The Thinker
বহু কাল আগে,
যখন কিছুই শেখেনি এ মানুষ; ভাবনা ছাড়া,
দিনরাত ধরে
পশুর মত গিলেছে বনবাদাড়ের যাচ্ছেতাই।
মরতে মরতে,
একসাথে হওয়া কাকে বলে ও জানলো বাঁচতে।
বেঁচে সে দেখলো,
কিছু দাঁতাল শুয়োর; মত্ত পশুরাই প্রতিপক্ষ,
দেখল মুলত:
খাবারের জন্যই যে দাগ কেটেছে পেশল জন্তু।
তখনো মানুষ
বেঁচেছে, মুক্ত মেধাবী আপন অস্তিত্বে ভর করে।
অথচ আজকে,
হিংস্র পেশল পূজারী জন্তুমানব, মহা উল্লাসে,
স্থায়ী বন্দোবস্তে,
ধর্মগ্রস্হ নোয়াঁ কম্পমান মানুষকে ছিঁড়ে খায়,
অবিরাম এবং
জাতিকেটে দাগ টানে, যত লোভী, মৌ-লোভী মানুষ,
শুষে খেতে সব,
ভয় দেখিয়ে শূন্যে গড়ে স্বরচিত স্বর্গ-নরক,
ওরা স্বার্থমানব।
অযত্নে হেলায়
গাছ পোড়ে মাঠ পোড়ে, পোড়ে বরফ কালের তোড়ে,
শুধু অপেক্ষায়।
অদৃশ্য নিয়মে,
তবু কোথাও অল্প কয়েকটি ঘাড়ত্যাড়া মানুষ
নিজের মনেই
অগস্ত্য রঁদ্যার ভাস্কর্যের মতই ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে যে উত্তর খোঁজে, আলোধরা হয়,
ছুঁড়ে ফেলে দেয়
বাঁধাই খাতা, খোঁজে যে জিজ্ঞাসা, নিবিড় কৌতূহলে,
একা, মুক্তমনে।
অনেক সুন্দর হয়েছে কবিতাটি । ভাল লাগলো ।
@বাশার,
আপনাকে উত্তর না দেবার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। ইচ্ছে করে এ কাজ করিনি। চোখ এড়িয়ে গিয়েছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
খুব ভালো থাকুন (C)
চমৎকার।
আমার মত নিয়মিত ভাবে অনিয়মিত পাঠকদের টানতে এমন কবিতাই দরকার।
@অরণ্য,
তাইতো, বেশ কদিন পর দেখলাম যে। ভালো থাকুন।
বাঃ বাঃ চমৎকার লিখেছেন কবি
অনিয়মের নিয়মে,
তবুও কোথাও; অল্প কিছু ঘাড়ত্যাড়া মানুষ।
নিজের মনেই
অঁগাস্তে রোদিনের ভাস্কর্যের মত ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে উত্তর খোঁজে, আলোর তরে,
বাইরে ছুঁড়ে
বাঁধাই খাতা, ভালোবাসে জিজ্ঞাসা; নিবিড় কৌতূহলে,
একান্তে, মুক্তমনে।
(F) (F) (F)
@রাজেশ তালুকদার,
ধন্যবাদ ধন্যবাদ, মন্তব্যের সৌরভ বেশ লাগলো হে ধ্যানী বন্ধু :))
অনিয়মের নিয়মে,
তবুও কোথাও; অল্প কিছু ঘাড়ত্যাড়া মানুষ।
নিজের মনেই
অঁগাস্তে রোদিনের ভাস্কর্যের মত ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে উত্তর খোঁজে, আলোর তরে,
বাইরে ছুঁড়ে
বাঁধাই খাতা, ভালোবাসে জিজ্ঞাসা; নিবিড় কৌতূহলে,
একান্তে, মুক্তমনে।
🙂 (C)
@ভাস্বতী,
(D)
@কাজী রহমান,
হাহা, আমি কফি নিয়ে এগোলাম, আপনি তো দেখছি মার্টিনির মুডে আছেন। তবে তাই চলুক!
মুক্তমনা ভাবুকদের উদ্দেশ্যে (D)
@ভাস্বতী,
চলুক; নিশ্চয় চলুক, সালুদ (D)
এরকম জীবনই তো সবসময় চেয়েছি। শুধু সময় বলে দেবে পেয়েছি কি না।
@সংশপ্তক,
‘মহা ব্যাঙ্গা ভটাশ হোল তারপরেতেই সময় হোল;…’
সময়
আমার তো ধারণা আপনি মহাতৃপ্তিতে এই সময়ে মুক্তমনে সেই রকমই একটি ঈর্ষনীয় এবং আত্মবিশ্বাসী জীবন যাপন করছেন।
খুব আনন্দে থাকুন (C)
লোভী, মৌলোভী – দুর্দান্ত, রহমান ভাই! শব্দ নিয়ে এমন খেলা কবিদেরই সাজে! (Y)
@কাজি মামুন,
ভাবুক, The Thinker কে দেখতে পাচ্ছেন তো? ঐ যে, উপরে; বাঁয়ে (I)
@কাজী রহমান,
অসাধারণ! (F) (F) (F) (Y)
@গোলাপ,
গোলাপের শুভেচ্ছা সৌরভ, ভেসে গেলাম (C)
@গোলাপ, আমিও কিছু গোলাপ দিলাম (F) (F) (F) (F)
@সাগর,
গোলাপের সমারোহ হলেই হোল :))
বাহ খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন ভাইয়া! আর এর মাঝে সমাজের চিত্রটা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আপনাকে কবিতাটির জন্য। (F)
@অচেনা,
ধন্যবাদ অচেনা; শুভেচ্ছার জন্য 🙂
কবিতাটা সত্যিই সুখপাঠ্য হয়েছে। আগে মানুষে মধ্যে ভন্ডামি যত ছিল এখন বেড়েছে তার থেকে অনেক বেশী। এর অন্যতম প্রধান একটা কারন হতে পারে বিশ্বাসের উগ্রতা এবং বাড়াবাড়ি বেশী হওয়াতে- এমনই ইঙ্গিত আছে কবিতায়। সে যাই হোক, লেখাটা শিল্পসন্মত হয়েছে।
@শাখা নির্ভানা,
পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
একটা কবিতা এতগুলো বিভাগে পতিত হলে, পাঠকের পতন রুখবে কে?
মৌ-লোভী, আহা তাতে কী?
ফাটাফাটি।
আর বেশি দেরি নাই। বরফ পুড়তে পুড়তে যখন আপনার আমার ঘরের সামনে এসে দাঁত বের করে হাসবে, আমি নিশ্চিত; পরীক্ষা করে বলার সময়টুকু থাকবে না কারো হাতে।
@স্বপন মাঝি,
তা আপনি কোথায় পতিত হলেন ভায়া :))
@কাজী রহমান,
আপনি কি দমকল বাহিনীতে কর্মরত?
@স্বপন মাঝি,
ওহ্যাঁ ছিলেম বটে দমকলে
দেখলুম এলার্জি বেশ জলে
ছেড়ে দিলুম কানটি মলে
ঠ্যাঙাড়ের দলে এলুম চলে
দেবো দুঘা; কানের তলে?