সম্প্রতি নাফিস নামের ২১ বছরের এক বাংলাদেশী ছাত্র আমেরিকায় সন্ত্রাসী কান্ড ঘটাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে। তার উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার কেন্দ্রিয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভকে বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া। পুলিশ তাকে একেবারে ঘটনাস্থলে ধরে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে সকল মিডিয়ায় গরম গরম সব খবর ছাপা হচ্ছে। নাসিফ রাতারাতি সকল প্রচার মাধ্যমের কেন্দ্র বিন্দুতে চলে এসেছে।তার মা বাবা অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে আমেরিকা পাঠিয়েছিল উচ্চ শিক্ষার্থে যে সে একজন সফল মানুষ হয়ে তার দেশের জন্য অবদান রাখবে।কিন্তু তাদের সকল আশা আকাংখার মুখে ছাই দিয়ে সে এখন একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসীর খাতায় নাম লিখিয়েছে।বিষয়টাকে বিশেষভাবে বিশ্লেষণের দাবী রাখে। কেন নাফিসের মত একজন নব যৌবনপ্রাপ্ত তরুন এ ধরনের সন্ত্রাসীতে পরিনত হলো ? কি এমন মন্ত্রনা সে পেল যে সে লেখাপড়া বাদ দিয়ে আমেরিকার মত দেশে মহা ভয়ংকর এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর মত ভীষন ঝুকি সে নিতে গেল? আমেরিকা তার নিজের ব্যক্তিগত , বা পরিবার গত বা জাতিগত কোন সর্বনাশ করে নি যে সে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছিল। তাহলে কেন সে এটা করতে গেল ? কেনই বা ৯/১১ এর সময় তরতাজা ১৯ তরুন আত্মাহুতি দিল? কেনই বা দেশে দেশে তরুনরা এভাবে আত্মাহুতি দিচ্ছে বা প্রস্তুতি নিচ্ছে ?
ইরাকের কিছু মানুষ এটা করতে পারে কারন তাদের দেশ আমেরিকা দখল করেছিল।আফগানিস্তানেও করতে পারে একই কারনে। কিন্তু বাংলাদেশ তো আমেরিকা দখল করে নি। আর তারা এখানে কোন নিপীড়নও চালাচ্ছে না। তাহলে ? তাহলে কেন ২১ বছরের তরতাজা এক বাংলাদেশী তরুন এভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে ভয়াবহ ধংসাত্মক ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছিল ? এত কি রাগ তার আমেরিকার ওপর যে তাকে এরকম ভাবে প্রতিশোধ পরায়ণ করে তুলেছিল।এখন নানা ভাবে বলা হবে যে সে কিছু বিপথগামী উগ্রবাদী দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল অথবা আমেরিকা প্রতারণা করে তাকে ধরেছে। যা ইতোমধ্যে তার বাবা বলেও ফেলেছে আবেগ বশত:।কিন্তু একটা ছাত্রকে খামোখা আমেরিকা কেন প্রতারণা করে ধরতে যাবে তা আমাদের মাথায় আসে না।খেয়াল করতে হবে – ছেলেটির বাবা কিন্তু এখনও ছেলেটির দোষ দেখতে পায় নি।ছেলেটি যে সত্যি সত্যি এধরনের নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত ছিল বা থাকতে পারে তা তার মাথায় আসছে না। যাহোক এবার আমরা বিশ্লেষণ করা যাক, আসলে সে একজন ধর্মপ্রান মুসলমান হিসাবে প্রকৃত দায়িত্ব পালন করছিল কি না।অর্থাৎ কোরান ও সুন্নাহ মোতাবেক সে সঠিক কাজ করছিল কি না। প্রথমেই আমরা কোরানের নিচের আয়াতগুলো দেখতে পারি-
9:123: হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে
9:5: অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৯:২৯: তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
5:10:যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার দোযখী।
3:28:মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
9:23:হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী।
5:33:যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
2:216:তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
47:4:অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাËেদরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না।
9:111:আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য।
(আব্দুল হাকিম চাকলাদারের উদ্ধৃতি থেকে)
এখন বলা হবে উক্ত আয়াতগুলো কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিল। কথা হলো যে প্রক্ষিতেই নাজিল হোক না কেন উক্ত আল্লাহর আদেশ গুলো কিন্তু উক্ত সময় পরবর্তীতে সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য হবে।কারন আল্লাহর আদেশ অপরিবর্তনীয়।কোরানের মাদানী সূরা গুলো মোহাম্মদের শেষ জীবনের দিকে নাজিল হয়েছিল।সুতরাং নাসিক মানসুক (রহিতকরন বিধি) অনুযায়ী মক্কায় নাজিলকৃত শান্তিপূর্ণ আয়াত গুলো বাতিল হয়ে শেষ দিককার আয়াতগুলোর বিধান অত:পর কেয়ামত অবধি চালু থাকবে।
এটা যে সত্যি সত্যি তাই তার বিবরণ আছে কতিপয় হাদিসে যেমন-
ইবনে উমর বর্ণিত- আল্লাহর নবী বলেছেন- আল্লাহ ও তার রসুল হিসাবে মোহাম্মদকে স্বীকার না করা পর্যন্ত আমি যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। বুখারি, ভলিউম-১, বই-২, হাদিস-২৫
উক্ত আয়াতগুলোতে যে বলা হচ্ছে অমুসলিমদের সাথে সব সময় যুদ্ধ করতে হবে, তাদেরকে পাকড়াও করতে হবে , হত্যা করে তাদের মালামাল লুঠ করতে হবে তা মোহাম্মদ সুন্দরভাবে তার হাদিসে বর্ণনা করেছেন কোন রকম রাখ ঢাক ও প্রেক্ষাপট ছাড়াই।
এসব আয়াত নাজিলের পর আর কোন আয়াত নাজিল হয়নি যা দিয়ে বলা হয়েছে যে – মুসলিম ও অমুসলিমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করবে।সুতরাং যে উক্ত আয়াতদ্বারা যে সকল আয়াতের বিধান বাতিল হবে তা হলো –
দ্বীন নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নেই। সূরা বারাকা, ০২:২৫৬ (মাদানি সূরা)
উল্লেখ্য সূরাটি মাদানি হিসাবে বর্ণিত হলেও এর দুই তৃতীয়াংশই নাজিল হয় মক্কাতে , বাকি একভাগ মদিনাতে অন্য কথায় সূরা বাকারা প্রথম মাদানি সূরা। অর্থাৎ উক্ত আয়াতটি মক্কাতেই নাজিল হয়েছিল বলে ধরা যায় যদি তা ঠিক নাও হয় তবে উক্ত আয়াতটি মোহাম্মদের মদিনা যাওয়ার পর পরই নাজিল হয়।আর বলা বাহুল্য , তখনও মোহাম্মদ মদিনার শাসক হয়ে ওঠেন নি। আর তাই তার মুখে শান্তির বানী। এছাড়া আর যে সব শান্তির আয়াত উপরোক্ত মাদানি আয়াতগুলো দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে তা হলো –
আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য? সুরা ইউনুস, ১০:৯৯ (মক্কায় অবতীর্ণ)
তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্যে এবং আমার ধর্ম আমার জন্যে। সূরা ফুরকান, ১০৯:০৬(মক্কায় অবতীর্ণ)
কোরানে নাসিক মানসুক যে বিধিতে কাজ করে তা হলো-একই বিষয়ে দুই বা ততোধিক আয়াত নাজিল হলে , সর্বশেষ আয়াতের বিধান কার্যকরী থাকবে। উক্ত বিধি অনুযায়ী, মক্কা বা মদিনার প্রাথমিক যুগে সহাবস্থান বিষয়ক যে সব শান্তির আয়াত নাজিল হয়েছিল মদিনার সর্বশেষ আয়াত দ্বারা তা বাতিল হয়ে , অত:পর সর্বশেষ আয়াতগুলোর বিধানই কার্যকর থাকবে।এ বিধি যে কোন রাষ্ট্রেও সমানভাবে ক্রিয়াশীল বিশেষ করে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে। সুতরাং এতদসংক্রান্ত আলোচনাতে এটাই বোঝা গেল যে, যে প্রেক্ষিতেই আল্লাহ পরবর্তীতে যুদ্ধ, দখল, হত্যা, লুন্ঠন সম্পর্কিত আয়াত নাজিল করুক না কেন , যেহেতু অত:পর আর কোন আয়াত দ্বারাই তা বাতিল করা হয় নি , তাই শেষোক্ত আয়াতগুলোই কেয়ামত অবধি চালু থাকবে, কেননা আল্লাহর বানী অপরিবর্তনীয়।এ ছাড়া কোরানে পরিস্কার করে এ কথা বলাও হয় নি যে শুধুমাত্র সেই সাময়িক সময়ের জন্য উক্ত আয়াতগুলোর কার্যকরী থাকবে। অত:পর তা বাতিল বলে গণ্য হবে।কোরানে আল্লাহই যেহেতু বার বার বলেছে যে তার বানী সুস্পষ্ট ও পরিস্কার তাই এ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করাটাও আল্লাহর সাথে পাল্লা দেয়ার শামিল।
তাহলে একজন নিবেদিত প্রান মুসলমানের দায়িত্ব কি দাড়ায় উক্ত আয়াত অনুযায়ী ? এখন দেখা যাকে এ বিষয়ে মোহাম্মদের আদেশ কি ।
আবু হুরায়রা বর্ণিত- আল্লাহর নবী বলেছেন,ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করা হয়েছে।Sahih Bukhari 4:52:220
আবু হুরায়রা বর্ণিত- নবী বলেন, আমাকে সুন্দর কথা বলা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আর দেয়া হয়েছে ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে বিজয়ী হওয়া ক্ষমতা। Sahih Bukhari 9:87:127
আবু হুরায়রা বলেন, আল্লাহর নবী বলেছেন- অন্য নবীদের থেকে আমাকে ছয়টি বিষয়ে বেশী অধিকার দেয়া হয়েছে তা হলো-সুনির্দিষ্ট ও সংক্ষিপ্ত বাক্য ব্যবহার, ভয় সৃষ্টি দ্বারা বিজয়ী হওয়া, গণিমতের মাল বিধিসম্মত করা, দুনিয়াটকে আমার জন্য পরিস্কার, দুনিয়াটাকে প্রার্থনার স্থান করা এবং আমাকে সমস্ত মানব জাতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। Sahih Muslim 4:1062
আবু হুরায়রা বর্ণিত, আল্লার নবী বলেছেন- আমাকে ভয় প্রদর্শন করার মাধ্যমে সাহায্য করা হয়েছে। Sahih Muslim 4:1066
হাম্মাম বিন মুনাব্বি বর্ণিত- আবু হোরায়ারা মাধ্যমে আমি জেনেছি – ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। Sahih Muslim 4:1067
যেহেতু নবীর কাজ হলো ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে তার ইসলাম প্রচার করা যা তিনি তার জীবদ্দশায় খুব ভাল মতো করেও গেছেন,যাকে বলা হয় পবিত্র জিহাদ।কারন ইসলাম প্রচারের জন্যই এ যুদ্ধ ও ভয় প্রদর্শন।তাই নবীর সুন্নাহ পালন করতে গেলে তার উম্মতকেও তো সেটাই অনুসরণ করতে হবে। তাই নয় কি ? একজন নিবেদিত প্রান মুসলমানকে সব সময় অমুসলিমদেরকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে হবে ও সে অনুযায়ী নানা রকম নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালতে হবে, যাতে তারা এক সময় ভয় পেয়ে ইসলামের পতাকাতলে আগমন করে। মোহাম্মদকে অনুসরণ না করলে সে যে মুসলমানই নয় তা দেখা যায় কোরানে , যেমন-
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।সূরা আল ইমরান,৩:৩১
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।সূরা আল ইমরান, ৩:৩২
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। সূরা নিসা,৪:৮০
এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য। সূরা নিসা, ৪:১৩
যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। সূরা, ৪:১৪
স্বয়ং আল্লাহ বলে দিচ্ছে যে মোহাম্মদের আদেশ হলো আল্লাহর আদেশ, তাই মোহাম্মদের আদেশ আল্লাহর আদেশ অমান্য করার শামিল। আর সেটা যদি কেউ করে সে মুসলমান থাকে কি করে , সে তো চিরকাল দোজখের আগুনে পুড়ে মরবে।কোন নিবেদিত প্রান মুসলমান যাবে দোজখের আগুনে পুড়তে ?
এবং পরিশেষে যেটা করতে হবে তা হলো মোহাম্মদকে ভালবাসতে হবে নিজের মা বাবা ভাই বোন , ছেলে মেয়ে আত্মীয়স্বজনের চেয়ে বেশী না হলে সে ঈমানদার মুসলমানই নয় যেমন-
বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জেহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না। সূরা আত তাওবা, ৯:২৪।
সুতরাং মোহাম্মদকে সবচাইতে বেশী ভাল না বাসলে আল্লাহ তার হেফাজত করবে না, এ ধরনের ঝুকি নিতে যাবে কোন মুমিন বান্দা?
আল্লাহ কাদেরকে সব চাইতে বেশী ভালবাসে? দেখতে হবে সেটাও –
আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর। সূরা আছ ছফ, ৬১:০৪
একজন সাচ্চা মুসলমানের কাছে সব চাইতে শ্রেষ্ট কাজ কি ? সেটাও জানাটা বিশেষ জরুরী। সেটা জানা যাবে নিচের হাদিস থেকে
আবু হুরায়রা বর্ণিত, আল্লাহর নবীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সব চেয়ে ভাল কাজ কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন- আল্লাহ ও তার নবীকে ভালবাসা। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো – তার পর ? তিনি বললেন- জিহাদে অংশগ্রহন করা। বুখারি, ভলিউম-১, বই-২, হাদিস-২৫
জিহাদে অংশ নিয়ে জয়ী বা শহিদ হলে কি লাভ হবে তাও আছে হাদিসে, যেমন-
আল্লাহর নবী বলেছেন – যে লোক আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে যোগদান করবে শহিদ হলে আল্লাহ তাকে বেহেস্তে প্রবেশ করাবেন বিজয়ী হলে গণিমতের মালসহ তাকে পুরস্কৃত করবেন। বুখারি, ভলিউম-৯, বই-৯৩, হাদিস-৫৫৫
সর্বশেষে, কোন মুসলমানের মর্যাদা বেশী?
যারা অক্ষম তারা বাদে যারা ঘরে বসে থাকে তাদের মর্যাদা যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে তাদের সমান নয়। সূরা নিসা-৪:৯৫
এত কিছুর পরে যদি কোন সাচ্চা বা ঈমানদার মুসলমান কোন কিছু না করে চুপ চাপ বসে থাকে , তাহলে তার অবস্থা কি হবে , সেটা কি একবার কেউ ভেবে দেখেছে? পৃথিবীতে বর্তমানে ৭০০ কোটির বেশী মানুষ বাস করে যার মাত্র ১৫০ কোটির মত মুসলমান। এখনো ৫৫০ কোটি মানুষ আল্লাহর রাস্তায় আসে নি। এ মত অবস্থায় একজন সাচ্চা মুসলমান যদি চুপ চাপ বসে থেকে মহানন্দে দিন কাটায় , সে কি বেহেস্তে যেতে পারবে ? তাহলে দুনিয়ার সব মুসলমানের দায়িত্বটা কি হওয়া উচিত ? মোহাম্মদের সুন্নাহ অনুসরণ করে সর্ব প্রকার জিহাদে ঝাপিয়ে পড়া উচিত নয় কি ? ২১ বছরের টগবগে তরুন নাফিস অতি অল্প বয়েসেই ইসলামের মাহাত্ম অনুধাবন করে তার সাধ্যমত জিহাদে ঝাপিয়ে পড়েছে। কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো একটা কাফের রাস্ট্র যারা সব সময় মুসলমানদের উপর অত্যাচার করে চলেছে, ইহুদিদেরকে মদদ দিয়ে চলেছে। এরা ইসলামের বড় শত্রু। এখন এদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে পারলে, ইসলাম প্রচার ও প্রসারের অনেক সুবিধা হয়। বিষয়টা নাফিস খুব ভালমতো বুঝতে পেরেছিল।যেমনটা বুঝতে পেরেছিল ওসামা বিন লাদেন।নাফিস আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য নবীর দেখানো পথে আমেরিকাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল।আর এটাই তো হলো একজন সাচ্চা মুসলমানের কাজ , তাহলে সে ভুলটা করল কি ? আজকে যারা নানা ভাবে প্রচার করার চেষ্টা করছে যে নাফিস কিছু উগ্রবাদি লোকের পাল্লায় পড়ে বিভ্রান্ত হয়েছিল- তারা কি ঠিক কথা বলছে? তারা কি ইসলামকে জেনে শুনে এ কথা বলছে নাকি স্রেফ কথার কথা বলছে? আমাদেরকে প্রকৃত সত্য জানতে হবে , না জেনে না বুঝে নিজেদের মতামতকে ইদানিং ইসলামি বিধান বলে চালানোর এক অপকৌশল ব্যপকভাবে দেখা যাচ্ছে। আসুন প্রথমে ভাল করে জানি ইসলাম কি বলছে, যদি মনে করি সেটাই সঠিক পন্থা , তাহলে আসুন সবাই জিহাদে ঝাপিয়ে পড়ি। যদি বুঝি যে এরকম মারামারি হত্যা খুন লুটপাট নাশকতামূলক কাজ কোন সৃষ্টি কর্তার আদেশ হতে পারে না ,তাহলে সঠিক রাস্তা অনুসন্ধান করত: তার অনুসরণ করি। মনের গভীরে পোষন করব ইসলাম হলো একমাত্র সঠিক ও সত্য রাস্তা , আবার ইসলামি বিধান অনুযায়ী জিহাদে ঝাপিয়ে পড়লে বলব এটা ইসলামি বিধান নয়, বিভ্রান্ত মতবাদের শিকার- এ ধরনের লুকোচুরি, আত্ম প্রবঞ্চনা আর স্ব বিরোধী আচরন কোন জাতিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারে না।
ছেলেটির বাবা কিন্তু এখনও ছেলেটির দোষ দেখতে পায় নি।ছেলেটি যে সত্যি সত্যি এধরনের নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত ছিল বা থাকতে পারে তা তার মাথায় আসছে না।
কোন বাবাই তার ছেলেদের দোষ দেখতে পারেনা। ইস্লামে জিহাদের আয়াত গুলাকে উল্লেখ করে আপনি গোটা ইসলামের অবমুল্যায়ন করতে পারেন না। আরও সুন্দর সুন্দর আয়াত আছে সেগুলা কে আপনি আপনার জীবন চলার পাথেয় হিসাবে নেন।
জঙ্গি পরিকল্পনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে আটক বাংলাদেশি যুবক কাজী মোহাম্মদ নাফিস ইসলামি জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমেরিকাকে ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে নাফিস নাটকীয়ভাবে বিচারক বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই দেওয়া এই চিঠিতে রেজওয়ানুল নাফিস বলেন, বাংলাদেশি প্রেমিকার প্রতারণায় হতাশ হয়ে আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছিলেন। নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে রেজওয়ানুল নাফিস বিচারকের কাছে অনুকম্পা প্রার্থনা করেন।
ব্রুকলিন ফেডারেল আদালতের বিচারক ক্যারল বাগলে এমন বরাবরে দেওয়া চিঠিতে নাফিস বলেন, ‘প্রেমিকার প্রতারণায় আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল। ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ থাকার কারণে আত্মহত্যা করতে পারিনি। সুস্থ চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে আমি পাগল হয়ে পড়ি। একপর্যায়ে জিহাদের মাধ্যমে নিজেকে বলি দেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর নাফিসকে নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার করা হয়। শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর গোয়েন্দাদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়েন নাফিস। নকল বিস্ফোরকসহ ফেডারেল ভবন উড়িয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতির সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ ১০ মাস তাঁর বিচার-প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম থেকে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি নাফিস আদালতে অপরাধ স্বীকার করেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী লঘুদণ্ডের প্রত্যাশায় রেজওয়ানুল নাফিস অপরাধ স্বীকার করে নেন।
ঢাকায় নাফিসের পরিবার থেকে বলা হয়েছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দাদের ষড়যন্ত্রের শিকার। যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে বাংলাদেশে তাঁর জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত ১৬ নভেম্বর ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতে জুরি বোর্ড নাফিসকে দণ্ড প্রদানের রায় দেন। চূড়ান্ত দণ্ড ঘোষণার জন্য আদালত ৯ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন। এর আগে রেজওয়ানুল নাফিসের মানসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নাফিসের পরিবার থেকে কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী হেইডি সিজার নাফিসকে আইনগত সহযোগিতা প্রদান করেন।
নাফিস তাঁর বিচারের চূড়ান্ত রায়ের আগে বিচারক বরাবরে দেওয়া চিঠিতে বলেছেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আমার ধারণার বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে।’ দীর্ঘ পাঁচ পৃষ্ঠার পত্রে নাফিস আমেরিকার প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ইসলামের কোথাও তিনি জঙ্গিবাদের প্রমাণ পাননি। নিজের ব্যক্তি জীবনের হতাশা, প্রেমিকার প্রতারণা এবং জঙ্গি প্রলোভনে জড়িয়ে পড়ার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন রেজওয়ানুল।
চূড়ান্ত রায়ের আগে বিচারকের কাছে দেওয়া এমন চিঠি নাফিসের প্রতি সহানুভূতিশীল রায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, নাফিসের এ চিঠি বিচারকের বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের বিচারে নাফিসের লঘু দণ্ডে শাস্তি পাওয়ার অবকাশ রয়েছে।
নিউইয়র্ক সময় শুক্রবার সকাল নয়টায় (বাংলাদেশে সময় সন্ধ্যা সাতটা) নাফিসের দণ্ড ঘোষণা হওয়ার কথা। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস থেকে নাফিসের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। নাফিসের মামলার রায়ের দিন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিনিধি ও কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
http://www.prothom-alo.com/international/2013-08-09/article/36924/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE_%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF – বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবার প্রয়োজন বোধ করি নাই।
sorry there was a mistake. আসলে সূরা ফোরকান এর ৬১ নং আয়াত। যেখানে চাঁদের কথা বলা হয়েছে। আসলে রাগের মাথায় এরকম হয়েছে।
আর একটা কথা বলে যাই, সেটা হল হিসাবে আরবি ভাষা অত্যন্ত সহজ। কিন্তু এইসব কূপমণ্ডূক দের মাথা একটু বেশী চলে তো তাই এরা বোঝে না। আমার মনে আছে স্কুল লাইফে আমার এক ক্লাসমেট ছিল নাস্তিক কিন্ত ভালো ছাত্র। ও এই রকম গবেষণা করতে করতে পাগলই হয়ে গ্যাছে। :-):-):-):-):-):-):-):-):-):-):-):-):-):-):-)
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই। মনে হচ্ছে আপনি খুবই ঈমানদার।
ধন্যবাদ বোন।
আমার পি এইচ ডি তে বিষয় ছিল “Relativity between Science and Islam”. মহাবিজ্ঞান পবিত্র আল কোরআন এ মহান আল্লাহ সুবহান তা’লা জ্ঞানের সকল বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছেন। মহাপবিত্র কোরআন এ এমন সব গভীর জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে যা অনুধাবন করা এইসকল কূপমণ্ডূক দের পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া পবিত্র কোরআন এর বাংলা তরজমা ও এখনো সঠিকভাবে করা হয়নি। আরবি ভাষা অত্যন্ত গভীর ও অলংকার সমৃদ্ধ। শুধুমাত্র একটি বা দুইটি আরবি ডিকশনারিরর দোহাই দিয়ে আরবি অনুবাদ সম্ভব নয়। আমার হাতে এসব ফালতু নাস্তিক ব্লগের পেছনে বেশী সময় নষ্ট করার মত সময় নাই। তাই একটা উদাহরণ দিতাছিঃ সূরা আয যারিয়াতের ৪৭ নং আয়াতে যেখানে চাঁদ এর নিজস্ব আলো নেই এ অর্থে মুনীর বা প্রতিফলিত আলো ব্যাবহার করার কথা সেখানে নুরানি বাংলা তরজমায় ব্যাবহার হইছে জ্যোতির্ময় আলো। ডঃ জাকির নায়েক সাহেব কেও এ সম্পর্কে বলতে দেখলাম। আমরা যারা এত গবেষণা করেও সঠিক আরবি অনুবাদ করতে পারছি না। আর এই কুলাংগার রা শুধু ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য দিয়ে শুধু নিরীহ মানুষ দের ঠকাতেই পারে। আর কিছু পারে না। তাই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এখনই। আল্লাহ আকবার।
এইটা আসলে একটি ইসলাম বিরোধী ব্লগ। যেখানে ইসলাম এর ভুল ও শয়তানি মনের লেখা।যেখানে ইসলামের অপব্যাখ্যা ও হীনভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এর আসলে মুসলিম নামধারী মুনাফিক। এদের দমাতে হলে মুসলিম উম্মাহের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।আমি একজন মুসলিম চিন্তাবিদ। আমার একার দ্বারা এদের দমানো সম্ভব নয়।পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে বাংলাদেশের মত মুসলিম বিরোধী ব্লগার নেই। এইসব কুলাংগার এর জন্ম দোষ। এই সব কথার ও কমেন্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যে সকল কুলাংগার এদের সাথে সাথ দেয় তাদের পিতা মাতার কোন ঠিক নেই। এসবের সঠিক ব্যাখ্যা জানতে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। ধিক শত ধিক সেসব পিতামাতার যারা এদের জন্ম দিয়েছে। নারায়ে তাকবীর, আল্লাহ আকবর। মুসলিম উম্মাহ জিন্দাবাদ।
ব্লগে যাই লিখুক না কেন সবচেয়ে বড় অপরাধ হল নাবি কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম এর উপর দরুদ পাঠ না করা। আর সঠিকভাবে ইসলাম এর ব্যাখ্যা প্রদান না করা। তাই ব্লগটি মুক্ত মনের হলেও প্রত্যাখ্যাত।
মুক্ত মনা যেই ভণ্ডামি সুরু করেছে। তাতে কন যুক্তি বেক্ষার দরকার না। কুরানে যেই আয়াত এর রেফারেঞ্ছ দিয়েছে সেই আয়াত এর আগের অ পরের আয়াত পরলেই হবে আর কিছু দরকার নাই
@khan,
জনাব খান সাহেব।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
খুবই ভাল কথা। তাহলে আগে ও পরের দুই একটি আয়াত দেখিয়ে একটু প্রমান করে দিননা যে কি করে “জমাট রক্ত” দ্বারা মানুষ সৃষ্টি হতে পারে?
দেখবেন যেন আবার অন্য আয়াত টেনে এনে আরো বেশী বিপদে জড়িয়ে না যান।
আলোচনায় থাকুন চলে যান না যেন।
@khan,
জনাব মিঃ খান দয়া করে আজ সকাল ৭:৩০ এর বিবিসি বাংলার খবর টা
এখানে শুনে দেখেন।
রেজওয়ান নামে একজন মুছলিম তরুনকে আমেরিকার সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে পেন্টাগনের আদালত ১৭ বছরের কারদন্ড দিয়েছে।
প্রমাণ সাপক্ষে ধরা তো সম্ভব হয় হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ এর মধ্যে মাত্র দুই একটি।
ঠিক এভাবেই আরো লক্ষ লক্ষ মুছলিম তরুন নাফিছ ও রেজওয়ান লাইনের পিছনে রয়ে গিয়েছে। তারা আগামী কালই আবার এসে যাচ্ছে।
বলতে পারেন অমুছলিম জাতিরা এমন কি অপরাধ করেছে ,আল্লাহ তাদের অমুছলমদের ঘরে জ্ন্ম গ্রহন করিয়ে। যে তাদেরকে একেবারে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।
যে সমস্ত ধর্মগুরুরা এই সোনার টুকরার সম্ভাবনাময়ী মুছলিম তরুনদের কে ধংস করে দিচ্ছে তাদের একমাত্র এই জঘন্য যুক্তির উৎস তাহলে কোরান হাদিছে একটু দেখে নিন।
আরো তো কত ধর্মাবলম্মী এই বিশ্বে শান্তিপর্ণ ভাবে জীবন যাপন করতেছে। তরাতো কখনই বেহেশতের লোভে আল্লাহর সৃষ্ট নিররপরাধ বন্দাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে যায়না।
কোরান হাদিছের দোহাই দিয়ে, এটা চলতে থাকুক আপনি কি এটা সঠিক মনে করেন?
তাহলে নীচে দেখুন কোরান হাদিছে,নাফিছ, ও রেজওয়ানদের মানুষ মারার দলিল।
এরুপ আরো অসংখ্য দলিল পাইবেন।
ধন্যবদ
আলোচনায় থাকুন।
উধাও হয়ে যাননা যেন।
আর আপনার শব্দের বনানের দিকে একটু লক্ষ দিবেন। অসংখ্য ভূল থাকে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
রেজোয়ান কেসের গুরুত্বপূর্ন দিক হল সাজা পাবার পর তার বক্তব্যঃ
রেজোয়ান ফেরদৌসের জন্ম ম্যাসাচুসেটসে। তিনি বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে রেজোয়ান তাঁকে সমর্থন করার জন্য পরিবার ও বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি তাঁর কাজের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেছেন।
– ৯১১ এর আগেও ‘৯৩ সালে টুইন টাওয়ারে মৌলবাদী হামলা হয়। সৌভাগ্যজনক ভাবে সেবার তেমন ক্ষতি হয়নি। সে হামলার নায়ক পাকিস্তানী রামজি ইউসুফও একইভাবে তার কৃতকর্মের জন্য বুন্দুমাত্র দূঃখিত নয় পরিষ্কার বলেছিল। ‘৭১ এর রাজাকার আল বদররাও কোনদিন কৃতকর্মের জন্য দূঃখিত হয়নি, উলটো বুক ফুলিয়ে বলে যা করেছি ঠিকই করেছি। এরা সকলেই একই ধারার লোক। কারন এরা আদর্শগত কারনে যখন সন্ত্রাস করে, সেসবের মাঝে পাপের কিছু আছে তাদের মনে হলে আদৌ কুকর্মই করত না। রামজি ইউসুফ নাকি এখন জেলের সেলে নামাজ কালামে সারাদিন মশগুল থাকে, এমনকি ওকলাহোমা বোমাবাজির নায়ক টিমোথি ম্যাকবে কে সে ইসলাম গ্রহনে উদ্ধুদ্ধ করেছিল বলে জানা যায়। কিছুদিন ধরে আবার নাকি সে নিজেই খৃষ্টান হয়ে গেছে বলে দাবী করে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
রামজি ইউসুফ আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছিলঃ
The Government in its summations and opening statement said that I was a terrorist. Yes, I am a terrorist and I am proud of it. And I support terrorism so long as it was against the United States Government and against Israel, because you are more than terrorists; you are the one who invented terrorism and using it every day. You are butchers, liars and hypocrites.
হুবহু বোল্ড করা অংশের মত বেঁফাস কথা বলে বেচারা জাকির নায়েক ফেঁসে গেছিলেন।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার দেওয়া এই তথ্যগুলী অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। এগুলীই আমি খুজতেিলম।এগুলী আমি SAVE করে রাখলাম। এগুলী বিশেষ কাজে আসবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
@ভব ঘুরে,
আপনার দেওয়া হৃদপিন্ড পরিস্কার করে এর মধ্যে “বিশ্বাষ” বা “ঈমান” ঢুকিয়ে দেওয়ার হাদিছ দুইটি মনোযোগ সহকারে পড়লাম। দইটা মূলতঃ একই হাদিছ।
এই হাদিছটাও ঠিক “জমাট রক্ত” হতে মানুব সৃষ্টির মতই আর একটি মারাত্মক অবৈজ্ঞানিক বক্তব্য।
কারন আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে হৃদপিন্ডের সংগে “বিশ্বাষ” বা “ঈমান” এর কোনই সম্পর্ক নাই। ১৪০০ বছর পূর্বের সমাজের জন্য অবশ্য এ ধরনের বক্তব্য ঠিকই ছিল।
এই বিজ্ঞানের যুগে এটা সমপূর্ণ অচল বক্তব্য।
কারণ “বিশ্বাষ” বা “ঈমান” হৃদপিন্ডের মধ্যে সার্জারি করে ঢুকিয়ে দেওয়ার কোন বিষয় নয়।
এই কাজটি একমাত্র মস্তিস্কের। তাও এটা সার্জারী করে ঢুকিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়।
এটা মানুষের ইচ্ছাধীন।
কতবড় আজগুবী কাহিনী!!! এখনো লোকেরা এ আজগুবী কাহিনী শুনে মোহিত হয়ে যায়।
,এইতো সেদিন তাবলিগীরা যখন এই হদিছটার উদ্ধৃতি দিয়ে অত্যন্ত জ্ঞানী লোকের মত বুঝাচ্ছিলেন যে এটা একটা লেজার অপারেশন ছিল, এবং লোকেরা শুনে মোহিত হয়ে যাচ্ছিল,হাদিছটা সম্পর্কে আমি পূর্বে পরিচিত থাকলে, আমি তাদের ভাল ভাবেই আটকিয়ে ফেলতে পারতাম।
আপনি তো আমাকে এ ভাবে হাদিছ শিখিয়ে শিখিয়ে মানুষদের কে বিপদে ফেলার ব্যবস্থা করতেছেন।
হ্যাঁ ভাইজান,তাইতো মনে হচ্ছে।
দেখলেন তো?
জনাব খান সাহেব তার নিজ গড়া কোরানের জাল অর্থের জাল বিজ্ঞান লয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন। উনার প্রায় সমস্ত বক্তব্য গুলীই খন্ডনের যোগ্য।
তাই আর ফিরলেননা।
মিথ্যা কে পূজী করে বেশী দুর অগ্রসর হওয়া যায়না।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মি : খান সাহেবের চ্যলেঞ্জ গ্রহন করে তার প্রতিটি পয়েন্টের যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য। কিন্তু আপনি তো ভাইজান ফাকা মাঠে গোল দিলেন, এটাই একটু বেখাপ্পা লাগল। খান সাহেব তো উধাও। তার তো সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। অথচ এই এরাই আরবী না জানা, কোরান হাদিস না পড়া মুসলমানদের কাছে এভাবে বিকৃত অনুবাদ করা কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশাল আলেম সাজে। যার জল জ্যন্ত উদাহরন হলো জোকার নায়েক। সূরা নাযিযাতের ৩০ নং আয়াতের দাহাহা শব্দের অর্থ উট পাখির ডিম্ব এটা মূল উদ্গাতা হলো ওই জোকার মিয়া। এক লেকচারে দেখেছিলাম যে আরবী না জানা লোকের সামনে এভাবে দাহাহাকে উট পাখির ডিম্ব বানিয়ে পৃথিবীকে ডিমের আকার বানিয়ে দিল, বোকা পাবলিক তাকে হাততালি দিয়ে বাহবা দিল। এভাবে পেট্রো ডলারের কল্যানে প্রতিষ্ঠিত বহু মিডিয়াতে এরা কোরান হাদিসের ভূল ব্যখ্যা দিয়ে প্রতি নিয়ত সাধারন মুসলমান ও অমুসলিমদেরকে প্রতারিত করছে, কেউ তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করে না। পৃথিবী কি তাহলে এখন সব মিথ্যাবাদীদের দখলে চলে গেল?
@ভবঘুরে,
না,ভাইজান, খান সাহেব চলে যান নাই। দেখুন উনি ঠিকই আবার ফিরে এসেছেন।
এবার দেখতে পাবেন উক্ত আয়াতের আগে ও পরের আয়াত দ্বারা ঠিকই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিবেন কি করে মানুষ “জমাট রক্ত” দ্বারা সৃষ্ট হয়।
উনার কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার জন্য আপনাকে তো একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
যদি পারেন এই পোস্ট সম্পূর্ণ পরেন ওপেন চ্যালেঞ্জ
@khan,
আপনা সাইট দেখলাম। এ ধরনের ফালতু চ্যলেঞ্জ অনেক মোকাবেলা করা হয়েছে। আপনার সাইটের কোরান কি আপনি অনুবাদ করেছেন? কোন কোরান ব্যবহার করেন এখন? আপনারা নিজেরাই খৃষ্টাণদের বাইবেল নিয়ে তামাসা করেন, কোন বাইবেল তারা অনুসরণ করে, আপনাদের অবস্থাও তো দেখি সেরকম। কোন কোরান অনুসরণ করেন ? তাহলে এখন কোরান নিজেরা রচনা শুরু করে দিয়েছেন তাই না ? ফাজলামি করার আর জায়গা পান না ? এতই যদি কোরান জানেন নিচের আয়াতটার অর্থ একটু বুঝিয়ে দেন ।
সূরা আলাক-৯৬:০২ আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি জমাট রক্ত বিন্দু থেকে।
সব বড় বড় ইসলামি পন্ডিতরা এটাকে clot of blood বলেছে। আপনি আবার এটাকে জমাট মাংস পিন্ড বানাইয়েন না জোকার নায়েকের মত। ইদানিং তো কোরানের শব্দের অর্থ পাল্টানোতে বেশ ওস্তাদ হয়ে গেছেন। আপনাদের এ ধরনের অসহায়ত্ব দেখে ভীষণ হাসি পায়। কোরানের অর্থ আল্লাহ বলেছে অপরিবর্তনীয়। আপনারা যে ভাবে অর্থ পাল্টানো শুরু করেছেন- অচিরেই এর শাস্তি স্বরূপ আপনাদের ওপর গজব নাজিল হবে , অপেক্ষা করুন।
@ভবঘুরে, দাদা আমার সাইত এর ১ টা প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেছেন। তবে কেন মানবেন না টা বুঝলাম না
@khan,
আ: হাকিম চাকলাদার আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। আপনি কি অন্ধ নাকি পড়তে পারেন না ?
কি মানতে হবে ? আপনার দাহাহা শব্দের অর্থ ঘোড়ার ডিম ? এই সব গাও গ্রামের অর্ধ শিক্ষিত লোকের কাছে গিয়ে বলুন বাহবা পাবেন। এভাবে কোরানের শব্দের অর্থ পাল্টে ফেলে এসেছেন জ্ঞান ফলাতে ? এভাবে মিথ্যা কথা বলতে আপনাদের জিহ্বাতে বাধে না ? ধর্ম প্রচার করুন ভাল কথা , তাই বলে এত মিথ্যা কথা বলতে হবে ? আপনার কাছে ইসলাম হলো আল্লাহর বানী আমাদের কাছে এটা ১৪০০ বছর আগেকার আরবের মোহাম্মদ নামক একজন গোষ্ঠি নেতার সাধারন চলতি কথা বার্তা ছাড়া আর কিছুই না। এখন থেকে ইসলাম প্রচার করার আগে মানুষকে আগে জানান দেবেন নিচের বিষয়গুলো-
১। মোহাম্মদ ১৩ টা বিয়ে করেছিলেন যার অধিকাংশই ছিল স্রেফ যৌন কামনা পূরনের জন্য।
২। মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের শিশু আয়শাকে বিয়ে করেছিলেন যে ছিল তার ঘনিষ্ট বন্ধু আবু বকরের মেয়ে ও ৫৪ বছর বয়েছে ৯ বছরের আয়শার সাথে সেক্স ( ধর্ষণ) করেছিলেন।
৩। মোহাম্মদ তার পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রীকে নানা ছলা কলায় বিচ্ছেদ ঘটিয়ে পরে নিজেই বিয়ে করেছিলেন।
৪। মোহাম্মদ খাদিজা বেঁচে থাকতে একজনকেও বিয়ে করেন নি কারন তিনি খাদিজার অর্থের ওপর বেঁচে থাকতেন তথা তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন তাই খায়েশ থাকলেও বিয়ে করতে পারেন নি।
৫। মোহাম্মদ বিয়ে করা ছাড়াই মারিয়া নামের দাসীর সাথে সেক্স করে তার গর্ভে ইব্রাহীম নামক ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন। অথচ তার ঘরে তখন কম পক্ষে ৯ টা সুন্দরী স্ত্রী মজুত ছিল। এতগুলো স্ত্রী থাকতেও মোহাম্মদ কেন দাসীর সাথে সেক্স করতে যান সেগুলো ভাল করে বলবেন।
৬। মদিনায় গিয়ে মোহাম্মদ বানিজ্য কাফেলা লুট করে লুটকৃত মালামাল গণিমতের মাল হিসাবে ভোগ দখল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
৭। মোহাম্মদ নিজেই তার আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছেন। যেমন খন্দকের যুদ্ধের (৬২৫) সময় তার ওপর নাজিল হয় ৩৩:৫২ আয়াত যাতে মোহম্মদকে আর কোন বিয়ে না করতে বলা হয়েছে কিন্তু এর পর ৬২৭ সালে তিনি খায়বার আক্রমন করে ইহুদি সর্দারের স্ত্রী সাফিয়াকে গণিমতের মাল হিসাবে দখল করে তাকে বিয়ে করেন। এটা সুস্পষ্টভাবে আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন। অর্থাৎ মোহাম্মদ নিজেই তার আল্লাহর নির্দেশ মান্য করতেন না। মান্য করবেন কিভাবে ? কারন আল্লাহর ওহীর নামে যা বলতেন তা তো আসলে নিজেরই বানান সুবিধামত গল্প ও কিচ্ছা মাত্র। একটু ইতিহাস পড়ে দেখেন।
এ তথ্য গুলো এখন থেকে সবার কাছে বলবেন , এরপর দেখবেন কয়জন মানুষ আপনাদের কথা শোনে ? এতই যদি বিশ্বাস তাহলে এসব তথ্য গুলো গোপন করে যান কেন ? এসব তথ্যগুলি কি মিথ্যা ? নাকি আমাদের বা কোন ইহুদি নাছারার বানান গল্প ?
@ ভবঘুরে,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি লিখার জন্য,আশেপাশের অনেক কেই বলতে শুনছি এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র।কিন্তু আমার কথা হচ্ছে বাংলাদেশ এর মত দেশ এর বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করার কোন দরকার আদৌ কি আমেরিকার আছে?প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যাই হোক না কেন নিঃসন্দেহে আমরা অনেকটা পিছিয়ে।কিন্তু একটা দিক দিয়ে আমরা এগিয়ে তা হল অন্যান্য ইসলামিক রাষ্ট্র গুলোর মত আমাদের বাচ্চাদেরও আমরা সাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা দিচ্ছি।ছোটবেলায় ই বলে দিচ্ছি অন্যান্য ধর্মের মানুষের থেকে সে কত মহান (কারণ সে মুসলিম)।ধরমান্ধতা আমাদের মানবতা বোধ কে গ্রাস করে। নিজেকে মানুষ থেকে বেশি মুসলিম, হিন্দু, ইহুদী ভাবতেই যেন পছন্দ করি। ভাল থাকবেন, এবং লিখা চালিয়ে যাবেন।
@ভবঘুরে
ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ হাদিছ দেওয়ার জন্য।এটা আমি save করে রাখছি। সময়মত এটা আমি কাজে লাগাব।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, লাগান সমস্যা নাই তবে ভাল করে যেই আয়াত দিয়েছে সেই আয়াতের পরের আয়াত পরেন তাইলেই বুঝবেন
@khan,
জনাব খান সাহেব,
সর্ব প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জনাই আলোচনায় অংশ গ্রহন করার জন্য।
তবে চলে যাননা যেন।
আলোচনায় থাকুন
এবার দেখা যাক আপনার ছাইটে যা যা দিয়েছেন এগুলীর আদৌ কোন গুরুত্ব আছে কিনা।
তবে সংগে সবতো আর দেখা যায়না।
১টা ২টা করে দেখা যাক।
আপনার বক্তব্য
কোরানের বক্তব্য
আপনার যদি আরবী ভাষায় কিছুটা দখল থাকে তাহলে আপনার পক্ষে বুঝতে সুবিধা হবে।
দেখুন دَحَاهَا (দাহাহা) এই আরবী শব্দ টার অর্থ কখনোই “ঊটের ডিম” নয়। আপনি আরবী ডিকশনারীতে এখনি এখানে দেখে নিশ্চিত হউন।
دَحَاهَا (দাহাহা) দুইটি শব্দের সম্মেলন। دَحَا (দাহা) এবং هَا (হা)
دَحَا (দাহা) শব্দটি পরিস্কার ভাবে একটি অতীত কালের ,এক বচনের, পুং লিংগের ক্রীয়াপদ।
এর অর্থ দাড়ায় “তিনি (আল্লাহ) বিস্তৃত করিয়াছেন। এবং
هَا (হা) হইল একটি এক বচনের স্ত্রীলিংগের সর্ব নাম পদ। এবং এখানে এটা ঐ ক্রীয়া পদটির কর্ম পদের স্থান দখল করেছে। অতএব
এর অর্থ হইল “উহাকে”অর্থাত “পৃথিবীকে”
وَالْأَرْضَ (অল-আরদা)-অর্থ এবং পৃথিবী (কে) (এখানে ক্রীয়া পদটির কর্ম পদ হিসাবে আগে আসিয়াছে)
بَعْدَ ذَلِكَ (ব-দা জালেকা)-অর্থ-“এর পরে”
অতএব এর পরিস্কার অর্থটি দাড়াল “এবং তিনি (আল্লাহ) এরপর উহাকে (পৃথিবীকে) বিস্তৃত করেছেন।
এখানে দাহাহা এর অর্থ আরবী ভাষার কোন অভিধানেই “উটের ডিম্ব” পাইবেননা।
আর যদি কলপনা করেন দাহাহা এর অর্থ “উটের ডিম্ব” ,তাহলে এটা একটা বিশেষ্য পদ, তাহলে এই বাক্যটা একটা ক্রিয়া পদ হীন বাক্যে পরিণত হয়ে যায়। তখন বাক্যটি একটি অর্থহীন বাক্যে পরিণত হয়ে যবে।
যেমন ধরুন অর্থটা বাক্যের গঠন অনুসারে দাড়াবে-“এবং পৃথিবী এরপর উটের উটের ডিম্ব”
অর্থাত পৃথবীর উপর একটা উটের ডিম্ব অবস্থান করিতেছে, যার কোনই অর্থই হতে পারেনা।
আশা করি আপনার নিকট বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।
কোন প্রশ্ন থাকিলে করুন।
আপনার সবগুলী বিষয় এ ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে, যদিও এটা যথেষ্ঠ সময় ও পরিশ্রম সাপেক্ষ। তবে আপনাকে একটু ধৈর্য ধরে আমাদের সংগে থাকতে হবে।
আবার উধাও হয়ে যাননা যেন।
@khan,
পূর্বের মন্তব্যের কিছু ত্রুটি সংশোধন-(দুখিত)
১। আরবী ডিকসনারী পাইবেন এখানে
বা এখানে- http://www.arabic-keyboard.org/
২। তবে সংগে সবতো আর দেখা যায়না।
সঠিক- তবে এক সংগে সবতো আর বর্ণনা করা যায়না।
৩। “উটের ডিম্ব”
সঠিক-“উট পাখির ডিম্ব”।
আর “দাহাহা” শব্দের অর্থ আপনি কোথা হতে “উট পাখির ডিম্ব” বানাইলেন সেটাও একটু দয়া করে জানাবেন?
আমি আরবী ডিকসনারী দেখালাম এবং নীচে ১০ জন বিশ্ব বিখ্যাত মুফাছ্ছির (কোরানের ব্যাখ্যা দান কারী) দের ,যারা জীবনটা অতিবাহিত করে দিয়েছেন কোরান হাদিছ চর্চায়, তাদের অনুবাদ দিলাম।
লক্ষ করুন এদের একজনও “দাহাহা” শব্দের অর্থ “উট পাখীর ডিম্ব” করেন নাই বরং সবাই করেছেন “বিস্তৃত করা”
তাহলে কি বলতে চান এই সব মনিষী গন প্রত্যেকেই কোরানের ভূল অর্থ করে গেলেন?
মনে রাখতে হবে নিজের মনগড়া পদ্ধতিতে আল্লাহর বানীর ভূল অর্থ করে অজ্ঞ লোকদের বুঝাইলে কেয়ামতের দিন আল্লাহপাক তাদের কখনোই ক্ষমা করিবেননা।
এবার তাহলে আপনি OPENLY ব্যাখ্যা করে আমাদেরকে একটু তৃপ্ত করুন।
এভাবে একটা একটা করে আপনার সবগুলীরই ব্যাখ্যা দেওয়া হইবে।
দয়া আপনি যেন হারিয়ে যাননা। আসুন আলোচনায় থাকুন।
নীচে তাহলে বিখ্যাত ১০ জন মুফছ্ছিরদের অনুবাদ দেখুন।
Sahih International
And after that He spread the earth.
Muhsin Khan
And after that He spread the earth;
Pickthall
And after that He spread the earth,
Yusuf Ali
And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse);
Shakir
And the earth, He expanded it after that.
Dr. Ghali
And the earth, after that He flattened it (for life).
JALALAIN
{ وَٱلأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا }
and after that He spread out the earth: He made it flat, for it had been created before the heaven, but without having been spread out;
IBNE KATHIR
لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَـهَا – وَالاٌّرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَـهَا – أَخْرَجَ مِنْهَا مَآءَهَا وَمَرْعَـهَا – وَالْجِبَالَ أَرْسَـهَا – مَتَـعاً لَّكُمْ وَلاًّنْعَـمِكُمْ ﴾
(27. Are you more difficult to create or is the heaven that He constructed) (28. He raised its hei- ght, and has perfected it.) (29. Its night He covers and He brings out its forenoon.) (30. And after that He spread the earth,) (31. And brought forth therefrom its water and its pasture.) (32. And the mountains He has fixed firmly,) (33. As provision and benefit for you and your cattle.)
মারেফুল করআন-
“পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন”
@khan,
জনাব খান সাহেব।
আপনার বক্তব্য-
আপনার এই অনুবাদে দুইটা অংশ অতিরিক্ত বসিয়েছেন। উপরে বোল্ড করে দেখানো হল। এই ধরনের আল্লাহর বাণীর অনুবাদের পরিবর্তন কি উদ্দেশ্যে করেছেন-তা আপনিই ভাল জানেন। আপনি ঐ দুইটি অংশ ( দৃশ্যমান ও তোমরা বুঝতে পারবে। ) আরবী বাক্যের কোন অংস থেকে আনলেন,একটু বলবেন? ওখানে এমন কোনই আরবী বাক্যাংশ নাই যা থেকে ঐ দুইটা অংশ আনবার সুযোগ থাকতে পারে।
আপনারা কি তাহলে মানুষের আরবী ভাষার অজ্ঞতার সুযোগ গ্রহণ করে কোরাণের অর্থ পাল্টিয়ে ফেলেন?
এটা মহা অপরাধ!!!
একজন বিধর্মী ব্যক্তিও এমন অপরাধের কাজ করতে সাহস পাইবেনা।
চলে যাবেননা আপনার সংগে এক এক করে সবই আলোচনা করা হবে।
নীচে তাহলে কোরান বিশষজ্ঞদের অনুবাদ লক্ষ করুন।
اللّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ تَرَوْنَهَا ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِي لأَجَلٍ مُّسَمًّى يُدَبِّرُ الأَمْرَ يُفَصِّلُ الآيَاتِ لَعَلَّكُم بِلِقَاء رَبِّكُمْ تُوقِنُونَ
02
আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও।
ahih International
It is Allah who erected the heavens without pillars that you [can] see; then He established Himself above the Throne and made subject the sun and the moon, each running [its course] for a specified term. He arranges [each] matter; He details the signs that you may, of the meeting with your Lord, be certain.
Muhsin Khan
Allah is He Who raised the heavens without any pillars that you can see. Then, He Istawa (rose above) the Throne (really in a manner that suits His Majesty). He has subjected the sun and the moon (to continue going round)! Each running (its course) for a term appointed. He regulates all affairs, explaining the Ayat (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.) in detail, that you may believe with certainty in the meeting with your Lord.
Pickthall
Allah it is Who raised up the heavens without visible supports, then mounted the Throne, and compelled the sun and the moon to be of service, each runneth unto an appointed term; He ordereth the course; He detaileth the revelations, that haply ye may be certain of the meeting with your Lord.
Yusuf Ali
Allah is He Who raised the heavens without any pillars that ye can see; is firmly established on the throne (of authority); He has subjected the sun and the moon (to his Law)! Each one runs (its course) for a term appointed. He doth regulate all affairs, explaining the signs in detail, that ye may believe with certainty in the meeting with your Lord.
Shakir
Allah is He Who raised the heavens without any pillars that you see, and He is firm in power and He made the sun and the moon subservient (to you); each one pursues its course to an appointed time; He regulates the affair, making clear the signs that you may be certain of meeting your Lord.
Dr. Ghali
Allah is He Who raised up the heavens without pillars you (can) see, thereafter He leveled Himself up on the Throne; (How He did so is beyond human understanding) and He subjected the sun and the moon, each one running to a stated term. He conducts the Command; He expounds the signs that possibly you would have certitude of the meeting with your Lord.
@khan,
আপনার বক্তব্য
এবার তাহলে ছুরা সামছ টি একটু দেখে নিন সত্যিই কত বিস্ময়কর!!!
এই বিস্ময়কর সুরাটা যে সব বিস্ময়কর প্রশ্নের উদ্ভব ঘটিয়েছে সে গুলীও কি দয়া করে আমাদের ব্যাখ্যা দিবেন?
১। আল্লাহ হলেন সমস্ত বাদশাহর বাদশাহ। তিনি তারই সৃষ্ট বান্দাদের হিতোপদেশ দিতে গিয়ে তারই সৃষ্ট জড় পদার্থের উপর একটার পর একটা শপথ গ্রহন করে নিজকে এত হীনতর ও নীচতর করিয়া ছাড়িলেন?
তারই সৃষ্ট বস্তু (আকাশ,সূর্য,সূর্যের কিরন,দিন,রাত্রি, রাত্রির আধার,ও পৃথিবী, ) এর মর্যাদা কি আল্লাহর উর্ধে?
কি মনে করেন?
২। এবার একটু লক্ষ করুন ৫ ও ৬ নং আয়াত ২টির দিকে।
তিনি এখানে কেন বলতে গেলেন যে তিনি আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা।তিনি তো সারা বিশ্বেরই স্রষ্টা যা কোরানে অসংখ্য বার বলা হয়েছে।
সমগ্র বিশ্বের মধ্যে কি আকাশ ও পৃথিবী অন্তর্ভূক্ত হয়না ?
এতে কি নিজের সৃষ্টির পরিধিকে সীমিত করে নিজেকে আরো ছোট করা হলনা?
যেমন ধরুন বাংলা দেশের কোন একজন প্রধান মন্ত্রী কক্স বাজারের কোন এক জন সভায় কিছু বক্তব্য রাখতে গিয়ে যদি জনতাকে বলেন “তোমরা মনে রেখ আমি কিন্তু তোমাদের কক্স বাজারের প্রধান মন্ত্রী”
এ কথা শুনে জনগন কি বলবেনা উনি বলেন কি, উনি সমগ্র বাংলা দেশেরই প্রধানমন্ত্রী, উনি নিজেকে কেন শুধু কক্স বাজারের মন্ত্রী বানিয়ে নিজেকে ছোট করলেন?
আর যে আল্লাহ কে এই বিশ্বভ্রমান্ড পরিচালনার জন্য সামান্যতম নিদ্রা বা তন্দ্রা নাই, তার একই কথা বার বার বলার এত সময় কোথায়?
আপনি তাহলে এগুলীর একটু ব্যাখ্যা করে পরিস্কার করে দিন।
এভাবে আপনার সমস্ত বক্তব্য গুলীই আলোচনা করা হবে।
চলে যাননা যেন।
সংগে থাকুন।
সুরা সামছ
فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا
14
অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন।
وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا
15
আল্লাহ তা’আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশংকা করেন না।
@khan,
জনাব খান সাহেব,
উপরে বোল্ড করা অনুবাদ টুকু কোরানের মারাত্মক ভূল অনুবাদ দিয়েছেন। কারণ
بِمَوَاقِعِ (মাওয়াকেয়া) শব্দটির অর্থ “যেখানে পতিত হয়” কখনই নয়। বরং এর অর্থ হইল “অস্তাচল” অতএব এই আয়াতের সংগে BLACK HOLE এর কোনই সম্পর্ক নাই।
এভাবে শব্দের মূল অর্থ পাল্টিয়ে ফেলা মহা অপরাধ।
আল্লাহকে একটু ভয় করুন।
তাহলে এবার নীচে ইসলামী মনিষীদের অনুবাদ লক্ষ করুন-
56:75
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
56:75
Sahih International
Then I swear by the setting of the stars,
Muhsin Khan
So I swear by Mawaqi (setting or the mansions, etc.) of the stars (they traverse).
Pickthall
Nay, I swear by the places of the stars –
Yusuf Ali
Furthermore I call to witness the setting of the Stars,-
Shakir
But nay! I swear by the falling of stars;
Dr. Ghali
Then no! I swear by the sites of the stars-
TAFSIR JALALAIN
{ فَلاَ أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ ٱلنُّجُومِ }
Nay, I swear (fa-lā uqsimu: lā is extra) by the setting-places of the stars!
মারেফুল কোরান
আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
বাংলা ইবনে কাছীর
আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
@ভবঘুরে
হ্যাঁ, আমাকে হাদিছটা দিন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাদিছ। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন,কোরানের বর্ণিত “কলব” যে বুকের হৃদপিন্ড তা নবীর এই হাদিছই বড় প্রমাণ।
একারনে কিছু কিছু হাদিছ সম্পর্কে জ্ঞ্যান থাকার প্রয়োজন আছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
নিচে দেখুন আপনার কাংখিত হাদিস, তবে আপনি নিজেও বের করতে পারেন , গুগল সার্চ দিয়ে, আপনি লিখবেন- Angel washed Mohammad’s heart or Gabriel washed Mohammad’s heart. দেখবেন ফকফকা, আপনার সব তথ্য সামনে হাজির। এভাবে যে কোন তথ্যই আপনি সাথে সাথে বের করতে পারবেন। খুব সোজা। আপনাকে তো ইসলামিক পন্ডিত বানাতে চাই তাই কায়দাটা শিখিয়ে দিলাম।
Sahih Muslim, Book 001, Number 0314: Anas b. Malik reported on the authority of Malik b. Sa sa’, perhaps a person of his tribe, that the Prophet of Allah (may peace be upon him) said: I was near the House (i. e. Ka’bah) in a state between sleep and wakefulness when I heard someone say: He is the third among the two persons. Then he came to me and took me with him. Then a golden basin containing the water of Zamzam was brought to me and my heart was opened up to such and such (part). Qatada said: I asked him who was with me (i e. the narrator) and what he meant by such and such (part). He replied: (It means that it was opened) up to the lower part of his abdomen (Then the hadith continues): My heart was extracted and it was washed with the water of Zamzam and then it was restored in its original position, after which it was filled with faith and wisdom.
I was then brought a white beast which is called al-Buraq, bigger than a donkey and smaller than a mule. Its stride was as long as the eye could reach. I was mounted on it, and then we went forth till we reached the lowest heaven. Gabriel asked for the (gate) to be opened, and it was said: Who is he? He replied: Gabriel. It was again said: Who is with thee? He replied: Muhammad (may peace be upon him). It was said: Has he been sent for? He (Gabriel) said: Yes. He (the Prophet) said: Then (the gate) was opened for us (and it was said): Welcome unto him! His is a blessed arrival. Then we came to Adam (peace be upon him). And he (the narrator) narrated the whole account of the hadith. (The Holy Prophet) observed that he met Jesus in the second heaven, Yahya (peace be on both of them) in the third heaven, Yusuf in the third, Idris in the fourth, Harun in the fifth (peace and blessings of Allah be upon them). Then we travelled on till we reached the sixth heaven and came to Moses (peace be upon him) and I greeted him and he said: Welcome unto righteous brother and righteous prophet. And when I passed (by him) he wept, and a voice was heard saying: What makes thee weep? He said: My Lord, he is a young man whom Thou hast sent after me (as a prophet) and his followers will enter Paradise in greater numbers than my followers. Then we travelled on till we reached the seventh heaven and I came to Ibrahim. He (the narrator) narrat- ed in this hadith that the Prophet of Allah (may peace be upon him) told that he saw four rivers which flowed from (the root of the lote-tree of the farthest limits): two manifest rivers and two hidden rivers. I said: ‘ Gabriel! what are these rivers? He replied: The two hidden rivers are the rivers of Paradise, and as regards the two manifest ones, they are the Nile and the Euphrates. Then the Bait-ul-Ma’mur was raised up to me. I said: O Gabriel! what is this? He replied: It is the Bait-ul-Ma’mur. Seventy thousand angels enter into it daily and, after they come out, they never return again. Two vessels were then brought to me. The first one contained wine and the second one contained milk, and both of them were placed before me. I chose milk. It was said: You did right. Allah will guide rightly through you your Ummah on the natural course. Then fifty prayers daily were made obligatory for me. And then he narrated the rest of the hadith to the end.
Sahih Al-Bukhari Hadith – 5.227
prev next
Narrated Abbas bin Malik
Malik bin Sasaa said that Allah’s Apostle described to them his Night Journey saying, “While I was lying in Al-Hatim or Al-Hijr, suddenly someone came to me and cut my body open from here to here.” I asked Al-Jarud who was by my side, “What does he mean?” He said, “It means from his throat to his pubic area,” or said, “From the top of the chest.” The Prophet further said, “He then took out my heart. Then a gold tray of Belief was brought to me and my heart was washed and was filled (with Belief) and then returned to its original place. Then a white animal which was smaller than a mule and bigger than a donkey was brought to me.” (On this Al-Jarud asked, “Was it the Buraq, O Abu Hamza?” I (i.e. Anas) replied in the affirmative). The Prophet said, “The animal’s step (was so wide that it) reached the farthest point within the reach of the animal’s sight. I was carried on it, and Gabriel set out with me till we reached the nearest heaven.
When he asked for the gate to be opened, it was asked, ‘Who is it?’ Gabriel answered, ‘Gabriel.’ It was asked, ‘Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has Muhammad been called?’ Gabriel replied in the affirmative. Then it was said, ‘He is welcomed. What an excellent visit his is!’ The gate was opened, and when I went over the first heaven, I saw Adam there. Gabriel said (to me). ‘This is your father, Adam; pay him your greetings.’ So I greeted him and he returned the greeting to me and said, ‘You are welcomed, O pious son and pious Prophet.’ Then Gabriel ascended with me till we reached the second heaven. Gabriel asked for the gate to be opened. It was asked, ‘Who is it?’ Gabriel answered, ‘Gabriel.’ It was asked, ‘Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has he been called?’ Gabriel answered in the affirmative. Then it was said, ‘He is welcomed. What an excellent visit his is!’ The gate was opened.
When I went over the second heaven, there I saw Yahya (i.e. John) and ‘Isa (i.e. Jesus) who were cousins of each other. Gabriel said (to me), ‘These are John and Jesus; pay them your greetings.’ So I greeted them and both of them returned my greetings to me and said, ‘You are welcomed, O pious brother and pious Prophet.’ Then Gabriel ascended with me to the third heaven and asked for its gate to be opened. It was asked, ‘Who is it?’ Gabriel replied, ‘Gabriel.’ It was asked, ‘Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has he been called?’ Gabriel replied in the affirmative. Then it was said, ‘He is welcomed, what an excellent visit his is!’ The gate was opened, and when I went over the third heaven there I saw Joseph. Gabriel said (to me), ‘This is Joseph; pay him your greetings.’ So I greeted him and he returned the greeting to me and said, ‘You are welcomed, O pious brother and pious Prophet.’ Then Gabriel ascended with me to the fourth heaven and asked for its gate to be opened. It was asked, ‘Who is it?’ Gabriel replied, ‘Gabriel.’ It was asked, ‘Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has he been called?’ Gabriel replied in the affirmative. Then it was said, ‘He is welcomed, what an excellent visit his is!’
The gate was opened, and when I went over the fourth heaven, there I saw Idris. Gabriel said (to me), ‘This is Idris; pay him your greetings.’ So I greeted him and he returned the greeting to me and said, ‘You are welcomed, O pious brother and pious Prophet.’ Then Gabriel ascended with me to the fifth heaven and asked for its gate to be opened. It was asked, ‘Who is it?’ Gabriel replied, ‘Gabriel.’ It was asked. ‘Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has he been called?’ Gabriel replied in the affirmative. Then it was said, ‘He is welcomed, what an excellent visit his is!’ So when I went over the fifth heaven, there I saw Harun (i.e. Aaron), Gabriel said, (to me). This is Aaron; pay him your greetings.’ I greeted him and he returned the greeting to me and said, ‘You are welcomed, O pious brother and pious Prophet.’ Then Gabriel ascended with me to the sixth heaven and asked for its gate to be opened. It was asked,’Who is it?’ Gabriel replied, ‘Gabriel.’ It was asked, ‘Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has he been called?’ Gabriel replied in the affirmative. It was said, ‘He is welcomed. What an excellent visit his is!’
When I went (over the sixth heaven), there I saw Moses. Gabriel said (to me),’ This is Moses; pay him your greeting. So I greeted him and he returned the greetings to me and said, ‘You are welcomed, O pious brother and pious Prophet.’ When I left him (i.e. Moses) he wept. Someone asked him, ‘What makes you weep?’ Moses said, ‘I weep beCause after me there has been sent (as Prophet) a young man whose followers will enter Paradise in greater numbers than my followers.’ Then Gabriel ascended with me to the seventh heaven and asked for its gate to be opened. It was asked, ‘Who is it?’ Gabriel replied, ‘Gabriel.’ It was asked,’ Who is accompanying you?’ Gabriel replied, ‘Muhammad.’ It was asked, ‘Has he been called?’ Gabriel replied in the affirmative. Then it was said, ‘He is welcomed. What an excellent visit his is!’
So when I went (over the seventh heaven), there I saw Abraham. Gabriel said (to me), ‘This is your father; pay your greetings to him.’ So I greeted him and he returned the greetings to me and said, ‘You are welcomed, O pious son and pious Prophet.’ Then I was made to ascend to Sidrat-ul-Muntaha (i.e. the Lote Tree of the utmost boundary) Behold! Its fruits were like the jars of Hajr (i.e. a place near Medina) and its leaves were as big as the ears of elephants. Gabriel said, ‘This is the Lote Tree of the utmost boundary.’ Behold! There ran four rivers; two were hidden and two were visible. I asked, ‘What are these two kinds of rivers, O Gabriel?’ He replied, ‘As for the hidden rivers, they are two rivers in Paradise and the visible rivers are the Nile and the Euphrates.’
Then Al-Bait-ul-Ma’mur (i.e. the Sacred House) was shown to me and a container full of wine and another full of milk and a third full of honey were brought to me. I took the milk. Gabriel remarked, ‘This is the Islamic religion which you and your followers are following.’ Then the prayers were enjoined on me: They were fifty prayers a day. When I returned, I passed by Moses who asked (me), ‘What have you been ordered to do?’ I replied, ‘I have been ordered to offer fifty prayers a day.’ Moses said, ‘Your followers cannot bear fifty prayers a day, and by Allah, I have tested people before you, and I have tried my level best with Bani Israel (in vain). Go back to your Lord and ask for reduction to lessen your followers’ burden.’ So I went back, and Allah reduced ten prayers for me. Then again I came to Moses, but he repeated the same as he had said before. Then again I went back to Allah and He reduced ten more prayers. When I came back to Moses he said the same, I went back to Allah and He ordered me to observe ten prayers a day. When I came back to Moses, he repeated the same advice, so I went back to Allah and was ordered to observe five prayers a day.
When I came back to Moses, he said, ‘What have you been ordered?’ I replied, ‘I have been ordered to observe five prayers a day.’ He said, ‘Your followers cannot bear five prayers a day, and no doubt, I have got an experience of the people before you, and I have tried my level best with Bani Israel, so go back to your Lord and ask for reduction to lessen your follower’s burden.’ I said, ‘I have requested so much of my Lord that I feel ashamed, but I am satisfied now and surrender to Allah’s Order.’ When I left, I heard a voice saying, ‘I have passed My Order and have lessened the burden of My Worshipers.”
সূত্র: http://www.alim.org/library/hadith/SHB/227/5
@ভবঘুরে
আপনার উপরের মন্তব্য
জিব্রাঈল কর্তৃক নবীর বুক চিরে হৃদপিন্ড পরিস্কার করার এই হাদিছ টা সম্পর্কে আমি তেমন একটা পরিচিত ছিলামনা।
কিন্তু ঠিক উক্ত হাদিছটারই উদ্ধৃতি দিয়ে ঐদিন তাবলিগী জামাতিরা লোক জনদের এরুপ বুঝাচ্ছিলেন, যে “আপনারা কি জানেন? বর্তমানে অস্ত্রপ্রয়োগ ও রক্তক্ষরন ছাড়া বিজ্ঞানীরা যে সার্জারী চিকিৎসা,(যাকে “লেজার” অপারেশন বলে) আবিস্কার করেছে ঐ ১৪০০ বছর পূর্বেই একদিন জিব্রাঈল নবীর বুকের উপর এই লেজার অপারেশন করিয়া হৃদপিন্ড বের করে জমজমের পানি দ্বারা ধৌত করিয়া পবিত্র করিয়া দিয়াছিলেন।
আর একজনে বল্ল এই অপারেশন আরো কয়েকবার হয়েছিল।
এরপর বিজ্ঞানীরা এইটাকে খুজতে খুজতে ঐ লেজার অপারেশনই আবিস্কার করেছে। অথচ ওটা তো ১৪০০ বছর আগেই নবীর উপর করা হয়েছিল।”
যারা অত্যন্ত গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতেছিলেন ও বিশ্বাষ করতেছিলেন এরমধ্যে ঢাকা ইউনিভারসিটি হতে বিজ্ঞানে মাস্টারস ও এ দেশেও কম্পিউটারে মাস্টারস ডিগ্রী ধারী ব্যক্তি ও ছিলেন।
তাহলে দেখলেন তো কোরান হাদিছের মধ্যে সার্জারী বিজ্ঞান সহ সমস্ত বিজ্ঞান ঠিক ঐ “সূর্য ডুবে আরশের নীচে আশ্রয় লওয়া” মহাকাশ বিজ্ঞান এর হাদিছটার মতই রয়ে গিয়েছে।
এই কারণেই উক্ত হাদিছটার অত্যন্ত মূল্য আছে। নবী কি ধরণের বিজ্ঞান তার প্রীয় উম্মতদের জন্য রেখে গিয়েছেন উক্ত হাদিছটাই তার একটা সাক্ষাৎ ও জলন্ত প্রমান, যেটা আমাদের সম্মুখে বর্তমানেই ঘটমান। আর এটা নিছক কোন বিশ্বাষ করার বিষয় ও নয়।
আপনি জাকির নায়েকের ব্যাখ্যা ও বুক চিরা হাদিছটা উল্লেখ করে ভালই করেছেন। এর জন্য বিষয়টি আরো ভালো ভাবে পরিস্কার হয়ে গেছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এই যে হৃৎপিন্ড কেটে বের করে জমজম কুপের পানি দ্বারা ধোয়া হলো , এর আসল বিষয়টা কি জানেন ? বিষয়টা হলো হৃৎপিন্ড কেটে তার ভিতর থেকে সব দুষিত রক্ত বের করে দিয়ে মোহাম্মদের হৃদয় মনকে পবিত্র করা হয়েছিল, তার ভিতর থেকে সব রকম পাপ পঙ্কিলতা দুর করা হয়েছিল। যে মেয়েটি জাকির মিয়াকে প্রশ্ন করেছিল তার বিষয়টা ছিল- হৃৎপিন্ড তো মানুষের চিন্তা ভাবনা নিয়ন্ত্রন করে না , করে মস্তিষ্ক। তাই হৃৎপিন্ড জমজমের পানি দ্বারা পরিস্কার করলে তো মোহাম্মদের মন বা চিন্তাভাবনার পঙ্কিলতা দুর হওয়ার কথা নয়। জাকির মিয়া একারনে কালব কে আস্তে আস্তে মস্তিষ্ক পর্যন্ত অর্থ বানিয়ে ফেলে। আর তা হলেই বিজ্ঞানের সাথে উক্ত ঘটনার মিল করা যায়। এবার বোঝা গেছে বিষয়টা ? আপনি সে হাদিস টি বের করতে পেরেছেন , নাকি বের করে দেয়া লাগবে ?
এরকম একটি জিহাদি ডাকের লেখা কি উদ্দেশ্য মুক্ত মনায় প্রকাশ করা হল বুঝতে পারলাম না, সকল ধর্মই মানুষের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি আনবেনা। মুক্ত মনা তা ধারায় ফিরে আসুক এই কামনা। :-Y
@সীমান্ত ঈগল,
আমি তো জিহাদের ডাক দিলাম , এখন আপনারা আমার সাথে দলে দলে যোগ দিন। এত জিহাদের ডাক দেয়ার পরেও তো দেখি মুমিন বান্দারা আমাকে কাফের মুনাফেক ডাকে বিভিন্ন ইসলামি সাইটে। এখন উপায় ?
অনেক কিছুই জানতে পারলাম ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। আপনার অনুমতি পাইলে আমার সাইটে এই লিখাটা শেয়ার করব।
@বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম),
আপনি স্বচ্ছন্দে শেয়ার করতে পারেন। আমার লেখা ওপেন সোর্স কোড, যে কেউ এটাকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে পারে। আমি চাই মানুষ জানুক ও সচেতন হোক।
আমি উক্ত তাবলিগীদের দ্বিতীয় পশ্ন করেছিলাম হাদিছ বোখারী হতে।
আমি বলেছিলাম “মওলানা আজিজুল হকের বংগানুবাদ বোখারীর ৬ষ্ট খন্ডের ১৯১৭ নং হাদিছে নবী আবুজর গেফারীকে একটা মসজিদে সন্ধার পূর্বে বলতেছেন,হে আবুজর তুমি কি জান,সূর্য এখন অস্তগিয়ে কোথায় যাচ্ছে?
তারা সাথে সাথে আমাকে বাধা দিয়ে বল্লেন, নবীর নাম উচ্চারণের পর “ছল্লাল্লাহ…..” ও ছাহাবীর নাম উচ্চারনের পর” রাজিয়াল্লাহ’…. ‘ বলেন। আমি তখন তা বল্লাম।
তাহলে দেখুন নবী ও ছাহাবাদের নাম উচ্চারণের সাথে সাথে তাদের উপর দোয়া-দরুদ না পড়াটা আমার চরম একটা অপরাধ হয়ে গেল-অথচ সেই নবীই এত বড় একটা বিজ্ঞান বিরোধী বক্তব্য তার উম্মত দের জন্য কেয়ামত পর্যন্ত রেখে যাচ্ছেন ও শিক্ষা দিচ্ছেন এতে কোনই অপরাধ নাই বরং নবীর সেই ভূল তথ্য শিক্ষা করাটা পরম পূণ্যের কাজ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এরপর আমি বল্লাম, নবী বলছেন সূর্য অস্ত গিয়ে সারাটা রাত আরশের নীচে থাকবে। এবং পুনরায় অনুমতি লয়ে পরেরদিন পূর্বদিক হতে উদয় হইবে।”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম সত্যিই কি সূর্য পশ্চিম দিকে ডুবে যাওয়ার পর পরের দিন ভোর পর্যন্ত আর্শের নীচে বিশ্রাম লয়?
ইতিমধ্যে সূর্যের কি আর কোনই কাজ থাকেনা?
ইতিমধ্যে সূর্যকি পৃথিবী অন্য কোন অংশে উদিত থাকেনা?
সূর্য কি সত্যিই প্রতিদিন পৃথিবীর পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় এবং পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যায়?
সম্ভবতঃ আমি তাদের কী বুঝাতে চাচ্ছি তা তারা বুঝতে পেরেছিল।
কারণ এরা তখন অত্যন্ত নত স্বরে নিবেদন করলেন, দেখুন, কোরান হাদিছে যেখানে যাকিছু যেভাবেই আছে তা আমাদের বাধ্য হয়ে বিশ্বাষ করে নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নাই।
কোন অবস্থাতেই কোরান হাদিছের উপর আমাদের দ্বিমত করার অধিকার নাই।
আল্লাহ এবং তার রসুল সবচেয়ে সব কিছু ভাল জানেন, একমাত্র এটাই আমাদের বিশ্বাষ করতে হয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি কি সব সময় হুজুরদেরকে বিপদে ফেলার তালে থাকেন নাকি ? হুজুর দেখলেই সূর্য উদয় অস্ত ও তার জিকিরের হাদিস নিয়ে তাদের সামনে হাজির হন ? কিন্তু একটা ব্যপার কোন সময় খেয়াল করেছেন ? এ হাদিস কি তারা আগে জানত নাকি আপনার কাছেই প্রথম শুনল ?
@ভবঘুরে,
ঠিকই, আমি এদের আটকাতে চেষ্টা করি। কারন. আপনি বোধ হয় এদের কথাবার্তা শুনেন নাই। এরা যখন লোকদের কোরান হাদিছ বুঝাতে থাকেন, তখন এদের মনে হয় এরা যেন নিজেদেরকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞ্যানি ব্যক্তি মনে করেন।
হ্যা, এরা আমার কাছেই প্রথম শুনল বলে মনে হয়। এরা মানুষদেরকে হাদিছ শুনায়, আর আমি এদের হাদিছ শিখাই এভাবে।
ভাইজান,আমি ভাল কাজ করতেছিনা?
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ
তাহলে জাকির নায়েক সাহেবের অবস্থা আর স্কুল ছাত্র ‘গোকুল” এর অবস্থা একই? ও-গোকুলের কাহিনি বুঝি শুনেন নাই। তাহলে শুনুন।
গোকুল নামে এক স্কুলে একটি ছাত্র ছিল। বাংলার দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার দিন সে একটি মাত্র রচনা পড়ে গিয়েছিল,তা হল “গরু” এর উপর।
কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্ন পত্রে “গরু” এলনা। প্রশ্ন এল “নদী” এর উপর রচনা লিখতে।
পরীক্ষা শেষে হলে হল থেকে বেরিয়ে গোকুল এর সহপাঠিরা গোকুলকে জিজ্ঞাসা করিল, তুই তো “নদী” রচনা পড়িস নাই, তাই নিশ্চয় তুই রচনা লিখতে পারিস নাই?
কিন্তু গোকুল কি উত্তর দিল জানেন?
গোকুল বল্ল,তোরাতো দেখি একেবারে বোকার হদ্দ।
আমি তো আগে “নদী” কে “গরু”তে পরিণত করে লইলাম। তারপর আমি যথাযথ ভাবে আমার রচনা টা লিখে ফেল্লাম।
বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করিল,দোস্ত, তুই আমাদেরকে একটু বলনা, কি করে তুই “নদী”কে “গরু” তে পরিণত করতে পারিস?
তখন গোকুল বল্ল,শোন তাহলে, আমি প্রথমে একটি সুন্দর নদীর নাম লিখিলাম। এরপর সেই নদীতে একটা “গরু” কে নিয়ে ফেল্লাম। আর আমাকে পায় কে?
এরপর আমি সেই গরুটার উপর আমি একটা সুন্দর রচনা লিখে ফেল্লাম।
আমি কিন্তু জাকির নায়েক সাহেবকে ঠিক গোকুলের মত পেয়েছিলাম একটা VEDIO তে। নীচে তার বর্ণনা দেওয়া হল।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার আরবি ভাষাতে ভাল দখল থাকায় আপনি জাকির মিয়ার জালিয়াতি ভাল বুঝতে পারেন। কিন্তু এই উপমহাদেশে কয়জন মুসলমান আরবী পড়ে বুঝতে পারে ? যারা পারে তারা তো বসে আছে জাকিরের উক্ত ভুল ভাল ব্যখ্যা যাতে তাদের সুবিধা হয়। সেটা তারাও চায়। সাধারন মানুষ যারা তারাও মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকে এ ধরনের ব্যখ্যা শুনতে। জাকির মিয়া ঠিক এ সুযোগটাই কাজে লাগায় ভালমতো।
Heart সম্পর্কিত জাকিরের লেকচারটি আমিও শুনেছিলাম। মূলত: জানার চেষ্টা করছিলাম লোকটা কতটা নির্লজ্জভাবে কায়দা করে মিথ্যা কথা বলতে পারে। দেখলাম সে ঠিকই হৃদয় বা হৃৎপিন্ডকে ঠিকই মস্তিষ্ক বানিয়ে ফেলল। মজার ব্যপার হচ্ছে- উক্ত হাদিসে মোহাম্মদের শরীরের কোন অংশ(নাভির উপর থেকে বুক পর্যন্ত) কেটে হৃৎপিন্ড বের করে তা ফেরেস্তা জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলল তারও সুন্দর বর্ণনা আছে। এখন কালব অর্থ যদি মস্তিষ্কই হয় তাহলে এ কাটার বর্ণনাতে তো নাভির উপর থেকে বুক পর্যন্ত হতে পারে না। তখন হয়ত বলা হতো- ফেরেস্ত মোহাম্মদ মাথায় বাড়ি মেরে দুই ভাগ করে ফেলল, তার পর মস্তিষ্ক নিয়ে তা জম জমের পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলল….. এরকম। অর্থাৎ হৃৎপিন্ডই যে বুঝিয়েছে হাদিসে এতে কোনই সন্দেহ নেই। এখন আমরা এ সত্য কথা গুলি বলার কারনে হয়ে গেলাম ইসলাম বিদ্বেষী আর জোকার মিয়া হয়ে গেল ইসলামের কান্ডারী ইমাম মাহদি। কি বিচিত্র এ জগত! মিথ্যাবাদীদের এমন রমরমা বানিজ্য যে এ মিডিয়ার যুগেও হতে পারে তার জ্বাজ্জল্য উদাহরন এই জোকার মিয়া। পুরো মুসলিম জগতটাকে নিয়েই সে জোক করছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি যতই শব্দের বিশুদ্ধ অর্থ দিন
মুসলমানরা কখনই বিশ্বাস করবে না
কারণ তারা জন্মের পর থেকে শিখে আসে কুরআন আল্লাহর বাণী
এতে ভুল আছে চিন্তা করাও পাপ
মুসলমান বিশেষ অজ্ঞরা সবসময় বলবে রুপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে
এই বলে তারা মানুষ শব্দকে গাধা বানাতেও আপত্তি করবে না
এক পর্যায়ে আল্লার নামে গালি দেয়া শুরু করবে
আমাদের মসজিদে ৫ জন তাবলীগি জামাতের লোক এসেছেন এরা সবাই বাংগালী। বিকালে এদের সংগে বসে একটু কোরান চর্চা করিলাম। তাদের সংগে একটা বাংলা তাফছীর কোরান আছে।
তাদের সংগে পবিত্র কোরান সম্পর্কে আলোচনায় বসলাম। আমি তাদের বাংলা তাফছীর খানি খুলে ছুরা আলাক ৯৬:২ তাদের ছামনে ধরলাম। তারা আমাকে দেখালেন সেখানে ও ঠিক নিম্নোক্ত রুপে অনুবাদ রয়েছে।
আমি তাদের জিজ্ঞাসা করিলাম সত্যিই কি মানুষ “জমাট রক্ত” দারা সৃষ্টি হয়?
এটা আপনারা কি ভাবে ব্যাখ্যা দিয়া থাকেন?
এরা আমাকে বুঝাল মানুষ সৃষ্টির প্রথমে পুরুষের শুক্রকীট ও স্ত্রীলোকদের ডিম্বানু মিলিত হয়ে আরম্ভ হয়, কিন্তু এরপরে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করার এক পর্যায়ে এসে এটা একটা গোলাকার জমাট রক্তের আকার ধারণ করে, এখানে সেই স্তরটির কথা অর্থ করা হয়েছে।
আমি বল্লাম পুরুষের শুক্রকীট ও স্ত্রীলোকদের ডিম্বানু মিলিত হওয়ার পর থেকে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত একটা মুহূর্তের জন্যও বাচ্চা ধারনের কুঠুরী,জরায়ূর,বা UTERUS এর মধ্যে ভ্রুণটি জমাট রক্তের আকার ধারণ করেনা,
বরং যদি কখনো অস্বাবাবিক কোন ঘটনা যেমন চলার পথে জোরে দীর্ঘক্ষন গর্ভবতী মায়ের ঝাকুনী খাওয়া,ইত্যাদি কারন ঘটিলে তখন ভ্রুণের (PLACENTA) জরায়ু হতে কিছু অংস ছিড়ে গিয়ে,এবং PLACENTA এর শিরা উপশিরা ছিড়ে যাওয়ার কারনে তখন জরায়ুর মধ্যে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকলে তথন গর্ভবতী মা তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে, জরায়ু হতে রক্ত বের হতে থাকে,এবং সময়মত উপযুক্ত চিকিৎসা না পাইলে ভ্রুনটি একটি রক্তের বলের মত আকৃতিতে গর্ভপাত হয়ে বেরিয়ে আসে।
অতএব দেখা যাচ্ছে জমাট রক্ত দ্বারা কখনোই মানুষ সৃষ্টি হচ্ছেনা বা হওয়ার কোনই সম্ভাবনাও নাই বরং জমাট রক্ত ভ্রুনের গর্ভপাত ঘটায়।
তখন তারা বল্লেন এসব জটিল বিষয়ের ব্যাখা বড় আলেমরা অবশ্যই দিতে পারবেন,আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।সূরা আলাক ৯৬:০২
মুসলিম পন্ডিতরা ঠিক এ আয়াতটিকেই কোরানের মিরাকল বলে প্রচার চালায় আর সাধারন মুসলমানরা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত আনন্দে ধেই ধেই করে নাচতে থাকে এটা শুনে। অথচ এর মত অবৈজ্ঞানিক কথা আর হতে পারে না। জমাট রক্ত হলো মৃত রক্ত , কোন প্রানীর দেহে রক্ত জমাট বেধে গেলে সে সাথে সাথেই মারা যাবে। সকল ইসলামি পন্ডিতরা আলাক শব্দের অর্থ করেছে জমাট রক্ত বলেই। মাতৃগর্ভে যখন শুক্রানু ও ডিম্বানু মিলিত হয়ে এককোষী ভ্রুনে পরিনত হয়ে অত:পর তা বিভাজিত হয়ে একটা জমাট মাংস পিন্ডে পরিনত হয় তখন তাকে দেখতে জমাট রক্তের মতই দেখায়। এটা কিভাবে মানুষ সেই ৭ম শতকে জানতে পেরেছিল। কারন সেই তখনও কিছু কিছু নারীর গর্ভপাত হতো। আর তখন দেখা যেত তাদের পেট থেকে জমাট রক্তের মত বের হতো। মোহাম্মদ এটা জেনেছিল কারন তখন মোহাম্মদের বয়স ৪০ । তার অজানা থাকার কথা নয়। আর তাই উক্ত আয়াতে জমাট রক্ত থেকে মানুষ সৃষ্টির কথা বলেছে। প্রশ্ন হলো- মোহাম্মদ জানতো না কি থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়, তার সবজান্তা আল্লাহ তো জানত। আল্লাহ কিভাবে এরকম আপাত দৃষ্ট একটা ভুল ধারনাকে কোরানে স্থান দিল , সে তো জানত ওটা আসলে জমাট রক্ত নয় , বরং তা জমাট মাংসপিন্ড। তাহলে সে কেন জমাট রক্ত না বলে জমাট মাংসপিন্ড বলল না ? আর এখানেই তথাকথিত ইসলামি পন্ডিত জাকির মিয়া তার ভেল্কি শুরু করেছে। সে আরবী শব্দ আলাক এর অর্থকে উল্টে পাল্টে অবশেষে তাকে জমাট মাংসপিন্ডে পরিনত করেছে। ব্যস এর পর কোরান হয়ে গেছে অলৌকিক গ্রন্থ। আর আম মুসলিম জনতা তাতেই মহা খুশী কারন তারা এধরনেরই একটা ব্যখ্যা শুনতে মানসিক ভাবে প্রস্তুত। কোরান বলেছে কোরানের বানীর অর্থ সুনির্দিস্ট ও বিস্তারিত। তাহলে যারা বর্তমানে কোরানের বানীর ইচ্ছামত মনগড়া বিকৃত অর্থ বের করছে , তাদের কি শাস্তি আল্লাহ দেবে ? আর যারা এ সব ভন্ড ও মিথ্যাবাদীদের বিকৃত অর্থ শুনে আনন্দে ধেই ধেই করে নাচছে , তাদেরই বা কি শাস্তি হবে ?
একেবারে উপযুক্ত দলিল সহকারে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নি সন্দেহে এ সমস্ত প্রবন্ধ জাতির কাছে স্বর্নাক্ষরে রক্ষিত থাকবে,এবং জাতি ও সমাজ উপকৃত হতে থাকবে।
এম এ খানের ‘জিহাদ’ বইটি পাঠ করলে ইসলামের স্বরূপ সম্পর্কে আরো বিশদভাবে বোঝা যায়। নাফিস কোরাণ হাদীসের একটি প্রোডাক্ট। এই বিশ্লেষণমূলক লেখাটির, তথ্য ও উপাত্তসহ, জন্য লেখককে অজস্র ধন্যবাদ। (W) (F) (W) (F)
ইসলাম শান্তির ধর্ম- :hahahee:
@সুদীপ্ত,হ্যাঁ তবে এটা, religion of piece :lotpot: :rotfl:
@ভবঘুরে,
শিরোনামটা কী একটু ঠিক করে দেয়া যায়?
[“নাসিফ”–>নাফিস]।
@ভবঘুরে,
বরাবরের মতোই তুখোড় লেখা। (Y)
ভেতরেও অনেক জায়গায় ‘টাইপো’ নাসিফ রয়ে গেছে, দয়া করে ঠিক করে দিন!
কিন্তু ভদ্রলোক সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেনঃ ‘তাঁর ছেলে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, কোরান-হাদিস পড়তো।’
লক্ষ্য করলে আরও দেখা যাবে,
(১)অন্তর্মুখী নাফিস বেশী সময় কাটাতো কম্পিউটার এর সামনে, বোধ করি, ইসলামি সাইটগুলোই ছিল তার আকর্ষণ।
(২) দাঁড়ি রাখতে শুরু করে দিয়েছিল সে।
(৩) নাফিসের একাডেমিক পারফর্মেন্স এইচএসসি থেকে খারাপ হতে শুরু করেছিল, দেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে গিয়েও সে পড়াশুনা করছিল না, কিন্তু পড়াশুনার কথা বলে আমেরিকা যাওয়ার জন্য পরিবারকে রাজি করিয়েছে।
(৪) আমেরিকা যেতে না যেতেই সে তার ইউনিভার্সিটির মুসলিম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পদ পেয়ে গিয়েছে, নিশ্চয়ই তার ধর্মনিষ্ঠার জন্য।
(৫) সে পার্ট-টাইম কাজ করতো, ‘মুসলিম পিজা হাউস’ নামের রেস্টুরেন্ট এ, শুধু উপার্জনের জন্য নয়, সম্ভবত হালাল খাবার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য।
সবমিলিয়ে এতে কোন সন্দেহ নেই, পবিত্র ধর্মগ্রন্থটিই তাকে এ পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়েছে।
মাদকাসক্তির থেকে শতগুণ বেশী বিধ্বংসী এই ধর্মাসক্তি!
@সফ্টডক,
উপযুক্ত মন্তব্য।
@সফ্টডক,
হ্যা ওর যে ছবি দেখলাম তাতে দেখলাম না কামানো দাড়ির ঝলক । বোঝাই যাচ্ছে নবীর সুন্নত সে অতি অল্প বয়স থেকেই শতভাগ পালন করা শুরু করেছিল। সম্ভবত একারনে তার পিতা মাতা মহা সুখে ছিলেন।
সঠিক সময়ে সঠিক প্রবন্ধটি দিয়েছেন।
দলিল গুলী অত্যন্ত উপযোগী হয়েছে। এগুলী save করে রাখা হবে। নচেৎ প্রয়োজনের সময় আমদের পক্ষে কি খুজে বের করা সম্ভব?
অন্য প্রবন্ধ হতে।
যারা এই চিল্লাচিল্লি করতেছেন,তারা তাদের কথায় আন্তরিক নন, তাদের গোষ্ঠি বাচানো অন্তঃসার শুন্য কথাবার্তা মাত্র।
যদি তারা আন্তরিক হন তাহলে তারা একটি কাজ করে প্রমান করে দিলেই তো সব ঝামেলা চুকে যায়।
আর তা হল কোরানের ঐ সমস্ত অমুসলিম বিদ্বেশী আয়াত এবং নবিজীর হাদিছ গুলীকে একত্র করে,একটি পুস্তক আকারে করে ঘোষনা দিন, এগুলী ১৪০০ বছর পুর্বে নবিজীর সময়ে চালানো সম্ভব হলেও ১৪০০ পরে পৃথিবীতে জীবন যাপনের পদ্ধতির অনেক পরিবর্তন ঘটে যাওয়ার কারনে এখন অচল,বা বাতিল বা মানছুখ করা হল, আর এ কাজটি নবিজীর ছুন্নাত, কারন তারই জীবনে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রয়োজন হওয়ার কারনে বহু কিছু বাতিল ঘোষনা করতেন। কোরান হাদিছে তার যথেষ্ট প্রমান রয়েছে। আর আমাদের আলেমদের প্রতি নবীর দায়িত্ব পালনের নির্দেশ রহিয়াছে। কাজেই যুগ পাল্টাবার সাথে সাথে ধর্মের অনেক কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে অনেক কিছুই আলেমগন পরিবর্তন করেছেনও। যেমন কিছুদিন আগেও আল্লাহর শত্রুদের ভাষা ইংরেজী শিক্ষা করা, (যদিও তালেবানদের নিকট এখনো পাশ্চাত্য শিক্ষা হারাম রয়ে গেছে।)ফটোতোলা , মাইক ব্যবহার করা এগুলী কাট্টা হারাম থাকলেও আজ তাহা বিশুদ্ধ জলের ন্যায় হালাল করা হইয়া গিয়াছে।
আর সেই পুস্তক খানি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার বাধ্যতা মুলক পড়ার সিলেবাসে ঢুকিয়ে দিন।
এবং একটি সিডি তে ঢুকিয়ে দিয়ে আন্তর্জালে দিয়ে দিন। যাতে সারা বিশ্বের ইমান্দার বান্দাগন জানতে পারেন।
বড় বড় লাইব্রেরীতও ঐ পুস্তক ও সিডি বিতরণ করা হউক।
অন্যথায় মনে রাখতে হবে দেহের একটি ছোট্ট বিষ ফোড়াকে যদি এই বলে অগ্রাহ্য করে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয়, যে ওটা আমার দেহের বাঞ্চিত বস্তু নয়,
তাহলে ঐ ছোট্ট বিষ ফোড়াটিই লোকটির মৃত্যুর কারন হয়ে যেতে পারে।
আমি নিজে চোখে এখানে দেখতেছি, যে সমস্ত ঈমান্দার বান্দাগন ৯/১১ এর পূর্বে মসজিদকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখতো,মসজিদে নিয়মিত যাইতো,মসজিদ স্থাপনের জন্য অজস্র ডলার ব্যয় করতো, তারা ৯/১১ এর পরে আর মসজিদের নামই শুনতে পরেনা।
আর সেই ঘটনার ধারাবাহিকতা তো কোরান হাদিছের উক্ত নির্দেশ গুলী অনুসারে এখনো অবিরত চলতেছে এবং কোরান হাদিছের নির্দেশ অনুসারে কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে, এর থেকে রেহাই নাই।
এর থেকে নিস্তার পাওয়ার একটিই মাত্র পথ আছে,
আর তা হল ঐ নির্দেশ গুলীকে এই মুহুর্তেই মানছুখ ঘোষনা করিতে হইবে।
অন্যথায় শুধু মাত্র মুখে বল্লাম, যে ঐ কার্য গুলী ইসলাম বিরোধি, আবার কোরান হাদিছ থেকে বজ্র কন্ঠে নির্দেশ আসার ব্যবস্থা থাকবে “তোমরা অমুসলিমদেরকে পৃথিবী হতে নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাও”
ঐ যে
9:5
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ডঃ মুজিবুর রহমান সাহেব তার ইবনে কাথিরের বংগানুবাদে ১১দশ খন্ডের ৬৪৩ পৃষ্ঠায় নিম্নরুপ বর্ণনা করিয়াছেন।
“সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে রসুলুল্লাহ বলেছেন {আমি এই মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে আমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকব যে পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাশ্য নেই ও মোহাম্মদ (ছঃ) আল্লাহর রসুল এবং তারা ছালাৎ প্রতিষ্ঠিত করে ও জাকাত দেয়।}”
কোরান এবং হাদিছ মিলে মোদ্দা কথাতো এইটাই দাড়াইল যে পৃথিবীতে যতদিন পর্যন্ত অমুসলিম রা বিদ্যমান থাকবে তারা নিশ্চিহ্ন না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সংগে মুসলমানদের যুদ্ধে লিপ্ত থাকিতে হইবে।
তাহলে কি করে সন্ত্রাসীদের কাজ ইসলাম বিরোধী হল?
কেন তাদের সন্ত্রাসী ইসলাম বিরোধী হতে যাবে ?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এটা না লিখে আমার উপায় ছিল না ভাইজান। আপনি সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের হাদিস নিয়ে যেভাবে পেরেশানিতে ছিলেন চিন্তা করলাম এবার আপনাকে অন্য লাইনে ডাইভার্ট করে দেই। দেখেন না আপনার তুলে দেয়া আয়াতগুলো হুবহু তুলে দিয়েছি ।
মূল প্রশ্নের সরাসরি জবাব এক শ্রেনীর সাচ্চা ইসলাম প্রেমী বলে দাবীদাররা কোনদিন দেবে না। লাদেন টাইপের লোকেরা এদিক দিয়ে অনেক ভাল, তারা সরাসরি জবাব দেবে।
ভন্ডের দল এখানেও ডবল গেম খেলবে। শুরু হবে কোনমতেই এসব ইসলাম সমর্থন করে নাআ…অবশ্য অসতর্ক হলে বা উত্তেজিত করা গেলে এক পর্যায়ে বলা শুরু হবে যে আমেরিকাই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী, সেই বড় সন্ত্রাসীর সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী বলা হয়…
বাংলাদেশ সরকারও প্রতিবাদ করবে, কেবল বলবে না যে তারা নিজেরাই সরকারী উদ্যোগে ছেলেপিলেকে কচি বয়স থেকেই সাম্প্রদায়িকতা, জেহাদী শিক্ষার সবক দিচ্ছে।
ধর্মওয়ালাদের ভন্ডামি ফাঁস করতে শুধু ধর্মের নানান অসংগতি, মহাপুরুষদের কান্ডকীর্তন এসব আলোচনাই যথেষ্ট নয়। এদের ধর্মগুরুরা কি কি কৌশলে বিশ্বাসী মনকে ধোঁকা দিয়ে কোন সমস্যা নেই আবহ তৈরী করে রাখতে পারে যাতে তারা নিজেরাই আসলে বিশ্বাস করে না এসব নিয়েও লেখালেখি দরকার।
নইলে লোকে মুক্তমনায় পড়বে ধর্মের অসংগতি, এরপর ইউটিউবে দেখবে জাকির মিয়া কি নিদারুন ভাবে জবাব দিয়ে ব্যাপক হাততালি কুড়োচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
একেবারে খাটি কথা বলেছেন। তবে এর একটা কারন আছে , ঐ যে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট , কেউ রিস্ক নিতে রাজী হয়না। তাতে তাদের কোন অসুবিধা তো নেই। তাদের ছেলে মেয়েরা তো এদেশে পড়াশুনা করে না, সবাই বিদেশে সেটলড। এখন এখানে লোকজন মৌলবাদী হলো নাকি তালেবান হলো তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।
খুব সুন্দর বিশ্লেষণ! যে কোন রোগের প্রতিরোধ জানতে হলে তার “প্রকৃত কারণ” অবশ্যই জানতে হয়। শুধুমাত্র উপসর্গের চিকিৎসা (Symptomatic Treatment) করে রোগের মূলোৎপাটন কখনোই সম্ভব নয়। সাধারণ মুসলমানেরা জানে না কুরান হাদিসে কি ভয়ংকর বিষ-বাষ্প ছড়ানো আছে। এর কৃতিত্ব অবশ্যই তথাকথিত মোডারেট ইসলামী পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবীদের পাওনা। তারা শত শত বছর যাবত সাধারণ মুসলমানদের কাছে “যেখানে যেমন সেখানে তেমন” ইসলামী বয়ান ও ব্যাখ্যা হাজির করে বিভ্রান্ত করে এসেছে। ইসলামী বিধানে যে কোন ইসলাম বিশ্বাসীর “মগজ ধোলাই” অন্যান্য ধর্মের তুলনায় কেন সহজতর তা আমি আমার “কুরানে বিগ্যান” ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বে (পঞ্চদশ পর্ব: কুরানের ফজিলত!) ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। সে লিখারই কিছু অংশ:
ইসলামের প্রকৃত স্বরুপ নিয়ে মুক্ত-মনায় অনেকেই লিখেছেন। আদিল মাহমুদের সাম্প্রতিক লিখা ‘ধর্মশিক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার সরল পাঠ’ প্রবন্ধেও মগজ ধোলাইয়ের উৎস কী তা তিনি খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ইন্টারনেট প্রযুক্তির উদ্ভব না হলে এ প্রচেষ্ঠা কখনোই সম্ভব হতো না। বহু পাঠক এ সকল লিখা থেকে উপকৃত হচ্ছেন।
@গোলাপ,
যথার্থ বলেছেন। আমাদের অধিকাংশই প্রকৃত রোগ সম্পর্কে জানে না। আমি ‘অনেককেই জিজ্ঞেস করেছি – ইসলাম অর্থ কি , তারা বলে শান্তি। আমি বলি আত্মসমর্পন , তারা বলে আত্মসমর্পন আর শান্তি একই জিনিস। এখন কোথায় যাই। যখন জিহাদি আয়াত নিয়ে কথা হয় তখন বলে এটা সেই সময়ের প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিল, তাহলে শান্তির আয়াতটাকেও কেন সেই সময়ের প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিল বলা হয় না ? অধিকাংশ মানুষ জানেই না যে আজকে যে কোরান আমরা পড়ি তার সূরাগুলো এলোমেলো করে সংকলিত, তারা মনে করে সময়ের ধারাবাহিকতায় নাজিলকৃত সূরাগুলো কোরানে সেভাবেই সজ্জিত আছে।