আমাকে আপনাদের কোনোমতেই চিনার কথা না। এইটা খুবই সাধারন ঘটনা।
সত্যি কথা বলতে গেলে নিজের সাজ্জাদ নামটা ছাড়া আমি নিজেই কিছু মনে করতে পারছিনা। এইখানকারে মানুষেরা নাকি অনেক বুঝে শুনেছি। আমাকে কি একটু সাহায্য করবেন আমার পরিচয় বের করতে?
ওইযে বললাম, শুধু নামটাই মনে আছে। অনেকটা সময় নিয়ে ভেবেও কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিনা যে এইখানেই বা কি করে এলাম! শুধু ঝাপসা শুনতে পাই কেমন একটা শব্দ, অনেক পরিচিত কিন্তু বিকৃত…
নিজের বয়স আন্দাজ করি কুড়ি হবে, এই বিষয়ে আর ভাবিয়েননা। খুব যন্ত্রনা হচ্ছে…
কেমন যেন ভেজা লাগছে সারা শরীর, ঠিক পানি না, অন্য কিছু কিনা তাও জানিনা।
আমার চোখ দুটো খোলা কি খোলা? আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা।
আমার কি মা আছে? কেমন জানি করছে বুকটা…
একটা জিনিস পরিস্কার জানি, আমার বুকের উপড় আনেক চাপ। দমবন্ধ হয়ে যাছে!!!
ওকি! আমিতো এতোক্ষন নিঃস্বাস নেইনি, নিতে হচ্ছেও না! মানে কি?
আরে আমিতো সাজ্জাদ, সন্ধাবেলা পুকুরপাড়ে ছিলাম। হটাৎ কেমন জানি আওয়াজ হলো, তারপরে থেকেই বুকের উপড় সেই চাপ শুরু, ওই ঝাপসা বিকৃত শব্দটাযে আমার গোঙ্গানি ছিল, যখন মনে হচ্ছিল দম আটকে যাবে ঠিক তখন থেকে কেমন জানি হালকা হয়ে গেল সব। শুধু থেকে থেকে মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে, এই যা। আমার কি মা আছে? কেমন জানি করছে বুকটা…
পুকুরপাড়টা মসজিদের সাথে, সময়টা গতকাল রাত সাড়ে সাতটা।
আর নাটক করতে পারছিনা, নাটক লিখতে পারছিনা। বহুদিন পরে নিজের প্রতি ঘৃনাটা আবার চাড়া দিয়ে উঠলো যেটা ছিলো সেই রাতে যখন নিজের ভিতরের পশুর কাছে হার মেনে টাকার বিনিময়ে মেয়েটাকে নিজের বিছানায় নিয়েছিলাম, ওর ভীনগ্রহী ভাষার কান্নাও আমাকে দমাতে পারেনি সে রাতে। যখন ফ্লাইওভারটা ভেঙ্গে পড়ল তখন মনে হল পুরো ঘটনার জন্য শুধু আমিই দায়ী।
সাম্যতার স্বপ্ন দেখি, ন্যায়ের কথা ভাবি, সময় মতন পড়া শেষ করলে আজ ওই প্রজেক্টের ত্তত্বাবধায়নে কি থাকতে পারতাম না? তখনকি চুরি করে, মুখস্ত করে পাশ করা প্রকৌশলিগুলো এই অপ্রয়োজনীয় কাজে অজ্ঞতার প্রমান এত সহজে দিতে পারত? নাকি যে সব ডিগ্রীধারী কুত্তার বাচ্চারা যোগ্য এবং সৎ লোকগুলোকে কোণঠাসা করে দেশের প্রশাসনকে নিয়ে গণধর্ষণে মগ্ন গত ৪২ বছর ধরে তারা পারত, এইরকম অবাস্তব এবং এপ্রয়োজনীয় পরিকল্পনার নেপথ্য লীলাখেলা চালাতে? আমি কি পারতাম না চিৎকার করে বলতে যে, রাজনীতিবিদ ৩০০ জন রাস্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকান্ডের কলাও করেনা, সব করে প্রশাসন। এইটা সেই প্রশাসন যেটা মেধাতালিকায় উর্ত্তীণ আমার এক বন্ধুকে চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী পাওয়া আরে মেধাতালিকায়(!!!) উর্ত্তীণ আরেক জনের সাথে সমান পাল্লায় বিবেচনা করে। আজকে ডিগ্রী নেই বলে যারা সামনে দাড়ানোর যোগ্যতা রাখেনা, নবম শ্রেনীর গনিতে ভূল করে করে, তাদের জিম্ম্যায় সমাজকে দেখেও কিছু বলতে পারিনা, কিচ্ছু না।
চট্টগ্রামের এই ঘটনা দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত গনহত্যাকান্ড। আসামি আমি, কাজি মোঃ আশিকুর রহমান ওরফে আশিকুর রহমান ওরফে আশিক রহমান এবং যেহেতু আমার কোনো বিচার হবেনা তাই ইহাও একটি সাধারন ঘটনা।
(Y)
‘বোধ’ এর আগুনে পুড়ছি……………………..!
অসাধারণ বলেছেন।আসলে যা ঘটছে তার দায় ঘুরেফিরে কোন না কোনভাবে আমাদের সবার উপরেই পরে।কিন্তু আমরা অন্যের উপরে দোষ চাপিয়ে নির্বাক।প্রত্যেকে নিজের ছোট ছোট দায়িত্ব এবং কাজগুলো সততার সাথে পালন করলে যে কতবড় পরিবর্তন আসতে পারে আমরা তা চিন্তাও করিনা।নিজেকে মাঝে মাঝে পিশাচ মনে হয়।মনে হয় আমার দাঁতগুলো কার যেন রক্তে ভেজা।
অসাধারণ!
এরকম আত্ম-জিজ্ঞাসা যদি সবার থাকত! ‘কুত্তার বাচ্চা’রা দেশটাকে ছিড়েফুড়ে খাচ্ছে, গণধর্ষন করছে আমাদের অনেক রক্তে পাওয়া রাষ্ট্রটিকে প্রত্যহ, তবু আমাদের ভিতর দহন হয় না, আমরা থাকি নির্লিপ্ত, আত্মমগ্নতায় আত্মলীনই আমাদের নিয়তি!
@কাজি মামুন,
এর কারণ বোধ হয় এই যে আমরা প্রচণ্ড ভণ্ড এবং আত্মপ্রতারক। আমদের অহংকার করার মতো খুব কিছু নেই কিন্তু যেটা আছে তা নিয়েও বাজারে নেমেছি বেশ্যার দালালের মতো তাই শুঁকুনেরা ছিঁড়ে খাচ্ছে আমাদের মানচিত্র / আর আমরা বেঁচে আছি হিন্দু অথবা মুসল্মান হযে ।