লিখেছেন – ডাইস
দেশের কোন মফস্বল শহরে এক উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবার বসবাস করে। কর্তা এবং কর্তীর সন্তান চারজন। একমাত্র ছেলে সন্তানের পাশে তিনজন মেয়ে সন্তান। সেক্যুলার ধারণা সেখানে ছড়িয়ে পড়েনাই তাই এই অবস্থাটি প্রকাশে ছেলে মেয়ে আলাদা উল্লেখ করা। এই পরিবারের উপার্জনের কেন্দ্র হল ব্যাবসা। যেহেতু মেয়েরা কর্তার অবর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারবেনা তাই এই কাজের দায়ভার ছেলেটির উপর পড়বে।
দিনগুলি এভাবে গেলে মন্দ হত না কিন্তু সমস্যা বাধল যখন ছেলেটি পিতার ব্যাবসা কার্য চালিয়ে যেতে অস্বীকার করল। কর্তা তখন ছেলেটিকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন যে দুনিয়াটা টাকার গোলাম,উন্নতির জন্য ব্যাবসার বিকল্প নাই,চাকরির গোনা টাকা দিয়ে পেটে ভাত তোলা যায়না ইত্যাদি ইত্যাদি
ছোটতর গল্পটা আজকে এখানেই শেষ। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল কর্তা তার ছেলেকে এটা বুঝাতে চাইছেন যা তার নিজের পেশা। মফস্বলে ব্যাবসা করেন কিন্তু উচ্চ মধ্যবিত্ত তার মানে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। একজন ব্যাক্তি যখন একটা বিষয়েই দক্ষ হন তখন তার কাছে বাকি বিষয় গুলো হয়ে যায় ঐচ্ছিক। তার চিন্তা ধারণা যখন একটা বিষয়কে ঘীরে আবর্তন হচ্ছে তখন অন্য বিষয়গুলোর গুরুত্ব লোপ পাবে এটার মাঝে নতুনত্ব নেই। গুরুত্ব লোপ পাওয়ার মানে এই নয় তাকে অন্য বিষয়গুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে হবে কিংবা ওই বিষয়টাকে অস্বীকার করতে হবে অথবা নিজের বিষটাকে মুক্তির একমাত্র শুদ্ধতম পথ মনে করতে হবে।
স্বাধীনতা-উত্তর বাঙলাদেশের সাহিত্যে শামসুর রহমান বাচ্চু এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি মমতাজ আহমেদ শিখু ছদ্মনামে কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে লেখালিখিতে প্রবেশ করেন কিন্তু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন ঔপন্যাসিক হিসেবে। শামসুর রহমানের ডাকনাম ছিল কাজল এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদ নামে বহুল পরিচিত।
প্রত্যেকের নিজের আলাদা আলাদা একটা স্থান আছে। যেমন গল্পে কর্তা ব্যবসায়ী অন্যদিকে হুমায়ূন লেখক এইটাই তার স্থান,অবস্থান।
হুমায়ূন আহমেদ লেখক তাই তিনি এই মত ব্যক্ত করেছেন লেখালিখিটাই বিকশিত হওয়ার মাধ্যম। লেখালিখি বিকশিত হওয়ার একটি মাধ্যম সেটা স্বীকার করতে দ্বিধা করার যৌক্তিকতা পাচ্ছিনা। কিন্তু যুক্তির অভাববোধ করি যখন এটিকে একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
ছোটতম গল্পটিতে কর্তা নিজের কার্যকে আয়ের একমাত্র পথ মনে করছেন তেমনি হুমায়ূন বিকশিত হওয়ার পথ হিসেবে লেখালিখিকে চিহ্নিত করেছেন।
যে কারনে কর্তা নিজের পেশা সন্তানের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন সেই একই কারনে হুমায়ূন নিজের ধারণা নব্য পাঠকদের আমূলে গেঁথে দিচ্ছেন।
কর্তার ভয়ের উৎস নিজের প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি আর হুমায়ূনের রয়েছে মৃতত্মার মহত্ত্বের দর্শনে ছোট হওয়ার জুজু।
অধ্যাপক রাজ্জাক কেন লিখেন নাই সেই ব্যাখ্যায় আহমদ ছফা বলেছেন,”হ্যাঁ,রাজ্জাক সাহেবের যদি চাকুরিবাকুরির ক্ষেত্রে উন্নতি করার আকাঙ্ক্ষা থাকত অবশ্যই তাঁকে লিখতে হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে যে গবেষণা হয়েছে তার বেশিরভাগই চাকুরির প্রোমোশনের উদ্দেশ্যে লেখা। রাজ্জাক সাহেবের যদি সেই বালাই থাকত লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকসের হ্যারল্ড লাক্সির মৃত্যুর পর তার লেখা থিসিসটা বগলে নিয়ে বিনা ডিগ্রিতে লন্ডন থেকে ফিরে আসতেন না। রাজ্জাক সাহেব যদি সংসার ধর্ম পালন করতেন,তা হলেও হয়তো জাগতিক উন্নতির প্রয়োজনের তাঁকে কিছু লেখালেখি করতে হতো।”
সত্যবাদী হুমায়ূন সত্যের বুলিতে স্বীকার করেছেন অর্থের জন্য কলমের কালি বিক্রি করছেন,সেই একই হুমায়ূন কিভাবে ভাবতে পারেন সবাই তার মত কলমের কালি বিক্রি করে ভাতের যোগান দিবে! এ যেন নিজের লজ্জা ঢাকতে অন্যের সম্ভ্রমে আঘাত করাটা তার কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজেকে দিয়ে বিচার করার মানসিক দীনতার উৎস সম্পর্কে জানার আশা প্রকাশ করছি।
বিকশিত হতে হলে রাজ্জাক স্যারকে বইপত্র লিখতে হত। যেহেতু তিনি লিখেননাই সেহেতু তিনি বিকশিত নন। এই যুক্তিতে হুমায়ূন দুইদিন পর নতুন গ্রন্থে বলতে পারেন সক্রেটিস লিখেননাই সেহেতু তিনি বিকশিত না…পাঠক অবাক হবেন না,যুক্তি বলে কথা
আপনার এই লেখাটির সাথে প্রচণ্ড রকমের দ্বিমত পোষণ করছি। আপনি হয়তো বুদ্ধদব বসুর কালের পুতুল বইয়ের “লেখার ইস্কুল” পড়েছেন। পড়ে থাকলে এমন কিছু লেখার কথা না।
খুব হতাশ হলাম মুক্তমনায় এই মানের লেখা প্রকাশিত হওয়ার কারণে।
@শফিউল জয়,
একটা ভুল করলা, অমুক লেখাটা পইড়েন…তমুক পড়লে বুঝবেন এই বাক্য না ব্যবহার করে স্ট্রেইট কয়টা লাইন উঠায়া দিলে লেখক, পাঠক উভয়েরই ভালো হয়। দেখো তোমার কমেন্টে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে ঘুরে ফিরে তুমি বই থেকে না আলোচনা তুলে আনলে গতি পাবা না :))
@টেকি সাফি,
সহমত। রেফারেন্স দেওয়া হয় সাধারণত বক্তব্যের বিস্তারিতের সন্ধান হিসেবে। বক্তব্যের যুক্তি নিজেই ইনাফ হলে এমনকি রেফারেন্সও লাগে না। কিন্তু রেফারেন্স বক্তব্যকে সাবস্টিটিউট করলে তো সমস্যা। শফিউল জয় হয়তো দৌড়ের উপর আছেন। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
আসলেই আমি একটু দৌড়ের উপরে আছি। আর যে ব্যাপারটা নিয়ে পোষ্ট, সেটা ভালোই দীর্ঘ আলোচনাযোগ্য। একটু ব্যস্ততা থাকার কারণে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে বুদ্ধদেব বসুর ওই কথাগুলো কিছুটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললাম। কারণ সেটা বেশ প্রাসঙ্গিক।
সমরসেট মমের কথা দিয়ে শুরু করেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। সমরসেট মম ছিলেন প্রথমে নাট্যকার। তার কথাপ্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, লোকজন যে কারণে ডাক্তার উকিল হয়, তিনি সেই কারণেই লেখক হয়েছিলেন, যেটাকে বলে বিশুদ্ধ পেশাদার লেখক। আর লেখালেখি শুরু করেছিলান, কারণ ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তার একটা ঝোঁক ছিল। নাটক লেখার প্রধান কারণ হিশেবে তিনি বর্ণনা করেছেন, লিখে অর্থ উপার্জন তাকে করতেই হবে। কারণ আর কিছুতে তিনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন নি। এই দিক থেকে হুমায়ুন আহমেদের সাথে তার একটা মিল আছে। হুমায়ুন আহমেদ প্রথমে অধ্যাপনা করতেন, পরে ফুলটাইম লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। সমরসেট মমও তার ডাক্তারজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়েই লিখেছিলেনল প্রথম উপন্যাস। তবে ডাক্তারি তার ভালো লাগে নি, ছেড়ে এসেছিলেন, তার প্রধান কারণ ভালো লাগতো না। এবং অর্থ উপার্জনের ভিত্তি হিশেবে লেখালেখিকেই তিনি মনে করেছেন সহজ। ইংল্যান্ডের মনীষীমহলে সমসাময়িক সময়ে মমের মূল্য খুব বেশী একটা হয় নি, তবে জনসাধারণের নগদ বিদায়েই তিনি ছিলেন সুখী। একজন হুমায়ুন আহমেদ ব্যক্তিগতভাবে তাই বলতেই পারেন লেখালেখির জন্যে টাকার কথা। লেখা আমার পেশা না, নেশা- এই ধরণের বাক্য এখন আর খাটে না- তা এই ব্লগের লেখক নিজেই হয়তো জানেন। কারণ যে শ্রম লেখালেখিতে দিতে হয়, তা অন্য কোথাও দিলে অনেক ভালো কিছু করা যেত। জীবিকার প্রশ্নটা তুচ্ছ করার মতো কিছুই না। ভালো বা মহৎ সাহিত্যের দাবী দিয়ে বা লেখকের মনোভাবের দাবী দিয়ে এই ধরণের কথা বলা ধৃষ্টতার পর্যায়েই পড়ে। কারণ শেক্সপিয়ার খদ্দের ধরে রাখতে কী না করেন নি, মারামারি কাটাকাটি হইহুল্লোর ভাঁড়ামি- যা কিছু এলিজাবেথীয় দর্শকদের প্রিয় তার সবকিছুই পাওয়া যাবে। চার্লস ডিকেন্স উপন্যাসের কিস্তি বাজারে ছেড়ে উদ্বিগ্নভাবে লক্ষ্য করতেন, কাটতি কেমন। এমন কী, আমি পড়েছি এই লেখায়, তিনি না কি খানিকটা পরিবর্তনও করে দিতেন কোনবার বিক্রি কম হলে। সে উদ্দেশে তিনি গল্পের প্লটও পরিবর্তন করতেন। লেখালেখিও একটা পেশা, সেই সূত্র ধরে হুমায়ুন আহমেদের যা কিছু ইচ্ছা লিখতে পারেন। হতে পাড়ে বাজারের জব্যে লিখেন তিনি, সস্তা। কলমের কালি বিক্রি করে ভাতের জোগান দেয়া দোষের কিছু না লেখকের জীবনে। প্রত্যেকটা পেশারই যদি মহৎ উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে পেশাদার হতে সমস্যাটা কোথায়? ডাক্তারীও অনেক মহৎ পেশা, শিক্ষকতা অনেক মহৎ পেশা- কিন্তু কই, কখনো শুনতে পারলাম না যে কেউ বলছে, “ছি ছি! তিনি ডাক্তারি করেন টাকার জন্যে! ” অথবা “ছি ছি! শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে তিনি টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করেন।” এগুলো খুবই ভাবালুতাপূর্ণ শোনাবে, ঠিক যেমন লেখালেখির ক্ষেত্রে। তাই কলম বেঁচে ভাত জোগাড় করাতে আমি কোন দোষ দেখি না, অবশ্য সেখানে সততা আবশ্যক। সেই সততার সংজ্ঞা কী, সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সমালোচনা হতে পারে বিস্তর।
মমের কথা বলছিলাম, তার আরেকটা উদ্ধৃতি দিয়েই শেষ করি,
মনে হচ্ছে হুমায়ুন আহমেদ সাহেব কে গালি দিলে যে কোন মানের লেখাই মুক্তমনায় প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে.
@মিয়া সাহেব, ভাই গালি নাই তো…একটা বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করলাম
@মিয়া সাহেব,
আপনি ঝটপট কয়েকটা গালি দিয়ে একটা লেখা পাঠায় দেন তাইলে!! আপনার লেখাটা নীড়পাতায় দেখার অপেক্ষায়… (@)
প্রত্যেক লেখকের বাব দাদার আমলের জমিদারী থাকাটা অত্যাবশ্যক! অথবা লেখালেখি শুধুই দেবতাদের(পেট নাই যার, দেবতা নাম তাঁর) জন্যে!
জানি না কেন, লেখাটা পড়ে এমনটাই মনে হল। 🙁
@অরণ্য, কথাটা ঠিক না…লেখা পড়ে কেউ চিন্তা করেনা লেখক জমিদার না চাকরিদার…লেখক যদি নিজেই লেখা নিয়ে জমিদারের পোদ্দারি দেখায় তখনই সেটা নিয়ে সমালোচনা হবে
@ডাইস,
ঠিক না হলেই ভাল। তবে আপনার অনেক কথাই মানতে পারছিনা।
সত্যবাদী হুমায়ূন সত্যের বুলিতে স্বীকার করেছেন অর্থের জন্য কলমের কালি বিক্রি করছেন,
@অরণ্য,
১। মূল কথাটা এখানেই যে কর্তা নিজের কর্ম সন্তানকে চাপিয়ে দিচ্ছে,কর্তার এটাই কর্তব্য সন্তানকে পথ প্রদর্শণ করবে,কিন্তু কর্তার এই অধিকার নাই যে সন্তানকে একটা নির্দিষ্ট পথে চলতে বাধ্য করবে(যদিনা সন্তানের নির্বাচিত পথটি নেতিবাচক হয়)
হুমায়ূন অন্যদের লেখালিখিতে উৎসাহ দিলে ভালো কথা…কিন্তু পোস্টে এরকম কোন কথা আসছেনা
গল্পটির এইদিকটার আলোকে আমি হুমায়ূনের যে জিনিসটা তুলনা করলাম সেটা হল তিনি লেখালিখিকে বিকশিত হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন…লেখালিখি বিকশিত হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হতে পারেনা তাই আমি হুমায়ূনের এই কথার সাথে তীব্রভাবে দ্বিমত পোষণ করছি
মূলত আপনি এটা এড়িয়ে নিয়ে এসেছেন ‘লেখালিখিতে উৎসাহ’ দেয়ার কথা…আপনি বিষয়বস্তুর বিকশিত/অবিকশিত নিয়ে কিছু না বলে অন্য একটা কথা দিয়ে মূল কথাটা ঢাকতে চেষ্টা করেছেন
২। আমার জ্বালা নেই…জ্বালা বলতে আপনি কি অর্থের দিকটা মিন করলেন? দুঃখিত বন্ধু,না প্লেয়িং ডাইস জাগতিক লোভ,হিংসার উর্ধে…হুমায়ূন কোটিপতি হোক সমস্যা নেই
নজরুলের এমন কোন উক্তি দেখিনাই যেখানে একজন শিক্ষককে হেয় করা হয়েছে,শিক্ষকের না লেখাটাকে অবিকশিত হিসেবে মন্তব্য করা হয়েছে
হুমায়ূন টাকার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরত এইটা আপনার জানার ঘাটতি…কিসের জন্য নাটক লিখসে? টেলিভিশন! টেলিভিশন তো মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্তর্গত না…বিনোদন মানুষের ৫টা মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে না।
\\তাঁর মত সে লিখেন। অন্যরা অন্যদের মত লিখুক। কবিকে কবিই থাকতে দেন//
ভাই লেখক লেখকের মত থাকুক কিন্তু মাঝখানে অন্য একজনকে খোঁচাইতে আসছেন কেন তিনি!
নো…তুলনা করা অপরাধ হতে পারে না…আমি আমার নেক্সট পোস্টেই হুমায়ূন আহমেদ আর আহমদ ছফার তুলনা করব…এই পোস্টের মন্তব্য গুলো কাজে লাগবে
জনপ্রিয়তাই মূল্যয়নের চাবিকাঠি নহে(মার্ক ইট)…পাঠক এইটুকুই বোঝেনা…যে অর্থে পাঠকের কাছে নীলক্ষেতের চটি জনপ্রিয় সেই অর্থে হুমায়ূনের বইও জনপ্রিয়…এই কথাটি ইমদাদুল হক মিলন হুমায়ূনকে বলে প্রশ্ন করেছিল তাহলে তোমার বই এর জনপ্রিয়তার সাথে চটির জনপ্রিয়তার পার্থক্য কোথায়?
সুন্দর উপদেশ…মনে রাখার চেষ্টা করব
সেক্যুলার ধারণার সাথে ছেলে মেয়ে আলাদা উল্লেখের তাৎপর্য বুঝিনি। জেন্ডার ধারনা বললে হয়ত একটু আধটু বুঝতাম। এটি গেল ভুমিকা নিয়ে আমার বুঝার অক্ষমতা।
হুমায়ুন আহমেদের লেখা কারও পছন্দ না হতেই পারে, তিনি তার মন্তব্য করেছেন নিজের প্রেক্ষাপট থেকে, কিন্তু তার মন্তব্যের সাথে অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারকে জুড়ে দিয়ে আমার কাছে ধান ভানতে শিবের গীত মনে হয়েছে।
অধ্যাপক রাজ্জাক স্যার থিসিসটা বগলে নিয়ে বিনা ডিগ্রিতে লন্ডন থেকে ফিরে এসেও জাতীয় অধ্যাপক হয়েছিলেন,তাই বলে তাকে অন্যরা অনুসরণ করে চলে আসলে জীবন ফ্যাকাসে হবার আশংকা রয়েছে।
অনর্থক বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়। মন্তব্যটি করার জন্য দুঃখিত।
@গীতা দাস, ভাই সেক্যুলার শব্দটার আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ করে ভাব বুঝাতে চেষ্টা করেছি…যেমন রাজ্জাক স্যারের সময় অনেকে সেক্যুলারিজম এর অর্থ দাড় করাতে চেয়েছিল ইহজাগতিকতা…এখন ইহজাগতিকতা বললে কেউ মানবে না…অন্যদিকে চলে গেলাম
শব্দ প্রয়োগে আমার অক্ষমতা রয়েছে…আশা করি ভবিষ্যতে এই সংকীর্নতা কাটিয়ে উঠতে পারব…আসলে এটাকে শব্দভান্ডারের অভাবও বলতে পারি
ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থেকে সাহিত্য সমালোচনা হয় কিনা জানিনা,ব্যাক্তির যৌক্তিকতায় আঘাত হলে হতে পারে…আহমদ ছফা শেষ জীবনে দেখা গেসে কয়জনের সাথে কলমযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন…আহমদ ছফার কাছে যা যৌক্তিক মনে হয়নি অন্যদের কাছে সেটা ছিল নিজস্ব প্রেক্ষাপট-অন্তত আপনার বাক্যে তাই ফুটে উঠে,আহমদ ছফা ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছিলেন কিনা জানিনা…আহমদ ছফার সাথে তুলনার দৃষ্টতা দেখানোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী
আমার আলোচনা এতটুকু এগোয়নি…অনুসরন করতেও বলা হচ্ছেনা
জাতীয় অধ্যাপক হওয়াটাকে আপনি তুলনা করছেন জীবন ফ্যাকাশে হওয়ার সাথে…তার মানে আপনি বলতে চাইছেন জাতীয় অধ্যাপক যিনি তার জীবন ফ্যাকাসে…’জীবন ফ্যাকাসে’ শব্দ দুইটি কোন অর্থে প্রয়োগ করেছেন বুঝতে পারছিনা…আমার মনে হয় এই পয়েন্টেই আপনি হুমায়ূনের ভূত বহন করছেন…হুমায়ূন বলেছিল না লিখলে বিকশিত না,আপনি বলছেন অনুসরন করলে জীবন ফ্যাকাসে হবে
আমি একটা পয়েন্ট থেকে মতামত শেয়ার করলাম…সেটা আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট ফলাফলের দিকে ধাবিত হতে পারে…কিন্তু ‘অনর্থক বিতর্ক’ শব্দ চয়নে ইঙ্গিত করা হতে পারে সব মতামতই অনর্থক বিতর্ক…বস্তুত এই শব্দ যুগল মুক্তমনার নতুন লেখকদের অনুৎসাহিত করতে পারে
আপনার মন্তব্য ভাল লাগল…কারন মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে অনেক কিছু লিখতে পেরেছি
@ডাইস,
আমি এতটা বোকা নই যে সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের জীবনকে ফ্যাকাশে বলব। বা জাতীয় অধ্যাপক হওয়াকে জীবন ফ্যাকাসে বলব।আমি বলতে চেয়েছিলাম তার লন্ডন থেকে ডিগ্রী না করে আসাটা অনুসরণ করলে। কারণ সবাই তো আর রাজ্জাক স্যারের মত মেধা নিয়ে জন্মায় না। দুয়েক জনকে দেখেছি ফিরে এসে জীবন সুখকর হয়নি।
সবিনয়ে জানাতে চাই যে আমি সজ্ঞানে কারও ভূত বহন করি না,আর হুমায়ুন আহমেদের কিছু বহন করার তো প্রশ্নই উঠে না।
অন্যদিকে, মন্তব্য করা মানে মুক্তমনার নতুন লেখকদের অনুৎসাহিত করা নয়। লেখার মন্তব্য একমত বা দ্বিমত হলেই মন্তব্য করা হয়।
ডাইস,লিখুন। চিন্তার বিভিন্ন দিক উন্মোচন করুন। দ্বিমত বা সহমত যেভাবেই হোক সাথে থাকার চেষ্টা করব।
@গীতা দাস, ধন্যবাদ
অনেক কিছুই বুঝলাম না।টাকার বিনিময়ে লেখালেখি করা কি অন্যায়? মানিক বন্দোপাধ্যায় টাকার বিনিময়েই লিখেতন।লেখাই তাঁর জীবিকা ছিল।পেশাদারিত্ব না আসলে কোন কাজই উন্নতি হয় না।কী জানি কী বুঝলাম! লাঞ্চ টাইমের ফাঁকে দ্রুত পড়ে দ্রুত মন্তব্য করলাম।ধন্যবাদ।
@সুষুপ্ত পাঠক,
এই কথাটা খুব ছোট হলেও আলোচনার বিশালত্ব অনেক…আমি আশা করি শুধু এই ব্যাপারে আরেকটি লেখা লিখব
@লেখক,
আপনি অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা হুবহু প্রকাশ না করে নতুন লেখা দিবেন। অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা প্রকাশ করাকে এখানে নিরুৎসাহিত করা হয়।
@সৈকত চৌধুরী, ভাই ওইটা তো আমারই লেখা…একসাথে ওই ব্লগে প্রকাশ করলাম আর এখানে পাঠালাম
@ডাইস,
মুক্তমনায় সাধারণত এমন মেনে নেয়া হয় না। অন্যকোথাও প্রকাশ করতে চাইলে, মুক্তমনার পরে দিতে হবে…এবং কোথাও দেখেছিলাম যেন বলা হয়েছিলো অন্তত চব্বিশ ঘন্টা পর। 🙂
ইন্টারেস্টিং!
বাই দ্য ওয়ে অদ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খুব মজার লোক ছিলেন। খুব কাছ থেকে তাকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো ছোটবেলায়। আপনার লেখা পড়ে সেই সব স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
@অভিজিৎ, অভিজিৎ দা,আপনার অন্য একটা লেখায় নাকি কমেন্টে পড়ছিলাম এই ব্যাপারটা…মনে হয় লীন আপুর একটা পোস্টে,সেই পোস্ট রাজ্জাক স্যার আর আহমদ ছফা’কে নিয়ে ছিল