কিছুদিন আগে স্বভাবসুলভ চ্যানেল ভ্রমণ করছিলাম রিমোট হাতে, হঠাৎই একজন সুবেশী মৌলানার কণ্ঠে অ্যাডাম স্মীথ নামটি শুনে চক্ষু স্থির হয়ে গেল! উনি বলছিলেন, অ্যাডাম স্মীথকে অর্থনীতির জনক বলা সত্যের অপলাপ মাত্র! কারণ অ্যাডাম স্মীথের বহু আগেই ইসলাম অর্থনৈতিক সমস্যার এক চিরস্থায়ী সমাধান উপহার দিয়েছে বিশ্ববাসীকে! আর এ কারণে স্মীথের ‘ওয়েলথ অব ন্যাশান্স’ নয়, বরং ধর্মপুস্তকই অর্থনীতি বাছাধনকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখানোর প্রধান দাবীদার!

এখন প্রশ্ন উঠবে, কি সেই যাদু-বটিকা যার মাধ্যমে ইসলামই সর্বপ্রথম অর্থনৈতিক ধ্যান-ধারণার গোড়াপত্তন করল, বিশ্ববাসীকে শোনাল অর্থনৈতিক মুক্তির অমিয় সঙ্গীত? মৌলানা সাহেবের কথা থেকে বোঝা গেল, যাকাতই হচ্ছে সেই প্রাণ-ভোমরা যাতে লুকিয়ে রয়েছে সকল অর্থনৈতিক সমস্যার দাওয়াই, মানুষের নিরাপদ অর্থনৈতিক জীবনের ভূত-ভবিষ্যৎ!

বস্তুত যাকাত নিয়ে ইসলামি চিন্তাবিদদের অহংকারের শেষ নেই! ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপণে তারা যাকাতকে শক্ত গুটি হিসেবেই ব্যবহার করেন! যেমন, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ সাইয়িদ আবুল আ’লা মওদূদীর ভাষ্যে:

মানুষ আল্লাহর পৃথিবীতে নিজ স্বভাব-প্রকৃতির গতি, ঝোঁক ও মানসিক ভাবধারা এবং নিজ ক্ষমতা ও যোগ্যতা অনুপাতে স্বীয় জীবিকার সন্ধান নিজেই করিবে-ইসলাম মানুষের এই স্বাভাবিক অধিকারই স্বীকার করিয়াছে।….. প্রয়োজনাতিরিক্ত অর্থ-সম্পদ সঞ্চয় করাকে ইসলাম একেবারেই নিষিদ্ধ করিয়া দিয়াছে। ইসলামী নির্দেশ এই যে, তোমরা অর্থ-সম্পদ হয় নিজের প্রয়োজনে ব্যয় কর, নতুবা অন্যকে তাহার প্রয়োজন পূর্ণ করিবার জন্য দান কর। তাহাতে গোটা অর্থ-সম্পদ সমাজের লোকদের মধ্যে নিরন্তর আবর্তিত হইতে থাকিবে। কিন্তু ইহাতে যদি তুমি প্রস্তুত না হও বরং কেবল সঞ্চয় করিতে থাক, তাহা হইলে এই সঞ্চিত অর্থ হইতে বার্ষিক শতকরা আড়াই টাকা আইনত আদায় করিতে হইবে। এবং অর্থোপার্জনের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণে যাহারা অসমর্থ কিংবা অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পরিমাণ উপার্জন হইতে বঞ্চিত হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে তাহা বণ্টন করিতে হইবে। ইসলামী পরিভাষায় ইহাকেই বলে যাকাত। যাকাতের টাকা সংগ্রহ এবং যথাযথ বণ্টনের জন্য ইসলাম সমাজের সম্মিলিত ধনভাণ্ডার – বায়তুলমালের ব্যবস্থা পেশ করিয়াছেন। ইহা সমাজের অভাবগ্রস্ত লোকদের যাবতীয় প্রয়োজন মিটাইবার জন্য দায়ী থাকিবে। বস্তুত ইহা সামাজিক ইন্সিউরেন্সের সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা। সামাজিক সাহায্য সহানুভূতি এবং সামগ্রিক কল্যাণ সাধনের ব্যবস্থা না থাকায় সমাজে যেসব অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়, বায়তুলমালের ব্যবস্থা এই সব বিপর্যয়ের কার্যকারণ চিরতরে নষ্ট করে।

এই হচ্ছে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে ধর্মীয় দাওয়াইয়ের সার কথা! শুনতে ভাল লাগলেও এই দাওয়াই নিয়ে কিন্তু অনেক প্রশ্ন তোলা যায়! যেমন, এমন মহা-বিধান থাকার পরেও মুসলিম বিশ্বে এত বৈষম্য কেন? মিডল ইস্টের আকাশ-ছোঁয়া দৌলত ও পশ্চিম আফ্রিকার কঙ্কালসার শিশুর ছবি কেন পাশাপাশি দেখতে হয় আমাদের? কেন বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ধনী-গরিবের এমন আশ্চর্য সহাবস্থান চোখে পড়ে (হিলারি ক্লিনটনের ‘লিভিং হিস্ট্রি’র বাংলাদেশ প্রসঙ্গ প্রণিধানযোগ্য, যেখানে পাঁচতারা সোনারগাঁয়ের পাশেই পোকা-মাকড়ের ঘর-বসতি-সম বস্তি দেখে যারপরনাই অবাক হওয়ার কথা লিখেছিলেন তিনি)।

তবে ধর্মীয় চিন্তাবিদগণের কাছে এইসব প্রশ্নের উত্তরও সদা-প্রস্তুত রয়েছে, যেমন, তারা বলে থাকেন, সত্যিকারের যাকাত ব্যবস্থা বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশগুলোতে বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না বলেই তো এইসব বৈষম্য দেখতে হচ্ছে আমাদের! কিন্তু ধর্মতাত্ত্বিকদের এই যুক্তি ধোপে টিকে কি আদৌ? কারণ পৃথিবীর সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই উত্তম উত্তম বুলিতে ভর্তি, সবাই অর্থনৈতিক সমস্যার সত্যিকার সমাধান দেয়ার সবচেয়ে বড় দাবীদার! এইসব ব্যবস্থার সমর্থকেরাও ধার্মিক চিন্তকদের মত করেই বলেন, তাদের ব্যবস্থা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলেই……

আসলে প্রপোনেন্টদের কোন প্রশ্ন করে লাভ নেই, কারণ তারা তাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক বাম নিয়ে সারাক্ষণ বুঁদ হয়ে থাকেন। যেমন, এককালের বিখ্যাত পপস্টার ক্যাট স্টিভেন্স এবং এখনকার নওমুসলিম ইউসুফ ইসলামকে সিএনএনের ল্যারি কিং যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন, এই ধর্মে সে কি পেয়েছে, যা অন্যত্র সে পায়নি, তখন সে আরো অনেক প্রাপ্তির সাথে নীচের প্রাপ্তিটিও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছিল:

You learn — well, you might already be giving charity, but here you learn how to give — you have to give charity. It’s not a question of an option or a voluntary choice. You have to give charity.

বস্তুত বাধ্যতামূলক চ্যারিটি খুব আকৃষ্ট করছিল ইউসুফ ইসলামের মত এক পশ্চিমা পপ-গায়ককে। আর বাধ্যতামূলক চ্যারিটি কিন্তু মন্দ নয় মোটেও। তবে প্রশ্ন উঠে, এরকম চ্যারিটির বিধান কি ইসলামের নিজস্ব, যার জোরে ধর্মবেত্তারা অর্থনীতির জনকাসনে বসিয়ে দেন ধর্মকে? ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ইসলামের জন্মের অনেক পূর্বেই ইহুদি ধর্মে Tzedakah (এই শব্দটির সাথে ইসলামের সাদকাহ শব্দের মিল থাকলেও অর্থগত দিক থেকে যাকাতের সমকক্ষ, যেহেতু যাকাত হল বাধ্যতামূলক চ্যারিটি আর অন্যদিকে সাদকাহ নির্দেশ করে ইচ্ছামূলক চ্যারিটি) নামে একটি বিধানের প্রচলন ছিল, যার আভিধানিক অর্থ চ্যারিটি বা দান হলেও প্রকৃত অর্থ তা থেকে পৃথক, কারণ:

The word “charity” suggests benevolence and generosity, a magnanimous act by the wealthy and powerful for the benefit of the poor and needy. The word “tzedakah” is derived from the Hebrew root Tzadei-Dalet-Qof, meaning righteousness, justice or fairness. In Judaism, giving to the poor is not viewed as a generous, magnanimous act; it is simply an act of justice and righteousness, the performance of a duty, giving the poor their due.

এ থেকে বোঝা যায়, বাইবেলীয় ধর্মের আদি ধর্ম বাধ্যতামূলক চ্যারিটির প্রবর্তন করেছে অনেক অনেক আগে এবং তা অনেক ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মের চেয়েও কঠোর বিধিবিধানে ঠাসা। তবে লক্ষণীয় হল, ধর্মবেত্তাদের দাবীমতে, যাকাত যেখানে অমুসলিমের (নওমুসলিম বা মুসলিম ধর্মগ্রহনেচ্ছু ব্যতীত) জন্য নিষিদ্ধ , ইহুদিদের Tzedakah (আয়ের দশ ভাগ বাধ্যতামূলকবাহবে দান করা) সেখানে অ-ইহুদিদের জন্যও হালাল বলে দাবী করা হয়। নীচের উদ্ধৃতি থেকেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়:

The obligation includes giving to both Jews and gentiles; contrary to popular belief, Jews do not just “take care of our own.” Quite the contrary, a study reported in the Jewish Journal indicated that Jewish “mega-donors” (who give more than $10 million a year to charity) found that only 6% of their mega-dollars went to specifically Jewish causes.

তবে ইহুদিদের এই দাবী নিয়ে আহ্লাদিত হওয়ারও কিছু নেই, এটা লোক দেখানো হতে পারে, বিশেষত তাদের ঋণদান সম্পর্কিত নীচের বিধানের দিকে তাকালে উপরের দাবীকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না:

Deut 23:19-20 – “Do not charge a fellow Israelite interest, whether on money or food or anything else that may earn interest. You may charge a foreigner interest, but not a fellow Israelite, so that the LORD your God may bless you in everything you put your hand to in the land you are entering to possess.”

মানে, অ-ইসরায়েলি (অ-ইহুদি প্রকারান্তরে) উপর সুদ ধার্য করা যাবে, ফেলো ইসরায়েলির উপর নয়। ইহুদিদের এমন বৈষম্যমূলক বিধান তাদের জিজয়াহ সংক্রান্ত বিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা নিউ টেস্টামেন্ট থেকেও পরিষ্কার হয়:

মাসিহ সিমোনকে বলেন : ‘হে সিমোন! বাদশাহ যাদের কাছ থেকে কর বা জিযয়াহ্‌ গ্রহণ করে, তারা কি বাদশাহর প্রজাভুক্ত, না পরদেশি? পিটার্‌স তাকে বললেন : তারা পরদেশি। যিশু তাকে বললেন: তবে তাদের সন্তানেরা স্বাধীন।’ [মথি ১৭ : ২৪-২৫]

এই জিজিয়া কর ইসলাম ধর্মেও প্রচলিত হয়েছে এবং তাকে জায়েজ করতে যেয়ে প্রায়ই ইহুদিদের জিজিয়া ব্যবস্থার উদাহরণ দেয়া হয়। কিন্তু ইসলামের যাকাতও যে ইহুদি ধর্মের Tzedakah এর উত্তরসূরি, তা স্বীকার করতেই যত কুন্ঠা! বস্তুত ইসলাম যাকাতকে এক মহা-কৃতিত্ব হিসাবে দেখে এবং সেই কৃতিত্বের ভাগ কাউকেই দিতে রাজি নয়।

মোদ্দা কথা হল, ইহুদি ধর্মে বাধ্যতামূলক দান শুধু আগেই প্রবর্তিত হয়নি, তা একাধারে কঠোরতর এবং কিছুটা উদারতরও বটে (যেহেতু অ-ইহুদিদের জন্য প্রযোজ্য বলে অন্তত দাবী করা হয় ইহুদি ধর্মবেত্তাদের দ্বারা)।

কিন্তু তবু ধর্মবেত্তারা যাকাতের অভিনবত্বে এতই বেহুশ যে, অ্যাডাম স্মীথের জনক উপাধি কেড়ে নিতেও কসুর করেন না। তাদের মতে অ্যাডাম স্মীথের পুস্তকে নয়, বরং তাদের পুস্তকেই সূত্রপাত করা হয়েছে অর্থনীতির প্রথম পাঠ! এ যেন আমার ঐ বন্ধুর কথার মতই শোনায় যে, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা সবকিছুই ধর্মীয় পুস্তকে লিপিবদ্ধ রয়েছে! আর সেখান থেকে চুরি করে বিদেশীরা সব আবিষ্কার করে ফেলছে। আর আমরা বোকার মত চেয়ে চেয়ে দেখছি!

সবচেয়ে দুঃখজনক হল, এই দাবীদারেরা অ্যাডাম স্মীথের ‘ওয়েল অব ন্যাশানস’ বোধহয় কখনো পড়ে দেখেননি বা কোন ধারনাই রাখেন না এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে! মনে প্রশ্ন জাগে, অ্যাডাম স্মীথ কি যাকাত সম্পর্কে কিছু বলেছেন অথবা এমন কিছু বলেছেন তার সুবিখ্যাত বইটিতে , যা ধর্মপন্ডিতদের কথিত ধর্ম আগেই প্রসব করেছে?

সত্যি বলতে কি, অ্যাডাম স্মীথ কিন্তু অর্থনীতির জন্ম দেননি! কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র তার বহু আগেই রচিত। তবে স্মীথ ১৭৭৬ সনে “An Inquiry Into the Nature and Causes of the Wealth of Nations” বইটি লিখে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন, কারণ এই বইটির মাধ্যমেই তিনি মুক্ত বাণিজ্য, সরকারী হস্তক্ষেপ হৃাসকরণ, মুক্ত বাজার অর্থনীতি, শ্রম বিভাগ প্রভৃতি ধারণার গোড়াপত্তন করেন যা পরবর্তী ইকোনমিক তত্ত্বসমূহের ভিত্তি বলে পরিগণিত হয়, যেমন, রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট, ইকোনোমিকস অব স্কেল, চাহিদা-যোগানের তত্ত্ব প্রভৃতি। মূলত এজন্যই অ্যাডাম স্মীথকে আধুনিক অর্থনীতির জনক বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।

স্মীথের যে তত্ত্ব সবচেয়ে বেশী আলোড়ন সৃষ্টি করে তা হল ‘অদৃশ্য হাত (ইনভিসিবল হ্যান্ড) থিয়োরি’। এই তত্ত্বে ধারনা দেয়া হয় যে, একজন মাংস বিক্রেতা অর্থ চায়, তাই নিজের প্রয়োজনেই সে ভোক্তার জন্য উপাদেয় মাংসের ব্যবস্থা করবে, তবে এর ফলে সে মাংস বিক্রেতা নিজেই শুধু আর্থিক পুরুষ্কার (বিক্রয়লব্ধ অর্থ) লাভ করবে না, সঙ্গে সঙ্গে পুরো সমাজের জন্যও সম্পদ (মাংস, যা একজন ভোক্তার চাহিদা মেটায়) সৃষ্টি করবে। মূল কথা, একজন ব্যক্তি নিজের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করলে, সে পুরো সমাজের জন্যই সম্পদ বৃদ্ধি করবে। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, স্মীথের তত্ত্বে দানশীলতা, যাকাত বা Tzedakah এর তেমন গুরুত্ব নেই, গুরুত্ব রয়েছে ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থনৈতিক প্রচেষ্টার উপর, যার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই সে পুরো সমাজের মঙ্গল সাধন করবে নতুন নতুন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের মাধ্যমে। ব্যক্তির বাধ্যতামূলক দানের কোন ভূমিকা স্মীথের বইটিতে অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তাহলে কি দাঁড়াল? সামান্য তত্ত্ব তালাস করে আমরা পেলাম যে, অ্যাডাম স্মীথ যা বলেছেন তা যাকাত বা ধর্মবেত্তাদের বিধিবিধানের সাথে কোনভাবেই সম্পর্কিত নয়, এবং তাদের পুস্তকেও তার কোন উল্লেখ সংগত কারণে থাকতে পারে না। তাছাড়া, যাকাত নিজেও কোন অভিনব পদ্ধতি নয়। এ ধরনের পদ্ধতি অন্যান্য প্রাচীন ধর্মেও বিদ্যমান ছিল। তাই শুধু যাকাতের ভিত্তিতেই যদি কোন ধর্মকে জনকুপাধি দিতে হয়, তাহলে বাইবেলিয় ধর্মগুলোর আদিমতম ধর্মের কাঁধেই এই গৌরব শোভা পায়!

তবে মজার ব্যাপার হল, আমার জনৈক বন্ধুর মত অনেকেই আছেন, যারা অর্থনীতি ও ধর্মীয় গ্রন্থ দুটোই পড়েছেন, তবু তাদের অন্তরে সিল-গালা করে দেয়া আছে এই অমোঘ মন্ত্র, ধর্মীয় গ্রন্থেই লুকানো রয়েছে অর্থনীতির আধুনিক সব তত্ত্ব, শুধু আমাদের তা খুঁজে বের করতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে! তারা অর্থনীতির নতুন তত্ত্ব অধ্যায়ন বা আবিষ্কারে আগ্রহী নন মোটেই, তাদের সমস্ত শ্রমঘন্টা নিবেদিত থাকে আদিম পুস্তক থেকে প্রচলিত তত্ত্ব আবিষ্কারে। এ থেকে তারা নিজেদের বা বিশ্বের জন্য কি অর্জন করছেন, তা শুধু তারাই জানেন। অন্যদের পক্ষে সে রহস্য ভেদ করা দুঃসাধ্য!

তথ্যসূত্রঃ উইকি এবং অন্যান্য ইন্টারেট উৎস