শেষ চিঠি
আকাশ মালিক
শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ দা,
মুক্তমনা আপনার নিজ হাতে বহু কষ্টের গড়া এক পরিবার। এর উপর দিয়ে কোন ঝড় তুফান বয়ে গেলে আর কেউ না জানলেও আপনি যে টের পাবেন সেটা জানা কথা। এই পরিবারের সাথে তার সদস্যদের রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক। আমি জানি আপনি ব্যস্ত মানুষ, আপনার সময়ের মূল্য আছে। আমার কিছু কথা বলার ছিল, যতদূর সম্ভব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করবো। প্রথমেই নীচের মন্তব্যগুলোর প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আগন্তুক এর জবাব (প্রায় আড়াই বছর আগের ঘটনা)
@ ফরিদ আহমেদ
আমরা যারা হলে রাতের পর রাত আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে লাঠিসোটা নিয়ে জেগে,লোডশেডিং এর মধ্যে ,রুমমেটকে লুকিয়ে ল্যাপটপ অন করে লিখি – তাদের জন্য এ উক্তি অপমানকর। আমি জানি না, বাংলাদেশের হলগুলোর বর্তমান অবস্থা না জেনে এরকম একটা অবিবেচক মন্তব্য কোন ধরণের মুক্তমন এবং মানবতার নিদর্শন? যুদ্ধে আত্মহননের চেয়ে আত্মরক্ষার কৌশলটাই শ্রেয় নয় কি? পথিকের রুমমেটরাই যে ওর রগ কেটে রেখে যায় নি এতেই আমি খুশি। বিদেশের আরাম ভুলে দেশের ২০ঘণ্টা লোডশেডিং এ বসে, শিবিরের অস্ত্রের মুখে প্রকাশ্যে বসে স্বনামে লিখে সাহস প্রমাণ করে যান। ফারুকের অপরাধ কি ছিল জানেন? সে একটা রাজাকারবিরোধী ব্যানার টানিয়েছিল রুমে। ছেলেটা আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বন্ধু ছিল।
(সেই থেকে পথিক আর আগুন্তুককে মুক্তমনায় দেখছিনা)
ফরিদ আহমেদ এর জবাব:
@আগুন্তুক,
ছদ্মনামের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে থেকে এরকম অশালীন, অবিবেচক এবং রূঢ় মন্তব্য করে ফেলাটা খুবই সোজা। আমি নিশ্চিত, আসল পরিচয়ে হলে আপনি ঠিকই করতেন না এধরণের মন্তব্য। পরিচয় গোপন রেখে টয়লেটে যা ইচ্ছা লেখা যায়, জানা থাকলে করা যায় না সেটা।
ফরিদ আহমেদ এর জবাব: (চেঙ্গিস খান: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ- প্রবন্ধে)
@ হোরাস,
এই লেখাটা পড়তে গিয়ে কেন যেন মনে হচ্ছে যে, চেঙ্গিস খান মূল নয়, এর আড়ালে লুকিয়ে আছে মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ। মুহাম্মদের প্রতি ঘৃণার প্রাবল্যেই খুব সম্ভবত চেঙ্গিসকে শ্রেষ্ঠ মানব বলা হচ্ছে।
হোরাস এর জবাব:
@ফরিদ আহমেদ,
প্রাচীন কোনো দেবতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়েও কখনও হিপোক্রেসী করেছি এটা কেউ বলতে পারবে বলে মনে হয় না। সে আত্মবিশ্বাস আমার আছে।
ফরিদ আহমেদ এর জবাব:
@ হোরাস
কেউ বলতে পারবে না, এই আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব কাজের কিছু নয়। মুখোশের আড়ালে যাওয়াটাই সবচেয়ে বড় হিপোক্রেসি।
ফরিদ আহমেদ এর জবাব: (কিছু ছবি কিছু জিজ্ঞাসা- প্রবন্ধে)
@আকাশ মালিক,
মুরগির কলিজার মতই দুর্বল মেরুদণ্ডতো। ভয়ে আসলেই গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে গিয়েছে সেগুলো। সে কারণেই ছদ্ম পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে হয় সবসময়। সোজা হয়ে দাঁড়াবে কী করে?
ফরিদ আহমেদ এর জবাব:
@আকাশ মালিক,
ছদ্ম জিনিসটা খুব সংক্রামক। এই লেখাটাও সে কারণে একটা ছদ্ম লেখা হয়ে গিয়েছে। আসল টার্গেট পিছনে, কিন্তু বন্দুক তাক করে ধরেছেন সামনের দিকে। আশা করেছেন যে, ব্যাকফায়ার করে পিছনের টার্গেটকে আঘাত করতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভুলে গিয়েছেন যে বন্দুক আর পিছনের টার্গেটের মাঝখানে আপনার অবস্থান রয়েছে।
যাযাবর এর জবাব,
এই ব্লগ লেখার জন্য কেউ কেউ নাখোশ যে কেন শুধু এভাবে লেখা হল, কেন ওভাবে লেখা হল না। ইসলাম আর নবী কে সমালোচনা বা দায়ী করলে অনেকে হাঁ হাঁ করে ইসলাম ব্যাশিং এর ধুয়া তুলেন।
ফরিদ আহমেদ এর জবাব:
@যাযাবর,
এই লেখার সততা এবং আসল উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এ লেখার মূখ্য বিষয়ও সাতক্ষীরা নয়, অন্য কিছু। সাতক্ষীরার মত একটা মানবিকতা দলনের ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে আইওয়াশ হিসাবে। কাজেই ও নিয়ে আনন্দিত হবার কোনো কারণ নেই।আমি নিজেও এটাকে ছদ্ম পোস্ট হিসাবে অভিহিত করেছি। সেই অভিযোগকে অস্বীকার করেও কোনো মন্তব্য তাঁর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত আমি পাই নি (ধারণা করছি এখন পাবো) । কাজেই, এটা যে সাতক্ষীরার ঘটনার বিষয়ে একটা নিরীহ মানবিক পোস্ট, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গিয়েছে আমার ভাবনায়।
(শত চেষ্টা করেও ফরিদ আহমেদ কোন পাঠকদেরকে তার টোপ গিলাতে পারেন নি)
প্রদীপ দেব এর জবাব: (অবিশ্বাসের দর্শনঃ নবযুগের যুক্তিবাদীর দৃপ্ত পদক্ষেপ- প্রবন্ধে)
@অভিজিৎ,
ছদ্মনামের ব্যাপারটা আমার কাছে কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ পরিচয় আড়াল করার প্রাথমিক ধাপটাই হলো এক ধরণের জালিয়াতি – আমি যা নই তাই বলে আমার পরিচয় দেয়া। অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখক ছদ্মনামে লিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন – কিন্তু তাঁদের মূল পরিচয় কিন্তু গোপন থাকেনি। এ ব্যাপারে মুক্তমনা এডমিনের মনে হয় কিছু করা দরকার।
আকাশ মালিক এর জবাব:
@প্রদীপ দেব,
যিনি ছদ্মনামে লিখেন তার কাছে ব্যাপারটা শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, বরং এক ধরনের নাইটমেয়ার। নিজের আসল নামে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারার বা কোন কিছুর সাথে দ্বিমত পোষণ করতে না পারার কী যাতনা তা শুধু তারাই বোধ হয় টের পান যারা ছদ্মনামে লিখেন। এর পেছনে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য কারণ আছে, আর তা হলো সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক নিরাপত্তার অভাব। সে কারণেই হয়তো দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ The Indigo Planting Mirror নাটকের অনুবাদে মাইকেল মধুসূদনের নাম নেই। এটাকে কি জালিয়াতি বলা যাবে? ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরান ও এর লেখক মুহাম্মদের, যুক্তি ও প্রমাণ নির্ভর শ্রেষ্ট সমালোচকদের মধ্যে ‘Why I Am Not a Muslim’ বইয়ের লেখক ইবনে ওয়ারাক ( ছদ্মনাম) অন্যতম। স্বনামে হয়তো তিনি এতোকিছু লিখতে পারতেন না যা লিখে গেছেন। নিজের নামটাই যেখানে নেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবেন কে? স্বীকৃতি প্রাপ্তির বাসনা যেখানে নেই সেখানে সার্টিফিকেট গ্রহণ করবে কে? রাজমুকুট গ্রহণ করার তো কেউ নেই।
(এর উত্তরে প্রদীপ দেব কিছু বলেন নি, বলতে আসলেন ফরিদ আহমেদ)
ফরিদ আহমেদ এর জবাব:
@আকাশ মালিক,
অনেক পুরোনো একটা পদ্যের কথা মনে পড়ে গেলো। অংশ বিশেষ তুলে দিলাম এখানে।
নন্দ একদা হঠাৎ একটা কাগজ করিল বাহির-
গালি দিয়া সব গদ্যে-পদ্যে বিদ্যা করিল জাহির।
পড়িল ধন্য , দেশের জন্য নন্দ খাটিয়া খুন-
লেখে যত তার দ্বিগুণ ঘুমায়, খায় তার দশগুণ।
খাইতে ধরিল লুচি আর ছোঁকা, সন্দেশ থাল-থাল –
তখন সকলে কহিল, “বাহবা, বাহবা, নন্দলাল।
নন্দ একদা কাগজেতে এক সাহেবকে দেয় গালি;
সাহেব আসিয়া গলাটি তাহার টিপিয়া ধরিল খালি;
নন্দ বলিল, ‘আ-হা-হা! কর কি, কর কি! ছাড় না ছাই,
কি হবে দেশের, গলাটিপুনিতে আমি যদি মারা যাই?
বলো কি’ বিঘৎ নাকে দিব খত যা বলো করিব তাহা।’
তখন সকলে বলিল – ‘বাহবা বাহবা বাহবা বাহা!’
নন্দ বাড়ীর হত না বাহির , কোথা কী ঘটে কি জানি,
চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি।
নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে কলিশন হয়,
হাঁটিলে সর্প, কুক্কুর আর গাড়ি চাপা পড়া ভয়।
তাই শুয়ে শুয়ে কষ্টে বাঁচিয়া রহিল নন্দলাল-
সকলে বলিল, “ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চির কাল
আকাশ মালিক এর জবাব:
@ফরিদ আহমেদ,
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘নন্দলাল’ পদ্যটি ছোটবেলায় পড়েছিলাম। পদ্যের প্রথম অংশটুকু এখানে-
নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ –
স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিল, ‘আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল?’
নন্দ বলিল, ‘বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?
আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?’
তখন সকলে বলিল- ‘বাহবা বাহবা বাহবা বেশ।’
নন্দর ভাই কলেরায় মরে, দেখিবে তারে কেবা!
সকলে বলিল, ‘যাও না নন্দ, করো না ভায়ের সেবা’
নন্দ বলিল, ভায়ের জন্য জীবনটা যদি দিই-
না হয় দিলাম, -কিন্তু অভাগা দেশের হইবে কি?
বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখি চারিদিক’
তখন সকলে বলিল- ‘হাঁ হাঁ হাঁ, তা বটে, তা বটে, ঠিক।’
তবে এখানে উল্লেখের প্রাসঙ্গীকতা ধরতে পারিনি, কারণ বোঝতে পারিনি ‘নন্দলাল’ কে বা কারা?
ফরিদ আহমেদ এর জবাব:
@আকাশ মালিক,
ছদ্মনামে লেখার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যে, এই কথাগুলো যিনি লিখছেন, বাস্তবজীবনে আদৌ তিনি এগুলোকে নিজের মধ্যে ধারণ করেন কিনা সেটা নিয়ে আস্থাহীনতা তৈরি হবার একটা সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। ইসলামকে ধুয়ে দেওয়া ব্যক্তি হয়তো বাস্তব জীবনে কোন মসজিদের ইমাম, বালক-বালিকাদের কোরান পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিংবা সমাজে ধার্মিক ব্যক্তি হিসাবে থেকে সম্মানজনক এবং গ্রহণযোগ্য দিন কাটাচ্ছেন। নিয়মিত মসজিদে যান, নামাজ-রোজা করেন, বউ, বাচ্চা-কাচ্চাদের ইসলামের ফজিলত বর্ণনা করেন। আর রাতের বেলা সবাই ঘুমোলে কম্পিউটারের সামনে আসল পরিচয়ের জামা খুলে ক্যাবার্ডে লুকিয়ে রাখা ছদ্ম পরিচয়ের পোশাকটা গায়ে চাপান। সারাদিন ধার্মিক সেজে থাকার রাগ-ক্ষোভ-ঘৃণা উগরে দেন অন্তর্জালে।
আপনারা যাঁরা অনেকদিন ধরে ছদ্মনামে লিখছেন, তাঁরা আমাদের কাছে শুধু একটা বায়বীয় নাম ছাড়া আর কিছুই নন। নন্দ হয়ে নব্বই বছর বাঁচার চেয়ে, বীর হয়ে বাইশ বছর বাঁচাটাও অনেক বেশি বরণীয় এবং স্মরণীয়।
ফরিদ আহমেদ এর জবাব: ( চিন্তা করার আনন্দ- প্রবন্ধে) )
ধর্ম ব্যাশিং এর মত একটা স্থূলরুচির বিষয় মুক্তমনার সাথে আর যায় না। সামনে অবারিত সবুজের হাতছানি রেখে চৌদ্দশ বছর পিছিয়ে গিয়ে ধূসর মরুভুমিতে কারো মলমূত্র খোঁজাটা মেনে নেওয়া আমাদের অনেকের জন্যও কষ্টকর। কিন্তু কথা হচ্ছে যে, আমার আপনার ইচ্ছে অনিচ্ছের সাথে ব্যাশারদের ইচ্ছে অনিচ্ছে মিলবে না। তারা তাদের কাজ করে যাবে। এখন এর থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে আপনাকে আমাকেই এগিয়ে আসতে হবে। বেশি বেশি করে অন্য বিষয়গুলোর উপর লেখা আসতে হবে। এক বা দুজনের উপর ভরসা না রেখে সবাইকেই এই দায়িত্বটা নিতে হবে। মুক্তমনার মুল পাতা ভরে দিতে হবে আনন্দদায়ী সব বৈচিত্র্যময় লেখা দিয়ে। এটা করতে পারলে ব্যাশিং এর লেখাগুলোসহ তাদের বাবা-মা ব্যাশাররাও কোণঠাসা হয়ে যাবে আপনাতেই। সেই সাথে উপেক্ষার নীতি নিলে নিজেরাই তারা সরে যাবে উপেক্ষার অপমান সইতে না পেরে।
(এই মন্তব্যটা আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল কারণ শাফায়াতের লেখাটা ছিল কমপিউটারের নাড়ি-ভুরি নিয়ে, ডিজাইন ও প্রোগ্রামিং নিয়ে যার আগা মাথা আমি কিছুই বুঝিনা তাই লেখাটি মোটেই পড়ি নাই আর ফরিদ সাহেবের মন্তব্যও দেখি নাই।)
অভিজিৎ দা, আমার লেখা কিছু ছবি কিছু জিজ্ঞাসা এবং সাতক্ষীরায় আগুন কেন লেখা দুটো পড়ে একবার দেখুন পাঠকদের প্রতিক্রীয়াটা কেমন ছিল। আমি যদি শাফায়াতের লেখাটা পড়তাম, যদি সেখানে ফরিদ আহমেদের মন্তব্য দেখতাম, যেখানে তিনি পাঠকদের পরামর্শ দিচ্ছেন আমাদের লেখা উপেক্ষা করে অপমান করার জন্যে, কসম প্রকৃতির, লেখা দুটো আমি মুক্তমনায় দিতাম না। এই চিঠিটা আপনার কাছে লিখেছিলাম বেশ কয়েকমাস আগে। চিঠিটার কথা আমি ভুলে যেতে চেয়েছি, মুক্তমনার পরিবেশ ক্যাচালমুক্ত রাখার জন্যে। সম্প্রতি সাইফুল ভাইয়ের একটি লেখায় তিনি আমাকে কপট মুসলিম বিদ্বেষী বলেছেন। আমি তার কাছে কথা দিয়েছিলাম, তার কোন লেখায় মন্তব্য করবোনা, তার কোন মন্তব্যের কাউন্টার দিবোনা। আমি কিছু বলিনি তিনি আগ বাড়িয়ে এসে আমার পায়ে পাড়া দিলেন কেন? নন্দলাল বললেন, মুসলিম বিদ্বেষী বললেন, মানুষের মা-বাবা তুলে কথা বললেন, কেউ তো কোনদিন এ সবের কারণ-প্রমাণ দেখানোর দাবী করলেন না। মানুষকে অপমান করার ফ্রি লাইসেন্স তাকে কে দিল? কে দিয়েছে তাকে মানুষের মা-বাবা তুলে কথা বলার অধিকার?
দশটি বৎসর মুক্তমনায় লেখালেখির পর আমার সকল কষ্ট, লেখা, সাধনা আমার সপ্নকে তিরষ্কার, তাচ্ছিল্য, ইউপহাস করেছেন, আমাকে তিনি নন্দলাল নামে আখ্যায়ীত করেছেন। এই ১০ বছরে যেখানে যাকে পেয়েছি, যে ভাবে পেরেছি, ই-মেইলের মাধ্যমে লেখালেখিতে সাহায্য করেছি, উৎসাহ প্রেরণা দিয়েছি মুক্তমনায় আসার জন্যে লেখার জন্যে। আজ আমার কপালে জুটলো নন্দলাল তিলক। আমি জানি উন্মুক্ত ফোরামে এই আলোচনা নিয়ে আসলে অনেকেই জড়িয়ে যাবে, শত্রুরা হাসবে। আজ মুক্তমনার বেশ কিছু সদস্য চরম বিভ্রান্ত কনফিউজড কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আমি জানিনা মন্তব্য অপশন বন্ধ করে দেয়া উচিৎ কি না। আপনি যেটা ভাল মনে করেন করবেন।
আমি তো ধর্মীয় লেখা ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগেই, ভবঘুরেও লিখছেন না বহুদিন। একবার দেখুন তো গত কয়েক মাসের মধ্যে কয়টা লেখা এসেছে, কে লিখেছে যাকে ইসলাম ব্যাশিং বলা যাবে? একবার পেছন ফিরে মুক্তমনার লেখক লিষ্টের দিকে তাকিয়ে দেখুন পুরাতন সেই সদস্যবৃন্দ কোথায়? আর একবার বিবেচনা করুন মুক্তমনার কতো পার্সেন্ট লেখক ছদ্মনামে লেখেন। আমি তো অনুমান করি ৯০% লেখক হবেন ছদ্মনামের। অথচ ছদ্মনামের লেখকদের মধ্যে শুধুমাত্র ইসলামের ধর্মগ্রন্থ কোরান-হাদিসের সমালোচকদের গলা টিপে হত্যা করা কেন? তাদের লেখা উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে অপমান করা কেন? কেন সম্পূর্ণ ফ্রন্ট পেইজ দখল করে নেয়া? কেন লেখকদের মা-বাবা তুলে কথা বলা। কেন মানুষের দূর্বলতা, অপারগতা, সীমাবদ্ধতা নিয়ে উপহাস করা? মুক্তমনা থেকে মানুষকে তাড়ানোর কেন এই অভিনব পন্থাবলম্বন? তাহলে আমি কি মনে করবো, আমার সাতক্ষীরায় আগুন কেন লেখায় যারা কোন মন্তব্য করেন নি তারা ফরিদ আহমেদের নির্দেশেই মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন?
দাদা, আমার মতো এক ছা-পোষা লেখক, নন্দলাল মার্কা এক দেশ সেবক, ব্লগে না থাকলে ব্লগ হয়তো কিছু হারাবেনা। মুক্তমনার বিরাট বটবৃক্ষের এক ক্ষুদ্র পাতা অকালে ঝরে গেলে বৃক্ষের কিচ্ছুই হয়তো হবেনা, কিন্তু একসাথে যদি অনেকগুলি পল্লব হঠাৎ করে ঝরে পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই গাছটি রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে।
হোরাস ভাইকে কথা দিয়েছিলাম, ঈদে মোবাহিলা নামে একটি প্রবন্ধ লিখবো, বেশ কিছু সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রেখেছিলাম, তা আর এখানে দেয়া গেলনা বলে কিছুটা দুঃখ রয়ে যাবে। আর যে সকল পাঠক বহুদিন যাবত আমার অসমাপ্ত আল্লাহ হাফিজের দেশে সিরিজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্যে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে কথা দিলাম, কিছুটা দিন রেষ্ট নেয়ার পর লেখা দুটো লিখবো, যদিও প্রকাশ হবে অন্য কোথাও।
মুক্তমনার আঙ্গিনায় আমার পদচিহ্নের স্বারক স্বরুপ পুরাতন লেখাগুলো রেখে দিবেন। চিরদিনের সেই আমাকে পাঠক খুঁজে পাবে আমার লেখায়। নতুন রূপে নতুন সাজে নবীণেরা আসবে, আগের মতোই খেয়াতরী বইবে। আমি দূর থেকে কান পেতে শুনবো মুক্তমনার কোলাহল ধ্বনি।
সুদীর্ঘ এক যুগ সময় ধরে যারা আমার সাথে ছিলেন, যে সকল সুহৃদ গুনীজন তাদের মন্তব্য, পরামর্শ দিয়ে, আমার লেখা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে লেখার প্রেরণা যুগিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। এ ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে পারবোনা, তাদের কাছে চির ঋণী হয়ে রইলাম। মুক্তমনার সকল পাঠক লেখক সদস্যবৃন্দের প্রতি রইলো আন্তরিক ভালবাসা ও শ্রদ্ধা। জগতের সকল মানুষ সুখী হউক।
ইতি-
আপনার স্নেহধন্য
আকাশ।
বন্ধু মুক্তমনাকে-
httpv://www.youtube.com/watch?v=5gwVUBi1WzM&feature=related
এই লেখাটা আগে পড়া হয়নি। রুদ্র’র উপর লেখাটা পড়তে গিয়ে এটার কথা জানলাম। এটা ভেবে অবাক হচ্ছি…… মুক্তমণার সুনাম রক্ষার জন্য চিন্তিত মানুষজন যেভাবে আক্রমনাত্মক ভাষায় কথা বলল তাতে মুক্তমনার সুনাম কতটুকু রক্ষা হয়েছে তা ঠিক জানি না, তবে এতটুকু বুঝলাম, সুনাম কিভাবে রক্ষা করতে হয় সে সম্পর্কে ওনাদের নিজেদেরও ঠিক পরিষ্কার ধারনা নাই। আর সেখানেই যত সমস্যা।
@হোরাস, আমারও সেভাবেই লেখাটা চোখে পড়েছে, এবং অনেক পরে। যাইহোক আমি খুব খুশি যে আকাশ মালিক ভাই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। উনার কাছ থেকে ধর্ম সংক্রান্ত আরও লেখা পাব সেটা আশা করি।সেই সাথে আপনার কাছে থেকেও। ধর্ম সংক্রান্ত লেখা পড়ার মাধম্যেই পাঠক হিসাবে আমি প্রথম মুক্ত মনার একটা লেখা পড়ি, আর তারপর থেকেই এই সাইট কে খুব আপন মনে হতে শুরু করে।
@ফরিদ আহমেদ,
‘ক্যাচাল’ পরিহার করা সবসময় সম্ভব হয় না। তবে ‘ক্যাচাল’ অনেক সময় আমাদের নতুন দিকনির্দেশনাও দিতে পারে। আমার মনে হয় আমরা চলমান আলোচনা কে ভিত্তি ধরে কিছু বিষয়ে একটু ভাবতে পারি।
মুক্তমনা একটি অসাধারণ সাইট যা নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করতে পারি। বিশেষ করে অস্থির এই সময়ে মুক্তমনা আমাদের তরুণদের মার্জিত, যুক্তি-নির্ভর আলোচনার যে সু্যোগ করে দিয়েছে তা অত্যন্ত আশার কথা। আজ মুক্তমনা যে চারাগাছ বুনেছে তা একদিন মহীরুহ হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
নিয়মিত লেখকদের ছোট না করেও একথা বলা যায় যে, মুক্তমনার আজকের এই অবস্থানের পেছনে সবচেয়ে বেশী অবদান এর মডারেটরদের যাদের মধ্যে ফরিদ আহমেদ অন্যতম। যেকোন লেখায় তাঁর মন্তব্যের গুরুত্ব অনেকের চেয়ে বেশী; তিনি মুক্তমনার অন্যতম মডারেটর। তাই লেখকরা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমতকে কখনও মুক্তমনার নীতিমালা হিসেবে ধরে নিলেও তাঁদের খুব একটা দোষ দেয়া যায় না। তিনি কোদালকে কোদাল বলেন যা কখনও ব্যক্তিগত আঘাত বলে মনে হতে পারে। তবে একথাও খুবই সত্যি যে ফরিদ আহমেদ কখনও অন্যায়ভাবে তাঁর মডারেশনের ক্ষমতা প্রয়োগ করেননি, তাঁর বিরুদ্ধ মত বা সমালোচনা প্রকাশে বাঁধা হয়ে দাড়াননি।
আমার মতে মুক্তমনার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট এর বিষয়বস্তুর বৈচিত্র। আমি ফরিদ আহমেদের সাথে সম্পুর্ন একমত যে,
সত্যি বলতে কি ধর্ম নিয়ে লেখাগুলো আমি সযত্নে এড়িয়ে যাই। যে বিষয়ে আমি মনস্থির করে ফেলেছি তাতে আর নতুন চিন্তার খোরাক কি? তাছাড়া কখনও কখনও এই লেখাগুলো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে লেখা বলেও মনে হয়। তবে ধর্ম বিষয়ে লেখাগুলো নিয়ে আমার মতামত দেয়া আর একজন মডারেটরের মতামত দেয়ায় পার্থক্য আছে। আমার মনে হয় খোলাখুলি একজন মডারেটরের এধরনের লেখা নিরুৎসাহিত করে মতামত দেয়ায় মনে হতে পারে এটি মুক্তমনার বর্তমান নীতি। এতে করে মুক্তমনার পুরানো লেখকরা যারা কেবল ধর্ম নিয়েই লেখেন, নিজেদের অবাঞ্ছিত ভাবতে পারেন। এবিষয়টি খোলাসা করা মুক্তমনার স্বার্থেই প্রয়োজন।
কে কোন বিষয়ে লিখবেন এটি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তারপরও বলছি যারা ধর্ম নিয়ে লেখেন মেধা বা যুক্তির প্রয়োগে তাঁরা কারও চেয়ে কম নন; তাঁরা চাইলেই তাঁদের পছন্দের অন্য বিষয়ে লিখেও আমাদের সমানভাবে আলোকিত করতে পারেন বলেই আমি মনে করি।
সব বিষয়ের নতুন, পুরানো লেখক সহ মুক্তমনার সবার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
@মনজুর মুরশেদ,
আর এ জন্যই ইসলামী মৌলবাদীরা ফুঁসে ওঠে আর বুক ফুলিয়ে চলে আর বলে যে ঐ দেখ আল্লাহর শত্রুদের আল্লাহ থামিয়ে দিয়েছেন। যদি কেউ ধর্ম নিয়ে লেখা সযত্নে এড়িয়ে যায় , তবে আমার মতে মতে তাদের কোনদিনই সেইসব লেখা লেখি করাটা উচিত ছিল না। এটা আমি সবার কথাই বলছি। আর ধর্ম ব্যাশিং বলে যে একটা রব উঠেছে মুক্ত মনাতে তার প্রতিবাদ জানিয়ে বলছি যে ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করেই মুক্ত মনার যাত্রা শুরু হয়ে ছিল। মুক্ত মনার বেশিরভাগ মননশীল পাঠক আসেন ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করা লেখাগুলি কে পড়তে কাজেই কোনভাবেই সেগুলো স্থুল লেখা বলা চলে না।আর খোদ মুক্ত মনাতে যদি আজকাল এইসব কথা শুনতে হয় তবে মনে হয় যে অনেক কিছুই বদলে গেছে এখানে। বিবর্তন খুবই ভাল জিনিস, তবে বানর থেকে মানুষ সেখান থেকে যদি অতিমানব চলে আসে তবেই বিপদ।
@অচেনা,
আমার যা পড়তে ভাল লাগে তাই পড়ি। ধর্ম নাই, তাই ধর্মের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগও নাই। কোরান হাদীসের বয়ানসহ ধর্ম নিয়ে লেখাগুলো এখন আর সেভাবে টানে না। তবে আমি না পড়লেও অন্য অনেকেই তো পড়েন; তারাই যথেস্ট।
আমার কাছে বিজ্ঞান, রাজনীতি, ইতিহাস, আত্নকথা আর ভ্রমনকাহিনী বেশী ভাল লাগে। আবার অনেকে হয়তো শুধু ধর্ম নিয়ে লেখাই পড়তে ভালবাসেন। যার যা ভাললাগে লিখবেন বা পড়বেন, কার কি বলার আছে?
মনে হচ্ছে বিবর্তনের লেখাগুলো খুব একটা মন দিয়ে পড়েন নি :))
@ আকাশ মালিক
মুক্তমনায় এটা আমার প্রথম মন্তব্য। জানিনা আমার এই মন্তব্য প্রকাশিত হবে কিনা।
আমি এই ব্লগে প্রথম এসেছিলাম আপনার লেখা পড়েই। আমি অনেক কিছু শিখেছি সেখান থেকে, সে কারনে আমি আপনাকে আমার একজন শিক্ষক মনে করছি। আপনার এই মানসিক কষ্টে আপনার সাথে এক দুজন ছাড়া যে কেউ নেই, খুব ব্যাথিত করছে ব্যাপারটা। আপনার একজন পাঠক হিসাবে আমি লজ্জিত বোধ করছি উপরের কিছু মুক্তমনাদের মন্তব্যে। মুক্তমনা ছেড়ে গেছেন এমন আপনি হয়ত প্রথম না। তবে আপনি যে মুক্তমনার একজন অ্যাসেট ছিলেন, নির্দ্বিধায় তা বলা যেতে পারে। আমার পরিচিত অনেক পাঠকই তা বলেবেন। আমি আপনার লেখা অনেকের সাথে বহুদিন ধরেই শেয়ার করছি।
যারা বয়সে তরুন তাদের কথা বাদই দিলাম। কিন্তু যারা প্রতিষ্ঠিত, যাদের তরুন ভক্তরা তাদের বাংলাদেশের দিক নির্দেশক ভাবেন তাদের মন্তব্য বিস্ময়করভাবে হিংস্র আর উন্নাসিক। একজন নিয়মিত লেখকের প্রতি এধরনের আচরন অবাক করলো। মুক্তমনায় ভব্যতা বহির্ভুত মন্তব্য নতুন নয়, বড়রা তো বটেই, তরুনদের উৎসাহিত করা হচ্ছে পরোক্ষভাবে। এখানকার নেতৃত্ব স্থানীয়রা তা প্রতিপালন করছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। সমস্যাটার সমাধান না করে উন্নাসিক প্রতিহিংসার আগুনে ঘি ঢালার কাজটাই করে আসছেন। কিভাবে এখানকার লেখকরা যারা এজাতীয় মন্তব্য করেন নিজেদের মুক্তমনা দাবী করেন, সেটা বিস্ময়কর। যারা এসব আচরন না বুঝেই অনুকরণ করছেন তাদের জন্য আমার অনুরোধ, মুক্তমনা শব্দটা আগে বোঝার চেষ্টা করুন।
যারা ধর্ম নিয়ে লেখেন, এবং যাদের পরিবার আপনজন এখনও যুক্তরাষ্ট বা কানাডার মত দেশে বাস করেননা, তাদের জন্য ছদ্মনাম এখনও পরিহার করা সম্ভব না। তারপরও এই যুগে চাইলেই যে কারো ঠিকানা খুজে বের করা সম্ভব। ছদ্মনাম গ্রহন করা একজনের ব্যক্তিগত অধিকার। যিনি লিখছেন, তিনি তার লেখার স্বত্ত্ব দাবী করছেন না প্রকৃত নামে, এটাই কি বড় না। তাকে কেন বিচারের সামনে দাড়াতে হবে, তার চরিত্রগত বৈশিষ্ট নিয়ে। এখানে যা প্রকাশ হচ্ছে সেটাই কেন একজন লেখকের জন্য যথেষ্ট না। কেন আমরা তীর্যক মন্তব্যর সাথে তার সম্বন্ধে ধারনা পোষন করে নেই। মুক্তমনায় এর অভাব নেই। এটাই এখানকার প্রতিষ্ঠিত অনেকের বিচিত্র মানসিকতা। জানিনা তার কি উদ্দেশ্যে এসব করেন, নিজেদের হয়তো ভিন্ন কিছু মনে করেন। এবং এরা দলবদ্ধভাবেই আক্রমন করতে পছন্দ করেন। মুক্তমনার এই চরিত্রটা কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখার মানসিকতা মুক্তমনের পরিচয় না।
আপনি অনায়াসেই ব্যক্তিগত ব্লগ এ লিখতে পারেন। আপনার পাঠকরা আপনাকে খুজে নেবেন একথা নিশ্চিৎ। আপনার আরো নতুনে লেখার অপেক্ষায় রইলাম ( যেকোন জায়গায়)।
একজন লেখকের জন্য আত্মসন্মানবোধটাও খুব জরুরী, আত্মসন্মানবোধছাড়া কেউ মুক্তমনা হতে পারে কিনা আমার জানা নেই। এই পরিস্থিতিতে আপনার স্পষ্ট অবস্থান আপনি যে প্রকাশ করেছেন ব্যাক্তিগত ক্ষতির শঙ্কা উপেক্ষা করে, সেজন্য আপনার প্রতি সহমর্মিতা আর শ্রদ্ধা রইল।
– মিলন, নর্থ ইয়র্ক, টরোন্টো।
আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি একটা লেখা পোস্ট করবেন। একজন লেখকের লেখনী সত্ত্বার চেয়ে বড় আর কিছু নেই। আপনি সত্যিই যদি লেখতে ভালোবাসেন তাহলে বেশি দিন এর থেকে দূরে থাকতে পারার কথা না।
আপনি স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন লেখক। অন্য অনেক জায়গাতেই আপনাকে লেখক হিসবে পেলে খুশি হবে। কিন্তু, সাথে সাথে এটাও ঠিক যে মুক্তমনায় লেখক-মন্তব্যকারীরা যে স্বাধীনতা উপভোগ করেন সেটা খুবই দুর্লভ। আমি নিশ্চিত, আপনি লিখতে শুরু করলে, যাদের কাছ থেকে হয়তো কিছু রূঢ় কথা শুনেছেন, তারাই সবার আগে আপনাকে অভিনন্দন জানাবে। ঠিক এ-জায়গাটাতেই মুক্তমনা পার্থক্য তৈরি করতে পেরেছে।
অনেকেই আপনাকে লিখতে অনুরোধ করছেন। আর, কথা বাড়ানো ঠিক হবে না। ভালো থাকুন, লিখতে থাকুন।
@মইনুল রাজু,
আপনার এতো সুন্দর মনকাড়া আহবান আকাশ মালিক যেনো এড়াতে না পারেন। সেইদিনের অপেক্ষায় আছে তার অনেক ভক্ত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মইনুল রাজু।
@মইনুল রাজু, আপনি দেখতেছি মিথ্যা উৎসাহ দিতে বেশ পটু, :-s
@বেয়াদপ পোলা,
এই লেখাটা আমার আজ চোখে পড়েছে। তাই কোন মন্তব্য করা সমীচীন মনে করি নি কারণ সমস্যটা মিটে গেছে , আর আকাশ মালিক ভাই এখানে থেকে গেছেন। কিন্তু আপনার ঘাড় ত্যাড়া কিছু মন্ত্যব্য পড়ে আর চুপ থাকতে পারলাম না।
শুনুন, কাউকে উপদেশ দেয়া আমার স্বভাব না, তবু আপনাকে একটা ফ্রী উপদেশ দেই। দয়া করে নিজের নিকটা চেঞ্জ করুন। ওই নিকটা আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তুলছে। আপনাকে আগেও অনেকবার মন্ত্যব্য করতে দেখেছি, যেগুলোর বেশিরভাগই আপনার ছদ্মনামের মতই বিরক্তিকর।
এই লেখায় আপনার বহুদিনের জমানো ক্ষোভ যেমন বের হয়ে এসেছে, তেমনি পাঠকদের অসস্তি এবং বিরক্তবোধও বের হয়ে এসেছে। আমি উভয় পক্ষের কাছেই এমনটি আশা করি নি। দুঃখিত হলাম। আকাশ মালিক ভাই, আপনাকে একটি কথা ব্যক্তিগত ভাবে বলতে চাই। আমি নিজে যখন বিশ্বাস অবিশ্বাসের সীমানায় টালমাটাল ছিলাম, আপনার লেখা, বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়ক মন্তব্যগুলো আমাকে ধীর স্থির চিন্তা করতে সহায়তা করেছে। এই জন্য আপনার কাছে বরাবর কৃতজ্ঞ থাকবো। অভিমান তো সবারই হয়, কখনো যৌক্তিক, কখনো অযৌক্তিক। আপনার অভিমান কেন কিসের জন্য আমি আশা করি যথাযথ ভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনারা সমাধান করবেন। কিন্তু আপনার মুক্তমনা ত্যাগ জাতীয় কথা খুব অযৌক্তিক লাগছে। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি, এখানে আপনার দেবার আছে আরো অনেক কিছু। এরকম একটা খোলা চিঠি হলো একটা কাঁটা জায়গার ব্যান্ডেজের মত, যেটা হঠাৎ করে টেনে তোলা হয়েছে। যা হবার হয়ে গিয়েছে। এটা নতুন করে লাগানো যাবে না। একটু সময় দিলে ক্ষত ঠিক হয়ে যাবে। আপনি সময় দিন। আমি আশা করবো অন্যরা আপনার খোলা ক্ষততে গুঁতো না দিক। মুক্তমনা একটি ভার্চুয়াল পরিবার। যদিও খুব গুরগম্ভীর পরিবার। আমি একজন নবীন সদস্য হিসেবে সবাইকে অনুরোধ করব… যুক্তির খাতিরে ইমোশনকে অগ্রাহ্য করবেন না। take a chill pill. কোন পরিবারে একটু আধটু মনোমালিন্য হয় না!
আপনি মুক্তমনা ছেড়ে যাবেন না।
আপনার লেখা পড়ার জন্যই মুক্তমনার সাথে থাকা ।
ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে পাঠকে লেখা থেকে বঞ্ছিত করবেন না বলেই আশা করি।
উনি তো ঠিক এ বলেছেন,
নিজের ঢোল নিজে পিটানো হয়ে গেল নাহ?
@বেয়াদপ পোলা,
আপনার নামটি ত স্বনাম। তাইনা?
@তামান্না ঝুমু,
আপনার সাথে সহমত- (Y)
ভেবেছিলাম এখানে আর কিছু বলবোনা। কিন্তু, না বলেও পারছিনা, যারা ছদ্ম নাম নিয়ে লাফালাফি করছে তাদের ক’জনের নাম আসল সেটাও দেখার ব্যপার।
যেমন এই ভদ্রলোক বেয়াদপ পোলা কী রুচিহীন নাম। আবার অন্যকে দোষারোপ করছেন।
@আফরোজা আলম,কিছু না বুঝে আন্দাজে হুট করে কি একটা মন্তব্য করে বসলেন যার সাবজেক্ট আছে কিন্তু ভার্ব নেই । দয়া করে লেখা বুঝে মন্তব্য করতে শিখুন, নয়ত লোকে পাগল বলবে । 😛
চেঁচিয়ে বলছি- (ধরে নিন, হাতে মাইক নিয়ে বলছি) – আমি এখানে মন্তব্য করা মানে আকাশ মালিক, ফরিদ আহমেদ এবং অভিজিৎ এই তিনজন ব্যক্তির সাথে না প্রমাণ হয় আমার বন্ধুত্ব, না প্রমাণ হয় আমার শত্রুতা, না প্রমাণ হয় কোন একজনের সাথেও আমার ঘনিষ্ঠতা।
আকাশ মালিক রাগের মাথায় বলেছেন কিনা, প্রমাণ পেয়ে বলেছেন কিনা, অনুমান করে বলেছেন কিনা, সেসবে না গিয়ে আমি শুধু তিনি যে ভাবনা হতে কথাটা বললেন সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে কথাগুলো বলছি, কারণ হয়তো নিচের কথাগুলো তাঁর শোনাটা যততা না জরুরী, তারো বেশি জরুরী অন্যান্য কিছু “মুক্তমনা”র কর্ণগোচর হওয়া।
(মাইক বন্ধ)
লজ্জা জনক নয় কি? মুক্তমনায় এসে নিজেকে ব্যাখ্যা করা? উপরের কথা গুলো চেঁচিয়ে বলার কারণ? কারণ চেঁচিয়ে না বললে কিছু “মুক্তমনা” আমার মন্তব্য খুঁটে খুঁটে তদন্ত করে বের করতে চাইবেন আমি কার পক্ষে বললাম, বেশি স্মার্ট বলে দুয়ে দুয়ে চার করবেন তারা, আমার সম্পর্ক কোন সদস্যদের সাথে, তারপর উপসংহারে পৌঁছুবেন কেন আমি এভাবে লিখলাম… অর্থ্যাৎ আমার নিজস্ব কোন চিন্তা ধারা থাকতে পারেনা। আমার ভেতর হতে কোন অনুভুতি নেই, মতামত নেই, কেউ একজন আমায় বলে দেবে, dictate করবে কোথায় মন্তব্য করতে হবে, কোথায় মন্তব্য করা হতে বিরত থাকতে হবে,…কোথায় ভালো কথা বলতে হবে ইত্যাদি। যারা এভাবে অন্য একজন মানুষের নিজস্বতা, (সে হোক অতিথি লেখকের, হোক নিয়মিত সদস্যের) মৌলিকতা আর স্বত্তা কে অস্বীকার করে নিজেদের সংকীর্ণ ভাবনায় মশগুল, তারা নিজেদের মুক্তমনা বলে দাবী করার আগে দশ বার লজ্জা পাওয়া উচিত। কতবড় অপমান একজন স্বাধীন চিন্তার মানুষের জন্য যখন একদল মানুষ ধরেই নিচ্ছে এর গুটি নাড়ছে আরেকজন!
ঠিক আমাদের মধ্যবিত্ত ঘরের বাবা মায়ের মতন…”তুমি ওই ছেলের/মেয়ের সাথে মিশে খারাপ হয়ে যাচ্ছ,” “তুমি এই জিনিসটি ওর কাছ হতে শিখেছ…” সন্তান বড় হবার পরও, মা বাবা অনেক বয়স্ক হবার পরও তাদের মাথায় এটা ঢুকানো কষ্টকর যে…”আমার নিজস্ব চিন্তা, মন আর মস্তিষ্ক দ্বারা আমি চালিত…”। মুক্তমনার যেসব সদস্য ওভাবে ভাবেন দেখা যাবে এই মানুষগুলো ব্যাক্তি জীবনেও ঠিক ততটাই সংকীর্ণ। এই হোল মুক্তমনার নমুনা। অনেক দেখলাম।
এ মন্তব্যে তাদের সকলের প্রতি ধিক যারা কম্পিউটার বন্ধ করে আজেবাজে কথা বলেন, আজেবাজে কথা ছড়ান, এবং নোংরা সংকীর্ণ চিন্তায় নিজের মাথা ব্যস্ত রেখে মুক্তমনার এসে সুর করে কথা বলে একজন লেখক, কবি, শিল্পী অথবা সমালোচক হয়ে যান।
ধার্মিক হওয়া যেমন ভীষণ কঠিন, নাস্তিক হওয়া যেমন কঠিনতর, তেমনি মুক্তমনা হওয়াটা অনেক অনেক অনেক দুরের ব্যাপার। এটা শুরু হয় দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তায় আর কাজেকর্মে। বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত সার্টিফিকেটে নয়, মুক্তমনায় লিখার মাধ্যমেও নয়। নিজেদের নোংরা মন আগে ঠিক করুন, দৃষ্টির সংকীর্ণতা দূর করুন, তখনই অনুভব করবেন মুক্তমনা শুধুই একটি শব্দ নয়, একটি চর্চা আর নিজস্বতা।
সাধারণত আমি যে কোন বির্তক এড়িয়ে চলি। চুপচাপ পড়ে থাকতে পছন্দ করি। আপনি আমার অন্যতম শ্রদ্ধেয় লেখক। আপনার এই কঠিন সিদ্ধান্তে আমি বেশ অবাক হয়েছি। চুপ মেরে পড়ে থাকা সম্ভব হয়নি আর। মুক্তমনার যে কজন পুরানো সদস্য আছে আপনি তাদের একজন।ভক্ত সংখ্যাও কম নেই আপনার। যে আপনি হাজার বছরের গড়ে উঠা বিশ্বাসের দেয়াল মূহুর্তে গুড়িয়ে দিতে পারেন, সমালোচনা করে এফোড় ওফোড় করতে পারেন ধর্ম ভূবনে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের, লেখার দোলায় আন্দোলিত করতে পারেন পাঠক হৃদয় সেই আপনি কিনা দু’এক জনের কথার বান উড়িয়ে দিয়ে স্বমহিমায় বিচরণ করতে অক্ষম মুক্তমনায় তা যেন মানতে পারছি না কিছুতেই।
চিন্তার ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক, এক জনের কাছে যা গ্রহনীয় অন্য জনের কাছে বর্জনীয় এতো চরম সত্য। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনার লেখার স্বাধীনতায় কেউ তো হস্তক্ষেপ করে নি। তাছাড়া আপনার লেখার উদ্দেশ্য বহু পাঠকদের নিমিত্তে। দু’ একজনের জন্য নয়।
আপনি প্রবীণ ব্যক্তি, আপনাকে বুঝানোর সাধ্য আমার নিতান্তই সীমিত। তারপরেও এই অধমের বিনীত অনুরোধ আপনার সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করুন, ভাবুন আরেক বার, থেকে যান মুক্তমনা পরিবারে।
আমি এক জন মুক্তমানার নবীন পাঠক, আরুজ আলী মাতুব্বরের জীবনী পড়তে গিয়ে মুক্ত- মনা আমার নজরে আসে। দু এক টি প্রবন্ধ পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। দশ বছর বিদেশে থাকার ফলে বাংলা লিখতে পড়তে প্রায় ভুলেই যাচ্ছিলাম।মুক্ত-মনা আমার মাজে নতুন প্রানের সঞ্চার করে।দিনে একবার মক্ত-মনা না পড়লে শান্তি পাইনা। আজ আকাশ মালিকের চিঠির কারণে, কাঁদা ছোড়াছুড়িতে কিছুটা হতাশ হলা্ম এক জন হুমকি দিচ্ছে, অন্য জন মন্দ ভাষায় কথা বলছে, একটা গুমট আবহ তৈরী হচ্ছে, যা মুক্ত-মনায় মোটেই কাম্য নয়। মুক্ত মনার নিকট আমার জানার? চিঠি টি প্রকাশ হল কি করে? কোন লেখা প্রকােশর ব্যাপারে সম্পাদক এর কোন নিয়নত্রন আছে কিনা? থাকলে দু জন লেখকের ব্যক্তি গত সমস্যা প্রকাশে উপকার কতটুকু? আর আকাশ মালিকের নিকট জানার ? দু এক জন ব্যাক্তির সমালচনার কারনে লেখালেখি ছেড়ে দিতে হবে তা কি বুদ্ধিমানের কাজ? আপনি কি বিতর্ক করতে ভয় পান? আমরা জেনেছি, বিতর্ক বিষয় বস্তুকে মজবুত করে, আমরা দু একটি ঐতিহাসিক বিতর্ক এর কথা জানি, লেনিন-টটস্কি, ক্রুচ্ছেব-মাও, এডিংটন-চন্দ্রশেখর,তাঁরা কি কেউ তাঁদের কাজ ছেড়ে দিয়ে ছিলেন? আপনারা ভাল ভাল লেখা দিয়ে আমাদেরকে আলোকিত করুন। মুক্ত-মনার সকলকে ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন। (F) (F)
আকাশ দাদা,
মনোমালিন্য ত মানুষের আপনজনের সাথেই হয়ে থাকে। মান-অভিমানও হয়ে থাকে। অভিমান একসময় ভেঙেও যায়। কোনো অভিমান কি চিরস্থায়ী হতে পারে? অভিমান করে কি সবাইকে ছেড়ে চিরতরে চলে যেতে হয়?
আজ সারাদিন বাড়িতে ছিলাম না। ডাক্তার মেহমান এই নিয়ে বাইরে ছিলাম। এসে দেখি এই অবস্থা।
সমস্যার শুরুটা কোথায়? আকাশ মালিক যে অভিযোগ করে গেলেন তার সত্যতা ব্লগের স্বার্থেই খুঁজে
দেখার প্রয়োজন আছে। ফরিদ আহমদের মন্তব্যগুলো তো লুকনো কিছু নয়, সে গুলো আগেই ব্লগে প্রকাশ হয়েছে। আলোচনা করতে হলে সেই মন্তব্যগুলো সঠিক ছিল কি না তা জানতে হবে। আমার বহুদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ব্যক্তি বিদ্বেষ ছড়ানো, কটুক্তি, তীর্ষক বাক্য, নিজের থেকে আগ বাড়িয়ে মানুষের পায়ে পাড়া দিয়ে কথা বলা, ব্যক্তি আক্রমন বা ক্যাচাল শু্রুটা তো করেন ফরিদ আহমদ। আমরা চোখ বুঁজে তা মেনে নিই বলেই আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় আকাশ মালিকও ফরিদ আহমদকে অন্ধভাবে সমর্থন করতেন। পাঠকদেরকে মন্তব্য করা থেকে বিরত রাখার জন্যে উস্কানি দেয়া, সহ ব্লগারদেরকে নানা বিশেষণে ডাকা, কটাক্ষ করা, কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে অপমান বা আঘাত করা, একজন মডারেটরের কাছ থেকে আশা করা যায়না। এ ভাবে চলতে থাকলে, আকাশ মালিক কারণ দর্শায়ে চলে গেছেন, অন্যরা নীরবে চলে যাবে। আকাশ মালিক চলে গেছেন, শেষ গানটা ইঙ্গিত করে, হয়তো আর কোনদিন ফিরে আসবেন না, কোন মন্তব্য করবেন না।
@আকাশ মালিক,
আমার মনে হয়,ছদ্মনামে যে কেউ লিখতেই পারে।এ নিয়ে কোন সমস্যা আছে বলে মনে হয় না।
আর আপনার লেখা আমার ভালো লাগে বলেই বলছি, কি কি বলল তাতে কি আসে যায় !! আমরা অনেক সময় বন্ধুদের নাম ধরে ভেংচাই।বন্ধুটি যত রেগে যাই আমরা তত বেশি ভেংচাই।তাই এসব ভেংচানিতে পাত্তা না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আশা করি অভিমান রেখে আপনার লেখা আবার গরম গরম ডাল-ভাতের মত উপভোগ করতে পারব। 🙂 🙂 🙂 🙂
আকাশ মালিক ভাই মুক্তমনা ছেড়ে যাবেন না বলেই আশা করছি।
ছদ্মনামে লেখা উচিত না সিরিয়াস প্রবন্ধ। ছদ্মনামে সাহিত্য চলতে পারে। এতে লেখাটাই ফালতু হয়ে যায়। এই দিক দিয়ে আমি ফরিদ আহমেদের কথাকে সমর্থনই করব।
আর মডারেটর হিসাবে ফরিদ ভাই এর খোঁচা মারার অভ্যেসটা কমালে ভাল হয় :lotpot: মানে খোঁচা আমরা সবাই মারি-কোন মডারেটর মারলে-সেটাকে লোকে একটু বেশী গা করে :hahahee: সেটা বরাবরের জন্যেই সংবেদনশীল।
@আকাশ মালিক
সাধারণত কোন লেখায় কান্নাকাটির সম্ভাবনা দেখলে সেটা সযত্নে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনার লেখার নাটকীয় হেডিংটা দেখে মনে বড়ই আশা হয়েছিল যে আপনি হয়তো এখানে ফরিদ আহমেদের ‘জামাতি সংশ্লিষ্টতার’ প্রমাণটা দিয়ে যাচ্ছেন, সেজন্য লেখাটা পড়েই ফেললাম। কিন্তু বড়ই হতাশ হয়ে দেখলাম যে, আপনি সেই পুরোনো চিঠিটাই (যেটা মাসখানেক আগে আপনার বন্ধুদের মধ্যে সার্কুলেট করেছিলেন) আবার ব্লগে পোষ্ট করেছেন। পোষ্টের বিষয়বস্তু এবং ছদ্মনামের ব্যাপারে অভিজিৎ এর সাথে একমত, নীলিম এবং নীল রদ্দুরের সাথে মুক্তমনার পরিবেশ নষ্টের ব্যাপারটাতে এবং ভবঘুরের সাথে বনের মোষ তাড়ানোর ব্যাপারটাতেও একমত (অনেকেই বিজ্ঞানের লেখা নিয়েও কটাক্ষ করেন, তাতে কী আমরা লেখা থামিয়ে দেব?), তাই সেগুলোর আর পুনরাবৃত্তি করলাম না। তবে আমিই যেহেতু আপনাকে সাইফুলের পোষ্টে শেষ প্রশ্নটা করেছিলাম, এবং আপনি উত্তরটা দেবেন বলে প্রমিসও করেছিলেন, তাই রেকর্ডটা ঠিক রাখার জন্য আরেকবার এখানেও করছি,
মুক্তমনার মডারেটর ফরিদ আহমেদকে যে আপনি ‘জামাতি’ বলে ঘোষণা দিলেন সেটার প্রমাণ কই?
গত দুইদিন ধরে তিনবার করে জিজ্ঞেসা করার পর উত্তরটা না পেয়ে এখন দুটো সম্ভাবনার কথা মনে হচ্ছে। হয় আপনি ফরিদ আহমেদের প্রতি পূর্ব নির্ধরিত রাগবশত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মিথ্যা গুজবটা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন অথবা রাগের মাথায় কিছু না ভেবেই ‘মহান’ কুলদার গার্বেজ এ্যমোটা ব্যবহার করে ফেলেছিলেন। কোনটা ঠিক সেটা জানিয়ে গেলে বাধিত হতাম।
উঁহু, মানুষের বাবা-মা তুলে আমি কোনো কথা বলি নাই। আপনি খামোখা এটা বলে মানুষের কোমল আবেগের জায়গাতে খোঁচা দেবার চেষ্টা করছেন রস বের করবার আশায়। আমার মন্তব্যটাতে বাবা-মা শব্দ দুটো আছে, আর ওটা দেখেই ভুল ব্যাখ্যা আপনি করেছেন। এর দুটো কারণ হতে পারে। এক, আপনি আমার মন্তব্যটা একেবারেই মনোযোগ দিয়ে পড়েন নি। আমার প্রতি আপনার পূর্ব নির্ধারিত রাগ ক্ষোভের কারণে আপনি যেভাবে আমার বক্তব্য দেখতে চান সেভাবেই দেখেছেন। দুই, আপনি সচেতনভাবে ইচ্ছা করে এই বিকৃতিটা ঘটিয়েছেন লোকজনের সহানুভূতি পাবার আশায়। কারণ, আমাদের সংস্কৃতিতে বাবা-মা আমাদের কাছে খুব স্পর্শকাতর একটা বিষয়। কাউকে চরমভাবে চটাতে গেলে বা অপমান করতে হলে আমরা বাবা-মা তুলে কথা বলি।
আসুন দেখি আমার মন্তব্যে আমি কী বলেছিলামঃ
আমার এই আলংকরিক ভাষায় করা মন্তব্যে তাদের (লেখাগুলোর) বাবা-মা বলতে লেখাগুলোর বাবা-মা অর্থাৎ লেখক-লেখিকাদের বুঝিয়েছিলাম, লেখক-লেখিকাদের বাবা-মাকে নয়। আপনি পুরো লাইনের অর্থ বাদ দিয়ে ওই বাবা-মা শব্দ দুটোকে চেরি পিক করেছেন।
কারো সাথে তর্কযুদ্ধ করতে গেলে, আমি তাঁর সাথেই তর্কযুদ্ধ করার সক্ষমতা রাখি, তাঁর বাবা-মাকে অহেতুক টেনে আনার কোনো প্রয়োজন পড়ে না আমার।
আশা করবো যে, আপনার এই ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুলটা শুধরে নেবেন আপনি।
এ বিষয়ে কোন কথা বলব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু অগত্যা সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হলো।
প্রথমত: সে সব ব্যক্তি মনে করেন যে ছদ্মনামে লেখা কাপুরুষের কাজ এটা তার ব্যক্তিগত মতামত হিসাবেই আমি গণ্য করি। আমরা এমন দুনিয়াতে বসবাস করি যেখানে বাক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়ে কথার তুবড়ি ওড়াই। এ অধিকারে ধর্মবাদিরা অবাধে তাদের অন্ধত্ব ও কুসংস্কার মানুষের মধ্যে প্রচারের সুযোগ পায় ও তা করে থাকে, কেউ কিন্তু তাদেরকে দাবড়ায় না। পক্ষান্তরে এসব অন্ধত্ব ও কুসংস্কারের বিপক্ষে কথা বললে হয়ে যায় বিশেষ কোন ধর্ম ব্যাশিংকারী ও তার সঠিক পরিচয় জানা থাকলে বাস্তবে তার জীবন হানির সমূহ সম্ভাবনা থাকে তার জ্বলন্ত প্রমান- হুমায়ূন আযাদ, তসলিমা নাসরিন, সালমান রুশদী। আর এ জীবন হানি কারা করতে চায় সেই লোকগুলো যারা বাক স্বাধীনতার সুযোগে অন্ধত্ব ও কুসংস্কার প্রচার করে তারাই। অর্থাৎ বিষয় দাড়ালো বাক স্বাধীনতা হলো শুধুমাত্র অন্ধত্ব ও কুসংস্কার প্রচারের অবাধ সুযোগ । এমতাবস্থায় যারা ছদ্মনামে লেখার সমালোচনা করেন তাদের মনের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েই যায়।
দুই: মনের ক্ষোভ থেকে আকাশ মালিক ভাই তার শেষ চিঠি লিখেছেন। কোন কোন লেখায় ফরিদ ভাই আমাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি দেখেছি। কিন্তু বিষয়টা আমি এড়িয়ে গেছি। একারনে এড়িয়ে গেছি যে তার কারনে আমার লেখা কখনো প্রকাশ বন্দ থাকেনি, সুতরাং তার সাথে এসব সামান্য বিষয় নিয়ে বাদানুবাদকে আমি অপ্রয়োজনীয় মনে করেছি। আমার আসল লক্ষ্য হলো- মানুষের মধ্যে আলো বিতরণ, তাদেরকে প্রকৃত তথ্য প্রদান। সব সময় হয়ত সেটা হয়ে ওঠে না, হয়ত অনেক সময় তথ্যের গড়মিল থাকে , বিকৃতিও থাকতে পারে। কিন্তু সেটা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত। কারন যেসব লেখা আমি লিখি তা লিখতে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়, সব সময় সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এখানে লিখে পয়সাও পাওয়া যায় না। সুতরাং এসব সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে লিখতে হয়। অনেকটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত। তাই সব সময় গুণগত মান বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এ সুযোগে কেউ কেউ কটাক্ষ করতেও পারে, আশ্চর্য কিছু নয়। কিন্তু সে গুলোকে আমি এড়িয়ে যাব এ ভেবে যে- যারা কটাক্ষ করছে তারা হয়ত চায় আমার লেখার ব্যঘাত ঘটাতে যা প্রকারান্তরে আমার যে মহতী উদ্দেশ্য সেটাই ব্যহত করা। আমি কেন তাদের এহেন ফাঁদে পা দেব ?
সুতরাং , আকাশ মালিক ভাই কে বলছি, ফরিদ ভাই কি মন্তব্য করল না করল তাতে কি যায় আসে? আপনার লেখা প্রকাশে তো কোন ব্যত্যায় ঘটে না কখনো। সুতরাং তার করা মন্তব্যকে এড়িয়ে গেলেই তো হয়। তাছাড়া আপনিও তো তাকে জামাতি বলেছেন , সুতরাং শোধ বাদ। মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে ছোট খাট অনেক বিষয় এড়িয়ে যেতে হয়। পাছে লোকে কিছু বলবেই। এ শুনে পিছিয়ে গেলে তো নিজেরই পরাজয় ঘটে গেল। তাই আকাশ মালিক ভাইকে তার সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করার জন্য জোর অনুরোধ করছি। আশা করি , পরাজিত নায়ক হবেন না।
না,আপনি মুক্তমনায় লেখা ছাড়বেনা।আপনার পুরাতন প্রবন্ধ হতে,আমরা এখনো অনেক মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োগ করে থাকি।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিকঃ
আপনার লেখাটি যদিও অভিজিৎ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে কিন্তু মুক্তমনায় প্রকাশের ফলে আমাকেও পড়তে হলো।লেখাটি পড়ে আমার দু ধরণের অনুভূতি হচ্ছে।এক, আপনি বোধহয় নিজেকে খুব হালকা করে ফেললেন।দুই,এখন মুক্তমনায় হয়তো নানারকম তর্ক বিতর্ক কাঁদাছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যেতে পারে।দ্বিতীয়টি বেশ আশংকার কথা। মুক্তমনায় যারা অনিয়মিতভাবে লেখে তাদের মধ্যে আমি একজন।আমার লেখায় খুব কম কমেন্ট পড়ে;এর কারণ হচ্ছে আমি তেমন পড়াশুনা করে লিখি না;ফলে আমার লেখা খুব একটা গুরূত্ব বহন করে না-এটা আমি বুঝি।কই, আমি তো এরকম কথা কল্পনায়ও আনতে পারি না যে কেউ বা কোন গোষ্ঠী মিলে সিদ্ধ্বান্ত নিয়েছে যে আমার লেখায় কমেন্ট করবে বা করবে না।আপনি একজন প্রবীণ লেখক।আপনার এরকম বালখিল্যতা করা উচিৎ হয় নি
কি আর বলবো ?মুক্তমনা কে আর আগের মত পাচ্ছি না,আমি একজন সাধারন পাঠক দিনে ৩থেকে ৪টা ব্লগে ঘোরাঘুরি করি।কিন্তু মুক্তমনা মনের দেয়ালে কিছুটা স্পেশাল হয়েই থাকে।আমি জানি মুক্তমনা আমাকে কি দিয়েছে। সত্য প্রকাশের দূরন্ত সাহস আমি এই ব্লগ পড়তে এসেই পাই সুতরাং প্রিয় ব্লগে কাদাছোড়াছুড়ি কখনোই কাম্য নয়,আমি আকাশ ভাই এর লেখার ভক্ত আশাকরি আকাশ ভাই ব্যাক্তিগত মান অভিমান ভুলে তার লেখনি নিয়ে ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে।
মুক্তমনায় এ জাতীয় ক্যাচাল দেখে খারাপ লাগলো। আমরা মুক্তমনাকে জ্ঞানবিজ্ঞান,যুক্তির চর্চার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দেখতে চাই,ক্যাচালের প্লাটফর্ম হিসাবে না,এ ধরণের ব্যাপার নিয়ে পোস্ট দেয়ার কোনো মানে হয়না।
ছদ্মনামে লেখা অবশ্যই একটা জালিয়াতী এটাতে কোন ভুল নেই। আর এটা যেমন আমি জানি, তেমনি আপনিও জানেন। আর অভিজিৎ তার সাইটের খাতিরে ছদ্মনামীদের সুযোগ দেবেন এটা তো সত্য, আমি হলেও এটাই করতাম।
যাহোক, কেউ ছদ্মনামে লিখল কি স্বনামে লিখল এটা মূলকথা না। পাঠক এখানে আসে তথ্য জানতে, বিভিন্ন জনের মন্তব্য শুনতে, পক্ষে এবং বিপক্ষে।
তবে কোন ছদ্মনামধারী যদি অসত্য তথ্য দিয়ে বিদ্বেষমূলকভাবে কিছু উপস্থাপন করে বা মন্তব্য করে সেটা চরম ঘৃণ্য। এটা সব লেখক এবং পাঠকদের মনে রাখা উচিৎ।
আপনার কয়েকটা লেখা আমি পড়েছি। এ কারণেই আশা করছি কোন কিছুতেই বিরক্ত হয়ে লেখা বন্ধ করবেন না।
লেখকের কাছ থেকে এই ধরণের লেখা লেখা আশা করছি না।
এটা কি? হিট এন্ড রান হয়ে গেলো দেখি। বিচার দিচ্ছেন কেন? একজন সাহসী মানুষকে কেউ কিছু বললে সে নিজেই প্রতিবাদ করে, গাল ফুলিয়ে বলে না ‘খেলবো না’। আপনার সাহস নেই নাকি? ফরিদ আহমেদকে মোকাবেলা না করে, আত্মপক্ষ সমর্থন না করে, যুক্তিখণ্ডন বা পাল্টা যুক্তি না দিয়ে চলে যেতে চাচ্ছেন যে? তা হলে কি ধরে নেবো ফরিদ আহমেদ যা বলেছে তা সব ঠিক? ওগুলো খণ্ডন করবার অবস্থা আপনার নেই? নাকি আপনার লেখা, মন্তব্য, ভাবনা এখানকার কেউ আটকে দিচ্ছে? মনে তো হয় না। ফরিদ আহমেদকে দেখছি অনায়াসে জামাতী বলে ফেললেন। আপনি এত বছর ধরে এতো লিখলেন; এতো বললেন, এতো করলেন আর শেষমেশ নিজের ঘর থেকে পালিয়ে যেতে চাচ্ছেন? অদ্ভূত তো
ঘটনা কি ?
মুক্ত-মনা ও শেষ পর্যন্ত সংকীর্ন-মনা হয়ে যাবে ?
আমাদের মত না-জানা লোকজন যারা আসলেই মুক্তমনারদের সংস্পর্শে থেকে্ নিজের মনের অবস্থার মুক্ত করতে চায়, তারা কি করবে তাহলে?
প্রতিটি ফোরাম/ব্লগে এই জাতীয় সংকীর্ন ক্যাচাল লেগেই থাকে, যার জন্য ভাল লাগে না কোথাও।
:-X :-X :-X
আকাশ মালিক,
দেখুন আমি ব্যক্তিগত ক্যাচাকেচি এড়িয়ে চলি, আপনার সাথে ফরিদ আহমেদের ঝামেলা বা মন কষাকষির মধ্যে আমাকে না টেনে আনলেই পারতেন। পাঠকেরা এমনিতেই বিরক্ত হচ্ছে। উপরের সাধারণ পাঠকদের মন্তব্যগুলোই কিন্তু তার প্রমাণ। মুক্তমনায় অধিকাংশ পাঠকই ভাল লেখা পড়তে আসেন, ব্যক্তিগত মান-অভিমান দেখতে নয়।
আপনার এ চিঠিতে যাদের কথা বলেছেন, যেমন আগন্তুক – উনার সাথে সমস্যা শুধু ফরিদ আহমেদের হয়নি, আমার সাথেও হয়েছে। উনার প্রতি আমার কোন ভাল ধারনা নেই। এই আগন্তুক ভদ্রলোক জেল হাজত পর্যন্ত খেটেছেন দলীয় কোন্দল করে, আরো কী কী করেছেন তা সৈকতকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেবেন।
হোরাসের লেখা আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু যে লেখাটার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য কোট করেছেন, সেটা আমার চোখেও আপত্তিকর লেগেছিল। উনি চেঙ্গিস খানের মত বর্বর ধর্ষণকারীকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মানব বা এ ধরণের কিছু আখ্যা দিয়ে প্রবন্ধ লিখেছিলেন। শুধু আমি নই, অনেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা সেই পোস্টেই মিটে গেছে। আমি আর কখনোই হোরাসকে নিয়ে ফরিদ আহমদ বা কারো সমস্যা তো হতে দেখিনি। একটা মন্তব্য ঘটা করে কোট করার কোন কারণ ছিলো না।
ছদ্মনাম নিয়ে অনেকেরই আপত্তি আছে। ফরিদ আহমেদ ছদ্মনাম নিয়ে লেখা পছন্দ করেন না। সেটা উনি বহুবারই জানান দিয়েছেন। তাতে কী হয়েছে? আমি নিজেই ফরিদ আহমেদের এই স্ট্যান্ডের সাথে একমত নই। সব ব্লগেই বিভিন্ন নিক নিয়ে লোকজন লিখছে। আমাদের ব্লগেও। কিন্তু তা বলে এই নিক নেম নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারবে না তা তো নয়। প্রদীপ দেবও ফরিদ আহমেদের সাথে ছদ্মনাম বিষয়ে একমত হয়েছেন, আমি নই। তাতে হল কী? আপনাকে বা কাউকেই ব্লগ নিকে লিখতে মডারেটর থেকে বারণ করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত তা না হচ্ছে তা ব্লগারের ব্যক্তিগত অভিমত হিসেবে গ্রহণ করলেই হয় না?
আর এভাবে খুঁজে খুঁজে নেতিবাচক মন্তব্য সংগ্রহ করে সহানুভূতি আদায় করার কোন কি দরকার ছিল?
আর তাছাড়া মন্তব্য খুঁজলে বিপরীত কিছুও পাওয়া যাবে নিঃসন্দেহে। আপনিও গতকাল ফরিদ আহমেদকে জামাতী, মুহম্মদ-ভক্ত আর কী কি যেন বললেন দেখলাম। এ ধরণের মন্তব্য খুঁজে কিন্তু যে কেউ তালিকা বানাতে পারে। পারে না?
যা হোক, আপনি ব্লগের অনেক পুরনো সদস্য। আপনার কাছ থেকে অনেক ভাল লেখা আশা করি, ব্যক্তিগত মান অভিমান মার্কা এ ধরনের লেখা নয়। আমাকে উদ্দেশ্য না করলে হয়তো এর জবাবও দিতাম না। সাধরণতঃ এধরনের পোস্ট এড়িয়ে চলি আমি। কথাগুলো সরাসরিই বললাম। রূঢ় শোনালে দুঃখিত।
@অভিজিৎ,
প্রসঙ্গটা যখন এসেছেই। তখন নূতন পাঠকদের স্বার্থে একটা কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। আমার পোষ্টের সাথে দ্বিমত থাকতেই পারে। আমি আমার যুকতি দিয়েছি। আমার যুক্তির সাথে সবাই একমত হবেন এমনটা আমি কস্মিঙ্কালেও ভাবি না। কিন্তু সেখানে ছদ্মনাম, সহ অন্যান্য প্রসঙ্গ টানারও কোন যুক্তি থাকতে পারে না। এমনত না যে সেটাই আমার প্রথম পোস্ট ছিল।
ফেসবুকের পাতায় কদিন ধরে দেখছি নাস্তিক/ব্লগারদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি। অহেতুক, সেটা বলবো না। কিন্তু আজকের দিনে এটা মোট কাম্য নয়। একসাথে যুদ্ধ করার সমটাতে আমরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। শুধু দুই দলে ভাগ হয়ে যুদ্ধ চলছে সেটাই না, এখন যুদ্ধ হচ্ছে বহুদলীয়। খুব প্রিয় ও পরিচিত(কেউ কেউ ব্যাক্তিগত ভাবেও) ব্লগারদের এহেন চেহারা ও চরিত্র দেখতে হবে কখনোই ভাবতে পারি নি।
অনেক কষ্ট থেকে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম কাল রাতে… সেটাই তুলে দিচ্ছি—
“ব্লগ জগৎ এখন কাঁদা ছোরাছুড়িতে ব্যাস্ত! এই দূর্মূল্যের বাজারে কাঁদার কী বিপুল অপচয়! এই কাঁদা দিয়ে কয়টা বিশ্বমানের ক্রিকেট পিচ বানানো যেত আমাদের ক্রিকেটারদের স্বার্থে? ব্লগাররা, প্লিজ, কাঁদা অপচয় বন্ধ করে স্ব স্ব হাতের সব কাঁদা লোটা কামালের দপ্তরে দিয়ে আসুন!”
নীল রোদ্দুর, আপনি ঠিক আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন।
আকাশ মালিক, আপনি মুক্তমনার একজন অনেক পুরোনো লেখক। শুভাকাঙ্ক্ষী বলে দাবিও করছেন। কিন্তু মুক্তমনার সত্যি সত্যি শুভাকঙ্ক্ষী হলে এভাবে একটা ব্যক্তিগত চিঠি, যার বিষয় বস্তু একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে অভিযোগ, সেটি মুক্তমনায় প্রকাশ করে এভাবে পাঠক এবং লেখকদের বিভ্রান্ত করতেন না।
আপনি তো নিজে ভয়ঙ্কর যুক্তিবাদী আর জ্ঞানী লোক হিসেবে সবগুলো পোস্টে আপনার জ্ঞানের ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়ে যান আর একটার পর একটা কাঁটাছেড়া করতে থাকেন। তখন কেউ আপনাকে কোনঠাসা করলে লেজ গুটিয়ে বলে যান যে ব্যক্তিগতভাবে না নিলেই হয়। কিন্তু চিনির সিরাটা দেয়ালে কিন্তু আপনিই প্রথমে লাগিয়ে শুরু করেন। কিন্তু কই আপনার সম্পর্কে তো কেউ এভাবে কোন খোলা চিঠি লেখেনি।
আসলে আমরাও আপনার এই অবস্থার জন্য দায়ী। আপনার যে কিঞ্চিত সমস্যা আছে সেটা বুঝেও আপনার রোগটাকে বাড়তে দিয়েছি দিনের পর দিন। এটা আমাদেরই মানবিক দায়িত্ব ছিল আপনাকে জোর করে ধরে চিকিত্সা করানো।
মুক্তমনায় আগের লোকজনের আনাগোনা কমেছে কেন সেটা আপনি কি করে জানেন? আমার তো মনে হয় আপনাদের মতো লেখকদের কারণেও হতে পারে। আপনি তো আগের লেখকদের মধ্যেই একজন, আস্তে আস্তে বাকি পল্লব ঝরে গেছে, তো আপনি এখনো ঝরেননি কি বাকিদের ঝরানোর জন্য? যাদের মনে কিঞ্চিত আপনার সম্পর্কে শ্রদ্ধাবোধটুকু ছিল, সেটাও আপনার এই খোলা চিঠির মাধ্যমেই আজ শেষ হবে।
আপনি অভিদাকে লেখা আপনার ব্যক্তিগত চিঠি এভাবে এখানে খোলামেলা প্রকাশ করেছেন, তাই খোলামেলা মন্তব্য করলাম।
আজকে ফরিদ ভাই সম্পর্কে লিখেছেন। কাল আমার সম্পর্কে, পরশুদিন নীল রোদ্দুর সম্পর্কে এভাবে খোলা চিঠি লিখতে থাকুন, পল্লব ঝরানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার শর্টকাট পথটা এবার হাতে গোনা তাসের চালের অপেক্ষায় থাকবে না।
পুনশ্চ: আশা করি মন্তব্যটা ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। আপনার সম্পর্কে কেউ যদি এভাবে খোলা চিঠি লিখত, প্রতিক্রিয়া একই হতো।
@নিলীম আহসান,
@
নিলীম
আপনি দেখছি আরো এককাঠি সরেস। আপনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কবে থেকে হইলেন জানার ইচ্ছা রইল। কই দিন হয় এসেছেন? আকাশ মালিকের মাথার চিকিতসা করবেন? আপনার এমন কমেন্ট
খুব আহত হল তার অনেক ভক্তরা। বোধ করি আপনার এই সব আবল-ফাবল কথা শুনতে আকাশ মালিক আর আসতেসেন না।
আমি কেবল আকাশ মালিকের লেখা এতোদিন পড়েই গেছি। কোনো দিন কমেণ্ট করি নাই। একটা ফোল্ডার আছে আমার। আজ তার এই অপমানে কথা না বলে থাকতে পারি নাই।
দুঃখিত। মুক্তমনার এমন হাল আমি কল্পনা করতে পারিনা।
@kobita, আপনি আবার কে হে ভাই / বোন এভাবে উড়ে এসে আমাদেরকে কথা নাই বার্তা নাই যা খুশি বলছেন? :-s
তবে সুযোগ্য চ্যেলা বলেই মনে হচ্হে। ব্লগেও যে লেলিয়ে দেয়া হয় সেটা তো সবার ই কম বেশি জানা আছে। তবে আপনি লেলিত না লালায়িত না পালিত সে বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
আপনার প্রতুত্তরে আমি শুধুই হাত নোংরা করছি জেনেও লিখছি, কারন অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি ছেড়ে দিলেই মাথায় উঠে বসে। (H)
যদিও স্প্যাম বক্স এর অপশন থাকলে আপনাকে ওখানেই আসতে করে ফেলে দিতাম। :spammer:
জ্বি, আপনি ঠিক ধরেছেন, আমি মানসিক রোগীর ডাক্তার নই। :)) কিন্তু বিকারগ্রস্থ মানুষদের সবচেয়ে বড় পরিচয় তাদের আচরণ আর কথাবার্তা। এই যেমন এখন আমি দিব্বি বলে দিতে পারি কিছুদিন আগে গারদ থেকে একজন মিসিং হয়েছিল যিনি হঠাত দুম করে মুক্তমনায় ঢুকে লাফালাফি করা শুরু করে দিয়েছে :-[
লেখার সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই, লেখকের সাথেও না। কিন্তু যৌক্তিক কারণেই আমরা এই পোস্টের বিরোধিতা করছি যেটা আপনার মতো অন্ধ ভক্তদের আমাদের বোঝানোটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। 😛
অন্ধ ভক্ত হন আর যা খুশি হন সেটা আপনার পীরের সাথে গিয়ে দেখান, এখানে এসে হম্বিতম্বি করছেন কেন? বিশাল মাপের লেখক আর তার পাঠকেরা দেখি রীতিমত মুক্তমনা সহ আরো কিছু ব্লগকে তাদের নিজের সম্পত্তি বলে মনে করা শুরু করেছে! আবার বলছেন আপনার একটা ফোল্ডার আছে; তো আমার কি? উনাকে কেউ ই অপমান করেননি, স্বেচ্ছায় উনি এ পথ বেছে নিয়েছেন।
মুক্তমনার হাল নিয়ে আপনাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, মুক্তমনার হাল ঠিক ই আছে।
মুক্তমনা পরলেই মুক্তমনা হওয়া যায় না, মুক্তমনা লেখক ও নয়। যারা মনে প্রাণে মুক্তমনা তাদের এইসব একটা কিংবা এক হাজারটা পোস্ট এও মোটিভেশন নষ্ট হবে না।
@নিলীম আহসান,
আমি খুব বিনয়ের সাথে জানতে চাচ্ছি আপনার এই কমেন্টার সাথে কোনভাবে কী মুক্তমনায় কয়েকদিন আগে প্রকাশিত আমার গল্পের সম্পর্ক আছে?আমার কাছে মন্তব্যটি এম্বিগুয়াস লাগছে;তাই জানতে চাচ্ছি।
@মাহমুদ ইমরান, দুঃখিত, আপনার লিখাটি পড়বার সুযোগ হয়ে উঠেনি। 🙁
আপনার লিখার সাথে এই মন্তব্যের কোন সম্পর্ক নেই। আর ডাবল মিনিং করে আমি মন্তব্য করি না, যার টা তাকেই বলি।
কিন্তু আপনার এইরকম তাজ্জব ভাবনাটার কারন কি ঠিক বুঝলাম না। 😕
@নিলীম আহসান, ধন্যবাদ।আমি তাহলে বুঝতে পারি নি।আমার কাছে দ্ব্যার্থ মনে হয়েছিলো তাই জিজ্ঞাসা করেছিলাম।আশা করি আপনি এটা আমলে নেবেন না।
আমি বুঝতে পারছি না কে কি বলল তাতে কি আসে যায়! শুধু লিখে যেতে হবে, ব্যস। অভিমান করে দূরে সরে যাওয়া_ এটা ভুল।মুক্তমনায় থাকুন, লিখুন। সমালোচনা প্রশংসা সব পুরুষ্কার হিসেবে গ্রহণ করুন। কাজেই আকাশ, আপনার অভিমানকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলিছ, আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। ধন্যবাদ।
আরেকটা কথা বলে যাই, বিজ্ঞান নিয়ে লিখি বলে ভেবে নিয়েন না সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি, বরং বিজ্ঞানকে ভালোবাসি বলেই অনেক কষ্ট করেই এই পথে এসেছি এবং চলছি।
কাল মাত্র সেমিস্টার শেষ হয়ছে, আজ ভাবছিলাম নতুন একটা লেখা লিখব, আকাশ মালিকের এই লেখা দেখে এমন মেজাজটা বিগড়ায় গেলো!! এটা কি কোন ব্লগ নাকি কিছু? আপনার যদি অভি দাকে কিছু বলার থাকে, সেটা আপনি অভিদাকে মেইলে বা সরাসরি বললেই পারেন, শেষ চিঠি নামে খোলা চিঠি কেন? এটা তো আসলে শেষ চিঠি না, এরপর এইরকম অভিযোগ পত্ররূপ শেষ চিঠি আরো আসবে বলেই আমার ধারণা।
এটা দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চাইলেন? আপনার লেখা কারোর যদি পছন্দ না হয় তাও সে আপনার লেখায় কমেন্ট করতে বাধ্য? কোন লেখায় কমেন্ট করবো আর করবো না, সেটা তো আমাদের ইচ্ছা। দুইদিন পর পর এইরকম ক্যাচাল পূর্ণ লেখা কমেন্ট মুক্তমনায় আসবে, আর তাতে মন্তব্য না করলে অপরাধ হয়ে যাবে? আপনার লেখা পড়লে মনে হয়, এইখানে দুইটা/তিনটা গ্রুপ আছে, এটা চর দখলের মত পেজ দখল করে, আপনার এবং আপনার সহচরদের লেখায় কমেন্ট না করা হল ফরিদ ভাইয়ের নির্দেশে, অ্যাজ ইফ, তাদের লেখায় কমেন্ট না করাও তাদের বিরুদ্ধ দলে যোগ দেয়া। 🙁 পাঠককে এইভাবে বলির পাঠা বানাতে পারেন না আপনি। আমি স্পষ্ট করেই বলছি, এইসব ক্যাচালমার্কা লেখা, কমেন্ট দেখলে মেজাজ খারাপ হয়, আর সেই কারনেই কমেন্ট করিনা, আপনারা ক্যাচাল করবেন, আর তাতে সবাই জড়াতে বাধ্য নয়।
আপনিই তো মনে হয় একটা ব্লগে লিখেছিলেন সবাই তো সোনার চামচ নিয়ে জন্মায় না যে বিজ্ঞান নিয়ে লিখবে। এতোদিন ভাবতাম মুক্তমনা বিজ্ঞান, চিন্তা, দর্শনের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ, এখন দেখি সে গুড়ে বালি। এইখানেও মনে হয় লিখতে হলে শেষ চিঠি, কাঁদা ছোড়াছুড়ির মধ্যেই লিখতে হবে!
অন্য সব ব্লগ ছেড়ে মুক্তমনায় নিশ্চিন্তে লেখার পরিবেশের জন্য আসি
এইখানেও যদি ধারাবাহিক ভাবে এরা ক্যাচাল করতে থাকে… যাবো কই?
লিখব কই?তাইলে কি লেখা লেখি ছেড়ে দিবো ব্লগে? এই পরিবেশ চলতে থাকলে হয়ত সেটাই স্বাভাবিক পরিণতি হবে। সামহাউ একটা রিপালশন ফীল করছি মুক্তমনায় দুইদিন পর পর আপনাদের করা ক্যাচাল দেখতে দেখতে।
@নীল রোদ্দুর,
@
নীল রদ্দুর,
আপনি এই ব্লগে নতুন। তাই অনেক কিছু জানেন না। আমি ও জানিনা। কিন্তু, আকাশ মালিক এমন এক
ব্যক্তিত্ব তাকে এমন কদর্য ভাষায় কমেন্ট করার আগে আপনার ভাবা দরকার ছিল তিনি একজন ভূবন কাপানো জনপ্রিয় লেখক। এবং বয়সে তিনি আপনার সিনিয়ার ও বটে। আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ
কী এই শিক্ষা দেই নাই, কী করে সিনিয়ারদের সাথে কথা বলতে হয়?
আর হা, আপনি নিজেরে অনেক বেশী বড় ভাবছেন।
আসলে কথায় বড় না হয়ে কাজে দেখান।
আপনার ভালো না লাগুক, কিন্তু আকাশ মালিকের অগনিত ভক্তের মনে আঘাত লাগছে। এইটা জানা দরকার।
@kobita,
আমি ব্লগে নতুন হতে পারি, আমি অবশ্যই আকাশ মালিকের মত ভুবন কাপানো ব্লগার নই… তবে নবীন হলেও কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে ব্লগ বা নিজের কোনটারই ইমেজ নষ্ট করি না, এইটুকু বোধ আমার আছে।
আমার স্কুল, কলেজ, বিশ্যবিদ্যালয় সবকিছু আমাকে এই শিক্ষাটা দিয়েছে বয়সকে না শ্রদ্ধা করে তার ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা কর, মানুষটাকে শ্রদ্ধা কর। একজন বয়োজেষ্ট্য ব্যক্তি যদি ক্যাচাল পূর্ণ লেখা লিখে শ্রদ্ধা সমেজ মন্তব্য পাওয়ার যোগ্যতা হারান, তাহলে আমি বয়সকে শ্রদ্ধা করে মাথা নীচু করব না। দুঃখিত, আমার শেখাটা অন্যদের মত গৎবাঁধা শিক্ষা না। এটা আমি খুব ভালো করেই জানি, বয়ষ্ক হলেই কেউ সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে যায় না, বা তার সকল কাজ গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না। শ্রদ্ধা জিনিসটা অর্জন করতে হয় এবং ধরে রাখতে হয়, বয়সের জন্য ডিফল্ট বরাদ্দ আমি দেই না।
আমি কোন পীরের মুরিদ না, তাই যা সমালোচনা করা উচিত তা করব, কারোর অহণিত ভক্তের মনে আঘাত লাগবে বলে অসুন্দরকে সুন্দর বলব না। বা চুপ করেও থাকবো না।
ভালো থাকবেন। 🙂