সহবাস করার আয়াত বা শ্লোকগুলো রাজীবের লেখার চেয়েও ঢের বেশি অশ্লীল। ততোধিক অশ্লীল হচ্ছে মনু সংহিতা কিংবা মকসদুল মোমেনীনের মত কুগ্রন্থগুলো। নয়?
আর আপনাদের মেশিনম্যান সাইদীর শ্লীল ফোনালাপের কথা না হয় বাদই দিলাম। ব্লাসফেমী আইনে বিচার করতে চাইলে এদের দিয়েই আগে শুরু করবেন, কেমন?
একবার কোরআনে পড়েছিলাম বলা হয়েছে কৃতদাসদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে। আমার জীবনে আমি এর চেয়ে হাস্যকর কিছু আর পড়িনি। এর চেয়ে হাস্যকর আর কিছু মনে হয় চিন্তা করে বের করাও কঠিন হবে।
ধন্যবাদ।
আমার তো মনে হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এই গণজোয়ার দেখে জামাত-শিবির আর তাদের “অঙ্গসংগঠন” বিএনপি-ছাত্রদলই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে জামাতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে কোন খবরই ছাপেনি। তারপর যখন দেখেছে তাদের বিরুদ্ধে গণমানুষের ঐক্যবদ্ধ ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ, তখন ভীত হয়ে সংগ্রাম/আমার দেশ এন্ড কোং আশ্রয় নিয়েছে মিথ্যা, ছলনা আর অপপ্রচারের। খুবই সুকৌশলে তারা এই আন্দোলনকে দিকভ্রান্ত করে জনগনকে এর উপর বিরূপ করে তোলার চেষ্টা করছে। আন্দোলন জমছে না,লোক সমাগম কমে গেছে,গণজমায়েতে নেশাদ্রব্য আর অশ্লীলতার ছড়াছড়ি, আন্দোলনের কারণে একুশের বই মেলা লাটে উঠেছে ইত্যাদি ইতং বিতং শেষে তারা এখন এই আন্দোলনকে ধর্মবিরোধীতার লেবাস পরাতে চাইছে। কিছু নখদন্তহীন বুড়ো বাঘকে (এককালের রাজাকারহন্তা মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তীতে সেতু পদ্ধতিতে সরকারী অর্থ লোপাটে জড়িত) ভাড়ায় এনে সসম্ভ্রমে ‘বীর’ উপাধি দিয়ে আন্দোলনের বিপক্ষে ফরমায়েশী লেখা লিখিয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে জামাতের “বি-টিম” বিএনপির শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা। তবে মনে হচ্ছে এই বসন্তে জনদাবীকে পায়ে ঠেলে তারা শ্যামকেই বরণ করে নিয়েছে। তাই কোনভাবে নিজেদের সতী প্রমানের জন্য এখন তারা বলছে সরকারের ব্যর্থতার নিদর্শণ কিছু ইস্যুকে নতুন প্রজন্ম আন্দোলনে যুক্ত করুক, তাহলেই তারা এই আন্দোলনে সামিল হবে। তারা বুঝতে চাইছে না এই আন্দোলন সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়, বহুদিনের পুরানো একটি ন্যায় দাবী বাস্তবায়নের। এই দাবীকে সমর্থন না করা মানে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। ঊটপাখির সাথে তুলনীয় আমাদের রাজনীতিকরা বুঝতে অক্ষম যে এই তরুণ প্রজন্ম ব্লগ,ফেসবুক/টুইটারে দুনিয়া দেখেছে; তারা অত সহজে আর কোন নেপোকেই দই মারতে দেবে না।
সত্যিকারের হিট লিস্ট থাকতে পারে, এজন্য সচেতন থাকাও ভাল; তবে এধরনের তালিকা প্রকাশের আরেকটা উদ্দেশ্য হতে পারে আতঙ্ক ছড়ানো।
@মনজুর মুরশেদ,
একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। হিটলিস্টের যে স্ক্রিনশটটা আমি পোস্টে দিয়েছি, সেটাই আবার রিসার্কুলেট করে আমার ফেসবুকের ইনবক্সে চলে আসছে, বলছে ভাই – সাবধানে থাকবেন, কোথায় জানি দেখলাম একটা স্ক্রিন শট! 🙂
কি বলব বলেন!
@অভিজিৎ,
🙂 ভাল থাকবেন।
buja jacche jamateera apnader lekha pore moulobadee nastik hoye jacche…ekhon aitakei voy oder… ovijit tumi egiye cholo… aro fotowa chai.. ovijiter lekha choriye dite chai sob jaigai..
আমি ৫/৭ দিন পূর্বে আমার এক আত্মীয়ের নিকট সেখানকার পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বল্লেন সেখানে স্বাধীনতার যুদ্ধের বছরের পরিস্থিতি এবং এখনকার পরিস্থিতি একই রকম হয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ সমস্ত জনসাধারন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।
একপক্ষে অপরাধীদের ফাসী দেওয়ার পক্ষে অপর পক্ষ অপরাধীদের বিনা শাশ্তিতে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে।
দ্বিতিয় পক্ষে রয়েছে মসজিদের ইমামগন ও কিছু মুছল্লীগন।
দ্বিতিয় পক্ষের সংখ্যা অতি নগন্য আর প্রথম পক্ষের সংখ্যা অনেক বেশী।
তিনি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে আন্দোলন কারীদের সমর্থনে দেশের অধিকাংশ লোক রয়েছে এবং তারা অবশ্যই এই যুদ্ধে বিজয়ী হইবে এবং জামাত-শিবীর অবশ্যই নিশ্চিহ্ন হইবে।
এখন পর্যন্ত রাজীবকে কে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আলামত দেখি নি তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এই টার্গেট টি ছিলো অত্যেন্ত সুপরিকল্পনার বিষয়। রাজীব শাহবাগ আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো কিন্তু বাংলা ব্লগজগতে মুক্তচিন্তা ও ধর্মবিরোধীতায় সে অবশ্যই কোনো দিকপাল ছিলো না। বেছে বেছে এমন একজনকেই টার্গেট করা হয়েছে যার লেখাগুলো সাধারন মানুষদের কাছে চরম inflammatory হবে। আমি মোটামুটি নিশ্চিৎ যে এখন রাজীবের লেখাগুলি মাদ্রাসা-মসজিদ, সাধারন মানুষদের কাছে প্রচার করে ব্লগ জগৎ ও মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে বিপুল আক্রমনের পায়তারা চলছে। যেহেতু শাহবাগের মুভমেন্টের পুরোধা হিসেবে ব্লগাররা চিন্হিত হয়েছে সুতরাং এই সুযোগে ব্লগারদের দেশের কাছে চরম নেগেটিভ ভাবে তুলে ধরা হবে। সোজা কথায় ব্লগাররা ইসলামের জাতশত্রু হিসেবে তুলে ধরা হবে। ঠিক একাত্তুরের মতোই। ‘ইসলাম খতরে ম্যা হ্যায়’ বলে সব ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা ও বিভৎস অপরাধ জাস্টিফাই করার চেষ্টা করা হয়েছিলো।
Religion is the last resort of scoundrels.
এই সময়ে ব্লগারদের আন্দোলন ও মতপ্রকাশ খুব খেয়াল করে করতে হবে। মূল লক্ষ্যে থেকে বিচ্যুত হবার কোনো সুযোগ যেনো না আসে।
এ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই আমি আশংকা করছিলাম এ ধরনের কিছু ঘটবে। উৎসাহী তরুনদের টেলিভিশনে বার বার চেহারা দেখানো যে তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াচ্ছে তা তারা বুঝতে পারেনি। তারা বুঝতে পারে নি জামাত শিবির কি পরিমান নৃশংস ও নির্দয়। বিশাল জন সমাবেশে থেকে তাদের বুকে সুন্দরবনের বাঘের মত সাহস ও শক্তি অনুভব করেছিল কিন্তু ভুলে গেছিল সমাবেশের পরেই তাদেরকে একা একা চলতে হয় ও হবে। আমি জানিনা পৃথিবীতে কোথায় বর্বরতাকে শান্তির বানী দিয়ে পরাস্ত করা গেছে। আমি অবাক হবো না যদি দেখি এ প্রজন্মের তরুনরা জামাত শিবিরকে প্রতিহত করতে কোনদিন হাতে অস্ত্র তুলে নিলে। দেশটা গৃহযুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে কি না তা সময় বলে দেবে। কারন জামাতের যদি ১০% জনসমর্থন থাকে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে তাদের সংখ্যা হবে ১ কোটি ৬০ লাখ, সংখ্যাটা মোটেও ফেলনা না। সুতরাং শুধু জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেই কোন কাজ হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। গাছের কয়েকটা ডাল কেটে যদি মনে করা হয় , গাছটা মরে যাবে তা হবে প্রচন্ড আহাম্মকি। গাছের গোড়া কেটে ফেলতে হবে। কবে সেই দিন আসবে গাছের গোড়া কাটার জন্য তরুন প্রজন্ম এভাবে লাগাতার আন্দোলন করবে ?
@ভবঘুরে,
১০০% সহমত। হাতে না, তাদের ভাতে মারুন।
ধন্যবাদ।
ধর্মান্ধদের মরণকামড় শুরু হয়েছে। ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া হচ্ছে এই অজুহাতে মানুষ খুন করার বর্বরতা আর চলতে দেয়া যায় না। যার যার অযৌক্তিক ধর্মানুভূতি তার তার ব্যাপার। ধর্মের নামে মিথ্যাচারের বিরোধিতা মুক্তমনারা করেই যাবে। ধর্মবাদীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যতই ঘেউ ঘেউ করুক, মুক্তমনার কারাভাঁ এগিয়ে যাবেই।
@ইরতিশাদ,
(Y) (Y) :clap :clap :clap :clap :clap :clap
@আকাশ মালিক,
আমরা যারা প্রতিদিন এই সব খবর জানতে পারছি। তখন এই সম্ভবনা উড়িয়ে দেইনি।
আমি নানান কারনে মুক্তমনায় আসিনি বা আসা হয়নি( দেশের বাইরে ছিলাম)আগেই তালিকা জেনেছিলাম। লিখিনি। কেনোনা, অনেকেই হয়তো প্রমাণ চাইতেন।
আমি মুক্তমনা সদস্য। আজকে অভিজিতের এই খবরে আমি অনেকটা দৌড়েই এলাম।
ব্লগারদের ক্ষমতা কতটা তা আসলে দেখুক সবাই। আরো লিস্ট আছে। শুনেছি। শোনা কথায় নাকি কান দিতে নেই। তবু না জানিয়ে পারছিনা। ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের সাথে মুক্তবুদ্ধি চর্চা যারা করছে তাদের এক করে আজ তালিকা তৈরী হচ্ছে।
দেশে যারা থাকে তাদের অবস্থা অবশ্যই চিন্তার কথা। কেননা এতো দিন লেখা লেখি করে কেবল মাত্র ফসল ফলতে শুরু করেছে এর মাঝে যদি অকাল প্রয়াণ হয় তবে সব কিছু অধুরা থেকে যাবে।
আর শত্রু যে সে শত্রুই। তাকে ছোট করে দেখার উপাই নেই।
তালিকা দেবার জন্যে অভিজিত’কে অভিনন্দন জানাই।
বিজ্ঞ মডারেটরবৃন্দ,
আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারছি না, আমার জন্য কোন নিবন্ধ লিখতে গেলে সেটা দেখা যাচ্ছে অপেক্ষমান তালিকায় থাকার জন্য নির্দেশ আছে (যদিও আমি কোন নিবন্ধ প্রকাশের জন্য অপেক্ষমান তালিকায় রাখিনি) অথচ মন্তব্য করা যাচ্ছে স্বচ্ছন্দে। এটার রহস্যটা কি ? আপনারা একটা অধিকার রদ করে দিলেন , অন্যটা চালু রাখলেন , এর মাজেজাটা কি ? খোলাসা করা যাবে ?
@ভবঘুরে,
আমারও একই অবস্থা, আমার নষ্ট রাত্রি গল্পের পর থেকেই। কি করা যাবে। অপেক্ষায় আছি কবে মুক্তমনার ভুল ভাঙ্গে তার।
আমাকে লিখতে দেওয়া হোক! আমাকে লিখতে দেওয়া হোক স্বাধীনভাবে! আমি নতুনের জন্মদাতা। আমাকে নতুনকে সৃষ্টি করতে দেওয়া হোক!
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
শুভেচ্ছা রইল।সৃষ্টি করতে থাকেন ,একটা অ্যাডাল্ট সাইট খুলে বলেন না কেন? ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
অবশ্যই খোলাসা করা যাবে। আপনাকে ব্যাক্তিগতভাবে মডারেটর প্যানেল থেকে যে বার্তা পাঠানো হয়েছিল সেখানে পরিষ্কার ভাষায় মুক্তমনায় লেখক হিসেবে আপনার বর্তমান অবস্থান বলে দেয়া হয়েছিল। এখানে আবার দেয়া হলঃ
আপনার বর্তমান অবস্থান প্রদায়ক।
আর প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যের সংজ্ঞা জানার সম্পর্কেঃ
না। কোন তালিকা দেওয়া হবে না।
ধন্যবাদ।
@মুক্তমনা মডারেটর,
ধন্যবাদ আপনার উত্তরের জন্য।
কিন্তু মুশকিল হলো – আমাকে প্রদায়কের অবস্থানে রাখা হলো কেন ? ওটাও কি বাদ দেয়া যায় না ? বাদ দিয়ে একেবারে গ্রাহক করা যায় না ? কারন ওভাবে রাখাকে আমি আমার আত্মসম্মানের সাথে সংঘাতপূর্ণ মনে করি। আর যদি তা না করেন তাহলে কি করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকে পরিণত হওয়া যায় ?
@ভবঘুরে,
দেয়া হবে, অন্তত আমি সেটা আশা করি। সময় মত দাবীও করবো, প্রয়োজনে আন্দোলন করবো। একটু ধর্য্য একটু অপেক্ষা করেন না। যেহেতু আমরা মুক্তমনাকে আপন ব্লগ মনে করি, তাই এর আইন বা ক্রাইটিরিয়া শর্তাবলির উপরও তো আমাদের শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ। নিজের ঘর নিজে ঠিক রাখবোনা? আপনার লেখা মডারেশন পার হয়ে আসছে এ কথা প্রকাশ না করলেই তো হলো। কিছু দিন প্রকাশ হতে একটু দেরী হবে এই তো। আপনি লিখে যান। মনে কিছু নিবেন না, আমি মুক্তমনার ওকালতি করছিনা। আমার বেলা হলেও আমি এই পথেই যাবো, কিছু মাইন্ড করবোনা। মুক্তমনায় আছি বলেই তো ধর্ম্মোদরা আমার বইয়ের নামটা (যে সত্য বলা হয়নি) বাংলাদেশে তাদের পত্রিকায় উল্লেখ করেছে। সম্পূর্ণ বইটা এবার ছাপিয়ে দিক।
আপনাকে দেখে ভাল লাগলো, ভাল থাকুন।
@ভবঘুরে,
হ্যা, আকাশ মালিক যেমনটা বলেছেন – লিখতে থাকুন, সময়ে দেখবেন, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমার জানা মতে, শুধু আপনি না, অনেকের লেখাই মডারেশন পার হয়ে আসে। দেখুন উপরে আদনানও তাই বলেছেন। শুধু আপনি বা আদনান নন, বিজ্ঞানের উপর বহুদিন ধরে লিখছেন, এমন অনেকের লেখাই মডারেটর এপ্রুভ করলে প্রকাশিত হয়। এটাকে অন্যভাবে নেবার কিছু নেই। আপনি যে ফিরে এসেছেন, এবং মন্তব্য করছেন সেটা গ্রাহক হতে আপনাকে সহায়তা করবে বই কি।
আমি মডারেশনের সাথে সেভাবে জড়িত নই। কেবল নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি জানালাম।
শুভ কামনা রইলো।
@অভিজিৎ,
এ ব্লগ সাইটের পরিকল্পনা ও ডিজাইনারের নাম হলো – অভিজিৎ রায়। আমার ধারনা ছিল- এ ব্যক্তি ও আপনি একই ব্যক্তি। এখন বোঝা যাচ্ছে আমার ধারনা ঠিক নয়।
বর্তমানে রাজাকার আল বদর ও ব্লগারদের হত্যা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা চলছে চারদিকে। তাই আলোচনা সমালোচনার সময় এটা নয়। তারপরেও বলে রাখি- ধর্মান্ধ ও আলবদর রাজাকাররা যেরকম সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ আমাদের মত তথাকথিত মুক্তমনারা ততটাই বিচ্ছিন্ন ও ঐক্যহীন। আর আমার কাছে মনে হয়েছে এর একটাই কারন তা হলো – অহংকার বা ঈর্ষা। আমার আগের মন্তব্যে আত্মমর্যাদার কথা বলেছিলাম যা দেখেও না দেখার ভান করেছেন। তো এবার পরিস্কার করেই বলি- একবার পরিপূর্ণ লেখক হিসাবে একজনকে মর্যাদা দেওয়ার পর তাকে অনাবশ্যকভাবে বা উদ্দেশ্য মূলকভাবে মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসাটা প্রমান করে আপনারা ঈর্ষাবশত: মানুষকে অপমান করেন, অবজ্ঞা করেন, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। মনে হয় না এভাবে মানুষকে অপমান করে কোন ভাল কাজ করা যায়।
তাই আমার অনুরোধ আমাকে সাধারণ গ্রাহক হিসাবে নামিয়ে আনুন নইলে এরপর হয়ত ইমোশানাল হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে দিতে পারি। কারন এভাবে প্রদায়ক হিসাবে আমাকে রেখে দেয়াকে চরম অপমানকর হিসাবে মনে করা শুরু করে দিয়েছি ইতোমধ্যেই। পরিশেষে বলি- আপনার একটা ধারণা ছিল আমি বোধ হয় আমার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আপনাদের কাছে আকুতি মিনতি করব। আপনারা ভুল ভেবেছিলেন।
@ভবঘুরে,
কিছু মনে করবেন না, একটু নাক গলাতে হচ্ছে।আপনি জানলেন কিভাবে যে অভিজিৎ দার এমন কোন ধারণা ছিল?এই উত্তরটা দিবেন কি?দিলে খুশি হতাম খুব।ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
@ভবঘুরে,
লেখকের সমস্ত লেখার সত্ত্ব লেখকের নিজের। আপনি চাইলে শুধু গ্রাহকই না, আপনার একাউন্ট ডিলিটও করতে পারেন, সেক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সহযোগিতা আপনাকে দেওয়া হবে।
ধন্যবাদ।
@মুক্তমনা মডারেটর,
বড়ই কৃতার্থ হবো অতি সত্ত্বর ডিলিট করে দিলে। ধন্যবাদ আপনার মহানুভবতার জন্য।
@ভবঘুরে,
আপনার হয়েছে কি ভাই? সবুর করেন না, সবুরে মেওয়া ফলে। বাচ্চাদের মত বেশি আবেগপ্রবন হয়ে পড়ছেন না?এখানে যারা আপনার বিরোধিতা করে, তারাও কিন্তু আপনাকে লেখালেখির উৎসাহ দিচ্ছে।কিন্তু আপনি এক গো ধরে বসে আছেন যে পুর্নাঙ্গ লেখকের মর্যাদা ফিরিয়ে না দিলে( যদিও আপনার এই অধিকার যে সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে সেটা আপনি না জানালে কেউ জানত না) আপনি আর লিখবেন না, এখন আবার ব্লগ ডিলিট করতে অনুরোধ করছে মডারেটর কে।যদিও আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার এটা, তবু বলি আপনি যে ছেলেমানুষি আবেগে ভুগছেন, এইটা কি বুঝতে পারছেন না?যাক আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোর জন্য আমি দুঃখিত। তবু বলব যে এইখানে লিখুন, একজন পাঠক হিসাবেই বলব।সব মতের লেখকের দরকার আছে,মুক্ত মনা তে। যদিও কারো অভাবে মুক্ত মনা থেমে থাকবে না, তবু এই ঝামেলাটা জিইয়ে রাখার কোন মানে হয় না বলেই আমার বিশ্বাস!!ভাল থাকুন।
@ভবঘুরে,
ভাই, বহুদিন পরে লিখতে এসে আমার সাথে ক্যাচাল শুরু করার কি কারণ? আপনার সাথে আমার কোন ক্যাচাল হয়নি। যাদের সাথে হয়েছে তাদের পোস্টে বা মন্তব্যে ঝাল মিটাতে পারতেন। এই পোস্টের উদ্দেশ্য তো আপনার সদস্যপদ নিয়ে ক্যাচাল তৈরি করা ছিল না।
হ্যা, সাইটের নীচে বলা আছে পরিকল্পনা এবং ডিজাইন – অভিজিৎ রায়। কিন্তু মডারেশনে আমি সক্রিয়ভাবে আছি কিনা আপনি জানেন? আগের মডারেশন টিম বিলুপ্ত করে দেবার পর আমি যতদূর জানি মডারশন হয় একটা টিম দ্বারা। তারাই সক্রিয়ভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। কে সদস্য হবে, কে হবে না, কে গ্রাহক থাকবে আর কে প্রদায়ক, এগুলো আমি নির্ধারণ করি না। আমার এক ধরণের একসেস থাকলেও আমি খুব প্রয়োজন না হলে ব্যবহারও করি না।
সরি, আপনি বোধ হয় ভেবেছেন, আপনাকে নিয়ে আমি অহরহ চিন্তা করি। আসলে তা নয়। আপনার সদস্যপদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশ এবং দেশের জনগন আন্দোলন করছে। আমার মাথাতে এটাই ছিল। আপনি আমার কাছে মিনতি করবেন কি করবেন না তা নিয়ে আমার কোন ধারণাই ছিল না। আপনিই বরং দীর্ঘদিন মুক্তমনাতে অনুপস্থিত থেকে আবার নতুন করে মন্তব্য করতে এসেছেন। ‘নবযুগ’ দিয়ে সম্ভবতঃ বেশিদূর চলছে না, কি বলেন?
যা হোক, আপনি অনেকদিন পরে আমাদের ব্লগে এসে মন্তব্য করছেন দেখে আমি বরং খুশি হয়ে উৎসাহই দিয়েছি, এবং অনুপ্রাণিত করেছি যেন আবার পুনরায় লেখালিখি করেন, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে ব্যপারটা অপাত্রেই দান করা হল।
আপনি একবার বলছেন প্রদায়ক থেকে গ্রাহক করে দিতে, আরেকবার বলছেন একাউণ্ট ডিলিট করে দিতে। আপনার দুটো অনুরোধই মডারেটরের বরাবর পাঠিয়ে দিলাম। আর ক্যাচাল বাদ দিয়ে সুস্থভাবে লেখালিখি করতে চাইলে সবসময়ই স্বাগতম।
ভাল থাকবেন। এই থ্রেডে এটাই আমার শেষ উত্তর।
@ভবঘুরে,
এই পোস্টে আপনার এধরণের মন্তব্য কাম্য ছিল না। মুক্তমনা মডারেটর এর আগের একটা পোষ্টে খুব পরিষ্কারভাবে তাদের নীতিমালা আপনাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবারো খুব ভদ্র ভাষায় আপনাকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে কি করে আপনি আবার পূর্ণাঙ্গ লেখক হতে পারবেন। আকাশ মালিক যেমন বলেছেন, কিছুদিনের জন্য না হয় আপনার লেখা মডারেশনের মধ্যে দিয়েই গেল, একটু দেরীই না হয় হল, তাতে কি এমন ক্ষতি বৃদ্ধি? আপনার লেখার প্রকাশ তো বন্ধ হচ্ছে না। কোনটা আপনার কাছে গুরুত্বপুর্ণ পাঠকের কাছে পৌঁছানো না নিজের ঠুনকো মর্যাদা রক্ষা? আর মডারেশন হলে আপনার মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে এটাই বা ভাবছেন কেন? একজন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীও তার লেখা বিনা রিভিউতে প্রকাশ করতে পারেন না। অবিশ্বাস্য মনে হলেও কখনো ছাপার জন্য পাঠানো মৌলিক গবেষণাপত্র সম্পর্কে বিজ্ঞ রিভিউয়ারদের মন্তব্য পড়ে মনে হয় তা প্রায় ব্যক্তিগত আক্রোশের ধূসর এলাকায় পৌঁছে গেছে। এক্ষেত্রে লেখক যদি আপনার মত অসহিষ্ণূ আচরণ করেন তাহলে তো তার লেখা প্রকাশেই সমস্যা হবে। দুঃখজনকভাবে আপনার লেখা/মন্তব্য পড়ে মনে হয় খেলার নিয়ম সব সময় আপনিই তৈরী করবেন, খেলতে হলে আপনার নিয়মেই খেলতে হবে, এর অন্যথা হওয়া চলবে না। 🙁
অশ্লীল গালি গালাজ অপেক্ষা যুক্তির ভাষায় কথা বলা উত্তম। নিশ্চই মুক্তমনা মডারেটর গালিগালাজ পছন্দ করেন না -ومرشد
জামাতি পত্রিকাগুলো তাদের দেউলিয়াত্ব চরমভাবে প্রদর্শন করছে। ব্লগাররা লেখার সময় মনে রাখেন না যে তা পত্রিকায় ছাপা হবে, কিন্তু ঐ পত্রিকাওয়ালারা তাদের কিছু মন্তব্য এবং লেখা প্রকাশ করে সাম্প্রদায়িক অস্তিতিশীলতা সৃষ্টির চক্রান্তে ব্যস্ত। আমি এই ভেবে শিহরিত হচ্ছি, যদি কখনো সাম্প্রদায়িকশক্তিগুলো ক্ষমতায় যায় তবে কী অবস্থা হবে।
আজকের আমার দেশ পত্রিকায় কী লেখেছে দেখুন।
রাজিবের মৃত্যুর পর একটি নোট লেখেছিলাম ফেইসবুকে-
রাজীব হত্যায় রাজাকার ও ধর্মান্ধদের উল্লাস এবং কিছু কথা
@সৈকত চৌধুরী,
তারা একটু বলে চরকি মারতেছে আরকি! এতে কাজ হবেনা।
ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
তাহবা বাবার উপরে লেখাটা ফেসবুকে দেওয়ার পর মিথুন দাশ আমার স্ট্যাটাসে একটি চমৎকার মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন,
কথাটা খারাপ না। আমার দেশ আজকে যেটা নিয়ে ফিচার করেছে তাতে যে কেউ তাদের মানের ব্যাপারে নিঃসংশয় হয়ে যাবে। আসিফ মহিউদ্দীনের আর আরিফের কিছু ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে তারা ফীচার করে ছাপিয়েছে, আর সামু ব্লগের কোন এক টেলিসামাদের উক্তি বার কয়েক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলেছে –
‘আমার ধারণা, আল্লাহ আমার খাটের তলায় বয়া গাঞ্জা টানে’ (নাউজুবিল্লাহ)।
শেষ পর্যন্ত কোথাকার কোন টেলিসামাদের খাটের তলাই যদি আমার দেশকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারত, তবে তো হতোই। আসলে আমার দেশ আর নয়াদিগন্তের চরিত্র আমরা জানিই। যুদ্ধাপরাধবিরোধী একটা আন্দোলনকে যদি কৌশলে ধর্মীয় সুড়সুড়ি জাগিয়ে ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়া যায় আর কি! এগুলো ব্যাপার বছর দশেক আগে, যখন ইন্টারনেট আর ফেসবুক ছিল না, অনেক সফল হত। এখন আর ভাত পায় না। এই প্ত্রিকাগুলো নিজেদের দেউলিয়াপনা প্রচার করে নিজেদের পতনকেই ত্বরান্বিত করছে।
নোটটা অসাধারণ হয়েছে। এটা ব্লগে দিলেও পার। এধরণের বক্তব্যের প্রচার হওয়াটা জরুরী।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার নোটটা আগেই পড়েছি, মুক্তমনায় লেখা হিসাবে দিয়ে দিন, খুবই গোছানো ভাবে লিখেছেন নোটটা।
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ লিঙ্ক দেবার জন্যে ।
অকালে নিহত ব্লগার রাজীবের ধর্ম বিষয়ক কিছু মন্তব্য পড়েছি। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি যে ধর্ম সমালোচনা বলতে আমি যা বুঝি তাতে এমন ধরনের ভাষায় প্রচারনাকে যুক্তিবাদী আন্দোলনের অংশ বলা যায় না। যৌক্তিক ও তথ্য সূত্র বাদ দিয়ে শুধু গালিগালাজ, খিস্তি খেউড় (আমি অবশ্যই রাজীবের সব লেখা পড়িনি, এ কথাটা শুধুমাত্র রাজীবের জন্য নয়) যুক্তিবাদী আন্দোলনের কোন উপকারন তো করেই না বরং ক্ষতি করে এমনটাই সব সময় বলে এসেছি। এ তিক্ত সত্যতা মনে হয় স্বীকার করা ভাল, তাতে যুক্তিবাদী আন্দোলনেরই মংগল। এমনো আলামত শুনেছি যে জামাতিরা কেউ কেউ আন্দোলনকারী পক্ষ সেজে ব্লগে নবী রসূলকে একই কায়দায় গালিগালাজ করে নয়া দিগন্ত/সংগ্রাম/আমার দেশের রসদ যোগাড়ের দায়িত্বে আছে। কাজেই কেউ অন্য প্রসংগে আজে বাজে গালিগালাজ করলে সেটা তার নিজ দায়িত্ব, কিন্তু আন্দোলন বিষয়ে এ ধরনের আচরন করলে বুঝতে হবে যে গুরুতর সমস্যা আছে, এদের প্রতিহত করা সবারই দায়িত্ব থাকে।
আল্লাহ খোদা, দেবদেবী নবী রসূলকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিলে কোন আস্তিক নাস্তিক হয়ে যাবে (যদিও আস্তিক/নাস্তিক সবের কোন গুরুত্ব আমার কাছে নেই) কিংবা সে নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারী তার প্রিয় ধর্ম ত্যাগ করে ফেলবে এমন ভাবনা কোন যুক্তিবাদীর চেতনায় আসবে? বরং উল্টোটাই হবে। কাজেই যুক্তিবাদের আড়ালে গালিগালাজের কোন প্রশ্রয় নেই।
কথাগুলি হয়ত বেযায়গায় বলা যা অনেকের মনঃপূত হবে না।
তাই বলে শুধু মাত্র কোন ধর্ম বা ধর্মীয় চরিত্রকে গালিগালাজ করলে তাকে মেরেই ফেলতে হবে এমনকি নিজ হাতে আইন তুলে নিয়ে শারীরিক আক্রমন চালাতে হবে এটা এ যুগে হজম করা যায় না। লেখার জবাব হবে লেখাতেই, পেশীতে নয়। ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে খিস্তি খেউড় গোছের ডায়ালোগ ইগনোর করা সবচেয়ে ভাল ঔষধ।
মুশকিল হল লেখালেখির শাস্তি যে মৃত্যু হতে পারে না সেটা শুধু আইন করে নিশ্চিত করা যায় না, এটা মূল্যবোধের ব্যাপার। বাংলাদেশের মত ধর্ম শাসিত সংস্কৃতির দেশে এই মূল্যবোধ নিশ্চিত করা কঠিন ব্যাপার। সাধারন ব্লগারদের কথা কোট করে কি করবেন, হুমায়ুন আহমদের মত ব্যাক্তিত্ব হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা প্রসংগে হামলাকারী মৌলবাদীদের দোষ তেমন দেখেননি, দায়ী করেছিলেন প্রথমেই হুমায়ুন আজাদকে। আসিফ মহিউদ্দিনের ওপর হামলার পর আমাদের প্রতিবেশী প্রগতিশীল ধার্মিকদের সাইটে মত প্রকাশ হতে দেখেছি যে তাকে ধারালো কিছু দিয়ে না মেরে সলিড বা শক্ত কিছু দিয়ে মারা উচিত ছিল, কিল ঘুষি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল……। আমরা সকলেই মোটামুটি এই ধরনের লোকজন পরিবেষ্টিত সমাজের অংশ। আমি নিশ্চিত আসিফ মারা গেলে এরাই এখন সকলের আগে প্রতিবাদ লিখে ফেলবে এই ধরনে হত্যায় তাদের ধর্মের কোনই সায় নেই, কোন কারন ছাড়া শারীরিক নির্যাতন/ হত্যা কত ভয়াবহ তা নানান ইশ্বরীয় বানী দিয়ে প্রমান করে ফেলবে।
রাজীবকে মারা হয়েছে ধর্ম বা নবী বিরোধী লেখালেখির কারনে নয় এটাও সবার মনে রাখতে হবে। আরো গুরুত্বপূর্ন হল যে তার ধর্মবিরোধী কথাবার্তার সাথে বর্তমান আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই। যার যার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস/অবিশ্বাস তার তার নিজের। রাজীব আমার জানামতে শাগবাগে কিংবা আন্দোলন সংগঠনে এসব ধর্ম বিরোধী কথাবার্তা বলেনি। তার অতীতের কথাবার্তা শ্রেফ ব্যাবহার করা হচ্ছে ধর্মীয় অনুভূতি ব্যাবহার করে আন্দোলন নাস্তিক/বাম এদের ধর্ম বিদ্বেষী আন্দোলন এটা প্রমান করার জন্য।
কয়জন নাস্তিক/ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারকে দেখিয়ে আন্দোলন ইসলাম বিদ্বেষীদের ষড়যন্ত্র প্রমান করা গেলে হাজার হাজার ধর্মপ্রমান আন্দোলনকারীকে দেখিয়ে কেন এই আন্দোলন ধার্মিকদের সেটা এই চক্র প্রমান করে না? শাহবাগের আন্দোলনে ধার্মিকরা কেউ নেই এটা কোন পাগলে বিশ্বাস করবে? সংখ্যার হিসেবে তারাই নিঃসন্দেহে বেশী হবে।
রাজাকারপন্থী লেখকরা সব সময় একটি হুমকি দিত যেটা তেমন গুরুত্বের সাথে নেইনি, দেশে নাকি গৃহযুদ্ধ বেধে যাবে। তারা নিঃসন্দেহে এখন সেই চেষ্টায় আছে। এসব চিহ্নিত ডানপন্থী মিডিয়ার এসব প্রচারনার উদ্দেশ্য এমনই।
মাহমুদুর রহমানের কথা বাদ দেন। আজ মনে হল আন্দোলন নিয়ে একটু পেশাদার রাজাকারিয় কথাবার্তা পড়ি। জামাতিদের আখড়া নয়া দিগন্তে ঢুকে হোঁচট খেলাম একজন নিয়মিত কলাম লেখকের লেখা পড়ে। তিনি হলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মে. জে. (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। কোন রাস্তায় এগিয়ে যাবো? ভদ্রলোকের এই লেখা কিছুটা রূপকধর্মী, মনে হয় যা বলতে চান তা এখনো সংকোচ বশতঃ সরাসরি বলতে পারছেন না, তবে শেষ প্যারা পড়লে মনে হয় মোটামুটি বোঝা যায়। ওনার পার্টীর মেনিফেষ্টোতে দেখি উনিইই লিখেছেন,
এই একই ভদ্রলোক জামাতিদের পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন কেমন করে কেউ বোঝাতে পারবেন? অবশ্য আবছামত মনে পড়ে কিছুদিন আগে একটি ছবিতে দেখেছিলাম শিবিরের তরফ থেকে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কি নিজেরা নিজেদের চিনি?
পাপ মনে প্রশ্ন আসে, বয়স বাড়লে আজকের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকেরই কি এমন ধরনের বিবর্তন খুবই স্বাভাবিক হবে না?
@আদিল মাহমুদ,
“তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি যে ধর্ম সমালোচনা বলতে আমি যা বুঝি তাতে এমন ধরনের ভাষায় প্রচারনাকে যুক্তিবাদী আন্দোলনের অংশ বলা যায় না। যৌক্তিক ও তথ্য সূত্র বাদ দিয়ে শুধু গালিগালাজ, খিস্তি খেউড় (আমি অবশ্যই রাজীবের সব লেখা পড়িনি, এ কথাটা শুধুমাত্র রাজীবের জন্য নয়) যুক্তিবাদী আন্দোলনের কোন উপকারন তো করেই না বরং ক্ষতি করে এমনটাই সব সময় বলে এসেছি। এ তিক্ত সত্যতা মনে হয় স্বীকার করা ভাল, তাতে যুক্তিবাদী আন্দোলনেরই মংগল।”
১০০% সহমত!
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
ভাই, কোনটা কিস্তি খেউর, কোনটা সুশীল লেখা কিংবা কোনটা অশ্লীল, সেটার চূরান্ত বিচারক কে? আপনার একটা গল্প ছিল না লিঙ্গ নিয়ে, বাবার পুরুষাঙ্গ নিয়ে মেয়ে কথা বলছে – এ ধরণের কিছু। অনেকেরই কাছে কিন্তু সেটা অশ্লীল লেগেছিল।
আমি ভেবেছিলাম এগুলো ব্যাপারে আপনি আরেকটু লিবারেল হবেন।
রাজীব কেমন লিখতো, তার লেখা মানোত্তীর্ণ কিনা, তার লেখা যুক্তিবাদী আন্দোলনকে পেছনে হটিয়ে দিচ্ছে কিনা – এ নিয়ে হাজারো তর্ক করা যায়, কিন্তু একটি বিষয়ে আমরা বোধ হয় একমত হতে পারি – মত প্রকাশের জন্য মৃত্যু তার অভীষ্ট হতে পারে না।
@অভিজিৎ ভাই,
যা বললেন তা তো ১০০% ঠিকই আছে। প্রব্লেমটা কোথায়? আমি যা বলেছি তা হলো রাজিবের লেখা (তা তার নাও হতে পারে আবার হতেও পারে) আমার ভালো লাগেনি। তা আমার তো নাও লাগতে পারে। তাই না? আর এদিকে আমার লেখাটা ভালো না লাগায় কে যেনো মুক্তমনায় আমার ফ্রিভাবে লেখা ছাপানোর অধিকার নিয়ে নিয়েছে। কাজেই আমার লেখার জন্য আমাকে এক চরম মূল্য দিতে হয়েছে। যাহোক তাতে কি যাই-আসে? একটু-আধটু তো শহ্য করতেই হবে।
আমি কিন্তু সব সময়েই মানুষের মত প্রকাশের পক্ষে। তবে নোয়াম চমস্কির সাথে আমি একমত এক্ষেত্রে। সে কিন্তু একবার এক হলোকাষ্ট ডিনাইকারির বইয়ের ভূমিকা লিখেছলেন। কেন? কারন তার মতে প্রত্যেকের-ই তার নিজের বক্তব্য প্রকাশের অধিকার রয়েছে। কি দারূণ চিন্তা!!! সে জানতো যে হলোকাষ্ট ডিনাইকারির বক্তব্য সবই ভুল, তারপরও তিনি তার বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন। মত থাকলে তা প্রকাশের অধিকার থাকতেই হবে। তা সে মত কারো ভালো লাগুক আর না লাগুক।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
ইসসিরে আদনান ভাইসাহেব শেষমেশ এই ব্যাপার? :)) :rotfl: দেখি আপনার এই লেখাটা পড়ে দেখুম নি 😛
@আদনান আদনান,
প্রব্লেমটা কিছু না। আপনার ওই গল্পটা পড়ার সৌভাগ্য ( নাকি দুঃস্বপ্ন) হল আমার।এই জিনিস কেউ লেখে নাকি?যাক গিয়া এইটা আওনার ব্যাপার।তবে এইবার থেকে আর আপনার কথার তাল ধরতে যাচ্ছি না আমি। রাজীব কি লিখেছেন জানি না, তবে মনে হয় না সেইটা আপনার নষ্ট রাত্রির থেকে খারাপ কিছু।কি বলবেন যে আমি গল্প টি বুঝি নি? থাক মিয়া ভাই, আর বুইঝা কাম নাই আমার।ভাল থাইকেন।
@অভিজিৎদা,
(Y) (Y) (Y)
@আদিল মাহমুদ,
খুবই সঠিক কথা বলেছেন আদিল ভাই।একশ ভাগ সহমত।
@আদিল মাহমুদ,
\
ভাই ইসলামের শিক্ষা তো এটা না। স্বয়ং নবিজীও তার সমালোচনাকারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করতেন। আর তার যোগ্য উম্মতরাও সেটা করবে এটাই তো স্বাভাবিক। কারন নবীর সুন্নত পালন করা প্রতিটি মুমিন বান্দার জন্য বাধ্যতামূলক। যারা সেটা অনুসরণ করে না তারা প্রকৃত মুসলমান নয়, তারা মুনাফেক বা ভন্ড।
@ভবঘুরে,
ইসলামের সব শিক্ষা, নবীজির সব হাদীসের শিক্ষা/উদাহরন কি এ আমলের মুসলমানেরা পালন করে? নাকি পালন করতে পারে? মুখে যাইই বলুক, কোরান হাদীসের আদর্শের সাথেও আপোষ জেনেশুনেই করতে হয়। উদাহরন অসংখ্য দেওয়া যায়। খুব সোজা উদাহরন যেমন গান শোনে না, ছবি তোলে না এমন মুসলমান কয়জনা আছে? অথচ নবীজির ষ্পষ্ট নিষেধজ্ঞা আছে এসবের বিরুদ্ধে। যেসব মুসলমান গান শোনে, নিজেদের ছবি তোলে কিংবা ঘরে জীবন্ত প্রানীর ছবি রাখে তাদের মুসলমানিত্ব কি ছুটে যায়? তারা অন্তত নিজেরা নিশ্চয়ই মনে করে না।
বটম লাইন হল নবীজির উন্মতরা নবীজির সব শিক্ষা জেনেশুনেই পালন করে না। শুধুমাত্র কটূ সমালোচনার জন্য হামলা না করার শিক্ষা রপ্ত করলেই করা যায়।
@আদিল মাহমুদ,
আল্লাহপাক অনেক গুনাহকেই মাফ করে দেবে যদি বান্দা তার কাছে কাতরভাবে আর্জি জানায় কিন্তু আল্লাহ কখনোই তার নবী মোহাম্মদকে গালিগালাজ বা সমালোচনা করলে সেটা মাফ করবে না। আর যারা এসব সমালোচনা শুনে চুপ করে থাকে – তাদেরকে বলা হয় মুনাফেক, আল্লাহ মুনাফেকদেরকে কখনও মাফ করবে না। সুতরাং যারা বাক স্বাধীনতার নামে চুপ করে থাকে তারা হলো মুনাফেক, যারা এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয় নবীর দেখানো পথে তারা হলো সাচ্চা মুসলমান। সুতরাং মুনাফেকরা কি বলল বা ভাবল তাতে কিছুই যায় আসে না। সমাধান একটাই- হয় মুনাফেক হয়ে সভ্য নাগরিক হন না হয় সাচ্চা মুসলমান হন। মাঝামাঝি কোন পথ খোলা নেই। বাক স্বাধীনতার স্থান নেই ইসলামে সেটা বোঝা দরকার আগে। গনতন্ত্র হলো ইসলামে শিরক। সেটা কি জানা আছে ?
@ভবঘুরে,
ধর্ম বিষয়ক সূক্ষ্ম আলোচনায় আপাতত মন নেই তবে আমি ইসলামের যতটা জানি তাতে একমাত্র শিরক (আল্লাহকে কারো সাথে অংশীদার বানানো) ছাড়া এমন কোন গুনাহ নেই যা থেকে মাফ পাওয়া যাবে না।
নবীজিকে কেউ গালাগাল করলে গালাগালকারিকে মেরে না ফেললে কিংবা শারীরিকভাবে হামলা না করার ভয়াবহ গুনাহ থেকে মাফ পাবার কোন উপায় নেই এমন কোন আইন মনে হয় না কোরান হাদীসে আছে বলে। এটা ঠিক যে যে আল্লাহ/নবীকে না মানলে বা তাদের বিরুদ্ধাচরন/যুদ্ধ ঘোষনা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই এর নির্দেশ আছে তবে সে লড়াই না করার পাপ শিরকের মত অমার্জনীয় এমন কথা মনে হয় না আছে বলে।
কোরানের নির্দেশ, এমনকি হাদীসও কোনটা অবশ্যই মানতে হবে, আর কোনটা না মানলেও ক্ষতি নেই এমন কোন বিভাজন নেই। সনাতনী ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী সব আদেশ নিষেধই মানতে হবে, কেউ জেনে শুনে একটি কোনও নির্দেশ পালন করছে না মানেই সে মোনাফিক বনে যাবার কথা। সে হিসেবে কে মোনাফিক আর কে মোনাফিক নয়? চুরির শাস্তি হাত কাটা কোরানের আইন, বাংলাদেশের সব মুসলমানই বোধকরি সেটা জানে। তাও তারা এই আইন কায়েম করছে না। কিছুদিন আগে এক সার্ভে দেখেছিলাম যে দেশের ৭০ ভাগ না কতভাগ লোকে যেন বহুবিবাহকে অনৈতিক মনে করে। কোরানের নির্দেশিত রক্ত আইন কয়টি মুসলমান প্রধান দেশে বর্তমান দিনে চালু আছে? নিজেরাই কোরানের আইনে বিশ্বাস করে না দেখেই নিশ্চয়ই চালু করছে না। এখন এদের সকলে কি বলা যায়? এটা বিচারের দায় আমার নয়।
আর নবীজির জীবনী পর্যালোচনা করলে যেমন দেখা যায় যে তিনি তার সমালোচক/বিদ্রুপকারি কাউকে কাউকে হত্যা করিয়েছেন তেমনি আবার কাউকে কাউকে ক্ষমা করেছেন কিংবা কিছু বলেননি। দুইদিকেই এসব ঘটনা ইন্টারপ্রেট করা যায়।
মুসলমান মননে নবীজির অবমাননা এত বিশাল হয়ে লাগার কারন সম্ভবত নবীজির রামগড়ুড়ের ছানা বা সুপারিশ ব্যাতীত বেহেশত পাওয়া যাবে না এই ধরনের কিছু তত্ত্ব। এজন্যই ব্যাক্তি অভিজ্ঞতায় অনেককে দেখেছি আল্লাহকে গাল দিলেও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখান না কিন্তু নবীজির সামান্যতম সমালোচনা শুনলেও তেড়ে ফুড়ে আসেন। এখানে গোষ্ঠীগত ব্যাপারও আছে, যেহেতু আল্লাহ বা গড সব ধর্মেরই সাধারন কিন্তু নবী মোহাম্মদ বিশেষভাবে ইসলামের তাই মনে হয় অবমাননা বেশী করে লাগে।
@আদিল মাহমুদ,
ইসলামের সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী দুইটা রূপ আছে, সেটা আপনার অজানা থাকার কথা নয়। যে কথাটা এই মুক্তমনায়ই বহুবার আলোচিত হয়েছে। মুতাজিলা দল বা সুফি ইসলামকে রাজনৈতিক ইসলাম নৃশংসভাবে খুন করেছে। এখন তারা বিলুপ্ত। এই সুফীজম কোরান থেকেই এসেছিল। একবার চিন্তা করেন, খলিফা উসমান থেকে আলী, আয়েশা, মুয়াবিয়া হয়ে কারবালা পর্যন্ত কত লক্ষ কোটি মানুষকে খুন করা হয়েছে, তারা সবাই ছিলেন মুসলমান। এই যে চোরের শাস্তি হাত কাটা, খুনের শাস্তি গলা কাটা বা ধর্ষণের শাস্তি মাটিতে পুঁতে পাথর মেরে হত্যা এ গুলোকেও নাজায়েজ করা যায় কোরান দিয়েই। কিন্তু রাজনৈতিক ইসলাম মানুষকে তা বুঝতে বা জানতেই দিবেনা। ঘুরে ফিরে এই দুনিয়ার সব কিছুর মূলেই রয়েছে capital আর power অর্থ আর শক্তি।
@আকাশ মালিক,
এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে যে যেকোনো তর্কিত বিষয় এখানে আলোচনার জন্ম দেয়।
আপনি যে বিষয়টা উত্থাপন করেছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি বিষয়টি যেভাবে কেবল দুইপ্রকার করে দেখিয়েছেন, ব্যাপারটা বোধ করি এর চেয়ে অনেক জটিল। মুতাজিলারা তো সুফি ছিলো না। সুফিরাও মুতাজিলা ছিলো না। ঠিক বললাম কিনা? বরং মুতাজিলা মতবাদকে ঘায়েল করা গাজালি ছিলেন সুফিবাদের সান্নিধ্যে। তাছাড়া মুতাজিলারাও অহিংস ছিলেন না। অরাজনৈতিকও ছিলেন না। তারা যে আমলে শাসকের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন, সে আমলে শাসককে ব্যবহার করেছেন বিরোধী মতধারীকে খতম করতে। আবার সুফি ঘনিষ্ঠ গাজালির অনুকূলের শাসকও মুতাজিলাদের সাথে ঠিক একই কাজটাই করেছে। নুরুজ্জামান মানিকের লেখায় এ বিষয়টা সংকলিত আছে গাজালি পরবর্তী সুফিরাও শাসকগোষ্ঠির কোনো শত্রু ছিলেন না। বরং একই মুদ্রার অন্যপিঠ হিসাবে সহাবস্থানেই থেকেছেন। ইসলামের অনেক রূপ আছে। অরাজনৈতিক রূপ বলে কোনো রূপ নেই। প্রত্যেকটারই রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য আছে। সমস্যাটা হয় যখন ইসলাম বা ধর্ম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পেতে শুরু করে। তা সে যেই গোছের ইসলামই হোক না কেনো।
@রূপম (ধ্রুব),
ঠিকই বলেছেন। আমি সংক্ষেপে শুধু ইঙ্গিত করলাম শক্তি আর ক্ষমতা এ সবের উৎস। অক্ষম আর ক্ষমতাবান, সবল আর দূর্বল, বিত্তবান আর বিত্তহীনের শ্রেষ্ট উদাহরণ মুহাম্মদ। এক সময়ের আলামিন অন্য সময় তার নিকটতম বন্ধু ও উপকারী আব্দুল্লা বিন সাদের গলা কাটার হুকুমদারী। এক সময়ের অসহায়, নিরাশ্রয়, জন্মস্থান থেকে বিতাড়িত শক্তিতে চরম দূর্বল, অন্য সময় আশ্রয় দাতার দেশ দখল করে আশ্রয়দানকারীদের তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে দেন আর বিনা যুদ্ধে জন্মস্থান বিজয় করেন। এক সময়ের মেশ পালক, অশিক্ষিত, অন্নহীন এতিম অন্য সময় দু হাতে সম্পদ বিলাতে পারেন আর জগতের সর্ব শ্রেষ্ট বুদ্ধিমান, দার্শনিক বৈজ্ঞানিক হয়ে যান।
ক্ষমতা আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদের হাতে ছুরি তুলে দেয় উসমানের বুকে ঢুকাতে, মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার হাতে তলোয়ার তুলে দেয় ফাতেমার স্বামী আলীকে হত্যা করতে। ইসলাম অর্থ নাকি শান্তি কিন্তু সে বাঁচতে পারেনা অশান্তি ছাড়া, তাই বলা হয়- ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হর কারবালা কে বা’দ। তাই সুফি শাহ জালালের এক হাতে তাসবীহ অপর হাতে তলোয়ার। শুনেছি চেঙ্গিস খানের চোখের সামনে যখন তার সুন্দরী যুবতি বউকে শত্রুরা তুলে নিয়ে যায়, তিনি অসহায় বোকার মত চেয়ে চেয়ে দেখছিলেন ঠিক যেমন বাঘের মুখে হরিণী তার বাচ্চা দেখে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। চেঙ্গিস খানের পরের ইতিহাস আমরা কম বেশী সকলেই কিছুটা জানি।
আজ বোধ হয় কিছু বেশীই কথা বলে ফেললাম, স্যরি।
@আকাশ মালিক,
ইসলামের অনেক ক্ষেত্রেই দু’ধরনের চেহারা ইন্টারপ্রেট করা যায়, কোনটি প্রিভেল করবে সেটা রুপমের কথা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়; রাজনৈতিকভাবে যেটা পৃষ্ঠপোষকতা পাবে সেটাই ছড়ি ঘোরাবে। মুতাজিলারা যুক্তিবাদী এবং অত্যাচারিত হয়ে নিঃশেষ হয়ে গেলেও তারাও নেহায়েত গোবেচারা নিরীহ ছিল এমন নয়। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা যতদিন পেয়েছে ততদিন তারাও মূলধারার মুসলমানদের অত্যাচার করেছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দূর হয়েছে তারাও বিলীন হয়েছে।
ধর্মবিষয়ক বিতর্কে সব পার্টিই মনে হয় একটি সাধারন ভুল করে। আর্গুমেন্টটা এক সময় হয়ে দাঁড়ায় “ধর্মে আছে” “ধর্মে নেই”।
ধর্মের ভিত হল নড়বড়ে, তথ্য প্রমান যুক্তিভিত্তিক নয়, বিশ্বাস ভিত্তিক। একই আয়াত/হাদীস নানান ভাবে ব্যাখ্যা করে যে যেভাবে খুশী “নেই” “আছে” প্রমান করতে পারে। সে প্রমানের গতিধারা আবার যুগের সাথে পাল্টেও যেতে পারে। আর্গুমেন্ট হওয়া উচিত ইন্টারপ্রেটেশন আদৌ করা যায় কিনা বা হচ্ছে কিনা, সেটা বোঝার উপায় হল মূলধারার যারা স্বীকৃত ধর্মীয় নেতা/আলেম তাদের মতামত পর্যালোচনা করা, ঐতিহাসিকভাবে তাদের মতামতের ট্রেন্ড ট্র্যাক করা কারন মুখে যাইই বলুক এরাও যুগে যুগে ব্যাখ্যা বদল করে।
শিয়া সুন্নী ধারনা কোরান হাদীসের কোথাও নেই, অথচ আজকের এই যুগেও বিভিন্ন মুসলমান দেশে শিয়া সুন্নী নামে একে অপররের ওপর হানাহানি চলছে। ধর্মে আছে/ধর্মে নেই এ তত্ত্বীয় আলোচনায় এ সমস্যার কোন ফায়দা হবে? শিয়া সুন্নী দুই সমাজেই বড় বড় আলেম আছে, তারা জানে না কোরান হাদীসে শিয়া সুন্নী ধারনা নেই? তার পরেও কেন এসব ভেদাভেদ করে খুনাখুনী হয়ে যাচ্ছে? ধর্মে আছে ধর্মে নেই এসব বড় কথা নয়, ধর্মের নামেই হচ্ছে সেটা বড় কথা। ধর্ম মগজ ওয়ালা কোন সত্ত্বা নয় যে সে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করে। মানুষকেই নিজের মগজ খরচ করে ধর্মকে যুগোপযোগী মানবীয়ভাবে ইন্টারপ্রেট করতে হবে।
@ভবঘুরে, ওয়েলকাম ব্যাক ভাইজান 🙂
@আদিল মাহমুদ,
একমত। ভীষন! যুক্তিবাদী আন্দোলনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যাকে যুক্তির আলোয় আনার পরিপূর্ণ সুযোগ ছিল, সে অশ্লীল খিস্তি খেউর দেখে বিষম ধাক্কা খেয়ে ভয়ে পালাতে পারে।
আদিল ভাই, দিন দিন আপনার উপর শ্রদ্ধা কেবলই বাড়ছে। আপনার যুক্তিশীল চিন্তার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি আমি। ফরিদ ভাই একবার বলেছিলেন, আপনি শত্রুকেও যুক্তির সৌন্দর্য দিয়ে বন্ধু বানাতে পারেন। আপনার মত যুক্তিবাদী লোকই আমাদের কাম্য, পরম আরাধ্য! অন্তত আমরা যারা একটি যুক্তি ও বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
একুশের শুভেচ্ছা।
@কাজি মামুন,
😀
দোয়া রাখবেন, শাহবাগে গিয়ে নেতা গিরি শুরু করার এইই সময়।
ফরিদ ভাই এর এসেসমেন্ট তেমন সঠিক নয়, উনি মনে হয় নিজের কথাই বলেছেন, হেঃ হেঃ।
অনেকেই আমার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। আমি বলব এত চিন্তা করার কিছু নেই। আমার চেয়েও অনেক অরক্ষিত জীবন কাটাচ্ছেন শাহবাগের একজন নাম না জানা কর্মী, যাকে কেউ চিনে না, তিনি কোন রাস্ট্রীয় নিরাপত্তাও দাবী করতে পারবেন না। অথচ জীবন বাজি রেখে প্রতিদিনই শাহবাগে যাচ্ছেন। জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিছেন। আমি আমার জীবনের আগে তার নিরাপত্তা চাই।
ভাল থাকুন সবাই।
@অভিজিৎ, “অনেকেই আমার নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। আমি বলব এত চিন্তা করার কিছু নেই। আমার চেয়েও অনেক অরক্ষিত জীবন কাটাচ্ছেন শাহবাগের একজন নাম না জানা কর্মী, যাকে কেউ চিনে না, তিনি কোন রাস্ট্রীয় নিরাপত্তাও দাবী করতে পারবেন না। অথচ জীবন বাজি রেখে প্রতিদিনই শাহবাগে যাচ্ছেন। জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিছেন। আমি আমার জীবনের আগে তার নিরাপত্তা চাই ।”ধন্যবাদ দাদা ।কোনটা আতন্ক সৃস্টির বানী আর কোনটা সাবধান বানী ,তা আপনি ভালই বুঝেন বুঝাগেল ।
হায়, অভিজিৎদা! আপনি যদি একবার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতেন, তাহলে আজকে আপনাকে আমরা হারাতাম না।
এই মাত্র আবার বিবিসির রাত ১০:৩০ এর খবরে শুনতে পেলাম, রাজশাহীর জামাত নেতা আতাউর রহমানকে ২০ বোমার বিস্ফোরক সহ আটকানোর অপরাধে রাজশাহীর জামাত সংগঠন আগামীকাল রাজশাহী বিভাগের ৬টি জেলায় সকাল সন্ধা হরতাল ডেকেছে-
জামাত ধর্মের পরে ভর করে বাংলাদেশকে একটা নৈরাজ্যে পরিণত করতে চায় নাকী?
এরা হরতালের নামে রাস্তা হার্টের জরুরী রোগীকেও বাধা দিয়ে মেরে ফেলতেও সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করে নাই।
বাংলাদেশ বাসীর তা হলে এখন উপায় কী?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনাকে নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে আপনার সাথে মডারেশন প্যানেলের কারো কোন পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত কলহ ঘটেনি। ফলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিংবা অগুরুত্বপূর্ণ কোন মন্তব্যই অহেতুক আটকে রাখার কোন কারন এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। আপনার বহু অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য আগেও প্রকাশ করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে যদি না সেটা মুক্তমনার নীতিমালা পরিপন্থী হয়। মডারেশন প্যানেলের সদস্যরা অন্য আর কয়েকজন সদস্য পাঠকের মতই সাধারন ছাপোষা মানুষ, তাদেরও কাজকর্ম করে কেটে খেতে হয়। মাঝে মাঝে চলমান আন্দোলনেও যেতে হয় ব্লগিং-এর সময় শিকেয় উঠিয়ে রেখে। বুঝতেই পারছেন আপনার এমন অপ্রয়োজনীয় এবং অগুরুত্বপূর্ণ তাগাদা নিতান্তই অর্থহীন। আপনার প্রয়োজনীয়, অপ্রয়োজনীয় কিংবা গুরুত্বপুর্ণ, অগুরুত্বপূর্ণ সমস্ত মন্তব্যই করতে থাকুন। দেখা মাত্রই সেগুলো প্রকাশ করা হবে। যেমনটা আগেও করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।
ধন্যবাদ।
@মুক্তমনা মডারেটর,
বিজ্ঞ মডারেটর বৃন্দ, অনুগ্রহ করে কি একটা তালিকা দেয়া যায় কোনটা প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ বা অগুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ? কারন আমরা তো আপনাদের মত অত বিজ্ঞ নই যে তা সব সময় বুঝতে পারব।
ছোটবেলা থেকে প্রতিবেশী ছেলেটার সাথে বড় হয়েছি। মাঝে গ্যাপ হয়েছে ১৪ বছর, এখন সেই ছেলে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। আজ শুনলাম সে নাকি শিবির করে। এটা সে ফ্যামিলি সূত্রে পায় নি, অন্তত আমি যতদূর জানি। সমস্যাটা আসলে অন্যখানে, যার ফলে একটা সাদাসিধা ছেলে শিবিরের সদস্য হয়ে যায়। তার মনোজগতের এই পরিবর্তনটাই ভয়ানক উদ্বেগের বিষয়। তার জন্যে আমাদের যেতে হবে আরো গোঁড়ায়। বৃহৎ অর্থে শিবির নিষিদ্ধ করার দাবী করলেই সেটা সমাধান নয়, বরং সংঘাতই বাড়াবে। কাজেই এমন কিছু আমাদের ভেবে বের করতে হবে যাতে কেউ শিবিরে যোগদান না করে।
দেশের বেশিরভাগ মানুষ সংবাদপত্র আর টিভি চ্যানেলের উপর অন্ধভাবে নির্ভরশীল। সবাই যদি অনলাইনে ব্লগ পড়তো তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত। একটা সংবাদপত্রের অপপ্রচার মানে জনজীবনে এর বিশাল প্রভাব, অনলাইনে তার যতোই প্রতিবাদ হোক না কেন। অনেকেই আমার দেশের ঐ প্রতিবেদন পড়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাদের অনেকেরই অনলাইনে পড়ার সুযোগ নেই। সবচেয়ে ভালো হতো দেশের কোন দৈনিক পত্রিকায় যদি এই লেখাটি প্রকাশ করা যেতো।
যে হিটলিস্ট দেখলাম, তাদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন সম্ভবত জাফর ইকবাল স্যার। ক্যাম্পাসে তাঁর বেপরোয়া সাহসী চলাফেরাই তাঁর বিপদের কারণ হতে পারে।
অভিজিতা দা,
ধর্মের সমালোচনামূলক মুক্তমনার একটা লেখাও ডিলিট করবেন না প্লিজ।
@আকাশ মালিক,
১০০% সহমত।
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
১০০% সহমত।
পত্রিকায় শাহবাগ আন্দোলনে ইছলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের যে তালিকা দেয়া হয়েছে সেটি কী সাংঘাতিক হাস্যকর! তার পুরো লেখাটাই অবশ্য হাসির খোরাক। কাল চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা টক শো’তে দু’জন আল্লামাকে আনা হয়েছিল। একজন ইছলামী ফাউন্ডেশনের আরেকজন ইছলামী ঐক্যজোটের সম্ভবত। একজন বলছিল, পত্রিকাটি মহাপরাধ করেছে মহানবী মহাভালমানুষকে নিয়ে এসব আজে বাজে কথা পত্রিকায় ছাপিয়ে। যদিও পত্রিকায় ভালমানুষটির পক্ষেই কথা বলা হয়েছে!
এই মাত্র বিবিসি বাংলার সন্ধা ৭:৩০ এর খবরে শুনতে পেলাম, রাজশাহীর জামাতের আমীর মিঃ আতাউছ্ছামাদ রাজশাহী হতে বোম তৈরীর বিপুল পরিমান বিস্ফোরক পদার্থ সংগে লয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসে রওনা দিয়েছিলেন।
র্যাব গোয়েন্দা বিভাগ তার উপর পূর্ণ দৃষ্টি রাখতেছিল।
এরপর তিনি বিস্ফোরক সহ ঢাকা বাস স্ট্যান্ডে নামার সংগে র্যাব কর্মকর্তারা তাকে বিস্ফোরক সহ আটক করে ফেলেছেন।
আগামী কাল তাকে কোর্টে হাজির করে রিমান্ডে আনার চেষ্টা করা হবে।
ধর্মের নামে এই হিংস্রতা আর কতদিন চলবে?
তবে সম্ভবতঃ এটা এখন শেষ পান্তে পৌছে গেছে।
জানিনা এভাবে সাবধান করাটা কাপুরুষোচিত হবে কিনা , তবুও বলছি দাদা আপনিতো বাংলাদেশ থেকে অর্ধ গোলার্ধ দূরে যেখানে আছেন সেখানের সরকার হয়তো আর দশজন নাগরিকের মতন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে পারছেন। কিন্তু যারা মুক্তমনের মশাল জেলে বন্ধুর পথে আলোকের অভিযাত্রী হয়ে আলোকিত করছেন শাহাবাগ চত্বর সহ সারা বাংলাদেশ, তাদের সকলকে বলছি কিছুটা বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করুন। বিজয়ের এই দ্বারপ্রান্তে আর কোন মুক্তমনার রক্ত দেখতে চাইনা। বন্ধুর সাথেসাথে শত্রুর গতিবিধির উপরেও খেয়াল রাখুন। যারা আইটি বিশেষজ্ঞ আছেন তারা মৌলবাদীর ফেক আইডির ভাজ খুলে আসল ব্যক্তিটিকে সামনে নিয়ে আসুন।
বোঝা যাচ্ছে, আগামী কয়েক বছর মনে হয় দেশে অশান্তি লেগে থাকবে!! তবে জামাত-শিবির নিজেদের এই এক্সিস্টেনশিয়াল থ্রেট মোকাবেলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে…. সবার সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। জামাত খুব ভালভাবেই জানে দেশে তাদের গ্রহনযগ্যোতা কত কম।
অভিজিৎ দাদা সাবধানে থাকবেন প্লিজ। এদের হাত অনেক লম্বা বলেই মনে হয়। সেই সাথে আসিফ মহিউদ্দিন সাহেবও খুব সাবধানে থাকবেন।আপনি শুনলাম দেশেই থাকেন।
রাজাকার দের ফাঁসীর পাশাপাশি, ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি, পত্রিকা সহ সব কিছু বন্ধ করা দরকার সরকারের।এরা করবে কিনা জানি না। (সুবিধাবাদী এই সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিয়েছে যদিও কিছুদিন আগ থেকে প্রক্সী সার্ভার দিয়ে এটা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারছি আবার।তাহলে লাভ হল কি ইউটিউব এখন বন্ধ রেখে!)
এখন আর পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এর বাইরে আর কোন সমঝোতা মেনে নিতে রাজি নই।
আজ সকালে একজনের কাছ থেকে শুনে, এক দোকানে পত্রিকাটি দেখতে গেলাম। ব্লগাররা এসব লিখে যদি ইসলামের ক্ষতি করে থাকে। তো মাহচুদির রহমান পত্রিকায় আবার প্রকাশ করে কি ইসলামের সেবা করেছেন। নাকি আরো ক্ষতি করেছেন? কিন্তু যাদের কাছে এই পত্রিকা পৌঁছবে তারা বেশির ভাগই ব্লগ বিষয়টা জানে না, বুঝে না । তাই তাদেরকে হয়তো বিভ্রান্ত করতে পারবে।
ধর্মকারী ডটকম ওয়েবসাইটটি কি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে? 🙁 । মুক্তমনার কিছু হবেনা তো ?? 😕
@নোবেল, প্রক্সি দিয়ে ঢুকুন ধর্মকারী তে।
@অর্ফিউস,
ধন্যবাদ । আমি পেরেছি
:clap :clap :clap
@নোবেল,
নিশ্চিত থাকতে পারেন। আমরা ‘মুক্তমনারা’ বেঁচে থাকতে মুক্তমনার কোন ক্ষতি হতে দেব না। অন্য ব্লগের সাথে মুক্তমনাকে এক পাল্লায় মাপাটাও উচিৎ নয়।
@সংশপ্তক,
সেটাই যেন হয় । (Y)
আমরা মানুষ প্রজাতি নিজের মধ্যে আস্তিক-নাস্তিক,মুসলমান-হিন্দু-খ্রীস্টান-ইহুদী,ক্যাপিটালিস্ট-কমিউনিস্ট কত না দ্বন্দ সৃষ্টি করেছি;কেউ আর ‘শুধুই মানুষ’ হতে পারলামনা।
তারপরেও রাজীব হায়দারের মৃত্যুর পর যখন এটা জামাত-শিবিরের কাজ ছাড়া অন্য কোন কারো কাজ হতে পারে বলে মনে হয় না তখন অমি পিয়ালের মত মানুষের স্ট্যাটাসে যখন দেখতে পাই,খুনি জামাত-শিবির না বরং সর্বহারা নামক একটি দলের গ্রুপ এবং খুনটা হয়েছে ছবির হাট কেন্দ্রিক এক দ্বন্দকে কেন্দ্র করে।পরে তিনি আনিস রায়হানের বিরুদ্ধেও উষ্কে দেন।আমার প্রশ্ন হল,যখন একের পর এক মুক্তমনাদের উপর হামলা হচ্ছে তখন কি ঐক্য কাম্য নয়?আসিফ মহিউদ্দিনের উপর হামলার দায় কেউ একজন অমি পিয়ালের বলে প্রচার করেন,রাজীব হায়দারের হত্যার দায় আরেকজন মুক্তমনার উপর চাপানো হয়,তাতে আমরাই কি নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে খুনিদের সুযোগ করে দিচ্ছি না?
আর সরকার যা বলছে নিরাপত্তার জন্য গার্ডের কথা;গার্ড বা অন্যকিছুর কথা বলে লাভ আছে বলে হয়না,সমাজ যতদিন মুক্তচিন্তার জন্য নিরাপদ নয় ততদিন আমরা কেউই নিরাপদ নই।
@সাদিয়া মাশারুফ,
এইটা আমারো কথা।যদি শুধুই মানুষ বলে আমরা ভাবতে পারতাম নিজেদের, তবেই এইসব সমস্যা থাকতো না, নিদেন পক্ষে মানুষকে খুন হতে হত না ধর্ম অথবা যেকোন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য।কিন্তু এইটা আপনি কয়জনকে বুঝাবেন। আর বর্তমানে এই জাতিগত বিদ্বেষ মুসলিমদের মধ্যে যে খুবই বেশি, এটা আমরা কমবেশি সবাই জানি।আর সবচেয়ে হতাশার কথা হল, সহসাই এ থেকে মুক্তির রাস্তা নেই। :-s
অভিজিত কখনই জামাতিদের বিরুদ্ধে বা কোন দিন কনও ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন নাই। কারন উনি ধর্ম কর্মের থেকে বিজ্ঞান নিয়েই থাকতে পছন্দ করেন এবং লেখেন। জামাতিরা য়েন হুজুগে না মাতেন। জামাতিরা য়েন “আমার দেশ” পত্রিকার মত আক্কেল না হারান।
২০১১-তে জামাতিরা আমাকে প্রায় ৪৮ ঘন্টা ধরে রাখে। আমি জান বাঁচাতে মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত হই। আমি যা বলি তার সামান্য হলেও বাস্তব অভিজ্ঞতার থেকে বলি। আমার কাছে থিওরির মূল্য বাস্তবের থেকে অনেক কম!!!
যদিও আমি চাই এদের পতন এখনই, আমি বুঝি তাদেরকে হাতে না মেরে ভাতে মারলেই কাজ হবে বেশি। আর বর্তমান সরকার যদি সৎ হয় তবে তা তারা করতে পারে ২/৪-দিনের মধ্যেই। কিন্তু সরকারের উপর আস্থা রাখার সাহস আমার কখনই হয়নি।
অভিজিৎ ভাই আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে। আমি আমেরিকার সরকারের উপরও আস্থা রাখিনা। কে জানে রে ভাই এই দুনিয়ায় কে কি খেলা খেলছে! জামাতিদের সাথে আমেরিকার সরকারেরও যে কি সম্পর্ক আছে তা কে জানে? যাহোক আমার বাড়ির দরজা আপনার জন্য খোলা। একটা এ-মেইল ছুড়লেই হবে। আর হ্যাঁ আমার বাড়িতে ৪-টা সিকুউরিটি ক্যামেরা আছে, যার দু’টো হিডেন। এটা আপনিও অবশ্যই করবেন কালই। অনেকের সাথে আমারও অনুরোধ।
শুনছি থাবা-বাবা নাকি অনেক বাজে কথা বলেছে হযরতকে। কিছু পড়েছিও। জানিনা তার লেখা কিনা। আমার কাছে যতটুকু পড়েছি তা কুরুচিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে; কিন্তু লেখার, বলার, আর ছাপানোর অধিকার সকলের রয়েছে, তা সে যেমন লেখাই হোক না কেনো। অভিজিৎ ভাই আপনি থাবা-বাবার মতো (?) কিছুই লেখেন নি, কিন্তু তার পরও তারা আপনার পিছনে লেগেছে কারণ আপনি মুক্তমনা করে আমাদের বলার একটা জায়গা করে দিয়েছেন। আমাকে আপনার সাথে থাকতেই হবে, কেননা আমি মনে করি মুক্তমনা আমাদের দেশকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। যদিও আমি আপনার অনেক মতের সাথে একমত না, তারপরও আপনার জন্য আমার বাড়ির দরজা খোলা থাকবে সব সময়।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
ইনার ব্যক্তিগত কোন ওয়েবসাইট আছে কি? থাকলে কি একটু দিবেন দয়া করে? দেখতাম যে কি এমন কথা বলার জন্য তাঁকে নিহত হতে হল?
ভাই অর্ফিউস,
যেখানে পড়েছিলাম সেই সাইটটা আর খুঁজে পাচ্ছিনা। ওগুলো না পড়লে আপনার কোন ক্ষতি হবেনা। সত্য-মিথ্যা জানিনা। আমি তার কোন সাইটে এগুলো পড়িনি। এ লেখাগুলো তার হলেও আমি বলবো এগুলো কুরুচিপূর্ণ। তবে আগেই বলেছি, “কিন্তু লেখার, বলার, আর ছাপানোর অধিকার সকলের রয়েছে, তা সে যেমন লেখাই হোক না কেনো।”।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
হুম, বুঝলাম।সে অধিকার সবার আছে সেটা আমিও স্বীকার করি, তবে কুরুচি পুর্ণ যেকোন কথার আমি বিরোধিতা করি ভাই, সে যে কেউ বলুক না কেন।তবে এটা সত্যি খুব হতাশা আর আতঙ্কের ব্যাপার যে রাজিব কে খুন হতে হল।একমাত্র ঠান্ডা মাথায় খুনের সাজাই খুন( যদিও আপনি এরও বিরোধী;যেমন রাজাকার দের ফাসী, যাক এই নিয়ে এই লেখায় আর কথা না বাড়াই), তাছাড়া আর কোন অপরাধে মানুষ খুন হোক এটা কোন সুস্থ মানুষ চাইবে না। 🙁
@অর্ফিউস,
আগেই বলেছিলাম!
@আদনান আদনান,
আপনার উদ্দ্যেশ্য টা খুব ভাল, যে আপনি অভিদা কে আমন্ত্রন জানিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে আমিও কিন্তু সঠিক কি বলেন? আপনি আসলেই দুর্গে বাস করেন 😉
@অর্ফিউস,
এখন আমার সত্যি অভিজিৎ দা’র জন্য আশংকা হচ্ছে!
@ফারহানা আহমেদ, আশঙ্কা মনে হয় সবারই হচ্ছে, তবে ওই হিটলিস্ট ভুয়াও হতে পারে, হতে পারে যে ওইটা একটা ফেক হিট লিস্ট, আসল হিটলিস্ট টা হয়ত আরো বড়।কে জানে শিবিরের কর্মকাণ্ড বোঝা বড়ই দুষ্কর। আর আপনার আশংকা কেন হচ্ছে? আদনান তার বাড়ীতে অভিদা কে আতিথ্য দিতে চেয়েছেন তাই( ভুল হলে ঠিক করে দিবেন)? 😛 । নাহ আমার মনে হয়না যে এই ব্যাপারটায় ভয়ের কারন আছে। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন। 🙂
@আদনান আদনান,
তো কিতা অইছে? কার বাল ছিড়া গেছে আমারে কন। ছিহ, মুক্তমনা, ছিহ। সুশীল! চুপ থাকেন চুপ, এক্কেবারে চুপ।
অভিজিত ধর্মের বিরোদ্ধে লিখে নাই, অভিজিত সাবধানে থেকো, সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগাও, ইদুরের গর্তে ঢুকো, এই না আপনাদের সাজেশন? সুশীলের খ্যাতা পুড়ি, থুহ, একশোবার থুহ, হাজারবার থুহ। যে নপুংসক কাপুরুষেরা বলে এর সাথে ইসলামের সম্পর্ক নাই, মুতি আমি তাদের মুখে। আরিফ সহ অনেক ছদ্ধ নামের লেখকদের আইপি এড্রেস, বাসার ঠিকানা সব তারা বের করে ফেলেছে। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন যারা ইসলামের সমালোচনা কোনদিন করেন নি, আপনাদের কিচ্ছুই হবেনা।
ভাই আকাশ মালিক,
আগেই বলেছি, “লেখার, বলার, আর ছাপানোর অধিকার সকলের রয়েছে, তা সে যেমন লেখাই হোক না কেনো।”।
না পড়েই মন্তব্য করেন আরকি! তা তো করবেন-ই। আপনাকে তো আরো অনেক জায়গায় মন্তব্য করতে হয় অনেক নামে অনেক পরিচয়ে। চালিয়ে জান আরকি! আপনার জন্যেও বলবো, “লেখার, বলার, আর ছাপানোর অধিকার সকলের রয়েছে, তা সে যেমন লেখাই হোক না কেনো”।
আপনার উদ্দেশ্য ভালো না আকাশ ভাই। আপনি কায়দা করে দেশ ও দেশের নতুনদেরকে একটা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আপনি ধরা পড়ে গেছেন আমার কাছে। আমার সব সময় একটা ধারনা ছিলো আপনি জামাতের লোক। এবার এটা আরো পোক্ত হয়ে গেলো।
অত্যান্ত চক্রান্তকারি মানুষ আপনি একজন। মুক্তমনায় ঢুকে বসে আছেন ভালো মানুষটি সেজে!
আমি যা বলছি তা অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। আপনাকে হাতে মারার আমার কোন ইচ্ছে নেই, কারন আমি জানি আপনার মতো লোককে ভাতে মারলেই মোক্ষম হয়।
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক, আরে ভাই থামেন থামেন 🙂 ।আপনিও শেষ আঞ্চলিক ভাষা শুরু করলেন সাইফুল সাহেবের মত 😀 ?মুহাম্মদ কে যদি আজে বাজে কথা বলেই থাকেন রাজীব সাহেব, তবে আমি মনে করি যে সেই অধিকার তাঁর ছিল।মুহাম্মদ এমন কোন গুনী ব্যক্তি না যে তার সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না!এমনকি হাজার গুনী ব্যক্তি সম্পর্কেও যেকোন কথা প্রমান সম্পর্কে বলা যায়,আমিও এর পক্ষপাতি।আর আমি আদনান সাহেবের বিশেষ কিছু মতের ঘোর বিরোধী হলেও , উনার এই কথায় তো নেগেটিভ কিছু দেখলাম না।উনি তো বলেই দিয়েছেন যে যে কোন কিছু বলার বা লেখার অধিকার সবাই সংরক্ষণ করে! কাজেই মুহাম্মদ কে বাজে কথা বলা যাবে না এমন দাবী উনি করেছেন বলে কিন্তু মনে হল না!
@অর্ফিউস,
পড়ুন,
এমনকি হাজার গুনী ব্যক্তি সম্পর্কেও যেকোন কথা প্রমান সহকারে বলা যায় 🙂
@অর্ফিউস,
Ibn Warraq-এর The Quest for Historical Mohammed পড়লে আরো ভালো বোঝা যাবে যে মোহাম্মদ কি চিজ ছিলো।
http://www.amazon.com/The-Quest-Historical-Muhammad-Warraq/dp/1573927872/ref=sr_1_7?ie=UTF8&qid=1361298998&sr=8-7&keywords=ibn+warraq
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক, আমার খুব পছন্দ হয়েছে, এ্ভাবে এই ভাষাতেই বলতে হবে।
@আদনান আদনান,
ভীষন একমত। ভীষন।
আর, “সাবধান থাকবেন”, “সতর্ক থাকবেন” … ইত্যাদি কথাবার্তা মুক্তমনাদের কারো কাছ থেকে শুনতে চাই না। পরিস্থিতি এখন ক্রিটিক্যল; প্রত্যেকেই এডাল্ট- জানে, কিভাবে থাকতে হবে বা চলতে হবে। হুদাই- সাবধান করার বা সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দেয়ার দরকার নাই। এগুলো করে আপনারা আপনাদের ভয়রে কেবল অন্যের মধ্যেই সঞ্চালন করছেন তা না, এর মাধ্যমে আপনারা বিরোধী পক্ষরে আরো শক্তিশালী করতেছেন …..
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
সহমত। সবার বোঝা দরকার।
@নাস্তিকের ধর্মকথা, সহমত
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
কেন ভাই, আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা একটু সাবধানে থাকতে বললে সমস্যা টা কি?সাবধানে থাকা মানে তো পালিয়ে থাকা না।ভাল কথা আপনাকে একটা প্রশ্ন আগেও করেছিলাম, দেখেন নি মনে হয়। জবাব দেবেন প্লিজ, জবাব দিলে খুব খুশি হব।আপনি ধর্ম নিয়ে আর লেখেন না কেন?আমি আপনার লেখার ভক্ত।মুক্ত মনার সাথে আমার পরিচয় ঘটে আপনার ধর্ম ভিত্তিক লেখার মাধ্যমে।
ব্যক্তিগতভাবে আমরা কি ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি???? ভয় পেয়ে, আমাদের লেখা কমিয়ে দিয়ে, পুরাতন নাস্তিক্যবাদী লেখা ডিলিট করে, সাথে এক দুজন বডিগার্ড নিয়ে চলাচল করে কি নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব????
আমার মনে হয়- এসবে আরো বিরোধী পক্ষকে উৎসাহিত করাই হয়! সামান্য ভয়ও যদি ওরা আমাদের ধরাতে পারে- তবে ওরা মোরালি আরো বুস্টাপ হবে। এইরকম সময়ে খুব করে দরকার- আমাদের কাজ আগের মতই চালানো, এবং নিজেদের মধ্যে সংহতি আরো জোরদার করা। ঐক্যই একমাত্র এই মুহুর্তের প্রধান সহায় হতে পারে বলে আমি মনে করি। আর, আমাদের নিরাপত্তা বিধানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের। সেটা সমস্বরে, জোর গলায় সরকারের কাছেই চাইতে হবে।
next target? আসিফ মহিউদ্দীন??
http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=120971
আমার দেশের এজেন্ডা মনে হয় আরো অনেক। তারা মুক্তচিন্তার পিছনে কোমর বেঁধেই লেগেছে। আজকে তাদের আরেকটা খুবই বাজে ভাষায় ইনিয়ে-বিনিয়ে লেখা রিপোর্ট দেখলাম, “ধর্মদ্রোহী নষ্ট তরুণের প্রতিকৃতি ব্লগার রাজীব : হত্যাকাণ্ডের রাতে তানজিলা ছিল রাজীবের বাসায়।” সেখানে পুরো রিপোর্টের লাইনে লাইনে বিভিন্ন রংচটা বিশেষন যুক্ত করে রাজীবকে নষ্ট তরুন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চলেছে। রণদীপম দা’র সচ্লায়তনের লেখা দেখে জেনেছিলাম, রাজীব সিগারেট খেতেন না। কিন্তু আমার দেশ মিথ্যা যুক্ত করতে করতে এটাও যোগ করে দিয়েছে।
একজন বখে যাওয়া তরুণের যে সকল ক্ল্যাসিক্যাল সামাজিক দোষ থাকে তার সবগুলোই কোন না কোন ভাবে রাজীবের নামের সাথে যুক্ত করে দিয়েছে। রাজীবের কিছু নারী বান্ধবীকে নিয়েও বাজে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা রটানো হচ্ছে। এসব ভিক্তিহীন খবরের মাঝে আমি ভবিষ্যত কুপরিকল্পণা দেখতে পাচ্ছি। প্রথম থেকেই শাহবাগের নারীদের নিয়ে কটু কথার অন্ত ছিল না। তাদের এমনি ভাব, এখন যেহেতু রাজীব শাহবাগের আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত, তাহলে তার চরিত্র কোনভাবে খারাপ প্রমাণ করা মানেই দাঁড়াবে শাহবাগের সব তরুণ তরূণীর চরিত্র খারাপ। আর যেহেতু সে নাস্তিক, তাহলে তাকে দেওয়া যে কোন অপবাদই সত্য! আর যেহেতু সে নাস্তিক তার সকল নারী বান্ধবীরাও খারাপ চরিত্রের!
আমার দেশের এই মহিলা রিপোর্টার সুড়সুড়ি মার্কা রিপোর্টি দিয়েছেন জনগনকে আরো বিভ্রান্তিতে ফেলতে। ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজে শাহবাগের বিভিন্ন ছবিতে কাটপিস করে মেয়েদেরকে হেনস্থা করার চেষ্টাও চলছে। মা-বাবাদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে যেন তাদের মেয়েদের শাহবাগের অশ্লীলতায় না পাঠানো হয়। মধ্য বয়স্ক মা বাবাদের কে বোঝাবে ফটোশপ! ইদানিং “আমার দেশ” পড়া হচ্ছে, তাই বলতে পারি না এরা বরাবরই এরকম কুরূচীপূর্ণ লেখা দেয় কিনা! কিন্তু সময় থাকতে এগুলোও প্রতিহত করতে হবে।
আমাদের দেশে থেকে শকুনেরা আমাদেরই হিট লিস্ট বানায় আর আমরা আরো মৃত্যুর প্রতীক্ষায় জেগে উঠি না। কত মৃত্যুর পরে আমাদের ঘোর কাটবে, আর কত মৃত্যুর অপেক্ষায় আছি আমরা?
২০১১ সালের কথা মনে পড়ে কিভাবে আমি পালিয়ে বেড়াতাম । অভিযোগ একটাই ছি্ল । এখনো যে আমার উপর ক্ষোভ নেই তাদের তা নয়, যতদুর জানি এখনো তাদের সেই ক্ষোভটা আছে। সাবধানতা এখনো অবলম্বন করতে হচ্ছে।
অভিজিৎ দা, এই ধর্মান্ধরা সব জায়গায় আছে, তাই একটু সা্বধানতা আমেরিকাতেও থেকে অবলম্বন করা উচিত।
“অতীত সাক্ষী – এরা সব সময়ই মরার আগে শেষ কামড় দিতে চেষ্টা করে। ৭১ এ বিজয় দিবসের দুই দিন আগে কি তারা কেন বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে উঠেনি? কিন্তু পেরেছিল কি তাদের সম্ভাব্য পতন ঠেকাতে? মনে আছে স্বৈরাচারের পতনের ঠিক আগে কি ভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল ডাক্তার মিলনকে? এগুলো আলামত। তাদের অন্তিম সময় সমাগত।” সহমত। আপনার লিখাটিতে আপনি বাংলাদেশ সংবিধানের দফা-৩৯ এর বর্ণনা দিয়েছেন (আমার হাসি আসছে)! আপনি তো অগ্রজ; আপনার তো জানা আছে, দেখা আছে জলের কোন রং থাকে না। তবুও, সাহস করে বলেই ফেলি এই সংবিধান কেউ মানে না, হোক সে সরকার হোক সে বিরোধী দলের। তবে, ব্লগার রাজীব হত্যার ক্লু চরম ??????????? রাস্ট্র চরম পদলেহী ওদের। তাই সব মুক্তমনা যারা অখন্ডে মত্ত তাঁরা মরুক আর মরতে রাজী না থাকলে চলুন জোরে আওয়াজ দেই, আরো জোরে, যে আওয়াজে বাঁধ ভাঙ্গে।
বিপ্লব পাল বলেছেন,
”অভিজিত আমেরিকাতে নিজেকে সেফ মনে করছে। সহমত নই। বরং আমেরিকাতে বাংলাদেশী উন্মাদ জামাতির কোন কমতি নেই। আমেরিকাতে কমতি নেই বন্দুকের-না কমতি আছে শহিদ হওয়ার লোকের। ওর ও সাবধানে থাকা উচিত। এটলিস্ট বাড়িতে সিকিউরিটি ক্যামেরা সিস্টেম বসানো উচিত।”
আমি বিপ্লব পালের সাথে সম্পূর্ন সহমত পোষন করছি।
জয় হোক মুক্তমনের, ছড়িয়ে পড়ুক মুক্তমনের মুক্ততা- সবখানে।
জয় বাংলাদেশ।
ওরা বুঝে গিয়েছে, সাধারণ সুরসুরি দেয়া লেখকেরা তাদের শত্রু নয়। সর্বনাশ যদি কেউ ঘটিয়েই থাকে তবে তারা হলো মুক্তমনারা। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যারা লেখালেখি করে না, তাদের নিয়ে তেমন একটা মাথাব্যাথা নাই ওদের। যতো সমস্যার মূল এইসব ব্লগীয় লেখকেরা যাদের দ্বারা লোকজন আজকাল দারুণ প্রভাবিত। সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে খুব সহজেই ধর্মের মুড়ি-মুরকির কথা বলে কাবু করে ফেলা যায় যা একজন মুক্তমনাকে করা সম্ভবপর নয়। তাইতো আজ যে করেই হোক স্তব্ধ করে দিতে চায় ওরা কী-বোর্ডের খটখট আওয়াজ।
এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। একটা ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের অভাব অনুভব করছি এই মুহুর্তে। মুক্তমনারা কেমন যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন আন্তর্জালে। খুব কি খারাপ হয় যদি একটা প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ানো যায়। সেই প্লাটফর্ম কথা বলবে মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে, পাশে দাঁড়াবে সহ-যোদ্ধার।
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের মাঝে মুক্তমনের চর্চা যেভাবে শুরু হয়েছে “মুক্তমনা’র” মতো ওয়েবসাইট আর দারুন কিছু লেখকের হাত ধরে, সেই পালে হাওয়া যেন না পড়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখাটাও জরুরী বলে মনে করি। ব্যাক্তিগতভাবে পরিচিত অনেককে দেখেছি, ভেতরে ভেতরে মুক্তমন লালন করলেও অতিধার্মিক আর জামাত-শিবিরের মতো বকধার্মিকদের আস্ফালনে বাইরে তা প্রকাশ করতে পারেন না। এর একমাত্র কারণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা।
অভিজিত দা’কে অনুরোধ করবো, ব্যাপারটা নিয়ে প্লিজ ভাবুন। আপনার মতো লেখকদের লেখা পড়ে পড়ে এখন যে মুক্ততা অনুভব করি মনের মধ্যে, আমি চাই সবাই এর স্বাদ আস্বাদন করুক। ফায়দাবাজদের আস্ফালনে আর নিরাপত্তাহীনতায় এই মুক্ত প্রাণের চলা কোনোভাবেই থামতে দেয়া যাবে না। আমরা আর আসিফদের দেখতে চাই না মৃত্যুমুখে পতিত হতে, আর চাই না অকালে থাবা বাবাদের হারাতে। আপনারা দাঁড়ান, আমরাও দাঁড়িয়ে যাবো। বিনা যুদ্ধে নাহি দেবো সূচ্যগ্র মেদিনী।
জয় হোক মুক্তমনের, ছড়িয়ে পড়ুক মুক্তমনের মুক্ততা- সবখানে। জয় বাংলা!
ব্যাপারটা যখন এই পর্যায়ে চলে এসেছে, যেটা প্রায় গোপন গৃহযুদ্ধে পর্যবাসিত, সরকার কোন ভাবেই এর সুরক্ষা দিতে পারবে না। আমার ত মনে হয় ব্লগারদের পেন ছেরে এখন আত্মরক্ষার জন্যে ট্রেনিং নেওয়া উচিত। যেমন ক্যারাটে শেখা। বা লাইসেন্সড রিভলবর রাখা। সব সময় দলে দলে বেড়োনো। অন্ধকারে অপরিচিত জায়গায় না যাওয়া। লঙ্গার গুরোর স্প্রএ রাখা।
এছারা অনেক পারসোনাল সিকিউরিটি ডিভাইস পাওয়া যায়-যেমন ডিসট্রেস সিগনাল পাঠানোর সিস্টেম ইত্যাদি।
এবং একই সাথে সম্ভাব্য সব ধর্মীয় উগ্রবাদি জামাতিদের ফেসবুল এবং ইমেল হ্যাক করে দেখা উচিত তাদের কাছ থেকে আগাম খবর পাওয়া যায় কিনা।
এটা এখন যুদ্ধ। যুদ্ধে সরকারের কাছে আকুতি মিনতি করার চেয়ে “ডিফেন্স” বানানো অনেক বেশী বুদ্ধিমানের কাজ। যুদ্ধে পেনের থেকে স্ট্রাটেজি অনেক বেশী কার্যকর। স্ট্রাটেজির প্রথম ধাপই হওয়া উচিত দলবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ টিম তৈরী করা।
অভিজিত আমেরিকাতে নিজেকে সেফ মনে করছে। সহমত নই। বরং আমেরিকাতে বাংলাদেশী উন্মাদ জামাতির কোন কমতি নেই। আমেরিকাতে কমতি নেই বন্দুকের-না কমতি আছে শহিদ হওয়ার লোকের। ওর ও সাবধানে থাকা উচিত। এটলিস্ট বাড়িতে সিকিউরিটি ক্যামেরা সিস্টেম বসানো উচিত।
আরেকটা কাজ ত অবশ্যই করা উচিত। শিবিরে ছেলে পুলেরা যাতে কোথাও কোন ভাবে চাকরি না পায়, সেটা নিশ্চিত করা উচিত। ভাতে টান আদর্শবাদের থেকেও কঠিন। যুদ্ধে শুধু গুলি চলে না, ভাতে মারার স্ট্রাটেজি সর্বদাই বেশী কার্যকর।
@বিপ্লব পাল,
সহমত ১০০ ভাগ।
বিপ্লব ভাই,
“ভাতে টান আদর্শবাদের থেকেও কঠিন। যুদ্ধে শুধু গুলি চলে না, ভাতে মারার স্ট্রাটেজি সর্বদাই বেশী কার্যকর।”
কাজের কথা বলেছেন। দেশের যা অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার অবস্থা তাতে করে আসলে এটাই এক মাত্র পথ।
ধন্যবাদ।
বিপ্লব ভাই,
“ভাতে টান আদর্শবাদের থেকেও কঠিন। যুদ্ধে শুধু গুলি চলে না, ভাতে মারার স্ট্রাটেজি সর্বদাই বেশী কার্যকর।”
কাজের কথা বলেছেন! দেশের যা অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে করে এটাই আসলে একমাত্র পথ।
ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল,
শতভাগ একমত ।
@বিপ্লব পাল,
এটা হবে না।সরকার বদল হলেই দেখবেন যে এরাই চাকরি পাবে বেশি। বিএনপি আর জামাতে রাজনৈতিক বিয়ে আজো টিকে আছে,এটা জানেন আপনি।
@বিপ্লব পাল,
সহমত। যারা লাখ লাখ ডলার, পাউন্ড খরচ করে যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করতে পারে, খুনী ভাড়া করতে তাদের আর কত বেগ পেতে হবে ? ওই দেশেও সাবধান থাকতে হবে কিন্তু দেশে এলে কি হবে কে জানে !!!
@বিপ্লব পাল, সহমত (Y)
@বিপ্লব পাল,
দুঃখের কথা কি আর বলব দাদা, আজকের শিবির হবে আমাদের দেশের ভবিষ্যত আমলা,সচিব।এই বাংলাদেশ এর আগে রাজাকার দের মন্ত্রী হতে দেখেছে আবার নামিয়েও দিয়েছে কিন্তু আমলাদের ত আর এভাবে নামানো যাবে না।
আমাদের দেশে বিসিএস এ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে জানেন মনে হয়? সেই কোটায় আমার জানা মতে একজন শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ছাত্র নেতা এইবার চান্স পেয়েছে এবং জয়েন ও করেছে।তার ছোট ভাই আমাদের সাথে পড়ে , বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আর এখন করে শিবির।
আওয়ামীলীগ ক্ষ্মতায় থাকতে যদি এইটা সম্ভব হয় তাহলে আর ওদের চাকরি কিভাবে আটকাবে ??
সাবধানে থাকবেন, অভিজিৎ ভাই।
হত্যার হুমকি নিয়ে ঘুমানোর চেয়ে দুঃস্বপ্নও অনেক সুখের।
ছয় বছর আমাকে তাড়া করেছিলো।
@রূপম (ধ্রুব),
অনেক ধন্যবাদ। আপনার মত নিরীহ পাবলিকরেও কেউ তাড়া করতে পারে – আপনি বলার আগে বিশ্বাস করতাম না।
@অভিজিৎ,
কী বলবো কন? আমরা কি সবাই-ই নিরীহ না? আমরা তো আক্রমণাত্মক হবার জন্য হুমকির মুখে তা নয়। স্রেফ অবিশ্বাসের কারণে। ফলে আপনাকে হিটলিস্টে দেখে সত্যিই অবাক হই নি।
আমার ঘটনা নিয়ে সচলায়তনে লিখেছিলাম। এখানে দেখুন –
একজন আব্দুল আজিজের চলতে থাকা জেহাদ
সংক্ষেপে – বুয়েটে চান্স পাবার পর একজন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থীকে পড়াতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি একজন উঠতি জেহাদি। খুঁচিয়ে বের করলো – আমি নাস্তিক। তারপর নিজের পরিচয় দিলো। সে সময় আওয়ামী লীগের ফার্স্ট টার্ম। শেখ হাসিনার বিষোদগার করলো মাদ্রাসায় আর খালেদা জিয়ার আমলের মতো অস্ত্রের ট্রেইনিং নেয়া যায় না বলে। শেখ হাসিনাকে মারার প্ল্যান চলছে। জানালো যে তার জেহাদগুরু তাকে আমার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তার গুরুর হাতে নাকি নাস্তিক বুদ্ধিজীবীদের (যেমন হুমায়ুন আজাদ, শামসুর রাহমান) লিস্ট আছে। যেদিন জেহাদের ডাক আসবে সেদিন আমাকেও দেখে নেয়া হতে পারে। আমি তাকে বিজ্ঞানের পথে আনার চেষ্টা চালাই। সে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা সে আর দেয় না। একটা আনরেজিস্টার্ড মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। এরপর শেখ হাসিনার উপর বোমা হামলার চেষ্টার কথা শুনে টনক নড়ে যায় আমার। এর আগে আমি তাকে আরো কম সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম। সে এরপর পাঁচ ছয় বছর ধরে আমার আগের এমন কি নতুন বাসায় আসতো তার সাথে কামরাঙ্গীর চরে িনয়ে যেতে। সাথে আসন্ন জেহাদের কথা স্মরণ করিয়ে দিতো। তারপর জেএমবির উত্থান মিডিয়াতে আসে। মহা ধরপাকড় শুরু হবার পর বেচারার আর খোঁজ নেই।
লেখাটা এখানেও দিবো কিনা ভাবছিলাম গতকাল। পরে ভাবলাম, নাস্তিকের ধর্মকথাও নিচে যেমন বললেন, মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়েতো লাভ নেই। যেদিন থেকে নিজের নাস্তিক পরিচয় অভয়ে জানাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেদিনই ঠিক করে ফেলেছিলাম যে এইসব অবধারিত হয়ে থাকবে। আমলে না নিলেও চলবে। আপনারও এই মানসিক প্রস্তুতি আছে বলেই বিশ্বাস। এসবের ভয় পেলে তো লিখতেই আসতাম না আমরা। বিশেষ করে আপনি যখন সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ দিনগুলোতে বাংলায় একমাত্র মুক্তবুদ্ধির সাইট হিসেবে মুক্তমনাকে টিকিয়ে রেখে লড়ে গিয়েছিলেন।
@রূপম (ধ্রুব),
আমি মন্তব্য করার সময়ই ভাবছিলাম, আপনার আব্দুল আজিজকে নিয়ে লেখাটার কথা হয়ত বলবেন।
লেখাটার লিঙ্ক আগেও এখানে কোথাও দিয়েছিলেন, সেই সূত্রে পড়া হয়ে গিয়েছিল। আপনার অন্য সব লেখার কথা মাথায় রেখেও বলছি – ওই লেখাটা আপনার অন্যতম সেরা লেখা। পড়ার সময়ই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে শেষ প্যারাগ্রাফটা – যেখানে আবুল আজিজ এবং তার মা আগের মতোই পান খাওয়া দাঁতে হাসতেন, ঐ জায়গাটা অসাধারণ।
দিয়ে দিতে পারেন মুক্তমনায় কোন এক সময়।
@রূপম (ধ্রুব),
কিছু কিছু লেখা আছে যতবারই পড়ি মনের কোনে এক ধরনের উন্মাদনা বোধ করি। আপনার এই লেখাটা নিঃন্দেহে সেই পর্যায়ের। আগেও একবার পড়েছিলাম, আবারো পড়লাম। অস্থিরতার সাথে উত্তেজনা বোধ করছি এই রকম হাজারো আব্দুল আজিজের গন্তব্যের কথা ভেবে। যেই গন্তব্য ওরা একা যেতে স্বস্থি পায় না জোর করে নিতে চায় সবাইকে, পাথেয় রূপে হাসি মুখে হত্যাও ওদের কাছে আনন্দের।
@রূপম (ধ্রুব), পণ্ডিত মশাই, নাস্তিক হও্যা যখন একটা শখের বিষয় তখন আপনাকে অভিনন্দন। তাই বুক ফুলিয়েই বলুন-আমি নাস্তিক।
@মরুঝড়,
এটা শখের ব্যাপার নয়, এটা ছোট্ট এই জীবনে অনেক বড় একটা অর্জন। খাচার পাখিরে কেমনে বোঝাবেন খাচার বাইরের মুক্ত জীবনের আনন্দ। একটু মুক্ত চিন্তা করে দেখুন তাহলে বুঝবেন এটার ভেতরের মাধুর্য, স্বর্গের লোভে নয় শুধু নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে ভালো কাজ করার আনন্দ, জীবনকে নিজের মত করে উদযাপনের আনন্দ।
@সুমন,
চমৎকার (Y)
@মরুঝড়,
না ঠিকই। শখই। শখে দোষ কী? যে চিন্তা ও মতপ্রকাশের শখের জন্যে হত্যার হুমকি পেতে হয় বা নিহত হতে হয়, সেই শখ হলো বিপ্লব।