আমি নগ্নপায়ে অগণিত মাইল হেঁটেছি
ধূলি ধূসরিত মেঠোপথে,
কখনো শুকনো পাতার উপরে
মর্মর শব্দ তুলে,
কখনো ফসলের মাঠের পাশ দিয়ে,
কখনো শ্রাবণের থৈ থৈ জলে-
কিংবা কাদায় পা ডুবিয়ে।
কখনো উপকূল ঘেঁষে
সমুদ্রের লোনাজলে ভেজা মাটিতে,
কখনো পৌষের ভোরের
শিশিরভেজা ঘাসের উপর দিয়ে,
কখনো গোধূলির ধূলিতে,
কখনো বা শুভ্র শিউলি বিছান পথে।
রাখাল বালকের সাথে সাথে
আমিও ছুটেছি ছাগলছানার পিছু পিছু,
সুতো ছিঁড়ে যাওয়া ঘুড়ির নাগাল পেতে
আমি উড়েছি মেঘের দেশে দেশে।
তামাম বুনোফুলের গন্ধ নিতে
আমিও ছুটেছি ভ্রমরের সাথে সাথে
এফুল হতে ওফুলে।
ফুলের রেণুর সাথে বাতাসে উড়ে গেছি অজানায়।
ঝড়ের দিনে তীব্র ঝড়ের সাথে দৌড়েছি;
খুঁজেছি বাবুইপাখির বাসা।
ঘোর বরষায় অথৈ বিলের ধারে
পোষা হাঁসের বাচ্চার জন্য কুড়িয়েছি শামুক।
সাঁতরে গিয়ে মাঝপুকুর থেকে
তুলেছি শাপলা।
ডুব দিয়ে পুকুরের তলদেশ হতে
কুড়িয়ে এনেছি ঝিনুক।
আমার চরণে জড়িয়ে থাকতো
নববর্ষার জল, রাঙাধূলি,
স্নিগ্ধ শিশির, ফসলের সোনালি খড়কুটো,
শিউলির গন্ধ, মাটির সুঘ্রাণ।
আজ সেই সকল সোনালি স্পর্শ,
সুধাময় স্মৃতি ,অনুভূতি, সুগন্ধ,
সকল মধুর উৎপাত,
নিঃশব্দে ক’রে যায় চরণপাত;
ক্ষণে ক্ষণে কেবল মনের গহীনে।
@তামান্না ঝুমু : আপু কবিতা আমি ভাল বুঝিনা। তোমার কবিতা মাঝে আমি আমার স্বপ্নকে দেখেছি।আমার ভালো লেগেছে কবিতাটা 🙂
@সাদিয়া,ধন্যবাদ (F) (F)
ভাবালুতা!
লেখাটা ভালো হয়েছে, অভিনন্দন তামান্না ঝুমু (F)
@কাজী রহমান,ধন্যবাদ কবি(F) (F)
@তামান্না ঝুমু,
খুব সুন্দর হয়েছে। মন উদাস করার মত কবিতা।
খুব ভাল লাগলো।
@গোলাপ,অনেক ধন্যবাদ।(F)
আপনার এই কবিতাটা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার প্রথম দিকের কবিতাগুলো প্রায় সবগুলো পড়া হয়েছে। পাঠক হিসেবে বলবো, সেগুলি মোটামুটি। খুব ভালো বলবো না। কিন্তু, ভালো যেটা বলবো সেটা হচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে আপনার কবিতার মান বেশ ভালো হচ্ছে। বলতে পারেন কম সময়ে বেশ উন্নতি।
আমার লেখালেখির শুরু কবিতা দিয়ে। আমি জানি একটা ভালো কবিতা লেখা কত কঠিন কাজ। মাঝে মাঝে আপনাকে দেখি ছন্দ মেলানোর জন্য অযথার্থ শব্দ প্রয়োগ করেন, তাতে করে কবিতার মান কমে যায়। ছন্দ মেলানোর জন্য না আসলে, আপনি অন্ত্যমিল করার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু, এ কবিতাটাতেতো সেটা নেই। কিন্তু, ঠিকই একটা ছন্দ আছে যেটা পড়ার সময় বোঝা যায়। আমি জানি না, আপনি হয়তো একটা শব্দের ‘অক্ষর'(syllable) নিয়ে পড়েছেন। না পড়ে থাকলে সেটা নিয়ে একটু পড়তে পারেন। খুব কাজে দেবে।
সবশেষে, মুক্তমনাতেই অনেকে আছেন খুব ভালো আবৃত্তি করেন। উনাদেরকে বলে দেখতে পারেন, আপনার এই কবিতাটা আবৃত্তির জন্য বেশ যুতসই মনে হচ্ছে।
ভালো থাকবেন, আর লিখতে থাকুন। শুভকামনা থাকলো।
@মইনুল রাজু,আপনার ভ্রমণকাহিনীগুলো পড়তে আমার বেশ লাগে। আপনার লেখা পড়ে মনে হয় আপনি খুব আমুদে মানুষ। আমার লেখা সম্মন্ধে আপনি যে মতামত ব্যক্ত করলেন তা যথার্থ মনে হচ্ছে।
মুক্তমনা সদস্য কেয়া রোজারিও এবং শংসপ্তকের আবৃত্তি শুনেছি মুক্তমনাতেই। খুব ভাল লেগেছে। উনারা যদি উনাদের পছন্দসই আমার যেকোন কবিতা আবৃত্তি করে দেন আমি ত ধন্য হব।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান মতামতের জন্য। ভাল থাকুন এবং লিখুন অবিরাম। (F)
@তামান্না ঝুমু,
আবৃত্তি করলাম । দেখুন তো আপনার পছন্দ হয় কি না ?
আবৃত্তি : কেয়া রোজারিও – মনের গহীনে মধুর উৎপাত
@কেয়া রোজারিও,
আপনার কণ্ঠের বরাবরের মতই চমৎকার শোনালো। তবে, আমি প্রথমে যখন এই কবিতা আবৃত্তির কথা ভাবছিলাম, তখন সবার প্রথমেই রবীন্দ্রনাথের ‘এক গাঁয়ে’ কবিতার নীচে দেয়া আবৃত্তিটার কথা মনে এসেছিলো।আপনারটা অবশ্য আরেকটু দ্রুতগতির।আর এই কবিতায় মনে হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু গ্রামীন সুর থাকলে, (যেমন বাঁশি) থাকলে দারুণ মানাতো। যাই হোক, আবারো বলছি, চমৎকার আবৃত্তি করেন আপনি।
httpv://www.youtube.com/watch?v=Nv8pUyGs39w
@মইনুল রাজু,
আবৃত্তি শুনেছেন আর আপনার ভালো লেগেছে তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উদাহরন সহ লিঙ্কটার জন্যেও ধন্যবাদ। তবে কি জানেন, আমার কেবলি মনে হয় কবিতা যখন আবৃত্তি করছি তা যে শুধুমাত্র কবির লেখা শব্দ গুচ্ছের দেখান পথেই চলবে তা’ই বা কেনো হবে? আমার তো মনে হয় বরং কবিতা টি প্রথম পড়বার সময় আমার যে অনুভুতি, যে বোধ কাজ করেছে আবৃত্তিকার হিসেবে সেটা তুলে আনা আর শ্রোতার কাছে পৌঁছে দেবার সবিনয় দাবী আমি করতেই পারি।
কবিতা টি পড়বার সময় আমার আনন্দ স্মৃতি জেগেছে , বিষাদ নয়। আর তাই এর ব্যাঞ্জনায় স্বাভাবিক ভাবেই যুক্ত হয়েছে এর সাথের আবহ সঙ্গীত।
,
@কেয়া রোজারিও,
আপনি ঠিকই বলেছেন। সব শিল্পীর নিজস্ব একটা সত্ত্বা আছে। সেটাই প্রকাশ পাবে শিল্পীর কাজে।কিন্তু, অনেক সময় শ্রোতা বা পাঠকের কি চাওয়া সেটার দিকেও শিল্পী খেয়াল করে থাকেন। তবে, এটা ঠিক যে, নানান পাঠক বা শ্রোতার নানান চাহিদা থাকবে। সেক্ষেত্রে, শিল্পীর নিজের পছন্দটাই গুরুত্বপূর্ণ।
@কেয়া রোজারিও, খুব ভাল লেগেছে দিদি। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আবৃত্তি করার জন্যে। আমিও যদি পারতাম এভাবে আবৃত্তি করতে! (F) (F) (Y)
@তামান্না ঝুমু,
আমারো আবৃত্তি করে ভালো লেগেছে। ও ভালো কথা, আপনার দেয়া ধন্যবাদের আর্ধেক সংশপ্তক কে পাঠিয়ে দিলাম, কেননা অডিও সম্পাদনা তার ই করা।
@কেয়া রোজারিও, সংশপ্তককে আমার পক্ষ থেকেও অজস্র ধন্যবাদ।
@কেয়া রোজারিও,
চ-ম-ৎ-কা-র আবৃত্তি হয়েছে (F)
কবিতাটা খুব চমৎকার লাগলো ঝুমু। অতীতস্মৃতিবিধুরতায় আক্রান্ত করার মত আশ্চর্য এক সক্ষমতা আছে এই কবিতার। (F)
@ফরিদ আহমেদ,
হারানো দিনে ফিরে যাবার সুযোগ নেই। কেবল স্মৃতি মন্থন করা যায়। মাঝে মাঝে সবগুলো স্মৃতি জড়ো হয়ে উথাল-পাথাল করতে থাকে মনে। উগড়ে আসতে চায়। ধন্যবাদ দাদা।
আমরা সবাই ঘুরছি, জীবন-ঘুড়ির নাগাল পেতে!
ভিন্ন স্বাদের চরনগুলো ভাল লেগেছে! (F)
@কাজি মামুন, জীবনের স্রোত যে কখন কোন দিকে মোড় নেয়! আমরা শুধুই বয়ে যাই অজানা গন্তব্যে। বিগত দিনগুলো কেবল গেঁথে রয় মনে। ধন্যবাদ মামুন ভাই।
সত্যি, সত্যি মোর শৈশব উঠে এসেছে এ অসাধারণ কবিতার প্রতিটি পংক্তিমালায়; সেই সে সোনালী দিনগুলি আর কোন ফিরে হয়ত পাবো না কিন্তু চোখ বন্ধ করলে কবিতার পংক্তির মত উঁকি মারে মনের জানালায়। আমি বলিতে যা ব্যর্থ, আপনি কবি তা বলে যান অতীব চমৎকার ভাবে মনের মাধুরী দিয়ে স্বীয় অঙ্কিত কবিতায়…।
অসংখ্য ধন্যবাদ, আপু আরো কবিতার প্রত্যাশায় রইলাম…।
@শামিম মিঠু,সময় ভেসে যায় কালের স্রোতে, শুধু স্মৃতিটুকু থেকে যায় আমাদের মনের মাঝে। ধন্যবাদ পাঠ-প্রতিক্রিয়া জানানর জন্যে।