এখন পর্যন্ত যতজনের সাথে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে আলোচনা করেছি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি কেউই তেমন কিছু জানে না রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে। যার জন্য একদেশের মানুষ অন্য দেশে ঢুকে পড়লে যেধরনের বিবৃতি দেয় রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও সেই একই ধরনের কথা বলে মোটা দাগে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। ফলে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে কিছু বলার আগে এদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসটা জেনে নেয়া জরুরী।
বাঙলাদেশে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি অনেক আগে থেকে হলেও আলোচনায় এরা খুব বেশি কখনোই ছিলনা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে হাজার হাজার শব্দ লেখা হয়েছে। অর্থাৎ রোহিঙ্গা প্রসংগ নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এখনও আছে এবং কাঁপাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে গেলে প্রথমে সবারই একটা ধাক্কা মতন খেতে হয়। কারন হল এদের উৎপত্তি নিয়ে একটা বেশ ঘন ধূম্রজাল সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। যদি মায়ানমারের ইতিহাসবীদদের বিবৃতি শুনতে যান তাহলে দেখা যাবে তারা দাবী করছে ১৯৫০ যীশুসালের আগে “রোহিঙ্গা” শব্দটাই নাকি ছিলনা। এবং বর্তমানে আমরা যাদেরকে রোহিঙ্গা বলে চিনি তারা ১৯৫০ এর দিকে বাঙলা অঞ্চল থেকে মাইগ্রেট করে আরাকান রাজ্যে প্রবেশ করেছিল। তারমানে এই ইতিহাসবীদদের পাতিহাস অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ইতিহাস মোটেই ৭০ থেকে ১০০ বছরের বেশি নয়। কিন্তু উইকিপিডিয়ার এই সূত্র বলছেঃ
Written in Arabic script, the first Rohingya language texts are more than 300 years old. While Arakan was under British rule (1826–1948), the Rohingya people used mainly English and Urdu for written communication.
পরিষ্কার বাঙলায় মানে দাঁড়ায়ঃ
আরবীতে লেখা রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম রচনার বয়স ৩০০ বছরের বেশি। আরাকান যখন ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল(১৮২৬-১৯৪৮) তখন রোহিঙ্গা জনগন ইংরেজি আর উর্দুতে লেখালেখির যোগাযোগটা করত।
worldlanguage এর ওয়েবসাইটও আমাদের একই তথ্য দিচ্ছেঃ
Rohingya’lish is the modern written language of the Rohingya People of Arakan (Rakhine) State in Myanmar formerly known as Burma. The first Rohingya Language written was back to 300 years and used Arabic Scripts. Due to the long colonial period under the British rules, Urdu, Farsi and English were the main communication languages in that time. Since then many other scholars have tried to write the Rohingya Language using Urdu, Arabic, Burmese or English Scripts. The recent one was with the new invented alphabets mostly derived from Arabic Scripts but a few from Latin and Burmese. However, to make Rohingya language more easy in today’s Computers and communications world, Rohingya’lish has been developed using Latin alphabets only. Since these alphabets are readily available in almost all personal computers used today, we need only a few guide lines to write the Rohingya Language.
ঘটনা হচ্ছে লিখিত ভাষার বয়সই যদি ৩০০ বছরের বেশি হয় তাহলে ঐভাষা ব্যাবহারকারীদের বয়স ১০০ বছরের কম হয় কীভাবে? গভীর প্রশ্ন বটে!
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সংস্থা The United States Campaign for Burma (USCB) আমাদের জানাচ্ছেঃ
The first Rohingya people arrived in Burma as early as 7th century. These early migrants were known to be Arab sailors and merchants who traveled to Burma for economic pursuits. These Muslim settlers came to Burma in a total of three waves: from 7th to 13th century, in the 15th century and from 1826 onward throughout the British colonial rule.
মানে হল, প্রথম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি বার্মায় আসে ৭ম শতাব্দীতে। প্রথমদিকের এই মাইগ্র্যান্টদের ধারনা করা হয় ছিল আরবের নাবিক, ব্যবসায়ী যারা অর্থনৈতিক কারনে এদিকে ভ্রমন করত। এসব মুসলিম বসতিস্থাপনকারীরা মোটামুটি তিন ধাক্কার বার্মায় আসেঃ ৭ম থেকে ১৩তম শতাব্দীতে, ১৫তম শতাব্দীতে এবং এরপরে ১৮২৬ সালের পর থেকে ব্রিটিশ শাসনামলে।
আমরা মনে হয় রোহিঙ্গাদের উৎস সম্পর্কে একটা ধারনা নিতে পেরেছি। মোটামুটি ঘটা করে এদের উৎসের ইতিহাসটা বলার একটা কারন আছে। একটু পরে এ ব্যাপারে আসছি।
১৮৯১ সালের বৃটিশ আদমশুমারিতে দেখা যায় আরাকানে তখন মুসলিম ছিল ৫৮,২৫৫ জন। যেটা কিনা ১৯১১ সালে এসে দাঁড়ায় ১৭৮,৬৪৭ জনে। কেন তারা সংখ্যায় এত বাড়ল? জগতের সমস্ত সমস্যার পেছনে যারা ইসলামকে খুজে পান তারা নিশ্চই এতক্ষনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে একটা যুতসই ইসলামিক যুক্তি দেবার মতন তথ্য পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হয়ে উঠেছেন? তাদের আশার গোড়া খোড়া করে দিয়ে বলছি মাত্র ২০ বছরে জনসংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি হবার কারনটা ছিল আসলে বৃটিশ সরকারের একটা পলিসি। কম মূল্যে শ্রমিকদেরকে বৃটিশ ইন্ডিয়ার সমস্ত জায়গা থেকে এখানে ধরে ধরে নিয়ে আসা হয়েছিল ধানের ক্ষেতে কাজ করার জন্য। মূলত বলা যায় তখন থেকেই আরাকানের স্থানীয় রাখাইনদের কাছে এই মুসলিম বসতিস্থাপনকারীরা চক্ষুশুল হতে শুরু করে। কারনটা সহজেই অনুমেয়, “আমিই পাই না হের উপ্রে আবার ওরা খাওন লইয়া যাইব?”
এই পর্যন্ত যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আরেকটু বোঝার চেষ্টা নেই। মোটামুটি এরপরে থেকেই রোহিঙ্গাদের সাথে রাখাইনদের একটা দ্বন্দমুখর সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। যেটার কিছুটা বহিঃপ্রকাশ হয়ত আমরা আজকে দেখতে পাচ্ছি। আরো কিছু উদাহরন দিচ্ছিঃ
উইকির এই লিস্টি বলছে
১৯৪২ যীশুসালের ২৮ মার্চ তারিখে আরাকান রাজ্যে একটা চমৎকার হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়। যেখানে প্রায় একলক্ষ মুসলিম(নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গা বলতে পারেন) নিধন করা হয়।
যদিও উইকির আরেকটি সোর্স বলছে সংখ্যাটা মাত্রই পাঁচ হাজার। আমার একটু সন্দেহ হয়েছিল এই এনট্রিটা নিয়ে।
পরবর্তিতে রাগীব ভাইয়ের এই কমেন্টটা দেখে তার কিছুটা নিরসন হয়। আপনাদেরও হতে পারেঃ
ইংরেজি উইকির রোহিঙ্গাদের উপরে নিবন্ধটা কেউ বিশ্বাস করতে যাবেন না। ঐটা আগে ঠিক ছিলো, কিন্তু আমি সেমি-রিটায়ার করার পরে বর্মীছাগুরা এসে ঐটার বারোটা বাজিয়েছে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী মুসলমান প্রায় উপপাদ্যাকারে প্রমাণ করে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রোহিঙ্গাদের অবস্থান ছিল মিত্রপক্ষের দিকে। কিন্তু তখন বার্মা দখল করেছিল জাপান। Kurt Jonassohn (1999). Genocide and gross human rights violations: in comparative perspective,
Howard Adelman (2008). Protracted displacement in Asia: no place to call home এবং Human Rights Watch (Organization) (2000). Burma/Bangladesh: Burmese refugees in Bangladesh: still no durable solution এবং Asian profile, Volume 21. Asian Research Service. 1993. p. 312. Retrieved 12 April 2011. এর রেফারেন্স দিয়ে উইকি বলছে এভাবেঃ
The Japanese committed atrocities against thousands of Rohingya. They engaged in an orgy of rape, murder and torture. In this period, some 22,000 Rohingya are believed to have crossed the border into Bengal, then part of British India, to escape the violence.
40,000 Rohingya eventually fled to Chittagong after repeated massacres by the Burmese and Japanese forces.
এর মাঝে আবারও আরাকানের রাখাইন জাতিয়তাবাদী আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে গিয়েছিল। ধরে নেওয়া যায়, দু চারজন সেখানেও পড়ে গিয়েছিল।
এমনেষ্টি জানাচ্ছে, ১৯৭৮ এ প্রায় ২লক্ষ লোক বাঙলাদেশে পালিয়ে আসে। “নাগামিন” নামে একটা মিলিটারি অপারেশন তখন চলছিল। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল scrutinising each individual living in the state, designating citizens and foreigners in accordance with the law and taking actions against foreigners who have filtered into the country illegally.।
এমনেষ্টি আরোও জানাচ্ছেঃ
During 1991-92 a new wave of over a quarter of a million Rohingyas fled to Bangladesh. They reported widespread forced labour, as well as summary executions, torture, and rape. Rohingyas were forced to work without pay by the Burmese army on infrastructure and economic projects, often under harsh conditions. Many other human rights violations occurred in the context of forced labour of Rohingya civilians by the security forces.
মানে হলঃ ১৯৯১-৯২ এ নতুন করে প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাঙলাদেশে পালিয়ে চলে আসে। তারা বলপ্রোগের মাধ্যমে কাজ করতে বাধ্য থাকত, সাথে ছিল হত্যা, নির্যাতন আর ধর্ষন। বার্মিজ আর্মি তাদের দিয়ে বিনা মজুরিতে অত্যন্ত অমানবিক পরিবেশে অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজ করিয়ে নিত। নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা রোহিঙ্গা জনগনের উপরে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এমন মানবাধিকারের লঙ্ঘনের আরো নজির রয়েছে।
আপাতত এই কয়েকটাই বললাম। গুগল মামার সাহায্য নিলে এমন আরো অনেক বেদনাজর্জরিত কাহিনী জানতে পারবেন।
মূল প্রসংগে আসি। এখন বিতর্ক চলছে সর্বশেষ ঘটে যাওয়া দাঙ্গার কারনে বাঙলাদেশে আসতে থাকা রোহিঙ্গাজনস্রোতের কী করা হবে। তার আগে মনে হয় জেনে নেওয়া ভালো আসলে কী কারনে এই ঘটনাটা ঘটেছে।
মে মাসের ২৮ তারিখে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে, মেয়েটির নাম থিডার হতউই(Thidar Htwe)। অভিযোগ করা হচ্ছে ধর্ষনকারীরা রোহিঙ্গা। লোকাল পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে। ঘটনা এই পর্যন্ত এসে থামলে কোন সমস্যা ছিল না। ঠিক তার ছয় দিন পর টাউনকক শহরে রাখাইন সম্প্রদায়ের ৩০০ জন রাখাইন একটি বাস থামিয়ে ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্য করে। একজন নারীকে ধর্ষন করে। একজন রাখাইন বৌদ্ধও হত্যার শিকার হয় ভুল বসত মুসলমান মনে করে। মৃতদেহের উপরে হত্যার পরে মদ ঢেলে দেওয়া হয়।
৮ তারিখে সম্ভবত জুম্মার সময় রোহিঙ্গারা যখন নামাজ পড়ছিল, তখন এক রোহিঙ্গা কিশোরের সাইকেলের সাথে এক রাখাইন মটরসাইকের যাত্রীর খুবই ছোটো একটা দূর্ঘটনা ঘটে। এটিকে কেন্দ্র করে রাজপথ নিমেষের মধ্যে নরকে পরিণত হয়।
এই ঘটনায় সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে যা পরের দিন শনিবার কার্ফিউতে রূপ নেয়।
According to Chris Lewa, an expert on regional affairs, the order to stay in doors applied only to Rohingyas. It did nothing to stop Buddhist Rakhine mobs looting and pillaging. They were filmed burning Rohingya villages, apparently with impunity; they were happy to speak before video cameras while houses burned in the background.
এঘটনায় অন্তত একজন রোহিঙ্গা নারী ধর্ষিত হয়। সরকার জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে। রাস্তায় মিলিটারি নামে। জাতিসংঘে কর্মকর্তারা পর্যন্ত সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়।
বাঙলাদেশ ঘোষনা দেয় তারা এদেশে চলে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদেরকে গ্রহন করবে না। বর্ডারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
মোটামুটিভাবে এই হল চলমান সংকটের কাহিনী।
বিতর্কের সুত্রপাতটা হয় বাঙলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিতে চাওয়ার পরেই। কেউ বলছে গ্রহন করা হউক, কেউ বলছে না। গ্রহন করতে চাওয়ার মধ্যে দুটো আলাদা ভাগ আছে। এর মধ্যে জামাতি কাঁঠালপাতাসেবনকারীরা মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদেরকে দেশে আনতে চাচ্ছে। যদিও নিন্দুকেরা বলছে এটা আসলে মুসলমানদের মানবেতর জীবন যাপন দেখিয়ে সৌদি ডলার আনার একটা মোক্ষম সুযোগ। কেননা ঘটমান বর্তমান ঘটনার দিকে তাকালে দেখা যায় জামাতিরা অর্থনৈতিকভাবে বেশ পর্যদুস্থ হয়ে পড়েছে উকিলের ফি দিতে দিতে, লবিইস্টদের পেছনে খরচ করতে করতে। সেই ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা শিকারের মোক্ষম টোপ হতে পারে। আর সাথে জিহাদী জোশে উদ্বুদ্ধ করার সুযোগতো রয়েইছে।
আরেক দল বলছে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে। নিজের দেশের সরকারের কাছ থেকে আজীবন মার খেয়ে মানুষগুলো নিজ দেশ ছেড়ে আসছে অন্যের দেশে। প্রানের ভয়ে। এদেরকে ঢুকতে না দেওয়াটা আর যাই হউক মানবিকতাবোধের কোন সংজ্ঞায় পড়ে না।
আবার কিছু লোক হঠাৎ করেই দেশপ্রেমিক বনে গেছে। তারা দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছে রোহিঙ্গারা এদেশের ঢোকা মানেই দেশ রসাতলে যাওয়া। এরা ইয়াবা পাচার করে, ক্রিমিনাল কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হয়। তারা দেশের চিন্তায় নির্ঘুম।
আরেক দলের বক্তব্য হল, মানছি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাপারটা দেখতে হবে কিন্তু কথা হল, আমরাই তো খেতে পাই না। এখন অত বাইরের লোককে কীভাবে খাওয়াব? দেশের উপরে চাপ পড়ে না?
অভিযোগ আরো আছে, কেউ কেউ বলে সারা দেশেই তো আর দাঙ্গা হচ্ছে না। হচ্ছে একটা দুটা জায়গায়। তাহলে কেন ভাই এই দেশে আসা?
অস্বীকার করার উপায় নেই বিষয়টা জটিল। অত্যন্তই জটিল। যার জন্য সহসা কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো খুবই কঠিন। যদি খুব সহজভাবে একটি কথা বলি পাঠকদের জন্য সুবিধা হবে বলে মনে করছি।
ধরে নিলাম, অনেক আলোচনার পরেও আমরা কোন সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারলাম না। না মায়ানমার, না বাঙলাদেশ, না অন্য কোথাও। আমার প্রশ্ন শুধু একটিই। তাহলে ঐ বড় সংখ্যার একটা জনগোষ্ঠিকে নিয়ে আপনার কী মনে হয় কী করা উচিত? সাগরে ভাসিয়ে দেবেন নাকি গুলি করে ঝাঝরা করবেন নাকি সবচেয়ে ভালো হয় হিটলার যেটা করেছিল? গ্যাস চেম্বার? খারাপ হয় না কী বলেন? আফটার অল ওরা তো আর কোন দেশের নাগরিক না। সুতরাং আয়েসে বিড়ি ফুকি চলেন।
মায়ানমার রোহিঙ্গাদের অফিশিয়ালি স্বীকৃতি দেয় না। তাদের জন্য কোন আইডেন্টিফিকেশন কার্ড ইস্যু করা হয় না। ফলে তারা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আইনগতভাবে যাওয়ার অধিকারী না। তারা পাসপোর্ট নিতে পারে না, উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কুল কলেজে যেতে পারে না। তাদের জমির উপরে কোন অধিকার নেই। বর্তমানে যে জমিতে তারা বাস করছে সরকার যখন ইচ্ছা তখন সেখান থেকে তাদের উৎখাত করতে পারে কোন প্রকার কারন না দেখিয়েই।
একটা প্রশ্ন, এই অবস্থায় বাঙলাদেশে আপনি নিজেকে একটু ভেবে দেখুন। তখন আপনি কী করতেন?
একাত্তরে ১ কোটির উপরে মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। কী কারনে? জীবনের ভয়ে। কেউ কেউ একাত্তরের সাথে বর্তমানের অবস্থা মেলাতে রাজি নন। আমার প্রশ্ন কেন? আমরা জীবন হাতে নিয়ে দৌড়ে ইন্ডিয়াতে গিয়েছি, রোহিঙ্গারাও একই কারনে এখানে আসছে। পার্থক্য একটা আছে সেটা হল, বাঙলাদেশের সেসমস্ত মানুষ জনের ফেরত আসার সম্ভবনা ছিল প্রায় ১০০ ভাগ, আর এখানে না যাবার সম্ভবনা হচ্ছে ১০০ ভাগ।
কিন্তু দিন শেষে প্রশ্ন একটিই। এরা মানুষ। এদেরকে কী করা হবে?
@ সাইফুল ইসলাম,ইস! সাইফুল ভাই যে এত সুন্দর লিখতে পারেন, এই লেখাটা না পড়লে আমি বুঝতেই পারতাম না (Y) । আদনান সাহেব কে ধন্যবাদ জানাই যে উনার মন্তব্যের কারনেই আজ আমি লেখাটার খোঁজ পেয়েছি!
সাইফুল ভাই আপনার কাছে একটা অনুরোধ ছিল, আর তা হল, এমন কিছু অসাধারণ, নির্মোহ আর সুখপাঠ্য লেখা আপনি আরো উপহার দেন, এসব বন্ধ করে কি যাতা লেখা শুরু করেছেন আজকাল। প্লিজ আমার মতই আপনারও বয়স বাড়ছে, কাজেই বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরো ম্যাচুরিটি আসে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই অনুসারে পরবর্তি লেখাগুলো লেখেন এটাই আমি মনে প্রানে আপনাকে অনুরোধ করব, আশা করি বিবেচনায় রাখবেন।
আমার মত কিছু পাঠক মুক্ত মনাতে আসে ২টা কারনে, এক হল কিছু ভাল বিজ্ঞান লেখা, আর দুই হল এই রকম নির্মোহ লেখা!! প্লিজ এইসব থেকে আমাদের বঞ্চিত না করে, সময়টা চিল্লাফাল্লা মুলক পোষ্টের পেছনে ব্যয় না করে এমন অসাধারণ কিছু লেখা আরো দিন। আমি আপনার যে কটি লেখা পড়েছি এটা তার মধ্যে সেরা, এমনকি মুক্ত মনাতে নির্মোহ লেখাগুলির ভেতরেও আমার দৃষ্টিতে আপনার এই লেখাটি একেবারে উপরের দিকে থাকবে!! আমি ১০০ তে ৯০ দিলাম!! আপনার জন্য শুভেচ্ছা (F) !! আশা করি পুরনো এই সাইফুল ভাইকেই আমরা এর পর থেকে দেখব!!
ভআই।খুব ভাল লাগ্ল
রোহিঙ্গাদের সমস্যাটাকে খুব জটিলই মনে হয় আমার কাছে। মানবিকতার স্বার্থে অবশ্যই তাদের এদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত, কিন্তু অন্যদিকে তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে আমাদের দেশেরও কিছু সমস্যা হতে পারে সেই ব্যাপারটাকেও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সাইফুল ভাইয়ের লেখাটা খুব পরিষ্কারভাবে দুটো দিকই তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে আমাদের অবস্থানটা আসলে কোথায় হওয়া উচিত।
মানুষের সত্যিকার মুক্তির পথে দুটো জিনিসকে আমি সবচেয়ে বড় বাধা মনে করি: একটা ধর্ম, আরেকটা জাতীয়তাবাদ। প্রথমটা অনেকবেশি স্পষ্ট; কিন্তু দ্বিতীয়টা প্রথমটার মত অত স্পষ্ট নয় বলেই হয়ত এর থেকে বিপদের সম্ভাবনা আরও বেশি। এই জাতীয়তাবাদই আমাদের অনেককে এটা বুঝতে দিচ্ছে না যে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারটা পুরোপুরিই একটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। একটা পুরো জাতির যাওয়ার কোন জায়গা নেই, নিজ দেশে অত্যাচারিত হতে হতে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে- এরকম অবস্থায় জাতীয়তাবাদের ধুয়া দেখিয়ে ওদের ঠেকিয়ে রাখার কোন মানেই হয় না।
বাংলাদেশের সুইপার সম্প্রদায় জমির মালিক হতে পারেনা। তারা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে পারে না। সে বিষয়ে কারো কোন লেখা কোথাও দেখলাম না। রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে কি পায় না পায় তার সবই আমরা জানি, কিন্তু বাংলাদেশের হরিজন সম্প্রদায়ের খবর আমরা কেউই প্রায় রাখি না।
@রেজওয়ান,
আপনার জ্ঞ্যানগরীমা বলছে আপনি এদের সম্পর্কে ভালোই খবর রাখেন। এই ব্যাপারে আপনার কোন প্রতিবাদ কিংবা লেখা কি আমাদের দেখাবেন? কিংবা এমন হতে পারে আগে হয়ত লিখেছেন আমরা জানি না। যদি থাকে দেখান। আমরাও উদ্বুদ্ধ হই। আর যদি না লিখে থাকেন তাহলে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা না বলে লিখুন। নিজে কিছু না করে আরেকজনের কাজ সম্পর্কে কথা বলতে যেটা লাগে সেটা হল “নির্লজ্জতা”।
নিজেদের ইসলাম বিরোধী বলতে যদি কারো কোন সঙ্কোচ থেকে থাকে তবে সবিনয়ে জানাতে চাই যে, আমি মনে করি যে নিজেদের ইসলাম বিরোধী বলতে কোন সঙ্কোচ করার কারণ নেই। আমি নিজেও ইসলাম বিরোধী শুধু না রীতিমতো ইসলাম বিদ্বেষী, আর এটা বলতে আমি কোনদিন সংকোচ করব না ,জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
কারন অন্য ধর্ম গুলো ( মাঝে মাঝে হিন্দুরা করে থাকে অবশ্য ইন্ডিয়াতে) ভায়ওলেন্সের ক্ষেত্রে সক্রিয় নয় এখন, একমাত্র ইসলাম ধর্মই ধর্মীয় সন্ত্রাস লালন করে চলেছে।কাজেই আমার স্বল্প জ্ঞানে আমি এটাই বুঝি যে ইসলাম বিরোধী হতে পারাটা দোষের কিছুই না।
অন্যধর্মের বিরোধিতা করার জন্য ওয়েস্ট এ অনেক ওয়েবসাইট আছে। মুক্ত মনাতেই প্রথম দেখেছি যে ইসলাম নিয়ে সমালচনা করার সৎ সাহস দেখাচ্ছেন আপনারা সবাই। আমি অনেকদিন আগ থেকেই মুক্ত মনার লেখাগুলো পড়তাম। আপনাদের সবার লেখাই কম বেশি পড়েছি। খুব ভাল লাগে প্রথম থেকেই।
কিন্তু কিছুদিন ধরেই খুব কষ্টের সাথে লক্ষ করছি যে মুক্ত মনারা ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। জানি না এর আসল কারন কি।
:-Y
তবে আগেও বলেছি, ইসলাম বিদ্বেষ আর মুসলিম বিদ্বেষ এক না। আসলে মুসলিম রা তো মুহাম্মদ র ইসলামের দ্বারা মগজ ধোলাই হওয়া একটা জাতি
@অচেনা,
মুক্ত মনা ভাগ হলো কি হলো না এটা আমাদের খুব চিন্তার বিষয় নয়। ভাগ হলেও সমস্যা বেশী তাও মনে করার কোন কারন নেই। এখন এত সব ব্লগ সাইট বাংলাতেই আছে আর নিত্য দিন বের হচ্ছে, মুক্ত মনা ই যে একমাত্র স্বাধীণ মত প্রকাশের ক্ষেত্র তা মনে করার কোন কারন নেই। তবে এরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়া ছুড়ি বন্দ করুক সেটাই আমাদের কাম্য। তবে কেউ যদি মনে করে যে ষড়যন্ত্র করে মুক্তমনাকে ধ্বংস করে দিলেই স্বাধীন মত প্রকাশ বন্দ হয়ে যাবে সে বোকার স্বর্গে বাস করছে।
@ভবঘুরে, না ভাই সেটা ঠিক আছে, তবে আসলে কি জানেন, অনেকদিন ধরেই এই সাইট আমি ব্রাউজ করছি।আর আপনাদের অনেকের লেখাই পড়েছি। খুব ভাল লেগেছে অনেক লেখাই। কাজেই যদি এখানে কেউ আসা বন্ধ করে দেন তবে তাদের লেখাগুলো মিস করব খুব।
যেমন আকাশ মালিক ভাইয়ের লেখা খুব একটা পাইনা আর।উনি অন্য নামে অন্য সাইটে লেখেন কিনা সেটা জানারও উপায় নাই।ঠিক তেমনি আপনার কথাই ধরেন। আপনিও যদি কোনদিন এখানে লেখা লেখি কমিয়ে দিয়ে( আশা রাখি আপনি নিয়মিত লিখবেন এখানে !) অন্য ব্লগে লেখা আরম্ভ করেন তবে কিন্তু সেটা অনেকেই জানবে না।
আসলে আমার কথা বলার এটাই মুল কারন।
কাজেই আমরা পাঠক হিসাবে লেখকদের কাছে এ টুকু অনুরোধ রাখতে পারি যে আমরা যেন আপনাদের লেখাগুলো থেকে বঞ্চিত না হই।
তাছাড়াও মুক্ত মনার প্রতি একধরনের ভালোলাগার সৃষ্টি হয়েছে অনেক আগ থেকেই। কারন আমার ব্রাউজ করা এটাই প্রথম সেকুল্যার ব্লগ।
@অচেনা,
ইসলাম বিরোধী হওয়া দোষের কিছু আসলেই না। তবে বিদ্বেষ শব্দটা একেবারেই মানানসই না মুক্ত মনের মানুষদের কাছে।ধন্যবাদ।
এমনকি ব্যারের দ্বারা এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা যা ঘটে সেইটার বিরোধিতা করলেও চিন্তাবিদেরা নানারকমের যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয় এক্সট্রাজুডিশিয়াল কিলিঙ্গের মধ্যে আমাদের দেশ ও দশের কি কল্যান নিহিত আছে 😀
ব্যক্তিগতভাবে আমি মানবাধিকারের (যেমন-শিশু অধিকার, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু অধিকার, সমকামী অধিকার ইত্যাদি ইত্যাদি) ইস্যুতে এবসলিউটিস্ট। রোহিঙ্গারা রচন্ড প্রচন্ড পার্সিকিউটেড, আমার অবস্থান তাই সর্বদাই তাদেরই পক্ষে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া উচিত ছিলো বলেই মনে করি। সহিংস সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মানুষ মরছে এমন একটি অবস্থায় একটি সরকার নানাধরণের যুক্তি দেখিয়ে নিশ্চুপ বসে আছে এইটা মেনে নেওয়া কঠিন, এইটা ভবিষ্যত সরকারগুলোকে, জনগনকে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকেও খুব বাজে একটা শিক্ষা দেয়। এপারেন্টলি আওমিলিগের সাথে রোহিঙ্গাদের কোন সমস্যা আছে, যেমন কিনা আওমিলিগের সমস্যা ছিলো ডক্টর ইউনুসের সাথেও। আমি জানিনা এই উভয় সমস্যারই মুল প্রকৃতি কি ছিলো, তবে বিভিন্ন ফেইসবুক চিন্তাবিদদের দেখলাম রোহিঙ্গাদের কেনো সাগরে ভেসেই মরতে দেওয়া উচিত এই বিষয়ে নানারকম চুল মার্কা জ্ঞানগর্ভ যুক্তির অবতারণা করতে।
দাঙ্গা শুরু কি রোহিঙ্গারা করেছিলো নাকি বৌদ্ধরা এইটা নির্বিশেষেই রোহিঙ্গাদের প্রতি আমার অবস্থান হবে একই। মুসলমানরা যেখানে আছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সেখানে হবেই, এইটাই স্বাভাবিক। যখন মুসল্মান অন্য ধর্মাবলম্বী পায় না তখন নিজেদের মধ্যেই বেটে দুই করে দাঙ্গাদাঙ্গি শুরু করে। ইহুদী না পেলে সিয়া সুন্নি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একে অপরের অভ্যন্তরে আঙ্গুলি সঞ্চালন করছে আরবে; সিয়া না পেয়ে কুর্দিদের সাথে করেছিলো ইরাকে, কুর্দি না পেয়ে কাদিয়ানিদের সাথে করেছে পাকিস্তানে! দাঙ্গার চরিত্র যাই-ই হোক না কেনো মানবাধিকারের পক্ষে শক্ত অবস্থানে কাউকে না কাউকে সেখানে থাকতে হবেই।
@আল্লাচালাইনা,
একমত আপনার সাথে।আমার অবস্থানও মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের পক্ষে।
সঠিক কথা।
@আল্লাচালাইনা,
যদিও মুসলমানদের ব্লেইম করাটা দুনিয়ার সহজতম কাজের মধ্যে একটা এবং আমি নিজে সহজ জিনিস পছন্দ করি, তারপরেও আমি অত সহজভাবে দেখতেছিনা ব্যাপারটা। মুসলমানিত্ব জেনেটিক বৈশিষ্ট না। এইটা সামাজিক একটা পোষাক। আপনি আমার থেকে ভালো জানবেন এই ব্যাপারে। যদি বলতেন, কোন সমকামীরে যতই মাইয়া দেখানো হউক না কেন, ও পোলাপানের দিকে ঝুকবই। তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা ছিল না।আপনি যদি মুসলমান পরিবারের হন, কিংবা আপনার প্রতিবেশি যদি মুসলমান পরিবারের হয় একটু দেইখ্যেন তো তারা আপনার জীবদ্দশায় কয়বার এমন দাঙ্গা করছে? সৌদী আরবে কয়বাদ দাঙ্গা হয় আর সোমালিয়াতে কয়বার হয় এইটা যদি একটু বিবেচনা করেন তাহলেই মনে হয় বুঝতে পারবেন সমস্যাটা আসলে মুসলমানিত্বে না অবশ্যই এটা হয়ত কোন কোন ক্ষেত্রে অনুঘটন হিসাবে কাজ করে।
লেখাটা পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে এবং তথ্যবহুল হওয়ায় খুবই শক্তিশালী হইছে… (F) । আপনার লেখার শেষ লাইনটা আমারো প্রশ্ন যেইটার কূল কিনারা পাইতেছিনা 🙁
@লীনা রহমান,
রোহিঙ্গাদের জায়গায় বাঙালিরে বসাও। তাইলেই উত্তর পাইয়া যাইবা। 🙂
@সাইফুল ইসলাম, সুন্দর লিখেছেন ভাই। মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের পাশে আমাদের সবার দাঁড়ানো উচিত, না হলে মানবতা পরাজিত হবে।
সুন্দর লেখাটির জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা। (F)
@অচেনা,
ধন্যবাদ জানবেন পাঠের জন্য।
সমস্যাটা আমাদের না,মায়ানমারের,তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে এটা সমাধানের জন্য,আর জাতিসংঘও আসুক। সোজা কথা হইল,মানবিকতা দেখানোর মত কোন শক্ত অর্থনৈতিক অবস্থানে আমরা আছি কিনা। যেখানে নিজের পেটের ভাত জোটে না,সেখানে মানবতার কথা বলে লাভ আছে? আর মানবতা কাদের কাছে? শহুরে ফেবু সেলিব্রিটি আর ব্লগারদের কাছে,কক্সবাজার এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের কাছে এই মানবিকতার ত্যানা প্যাচাইলে গণধোলাই খাইতে হবে।
একটা দেশে যখন শরণার্থী থাকে তখন শহরের মানবতাবাদী জীবনে কোনো প্রভাব পড়ে না। ঝামেলাটা সহ্য করতে হয় স্থানীয় মানুষদের এবং অর্থনৈতিক চাপটা সহ্য করেত হয় দেশের নিম্নবিত্ত মানুষদের। ইতিমধ্যে ৩-৫ লাখ রোহিঙ্গার ভার তাদেরকে বহন করতে হইতেসে। এরা বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে বড় পথ; আরও নানা ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত। স্থানীয় জনগণ এদের সংখ্যাবৃদ্ধি চায় কিনা সেইটা ভাববার বিষয়।
আবেগ অপেক্ষা বাস্তবতা শ্রেয়!!!!
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
দেশটা যেমন আপনার তেমনি আমারও। আপনার স্বাধীন মতামত আপনি দিতেই পারেন। কোন সমস্যা নাই। কিন্তু ধরেন একটা প্রশ্ন করি। যেইটা উপরে বিশিষ্ট একজন গবেষককে করেছিলাম,
অর্থনৈতিকভাবে বিকল আপনার অমানবিক মন কী বলে? তখন ঐ দেশের কী করা উচিত। অথবা এমনও হতে পারে মানুষজন দুনিয়ার অন্যান্য দেশে হাজারে হাজারে পাড়ি জমাচ্ছে। তখন ঐসব দেশের সরকারের কী করা উচিত?
@সাইফুল ইসলাম,
মানবিকতা প্রশ্নে আপনার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই,কিন্তু কথা হচ্ছে, ঝামেলাটা সহ্য করতে হয় স্থানীয় মানুষদের এবং অর্থনৈতিক চাপটা সহ্য করেত হয় দেশের নিম্নবিত্ত মানুষদের।আপনি এদের আগে মতামত নেন!! আজকে আপনি যদি নিজের বাসায় ২-৪ টা রোহিঙ্গা আশ্রয় দেন তাহলে আমার আপত্তি নাই,কিন্তু আমার আপত্তি এখানেই যে আপনার মানবিকতার বোঝা বহন করতে হবে সীমান্তবর্তী এলাকার দরিদ্র মানুষগুলোকে। এইটাই বা কোন ধরণের মানবিকতা? আজকের ই-প্রথম আলোর পেজ নম্বর ৪০ এ যান,দেখুন প্রতিবেদনে কি বলা আছে। কক্সবাজারের ভুক্তভোগী জনতা রোহিঙ্গাদের চায় না,এদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে,কারণ এরাও বাংলাদেশের নাগরিক। উপরুন্তু,মূল ঝক্কিটা এই মানুষগুলোকেই পোহাতে হবে,কাজেই আমার আপনার মত ২-৪ জন ব্লগারের মানবিক মূল্যবোধ অপেক্ষা এই সব জীবন বাস্তবতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।আজকে ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও আমার আপনার ব্লগিং জীবনে কোন প্রভাব পড়বে না,কিন্তু ঐ অঞ্চলের নিম্নবিত্ত মানুষ যে সাফার করবে সেই দায়ভার না নিয়ে আপনিই বা কোন ধরণেই মানবিকতা পালন করবেন?
দিন শেষ আমারও একই প্রশ্ন,এরা মানুষ,এদেরকে কি করা হবে!!! এ জন্য জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে।বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যা করা যায় ইতিমধ্যে তার থেকে বেশিই করে ফেলেছে। অস্ট্রেলিয়া ৩০টা রোহিঙ্গা পরিবারকেও বেশিদিন রাখতে পারে নাই,ফেরত পাঠিয়েছে।আর আমরা ৪ লাখ রোহিঙ্গাকে পুষে যাচ্ছি ২০ বছর ধরে।
এটা বাংলাদেশের সমস্যা না,বিশ্বমানবতার সমস্যা,সকলকে এক সাথে এগিয়ে আসতে এই অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য,জাতিসংঘে উচিত মায়ানমারকে এ বিষয়ে কর্মতৎপর হতে আহবান করা।শুধু শুধু বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে লাভ নেই। কারণটা আগেই বললাম। কোন ধরণের হত্যাকান্ড এবং নিষ্পেষণই সমর্থনযোগ্য নয়,কিন্তু সমস্যা সমাধানে আমাদের আবেগপ্রবণ না হয়ে বাস্তববাদী(অমানবিক হতে হবে এই কথা বলছি না) হতে হবে।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
যারা বাঙলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দিতে নারাজ তাদের সবারই প্রথম ডায়ালগটা থাকে “আসলে মানবতার খাতিরে এদের ঢুকতে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমাদেরও তো সমস্যা আছে। আমরা নিজেরাই খেতে পারি না তার উপরে এদেরকে কীভাবে খাওয়াবো।”
বাহ, কী চমৎকার দেশপ্রেমিকসুলভ পুতুপুতু কথা। বাঙলাদেশ সরকারের সাথে একেবারে মিলে যায় দাদা। কিন্তু সমস্যা হল আপনারা একটা ব্যাপার বোঝেন না, আসলেই কি বাঙলাদেশের এদেরকে খাওয়ানো ক্ষমতা নাই? বাঙলাদেশে প্রতি বছরের দূর্নীতি সম্পর্কে কোন ধারনা কি আপনার আছে? আপনার কি মনে হয় না যে পরিমান দূর্নীতি হচ্ছে(সেটার ভাগ বাঙালিরা পেলে আজকে বাঙলাদেশে প্রায় অর্ধেক মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করতে হয় না) সেটার বিরুদ্ধে আগে রব তোলাটাই বেশি বাঞ্ছনীয়? আগে গাছ নিয়ে কথা বলুন, শাখা প্রশাখা অনেক পরের ব্যাপার। আমরা বাঙালিরা সাইডটকে বেশি আনন্দ পাই, আসল আলোচনা রেখে।
@সাইফুল ইসলাম, দুজনে সম্পূর্ণ ভিন্ন পয়েন্ট অব ভিউ থেকে কথা বলছি,সুতরাং ফলহীল তর্কে গিয়ে লাভ নেই। আমি শুধু একটা প্রশ্নেরই উত্তর চাই,কক্সবাজারের দরিদ্র জনগোষ্ঠীও বাংলাদেশের নাগরিক কিনা,আর হলে তাদের মতামতের কোন মূল্য আছে কিনা? আর মানবতার দায়বোধ বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপাচ্ছেন কেন? আমনার মানবিকতাবোধ বেশি হলে আপনার উচিত মিছে আমার সাথে তর্ক না করে এখুনি সীমান্তে গিয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গাকে নিজের ঘরে তোলা।
@সাইফুল ইসলাম, আরেকটা কথা,সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়া আর চিরস্থায়ীভাবে থাকতে দেয়ার মধ্যে তফাত আছে। যে ৩-৫ লক্ষ রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে এই দেশে অবস্থান করছে তাদের মতই নতুন করে নতুন শরণার্থীরাও থেকে যাবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে? আর আমরা গৃহযুদ্ধে নিপতিত হয়ে পাশের দেশে গেলে তাদের নেয়া উচিত কি উচিত না সেইটা কথা না,কথা হচ্ছে ৪ লাখ বাঙালি যদি আজীবনের জন্য অন্য কোন দেশে যাওয়ার পায়তারা করে তো সেই দেশ জীবনেও ঐ বাঙ্গালিদের ঢুকতে দিবে না। এই হল নিদারুণ বাস্তবতা।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
দেখেন বাস্তবতা এমন হতে পারে আমি আপনার সাথে দেখা করে কইষ্যা একটা চড় মারতে পারি। আপনি সেটা মেনে নেবেন? আগে এটার উত্তর দেন তারপরে অন্যকথা বলি।
@সাইফুল ইসলাম,আপনি সম্ভবত উত্তেজিত হয়ে গেছেন।
@আমি কোন অভ্যাগত নই,
ভাই শোনেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমটায় বসে হিন্দুদের উপর কি অত্যাচার আরম্ভ করেছিল ভুলে গেলেন? তখন যে ইন্ডিয়া কে বাংলাদেশী হিন্দু শরনার্থীদের ভরণ পোষণ করতে যে বাজেটের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছিল সেটাও ভুলে যান নাই আশা করি। এ নিয়ে নাকি কিছু ইন্ডিয়ান কর্মকর্তা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন কিন্তু তার পরেও কিন্তু ইন্ডিয়ান রা তাদের ফেলে দেয় নি। এই খবরটার কোন রেফারেন্স দিতে পারব না সরি। খবর গুলো জনকণ্ঠ পত্রিকাতে নিয়মিত পড়তাম।
যা হোক ওটা কিন্তু আমাদের নিজেদের সমস্যা ছিল ভারতের না। শাহরিয়ার কবির এ নিয়ে প্রামান্য চিত্র করার জন্য কিভাবে তাকে রিমান্ডে নেয়া হল দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করার ভুয়া অভিযোগে, কিছুই ভুলি নাই ভাই।
@অচেনা, জনকন্ঠ-র সংবাদ অতিরঞ্জণ নিয়ে অনেক রসালো গল্প এবং অভিযোগ আছে। যাই হোক,ধরে নিলাম আপনি যা বলেছেন তা সঠিক,প্রথম কথা হচ্ছে,যে মানুষগুলো গেল তারা কি আর ফিরে আসে নাই? চিরস্থায়ীভাবে ভারত তাদের থাকতে দিছে? এই প্রশ্নের একটা হ্যা/না জবাব পেলে আমার উত্তর দিতে সুবিধা হবে।তাই এই প্রশ্নের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
@আমি কোন অভ্যাগত নই, আসলে অনেক দিন আগের কথা তো।ওগুলো পড়ার পর আর কি হল তা আমার সঠিক মনে নেই , অথবা হয়ত আর পড়াই হয়নি।
আমার ব্যক্তিগত জীবনে কিছু ঝড় ঝাপ্টা গেছে তার পর। আর তাই হয়ত বিষয়টা নিয়ে আর বেশি পড়া হয়ে উঠেনি।
আসলে কি জানেন, জনকণ্ঠ অতিরঞ্জন করুক বা না করুক কথা কিন্তু সেটা না।ধরেই নিন না যে ওটা সঠিক ছিল, অথবা যদি অতিরঞ্জনও হয়ে থাকে তবু আমরাও ত ভবিষ্যতে এমন কোন সমস্যায় তো পরতেও পারি তাই না( যেমন রোহিঙ্গারা পড়েছে)? তখন আমাদেরও তো এমন পরিনতি হতে পারে। আমি তো শুধু মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের স্বপক্ষে অবস্থান নিয়েছি , এর বেশি আর কিছুই না ।
ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ।
তবে হ্যাঁ পুর্নিমা ধর্ষনের কথা মনে আছে আপনার? ওটা অনেক পত্রিকাতেই লিখেছিল।
সেই অপরাধের বিচার হয়েছে কি? এটাও আমার পরে আর জানা হয়ে উঠে নাই ( কারনটা উপরে বলেছি) । খবরটা আপনি জানলে আমাকে একটু জানাবেন প্লিজ।
ভালো লাগলো।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আপনাকে তো ভাই মুক্তমনায় দেখাই যায় না। কেসটা কী?
খুবই তথ্যবহুল ও সুন্দর একটি লেখা। অবশ্যই অবশ্যই ভাবনার বিষয় আছে প্রচুর……… কিন্তু প্রশ্ন একটি জায়গাতেই থেকে যাচ্ছে, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে মিয়ানমারকে কেন কোন প্রকার চাপ দিচ্ছে না বা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হচ্ছে না? চাপটা শুধু বাংলাদেশের উপরেই থেকে যাচ্ছে, , , , , , , , , , ,
মানবিকতার জায়গায় আমার কোন দ্বিমত নেই।
@রায়হান সিদ্দিকী,
সবারই কথা এটা, আন্তর্জাতিক পক্ষ থেকে চাপ দিতে হবে আর বাঙলাদেশ জায়গা দিলে সাহায্য করতে হবে। দূর থেকে পুতুপুতু ভালোবাসায় কাজ হবে না। তবে বাঙলাদেশকে দেওয়া মানবাধিকার সংস্থা সম্ভবত হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে তারা সাহায্য করবে।
পাঠের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
@সাইফুল ইসলাম,
ছবিগুলো এইখানে পাবেনঃ ১) http://a3.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/526750_10151611245942137_1206001732_n.jpg
২) http://a4.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc6/181188_10151626950604057_132417606_n.jpg
রোহিংগারা যে মূলত চাটগাইয়া ভাষা বলে, সেটা তাদের বিষয়ে যারা কিছুটা গবেষণা করেন তাদের সবার-ই জানা। এবং আপনি যে উইকিপিডিয়ার তথ্যে ভিত্তিতে আপনার লেখাটা লিখেছেন, সেখান থেকে আপনি অপছন্দের তথ্যগুলো বাদ দিয়েছেন দেখা যাচ্ছে। উইকিপিডিয়াই বলছেঃ “It is linguistically similar to the Chittagonian language spoken in the southernmost part of Bangladesh bordering Burma.”
বাংলাদেশ থেকে ৪ চার শতাব্দীর বেশী সময় ধরে আরাকানে মুসলিম জিহাদী অভিযান, এবং বার বার আরাকানে মুসলিম অধিকার ও শাসন প্রতিষ্ঠা সেখানে মুসলিম সম্প্রদায় গঠনের ইতিহাসে কোন ভূমিকাই নেই আপনার কাছে? অথচ সেই সপ্তম শতকে (আসলে অষ্টম) শতকে জাহাজ ভেঙ্গে কয়েক আরব ব্যবসায়ীর আটকে পড়ার কাহিনী – সেখানে মুসলিম সম্প্রদায় গঠনে একচ্ছত্র ভূমিকা রেখেছে আপনার কাছে! আর আপনি রোহিংগাদের নিজেদেরই দাবী যে, তারা আরব নন – সে কথাটারও কোনই গুরুত্ব দিলেন না। শুধু তাই নয়, বার্মায় যে অ-রোহিংগা আরও ১টা বা ২ টা পুরানো মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে, যাদেরকে রোহিংগারা আরব বংশোদ্ভুত বলে, সেটাও বাদ দিয়েছেন আপনার পছন্দের থিসিস দাঁড় করাতে।
ওদিকে আপনি বলছেন ব্রিটিশ আমলে অনেক মুসলিমের অভিবাসন হয় আরাকানে। ব্রিটিশরা আরবদেরকে ধরে এনে সেখানে পুনঃবাসন করেছে? আপনার থিসিস পড়ে তো, তাই মনে হয়।
রোহিংগারা আরবী-উর্দু হরফে লেখা শুরু করে, তার মানে যদি তারা নিশ্চিত আরব হবে, তাহলে মালেই-ইন্দোনেশীয়রা সবাই ইংরেজ, কারণ তারা ইংরেজী হরফে লিখে। এবং এটাও নিশ্চিত যে, ইংরেজরা বাংলা অধিকার না করলে আমরা আজ আরবী হরফেই লিখতাম — হোক সে ফারসী-উর্দু কিংবা বাংলা ভাষা।
আরাকানে কয়েক শত বছরব্যাপী মুসলিম জিহাদ অভিযান, যে সেখানে মুসলিম সম্প্রদায় গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে, সেটা নাঙ্গা ছেলে-মেয়েরও বুঝা উচিত। এবং কিভাবে মুসলিম বাংগালীদের কাছে তারা চট্টগ্রাম হারালো, যা ছিল বাংলা-ভাগের চেয়েও কঠিন আঘাত আরাকানদের জন্য, তা অনুধাবনেও সাহায্য করবে।
চট্টগ্রামের কিভাবে সমতলভূমির বাঙ্গালীরা গিয়ে আর্মির সহায়তায় জোরদখল, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নি-সংযোগ, হত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে আরাকানী পাহাড়ীদেরকে তাদের নিজ বাসভূমিতে দুই দশকের মাঝে সংখ্যালঘু করে ফেলে — সে সম্পর্কে কোনই খবর রাখেন না দেখছি। অভিজিৎকে অনুরোধ করব, “হিসাব মিলে না, উত্তর পাই না” সিরিজটা যদি পুনঃপ্রচার করা যায়।
আর আপনি বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের কথা বলছেন? যার মানচিত্র থেকে ৩ কোটি হিন্দু (৬০-৬৫%) নিঃচিহ্ন হয়ে গেছে বিগত ৬৫ বছরে। হিন্দুরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়াই তাদের বিরুদ্ধে গণ-ধর্ষণ, লুণ্ঠণ, উচ্ছেদ ইত্যাদি চালানোর জন্য আপনার কাছে সাধু-সন্ত তুল্য বাংলাদেশী মুসলিম ভাইদের জন্য যথেষ্ট।
আরাকানী পাহাড়িদের উপর বাংলাদেশীদের বর্বরতা আরও বেশী সাংঘাতিক। মিয়ানমারে আরাকান-মুসলিম দুঃসম্পর্ক অনুধাবনের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে।
আর একটা কথা জিজ্ঞেস করিঃ বাংলাদেশের হিন্দুরা (যারা সেখানকার আদি সাংস্কৃতিক অধিবাসী) যদি রোহিংগাদের মত বাংলাদেশে ৯টি মসজিদ ধ্বংস করে, ১৩ জন মুসলিমকে হত্যা করে, তাদের বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেয় — তাহলে তাদের কপালে আপনার সাধু-সন্ত তুল্য মুসলিম ভাইয়েরা কি ঘটাবে, সেটা আমাদেরকে একটু বুঝিয়ে বলবেন?
সবশেষে বলিঃ ব্যক্তিগতভাবে আমার কয়েকজন বার্মিজ-এর সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার সুযোগ ঘটে। এবং তাদেরকে আমাদের চেয়ে কম ভাল মানুষ মনে হয় নি কখনোই। রোহিঙ্গা-রাখাইন সংঘাত ঐতিহাসিকভাবে গড়ে উঠেছে এবং সেটার সমাধান সহজ নয়। তার মানে এই নয় যে, বার্মিজরা বর্বর আমাদের তুলনায়। বাংলাদেশ থেকে নিঃচিহ্ন হওয়া তিন কোটি হিন্দুদের কথা তো আমরা স্বপ্নেও ভাবি না, নিজ মাতৃভূমিতে তাদের পুনঃবাসনের কথা তো দূরে থাক।
@আলমগীর হুসেন, সহমত পোষণ করছি …
@আলমগীর হুসেন,
দিগন্ত বড়ুয়ার এই সিরিজটা এক সময় মুক্তমনায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আজকের মতো পাঠকদের মন্তব্য করার তখন কোন উপায় ছিলনা। দিগন্তের সাথে কারো পরিচয় থাকলে রি-পোষ্ট করার ব্যবস্থা করা যেতো। তবে লেখাগুলো আপডেইটের প্রয়োজন আছে। ভিন্নমত ও মুক্তমনার প্রথম দিকে দিগন্ত বড়ুয়া, রুদ্র মুহাম্মদ এ রকম আরো কয়েকজন লেখকের ক্ষুরধার লেখা আতংক হয়ে দেখা দিয়েছিল ধর্মান্ধদের কাছে, প্রেরণা যুগিয়েছিল ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসা মুক্তমনার নবীন লেখকদের।
@আলমগীর হুসেন,
আপনাকে/আপনাদের ঠেলাঠেলিপ্রেমি বলে মনে হচ্ছে। কারন আপনি আবোল তাবোল কাবোল অনেক কিছু বললেও এবং কেউ কেউ আপনার পিঠ পেছন থেকে বেশ চাপরে গেলেও আপনি এবং আপনার চাপড়ানো পার্টনার/পার্টনাররা মূল বিষয়টাই ধরতে পারেন নি। এমন অবুঝ/বেবুঝ হওয়ার কারন মূল লেখা না পড়ে দেশপ্রেম দেখানো হতে পারে, আবার আলাদা মতবাদের অধিকারী হয়ে হিরো হিরো একটা ভাব ধরাও হতে পারে। বলা মুশকিল কোনটা।
রোহিঙ্গারা চাটগাইয়া ভাষায় কথা বলে না হনুলুলুর ভাষায় কথা বলে সেইটা বের করে এই লেখার লেখক ভাষাবিজ্ঞানীর স্তরে উঠতে চায় নাই। তার প্রধান দাবী ছিল প্রানের ভয়ে দৌড়ে পাশের দেশে আসা কিছু মানুষকে থাকার জায়গা দেওয়ার।
আমার নিজের পছন্দের কোন থিসিস নাই। রোহিঙ্গারা আরব থেকে আসছে নাকি মঙ্গল থেকে আসছে এইটা নিয়াও আমার মাথা ব্যাথা নাই। কারন আরব থিকা আসলেও আজকের রোহিঙ্গারা রোহিঙ্গাই থাকবে আর জুপিটার থেকে আসলেও রোহিঙ্গাই থাকবে। অন্তর্জালে প্রাপ্ত তথ্য যা বলতেছে আলমগীর হুসেন ছাড়াও জগতে আরো বহু পাবলিক আছে যারা জন্মের পর থেকেই সব জানে না তাদের কথা চিন্তা করে এখানে এড করে দিয়েছি। আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি। আমি আমার দেওয়া তথ্যের সোর্স দিয়েছি। শুধুমাত্র আলমগীর হুসেন নামের কোন গবেষক বলছে তার জন্য এইটা হয়ত অনেকে নাও বিশ্বাস করতে পারে। আপনার সোর্সও দিন। লেখাটা যেহেতু পাবলিকের জন্য তারাই ঠিক করুন কোনটা গ্রহন করবে।
আপনার সমস্যাটা বুঝতে পারছি। বাঙলাদেশের বাইরের জনগনকে হয়ত মানুষ বলে মনে করতে পারছেন না। আর সাথে যদি মুসলমান নামের তকমাটা থাকে তাহলে পরে আপনারদের তরিকা মতে সিদ্ধান্ত দেওয়াটা সহজ হইয়া যায়। বুঝি ভাই, বুঝি।
কারন গবেষক হলেও থিসিস পড়ে বুঝে ওঠার মতন সময় এখনও আপনার হয় নি। আমি মূল লেখাতে বলেছি বৃটিশরাঃ
লেখাটা হয়ত আপনার গবেষনার গবেষক দৃষ্টি থেকে বাদ পড়ে গেছে। ব্যাপার না। এটা হয়।
আরবী টেক্সটের উদাহরন দিয়ে আমি রোহিঙ্গারা আরবের সেটা প্রমান করতে চাই নি। দেখিয়েছিলাম তাদের মূল অনেক পুরনো। দুতিন দিন আগের নয়।
এটা নিয়ে কুটতর্কে যেতে চাচ্ছি না মূল বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত নয় বলে। তবে এটাই বলব শুধু, বাঙলা ভাষার লিখিত রূপের বয়সটা একটু জেনে নিয়েন। ইংরেজরা এসেছিল কবে, আর বাঙলার প্রাচীণ নিদর্শন “চর্যাপদ” কবে লিখিত হয়েছিল। তাহলেই সমস্ত ক্ষেত্রে ক্বারী-মাওলানা হতে আর ইচ্ছা করবে না।
এর সাথে আজকের রোহিঙ্গাদের সম্পর্কটা দেখিয়ে দিয়ে বাধিত করুন।
খাইছে, আপনি দেখি দুনিয়া ছাড়া আমার মগজের খবরও রাখতে শুরু করেছেন দেখা যায়। আপনি ভাই সাংঘাতিক পিস!
আরাকানীদের প্রতি ব্যাপক বালোভাষা দেখছি আপনার মনে। ঘটনা কী?
চট্টগ্রামের মানুষেরা তাদের প্রাপ্ত অধিকার পাক এটা যুক্তিবাদী যেকোন মানুষই চাইবে। কিন্তু আমি যেটা বুঝতে পারছি না সেটা হল, এই সমস্ত ঘটনার সাথে রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে জায়গা না দেওয়ার সম্পর্ক কোথায়?
বেশি আতেলদের সাথে এই জন্যেই কথা বলে মজা নাই। মূল লেখাটা হয় আপনি গবেষক আলমগীর হোসেন, পড়েন নি, নইলে পড়ে কিছুই বোঝেন নি। লেখাটা আবার পড়ুন। আপনার সুদৃঢ় মস্তিষ্কের সুদৃঢ়তর দেয়ালের কোন ফুটো দিয়ে তারপরে সেটাকে মগজের ধুসর সেলগুলো মধ্যে প্রবেশ করান। একগ্লাস ঠান্ডা পানি খান। একঘন্টা ঘুম দিন। দেখবেন সব পানির মতন ক্লিয়ার হয়ে গেছে।
আপনার কথা তো বুঝলাম, আমাকে বোঝান, তাহলে জোট সরকারের আমলে হিন্দুরা কেন কোন দাঙ্গা করে নি।
আর আপনার উদাহরনকে যদি মায়ানমারে নিয়ে যাই, সেখানে ডমিনেন্ট গ্রুপ কারা? আরাকানরা। বাঙলাদেশে মুসলমানরা। আপনার থিসিস বলছে আক্রমন করেছিল মুসলমানরা। তাহলে এই থিসিসের যুক্তির ভিত্তিতে বলা যায়, দাঙ্গার সুত্রপাতও আরাকানরাই করেছে।
ঐযে বললাম, হয় পড়েন নি না হয় না পড়েই লাফাচ্ছেন। আগে বলেন, কী দেখে মনে হল এই লেখায় আমি রোহিঙ্গারা মুসলমান বলে তাদের পক্ষ নিয়েছি? কারন নইলে “আপনার সাধু-সন্ত তুল্য মুসলিম ভাইয়েরা” কথাটা কেন আসল?
“আমার সাধু-সন্ত তুল্য মুসলিম ভাইয়েরা” তাদের খুবই পিট্টি দেবে। কিন্তু আমার কনসার্ন “আমার সাধু-সন্ত তুল্য মুসলিম ভাইয়েরা” কী করবে সেটা নিয়ে নয়গো দাদা। আমার কনসার্ন আমার সাধু-সন্ত তুল্য মুসলিম ভাইয়েদের প্যাদানী পাছায় নিয়ে নদীতে পানির চুবানী খেয়ে কিংবা বিএসএফ এর হাতের লালায়িত চুম্বন উপোভোগ করে তারা যদি ভারতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে ভারত যেন তাদের প্রবেশ করতে দেয় সেটা নিয়ে। বরঞ্চ আপনাকে একটা প্রশ্ন করি।
আজকে যদি আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে একটা বিরাট ঝামেলা বাঝে এবং আলটিমেটলি সেটা গৃহযুদ্ধের দিকে গড়ায় এবং মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়। পার্শ্ববর্তী কোন দেশে পালিয়ে যেতে চাইলে আপনার গবেষক অন কী বলে। পার্শ্ববর্তী ঐ দেশের তখন কী করা উচিত? পিলিজ উত্তরটা দেন!
ব্যস আর কী। বিশিষ্ট গবেষক ভাষাবীদ, আলগীর হোসেন যখন বার্মিজদের ভালো মানুষ হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েই ফেলেছেন তাহলে রোহিঙ্গাদের এদেশে আসার নিশ্চই কোন গুঢ় ষড়যন্ত্র আছে। নইলে দয়ার সাগর বার্মিজদের বালোভাষা ছেড়ে তাদের সম্ভোগের কোল ছেড়ে কেন তাড়া এখানে আসবে? কেন কথা বলতে না পারা অজস্র শিশু বাপ মা ছাড়া হয়ে নৌকায় উঠে সাগরের পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসে পড়বে? ওরা নিশ্চই রোহিঙা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সে(RCI) এজেন্ট! এদেরকে না মারা ছাড়া আসলেই কোন উপায় দেখছি না। আম্লীগ এতদিনে একটা ভালো কাজ করেছে। অন্তত ৭২৮জন RCI সদস্যকে তারা সাগরে ফেরত পাঠাতে পেরেছে। গর্বে আমার বুক পেট সবই ভরে যাচ্ছে!
আপনি এবং আপনার পিঠ পেট চাপড়ানো বালকদের বলছি, আপনারা লেখার মূল নির্যাস ধরতে পারেন নি। না পারাটা স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। গবেষনা করতে করতে অনেক সময় সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা হয়। অলিক শত্রু বন্ধু তখন আশেপাশে ঘোরে।
রোহিঙ্গা সমস্যা অনেকদিনের এটা আপনার গবেষনাতে যেমন এসেছে তেমনি আমরা যারা গবেষনা করি না শুধু আপনারগুলো পাঠ করেই বেঁচে আছি তাদের নজরের পড়েছে। সমস্যার সমাধানও সহজ নয়। সেটাও আপনাদের বদৌলতে জানতে পেরেছি। কিন্তু কথা হচ্ছে তাহলে এদের দিয়ে কী করা হবে? আপনার গবেষক মন কী বলে?
লেখার এই অংশটা আবার পড়েন।
উত্তর দেন। যদি মনে করেন পারবেন তাহলে পেটে না রেখে উত্তরটি এখানে প্রসব করুন। আর যদি দেখেন আপনার গবেষক মন এই উত্তর দিতে পারছে না তাহলে চুপটি করে বসে দেখতে থাকুন অযথা ঘেউ ঘেউ না করে। সবারই শক্তির অপচয় কমে।
@সাইফুল ইসলাম,
আলমগীর সাহেবের সমস্যাটা এখানেই। আমি মোটামুটি নিশ্চিত, রোহিঙ্গারা মুসলমান না হয়ে অন্য যে কোনো ধর্মের হলেই, তিনি এখন যে বক্তব্য দিয়েছেন তার একশো আশি ডিগ্রি বিপরীত ধরণের মতামত দিতেন। তাঁকেতো আর কম দিন থেকে জানি না। 🙂
তবে, একটা বিষয়ে তাঁকে আমি সাধুবাদ জানাই সবসময়। তাঁর ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষটা অকপট এবং অনায়াসে দৃশ্যমান। এটাকে লুকোনোর কোনো আপ্রাণ প্রচেষ্টা তিনি করেন না আকাশ মালিকের মত।
@ফরিদ আহমেদ,
এটা খুব দুঃখ জনক ব্যাপার ফরিদ ভাইয়া, আমি একমত পোষণ করছি আপনার সাথে।
এখানে সবার দেখা উচিত মানবিক দিকটা কে মুসলিম আর কে অমুসলিম এটা যদি মুক্ত মনারাও দেখা শুরু করেন তবে মৌলবাদী আর সাম্প্রদায়িক মুসলিম সমাজের সাথে আর পার্থক্য থাকল কি মুক্ত মনের অধিকারী মানুষদের?
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ইসলাম ধর্মের উপর খুবই বিরক্ত আর ক্ষিপ্ত, কিন্তু এটার সাথে মুসলিমদের কোন সম্পর্ক নাই, মানে আমি বলতে চাচ্ছি যে মুসলিম রা আসলেই ভাল থাকতে চান, তাদের সাথে বিরোধ কিসের! আর মানবতার মাপকাঠিতে বিপন্ন মানুষকে বিচার করতে গিয়ে সত্যি কে মুসলিম আর কে মুসলিম না এইসব নিয়ে মাথা ঘামালে মানবতাকেই বিপন্ন করা হয়।
একটু সংশোধন করে দিলাম আগের একটা লাইনে।
@ফরিদ ভাই,
শুধু উনিই না,মুক্তমনার এদের সংখ্যা কীভাবে জানি দিন দিন বাড়তেইছে। এরা জগতের সমস্ত সমস্যার মূলে ইসলামকে মনে করে। আপনি কাজি মামুনের লেখায় ভবঘুরের করা মন্তব্যটা দেইখ্যেন। মনের মাধুরী মিশিয়ে রোহিঙ্গাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট উনি বের করেছেন। যখনই জানতে চাইলাম এই তথ্য উনি পেলেন কোথায়? সোর্স কী? তখনই উনি হাওয়া। এর কারন হইল, মুসলমান হইলে কয়েকটা বিষয়ে দোষারোপ করা খুবই সহজ। এরা গন্ডায় গন্ডায় পোলাপান পয়দা করে, এরা লেখাপড়া শিখতে চায় না, এরা কুসংস্কার আচ্ছন্ন, এরা দাঙ্গাপ্রিয়। এইগুলা মুসলমানের আন্তর্জাতিক বৈশিষ্ট ধইরা নিয়া দুনিয়ার যেকোন মুসলমান সমস্যায় খালি দেশের নাম পরিবর্তন কইরা বৈশিষ্টগুলা এরা বসাইয়া দিয়া বিরাট ইসলামিক স্কলার সাজে। আফসোস এদের জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
দুর থেকে বসে মায়া কান্না করা যায়, বাস্তবে গেলে আসল জিনিস বোঝা যায়।
বেশ কিছুকাল আগে ঐসব রোহিঙ্গাদের মাঝে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল এ অধমের, আর তাই কোন তথাকথিত তথ্যের ভিত্তিতে কথাগুলো বলিনি আমি, বাস্তবে যা দেখেছি তাই বলেছি। ৫% এর বেশী রোহিঙ্গারা স্বাক্ষর জানে না , লেখাপড়া তো দুরের কথা। প্রতিটি ঘরে বহু বাচ্চা, অনেকেরই ২/৩ টা বৌ। বিশ্বাস না হলে , একবার ঘুরে আসুন না টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পগুলোতে, আর জেনে আসুন বাস্তব তথ্য। এত দরদ যখন এটুকু কষ্ট না হয় করলেনই্। টেকনাফের মানুষ প্রায় ৯৫% ই মুসলমান, তারাও চায়না ঐসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে। কেন ? তারা ভুক্ত ভোগী। তারা জানে রোহিঙ্গারা কি চিজ! রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা রকম ব্যবসা ও রাজনীতি আছে। ইসলাম পন্থি রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মার মার কাট কাট ক্যডার তৈরীর জন্য এখান থেকে সহজেই রিক্রুট করতে পারে। কিছু ইসলামি এনজিও যেমন- ইসলামিক রিলিফ, মুসলিম এইড এরা ত্রাণ কাজের নাম করে এদের মাঝে ধর্মীয় উগ্রতা ছড়ায় যে কারনে বর্তমান সরকার এদের কার্যক্রমের ওপর কড়া নজর রাখছে ও তাদের কাজকে সংকুচিত করে ফেলেছে। UNHCR এ কাজ করে কয়েক ডজন লোক যারা অতি উচ্চ বেতন পায়। এদের মধ্যে বেশ কিছু পাকিস্তানি আছে। এরা চাকরি টাকে বজায় রাখার জন্য রোহিঙ্গাদেরকে পূনরায় মায়ানমারে ফেরত না যেতে নানা ভাবে ( বিশেষ করে আন্তর্জাতিক) প্রভাবিত করে। মূলত: এদের কারনেই অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা ফেরত যায় নি। নইলে কবেই ওরা সব ফেরত যেত।তারা রোহিঙ্গাদেরকে বলে- আমরা তোমাদেরকে খাওয়াচ্ছি, পরাচ্ছি, ঘর দিয়েছি, চিকিৎসা দিচ্ছি তোমাদের তো ফেরার দরকার নেই। সুতরাং কে আর খামোখা ফিরতে চায়? ওরা তো এটাই চায়। বসে বসে খায় আর বাচ্চা পয়দা করে, এর পর জড়িত হয় নানা রকম অপকর্মে- চোরাচালান, খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, নারী ধর্ষণ এসব। তার পর জঙ্গল কেটে উজাড় করা তো নৈমিত্তিক ব্যপার।
কোন দেশ কি চায় খাল কেটে কুমীর আনতে ?
দুরে বসে বসে মায়া কান্না না করে , তাদের কাছে যান যদি সম্ভব হয়, বাস্তবতা দেখুন, তার পর নিবন্ধ, মন্তব্য যা ইচ্ছা তাই লিখুন।
@ভবঘুরে,
আমি জানতাম ফরিদ ভাইরে এই মন্তব্য করার পরেই আপনি উদয় হইবেন। এবং হইয়া রব তুলবেন “দুরে বসে বসে মায়া কান্না না করে , তাদের কাছে যান যদি সম্ভব হয়, বাস্তবতা দেখুন, তার পর নিবন্ধ, মন্তব্য যা ইচ্ছা তাই লিখুন।” জানতাম কারন হইল, আপনি অন্যান্য অনৈসলামিক স্কলারের বা জাতীয়তাবাদী(নিকৃষ্ট-অর্থে) দেশপ্রেমিকদের থিকা আলাদা কিছু না।
শুনুন দাদা, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ভিয়েতনামীগোর পক্ষ নিতে কোন মানবতাবাদীর ভিয়েতনামে গিয়া ঘটনা দেইখ্যা আসতে হয় নাই। কাশ্মীরে কী হইতাছে এইটা জানতে আমার কাশ্মির যাইতে হয় না, ইরাকে কী চলতাছে এইটা জানতে আমার ইরাক যাইতে হয় না, আফগানিস্তানে কী হইছে এইটা জানতেও আমার আফগানিস্তান যাইতে হয় নাই। আর রোহিঙ্গাগো কাহিনী জানতেই আপনার পরামর্শমতন রোহিঙ্গা ভিজিট দিতে হইব। যাওয়াটা কোনভাবেই খারাপ কিছু না। কিন্তু হেগোর অতীত ইতিহাস জানতে নিশ্চই আমার অতীতে টাইম মেশিন দিয়া ভ্রমন কইরা আইতে কইবেন না? না কি কইবেন?
রোহিঙ্গা শিবিরের কথা বাদ দেই। আজকে বাঙলাদেশে যে পরিমান অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার, গন্ডায় গন্ডায় পোলাপান এইগুলার কারন কী বইলা মনে করেন? আসল সমস্যা যদি মুসলমানিত্বই হয় তাইলে বাঙলাদেশে যেই হিন্দুগুলা না খাইয়া থাকে হেইগুলার পিছনের কারন কী? আরো বড় পরিসরের উদাহরন দেই, ভারতে তো ধরেন বহু হিন্দু আছে, অন্যান্য ধর্মের লোকজনও আছে। ভারতে প্রতিদিন দুনিয়ার সবচাইয়া বেশি মানুষ না খাইয়া থাকে। কেন দাদা? ঐগুলা তো মুসলমান না? এরা কেন লেখাপড়া করে না? এরা কেন কুসংস্কারে আনখশির ডুইব্যা আছে? আপনার অনৈসলামিক মস্তিষ্ক থিকা কোন অহিন্দু বা অভারতীয় কারন কি বাইর হইয়া আসে?
আপনি যতক্ষন না আসল উত্তরটা না জানবেন ততক্ষন পর্যন্ত ধর্ম ধর্ম রব তুইল্যা ব্লগে লেইখ্যা হিট বাড়াইতে পারবেন আর কিছু কিছু আহাম্মকের বাহবাও পাইবেন। কিন্তু সমস্যা হইল কামের কাম কিছুই হইব না কয়েকটা কাঠবলদ ইসলাম বা ধর্ম বিদ্বেষী পয়দা হওয়া ছাড়া।
রোহিঙ্গারা কোন দেশের নাগরিক না, এইটা কি আপনি রোহিঙ্গা শিবিরে ভ্রমন কইরা, হেগো লগে নাকি কি কামও করছেন, এইডা কইরা জানতে পারছেন? হেগোরে মায়ানমারে আইডেন্টিটি কার্ড ইস্যু করা হয় না, আর এই কার্ড না থাকলে, এরা মায়ানমারের অন্য কোন জায়গায় লিগ্যালী যাইতে পারে না, এইটা কি আপনারে রোহিঙ্গা শিবির ভ্রমনের সময় কোন রোহিঙ্গা জানাইছে?
এই কার্ড না থাকলে কেউ শিক্ষার জন্য স্কুল কলেজে যাইতে পারে না এইটা জানেন?
এই কার্ড না থাকলে শত বছর কোন জমির উপরে রোহিঙ্গারা বসবাস হাগামুতা কইরাও ঐ জমির মালিক হইতে পারে না, এইডা জানেন?
যে কোন সময়ই সরকার(আদৌ যদি কওন যায়) ঐ জায়গা থিকা রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করতে পারে কোন প্রকার কারন দর্শানো ব্যাতিত, এইডা কী জানেন জনাব? এইটা কি আপনার গবেষনায় উইঠ্যা আসছে? নাকি রোহিঙ্গা শিবিরে আনন্দ ভ্রমনের সময় এই সমস্ত কঠিন বাস্তবের কথা শুনতে ইচ্ছা হয় নাই, নাকি শুইন্যাও ভুইল্যা গেছেন। আমার মনে হয় ভুইল্যাই গেছেন কারন নাইলে তো এইসব খবর না জানার কতা না, যেহেতু আপনি অধমের “বেশ কিছুকাল আগে ঐসব রোহিঙ্গাদের মাঝে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল”।
এখন আমারে বুঝাইয়া কন, এই সমস্ত সমস্যা থাকলে দুনিয়ার কোন কুতুবের পড়ালেখা করার ইচ্ছা জাগব, বা বলা উচিত, পড়ালেহা করার সুযোগ কই পাইব? ভাই সবাই আপনার লাহান, জ্ঞ্যানের জন্য জীবন দিতে রাজি নাও হইতে পারে।
অশিক্ষার অন্ধকারে একঘরে ফুটবল টিমও আইতে পারে। আজিব কিছু না। এইগুলা তো ভাই বুঝতে হইব। শিবিরে ঘুইরা রঙিন দারিদ্র্য দেখলে তো খালি হইব না। এইডারে বুঝতেও হইব। তারপরে রব তুইলেন কাগো সমস্যা আছে আর কাগো নাই।
@ভবঘুরে,
আসল জিনিস বুঝতে গেলে আপনাকে আরেকটু বাস্তবে যেতে হবে। টেকনাফ নয়, নাফ নদী পেরিয়ে রাখাইন স্টেটে (আরাকানে) যেতে হবে। ওখানে গেলেই বুঝতে পারবেন কেনো রোহিঙ্গাদের সাক্ষরতার হার মাত্র ৫%, কেনো তাদের একেজনের পাঁচটা-সাতটা বাচ্চাকাচ্চা বা দুই চারটা বউ।
আলমগীর হুসেনকে যেটা জিজ্ঞেস করেছি, আপনাকেও সেটা জিজ্ঞেস করি। মায়ানমার যে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেয় নি, এমন কি রেসিডেন্ট হিসাবেও নয়, এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? কোনো মুসলিম দেশ যদি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এভাবে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করতো, সেক্ষেত্রে আপনার প্রতিক্রিয়া কী হতো, সেটা আমি অনুমান করতে পারি। মায়ানমারের ক্ষেত্রে কী হবে সেটা জানি না। সে কারণেই এ বিষয়ে প্রবল আগ্রহ অনুভব করছি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
রোহিঙ্গারা বহুদিন ধরে মায়ানমারে বাস করছে, সেদেশের সরকার তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয় নি কেন ? কেন দেয় নি, আগে তার কারনটা শুনি । নিশ্চয়ই এমনি এমনি নয়। মায়ানমার তো সব সময় এরকম অবরুদ্ধ দেশ ছিল না। সামরিক জান্তা ক্ষমতায় আসার আগে সেখানে তো ১৯৪৮ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত গণতন্ত্র চালু ছিল তখনও কেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয় নি ?
@ভবঘুরে,
এর কারণ ধর্ম নয়, অর্থ। জগতের সকল সমস্যার মূলেই রয়েছে অর্থ, পেট তথা বেঁচে থাকার প্রতিযোগীতা। ধর্ম পরে এসে প্রয়োজনে এই সংগ্রামে হাতিয়ারের যোগান দেয় মাত্র। গোড়া থেকেই বার্মা নিজেদের আর্থসামাজিক অবস্থানে রোহীঙ্গাদের বহিরাগত প্রতিযোগী হিসেবে দেখেছে আজও দেখে। নিজের বাড়া ভাতে, জায়গা জমিতে, রাজ্যে-ক্ষমতায় অংশীদারিত্ব জীবজগতের কেউই চায়না। পশুদাচরণের উপাদান সেলফিস জিন মানুষের মধ্যেও আছে। আসল ঘটনা এখানেই।
রোহীঙ্গারা অন্যান্য আরব সাম্রাজ্যবাদী মুসলিম বেনিয়াদের ভূমিকায়, ধর্ম প্রচারের নামে দেশ দখল করে মুসলিম রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দেশে এসেছিল বলে আমি মনে করিনা। রোহীঙ্গাদের নাগরিত্ব না দিয়ে বার্মা মানবধিকার আইন লঙ্ঘন করে চলেছে, এটা অন্যায় এটা অমানবিক। পেটের তাড়নায় রোহীঙ্গাদের কর্তৃক সকল প্রকার অশিক্ষা-কুশিক্ষা, পশ্চাদপদতা, দূষকর্ম- অপকর্মের জন্যে দায়ী বার্মা সরকার। এর প্রতিবাদ করা, তাদের মানবিক অধিকার আদায়ে সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগীতা করা আমাদের কর্তব্য।
সাইফুল সাহেবের শক্ত কঠিন ভাষা ব্যবহারে আমি মনে করিনা তিনি এই সমস্যাকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গীতে এন্যালাইস করেন। রোহীঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দানের প্রতি তার দাবী পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করিনা। অমুসলিম কোন গুষ্টির বা দলের এমন সংকট সময়েও তার প্রতিবাদী কণ্ঠ সোচ্ছার থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু ফরিদ সাহেবের বেলা ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার এক সময়ের জামাত-প্রীতি ও মুহাম্মদানুভুতি (কুলদা রায়ের মন্তব্য দ্রষ্টব্য) মাঝে মাঝে আর ঘন-কঠিন মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারেনা বেরিয়েই পড়ে। আমাকে একবার বলেছিলেন নন্দলাল। বিভিন্ন সময়ে আরো অপমানজনক কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আমি কিছু বলিনি শুধুমাত্র অভিজিৎ দার অবদান স্বরণ করে আর মুক্তমনার প্রতি ভালবাসার, কৃতজ্ঞতার দায় হিসেবে। এবার আমাকে বলেছেন কপট মুসলিম বিদ্বেষী। আমি সব সময় চেষ্টা করেছি মুক্তমনায় কোন প্রকার অনাকংখিত পরিবেশের সৃষ্ট না হউক। কিন্তু ফরিদ সাহেব এখন দেয়ালের শেষ প্রান্থে নিয়ে এসেছেন। আমি তাকে সম্মান করেছি, সম্মান দিতে চেয়েছি কিন্তু তিনি যদি তা না চান, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে প্রতিরোধ ছাড়া আর কোন পথ তো দেখিনা।
@আকাশ মালিক,
হাহাহা। এর জন্য আবার কুলদা রায়ের আশ্রয়ে যাওয়া লাগে নাকি? আমাকে জিজ্ঞেস করলেইতো বলে দেই। এক সময়ের জামাত প্রীতি কী? আমিতো এখনো জামাত করি। আর আমার মুহাম্মদানুভূতিও প্রখর। কিন্তু, আমি আপনার ওই মুসলমান ঘৃণার মত সেটাকে জোব্বার আড়ালে লুকিয়ে রাখি না ব্রো। :))
আপনি করবেন প্রতিরোধ? হাসালেন। কাজী মামুন থেকে সাইফুল পর্যন্ত আসতে আসতেই বেগতিক দেখে দিগ্বিদিক হারিয়ে একশো আশি ড্রিগ্রি ঘুরে গেছেন আপনি। :hahahee:
থাকলাম আপনার প্রতিরোধের আশায় (কুলদার আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রতিরোধ নয়। ওতে অভিও জামাত হয়ে যায়। সে আমাদের দুজনকেই জামাত বলেছে। আপনার মনে হয় ইয়াদ নাই সেটা। মাথামুথা আউলাইয়া গেছেতো। আহারে বেচারা। 🙂 ।) আমি সাহসী লোক পছন্দ করি। সাহসী শত্রু আমার কাছে কাপুরুষ বন্ধুর চেয়েও বেশি শ্রদ্ধেয়। গুঁড়িয়ে দিলেও, তারপরে ঠিকই মাথার টুপি খুলে তার প্রতি সম্মান জানাই আমি।
@আকাশ মালিক,
আপনার দেশেই মুসলিম পুরুষরা শতকরা ৫০% uneployed। অশিক্ষা-কুশিক্ষা নিশ্চয়ই তার বড় কারণ। সম্প্রতি ধর্ষণ, গণ-ধর্ষণ ও পিডোফিলিয়াতেও তারা বেশ সুনাম অর্জন করেছে।
মুসলিম মাঝে এসব “অশিক্ষা-কুশিক্ষা, পশ্চাদপদতা, দূষকর্ম-অপকর্মের” সব দোষই ব্রিটিশ সরকারের!!!
@আলমগীর হুসেন,
বাক্যটির পূর্বে পেটের তাড়না শব্দ দুটো বাদ পড়ে গেছে।
এর অন্যতম কারণ মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ট তাই পার্সেন্টেইজ হিসেবে তারাই বেশী পড়বে। ধর্ষণ, গণ-ধর্ষণ ও পিডোফিলিয়া জাতীয় অপকর্মে মুসলিমরা জড়িত বলে জেনারালাইজড করতে আমি রাজী নই। অর্থ ও শিক্ষাহীন সমাজের একই চিত্র পাবেন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে। ইংল্যান্ডের সোসিয়েল সার্ভিসে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি এ সব বলছি। নিত্যদিন পত্রিকায় শত শত খুন ধর্ষণ লুট ডাকাতি নানা প্রকার অপকর্মের খবর আসে, সকলেই ইংরেজ খৃষ্টান। এর অর্থটা কী দাঁড়ালো? এ দেশে তো অন্য ধর্মের মানুষও আছে। আমাদের আশেপাশে শিক্ষিত ভাল মুসলমান নাই? অবশ্যই আছে। সমাজ বিবির্তন নিয়ে কথা বললে ধর্ম আসে সত্য তবে খুবই গৌণভাবে, ক্ষমতা আর অর্থটাই মূল। এই ক্ষমতা আর অর্থ নিয়ে আসে শিক্ষা। এটাই সমাজের চালিকা শক্তি। আমি যদি বলি এই অর্থ একদিন মানুষকে নিধার্মিক বানিয়ে ছাড়বে আপনি হয়তো আপাতত মানবেন না। সোসলিওজির এলাকাটা বিশাল, এখানে আলোচনা প্রায় অপ্রাসঙ্গীক।
@আকাশ মালিক,
যখন তোমার কেউ ছিল না আপন ছিলাম আমি
এখন তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি
আপনি কী এতো অপমানের পরেও এখানে পড়ে থাকবেন? বলিহারি আপনার-
আপনি যখন আমাদের সকলের দুশমন তখন সরে পড়া বা চলে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ না?
আপনাকে আর কী করে বুঝাই – :-X
@আকাশ মালিক,
আপনার প্রতি আমার একটাই প্রশ্ন, আপনি যদি মনে করেন মুক্তমনার একজন মডারেটরের জামাত প্রীতি আছে, এবং অন্যন্য মডারেটররা সেটা জেনেশুনে তাকে মডারেশনে রেখেছে, তাহলে সেই ব্লগে আপনি থাকেন কেন? ফরিদ আহমেদ তো চারজন মডারেটরের মধ্যে একজন যারা মুক্তমনার নীতিমালা নির্ধারণ করেন। কুলদার কথাই যদি ঠিক হয় তাহলে অভিজিৎওতো জামাতি, আপনি যদি কুলদার কথা বিশ্বাস করেন তাহলে এই ব্লগে থাকা কী আপনার মত কট্টর ইসলামবিরোধীর জন্য নীতিগতভাবে ঠিক হচ্ছে?
@বন্যা আহমেদ,
সে কথা পরে বলবো। আগে শব্দটা সংশোধন করে দেই। ইসলামবিরোধী নয় শব্দটা হবে ধর্মবিরোধী, পার্টিকুলার অর্থে ধর্মগ্রন্থবিরোধী। আমি যা নই তা তো কারো কথায় মেনে নিতে পারিনা।
@আকাশ ভাই,
ইসলাম-বিরোধী ধর্ম-বিরোধীর মধ্যেই পড়ে। এবং তাতে না আছে কোন দোষ, না লজ্জা।
উদারবাদীরা কমিউনিজম-বিরোধী, কমিউনিস্টরা গণতন্ত্র ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা বিরোধী — সেটা কি দোষের? কোন জীবন আদর্শের (ideology-র) বিরোধী অবস্থানই দোষের নয় — Certainly not a crime. বরং সেটা ব্যক্তির মানবাধিকারের মধ্যেই পড়ে — অন্তত তাদের জন্য, যারা উদার-গণতান্ত্রিক বিশ্বে বসবাস করে।
@আকাশ মালিক,
যতদূর মনে পড়ে কুলদার গার্বেজ মন্তব্যের সময় আপনেই ওরে হিন্দু মৌলবাদী বলে সন্দেহ করেছিলেন। বলেছিলেন ঐ লোক মুক্তমনার উপযুক্ত নয়। এখন কি ফরিদ আহমেদকে ধরার সময় ‘শত্রুর শত্রুই বন্ধু’ হয়ে গেল?
যে কুলদা রায়ের মন্তব্যকে ধ্রুবসত্য মেনে নিয়ে আকাশ মালিক আমাকে জামাতি বলছেন, সেই কুলদা রায় সম্পর্কে তার সার্টিফিকেটঃ
একেই বলে কলিকাল!!! 🙂
@আকাশ মালিক,
না সেটাতো হবে না। আপনি যে সাইটে লিখবেন সেখানকার মডারেটরকেই জামাতি বলবেন(বিশেষত মুক্তমনার মত একটা সাইটে) আর সেখানেই ব্লগিং করে যাবেন সেটা কোনমতেই তো হয় না। মুক্তমনার পিছনে আমরা যারা সময় এবং এনার্জি খরচ করি তারা সবাই খুব কট্টর নাস্তিক, আমাদের সবার জন্য এ ধরণের একটা এলিগেশন খুব অবমাননাকর। আপনি এরকম কথা বলে চলে যাবেন আর আমরা হা করে বসে সেটা শুনবো সেটা ভেবে থাকলে খুব ভুল করছেন। কুলদার মত লোকজন অনেক কিছু বলে বেড়াতে পারে, কিন্তু মুক্তমনার অনেকদিনের ব্লগাররা যখন কিছু বলে তখন সেটাকে অবশ্যই অন্যভাবে দেখা হবে। ফরিদ আহমেদ অনেক খারাপ লোক হতে পারে তা তে আমার কোন সমস্যা নেই, আপনি সেটা তার সাথে বুঝে নিন। কিন্তু তিনি জামাতি কীনা সেটা অবশ্যই আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, পরিচিত সাইড কিকদের দিয়ে এটা সেটা বলিয়ে রঙ্গতামাসা করে তো লাভ হবেনা! আপনি যখন কুলদার চিলের পিছনে দৌড়ে এত বড় একটা আপত্তিকর প্রসংগ তুললেনই তখন আপনাকে তার পক্ষে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিতেই হবে আর যদি না দিতে পারেন তাহলে সেটাও এখানে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে। ফরিদ ভাই (এবং অভির) জামাতিদের সাথে কী ধরণের সংশ্লিষ্টতা ছিল সেটা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম আপনার কাছ থেকে এর পরের উত্তরে।
@আকাশ মালিক,
আপনার মত পুরোনো ব্লগারের কাছ থেকে এ ধরণের মন্তব্য আশা করা যায়না। একজন মানুষকে জামাতের অনুসারী বলা আর তাকে রাজাকার বলার মধ্যে বিন্দুমাত্র পার্থক্য নেই এবং রাজাকারের থেকে অপমানজনক শব্দ বাংলায় আছে নাকি আমার জানা নেই। মুক্তমনার মত শক্তিশালী একটা প্লাটফর্ম তৈরিতে ফরিদদা কতটা অবদান রেখেছেন সেটা আমরা সবাই জানি, তিনিও মানুষ,তারও অনেক দোষ আছে কিন্তু কুলদা রায়ের মন্তব্যকে রেফারেন্স করে আপনি তাকে রাজাকার(==জামাতী) বলবেন এটা মেনে নেয়া সম্ভব না। আপনার মন্তব্য পরে মনে হলো কিছু উত্তর দেয়া দরকার তাই দিয়েছেন,কোনো কিছু চিন্তা ভাবনা করে বলেননি,এটা একজন অভিজ্ঞ ব্লগারের কাছে আশা করা যায়না।
@ফরিদ ভাই,
দিলো তো আপনারে বধ কইরা। আপনি প্রশ্ন করলেন আপনারে ঐটাই ফেরত দিলো। ব্যাপারটা জোশ :)) :)) ভুল স্বীকার করা কিন্তু মহৎ গুন ফরিদ ভাই। ভুল স্বীকার করেন। 😉 😉
@ভবঘুরে,
এই যে দেখেন আপনার সমস্যাটা কোথায়। রোহিঙ্গাদের কেন নাগরিকত্ব নেই সেই বিষয়টা জানার আগেই আপনি ধরে নিয়েছেন যে, এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। কারণটা যে, সাম্প্রদায়িক হতে পারে, হতে পারে হতে পারে প্রভেদমূলক, সেটা আপনি ধর্তব্যের মধ্যেই নিচ্ছেন না। আপনি যদি অযৌক্তিক ধরণের মানুষ হতেন, আমি এটাকে উপেক্ষা করতাম। কিন্তু আপনি তা নন। ইসলাম বা মুহাম্মদকে নিয়ে লেখার সময়েই টের পাওয়া যায় আপনার যুক্তিবোধ কতখানি প্রখর। অথচ এখানে সেই বোধটা কাজ করছে না একেবারেই। কেন বলুনতো? কেন এই একদেশদর্শী আচরণ? আপনার এই যুক্তি অনুযায়ী পৃথিবীর সব অন্যায় কাজকে ন্যায্যতা প্রদান করা সম্ভব। রুমানা মঞ্জুরকে তাঁর স্বামী চোখ তুলেছে কেন? নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। এমনি এমনি নয়। ইয়াসমিনকে পুলিশ কেন ধর্ষণ করলো? নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনো কারণ আছে। এমনি এমনি নয়। র্যাব ক্রসফায়ার করে মানুষ মারছে কেন? নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। এমনি এমনি নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যা হচ্ছে কেন? নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। এমনি এমনি নয়। এরশাদ কেন ছাত্রদের মিছিলের উপর পুলিশের ট্রাক উঠিয়ে দিতো? নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল। এমনি এমনি নয়। মুহাম্মদ কেন নাবালিকা বিয়ে করেছিল? পুত্রবধুকে বিয়ে করেছিল? লুটপাট, ধর্ষণ করেছিল? নিশ্চয়ই কোনো কারণ ছিল। এমনি এমনি নয়।
এখন আপনি যদি বলেন যে, আমি আসলেই কারণ জানি না, জানতে চেয়েছি। তবে বলবো যে, সেক্ষেত্রে আপনার রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিঘৃণামূলক যে মন্তব্যগুলো করেছেন, সেগুলো করা উচিত হয় নি। আপনি সাইফুলকে বলেছেন টেকনাফ না গিয়ে মন্তব্য করলে বাস্তবতা বোঝা যাবে না, আপনাকেও আমি সেই একই কথা বলছি। আরাকানে না গিয়ে শুধু টেকনাফে গিয়ে আপনি যা দেখেছেন, সেটাও বাস্তবতা নয়। বস্তির লোকেরা চুরি ডাকাতি করে, মাদকদ্রব্য পাচার করে, নানান ধরণের অপরাধ করে, গণ্ডা গণ্ডা বাচ্চা পয়দা করে। এগুলো অন্যায় কাজ। এর জন্য তাদের গালি দেওয়া যায়। কিন্তু এটা কোনো সুবুদ্ধিপূর্ণ বিচক্ষণ লোকের কাজ নয়। একজন বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন সংবেদ্য লোকের নজর যাবে আরো পিছনে। কার্য নয়, কার্যের পিছনের কার্যকারণ খুঁজবেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের কেন মায়ানমার নাগরিকত্ব দেয় নি, সেটা আমি আপনাকে বলবো না। আপনাকেই খুঁজে খুঁজে পড়ে দেখতে হবে। আমি অল্প বিস্তর সাহায্য করবো অবশ্য। এটা মায়ানবারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন। আর এই লেখাটা নুরুল ইসলাম নামের এক ভদ্রলোকের লেখা। এতে অনেক বিশ্লেষণ পাবেন।
@ফরিদ আহমেদ,
কিন্তু ভাইজান, একটা দেশ যদি চায় যে কোন একটা বিশেষ গোষ্ঠিকে তারা তাদের সমাজে অনুপ্রবেশ করতে দেবে না, এটা নিয়ে আমরা কি করতে পারি? আমরা তো জোর করে অন্য একটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমাদের ইচ্ছা খুশী চাপিয়ে দিতে পারি না।
@ভবঘুরে,
আপনার উত্তরগুলো পড়ি আর খুব মজা লাগে। সাথে একটু খারাপও লাগে এই ভেবে যে, যৌক্তিক মানুষের সাথে যুক্তিতর্ক করা যায়। পক্ষপাতী লোকের সাথে করা যায় না।
বার্মিজরা তাদের নাগরিকত্ব আইনে উদ্ভট উদ্ভট সব বিষয় এনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয় নি। শুধু নাগরিকত্ব না, কোনো ধরণের স্ট্যাটাসই দেয় নি। আমি আপনাকে বার্মার বিরুদ্ধে কিছু করতে বলি নাই। শুধু জানতে চেয়েছিলাম যে কাজটা কী ঠিক না বেঠিক? কিন্তু সেইটা বলার মতও সাহসও আপনার নাই। কোনো মুসলিম দেশে এটা ঘটলে, আপনার কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকতো না। সাহসেরও অভাব হতো না। এভাবে তখন আর পিছলে যেতেন না।
@ভবঘুরে,
বোম্বে, সিডনী, মামলো হয়ে অসলো পর্যন্ত মুসলিমরা ধর্ষণ, ড্রাগ কার্টেল চোরা-চালানী, আন্ডার অয়ার্ড গ্যাং ইত্যাদিতে প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। অসলোতে ধর্ষণ সাংঘাতিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে এবং বিগত পাঁচ বছরের সব ধর্ষণই করেছে ইমিগ্র্যান্টরা, প্রধানত মুসলিম। আমাদের রোহিংগা মুসলিম ভাইয়েরা যে একই কাজে পারদর্শী সেটা জানা ছিল না।
httpv://www.youtube.com/watch?v=SWWrpv-pbuc
httpv://www.youtube.com/watch?v=BmQ49DztFC4&feature=related
সাইফুল সাহেব,
আমি দুঃখিত কাল বেশ দৌড়াদৌড়ি গিয়েছে। তাই তাড়াহুড়োর মধ্যে লেখা আমার জবাবটি একটু বেখাপ্পা হয়ে গেছে। আজকের উত্তরটা যথাযথ হবে বলে আশা রাখছি।
আমি কখনোই পিঠ চাপড়ানি পাওয়ার জন্য লিখি না। বরং আপনার এ লেখাটিই পিঠ চাপড়ানী পাওয়ার আশায় লেখা সেটা সুস্পষ্ট। আমি সেটা ব্যাখ্যা করছিঃ আমার ফেইসবুক পেইজে ১৩০০+ ফ্রেন্ড, বেশীর ভাগ নাস্তিক। সেখানে আমি প্রায় এক গন্ডা মন্তব্য দেখেছি চলতি রোহিঙ্গা শরনার্থী সমস্যা নিয়ে। প্রত্যেক মন্তব্যে বাংগালী ভাইয়েরা বলতে চেয়েছেন রোহিংগাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই, বার্মিজরা এ বর্বরতা বন্ধ করুক এবং রোহিঙ্গাদের আমাদের ঘাড়ে চাপানো না হোক। অথচ আপনি যার সাথে কথা বললেন, সেই ঠিক তার উলটো কথা বলল, সেটা কেমনে হয়? আপনি এমন একটা লেখা লেখলেন, দেখাতে যে রোহিংগাদের সাথে বাংগালীদের কোন সম্পর্ক নেই বা থাকলেও নগণ্য – যা সিংহভাগ বাংলাদেশী বলতে চাচ্ছে বা বলছে, তবে কিছু তথ্য দিয়ে আরও শক্ত করে – সেটার কি উদ্দেশ্য? পিঠ চাপড়ানীও যথেষ্ট পেয়েছেন সেটাও সুস্পষ্ট। আর এটাও সুস্পষ্ট যে, আমার মন্তব্য এ ফোরামের সিংহভাগ পাঠককে অসন্তুষ্ট করবে। যদি বিশ্বাস না করেন, এ্যাডমিনদেরকে একটা সমীক্ষা করার অনুরোধ করতে পারেন।
আমি যা বুঝেছি, আপনার মূল লেখাটার দু’টো প্রধান উদ্দেশ্য ছিলঃ ১) রোহিংগাদের বাংলাদেশ বা বাংগালীদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই সেটা দেখানো। তাদের উৎপত্তি আরব দেশ থেকে সেটা প্রতিষ্ঠিত করা। সুতরাং তাদের প্রতি আমাদের কোন দায়দায়িত্ব নেই। ২) বার্মিজরা বর্বর পাষণ্ড – যারা রোহিঙ্গাদেরকে মেরে সাবার করে দিচ্ছে। ৩) বার্মিজরা বর্বর হলেও আমরাতো তাদের মত হতে পারি না? মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদেরকে রোহিংগাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত।
আমার জবাবটা খাপছাড়া হলেও আপনার লেখার উদ্দেশ্য ১ আর ২ সাথে একেবারেই সম্পর্কযুক্ত। আপনার আলোচনায় এ বিষয়গুলো আসা উচিত ছিল। তবে হ্যা, আপনার তিন নম্বর উদ্দেশ্যটার শেষাংশের সাথে আমি একমত।
রোহিংগারা আরবীতে লেখালেখির উপর আপনার লেখায় বেশ জোর পড়েছে। আমার ভুল হতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে রোহিঙ্গারা যে আরব, সে কথার উপর জোর দেওয়ার জন্যই সেটা প্রাধান্য পেয়েছে আপনার লেখায়। নইলে রোহিংগাদের ভাষা যে মূলত চাটগাইয়া ভাষা, সে কথা আপনার লেখা থেকে বাদ পড়ার কথা ছিল না। চাটগাইয়া ভাষায় যারা কথা বলে, তাদের সিংহভাগের উৎপত্তি কোথায় সেটা সহজেই বুঝা যায়। অথচ সেটাকে মিথ্যে প্রমাণ করাই যখন আপনার লেখার একটা প্রধান উদ্দেশ্য, কাজেই সেটার উল্লেখও সমীচীন নয়।
আপনি বলেছেন,
আপনার লেখা এ প্যারায় কিন্তু আপনি রোহিংগাদের উৎপত্তির কথাটা স্বচ্ছ করার বাসনা পোষণ করেছেন। তবে একটা কথাঃ ১৯৫০ সালের আগে রোহিংগা শব্দের অস্তিত্ব ছিল না – তার মানে এই নয় যে, আজ যারা রোহিংগা নামের পরিচিত তাদের পূর্বপুরুষরা সেখানে বাস করত না তার আগে। ১৫তম শতাব্দীর শেষ দিকে “রেড ইণ্ডিয়ান” শব্দের ব্যবহার চালু হয়। কিন্তু আজ আমরা যাদেরকে রেড ইন্ডিয়ান বলে জানি তাদের অস্তিত্ব ১৫তম শতাব্দীর হাজার-হাজার আগে থেকেই ছিল।
আর কেউই বলে না যে, আরাকানে রোহিংগাদের বসতি ৭০ থেকে ১০০ বছরের (এটা আপনার মনগড়া ধারনা, interpretation)। বরং বলা হয় তাদের অনেকে সেখানে জন্ম-জন্মান্তর ধরে বসবাস করেছে, বাকীরা এসেছে সম্প্রতিক দশকগুলোতে।
আমি আপনার দেওয়া কোন তথ্যের কথা অস্বীকার করি নি। কিন্তু আপনি যে বিষয়টি নিয়ে টান দিয়েছেন, তার সাথে সম্পৃক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়েছে। আমি শুধু সেটাই পূরণ করতে চেয়েছি।
আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই মুসলিম। এবং আমার সম্পর্কে তাদের ধারণা আপনার ধারণার ঠিক বিপরীত, যদিও তারা আমার নাস্তিকতায় অসন্তুষ্ট।
দেখুন আমার উপরোক্ত উক্তিটা ছিল আমাদের নিম্নোক্ত কথোপকথনকে কেন্দ্র করেঃ
আমি আপনার মূল বক্তব্য কিছুটা ভুল বুঝতে পারি। তবে আপনি কিন্তু আমার ভুল বুঝাকেই স্বীকার করেছেন যে, রোহিংগারা আরব (বাংগালী/চাটগাইয়া নয়) – যা সুত্র দিয়ে প্রমাণ করেছেন বলে আপনার দাবী। তথাপি আমি আপনার বক্তব্য ভুল বুঝার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। তবে একটি কথাঃ বৃটিশরা “ভারতের সর্বত্র” থেকে “ধরে ধরে” আনে আরাকানে, সে তথ্য আপনি কোথা থেকে পেলেন। আমার ইতিহাস পড়ামতে, ব্রিটিশরা কিছু বড় ধরনের অপরাধী, বিশেষত রাজনৈতিক-বিচ্ছিন্নতাবাদী অপরাধীদেরকে বার্মায় ও অন্যান্য দূর জায়গায় পাঠাতো – যারা আপনার উল্লিখিত শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। এবং এ ধরনের অপরাধীদের মাঝে ছিল হিন্দু প্রাধান্য – যারা বিচ্ছিন্নতাবাদে যুক্ত ছিল; বিচ্ছিন্নতাদে মুসলিমদের একেবারেই কোন তৎপরতা ছিল না এ সময়ে। আপনার এই তথ্যটা আমার কাছে সন্দিহান মনে হচ্ছে। সুত্রটা পেলে ভাল হত। আশা করি, রোহিংগাদের মাঝে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বাংগালী মুসলিমদের প্রাধান্য লঘু করার জন্য সেটা করেন নি আপনি।
বাংলার চেয়েও পুরানো ছিল কপ্টিক, সিরিয়াক, বার্বার, ফারসী এবং আফগান ভাষা। কপ্টিক, সিরিয়াক, বার্বার ইত্যাদি ভাষা মূলত নিশ্চিহ্নই হয়ে গেছে, ফারসী ও আফগান ভাষা লেখা হয় আরবী হরফে। কাজেই আমার মন্তব্য মূল বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত না হলেও কুটতর্ক বা ভ্রান্ত নয়। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজরা যখন বাংলায় সেকিউলার শিক্ষা শুরু করতে যায়, তখন কোন ভাষায় স্কুলে পড়ানো হবে, সে বিতর্ক উঠলে কেবল বিবেচনা করা হয় – সেটা ফারসী হবে না ইংরেজী। ইংরেজদের বেশীরভাগ স্থানীয় ভাষায় (ফারসীতে) পড়াশুনা চালানোর পক্ষপাতী ছিল। শুধুমাত্র হিন্দুদের পীড়াপীড়িতে ইংরেজীতে পড়ানো চালু করা হয়। মুসলিমরা ইংরেজী পরিহার করে আরবী-ফারসী ভিত্তিক মাদ্রাসায় যোগ দেয়; হিন্দুরা গ্রহণ করে ইংরেজী। এবং একমাত্র হিন্দুদের প্রচেষ্টাতেই বাংলা ভাষা ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে আরও বেশ কয়েক দশক পরে। বাংলার দিগ্বিজয়ী সাহিত্যিক বংকিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, মধুসুধন প্রমুখ ইংরেজী সাহিত্য চর্চা শুরু করে ঠিক সেই কারণেই।
আজকের রোহিংগারা সে-সব মুসলিম থেকে পৃথক নয়। বরং তাদের বংশধরদের সাথে পরবর্তিতে অভিবাসিতদের সংযোগে আজকের রোহিঙ্গা। এ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আরাকানে রোহিঙ্গা/মুসলিম বণাম আদিবাসী রাখাইদের মাঝে দ্বন্দ্বের সাথে অতপ্রোতভাবে জড়িত।
দেখুন আপনার লেখার বক্তব্য শুধু রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়া কথা নিয়ে নয়। রোহিঙ্গাদের প্রতি বার্মিজদের অত্যাচার, বর্বরতা ইত্যাদি ফুটিয়ে তোলাও একটা বড় অংশ। সে প্রসঙ্গে আমার এ মন্তব্য পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক।
আমার উপরোক্ত মন্তব্য আপনার নিম্নোক্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে, এবং আমার বিবেচনায় সেটা পুরোপুরি প্রাসংগিক।
আপনি কিন্তু আমাদেরকে বার্মিজদের তুলনায় সাধু-সন্ত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা-ই করেছেন।
এমন কথা বলছেন কেন? হিন্দুরা কবে বাংলাদেশে দাঙ্গা বাঁধিয়েছে? এমন রটনা মোল্লা-জামাতীরা করে, তবে সেগুলো মিথ্যে সেটা আপনিও স্বীকার করবেন।
একই যুক্তি সবখানে খাটে না। মুসলিম, হিন্দু আর আরাকান এক জিনিস নয়। দাঙ্গা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস ইত্যাদি চালানোর জন্য মুসলিমদের ডমিন্যান্ট হওয়ার দরকার পড়ে না আপনি একটু চোখ মেললেই তা দেখতে পাবেন। মুসলিমদের দ্বারা ১৯৪৬ সালে কোলকাতায় ডাইরেক্ট এ্যাকশন ও পূর্বপাঞ্জাবে দাঙ্গা ও হত্যাকাণ্ড, কয়েক বছর আগে ফ্রান্সে কয়েক সপ্তাহব্যাপী ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ, গুজরাট দাঙ্গার সূচনা ইত্যাদি আমরা সবাই জানি এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মুসলিমরা সংখ্যালঘু।
দেখুন আমার বক্তব্যকে বিকৃত না করলে খুশী হব। আমি শুধু বলেছি, আমার মনে হয়েছে বার্মিজরা আমাদের তুলনায় অধিক খারাপ বা বর্বর মানুষ না – যার কারণে তারা রোহিঙ্গাদের উপর এমন অত্যাচার করছে। আপনি বলেছেন মিয়ান্মারের ঐ মেয়েটির মত বাংলাদেশে (হিন্দু-কর্তৃক) ধর্ষণ-হত্যা অহ-রহ ঘটে, অথচ মুসলিমরা কখনো দাঙ্গা করে না হিন্দুদের বিরুদ্ধে। কাজেই আপনার মতে বাংলাদেশের মুসলিমরা (বার্মিজদের তুলনায়) সাধু-সন্ত এরূপ মন্তব্য করে একটুও ভুল করি নি মনে হয়।
আপনার যেহেতু কুকুরের সাথে তর্ক করার সময় ও শক্তি নেই, কাজেই আমিও আর কথা বাড়াব না। তবে আপনার রচনায় উপস্থাপিত এ বক্তব্যের উপর আমি কোন মন্তব্য করি নি, কেননা তার সাথে আমি একমত। আমি মনে করি, রোহিংগাদের সিংহভাগের উৎপত্তি দক্ষিণ বাংলা থেকে। তাদের চাটগাইয়া ভাষায় কথা বলাই সেটা প্রমাণ করে। কাজেই, যখন তারা এমন বিপদে পড়ে, তখন তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্বও বটে। শুধু তাই নয়ঃ ইতিহাস বাদ দিলেও, আমরা গত তিন দশকে চট্টগ্রামের আরাকান পাহাড়ীদের সাথে যেরূপ আচরণ করেছি, সেটা রোহিংগাদের সমস্যাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
@ফরিদ সাহেব,
আর আমার প্রতি ফরিদ সাহেবের মন্তব্যের উপর দু’টো কথা এখানেই বলে ফেলি। আপনি আমাকে অকপট বলেছেন, সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবেও চর্চা করার চেষ্টা করি সর্বক্ষেত্রেই, তবে যতটা সম্ভব সততা ও সত্যতার ভিত্তিতে, যদিও আমি মানবীয় ত্রুটির বাইরে নই। আপনি বলেছেনঃ রোহিঙ্গারা মুসলমান না হয়ে অন্য ধর্মের মানুষ হলে আমার বক্তব্য উলটো হত। আপনি কোন দৃষ্টান্ত দিলে আমি খুশী হতাম। তবে আমি নিজেই একটা দৃষ্টান্ত দেইঃ রোহিঙ্গা ও আমাদের হিন্দু সমস্যা। বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়া ৩ কোটি হিন্দুর যে ব্যবস্থা হয়েছে, হচ্ছে ও আগামীতে হবে, আমরা বাংলাদেশীরা আমাদের রোহিংগা ভাইদের জন্য অনুরূপ ব্যবস্থা করতে পারলে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশী হব, বা সেটা করা আমাদের উপর কিছুটা বর্তায়ও বটে।
তিন কোটি হিন্দুকে যখন আমরা বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে নিঃচিহ্ন করেছি, এবং বাকী দুই কোটিও ধীরে সে পথে চলছে ও চলবে – অল্প সংখ্যক রোহিংগা ভাইদের জায়গা দেওয়া জন্য অন্ততঃ বাংলাদেশের মানবতাবাদী ভাইদের দাবী তোলা নৈতিক দায়িত্ব, যেমনটি সাইফুল সাহেব করেছেন।
কুত্তার ঘেউ ঘেউ থামবে এ প্রত্যাশায় শেষ করছি।
@আলমগীর হুসেন,
একমত যেহেতু হইছেন আর কথা বাড়ায়ে লাভ নাই। নইলে আপনার বলা প্রত্যেকটা বর্ণের সাথে আমার দ্বিমত আছে। বাঙলাদেশের লোকজনই যদি এরা হয়ে থাকে তাহলে “মুসলমানরা দাঙ্গা প্রিয়” এই রব না তুলে আপনার ইতিহাসজ্ঞ্যান নিয়ে বাঙলাদেশ সরকারের উপরে ঝাপিয়ে পড়ুন। যেমনভাবে আমি ঝাপিয়ে পড়তে চাইছি। হাতে ঢোল রেখে পাছা চাপড়ানো কেমন কেমন যেনো দেখা যায়। কী বলেন?
@আলমগীর হুসেন,
মায়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আপনার মতামত পেলে খুব খুশি হতাম। বার্মার স্বাধীনতা প্রাপ্তির বহু আগে থেকেই আরাকানে রোহিঙ্গারা বসবাস করার পরেও কেন তাদেরকে মায়ানমার নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না? কেন নিজ দেশে তারা পরবাসী? নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা দিয়ে আটকানো? এটা কি মানবাধিকারের মৌলিক লংঘন নয়? আপনি চাইলে আপনার ওই ভালো মানুষ বার্মিজ বন্ধুদের কাছেও এ বিষয়টা জেনে নিতে পারেন।
@ফরিদ আহমেদ,
বার্মিজরা চায় নি ওদের সমাজে বাইরের কোন গোষ্ঠীকে অনুপ্রবেশ করতে দেবে না। সৌদি আরবে যুগের পর যুগ বহু বাঙ্গালী বসবাস করছে, তাদেরকে নাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দেয় না কেন?
@ভবঘুরে,
আপনি খুব হাস্যকর ধরণের পক্ষপাতী একটা লোক। সৌদিরা খারাপ কাজ করলে বার্মিজদের খারাপ কাজ বৈধ হয়ে যায় না। আপনার সামান্যতম সুস্থ জ্ঞান থাকলে আপনি বুঝতেন যে, সৌদি আরবের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র কোনো সহানুভূতি নেই। বার্মিজদের খারাপ কাজকে খারাপ বলার সৎসাহস না দেখিয়ে সৌদি আরব কেন দেয় না, সেই পালটা প্রশ্ন আমাকে করেছেন। ভাবটা এমন যেন আমি সৌদি আরবের ডিফেন্ডার। জোর করে আমাকে ঠেলে দিচ্ছেন এমন একটা জায়গায় যাতে করে আমি সৌদি আরবকে ডিফেণ্ড করতে বাধ্য হই। আপনি যে কতখানি একটা হাস্যকর পালটা প্রশ্ন করেছেন, সেটা বোঝার মত বোধবুদ্ধি আপনার পক্ষপাতপূর্ণ মস্তিষ্কে আসবে না। ইংরেজিতে একটা কথা আছে যে, আপেল আর অরেঞ্জের মধ্যে তুলনা করা যায় না। আপনার তুলনাটা আপেল আর অরেঞ্জের না, এটা হয়ে গেছে আপেল আর আনারসের মধ্যে তুলনা।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি ঠিক ধরেছেন, আমি আমার দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য হাস্যকর রকম পক্ষপাতি। দেশ ও জাতির কল্যানে আমি সব সময় এরকম পক্ষপাতিত্ব করব। আমি বাস্তবেই জানি রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য কি মারাত্মক ধরনের সমস্যা। এখনও টেকনাফ অঞ্চলে ২/৩লাখের বেশী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছে, যাদের মধ্যে মাত্র ৩৫ হাজারের মত রেজিষ্টার্ড যাদেরকে UNHCR রিলিফ দেয়। বাকীগুলোকে রিলিফ দেয় না আর তারা যে কি পরিমান সমস্যা সৃষ্টি করছে তা আপনার মত দুরে বসে মানবতার গান গাইয়ে লোকজন বুঝবে না।ছোট্ট বাংলাদেশ এমনিতেই জন বিস্ফোরনের ধাক্কায় দিশাহারা । এমতাবস্থায় নিজ দেশের মঙ্গলের জন্য খাল কেটে কুমীর আনার বিরুদ্ধে আমি। যদি কোনরকম যুদ্ধা বিগ্রহের ঘটনা থাকত যাতে নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে অকাতরে, তাহলে একটা কথা ছিল। স্রেফ একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মানুষ কাতারে কাতারে আমাদের দেশে পাড়ি দেবে, তাদের সাময়িক আশ্রয় দিলে পরে তারা যে ফিরে যাবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই এবং যেখানে আমাদেরই ঠিক মতো মাথা গোজার ঠাই নেই সেখানে আমরা তাদেরকে সমাদরে আশ্রয় দেব- এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বুমেরাং হবে। এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে পারি না আমরা। খোদ টেকনাফের মানুষই চায় না তারা আসুক। কেন ? কারন তাতে তাদেরই দুর্ভোগ বাড়বে সীমাহীন। আপনারা তো দুরে বসে মানবতার গান গাইতে থাকবেন। আপনাদের গায়ে তো আচড়টিও লাগবে না।
যে সব দেশ রোহিঙ্গাদের প্রতি সংবেদনশীল, যদি তারা আন্তরিক হয়, তারা নিশ্চয়তা দিক, আমরা আশ্রয় দিলে তারা রোহিঙ্গাদেরকে নিজ খরচে তাদের দেশে নিয়ে আশ্রয় দেবে তাহলে আমরা রাজি। নইলে নয়।সাফ কথা। আর তা না পারলে তারা আন্তর্জাতিকভাবে চাপ দিক যাতে মায়ানমার সরকার দ্রুত এর একটা সমাধান করে।
এতক্ষনে বোঝা গেল পায় পাড়া দিয়ে গোলমাল বাধানো আপনার একটা স্বভাব। আগে কিছু মানুষ অবহিত করেছিল , বিশ্বাস করিনি – কিন্তু এবারের মন্তব্য পড়ে সেটা নিশ্চিত হলাম। আমি এমন কিছু মারাত্মক মন্তব্য করিনি যাতে আপনি গায়ে হুল ফোটানো মন্তব্য করতে পারেন। তবে এরপর আপনি যেই মন্তব্য করুন না কেন , আমি প্রতি উত্তর করব না। কারন এ ধরনের লোকদেরকে এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর আপনার প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ, মুক্তমনার প্রতি আপনার যদি ভালবাসা ন্যুনতমও থেকে থাকে – এভাবে পায় পাড়া দিয়ে গোলমাল না বাধালেই আমরা সবাই খুশি হব।
@ভবঘুরে,
এটা একটা ক্লাসিক উত্তর হয়েছে। 🙂
আমি নিজেও কিছুদিন ধরে ভাবছি যে, আমার নিজের লেখা বাদ দিয়ে অন্য কারো লেখায় মন্তব্য করা বা পালটা মন্তব্যে জড়িত হবো কি না। এটাকে একটা যৌক্তিক প্লাটফর্ম হিসাবে গড়ে তোলার বিরাট স্বপ্ন ছিল আমার। মানুষকে মানুষ হিসাবে দেখবো, ধর্মীয় পরিচয়ে নয়। এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যে কাজ মুসলমানে করলে আচ্ছামত পিটানো হবে, সেই কাজ অন্য ধর্মের লোক করলে, তার পিছনে যুক্তি বের করে ফেলবো, এই রকম একচক্ষু মনোভাব যেন মুক্তমনা না নেয়। শুধুমাত্র এইটুকু যৌক্তিক মনোভাব মুক্তমনার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি গত কয়েকবছর ধরে। দৃশ্যত সেই কাজে চরমভাবে ব্যর্থ আমি। এর সদস্যরা যেভাবে চাচ্ছে, সেভাবেই চলুক মুক্তমনা।
একা একা বালুব বাধ দিয়ে বন্যা ঠেকানো যায় না।
@ফরিদ আহমেদ,
মুক্তমনার ভালো চাইলে এই সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ন লড়াইটাতে কখনো ক্ষান্ত দেবেন না আশা করি। মুক্তমন, মুক্তচিন্তা অনেক কঠিন একটা অর্জন। সবচেয়ে প্রগ্রসর ব্যাক্তিরাও এই অর্জনটি ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে পারে না। সুতরাং ভুল ধরতে হবেই, অসংগতি চোখে আংগুল দিয়ে দেখাতে হবেই।
@ফরিদ আহমেদ,
হেইডা আপ্নেরে কইছে ক্যাডা?
উপরে সফিক সাহেবের সাথে পুরোপুরি একমত – ‘মুক্তমনার ভালো চাইলে এই সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ন লড়াইটাতে কখনো ক্ষান্ত দেবেন না আশা করি।’
আর আপনে তো জানেনই সচুতে মডু হিমুরা কি ভাষায় কাজি মামুনরে এটাক করছিলো। সেইটার একটু নমুনা দেহাই, তাইলেই পাঠকেরা বুঝবেন —
আপনি কনটেক্সট চো**ন না, বাস্তব পরিস্থিতি চো**ন না, মানুষের স্বার্থপরতা চো**ন না, চো***ন শুধু … এই ভাষায় একজন ব্লগের মডারেটর অন্য পাঠক/লেখকদের এভাবে গালিগালাজ করছেন – এটা মুক্তমনায় হচ্ছে ভাবা যায়? যায় না। লিখবেন আবার এর মডারেটররে সারাক্ষণ গালাবেন – এইরকম ‘উদার’ পরিবেশ বোধ হয় মুক্তমনাতেই পাওয়া যায়। বেশি উদারতা দেখালে যা হয় আর কি… বোয়াল মাছ থেকে পুঁটি মাছ সবাই ঘাই দিয়া যাইবো।
বন্যা না ঠেকাইতে পারলেও পুঁটি মাছের ঘাই ঠেকানো যায়। বাঁধ আরেকটু শক্ত করেন, আর লগে একটা কারেন্ট জাল লাগায় দেওনের পরামর্শ দেই, এক ঠেলায় অনেক পুঁটিমাছ কোপাইতে পারবেন 🙂 ।
@অভিদা,
এই হিমুর সাথে একবার বিরাট বাহাস হইছিল। তর্কে মান সম্মান যাওয়ার লক্ষন দেইখ্যা আমার সম্ভবত ৪টা মন্তব্য প্রকাশই করে নাই। এরপর থাইকা আমার কোন মন্তব্যই দেখি আর প্রকাশ হয় না ঐ ইমেইল থিকা করলে। অবশ্য অন্য কোন ইমেইল থিকা আর কমেন্ট করা হয় নাই।
খুব একটা যাওয়া হয় না, তারপরেও দেখছি সচলায়তনের বিপুল সংখ্যক মুড়ির টিন আছে যারা হিমুর পাছা চাপড়াইয়া মেধাবী মেধাবী রব তুলে। পুরা গডের স্তরে নিয়া গ্যাছে এরে।
দুঃখিত, আমাকে আবার ফিরে আসতে হলো বলে। আপনার উত্তরটাকে কেন ক্লাসিক বলেছি তার একটা ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত ছিল আমার। তাড়াহুড়োর কারণে দেওয়া হয় নি। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া না করতে আসি নাই। কাজেই ভয় পেয়েন না। 🙂
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ দ্বিধা-বিভক্ত। এতে আমি কোনো দোষ দেখি না। সবাই এতে একমত হবে না, এটাই স্বাভাবিক। আপনাকে আমি ওই প্রসঙ্গে কিছু বলিও নাই। আমার প্রশ্ন ছিল মায়ানমার যে দীর্ঘদিন ধরে, তার স্বাধীনতা প্রাপ্তির বহু আগে থেকেই যে জনগোষ্ঠী তার দেশে বসবাস করছে, হুট করে একটা আইন করে তাদের নাগরিকত্ব খারিজ করে দিলো, সেই বিষয়ে একজন যুক্তিবাদী এবং মানবতাবাদী হিসাবে আপনার মতামতটা কী? আপনি সে বিষয়ে কোনো মতামত না দিয়ে (অবশ্য সৌদি আরবে বসবাসকারী বাংলাদেশি লেবারদের তুলনায় আনায় আপনার মতামতটা বোঝা গিয়েছে কিছুটা হলেও), এদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়া নিয়ে যে দেশপ্রেমমূলক বক্তব্য দিলেন, তা শুনেই এটাকে ক্লাসিক বলেছি। আপনাকে এখন আর এর উত্তর আর না দিলেও চলবে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
রোহিঙ্গারা বাস্তবেই যে কি বিপুল পরিমান আছে তা অতি সহজেই google earth ব্যবহার করে ট্রেস করতে পারবেন টেকনাফ অঞ্চলে। কোন তথ্য সূত্র লাগবে না। কক্সবাজার থেকে যে রাস্তা টেকনাফ চলে গেছে, উখিয়ার পর থেকে রাস্তার পশ্চিম পাশটা ট্রেস করতে থাকবেন, পেয়ে যাবেন শরণার্থী ক্যাম্পের সন্ধান।
তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি চমৎকার হয়েছে ।মানবিক দিক বিবেচনা করে সবার উচিৎ রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়ানো ।
@মাসুদ,
(Y)
অত্যন্ত গুছানো লেখা।
তবে যে যাই বলুক রোহিঙ্গাদের এদেশে ঢুকতে না দেওয়ার পক্ষে আমি। বার্মার সাথে বর্ডার কি শুধু আমাদের সাথে নাকি?? ভারতের সাথেও তো আছে। ওদের কোন মাথা ব্যাথা নাই কেন? বাংলাদেশ এমনিতেই একটি গরিব দেশ, আর রোহিঙ্গাদের এদেশে পুরনো রেকর্ড ভাল না। কাল বিবিসি বাংলা ফোন আলাপ শুনছিলাম। ৯০% সাধারণ মানুষ মনে করে- পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা করছেন- ঠিক করছেন। এখানে জাতিসংঘের সেইসাথে পশ্চিমা বিশ্বের কথা শোনা ঠিক হবে না। এটা বার্মার অভ্যন্তরীণ বিষয়, একাত্তরের সাথে এটাকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। একাত্তরের সময় আমরা ভারত থেকে ফেরত এসেছিলাম, কিন্তু অতিতে যত রোহিঙ্গা এদেশে এসেছে- কেউই আর বার্মায় ফিরে যায় নি। ওদের সমস্যা ওরাই সমাধান করবে। অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ৭৮ এর সময় প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা এদেশে ঢুকে পড়ে, ৯১ এর সময় আরও এক লাখ। এরা কি করে শেষ পর্যন্ত- বাংলাদেশের পাসপোর্ট লাগিয়ে বিদেশে গিয়ে কুকর্ম করে বেড়ায়- এতে এদেশের অনেক বদনাম হয়েছে বাইরে। অনেক রিফুজি আছে এদেশে ওদের এখনো ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। মুসলিম মানছি, অনেকে বলছে- সাময়িকভাবে ঢুকতে দেওয়া হোক- আগেও এইরকম হয়েছে- ওরা আর বের হয়নি। আর আমরা একটা গরিব দেশ, এমনিতেই ছোট দেশ, জনসংখ্যা বেশি। অভাব বেশি। এদের আশ্রয় দিলে তো আরও সমস্যা বাড়বে। আল্লাহ কখনই বলেনাই নিজের চিন্তা না করে অন্যকে সাহাজ্জ করতে, আমাদের এমনিতেই অবস্থা খারাপ। আর্মিরা খুব বেশি হলে সীমান্তে কড়া পাহারার সাথে ওদের পথ্য দিতে পারে, এই, ব্যস। ভারত ও তো আছে সীমান্তে- ওরা কেন চুপচাপ। আর এটা সরকারের শেষ বছর- অনেক কিছু ভেবেচিন্তে সরকার তাঁর সিদ্ধান্তে অটল আছে। এখন সমস্যায় জড়িয়ে পরা মানে অনেক ঝামেলা। আর এটা একটা খুবই সেনসিটিভ ইস্যু এখন। এটা নিয়ে আরও ভেবেচিন্তে বিশ্লেষণ আর সময়ের প্রয়োজন।
আমি বাংলাদেশের সোস্যাল মিডিয়াতে মিয়ান্মারে দাংগা সম্পর্কে যে প্রধান প্রচারণা লক্ষ্য করলাম — তার সব বাদ পড়েছে এ রচনাটিঃ
১) [img]http://a3.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/526750_10151611245942137_1206001732_n.jpg[/img]
অথচ এই মেয়েটিকে তিন জন মুসলিম ২৮ মে সন্ধ্যায় বলাৎকরে গণধর্ষণ করার পর তার সবকিছু লুটে নিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। তার বুকে ও যৌনাংগের কাছে ছুরি দিয়ে বার বার কোপানোর ক্ষত ছিল।
২) [img]http://a4.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc6/181188_10151626950604057_132417606_n.jpg[/img]
এই ছবি দিয়া প্রচারণা চালানো হচ্ছে — বার্মার বৌদ্ধদের দ্বারা হত্যাকৃত রোহিংগাদের লাশের বহরের অংশ মাত্র। অথচ এটা ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডে আতককৃত illegal রোহিঙ্গাদের একটা ছবি। কোন লাশ নয়।
রোহিঙ্গাদেরকে আরব বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে অনেকটা এ লেখায়। রোহিংগারা মূলত চাটগাইয়া ভাষা ব্যবহার করে। এবং এটাও মনে রাখা আবশ্যক যে, বাংলাদেশের মুসলিমরা ইংরেজ আমালের শুরুতে আরবী অক্ষরে লিখত এবং উর্দু-ফারসী ছিল তাদের পছন্দের ভাষা।
এছাড়াও লেখাটিতে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম শাসকদের ১৫তম শতাব্দী থেকে ইংরেজ দখলের আগ পর্যন্ত আরাকান রাজ্যের উপর বার বার জিহাদী আক্রমণ ও দখলের প্রচেষ্টা একেবারেই বাদ দেওয়া হয়েছে। আরাকানীরা মুসলিম আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সাহসিকতা দেখিয়ে বেচে গেছে, যদিও এর ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম, যা ছিল আরাকান রাজ্যের চিরাচরিত অংশ, তা তাদের হাতছাড়া হয়।
আমাদেরকে এটাও মনে রাখতে হবে বাংগালীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী আরাকানদের মাঝে কিভাবে অনুপ্রবেশ করেছে বিগত তিন দশকে।
সর্বশেষেঃ ইন্টারপ্রেস সার্ভিস জানাচ্ছেঃ দাঙ্গা শুরুর ৬ দিন পর ২৯ জনের মৃত্যু হয় — ১৩ জন বৌদ্ধ, ১৬ জন মুসলিম; ৯টি বৌদ্ধ বিহার ও ৭টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যায় দাঙ্গা একমুখী নয় — যেটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন সাইফুল সাহেব। বরং মুসলিমরা এর সুচণা করে এবং পরে বৌদ্ধরা পালটা আঘাত করে। মনে রাখতে হবে শুক্রবার বাদ-জুমা মুসলিমদের চিরাচরিত জিহাদ-দাঙ্গা সূচণার করার সময় এবং মিয়ানমারের এ দাঙ্গা শুরু হয় ৮ জুন শুক্রবার বাদ-জুমা।
@আলমগীর হুসেন,
গোশালে পরিণয় হওয়া কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় কী দেখানো হয়েছে আমি জানি না। আমার দেওয়া তথ্যে কোন ভুল আছে কিনা তাই দেখেন।
আপনার দেওয়া ছবিটা আসে নি। কিন্তু আপনার দেওয়া তথ্য যদি সত্যিও হয় তাতেও আমার দাবীর কোন হেরফের হচ্ছে না। বাঙলাদেশে প্রতিদিন নারী ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে, কোন ক্ষেত্রে এমন দাঙ্গা হতে দেখেছেন?
হিন্দুর দ্বারা মুসলমান আর মুসলমান দ্বারা হিন্দু কোন ক্ষেত্রেই কি এমন দাঙ্গার উদাহরন আছে?
আমি আমার সোর্স দেখিয়েছি। আপনি আপনারটা দেখান না। পাবলিক ঠিক করুক কোনটা তারা গ্রহন করবে।
এটা দিয়ে কী প্রমানিত হয়?
এটা দিয়েও সাধারন রোহিঙ্গাদের কোন পাপ প্রমান করতে চাচ্ছেন সেটা আসলে বোঝা যাচ্ছে না।
বুঝিয়ে বলেন। শুধু মনে করিয়ে দিয়ে লাভ নাই। পরিস্কার করে বলেন কী বুঝব এসব দিয়ে।
কোথাও বলা হয় নি দাঙ্গা একমুখী। দেখানো হয়েছে রোহিঙ্গা আজীবন শোষিত হয়ে এসেছে। জাতি সংঘের ভাষায়ঃ
সূত্রঃ http://www.bbc.co.uk/news/world-asia-18395788
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর ডেপুটি ডিরেকটর এলেইন পিয়ারসন বলেছেনঃ
সূত্রঃ http://www.reuters.com/article/2012/06/11/uk-myanmar-violence-idUSLNE85A01C20120611
শোষিত মানুষেরা ইতিহাসে কখনও নিজেদের ভুলের মাসুল গোনে না। গোনে শোষকদের ভুলের মাশুল। আপনাকে এইটা মনে রাখার অনুরোধ করছি।
http://www.thesundaily.my/news/408659
এই রিপোর্টটা পইড়া দেখতে পারেন।
@আলমগীর হুসেন, চালিয়ে যান …
সব কথার শেষ কথা কিন্তু এইটাই!
সাইফুলের লেখা সবসময়ই চিন্তার খোরাক। এই লেখাটাও ব্যতিক্রম নয়। রোহিঙ্গাদের ইতিহাস থেকে শুরু করে আজকের সময়ের সমস্যার প্রতিটি স্তর স্পর্শ করা হয়েছে লেখাটাতে। লেখাটার জন্য সাইফুলকে ধন্যবাদ দিলেও কম করা হবে।
যাই হোক, রোহিঙ্গাদের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হোক। বার্মিজরা না দিক, আমরা অন্ততঃ দেই।
@অভিজিৎ,
ঠিক।
@অভিজিৎ দা,
সঠিক কথা।
মানবিক বোধ থেকেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার দাবী জানাচ্ছি। বাংলাদেশ যদি তার ১৭ কোটি মানুষ কে খাবার দিতে পারে। রোহিঙ্গাদের ও পারবে। এখানেই বাংলার শ্রেষ্ঠত্ব। এখানেই বাঙ্গালিদের মহত্ব।
@জুয়েল,
(Y)
Bangladesh: Open borders to Myanmar Refugees এপ্লিকেশনে সাইন করতে এখানে ক্লিক করুন।
এটার একটু রেফারেন্স দেওয়া যায় সাইফুল। অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেয় না মানে কী? তারা কী মায়ানমারের নাগরিক নয়?
লেখা চমৎকার হয়েছে কবি। (F)
@ফরিদ আহমেদ,
না তাদের কোন সিটিজেনসিপ নেই, মানে বার্মিজরা তাদের স্বীকার করে না। তারা বোধ হয়
পৃথিবীর একমাত্র জাতি যাদের কোন দেশের নাগরিকত্ব নেই, তবে ফিলিস্থিনিদের বিরাট অংশ যারা জর্ডান, লেবানন আর সিরিয়ায় রিফুজি থাকে তাদেরও খুব সম্ভবত কোন দেশের নাগরিকত্ব নেই। “বৌদ্ধ অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অনেক মুসলমানের বাস৷ এই মুসলমানদের মধ্যে একটি বড় অংশ আবার নাগরিকত্ববিহীন রোহিঙ্গা৷”-আরাফাতুল ইসলাম DW
@ফরিদ ভাই, লেখাটি আজ আমার চোখে পড়ল একজনের মন্তব্য দেখে। এবং নিচে আপনাদের বিতর্কটাও বেশ উপভোগ করলাম।
আজ পুরাপুরি পরিষ্কার হয়ে গেল যে কেন কিছু লোক আপনাকে পছন্দ করে না। পছন্দ করেনা কারন আপনি সত্য, ন্যায় আর মানবতাকেই সবার উপরে রাখেন।
সফিক ভাইয়ের বেশিরভাগ কথার সাথেই আমি দ্বিমত করলেও নিচে থেকে আপনার উদ্দ্যেশ্যে করা একটা মন্তব্য এখানে দিয়ে দিলাম, কারন আমি এটার সাথে শতভাগ একমত পোষণ করছি।
হ্যাঁ ফরিদ ভাই, আমিও মনে করি যে মুক্ত চিন্তা একটা কঠিন অর্জন আমার নিজের জীবন থেকেই এটা শিখেছি আমি। আর আপনিও এটা আমার চেয়ে অনেক ভাল জানবেন এটাই আমার বিশ্বাস।
লেখার পুরোন মন্তব্যগুলোতে আর প্রতি মন্তব্য করলাম না এতে অহেতুক কিছু অপ্রীতিকর জিনিসের জন্ম হতে পারে বলে।
তবে এই লেখায় আপনার গঠনমুলক সব বিতর্ক আর মানবতার প্রতি অসাধারণ ঢাল হয়ে দাঁড়ানো আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমি খাট করতে চাই না। শুধুই আপনাকে স্যালুট হে মুক্ত চিন্তার নির্ভিক সৈনিক!!
:guru: :guru: :guru:
@অর্ফিউস,
দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, মুক্তমনায় যে লড়াইটা আমি করতাম, ওটাতে পুরোপুরি ক্ষান্তি দিয়ে দিয়েছি আমি। যে রণসাজে সজ্জিত ছিলাম আমি একসময়, তা স্বেচ্ছায় সমর্পিত আজ। যে প্রয়োজনে লড়াইটা ছিল, সেটা এখন পর্যবসিত, পরিত্যাক্ত, অপ্রয়োজনীয় আবর্জনার মতই।
নির্ভিক হয়তো আছি, মুক্তচিন্তকও হয়তো কিছুটা, কিন্তু সন্দেহাতীতভাবেই সৈনিক আর নেই। সে কারণে আপনার এই স্যালুটের সুযোগ্য ব্যক্তি আমি আর নই।
ভালো থাকবেন।
@ফরিদ আহমেদ,
মুক্তমনার প্রয়োজনের লড়াইটা এখন পর্যবসিত, পরিত্যাক্ত, অপ্রয়োজনীয় আবর্জনার মতই? ভারী অদ্ভুত ব্যপার।
ভালো কিছু করতে বা ধরে রাখতে সময় দিতে হয়। আমার মনে হয় এখন যারা কোয়ালিটি কন্ট্রোলের দ্বায়িত্বে আছেন তাদের সময়ের অভাব হচ্ছে। ভালো লাগছে না এসব।
@কাজী রহমান, ভাই, আমার মনে হয় ফরিদ ভাইয়ের কোন বিকল্প নেই, থাকতে পারে না। এটা শুধুই আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি। জানিনা যে নতুন মডারেটর প্যানেলে কারা আছেন, তবে ফরিদ ভাই এখনো আমার কাছে অভিভাবকের মর্যাদাটাই পাবেন, আর চিরকাল পাবেন। উনার কিছু নির্মোহ লেখা আমার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। যদিও সেইসব লেখা তে মন্তব্য নেই আমার। কারন ফরিদ ভাইয়ের লেখাগুলি আমি শুধু মুগ্ধ পাঠকের মত পড়েই যাই, কি মন্তব্য করব সে বিষয় খুজে পাই না। আর বিতর্কের প্রশ্ন আসে না, কারন উনার বেশিরভাগ লেখাতেই বিতর্কের কোন অবকাশ তিনি রাখেন না। উনার লেখাগুল আমি পড়তাম শুধুই ছাত্র হিসাবে, যে কিনা শিখতে এসেছে, বিতর্ক করতে না।
@ফরিদ ভাই,
আপনি কাজটা হয়ত করেছেন অভিমান থেকে।এতে কিন্তু লাভ হয়েছে তাদেরই যারা এই ব্লগটাকে মুক্ত মনা থেকে কাদা ছোড়াছুড়ির ব্লগে পরিনত করেছিল তাদের। আমি অনেক আগে মুক্ত মনার লেখা পড়তাম কাঝে মাঝে। কেন জানি মন্তব্য সহ লোড হত না।
পড়ে কিছু ২য় শ্রেনীর জাতি বিদ্বেষ মুলক লেখা পড়তে পড়তে একেবারে বিরক্ত হয়ে গেছিলাম, মুক্ত মনা পড়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। পরে আবার শুধু অভিদার কিছু বিজ্ঞান লেখা পড়তে সাইটটা ওপেন করেছিলাম। তখন দেখেছিলাম আপনার লড়াইয়ের কিছু অংশ।
খুব ভাল লেগেছিল যে মুক্ত মনাতে আপনাদের মত কিছু লোক আছেন যারাই প্রকৃত মুক্ত মনা। এর কিছুদিন পরেই আমি মুক্ত মনা তে মন্তব্য শুরু করি সাইফুল ভাইয়ের একটা লেখার মাধ্যমে, সেটা আপনি জানেন, আর এখনও করে যাচ্ছি। আপনি আমাদের মত মানুষ যারা মুক্ত চিন্তার জন্য একটি সাইট চায়, যেখানে কাদাছোড়াছুড়ি থাকবে না, থাকবে সুস্থ আলোচনার জায়গা, তাদের জন্য আপনি চিরকাল অনুপ্রেরনা হয়েই থাকবেন।
আমার এই কথাগুলিতে কিছু দুর্মুখ হয়ত আমাকে চাটুকারিতার অপবাদ দিতে পারে তা দিক, দুর্মুখ রা কি বলল বা কি ভাবল এতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।
ভাই আপনার কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারি, অনুভব করতে পারি আপনার অভিমানটাও। কিন্তু ভাই কাদের উপরে এই অভিমান? যারা আদৌ এর যোগ্য নয় তাদের উপরে?
আর আমি বিশ্বাস করি যে ফরিদ ভাই কোনদিন অপ্রয়োজনীয় আবর্জনা বা পরিতক্ত্য মানুষ হতে পারেন না, অন্তত আমার কাছে না। আপনার অসম্ভব সাহসী লড়াইটাই আমার মত পাঠক কে আবার মুক্ত মনাতে ফিরিয়ে এনেছিল। মানুষ হিসাবে আমি খুবই তুচ্ছ একজন, কিন্তু তবু মুক্ত মনার একজন পাঠক হিসাবে নিজেকে ঢেলে সাজাতে পেরেছি এই ব্লগটির গঠনমুলক কিছু লেখা পড়েই।
আর পাঠক হিসাবে মুক্ত মনা আমাকে আবার আকৃষ্ট করেছিল আপনাদের মত, বিশেষ করে আপনার মত নির্ভিক সৈনিকের যুদ্ধের কারনে। আপনার এই যুদ্ধের কারনেই মুক্ত মনাতে অন্ধ জাতি বিদ্বেষের ট্রলিং বন্ধ হয়েছিল, আর যেটা আমার মত কিছু মুখ ফিরিয়ে নেয়া পাঠক কে আবার মুক্ত মনা মুখী করেছিল।
আমি মুক্ত মনা পড়ি বা না পড়ি তাতে হয়ত কারুরি কিচ্ছু যায় আসবে না, কিন্তু আমার জন্য এটা খুব দরকারী। বাংলায় এর চেয়ে ভাল সাইট আর কোথায়?
এ জন্যেই আপনি আমার কাছে চিরকালের অনুপ্রেরনা হয়েই থাকবেন।
আপনি আজ হয়ত আর মোডারেটর নেই, কিন্তু আমি যতদূর জানি যে আপনিই অভিদার সাথে মুক্ত মনার কো ফাউন্ডার। এই ব্লগটি সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানের মত , আর আপনি অভিভাবক । সেখানে আপনিই যদি কিছু লোকের কথায় নিজেকে সরিয়ে নেন, তবে ক্ষতিটা হবে এই ব্লগের, সে দুর্মুখ ট্রলদের নয়।
একজন সৈনিক চিরকালের সৈনিক। আর আপনি সেটাই আছেন। আর আমার কাছে আপনি অনুপ্রেরনা হয়েই থাকবেন চিরকাল।
ভাই যখন আপনার সাথে আমার প্রথম মেইলে আর ফেসবুকে কথাবার্তা হয়, আপনি কিন্তু আমাকে তুমি বলে সম্বোধন করতেন, আর আমি নিজেকে আপনার ছোট ভাই মনে করে সম্মানিত বোধ করতাম। আজ আপনি বলে সম্বোধন করে আপনার ছোট ভাইয়ের জায়গা থেকে কি আমাকে সরিয়ে দিলেন?প্লিজ এটা করবেন না। আমি জানিনা আপনার ছোট ভাইয়ের মর্যাদা পাবার যোগ্য আমি কিনা, তবু আপনাকে আমি আমার বড় ভাই বলেই মনে করি, আর মুক্ত মনা তে অভিভাবক বলে মনে করি। দয়া করে আমাকে তুমি বলেই সম্বোধন করবেন ( এটা আমার একটা বিশেষ আবদার আপনার কাছে) , যেমনটা আগে করতেন, না হলে খুব কষ্ট পাব এই ভেবে যে আমার বড় ভাই ফরিদ ভাইয়ের স্নেহ আমি হারিয়েছি।
আর স্যালুটের কথা বলছেন? বিশ্বাস করেন ভাই, আমি আমার জীবনে খুব কম মানুষকেই স্যালুট করে থাকি, আর যাদের কে এ পর্যন্ত স্যালুট করেছি, আপনিই তাদের মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। মানুষ হিসাবে আমার অনেক ভুল ত্রুটি আর সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু এই স্যালুটের ক্ষেত্রে আমি ভুলেও ভুল করি না। অন্যদের কথা জানি না, আমি শুধু নিজেকেই জানি। ছোট মুখে হয়ত বড় কথা বলে ফেলছি, তবু আবার বলছি আর বলব যে আমি যে খুব কম সংখ্যক লোককে আমার জীবনে স্যালুট করেছি, তাদের মধ্যে আপনি সর্ব শ্রেষ্ঠ
কাজেই আপনার প্রতি নির্ভেজাল শ্রদ্ধাবোধ আর অকৃত্রিম ভালবাসা, আমার মধ্যে আজীবন থেকে যাবে। ফেসবুকে আমি যাই না বললেই চলে, ই মেইল চেক করি না প্রায়শই, তাই হয়ত আমার সাথে আপনার ব্যক্তিগত ভাবে কথাবার্তা খুব বেশি হয় না। কিন্তু শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালবাসা এইগুলার উপরে যে নির্ভর করে না সেটা আপনি আমার চেয়ে অনেক ভাল জানেন।
দুঃখিত ভাই, হয়ত আবেগ প্রবন হয়ে পড়েছি, তবু আপনার এই কষ্ট আর অভিমান ভরা কথাগুল আমার হৃদয় স্পর্শ করে গেছে। আপনি মুক্ত মনাতে আগের মত সক্রিয় নাই, এটাকে আমি নন্দন কানন থেকে বিধাতার বিদায় বলব। কিন্তু আমার মত কিছু মানুষের কাছে আপনি আগের ফরিদ ভাই আর অনুকরণীয় আদর্শ হয়েই থাকবেন, এটা আমার মন থেকেই বলছিম আপনি বুঝতে পারছেন।
আপনিও ভাল থাকুন অনেক, আর পারলে আবার আগের মত সক্রিয় হোন, এটা একটা আবেদন আপনার স্নেহধন্য ছোট ভাইয়ের পক্ষ থেকে।
@অর্ফিউস,
একটু ভুল হচ্ছে তোমার। আমার কথাগুলো কোনো অভিমানহত কথাবার্তা ছিল না। তুমি আমাকে যে কারণে স্যালুট দিচ্ছিলে, সেটার প্রাপ্য আমি নই, ওটা বোঝাতে গিয়েই ওই কথাগুলো বলা। এই ভুলে অবশ্য তোমার দোষ নেই। তোমার জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো একইরকমভাবে ভাবতাম যে অভিমানের বশে এগুলো বলা হচ্ছে।
অভিমান করতে গেলে যে ভালবাসার সম্পর্কটা থাকতে হয়, যে প্রীতির বন্ধনটা দৃঢ় থাকতে হয়, মুক্তমনার সাথে আমার সেটা এখন নেই। মুক্তমনা আমার বন্ধুও নয় যেমন, শত্রুও নয় তেমন। ছড়িয়ে থাকা আরো অনেক বাংলা ওয়েবসাইটের মত এটি একটি। এর বাইরে এর আলাদা কোনো বিশেষত্ব নেই আমার কাছে এখন। এখানে আমার একটা একাউন্ট আছে, পরিচিত পাঠক আছে, দীর্ঘদিনের অভ্যাস তৈরি হয়েছে লিখে লিখে, আর আমার আলসেমির কারণে অন্য কোনো ব্লগে একাউন্ট খোলা হয় না বলেই, কিছু লিখলে এখনও এখানেই পোস্ট করে ফেলি।
এরকম চাঁছাছোলা বক্তব্যের পরে আমার একাউন্টটা মডারেটররা সক্রিয় রাখবে কি না কে জানে? 🙁 তোমার কারণে মুক্তমনা থেকে বহিষ্কৃত হলে খবর আছে তোমার। (H)
@ফরিদ ভাই,
জন্মদাতার সাথে কি সম্পর্ক এত সহজেই নেই হয়ে যায়? যাক কিছু বলব না আপাতত, তবে আপনি জানেন যে এটা আপনাদেরই হাতে গড়া জিনিস, আপনাদেরই সন্তান 🙂
নাহ মনে হয় না কোন মডারেটর এমনকি আপনার একাউন্ট স্থগিত করার কথা এমনকি চিন্তাও করবেন 😉 ! তবে এটাও এখন থাক।
দেখেছেন ভাই? নিজেই কিন্তু পরিষ্কার করে দিলেন যে মুক্ত মনা আপনার আর ভালবাসাও আপনার ঠিকই আছে। তবু আমার অনুমান ভুল হলে মাফ চাইছি।
তবে হ্যাঁ এই অসম্ভব ঘটনাটা যদি ঘটেও যায় মানে মুক্ত মনা থেকে আপনাকে বহিষ্কার করা ( যদিও তেমন কোন সম্ভাবনাই নেই; আমার খুদ্র মগজ সেটাই বলে। তবু বলার খাতিরেই বলা ) হয় তবে যে সাজা দেবেন আমি মাথা পেতে নেব 😀 । তবে এটা কোনদিন হবে না কারন অভিজিৎ রায় আ ফরিদ আহমদ ছাড়া মুক্ত মনা? নাহ আমি এটা কল্পনা করতে পারি না। আমার বিশ্বাস এমন অনেকেই তা পারে না।
যাই হোক ভাল থাকবেন ভাই। যেখানেই থাকেন যেমন থাকেন, এই অধমের অনুপ্রেরণা হিসাবেই ফরিদ ভাই থেকে যাবেন সবসময়। (L) (F)
পাশের বাড়ির ছেলেটি অসুস্থ। বাড়ির সবাই এবং অন্যান্য প্রতিবেশী কেউ কিছু করছে না। আমি দরিদ্র মানুষ। আমার বাড়িতেও ছেলেটি অসুস্থ। ওষুধ কেনার পয়সা নাই। আমি কি পাশের বাড়ির ছেলেটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব?
@নোথেইষ্ট,
আপনার যেহেতু ঔষধ কেনার টাকা নাই। তাহলে যেয়ে শুধু মুখে সমবেদনা দিয়ে আসতে পারেন। এর জন্যে তো টাকা লাগে না কী বলেন?
@নোথেইষ্ট,
সমস্ত দেশের মানুষ আপনার ছেলে মেয়ে বা ভাই বোন না। আপনি নিজে কোন সমস্যায় পড়লে আপনার ছেলে মেয়েই সাহায্য করবে, দেশের মানুষ তেমন কিছুই করবে না। হা ক্যান্সারের রুগীকে মানবতার খাতিরে অনেকেই সাহায্য করে থাকে সেটা আলাদা কথা ওটুকু সাহায্য আপনি অন্যদেশে থাকলেও পেতেন বলেই আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশী ডাক্তার যাদের পসার খুব বেশি তারা কতটুকু সময় নিয়ে রুগি দেখেন?ইন্ডিয়াতে ঘনটার পর ঘণ্টা একটা রুগী কে একই ফী তে ডাক্তাররা সময় দিচ্ছেন। উনারাও কিন্তু বিদেশী মানুষ; আপনার উপমা অনুসারে পাশের বাড়ির ছেল। এখানে কিন্তু নিজের ঘরের মানুষের থেকে পাশের বাড়ির মানুষই বেশি কর্তব্য পালন করছে।
আর খরচটাও তেমন কিছু না, বাংলাদেশের থেকে কম। ( বেশিও আছে তবে ইন্ডিয়া তে ওই টাকায় সমান মানের চিকিৎসা পাওয়া যায় জানেন আশা করি,বেশী দামি কেবিনে থাকলে অবশ্য টাকা বেশি লাগবে কিন্তু সেবার মান সমান)।
মিয়ানমার সরকারের উপর কেন আন্তর্জাতিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হবেনা এ বেপারে রুল জারী করা উচিৎ। মানবিক দিক ছাড়াও দুই দেশের সম্পর্কের বেপারও মাথায় রাখতে হবে। নিজ দেশের মানুষের অভাব মিটানো যেখানে দায়, সেখানে অন্যের বোঝা মাথায় নেয়া ঠিক হবে বলে মনে করি না।
@অরণ্য,
এবং ঠিক কেন সঠিক হবে না?
@সাইফুল ইসলাম,
সঠিক বলতে সম্পূর্ণ ঠিক কিছু বুঝায়। তাই সঠিক না লিখে ঠিক লেখা উপযুক্ত হয়েছে। যদি এমন হয়, ক্ষুধায় মৃতপ্রায় কারো খাবার জোগান দিতে গিয়ে আপনার সারা বেলা উপস থাকতে হবে আপনি জানেন, এক্ষেত্রে নিয়মমতো খাবার খাওয়া ঠিক জেনেও ক্ষুধায় মৃতপ্রায় কাউকে খাবার বিলিয়ে দেয়াটা সম্পূর্ণ ঠিক বা সঠিক হতে পারে।
@অরণ্য,
কিছু অভাগা মানুষকে না খাওয়ালেই কি দেশের খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে? আমরা যেন ভুলে না যাই যে ৭১ এ আমাদেরও ভারত এইভাবে খাইয়েছিল।তখন ওরাও যদি এমন করে বললে আপনার ভাল লাগত?
আগে আমাদের দেখা উচিত যে তারা মানুষ, সে কোনদেশি বা কোনধর্মের এগুলো দেখার কোন দরকার আছে বলে মনে করি না।
@অচেনা,
তাহলে আর কী, সীমানা বেড়া খুলে দেয়া হোক। আর বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে মায়ানমারে রহিঙ্গার হয়ে মুক্তিযুদ্ধে পাঠানো হোক।
@অরণ্য, সহমত
@অরণ্য, অনেক পুরাতন লেখা, নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিতে চাই না কারন ওইসময় আমি এখানে ছিলাম না। তবু একটা প্রশ্ন করে রাখি কোনদিন এখানে আবার এলে জবাব টা দিয়ে দেবেন দয়া করে, না দিলেও সমস্যা নেই।
এইখানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে লিখলেই কি নিজের সব খাবার অন্যদের মুখে তুলে দেয়া হয় নাকি?
কি কথার কি উত্তর। এখানে কি অচেনা সাহেব সেই কথা বলেছেন?আপনারা পারেনও বাপু। নিজেদের মতের বিরুদ্ধে গেলে মানুষকে চাবকাতে।
এখানে আমার কিছু কথা আমি যোগ করতে চাই, আপনি যদি প্রশ্নটা আমাকে করতেন, তবে আমি বলব যে, হ্যা আসলেই সীমানার বেড়া খুলে দেয়া হোক ( ৭১ সালে ভারত কি আমাদের জন্য এটাই করেনি?), কারন সীমানাই সব সমস্যার মুল। ইউরোপে সীমানা নাই, তাই ঝামেলাও অনেক কম। আর বাংলাদেশী সেনাবাহিনীকে যদি সেইসময় মায়ানমারে যুদ্ধে পাঠানো হত, তবে হয়ত সেটাই হত সবচেয়ে মানবিক কাজ ( অবশ্যই জাতিসঙ্ঘের অনুমতি নিয়ে)।
যাই হোক যদি এখানে আসেন আবার তবে আমার মন্তব্যটা ইগ্নর না করার অনুরোধ করব, অবশ্য করলেও ক্ষতি নাই।
@অর্ফিউস, ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমত আপনি বলেইছেন যে আপনি এখানে ছিলেন না, এখানে বলতে এদেশে না থেকে ইউরোপের কোন দেশে ছিলেন, না মুক্তমনায় ছিলেন না তা বুঝতে পারছিনা। যিনি ছিলেন না তার কথায় দোষ ধরার কিছু নাই।
তবে,
বাপু, আমি ত একলা মানুষ, বহুবচন হইলাম কি করে! আর মতের কথা বলতে গেলে- কেন ভাই দেশে কি সমন জারি হইছে নাকি যে যাহা লেখা হইবে তাহাই মানিয়া লইতে হবে, কোন মন্তব্য করা যাইবেনা! তাহলে কমেন্ট অপশন রাখার দরকার কি। ফ্যামিলি ফিল্টার এঁর মত একটা ফিল্টার চালু করেন, মতের বিরুদ্ধে মন্তব্য অটো মুছে যাবে।
মন্তব্য করলেই কি রোহিঙ্গাদের মুখের ভাত কেড়ে নেয়া হয়?? অযৌক্তিক প্রশ্ন!
অচেনা সাহেব এঁর কথা অবশ্যই ভালো কথা, আমি নিজেও চাই ওইরকম হোক। আলাদা সীমানা, দেশ জাতি ধর্ম ভুলে একটা মাত্র পৃথিবী সবাই সবার সাথে শেয়ার করুক। কিন্তু এটা ভিন্ন লেভেল এঁর কথা। একা বাংলাদেশ এখনি এমনটা করতে পারেনা।
আপনি যদি মুল লেখায় ফিরে যান, লেখক নিজেই বলেছেন
ভারতের কাছে আমাদের ঋণ স্বীকার করি।ভারত বা যেকোনো দেশের অসহায় লোকদের আশ্রয় দিতে কারই অমত থাকার কথা না, যদি তা ন্যায়সঙ্গত ও অস্থায়ী আশ্রয় হয়।
সর্বোপরি আপনি যেটা যোগ করলেন-
সমুদ্রই পারে নদীকে ধারণ করতে, নদী কিন্তু সমুদ্রকে ধারণ করতে পারবে না, করলে নিজেকে হারাতে হবে।এশিয়া আগে ইউরোপ হোক, পরে সীমানা খুলে দিয়েন। আর যুদ্ধ কখন মানবিক হয় না। যুদ্ধে গেলে শুধু রহিঙ্গা না আমরা যারা এদেশে ছিলাম ও থাকবো তারাও বাঁচতাম না। সীমানাহীন ইউরোপবাসি ও প্রবাসীরা হয়তো বেঁচে থাকতেন আমাদের মৃত্যুতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক করার জন্য।
@অরণ্য,
উত্তর দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই কথাটার উত্তর দেখেন আমি ফরিদ ভাইকে করা মন্তব্যে দিয়ে দিয়েছি। কষ্ট করে একটু পড়ে নেবেন যদি সম্ভব হয়।
২টা গ্রুপ দেখছি তো তাই বললাম রে ভাই। এটা সম্পুর্নই আলোচনার খাতিরে বলা, ব্যক্তিগত কোন ব্যাপার স্যাপার নেই এতে।
না তাহা মানিয়া লইতে হইবে এমনটা কি আমি দাবী করিয়াছি?মন্তব্য আপনি করিতেই পারেন। তবে যে ভদ্রলোক/ ভদ্র মহিলার ( জানি না অচেনার লিঙ্গ কি তাই দুটাই উল্লেখ করলাম) সাথে যে কথা বার্তা বলেছেন, দেখতে পাচ্ছি যে উনি রনে ভঙ্গ দিয়েছেন। তাই আপনাকে প্রশ্নটা করা। নাকি ইহা করার অধিকার আমার নাই? নিচে দেখেন আপনার দুটি কথা quote করিয়াছি
এইটা কি মানবিক কথা হইল মিয়াভাই? নিজ দেশের সমস্যা লইয়া আমরা যে আলোচনা করিতেছিনা তাহা তো নহে। কিন্তু পাশাপাশি অন্যদেশের দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের কথা ভাবা কি খুবই অন্যায়ের কাজ হইয়াছিল যে তাহার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি নিচের মন্তব্য করিয়াছিলেন ?
ইহা কি প্রাসঙ্গিক মন্তব্য হইল? এই খানে কেহ কি বলিয়াছে যে সীমানার বেড়া খুলিয়া দেয়া হউক?তাহা হইলে আপনি এই কথা তুলিলেন কি কারনে জানাইয়া এই অধম কে বাধিত করিবেন কি? ইহা কি বহু প্রশ্নের জন্ম দিতে পারে না? ভাবিতেছি যে যাহাকে আপনি এই কথা বলিয়াছিলেন তিনি কেন এর প্রতি উত্তর দেন নাই। উত্তর খুজিয়া পান নাই তিনি, নাকি রনে ভঙ্গ দিয়া ছিলেন তাহা উনিই ভাল জানেন। আমি আপনাকে মানুষ হিসাবেই একটা প্রশ্ন করিলাম, উত্তর দিয়া বাধিত করিবেন কি? কেন রোহিঙ্গাদের লইয়া কিছু কথাবার্তা মানবতার খাতিরে লিখিলেই সীমানার বেরা খুলিয়া দেয়ার প্রস্তাব আসে? ইহারা মুসলিম প্রজাতির বলিয়াই কি?
অচেনা সাহেব সীমান্ত তুলিয়া দিতে চাহিয়াছেন বলিয়া তো মনে হইতেছে না। এই জিনিসটার কথা তো আমিই প্রথম তুলিলাম বলিয়া বোধ হইতেছে। উনি কি আমার আগেও এই কথা বলিয়াছিলেন? যদি বলিয়াই থাকেন তাহ হইলে আমার নজর এড়াইয়া গেছে মনে হয়।
তবে নিশ্চিত থাকিতে পারেন, সীমানার বেড়া তুলিয়া দেয়ার কথা আমি নিজেই বলিয়াছি, অচেনা বলিয়াছেন কিনা সেটা আমি জানি না, কারন কোথাও তো এমনটা দেখিতে পাইতেছি না।
তবে আপনি যেহেতু বলিয়াছিলেন সেটা যদি আমার দৃষ্টি কোন হইতে ইউরোপীয় মডেলের অনুকরনে বলিয়া থাকেন, তবেই আর কথা থাকে না। আমি তো ভাবিয়াছিলাম যে আপনি বিদ্রুপ করিয়া বলিয়াছিলেন, ইহাতেই অমন উত্তরটা দিয়াছি।
এশিয়ার কালচার কিন্তু এককালের ভুতুরে ইউরোপের চেয়ে ঢের ভাল ছিল। তবে এখন এই অবস্থা কেন? এক্টাই কারন তা হল মৌলবাদ। ধর্মীয় মৌলবাদই কহেন বা নাস্তিক্য তথা ধর্ম বিদ্বেষী মৌলবাদই কহেন, কোনটাই এশিয়াকে ইউরোপে পরিনত করিতে পারিবে না।
এক্ষেত্রে মানসিকতা বদলাইতে হইবে। কিন্তু আপনার নদী আর সাগরের তুলনা শুনিয়া মনে হইতেছে যে এই মানসিকতা বদলাইতে আরো অনেক দেরি আছে। অথবা আদৌ বদলাইবে কিনা কহিতে পারি না।
কোন জানি এক লেখায় আদিল মাহমুদ ভাই মোটামুটি হাল ছাড়িয়া দিয়াছিলেন। এখন আপনার নদী আর সমুদ্র সমস্যায় আমাকেও আদিল ভাইয়ের মত করিয়াই ভাবিতে হইবে। ধন্যবাদ ভাল থাকিবেন। :))
এদেরকে জলে ফেলে দেয়া হয়েছে। মানুষ থেকে মাছে বিবর্তিত করা হয়েছে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা লিখেছেন সাইফুল (Y)
@তামান্না ঝুমু,
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
সাইফুল ভাই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে গতকাল আপনার সাথে বেশ ভালোই একটা আলোচনা হয়েছিল। এই বিষয়ে আর আগ্রহ পাইতেছিনা বিধায় আলোচনায় যাইতে ইচ্ছুক নই।
খুব স্বল্প বা হালকা ভাবে হইলেও রোহিঙ্গাদের ইতিহাস ভালো ভাবেই তুলে এনেছেন যা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
(Y) (Y)
আপনের সাথে যেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হচ্ছিল শেষের দিকে প্রায় সব গুলোই এখানে তুলেছেন বা অন্য সব জায়গায় যেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে মোটামুটি সব গুলোই পয়েন্ট আউট করছেন! কিন্তু মনে হচ্ছে নিজের দাবির কথাটি স্পষ্ট করে না বলে সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। :-O
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুটা নিঃসন্দেহে একটা :-X চিন্তা ভাবনার বিষয়। নিজেও চিন্তা কৈরা কুল পাইতেছি না কোণ দিকে অবস্থান নিমু! আপাতত চুপ থাকাই উত্তম বইলা মনে করতাছি।
সরকার যেইভাবে সিদ্ধান্ত নিছে তাতে আমরা অনলাইনে বইয়া কি-বোর্ড টিপা কিছু করতে পারমু কিনা বিরাট সন্দেহ! শেষে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ কর্ম কইয়াও চালায় দিতে পারে। 😀
সত্যই আনন্দিত হইছিলাম। :)) কিন্তু পর মুহূর্তে আনন্দ উড়ায় দেওয়ার জন্য আপনার উপ্রে বিরক্ত হইলাম।
এই বিষয়ে দ্বিমত হওয়ার কোন কারন ই নাই। ভালো একটা কথা উল্লেখ করছেন। (Y)
তবে একাত্তরের সাথে এইটারে মিলাইয়া পাবলিকরে মানুষিক ভাবে দুর্বল চেষ্টা করা হইতেছে বইলা আমার মনে হয় জাফর ইকবাল স্যার ও তাই করেছেন। তবে শরণার্থীদের দুর্দশার একটা উদাহরণ হিসেবে এইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কয়দিন আগে পারভেজ আলম ভাইয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার একটা মতামত পড়ছিলাম সেইটা হইল এই ব্যাপারে মিয়ানমাররে সামরিক :guli: হস্তক্ষেপের হুমকি দেওয়া !
ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ভালোই লাগছে। আপনের মতামত আসা করতাছি।
তবে বাঙ্গালী যেইভাবে ধর্মের সাথে মিলাইয়া (মুসলিম নিধন/মুসলিম ভাইদের হত্যা ) চিল্লাচিল্লি করতাছে এইটার ব্যাপারে একটু উল্লেখ করার দরকার ছিল। মানবিক দিক থেকেই বিবেচনা করা উচিত ধর্মের দিক থেকে নয় এইটা মনে করায় দিলে ভালো হইতও।
@সাফিন আহমেদ অনিক,
কাজি মামুনের মন্তব্যটা দেখতে পারো এই ব্যাপারে।
স্বাক্ষর দিন। সবার জন্য। আমি এ লিংকটা কাজি মামুনের লেখায়ও দিয়েছি। যে যেটা পড়ে।
@সাইফুল ইসলাম,
আমার যা মনে হচ্ছে, আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় বড় ধরনের কোন সমস্যা আছে। মানবতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, মানব অধিকার, রেসিজম, ফেয়ার, ইনসাফ, স্টেরিও টাইপ ইত্যাদির বিষয়ের সঠিক ব্যাক্ষা আমরা অনুধাবন করতে পারিনা।
@ফুয়াদ দীনহীন,
তাতো আছেই। তাছাড়া অর্থনৈতিক সিস্টেমেরও একটা প্রভাব থেকে।
(Y) ।
তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটির জন্য ধন্যবাদ! ব্লগশেল কম থাকলেও আপনার চিরাচারিত স্টাইলটি ঠিকই বের করে আনা যায়, আর তা যে মন্দ লেগেছে তাও নয়!
সমস্যা হচ্ছে, অনেকেই সেই ভাবনাটুকু ভাবতে রাজী নয়! যে ভাবনা ভাবতে গেলে ঠকতে হয়, তেমন লোকসানি ভাবনায় কে যেতে চায় বলেন? উনাদের কি আর খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই!
দ্বিমত! কি করে নিশ্চিত হচ্ছেন, বাংলাদেশের মানুষের ফেরত আসার সম্ভাবনা ছিল প্রায় ১০০ ভাগ? পোস্ট-ফ্যাক্টো অ্যানালিসিসের ভিত্তিতে? এমনকি সেক্ষেত্রেও বিপদ রয়েছে! কারণ অসংখ্য শরনার্থী আর বাংলাদেশে ফিরে আসেনি, এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীণ হওয়ার পরও!
আর রোহিঙ্গাদের না যাবার সম্ভাবনাও যে ১০০ ভাগ (এখানে আর ‘প্রায়’ শব্দটিও রাখেননি), তাই বা নিশ্চিত হওয়া যায় কি করে? আন্তর্জাতিক চাপে মায়ানমারের সামরিক সরকার কিন্তু অনেক রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিয়েছে, যদিও তারা খেলা করেছে বিষয়টা নিয়ে অনেকটা ইসরায়েলিয় কায়দায়; তবে সুখের কথা হল, পরিস্থিতি এখন অনেক বদলেছে, মায়ানমারের সামনের সরকার নিশ্চয়ই আগের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্ববোধের পরিচয় দেবে!
এই বর্ধিত জনগোষ্ঠি ১০০ বছরের রোহিঙ্গা ইতিহাসের পাতিহাস তত্বকে কিঞ্চিৎ শক্তি যোগাচ্ছে না তো?
@কাজি মামুন,
দ্বিমত। আমি কিন্তু সাইফুলের সাথে এখানে ১০০% একমত। যারা ভারতে গিয়েছিল তারা অনেকেই ডিসেম্বরেই ফিরে আসা শুরু করেছিল। এমনকি ষাটের দশকে যারা ভারতে চলে গিয়েছিল তাদের অনেকেই ৭২ সালে ফিরে এসেছিল। পরিসংখ্যান না দিতে পারলেও আশে পাশের বেশ কিছু নাম মুখস্ত বলে দিতে পারি।
যাহোক, সাইফুলের লেখাটি সময়োযোগী।
@গীতা দাস,
দিদি, আমার কথাটি ছিল যে, যখন সহায়-সম্বল হারিয়ে মানুষ শরনার্থী হয়, তখন তাদের পক্ষে কখনোই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় যে তারা আবার ফিরে আসবে! বরং এই মানুষগুলো নতুন জায়গাতেই নতুন করে জীবন বাঁধার কাজে লেগে পড়ে, যদিও পুরনো ভিটা-মাটির জীবন সবসময়ই তাদের পেছন থেকে ডাকে; আর এজন্য, তাদের অন্য যেকোন নাগরিকের চেয়ে বেশী যন্ত্রনাকবলিত জীবন পার করতে হয়! এক অদ্ভুত দোটানা তাদের সবসময় ঘিরে থাকে!
আর পত্রিকায় পড়েছিলাম, অনেক শরনার্থী আর দেশে ফেরেননি। তবে তা নিশ্চয়ই বড় কোন ফিগার নয়। তবে আমার প্রশ্নটি ছিল সাইফুল ইসলামের ‘প্রায় একশ ভাগ সম্ভাবনা’ নিয়ে! প্রথমত, যুদ্ধ শেষের আগে সম্ভাবনাটা আমার মতে থাকে শূন্য; আর যদি পোস্ট-ফ্যাক্টো বিবরনের ভিত্তিতে বলা হয়, তাও ‘শতভাব’ সম্পূর্ন কারেক্ট নয় আমার মতে! প্রয়োজনীয় ডাটা পেলেই আপনাকে সরবারহ করব, কথা দিচ্ছি!
বাংলাদেশের স্বাধীণতা যুদ্ধ ছিল বিশ্বের সংক্ষিপ্ত মুক্তিযুদ্ধগুলির একটি; এমন অনেক যুদ্ধের শরনার্থী পাওয়া যায়, যারা হয়ত বুড়োই হয়ে যায় স্বাধীণতার সূর্য উদিত হতে হতে! নিজ দেশ যে তাদের আর টানে না তা নয়; কিন্তু একটি প্রেক্ষাপটে বহুদিন থাকার ফলে হয়ত, নানাবিধ কারনে তাদের পক্ষে আর চেঞ্জ করা সম্ভব হয় না!
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ, আর প্রেক্ষাপটসহ বর্ণনার ফলে কিন্তু মন্তব্যটি ভিন্নরূপ নিল। শাণিত চেতনা।দ্বিমত করার পথ পাচ্ছিনে!
@কাজি মামুন,
আপনার মতামতের সাথে তেমন কোন দ্বীমত করছি না। এভাবে ভাবাই যায়।
ঠিক কোন দিক থেকে?
সুন্দর ও চমৎকার লেখা, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া রোহিঙ্গা দের নির্যাতনের কিছু ছবি আপলোড দিতে চাই তাতে অন্তত অনুধাবন করতে পারবেন কি ভয়াবহ অবস্থা সেখানে কিন্তু ছবি আপলোড কিভাবে দিতে হয় বলবেন কি ? :-[
@বেয়াদপ পোলা,
মন্তব্য করার সময় ইমেজ দেওয়ার অপশন আছে। খেয়াল করে দেখলেই নীচের দিকে পাবেন।
কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আলোচনার কেদ্রবিন্দুতে আছে।আপনার নির্মোহ লেখা থেকে মোটা মুটি রোহিঙ্গাদের ব্যপারে একটা ধারনা পেলাম।আমার ফেসবুকে প্রতিদিন অনেক রহিঙ্গাদের করুন ছবি দেখি। আমার কিছু বন্ধু আবার সেসব ছবির সাথে কোরানের আয়াত জুড়ে জিহাদী জোশে ঝাপিয়র পড়ছে।আমিও আপনার সাথে একমত যে মুস্লিম হিসাবে নয়, বরং মানুষ হিসাবে ঐ ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষগুলিকে একটু ঠাই দিলে বাংলাদেশের এমন কিছু ক্ষতি হবে না।”আমরা খেতে পাই না অদের কি খাওয়াব?” এই ধরনের চিন্তা বিদদের বলছি আমরা না হয় কয়েকদিন একবেলা খাব আরেকবেলা ঐ রহিঙ্গা শিশুটিকে খাওাব।হিন্দু মুসল্মান বুদ্ধ……সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
@ছন্নছাড়া,
এইটাই আসল কথা।