০.

মানুষ হিসেবে আমরা নানা কিছুতেই বিশ্বাস করি। আমরা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি, ভূতে বিশ্বাস করলে সবাই দৌড়ানি দিবে বলে আমরা বিশ্বাস করি কোহেকাফ নগরীতে থাকা বিস্ময়কর জ্বীনে, আমরা বিশ্বাস করি আত্মায়। ইহলৌকিক এই জগতে সংগঠিত নানা রহস্যের একটা সহজ সমাধান আছে বলেই আমাদের মনে হয়, সোজা উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা তাই তৈরি করেছি ঈশ্বর, তৈরি করেছি দেবতা। আমাদের সকল প্রশ্নের আশ্চর্য সহজ উত্তর। যুক্তিবাদী লেখক মাইকেল সারমার মনে করেন, মানুষ এক আশ্চর্য জীব, বেঁচে থাকার জন্য তাকে নানা বিষয়ে বিশ্বাস করতে হয়। আবার অনেকে মনে করে থাকেন, জীবন এবং জগতের দিকে সত্য চোখ নিয়ে তাকালে, এর সীমাহীনতার দিকে তাকালে, এত ঘটনা-অঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া দূরূহ বলেই, মানুষ নানা ধরনের অলৌকিক বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে, যার ফলে তার মানসিক চাপ লাঘব হয়। এই বিশ্বাসগুলো একটু বিশ্লেষণ করলে মানুষের এক আশ্চর্য বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। সেটা হচ্ছে, আমরা মানুষেরা শুধু কাজ সহ্য করতে পারি না, কাজ দেখলেই ধরে নেই অবশ্যই কাজটা হবার পেছনে কোনো কারণ আছে – আগে cause তারপর effect। মাঝে মাঝে কিছু ঘটনার ‘কারণ’ কিংবা উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আমরা তখন ‘একটা কিছু’ উদ্দেশ্য বা কারণ হিসেবে ভেবে নিয়ে শান্তিতে থাকা শুরু করি, কিন্তু ‘কারণ’ না জেনে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি না। যদিও কারণ ছাড়াও প্রকৃতিতে অনেক ঘটনা ঘটে, মানুষের সেটা কল্পনা করতে সমস্যা হলেও বিজ্ঞানে এটা অত্যন্ত স্বীকৃত একটি বিষয়। বিবর্তন তেমনই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যহীন, পূর্বনির্ধারিত উদ্দেশ্যহীন বাস্তবতা। আমরা যেহেতু কারণ খোঁজা পার্টি, তাই বহুকাল আগের মানুষেরা মনে করতো মানুষ চাষের জন্য এই পৃথিবী একজন সর্বশক্তিমান কর্তৃক সৃষ্টি করা হয়েছে, আজ পর্যন্ত আমরা নিজেদের দিকে তাকিয়ে আমরা ভাবছি, বলেছি আমরা আশরাফুল মাখলুকাত, সৃষ্টির সেরা। সকল প্রাণীর সাথে আত্মীয়তা ছিন্ন করে আমরা বিশ্বাস করি আপেলের মতো টুপ করে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে পড়েছে আমাদের পূর্ব পুরুষ, প্রাণীজগতের সৃষ্টি করা হয়েছে আমাদের উপকার করার জন্য, বা আমাদের একা একা লাগতে পারে সেই বিবেচনা থেকে। বিবর্তন তত্ত্ব তাই আমাদের ভালো লাগে না, পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী ডারউইনকে তাই আমাদের মনে হয় ‘বান্দর একটা’।

১.

আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগে এবং কয়েকজন চমৎকার মুক্তমনা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উদ্যোগে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিবর্তনের উপর একটি উম্মুক্ত ক্লাস নেই। উদ্দেশ্য একটাই। বিবর্তন সম্পর্কে আগ্রহীদের প্রাথমিক কিন্তু সঠিক ধারণা দেওয়া। বাংলাদেশে এমন ধরণের কোনো সেমিনার বা ক্লাস আয়োজন করতে গেলে বিভিন্ন দিক থেকে ঝামেলা এসে পরিকল্পনা ধূলিস্যাৎ করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও একেবারে নির্বিঘ্নে আমরা অনুমতি পেয়ে গেলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ‘Back to the Past’ শিরোনামের পোস্টার তৈরি সবাইকে আমন্ত্রণ করা হলো। যথাসময়ে সবকিছু প্রস্তুত। আমি করিডোর ধরে হেঁটে ক্লাস রুমের দিকে যাচ্ছি। হঠাৎ খেয়াল করি পাশে থাকা ‘Back to the Past’ ঘোষণা পত্রে কেউ একজন ছোট করে লিখে রেখেছে- ‘যারা যারা এখানে যাবে তারা সবাই ইঁদুর থেকে আসছে’।

এসব ক্ষেত্রে সাধারণত বলা হয় বানর থেকে আসার কথা, সভ্য ভাষায় বান্দর। তা সে ইঁদুরই হোক আর বানর হোক তাদের সাথে আমাদের বিবর্তনের পথে আত্মীয়তা থেকে থাকলে সমস্যা কোথায়? যাদের মধ্যে বানরের সাথে মানুষের আত্মীয়তার বিষয়টি অস্বস্তির উদ্রেগ ঘটাচ্ছে তারা মানুষ উদ্ভবের কারণ হিসেবে কী বিশ্বাস করেন? বিশ্বাস করেন যে, আদম এবং হাওয়া নামক দুইজন মানব মানবী থেকে মানব সভ্যতার সূচনা হয়েছে। ধর্মগ্রন্থ গুলোতে ঈশ্বর বলেছেন, ‘তিনি আমাদেরকে এক আদি মানুষ আদম হতে সৃষ্টি করেছেন , এবং বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন আদমের হাড় থেকে’। ধর্মগ্রন্থে আমরা আদম হাওয়ার কথা পড়েছি, পড়েছি তাদের দুই সন্তান হাবিল, কাবিলের কথা। তবে আমাদের পড়াশোনা ঠিক এখানেই শেষ, আমরা ধরে নিয়েছি দুটো মানুষ, তাদের সন্তানরা মিলে সারা পৃথিবী মানুষে মানুষে ছেয়ে ফেলেছে। তবে এখানেই থেমে না গিয়ে আরেকটু সামনে আগালে, আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই একটা ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্নের সম্মুখীন আমাদের হতে হয়। সন্তান উৎপাদনটা ঠিক কীভাবে হলো?

এরপর?

গুগল ডিকশনারি ইনসেস্ট বা অজাচার-এর অর্থ বলছে এটি ভাই-বোন, পিতা-কন্যা, মাতা-ছেলের মধ্যে যৌন সঙ্গমের দরুণ একটি অপরাধ। ধর্ম নিজেকে নৈতিকতার প্রশাসন হিসেবে পরিচয় দেয়, অথচ তারা আমাদের যে গল্প শোনায় তা মারাত্মক রকমের অনৈতিক। যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে আদম-হাওয়ার গল্প বিশ্বাস করা মানে নিজেদেরকে অজাচারের ফসল মনে করা। নৈতিকতা অনৈতিকতার আলোচনা দূরে সরিয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা দেখা যাক না হয়। ইনসেস্ট বা অজাচারকে বৈজ্ঞানিকভাবে অভিহিত করা হয়ে থাকে ইন-ব্রিডিং হিসেবে। নারী ও পুরুষের আত্মীয় হওয়া মানে তাদের মধ্যে জিনেটিক গঠনে পার্থক্য কম। বেশিরভাগ মানুষের জিনোমেই কিছু ক্ষতিকর এলেল থাকে, যেগুলোর দু’টো কপি জিনোমে উপস্থিতি থাকলে হয় মানুষটি ভয়াবহ শারীরিক/মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়, নয়ত কোনো প্রাণঘাতী অসুখে মারা যায়। দুই নিকট আত্মীয়ের সঙ্গমে জন্ম নেওয়া সন্তানের জিনোমে একই ক্ষতিকর জিনের উভয় এলেল থাকার সম্ভাবনা বেশি। একারণে ভাই-বোন-বাবা-মা তো বটেই, প্রথম চাচাত-খালাতো-ফুপাতো ইত্যাদি ভাই-বোন মধ্যে প্রজননও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ক্ষতিকর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় চিতাবাঘের কথা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পৃথিবীর চিতাবাঘের সংখ্যা নেমে এসেছিল প্রায় ত্রিশ হাজারে। সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে ত্রিশ হাজার একটি বড় সংখ্যা হলেও জনপুঞ্জের জনসংখ্যা হিসাব করলে তা খুব একটা বড় নয়। আর এই কারণেই চিতাবাঘকে ইনব্রিডিং-এর আশ্রয় নিতে হয়েছিল। যার পরিণামে আজকে আমরা দেখতে পাই, প্রকৃতিতে চিতাবাঘ বিলুপ্ত প্রায়। সুতরাং দুইটি মানুষ থেকে সমগ্র মানব জাতির সৃষ্টি হয়েছিল, এর মতো হাস্যকর কথা আর নেই।

দেখা যাচ্ছে যে নিজেদের সেরা ভাবার মিথ্যা গর্ব আমাদের নিজেদের ইতিহাস অস্বীকারকারী অজ্ঞ বানিয়েছে, আর সেই অজ্ঞতা আমাদের বানিয়েছে অহংকারী। আমরা হোমো স্যাপিয়েন্স বা প্রাণীবিজ্ঞানী ডেসমন্ড মরিসের ভাষায় নগ্ন বানররা এই প্রাণীজগতের বাইরের কেউ নই। আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী আত্মীয় শিল্পাঞ্জীর সাথে আমদের জিনেটিক গঠনের মিল প্রায় ৯৯ ভাগেরও বেশি। জিনেটিক গঠনের দিকে তাকালে এক ড্যাফোডিল ফুলের সাথেও আমাদের ৩৩ শতাংশ মিল রয়েছে। অবশ্য সৃষ্টির সেরা জীব না হলেও প্রাণীজগতের অন্যান্য বাসিন্দাদের থেকে আমরা কিছুটা আলাদাই। সেটা সম্ভব হয়েছে, মানব সভ্যতার পথ পরিক্রমায় কিছু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং পর্যবেক্ষণ লদ্ধ বিজ্ঞান দিয়ে খুব ধীরে ধীরে প্রকৃতিকে বশ করতে শেখার মাধ্যমে। গুহা জীবন থেকেই সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য, বিলুপ্ত না হয়ে যাবার জন্য, আমরা অসংখ্য উপায় বের করেছি। আম গাছের মুকুলের মতো হোমো স্যাপিয়েন্সের দশ শিশুর নয়জনকেই এখন আর মৃত্যু বরণ করতে হয় না। আমরা শিখেছি কেমন করে করতে হয়, খোদার উপর খোদাগিরি।

২.

বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক এবং বক্তা জাকির নায়েক। ধর্ম সম্পর্কে কথা বলে তিনি আজ উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ইসলামিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আইইউটি) তে তৃতীয় বর্ষে পড়ি তখন। এক রাতে সহপাঠী মুহাম্মদের হন্তদন্ত হয়ে কক্ষে প্রবেশ। হন্তদন্ত হবার কারণ – বিবর্তন নিয়ে জাকির নায়েকের ভিডিও।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকির নায়েক তখন পূজনীয় এক নাম। জাকির নায়েকের নানা ধরনের ভিডিও দেখে অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভে কিংবা বেহেশতে প্লট বুকিং এ সচেষ্ট। দেখুক কিংবা না দেখুক প্রায় অনেকের কম্পিউটারেই জাকির নায়েকের একটা ফোল্ডার – এই মহান ব্যক্তি ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার ভিডিও রাখা এবং অন্যান্যদের সাথে সেটা শেয়ার করা একজন বিশ্বাসীর দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেই জাকির নায়েক বিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন। মুহাম্মদ সে ভিডিও দেখে আমাকে জানালো তখনি ভিডিওটা দেখতে। দুইজন মিলে আবার দেখে ফেললাম। বিবর্তন সম্পর্কে ন্যুনতম ধারণা না থাকা সত্ত্বেও একজন মানুষ অজ্ঞতা পুঁজি করে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে কীভাবে এর বিরোধিতা করতে পারেন, তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ছিলো সেই ভিডিওটি। ভিডিওতে এক নারী জাকির নায়েকের কাছে বিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পর তিনি পাঁচ মিনিট বিবর্তন সম্পর্কে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন, তুলে ধরেন বিবর্তন তত্ত্বের অসাড়তা। পাঁচ মিনিটে অত্যন্ত সফলতার সাথে ২৮টি ভুল তথ্য তিনি উপস্থাপন করেন।

সেই ভুল তথ্য নিয়ে মুহাম্মদ সাথে সাথেই একটা লেখা প্রকাশ করে বাংলা ব্লগ সচলায়তনে। বাংলা ব্লগের ইতিহাসে যেটি অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী লেখা। লেখাটি প্রকাশের পর মজার একটা ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয় জাকির নায়েক সংকট। জাকির নায়েক নিয়ে এমন একটা লেখা প্রকাশের জন্য এবং সেই লেখা নিয়ে মাতামাতি করার জন্য আমাদের সহপাঠীরা একটি রুদ্ধ দ্বার সম্মেলন আয়োজন করে। সেখানে আমাদের দুইজনকে ডেকে নিয়ে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আর কখনো না করার কথা বলা হয়। এমনও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক যিনি আমাদের ইসলামী ইতিহাস পড়াতেন তিনি বলেছেন – আমাদের নাম ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে, আমাদের কতল করে দেওয়া এখন জায়েজ। সেই কক্ষে উপস্থিত মানুষেরা কেউ অশিক্ষিত মূর্খ কিংবা অসভ্য ছিলো না। তারা সবাই সমাজের সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, যাদের খাবারের চিন্তা নেই, যাদের পেটে বিদ্যে পড়েছে বেশ ভালোমতোই, যাদের অনেকেই আজ দেশের বাইরে নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে নিয়োজিত। অথচ খেয়াল করে দেখুন, আপাত আলোকিত এই মানুষেরা মুহাম্মদের জাকির নায়েক সংক্রান্ত লেখাটিকে যেভাবে দেখার কথা ছিল, দেখে নি। একজন বলেছে জাকির নায়েক পাঁচ মিনিটে আটাশটি মিথ্যা কথা বলেছেন- সেটা যাচাই করা, যাচাই করে জাকির নায়েক সম্পর্কে নতুন করে ভাবাটাই যে কোনো মানুষের জন্য সবচেয়ে দরকারী যৌক্তিক অবস্থান হতে পারতো। অথচ বিশ্বাসী মন তাদের সেই তথ্য জানা থেকে বিরত রেখেছে, বিশ্বাসী মন তাদের বলেছে, মুহাম্মদ ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছে, মুহাম্মদ তার ব্লগ দ্বারা বিশ্বাস অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। আর তাই ভণ্ডামি করার জন্য জাকির নায়েকের প্রতি আক্রোশ নয়, সেই আক্রোশ গিয়ে পড়েছে যে লেখক ভণ্ডামি উন্মোচিত করেছেন, তার উপর।

উনিশ শতকের গণিতবিদ উইলিয়াম ক্লিফর্ড বলেছিলেন, ‘যেই ব্যক্তি তার গলাধঃকৃত বিশ্বাস সম্পর্কে সব সংশয় দূরে ঠেলে দেয়, ভিন্নমতাবলম্বী বই কিংবা মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলে, তার বিশ্বাসের জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নগুলোকে ধর্মদ্রোহী আখ্যা দেয়- তার গোটা জীবন মানবতার বিরুদ্ধে এক প্রলম্বিত অপরাধ ছাড়া কিছু না।’ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ আসলেই আর কত প্রলম্বিত করব আমরা?

সবাইকে ডারউইন দিবসের শুভেচ্ছা। আমাদের জীবন দীপান্বিত হোক।