(১)
আমেরিকান নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর অন্তর। গোটা পৃথিবী আমেরিকার ওপর এত নির্ভরশীল, আমেরিকান নির্বাচনের প্রভাব পড়ে প্রতিটা দেশে। এই অর্থনৈতিক ডামাডোলের বাজারে আমেরিকার গুরুত্ব আরো বেড়েছে। কারন চীন, ভারত, জাপান সহ পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশের বৈদেশিক সঞ্চয় জমা আছে আমেরিকান ফেডারেল রিজার্ভে। আমেরিকান সরকার বাহাদুরের যখন ডলারের প্রয়োজন হয়, সে ডলার নেয় ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে। বিনিময়ে ফেডারেল রিজার্ভ পায় সরকারি বন্ড। এই বন্ড ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে কেনে ভারত, চীন, জাপান সহ বহুদেশ। তাদের অর্থভান্ডার সুরক্ষিত করতে। সুতরাং আমেরিকা দেউলিয়া মানে পৃথিবী দেওলিয়া হবে। ভারতের কথা ধরা যাক। ভারত সরকারের আনুমানিক আশি বিলিয়ান ডলার বা ৪০০,০০০ কোটি টাকা জমা আছে ফেডারেল রিজার্ভে। চিনের আছে তিন ট্রিলিয়ান ডলারের বেশি।
প্রশ্ন উঠবে ভারত বা চীন তাদের ডলার কেন বিক্রি করে দিচ্ছে না? তাহলেই ত আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমে। উঁহু সেটি হচ্ছে না। কারন ভারত যে মুহুর্তে ডলার বিক্রি শুরু করবে, টাকার দাম ্বাড়তে থাকবে। এবার টাকার দাম ডলার প্রতি ৩০ এ নেমে এলে, আউটসোর্সিংই বন্ধ হয়ে যাবে। চীনের ও একই হাল। চীনের কারেন্সির দাম কমানোর একমাত্র উপায় সঞ্চিত ডলার আমেরিকাতেই জমা রাখা। এই ভাবেই ডলারএর দাম এত বেশী-যার পুরোটাই ফানুস।
১৯৭১ সালে গোল্ড বা সোনার স্টান্ডার্ড থেকে সরে আসে ডলার। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে এই বিশাল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার। ১৯৭১ সালের আগে আমেরিকান ডলার বাঁধা থাকত সোনা বা ফেড়ারাল গোল্ড রিজার্ভের কাছে। ১ আউন্স সোনার দাম ৩১ ডলার। অর্থাৎ আমেরিকান সরকার ইচ্ছা করলেই ডলার ছাপাতে পারত না। রিচার্ড নিক্সনের সময় আমেরিকান সরকার বুঝতে পারে ডলারের বিনিময়ে সোনার দেওয়ার ক্ষমতা ফেডারেল রিজার্ভের নেই। ডিক্রি দিয়ে ডলারকে সোনা মুক্ত করা হয়। ফলে যে কারেন্সির যুগে আমরা বাস করছি, তাকে বলে ফিয়াট কারেন্সি-অর্থাৎ ডলার বা টাকার দামের পেছনে কোন গ্যারান্টি নেই। সরকার বন্ড ছেরে ডলার ছাপাতে পারে । মানে ঘাটতি মেটাতে ইচ্ছা মতন ডলার প্রিন্ট করলেই হল। সুতরাং ভারত চীন সহ পৃথিবীর সব দেশে তাদের এত কষ্টের অর্জিত সম্পদ যে ডলারে জমা রেখেছে, তা পুরো লোপাট হয়ে যেতে পারে যদি আমেরিকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রীস বা পর্তুগালের মতন পপুলিস্ট এজেন্ডাতে চলে রাজকোষ ফাঁকা করতে থাকে। এখানেই আমেরিকান নির্বাচনে মহাগুরুত্ব।
আজকে গ্রীস থেকে পশ্চিম বঙ্গ, ভারত, আমেরিকাতে সরকারের যে বাজেট ঘাটতি বা ডেফিসিট সমস্যা -তার শুরু এই ফিয়াট কারেন্সি থেকে। ফিয়াট কারেন্সি কি মারাত্মক অর্থনৈতিক সিস্টেম সেটা না বুঝলে আমরা বুঝবো না আমেরিকা, ভারত, গ্রীস সহ সব দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সঙ্কটটা আসলে কি। আসলে বর্তমানে সব দেশেই চলছে একধরনের পঞ্জি স্কিম। ধার করে আগের ধারের সুদের টাকা মেটানো। সেটাও যখন সম্ভব হয় না যেমন গ্রীসে হয়েছে, তখন দেশটা পুরো শেষ। পশ্চিম বঙ্গে মমতা সরকারের ও একই হাল। তারা যে টাকা ধার করে, যা চলে যাচ্ছে আগের ধারের সুদ দিতে। এই অবস্থা এখন পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের। এবং এর মূল হচ্ছে গোল্ড স্টান্ডার্ড থেকে ফিয়াট কারেন্সিতে সরে আসা।
কিন্ত আসলে আমেরিকার কেন্দ্র থেকে ব্যাপারটা কি হচ্ছে?
আমেরিকা যত রফতানি করে, তার থেকে দ্বিগুন আমদানি করে। ফলে চীন, জাপান, ভারত, জার্মানী সব দেশেই জমা হচ্ছে ডলার। এই সব দেশের কাছে এই ডলার গুলো হচ্ছে শাঁখের করাত। যদি এরা নিজেদের কারেন্সিতে ভাঙাতে যায়, তাহলে তাদের কারেন্সির দাম বেড়ে যাবে। অর্থাৎ এখন ৫০ রুপি = ১ ডলার নেমে আসবে ৩০ রুপিতে। এতে ভারতের রফতানি বাণিজ্য বসে যাবে। ফলে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ডলার আমেরিকান বন্ডে বিনিয়োগ করে-যাতে টাকার দাম ঠিক ঠাক থাকে রফতানির জন্য। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশই এই ভাবে ফেডারেল রিজার্ভে নিজেদের কষ্টাপার্জিত ডলার জমা রাখে।
আর সেই টাকা খায় কে? আমেরিকান রা। কারন এই যে ডলারটা চিন বা ভারত দিচ্ছে, সেটা যাচ্ছে আমেরিকার রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে। আর তার বড় অংশ যাচ্ছে আমেরিকান বুড়োদের বাঁচিয়ে রাখতে এবং আফগানিস্থানে ড্রোন দিয়ে মোল্লা মারার জন্যে হাইটেক পুতুল বানাতে ।
যদি এই টাকা আমেরিকা গবেষণা বা নিজেদের ইনফ্রাস্টাকচারে বিনিয়োগ করত-তাহলে চীন, জাপান বা ভারতের জমা হওয়া ডলার সুরক্ষিত থাকত। কারন এই ধরনের গবেষণা থেকে আরো নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসত-তাতে আমেরিকার জিডিপি বাড়ত। এবং ধার করে আমেরিকাকে এই ধার শোধ করতে হত না। কিন্ত তার বদলে এই টাকাটা যাচ্ছে যুদ্ধ করতে আর বুড়োদের বাঁচিয়ে রাখতে। ডিফেন্স আর হেলথকেউয়ার আমেরিকার সব থেকে বড় শিল্প এখন -কোটি কোটি লোকের জীবিকা। এবং তাদের ডলারটা কিন্ত আসছে চীন জাপান থেকে। আমেরিকা এদেরকে মাইনা দিচ্ছে ক্রেডিট কার্ডে। এই ভাবে ত জিডিপি বাড়ে না। ফলে একটা বিরাট অর্থনৈতিক বম্বের ওপর আমরা বসে আছি। যা আমেরিকাত ত বটেই -গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংশ করতে সক্ষম।
(২)
আমেরিকার ২০১২ এর নির্বাচন বুঝতে ওপরে ব্যাপারটা বোঝা জরুরী। কারন আমেরিকা আসলে খাচ্ছে নাচছে স্ফূর্তি করছে অন্যের ইনকামে। এখন আমেরিকার ধার ১৬ ট্রিলিয়ান ডলারের ওপরে। যদি এই ভাবে আমেরিকার রাজস্ব ঘাটতি বাড়তে থাকে খুব স্বাভাবিক কারনেই চীন সহ সব দেশ আমেরিকান বন্ড কিনতে চাইবে না। কারন আমেরিকার দেউলিয়া হয়ে গেলে এদের সব সঞ্চয় জলে যাবে। আর আমেরিকান বন্ড বাজারে না চললে পথে বসবে আমেরিকান সরকার। সরকারী কর্মচারীদের মাইনে পর্যন্ত দিতে পারবে না।
ফলে এবারে নির্বাচনে মুখ্য ইস্যু এই দুটি- বাজেট ঘাটতি এবং বেকারত্ব। সরকারি ভাবে বেকারত্বর হার এখানে এখন ৮% এর কাছে, বেসরকারি সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি হবে। এর পরেও আছে। গত দশ বছরে প্রতিটা আমেরিকান ফ্যামিলির ক্রয় ক্ষমতা এবং ইনকাম কমেছে প্রায় ৫% এর কাছে। ১৯৭০ সাল নাগাদ আমেরিকাতে শুধু পুরুষরাই চাকরি করত এবং সেটা করেও তারা গড়ে ৪-৫ জন সন্তান মানুষ করেছে। বর্তমানে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই চাকরি করতে হয়। তার পরেও সংসার চলে ক্রেডিক কার্ডে! এর মূল কারন যেসব চাকরিগুলো মোটামুটি ভাল ছিল, সেগুলো এখন চীন এবং ভারতে। ফলে আমেরিকানরা তাদের বেকারত্বর জন্যে চীন এবং ভারতকেই দুষছে। চীনকে দেখে নেব, এমন ডায়ালোগ মিট রমনি অহরহ মারছেন। বাস্তব হল, রমনির কোম্পানী বেইন ক্যাপিটাল সেই সব কোম্পানীতেই বিনিয়োগ করে যারা আউটসোর্সিং করে বেঁচে আছে! ফলে ওবামা ক্যাম্প রমনির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বারে বারে।
আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা যে তস্য বাজে সে নিয়ে সন্দেহ নেই। বাজেটে ছাঁটাই করতেই হবে। কিন্ত ট্যাক্স বাড়ানো যাবে না। আবার বাজেট ছাঁটাই মানে চাকরি ছাঁটাই। মাথায় ঘোমটা টানতে গেলে পাছা র কাপড় ওঠে। আবার তার মধ্যে ডিফেন্স ধরে রেখে দাদাগিরিও বজায় রাখতে হবে। ফলে এই ইলেকশনে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই দুটো জিনিসই বারবার ফিরে আসছে-কি করে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে ধার কমানো যায়। আর কি করে আমেরিকাতে আরো নতুন চাকরি সৃষ্টি করা সম্ভব। প্রথমটা করতে গেলে, জনপ্রিয়তার বিপরীতে হাঁটতে হবে। আর দ্বিতীয়টা প্রায় অসম্ভব। তবুও ৫ পয়েন্ট প্ল্যান ইত্যাদি মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে চলেছেন দুই পার্থীই। ওবামা এবং রমনির চাকরি জন্য এনার্জি এবং ইউটিলিটি সেক্টরের দিকে তাকাচ্ছেন। তা বিশুদ্ধ ভাঁওতাবাজি। কারন আমেরিকানদের এনার্জি বিল তাদের বাড়ির ইনকামের ৩-৪% এর বেশি না। তাই দিয়ে ৫০,০০০ নতুন চাকরি হবে কি না সন্দেহ আছে। তেলের আমদানী কমাতে আমেরিকা সক্ষম হয়েছে। সেটাই এত অন্ধকারে আশার আলো। সেসব মিলিয়ে বড়জোর ১০০,০০০ নতুন চাকরি আমেরিকাতে সম্ভব। কিন্ত ২১০ লাখ লোক যেখানে বেকার -সেখানে ১ লাখ চাকরি ত সিন্ধুতে বিন্দু! বাজেট ঘাটতি কমাতে গিয়ে আরো বেশি লোক চাকরি হারাবে। না কমালে, ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি লোকের চাকরি যাবে যদি আমেরিকান বণ্ড কেও কিনতে না চায়।
ফলে সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্ত মুশকিল হচ্ছে এই অসুবিধা বা আমেরিকার করুণ অবস্থাটা কেওই স্বীকার করতে চাইছেন না। ওবামা এবং রমনি এমন ভাব করছেন যেন দুজনের হাতেই আছে ম্যাজিক জাদুকাঠি। আসলে সব শুন্য। ওবামা তাও স্বীকার করেছেন, একমাত্র ভরসা আমেরিকানদের আরো ভালভাবে গণিত এবং বিজ্ঞানে শিক্ষিত করা। সেই অনুযায়ী কাজ শুরুও হয়েছে দেখছি স্কুলগুলোতে। আগের থেকে সিলেবাস অনেক কঠিন করা হয়েছে এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা এবং হোমওয়ার্কের সময় বেড়েছে। সদ্য পাশ করা ৪০% আমেরিকান গ্রাজুয়েটদের কোন চাকরি নেই। এতে কিছু হেরফের হবে না-তবে মন্দের ভাল যে, শীতঘুম ভেঙে আমেরিকান ছাত্ররা বুঝতে শিখছে বাকী জীবন আরামে কাটবে না।
(৩)
আমেরিকাতে ২০ বছর আগেও ডেমোক্রাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে এত ব্যবধান ছিল না। ডেমোক্রাটরা ছিল লেফট-সেন্টার, রিপাবলিকানরা ছিল রাইট সেন্টার। দুই দলেই সেন্ট্রিস্ট বা মধ্যম ধারনার লোক ছিল বেশি। মানে অনেক বেশি সেন্সিবল লোক ছিল দুই দলে-এবং যার জন্যে বিল পাশ করা সমস্যা ছিল না। বর্তমানে ডেমোক্রাটদের মধ্যে অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট ইত্যাদি টাইপের অতিবাম এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে অতিরক্ষণশীলদের জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। ফলে কেও কারুর কথা শোনার অবস্থায় নেই। অতিবাম বনাম অতিডানের এই লড়াই এ আমেরিকার আশুলাভ শুন্য-ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে ওবামা এবং রমনি-দুজনেই সেন্ত্রিস্ট। কিন্ত তাদের সাগরেদরা অতিবাম এবং অতিডান। এতটাই যে রিপাবলিকান রাজনীতিবিদরা ধর্ষণ ঈশ্বরের ইচ্ছা বলতে দ্বিধা বোধ করেন না! এর পরেও উনারা মহিলা ভোট খুব বেশি হারাচ্ছেন না-কারন অনেক মহিলা নারীমুক্তির মতন বিমূর্ত ধারনার চেয়ে অর্থনীতি নিয়ে বেশি চিন্তিত। কারন আজকে তারাও সংসারের মেইন ব্রেড আর্নার। ফলে রিপাবলিকানরা সেক্সিস্ট, নারী বিরোধি, ইত্যাদি ডেমোক্রাটিক প্রচার খুব কাজে আসছে না। দেখা আচ্ছে আসলে আমেরিকান নারীদের অধিকাংশ ফেমিনিস্ট না-প্রাগমাটিস্ট-নিজেদের ইনকাম এবং চাকরির স্থিরতা নিয়ে তারা বেশি চিন্তিত।
এমন কি বিদেশ নীতিও এই নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলছে না। ওবামা সরকার যে বিদেশনীতিতে সফল তা স্বীকার করছে রিপাবলিকানরাও। ওবামা বার বার করে জানাচ্ছেন ওসামাকে বধ করেছেন তিনিই। কিন্ত তা মোটেও বাজছেনা ভুখা আমেরিকান মনে। বরং মিট রমনির বারংবার গদাঘাত যে ওবামা অর্থনীতির হাল ফেরাতে ব্যর্থ সেটাই ফিরে আসছে নির্বাচনের মূল বিতর্ক হিসাবে। তাতেও কিছু লাভ নেই। এক্ষেত্রে ওবামার সাফ উত্তর হচ্ছে রিপাবলিকানদের ভুল নীতির জন্যেই দেশ ডুবেছিল। এতটাই ডুবেছিল, যে এত দ্রুত তাকে জলের ওপরে টানা সম্ভব না।
(৩)
রমনী এবং ওবামার নির্বাচনী ইস্তেহার যতই আলাদা হোক বাস্তবে যে এরা খুব আলাদা ভাবে দেশ শাসন করতে চাইছেন বা চাইবেন-তা নয়। এদের দৃষ্টিভংগীর মূল পার্থক্য ব্যাবসার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্র ওবামা ব্যাবসা ও শিল্পের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রনের পক্ষে। মিট রমনি এর বিপক্ষে। ওবামার মতে ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রন হারালে দেশ আবার ডুববে। মিট রমনি বলছেন এত বেশি নিয়ন্ত্রন সরকার চালাচ্ছে ফাইনান্সে, পরিবেশে এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রন সংস্থায়, আমেরিকাতে ব্যাবসাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দুজনার বক্তব্যেই অনেকটা সত্য আছে। আমার নিজেই দেখছি ডোড ফ্রাঙ্ক আইন বলে যে নতুন নিয়ন্ত্রন এসেছে ফাইনান্সিয়াল ইন্সটিটিউট গুলোর ওপরে, তাতে তাদের এবং তাদের ভেন্ডরদের নাভিশ্বাস উঠেছে। এতটা নিয়ন্ত্রন ব্যাবসার জন্যে ক্ষতিকর। কিন্ত পাশাপাশি এটাও ঠিক-রিপাবলিকানরা এতই নিয়ন্ত্রন ঢিলে করে দেয় যে ২০০৮ সালের মতন সাবপ্রাইম ক্রাইসিস তৈরী হয় মার্কেটে। মাঝারি পথ কেও নিতে চাইছেন না।
এখানের ব্যাবসায়ীরা প্রায় সবাই রিপাবলিকান। আর চাকুরিজীবি শ্রমজীবিদের বড় অংশ হচ্ছে ডেমোক্রাট। সুতরাং ডেমোক্রাটিক পার্টিতে লেবার ইউনিয়ান, শিক্ষক ইউনিয়ানের প্রভাব বেশি। তার সাথে আছে লিব্যারালরা। আর রিপাবলিকান পার্টি ভর্তি আমেরিকান টপ ২% ধনীদের নিয়ে। মূলত তাদের স্বার্থেই কাজ করে এই পার্টি। তবুও এরাই ক্ষমতাই আছে ৫০ টি স্টেটের ৩০ টিতেই। কারন মূলত ডেমোক্রাট দের ব্যার্থতা অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে। আমেরিকা চলে মূলত ব্যাবসার ওপর। ব্যাবসার ক্ষতি হয় এমন আইন কোন পার্টিই আনে না-বরং দুই পার্টিই ব্যাবসার পক্ষেই কাজ করে। এর মধ্যে রিপাবলিকানরা শ্রমিক শ্রেণীর অধিকারের সম্পূর্ন বিপক্ষে এবং মুক্ত মার্কেটের পক্ষে। কোন রিপাবলিকান স্টেটে শ্রমিকদের নুন্যতম মাইনে বারে না।
প্রশ্ন উঠবে এর পরেও রিপাবলিকানরা জেতে কি করে। এর মূলকারন দুটি-(১) শ্রমিক শ্রেনী ডেমোক্রাটদের ওপর আস্থা হারিয়ে ভোট দিতে আসে না (২) রিপাবলিকানদের ধর্মীয় এবং রেস বেস। ডেমোক্রাটিক পার্টি এখন কালো, ল্যাটিনো এবং অন্যান্য ইমিগ্রান্টদের বেস। ফলে আমেরিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউরোপিয়ান ককেশিয়ানদের বড় অংশই রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকেছে। অন্যদিকে ডেমোক্রাটিক পার্টি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজেদের বেসের জন্য কিছু করতে ব্যর্থ হয়। যেমন ওবামা বড়লোকদের ওপর নিজেই ট্যাক্স বসালেন না এত দিন-আর ভোটের সময় এসে বলছেন মিট রমনি ধনীদের ওপর ট্যাক্স বসাতে চাইছেন না।
কিন্ত ওবামার ট্রাক রেকর্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে যখন সেনেট এবং কংগ্রেসে ডেমোক্রাট দের সংখ্যাধিক্য ছিল, উনি নিজেই বুশ জমানার টাক্স কাট বহাল তবিয়তে রেখে দিলেন! ফলে এবার ডেমোক্রাটদের মূল সমস্যা ছিল, অনেক কম ভোটার রেজিস্ট্রেশন। ওবামার ওপর ক্রদ্ধ নিম্নমধ্যবিত্তরা। তিনি কথা রাখেন নি। তার আমলে নিম্নবিত্তদের অবস্থা হয়েছে আরো অনেক বেশি করুণ। ২০০৮ সালে মাত্র ২ কোটি লোক সরকারি ফুডস্টাম্প ব্যবহার করত। ফুডস্টাম্প এখানে ব্যবহার করে গরিবরা-যাতে সরকারি সাহায্য নিয়ে সস্তায় খাবার কিনে খেতে পাঁরে । আজকে সেই সংখ্যাটা ৫ কোটিতে। এখানে ধণতন্ত্রের এমনই রূপ যে অধিকাংশ হিউম্যানিটিজের অধ্যাপকরা পর্যন্ত ফুড স্টাম্প নিতে বাধ্য হোন! আমেরিকাতে ইতিহাস, দর্শন , সমাজবিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়ান, তারা এত কম মাইনে পান ( কারন এখানে সবই ডিমান্ড সাপ্লাই কার্ভ মেনে হয়!) তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা রাজমিস্ত্রি বা ছুতোর মিস্ত্রিদের থেকে অনেক খারাপ। মোদ্দা কথা ওবামা যাই বলুন না কেন, দারিদ্র আমেরিকাতে এত বেড়েছে, খুব স্বাভাবিক ভাবেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন ওবামা। এই মুহুর্তে মিট রমনি ৪৮-৪৭ পয়েন্টে এগিয়ে। কিন্ত এর পরেও জিতবেন ওবামা। কারন আমেরিকান ভোটের অদ্ভুত পাটি গণিত!
(৪)
আপাতত জনপ্রিয়তা না-পাটিগণিতই ভরসা ওবামার। এখানে নিয়ম হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ভোট সরাসরি কাউন্ট হয় না। অর্থাৎ ক্যালিফোর্নিয়ার ২২ মিলিয়ান ভোটারের মধ্যে ১৪ মিলিয়ান ওবামাকে ভোট দিলে, ওবামা পাবেন কিন্ত সেই পুরো ২২ মিলিয়ান ভোট। যার ভ্যালু ৫১।
এর সবটাই যাবে ওবামার পক্ষে। তেমন টেক্সাস জিতবেন মিট রমনি-যেখান থেকে তিনি পাবেন পুরো ৪১ আর ওবামা ০।
আমেরিকার ৫০ রাজ্যের ৪০ টি রাজ্যের ফল আগে থেকে জানা। এরা হয় ডিপ ব্লু ( মানে হার্ডকোর ডেমোক্রাট) বা ডিপ রেড স্টেট ( রিপাবলিকান)।
এই পূর্ব নির্ধাতিত ফলের বাইরে আছে প্রায় ১০ টি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা সুইং স্টেট-যারা যে কোন পক্ষেই যেতে পারে। এই রাজ্য গুলি হচ্ছে ওহায়ো, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, নেভাদা, উইনকনসিন্স, ইন্ডিয়ানা ইত্যাদি । ওবামার সুবিধা হচ্ছে তিনি মিট রমনির চেয়ে ২৩১-১৯১ তে এগিয়ে শুরু করছেন। ওহায়ো এর এর সাথে আরেকটা সুইং স্টেট জিতলেই তিনি ২৭০ পেয়ে যাবেন। সেখানে রমনিকে ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া সহ আরো অনেক গুলি সুইং স্টেট জিততে হবে। এর মধ্যে মোটামুটি নিশ্চিত ওবামা ওয়াহো পাবেন। কারন সেখানকার অটো ইন্ডাস্ট্রিকে বেইল আউট করে তিনি বাঁচিয়েছিলেন-রমনি ছিলেন এর বিরোধি। ফলে পাটিগণিত এবং মিট রমনির পূর্বকৃত ওয়াহো পাপের ফলে এযাত্রায় ওবামা কান ঘেঁষে পাশ করে যাবেন মনে হচ্ছে। তবে পপুলার ভোট মিট রমনি ওবামার থেকে বেশি পাবেন।
প্রথম টেলিভিশন ডিবেটের আগে প্রায় সব সুইং স্টেটে ওবামা এগিয়ে ছিলেন। এর কারন ডেমোক্রাটরা নানা ভাবে মিট রমনিকে আস্ত রামছাগল প্রতিপন্ন করতে সমর্থ হয়েছিল। কিন্ত প্রথম ডিবেটে রমনি ওবামাকে বিরাট সারপ্রাইজ দেন-সেটা হচ্ছে রমনি আমেরিকানদের সামনে তুলে ধরেন, তিনি অতিডান না-তিনি মডারেট। আমেরিকা অতিবাম বা অতিডান পছন্দ করে না। তারা বরাবরের জন্য মডারেট প্রেসিডেন্টকেই ভোট দিতে ইচ্ছুক। এই প্রথম ডিবেটে ওবামার পতনের ফলে সুইং স্টেট ফ্লোরিডা এবং ভার্জিনিয়াতে মিট রমনি ওবামার চেয়ে এগিয়ে যান। ফলে যে নির্বাচন ওবামার জন্য প্রায় নিশ্চিত ছিল, তা হয়ে যায় চরম অনিশ্চিত। তবে ওহায়োর ভোটাররা ওবামার প্রতি কৃতজ্ঞতার জন্য ডিবেট দেখে সুইং করেন নি। শুধু এই রাজ্যের লোকেদের কৃতজ্ঞতা এযাত্রায় ওবামাকে বাঁচাবে। বলা যেতে পারে মিট রমনি হারবেন তার শুধু একটি লেখার জন্য-সেটি হচ্ছে তিনি ৪ বছর আগে একটি উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ওবামার অটো বেইল আউটের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্ত এই বেইল আউটের জন্য ওহায়ো রাজ্যটাতে অটো শিল্প টিকে আছে। ফলে এই রাজ্যে মিট রমনি ভিলেন।
যাইহোক এখন ওবামার নির্বাচন প্রায় নিশ্চিত। যদি না ওহায়ো ঘুরে যায় এই দুদিনে।
লেখককে ধন্যবাদ। আমেরিকার অর্থনীতির উপরে কিছুটা ধারণা পেলাম।
অর্থনীতি বিষয়ক আরও লেখা চাই।
(Y)
Kudos to বিপ্লব এত নিশ্চিতভাবে নির্বাচনের ফলাফল সঠিকভাবে প্রজেক্ট করার জন্য। আমেরিকান মিডিয়া বা ভাষ্যকারেরাও এতটা নিশ্চিত ছিল না। অন্তত অনেকেই মনে করেছিল ভোট রিকাউন্ট বা এটা আদালতে গড়াতে পারে। অন্যদের কথা জানিনা তবে আমার কাছে এটা একটা বিরাট স্বস্তির ব্যাপার। কারণ আমি ম্মনে করিনা যে প্রেসিডেন্ট রমনী হোন বা োবামাই হোন কোন তফাৎ হবে না। তফাৎ অবশ্যই হবে।
@অপার্থিব,
আমি ওবামার জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম পাটিগনিতের কারনে। ওহায়োতে ওবামার হারার কোন সুযোগ ছিল না। এর সাথে ল্যাটিনো ভোটের ৭০% ওবামা পাচ্ছে সেটাও ত নিশ্চিত ছিল রমনির ড্রিম আক্ট বিরোধি অবস্থানের জন্যে। সুতরাং কিভাবে ওবামা হারবে, সেটা আমার কাছে পরিস্কার ছিল না। আমি ওবামার জন্যে ২৯০-৩০০ এর মতন ধরে ছিলাম। ফ্লোরিডা ধরি নি। ওবামা এখন দেখা যাচ্ছে ৩৩০ এর কাছাকাছি পৌছাচ্ছেন।
না জানা ওনেক কিছু জানতে পারলাম । :guru: Thank you so much. (Y) (Y)
ওবামা তাহলে নিশ্চিত জিতছেন? তাহলে মিডিয়া জুড়ে কিসের এতো হিসাব নিকাশ দেখাচ্ছে? কিসের এতো অনিশ্চয়তা? বিষয়টা কি আসলেই এতো সহজ? (কিঞ্চিত কনফিউজড)
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ওবামা জিতছেন বলা যাচ্ছে না। সব কিছুই এখন ভার্জিনিয়া , ফ্লোরিডা আর ওহায়োর হাতে। তবে তার জেতার চান্স অনেক বেশী। অত অনিশ্চয়তাও নেই এখন।
আমার বিশ্বাস ওবামা ওহাইয়ো ও ফ্লোরিডা দু’জায়গা-ই জিতবে। আর্লি ভোটের কারণে সে হয়তো ওহাইয়োতে জিতে বসেই আছে। আর তাছাড়া মিডিয়া পোল নাম্বার নিয়ে যে কিছুটা খেলছেনা তা কে বলতে পারে? যে খেলা শুরুর আগেই বোঝা যাই কে জিতবে, সে খেলা দেখবে কে? কাজেই মিডিয়া খেলা খেলাবে শেষ পর্যন্ত, আর তাছাড়া ওবামা আর রমনির এখনো অনেক ক্যাম্পেইন ফান্ড রয়েছে যা মিডিয়া হাতিয়ে নিতে চায় যতটা সম্ভব!
@আদনান আদনান,
পোলগুলোতে ল্যাটিনো এবং গরীবদের উপস্থিতি একটু কম থাকে। যার জন্যে ২% এ যদি ওবামা পিছিয়ে থাকে সেটা এমন কিছু না- ডেমোক্রাটদের ভোট দিতে পাঠালেই ২০% মেক আপ হয়ে যাবে। গরীবরা এখানে ভোট দিতে আসতে চায় না-কারন তারা জানে দুপার্টিই ধনীদের জন্যে কাজ করবে। এক অদ্ভুত দেশ-হয়ত এটাই ভাল যে এদেশে গরিবীকে গ্লোরিফাই করা হয় না 🙁
“ফুডস্টাম্প এখানে ব্যবহার করে গরিবরা-যাতে সরকারি সাহায্য নিয়ে সস্তায় খাবার কিনে খেতে পাঁরে ।…এখানে ধণতন্ত্রের এমনই রূপ যে অধিকাংশ হিউম্যানিটিজের অধ্যাপকরা পর্যন্ত ফুড স্টাম্প নিতে বাধ্য হোন! আমেরিকাতে ইতিহাস, দর্শন , সমাজবিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়ান, তারা এত কম মাইনে পান ( কারন এখানে সবই ডিমান্ড সাপ্লাই কার্ভ মেনে হয়!) তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা রাজমিস্ত্রি বা ছুতোর মিস্ত্রিদের থেকে অনেক খারাপ।”
লেখককে বলছি, আপনার সুন্দর লেখাটার গ্রহনযোগ্যতা নষ্ট হয়ে গেছে এই দুটি অতিরঞ্জন ও ভুলের কারনে। ফুড ষ্টাম্প যারা নেয় তারা পে করে না। এটি ফ্রি। তারপরের বক্তব্যটি মারাত্নক অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট। এটা সত্যি যে যুক্তরাস্ট্রে ছুতোর মিস্ত্রি বা ইলেক্ট্রিশিয়ানরা ভাল আয় করে এবং অনেক ক্ষেত্রেই অনেকের আয় পাবলিক স্কুলের শিক্ষকদের চেয়ে বেশি।
তবে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অবস্থা যেভাবে “অনেক খারাপ” বলে জেনারালাইজ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভূল এবং অগ্রহনযোগ্য। আমার নিজের তের বছরের যুক্তরাস্ট্রের প্রবাস জীবন, এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার এবং পেশাদারী অভিজ্ঞতা এবং বন্ধু বান্ধব এবং আত্নীয়স্বজন যারা এদেশের সমাজের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত, সব অভিজ্ঞতা মিলিয়েই বলছি।
আপনার লেখাটি চমতকার এবং খুবই ভাল লেগেছে এমনিতে। এইসব ছোটখাট দিকগুলি একটু খেয়াল রাখলে খুশি হব। কারন আমরা আর যাই করি ভুল তথ্য দেয়ার মত ভুল করতে পারিনা।
@এনাম হক,
আমি অতিরঞ্জন একটুও করি নি। আমেরিকাতে কমিউনিটি কলেজে হিউম্যানিটির অধ্যাপকদের অবস্থা তস্যই!
১।
http://www.newsmax.com/US/graduate-degrees-food-stamps/2012/05/07/id/438255
২|
http://www.care2.com/causes/the-professor-is-on-food-stamps.html
আমেরিকার অবস্থা আপনি যা ভাবছেন, তার থেকে অনেক বেশী খারাপ। এটাই আসল সত্য।
লেখা পড়া করেই মানুষ জ্ঞান অর্জন করে তবে কিছু লেখা আছে যেগুলো মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে যেমন আপনার এই লাইনটা-
ভারত তো দূরের কথা চীনও উন্নত দেশের সারিতে পড়ে না । যদি দরিদ্র ভারতীয়দের দেশ উন্নত দেশ হয় তাহলে বিশ্বে অনুন্নত দেশ বলতে আর কিছু থাকবে না । আপনার উন্নত দেশের সজ্ঞা কি তা আমার কাছে বোধগোম্য নয় । জনসংখ্যা, আয়তন, সেনা বাহিনী ও কেন্দ্রীয় সরকারের রিজার্ব; এই সব বেশি ও বড় হলেই দেশ উন্নত হয়ে যায় না । উন্নত দেশ জার্মানির মাথা পিছু গড় আয় ও ভারতীয়দের গড় আয় দেখুন তার পর বুঝে ফেলবেন উন্নত আর অনুন্নত-এর তফাৎটা কোথায় ।
@শরীফ দেওয়ান,
চীন উন্নত, ভারত উন্নয়নশীল। এটাই ইউ এন এর স্টাটাস। কিন্ত আমার বাক্যটা বোধ হয় ছিল জাপান সহ সব উন্নত দেশ। এখানে সেমানটিক্সের সমস্যা।
@শরীফ দেওয়ান, উত্তেজিত হবেন না ।লেখক বলেছেন ভারত,চিন,জাপান সহ “প্রায়”সব গুলু দেশ ।আর দেশের নাম না শুনে মুল প্রসঙ্গের দিকে মন দেন কিছু শিকতে পারবেন ।ভাল থাকুন ।
@শরীফ দেওয়ান,
কিন্তু দেখুন চীন আর ভারত রাষ্ট্রীয় ভাবে অনেক ধনী।ভারত ,ব্রাজিল আর চীনের পাহাড় সমান GDP এটাই মনে করিয়ে দেয়।যদিও মাথাপিছু গড় আয় অনেক কম,তবু এই দেশ গুলি টাকা দিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে।লুক্সেমবার্গ আর কাতারের মাথাপিছু আয় বছরে ১ লাখ ডলারের উপরে,এরা আসলে ভারত ভা চীনের কাছে অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে তেমন কিছু না।জার্মানীর কথা অবশ্য আলাদা।কিন্তু দেখেন ইতিমধ্যেই ব্রাজিল যুক্তরাজ্য কে ছাড়িয়ে গেছে GDP র দিক থেকে। সামনে মাথা পিছু গড় আয়টাও দেখবেন ছাড়িয়ে যাবে।কাজেই খালি মাথাপিছু গড় আয় দেখলে উন্নত দেশ বলার কারন দেখি না।কিছুদিন অপেক্ষা করেন দেখবেন চীন, ভারত আর ব্রাজিল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
আর গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড থেকে সরে এসে খুশিমতো ডলার ছাপিয়ে ইনফ্লেশান বাড়ানো যে একটা সরকারি গণচৌর্যবৃত্তি, সেটা উল্লেখ করলেন না?
এমন কি মৃদু ইনফ্লেশানের সমর্থক Keynes পর্যন্ত ওয়াকিবহাল ছিলেন ইনফ্লেশানের আসল মর্ম সম্পর্কে:
এইসব ইনফ্লেশানিজমের বুদ্ধি কোন দিক থেকে আসে বুঝতেই পারছেন! কিন্তু এখানেও ফোক/পপুলার ইকোনমিক্সের ভাষ্য হলো – এই ইনফ্লেশানিজম নাকি পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অঙ্গ।
@রূপম (ধ্রুব),
এই ব্যাপারটা আরো পরিস্কার ভাবে লিখতাম যদি প্রবন্ধটা শুধু আমেরিকান অর্থনীতির ওপর হত। বেসিক্যালি, সরকার ইনফ্লেশনারী অর্থনীতির মাধ্যমে লোককে আরো গরীব করতে সক্ষম। আমেরিকাতে তাই হয়েওছে- গত ১০ বছরে ইনকাম বেড়েছে মোটে ২% আর ইনফ্লেশন হয়েছে ১৩% এর কাছাকাছি।
চমৎকার! আপনি এরকম ধরি মাছ না ছুঁই পানি লেখা লেখেন কীভাবে? 😛
এটা নিয়ে একটু আলোকপাত করবেন? greed এর জন্যে রিসেশান এসেছে এরকম ফোক ইকোনমিক্সের বুলির পাশাপাশি এটাও খুব চাওর হয়েছে। সরকারের ফেডারেল রিজার্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে ইন্টারেস্ট কমানো, কংগ্রেসের প্রেসার দিয়ে এনটার্প্রাইজগুলোকে মর্টগেজ কিনতে বাধ্য করানো, বা Community Reinvestment Act ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের বাড়ির জন্যে ঋণ দিতে বাধ্য করানো, যেগুলোর সরাসরি কন্ট্রিবিউশান আছে এই ক্রাইসিসে, সেগুলো বুঝি সরকারের নিয়ন্ত্রণ ঢিলে করার উদাহরণ? এই সরকার নিয়ন্ত্রিত কারসাজিতে রিপাবলিকান ডেমোক্র্যাট কেউ-ই পিছিয়ে নেই, ছিলো না।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার শুনুন।
ওবামা নিজে ১৯৯৫ সনে ব্যাংকগুলোর উপর জোর খাটিয়েছিলো শিকাগোর ১৮৬ জন শেতাঙ্গদের সাবপ্রাইম ঋণ দেওয়ার জন্যে। এদের ৯০ শতাংশ ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে ঝরে গেছে। তারপরেও সাবপ্রাইম ক্রাইসিস তর্কে ওবামা হিরো, কারণ সে “বেনিয়া” আর “লুটেরাদের” “greed”-কে গালি দেওয়ার কাজটা পপুলার কাজটা ঠিকঠাক মতো করতে পারে।
@রূপম (ধ্রুব),
শেতাঙ্গদের -> কৃষ্ণাঙ্গের
৯০ শতাংশ -> ৫০ শতাংশ
@রূপম (ধ্রুব),
এই বক্তব্য আমার প্রবন্ধের মূর সূরের বিরুদ্ধে না। আমি ত লিখছি, ডেমোক্রাটরা কম অপরাধী না। কিন্ত ২০০৮ সালের পরে ডড-ফ্রাঙ্ক রেগুলেশন লোন পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন করে দিয়েছে। এখন সব দিকে চেক করে তবে লোন দেওয়া হয়। যা একদিক দিয়ে অবশ্যই ভাল। তবে এই কারনে ২১৮টা ছোট ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেছে। কারন তাদের পক্ষে আর অপারেশন চালানো সম্ভব না।
দারুণ লেগেছে। ভাল থাকবেন।
আমার আগে ধারনা ছিল যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য ওবামার বিকল্প নেই, এবং এখানেই ওবামা এগিয়ে থাকবেন, রমনি কাছেও ঘেঁষতে পারবেন না। ওবামার সময় দারিদ্র বাড়ুক আর যাইই হোক, গতবার তিনি এসে হাল না ধরলে অর্থনীতি আরো ভয়াবহ হত বলেই আমার বিশ্বাস।
রিপাবলিকান আবার এলে ইরানে আরেক যুদ্ধ বাধায় নাকি এই আতংক তো আছেই। তবে যা মনে হয় আমেরিকানরা এভাবে আপাতত ভাবছে না।
@আদিল ভাইয়া,
এই গাধার জাত কোনদিন কিছু ভেবেছে কে? আমার তো মনে হয় না। সব সময় এদের মধ্য নিজেদের আলাদা করে দেখার প্রবনতা আছে।আপনি মনে হয় ওখানেই থাকেন তাই না?( ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন প্লিজ) কাজেই আপনি জানেন ভাল। একটা অফটপিক কথা বলি।
দেখেন ক্রীড়া ক্ষেত্রেও তারা ফুটবল কে বলে সকার আর আমেরিকান ফুটবল কে বলে ফুটবল যেটা আসলে ওরা হাত দিয়ে ধরে।রেস বলতে সারা দুনিয়া বোঝে ফরমুলা ওয়ান কে, ওদের আছে আলাদা NASCAR.যাক সব সহ্য করা যায় কিন্তু আমেরিকান ফুটব্ল কিভাবে ফুটবল হয় সেটা আমার মাথায় আসে না।
আসলে আমার চিরকাল আমেরিকানদের স্থুলবুদ্ধি সম্পন্ন জাতি বলেই মনে হয়েছে, যাদের কাজ হল বেশি খাওয়া আর কম চিন্তা করা।
আমেরিকান ফুটবল কে বলে ফুটবল যেটা আসলে ওরা হাত দিয়ে ধরে খেলে
@অচেনা,
আমেরিকানরা স্থূলবুদ্ধির এই অভিযোগ অনেকে করলেও আমার তেমন মনে হয়নি। আমি এখন সেখানে থাকি না, তবে বেশ কটা বছর সেখানে কাটিয়েছি।
এরা খুবই প্র্যাক্টিক্যাল এবং প্রফেশনাল জাতি, নিজেরটা খুব ভাল বোঝে। প্রফেশনাল বলেই অন্যদের জন্যও চিন্তা করে। সকলেরই নিজ নিজ কালচার অনুযায়ী প্রায়োরিটি থাকে, তাদের প্রায়োরিটি ভিন্ন ধরনের বলে আমাদের কাছে তাদের স্থূল বুদ্ধির বলে মনে হয়। আমেরিকানদের রাজনীতি সচেতন নয় বলেও এ কারনেই অনেকেই মোটা দাগে ভুল করেন। বিদেশে থেকে ফেরত আসা হুমায়ুন আহমেদ গোছের লেখকরা এ ধারনা আরো দৃঢ় করতে নানান চটকদার এক তরফা লেখা লেখেন।
এরা কিছু ব্যাপার এক কানে শোনে আরেক কানে বার করে দেয়, যেমন আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতি। এর কারন হল পররাষ্ট্র নীতি যে তাদের জীবনে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারে পা রাখছে সেটা সেভাবে চিন্তা করার মত মানসিকতা এখনো গড়ে ওঠেনি। আপনি নিজে ভাল খেলে পরলে আপনার দেশ দুনিয়ার আরেক প্রান্তে কাকে বোমা মারে সে দিয়ে আর কতটা চিন্তা করবেন। বড়জোর চুক চুক করে বিরাট অন্যায় হয়েছে, প্রতিবাদ করি বলেই সেরে দেবেন।
সে বোমা মারনেওয়ালা পার্টি যদি অন্যসব এজেন্ডা নিয়ে নির্বাচনে আসে যেগুলি সরাসরি আপনাকে এফেক্ট করে যেমন ট্যাক্স কমাবে, কিংবা অর্থনীতি গতিশীল করবে তবে আপনার কাছে বোমা মারাকে মনে হবে গৌন।
আমেরিকানরা স্থূল বুদ্ধির হলে অন্ধভাবে ভোট দিত, তা কিন্তু নয়। প্রেসিডেন্টশিয়াল ডিবেট নির্বাচনের ফলে খুব ভাল ভূমিকা রাখে। তারপরেও এখানে আমাদের দেশের মতই ভোট ব্যাংকের কনসেপ্ট আছে সেটা ষ্টেট হিসেবে প্রাপ্ত পয়েন্ট ব্যাবস্থার কারনে, সরাসরি ভোট গননার হিসেব থাকলে অন্য রকম দেখা যেত।
@আদিল মাহমুদ, (Y)
@আদিল মাহমুদ ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার সুন্দর ব্যখ্যার জন্য আসলেই কিছু ভুল ছিল আমার চিন্তায়।বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।
তাহলে ভাইয়া ইউরোপের এই অর্থনৈতিক মন্দার জন্যেও কি পরোক্ষভাবে আমেরিকাই দায়ী?আমি যতদূর শুনেছি ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা দিন দিন ভয়ানক আকার ধারণ করছে বিশেষ করে স্পেন আর গ্রিসে!
@অচেনা,
আমেরিকানদের তথাকথিত স্থূল বুদ্ধি নিয়ে শুধু আমরাই না, কানাডিয়ানরাও বেশ হাসাহাসি করে; কানাডিয়ানদেরও ধারনা আমেরিকা অত্যন্ত গাধা প্রকৃতির, বাইরের দুনিয়ায় কি হচ্ছে তার কিছুই জানে না। মজার ব্যাপার হল হাসাহাসি করলেও আমেরিকা ছাড়া কানাডার জীবন আক্ষরিক অর্থেই অচল। ডলার রেট কত এটা মনে হয় প্রতিটা কানাডিয়ানই প্রতিদিন খবর নেয়, আমেরিকান বেশীরভাগ লোকে নিঃসন্দেহে ডলার রেট তো দূরের কথা, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নামও জানে না। এর কারন আসলে স্মার্টনেস বা বুদ্ধি নয়, কার কোথায় কোথায় প্রায়োরিটি সেটা। ভারতীয়দেরও খোঁজ নিলে দেখবেন যে পশ্চীম বাংলার বাইরে এরা বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। বাংগালীরা এটাকে মনে করে ভারতীয়দের দাদা সূলভ অহংকার। আমাকে একবার বাসের পাশের সিটে বসা দক্ষিন ভারতের এক ছেলে জিজ্ঞাসা করে তোমরা তো ৭১ সাল পর্যন্ত ভারতের অংশ ছিলে, তারপর স্বাধীন হয়ে গেলে? তাই বলে ভারতীয়রা বোকা বা আনস্মার্ট নয়, যা তাদের জানা দরকার মনে করে না সে নিয়ে বেশী ঘাটাঘাটি করে না।
আমেরিকানরা একটা সময় পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার প্রতি তেমন আকৃষ্ট হত না, আজকাল অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর বাধ্য হয়ে হলেও স্কুলে আমেরিকানদের এনরোলমেন্ট বাড়ছে। স্থুল বুদ্ধির হলে দুনিয়ার সেরা এত এত বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষনা কেন্দ্র বানাতো না আর দুনিয়ার সেরা মেধাদের জাতি, ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে দেশে দাওয়াত দিয়ে এনে নাগরিক বানাতো না। অর্থনীতি যাইই হোক, আমেরিকা ইনোভেশনের জোরেই সামনের আরো বহু বছর বহু এগিয়ে থাকবে।
ইউরোপ সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নাই, আসলে অর্থনীতির ব্যাপার স্যাপারই আমি তেমন জানি না। তবে আজকালকার দুনিয়া যা তাতে সকলেই আমেরিকার সাথে জড়িত। আমেরিকার মন্দা শুরু হলে কানাডাতে প্রথম ধাক্কা লাগে কারন এদের রফতানীর প্রধান বাজার আমেরিকা; এরপর সে ঢেউ ইউরোপেও লাগে বিশেষ করে ইংল্যান্ডে। পশ্চীমা দেশগুলির মধ্যে মনে হয় কেবল অষ্ট্রেলিয়াকেই এবারের মন্দা সেভাবে ধরেনি। স্পেন আর গ্রীস মনে হয় একটু বেশীইই মন্দায় পড়েছে। গ্রীস এমনিতেই বহু বছর ধরেই ডুবন্ত, স্পেনের অবস্থাও খুব ভাল ছিল না। ইটালী, ফ্রান্সও বেশ খারাপ অবস্থায় আছে।
@অচেনা,
না। ইউরোপের বিপর্যয় দেখিয়ে দিয়েছে ধণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র একসাথে মিলে একটা দেশকে ডোবাতে পারে যদি না কোন প্রকৃত দেশপ্রেমী রাজনীতিবিদ না থাকে। স্যোশালিস্টরা ওয়েল ফেয়ার চালিয়েছে, আর ব্যাঙ্ক গুলো সেই ওয়েল ফেয়ারের জন্যে ঋণ দিয়েছে। ফলে লোক গুলো বসে বসে খেয়েছে ঋণের টাকায়-এবার যখন ঋণের টাকায় আর সুদ মেটানো সম্ভব হয় নি তখন গোটা সিস্টেমটাই গেছে বসে।
অতটা নয়। কাল পর্যন্ত ওবামা ৫০-৪৭ এ এগিয়ে ছিলেন। আজকের লেটেস্ট একটা পোলে দেখলাম ওবামা-রমনি টাই করেছেন। এক্ষেত্রে সুইং স্টেটগুলো যে ওবামা থেকে এখন রমনির দিকে (সফিকের মন্নতব্য দ্রঃ) সেটাই তুলে ধরছে।
হ্যা। যদিও অটো বেইল আউটের ব্যাপারটা এত সোজা সাপ্টা ছিল না। ঐ প্রবন্ধের শেষে কিন্তু রমনি ‘সরকারের গ্যারান্টি’র কথা বলেছিলেন। আর তাছাড়া ওবামার অটো বেইল আউটও একই প্রিন্সিপালের উপরেই নির্মিত, ফেইল করতে দিয়ে তারপর সাহায্য …
ওবামা হারলে সেই ফার্স ডিবেট তার জন্য কলঙ্কতিলক হয়ে থাকবে। যে ল্যাকলাস্টার পার্ফরমেন্স দেখেলেন উনি।
তারপরেও ওভার অল মনে হয় ওবামারই জেতার কথা।,
প্রতিদিন দশমিক দশমিক করে ওবামার সমর্থন কমছে, এমনকি সুইং স্টেট গুলোতেও। এই সময়ে জনপ্রিয়তার জোয়ার নি:সন্দেহে রমনী’র দিকে। ওবামার পূন:নির্বাচন ওতটা নিশ্চিৎ নয়। ওবামা তাকে কেনো আবার ভোট দেয়া উচিৎ এই যুক্তি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার পক্ষের একমাত্র শক্ত যুক্তি হলো যে রিপাবলিকান পার্টি উন্মাদ, মধ্যযুগীয় পুরুষে ভর্তি। শুধু এই বাণীতে বৈতরণী পার হওয়া শক্ত হবে।
এই লেখাটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলাম, বিপ্লবদা! আপনার লেখা পড়ে শুধু নির্বাচন সম্পর্কেই জানলাম না, এক নতুন আম্রিকাকেও আবিষ্কার করলাম। আম্রিকার এই অবস্থা? এত শোচনীয়? ক্রেডিট কার্ডে চলছে আম্রিকানদের জীবন নির্বাহ? সত্যি স্তম্ভিত! আমার মাঝে মাঝে ভ্রম হচ্ছিল, আম্রিকা নয়, হয়ত তয় বিশ্বের কোন দেশের কথা পড়ছি!
২১০ লাখ ফিগারটা অবিশ্বাস্য লাগছে, বিপ্লবদা। বেকারত্বের ক্লাসিফিকেশন আছে। এদের বেশিরভাগ কোন ক্লাসের?
কিন্তু আপনি যে অন্যত্র বললেন,
তাহলে আম্রিকাবাসীর মনে এখন আসলে কারা? অতিরা না মধ্যমগণেরা?
বাঁচাইলেন, বিপ্লবদা! একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম এই লাইনটি দেখে। ভয়ানক টেনশানে ছিলাম। রমনীকে আপনি মধ্যমপন্থী রিপাব্লিকান বলছিলেন, কিন্তু শেষ ডিবেট দেইখা ওনারে একজন ওয়ারমঙ্গার মনে হইছে আমার। উনার অতি ইহুদি তোষন মোটেই ভাল লাগে নাই।
পরিশেষে ধন্যবাদ এই অতি সময়োপযোগী লেখাটার জন্য। (F)
@কাজি মামুন,
এদের মধ্যে মুটে মজুর পি এইচ ডি মাস্টার্স সব আছে। নতুন কলেজ গ্রাজুয়েটদের ৪০% চাকরি পায় নি।
পার্টিগুলোতে ডান বা বাম এক্সট্রিমিস্টদের ভীর বারলেও, আমেরিকানরা মধ্যপন্থীই আছে।
বিপ্লব পাল,
পড়ে মনে হলো উৎপাদনকে তথা সম্পদকে কাগুজে বন্ডে রূপান্তর করে এর বাস্তবতাকে অস্বচ্ছকরে তোলা। এতেকরে যা হবে তা হলো অর্তনৈতিক ভ্যাক্যুয়ম। ঐ ভ্যাক্যুয়মটাই অর্থনৈতিক ধসের জন্যে হবে দায়ী। পৃথিবীর দরীদ্রতম দেশগুলো কিংবা আপাতঃ উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশ যেমন বাংলাদেশ, যারা এই ফেডারেল রিজার্ভের ধার ধারেনা তাদের ক্ষেত্রে কি উল্টো ফল ফলবে না?
@কেশব অধিকারী,
ফেডারেল রিজার্ভের ধার ধারে না এমন দেশ নেই। সব দেশই তাদের বৈদেশিক সম্পদের একটা বড় অংশ ফেডেরাল রিজার্ভের কাছে রাখে।