বুনোফুলে ঘুরছে কাঠপিঁপড়ে,
কয়েকটা ফড়িং, সঙ্কর সুঘ্রান,
ঘাসডোবা স্বচ্ছ জল; আর আমি,
থেমে পড়া বৃষ্টি। ব্যস্ত প্রজাপতি।
বেশ অনেকটা দিন পরের কথা। হয়ত সন্ধ্যা,
অট্টালিকা বা শালবন, বেলী না’হয় টিউলিপ,
দূরদেশে অনাবাসে, সাগরে নয়তো-বা মরুতে,
তন্দ্রাচ্ছন্ন আমি, ঝিমুনিতে আর নষ্টালজিয়ায়
বিশ্রাম খোঁজে মন। অতঃপর, থেমে যাই হঠাৎ।
ফিরে চাই বারেবার আমার প্রজাপতি, ফড়িঙ।
ধরা বৃষ্টিতে ঐ, ভেজা বাতাসেরা ফেরে,
নিয়ে নিঃশ্বাসে কত, প্রশান্তি নবায়ন।
আবৃত্তিঃ কাজী রহমান
স্বকণ্ঠে আবৃত্তির জন্য কাজী রহমান আর ব্যাকগ্রাউণ্ডে মিউজিকের জন্য সংসপ্তককে শুকরিয়া জানাই। চমৎকার লাগলো।
@শিশির,
ধন্যবাদ শিশির, পড়া, মন্তব্য আর শোনার জন্য। ভালো থাকুন (C)
আপনার আগের কবিতাগুলোর মত এটাও খুব ভাল লাগল।গুনে গুনে ১২ বার পড়লাম!এই লাইনগুলো ভুলতে পারছি না। “বেশ অনেকদিন পরের কথা, হয়ত সন্ধ্যা,
অট্টালিকা শালবন কিংবা, বেলী না-হয় টিউলিপ
দূরদেশে অনেক দূরপথে, সাগরঅথবা মরুতে,
তন্দ্রাচ্ছন্ন আমি, ধীর বাতাস; ঝিমুনি; নস্টালজিয়া ।”
@অভ্র ব্যানার্জী,
পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন (C)
আমি কবিতা শিখতে চাই, বুঝতে চাই। আর তাই জানতে চাই…
ঘাসডোবা স্বচ্ছ জল কিসের চিত্রকল্প? থেমে পড়া অনেক বৃষ্টিতে প্রজাপতিরা ব্যস্ত হয়ে যায় কেন?
অট্রালিকা শালবন বা টিউলিপ কি বিশ্রাম দিতে ব্যর্থ? দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত কবি ফিরে পেতে চায় প্রজাপতি ফড়িং?
এই ভেজা বাতাস অসম্ভব প্রিয় আমার!স্মৃতির অকুল দরিয়ায় ভেসে চলে মন!
বৃষ্টিস্নাত কবিতাখানি অপূর্ব লেগেছে, রহমান ভাই। আর প্রশ্নগুলো করা যেহেতু আমি আপনার কাছে কবিতার পাঠ নিতে চাই। বিব্রত করেও থাকতে পারি, আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তাই!
@কাজি মামুন,
পড়বে যারা তাদের ওপর ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। একটা ব্যাখ্যা যথেষ্ট নয়। জীবনে অনেক ঘাস-সবুজ সতেজ অর্জন থাকলেও জীবন প্রবাহের প্রবল বর্ষণে তা কখনো বা তলিয়ে যায়। ক্ষণজন্মা এই আমরা, বর্ষণ বিরতিতে মধু পরাগ-প্রিয় ব্যস্ত হয়ে পড়ি, ক্রমাগত নিলাজ অর্জনে।
ক্লান্ত বোধে প্রজাপতির কাঠ পিপঁড়ের ব্যস্ততার চেয়ে ওদের সৌন্দর্য বড় হয়ে ওঠে। ভালো লাগে স্মৃতি রোমন্থন।
এভাবেই ঘটে নবায়ন, নতুন হয়ে জীবনকে ভালোবাসি আবার (D)
নব নব, ঘন ঘন, চমকি চমকি, উছলি উছলি, বায়ু বয়ে যায়। কবি-র মন পড়ে থাকে সাহারায়।
নাহ, বলতেই হচ্ছে, নব-রূপে যারপরনাই হরষিত।
@স্বপন মাঝি,
ওরে ভাই, এইগুলি কি সব ছাড়ছেন; বাছাই বাক্যবানে দেখছি সাহারায় গিয়ে পালাতে হবে। নেন ভাই (^)
খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা ।
@মোজাফফর হোসেন,
শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা; খুব ভালো থাকুন (C)
বাহ্! খুব আরাম পেলাম পড়ে। শব্দের খেলায় অনেকটা জীবনানন্দের স্বাদ পাওয়া যায়, তবু নিজের মৌলিকতাটা ধরে রেখেছেন মজবুতভাবে— সেটা দেখে খুব ভাল লাগলো। আবৃত্তিটা ব্যাকিং অডিওর সাথে খুব সুন্দর শোনাচ্ছে, ওটার জন্য সংশপ্তক ও আপনি – দুজনকেই অভিনন্দন।
আচ্ছা, পোস্টে সরাসরি কোন অডিও লিঙ্ক “এমবেড” করে দেয়ার উপায় কি আছে? আমাকে কেউ জানাবেন এ ব্যাপারে?
@ভাস্বতী,
অনেক ধন্যবাদ ভাস্বতী; আপনার মন্তব্য দেখে আনন্দ পেলাম। আমি নিশ্চিত সংশপ্তকও আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে গেছে। এমবেড এর জন্য সংশপ্তক, রামগড়ুড়ের ছানা, আভিজিৎ, ফরিদ আহমেদ সহ আরো অনেকেই আপনাকে জানাতে পারবে। মুক্তমনার ই মেইল ব্যাবহার করে ওদের কাউকে বলে দেখতে পারেন।
ভালো থাকুন।
ভালই লাগল। আপনি একদিকে কোরান বিশেষজ্ঞ আবার কবিও বটে।
ধন্যবাদ
ভাল থাকুন, কাজী সহেব।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আরে আরে চাকলাদার ভাই যে; শোনেন,
ক্রমান্বয় ভাবনায় রুপান্তর আপনার
সারাক্ষন ভরুক অনেক আলোয়
উপভোগ্য হোক বেঁচে থাকা
সারাটা জীবন অনেক ভালোয় (C)
বিশ্রাম খোঁজে মন, ইঁট পাথরের রাজত্ব হতে বহু দূরে।
সুঘ্রাণ, ব্যস্ত 😛
@তামান্না ঝুমু,
হাহা হা, আপনার জন্য পাঙ্খাওয়ালা বাহন রেডি রাখছি; ডিজিটাল ক্যামেরা নিতে ভুইলেন না যেন। এই নেন সুঘ্রাণ (F)
এত তন্দ্রাচ্ছন্ন আর ঝিমাইলে চলব- জুলিয়ানারে দেখব কেডা 😛
@রাজেশ তালুকদার,
আরে ঝিমায়াই তো দেখি তারে; কি যে মজা …….. 🙂
ক্লান্ত অবসন্ন দেহমন!বিশ্রামের খোঁজে মন আপন আবাসস্থল দেহ-ঘর বা প্রকৃতির বন্ধন ছেড়ে বিশ্ব-প্রকৃতিতে ঘোরে-বেড়ায়!
বিশ্ব-প্রকৃতির রূপ মাধুরীর বর্ণনায় অনন্য সুন্দর অপরূপা, এক অনবদ্য গীতি-কবিতা (F) (Y)
@শামিম মিঠু,
আপনার প্রসংশা শুনে লম্বায় দুই ইঞ্চি বেড়ে গেলাম রে ভাই (D)
বাহ দারূণ।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ; ভালো থাকুন (C)
ভাল লাগল। বিশেষ করে ‘সঙ্কর সুঘ্রাণ’ শব্দসৃষ্টি ভাল লাগল।
@গীতা দাস,
আপনার হাতে টাইট খাইনি, তাই; আমারও ভালো লাগলো (C)
@কাজী রহমান,
আমার যে আপনাকে টাইট দেওয়ার অধিকার দিয়েছেন তা জেনে ভাল লাগল। আবার কষ্ট হচ্ছে, আমি কি এত খারাপ কাজ করে বেড়াচ্ছি নাকি!!!
@গীতা দাস,
এই রকম খারাপ কাজের কষ্ট আরো বাড়ুক আপনার। এখানে টাইট দেবার মানুষের বেশ অভাব। যাকে পাবেন তাকেই এক্কেবারে রেঞ্চ টাইট মেরে ছাড়বেন :))