শালিসের পরিণাম।
আকাশ মালিক
‘যদি কেউ কথা না কয়, ওরে ও অভাগা, কেউ কথা না কয়,
যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে সবাই করে ভয়–
তবে পরান খুলে
ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা একলা বলো রে’ ॥
কথা ছিল পরবর্তি লেখাটা হবে ‘বেহুলার কাহিনি’। কিন্তু গত কিছুদিনের অন্যান্য ব্লগে পড়া একটি ঘটনা সর্পবিষের মত যন্ত্রণা দিচ্ছে আমার মনটাকে। যখনই আমার কিছু বলার থাকে আমি মুক্তমনায় চলে আসি। এ আমার বলার জায়গা, শুনার জায়গা, শেখার জায়গা, চিৎকার করার জায়গা। না, আমি আজ সারা দুনিয়াকে কাঁদিয়ে দেয়া মালালার কথা বলছিনা, সমগ্র ভারত কাঁপানো গণধর্ষণে মৃত্যুবরণকারী দামিনির কথা বলছিনা, আমি বলছি এক বাংলাদেশী কলেজ ছাত্রীর কথা। তার সাথে অন্যায় আচরণ করেছিল তার এক সহপাঠি। যে কোন কারণেই হউক অপরাধীকে মেয়েটি ক্ষমা করে দিয়েছিল অথবা তাকে ক্ষমা করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা যে ভুল ছিল সেই কথাটাই আমি বলতে চাই।
ঘটনাটা ২০১০ সালের অক্টোবর মাসের। এক কিশোরী কলেজে গিয়েছিল ক্লাস করতে। কলেজটির নাম ‘জুয়েলস অক্সফোর্ড ইন্টার ন্যাশনাল স্কুল’ সিরাজগঞ্জ। স্কুল রুমে মেয়েটির এক সহপাটি ফুল হাতে, সম্ভবত প্রেম নিবেদন করে। এক পর্যায়ে সে মেয়েটির গালে সজোরে তাপ্পড় মারে। ঘটনাটি তার এক সহযোগী ভিডিওতে ধারন করে আরেকজন সারা দুনিয়ায় ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়। অবলীলায় স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তার চড় মারা দেখলে ধারণা করা যায় যে, সে বুঝে রাষ্ট্র, আইন, সমাজ, ধর্ম তার পক্ষেই আছে। পুরুষ লাইসেন্স পেয়ে গেছে নারী নির্যাতনের। সে আরো বুঝেছে নারী তো নারীই, ভোগ্যপণ্য, আমদানি-রফতানি যোগ্য সামগ্রী, নারী আবার মানুষ হলো কবে? কেন সে এমনটি ভাবতে পারলো? নতুন প্রজন্মের নৈতিকচরিত্রের এ অধঃপতন কেন? কিসে তার এত স্পর্ধা, এত সাহস, এত অহংকার? এর জন্যে অন্যান্য সব কিছুর সাথে আমরাও কি দায়ী নয়, আমাদের কি কিছুই করার নেই? বিষয়টা প্রথমে আমার কাছে কিছুটা সন্দেহজনক ছিল, নাটকও হতে পারে, একটি রুমে ক্যামেরা নিয়ে তিনটা ছেলে আর একটি মেয়ে? কিন্তু পরে যখন জানতে পারলাম এ নিয়ে শালিসও বসেছিল, তখন বুঝতে বাকি রইলোনা যে, তারা ও তাদের অভিভাবকরা মেনে নিয়ে নিয়েছিলেন সেটা একটা অপরাধ একটা অন্যায় কাজ ছিল। মামলা মোকদ্দমা না করে, আইনের শাসন প্রয়োগ না করে শালীসের মাধ্যমে, সমঝোতার মাধ্যমে, এডভোকাসি করে কিছু কিছু বিষয়ের নিষ্পত্তি করা যায়, কিন্তু এর পরিণাম সব সময় ভাল হয়না তার প্রমাণ এই ঘটনাটি।
বলা হচ্ছে, শালীসের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কিসের শালীস? টাকা? টাকা দিয়ে মনের ক্ষত মেটানো যায়? সামাজিক ষ্টেটাস? ছেলের বাবা পুলিশ অফিসার? ছেলে সম্ভ্রান্ত পরিবারের? আমি সামাজিক ষ্টেটাসে বিশ্বাস করিনা, এটা ভয়ংকর, ক্ষতিকর। আমি এ বিচার মানিনা। এ বিচারের নামে প্রহসন। সুবিচার কোনদিন হয় না বলেই এরকম ঘটনা বারবার ঘটে। শালীসের পরে ছেলেরা হয়তো মুচকি হাসি দিয়েছে, কি বোকারে বাবা মানুষগুলো! শালীসের দুই বছরের ভেতর মেয়ের বিয়ের পরে মেয়েটিকে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে ফেলার লক্ষ্যে তারাই আবার সেই ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। কী কচুটা হলো শালীসের মাধ্যমে? বিচার যদি করতে হয়, আনুন সেই মেয়েটিকে এই রুমে যেখানে কুলাঙ্গারটা তাকে চড় মেরেছিল। ডেকে আনুন তার সহযোগীকে যে ঘটনাটি ভিডিওতে ধারন করেছিল। আনুন সেই বদমায়েশটাকেও যে ভিডিওটি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। মেয়েকে বলা হউক, ঠিক সেই ভাবে ছেলের গালে থাপ্পড় মারুক যেভাবে ছেলে তাকে মেরেছিল। সে ভিডিও রেকর্ড করুক যে আগে করেছিল আর সে’ই ভিডিও সাইবারে ছড়িয়ে দিক যে আগে দিয়েছিল। এটাই হবে সুবিচার এটাই হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আমি আইনবিদ নই, এ আমার একান্ত অভিমত।
এবার তাদের পরিচয়-
এই সেই কুলাঙ্গার, নপুংশক, কাওয়ার্ড সৃজন আহমেদ, যে মেয়েটিকে থাপ্পড় মেরেছিল।
এই তার বাবা আবুল কালাম আজাদ
বগুড়ার ধুনট থানার ওসি । রোড নং- ০৫, বাড়ী নং- ২৪,ফ্ল্যাট নং- ডি৫, ধানমন্ডি।
যে ভিডিওটি করেছে তার নাম শিপলু। বাড়ি সিরাজগঞ্জ, এখন ঢাকায় থাকে। পড়ে, DIFT BMLএ। ক্যাম্পাস- মিরপুর ১০ (স্টেডিয়াম এর ৫ নাম্বার গেট এর অপজিট)।
আর ফেইসবুকে ভিডিওটা ছড়িয়ে দিয়েছে সৃজনের সহযোগী বদমায়েশ মাসুদ রানা।
এখানে আছে সেই কুৎসিত ঘটনার ভিডিও ও পূর্ণ বর্ণনা–
আমরা চুপ থাকবো কেন? এই মেয়ে আমাদের কেউ নয় সে জন্যে? প্রবাসীরা দেশে যাবোনা তার কারণে? আমার কোন মেয়ে নেই তাই বলে? তবে তো বলতে হয় ওরা একদিন আপনার আমার দুয়ারেও আঘাত হানতে পারে সে দিন আপনাকে আমাকে সাহায্য করার কেউ থাকবেনা। হ্যাঁ, আমার মনের কথা আমি বলতে চাই। পরান খুলে বলতে চাই, মুখ ফুটে বলতে চাই, একলা হলেও বলতে চাই। কেউ না শুনলেও শুনাতে চাই, যদি তা অরণ্যে রোদনও হয়। আমি রাতের তারাকে সাক্ষী রাখবো, বনের পশুকে জানাবো, পাখিকে জানাবো, বৃক্ষের কাছে আমার প্রতিবাদ জানিয়ে যাবো। তবু আমাকে বলতেই হবে, এটা অন্যায় এটা অবিচার, ঘৃন্য, পাশবিকতা, অমানবিকতা এটা মানবতার অপমান, মনুষ্য জাতির কলঙ্ক। আমি চিৎকার করে বলতে চাই, শালিস নয়, আমি এ অন্যায়ের বিচার চাই, চাই আইনি সুবিচার।
@মরুঝড়
আপনি কোরানে কম্পিউটার বিজ্ঞান খুজে পাইলেনা? আশ্চর্য! কোরান তো সমস্ত বিজ্ঞানের মহাগ্রন্থ।
হারুন ইয়াহিয়া সাহেবের ছাইটটা একটু ভাল করে পড়াশুনা করুন। সেখানে সমস্ত বিজ্ঞানের সূত্র গুলী পেয়ে যাবেন।
জ্যতির্বিজ্ঞান জানতে চান? তাও সেখানে পাইবেন। এমনকি সেখানে জ্যতির্বিজ্ঞানের BLACK HOLE এর সন্ধান ও পেয়ে যাবেন। দেখতে পাবেন আইনষ্টাইন, নিউটনের সমস্ত সূত্রগুলী আল্লাহ কিভাবে ১৪০০ বছর পূর্বেই নবীজিকে অগ্রিম জানিয়ে দিয়েছেন।
শুধু অন্যের কথায় লাফালাফি না করে কোরান হাদিছ এর অর্থ একটু নিজে বুঝে শুনে পড়ুন, তাহলে সবকিছু জানতে পারবেন এবং তখনই একমাত্র খাটি ইমান্দার মুসলমানে পরিণত হতে পারবেন।
ধন্যবাদ
ভাল থাকুন।
@মরুঝড়
আপনাকে কে শেখাল কোরানে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক,বা প্রশাসনিক বিষয় আছে?
আল্লাহ নিজেও তো একথা বলেননা।
আল্লাহ কি বলেন তা হলে একটু খেয়াল করে শুনুন-
১। ছুরা ছোয়াদ ৬৭,৮৭-“বলুন. এটি এক মহা সুসংবাদ, এটা তো বিশ্ব বাসীর জন্য এক উপদেশ মাত্র।
২।মুজাম্মেল ১৯- ” এটা উপদেশ,অতএব যার ইচ্ছা সে পালনকর্তার পথ অনুসরন করুক”
৩।মুদাছ্ছির ৫৪- “এটা তো উপদেশ মাত্র”
আরো অনেক আছে।
তাহলে ভাল ভাবেই দেখতে পেলেন কোরানের কি উদ্দেশ্য, আর আপনি কি বলেন।
আর বর্তমানের হাজারো সমস্যার শাসন ব্যবস্থার কিছুই কোরানে নাই, আছে মাত্র তৎকালীন সময়ের ৫/৭টা সমস্যার শাসন ব্যবস্থা। তাদিয়ে কি বর্তমানের হাজারো সমস্যা মিটানো সম্ভব?
শারীয়া আইন মানুষের বানানো ৫ রকম আইন আছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে গিয়ে দেখুন।
এর একটার আইনে একই অপরাধের জন্য একজনকে খালাস দিচ্ছে আর আর একজনকে মৃত্য দন্ড দিচ্ছে। পূর্বের দেওয়া অডিও রেকর্ড টা একটু পুনরায় শুনুন।
এইটাই নাকি আপনার মতে আল্লাহর আইন।
না,না, তাদের (অমুছলিমরা) ইসলামিক রাষ্ট্রে তো নাগরিক ই হওয়ার যোগ্যতা নাই যদি না তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করে। তারা যতক্ষন ইসলাম গ্রহণ না করবে ততক্ষন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার কঠোর নির্দেশ আছে।
কত সুন্দর আইন তাই নয় কি?
আসুন শারীয়া প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জিহাদ ঘোষনা করি।
কি বলেন?
জিহাদ করতে গিয়ে মারা গেলে শহীদ হওয়া যাইবে। এবং সাথে সাথে বেহেশত যাওয়া যাইবে। এর চাইতে আর কি লাভের থাকতে পারে?
ধন্যবাদ
ভাল থাকুন
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ইসলামের বইগুলো কি আপনি উলটো করে পড়েন নাকি ভায়া? সোজা করে পড়ুন সবি পাবেন।আর যে কোন একটি সমস্যা বলেন যা ইসলাম সম্মত ভাবে সমাধান করা যাবে না। আর জিহাদের মানে আপনি বুঝেন নি। খামাখা ইসলামের বিষেদাগার করবেন না মশাই।লিখে কি এত বুঝানো যায়,কিভাবে যে পড়েন?
@মরুঝড়,
ভাইজান আমার প্রতিবেশি ৪খানা বিবাহ করতে চান ।কোরানেও এর বিধান আছে। তবে এতে নাকি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগে।কিন্তু সমস্যা হল,উনার প্রথম স্ত্রী কিছুতেই অনুমতি দিতেছেন না, এদিকে ভদ্রলোক কাতর হয়ে আছেন আরেক রমনীকে দেখে।সেই রমনীও বিবাহিত ভদ্রলোকটির জন্য কাতর।কিন্তু ভদ্রলোক ইসলামী নিয়মের বাইরে এক কদম ফেলবেন না। মানে প্রথম স্ত্রী অনুমতি না দিলে বিয়ে করবেন না।কিন্তু এই শোকে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন ২ জনেই।( লোকটি আর তার প্রেমিকা;হাজার মতেও হৃদয় ঘটিত ব্যপার, বুঝেনই তো)কাজেই কি করে ইসলাম সম্মত উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, অতি দ্রুত তা জানিয়ে বাধিত করবেন।
@মরুঝড়,
আপনি যে কম্পিউটার ছামনে বসে এখন আন্তরজালের মাধ্যমে আমাদের সবার সংগে যোগাযোগ করতেছেন. এটা সমাজ জীবনের জন্য একটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। এটা অন্তত আশা করি আপনি অস্বীকার করতে পারবেননা।
ধরুন আপনার কম্পিউটার টা এখন কাজ করতেছেনা, কোরানের মধ্যে তো জীবনের সমস্ত সমস্যা সমাধানের বিজ্ঞান রয়ে গেছে।
আপনি কি পারবেন কোরানের বিজ্ঞান দিয়ে আপনার কম্পিউটারটা ঠিক করতে?
মডারেটর-নীচের মন্তব্যটি কেটে দিন। ভূল হয়ে গিয়েছিল।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
নিচের লাইনটা হচ্ছে মরুঝড়ের মন্তব্যের একটা লাইনঃ
মরুঝড়ের মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে আমার মন্তব্যঃ
আমার মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মরুঝড়ের মন্তব্যঃ
তার পর আমার মন্তব্যঃ
চিন্তা করে দেখেন দুনিয়ার মানুষ দিন দিন উপরের দিকে যায়, আর সরিয়া আইন দ্বারা মেয়ে দের অবদ্ধ করে রাখে।
আসলে উনি আছেন আবেগে, উনি উনার মত করে শরিয়া আইন চিন্তা করেন।
চিন্তা করে দেখেন আপনি যৌক্তিক একটা মন্তব্য দিলেন অথচ আপনার যৌক্তিকতায় কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা না বলে, নিজের মন গড়া একটা মন্তব্য লিখে দিলেন। মানে আপনাকে নাস্তানা বোধ করার চিন্তা ভাবানা।
ভাল থাকবেন।
@(নির্জলা নির্লজ্জ),
এক সময় এরাই শরীয়া শরীয়া করে ইংরেজী শিক্ষা করার অর্থ ইহুদী নাছারার ভাষা শিক্ষা করার নাম করে “হারাম” ঘোষনা করে দিয়ে জাতিকে অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিয়ে হাজার হাজার বছরের পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
আর আজ ঠিক তাদের মুখে মুখেই ইংরেজী ভাষা শুনা যায়। তারা এই ইহুদি নাছারাদের দেশে একটু আসতে পারলেও নিজেদেরকে অনেক ধন্য মনে করেন।
কতবড় ভন্ডামী!!!
মরুঝড় সাহেবের খবর কি ?
উনি কি এখানে এখনো আছেন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার, আপনি আসলে মশকরা করেন,অনেক করেছেন -ধন্যবাদ। ভাল কিছু বলেন মশাই।
@(নির্জলা নির্লজ্জ), Iran public execution outrages human rights groups | World news … এটা গুগলে লিখে একটা সার্চ দিন তারপর পড়ে একবার মন্তব্য করেন। আর আপনাকে একটা কথা বলি,সোজা উত্তর দিবেন।বাংলাদেশে ধর্শন মামলা গুলোর বলতে গেলে বিচার হয়না ,কেন? কেন গরীব মানুষ বিচার পায়না? বাংলাদেশে শরিয়া আইন চালু হলে ধর্ষন কি বিরল ঘটনা হত না/? আপনার কি মনে হয়? আর কথায় সৌদি যাওয়া বাদ দিন আমি বলেছি তো অই দেশ নিয়ে আমিও নাখোশ। ইরানে শারিয়া থাকলেই যে ধর্ষন হবে না তা নয় কিন্তু ধর্ষন হলে ইরান কি করে তাই একবার দেখে আসুন। আর ঠিক ই বলেছেল মানুষ আজ উপরে ঊঠেছে ,তা বলি অনেক উপরেই তো উঠলেন তা আছেন কেমন ? মানব জাতির অবস্থা কি খুব ভালো? সুখ নেই কেন মানুষের মনে? ঝকঝকে রাস্তা,উচু উচু দালান কিছুই তো শান্তি দিতে পারছেনা,কেন ভায়া/?
@মরুঝড়,
@আঃ হাকিম চাকলাদার, কোরান নাজিল না করে আল্লাহর মনে হয় কম্পিউটার বার্তা নেমে কিছু নাযিল করা ভাল ছিল। তাইতো?
মরু ঝড়, আপনার একটি মন্তব্যে রিপ্লাই অপশন কাজ করছে না, কাজেই এখানেই উত্তর দিতে হচ্ছে।
কবি ফেরদৌসির জীবনী পড়েছেন আশা করি?না পড়লে পড়ে নিবেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সম্ভবত ছাপিয়েছিল, পারস্যের কিছু কবিদের নিয়ে।যাহোক সুলতানের দরবারে, যাবার আগে ইর্ষা কাতর হয়ে তৎকালীন ইরানে, প্রসিদ্ধ ৩জন রাজকবি ( নাম গুলো সঠিক মনে নেই ক্ষমা করবেন, তবে সম্ভবত আনসারী, আহজাদী আর ফারুকী এই ৩টা নামই হবে) ফেরদৌসির কবিত্ব পরীক্ষা করতে চাইলেন।কাজেই তাঁরা ফার্সী ভাষায় মোট ৩টি লাইন বললেন।৪র্থ লাইন ফেরদৌসিকে তৈরী করতে হবে।
১ম জনঃ চন্দ্রও সুন্দর নয় তব মুখ সম
২য় জনঃ বাগানে গোলাপ নাহি হেন মনোরম
৩য় জনঃ তোমার চোখের ভুরু বর্ম ভেদ করে
৩য় লাইন্টা নাকি এতই কৌশলে করা যে , ফারসীতে নাকি ( ঠিক জানি না আমি, ওখানে লেখা দেখেছিলাম, ফারসী ভাষায় কোন দখল নেই আমার)এর সাথে মিলিয়ে ৪র্থ লাইন দেয়া সম্ভব না, অন্ত্যমিল রেখে। তো কবি ফেরদৌসি তাঁর মারাত্মক কবি প্রতিভার সাক্ষ্য রেখে,কায়দা করে কি লিখলেন জানেন? ওই বইটিতে দেয়া আছে।
ফেরদৌসিঃবর্শা যথা গেঁও করে পুশন সমরে!
গেঁও হল এক প্রসিদ্ধ ইরানী উপকথার বীর; আমি জানিনা কোন বীর, ওই বইতে এমনি লেখা ছিল, ছোটকালে পরেছিলাম।
কাজেই কি হল?
১ম জনঃ চন্দ্রও সুন্দর নয় তব মুখ সম
২য় জনঃ বাগানে গোলাপ নাহি হেন মনোরম
৩য় জনঃ তোমার চোখের ভুরু বর্ম ভেদ করে
ফেরদৌসিঃবর্শা যথা গেঁও করে পুশন সমরে!
ভাইজান এবার আমার একটা আবদার আছে।
ফেরদৌসির চেয়ে ভাল কোন লাইন এখানে আপনাকে বসাতে হবে।আপনি যদি পারেন, তাহলে আমি নিজে আপনার চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ইসলামের চেয়ে ভাল বিধান হাজির করতে রাজি আছি!!আসেন না একটা ডিলে আসি। একতরফা দাবী না করে আমার ডাকে সাড়া দেন, পরে আমি ইসলামের থেকে ভাল বিধান নিয়ে আসব, ইনশাল্লাহ 😉 ।
@অর্ফিউস, কি ব্যাপার ভাই আমার চ্যালেঞ্জের কি হল? ফেরদৌসির মত ই কিছু একটা দেন,দেখি কেমন হয়? তারপর আপনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কিছু করা যাবে ক্ষন।
@মরুঝড়,
নারে ভাই, কষ্ট করে ওই সমস্ত সাইটে আমার যাওয়ার দরকার নেই, জানারও প্রয়োজন নেই। আপনি যদি আগে গিয়ে থাকেন এখন আর যাবেন না। আমার এক বন্ধু কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তার ঘরে বসে প্রায়ই গল্প-গুজব করি। দু একটা যুবকের (অবশ্যই মুসলমান) কমপিউটারের দূরবস্থা দেখে ভয় পেয়েছি। কসম আল্লাহর মিথ্যা বলছিনা, একটা কমপিউটার ছিল একজন মসজিদের ইমামের। তার কমপিউটারের হিষ্টরি চেক করে পেয়েছি, এমন কোন রাত নেই তিনি পর্ণ ছবি দেখেন নি, এমন কি রমজান মাসেও। মাদ্রাসায় সমকামী হুজুর দেখেছি, চার্চের পাদরী, মন্দিরের পুরোহিতকেও শিশু কিশোরীর সাথে অবৈধ সেক্স বা ধর্ষণ কেইসে অভিযুক্ত হতে দেখেছি। ধর্ম যে নৈতিকতার চাবিকাঠি নয়, এ হলো তার প্রমাণ।
আপনি এখানে অপ্রাসঙ্গীকভাবে অযথাই ‘পুজিবাদি সমাজ বনাম ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা’ বিতর্ক নিয়ে এসেছেন। এখানে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছেনা। ধর্ম যা কিছু ভাল শিক্ষা দিয়েছে, আপনারা ধার্মিকরা তা থেকে লক্ষ-যোজন দূরে বাস করেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা কি ইসলামের শিক্ষা নয়? কই, একটিবারের জন্যেও তো বললেন না নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণ এ সব অন্যায়, গর্হিত কাজ। প্রতিবাদের মিছিলে আপনাদেরই তো সামনের সারিতে থাকার কথা। বাংলাদেশে শুধু এই বিজয়মাসের নারী ধর্ষনের রিপোর্টটা দেখেন। বিবেকে বাঁধেনা, কিছুই নাড়া দেয় না? আপনাদের কোন বিকার নাই ? ইসলাম শিক্ষা দেয় নি, অন্যায়ের প্রতিবাদ দৈহিকভাবে করতে অসমর্থ হলে কলম দিয়ে করো? তাতেও অপারগ হলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করো? করেছেন? দু-কলম লিখে একটা পোস্ট দিয়ে ভার্চুয়াল প্রতিবাদ করতেও কি আপনাদের সাহস নেই ? কেন আপনাদের এই মৌণতা, কিসের এত নীরবতা? এ নীরবতা অন্যায়কে মেনে নেয়া তথা প্রশ্রয় দেয়া নয় কি? জানোয়ার রূপী হায়েনাদের বিষাক্ত ছোবলে সারা দেশ আজ জর্জরিত, ক্ষত-বিক্ষিত আর আপনারা এতোটাই নীরব, এতোটাই সুশীল? এ যে সুশীলতার নামে চরম ভন্ডামী।
আত্মসমালোচনা করুন। ইউরোপ-আমেরিকার তুলনা করে আপন জাতির, নিজের দেশের সর্বনাশ করবেন না। এটা অপরাধ ঢেকে রাখার অশ্লীল চক্রান্ত। আসুন আমরা তাদের মিছিলে শরিক হই যারা রাস্থায় দাঁড়িয়ে শ্লোগান দিচ্ছে- Don’t teach your daughters what to wear, teach Your sons not to rape.
@আকাশ মালিক,
(Y) অসাধারন বলেছেন। আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল কথাগুলোর জন্য।
@আকাশ মালিক, আমার এক বন্ধু র মাথায় গন্ডগোল,মানে এদিক সেদিক আর কি। আর সে দাক্তারের কাছেও যেতে চায় না। তার বাবা বুদ্ধি করে তার ডাক্তার বন্ধুর কাছে যেতে বললেন। আমার বন্ধু গিয়ে দেখে সে ডাক্তারের চেম্বারে এসে পড়েছে। কিন্তু ভাবল -দেখা করেই যাই। সে ডাক্তার কে বলল-আমি জানি বাবা আমাকে কেন পাঠিয়েছে,আমার মাথায় যে সমস্যা আছে সেটা আমিও জানি কিন্তু আমি চাই আমার পাগলামি টা থাক ,আপনি অন্য কোন কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন। ডাক্তার তার হা করে তাকিয়ে ছিল। আর আমি আপনার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। একটা গাছের মুলে রোগ আর আপনারা কীটনাশক দেন গাছের পাতায়,সে জন্য ই আপনাকে বলেছি হাজার কাদলেও কোন ফল পাবেন না। নারী র প্রতি অন্যায় র প্রতিবাদ জানাতে আমিও তো আপনার মত ই লিখছি, আমার ও বুক জ্বলে কিন্তু আমি যা বুঝতে পেরেছি আপনার হয়ত আরো কিছু সময় লাগবে। একটা পুজিবাদি সমাজের বৈশিষ্ট্য ই হল এই ব্যবস্থা তার অনুসারুদের ভোগবাদি করে গড়ে তুলবে,মানুষের প্রতি মানুষ তার শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে ফেল্বে,মানুষ হবে শুধুই পণ্য শুধু মেয়েরা নয় ছেলেরাও,ভেঙ্গে যাবে বন্ধন। চোখের সামনে এর সবি হচ্ছে,আমি জানি কি কারণে হচ্ছে এসব,তাই আপনার মত আমি মনে কারিনা যে গনতন্ত্র ,যে কিনা পুজিবাদের রক্ষাকর্তা্,আপনাকে দামিনি ধর্ষনের সমাধান দিবে,বরং আরো দামিনির মত ঘটনা ঘটবে তা জেনে রাখুন। যে ঘটনা কে কেন্দ্র করে এতসব লিখছি তা হল একজন সহপাঠির হাতে একটি মেয়ে লাঞ্জিত হয়েছে,এখন আপনি এর বিচার চাইছেন,বিচার আমিও চাই,আমিও প্রতিবাদ করছি এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার কিন্তু মশায় এই রকম ঘটনা ঘোটলো তার কারন গুলো কি কি এবং সমাধান কি কি হতে পারে আমি তাই নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করছি। একটা পুজিবাদি সমাজ আপনাকে এই সমস্যার সমাধান দিতে পারবেনা কারন এই সব ঘটনা ঘটানো নানা উপকরণ কে সে বাচিয়ে রাখে যেমন -পর্ন সাইট গুলো,অশ্লীল চিনেমা,রাস্তা ঘাটে অশ্লীল ছিনেমা পোস্টার ,ইত্যাদি যা যুব সমাজকে ফুয়েল দেয় দামিনি কে ধর্ষন করতে, একটি মেয়েকে শ্রদ্ধা না করে তাকে চর মারতে,আচল ধরে টান দিতে। এসব জিইয়ে রেখে কেন অলীক সমাধান চান,তাও আবার পুজিবাদি বিচার ব্যবস্থার কাছে, হাস্যকর নয়কি। আছেন তো ইংল্যান্ডে ধর্ষন মামলা গুলোর ফলাফল কি? জানাবেন দয়া করে। জানেন তো ভারতের ৯৫০০০ হাজার ঝুলে আছে,বিচার হবেনা তাতে আমি নিশ্চিত।বাকি রইল আপনার স্লোগান,এ স্লোগান আপনার শেষ হবে না। আমি আর আপনি কোন দিন কোন মেয়েকে রেপ করবো না কিন্তু রাম সিং দের কি এই স্লোগান দিয়ে আটকাতে পারবেন?? আমি কিন্তু এটা বলি না যে শারিয়া চালু হলে ধর্ষন নাই হয়ে যাবে,কিন্তু একটি বিরল ঘটনায় পরিণত হবে তাতে আমি নিশ্চিত যদি পুর্নাংগ ভাবে চালু হয়-ইরান কেই দেখুন।
@মরুঝড়,
আপনি বাংলাদেশে যদি শরীয়া আইন করতে চান, এখানকার একটি বিপুল সংখ্যক হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান এরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হয়ে যাবে। ইসলামিক নিয়মানুসারে তাদের উপর জিজিয়া কর ধার্য হয়ে যাবে।
অনুরুপ ভাবে ধর্ম নিরেপেক্ষ ভারত রাস্ট্রও যদি বেদের আইন শাসন চালু করতে চায় তাহলে মুসলমানদের ও আপত্তির কিছুই থাকার কথা নয়, বরং মুসলমানদের তখন তাদেরকে সেখানকানকার সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দুদের হিন্দু ধর্মীয় আইন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা উচিৎ হবে, কি বলেন?
অনুরুপভাবে ইউরোপ আমেরিকা ও যদি বাইবেলের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তখন ও মুসলমানদের উচিৎ হবে তাদের বাইবেলের আইন পতিষ্ঠা করতে সহযোগিতা কর।
কি বলেন?
প্রত্যেকের ধর্মীয় শাসন হয়ে যাওয়া উচিৎ নয়কি?
এ ব্যাপারে একটা শুষ্ঠু সমাধান দিন তাহলে?
@আঃ হাকিম চাকলাদার, কি যে যা তা বলেন। নীচে জিজিয়া নিয়ে একটা ছোট ব্যাখ্যা-Under Islamic law, jizya or jizyah (Arabic: جزية ǧizyah IPA: [dʒizja]; Ottoman Turkish: cizye; both derived from Pahlavi and possibly from Aramaic gaziyat[1]) is a per capita tax levied on a section of an Islamic state’s non-Muslim citizens, who meet certain criteria. The tax is and was to be levied on able-bodied adult males of military age and affording power[2] (but with specific exemptions).[3][4] From the point of view of the Muslim rulers, jizya was a material proof of the non-Muslims’ acceptance of subjection to the state and its laws, “just as for the inhabitants it was a concrete continuation of the taxes paid to earlier regimes.”[5] In return, non-Muslim citizens were permitted to practice their faith, to enjoy a measure of communal autonomy, to be entitled to the Muslim state’s protection from outside aggression, and to be exempted from military service and the zakat taxes obligatory upon Muslim citizens.[6][7]
The word jizya is derived from the root word that refers to “part”, hence taken from a part of the wealth of the non-Muslim citizens.[citation needed] In fact, the use of the word jizya was not even necessary. Al-Tabari wrote that some members of the Christian community asked the companion “Umar bin al-Khatab if they could refer to the jizya as sadaqah which literally means “charity”, which he approved of.[8 আশা করি এবার কিছু বুঝবেন। আর ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই।এসব শুধুই ধর্ম,সমাজ বিধান নয়। কে শেখালো আপনাকে যে একজন হিন্দু একটি ইসলামিক রাস্ট্রে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক?
@মরুঝড়,
অন্যকথায় আপনি বলতে চাইছেন শরীয়া আইনের শতভাগ প্রয়োগ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই নেই। তা পূণ্যভূমিতেই যখন এই অবস্থা আমাদের পাপী-তাপী দেশে তার সাফল্যের সম্ভাবনা আর কতটুকু? আপনি একটি দেশের উদাহরন দিন যেখানে শরীয়া আইন অনুসরন করে জনগন সুখ সমৃদ্ধির সাথে জীবন ধারন করছেন।
নাঃ এতদিন লাগবে না। বেগম রোকেয়া তাঁর স্কুল খুলেছিলেন প্রায় একশ বছর আগে- সে স্কুলে মেয়েরা পর্দাঢাকা গাড়ীতে চলাচল করতো। আর দেখুন এখন আমাদের মেয়েরা অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দিচ্ছে, হিমালয়ের চূড়ায় উঠছে:)) , আরো কতকিছু করছে। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছেন, ‘লৈঙ্গিক সমতাসহ সব সামাজিক সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। …… নোবেলজয়ী এই বাঙালি অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশে নারীদের বিশাল অংশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মানব উন্নয়ন সূচকের সব ক্ষেত্রেই মূলত এঁরাই ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন।‘
তবে একথাও ঠিক শরিয়া আইনে চললে ইহজনমে এসব পরিবর্তন সম্ভব ছিল না।
মধ্যপ্রাচ্যের জনগন সেভাবে গনতন্ত্রের স্বাদ পায়নি, কিন্তু আমাদের জনগন কিছুটা হলেও তা পেয়েছে। পারবেন এদের শরীয়ার শেকল পরাতে? চেষ্টা করে দেখতে পারেন, তবে আমার ভয় হয় আপনাদের মত কয়েকটাকে না আবার খাঁচায় পুরে পূণ্যভূমিতে চালান করে দেয়।
চাইতো অনেক কিছুই, কিন্তু শুধু চাইলেই তো হবে না, সামর্থ্যও থাকতে হবে। আর আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে। মাদ্রাসারা ছাত্রীরা কেন বখাটেদের অত্যাচারের শিকার হন?
আপনি যখন এত জানেন, তখন এনিয়ে মুক্তমনায় একটা লেখা দিয়ে দিন, আমরা যারা জানিনা পড়ে উপকৃত হব। যদি যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারেন চাই কি নাস্তিকতা ছেড়ে শরীয়ার সৈনিক বনে যাবো।:))
@মনজুর মুরশেদ,
উপরে ভুল জায়গায় ইমো পড়ে গেছে। পড়ুন—
নাঃ এতদিন লাগবে না। বেগম রোকেয়া তাঁর স্কুল খুলেছিলেন প্রায় একশ বছর আগে- সে স্কুলে মেয়েরা পর্দাঢাকা গাড়ীতে চলাচল করতো। আর দেখুন এখন আমাদের মেয়েরা অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দিচ্ছে, হিমালয়ের চূড়ায় উঠছে, আরো কতকিছু করছে। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, নোবেলজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছেন, ‘লৈঙ্গিক সমতাসহ সব সামাজিক সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। …… নোবেলজয়ী এই বাঙালি অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশে নারীদের বিশাল অংশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মানব উন্নয়ন সূচকের সব ক্ষেত্রেই মূলত এঁরাই ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন।‘
তবে একথাও ঠিক শরিয়া আইনে চললে ইহজনমে এসব পরিবর্তন সম্ভব ছিল না।
@মনজুর মুরশেদ, নারীর অগ্রগতি কে রুদ্ধ করার মত কিছু বলেছি কি? তাহলে আজকে নারী হিমালয়ে চড়ছে তাতে তো আমিও বাহবা দিই। শরিয়া চালু হলে এসব হত না-কথার মানে কি ভাই? ইসলামে কি নারী শিক্ষা নেই? কি বলেন যাতা। আর মেয়েরা কেন রাস্তা ঘাটে লাঞ্চনার শিকার হয় তা আকাশ মালিক কে বলেছি ,মন্তব্য টি পড়লে বাধিত হব।
@মরুঝড়,
অতি উত্তম! নীচের হাদিসটি খেয়াল করুন,
Sayyiduna Abu Huraira (Allah be pleased with him) narrates that the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) said: “It is unlawful for a woman who believes in Allah and the last day that she travels the distance of one day and one night without a Mahram accompanying her.” (Sahih al-Bukhari, no. 1038)
উপরের হাদীস থেকে পরিষ্কার যে একাধিক গায়ের-মাহরেমের সাথে নিশাত বা ওয়াসফিয়ার হিমালয় আরোহন শরীয়া মোতাবেক হয় নি। শরীয়ার একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে আপনি এটিকে বাহবা দেন কিভাবে?:))
@মনজুর মুরশেদ, ভাই হাদিস টার উদ্দেশ্য টা আগে বুঝার চেষ্টা করেন। আমাদের মা-বোন দের নিরাপত্তার জন্য ই তো হাদিস টি নাকি।এই হাদিসে যা আছে সে টা আপনি নিয়ে গেলেন কোথায়? আপনার মা যদি বাড়ির কাছের কো ন দোকানে কিছু কিনতে যায় ,দিনের বেলা অথবা নিরাপদ অন্য যে কোন সময় তাহলে আপনার সংগে যাবার দরকার নেই।কিন্তু আপনার বোন এমন একটা দুরুত্তে কোন এক জায়গায় যেতে চায় যে সময় তার যাওয়া টা নিরাপদ নয়,তখন আপনি নিশ্চয় সঙ্গে যাবেন।শোনেন ভাই ইসলামের কাজ মানুষ কে নিরাপদ রাখা।ওয়াস্ফিয়া একটা বিশেষ অভিযানে যান,তার বিষয়ে স্পেশাল ভাবেই ভাবতে হবে,অর্থাত শুধু দেখতে হবে যে সে অভিযানে নিরাপদ কিনা,তারপরসে যেতে পারে,আর এই সব অভিযান নিরাপদেই হয়। মানুষের ভাল চায় বলেই কি ইসলামের দোষ হল?
@মরুঝড়,
দেখুন আপনার সদুদ্দেশ্য সম্পর্কে আমার সন্দেহ নেই। আপনি নিজের মত করে হাদীসটিকে আধুনিক জীবন যাত্রার সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সত্য এই যে ইসলামের কঠোর অনুসারীরা হাদীসটিকে আক্ষরিক অর্থেই নেবেন এবং ফতোয়া দেবেন নারীদের গায়ের-মাহরেমের সাথে হিমালয় অভিযান শরীয়ার বরখেলাপ। আসলে এটি একটি উদাহরন মাত্র; ইসলামে এরকম আরো বহু বিধি-বিধান, নির্দেশনা আছে যেগুলো শরীয়াপন্থীরা আক্ষরিক অর্থে পালন করে থাকেন এবং ফলশ্রুতিতে আধুনিক পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হন। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাইলে ইসলামের পিছু টেনে ধরা অনুশাসনগুলোর যুগপযোগী ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে, যেমনটি আপনি উপরের হাদীসটির ক্ষেত্রে করেছেন। (আমার দৃষ্টিতে) আপাতত ধর্মমুক্ত সমাজ না পাওয়া গেলেও, যদি ধর্মীয় গোড়ামী দূর করা যায় সেটাও মন্দ না, যদিও এর সাফল্য সম্পর্কে আমি সন্দিহান। যাইহোক, এসম্পর্কে আমার যা বলার ছিল আমি উপরের মন্তব্যগুলোতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, আমার আর কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ।
@মরুঝড়,
এইতো ভাই দারুন বলেছেন। এমন কথা আগে বললেই পারতেন। যাহোক কোরান হাদীস আক্ষরিক অর্থে আজকাল মানা সম্ভব না। তাই আমি সংশোধনের;আরো ভাল করে বললে সংস্কারের কথা বলেছিলাম।এতে কোনই দোষ নেই।সংস্কার করা আর পুরা বদলে দেয়া এক জিনিস না।নিচে মুরশেদ সাহেব অনেক ভাল করে বলেছেন। আমিম শুধু নিজের একটি কথা যোগ করব, আর তা হল, আপনি যদি ব্যক্তিগত ভাবে ধর্ম মানতে চান, ইয়উ আরে ওয়েলকাম, কেউ আপনাকে বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু কেউ যদি নামাজ রোজা, পুজা পার্বন না করে এমনি সৎ জীবনযাপন করে, তবে তার সাথে লাগার কোন মানেই হয় না। আপনি আপনার মত থাকুন, অন্যকে অন্যের মত থাকতে দিন,তাহলেই কিন্তু অনাকাঙ্খিত ঝামেলা বাধেনা।তা না করে এইটা না মানলে তুমি শয়তানের পথে আছ, বা তুমি নিজেই শয়তানের চেলা, এই জাতীয় উস্কানিমুলক কথাবার্তা যারা বলে, আমাদের পালটা জবাব ( অবশ্যই তা যৌক্তিক ভাবে) দেয়াটাই স্বাভাবিক। তখন আবার ধর্ম গেল এই রব ওঠে।কাজেই আসেন কেউ কারু ক্ষতি না করে, নিজের মত করে নিজেরা চলি। এতেই মঙ্গল বলে আমার মনে হয়।আশা করি বুঝাতে পেরেছি আমি? না পারলে ভাই বলতে চাই যে এর থেকে ভাল করে সম্ভবত আপনাকে বুঝাতে পারব না আমি। ক্ষমা করবেন আমাকে। ভাল থাকবেন।
@অর্ফিউস,
মরুঝড় ভাই, পড়ুন উপরেমুরশেদ সাহেব অনেক ভাল করে বলেছেন।
এই অন্যায়ের বিচার চাই। চাই দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি। প্রয়োজনীয় লেখাটার জন্য ধন্যবাদ, মালিক ভাই।
কারণ আমরা মানবিক না-হয়ে, তার্কিক হয়ে হাজার বছর তর্ক করে যেতে চাই। কারণ আমরা বিষয়টি ভিন্ন দিক থেকে দেখতে চাই, আমরা দেখতে চাই, এটি আদৌ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কী-না?
আসুন প্রতিবাদ না করে আমরা মহা-বিতর্কের ঝড় তুলে, আক্রান্ত মানুষটির জীবনে বয়ে যাওয়া ঝড়কে আড়াল করে ফেলি।
তবুও আপনার প্রতিবাদ করার অভিপ্রায়, ইচ্ছাকে অভিনন্দন। তাতে যদি আগামী কিছুটা হলেও সতর্ক হয়। এবং প্রতিবাদে বিচার না-হলেও দমে যাওয়া ঠিক নয়। এ এক নিরন্তর লড়াই। শুভ আর অশুভ-র মধ্যকার দ্বন্দ্বকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার মধ্য দিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শালিস মানেন না। অথচ বিচারের নামে নিজেই তো আরেক শালিস ডাকলেন –
অভিমত হয়েই থাক।
@রূপম (ধ্রুব),
শুনেছি, প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রীকে হুমকির অভিযোগে এক চিকিত্সককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হুমকির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে, যা ছোট আকারে হলেও মিডিয়ায় এসেছিল। এই ঘটনাটি আমাদের গণমাধ্যমে বোধ হয় আসবেই না, অবশ্য আসতো যদি মেয়েটি লজ্জা অভিমানে আত্মহত্যা করতো। খুন হত্যা না হওয়া পর্যন্ত পত্রিকাগুলো ছোটখাট খবর ছাপাতে আগ্রহবোধ করেনা।
আমরা জানি ইউ টুবে প্রচার করা প্রভার ঘটনা কিংবা ফেইসবুকের সুত্র ধরে কোরান অবমাননার কারণে রামুর ঘটনা। আচ্ছা, বলতে পারেন, সাইবার-ক্রাইম লো cyber-crime laws বলতে কী বুঝায়? সংশ্লিষ্ট ঘটনাটিকে কি ক্রাইম বলা যায়? তা কি আইনত দন্ডযোগ্য অপরাধ?
@আকাশ মালিক,
সর্বজনীনভাবে গৃহীত অর্থে অপরাধ বলে যদি কিছু থাকে, মানুষের শরীর ও সম্পদে আঘাত অবশ্যই তার মধ্যে পড়ে। সাইবার ক্রাইমের একটা বলা যায় ওয়েবসাইট হ্যাকিং, কারণ সেটা সম্পদে আঘাতের নামান্তর। সেই কাতারে আরো পড়ে অনলাইন ফ্রড, যেগুলো অর্থগত ক্ষতিসাধন হয়। মানহানি জটিল বিষয়, এবং মূলত ধর্মানুভূতিতে বা যেকোনো অন্যান্য অনুভূতিতে আঘাত ক্যাটাগরির (রাষ্ট্রানুভূতি, ভাষানুভূতি, জাত্যানুভূতি, শ্লীলানুভূতি)। যদিও অধিকাংশ রাষ্ট্র সেটাকে ইনক্রিমিনেট করার একটা ফ্রেইমওয়ার্ক রেখেছে। তবে এটা মূলত অনির্ণেয়। পৃথ্বীর থেকে ধার করে বলি – “মতপ্রকাশের স্বাধীনতাটা আসলে কী? এটা যাই হোক, আঘাত করার স্বাধীনতা না থাকলে এর কোন অস্তিত্বই নাই।”
ফলে মানহানিটা এখানে মুখ্য নয়। আঘাত করার জন্যে ছেলেটা অলরেডি দোষী।
তবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কীসের জন্যে সাইবার ক্রাইম নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে সেটা আমাদের অজানা নয়।
সামাজিক প্রতিবাদ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেটা যে বিচার নয় সেটা উপলব্ধি করতে হবে। ফলে স্ট্রিট জাস্টিসকেও নিরুৎসাহিত করতে হবে। এখন রাগের চোটে ছেলেটাকে ধরে একটা চড় দিলে সেটাও অপরাধের ক্যাটাগরিতেই পড়বে।
ফলে এইসব ক্ষেত্রেও আবেগের চেয়ে সুচিন্তিত পদক্ষেপেরই মূল্য বেশি। পাছে না আবার অন্যায় ঘটে যায়। আবেগের বশে করা কর্মকাণ্ডে তেমন অন্যায় আবার বেশিই ঘটে কিনা।
@রূপম (ধ্রুব),
(Y) (Y) অসাধারণ কথা বলেছেন।
@রূপম (ধ্রুব),
একদিন আমার ব্যবসায় এক মাতাল আসলো। ঘোর মাতাল। বলছে তাকে মাগনা খাওয়াতে হবে, ঘরে লিফট দিতে হবে, ট্যাক্সি ভাড়া দিতে হবে, না দিলে উইন্ডো ভাঙ্গবে, এই করবে সেই করবে ব্ল্যা ব্ল্যা ব্ল্যা—। নিরুপায় হয়ে পুলিশ ডাকলাম। পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে জিজ্ঞেস করে-
– Did he damage anything?
– Not yet, but he may do it.
– Did he harm anybody?
– No.
– Did you ask him to leave the premises?
– Yes
– What did he do?
এ পর্যায়ে এসে আমার মাথাটা পুরাই বিগড়ে গেছে পুলিশের উপর। আমি বললাম-
– Do you want me to get rid of him the way I want, then?
– No, no. Someone will be with you shortly.
রুপম দা, এই দিকটা কিছুটা হলেও বুঝি, তবু রক্ত মাংসের মানুষ, আবেগ ক্ষোভ ভর করে যখন দেখি যেখানে যা ঘটার কথা নয় সেখানে তা ঘটছে। আমাদের দেশটা এ রকম ছিলনা। নদী-নালা, খাল-বিলের দেশের মাছে-ভাতে বাঙ্গালী আগে এমন ছিলনা। এর কারণ খুঁজে বের করে সমাধানের পথ দেখাতে পারেন আমাদের বুদ্ধিজীবীরা। এখনও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, একদল সচেতন প্রতিবাদী যুবসমাজ অন্যায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার আছে, তাদেরকে আমাদের সাহায্য প্রয়োজন।
@রূপম (ধ্রুব), @অর্ফিউস,
রূপম,
হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। আমি অবশ্য আপনার বাক্যটিকে এভাবে দেখছি —- এলাকা ও কলেজের নাম জানা থাকলে স্থানীয় জনগণ মেয়েটির মুখ আড়াল করে রাখলেও তাকে চিনে ফেলবে।আমরা যখন জানিই যে বিষয়টি খারাপ, কুৎসিত তবে জেনেশুনে
এমন ধরণের লিংক না দিলেও হ্য় বা না দিলে ভাল হয়।
@গীতা দাস,
এর পরে কী বললেন না তো। নিলীমা ইব্রাহিমের কোন এক লেখায় পড়েছিলাম, বীরাঙ্গনাদের সমাজের নিন্দা ও লোকলজ্জা থেকে বাঁচানোর জন্যে অনেক সত্য গোপন রাখতে হয়েছিল। কথাটা ঠিক। আগে বাঁচা তারপর অধিকার। কিন্তু ইন্টারনেট, ইউ টুব, ফেইসবুক যুগে এখানে গোপন রাখার মত আর কিছু বাকি নেই। যারা দূষ্কর্ম করেছে তারাই দুনিয়া জুড়ে তা ছড়িয়ে দিয়েছে। আরেকদল এদের প্রতিহত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। আজ যে চড় মেরেছে কাল যেন সে ধর্ষক হয়ে না যায় সেটাও তো খেয়াল রাখতে হবে দিদি, তাই না?
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Reap-03-640.jpg[/img]
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Reap-640-1.jpg[/img]
আমাদের দেশে আইনের প্রয়োগ প্রভাবশালীদের জন্য একরকম আর সাধারণ মানুষদের জন্য আরেক রকম। মাত্র কয়েক হাজার টাকার কৃষি ঋণ শোধ করতে না পারায় মনোরঞ্জনের কোমরে দড়ি পরে অথচ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক/শেয়ার বাজার যারা লুট করেন তাদের টিকি (আসলে দাড়ি) ছোঁয়া যায় না। সৌদি চাপে পড়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ভোজবাজির মতো খালাফের খুনীদের (?) শুধু গ্রেফতারই করে না, রাতারাতি বিচারে ফাঁসীর ব্যবস্থাও করে ফেলে, অথচ ঝুলে থাকে সাগর-রুনীর হত্যা মামলা। অভিযুক্ত খুনী তাহের-পুত্র বিপ্লব কিংবা বারো বছরের কারাদন্ড পাওয়া সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহাদাব আকবর কত সহজেই রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে যান; কত সহজেই না বিরোধী দলনেত্রীর দূর্নীতিবাজ পুত্ররা বিচার এড়িয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকতে পারেন! পিতার অর্থ আর প্রতিপত্তির জোরে খুন করলেও কিছুই হয় না সানবীরদের!! ‘আইন সবার জন্য সমান’ – এই ধরনের নীতিবাক্যগুলো যেন এখন শুধু পাঠ্যপুস্তকে পড়ার বা সুধী-সমাবেশে উচ্চারণের জন্য, বাস্তবে এর প্রতিফলন আশা করাও যেন বোকামী। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে উপরের দুঃখজনক ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।
@মনজুর মুরশেদ,
ভাই, দয়া করে বেচারা রাষ্ট্রপতিকে দুষবেন না। আমার মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তি হলেন রাষ্ট্রপতি; জিনি আসলে ঢাল তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার।আসলে মোনাজাতের নেতৃত্ব দেয়া, আর সরকারী দলের সব সিদ্ধান্তের অসহায় ভাবে সমর্থন দান ছাড়া উনার আর কি বা করার আছে আমাদের এই মহান গন্তান্ত্রিক দেশে। রাষ্ট্রপতিকে আমরা মোনাজাত মন্ত্রী,আর টার্গেট প্রাকটিস করার জিনিস হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারি।
আপনিই বলুন,সাজেদা চৌধুরীর ছেলেকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে কি তিনি আর রাষ্ট্রপতি থাকতে পারতেন? 😉 । শেষকালে তাঁকেও রাজাকার উপাধী পেতে হত!!
@অর্ফিউস,
ঠিক আছে, আপনি যখন বলছেন…… :))
@মনজুর মুরশেদ, দেখেনতো ভাই মোটামুটি রিপোষ্ট করে বসলাম।সেদিন মুক্ত মনা মন্তব্য রিজেক্ট করছিল আর আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম, তাই এই অবস্থা।জানিনা আজ পোষ্ট হবে কিনা। কমেন্ট তো করতে পারছি না 🙁 🙁
@মনজুর মুরশেদ,
ঠিকই বলেছেন। পচন ধরেছে দেশের মাথায়, বুদ্ধিজীবীরা টাকার কাছে নত হয়, সম্পূর্ণ ধ্বংস ছাড়া এ জাতীর আর নতুন সপ্ন দেখা হবেনা।
@আকাশ মালিক, ইসলামী শরীয়া আইন ই পারে এসব রুখতে। অন্য কোন পন্থায় হাজার বার কাদলেও পারবেন না।
@মরুঝড়, জি ঠিক বলসেন। যেমন আজকাল শেখ হাসিনাও শরিয়াহ আইনে বিচার করার হুমকি দেন।
এইযে দেখেন আকাশ মালিক কিন্তু এখানে অনেকটা দাঁতের বদলে দাঁত, তথা শরিয়া আইনেই বিচার দাবী করেছেন। 🙂
@অর্ফিউস, জি শুধু আকাশ মালিক না দু দিন পর আপনিও শরিয়া আইন চাইবেন, ওই যে বললাম হাজার চেষ্টা করেও কোন ফল পাবেন না যদি না শরিয়া থাকে।আমি আপনার চোখ তুল্লে আমার চোখ তুলে নেয়াই হবে বিচার কিন্তু এর মধ্যে মানবধিকার ঢুকে গেলে অবশ্য আমার কিছুই হবে না,আপনাকে কথা টি বললাম কারণ আপনি আবার মানবাধিকার সমর্থক। তবে কোন একদিন হুশ হবে নিশ্চয়।
@মরুঝড়,
ইনশাল্লাহ। তবে আপনি নিজে হুঁশে আছেন কিনা এটা একটু চেক করে দেখেন দয়া করে।তারপর না হয় অন্যকে হুঁশ দেবার…….. :-s
@অর্ফিউস, জি হুশ এই এখন হল- যে আপনার সাথে না লাগাই ভালো।
@মরুঝড়, জি ধন্যবাদ, আমার সাথে লেগে আর কি লাভ বলেন? আমি হলাম এখানে অনেকটা দুগ্ধপোষ্য শিশুর পর্যায়ে পড়ি। একেবারেই নতুন পাঠক,লিখি নাই এখনও কিছুই। আপনার যদি লাগার ইচ্ছেই থাকে তাহলে বরং এখানে
এখানে
এবং এখানে যান ।
🙂 ।দেখেনতো হালে পানি পান কিনা।আপাতত সালাম দিলাম। ফিরে এসে উত্তর দিয়েন। 🙂
@অর্ফিউস, লেখক বড়সর বাঘ মেরেছেন বলে ভাবছেন। শুধু অই লেখক না গোটা মুক্তমনার যত লেখক আছে সবাই কে আমি একটা চ্যালেঞ্জ দিলাম-পারলে ইসলামের চেয়ে ভাল,মানুষের জন্য একটা বিধান নিয়ে আসেন।এবার একটা গল্প -আপনি আমার প্রতিবেশি। আমি বিয়ে করলাম।আপনি একদিন এসে বললেন ভাই আপনার বউ এর তো চালচলন ভাল না,আর একদিন বল্লেন-ধুর ভাই কথাও ভালো করে বলতে পারেনা, রান্না খারাপ,এই ভুল অই ভুল।আমি একদিন বললাম-ভাই তুমি একটা বিয়ে কর তো দেখি তোমার বউ কেমন হয়? তোমার কি কি সমস্যা সে আমি দেখাচ্ছি।অনেক বড় বড় সব পন্ডিত তো এখানে আছেন,দেখি কার কেমন মুরোদ?আপনারা ইসলামের এই ভুল সেই ভুল ধরেন,ভালো্-,এত উত্তর দেবার আর দরকার নেই, এবার নিজেরা একটা বিধান দিন।বলুন মানুশ কে তারা কিভাবে চলবে? আর যদি বলেন গণতন্র,মানবাধিকার,ইত্যাদি বুজরুকি হল আপনাদের বিধান তাহলে আমি বলব you are not paying attention enough.
@মরুঝড়,
ইসলামসহ অন্য সব ধর্মকে দুনিয়া থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিন, তারপর যা বাকী থাকবে সেটাই মানুষের জীবনযাত্রার সঠিক বিধান।
@মনজুর মুরশেদ, এইত ভুল টা করলেন।নিন ধর্ম তুলে দিলাম,তাহলে মানুষ এবার চলবে গণতন্র ,মানবাধিকার আর পুজিবাদ দিয়ে,তাইত। তা ভায়া বাংলাদেশ একটি পুজিবাদি গন্তান্ত্রিক দেশ,বিচার ব্যবস্থাও যা তা,তা প্রশ্ন করি কেমন আছেন বাংলাদেশে। কোন্ দিন মনে হয় না সুপ্রিম কোর্টে গেছেন,মনে হয় জানেন ঘুষের ঠেলায় চাকরি পাওয়া যায় না,গরিব মানুষের জন্য বিচার নেই,পুজিবাদি ব্যবস্থার কারনে আমেরিকার মহামন্দার জের টানতে হয় আমাদের,তাদের রক্তচোষা প্রতিষ্ঠান আইএম এফ বিশ্বব্যাংক আমাদের খাদ্যপন্যর মুল্য সহ জীবন অতিষ্ঠ করতে যা যা করা দরকার তাই করে,আপনারা সেই আমেরিকার বানানো বিধানে বিশ্বাস করেন,তাই দেখে আমি খুব হতাশ ভাই।ইসলাম খুব খুদ্র পরিসরে ধর্ম কিন্তু ব্যাপক পরিসরে সমাজ ব্যবস্থা,এতে অর্থনীতি ,প্রশাসন সব আছে।আপনারা ধর্ম টা নিয়ে টানাটানি করেন কিন্তু ইসলাম পুর্নাঙ্গ ভাবে বাস্তবায়ন না করলে এর আসল সৌন্দর্য আপনি বুঝতে পারবেন না।একটু ভেবে দেখুন ভাই তারপর না হয় ইসলাম নিয়ে বলেন।আর মুক্তমনা র সবাই একটা চ্যালেঞ্জ দিলাম ইসলামের ভালো একটা বিধান দিতে,কিন্তু দেখবেন ওদিকে কেউ যেতেই চাইবে না।
@মরুঝড়, যদি আপনার সেটাই মনে হয় ভাইজান, তবে ওখানেই আপনার বিপ্লবী কলম গর্জে উঠছেনা কেন? উনাদেরকেই চ্যালেঞ্জ করেন না কেন?এখানে সেটা লেখার দরকার কি ভাই?
@মরুঝড়, ভাইজান আরেকটা লিঙ্ক দিতে ভুলে গেছিলাম। এখানেও যাবেন কিন্তু মনে করে
গুড লাক (F)
@মরুঝড়,
চেষ্টা তো কম হচ্ছেনা, কিন্তু বে-আক্কেল কাফিররা বুঝতেই রাজী নয়। প্রতি ২০০জনে ১জন রেইপড, ভাবছি এ দেশ ছেড়ে পালাবো।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/1312082023-muslims-march-for-sharia-law-zones-in-the-uk_772281_zps9fa1ea08.jpg[/img]
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Sharia1_zps1fb3ba10.jpg[/img]
একটা শরিয়ার দেশের নাম বলেন দেখি বউ বাচ্চাকে রাজী করাতে পারি কি না।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/images22_zpsf606dd66.jpg[/img][img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/download_zpsa7ad1989.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
একেবার নীচে বাম দিকের ছবিটি ফটোশপড বলে মনে হচ্ছে।
@মনজুর মুরশেদ,
হতে পারে, এখান থেকে নেয়া।
এতো কিছু দেখে শুনে বাঙ্গালীরা কী ভাবে শরিয়া আইন বাংলাদেশে চান তা আমি বুঝিনা। আমাদের গান-নাটক, নৃত্য, শিল্প, আর্ট সংস্কৃতির কী হবে? তবে আগামী টার্মে বি এন পি-জামাত যদি ক্ষমতায় আসে আর দশ বৎসর থাকতে পারে, তাহলে নিচের চিত্র বাংলাদেশেই আমরা আমাদের জীবিতকালে দেখে যেতে পারবো।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/imagesCAHC9JCS.jpg[/img][img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/imagesCAPU6IP8.jpg[/img]
@আকাশ মালিক, ইরান মোটামুটি ঠিক আছে,ইরানেই আসতে পারেন। আর যেসব ছবি গুলো দিয়েছেন তার মানে হোল যে মুস্লিম দেশে মেয়েদের মানুষ বলেই মনে করা হয়না। এদের এভাবে মারার কারন টিও নিশ্চয় জানেন,সেটা কিন্তু আর দিলেন না। আর আপনাদের উন্নত দেশে মেয়েদের অবস্থা কেমন তার যদি ছবি দিই সেটা মুক্তমনা ছাপাতে পারবেনা,তবে আপনি যদি কষ্ট করে পর্ন সাইট গুলোতে যান তো বুঝবেন নারী স্বাধীনতা কাকে বলে আর কত প্রকার ও কি কি? আর কি সব ভেরিয়েশন gangbang,oral,lesbian,interracial,threesome,fivesome,hardcore আহা আহা আর corporate sex এর কথা কি আর বলব হিউজ হেফনার আর হালের বিবিসি র সেভিল সব তো আপনার জানা,তারপরো কেন যে কানা হয়ে থাকেন। টের পান না কেন পৃথিবীকে ঘুণপোকায় খেয়ে ফেলছে ,কিভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে সব?
@মরুঝড়,
আসলেই তাই…
১ নারীর অবস্থান পুরুষের নিচে (Quran 4:34, 2:228)
২ তাদের মর্যাদা পুরুষের অর্ধেক (Quran 2:282, 4:11 Sahih Bukhari 3:48:826, 1:142)
৩ নারী পুরুষের যৌন দাসী (Ibn Hisham-al-Sira al-nabawiyya, 4:251)
৪ তারা পুরুষের অধিকৃত সম্পত্তি (Sahih Bukhari 5:59:524)
৫ তারা কুকুরের সমতুল্য (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493, 1:9:486 Sahih Muslim 4:1032, 4:1034, 4:1038-39 Abu Dawud 2:704)
৬ ভালোবাসার অযোগ্য (Sahih Bukhari 7:62:17 Abu Dawud 41:5119)
৮ রজ্বচক্র চলাকালীন তারা অপবিত্র (Quran 2:222 Al-Tabari Vol.1 p.280) নামাজ পড়া বা হজ্ব করার অযোগ্য (Sahih Bukhari 3:31:172, 1:6:302)
৯ তারা নিকৃষ্ট (Sahih Bukhari 9:88:219) বুদ্ধিহীন (Sahih Bukhari 2:24:541) অকৃতজ্ঞ (Sahih Bukhari 1:2:28) খেলার পুতুল (Al-Musanaf Vol.1 Part 2 p.263) হাড়ের মত বক্রতা যুক্ত (Sahih Muslim 8:3466-68 Sahih Bukhari 7:62:113, 7:62:114, 4:55:548)
১০ তারা পুরুষের চাষযোগ্য ক্ষেত্র (Quran 2:223 Abu Dawud 11:2138)
১১ তারা শয়তানের প্রতিরূপ, যাদের দেখার সাথেই স্ত্রীর সাথে এসে যৌন সংসর্গ ক্রয়া উচিত (Sahih Muslim 8:3240, 3242)
১২ তাদের মাঝে নিহিত আছে যাবতীয় খারাপ (Sahih Bukhari 4:52:110, 4:52:111)
১৩ তারা বিশ্বাস ঘাতক (Sahih Bukhari 4:55:547)
১৪ পুরুষের জন্যে ক্ষতিকারক (Sahih Bukhari 7:62:33)
১৫ নেত্রিত্ব দেওয়ার অযোগ্য (Sahih Bukhari 9:88:219)
১৬ প্রার্থনা ভঙ্গ হওয়ার কারন (Sahih Bukhari 1:9:490, 1:9:493)
১৭ স্বামীর যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তারা বাধ্য (Sahih Muslim 8:3368)
১৮ পুরুষ কত্রিক ধর্ষনের অনুমোদন (দাসি অথবা যুদ্ধবন্দিনি) (Quran 70:29-30 Abu Dawud 11:2153, 31:4006 Sahih Bukhari 5:59:459, 8:77:600, 3:34:432 Sahih Muslim 8:3432, 8:3371)
১৯ স্বামীর বাধ্য না হলে তাদের প্রার্থনা গৃহিত হবে না (Muslim Scholar Al-Suyuti while commenting on Quran 4:34 Mishkat al-Masabih Book I, Section ‘Duties of husband and wife’, Hadith No. ii, 60)
২০ পুরুষ পারবে চারজন নারীকে বিয়ে করতে (Quran 4:3 Tafsir Ibn’ Kathir)
২১ যেকোন সময় শুধু মুখের কথায় তালাকের অধিকার রয়েছে শুধু পুরুষেরই (Quran 2:228-232 Sahih Bukhari 8:4871-82 Sahih Muslim 9:3493 Mishkat al-Masabih, Book 1, duties of parents, Hadith No. 15)
২২ তালাকের পর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রিকে কোন খোরপোশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই (Sahih Muslim 9:3519, 9:3522, 9:3530)
২৩ স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার রয়েছে পুরুষের (Quran 4:34 Sahih Muslim 4:2127 Abu Dawud 11:2141) যার কারনে কোন জবাব চাওয়া হবে না (Abu Dawud 11:2142) তবে বেশি মারা যাবে না যেহেতু রাত্রিকালিন প্রয়োজন মেটাবে তারা (Sahih Bukhari 7:62:132)
২৪ বেহেস্তে পুরুষের জন্যে রয়েছে বহু (Virgin) রমনী সম্ভগের ব্যাবস্থা (Quran 33:48, 44:51-54, 55:56-58, 78:31-35 Ibn Kathir Tafsir of 55:72 Sahih Muslim 40:6795, 40:6796 Sahih Bukhari 4:54:476 Al-Tirmidhi, Sunan. Vol. IV Chap. 21 Hadith: 2687 Sunan Ibn Maja, Zuhd-Book of Abstinence 39)
২৫ শুধুমাত্র নীরবতাই তাদের বিয়ের সম্মতি (Sahih Bukhari 9:86:100, 9:86:101, 9:85:79)
২৬ স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত অন্য পুরুষের কাছাকাছি হওয়া নিষিদ্ধ (Sahih Bukhari 4:52:250)
২৭ তাদের একমাত্র কাজ পুরুষের সেবা করা (Mishkat al-Masabih, Book 1, Duties of Husband and Wife, Hadith Number 62 Mishkat al-Masabih, Book 1, duty towards children Hadith Number 43)
২৮ সর্বদা নিজেদের আবদ্ধ রাখতে হবে পর্দায় (Sahih Bukhari 5:59:462, 6:60:282)
২৯ থাকতে হবে গৃহাভ্যন্তরে (Quran 33:33) ভ্রমনের সঙ্গি হতে পারবে শুধুমাত্র স্বামী বা বিবাহ অযোগ্য (বাবা, ভাই) কেউ (Sahih Bukhari 3:29:85)
৩০ সবসময় তাদের বিরোধী অবস্থান নিতে হবে যেহেতু তাতে আছে পুরুষ্কার (Ghazali volume 2, p.34)
৩১ মৃত্যুর পর তাদের অধিকাংশের জন্যে রয়েছে দোজখের আগুন (Sahih Muslim 36:6596, 36:6597 Sahih Bukhari 7:62:124, 1:2:29, 7:62:124, 2:18:161)
৩২ নারীর ব্যবহৃত সুগন্ধি কোন ব্যক্তির নাকে গেলে তা গণ্য হবে ব্যভিচার বলে (Sunan An-Nasaaii hadith # 5129)
৩৩ তাদের বেলায় রক্তঋণ (blood money) পুরুষের 1/3 এবং যুদ্ধলব্ধ মাল তাদের জন্যে নয় (Malik’s Muwatta 43.6.4b Sahih Muslim 19.4458)
৩৪ ধর্ষনের বেলায় উক্ত মহিলার স্বীকারোক্তির কোন মূল্য নেই (প্রয়োজন চারজন পুরুষ সাক্ষি) (Quran 2:282) আর অন্য ক্ষেত্রে পুরুষের অর্ধেক (Abu Dawud 3.40.4662)
৩৫ তারা পুরুষের জন্যে বয়ে আনে খারাপ ভাগ্য (Sahih Bukhari 7:62:30-32, 4:52:110-111 Sahih Muslim 36:6603-6604)
৩৬ পুরুষের অধিক বিবাহের ব্যাপারে তাদের উচিত নয় বাধা দেওয়া (Sahih Bukhari 8:77:598)
৩৭ বন্ধ্যা নারী অপেক্ষা ঘরের মাদুর উত্তম (Abu Dawud 3:29:3911)
৩৮ নারীরা এমনি সস্তা যে তাদের দুটো আয়াত মুখস্ত করিয়েই যৌন সংসর্গ করা যাবে (Sahih Bukhari 6:61:547-548)
৩৯ নারীদের জন্যে খৎনা করা (Circumcision) বাধ্যতামূলক (Abu Dawud 41:5251)
৪০ স্বামিকে তালাক দিতে চাইলে প্রাপ্ত সকল দেন মোহর ফেরত দিতে হবে (Sahih Muslim 7:63:197-199 Abu Dawud 12:2220 Malik’s Muwatta 29.10.32)
৪১ অন্য স্ত্রীর সাথে যৌন সংসর্গের পুর্বে স্বামীকে প্রস্তুত করে দেওয়া সুন্নত (Sahih Bukhari 1:5:270)
৪২ পুরুষের কাছে তার স্ত্রি একজন বন্দিনি আর তার যৌনাঙ্গের অধিকারি (Ghazali volume 2, p.33)
৪৩ নারীকে তার যৌনাঙ্গ যেকোন সময়ের জন্যে স্বামীর উদ্দেশ্যে প্রস্তুত রাখা বাধ্যতামুলক (Sahih Bukhari 4:54:460, 7:62:81 Sahih Muslim 8:3367-3368 Ghazali volume 2, p.43)
৪৪ তারা অনির্ভরযোগ্য এবং অবিশ্বাসি (Quran 16:92)
৪৫ তাদের স্পর্শ করে মসজিদে প্রবেশ নিষেধ (Quran 4:43)
৪৬ তালাক প্রাপ্তা হওয়ার পর আবার সংসার করতে চাইলে অন্য কোন পুরুষের সাথে বিয়ের পর যৌন সংসর্গ করে আসতে হবে (Quran 2:230 Sahih Bukhari 8:73:107, 7:63:187)
৪৭ একজন বয়স্ক পুরুষকে বুকের দুধ পান করিয়ে তবেই তার সাথে অবস্থান করা যাবে (Sahih Muslim 8:3424-3428) !
@(নির্জলা নির্লজ্জ), ব্যাপক লিস্ট। একটা উদাহরণ-স্ত্রী কে প্রহার করা যাবে-ইস্লামি বিধান। এখন বলেন আপনি কখন আপনার স্ত্রীকে প্রহার করবেন? দেখি ইসলাম কি বলে আর আপনি কি করেন?
@মরুঝড়,
মারব কেন ?? ইচ্ছা মত ব্যবহার করব……
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।(2:223)।
মুখ দিয়া, সামনে দিয়া, পিছন দিয়া, যদি পারি নাক দিয়া, কান দিয়া ইচ্ছা মত ব্যবহার করব।
ইসলামের এই আয়াত টা অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করব… ইসলাম নারি দের সম্মান দিয়ে আকাশে উঠয়ে ফেলেছে। তা বলার বাহিরে………
@মরুঝড়,
এত উদাহরন দিলেন, খোদ বাদশাহ-র বংশধর (নাতি বা অন্যকিছু) সৌদি প্রিন্স যে সম্প্রতি মদপান করে তার পুরুষ যৌনসঙ্গীকে পিটিয়ে মারল তার কথা তো কিছুই বললেন না। তাও পশ্চিমা বিশ্বে এই অপরাধ সঙ্ঘটিত হয়েছে বলে আমরা জানতে পারছি, মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে হলে ঘটনা বেমালুম চাপা পড়ে যেত। এই প্রিন্স নামের আবর্জনা তো মুসলিম পরিবারে, শরীয়া শাসনে বড় হয়েছে (বাদশাহ আবার কাবার কাস্টডিয়ান!), সে কি করে এরকম গর্হিত অপরাধ করলো বলুন?
@মনজুর মুরশেদ, এই মস্ত ভুল্ টা আপনারা কেন করেন? সৌদি প্রিন্স কি করল সেটা ত ইসলাম না ভাই,খলিফা ওমর তার ছেলে মদ্যপান করেছিল জন্য নিজে পিটিয়ে মেরেছেন,এই হল শারিয়া। রাজতন্র কি ইসলাম অনুমোদন করে? করেনা কিন্তু দেখুন কুত্তার বাচ্ছারা ঠিকি দিব্যি আছে ,সাধারণ সৌদিদের জন্য শারিয়া আর নিজেরা ঠিকি মজ মাস্তি,এখানে আমিও আপনার সাথে একমত কিন্তু আপনি এ জন্য শারিয়া কে দোষ দিতে পারেন না। বুঝেছেন ।
@মরুঝড়,
ইসলাম পালন করে কে?? মানুষরা নাকি পশুরা।
ভাইজান কোনটা যে সহি ইসলাম সেইটাই বুঝতে পারলাম না??
আহারে!! এই কুত্তার বাচ্চার দের জন্য আপনি মুক্ত মনায় পদে পদে ঝামেলায় পরছেন নাকি??
এই জন্যই তো কিছু হইলেই, দৌড় দিয়া ইরানে চলে জান!!!!!! :rotfl: :lotpot:
@মরুঝড়,
আপনার কেন মনে হল যে ওইসব নোংরা পর্ন সাইটগুলো আর নারী স্বাধীনতা এক জিনিস?বেশি বেশি পর্ন ছবি দেখেই আপনার মাথা বিগড়ে গেছে, আর আপনি ওগুলাকেই পাশ্চাত্যের বাস্তব সমাজ ভেবে বসে আছেন।শুনেন পর্ন কারেক্টাররা কেউ বাস্তব চরিত্র না। আপনি বরং এখানে এ যাতে পারেন, যেখানে সঠিক সেএক্স এর নিয়মাবলি দেয়া আছে আর অবশ্যি পর্ন মুভমেন্ট যে পুরাটাই বর্জনীয় সেটাও দেয়া আছে। অবশ্য এটা একটা ওয়েস্টার্ন সাইট, কাজেই এখানে সুইঙ্গারদের কেও টিপস দেয়া আছে, ওগুলো আপনার বা আমার ;তথা নন সুইঙ্গার দের জন্য না।আপনি ওখানে স্বাভাবিক সেক্স সম্পর্কে জানুন ( অবশ্যই ওয়েস্টার্ন), দেখবেন নারী স্বাধীনতা আর gangbang porno কে যে এক করে গুলিয়ে ফেলেছেন, সেটা বুঝতে পারবেন। আর পর্ন দেখা ছেড়েদিন। অসব বাস্তবে হয় না, কোথাও হয় না। আমি যে সাইটটি দিলাম ওটা একটা মেন ওয়েব পোর্টাল।যান ,যেয়ে দেখুন যে পর্ন আর আসল পশ্চিমা যৌন জীবনে কি বিস্তর ফারাক।যাহোক টপিকগুলো কিন্তু ওখানে আপ্নাকেই সার্চ করে বের করা লাগবে। একটা নমুনা দিয়ে দিচ্ছি, আর তা হল how to seduce or satisfy your girl properly অথবা এই টাইপ কিছু.
@মরুঝড়,
আপনার কথার সত্যতা মেনে নিতাম, যদি বর্তমান বিশ্বে নারীর অবস্থানের তুলনামূলক উদাহরণ দিতে পারতেন। সারা দুনিয়াটা আপনার আমার চোখের সামনে। শরিয়াবিহীন দেশ ইংল্যান্ডে আছি প্রায় ৪০ বছর। আমার মেয়েটা কোন মুসলিম কোন দেশে না ইংল্যান্ডে নিরাপদ আপনি ভালই বুঝেন। একজনকে এই ভিডিও দেখিয়েছিলাম, তিনি বললেন-মেয়েটা যদি বোরকা পরে কলেজে যেতো তার এই দুর্দশা হতোনা। কথাটা মোটেই ঠিক নয়। ওটা নির্ভর করে, নারীকে আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন, নারী অধিকার নারী স্বাধীনতা বলতে আপনি কী বুঝেন।
@আকাশ মালিক,ভাই আপনারা সব সমস্যার এলোপ্যাথিক সমাধান চান আর সমস্যার গোড়া টি ধরতে পারেন না। আপনি নিজেই লিখেছেন যে ছেলেটি মেয়েটির সহপাঠি!! অর্থাৎ সহশিক্ষা ব্যাবস্থা। এরকম তো হবেই। ইসলামিক নিয়মে আসেন-বালিকাদের জন্য বালিকা বিদ্যালয়,ব্যস কাহিনি শেষ। কিন্তু আপনাদের আবার এই চিকিতস্যা পদ্ধতি ভালো লাগে না। আপনাদের কাজ ই হল ঘা তাজা রেখেই কিভাবে ঘা এ মলম দেয়া যায়।আর আপনার শব্দচয়নের বিষয়ে একটু সতর্ক হও্যা দরকার।শারিয়া বিহীন ইংল্যান্ডের সাথে একটি মুস্লিম দেশের তুলোনা চেয়েছেন। বাংলাদেশ একটি মুস্লিম দেশ ঠিক ই কিন্তু ইসলামিক বা শারিয়া ভিত্তিক দেশ নয়। তারপর ও একটি তুলনা দিলাম-
There are a number of sexual offences under the law of England and Wales, the law of Scotland, and the law of Northern Ireland (which function as three separate systems for this purpose).
Of women aged 16 to 59 in England & Wales interviewed for the 2006/07 British Crime Survey, 0.5% (1 in every 200) reported that they had suffered rape or attempted rape in the previous year, equating to approximately 85,000 nationally. In the same year, less than 800 persons were convicted of rape.[1][2] এই পরিশংখ্যান ২০০৬ -৭ এর।এবার আপনি একটা কাজ করুন-বৃটেনে শারিয়া চালু করুন।সহ শিক্ষা ব্যাবস্থা বাদ দিন,সব রকম মদ নিষিদ্ধ করেন,মেয়েদের জন্য আলাদা কর্মসংস্থান করেন,পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করেন,যৌন মামলা গূলোতে শারিয়া আইন চালু করে আমাকে বলেন বৃটেনে এবার কয়টা রেপ হয়েছে।আপনার মেয়ে আরো বেশি নিরাপদ হবে তাতে আপনারো দ্বিমত থাকার কথা নয়। আপনার স্বাধের ইংল্যান্ড যে বেশি ভালো নেই তার প্রমাণ তো ডেভিড ক্যামেরুনের উক্তি british broken society ।কি জন্য বলেছিলো তা বোধ করি আপনাকে বলতে হবে না।এবার আমি আপনাকে প্রশ্ন করি নারী স্বাধীনতা নিয়ে-পুজিবাদ না ইসলাম কে বেশি নারী কে মর্যাদা দিয়েছে? দেখি আপনি কি বলেন তারপর ই বলতে পারব আমি নারীকে কিভাবে দেখি।
@মরুঝড়,
মুহম্মদের জামানা আর নেই, পৃথিবী এগিয়েছে অনেক দূর। এই যুগে শরীয়া আইন সম্পূর্ণ অচল। শরীয়া আইন শুধু অমানবিকই নয়, যুগের দাবী মিটিয়ে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অপ্রতূল। কর্মসসূত্রে বেশ কিছু সৌদি নাগরিকের সাথে আমার পরিচয় রয়েছে। তাদের কাছে যা শুনি তাতে মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের অবস্থা যে খুব করুণ তা পরিষ্কার। ফিলিপাইন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া দরিদ্র মহিলা কর্মীদের সাথে গৃহকর্তা আর অন্যান্য পুরুষ সদস্যরা যে অনাচার করেন তার ভয়াবহ বিবরণ ইন্টারনেটেই পাবেন। আর সহশিক্ষার সমস্যা কোথায় তাতো বুঝতে পারছি না। মেয়েদের জন্য আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরী, শিক্ষকদের প্রশিক্ষন এসবের খরচ কি আসমানী ফান্ড থেকে আসবে? আর তা করলেই যে হয়রানী বন্ধ হবে তাই বা আপনাকে কে বললো? মাদ্রাসার ছাত্রীরাও তো সমস্যামুক্ত নন। আসল সমস্যা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা আর অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার কালচার। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি আর দেশে প্রচলিত আইনের যথাযথ ব্যবহার করেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, ভিনদেশের মধ্যযুগীয় বর্বর ব্যবস্থায় নয়।
@মনজুর মুরশেদ, সামাজিক সচেতনতা আর মানসিকতার পরিবর্তনের অপেক্ষায় থাকেন আর ছেলে মেয়েদের এবং নাতি নাতনিদেরও বলে যাবেন অপেক্ষা করতে। দেশে সরকারি বালিকা বিদ্যালয় গুলোর নাম মনে হয় শোনেন নি। আর সমস্যা থাকলে বইলেন।
@মরুঝড়,
সামাজিক পরিবর্তন একদিনে হয় না, এর জন্য সময় লাগে। আপাতদৃষ্টিতে আপনি দেখছেন শরীয়া আইনের কঠোরতার কারনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অপরাধ কম ঘটছে। কিন্তু অপরাধ মানে শুধু চুরি, ডাকাতি নয় – দেশের প্রশাসন বিরুদ্ধ মতের লোকদের গুম-খুন করলে, সেটাও অপরাধ, বিদেশী শ্রমিকরা নিপীড়নের শিকার হলে তাও অপরাধ। তারপর অনার কিলিং-র মত ঘটনাগুলোতো রয়েছেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এধরনের অপরাধ হরহামেশা হলেও বাইরের দুনিয়ায় তা সেভাবে প্রকাশ পায় না। এবার ভেবে দেখুন এইদেশগুলোর জনগনের সার্বিক অবস্থা কি – তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত দিতে পারে না, নেতা নির্বাচন করতে পারে না,সরকারের সমালোচনা করতে পারে না – এককথায় তাদের মুক্তচিন্তার অধিকার নেই। নারীদের সমঅধিকার তো দূরের কথা, এসব দেশে নারীরা পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে চরম বৈষম্যের শিকার। আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শিক্ষা আর প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মধ্যপ্রাচ্য পশ্চিমা বিশ্বের তুলনায় যোজন যোজন পেছনে। এই পশ্চাৎপদতার জন্য দায়ী মূলত কঠোর ধর্মভিত্তিক শাসন (অন্য কথায় গনতন্ত্রের অনুপস্থিতি)। এসব কিছু জানার পরেও কি করে বাংলাদেশের জন্য ধর্মভিত্তিক শরীয়া শাসন কামনা করতে পারি বলেন?
কি যে বলেন?! হাতে গোনা এইসব প্রতিষ্ঠানে ক’জন পড়ার সুযোগ পায়?
আপাতত মধ্যপ্রাচ্যের মরুর ঝড় যাতে দেশের কালবৈশাখী কে আরো বেগবান না করতে পারে তার উপায় খোঁজাই প্রধান সমস্যা বলে মনে হচ্ছে।
@মনজুর মুরশেদ, আপনি কি বুঝে লেখেন নাকি না বুঝে লেখেন।বাজার থেকে ব্লেড কিনলেন দাড়ি কামানোর জন্য কিন্তু গলা কেটে আত্মহত্যা করলেন,তা দোষ কি সেই ব্লেডের নাকি আপনার। শারিয়া আইন কিছু জায়গায় মানলেন কিছু জায়গায় মানলেন না ,সে দোষ কেন শারিয়ার হবে ভায়া,দোষ সেই সব সরকারের।সামাজিক পরিবর্তন ইহজনমে হবে না,সে আপনি হাযার জনম অপেক্ষা করেন।পরে কি সব নির্বাচন নিয়ে লিখেছেন ,এসব গণতান্ত্রিক বুলি অন্য কথাও আওড়ালে তালি পাবেন,আমাকে না বলাই ভাল। আর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় একটা উদাহরন ছিল মাত্র অর্থাৎ আমরা যদি চাই তবে শুধু বালিকা দের জন্য আলাদা সরকারি ,বেসরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বখাটেপনা দূর করতে পারি। তবে বুঝলাম আপনি গণতন্ত্র র আসল চেহারা জানেন না,তাই আফসস হল,যদি জানতেন তাহলে আজ উলটা পালটা বলতেন না…
@মরুঝড়,
এবার মসজিদের ইমামের কাছে ধর্ষিত হল ১৪ বছরের শিশু!!! নরসিংদীর রায়পুরায় রাতভর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ধর্ষণের দায়ে মসজিদের ইমামসহ দুই নরপশুকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের বাইদেরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রায়পুরা থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির পাশে জামে মসজিদের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। এ সময় মসজিদের ইমাম আল আমিন ছাত্রীটিকে কৌশলে তার ঘরের ভেতরে ডেকে নেয়। এ সময় আল আমিন ও তার বন্ধু ফয়সল মেয়েটিকে আটকে রেখে রাতভর গণধর্ষণ করে শুক্রবার ভোরে ছেড়ে দেয়। ধর্ষিতা তখন বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের ঘটনা খুলে বললে তারা থানায় মামলা করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রায়পুরা থানা পুলিশ ধর্ষক আল আমিন ও ফয়সালকে গ্রেফতার করে।
কিছু ইসলাম পন্থী মিডিয়া বারবার বলে যাচ্ছে ধর্ষণ প্রতিরোধে মেয়েদের পর্দা এবং ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার কথা। গত কয়েকদিনে কমপক্ষে পাঁচটি শিশুর ধর্ষিত হবার খবর মিডিয়ায় এসেছে। আরও কত ধর্ষণ জানার বাইরে রয়ে গেছে কে জানে? প্রশ্ন হচ্ছে, এই বাচ্চা শিশু গুলো কি পর্দা না করার কারনে ধর্ষিত হয়েছে? যে ইমাম এই কাজ করেছে, সে কি তার ঈমানী দায়িত্ব পালন করেছে? যেসব অমুসলিম মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে, ইসলামী অনুশাসন না মানার জন্য তাদের ধর্ষণ করা কি অপরাধ বলে গণ্য হবে না?
@(নির্জলা নির্লজ্জ), আচ্ছা লোক দেখি ,মসজিদের ইমামকে আবার এর মধ্যে আনলেন কেন? উদ্দেশ্য কি? আপনি ফোকাস করছেন কোথায় কোথায় ধর্ষন হচ্ছে এবং কারা কারা করছে আর আমি ফোকাস করছি ধর্ষন কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ঠিক কি কারনে এসব কমানো যাচ্ছে না।এই বিষয়ে কিছু বলার থাকলে বলেন,আর আমি যদি আপনার মত কাহিনি লেখা শুরু করি তাহলে আপনি পড়ে শেষ করতে পারবেন না।
@মরুঝড়,
সরিয়া আইনের ফলাফল—
ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থার একটু নমুনা—
দেখা যাক পৃথির পবিত্রভূমির সৌদিআরব অবস্থাঃ
পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ২৩% শিশু সৌদি সমাজে ধর্ষিত হয়। আর ৬২% কখনোই কোন নালিশ করে না। কেননা ধর্ষকরা হয় আত্মীয়, অধিকাংক্ষেত্রে চাচাতো ভাই, শিক্ষিক এবং ১%পিতা।
hitt://en.m.wikipedia.org/wiki/Rape_Statitics
ভাই মজা নেওয়ার জায়গা পান না……… যা মনে চায় তাই লেখে ফেলেন?? আবার বলতে আসছেন ইংল্যান্ডে সরিয়া আইন চালু করতে। নিজেদের বিসমিল্লায় গলদ আবার ইংল্যান্ড নিয়া হাও মাও করতে আসছেন। মুখে মুখে হাফেজ, কাজের বেলায় ১৬ আনা ফাঁকি।
@(নির্জলা নির্লজ্জ), কি ব্যাপার বলেন তো শরিয়ার কথা বললেই আপনি দেখি সউদি দৌড় দেন।সৌদি যুবরাজ্ রা যা তা করে বেরান,কিছু হয় তাদের? ইসলামিক নিয়ম অনুসারে রাজতন্ত্র কি গ্রহণযোগ্য? যদি না হয় তবে বার বার আপনি সৌদি যান কি জন্য? আমি ইসলামি দেশ হিসেবে যে দেশ কে পছন্দ করি তা হল ইরান,মুরোদ থাকে তো ইরান নিয়ে কিছু বলেন।
@মরুঝড়,
ভাইজান দেখেন——-
http://www.bbc.co.uk/news/world-middle-east-13777308
আর আপনে কষ্ট করে– “”rape of iran”” লিখে সার্চ দেন আসা করি পেয়ে জাবেন।
@(নির্জলা নির্লজ্জ), যার উদ্দেশ্যে লিখেছি সেই আকাশ মালিক কিন্তু কিছু বলছেন না,চুপচাপ আছেন,আপনিও থাকুন।
@আকাশ মালিক, (Y) (Y)
@মরুঝড়,
জনাব মরুঝড় সাহেব। আপনার মন্তব্য বাহ্যিক ভাবে শুনতে অত্যন্ত সুন্দর হলেও যদি একটু গভীরে তলিয়ে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন “ইসলামী শরীয়া আইন” মোটেই ইসলামী ও নয় এবং আল্লাহর আইনও নয়।
এতে ইমামদের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে অসংখ্য মতভেদ রয়েছে। আল্লাহর দেওয়া আইন হইলে মানুষের মধ্যে একই রকমের আইন হইত। কিন্তু তা নয়। একই অপরাধের জন্য একজনকে বেকশুর মুক্তি দেয়, আবার আর একজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়।
শরীয়া পরবর্তীতে খলিফারা তাদের ইচ্ছামত তৈরী করেছিল।
এহেন আইন দেশে যদি চালু হয় তাহলে দেশটি রসাতলে যাইবে তাতে কোনই সন্দেহ নাই।
আমার কথা বিশ্বাষ না হলে দেখুন এখানে
৭২ পৃষ্ঠা-১০০ পৃষ্ঠা
বইয়ের নাম-শরীয়া ইসলাম
মুক্তমনা ই বুক
লেখক-হাসান মাহমুদআল্লাহর দেওয়া আইন এরুপ পক্ষপাত দুষ্ট কি কখনো হতে পারে?
অথবা নীচের লিংকে-
http://mukto-mona.net/Articles/fatemolla/book/ISLAM_O_SHARIA.pdf
আরো শুনুন নিম্নোক্ত লিংকের ভিডিও দুইটি। এখানে ও শুনতে পাবেন শরীয়া আইনের উপর জনাব হাছান মাহমুদের যথাযথ উদ্ধৃতি সহ যৌক্তিক ব্যাখা -যেটা ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা অনুষ্ঠানে “হ্যালো ওয়াসিংটন” অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়ছিল।
http://www.hasanmahmud.com/j/index.php/media/audio/174-voa-hello-washington-jan-18-2006
http://www.hasanmahmud.com/j/index.php/media/audio/193-voa-hello-washington-feb-09-2011
ধন্যবাদ
ভালো থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ভাই, ইসলামের বহু পিন্ডি চটকিয়েছেন এবার ক্ষান্ত দিন আর উপরে অর্ফিউস কে একটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছি ,দেখেন তো কিছু করতে পারেন কিনা?
@মরুঝড়,
আপনি প্রসংগ ছেড়ে অন্যদিকে মোড় নিচ্ছেন কেন?
আসুন আগে শরীয়া আইনটাকেই একটু ব্যবচ্ছেদ করে দেখা যাকনা এর মধ্যে কি আছে আর কি নাই।
শরীয়া আইনের উপর হাসান মাহমুদের এই DIVINE STONE নামে এই VIDEO টি দেখে শরীয়া আইনের কুৎসিত রুপটা একটু দেখে নিন এখানে
অথবা এই লিংকে-
http://www.hasanmahmud.com/2012/index.php/movie .
আর এটাও জেনে রাখবেন,
DIVINE STONE-কে সাথে নিয়ে অনেক দেশে প্রদর্শনী করার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক নারী-সংগঠন WVN ( Women’s Voices Now)
এটা দেখলে নিশ্চিত হতে পারবেন যে শরীয়া আইনে কখনো দেশ চলতে পারেনা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ভারতে এই মুহুর্তে ৯৫০০০ হাজার ধর্ষন মামলা ঝুলে আছে,যার বিচার হবেনা তা আপনিও জানেন।আজ এশেছেন আমাকে ডিভাইন স্টোন দেখাতে। এসব দিয়ে আমি যদি ৯৫০০০ ডকুমেন্টারী বানাই আর আঙ্গুল তুলি আপনাদের ম্যাদা বিচার ব্যবস্থার দিকে তখন? জবাব দিন দেখি।
@মরুঝড়,
আপনিতো শরীয়া আইনকে আল্লাহর আইন নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অতিশয় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আপনার কি এটা জানা আছে যে শরীয়া আইন আল্লাহর দেওয়া আইনতো নয়ই বরং এটা নিজেই একটা কোরান বিরোধি আইন।
আপনি প্রমান চান? তাহলে দেখুন।
শরীয়া আইনে আছে অবিবাহিত পরুষ স্ত্রীরা ব্যাভিচার করিলে তাদের পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে।
কিন্তু কোরানে কোথাও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার নির্দেশ দেয় নাই।
পারলে দেখানতো।
কোরানে এদের ব্যাপারে কি আছে, সেটা দেখে নিন সুরা আন নূর এর আয়াত ৩ ও ২৬ নং এ
(২৪:৩,২৬)
এদের মধ্যে বিবাহ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাথর মেরে হত্যা করতে কখনো বলা হয় নাই।
একটু পড়া শুনা করে তারপর কথা বার্তা বলুন।
উপযুক্ত রেফারেন্স ও যুক্তি সহ কথা বার্তা বলুন।
যেটা কোরানে বলেনা সেইটাকে ধর্মের দোহাই দিয়ে, আল্লাহর আইন বলে আর অবুঝ জন সাধারণকে এভাবে ধোকা দিবেননা।
একটু আল্লাহকে ভয় করুন।
আল্লাহ আপনাদের মত আল্লাহর নাম ব্যবহার করে ধোকাবাজদের ক্ষমা করবেন না।
ভাল থাকুন।
আলোচনায় থাকুন।
আবার উধাও হয়ে যান না যেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ভাই আমরা চলেন আবার মেইন রাস্তায় যাই। আপনি একটা ভুল বার বার করছেন।ইসলামের কোথায় কি আছে না আছে সে আমি নিজে বের করে নেব। সোজা লাইনে একটা কথা বলেন আপনাদের পুজিবাদি সমাজ ব্যবস্থার চেয়ে ইসলামিক সমাজ ব্যাবস্থা -ভালো না খারাপ।?? আর ত্যানা পেচাবেন না আপনিও জানেন ইসলামের বিধান কি আর আমিও জানি পুজিবাদ কি। তাই ফাইনাল উত্তর দেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনাকে হাটুভাজ করে যুদ্ধে নামতে দেখে একটু অবাকই হলাম। একদিন এখানে এসেছিলেন হাজী সাহেব তারা অনেক আলচনা করলেন, অনেক বিনেদন দিলেন তারপর চলে গেলেন…আবারো এলেন ভার্শন -২ হয়ে। আমার মনে হয় মরুঝড় এসেছেন ঝড়ের মতই একটু হম্বিতম্বি করে হয়তো ঝড়ের মতই বিদায় নিবেন।
বাউল তত্তে একটা কথা আছে জানেনতো
এতদিনের তার্কিক বন্ধু, তাই আপনাকে অনুরোধ করছি যেখানে সেখানে যুক্তির প্রয়োগ করবেননা। এতে যুক্তিগুলো অপমানিত বোধ করে। ভালো থাকবেন।
@ছন্নছাড়া,
(Y)
তারপর এমন কিছু কি বলার বাকি আছে যা মুক্তমনায় ইতোমধ্যে বলা হয় নি? চর্বত-চর্বণ দোষের প্রভাব অন্যান্য লেখায়ও পড়েব। সুতরাং সকলকেই অনুরোধ করবো ইসলাম, শরিয়া, কোরান-হাদিস তর্ক এখানে আনবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ প্রতিরোধ করার পথ এটা নয়।
@আকাশ মালিক, যে ফর্মুলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে নেমেছেন না, তাতে কিছু হবে না। লিখে নিন ,হবে না। এ রকম হাযার হাজার ঘটনা ঘটবে আর আপনার কাজ হবে শুধু দু একটি ব্লগ লেখে দুঃখ প্রকাশ করা। আপনি তাতেই থাকুন ,আর আর্ট আর কালচারের সমঝদার হন,তাতেই হবে।
@ছন্নছাড়া, ধর্মে অবিশ্বাস করেই কাজ শেষ হয়না। বুঝলাম খুব যুক্তির তোরে এত কাল ধর্মের বারোটা বাজিয়েছেন কিন্তু মহাশয় তারপর কি? কোরানে নাকি ভুল।মহানবীর নাকি চরিত্রের ঠিক নেই আর নানা আবল তাবল কারণ দেখিয়ে না হয় ধর্ম টা ছাড়লেন কিন্তু তারপর কি? ইসলাম নাকি নারীদের অবমাননা করেছে তা আপনাদের পুজিবাদ কিভাবে মহান করলো নারীকে।? ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থার সুষ্ঠু বিধান তো দেখেন নি তাই ইসলামের ধর্ম দিক টি লাফা লাফি আপনাদের বেশি। একজন আহমাদিনেজাদের মত প্রেসিডেন্ট আছে আপনাদের পুজিবাদি বিশ্বে যে ছেড়া কোর্ট পরে রাস্ট্র চালায়।আমেরিকার পর্ন কোম্পানী গুলো হাজার হাজার বিলিয়ন দলার কামায় প্রতিবছর ,কই কোন দিন শুনেছেন আমেরিকার পুজিবাদি সরকার নারী অবমাননা হচ্ছে বলে অই সব বন্ধ করবে ,বরং তারা এটা নিয়ে কোন চিন্তাই করে না,তারা ভাবে নারীরা এভাবে মহান হচ্ছে। অনেক কথা ভাই মাত্র একটা স্যাম্পল দিলাম। আপনার কিছু মুল্যবান যুক্তি এই অভাগাকে দিন আমিও একটু মুক্তমনা হই। দয়া করুন,বাচান আমাকে।
@মরুঝড়,
আপনি সবসময় এই তুলনাগুলো করে থাকেন। সবচেয়ে দুঃখজনক হল, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ঠিক এভাবেই যুক্তি দিয়ে থাকে তাদের ব্লগগুলোতে। যখনই মুসলিম দেশগুলোতে নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হয়, তারা ঐ কারণগুলোর দিকে বিন্দুমাত্র নজর না দিয়ে উল্টো বলা শুরু করে, কই, পশ্চিমা দেশেও নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা পর্ণ, বিজ্ঞাপন বা বিউটি কম্পিটিশন ইত্যাদি নিয়ে আসে। বাস্তবতা হচ্ছে, পশ্চিমা দেশে নারীকে পণ্য হিসেবে ঠিকই ব্যবহার করা হচ্ছে। অথবা অমুসলিম দুনিয়ায় নারী অবমাননার রেকর্ডও বীভৎস, ইতিহাসের পাতায় চোখ মেললে দেখতে পাওয়া যায়, চার্চের হাতে নারীর অবমাননা তালেবানি আমলের চেয়েও রোমহর্ষক অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু পশ্চিমা দুনিয়া চার্চের সেই প্রভাবকে ক্ষুণ্ণ করতে সক্ষম হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু তার মানে এই নয়, পশ্চিমা দুনিয়ায় নারীর পূর্ণাংগ অধিকারের ইউটোপিয়া হয়ে গেছে এখনই। নারীরা অনেক এগিয়েছে, কিন্তু আরও এগুতে হবে। পর্ণ বা পণ্য এখনও তারা হচ্ছে, কিন্তু সার্বিকভাবে পশ্চিমা দুনিয়ায় নারীর অবস্থানের সাথে আপনার পক্ষ নেয়া অবস্থানের যে যোজন যোজন ফারাক, আপনার প্রবল ধর্মিয় জাতিয়তাবোধ তা বুঝতে প্রবল বাঁধা দিচ্ছে আপনায়। আপনার যুক্তিগুলো এমন, ধরুন, বাংলাদেশে দুর্নীতির উপসর্গ ও তা দূরীকরণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আপনি জাতীয়তাবাদী যুক্তির তোড়ে ভেসে বলতে থাকবেন, ক্যান বাংলাদেশের দুর্নীতির কথাই কওয়া হয়, ক্যান, আমেরিকায় কি দুর্নীতি হয় না!
@কাজি মামুন, (F) (F) (Y) (Y) (C) (C)
@কাজি মামুন, নীচে আকাশ মালিক কে একটি মন্তব্য করেছি,পড়লে বাধিত হব।ভাই আমিও চাই নারী এগিয়ে যাক,কিন্তু কিভাবে তাই নিয়েই গোল।
@মরুঝড়,
তো বোঝা গেল আমাদের মরুঝড় সাহেব চান যে নারীরা এগিয়ে যাক। তবে উপরের বক্তব্য মতে তা অবশ্যই শরিয়া মোতাবেক।খুব ভালো কথা। এখন আমরা একটু দেখি নারীদের বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে শরীয়া আইন কি বলছে আর হাদীস কি বলছে?
সূত্রঃ বিধিবদ্ধ ইসলামী আইন-১ম খন্ড-ধারা-৩৫১-পৃষ্ঠা ১৫৭।
তো দেখা গেলো এই শরীয়া মোতাবেক স্বামী মহোদয় স্ত্রীকে একবারেই তিন তালাক দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। এখন দেখা যাক হাদীস এ সম্পর্কে কি বলে?
সূত্রঃ মুসলিম শরীফের সূত্রানুসারে মাওলানা মহীউদ্দীন কতৃক অনুদিত বাংলা কোরানের তাফসীর
এবার দেখা যাক এ বিষয়ে কোরান কি বলছে?সূরা তালাক থেকে দেখা যায়
খুব সহজভাবে বলা যায় পরকীয়া না করলে কোরান স্বামীদের তাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে নিষেধ করছে। তো এখন আমরা কি বলতে পারি যে শরীয়া আইন কোরান বা হাদীস মানেনা। এটি একটা ধান্দাবাজ মানুষদের তৈরী আইন যারা কোরান বা হাদীস জান্তইনা।
এমন অজস্র উধরন দেওয়া যেত, চোখের সামনে পড়ায় একটি উদহরনই দিলাম।আমি জানি আপনি এখন এর সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে আমাকে অন্য কিছু পড়ে দেখার আহবান জানাবেন নয়তোবা নতুন ত্যানা প্যাচানী শুরু করবেন। যদি সাহস থাকে তাহলে রেফারেন্স সহ কথা বলেন। সঠিক রেফারেন্সকে এই ব্লগে প্রচুর মূল্যায়ন করা হয়।
@ছন্নছাড়া,ভাই আপনার কোন দোষ নেই,নীচের লেখাটি পড়ুন-Don’t change laws on talaq: Ulema Council
TNN Jul 1, 2004, 12.01am IST
MUMBAI: The Ulema Council has warned the All India Muslim Personal Law Board (AIMPLB) against “wrongly interpreting” shariat laws pertaining to talaq (divorce).
The council, which held an emergency meeting here on Wednesday, said Koranic laws are complete in themselves and “any effort to change them under the guise of reinterpretation will be met with stiff resistance by the community”. Maulana Abdul Quddus Kashmiri, vice president of the council, told newspersons that the utterance of the word talaq thrice could be done over a period of time.
“When talaq is uttered the first time it is called talaq-e-rajie and it is followed by talaq-e-baien and the final one is called talaq-e-mugalazza. If talaq is uttered the third time, the divorce is final.
“Those misusing this provision deserve to be condemned since they are acting against the spirit of Islam. But that does not give the right to anyone to declare a divorce invalid just because the word talaq was uttered thrice in quick succession,” said Maulana Kashmiri.
He observed that a Muslim organisation, Ahle Hadees, held a different opinion in this regard.
“We are willing to engage Ahle Hadees in a debate. But its leaders are unwilling to discuss the matter.” Maulana Syed Moinuddin Ashraf said no organisation in the world, including the AIMPLB, had any right to alter the shariat.
According to him, an opinion was being created that the shariat did not give Muslim women their due. “The fact is that Muslim women enjoy a high degree of freedom and respect. Islam looks down upon anyone who does not respect and support his family members.”
The Ulema Council and other Muslim organisations like the Raza Academy are awaiting the decision of the working committee of the AIMPLB, which is scheduled to meet on July 4 to take a decision on the proposal which seeks to nullify instant talaq and lays emphasis on reconciliation between husband and wife.
Said Syed Noori of the academy, “We are in touch with likeminded organisations across the country. If the board goes ahead with the proposal then a nationwide agitation is on the cards.”আবার নীচের লেখাটি পড়ুন- The question is despite triple divorce being sinful, innovative and against the Qur’an will it occur if someone pronounces triple divorce? The second question is did anyone make such mistake (of pronouncing triple divorce) in Prophet’s (pbuh) time and did he accept it as triple divorce? Or did he take it to be one divorce only? Lastly, when would the practice of triple divorce start again?
In the Qur’an, nikah is described as misaqan ghaliza, i.e., strong bond and has explained how and with whom one can enter into this strong bond and this strong bond cannot be dissolved without proper reason and method. It certainly cannot be dissolved whimsically. A man has to pass through different stages to bring about reconciliation either by persuading his wife to behave properly, or by appointing arbitrators as per Qur’anic injunctions (4:35). If all this fail only then recourse can be taken to divorce. Thus, according to the Qur’an, divorce is not an arbitrary and whimsical thing. The method prescribed by the Qur’an for divorce is that one can give divorce twice only, i.e., on two different occasions and then either he has to keep the woman with kindness or leave her with benevolence. In pre-Islamic Arab society they used to pronounce divorce even one thousand times and keep the sword of divorce hanging on her head. The Qur’an disallowed it and permitted pronouncement of divorce only twice. The Maulana says that even giving divorce in three periods of purity (pronouncing divorce once in every period of purity thrice is also not proved by the Qur’an and is thus prohibited. Once talaq is pronounced once, it takes place and woman goes out of marital bond at once and is now free to marry other man after completing the period of ‘iddah. Why then pronounce talaq more than once? For what reason? Repeating the word more than once is just absurd, says the Maulana. Talaq should not be pronounced more than once in any case.আশা করি এবার বুঝতে পারবেন আর সুন্দর ব্যাখ্যা আহ্লে হাদিস অনুসারী রা দিয়েছে ,আমি শুধু ছোট করে একটা ছোট ব্যাখ্যা দিলাম তবে এতে যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তবে পরে আরো সুন্দর তবে একটু বড় ব্যাখ্যা আছে সেটা আপনাকে দিতে পারব।
@আকাশ মালিক,
হ্যা আকাশ মালিক, এই জন্যেই আমি বলি, আমাদের মুক্তির দুটি পথ এখনো খোলা আছে-
১। সামাজিক বিপ্লব (Civil war)।
২। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক একনায়কের প্রতিষ্ঠা।
দেশে মানুষ খুঁজে পাওয়া আজকাল খুব দুষ্কর। আজকের সচেতন এবং মুক্তমনা তরুনদেরই এগিয়ে আসতে হবে আগামী ভবিষ্যৎ রচনার প্রদীপ হাতে।
@কেশব অধিকারী,
আমি বলবো সাংস্কৃতিক বিপ্লব। Civil war গৃহযুদ্ধের এর প্রয়োজন বোধ হয় হবেনা।
সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সৎ নেতা অবশ্যই চাই তবে একনায়কের দরকার নাই।
@মনজুর মুরশেদ,
আমার মনে হয় কি জানেন, বাংলাদেশে বেচারা রাষ্ট্রপতির চেয়ে অসহায় মানুষ আর কেউ নাই।আপনিই বলেন ভাই, মাফ করা ছাড়া রাষ্ট্রপতি কিইবা করতে পারতেন?মাফ না করলে পদ হারাতেন। তবে সেটাও বিষয় না, মাফ না করলে বেচারা রাষ্ট্রপতি শেষ বয়সে এসে রাজাকার উপাধিও যে পেতেন না তার কি নিশ্চয়তা আছে বলেন? 🙂 ।বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র মোনাজাতে নেতৃত্ব দেয়া আর সরকারের হুকুম মত সব কিছুতে সাইন করে বিল পাশ করা ছাড়া আর কি করতে পারেন। রাষ্ট্রপতিকে মোনাজাত মন্ত্রী বলা যেতে পারে। 😀
@অর্ফিউস,
ঠিকই বলেছেন 🙂
@মনজুর মুরশেদ, সেকি মশাই।এই আপনি না ধর্ম তুলে দিয়ে গণতন্র আর মানবাধিকার নিয়ে দুনিয়ায় শান্তি আনবেন,সেই আপনারই এই অবস্থা। দেখলেন তো ইসলামের কোন বিকল্প নেই ভায়া।
@মরুঝড়, ইসরে ভাই, একই কথা বারবার বলছেন কেন? আপনি কি উনার মন্তব্যের সারমর্মটাই ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন?
@অর্ফিউস, বলার কারন আছে বৈকি ,সে মোর্শেদ ভাই জানে ।
@মরুঝড়,
হাতে সময় কম এবং আপনার সাথে ইসলাম ও এর সমাজ ব্যবস্থার অনুপযোগীতা নিয়ে আলোচনা করার দরকারও বোধ হয় নেই। এ সম্পর্কে মুক্তমনাতেই অনেকে অনেক কিছু বিস্তারিত বলেছেন; সময় করে সেগুলো পড়ে নিতে পারেন। শুধু বলতে চাই, এই যুগে মানব জাতি স্বেচ্ছায় দেড় হাজার বছরের পুরনো পশ্চাতগামী সমাজ ব্যবস্থা পশ্চাতগামী মেনে নেবে এ আশা দুরাশা। যারা সেই আশা করেন তারা হয় অজ্ঞ অথবা জেগে ঘুমাচ্ছেন।
@মনজুর মুরশেদ, নীচের লেখাটি পড়ুন-
খবর >
কাঁদছে মানবতা, গর্জে ওঠো বাংলাদেশঃ ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাই
By দেওয়ান মাহমুদ
Published: 08 January 2013 02:50 PM Updated: 08 January 2013 03:01 PM
1 / 1
40
1
0 Print Friendly and PDF
মাত্র দিন কয়েক আগেই ভারতের ধর্ষনকারীদের বিরূদ্ধে কলম ধরেছিলাম। এখন দেখুন, আমাদের নিজেদের দেশও কত ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে। টাঙ্গাইলের মধুপুরের এই জঘন্য ধর্ষনকারীদের অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা করেছে নির্যাতিত অসহায় ঐ মেয়েটিরই একজন বান্ধবী। বিশ্বাস করা যায়? একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের জীবনের এত বড় সর্বনাশ ও নির্মম নির্যাতন করতে সহ-অপরাধী হলো সেও। তার কী শাস্তি হওয়া উচিত? একই সাথে ঐ পাঁচ নরপশুর কী শাস্তি হওয়া উচিত? ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রমতি জয়ললিতা জয়ারামের প্রস্তাব মতো বাংলাদেশেও ধর্ষনকারীদের ইনজেকশন দিয়ে খোজা করে তারপর ইরানের মতো প্রকাশ্যে উলঙ্গ করে যৌনাঙ্গে আঘাতের পর আঘাত করে রক্তাক্ত শরীরে মুখের মধ্যে লোহার বিশাল বড়শি গেঁথে আগে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলানো, তারপর নির্মমভাবে পিটাতে পিটাতে মুমূর্ষু হলে এরপর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য নতুন আইনের প্রস্তাব করছি। কিংবা, বিকল্প হিসেবে, সমপরিমান ব্যথা দিয়ে সৌদী আরবের মতো প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ করার মাধ্যমে এই বর্বর অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। কতজন এ প্রস্তাবের সমর্থনে দাঁড়াবেন জানি না, কিন্তু এহেন কঠোর ও নির্মম শাস্তি না দিলে ধর্ষনের মতো ভয়াবহ, জঘন্য অপরাধ আর কমবে না। অন্ততঃ একজন ধর্ষনকারীকে বা গণধর্ষণের মতো বীভৎস অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে এ শাস্তি দেওয়া আবশ্যক। একটি সুস্থ সমাজ হিসেবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের সামনে এর কোন বিকল্প নেই।
আর এ শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়াটি শুরু হোক টাঙ্গাইলের এই অসহায় বোনটির মামলা থেকেই। ইতোমধ্যেই নরপশু গুলো ধরা পড়েছে। রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে তাদের। কিন্তু এখানেই্ শেষ নয়, শুরু মাত্র। আমাদের দেশে আইনী প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ, জটিল এবং নারীর প্রতি হয়রানিমূলক। এটি আমূল পাল্টাতে হবে। আমি মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দের কাছে আকূল আবেদন জানাই আপনারা উপরে বর্ণিত পন্থায় ধর্ষণকারীর/কারীদের বিচার করা যায় এমন একটা আই্ন প্রণয়ন করুন। বিশেষ করে নাট্যব্যক্তিত্ব ও আইনজীবী তারানা হালিম, এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি প্রমুখ তরুণ ও সোচ্চারকণ্ঠ এমপি মহোদয়াবৃন্দের প্রতি এই অনুরোধটুকু রাখছি। আইন ও বিচার মন্ত্রণায়ে কর্মরত আমাদের সম্মানিত কর্মকর্তাগণও এক্ষেত্রে পালন করতে পারেন অগ্রণী ভূমিকা। সুপ্রীম কোর্টে কর্মরত সম্মানিত আই্নজীবী বন্ধুগণের প্রতি অনুরোধ – এই ধর্ষনকারীসহ অন্য কোন ধর্ষনকারীর পক্ষেই দয়া করে আপনারা আর কোর্টে দাঁড়াবেন না। নিজেদের পেশাকে কলঙ্কিত হতে দেবেন না। আর গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, ঐ পাষন্ড শয়তান পিশাচদের ছবি, তাদের পরিবারের পরিচিতিসহ বিস্তারিত আপনারা প্রকাশ করুন – প্রথম পাতায়, রেড ব্যানার-হেডে, কয়েক কলাম জুড়ে। ধর্ষনকারীদের একটি ডেটাবেইজ তৈরি করুন। তা প্রকাশ করে, প্রয়োজনবোধে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সামজিক ওয়েবসাইটে এমনিক ইউটিউবে প্রকাশ করে বাঙালী জাতিসহ সারা বিশ্বকে জানান কত জঘন্য শ্রেণীর পুরুষ লুকিয়ে আছে আমাদের সমাজেরই কোন কোন অংশে। নতুন নতুন ঘটনার আড়ালে সেই সব নরপশু অপরাধীদের খবর প্রচার যেন চাপা পড়ে না যায়। এ লক্ষ্যে প্রতিটি পত্র-পত্রিকায় ধর্ষনকারীদের ছবিসহ বিশেষ একটি কর্ণার চালু করে ক্যাপশনে ঘৃণাজনক বিশেষণসহ খবর ছাপিয়ে তার পুরো পরিবারকে একঘরে করার জন্য প্রত্যহ বিশেষ সংবাদ ছাপার ব্যবস্থা আপনারা করুন আপনারা। কেননা, প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন প্রান্তে কারও না কারও মা, বোন, কন্যা, জীবনসাথী, তরুণী যুবা, কর্মজীবী নারী, এমনকি অসহায় প্রতিবন্ধী নারী পর্যন্ত এ ভয়ংকর অপরাধের শিকার হচ্ছেন। এইতো ক’দিন আগেই ব্র্যাক ক্লিনিকের এক মেধাবী চিকিৎসক একই ক্লিনিকের এক ওয়া্রড বয়ের হাতে খুন হলেন। সাহসী ও সংগ্রামী ঐ তরুণী চিকিৎসককে শহীদের সম্মান জ্ঞাপন করা হোক। পুলিশ বাহিনীর প্রতি অনুরোধ, ধর্ষনবিরোধী একটি বিশেষ এলিট ফোর্স গঠন করুন আপনারা। র্যাবের প্রতি অনুরোধ – মাসে অন্ততঃ একজন ধর্ষনকারীকে প্রথমে লিঙ্গ কর্তন করে এরপর ক্রসফায়ারে দিন। দুর্ভাগা এ বাঙালী জাতি আপনাদের বীরের বেশে বরণ করবে। অন্ততঃ এক্ষেত্রে ক্রসফায়ারের সমালোচনা আমরা, সচেতন নাগরিক সমাজ করবো না। যেভাবেই হোক, ঐ নরপশুদের ক্ষমা নেই। বিচার হতেই হবে।
গতকালের (২ জানুয়ারী, ২০১৩) প্রথম আলোতে টাঙ্গাইলের মধুপুরের অসহায় ঐ বালিকার ওপর ভয়ন্কর ও বীভিষীকাময় নির্যাতনের খবরটি দ্বিতীয় পাতায় এক কলামে ছেপেছিল, দারুন মর্মাহত হয়েছিলাম। আজ অবশ্য আশান্বিত হয়েছি এই দেখে যে ফলো-আপ খবরটি প্রথম পাতায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। গতকাল কোন একটি পত্রিকা (নাম মনে করতে পারছিনা বলে দুঃখিত, টেলিভিশনের সংবাদপত্র পর্যালোচনায় একনজর দেখলাম) প্রথম পাতায় ধর্ষনকারীদের ছবিসহ ছেপেছে। বিডিনিউজ২৪.কম গুরুত্বসহ খবরটি জাতীয় শিরোনাম করেছে। ধন্যবাদ তাঁদেরও। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বি.এন.ডাব্লিউ.এল.এ.) অসহায় মোয়েটি ও তাঁর পরিবারকে আইনী সহায়তা দিচ্ছে। কৃতজ্ঞতা BNWLA’র সংগ্রামী আইনজীবীবৃন্দের প্রতি।
একবিংশ শতাব্দীর এক দশক পেরিয়ে গেলেও ক্যান্সারের মতো আমাদের সমাজের পরতে পরতে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এবং মানবতার বিশেষতঃ নারীত্বের প্রতি চরম অবমানাকর এ অপরাধ এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে এবং তা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। বিবিসি ২ জানুয়ারী, ২০১৩ তারিখে ভয়ঙ্কর এ নির্যাতনের খবরকে তাদের বিশ্বসংবাদের শিরোনাম করেছে। ধন্যবাদ বিবিসি। আশা করি আপনারা নিয়মিত ফলো-আপ রাখবেন ও জানাবেন, ঠিক যেভাবে ভারতের নয়াদিল্লীর খবরটির ক্ষেত্রে জনমত গঠনে আপনারা অবদান রেখেছেন। এখন, আমাদের নাগরিক সমাজ, এনজিও, মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনদের প্রতি অনুরোধ – আপনারা জেগে উঠুন। ধর্ষনবিরোধী ও ধর্ষকবিরোধী প্রবল এক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে কী ভাবে সারা দেশ এক হয়ে দিল্লীর সেই পিশাচগুলোর বিচারসহ নারীর সার্বিক নিরাপত্তার দাবীতে এক হয়ে ফুঁসে উঠেছিল, এমনকি নতুন ২০১৩ বর্ষবরণের সবগুলো অনুষ্ঠান তারা বর্জন করেছে। পুরো ভারত এক হয়ে ঐ অসহায় মেডিকেল ছাত্রীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। যদিও তাকে বাঁচানো যায়নি। অসহায় ও নির্মমভাবে জীবনের আকুতি জানিয়ে ঐ শহীদ ভারতকণ্যা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে জানান দিয়ে গেছেন ভারত-বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া নারীর জন্য কত ভয়াবহ একটি অঞ্চল। প্রমাণ মিলল, বছরের প্রথম দিনেই আমাদের বাংলাদেশেও ঠিক তেমনি আরেকটি দুঃস্বপ্নের নতুন বছর শুরু হলো, টাঙ্গাইলের মধুপুরের এক নিভৃত পল্লীতে অসহায় একটি মেয়ে, কারও বোন, কারও আদরের কন্যা, ধর্ষিত হলো কয়েক দিন ধরে। ক’জন নরপশু হায়েনা মিলে ধ্বংস করল তার শৈশব, কৈশর, নারীত্ব আর মানবিক মর্যাদা। আজ সে পুরুষরূপী কোন মানুষ দেখলেই ভয়ে আঁতকে উঠছে। অন্য সব শিশুদের মতো স্কুলে নতুন বছরে বই হাতে আনন্দ করে যেতে পারলো না অভাগা মা আমাদের। মানবতার চরম শত্রু, নরপিশাচদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আজ আমাদের সেই ছোট্ট কিশোরী বোন, আমাদেরই কন্যা আজ মৃত্যুশয্যায়। সৃষ্টার দয়ায় সুস্থ হয়ে উঠলেও সারা জীবন এই বীভিষীকা সে ভুলতে পারবে কি? কখনো আর সুস্থ্ মনে কোন মানুষকে সরলভাবে বিশ্বাস করতে পারবে কি সে? ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে সে আজ জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংসের মুখে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তার শরীর আর স্বাভাবিক হবে কি না, আর কোন দিনও সুস্থ্-স্বাভাবিক হয়ে সে চলেত পারবে কি না তার সবটুকু নির্ভর করছে সঠিকভাবে চিকিৎসার ওপর, কাউন্সেলিং, মানবিক দরদ, যত্ন আর নিবিড় পরিচর্যার উপর এবং সর্বোপরি ঐ নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক, কঠোর ও নির্মম শাস্তি প্রদানের উপর। এ আজ বাংলাদেশের সকলের প্রাণের দাবী। সমগ্র বাঙালী জাতির দাবী। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি জয়ললিতা সেই প্রস্তাবগুলোই এনেছেন, যা দেশটির ধর্ষনবিরোধী আন্দোলনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো। ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের সর্বোচ্চ নেত্রী শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীও এসব দাবী মেনে নিয়ে সংশোধিত নতুন আইন প্রণয়েনর কাজ হাতে নিয়েছেন। অচিরেই তাঁদের রাষ্ট্রে ধর্ষন এবং নারীর প্রতি সর্বপ্রকার নির্যাতন বন্ধ করতে নতুন আইন প্রণীত হতে চলেছে। দ্রুত বিচারের জন্য বিশেষ বিচারালয় গঠনও করা হচ্ছে।
আমাদের দেশেও অনুরূপ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল করে ধর্ষনের মামলাগুলোর স্বল্পতম সময়ে নিস্পত্তি ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক, কঠোর ও নির্মম শাস্তি প্রদানের দাবী জানাচ্ছি। আমরা বাঙালীরা এত আবেগী ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ জাতি – ভাষার জন্য আমরা প্রাণ দিতে পারি, মহান মুক্তিযুদ্ধ, পহেলা বৈশাখ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস এসব প্রশ্নে শত শত লাইন লিখে বা বলে নিজেদের জাহির করতে পারি আমরা। কিন্তু আমরা কি খোঁজ রাখি প্রতিদিন আমাদের গ্রামে-গঞ্জে আনাচে-কানাচে, স্কুল-কলেজে যেতে-আসতে, শহরের গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফেরার পথে, রাত্রে-দিনে কত মা-বোন-কন্যাশিশু এ ভয়ন্কর ও জঘন্য অপরাধের শিকার হচ্ছেন? মহান মুক্তিযুদ্ধের মতো বিশাল একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে যে জাতির জন্ম, যে রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, সেই বাংলাদেশ, সেই আমরা বাঙালীরা কি পারবো না, এ সমাজকে প্রতিনিয়ত মধ্যযুগের কাছে নিয়ে যাচ্ছে এমন একটি বর্বর অপরাধ, ধর্ষনের মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী ক্রাইম আর ধর্ষণকারীদের মতো জঘন্য সমাজের কীট, নরপশু পিশাচদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে, তাদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত এবং বয়কট করতে?
আমরা কি পারবো না আমাদের মা-বোন-কন্যা-জায়াদের জন্য একটি সুস্থ বাংলাদেশ গড়তে? হায় অভাগা দেশ, হায় রবীন্দ্রনাথ, হায় নজরুল, হায় জীবনানন্দ, কোথায় তোমাদের সেই বাংলা? এ ধরণীতে আজ দলিত, নিগৃহীত নারীর সর্বোচ্চ সম্পদ – তার নারীত্ব, নিদারুনভাবে আজ লাঞ্ছিত মানবতা। কালো শ্বাপদরে ভয়াল ছোবলে প্রতিনিয়ত ডুকরে কাঁদছে ঐ আমাদের সাথী, অর্ধাঙ্গিনী। আর কতো সইবে আমাদের বাংলাদেশ? আর কত ঘুমাবে বাঙালী? জাগো, দোহাই তোমার, একটু জাগো। জোর কণ্ঠে বলো – এ দেশ কোন ধর্ষনকারীর নয়। ঐ নরপশুদের বিচার ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতে হবেই হবে। জাগো বাহে . . . . . কোন্টে সবাই . . . . ।
-দেওয়ান মাহমুদ
অটোয়া
@মনজুর মুরশেদ, আপনি মানুষ্ কে অমানুষে পরিনত করা পুজিবাদ আর মানুষ বিরোধি মানবাধিকার নিয়ে ভাল থাকেন আর সামনে অগ্রসর হন।