নাসেক মানসুক নিয়ে শুধু মুক্তমনাতে নয় একটা ইসলামি সাইটেও দেখলাম বাহাস চলছে। কেউ কেউ মানসুক হয় নি বলে রায় প্রদান করেছে , কেউ কেউ হয়েছে বলে রায় প্রদান করেছে অথচ উভয়ই কিন্তু নিবেদিত প্রান মুসলমান।তাহলে প্রশ্ন হলো কেন তারা দ্বিধা বিভক্ত? বিভক্ত একারনে যে তারা কোরান পাঠ করে সঠিক অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার যারা মানসুক সঠিক বলে যারা মন্তব্য করেছে তাদের বক্তব্য যেসব আয়াত সমূহ পূর্বের নিবন্ধে মানসুক বা রহিত বলে বলা হয়েছে তা ঠিক নয়।অন্য আয়াত বরং রদ হয়েছে। অর্থাৎ এ ব্যপারে তারাও দ্বিধান্বিত।কেন দ্বিধান্বিত ? তারা দ্বিধান্বিত কারন বিষয়টি পুরোপুরি মেনে নিলে ইসলামের যে চেহারা দাড়ায় তা দিয়ে একে আর শান্তিপূর্ণ বা সভ্য ধর্ম বলে প্রমান বা প্রচার করা যায় না। তাই তারা তাদের ইচ্ছামত মানসুকের তালিকা তৈরী করেছে। অথচ বিধি বিধান সম্পর্কিত আয়াত কিভাবে মানসুক হবে তা কিন্তু অতি সাধারন ভাবেই বোঝা যায়, যেটা পরিস্কারভাবে এ নিবন্ধের ১৩ পর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসলামী পন্ডিতরা যে মনগড়া ও প্রতারণামূলক যে তালিকা তৈরী করবে তা মানার কোনই যুক্তি নেই। সোজা হিসাব- কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আগে যে বিধান ছিল , একই বিষয়ে পরে যদি কোন বিধান চালু হয়, পরবর্তী বিধানই বহাল থাকবে। জোর করে পূর্ববর্তী বিধান চালু রাখার কোন সুযোগ এখানে নেই। তবে বিধি বিধান জানার সুবিধার্থে উভয় বিধান কিতাবে রাখাতে কোনই অসুবিধা নেই। এ বিধি মোতাবেক ইসলামের প্রাথমিক যুগে নাজিলকৃত শান্তিপূর্ণ আয়াত সমূহ অবশ্যই পরবর্তীতে নাজিল কৃত জিহাদী আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যাবে। জোর করে উভয়কেই চালু রাখার কোনই সুযোগ নেই। তেল ও জল যেমন একসাথে মিশতে পারে না, এ বিষয়টা ঠিক তেমনই। এ বিধি অনুসরণ করলে ইসলাম পরিপূর্ণ ভাবে একটা অশান্তিপূর্ণ হিংস্র ও বর্বর ধর্মে পরিনত হয় – বিষয়টি বুঝতে পেরেই অত্যন্ত সচেতনভাবেই ইসলামী পন্ডিতরা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে প্রচার করে থাকে যে শান্তির আয়াত বাতিল হয় নি। যে কেউ কোরান হাদিস ভাল করে পড়াশুনা করবে সেই বিষয়টা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারবে। এসব করতে গিয়ে তারা আয়াতের শব্দের অর্থ পরিবর্তনসহ শানে নুযুল ও তাফসির পর্যন্ত পাল্টে ফেলতে বা বিকৃত করতে এতটুকুও পিছ পা হয় না , পিছ পা হয় না চরম মিথ্যাচার করতে। তবে এ ক্ষেত্রে ইসলামের প্রথম দিকের পন্ডিত বা তাফসিরকারগন যেভাবে কোরানকে ব্যখ্যা করে গেছে, সেটাকে প্রামান্য হিসাবে দেখা যেতে পারে। কারন তারাই সেই ৭ম শতাব্দীর আরবী ভাষা সম্পর্কে বেশী অবগত ছিল, এক্ষেত্রে যার নাম সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয় সে হলো ইবনে কাথির যার জন্ম- ১৩০১ ও মৃত্যু ১৩৭৩ খৃষ্টাব্দ। আমরা তার তাফসির থেকে কোরানের প্রকৃত অর্থ জানতে পারি , আর বর্তমানে যেসব পন্ডিতরা আছে তারা তাদের ইচ্ছামত কোরানের অর্থ করে যাচ্ছে যা প্রকৃতই কোরানের মূল ভাবধারার সাথে সাংঘর্ষিক, কোরানের অর্থ হতে হবে একটাই বহু নয়, যাহোক, এবার নিচের আয়াতটির আধুনিক পন্ডিতদের ব্যখ্যাটা এবার দেখা যাক-
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আ ত-তাওবা, ০৯: ০৫ (মদিনায় অবতীর্ণ)
এ আয়াতটির একটা ব্যখ্যা ইসলামি পন্ডিতরা এভাবে দিয়েছে। তারা বলছে এটা হলো শুধুমাত্র মক্কার পৌত্তলিকদের জন্য সেই সময়ের জন্য নাজিল হয়েছিল। অত:পর এর আর কোন কার্যকারিতা নেই। প্রশ্ন হলো যদি সেটাই সত্য হয়, তাহলে পরবর্তী কোন আয়াত দ্বারা কিন্তু এ আয়াতের কার্যকারীতা রদ করা হয় নি। রদ তো করা হয় নাই পরন্তু যে সূরার আয়াত এটা সে সূরায় আছে আরও অসংখ্য জিহাদী আয়াত , যার প্রতিটি বাক্যে ফুটে উঠেছে অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, প্রতিহিংসা, জিঘাংসা এই সব, বলা হয়েছে তাদেরকে খুন কর, উচ্ছেদ কর, তাদের সম্পদ দখল কর এই সব। বলা ব্হুল্য, সূরা আত তাওবা হলো মোহাম্মদের কাছে নাজিল হওয়া সময় ক্রম অনুযায়ী ১১৩ নং সূরা যার পরে মোহাম্মদের জীবনে আর মাত্র একটা সূরা নাজিল হয় সূরা আল নাসর যার আয়াত সংখ্যা মাত্র ৩টি অথচ আত তাওবার আয়াত সংখ্যা -১২৯। সে হিসাবে আত তাওবা মোহাম্মদের জীবনের সর্বশেষ সূরা হিসাবে ধরা যেতে পারে। অর্থাৎ ইসলামের দিক নির্দেশনামূলক চুড়ান্ত বিধি বিধান এ সূরা আত তাওবাতেই বর্নিত হয়েছে আর সেখানে বলা হয়েছে কি তা ও আমরা ৫ ও ২৯ আয়াতে দেখতেই পাচ্ছি, এ ছাড়া পূরা সূরাতে হিংসা ও ঘৃণা-বিদ্বেষে ভর্তি। এ সূরার বিধিবিধান রদ করে আর কোন সূরা বা আয়াত নাজিল হয় নি। কারন এ সূরা নাজিলের পর পরই মোহাম্মদ মক্কা বিজয় সম্পন্ন করেন, অত:পর তার আর সূরা নাজিলের দরকার পড়েনি। সুতরাং ইসলামি পন্ডিতরা সাধারন মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে অনেক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে চেষ্টা করতে পারে কিন্তু আজকের তথ্য প্রযুক্তির যুগে সেটা কার্যকরী হওয়ার কোন সম্ভাবনা আর নেই। যাহোক, কুরাইশদের সাথে মোহাম্মদের একটা চুক্তি হয়েছিল যাকে বিখ্যাত হুদায়বিয়ার চুক্তি বলা হয়।যখন পৌত্তলিকরা(কুরাইশরা) উক্ত চুক্তি ভঙ্গ করে তখন তাদের বিরুদ্ধে উক্ত আয়াত নাজিল হয় এবং একারনে উক্ত আয়াত শুধুমাত্র পৌত্তলিকদের ব্যপারে প্রজোয্য হবে।
এখানে একটা বিশেষ বিষয় লক্ষনীয়। যে নীতি প্রয়োগ করে ইসলামী পন্ডিতরা বলে যে জিহাদের যে আয়াতগুলো ( যেমন ৯:৫ ও ৯:২৯) বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে নাজিল হয়েছিল ও পরে এর কোন কার্যকারীতা নেই, ঠিক একই নীতি তারা মক্কায় নাজিল হওয়া শান্তির আয়াতের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে বলে না যে এ আয়াত মক্কায় যখন মোহাম্মদ দুর্বল ছিলেন তখন বিশেষ পরিস্থিতিতে নাজিল হয়েছিল ও এখন এর কার্যকারিতা নেই। এটা একটা চরম সুবিধাবাদী বা দ্বিমুখী নীতি।
এখন দেখা যাক কারা হুদায়বিয়ার চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। এ বিষয়ে বিশাল এক হাদিস আছে যার নম্বর হলো- Bukhari, Volume 3, Book 50, Number 891(http://bukharishareef.blogspot.com/2008/03/translation-of-sahih-bukhari-book-50.html) এখানে অংশবিশেষ তুলে ধরে আলোচনা করা হবে।
হুদায়বিয়ার সন্ধিতে একটা শর্ত ছিল- কুরাইশদের কোন লোক পালিয়ে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে , মোহাম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে। এবার দেখা যাক উক্ত ৮৯১ হাদিসে কি বলছে-
…………….. অত:পর কিছু ইসলাম গ্রহনকারী নারীরা মোহাম্মদের নিকট আসল , তখন নিচের আয়াত নাজিল হলো-
মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।60:10(মদিনায় অবতীর্ণ)
উক্ত আয়াতে পরিস্কার বলা হচ্ছে- যেসব নারীরা ইসলাম গ্রহন করে নবীর কাছে চলে আসবে তাদেরকে তিনি ফেরত দেবেন না ও বলা বাহুল্য উক্ত নারীগুলোকে তিনি ফেরত দেন নি। অথচ হুদায়বিয়ার সন্ধিতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ ছিল যে মক্কার কোন লোক মদিনায় আশ্রয় নিলে মোহাম্মদ তাকে ফেরত দিবেন ও মদিনার কোন লোক মক্কায় গেলে তাদেরকে মদিনাতে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে না।অথচ উক্ত নারীদেরকে মোহাম্মদ ফেরত দেন নি। তাদেরকে সাথে করে তিনি মদিনাতে নিয়ে যান , যা ছিল পরিস্কার হুদায়বিয়ার সন্ধির বরখেলাপ।আর সন্ধির এরকম শর্ত ভঙ্গ করাকে বৈধ করতে সাথে সাথে আল্লাহর নামে আয়াত নামিয়ে নেন, অনেকটা ইন্টারনেট থেকে ফ্রি সফটওয়ার ডাউনলোড করার মত। এখন উক্ত আয়াতের কাথিরের তাফসির দেখা যাক-
In Surat Al-Fath, we related the story of the treaty at Al-Hudaybiyyah that was conducted between the Messenger of Allah and the disbelievers of Quraysh. In that treaty, there were these words, “Everyman (in another narration, every person) who reverts from our side to your side, should be returned to us, even if he is a follower of your religion.” This was said by `Urwah, Ad-Dahhak, `Abdur-Rahman bin Zayd, Az-Zuhri, Muqatil bin Hayyan and As-Suddi. So according to this narration, this Ayah specifies and explains the Sunnah. And this is the best case of understanding. Yet according to another view of some of the Salaf, it abrogates it. Allah the Exalted and Most High ordered His faithful servants to test the faith of women who emigrate to them. When they are sure that they are faithful, they should not send them back to the disbelievers, for the disbelievers are not allowed for them and they are not allowed for the disbelievers. In the biography of `Abdullah bin Abi Ahmad bin Jahsh in Al-Musnad Al-Kabir, we also mentioned that `Abdullah bin Abi Ahmad said, “Umm Kulthum bint `Uqbah bin Abi Mu`ayt emigrated and her brothers, `Umarah and Al-Walid, went after her. They came to Allah’s Messenger and talked to him about Umm Kulthum and asked that she be returned to them. Allah abolished the part of the treaty between the Prophet and the idolators about the women particularly. So He forbade returning Muslim women to the idolators and revealed the Ayah about testing them.” Al-`Awfi reported from Ibn `Abbas, about Allah’s saying:
﴿يأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُواْ إِذَا جَآءَكُمُ الْمُؤْمِنَـتُ مُهَـجِرَتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ﴾
(O you who believe! When believing women come to you as emigrants, examine them;) “Their examination was asking them to testify to La ilaha illallah, and that Muhammad is Allah’s servant and His Messenger.” Mujahid explained the Ayah,
Then some believing women came (to the Prophet ); and Allah revealed the following Divine Verses:–
“O you who believe, when the believing women come to you as emigrants examine them . . .” (60.10)
আহলে উপরোক্ত তাফসিরে কাথির খুব পরিস্কার ভাষায় বলছেন- Allah abolished the part of the treaty between the Prophet and the idolators about the women particularly(আল্লাহ নবী ও পৌত্তলিকদের মধ্যকার চুক্তির নারী সম্পর্কিত অংশ বাতিল করে দিলেন) অর্থাৎ আল্লাহ আল্লাহই চুক্তির কিছু ধারা বাতিল করে দিয়েছেন বিশেষ করে নারী সম্পর্কিত বিষয়ে।এটা করে প্রকারান্তরে মোহাম্মদ তাঁর নিজের চুক্তি ভঙ্গকে বৈধ করতে গিয়ে আল্লাহকেই একজন প্রতারক হিসাবে তুলে ধরছেন। এটা কিভাবে হতে পারে যে , আল্লাহ মোহাম্মদকে চুক্তি করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে পরে সে চুক্তির কিছু শর্ত অমান্য করতে বলতে পারে ? এবার ৮৯১ নং হাদিসের নিচের অংশ দেখা যাক-
………………………..যখন নবী মদিনাতে ফিরলেন তখন কুরাইশদের একজন আবু বশির যে ইসলাম গ্রহন করে পালিয়ে মদিনায় চলে আসল। কুরাইশরা তাকে ফেরত নেয়ার জন্য দুজন লোককে মদিনায় পাঠাল ও তারা মোহাম্মদকে বলল- যে প্রতিজ্ঞা তুমি করেছ তা তুমি রক্ষা কর। নবী তখব আবু বশিরকে তাদের হাতে তুলে দিলেন। তারা তাকে নগরীর বাইরে নিয়ে গেল ও দুল-হুলাইফা নামক একটা যায়গায় বিশ্রাম করতে লাগল ও খেজুর খেতে লাগল। আবু বশির একজনকে বলল, আল্লাহর কসম, তোমার তরবারি টা ভীষণ সুন্দর। এতে লোকটি তার তরবারি খুলে ফেলল ও বলল, আল্লাহর কসম, এটা আসলেই ভীষণ সুন্দর ও আমি এটা বহুবার ব্যবহার করেছি। আবু বশির বলল- আমাকে একটু ওটা দেখতে দেবে ? যখন সে ওটা তার হাতে দিল বশির সাথে সাথে তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করল ও সে মারা গেল, অন্য সাথী দৌড়াতে দৌড়াতে মদিনায় গিয়ে মসজিদে আশ্রয় নিল।মোহাম্মদ তাকে দেখলেন ও বললেন- এ লোকটি ভয় পেয়েছে।যখন সে নবীর কাছে গেল তখন বলল- আমার সাথীকে খুন করা হয়েছে ও আমিও খুন হয়ে যেতে পারতাম। এসময়ে বশির এসে বলল- হে নবী আপনি আমাকে তাদের কাছে ফেরত দিয়ে আপনার প্রতিজ্ঞা পূরন করেছেন কিন্তু আল্লাহ আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এটা শুনে নবী বলে উঠলেন- এখন তো যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠবে। এটা শুনে বশির বুঝতে পারল মোহাম্মদ তাকে আবার মক্কাতে ফেরত পাঠাতে চান, তাই সে সাগরপারের দিকে চলে গেল।আবু জান্দাল কুরাইশদের হাত থেকে পালিয়ে গিয়ে বশিরের সাথে যোগ দেয়।এভাবে বেশ কিছু লোক মক্কা থেকে পালিয়ে এসে বশিরের দলে যোগ দেয়।এর পর তারা কুরাইশদের সিরিয়ার দিকে বা দিক থেকে আসা বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটপাট করে নিতে থাকে। এটা দেখে মক্কাবাসীরা প্রমাদ গুনে তারা একজন দুত মোহাম্মদের কাছে পাঠায় ও প্রস্তাব দেয় যে এর পর যদি কেউ মক্কা থেকে মদিনায় মোহাম্মদের কাছে আসে তাকে আর ফেরত দিতে হবে না এবং তিনি যেন বশির ও তার দলবলকে লুট তরাজ থেকে বিরত রাখেন। (Volume 3, Book 50, Number 891)
উক্ত হাদিস কি বার্তা দেয়? মক্কার লোকরা হুদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তির বরখেলাপ করেছিল? হাদিসটি পড়লেই বোঝা যায়, খুব কৌশল করে হাদিস লেখক মোহাম্মদকে নির্দোষ করার চেষ্টা করে গেছে কিন্তু সেটা সম্ভব হয় নি। প্রথম কথা মক্কা থেকে দুইজন লোক মদিনায় আসল বশিরকে ফেরত নিতে, তারা কি খুব দুর্বল লোক ছিল? মরুভূমির ওপর দিয়ে এতদুর পথ পাড়ি দিয়ে যারা একজন বন্দীকে ফেরত আনতে যেতে পারে তারা নিশ্চয়ই শারিরীকভাবে দুর্বল কোন লোক ছিল না। যাকে তারা বন্দী করে মক্কায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছে ও তার মুক্ত হাতেই তারা তরবারী তুলে দিল, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তাছাড়া তাকে কি মুক্ত হাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? প্রশ্নই ওঠে না, সে ছিল বন্দী , তাই তার হাত বাধা থাকারই কথা, না হলে সে যে কোন সময় কায়দা করে আক্রমন করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।কিন্তু এখানে ঘটনা যেভাবে সাজানো হয়েছে তাতে মনে হয় বশিরের হাত ছিল উন্মুক্ত আ র তা করে বশিরকে নিরাপরাধ প্রমান করার চেষ্টা করা হয়েছে কারন তখন সে নিজ চেষ্টায় মুক্ত হয়েছে যদিও মোহাম্মদ তাকে মক্কাবাসীদের কাছে ফেরত দিয়েছিল।অর্থাৎ খুব সুকৌশলে সাপও মারা হচ্ছে অথচ লাঠিও ভাঙ্গা হচ্ছে না।বশির কিছু খারাপ প্রকৃতির লোকজন নিয়ে ডাকাতি করছে , মোহাম্মদ কিন্তু তাদেরকে থামাচ্ছেন না। তার কারন এসব ডাকাতগুলো হলো মুসলমান , আর তাই অমুসলিমদের ওপর আক্রমন করে তাদেরকে খুন করে তাদের মালামাল লুটপাট করা তাদের জন্য জায়েজ , কারন মোহাম্মদ আগেই আল্লাহর বানীর নামে এসব লুন্ঠিত মালামালকে গণিমতের মাল হিসাবে বৈধ করে দিয়েছেন।তাহলে হুদায়বিয়ার চুক্তি প্রথম কে ভঙ্গ করল? মোহাম্মদ নাকি মক্কার লোকেরা ? এত কিছুর পরেও কিন্তু মক্কার লোকেরা দুত পাঠিয়েছে মোহাম্মদের কাছে, তিনি যেন তাঁর ইসলামের অনুসারী ডাকাতদলকে ডাকাতি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু মোহাম্মদ সেটা থোড়াই কেয়ার করেছেন যা দেখা যায় পরবর্তী ঘটনাগুলোতে। উক্ত হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে মক্কাবাসীরা সর্বান্ত করনে শান্তি চুক্তি পালন করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু মোহাম্মদই আসলে নানা কায়দায় সে চুক্তিকে ব্যবহার করে শক্তি সঞ্চয় করেছেন, আর যখন তার মনে হয়েছে যে মক্কা অতি সহজে বিজয় করা যাবে তখন ছেড়া কাগজের মত চুক্তি পত্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন ও মক্কা আক্রমন করে তা দখল করে নিয়েছেন। যা একজন উচ্চাভিলাষী সাম্রাজ্যবাদী শাসকের জন্যই মানানসই , কোনমতেই তা একজন আল্লাহ প্রেরিত নবীর জন্য মানান সই নয়।কিন্তু মুসলিম পন্ডিতরা এ অতি সত্য কথাটি স্বীকার না করে শত শত বছর ধরে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে কাদের উপকার করল এটাই প্রশ্ন।
উক্ত হুদায়বিয়ার চুক্তিতে মোহাম্মদ অত্যন্ত চাতুরতার পরিচয় দেন যা মক্কাবাসীরা একেবারেই বুঝতে পারে নি। আর এখানেই তার শ্রেষ্টত্ব। উক্ত ৮৯১ নম্বর হাদিসে পরিস্কার বর্ণনা আছে- মোহাম্মদের উগ্র সাঙ্গ পাঙ্গরা মূলত: মক্কা দখল করার উদ্দেশ্যেই মদিনা থেকে হাজারেরও বেশী একটা দল নিয়ে রওনা হয়েছিল।মক্কার লোকেরা তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য এগিয়ে আসে।অথচ মক্কাবাসীরা কিন্তু যুদ্ধ চাচ্ছিল না, তাই তারা একজন দুত পাঠায় মোহাম্মদের কাছে শান্তি চুক্তি করার জন্য। মোহাম্মদ এটাকে একটা মোক্ষম সুযোগ হিসাবে গ্রহন করেন। তিনি ভালমতোই জানতেন যে সে সময় মক্কাবাসীদের যে শক্তি ছিল তাতে মোহাম্মদের জয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিত ছিল না।তাছাড়া বহু লোক হতাহত হতো।তারপরও মক্কা যে দখল করা যেত তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না।এছাড়া এত দিন ধরে মোহাম্মদ মূলত ইহুদিদের ছোট ছোট গোষ্ঠীকে আক্রমন করে তাদের হত্যা করে তাদের মালামাল লুন্ঠন করেই অভ্যস্থ।এত বড় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার মত সাহস মোহাম্মদের ছিল না। থাকলেও যেহেতু জয় নিশ্চিত ছিল না তাই তীরে এসে তরী ডুবানোর এহেন রিস্ক তিনি নিতে চাননি। কারন এ সময় মক্কাবাসীদের সাথে যুদ্ধ করে যদি হেরে যান তাহলে তার স্বপ্ন ধূলায় ধুসরিত হবে। ইসলামী সাম্রাজ্য গড়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। তাই তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি করেন যাতে তাঁর উগ্র সাঙ্গপাঙ্গ বিশেষ করে ওমর তীব্র বিরোধীতা করে।ওমরের ইচ্ছা ছিল এসময়ই একটা চুড়ান্ত ফয়সালা করে ফেলতে।কিন্তু মোহাম্মদ তাদের গোয়ার্তুমির কাছে নত হন নি। হুদায়বিয়ার চুক্তিতে শর্ত ছিল- মদিনার কোন লোক মক্কায় চলে গেলে তাকে মক্কাবাসীরা ফেরত দেবে না কিন্তু মক্কার কোন লোক মদিনায় গেলে ফেরত দিতে হবে।- এটা মক্কার পক্ষ থেকে তাদের দুত সুহাইল এ ধরনের শর্ত আরোপ করে। মোহাম্মদ তাতেই রাজী হয়ে যান। আপাত: দৃষ্টিতে মনে হয় এটা মোহাম্মদের জন্য অবমাননাকর, কিন্তু সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে দেখলে এটা ছিল খুবই সুদুরপ্রসারী ও অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ। এর ফলে মদিনার বেশ কিছু মুসলমান আপাত: ইসলাম ত্যাগের ভান করে মক্কাতে ফিরে যায় ও তারা মোহাম্মদের গুপ্তচর হিসাবে কাজ করতে থাকে।তারা নিয়মিত কুরাইশদের মনোভাব , শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য মোহাম্মদের কাছে পাঠাতে থাকে। এর ফলে মোহাম্মদের পক্ষে মক্কা দখল করার পরিকল্পনা করা ও বাস্তবায়ন খুব সহজ হয়ে যায়।অন্যদিকে যে সব ক্রিমিনাল টাইপের মোহাম্মদের দলে যোগ দেয়া মক্কাবাসী বা মদিনাবাসী মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন চালাত তাদেরকে কিন্তু মোহাম্মদ কিছুই বলতেন না। এর ফলে মক্কাবাসীরা প্রকারান্তরে অনেকটা এক ঘরে হয়ে পড়ে ও ক্রমশ: দুর্বল হতে থাকে। যা দেখা যায় উপরোক্ত ৮৯১ নম্বর হাদিসের ঘটনায়। এর ফলাফল হলো মক্কাবাসীরা দিন দিন আরও দুর্বল হয়ে পড়ছিল আর মোহাম্মদ ঠিক এটাই করতে চাচ্ছিলেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ মদিনার আশ পাশের ইহুদি অধ্যূষিত জনপদে আতর্কিকে হানা দিয়ে তাদের ধন সম্পদ লুঠ-পাট করে তা গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করে নিতেন, নারীদেরকেও ভাগাভাগি করে নিতেন যৌন দাসী হিসাবে ব্যবহার করার জন্য ।উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- বানু কুরাইজা, খায়বার এসবের ওপর আক্রমন ,ইহুদিদেরকে নির্বিচারে হত্যা, তাদের ধন সম্পদ লুট-পাট, নারীদেরকে ভাগাভাগি করে নিয়ে যৌনদাসী বানান। এসব করে নিজেকে আরও বেশী শক্তি শালী করে তোলেন। যখন মোহাম্মদ নিশ্চিত হন যে মক্কায় অভিযান করলে কোন বাধা আসবে না তখনই তিনি তার দল বল নিয়ে মক্কা দখল অভিযানে বের হন।মোহাম্মদ যখন তার বিশাল দলবল নিয়ে মক্কায় আগমন করেন তখন মদিনা থেকে আগত মুসলমানরাই সর্বাগ্রে মোহাম্মদকে স্বাদরে সম্ভাষণ জানায়। খেয়াল করতে হবে – যেসব নারীরা মক্কা থেকে মদিনা গেছিল তাদেরকে কিন্তু মোহাম্মদ ফেরত দেন নি।কারন নারীদের থেকে গুপ্তচরবৃত্তির কোন আশংকা ছিল না। চুক্তি করার আড়াই বছর পর যখন মোহাম্মদ নিশ্চিত হলেন যে এখন বিনা রক্ত পাতে মক্কা দখল করা যাবে তখন তিনি মক্কা অভিযানে বের হন ও বিনা রক্তপাতে মক্কা দখল করে নেন। অথচ শত শত বছর ধরে অপপ্রচারনা করা হয়েছে- মক্কার লোকরাই নাকি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল আর তাই মোহাম্মদ মক্কা দখল করে নেন। এটা যে কত বড় ডাহা মিথ্যা কথা তা কোন ইতিহাস বই পড়ার দরকার নেই , কোরান ও হাদিস পাঠ করলেই অতি সহজে বোঝা যায়। আর চুক্তি ভঙ্গ করার অজুহাতেই মোহাম্মদ উক্ত আত- তাওবার ০৯: ০৫(অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ) আয়াত আল্লাহর নামে নাজিল করেন। পক্ষান্তরে, মক্কার লোককে মদিনায় থাকতে দেয়া হয় নি কারন তাহলে তারা মদিনায় গুপ্তচর বৃত্তি করতে পারত। তবে মক্কা থেকে কিছু কিছু লোক সত্যি সত্যি মদিনায় মোহাম্মদের দলে যোগ দিতে চাইত কারন তারা জানতে পেরেছিল মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে লুট তরাজ করে গণিমতের মাল হিসাবে যা পাওয়া যায় তাতে সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে জীবন যাপনের দরকার পড়ে না। তবে তাদেরকে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মদিনায় থাকতে দেয়া হতো। আর যারা মূলত চোর ডাকাত প্রকৃতির মানুষ ছিল বাহ্যত: মোহাম্মদ তাদেরকে কিছু বলতেন না , তাদেরকে অনেক সময় ভিন্ন ভাবে থাকার জন্য নির্দেশ দিতেন যেখান থেকে তারা তাদের ডাকাতি ও লুট পাট করে যেতে পারে অবাধে। যার প্রমান আলোচ্য ৮৯১ নম্বর হাদিস, এর একটা অংশে আছে –
ইসলাম গ্রহনের পূর্বে মুগিরা একটা দলের লোক ছিল। সে তাদেরকে হত্যা করে তাদের মালামাল লুটে নিয়ে মদিনায় এসে ইসলাম গ্রহন করল।মোহাম্মদ তাকে বলল- তোমার ইসলাম গ্রহন করা হলো কিন্তু তোমার মালামাল গ্রহন করা হবে না।
এছাড়াও এ হাদিসে বশির যে একটা ডাকাত বাহিনী গঠন করে মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলায় আক্রমন করে তাদেরকে হত্যা করে নিয়মিত লুটপাট করত সেটাও তো বর্ণনা করা আছে।
প্রশ্ন হলো যে লোক একটা ডাকাত ও খুনি ,শুধুমাত্র ইসলাম গ্রহন করার শর্তেই মোহাম্মদ তাকে তাঁর দলে নিয়ে নিচ্ছেন। আহা , ইসলামের কি মহিমা! চোর ডাকাত খুনী বদমাশ সবার নিরাপদ আশ্রয় হলো ইসলাম। ইসলাম আসলেই ভীষণ উদার ও মহান ধর্ম। ইসলামে প্রবেশ করার আগে যত খুশী অপকর্ম করা হোক সমস্যা নাই , গ্রহন করার পরও যত খুশী অপকর্ম করা হোক তাতেও সমস্যা নেই। শুনতে আজব মনে হচ্ছে ? বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে দেখুন নিচের হাদিস-
আবু দার বর্ণিত- আমি নবীর নিকট যখন আসলাম তখন তিনি সাদা কাপড় পরে ঘুমাচ্ছিলেন। অত:পর তিনি যখন ঘুম থেকে উঠলেন তখন আমি তার কাছে গেলাম। তিনি বললেন- আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এ বিশ্বাস নিয়ে যে মারা যাবে সে বেহেস্তে যাবে।আমি বললাম- যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে? তিনি বললেন- যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবার বললাম- যদি সে আবারও ব্যভিচার ও চুরি করে ? তিনি আবার বললেন- যদিও আবার সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবারও বললাম – এর পরেও যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে? তিনি বললেন- এর পরেও যদি সে ব্যভিচার ও চুরি করে। সহি বুখারি, ভলিউম-৭, বই-৭২, হাদিস-৭১৭
এ প্রসঙ্গে এ হাদিসটাও দেখা যেতে পারে –
Narrated Abu Said Al-Khudri:
The Prophet said, “Amongst the men of Bani Israel there was a man who had murdered ninety-nine persons. Then he set out asking (whether his repentance could be accepted or not). He came upon a monk and asked him if his repentance could be accepted. The monk replied in the negative and so the man killed him. He kept on asking till a man advised to go to such and such village. (So he left for it) but death overtook him on the way. While dying, he turned his chest towards that village (where he had hoped his repentance would be accepted), and so the angels of mercy and the angels of punishment quarrelled amongst themselves regarding him. Allah ordered the village (towards which he was going) to come closer to him, and ordered the village (whence he had come), to go far away, and then He ordered the angels to measure the distances between his body and the two villages. So he was found to be one span closer to the village (he was going to). So he was forgiven.” (Sahih al-Bukari, Volume 4, Book 56, Number 676
বার বার অপকর্ম করেও কিন্তু একজন মানুষ বেহেস্তে যেতে পারে যদি তার ইমান থাকে। তার মানে ইসলাম একজন মুসলমানকে যেমন ইচ্ছা খুশী অপকর্ম করার ফ্রি লাইসেন্স দিচ্ছে, শধু শর্ত একটাই – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ও মোহাম্মদ তার রসুল এটুকুতে বিশ্বাস করা। একজন মুসলমান মনে প্রানে এটা বিশ্বাস করলে তার পক্ষে সৎ হওয়া কিভাবে সম্ভব ? শোনা যায় আমেরিকাতে জেলের মধ্যে থাকা দাগী অপরাধীদের মধ্যে ইসলাম গ্রহনের মাত্রা বেশী। সেটা তো হবারই কথা। ইসলাম তো এধরনের অপরাধী ও বদমাসদেরকেই বেশী আনুকূল্য দেখায়। তাই বলে ইসলাম কি এসব অপরাধীকে ভাল মানুষ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে ? তা কিন্তু নয়। ভাল মানুষ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করলে তো সেটা হতো মহান একটা কাজ। বিষয়টা যে বাস্তবিক তাই তা কিন্তু উপরোক্ত দুটি হাদিস পড়লে সহজেই বোঝা যায়। মুসলিম প্রধান দেশগুলো যে আকন্ঠ দুর্নীতি সহ সমস্ত রকম অপকর্মের আখড়া এর কারন বুঝতে নিশ্চয়ই আর গবেষক হওয়ার দরকার পড়বে না। বিষয়টা এমন না যে সব মুসলমানই খারাপ, অধিকাংশই ভাল, ভদ্র, সজ্জন। সামাজ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কারনে সেভাবেই গড়ে উঠতে হয়। কিন্তু এই সজ্জন মানুষগুলো যদি কখনো খারাপ কাজ করে ফেলে তারা যে খুব বেশী বিবেক তাড়িত হয় তা কিন্তু নয়, তওবা করে অতি সত্ত্বর বিবেকের দংশন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে। ঠিক একারনেই বাংলাদেশে এরকম বহু মানুষ পাওয়া যাবে যারা ব্যাক্তিগত জীবনে ভীষন ভদ্র ও সজ্জন মানুষ কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রচন্ড দুর্নীতিবাজ , তার এ অপকর্ম তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করে না। মনে করে এ দুর্নীতিই হলো তার কাজের স্বাভাবিক অংশ। এমনকি এ ধরনের একজন ভদ্র মানুষের পক্ষে যে কোন সময়ে উগ্র পন্থায় মোড় নেয়া আশ্চর্য্যের কোন বিষয় নয়। মোল্লা মৌলভীদেরকে জিজ্ঞেস এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে- তওবা করতে হবে খাস দিলে ও বার বার তওবা করলে তা গ্রহন করা হবে না। তারা যে বিষয়টা স্রেফ নিজেদের থেকে বানিয়ে বলে এটা কি আর নতুন করে বুঝানোর দরকার আছে?
কোরান হাদিসে পরিস্কার উল্লেখ থাকার পরেও শুধুমাত্র সাধারন মুসলমানদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে উক্ত ৯:৫ আয়াতের সাফাই গাইতে গিয়ে শত শত বছর ধরে একটা মিথ্যা এখনও ইসলামি পন্ডিতরা প্রচার করে চলেছে। আর তা করে মুসলমানদের চরম সর্বনাশ তারা করছে কারন তারা জানতে পারছে না ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ।
এর পরেও কথা থাকে, মক্কার কাবা ঘরের আশে পাশে মুশরিককে দেখা গেলে তাদের খুন করতে বলা হচ্ছে কিন্তু নিচের আয়াতটি কেন নাজিল হলো ? খৃষ্টান ও ইহুদিরা তো আর কাবা ঘরের চারপাশে ঘোরাঘুরি করে না ।
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। আত তাওবা, ০৯: ২৯( মদিনায় অবতীর্ণ)
আহলে কিতাবের লোকদের ( ইহুদি ও খৃষ্টান) সাথে কি কোন ধরণের চুক্তি ছিল যা তারা ভঙ্গ করেছিল ? সে কারনে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয় আল্লাহকে ? উক্ত আয়াতে পরিস্কার বলা হচ্ছে যে শুধু মাত্র ভিন্ন ধরনের বিশ্বাসের কারনেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে, ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না তারা ইসলাম গ্রহণ করে অথবা জিযিয়া কর প্রদান না করে। প্রশ্ন হলো – মুশরিকরা কাবা ঘরে হিজরত করত, তার চারপাশে প্রদক্ষিন করত, একারনে তাদেরকে দুরে রাখার জন্য মোহাম্মদ উক্ত ৯:৫ আয়াত নাজিল করলেন কিন্তু খৃষ্টান ও ইহুদিরা তো কাবা ঘর প্রদক্ষিন করত না বা কোন অনুষ্ঠান সেখানে পালন করত না , তাদের সাথে যুদ্ধ করার আয়াত নাজিল হলো কি কারনে ? আর এ ধরনের আয়াত নাজিল হওয়ার পর কিভাবে ইসলাম দাবী করতে পারে যে – ইসলাম শান্তির ধর্ম ও আগেকার মোহাম্মদের ইসলামের প্রাথমিক আমলের শান্তির বার্তা বিষয়ক কোরানের আয়াত বাতিল হয় নি ? এ ধরনের আয়াত নাজিল করার কোথাও কি পরে বলা হয়েছে যে এ ধরনের আয়াত সাময়িক কালের জন্য ও পরে তা বাতিল হয়ে যাবে ? কোথাও বলা হয় নি। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবে যে এটা সাময়িক কালের জন্য ও পরে আর প্রযোজ্য নয় ? আয়াতের রকম ফের বোঝা যে সত্যিই দু:সাধ্য তা বোঝা যায় নিচের আয়াতে –
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। কোরান , ৩:৭
পরিস্কার বলছে কিছু আয়াত সুস্পষ্ট যা কোরানের মূল অংশ, বাকীগুলো হলো রূপক যার অর্থ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। এখন প্রশ্ন উক্ত ৯:৫ ও ৯:২৯ পড়লে কি বোঝা যায় এটা রূপক বা সাময়িক কালের জন্য বা এর অর্থ অপরিস্কার? কোনটা সুস্পষ্ট ও রূপক আয়াত তা তো কোরানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নি। তাহলে বোঝার উপায় কি কোনটা সুস্পষ্ট ও কোনটা রূপক ? এক্ষেত্রে আমরা তো সুস্পষ্ট আয়াতকে রূপক ও রূপক আয়াত কে সুস্পষ্ট বলে ধরে নিতে পারি। আর তখন সমস্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে , কারন রূপক আয়াতের অর্থ তো আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। সে ক্ষেত্রে কোরান বিকৃত করার মারাত্মক অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে দোজখের রাস্তা আমাদের জন্য সুস্পষ্ট হতে পারে। তবে সবচাইবে বড় যে সমস্যা দেখা যায় উক্ত আয়াতে তা হলো- যে সব আয়াত রূপক তার অপব্যখ্যা করে কিছু মানুষ ফিতনা সৃষ্টি করে।
তাহলে প্রশ্ন হলো – যে ধরনের আয়াত রূপক ও যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না এবং একই সাথে যে সব আয়াতকে অপব্যখ্যা করে কোরানকে বিকৃত ও ফিতনা সৃষ্টির অবকাশ থাকে , সেসব আয়াত নাজিল করার দরকারটা কি বা কোরানে ঢুকানোরই অর্থ কি ? এটা কি আল্লাহর ইচ্ছাকৃত মানুষকে কোরানের ভুল ব্যখ্যা করে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া নয় কি ? আল্লাহ কি তাহলে আমাদের সাথে মস্করা করছে ? আবার সেই আল্লাহই বলছে কোরানের অপব্যখ্যা করলে শাস্তি চিরকালের জন্য দোজখবাস। আল্লাহর চরিত্র তো এখানে দেখা যায় মানুষের চাইতেও বেশী অস্থির। এসব দৃষ্টে কি মনে হয় এটা সত্যি সত্যি সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে? উক্ত আয়াতের কারনেই কিন্তু মানুষ আয়াতের কোনটা মানসুক আর কোনটা মানসুক না এটা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। এছাড়া্ও অন্য অনেক বিষয় আছে তা নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত। কোরানের মধ্যে যেসব ইসলামী বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের সব তত্ত্ব ও মতবাদ খুজে পায় তারা মূলত কোরানের কিছু আয়াতকে রূপক আখ্যা দিয়েই তা করে। এখন এসব আয়াত যদি রূপক হয়, আল্লাহ ছাড়া এর অর্থ কেউ জানে না , তাহলে যেসব তথাকথিত ইসলামি পন্ডিত এসব আয়াতের মনগড়া ব্যখ্যা দিয়ে এর মধ্য থেকে বিজ্ঞান বের করছে তারা তো আল্লাহর সাথেই পাল্লা দিচ্ছে, আল্লাহর ক্ষমতাকেই চ্যলেঞ্জ করছে, কারন যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না সেসব আয়াতের অর্থ ঐ সামান্য আদম সন্তান বের করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এরা কি জানে এর শাস্তি কি ? এরা ভাল করেই জানে এটা , জানে না শুধু সাধারন মুসলমানরা। তারা কিন্তু তাদের পন্ডিতদের কোরানিক বিজ্ঞান নিয়ে দারুন রকম উল্লসিত ও উন্মত্ত্। তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ সুকৌশলেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার একটা মহা কর্মযজ্ঞে নেমেছে।
যাহোক, শান্তির ও যুদ্ধের দু ধরনের আয়াতই যদি চালু থাকে তাহলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়ংকর। কারন – সেক্ষেত্রে প্রথমত মুসলমানরা যখন দুর্বল থাকবে তখন তারা অমুসলিমদের সাথে শান্তিপূর্ণ আচরন করবে , যখন একটু শক্তিশালী হবে তখনই অমুসলিমদের ওপর আক্রমন শুরু করে দেবে, তাদেরকে জোর করে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করবে, নয়ত তাদের ওপর জোর করে ইসলামী শাসন চালিয়ে দেবে। বিষয়টা তো এরকমই দাড়ায়। এ যদি হয় বাস্তব পরিস্থিতি , তাহলে মুসলমানদেরকে বিশ্বাস করবে কোন অমুসলিম? তাদের সাথে বসবাসই বা করতে চাইবে কে ? বাস্তবে বিষয়টা কি সেরকমই দেখা যাচ্ছে না ? ইউরোপ আমেরিকাতে যখন মুসলমানরা বেশী পরিমানে মাইগ্রেট করেনি তখন সেখানে ইসলাম নিয়ে কোন টু শব্দ শোনা যায় নি, তখন সেখানকার মুসলমানদেরকে দেখা গেছে ভীষণ শান্ত শিষ্ট, শান্তির প্রতিমূর্তি হিসাবে। এখন যখন তাদের সংখ্যা একটু বেড়েছে অমনি শুরু হয়ে গেছে সেখানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ইউরোপের কোন কোন দেশে জনসংখ্যার মাত্র ৪-৫% মুসলমানই সেখানকার জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।এসব লোকজন ঐসব সমাজকল্যান রাষ্ট্রের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আরাম আয়েশের জীবন যাপন করছে একই সাথে তারা সেসব দেশের মানুষকে ঘৃণা করছে ও তাদের সমাজকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে। তাদের খায়েশ তারা সেসব দেশগুলোকে মধ্য যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এর চাইতে নিমকহারামি আর কিসে হতে পারে ? ব্যক্তি গত ভাবে আমি অনেককেই জানি যারা ইউরোপ আমেরিকা কানাডায় বসবাস করে সেখানকার সরকারী যাবতীয় সুবিধা ভোগ করছে অথচ সেদেশের সমাজ ও মানুষগুলোকে মনে মনে প্রচন্ড ঘৃণা করে একই সাথে স্বপ্ন দেখছে সেসব দেশ একদিন ইসলামী হবে। চিন্তাও করতে পারি না মানুষ এত উন্মাদ হয় কিভাবে ? তার মানে ওসব উন্নত দেশে গিয়ে তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন তো দুরের কথা , আরও নিম্ন গামী হয়েছে।
এসব বাস্তব ও সত্য কথা বলার জন্য অনেকেই আমাদেরকে ইসলাম বিদ্বেষী , মুসলিম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করতে পারে। আসলে আমরা সত্য প্রকাশকারী , যারা এ কঠিন সত্যকে মানতে চায় না, তারাই শুধুমাত্র আমাদেরকে ইসলাম বা মুসলিম বিদ্বেষী বলতে পারে।
যাহোক, উক্ত ৯:২৯ আয়াতের ব্যপারে ইবনে কাথির কি তাফসির করেছেন তা একটু দেখা যাক-
Paying Jizyah is a Sign of Kufr and Disgrace
Allah said,
﴿حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ﴾
(until they pay the Jizyah), if they do not choose to embrace Islam,
﴿عَن يَدٍ﴾
(with willing submission), in defeat and subservience,
﴿وَهُمْ صَـغِرُونَ﴾
(and feel themselves subdued.), disgraced, humiliated and belittled. Therefore, Muslims are not allowed to honor the people of Dhimmah or elevate them above Muslims, for they are miserable, disgraced and humiliated. Muslim recorded from Abu Hurayrah that the Prophet said,
«لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى بِالسَّلَامِ، وَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ فِي طَرِيقٍ فَاضْطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِه»
(Do not initiate the Salam to the Jews and Christians, and if you meet any of them in a road, force them to its narrowest alley.) This is why the Leader of the faithful `Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, demanded his well-known conditions be met by the Christians, these conditions that ensured their continued humiliation, degradation and disgrace. The scholars of Hadith narrated from `Abdur-Rahman bin Ghanm Al-Ash`ari that he said, “I recorded for `Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, the terms of the treaty of peace he conducted with the Christians of Ash-Sham: `In the Name of Allah, Most Gracious, Most Merciful. This is a document to the servant of Allah `Umar, the Leader of the faithful, from the Christians of such and such city. When you (Muslims) came to us we requested safety for ourselves, children, property and followers of our religion. We made a condition on ourselves that we will neither erect in our areas a monastery, church, or a sanctuary for a monk, nor restore any place of worship that needs restoration nor use any of them for the purpose of enmity against Muslims. We will not prevent any Muslim from resting in our churches whether they come by day or night, and we will open the doors ﴿of our houses of worship﴾ for the wayfarer and passerby. Those Muslims who come as guests, will enjoy boarding and food for three days. We will not allow a spy against Muslims into our churches and homes or hide deceit ﴿or betrayal﴾ against Muslims. We will not teach our children the Qur’an, publicize practices of Shirk, invite anyone to Shirk or prevent any of our fellows from embracing Islam, if they choose to do so. We will respect Muslims, move from the places we sit in if they choose to sit in them. We will not imitate their clothing, caps, turbans, sandals, hairstyles, speech, nicknames and title names, or ride on saddles, hang swords on the shoulders, collect weapons of any kind or carry these weapons. We will not encrypt our stamps in Arabic, or sell liquor. We will have the front of our hair cut, wear our customary clothes wherever we are, wear belts around our waist, refrain from erecting crosses on the outside of our churches and demonstrating them and our books in public in Muslim fairways and markets. We will not sound the bells in our churches, except discretely, or raise our voices while reciting our holy books inside our churches in the presence of Muslims, nor raise our voices ﴿with prayer﴾ at our funerals, or light torches in funeral processions in the fairways of Muslims, or their markets. We will not bury our dead next to Muslim dead, or buy servants who were captured by Muslims. We will be guides for Muslims and refrain from breaching their privacy in their homes.’ When I gave this document to `Umar, he added to it, `We will not beat any Muslim. These are the conditions that we set against ourselves and followers of our religion in return for safety and protection. If we break any of these promises that we set for your benefit against ourselves, then our Dhimmah (promise of protection) is broken and you are allowed to do with us what you are allowed of people of defiance and rebellion.”’
﴿وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَـرَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ذلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَهِهِمْ يُضَـهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَبْلُ قَـتَلَهُمُ اللَّهُ أَنَّى يُؤْفَكُونَ – اتَّخَذُواْ أَحْبَـرَهُمْ وَرُهْبَـنَهُمْ أَرْبَاباً مِّن دُونِ اللَّهِ وَالْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَآ أُمِرُواْ إِلاَّ لِيَعْبُدُواْ إِلَـهاً وَحِداً لاَّ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ سُبْحَـنَهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ ﴾
www.qtafsir.com
কোরানের সবচাইতে বিখ্যাত তাফসিরকার উক্ত আয়াত প্রসংগে বলছেন–
(and feel themselves subdued.), disgraced, humiliated and belittled. Therefore, Muslims are not allowed to honor the people of Dhimmah or elevate them above Muslims, for they are miserable, disgraced and humiliated. Muslim recorded from Abu Hurayrah that the Prophet said, Do not initiate the Salam to the Jews and Christians, and if you meet any of them in a road, force them to its narrowest alley.
অর্থাৎ অমুসলিমরা হলো হলো নীচ, অপদস্থ ও হীন আর তাদেরকে সম্মান করার কোন দরকার নেই। রাস্তায় যদি কোন ইহুদি বা খৃষ্টানের সাথে দেখা হয় তার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেয়ার কোন দরকার নেই বরং তারাই রাস্তার পাশ দিয়ে চলে যাবে।
এই হলো শান্তির বানী ইসলামের আসল চেহারা।
এ প্রসঙ্গে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশে সংখ্যা লঘিষ্ট অমুসলিমরা কেমন আছে তা একটু দেখা যাক। পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, মালয়শিয়া কোথাও অমুসলিমরা শান্তিতে নেই। সব দেশেই এরা সর্বদা একটা আতংকের মধ্যে থাকে। মিশরে যে খৃষ্টানরা আছে প্রতি নিয়ত তাদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার চলে , তাদের সুন্দরী মেয়েদেরকে জোর করে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বা বিয়ে করে যা বাংলাদেশেও ঘটে অহরহ। একটা অমুসলিম পরিবারে যদি সুন্দরী মেয়ে থাকে তার বাবা মা যে কি পরিমান দুশ্চিন্তায় থাকেন তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। বাবরি মসজিদ ভাঙ্গল ভারতে , বাংলাদেশের বহু হিন্দু দের ঘরবাড়ী তাতে পোড়া গেল, নারী হলো ধর্ষিতা। ২০০১ সালে বি এন পি নির্বাচনে জিতল পরদিন হিন্দুদের ওপর শুরু হলো আক্রমন। সব সময় এটা ধর্মীয় কারনে হয় তা নয় রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত আক্রোশ বা লোভ লালসার কারনেও ঘটে, কিন্তু মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় জিগিরে ধরেই নেয় যে অমুসলিমদের ওপর আক্রমন ও অত্যাচার তাদের ধর্মীয় ও নৈতিক অধিকার ও এতে কোন অন্যায় নেই, তাই এটা করা যেতেই পারে।
বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
ভাই অচেনা, আপনার সদর্থক উত্তর পেয়ে মন ভরে গেল। আমাদের কাজই তো শূন্য থেকে আরম্ভ। আপনি যাদের কথা বলেছেন তাঁদের কোন দোষ নেই, সেই ছোটবেলা থেকেই মগজ ধোলাই হয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে কাজটি খুব কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। বিপণন জগতে একটি কথা খুব চালু –যে এস্কিমোদের কাছে ফ্রিজ বেচতে পারবে সে সার্থক বিপণনকারী। মাটির হাঁড়ির ক্রমাগত আলতো ঘষায় শক্ত পাথরেও দাগ পড়ে যায়। ঠিক এই কায়দাটাই সুকৌশলে কাজে লাগান। সরাসরি কোন ধর্মের কথা তুলবেন না বা সরাসরি কোন প্রতিবাদে যাবেন না। হাসি ঠাট্টার মাঝে একটু মজা করে প্রসঙ্গটি তুলবেন, কখনই গুরুগম্ভীর ভাবে নয়। মোট কথা কৌতুহল জাগিয়ে তুলতে হবে। তবে প্রথম প্রথম কোন ফল পাবেন না, লাথিঝাঁটা খাওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মানুষ মাত্রেরই বিবেক আছে। ক্রমাগত চেষ্টা করে গেলে একজন না একজন আপনার কাছে মোদ্দা কথাটি জানতে চাইবেই। তাকে আবার হড়হড় করে সব কিছু উগলিয়ে দেবেন না। তার কৌতুহল ঠিক কোন জায়গায় সেটা ভাল করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপর তার কৌতুহল কিছুটা মেটানোর মত দু’টি কি একটি ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবেন। তিনি নিশ্চয় ব্যাপারটি নিয়ে কিছুটা ভাববেন। আরও কৌতুহল জাগতেই পারে। এবার আস্তে আস্তে লাটাই ছাড়ুন। ব্যাপারটি লিখতে যত সোজা, কাজে নেমে দেখবেন কাজটি কত কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। হাল ছাড়লে কিন্তু চলবে না। এই ভাবেই ফল পাবেন, কোন দ্বিতীয় পথ নেই।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখলাম।
এবার পূর্ণাঙ্গ লেখার কথায় আসি। ধর্ম নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। বেশ কিছু দিন ধরেই মুক্তমনায় আসি কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে। মাঝেমাঝে ওই তথ্যগুলো কিছু লোকের বেজায় কাজে লাগে। তারা ওই তর্কগুলো বেশ জাঁকিয়ে করেন। কিছু বছর আগে পঞ্চাশ পেরোনোর পর কৌতুহল হওয়ায় আমি জানার জন্য তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব আর ভারতীয় ষড়দর্শন নিয়ে কিছুকাল পড়াশোনা করেছিলাম। কিছু বুঝেছিলাম, কিছু বুঝি নি তবে শুধু এটুকু বুঝেছি ভারতীয় ষড়দর্শনে ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই, স্বর্গ নরক বলে কিছুই নেই। বুঝতেই পারছেন ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান একেবারেই সীমিত; বলার মত, লেখার মত কিছুই নেই। তবুও আপনি যখন অনুরোধ করলেন একটু চেষ্টা করে দেখব। তবে অর্ধচন্দ্র নিশ্চিত। ভাল থাকবেন।
@বস্তাপচা, খুব ভাল লাগলো আপনার কথাগুলি। আমি পুরোপুরি একমত।আসলে ধর্ম এমন একটি ব্রেইন ওয়াশিং সিস্টেম যে এটা থেকে বের হওয়া খুব মুশকিল।
আর না ভাই আমার বিশ্বাস যে আপনি আসলেই ভাল লিখেন আর এখানেও ভাল লিখবেন, কারন খুব গুছিয়ে কথাগুলো লিখেছেন।অপেক্ষায় রইলাম আপনার লেখার :-)।
@ মাননীয় কাজী রহমান সাহেব, লড়াই চলার সময় কোন কর্তব্য করার জন্য কোন সামান্য সৈনিক ধন্যবাদ আশা করে না বা দেওয়াও অনুচিত বলে আমি মনে করি। আপনারা সেনাধ্যক্ষ, আপনাদের পরিকল্পনায় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। আমি শুধু একটি ছোট্ট ছবি তুলে ধরেছি। সেটাই আমার কর্তব্য। ধন্যবাদ ওই পরিচিত ভদ্রলোকের প্রাপ্য আমার নয়। আশা করি কিছু মনে করবেন না।
@ মাননীয় অচেনা, “আমার মত হাল ছেড়ে দেওয়া কিছু মানুষকে স্বপ্ন দেখাবে যে এই পৃথিবীটা আমার জীবদ্দশাতে না হোক একদিন না একদিন এই সব ধর্মীয় কুসংস্কার আর নির্যাতনের কালো ছায়া থেকে মুক্তি পাবেই। আমাদের পরের প্রজন্ম বা তার পরের প্রজন্মও যদি সুফল ভোগ করে তবেই আপনাদের লেখাগুলো সত্যিকার সার্থকতা লাভ করবে ভাইয়া।”-ভাই অচেনা, আপনার লেখা পড়ে আনন্দে যেমন বুক ভরে গেল, তেমন আবার কিছুটা মনও খারাপ হয়ে গেল। হাল ছেড়ে দেবেন কেন? আমরা কি হেরে গেছি? লড়াই তো সবে শুরু, তার আগেই হেরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা মানে মুক্তমনা লেখকরূপী শ্রদ্ধেয় বীরসৈনিকদের কিছুটা ছোট করা। ভাই অচেনা, স্বপ্ন দেখবেন না কারণ “ধন্য আশা কুহকিনী” আর আশাও করবেন না যে আমরা জিতব। আমরা জুয়া খেলছি না, সব ধর্মীয় কুসংস্কার আর নির্যাতনের কালো ছায়ার বিরুদ্ধে এক হয়ে এক প্রাণে লড়াই করছি। মনে দৃঢ় বিশ্বাস আনুন আমরা জিতছি, জিতবই জিতব। মানছি শেষ বিজয় দেখার জন্য আমরা কেউ আর স্বশরীরে থাকব না কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম প্রবহমান হয়ে বেঁচে থেকে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবে। সেটাই তো আমাদের বেঁচে থাকা। একটি লিখিত শুকনো ধন্যবাদ জানিয়ে আপনার মূল বক্তব্যের ব্যাপ্তির পরিমাপ করা আমার পক্ষে অসম্ভব। আপনাকে জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন। মুক্তমনা জিন্দাবাদ।
@ মাননীয় রাজেশ তালুকদার, আপনি প্রীত হয়েছেন জেনে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। “আশা করছি আপনার পক্ষ থেকে কোন লেখা সত্ত্বর নাজিল হবে।”, বলে তো মহা বিপদে ফেলে দিলেন মশাই।
কোথায় আপনারা আর কোথায় আমি? ব্যাপারটা অনেকটা সেই নেতাজি আর পেঁয়াজির মত দাঁড়াবে না? আমার প্রলাপ দেখে তো আপনারাই ঘাড়টি ধরে বের করে দেবেন। আপাতত সময়াভাব তাই কিছুদিন পরে সসম্মানে ঘাড়ধাক্কা খাওয়ার একটা কিছু ব্যবস্থা করে ফেলতে পারি।
@বস্তাপচা,
না ভাইজান হাল আর ছেড়ে দিচ্ছি না। আপনি যে ঘটনার কথা বললেন, সেটা জানার পর আর হাল ছেড়ে দিবার প্রশ্নই আসেনা। মুক্ত মনার একজন পাঠক হিসাবে সম্মানিত লেখকদের অনেক লেখাই আমি পড়েছি,অনেক যায়গাতে রেফারেন্স হিসাবেও দেবার চেষ্টা করেছি। ফলাফল শুন্য ছিল আমার। ” নাস্তিকদের কাছ থেকে ধর্ম জানার আগ্রহ নেই” এই কথাটাই বার বার শুনতে হয়েছে আমাকে।কাজেই বুঝতেই পারছেন যে যাদেরকে লেখাগুলো পড়তে বলেছি কেউ পড়েনি , বলেছে যে এইসব পড়ার সময় নাকি তাদের নেই!
খুবই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে আমার চারপাশে সালাফিস্ট আহলে হাদিস রা গিজ গিজ করে। আমার আত্মীয় স্বজন সবাই আহলে হাদিস। আর এরা যে কি জিনিস তা তো যানেন।কাজেই আমি এদেরকেই লেখা গুলো পড়তে বলেই এইসব উত্তর পেয়েছি।
যাক আপনার কাছ থেকে যে খবরটা পেলাম এটা অনেক ভাল একটা খবর।এভাবেই নিশ্চয়ই অন্য অনেক যায়গাতেও অনেক সাড়া এসেছে।
যাক ভাই শীগগির আপনার কাছে থেকে কোন পুর্নাঙ্গ লেখা পাব এই আশায় রইলাম। ভাল থাকবেন। 🙂
@mkfaruk ——“‘এই ভাষাটা কি শিক্ষিত লোকের? এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করলে পাঠক কি সাইটে আসবে? আপনার সম্পর্কে কি ধারণা করবে? আপনার উদ্দেশ্য সৎ এটা কি কেউ ভাববে, নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করে দেখেন তো? আপনি ধর্ম মানেন আর না মানেন, তারপরও আপনার ধর্ম সম্পর্কে কেউ এমন মন্তব্য করলে আপনার লাগবে না? নিজের নাম পরিচয় দেবার সৎ সাহস নেই, অথচ আপনি মানুষকে সত্যের পথে আনতে চাচ্ছেন? যাহোক আপনি যত খারাপ মন্তব্য করতে চান করেন। অবশ্যই বাক স্বাধীনতার পক্ষে আমি। …—-শোনেন ভাইজান গালি দেবার জন্য কিন্তু গুহ্যদারে বাশ কথা টা বলা হয়নি…আম্ রা এখানে যারা ব্লগ পরি তারা সবাই এডাল্ট অচেনা ভাই তার লেখার প্রয়জনে এবং একটি বিষয়ের প্রতি তার মাত্রাগত অনুভুতি বুঝাতে ব্যাব হার করেছেন…অনেক সাহিত্যিক তাদের লেখায় তা করেন আপ্নিও জানেন কিন্তু এ টা ব্লগে করা যাবে না কেন এটা কি বাচ্চাদের সাইট…? কিন্তু আপনি বিষয় টি কে moral surface এ ফেলে জটিল করলেন…অদ্ভুত…
@সাগর,
ধন্যবাদ ভাই যে আপনি ব্যাপারটা অনুভব করেছেন। আসলে mkfaruk সাহেবের ওই over react করাটা আমাকে খুব বিস্মিত করেছিল, তাই উনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর আমি দেইনি, বরং কথার পীঠে আরেকটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।
মাননীয় গোলাপ এবং mkfaruk, আপনাদের কাজকর্ম অসাধারণ বলেই অন্তর থেকে শ্রদ্ধার উদয় হয়। সেই জন্যই আপনাদের শ্রদ্ধেয় বা মাননীয় সম্বোধন ছাড়া লিখতে সঙ্কোচ বোধ হয়। আমি আদতে শুদ্ধ বিজ্ঞানের ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই তথাকথিত প্রচলিত কোন ধর্মেই আমার কোন বিশ্বাস নেই। আমার ধর্ম “মানব ধর্ম”। সুতরাং আমার কাছে নবী, দেব দেবী, অবতার, মন্দির, মসজিদ গীর্জা ইত্যাদি একেবারেই মূল্যহীন। এদের প্রতি বিশ্বাস মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ, বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে মারামারি, বিদ্বেষ জিইয়ে রেখেছে। আমার আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি আর জৈন ধর্মালম্বীরা আছেন। অনেকে ভিন্ ধর্মে বিয়েও করেছেন কিন্তু বিশেষ কেউ কারও ধর্ম বদলান নি, ধর্ম নিয়ে কোন ঝুটঝামেলাও নেই, যে যার মত আছেন। এক মাত্র মোহাম্মদী (ইসলাম লিখলাম না) ধর্মালম্বীদের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর কিছু প্রত্যাশিত ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আত্মীয়স্বজনদের চাপ ছিল বর বা কনেকে বাধ্যতামূলক ভাবে ধর্মান্তরিত হতে হবে। কেউ নতি স্বীকার করেছেন, অনেকে পাত্তাই দেন নি। শহরে এটা সম্ভব হলেও মফঃস্বল অঞ্চলে কি হত আন্দাজ করতে পারি। তবে দিন কিন্তু বদলাচ্ছে। শুনছি গ্রামাঞ্চলেও নাকি এই ধরণের দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে।
আমি গর্ব করে বলতে পারি আমার অধিকাংশ মুসলমান বন্ধুবান্ধব ধর্ম সম্বন্ধে একেবারে উদার বা উদাসীন। ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি, নীচতা কোন কিছুই নেই।
পঞ্চাশ পেরোনোর পর কৌতুহল হওয়ায় আমি তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতে আরম্ভ করি। দেখলাম সবধর্মের মূল কথা বা ভাব মোটামুটি একই। ওই নবী, অবতার, তাদের শিষ্যদের ব্যাখ্যাই গোলমেলে। নবী, অবতারদের ব্যক্তিগত প্রতিভা (personal grandeur) খুবই বেশী থাকায় তাদের শিষ্যরা ভাব (principle) ও ব্যক্তি মিশিয়ে ফেলেছিলেন। এবার দাঁড়াল ব্যক্তি বড়, ভাব ছোট, ফলে সব ভাব উড়ে গোল্লায় গেল। অমুক লোক অমুক দিন অমুক বলেছিলেন আর অমুক নিষেধ করেছিলেন নিয়েই মাতামাতি। আধুনিক সব ধর্ম সম্প্রদায় ব্যক্তি নিয়ে টানাটানি করছেন, ভাব নিয়ে নয়। ব্যক্তিকে অতি অবশ্যই মানতে হবে কারণ এটি শ্রদ্ধাভক্তির একটি বিশেষ উপাদান। ভাব ব্যক্তির থেকে বড় মানলে আর গন্ডগোল থাকে না।
মোহাম্মদ মার্কা ইসলাম নিয়ে বিশ্বে যে গন্ডগোল বাধছে এর মূল কারণ এটাই। ধূর্ত মোহাম্মদ নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ জন্য যা করে বা বলে গেছে, তার অনুগামী মুমিন বান্দারা সাত পাঁচ না ভেবেই সেটাই অন্ধের মত হনুকরণ করে যায়। সৌদি আরবের ধূর্ত বর্বর শাসকগোষ্ঠি নিজেদের ভবিষ্যৎ স্বার্থের কথা ভেবে এদের মূল মদতদাতা। ওরা ভালই জানে ওদের তেল ফুরোলে আর কোনও দেশ এমন কি অন্য আরবদেশগুলোও বিন্দুমাত্র পাত্তা দেবে না।
আপনারা কি ভাবেন নেটিজেনরা আপনাদের প্রবন্ধ পড়েন না? আমি মুক্তমনার খোঁজ পেয়েছি এক নেটিজেন তথাকথিত মোল্লার কাছ থেকে। তিনি আপনাদের নিবন্ধ/ প্রবন্ধ নিশ্চয়ই মন দিয়ে পড়েন। গোলাপ তো বলেই দিলেন তাঁর অভিজ্ঞতাও আমার মতই। মানসিকতার এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন আধুনিক শিক্ষার আলোয় অনেকটাই স্বতঃস্ফূর্ত, কিছুটা আপনাদের মত রিফরমেটরদের অবদান।
@গোলাপ, মোহাম্মদের দারুণ মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন। আপনি দেখছি আধুনিক মনস্তত্ত্ব নিয়ে বেশ ভালই পড়াশোনা করেছেন। Hat’s off. এক সময় আমাকে পেশাগত কারণে মনস্তত্ত্ব নিয়ে একটু পড়াশোনা করতে হয়েছিল। ভালই বুঝতে পারছি আপনি কি বলতে চাইছেন।
ওই পরিচিত ভদ্রলোকের প্রশ্নের উত্তরে আপনি অসাধারণ মানবিক যুক্তি দিয়েছেন। আমার উত্তরের যুক্তি মোটামুটি একই ধাঁচের হলেও এত স্বচ্ছ ও প্রাঞ্জল ছিল না।
@mkfaruk, প্রায় অবসরপ্রাপ্ত হলেও বিভিন্ন চাপের মধ্যেও একটু আধটু লেখার বৃথা চেষ্টা করে থাকি। পাঠক পাঠিকা বলতে আমার ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ স্ত্রী আর কিছু আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব। আপনার মন্তব্যগুলোও অসাধারণ। আমাকে লেখালেখিতে উৎসাহ যোগানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। লেখালেখি কতটা পারব জানি না, তবে নিয়ম করে মুক্তমনায় ঢুকবই। আপনাদের নিবন্ধগুলো কি না পড়ে থাকা যায়? তা ছাড়া বন্ধুবান্ধবদেরও তো প্রবন্ধগুলো বানান ইত্যাদি সংশোধন করে ছাপিয়ে দিতে হয়।
শেষে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই মুক্তমনা কর্তৃপক্ষকে যাঁরা পক্ষ বিপক্ষের মতামতের কোন ভেদাভেদ না করেই যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করছেন। গালাগালি, প্রলাপ বা যুক্তিহীন মন্তব্য প্রকাশ করা সভ্যতা বিরোধী। মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ মানব দরদী, মূল লক্ষ্য মানব উন্নয়ন। এই কারণেই বোধ হয় বাধ্য হয়ে কিছু প্রলাপ/যুক্তিহীন মন্তব্য প্রকাশ করেন না, করা যায় না। কিছু লোক মুক্তমনা বিরোধী। তারা ভাবে মুক্তমনায় বোধ হয় সভ্যতা বিরোধী, মানবতা বিরোধী যা ইচ্ছে তাই করা যায়, করতে না পারলেই গালাগালি কুৎসা। কিছু আর বলার নেই।
@বস্তাপচা,
আপনার মন্তব্য গুলো মুক্তমনার লেখকদের জন্য চরম প্রেরণাদায়ক হয়েছে। আপনি নিজেও লেখালেখি করছেন জেনে বিশেষ প্রীত হলাম। আশাকরছি আপনার পক্ষ থেকে কোন লেখা সত্ত্বর নাজিল হবে।
ভালো থাকুন।
আমি এ পর্যন্ত মুক্তমনায় মাত্র একটি মন্তব্য করেছি, শ্রদ্ধেয় ভবঘুরের অসাধারণ নিবন্ধের ত্রয়োদশ পর্বে। তার একটি পঙতি ছিল – “ আপনার দৌলতে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে”। এর উত্তরে ভবঘুরে লিখেছিলেন, “আদৌ হচ্ছে কি না তা ঠিক বুঝি না কারণ মুক্তমনায় ঢুঁ মারা পাবলিক অনেকটাই উদার। যারা কঠিন বিশ্বাসী তাদের কোন উপকার হচ্ছে কি না তা এখনও বুঝছি না।”
ভবঘুরে সাহেব এবং তাঁর সমমনস্ককে জানাই নিরাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। জগদ্দল দু’দশ বছরে নড়ানো যাবে না, কিন্তু গোড়া আলগা করে দেওয়া যায়। আপনারা রিফরমেটার। কোন কালেই আপনাদের কাজ সহজ ছিল না, হবেও না। আধুনিক নবী (গাল পাড়ছি না, পুরোনো কনভেনশান) আপনারাই।
এই প্রসঙ্গে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলি।
কিছুদিন আগে আমি একটি ছোট্ট গ্রামে কাজে গিয়েছিলাম। ওখানে এক পূর্বপরিচিত সমবয়সী প্রায় বৃদ্ধ ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা হল। তিনি তথা কথিত “ধর্ম” সম্বন্ধে আমার মনোভাব জানতেন, কিন্তু কখনই কোন মন্তব্য করেন নি। তিনি বোধ হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছিলেন, তারপর পারিবারিক ব্যবসায় লেগে পড়তে বাধ্য হন। ওনার পড়াশোনার অভ্যেস বরাবরই ছিল, অবসর পেলেই এখনও প্রচুর বই পড়েন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, এক ছেলে ও এক মেয়ে, দু জনেই স্নাতক। আমি ওনাকে ধর্মভীরু বলেই ভাবতাম। আমাকে দেখে উনি ওনার বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করে সাদরে ওনার খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি নিয়ে গেলেন। খাওয়াদাওয়া করার পর উনি আমাকে একতাড়া সযত্নে সেলাই করা ফটোকপি দেখিয়ে বললেন দেখুন। হতবাক হয়ে দেখলাম ভবঘুরে, আবুল কাশেম, আকাশ মালিক, সৈকত চৌধুরী, গোলাপ, তামান্না ঝুমু, কাজী রহমান ইত্যাদি লেখক/লেখিকার বিভিন্ন নিবন্ধ এবং মন্তব্যের নির্বাচিত অংশের পিডিএফের ফটোকপি। আর্থিক অনটনের মধ্যেও তিনি এই নিবন্ধগুলি বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে গোপনে যোগাড় করে মন দিয়ে নিজেও পড়ছেন ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রীকেও পড়াচ্ছেন। উনি কারও সঙ্গে ধর্মীয় বাকবিতন্ডায় নেই। নিয়মিত মসজিদে যান, প্রায় যাবতীয় ধর্মীয় কার্যকলাপ করেন। উনি আমার নীরব প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, “গ্রামে তো থাকতে হবে মশাই, লোকের চোখে ওই ধুলো দেওয়া আর কি”। ওনার সমমনস্ক আরও একজন গোপনে ভাগাভাগি করে নিবন্ধগুলি পড়েন।
এনাদের অন্তর্জালে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই, তবুও আপনাদের যুক্তিপূর্ণ নিবন্ধগুলি যে করেই যোগাড় করে পড়ছেন। আপনারা ধন্য, সার্থক আপনাদের অমানুষিক পরিশ্রম। এই রকম কত যে লোকজন লুকিয়ে আছেন। কে জানে!
@শ্রদ্ধেয় ভবঘুরে,
আপনি বিভিন্ন সত্যনিষ্ঠ তথ্য এবং নিশ্ছিদ্র যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন পৃথিবীর ইতিহাসে সব থেকে ঘৃণ্য অপরাধী যদি কেউ থাকে সে হল মোহাম্মদ। সকল যুগে যুক্তি সম্মত সামাজিক সভ্য মানুষ যে সব কাজকে জঘণ্য অপরাধ বলে জানে তার প্রায় প্রতিটি অপরাধ মোহাম্মদ করেছিল। আইনের বিচারে আধুনিক যুগে তার মৃত্যুদন্ড হতই। ওর অনুসারী বা সমর্থকরাও নিষ্কৃতি পেত না। ঘৃণ্য অপরাধীর সমর্থকরাও সমান অপরাধী।
এই প্রেক্ষিতে দুটি প্রশ্ন আছে। প্রথম প্রশ্নটি ওই পরিচিত ভদ্রলোকের, দ্বিতীয়টি আমার।
১। ঘৃণ্য অপরাধীদের কেউ সম্মান দিয়ে কথা বলে না। মোহাম্মদ ঘৃণ্য অপরাধী, তাকে সাধারণ সম্মান দিয়েও লেখা অনুচিত। যেমন তিনি গেলেন না লিখে সে গেল, তাঁর নয় তার ইত্যাদি, অর্থাৎ তুচ্ছার্থে প্রয়োগ। কিন্তু আপনারাদের লেখায় প্রায়ই ওকে সম্মান দিয়ে লেখা হয়। এর কারণ কি?
২। মোহাম্মদ তার স্ত্রীর সম্পদের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকত। ওর কোন শৌর্য বীর্যও ছিল না। সেই সময়ে আরব সমাজে তাকে আদৌ সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখা হত না। বর্তমান সমাজেও এই ধরণের মানুষ কোন সম্মান ও মর্যাদার পায় না। এক হতদরিদ্র, শৌর্য-বীর্যবিহীন, স্ত্রী নির্ভরশীল মানুষকে অহংকারী, দাম্ভিক ও শৌর্যবীর্যের পুজারী প্রায় অশিক্ষিত আধা বর্বর কুরাইশরা তাদের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নেতা- কোনভাবেই মেনে নিতে রাজী ছিল না। সমাজে অপাংক্তেয় মোহাম্মদের মনে এটি একটি বিরাট আঘাত। নিজেকে এক সম্মানীয় মানুষ বানানোর জন্যই তার যাবতীয় ধূর্তামী, চালাকী এবং ঘৃণ্য অপরাধ।
মোহাম্মদের স্বজাতীর প্রতি ভালবাসা, দেশপ্রেম বা আরব জাতীয়তাবাদ কোনকিছুই ছিল বলে হয় না।
রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য তার উগ্র আরব জাতীয়তাবাদী মতবাদের একটা মুখোস দরকার ছিল। আমার মনে হয় মোহাম্মদ শেষে মেগালোম্যানিয়াক হয়ে গেছিল।
আমার যত ধারণা আপনাদের মত শ্রদ্ধেয় লেখকদের নিবন্ধের ওপর ভিত্তি করেই হয়েছে। আমার বুঝতে ভুলও হতে পারে।
@বস্তাপচা,
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার লেখাটা পড়লাম বেশ ভাল-সাবলীল এবং ছন্দহীন নয়। আপনি লেখালেখি করেন, আমার পক্ষ থেকে উৎসাহ থাকল।
@বস্তাপচা,
আপনার মন্তব্যটি খুব ভাল লাগলো। আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। বিজ্ঞানের আলো এবং ইন্টারনেট
প্রযুক্তির তথ্য আদান-প্রদানের সহজলভ্যতায় বহু মানুষ সচেতন হচ্ছে। পরিবর্তন আসছে, কিন্তু খুবই ধীর গতিতে। কয়েক হাজার বছরের এক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানকে ভাঙ্গা সহজ নয়! সময় লাগবে।
আমার অভিজ্ঞতাও আপনার মতই। আমাদের একটা গ্রুপ ই-মেইল আছে। সেখানে কিছু মুমিন বান্দা “তাবলীগের দাওয়াত ও ধর্মীয় অন্ধত্ব’ প্রচার করতো অহরহ:। যেদিন থেকে আমি তার জবাবে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী (সরাসরি সংঘর্ষে না গিয়ে) পাল্টা ই-মেইলে তাদের প্রচারণার অসারতা, বর্তমান বিজ্ঞান ও Evolution সম্বন্ধীয় আর্টিকেল ও ভিডিও ছাড়া শুরু করলাম, মুমিন বান্দারা হলো নাখোশ। কিন্তু অনেকেই “ব্যক্তিগত” ই-মেইলে ধন্যবাদ, Appreciation ও সমর্থন দেন। কিন্তু প্রকাশ্যে তা জানাতে ভয় পান। গত তিন বছরে মুমিন বান্দাদের ঐসব “তাবলিগী” ইমেইল অনেক কমে গিয়েছে।
মুহাম্মদ মৃত। তার প্রতি আমাদের কোনই আক্রোশ নেই। সে জাগতিক সব কিছুর ঊর্ধ্বে। তার নবী জীবন সংগ্রামী ও ঘটনাবহুল। তিনি একজন মানুষ ছিলেন। আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য (প্রশ্ন)টি খুবই তাৎপর্য পূর্ণ। জন্মের আগেই তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন। ৬ বছর বয়সে হারিয়েছেন মাকে। তার মা আমিনা কেন “মুহাম্মদকে” নিজের কাছে না রেখে তার জন্মের পর পরই ‘হালিমার কাছে’ দত্তক দিয়ে মাতার স্নেহ থেকে তাকে বঞ্চিত করেছিলেন সে এক রহস্য! আমিনার তো অন্য কোন সন্তান ছিল না। তাকে নিজের কাছে রেখে মানুষ করা তার জন্য ‘কষ্ট-সাধ্য’ ছিল না প্রচার ও প্রচলিত ধারনা এই যে, “এটা তৎকালীন আরবের রীতি’। কিন্তু সে রীতিটা কি বাধ্যতামূলক সব সন্তানের জন্যে? নাকি প্রয়োজনে (optional)? যেমন, পিঠা-পিঠি সন্তানের মা- যাদের সন্তান পালনে অসুবিধা তাদের জন্য? অনেকের ধরানা, সন্তান প্রসবের পর আমিনা অপ্রকৃতস্থ ছিলেন। তাই মুহাম্মদকে দত্তক দিতে হয়েছিল। যে কারণেই হোক, অনাথ মুহাম্মদের শিশুকালের মানসিক আঘাত তার পরবর্তী জীবনের আচার আচরণের উপর বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছিল বলে ধারনা করা হয়। অনেকেই মনে করেন মুহাম্মদের ছিল “Narcissistic personality disorder”। যেখানে Grandiosity (হামবরা ভাব) উপসর্গটি থাকে খুবই প্রকট ও উল্লেখযোগ্য। মুহাম্মদের অনুসারীদের মধ্যেও এই একই মানসিকতা প্রকট (shared delusion)। mkfaruk সাহেবের মন্তব্যগুলো মনোযোগের সাথে খেয়াল করুন।
ভাল থাকুন।
@বস্তাপচা,
তৃণমূল পর্যায়ে মুক্তমনাদের লেখা পৌঁছে যাচ্ছে দেখে বড্ড ভালো লাগলো। চাইলে যে নানান সুবিধা অসুবিধা ছাপিয়েও মন খুলে জ্ঞানচর্চা করা যায়, খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে বসেও যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আলো ছড়ানো গ্রামের যায় তা দেখে সত্যি সত্যিই তৃপ্ত হলাম। আপনার এই অভিজ্ঞতায় ভাগ বসাতে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ (C)
@কাজী রহমান,
সত্যি ভাইয়া , আমিও উনার লেখাটা পড়েছি আর ভাল লেগেছে খুব। শুধু বুঝতে পারছিলাম না যে কি উত্তর দিব। আপনি আপনার এই উত্তরে আমার মনের কথাটাই বলে দিলেন ভাই। সত্যি যদি তৃণমূল পর্যায়ে মুক্তমনাদের লেখা পৌঁছে যায় তবে এটা নিঃসন্দেহে খুবই একটা ভাল খবর , যা কিনা আমার মত হাল ছেড়ে দেয়া কিছু মানুষ কে স্বপ্ন দেখাবে যে এই পৃথিবীটা আমার জীবদ্দশাতে না হোক একদিন না একদিন এই সব ধর্মীয় কুসংস্কার আর নির্যাতনের কালো ছায়া থেকে মুক্তি পাবেই। আমাদের পরের প্রজন্ম বা তার পরের প্রজন্মও যদি সুফল ভোগ করে তবেই আপনাদের লেখাগুলো সত্যিকার সার্থকতা লাভ করবে ভাইয়া।
@কাজী রহমান,
কাজী সাহেব, আপনার দেওয়া সেই আয়াতটার রেফারেন্স টা আমাকে আরেকবার দিবেন?
ওটা কতকটা এরুপ ছিল,
“কাফের রা কি মনে করেছে?আল্লাহ ইচ্ছা করলে আছমানের একটি খন্ড ছুড়ে মেরে ওদের মাথার চাঁদি ফাটিয়ে দিতে পারেনা?”
আয়াতটা খুব interesting ছিল। আমি রেফারেন্সটা হারিয়ে ফেলেছি। ওটা আমি একটু ভাল করে দেখতে চাই।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান , আপনি তো দেখি কোরান হাদিসের শেষ না দেখে ছাড়বেন না , আমি তো আশংকায় আছি , হয়ত আমার কোরান হাদিস চর্চা বন্দই হয়ে যায় কি না আপনার কারনে।
কিন্তু কথা হলো হঠাৎ আছমানের খন্ড নিয়ে এত ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন কেন? কেন আপনার মাথায় কি আছমানের খন্ড ছুড়ে মেরে মাথার চান্দি ফাটিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে নাকি আল্লাহ বা তার কোন ফিরিস্তা ?
তবে আপনার কাংক্ষিত আয়াত মনে হয় সূরা-৩৪: আল-সাবা, আয়াত:৯।
বিষয় যাই হোক , দেখুন তো নিচের আরবীর বাংলা অনুবাদটা করা যায় কিনা ?
وقال ابن جرير: حدثنا سعيد بن يحيى، حدثنا أبي، حدثنا محمد بن إسحاق عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس قال: قلت لعمر ابن الخطاب: من المرأتان؟ قال: عائشة وحفصة. وكان بدء الحديث في شأن أم إبراهيم مارية القبطية، أصابها النبي صلى الله عليه وسلم في بيت حفصة في نوبتها، فوجدت حفصة، فقالت: يا نبي الله لقد جئت إليّ شيئاً ما جئت إلى أحد من أزواجك في يَوْمِي وفي دوري وعلى فراشي، قال: ” ألا ترضين أن أحرمها فلا أقربها ” ، قالت: بلى فحرمها، وقال لها: ” لا تذكري ذلك لأحد ” ، فذكرته لعائشة، فأظهره الله عليه، فأنزل الله تعالى: { يٰأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَآ أَحَلَّ ٱللَّهُ لَكَ تَبْتَغِي مَرْضَاتَ أَزْوَٰجِكَ } الآيات كلها.
@ভবঘুরে,
হ্যাঁ, ভইজান, ঠিক এইটাই।আমাদের দেশে গ্রামে ছোটবেলায় দেখেছি দুই জনের মধ্যে যখন মারা মারি হওয়ার সূত্রপাত হইত,তখন একজন আর একজন কে হুমকি দিত এই ধরনের কথাবার্তা বলে যে”আমি এখনি তোর মাথাটা লাঠি দিয়ে এক আঘাতে ফাটিয়ে দিতে পারি।”
তাই কাজী সাহেব একবার দেওয়ার পর থেকে আমার মনে বার বার আসতেছিল যে যিনি বিশ্ব স্রষ্টা তিনি একটা অশিক্ষিত লোকের মত বাক্য বল্লেন? অথবা কোরানে এখনো আছে?
আর তাছাড়াও আছমান তো শূন্যস্থান তা আল্লাহ ভাল করেই জানেন।
তাই তিনি নিজে কীরে এমন একটা মূর্খের মত কথা বলতে পারেন? এবং এখনো অসংখ্য লোকের কাছে সমান ভাবে আল্লাহর বানী হওয়ার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে!!
একটা আশ্চর্য ব্যাপার নয় কি?
আপনি যেখানে হাত দিয়েছেন বড় আসল জায়গায়।
কাজেই ওটাকে আমি একটু ভাল করে বিশ্লেষন করতে ইচ্ছুক। কাজেই ঐ আয়াৎ টাকে আমি খুজতেছিলাম।
ধন্যবাদ
@ভবঘুরে,
আমি ঠিক একেবারে পুরাপুরি হয়তো বুঝতে পারি নাই বা আমার অনুবাদে ভূল ও হতে পারে। আর তা ছাড়া দীর্ঘ দিন যাবৎ এর সংস্পর্ষ হইতে অনেক দূরে। তবে ভাবার্থ টা সম্ভবত এরুপের কাছাকাছি একটা কিছু হইবে।
“আয়েসা হাফছা থেকে বর্নিত, একদা নবী ইব্রাহীমের মাতা মারিয়া কিবতিয়াকে সংগে লয়ে হাফছার গৃহে ঢুকেছিলেন। পরে হাফছা সেখানে ঢুকেছিলেন। তখন হাফসা বেশ কিছুটা অসন্তুষ্ট চিত্তে বেশ কিছু কথা বলেন।
তখন নবী বল্লেন তুমি কী সন্তুষ্ট হবে যদি আমি তাহাকে(মারিয়া কিবতীকে) আমার জন্য হারাম করিয়া দেই এবং আমি আর তাহার নিকটবর্তী না হই?
আয়েসা উত্তরে বলিলেন “হ্যাঁ”
তখন নবী তাহাকে (মারিয়া কিবতীকে) তার (নবীর) জন্য হারাম করিয়া দিলেন এবং বলিলেন “এ কথা অন্য কাহাকেও বলিবেনা।
কিন্তু এরপর হাফসা এ কথা আয়েসার নিকট বলিয়া দিলেন।
এরপর আল্লাহ নবীর নিকট তা (হাফসার আয়েসার নিকট গোপন কথা বলে দেওয়া) প্রকাশ করিয়া দিলেন এবং পরিস্কার অহী অবতীর্ণ করিলেন: “হে নবী তুমি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্ট করার জন্য কেন হারাম করিতেছ যা আল্লাহ তোমার জন্য হালাল করিয়া দিয়াছেন?”
হাদিছটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর পূর্নাঙ্গ সঠিক অনুবাদটি আমাকে পাঠাবেনতো।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
পরের পর্বেই এ বিষয়ে বিস্তারিত শানে নুযুল সহ বর্ণনার আশা করছি যদি আল্লাহপাক সুযোগ দেন।
কোরান যে কি পরিমান বিজ্ঞানময় গ্রন্থ যে বিষয়ে কিঞ্চিত ধারণা পাবেন নিচের নিবন্ধ গুলিতে-
বিজ্ঞানময় আসমানী কিতাব- পর্ব-১, ২ ও ৩
@ভবঘুরে,
আপনার খুব ভাল পর্ব গুলীর সন্ধান দিয়েছেন। আছমান সম্পর্কে কোরানের বক্তব্য আমি খুজতেছিলাম। ঐ পর্বগুলী প্রকাশ কালেআমি মুক্তমনায় এসেছিলামনা।
ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
অনুবাদে একটু সংশোধন:
এর স্থলে নীচেরটা হবে
একদা নবী মোহাম্মদ, ইব্রাহীমের মাতা মারিয়া কিবতিয়াকে সংগে লয়ে হাফছার কয়েকটি গৃহের কোন একটি গৃহে ঢুকেছিলেন। পরে হাফছা সেখানে ঢুকেছিলেন।:
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কুরানে আকাশ নিয়ে অনেক মজার মজার বানী আছে। অল্প কিছু উদাহরণ:
আকাশের ভূপৃষ্ঠে পতন:
আকাশে কোন ছিদ্র নেই:
এমন কি কোন ফাটলও নেই!
কারণ:
কিন্তু যেদিন:
* কুরান সত্যিই বিজ্ঞান ময়!
@গোলাপ,
ওগুলী দিয়ে ভাল করেছেন। আছমান সম্পর্কে কোরানের বক্তব্য আমি খুজতেছিলাম। আমি save করে রাখব।
ধন্যবাদ
@গোলাপ, অসাধারণ ভাবে সাজিয়েছেন । :rotfl: :hahahee: (Y) (F)
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
নিশ্চয়, ওটা ছিলো সূরা ৩৪ আস সাবা, আয়াত ৯
তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতিলক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
এখানে অনেক ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। নীচে একটি বিশ্বস্ত হাদিছ বোখারীর একটি রেফারেন্স দিলাম। আসুন এটার একটু বিশ্লেষন করা যাক।
এর অনুবাদ করেছেন মাওলানা আজিজুল হক।
আমাদেরকে কি তাহলে এখনো মেনে নিতে হবে যে সতিই সূর্য চলতে চলতে পশ্চিম দিকে ডুবে যায়?
নবিজীর বাক্যে অবিশ্বাষ তো দুরের কথা সামান্য সন্দেহ মনের মধ্যে আবির্ভূত হইলেই সে কাফের।
তাহলে এখন কোনটা বিশ্বাষ করতে হবে?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
নবিজীর বাক্য বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করতে হবে। তা না করলে আপনার জন্য দোজখের আগুন অপেক্ষা করছে। উপায় নাই। তবে প্রশ্নটি আপনি mkfaruk কে জিজ্ঞেস করতে পারেন। কিন্তু ওনার তো আবার হাদিসে বিশ্বাস নাই। তাহলে উপায় ?
যে সব হাদিস কোরাণসমর্থন করে সে গুলি গ্রহনীয়
এইসকল নাস্তিকের দলেরা জন্মসূত্রে মুসলমানই ছিল। এরা পড়াশোনা করে, রেফারেন্স পেয়ে, জেনে, শুনে, বুঝে তবেই না নাস্তিকের দল হয়েছে। আর আপনি বা mkfaurk মত দলেরা হুদা ঈমানের চোটেই আস্তিকের দল!!!
উপরে গোলাপ বলেছেন: “রেফারেন্স” কোথায়? একটু “দম” নেন। Rubbish!
কতজনেইতো চাইল- ভাইরা দেন না দু’একটা রেফারেন্স।
@আবুল হোসেন মিঞা,
উনি রেফারেন্স দিবেন কি করে ? হাদিসে বিশ্বাস করে না বলে আগেই আটকে গেছেন। আর হাদিসে মোহাম্মদের গুণগান করা ছাড়াও অনেক অপকর্মেরও কথাও লেখা আছে। হাদিস বিশ্বাস করলে সেসব গুণগান সহ ওসব অপকর্মের কাহিনীগুলোও বিশ্বাস করতে হবে। উনি গুণগান গুলি বিশ্বাস করতে রাজী কিন্তু অপকর্মগুলো বিশ্বাস করতে রাজি নন। একেবারে typical blind মানুষের মত আচরণ। সেকারনেই তিনি বলেছেন- আর বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি বা দাউদ সাহেবের হাদিস নিয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনে, কারণ তাদের হাদিসের উপর আমার তেমন বিশ্বাস নেই। শুধু উনি নন, বর্তমানে বেশ কিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে যারা হাদিস বিশ্বাস করে না। হাদিস বিশ্বাস করে না কিন্তু কোরান কিভাবে মোহাম্মদের কাছে আসল সে বিষয়েও কোন ব্যখ্যা দেয় না। এদের বিশ্বাস- একটা বাধাই করা আস্ত কোরান আল্লাহ জিব্রাইল ফিরিস্তার মাধ্যমে মোহাম্মদের কাছে পাঠিয়েছে। এরা বুঝতে পারছে না যে হাদিস বিশ্বাস না করার অর্থ মোহাম্মদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা, মোহাম্মদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার অর্থ কোরানকে অস্বীকার করা, কোরানকে অস্বীকার করার অর্থ অবশেষে ইসলাম অস্বীকার করা। তার মানে বোঝা যাচ্ছে- বর্তমান দুনিয়াতে ইসলাম নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা, গবেষণা এসবের ফল ফলতে শুরু করেছে। মানুষ সত্য জানতে পারছে, যতই সত্য জানতে পারছে ততই অন্ধকার বিদুরিত হচ্ছে।
@ভবঘুরে,
বিষয়টি কি তাই? পৃথিবীর প্রথম মানব আদমের সন্তানদের মধ্যেও নাস্তিক ছিল। জানা নেই বোধ হয় আপনার। এরা পৃথিবীর ধ্বংস পর্যন্ত থাকবেই থাকবে। তা না হলে ইবলিস আছে কেন? তার কাজটা কি?
@mkfaruk,
এই তথ্য কিভাবে জানলেন? সূত্র? নাকি গায়েবী ভাবে? ধরে নিলেম সেটা ঠিক। তাতে কি এটা প্রমাণ হয় যে আমি বা অন্যেরা না পড়াশোনা করে, না রেফারেন্স পেয়ে, না জেনে, না শুনে, না বুঝে তবেই না নাস্তিক হয়েছে? আমি নাস্তিক বলতে ইহুদী, খ্রীষ্টান আর মুসলীমদের সংজ্ঞার ইশ্বরে অবিশ্বাসী বোঝাচ্ছি । আদমের সন্তানেরা সেই অর্থে আস্তিক হবে কেমন করে যখন এই ধর্মগুলির আবির্ভাবই হয় নি?
ইবিলিসকে সৃষ্টি কে করেছে(ন)? নাকি তার কোন স্রষ্টা নেই? কেন সৃষ্টি করা হয়েছে? তার কাজটা কে ঠিক করে দিয়েছে? এটা কি পরিকল্পিত (উদ্দেশ্যমূলকভাবে) নাকি ঘটনাক্রমে ? ঘটনাক্রমে হলে এটা কি ঠেকান যেতনা? আপনার “সুচিন্তিত” উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
@যাযাবর,
ভাই,
নিতান্ত কৌতুহলের কারণে আমি এক সময় বিভিন্ন ধর্ম এবং তার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছিলাম। এটা বহু আগের কথা। আর ধর্ম পুস্তক হিসেবে কোরআন আর বাইবেলটাই যা একটু জানি আমি। বেদ, মহাভারত, গীতা, জিন্দাবেস্তা, দশাতির, ত্রিপিটক ইত্যাদি সম্পর্কে যা জানি তা বিতর্কে যাবার মত কিছু না।
এসব বললাম একারণে যে, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে এমনসব প্রশ্নের উদয় হবে যার উত্তর আমার জানা নেই।
ভবঘুরের এই আর্টিকেলটা দেখে আমার মনে হয়েছে যে তিনি, একটা পার্টিকুলার ধর্মকে বিদ্বেষমূলক ভাবে কলুষিত করতে অর্ধসত্য আর অর্ধমিথ্যা মিশ্রিত করে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। আর তাই আমি তার তথ্যের গলদগুলো দেখিতে দিতে চেষ্টা করেছি হাতে সময় ছিল তাই। তবে একথা ঠিক যে, তার আগে আমি আর্টিকেল এবং মন্তব্যকারীদের মন্তব্য দেখে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছি যে, আর্টিকেল লেখক এবং এখানকার মন্তব্যকারীরা যে জ্ঞান রাখে, তা দিয়ে আমাকে আটকাতে পারবে না। এ নয় যে আমি এখানে একটি পার্টিকুলার ধর্মের সাফাই গাইতে এসেছি।
আমি এখানে যা বলেছি তা কোরআন বেইজড। যার যুক্তি যুক্ত তথ্য এবং ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে। তবে সেগুলো দিয়ে আমি লেখার চেষ্টা করিনি। কেন? দরকার মনে করিনি। যুক্তি প্রমাণ দিলেই কি লোকে তা বিশ্বাস করে? আমি যদি সব যুক্তি ও তথ্য প্রমাণ হাযির করি, এদের কেউ কি তা মেনে নেবে? অনর্থক আমার লেখা সাধারণ পাঠকের নিরস লাগবে।
ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
আটকান যে হয়েছে সেটা টের পাননি এখন? অবশ্য টের পেতেও তো ন্যূনতম বোধশক্তি লাগে।
মুক্তমনায় (সঠিক)যুক্তি প্রমাণ দিলেই লোকে তা বিশ্বাস করবে, সরস লাগবে। যুক্তি না থাকাতেই আপনার লেখা অনর্থক হচ্ছে, যুক্তি প্রমাণ থাকলে অনর্থক হয় না। একবার যুক্তি প্রমাণ দিয়েই দেখুন। আর যুক্তি ছাড়া কথার জন্য এই ফোরাম উপযুক্ত স্থান নয়। আপনি সদালাপ বা অন্যান্য ইসলামপ্রিয় সাইটে গিয়ে অন্ধ বিশ্বাসের কথা বলে দেখুন, দেখবেন কি ভাবে আপ্যায়িত হবেন। মুক্তমনায় যুক্তিহীন কথা বলে আপনারও সময় নষ্ট, মুক্তমনাদেরও (অবশ্য বিনোদন ফ্যক্টর অস্বীকার করা যায় না)।
@যাযাবর,
এর উত্তরটা তো জ্ঞানীরা দেবে-যা আমি আগেও বলেছি।
ভাল কথা। সহজভাবে উত্তর দেয়াতে দেখছি আপনি তা অন্যভাবে নিয়েছেন। একারণেই, বাধ্য হয়ে ভাষা একটু তীর্যক করতে হল।
বুদ্ধি ও জ্ঞানের সার্টিফিকেট কি আপনি সবাইকে দেন? আমরা তো জানি এগুলো দেয় শিক্ষাবোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর ঐ গুলিই স্বীকৃত। তা কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কি কি বিষয়ের উপর আপনার পিএইচডি আছে একটু পাঠকদের জানাবেন কি?
এর অর্থ দাড়াচ্ছে- আপনি বলতে চাচ্ছেন জেসাস একজন ফাউল লোক ছিলেন, তার কথা ও কাজে কোন যুক্তি-প্রমান ছিল না। এ কারণেই লোকে তাকে গ্রহণ করেনি? দারুণ। তাহলে কি ধরণের যুক্তি-প্রমান দিতে হবে? সেটা আমাকে বলবেন কি?।
ঠিক তাই। এখানে আপনার মত মুক্তমনারা যা করছে আমিও তাই করছি কিন্তু অন্য এঙ্গেলে। যারা যেমন তাদের সাথে তেমনই ব্যবহার করতে হয়- এটা তে সঠিক।আর সত্যি বলতে কি যান্ত্রিক এই যুগে বিনোদনের খুবই অভাব।আর আপনার মত লোক এটা যথেষ্ট দিচ্ছেন, এর জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
আমরা জেসাস বা মোহাম্মদ কাউকেই আল্লাহ বা তার প্রেরিত নবী হিসাবে বিশ্বাস করি না। জেসাস ছিলেন পিতা বিহীন মানুষ তার অর্থ আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, তবে গসপেলে তার একটা পবিত্র চরিত্রের বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি বিয়ে করেন নি , কাউকে খুন করেন নি , চুরি ডাকাতি বা বন্দী নারী ধর্ষণ করেনি নি। পক্ষান্তরে মোহাম্মদ ছিলেন একটা চুড়ান্ত রকম একনায়ক, নারী লিপ্সু মানুষ ও সমস্ত রকম অপকর্ম করে তা আল্লাহর নামে চালিয়ে দিয়েছেন। সে বিচারে যীশুর পায়ের যোগ্যতাও ছিল না মোহাম্মদের।
যীশুকে যে মানুষ গ্রহণ করে নি কথাটা ভুল। কারন খৃষ্টানদের বক্তব্য এভাবেই নাকি যীশুকে ক্রুশ বিদ্ধ করা হবে কারন এভাবে তিনি নাকি দুনিয়ার মানুষের পাপ গ্রহণ করবেন। যীশুর এ আত্মত্যাগের এর ফলেই কিন্তু পরবর্তীতে বিপুল ভাবে মানুষ খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করে। আজকের দুনিয়ায় যীশুর অনুসারীর সংখ্যা এখনো বেশী। সুতরাং যীশুকে মানুষ গ্রহণ করল না কি ভাবে ?
আজে বাজে ফালতু ও রেফারেন্স ছাড়া মনগড়া কথা বার্তা বলে কি আপনি আমাদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন ?
@ভবঘুরে,
আপনার যে কোন নৈতিকতা নেই তা তো সবাই দেখছে। না-কি দেখছে না?
আর ধৈর্য্যের পরীক্ষা? তাই নাকি? তা অধৈর্য্য হয়ে কি করবেন আপনি?
যাহো ক কথায় আসি- আপনি বলছেন-
তা আপনারই এসব কথার রেফারেন্স কই?
আমি তো একারণেই বলছি- জেসাস একজন ফাউল লোক ছিলেন এবং তার কথায় কোন যুক্তি প্রমান ছিল না, সে ছিল জারজ আপনার কথা মত
একারণেই আপনি তাকে প্রেরিত নবী হিসেবে বিশ্বাস করেন না।
বেশভাল কথা- তাহলে আপনার তার থেকে বেশী কি যোগ্যতা আছে তা আমাদেরকে কেন জানাচ্ছেন না? সত্য জেনে আমরা আপনার মুরীদ হই তা কি আপনি চান না?
আর মুহম্মদ সারাজীবন একটিও মিথ্যা বলেন নি। তাকে আপনি মানছেন না। আপনি তার থেকে বড় সত্যবাদী হলে কোন আমাদের সেকথা জানাচ্ছেন না?
@ভবঘুরে,
ও জানা নেই বোধ হয় আপনার এরা তো সৌল বা পৌল প্রচাররিত খৃষ্টধর্মের অনুসারী।
@mkfaruk,
এটা জানতে হলে ইতিহাসে পিএইচডি করা লাগে না। খ্রিস্টান কোন পুরোহিত কে জিজ্ঞেস করুন উনিও সেটাই বলবেন যে যীশু কোন ধর্ম প্রচার করেন নি। তাঁর উপর কন কিবাব আসেনি।কারন তিনি নিজেই কালাম বা ওয়ার্ড। 1In the beginning was the Word, and the Word was with God, and the Word was God. 2 He was with God in the beginning. 3 Through him all things were made; without him nothing was made that has been made. 4 In him was life, and that life was the light of all mankind.(John 1: 1-4)
1 আদিতে বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সংগে ছিলেন এবং বাক্য নিজেই ঈশ্বর ছিলেন। 2 আর আদিতেই তিনি ঈশ্বরের সংগে ছিলেন। 3 সব কিছুই সেই বাক্যের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল, আর যা কিছু সৃষ্ট হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে কোন কিছুই তাঁকে ছাড়া সৃষ্ট হয় নি। 4 তাঁর মধ্যে জীবন ছিল এবং সেই জীবনই ছিল মানুষের আলো। ( যোহন ১-৪)
এটাই খ্রিস্টান দের বিশ্বাস। কাজেই ঈশ্বর নিজে ধর্ম প্রচার না করবেন কেন? আল্লাহ কি ধর্ম প্রচার করেছে নাকি মোহাম্মদ কে পাঠিয়েছে বলে আপনি দাবি করেন?
আর সেন্ট পল কে জেসাস তার crucifixion এর পর যখন স্বর্গারোহন করলেন তখন জানিয়েছেন।
আর পল প্রচলিত ইহুদিও ছিলেন না তিনি ছিলেন হেলেনিক ইহুদি যাদের মূলধারার ইহুদীরা কোনদিন ইহুদী হিসাবে গ্রহণ করেনি। কাজেই খ্রিস্টান ধর্মকে ইহুদী চক্রান্ত বলাটা নেহায়ত বোকামি।
কাজেই পল হলেন যিশুর প্রেরিত রসুল এবং নবী ২টাই। তিনি ১২ জন apostle এর একজন না, তিনি একাধারে prophet & apostle.
এটা আপনি নিউ টেস্টামেন্ট এর প্রেরিত ( Acts ) এর ৯ম অধ্যায় থেকে পড়তে পারেন। বিশ্বাস করতে বলছিনা কারন ওগুলোও আপনার কোরআনের মতই রূপকথা
@অচেনা, (Y) সব ই উন্মাদ ভন্ডদের বানীমালা… মানুষের জালা হলো এগুল তে বিশ্বাস না করলে নাকি ঠেঙ্গানো হবে…mkfaruk দের মতো কিছু ভীরু তাই না মেনে উপায় পান না…বিস্বাস করে হুর গেল্মান না বিশ্বাস করে ঘোড়ার ডিম…তাই বিশ্বাস করা আর কি…লোভ আর ভয়=ধর্ম…
@ভবঘুরে, (Y)
@সাগর,
ঠিক বলেছেন।আসল ব্যাপারটা হল লোভ।বেহেশতে গিয়ে ৭০টা হুর আর অঢেল খানাপিনার লোভেই মুমিন বান্দারা এইসব করে থাকেন।কেউ কেউ সেটা স্বীকার করেন( একজনকে এটা জিজ্ঞেস করাতে তিনি বলেন যে জান্নাতের লোভ খারাপ না আর হুর রা আল্লাহর নিয়ামত তাই এখানেও লোভ করাটা অন্যায় না), কেউ কেউ করেন না।
আমি বুঝিনা যে অনন্তকাল মানে ঠিক কত বছর বুঝিয়েছে? যদি এর কোন লিমিট না থাকে তবে কি কেউ এতে ক্লান্ত হয়ে পরবে না? মুমিন্রাই এটার উত্তর হয়ত ভাল বলতে পারবেন 🙂 ।
@mkfaruk,
চালিয়ে যান ভাইজান। আনন্দ বিনোদন দিবার জন্য পিএইচডি দেবার সিস্টেম থাকলে ওটা আপনি পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ :hahahee:
@mkfaruk, দাদা ধর্ম মানতে কানা হতে হয় তারপর এক উন্মাদের পুজা করতে হয় তারপর তার ভয়ে ঠক ঠক করে কাপ্ তে হয়…আবার উন্মাদের বাছাই করা এক প্রেরিত আরেক উন্মাদের বানী বিশ্বাস করতে হয়…আমরা এসব পারিনা…জেসাস,মোহাম্মাদ ,অবতার সব আপনাদের জন্য…এসব মহান গুন গুলি আমাদের নেই কিনা… :))
@যাযাবর,
(Y) (F)
@mkfaruk,
তাই নাকি? এতক্ষনেও বুঝেননি যে আপনি কি জিনিস?
@mkfaruk,
আদম পৃথিবীর প্রথম মানব এই তথ্যটি কোথায় পেলেন
@পোকা,
এটা কি অপ্রয়োজনীয় আলোচনা নয় কি?
@mkfaruk,
জি অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় আলোচনা। হাজার হোক কোরআনে লেখা আছে আদম হাওয়ার কথা কাজেই কোরান বেজড কোন জিনিস নিয়ে তো তর্ক চলেনা কি বলেন? এটা একমাত্র সত্য কালাম তাই চোখ বুঝে মেনে নেয়াটাই প্রয়োজন তাই না? :rotfl:
@mkfaruk,
আসসালামুআলাইকুম,
ভাই সাহেব আপনার বিশাল জ্ঞান ভান্ডারে “আদম পৃথিবীর প্রথম মানব এই তথ্যটি কোথায় পেলেন” প্রশ্নটি হয়তো অপ্রয়োজনীয় যেমন
বিশাল সাগরের কাছে বৃষ্টির এক ফোঁটা পানি।যদি একটু কষ্ট করে কোরাণ থেকে দেখিয়ে দিতেন।
@পোকা,
উনি কোরানে পেয়েছেন। বোঝেন না ভাই, কোরান এমন এক মহা গ্রন্থ যাতে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই?
এইবার এই তথ্যটির প্রমান চান তো? কেন এটা তো পবিত্র কোরানেই স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে কোরানে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই 😛
@mkfaruk,
ওরে বাবা , আপনার মত টেকনিক্যাল পারসন এই আদম হাওয়ার কিচ্ছা বিশ্বাস করে বলেই আমাদের মুসলমানদের আজকে এই অবস্থা। সব দিক দিয়ে আমরা অমুসলিমদের থেকে পিছিয়ে। সমাজে লোকজন আপনাদের কাছ থেকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গি আশা করে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। আর আপনারা যখন এসব আদম হাওয়ার কিচ্ছা বিশ্বাসের কথা বলেন তখন বুঝতেই পারছেন সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হয়। মুসলিম সমাজের উন্নতি না হয়ে কেন দিন দিন তারা পিছিয়ে পড়ছে তা আশা করি আর বুঝানো লাগবে না। তবে আপনাদের লজ্জা শরম কম, আত্ম সম্মানও নেই। যে অমুসলিমদেরকে আপনারা সব সময় অভিশাপ দেন, ধ্বংশ কামনা করেন – সুযোগ পেলেই সেই দেশে গিয়ে বাস করার স্বপ্ন দেখেন। দেশে যদি কোন দুর্যোগ হয় তাদের কাছে গিয়ে ভিক্ষার হাত পাতেন। ধিক আপনাদেরকে !
@mkfaruk,
আদম বলে কেউ ছিল এটা প্রমান করেন ইতিহাস দ্বারা। আপনিতো ইতিহাসে থিসিস করেছেন।আদমকে নিয়েও থিসিস শুরু করুন না ভাই।
@mkfaruk,
ভাইজানে নাকি আর মন্তব্য করবেন না এখানে ?কেন ভাই ? তাহলে এখানকার মানুষদের এন্টারটেইনমেন্ট কে করবে ?আমরা তো অনেক দিনে ধরে আপনার মতো একজনের জন্য হা পিত্যেশ করে বসেছিলাম। এত তাড়াতাড়ি আমাদেরকে নিরাশ তা ভাবিনি।
@আবুল হোসেন মিঞা,
কতটুকু পড়াশোনা এটাই তো আমি জানতে চাচ্ছি আকার ইঙ্গিতে। অন্যথায় আমার রেফারেন্সের কার্যকারিতা হবে-প্রাইমারী লেভেলের ছাত্রকে কি বিশ্বাবদ্যালয় লেভেলের পাঠ দেবার মত।
@mkfaruk,
জনাব এমকে ফারুক সাহেব।
কোরান কিতাব সম্পর্কে আপনারই বক্তব্য-
যে কিতাবের মধ্যে, পরস্পর বিরোধী বাক্য,বিজ্ঞান বিরোধী বাক্য এবং ভাষার ব্যকরনিক ভূল বাক্য থাকে, তাকে কোন পদ্ধতি অনুসরন করিলে একটা “নিরভূল কিতাব” বলা সম্ভব হয়, সে পদ্ধতিটা একটু সবিস্তারে ব্যাখ্যা করিবেন কি ?
ধন্যবাদ
সকল প্রমান ও রেফারেন্স উপস্তাপন করলেও এইসকল নাস্তিকের দল বিশ্বাস করবে না। mkfaurk এবং ভবঘুরে দুজনের লিখা পাশাপাশি দেয়া আছে কিন্তু অহংকার ও জিদের কারনে এদের বিবেক জাগ্রত হয় না। আর কিভাবে এরা বুজবে?
@Masud,
সকল যুক্তি ও প্রমাণ নিয়ে জেসাস এসেছিল সত্য নিয়ে -কিন্তু তাকে অধিকাংশ মানুষ গ্রহণ করেনি।
জীবনে একটিও মিথ্যা বলেনি এমন ব্যক্তিও সত্য নিয়ে এসেছিল, কিন্তু তার পরেও অবিশ্বাসীগণ রয়েছে।
আর এটা না হলে তো ইবলিসকে দুনিয়া ধ্বংস পর্যন্ত আঙ্গুল চুষতে হবে।
@mkfaruk, একজন ভালো জীন কে ইব্ লিস বানানোর রুপকথা টি কয়েক বার পড়তে পারেন…আল্লাহ ছাড়াও যে কাঊকে সিজদা করা যায় সেটা জানতে পারবেন…আরো জানতে পারবেন একজন আরেকজনের চেয়ে কিছু বেশি জানলেই তাকে সিজদা করতে হবে…জান্তে পারবেন আদাম কে এমন কিছু আল্লাহ শিখিয়েছিলেন যা তিনি ফেরেশ্তাদের বলেন নি– আর আদম তাই শেরষ্ঠ!! তার সিজদা তাই প্রাপ্য…মহান আল্লাহ এবার অনৈতিক সিজদার নাটক সাজালেন…সবাই সিজদা করল শুধু জিন ইব্লিস ছারা…মনে রাখুন ইব লিশ কিন্তু ফেরেশ্তা নয় সে জিন তাই তার অভিমানে লাগা স্বাভাবিক…তার মন আছে …আপনি আপনার কম্পানির বস কে স্কুলের শিক্ষক কে বরোজোর স্যার বলতে পারেন সিজদা করতে পারেন না…আবার এই আল্লাহকেই দেখুন মানুষ তাকে ছারা অন্য কাউকে সিজদা করলে আবার গোসা করেন…এতা নাকি শিরক…ক্ষমার অযোগ্য …অথচ এ কাজ টিই তিনি ইব্ লিস কে দিয়ে করাতে চেয়েছিলেন…রুপকথার এই চরিত্ত্র উন্মাদ ইশ্বরের কোপের শিকার হয়ে প্রিথিবিতে এলেন অন্য রুপকথার জন্য…
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে; এবং খুবই বিরক্তবোধ করছি- এতবার রেফারেন্স চাওয়া সত্ত্বেও mkfaruk সাহেব কেন যে বারবার হামবড়া ভাব দেখিয়ে পিছলিয়ে যাচ্ছেন!!!
@mkfaruk আমারতো অতো জ্ঞান নেই ভাই- উৎস উল্লেখ না করলেও পাঠ মাত্রই তা বুঝতে পারবো। প্লিজ দিন না আপনার দু’একটি কথার রেফারেন্স।
@আবুল হোসেন মিঞা,
আমারও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। মুক্ত মনাতে মনে হয়না mkfaruk এর আগে এমন অদ্ভুত স্ব ঘোষিত মহা পণ্ডিতের আবির্ভাব ঘটেছে।
@অচেনা,
সহমত।
@ mkfaruk এবার দয়া করে অফ যান।
ইসলামের সংজ্ঞা অনুযায়ী আমি জন্মসূত্রেই কাফের। আমার ইহকাল থাকলেও আমার কোনো পরকাল নেই। কিন্তু আমি আমার পরকালকে নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে চাই। কারণ আমি ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছি যে খুন, ধর্ষণ সহ যত রকমের অপরাধ আছে সব করেও একজন মুসলমান শুধু ইসলামের জোরে বেহেশতে যেতে পারবে এবং আবারও বেহেশতের ৭০ জন হুরীর সঙ্গে সেক্স করতে পারবে। এই সুযোগ আমি হারাতে চাই না।
কিন্তু শর্ত হচ্ছে আমি ১৩ টা বিয়ে করতে চাই। দুজন দাসি রাখতে চাই, সেক্স করার জন্য। কারণ মুহম্মদের মতো ৩০ জন পুরুষের যৌনশক্তি আমার না থাকলেও অন্তত ১৫ জন পুরুষের শক্তি আমার আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই প্রতিরাতে কোনো শস্যক্ষেত্রই পতিত থাকবে না, গ্যারন্টি।
আছেন কি কোনো মুমিন মুসলমান ভাই, আমার এই শর্ত মেনে আমাকে মুসলমান হতে সাহায্য করবেন । তাদের বোন, বেটিকে আমার সাথে বিয়ে দেবেন ?
এখানে উল্লেখ্য যে, আমি ১৩টিই বিয়ে করতে চাই। কারণ মুহম্মদ বলেছে, তার আদর্শই মুসলমানদের আদর্শ। আমার আদর্শও হবে তাই। আমার টাকা পায়সার কোনো সমস্যা নাই। প্রত্যেক বউকে আলাদা বাড়ি দেবো। আছেন কি কোনো মুমিন ? আমাকে মুসলমান হওয়ার সুযোগ দিয়ে নিজের বেহেশতকে নিশ্চিত করার ?
মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় জিগিরে ধরেই নেয় যে অমুসলিমদের ওপর আক্রমন ও অত্যাচার তাদের ধর্মীয় ও নৈতিক অধিকার ও এতে কোন অন্যায় নেই, তাই এটা করা যেতেই পারে।
এটা পড়ে গা গুলিয়ে উঠলো।
ইসলাম, একটা অশিক্ষিত, বর্বর, নীচ এবং ছোটলোকদের ধর্ম।
@হৃদয়াকাশ,
আপনি যদি খৃষ্টানধর্ম সম্পর্কে পুরোপুরি জানতেন তাহলে কিন্তু আপনার এই কথা –
– পরিবর্তিত হয়ে হত-খৃষ্টান ধর্ম, একটা অশিক্ষিত, বর্বর, নীচ এবং ছোটলোকদের ধর্ম।
কারণ এই ধর্মের পাদ্রী-পুরোহিতগণ একসময় বেহেস্তের টিকিট অর্থের বিনিময়ে বিক্রি শুরু করেছিল। আর ঐ টিকিট ক্রয়কারীদেরকে পৃথিবীর যাবতীয় অপরাধ থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল।
নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে যে কেউ ঐ টিকিট বা ছাড়পত্র ক্রয় করে পৃথিবীর যাবতীয় অপরাধ ও পাপ থেকে মুক্ত হবে- যাজকগণের এই ঘোষণায় সমাজের বিত্তবান মানুষেরা তা ক্রয় করতে শুরু করেছিল এবং অধিক হারে জঘণ্যসব পাপ এবং অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। এটা কিন্তু খুব বেশীদিন আগেকার কথা না।
ধর্মের নামে মানবতা বিরোধী এই ঘোষণা সাধারণ ধর্মবিশ্বাসীদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিল। বিত্তহীন, নিপীড়িত সাধারণ ধর্ম বিশ্বাসীদেরকে গির্জা সর্বদাই এই ধারণা দিয়ে এসেছে যে, তাদের যাবতীয় দু:খ-কষ্ট ইহজগতে খোদার অভিপ্রায়। মানুষ গির্জার যে কোন আদেশ নির্দেশকে খোদার অমোঘ বাণী বলে বিশ্বাস করত এবং কোন প্রশ্ন করাকেও পাপ জ্ঞান করত। সুতরাং জ্ঞানহীন, নির্বোধ ঐ অত্যাচারীত জনগোষ্ঠী পরজগতে শান্তি পাবার আশায় ইহজগতের দু:খ-কষ্টকে তাদের ভাগ্যের লিখন বলে মেনে নিত। আর তারা খোদার কাছে অত্যাচারকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করত; আর জানত ন্যায়বিচারক খোদা পরকালে ঐ অত্যাচারীকে কঠিন শাস্তি দেবেন। কিন্তু বেহেস্তের টিকিট বিক্রির কারণে এখন তারা দেখল পরকালেও তাদের জন্যে কিছু নেই। বুঝুন তাদের অবস্থাটা, তাদের ক্ষোভ।
এই বেহেস্তের টিকিট বিক্রয়ের বিরুদ্ধে অবশ্য আনেক পরে উইটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক ড: মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, আর তার ফলশ্রুতিতেই খৃষ্টসমাজ আজ ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট এই দু’ভাগে বিভক্ত।
@mkfaruk,
কিন্তু খৃষ্টানদের এই সবই এখন অতীত। জ্ঞান- বুদ্ধি বাড়ার সংগে সংগে তারা নিজেদের মডারেট করে নিয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের অবস্থা কী ? তাদের পক্ষে কি কখনো মডারেট হওয়া সম্ভব ? না কোরান, হাদিস তাদের মডারেট হতে দেবে ? বেহেস্তে হুরীদের সংগে সেক্স করার লোভ একমাত্র ইসলামই দেখিয়েছে। আর এই লোভে পড়ে অধিকাংশ মুসলমানই এখনো মানুষ হতে পারলো না, তারা মুসলমানই রয়ে গেলো।
এই হাদিসটির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
@হৃদয়াকাশ,
বুখারি, ভলিউম-৭, বই-৭২, হাদিস-৭১৭ -হাদিসটির উত্তর আমি ভবঘুরের আর্টিকেলের জবাবে অলরেডী দিয়ে দিয়েছি।
@mkfaruk,
ভাইজান , আপনার একটা ভুল হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখানে কেউ খৃষ্টান ধর্মের সাফাই গাইতে আসি নি। এ সিরিজ নিবন্ধে প্রাসঙ্গিক ভাবেই খৃষ্টান ধর্মের কথা উঠে এসেছে, আর সেটাই স্বাভাবিক কারন মোহাম্মদ দাবী করে ধারাবাহিকতার সূত্রে তিনি হলেন যীশুর পর শেষ নবি। ইসলাম ধর্মের খারাপ বিষয়গুলোকে ডিফেন্ড করার জন্য খৃষ্টান ধর্মের খারাপ বিষয়গুলো উল্লেখ মানেই স্বীকার করে নেয়া যে ইসলামে ধর্মে অনেক খারাপ উপাদান আছে। আমরা কোন ধর্মেই আস্থা রাখি না, কারন প্রতিটি ধর্মই মনুষ্য রচিত, কোন কালেই কোন আল্লাহ বা ঈশ্বর তার বানী কারও মাধ্যমে দুনিয়াতে পাঠায় নি।
@ভবঘুরে,
কিছু কিছু পাঠক খুব কৌশলে আক্রোশবশত: পার্টিকুলার একটি ধর্মকে আক্রমণ করছে দেখে অন্য ধর্মের একটি উদাহরণ দিয়েছি, যেন এ ধরণের আক্রেশ বশত: কেউ কোন ধর্মকে আক্রমণ না করে। কোন বিষয় বুঝতে না পারলে যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা চাইতে পারে পাঠক , কিন্তু আক্রমণ কেন?
এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে ধর্ম খুবই সেনসেটিভ। না জেনে অকারণে মন্তব্য করা ঘৃণ্য একটা কাজ।
— এটা ব্যক্তিগত বিষয় সুতরাং আলোচনা বহিভূত।
আর ধর্মে বিশ্বাস না করলে এখানে সময় নষ্ট করছেন কেন? আর একজনকে ধর্মবিশ্বাস থেকে ফিরিয়ে দেবার জন্যে?—— কি দরকার?
আর এ কাজের জন্যে আপনাকে পৃথিবীর সব ধর্ম সম্পর্কে জানতে হবে-সংশ্লিষ্ট ধর্ম বোদ্ধাদের থেকেও বেশী। হতে হবে তুখোঁড় বাগ্মী। তারপর ধর্মের খুঁতগুলো ধরে একে একে এগিয়ে যেতে হবে।—-সত্যি বলতে কি আপনার লেখাতে এমন কোন গুণের খোঁজ আপনার মধ্যে আমি খুঁজে পাইনি।
আর্টিকেল লিখলে তাতে প্রশ্নকরার অবকাশ পাবে কেন লোকে? সম্ভাব্য কি প্রশ্ন হতে পারে তা জেনেই তো আর্টিকেল লেখা হবে- নাকি?
@mkfaruk,
কারো ধর্ম বিশ্বাস থেকে ফেরানোর ইচ্ছা আমাদের নেই। আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার । তা হলো প্রকৃত তথ্য জানানো। এসব জেনে শুনে কেউ যদি ধর্ম ত্যাগ করে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। মোহাম্মদ তার আজগুবি কিচ্ছা কাহিনী দিয়ে ১৪০০ বছর আগে কিছু আরবকে তার দলে টেনে দল ভারী করে তারা পরে বিভিন্ন দেশ জয় করে তাদের সেই উদ্ভট কিচ্ছা কাহিনী নামক ধর্মটাকে জোর করে বিভিন্ন দেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। যার জের আমাদেরকেও টানতে হচ্ছে। অমুসলিম দেশগুলো তর তর করে উপরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর আমরা দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। এর প্রধান কারন এই ইসলাম। মুসলিম ঘরে জন্ম গ্রহন করে প্রতিটি লোকের ওপর ভুতের মত চেপে বসে এই ইসলাম তার পর তাদেরকে সারাজীবন এই উদ্ভট মতবাদ বয়ে চলতে হয়। কিছু তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ তাদের মাথাগুলোকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। এগুলো চোখের সামনে দেখে চুপ থাকি কি করে ? আপনারা ইসলামি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অমুসলিম জাতিগোষ্টিকে অভিশাপ দেন, তাদের নিপাক কামনা করেন, তাদেরকে খুন করতে চান- অথচ এই আপনারাই আবার ইসলাম দিয়ে দেশ ও জাতিকে উন্নত করতে না পেরে সুযোগ পেলেই পাড়ি জমান ঐ সব কাফির মুশরিকদের দেশে উন্নত জীবন যাপনের আশায়। মুসলিম দেশগুলোতে কোন দুর্যোগ ঘটলে যখন হাজার হাজার লোক মারা যায়, মানুষ দুর্ভিক্ষ মহামারীর কবলে পড়ে , তখন সাহায্যের আশায় ঐ সব কাফির মুশরিকদের দেশেই যেয়ে ভিক্ষার থলি পাতেন। আত্মসম্মান বলে আছে কিছু আপনাদের ? আপনাদের লজ্জা করে না ?
বর্তমানে ইসলামই হলো সভ্যতার মূল সমস্যা, সেকারনেই ইসলাম নিয়ে এত লেখা লেখি। অন্য ধর্মের বিষদাঁত অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে। ইসলাম এখন তার বিষদাঁত বসাতে উদ্যত হয়েছে। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
আপনারা তো দূরের কথা দুনিয়ার কোন শক্তিই এটা পারবে না। এমনকি ন্বয়ং ইসলিসেরও এ ক্ষমতা নেই। এর কারন কি জানেন- সত্যের শক্তি অনেক বেশী।
@mkfaruk,
জনাব এমকে ফারুক সাহেব
নীচে একটি বিশ্বস্ত হাদিছ বোখারীর একটি রেফারেন্স দিলাম। আসুন এটার একটু বিশ্লেষন দিবেন কি ?
। এর অনুবাদ করেছেন মাওলানা আজিজুল হক।
আমাদেরকে কি তাহলে এখনো মেনে নিতে হবে যে সতিই সূর্য চলতে চলতে পশ্চিম দিকে ডুবে যায়?
নাকি বর্তমান বিজ্ঞান বিজ্ঞান বিশ্বাষ করতে হবে যে সূর্য পৃথিবী প্রদক্ষিন করেনা, বরং সূর্যকে পৃথিবী পদক্ষিন করে ।
মনে রাখতে হবে, নবিজীর বাক্যে অবিশ্বাষ তো দুরের কথা সামান্য সন্দেহ মনের মধ্যে আবির্ভূত হইলেই সে কাফের, তার জন্য কিন্তু অনন্ত কাল জাহান্নাম বাস।
তাহলে এখন কোনটা বিশ্বাষ করতে হবে?
আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় রহিলাম।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
উপরের হাদিসটি যে নবীজীর তা কি প্রমান করতে পারবেন? হাদিসের সঠিকতা কিভাবে বুঝতে হবে- তা আমি কোন এক মন্তব্যে করেছি দেখে নেন। আর বুখারীর হাদিস হলেই যে তা সঠিক তা কিন্তু নয়। আপনি মওলানা আকরাম খাঁর মুস্তফা চরিত বইটি পড়েন, দেখেন সেখানে কিভাবে তার সংগৃহীত হাদিস বাতিল করা হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন এসব হাদিস বুখারী কেন রেখেছেন? এটা বুঝতে হলে বোধ বুদ্ধি খাটাতে হবে। কোন কোর্টের জজ যখন বিচার করেন, কিসের ভিত্তিতে করেন? দেশে প্রচলিত যে আইন আছে তার ভিত্তিতে নয়-কি?। এই আইনের ধারায় তিনি সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেন। এখন উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ না থাকলে তিনি কি খুনীকেও আইন অনুযায়ী নির্দোষ রায় দেবেন না? বিষয়টি এমনই। বুখারী হাদিস সংগ্রহের একটা নিয়ম ফলো করেছিলেন, আর ঐ নিয়মের আওতায় আসা সব হাদিসই তিনি রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এখানে তার কিছু করার ছিল না।
@mkfaruk,
বুঝলাম, আপনি বুখারীর হাদিছ বিশ্বাষ করেন না। আপনার কি জানা আছে বর্তমান আলেম সম্প্রদায় যদি এ কথা জানতে পারে তা হলে আপনাকে “মুরতাদ” বলে এখনি ফতোয়া দিবে এবং মুরতাদের জন্য শরিয়তের কি বিধান তা কি জানেন?
যাক আপনি বুখারীর হাদিছ বিশ্বাষ করেন কিনা সেটা আপনার নতান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
তবে আমার এখন প্রশ্ন।
আপনি কোন কোন হাদিছ বিশ্বাষ করেন যেমন “সুনান আবু দাঊদ,মুছলিম,তিরমিজী” ইত্যাদি ?
নাকি একেবারে কোন হাদিছ ই বিশ্বাষ করেন না?
একটু পরিস্কার উত্তর দিয়া জানাবেন কি?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
অপ্রসঙ্গিক কথায় কেন যাচ্ছেন? এসব কথা প্রসঙ্গিক আর্টিকেলে দেব। এখানে যে আর্টিকেল নিয়ে কথা হচ্ছে ঐ আর্টিকেলের তথ্যের বিষয়ে বলেন।
@mkfaruk,
আপনি প্রলাপ বকেই চলেছেন। বুঝতে পারছেন যে আস্তে আস্তে মচকে যাচ্ছেন?
@ভবঘুরে,
মানুষকে সত্য জানানোর অধিকার কি আপনার আছে? যদি বলেন হ্যাঁ, তাহলে আপনি আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতি পাঠকদেরকে জানান। এটা কেন? এটা এই জন্যে যে,
ক). সকল তথ্য, যুক্তি- প্রমাণ এবং জ্ঞান নিয়ে জেসাস এসেছিল কিন্তু আপনি তাকে গ্রহণ করেননি। তাহলে আপনি তার থেকে কি বড় সত্য, কি বড় তথ্য জানাতে চান, তা আমাদের বূঝতে হবে না?
খ). সারা জীবন একটিও মিথ্যা বলেনি এমন একজনও সত্য নিয়ে এসেছিল। আপনি গ্রহণ করেননি। এ কারণেই আমাদের জানা দরকার আপনি তার থেকে বড় সত্যবাদী কিনা!
এসব না হলে আপনার ধর্ম সম্পর্কে সত্য কি- কোন কথা বলারই অধিকার আপনার নেই।
@mkfaruk,
আপনি রেফারেন্স ছাড়া গাও গ্রামে মোল্লাদের ওয়াজ করার মত নাগাড়ে ওয়াজ করে যাওয়াতে এখানকার পাঠকরা যে আপনাকে একটা ভাঁড় হিসাবে চিহ্নিত করেছে এটুকু বোঝার মত জ্ঞান কি আপনার আছে ?
@ভবঘুরে,
শুধু এই কারণেই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছি ঐটা দিয়ে কথা বলেন- আমরা শুনব। অন্যথায় আপনার নিজ ঠিকানা হেমায়েতপুর, পাবনা ফিরে যান।
@mkfaruk,
এটা এইজন্য যে উনি সত্য পরিচয় দিলে শান্তি প্রিয় মুসলিম রা উনার শান্তি নষ্ট তো করবেই, এছাড়াও উনি খুন হয়ে যেতে পারেন। আর উনার মনে হয় না আত্মহত্যা করার ইচ্ছে আছে। আপনার থাকলে গায়ে বোমা বেঁধে গিয়ে আত্মহত্যা করুন। কিছু কাফেরকে দোজখে পাঠানোর পবিত্র কাজটা সেরে নিজে সরাসরি জান্নাতে দাখিল হবেন, হুরদের সাতে মউজমাস্তি করবেন আহা কি আনন্দ।
@mkfaruk,
আপনার কথা শুনে আমি খুব মজা পাচ্ছি চালিয়ে জান ভাইজান। অনেকদিন বিনোদন মুলক কিছু জিনিসের খোঁজ পাই না। আপনি ভালই Entertain করতে পারেন 😛 ।
@mkfaruk,
জনাব ফারুক সাহেব,
আমি ভাই কোরান বুঝিনা। আমাকে একটু বুঝিয়ে দিবেন? উপরোক্ত আয়াতে বোল্ড করা বাক্যটির
“নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি তাহারই পক্ষ হইতে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
বক্তা কে?
কোরানে আল্লাহর বানীর মধ্যে ভূল বসতঃ নবিজী নিজের বানী মিশিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেননি তো?
আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় কিন্তু বসিয়া রহিলাম।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
বাক্যের আগে ‘বল’ শব্দটি উহ্য রয়েছে। অনুবাদটি হবে এমন-
আলিফ লাম রা , এটি এমন এক বই , যার আয়াতসমূহ নিখুত নির্ভুল (perfect) এবং এক মহাজ্ঞাণী সর্বজ্ঞ সত্বার পক্ষ হইতে সবিস্তার ব্যাখ্যা সহ বর্ণীত। যেনো তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বন্দেগী না কর। (বল) নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি তাহারই পক্ষ হইতে সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
এবার কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে?
@mkfaruk,
হায়,হায়, সর্বনাস!!
খুব বেশী দূরে যাওয়ার দরকার হবেনা। ঠিক এই আয়াতটির বোল্ড করা উপরি অংশটির দিকে কি মনোযোগ দিয়েছেন?
সেখানে আল্লাহ কি বলতেছেন? সেখানে তিনি নিজেই বলতেছেন”, এটি এমন এক বই , যার আয়াতসমূহ নিখুত নির্ভুল (perfect) এবং এক মহাজ্ঞাণী সর্বজ্ঞ সত্বার পক্ষ হইতে সবিস্তার ব্যাখ্যা সহ বর্ণীত।
আর ঠিক এরই পরবর্তি বাক্যটি বলতে গিয়ে তিনি কিনা ভূল বসতঃ “বল” শব্দ” টি বলতে বাদ দিয়ে বাক্যটিকে অসম্পূর্ণ বাক্যে পরিণত করে দিলেন?
এখানেই তো বাক্যের উপরি অংসের সংগে নীচের অংস সাংঘর্ষিক হয়ে গেল।
আর তাছাড়াও ওখানে যদি “বল” শব্দটি কোন মানুষ বসিয়ে চরম ক্ষমতাধর আল্লাহর অকাট্য বাক্য কে পূর্ণ বা সংষোধন করার চেষ্টা চালায় তাকে কি আল্লাহ কোনদিন ক্ষমা করবেন?
কার এমন সাহস আছে যে আল্লাহর বাক্যের পরে কিছু সংযোযন করবে?
আল্লাহর অকাট্য বানীর পরিবর্তন পরিবর্ধন করিলে তার মুসলমানিত্ব কি বজায় থাকিবে?
তাকে কি কেয়ামতের দিনে আল্লাহ জিজ্ঞালা করিবেননা যে কে তোমাকে আমার বানীতে পরিবর্ধন করতে বলেছিল,আমি এতই দুর্বল যে আমি আবার কিছু বলতে গিয়ে ভূল করে কিছু কিছু বাদ দিয়ে বলতে যাব ?
আমার একান্ত অনুরোধ আল্লাহর বাক্যের উপর নিজেরা মনগড়া কিছু বসাতে যাবেননা।
তাহলে হবেকি,যে আপনি এক জায়গায় আপনার সুবিধা মত একটা বসালেন,এবং আর একজনেও তার সুবিধা মত বলবে এখানে আর কিছু যোগ হতে বাদ আছে। এতে আল্লাহর বাক্য পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
আরো একটা পশ্ন , এধরনের ভূল করে বাদ যাওয়া শব্দ কোরানে আর কি পরিমান আছে?
আমাকে একটু জানাবেন?
আশা করি আপনি ব্যাপরটি বুঝতে পেরছেন।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি হয়ত: মুসলিম নন বিধায় আয়াত বুঝতে এমন অসুবিধায় পড়ছেন। কোরআনে অনেক জায়গায়ই আল্লাহ নিজেকে আমি না বলে আমরা বলেছেন। তাহলে কি বুঝতে হবে একাধিক খোদা? বিষয়টি বোঝার জন্যে জ্ঞান দরকার। কোন রাজা বাদশা যখন কোন ডিক্রি জারী করতেন তখন এমন আমরা ব্যবহার করতেন। কেন? রাজা কি একাধিক?
বিষয়টি এমনই।
@mkfaruk,
এত তাড়া তাড়ি কি করে বুঝলেন আমি হয়ত মুছলিম না। আমি তো আপনার চাইতে আরো বেশী জোরদার মুছলিম ও তো হতে পারি।
আমার মনে হয় আপনি কোন বিষয় যুক্তি সহ আলোচনা করতে চান না । শুধু আপনি যেটা ধারনা করেন, সেইটাকেই সঠিক বলে চালিয়ে দিতে চান।
এবার তা হলে আর একটা বিষয়ের ব্যাখ্যা দিবেন কি?
নীচের প্রথম আয়াতে আল্লাহ পরিস্কার ভাবে বলতেছেন,তিনি আগে যমীন সৃষ্টি করিয়া পরে আছমান সৃষ্টি করিয়াছেন।
আবার নীচের আয়াতে বলতেছেন, আগে আছমান সৃষ্টি করিয়া পরে যমিন সৃষ্টি করিয়াছেন।
দুইটি বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত মূখী হয়ে গেলনা?
দুইটা তো আর একসঙ্গে সঠিক হওয়া সম্ভব নয়। আপনি এর কোনটা কে সঠিক বলবেন?
নাকি বলবেন উভয়টাই সঠিক।
2:29
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি এত সামান্য বিষয় বুঝতে না পেরে ব্যাখ্যা চাচ্ছেন, তাহলে কোরআনের জটিল বিষয়গুলো কিভাবে বুঝবেন? এ বিষয়গুলো এখানে আলোচনার অযোগ্য। কোরআন কমপক্ষে একশতবার পড়েন তারপর আলোচনায় আসব।
এখন খুবই সহজ একটা প্রশ্ন আপনাকে করি -বলেন তো কোরআনে কেন পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মত বলা হয়েছে? এখনকার দুনিয়ার একটা শিশুও জানে পৃথিবী আকার উটপাখির ডিমের মত নয় বরং তা Oblate Spheroid.
এই প্রশ্নের উত্তর জেনে আসেন আগে (এটা বোঝার জন্যে উচ্চ শিক্ষার দরকার নেই।)- তাছাড়া আপনার সাথে কোরআন নিয়ে আলোচনা ফালতু প্যাচাল।
@mkfaruk,
উট পাখির ডিম ? হুম বোঝাই যাচ্ছে জোকার মিয়ার ভক্ত আপনি। শোনেন কোরানের সেই আয়াতটা ভাল করে পড়ুন, ওখানে জোকার মিয়ার ঘোড়ার ডিম আছে , উট পাখির না। কোরানের আরবী শব্দের অর্থ নিজের মত করে পাল্টিয়ে ফেললে তা ক্ষমার অযোগ্য গুণাহ এটা কি জানা আছে ? জোকার মিয়া এভাবে কোরানের অর্থ নিজের মন মত পাল্টিয়ে নিজের সর্বনাশ তো করেছেই, সেই সাথে আপনাদের মত কিছু অন্ধ বিশ্বাসীদেরকেও দোজখে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
জানেন তো – কোরানের আয়াতের অর্থ সুস্পষ্ট , যার কোন পরিবর্তন হবে না ? সুতরাং সাবধান!
@mkfaruk,
আপনি তো আমার দুইটি প্রশ্নের একটিরও উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে অন্য অপ্রাসংগিক কথা বার্তা বলে চলে গেলেন।
আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি আগ্রহী।তবে তার আগে আমাকে রেফারেন্স টা পেতে
হবে। আমাকে রেফারেন্সটা অর্থাৎ কোরানের ছুরা ও আয়াত নাম্বার দিতে হবে।
আপনি কি জানেন কোরানের কোথায় এটা আছে?
নাকি এটাও পূর্বের মত “বল” শব্দ উহ্য রাখার মত কোরানের কোন উহ্য স্থান হতে নিজে তৈরী করে বের করে আনলেন?
সাবধান এধরনের কাজে নামলে আল্লাহ তাদের কিন্তু কোন দিনও ক্ষমা করবেননা। একেবারে চিরকালের জন্য জাহান্নাম।
এবার তাহলে রেফারেন্সটা এক্ষুনি দিন। রেফারেন্স ছাড়া প্রস্ন করাটা নিয়ম বহির্ভূত।
অবশ্য আপনি আবার কোন নিয়ম কনুনের ধার ধারেন কিনা আমার সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
লক্ষ করুন, আমার প্রশ্ন গুলী ঠিক সবই রেফারেন্স সহ ছিল। একটিও আমি রেফারেন্স বিহীন প্রশ্ন করি নাই।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার প্রশ্নের ধরণ দেখে ঐ ধারণা করেছি অন্য কোন কারণে নয়। আর আমি গরু ভক্ষণকারী নামকাওয়াস্তে মুসলিম। ধর্মকর্ম করা হয় না আগেই বলেছি।
@mkfaruk,
আমি কি কোন অবান্তর প্রশ্ন করেছি?
একই আয়াতের উপরাংশে আল্লাহ নিজে বলতেছেন “তার বানী নিখুৎ ওপরিপূর্ণ”
আর তার ঠিক নীচের অংশটিই একটি অপরিপূর্ণ বাক্য,যা আপনাদের কে “বল”
শব্দ বসিয়ে পরিপূর্ণ করতে হচ্ছে।
আল্লাহ কে এতই অক্ষম বানিয়ে ছাড়লেন যে তার বাক্য পরিপূর্ণ করতে আপনাদের মত ক্ষুদ্র মানুষের প্রয়োজন হয়?
আল্লাহ তো মোটেই অক্ষম নয়।
এটা কি একটি প্রশ্নযোগ্য বিষয় নয়?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আয়াতটা আপনিই উল্লেখ করে আমাকে প্রশ্ন রেখেছেন। এ কারণেই আমি পুন:রায় উল্লেখ করিনি। এটা ৭৯:৩০
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি আসলেই খুব দ্রুত কোরানের কেরামতি ধরে ফেলেছেন। আপনি যথার্থই ধরেছেন যে মোহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন বলে তার কোরানের বানী বলতে গিয়ে সঠিক বাক্য রীতি অনুসরণ করতে পারেন নি। যে কারনে কোরানের বক্তা আল্লাহ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে আল্লাহ নিজেকে প্রথম পুরুষ, দ্বিতীয় পুরুষ ও তৃতীয় পুরুষ (1st, 2nd and 3rd person) ব্যবহার করেছেন। এর অর্থ – মোহাম্মদ বানিয়ে বানিয়ে বলতে গিয়ে কোথায় এসব সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে তা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এ নিয়ে ইসলামী পন্ডিতদেরকে প্রশ্ন করলে তারা উত্তর দেয় এটাই নাকি আরবী ব্যকরণ রীতি। আসল বিষয় হলো – পরবর্তীতে ইসলামী খলিফারা বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা ডিক্রী জারি করে কোরানে যে রীতি চালু আছে হুবহু সেটাই অনরসরণ করতে হবে। সে কারনেই আরবী ভাষার ব্যকরণ এভাবেই নাকি আছে।
@ভবঘুরে,
হা হা হা ,আনন্দিত।
কি আর করি ভাইজান বলুন তো? এমকে ফারুক সাহেবকে সঠিক বিষয় বস্তুটি আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে ধরিয়ে চাক্ষুষ দেখিয়ে দিচ্ছি, এর পরেও কেমন যেন উনি সঠিক বস্তুটি ধরতেই পারতেছেনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ধরতে উনি ঠিকই পারছেন, খালি পাকাল মাছের মত সরে যাচ্ছেন। যুক্তি যেখানে অনুপস্থিত সেখানে এ ছাড়া উপায় কি ?
@ভবঘুরে,
আমি তো আপনাকে গ্রহণ করব না একথা বলছি নে। কিন্তু হাইস্কূলের ছাত্র কি প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রের জ্ঞান নেবে? আপনি আমাকে কেবল আপনার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম এবং কোন কোন বিষয়ে পিএইচডি করেছেন সেটা জানান। আপনার থিসিস পেপারের উপর ভিত্তি করে আমি সিদ্ধান্ত নেব।
@mkfaruk, অন্য ধর্মের বিপক্ষে তো ভালই বললেন এবার ইসলাম নিয়ে কিছু বলুন …নাকি এবেলা আপনি তেমন চোখে দেখেন না…।
@mkfaruk,
হ্যাঁ আর সেই জন্যেই ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রটেস্টান্ট খ্রিষ্টান সম্প্রদায় জন্ম নেয় আর পরে প্রতি সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু ভাল ক্যাথলিক পরে চার্চের সংস্কার করেন বলেই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মমত টি রক্ষা পায়।
http://en.wikipedia.org/wiki/Protestant_Reformation
আপনার ধর্মটিকে অমানবিক থেকে মানবিক রূপ দিতে তো কোন ধর্ম সংস্কার আন্দোলন হয় নি।
@ভবঘুরে
আয়াতটির একেবারে বাস্তব সম্মত ব্যখ্যা দিয়েছেন। এটা আমার মাথায় ও আসে নাই। ইসলামিক লাইনটাই তো জ্ঞ্যন বিজ্ঞান বলতে শুধু মাত্র কোরান,হাদিছ শিক্ষা করা। আর কিছুই প্রয়োজন নাই।
আপনার এই ব্যাখ্যাটা কোরানের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিস্কার করে ফেলেছে।
ধন্যবাদ
@Masud,
“””এই
মুহূর্তে আপনিযেমন
নিজের “আমি”-
কে দাবি করছেন,
ঘুমের ভীতরে তাই
দাবি করার
চেষ্টা করেন।
সাধনা করেন।
ভিতরের “আমি”
আর বাহিরের
“আমি”-র
রাস্তা নির্ণয়
করেন,
উপলদ্ধি করেন।”””
ভাই, এসব ফালতু প্যাচাল পাইরা কিছু ধর্মান্ধ মানুষের অন্ধ বিশ্বাসকে হয়তো পাকা পোক্ত করতে পারবেন!! কিন্তু আমাদের মত মুক্ত চিন্তাধারার মানুষের মতে “স্রষ্টা” নামক কাল্পনিকতাকে ডুকাইতে পারবেন না….
“””ছন্নছাড়া
বাতাসে উইড়েন না।
মাটিতে নামেন,
তারপর কথা বলেন।
অন্তরের সমস্ত
কু-প্রবৃত্তির
দরজাগুলো বন্ধ
করেন, নিজের
ধৈর্য কতটুকু মাপার
চেষ্টা করেন। দেখুন,
এইটা বাস্তবায়ন
করাতে কেমন লাগে?
এবং এটা বাস্তবায়ন
করার
শক্তি আপনাদের
নেই বলেই
বলা হয়েছে”””
(!!!!!!) 😀 😀 😀 ভাই, আরো কিছু বলেন… দৈনন্দিন জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার কথাগুলো আমার চিত্তে যথেষ্ট হাস্যরসের খোরাক যোগায়….. সোজা বাংলায় বলছি, আপনার এই আবেগতাড়িত কথাবার্তা শোনার জন্য আমরা মুক্তমনায় আসি না…. দয়া করে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন…. আপনার যদি আপনার আল্লার প্রতি এতটাই বিশ্বাস থাকে, তাহলে আসুন না যুক্তি নিয়ে, দেখান প্রমান…. আমিও দেখতে চাই, আল্লার বান্দার “নিজের বিশ্বাসকে সত্য প্রমান করার ক্ষমতা” কতটুকু…..
@ধূসর বালক,
জেসাসের কোন কথায় যুক্তি ছিল না? আপনি কি তার সত্যকে গ্রহণ করেছেন? ভাইজান, সত্যকে গ্রহণ করতে হলে দরকার সাহস, থাকা দরকার যথেষ্ট বোধ।
@mkfaruk, যে কোন ধর্মের কোন যুক্তি নেই… আপনি জেসাসের কথা বলছেন কেন আমরা যে কোন ধর্মের বিপক্ষে…। আর সত্য গ্রহনের সাহস আমাদের আছে না হলে দজখের ভয়ে আপনার মত আমরাও এতদিন তসবিজুক্তি…।যুক্তিহিন ধর্ম না মানার সাহস টা আমরাই দেখিয়েছি …।।আপনি ই এখন ভয়ে কাবু…।উন্মাদ ইশ্বরের মুগুরের ভয়ে ধর্ম এখন ধরে আছেন তাই সাহস কি সেটা আমরা ভালই জানি…।ধন্যবাদ
@সাগর, আমরাও এতদিন তসবি জপতাম
@Masud,
“””ইসলামের
বিরুদ্ধে মুক্ত-মনায়
এই পর্যন্ত যা লিখা
হয়েছে(যেখান
থেকে ধার
করা হয়েছে)
তা জানা এবং যা
এখনও লিখা হয়নি তাও জানা আর ইসলামের
পক্কে যেগুলো
কোনদিনই
লিখা হবে না, তাও
জানা।”””
(!!!!!!!!) এই টাইপের মানুষগুলার কথা শুনতে দারুন মজা লাগে। এরা কি কইতাছে তা তারা নিজেই বুঝে না… “আর তারা যে বুঝে না”, এই কথাটাও তারা বুঝে না… 😀
“””ইসলামের
বিরুদ্ধে এই
সাইটে যা লিখা
হয়েছে তা
বেশিরভাগ বিকৃত
এবং বিদ্বেষমূলক।”””
ভাই কিচু প্রমান দেন, কিচু রেফারেন্স দেন… এইখানে যে রেফারেন্সগুলা দেওয়া আছে সেইগুলারে ভুল প্রমান করেন… তারপর বইলেন এই সাইটে যা আছে তা “বিকৃত”… হুদাই প্যাচাল পারেন ক্যান….
“””খুদাভিরুরা নিজের সাথে বুঝেই ইসলাম-কে গ্রহণ করে।”””
হহহহহ….. যেমনডা আপনে করছেন….. কি যে বুঝছেন, তার নমুনা তো দেকাইলেনই….
“””‘সত্য’-কে কেউ
চিনিয়ে দিতে পারে
না, এটা নিজেরই
অর্জন করতে হয়।”””
ডাহা মিথ্যা কথা… আপনি যদি মিথ্যাকে সত্য ভেবে অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে বসে থাকেন, তাহলে তো অন্য কাউকেই এই “সত্য” চিনিয়ে দেওয়ার কাজটা করতে হবে….তাই না?
@ধূসর বালক,
দারুন মন্তব্য। কোরানের নিচের আয়াতটা দেখুন-
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। 3:7
দেখুন বলছে যারা জ্ঞানে সুগভীর অর্থাৎ যারা বিশাল জ্ঞানী তাদের লক্ষন হলো- আল্লাহর সব আয়াতের প্রতি তথা মোহাম্মদের ব্যপারে প্রশ্ন করা ব্যতিরেকে বিশ্বাস স্থাপন করা। সুতরাং যারা প্রশ্ন করে কিছু জানতে চায় তারা হলো মহামূর্খই নয় , বরং ইসলামের শত্রু ও ফিতনা সৃষ্টিকারী। অথচ মানব সভ্যতা আজ যে জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অভাবনীয় উন্নতি করেছে তা সম্ভব হয়েছে মানুষের জানার কৌতুহল তথা প্রশ্ন করার মধ্য দিয়ে। যার সোজা অর্থ ইসলাম কোন মতেই জ্ঞান চর্চাকে সমর্থন করে না। আর যে সমাজ জ্ঞান চর্চাকে সমর্থন করে না তাদের পরিনতি কি তা ভালমতোই বোধগম্য। সেটা কিন্তু আমরা মুসলিম প্রধান দেশ গুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারি।
এ ব্যপারে ইসলামি পন্ডিতদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা সুন্দর উত্তর দেয়, তা হলো- জিজ্ঞেস করা যাবে তবে তা পরিপূর্ণ ইমান সহকারে। ইমান মানে হলো সেই আগের শর্তটি পূরণ করা অর্থাৎ সব কিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করেই জিজ্ঞেস করা যাবে যার অর্থ আসলে কোন কিছু নিয়েই প্রশ্ন করা যাবে না। এটা অনেকটা একজন মানুষকে হাত পা বেধে নদীর মাঝখানে ছেড়ে দিয়ে সাতরে পার হয়ে যেতে নির্দেশ দেয়া।
মোহাম্মদ তো কাজটা ঠিক করলো না..!!! নিজে বিয়া করলো ১৩ টা, আর আমাগো ভাগে দিলো মাত্র ৪ টা!!! :-@ এইটা চরম অবিচার!!! জাতির আমপাবলিকের কাছে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্চি… ;D ;D ;D ;D ;D
ভবঘুরে ভাই, কোরান থেকে আর রেফারেন্স দিয়েন না প্লিচচচ… ;P হাদিস থেকে রেফারেন্স দিসেন, তাই আল্লার বান্দায় হাদিসরে অবিশ্বাস করতাচে..!!! কোরান থ্যাইকা আরো রেফারেন্স দিলে তো শ্যাষে কোরানরেও অবিশ্বাস করবো…!!! 😀 😀 এমনিতেই আল্লার বান্দায় কয়দিন ধইরা কিয়ামতের-জাহান্নামের(!!) ঠ্রেট দিতাছে.. বহুত টেনশুনে আচি.. 🙁 কবে যানি আল্লার বান্দায় আমাগো ধাক্কা মাইরা জাহান্নামে(!!) ফ্যালাইয়া দেয়.. :O ;D ;D
অসাধারন লেখা !ধন্যবাদ লেখক ।
আপনার প্রবন্ধ হতে:
এটা ইসলামিক পন্ডিতদের অযৌক্তিক ব্যাখ্যা। আর যদি ঐ অংস টুকুকে তৎকালীন সাময়িক প্রয়োজনের জন্য মেনে নেওয়া হয় তাহলে আরো অনেক বড় প্রশ্ন এসে যাবে।
তাহল,
যেহেতু, কোরানে অনেক ব্যকরনিক অশুদ্ধতা,এক বাক্যের সংগে অন্য বাক্যের সংঘর্ষ এবং অনেক বিজ্ঞ্যান বিরোধী কথা বার্তা রয়েছে কাজেই গোটা কোরানটাই শুধু মাত্র তৎকালীন একমাত্র বর্বর আরব জাতির জন্যই তাদের তৎকালীন সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতের কারনে এসেছিল।
অন্য দেশের অন্য যুগের পরিপ্রেক্ষিতের জন্য এটার (কোরান) আর কার্যকরিতা নাই।
কাজেই কোরানের কোন অংশকেই কোন যুগের জন্যই কারো পক্ষেই অকার্যকর বলার কোনই উপায় নাই।
কাজেই, বরং কোরানে যেখানে যা কিছুই আছে তাই ই সেই ভাবে কেয়ামত পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে হবে, এবং মিঃ লাদেনরাও শহিদী আত্মঘাতি আক্রমন অব্যাহত রাখতে থাকবে।
এর বিকল্প আর কিছু নাই।
আমি বানিয়ে বলছিনা। এটা প্রায় নিত্যদিনের বাস্তব ঘটনা।
ধন্যবাদ
এখানে যথেষ্ট ইসলামিক পন্ডিত গন রয়েছেন।
কোরানের এই আয়াত রহিত হয় নাই। আল্লাহর অবতীর্ন বানী রহিত করার ক্ষমতা রাখেন একমাত্র আল্লাহই। আর নবী ও কোন হাদিছ দ্বারা রহিত হওয়ার ইঙ্গিত দেন নাই। এর পরে আর কারো কোন অধিকার নাই কোরানের সামান্য একটি অক্ষরও রদ বদল করার,তাই সে যত বড়ই পন্ডিত ব্যক্তি হউন না কেন।
আর তাছাড়া কেহ এ কাজ করতে গেলে অন্য পন্ডিৎরা এটা মেনে নিবেননা তো। বরং তাকে কাফের আখ্যা দিবেন।
অতএব কোরানে যা কিছু আছে তা কেয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় বিদ্যমান থাকিবে-কারুরই রদ বদল করার ক্ষমতা নাই।
যদি কেহ কোরানের এই আয়াতের নির্দেশ কে অনুসরন করে আত্মঘাতি সেজে হত্যা যজ্ঞ্য আরম্ভ করেন তবে তিনি কোরানের নির্দেশকে আরো জোরালো ভাবে পালন করিলেন।
আর শুধু তাইনয় সারা বিশ্বের ইমামগন,আলেমগন,ইসলামিক পন্ডিতগন একযোগে তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাবেন ও তাকে রক্ষার জন্য শোভাযাত্রাও বের করবেন।
প্রমান চান?
প্রায় প্রতিদিনই আমাদের চোখের সামনে যত আত্মঘাতি আক্রমন গুলো ঘটতেছে,এরা সবাই কোরানের নির্দেশ অনুসারে শহীদ হয়ে সাথে সাথে বেহেশত পাওয়ার আশায় করতেছে,এবং এ ব্যাপারে এপর্যন্ত কোন ইসলামিক গোষ্ঠির পক্ষ হইতে কোন প্রতিবাদ ও আসে নাই। বরং তাদের জন্য মসজিদে মসজিদে প্রার্থনা করা হচ্ছে।
কত বড় ভয়ংকর কথা !!!
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
বাস্তবে যে সব মুসলমানরা আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছে, তারা তো ঠিক একাজটাই করছে। আর কোরান হাদিস অনুসারে তারাই ১০০% পারফেক্ট মুসলমান। কিন্তু বুঝি না কেন সাধারণ মুসলমানরা তাদেরকে বলে যে তারা ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে।
এর পরেও কি বুঝতে অসুবিধা আছে যে ইসলাম সত্যিই যারা ভাল জানে, বোঝে ও মনে প্রানে বিশ্বাস করে তারা আসলে কেমন? এর পর আমার প্রশ্ন- ইসলাম কি শান্তির ধর্ম ???
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মি: ভবঘুরে সুপরিকল্পিতভাবে (৩:৭) আয়াতটি নাযিল হওয়ার কারণ গোপন করাতে আপনাদের আয়াতটি বুঝতে অসুবিধা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
একবার হুইয়া বিন আখতাব নামক এক ইহুদি সূরা বাকারার প্রারম্ভের খন্ড বর্ণমালা আলিফ, লাম, মীম -এই অক্ষরগুলোর পাঠ শুনে বলল, ‘আবজাদের হিসেব অনুযায়ী এই অক্ষরগুলোতে মুহম্মদী ধর্মের স্থায়িত্বকালের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।’
সে মুহম্মদের কাছে আগমনপূর্বক বলল, ‘আপনার পূর্বে বহু নবী পাঠান হয়েছে, কিন্তু আপনাকে ব্যতিত আল্লাহ আর কাউকেও রাজ্যের আয়ূ ও উম্মতের দানাপানির সময় সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেননি।’
হুইয়া বলল, ‘আলিফ-এক, লাম-ত্রিশ, মিম-চল্লিশ -মোট একাত্তুর বৎসর এই ধর্মের স্থায়িত্বকাল। সুতরাং এমন সংকীর্ণ ধর্মে কোন জ্ঞানী সম্পৃক্ত হতে পারে না।’
অতঃপর সে বলল, ‘হে মুহম্মদ! এই ধরণের আরও কোন শব্দ আপনার কোরআনে আছে কি?’
তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আলিফ, লাম, মিম, ছোয়াদ।’
সে বলল, ‘এবার কিছু সময় বেড়ে যাবে। ‘আলিফ-এক, লাম- ত্রিশ, মিম-চল্লিশ, ছোয়াদ-নব্বুই- মোট এক‘শ একষট্টি বৎসর।’
মুহম্মদ বললেন, ‘আরও আছে। আলিফ, লাম, রা।’
সে বলল, ‘এবার আরও বেড়ে গেল। আলিফ-এক, লাম- ত্রিশ, রা-দু‘শ-মোট দু‘শ একত্রিশ বৎসর।’
মুহম্মদ এবার হেসে ফেললেন, বললেন, ‘আরও আছে আলিফ, লাম, মিম, রা।
এতে সে গম্ভীর হয়ে বলল, ‘আপনার ধর্ম বা আপনার উম্মতের আয়ূস্কাল সম্বন্ধে কিছুই বুঝতে পারলাম না।’
এর পরেই এই (৩:৭) আয়াতটি নাযিল হয়। এখনকি বূঝতে খুব অসুবিধা হচ্ছে?
@mkfaruk,
এখানেও যে গল্পটি আপনি ফাদলেন তার উৎসটি কি ভাই ? আপনার তো দেখছি গল্প বলার অভ্যাসটা ভালই। ভাই , ধর্ম নিয়ে আলোচনা সমালোচনায় আমরা নিজের মনগড়া গল্প একেবারেই পছন্দ করি না। উপযুক্ত রেফারেন্স ছাড়া এ ধরনের গল্পকে কেন মডারেটর ছাড় পত্র দিচ্ছে সেটা তো বুঝতে পারছি না। তবে ভাইজান, আপনার স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে – ওয়াজ করার অভ্যাস আছে আপনার। কিন্তু মুসকিল হলো এখানে আমরা আবার ওয়াজ শুনতে বিরক্ত বোধ করি।
@ মডারেটর,
উপযুক্ত রেফারেন্স ছাড়া এ ধরনের গাল গল্প এভাবে ঢালাওভাবে মুক্তমনাতে প্রকাশ মনে হয় মুক্তমনার নীতি বিরোধী, বিষয়টি আপনাদের দৃষ্টি গোচর করলাম।
@ভবঘুরে,
আমি কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা করতে মনগড়া গল্প ফাঁদব এটা আপনি ভাবলেন কি করে! এ ধরণের কাজ তো চরম ঘৃণ্য।
আমি এ পর্যন্ত যত তথ্য উপস্থাপন করেছি তার প্রত্যেকটির উপযুক্ত রেফারেন্স আছে। কেন আমি সেইসব রেফারেন্স উল্লেখ করিনি তা তো আমি আগেই বলেছি। আমি ধরে নিয়েছি যারা এখানে কোরআনের মত কিতাবের সমালোচনা করছেন, তারা অবশ্যই মোটামুটি জানেন। আর রেফারেন্স কখন দরকার হয় তা-কি আপনি জানেন না?
রেফারেন্স তখনই দরকার যখন তথ্যের উপস্থাপনায় সাবলীলতা থাকে না এবং যুক্তির ঘাটতি থাকে- যা পাঠে সাধারণ পাঠকের তাৎক্ষণিক বিশ্বাসে আঘাত হানে। অবশ্য আরও কারণ আছে।
যাহোক, আমি তো আগেই বলেছি ইসলাম সম্পর্কে আমি মোটমুটি জানি। আমার উপরের ঐ (৩:৭) আয়াত অবতরণের ব্যাখ্যাটি প্রচুর তথ্য বহুল, কেউ কি মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করেছেন?
কেউ কি আয়াতটি অবতরণের অন্যকোন ব্যাখ্যা জানেন? কেউ কি আমাকে মিথ্যেবাদী প্রমান করতে চ্যালেঞ্জ করতে চান??
@mkfaruk,
ভাইজান, বার বার বলছি উক্ত তথ্যের রেফারেন্সগুলো আমরা জানি না। এমনকি এখানে যত পাঠক আছে তারাও জানেন কি না সন্দেহ। আমরা উন্মুখ হয়ে আছি আপনার কাছ থেকে রেফারেন্স জানার জন্য। কিন্তু আপনি বার বার একই কাসুন্দি গেয়ে চলেছেন। আপনি কেন রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করছেন না? আপনি কি চান আমরা ভুল পথে গিয়ে গোমরাহ করি ? আপনি কি চান না আমরা সঠিক পথে চলি ? আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় ভুল পথে চলা মানুষগুলোকে সঠিক পথ দেখানো যার প্রানান্তকর চেষ্টা আপনার মধ্যে লক্ষ্যণীয়, তাহলে তো উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রেফারেন্সগুলো এখানে উল্লেখ করা।
@ভবঘুরে,
আপনি যে পথেই থাকেন আমি চাইনা ইসলামের পথে আসেন। কারণ আপনি এই হাদিস —
দেখে মুহম্মদের কাছ থেকে অপরাধ করার লাইসেন্স নিয়ে তারপর চুরি, ডাকাতি করে বা ব্যভিচার করে, শরিয়তী শাস্তিতে হাত বা পা হারিয়ে খঞ্জ হয়ে বসে থাকেন বা নুড়ি পাথরের আঘাতে আঘাতে পরপারে চলে যান।
সত্যি বলতে কি-আপনার হাত পা কাটার দৃশ্য বা মাটিতে অর্ধেক পুঁতে নুঁড়ি পাথর ছুঁড়ে আপনার মৃত্যু দৃশ্য আমার দেখতে ভাল লাগবে না।
@mkfaruk,
এখন সত্যি সত্যি কিন্তু আপনার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে। আপনি কি মনে করেন চুরি ও ব্যভিচার করে সবাই ধরা পড়ে ও বিচারের সম্মুখীন হয় ? মূলত এদেরকে লক্ষ্য করেই উক্ত হাদিস মোহাম্মদ বর্ণনা করে। এছাড়া এটাও বোঝা যাচ্ছে- আপনি হাত-পা, কল্লা কাটা, পাথর ছুড়ে হত্যা এসব শাস্তিকে সমর্থনও করেন। তাহলে এটাই হলো আপনার আসল পরিচয়?
@ভবঘুরে,
একশ ভাগ সমর্থন করি। শুধু তাই নয় এর থেকেও জঘন্যতম কোন শাস্তি থাকলে আমি তার পক্ষেই থাকতাম। কারণ আমি চুরি, ডাকাতি, ব্যাভিচার এবং মানুষ হত্যা চরমভাবে ঘৃণা করি। এ কাজগুলো খোদার কাছেও ঘৃণ্য, আর এটাই বোঝাতে এই ধরণের নিকৃষ্টতম শাস্তি নির্ধারণ করেছেন তিনি। যেন মানুষ এই ধরণের অপরাধের কাছে না যায়। তবে মনে রাখতে হবে এই নিকৃষ্ট শাস্তি শুধু মুসলিমদের জন্যে প্রযোগ্য অন্যদের জন্যে নয়। কারণ তারা সত্য জানে না।
@mkfaruk,
ভাইজান সত্যই মুমিন বান্দা, আমার আর কোন সন্দেহ নাই। ভাই একটা কথা,আপনার স্ত্রী যদি আপনার সাথে প্রতারণা করে অন্যের সাথে ব্যভিচার করেন, আপনি তো সোজাসুজি তাকে ডিভোর্স দিতে পারেন। আপনার বেলাতেও একই ব্যাপার খাটে , মানে আপনি একই অপরাধ করলে আপনার স্ত্রীও আপনাকে ডিভোর্স দিতে পারেন, সোজা সমাধান ।কাজেই পাথর ছুঁড়ে মারার দরকারটা কি আর কেনই বা সমর্থন করেন জানতে পারি কি?
@mkfaruk, যাক আপনার মহানবি যে নুন ইয়া পর্যন্ত যান নি তার জন্য ধন্যবাদ…।।আর ব্যাখ্যা টা জতিল হয়েছে……
আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না।
এখানে অনেক ইসলামিক পন্ডিত উপস্থিত আছেন।
উপরোল্লিত আয়াৎটি অতিশয় গুরুত্ব বহন করিতেছে। এখানে আল্লাহ নিজেই কোরান কে পরিস্কার ভাবে দুই খন্ডে বিভক্ত করে দিয়েছেন। এর এক খন্ড বিশ্বের মানব জাতিকে সঠিক ভাবে বুঝবার ক্ষমতা দিয়েছেন যে খন্ডটি মানব জাতিকে বুঝে তদনুসারে জীবন ব্যবস্থা পরিচালিত করতে হবে। এবং দ্বিতীয় খন্ডডির সঠিক অর্থ একমাত্র আল্লাহ নিজেই জানেন।সেটা মানুষের বুঝার ক্ষমতার বাইরে অর্থাৎ সেগুলী মানুষের বুঝার চেষ্টাওকরা উচিৎ নয়, কারন তাতে মানুষেরা ভূল বুঝে বিপথে চলে যেতে পারে
আর দুঃখের বিষয় হল, যার উপর এই কোরান অবতীর্ণ হয়েছে সেই নবিজী ও আল্লাহ কাছ থেকে জেনে নিয়ে এই বিভাজনটা তার উম্মতদেরকে অবগত করাইয়া যান নাই।
এর অর্থ এটাই দাড়াল যে, আজ মুসলমানেরা কোরানের নিষিদ্ধ অংশ টুকুও চর্চার আওতায় এনে ফেলেছে। যেটা আল্লাহর মোটেই কাম্য নয়।
হায়,হায়,সর্বনাস!!!
আল্লাহর অনাকাঙ্খিত বিষয়ের উপর চর্চা চালালে তো ধংস অনিবার্য।
এখন উপায় কি?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাল বলেছেন। আসলেই ধ্বংস অনিবার্য আর সেকারনেই বর্তমানে অনেকেই হাদিসকে অবিশ্বাস করতে শুরু করেছে যা আজ থেকে ৫/৭ বছর আগেও দেখা যায় নি, ভবিষ্যতে এমনদিন আসবে যখন কোরানের প্রতিও বিশ্বাস হারাবে। সুতরাং ধ্বংস ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। সত্যের আগমন ঘটেছে , অন্ধকার দুরীভুত হবেই।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, এই আয়াত গুলো হলো সব সমস্যার সমাধান. Science যা আবিষ্কার করবে তা সব ঐ আয়াত গুলোতে লেখা আাছে, সমস্যা হলো আয়াত গুলো অথর্ বের হয় আবিষ্কার এর পর..
😛 😛 😛 😛 😛 😛 😛
@আম্মান,
আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না।০৯:০৬
ভাল করে দেখুন আসলে উদারতা দেখানো হয় নি। বলছে- যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এর অর্থ কি ? এর অর্থ হলো এক সময় তারাও ইসলাম গ্রহন করবে ও তাদেরকে একটু সময় দেয়া। আপনাকে কিন্তু মোহাম্মদের আসল লক্ষ্য বুঝতে হবে তাহলে বিষয়টা পরিস্কার হবে। তা হলো – রোমান বা পারস্যের মত একটা আরব সাম্রাজ্য বা নিদেন পক্ষে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। সেটা করতে গিয়ে তিনি তার ইসলাম আমদানী করেন। সে কাজ করতে হলে তার দরকার কুরাইশদেরকে যাদেরকে মুশরিক বলা হচ্ছে। এই কুরাইশরাই হলো তার আত্মীয় স্বজন, বংশ, গোষ্ঠি। এদেরকে মেরে কেটে সাফ করলে রাজ্য চালাবে কে ? তার তো নিজস্ব লোক দরকার , তাই না ? সুতরাং তাদেরকে জোর করে , দরকারে কিছুটা উদারতা দেখিয়ে দলে টানাই তার মূল লক্ষ্য। যে কারনেই তিনি কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর কোন গনহত্যা চালান নি। কিন্তু ঠিক একই নীতি তিনি ইহুদি ও খৃষ্টানদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন নি। কেন ? কারন তারা তার বংশধর নয়, তাই তাদের বিশ্বাস করা যায় না। তাই দেখবেন মক্কা বিজয়ের পর গণহারে হত্যা না করার যে মহানুভবতা তার প্রতি আরোপ করা হয় , মাত্র ৬ মাস যায় নি , তিনি তার অবস্থান থেকে সরে গিয়ে মক্কা ও মদিনায় যত ইহুদি খৃষ্টান ছিল সবাইকে হয় ইসলাম গ্রহণ না হয় চলে যেতে নির্দেশ দেন। এটা ছিল তাদের মাতৃভূমি বংশ পরম্পরায় তারা সেখানে বাস করত , কিন্তু তারা ইসলাম গ্রহণ করে নি বলে মোহাম্মদ তাদেরকে উচ্ছেদ করে দেন। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
গবেষণামূলক লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়ে আমার চিন্তাগুলো এলোমেলো হয়ে গেলো। কিছু প্রশ্ন মনে উকি দিচ্ছে……….
আপনি আ ত-তাওবা, ০৯: ০৫ উল্লেখ করলেন কিন্তু পরের আয়াতের দিকে লক্ষ্য করুন সেখানে আবার উদারতা দেখানো হয়েছে। এভাবে অনেক আয়াত রয়েছে যা পরস্পর বিরোধী। আবার হাদিস গুলো লেখা হয়েছে আমার জানা মতে নবী্ মারা যাবার ৩০০ বছর পরে তাও আবার নবী্র শত্রু পক্ষের শাষনকালে। তখন কি আসল সত্য জানা সম্ভব ছিলো। কারন মাত্র ৪০ বসরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা প্রপাগানডা চালু হয়েছে অথচ শেখ বংশ ক্ষমতায় আছে। তাই আমার মনে হয় নবীর কাজ, চিন্তা, সততা নিয়ে পোসটমরটেম সম্ভব না। আবার বিধাতা আছেন তারো কোন স্পস্ট প্রমান পাইনি। তাই নিজের মাঝে নিজে বিভাজিত হচ্চি। জানিনা সঠিক জ্ঞান কবে পাবো? :-s
@আম্মান,
গবেষণা মূলক লেখা সম্পর্কে আপনারকি কোন ধারণা আছে? না থাকলে দুই বা ততোধিক বিষয়ে পিএইডি আছে এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন।
আর্টিকেল তখনই গবেষণামূলক হবে, যখন তা রেফরেন্স সমৃদ্ধ তথ্যবহুল এবং তা একটি নতুন ধারণার দিক উম্মোচিত করবে।
ভবঘুরের আর্টিকেলটি যে কোন আর্টিকেলই হয়নি তা জানতে এখানে আমার সমস্ত মন্তব্যগুলো পড়ুন।
@mkfaruk, ভাইজান তো দেখি ভালই মজা করেন…।।আপ্ নার অগুলো মন্তব্য নাকি প্যাচাল……। সেটা ভালই জানা হয়েছে
@ভবঘুরে,
ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্ত-মনায় এই পর্যন্ত যা লিখা হয়েছে(যেখান থেকে ধার করা হয়েছে) তা জানা এবং যা এখনও লিখা হয়নি তাও জানা আর ইসলামের পক্কে যেগুলো কোনদিনই লিখা হবে না, তাও জানা। ইসলামের বিরুদ্ধে এই সাইটে যা লিখা হয়েছে তা বেশিরভাগ বিকৃত এবং বিদ্বেষমূলক।
খুদাভিরুরা নিজের সাথে বুঝেই ইসলাম-কে গ্রহণ করে। ‘সত্য’-কে কেউ চিনিয়ে দিতে পারে না, এটা নিজেরই অর্জন করতে হয়।
এই মুহূর্তে আপনি যেমন নিজের “আমি”-কে দাবি করছেন, ঘুমের ভীতরে তাই দাবি করার চেষ্টা করেন। সাধনা করেন। ভিতরের “আমি” আর বাহিরের “আমি”-র রাস্তা নির্ণয় করেন, উপলদ্ধি করেন।
@অগ্নি, সাগর, ছন্নছাড়া
বাতাসে উইড়েন না। মাটিতে নামেন, তারপর কথা বলেন।
অন্তরের সমস্ত কু-প্রবৃত্তির দরজাগুলো বন্ধ করেন, নিজের ধৈর্য কতটুকু মাপার চেষ্টা করেন। দেখুন, এইটা বাস্তবায়ন করাতে কেমন লাগে? এবং এটা বাস্তবায়ন করার শক্তি আপনাদের নেই বলেই বলা হয়েছে, এই দেশে সততার সহিত ‘দরিদ্রতা’-র ভীতরে জীবনযাপন করেন। সাহস তৈরি করেন।
জন্মের পর থেকে পৃথিবীর যে আবরণের ভীতরে আছেন, তা থেকে নিজেকে বের করেন। পৃথিবীতে যুক্তির জগত ছাড়াও আরও জগত আছে, ওইগুলোর ভীতরে ঢুকে জ্ঞানের জগত-কে প্রশস্ত করেন। অযথা, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের মত মন্তব্য করবেন না।
@Masud,
ফালতু কথা বলার জায়গা এটা না আগে বলা হয়েছে।
আপনার কোন বক্তব্য থাকলে তা যুক্তি প্রমান সহকারে উপস্থাপন করুন , যুক্তি যুক্ত হলে মাফ চেয়ে তওবা করে নেব আর আমার সকল নিবন্ধগুলি মুছে ফেলব। প্লিজ ফালতু আবেগপূর্ণ কথা বলবেন না। ওসব শুনতে শুনতে কান পচে গেছে। তাই এসব শোনার ধৈর্য বড় কম এখন।
@Masud,
“ইসলামের বিরুদ্ধে মুক্ত-মনায় এই পর্যন্ত যা লিখা হয়েছে(যেখান থেকে ধার করা হয়েছে) তা জানা এবং যা এখনও লিখা হয়নি তাও জানা আর ইসলামের পক্কে যেগুলো কোনদিনই লিখা হবে না, তাও জানা। ইসলামের বিরুদ্ধে এই সাইটে যা লিখা হয়েছে তা বেশিরভাগ বিকৃত এবং বিদ্বেষমূলক।”
হে সর্বজ্ঞানী আল্লার অনুসারী আপনার কাছে এধরনের কোন অহী এসেছে কি?????
“আর তোমার অন্তঃকরনে প্রবেশ করানো হয়েছে সেই সব গোপন তথ্য যার অপর ভিত্তি করে মুক্তমনার কাফেররা লিখেছে ও লিখবে। নিশ্চই তিনি গোপন সকল বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখেন ”
মুক্তমনার সাইটে লেখা বেশিরভাগই বিকৃত ও বিদ্বেষমূলক। এতবড় মহা সত্য আবিস্কারের পরও আপনি কেন আমাদের রেফারেন্স দিচ্ছেন না তাহলে মূল সত্যের স্রোতের সাথে যেতে পারতাম। এটা আর যাই হোক মুমিন বান্দার কাজ হলনা কিন্তু।মূল রচনাটিতে লেখক কোরান ও হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেছেন।এখন যদি আপনি বলেন ওগুলোই বিকৃত ও বিদ্বেষমূলক তাহলে তো আর কিছুই বলার থাকে না।
আমার মত আরো দুজনকে মাটিতে নামার উপদেশ দিয়েছেন, তারজন্য ধন্যবাদ।পেশায় আপনি শিক্ষক কি না জানি না তবে উপদেশের বাহারী ধরন দেখে সেরকমই মনে হচ্ছে। আপনি কি করে জানলেন, আমার সাহস নেই,আমি অন্তরের কুপ্রবৃত্তির দরজা খোলা রেখেছি? আপনিতো আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানেন বলে আমার মনে হয় না।আমি না হয় রাজনিতীবিদের মত উলটা পালটা কথা বলেছি কিন্তু হে মহান…… ব্যক্তিগত ভাবে আমার সম্মন্ধে না জেনে যেভাবে বয়ান দিলেন তাতে আপনাকে যেকোন পেশাদারের সাথে মেলালে সে পেশাটাকে অপমান করা হবে।
@ছন্নছাড়া,
এর উত্তর আমি ভবঘুরেকে দিয়েছি। দেখে নিতে পারেন (নীচের দিকে আছে) অবশ্য আমি কিন্তু মুমিন বান্দা না।
@Masud,
ইসলামের বিরুদ্ধে এই সাইটে যা লিখা হয়েছে তা বেশিরভাগ বিকৃত এবং বিদ্বেষমূলক।এটা তথ্য,যুক্তি সাথে আরও কিছু লাগলে সেগুলো নিয়ে এসে প্রমান করুন।আপনার অপেক্ষায় থাকলাম।চোখের সামনে সত্য দেখে নির্বোধের মত সেটা অস্বীকার করবো এটা হতে পারেনা।আপনার ইসলামকে সত্য প্রমান করুন অবশ্যই আযান দিয়ে নামায পড়া শুরূ করবো।কুরআন এর বানী যে মানুষের নয় আল্লাহর এটা আপনি প্রমান করুন।
@সত্যের সাধক, আপনার ইসলামকে সত্য প্রমান করুন অবশ্যই আযান দিয়ে নামায পড়া শুরূ করবো।কুরআন এর বানী যে মানুষের নয় আল্লাহর এটা আপনি প্রমান করুন।
আমি ও
@HuminityLover,
এই সাইটে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হচ্ছে নাকি? আপনি আযান দিয়ে নামায পড়া শুরু করবেন কি করবেন না এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর আপনি তা না করলে ইসলামের নিশ্চয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।
কোরআন এর বাণী যে মানুষের নয় আল্লাহর এটা জানতে হলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে কেন মুসলমানরা কোরআনে বিশ্বাস করে। নীচের আর্টিকেল টা পড়ুন।
@mkfaruk, ইসলামের নিশ্চয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। কথাটিতে খুব মজা পেয়েছি….. :hahahee:
আপনি আগে মুক্তমনার সব ইসলাম বিষয়ক লেখাগুলো পরেন. তারপর ও যদি আপনি একই কথা বলেন তবে হয় আল্লাহ ঈর্ষা পরায়ন, কুটিল, স্বার্থপর, হিংসুটে যে কিনা নিজেই সৃষ্টি করে নিজেই ভুল পথে চালিত করে আবার নিজেই দোজখ এ পাঠান. পরবর্তীতে কি হবে না জেনে আয়াত তৈরী করেন আবার যখন ঐগুলো যখন সমস্যা সৃষ্টি করে তখন তারাহুরা করে নতুন আয়াত নাজিল করে. (আমরা ছোট বেলায় খেলার সময় এমনটি করতাম.. আমার জারিজুরি যারা ধরতে পারত না তারা মনে করত খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমি কত কিছুই না জানি :lotpot: . কিন্তু আমার সিনিয়র রা জানতেন আমার সীমানা কতটুকু) . তারপর ও না বুঝলে বুজব আপনি জেগে ঘুমাচ্ছেন. :-Y
@HuminityLover,
তাই নাকি? তবে আমার মনে হয় মি: ভবঘুরের এই লেখায় আমি যতগুলি মন্তব্য করেছি তার সবগুলিই আগে আপনার পড়া উচিৎ তাহলে হয়ত: ধারণা করতে পারবেন সাইটের অন্য লেখাগুলি পড়ে আমি কি করতে পারব।
আর কোরআন নাযিলের বিষয়টি কি আপনি জানেন? এটা বললাম একারণে যে, মি: ভবঘুরে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে। আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে আপনি বিষয়টি জানেন না। পূর্ণ কোরআন লওহে মাহফুজের কিতাব থেকে তুলে নিয়ে ৪ঠা আসমানের আকাশে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কারণ জিব্রাইল বা অন্যান্য ফেরেস্তা যারা দুনিয়ার কাজে নিয়োজিত, তাদের কারও ৪ঠা আসমানের উর্দ্ধে যাবার ক্ষমতা নেই।
আর জিব্রাইল সাড়ে তেইশ বৎসর ধরে যখন যা প্রয়োজন তা মুহম্মদের কাছে নিয়ে আসতেন। এখানে আয়াত পরিবর্তন বা পরিবর্ধণের কাজে আল্লাহ বা জিব্রাইলের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
@mkfaruk, মানুষের দেখা একমাত্র আসমানেরই কোন অস্তিত্ব নাই সেখানে আপনারা ৪র্থ আসমান কোথা হতে নিয়ে আসেন তাই আমার বোধগম্য নয়. আপনার লেখা দেখে বু্ঝতে আমার কষ্ট হচ্ছে না আপনি আসলেই জেগে ঘুমাচ্ছেন, তাই ঐ লেখাগুলো দুরে থাক আপনার ঘুম কোন কিছুতেই ভাংবে না. :-Y :-Y
@HuminityLover,
যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন সৌভাগ্য না হলে এভাবে কপাল ঠু্কেই যেতে হবে।
@mkfaruk, কুরানের যা অবস্থা এটা আবার সংরক্ষন করে রাখা হয়েছিল…।।হাসি পায়…।।উন্মাদ হলে কতকিছু যে বিশ্বাস করতে হয়…।আহারে…।।
@mkfaruk, না বিশ্বাস করলে বাচার উপায় আছে…।ওপাশে যে একজন মুগুর হাতে বসে আছে …।। সে ভয়ে ত আপনি কাবু তা তো দেখতেই পাচ্ছি…।ভয়ে ঠক ঠক
@HuminityLover,
কোরআন এর বাণী যে মানুষের নয় আল্লাহর এটা জানতে হলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে
নীচের আর্টিকেল টা পড়ুন।
উপরে আমার মন্তব্যে আর্টিকেলটির লিঙ্ক কাজ করেনি তাই আর্টিকেলটিই তুলে দিলাম এখন।
Alif, Lam, Meem.
This is the Book about which there is no doubt, a guidance for those conscious of Allah (2:1-2) And this is a Book We have revealed (is) blessed, so follow it and fear Allah that you may receive mercy.(6:155)
And with the truth We have sent the Qur’an down, and with the truth it has descended. (17:105) The month of Ramadan (is that) in which was revealed the Qur’an, a guidance for the people and clear proofs of guidance and criterion.(2:185) indeed, the Qur’an is the word of a noble Messenger. And it is not the word of a poet; little do you believe. Nor the word of a soothsayer; little do you remember. (It’s) a revelation from the Lord of the worlds. And if Mohammad had made up about Us some (false) sayings, We would have seized him by the right hand; Then We would have cut from him the aorta. And there is no one of you who could prevent (Us) from him. And indeed, the Qur’an is a reminder for the righteous. And indeed, We know that among you are deniers. And indeed, it will be (a cause of) regret upon the disbelievers. And indeed, it is the truth of certainty.(6:40-51)
Then do they not reflect upon the Qur’an? If it had been from (any) other than Allah, they would have found within it much contradiction.(4:82) And the devils have not brought the revelation down. It is not allowable for them, nor would they be able. Indeed they, from (its) hearing, are removed.(26:210-212)
And We have certainly presented for the people in this Qur’an from every (kind of) example – that they might remember. (It’s) an Arabic Qur’an, without any deviance that they might become righteous.(39:27-28)
And indeed, the Qur’an is the revelation of the Lord of the worlds. The Trustworthy Spirit has brought it down upon your heart, -that you may be of the warners -In a clear Arabic language. And indeed, it is (mentioned) in the scriptures of former peoples.(26:192-196)
Indeed, this Qur’an relates to the Children of Israel most of that over which they disagree.(27:76) And this is a Book which We have sent down, blessed and confirming what was before it, that you may warn the Mother of Cities and those around it.(6:92) Indeed, those who disbelieve in the message after it has come to them. And indeed, it is a mighty Book. Falsehood cannot approach it from before it or from behind it; (it’s) a revelation from a (Lord who is) Wise and Praiseworthy.(41:41-42) And if We had made it a non-Arabic Qur’an, they would have said, “Why are its verses not explained in detail (in our language)? Is it a foreign (recitation) and an Arab (messenger)?”(41:44)And We did not send any messenger except (speaking) in the language of his people to state clearly for them,(14:4)
And they did not appraise Allah with true appraisal when they said, “Allah did not reveal to a human being anything.” Say, “Who revealed the Scripture that Moses brought as light and guidance to the people? You (Jews) make it into pages, disclosing (some of) it and concealing much. And you were taught that which you knew not – neither you nor your fathers.” Say, “Allah (revealed it).” Then leave them in their (empty) discourse, amusing themselves.(6:91)
Indeed, We have revealed to you, (O Muhammad), as We revealed to Noah and the prophets after him. And we revealed to Abraham, Ishmael, Isaac, Jacob, the Descendants, Jesus, Job, Jonah, Aaron, and Solomon, and to David We gave the book (of Psalms). And (We sent) messengers about whom We have related (their stories) to you before and messengers about whom We have not related to you. And Allah spoke to Moses with (direct) speech.(4:163-164)
Indeed, We sent down the Torah, in which was guidance and light. The prophets who submitted (to Allah) judged by it for the Jews, as did the rabbis and scholars by that with which they were entrusted of the Scripture of Allah, and they were witnesses thereto. (5:44)
And We sent, following in their footsteps, Jesus, the son of Mary, confirming that which came before him in the Torah; and We gave him the Gospel, in which was guidance and light and confirming that which preceded it of the Torah as guidance and instruction for the righteous.(5:46)
And We have revealed to you, (O Muhammad), the Book in truth, confirming that which preceded it of the Scripture and as a criterion over it.(5:48)
And We did certainly give Moses the Torah and followed up after him with messengers. And We gave Jesus, the son of Mary, clear proofs and supported him with the Pure Spirit. But is it (not) that every time a messenger came to you, (O Children of Israel), with what your souls did not desire, you were arrogant? And a party (of messengers) you denied and another party you killed.(2:87)
In the end I need to clarify, what the Qur’an with us is. Actually this Quran is a part of the Mother Book with God. And indeed it is, in the Mother of the Book with Us, exalted and full of wisdom.(43:4) And there is nothing concealed within the heaven and the earth except that it is in a clear Register.(27:75) Indeed, it is We who bring the dead to life and record what they have put forth and what they left behind, and all things We have enumerated in a clear register.(36:12)
The Mother Book written by some angel’s & protected by some angel’s as per direction of Allah. Those angels are more noble & dutiful among all the angels. It means they are completely different with other angels. Qur’an says- Indeed, it is a noble Qur’an, in a Register well-protected; (56:77-78) In honored sheets, Exalted and purified, by the hands of messenger-angels, Noble and dutiful.(80:13-16)
So when Qur’an says,- (It’s) a revelation from the Lord of the worlds. Then is it to this statement that you are indifferent and make (the thanks for) your provision that you deny (the Provider)?(56:80-82)- the answer comes from the heart of the Muslims-‘We don’t’.
@mkfaruk, আপনার 4;82 ভাল করে পরুন…।।তবে আমি আপনাকে বলি আপনি কেন ধর্মে বা কুরানে বিশ্বাস করেন……আর তোমরা আমার নাযিল করা কিতাবে বিশ্বাস কর না হলে তমাদের মুগুর ভাজা করব…সুরায়ে হুমকি,আয়াত নং ৪৭
@Masud,
আপনারা ধর্মভিরুরা এতোটা নির্বোধ যে ধর্মের বিপক্ষে কোনো লেখা বা কথা পড়তে বা শুনতে চাননা।না পড়ে বা শুনেই মন্তব্য করে বসেন।আপনাদের ধারনা পড়লে বা শুনলে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে।আপনাদের ঈমানের কি যে বেহাল দশা!
কেন ধর্ম হিসাবে ইসলামকে মেনে নিলেন??
আমাদের সাথে শেয়ার করুন।আমরাও ঈমান এনে হূরপরীদের সাথে মজা ফূর্তি করি।একা একা আপনি মজা করতে চান এটাতো হতে পারেনা।কি বলেন আপনি??
@সত্যের সাধক, দারুন বলেছেন। (Y) (Y) (Y) (Y) (Y) (Y)
@সত্যের সাধক, হাহাহা অসাধারণ বলেছেন ভাই (Y) (D) (F)
@সত্যের সাধক,
হাহা অসাধারণ বলেছেন ভাই। (Y) (C)
@Masud
১৪০০বছর ধরেতো এই আবল-তাবল পুঁথিই পড়লেন,লাভ কি হলো????
@Masud, ভাই যুক্তি দেন …।।আবেগ দেখান কেন?
@Masud,
জি ঠিক বলেছেন।কাজেই ওইসব ১৪০০ বছরের বস্তাপচা প্রলাপ রেখে সত্যটাকে চিনে মানুষ হবার চেষ্টা করেন ভাই।
@ ভবঘুরে,
অসাধারণ! (F) (Y)
সূরা আত তওবার ৫ আয়াতটি কুরাইশদের বিরুদ্ধে নাযিল হয়েছিল কেননা তারা হুদাইবিয়ার চুক্তির ৪র্থ শর্তটি (দশ বৎসরের জন্যে শত্রুতা বন্ধ থাকবে এবং কেউ যুদ্ধকারীদের সাহায্য করবে না। যে গোত্র যার সাথে রয়েছে তার বেলায় এই নীতি প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ এদের কারও প্রতি আক্রমণ বা আক্রমণে সাহায্যদান হবে চুক্তিভঙ্গের নামান্তর।) ভঙ্গ করেছিল।
বনি বকররা বনি খোজাদের আক্রমণ করে বসল। বনি খোজারা মুসলমানদের সঙ্গে তাদের রক্ষণাবেক্ষণে চুক্তিসূত্রে আবদ্ধ ছিল। কুরাইশরা হুদাইবিয়ার সন্ধি ভঙ্গ করে গোপনে বনি বকরদেরকে যোদ্ধা ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল।
চুক্তির ৫ম শর্তটি ছিল- কুরাইশদের কোন ব্যক্তি পালিয়ে মুহম্মদের দলে যোগ দিলে, মুহম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে।— স্পষ্টতই এ শর্তটি পুরুষদের জন্যে। নারীদের সম্পর্কে এখানে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু কিছু মুসলিম ভ্রান্তিতে ছিল। তখন এ সম্পর্কে আয়াত নাযিল হলে চুক্তির শর্তটি স্পষ্ট হয় এবং মুসলিমদের ভ্রান্তি দূর হয়।
“অন্যদিকে মোহাম্মদ মদিনার আশ পাশের ইহুদি অধ্যূষিত জনপদে আতর্কিকে হানা দিয়ে তাদের ধন সম্পদ লুঠ-পাট করে তা গণিমতের মাল হিসাবে ভাগাভাগি করে নিতেন, নারীদেরকেও ভাগাভাগি করে নিতেন যৌন দাসী হিসাবে ব্যবহার করার জন্য ।উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- বানু কুরাইজা, খায়বার এসবের ওপর আক্রমন ,ইহুদিদেরকে নির্বিচারে হত্যা, তাদের ধন সম্পদ লুট-পাট, নারীদেরকে ভাগাভাগি করে নিয়ে যৌনদাসী বানান।”———-সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুহম্মদ কখনও কাউকে অকারণে আক্রমণ করেননি। মদিনায় যখন সাধারণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, তখন অন্যান্য শর্তাদির সঙ্গে প্রত্যেক গোত্র এই শর্তও মেনে নিয়েছিল যে, মুসলমানদের কোন শত্রুকে কোনভাবেই তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে না এবং যদি বহিঃশত্রু কর্তৃক মদিনা প্রজাতন্ত্র আক্রান্ত হয় তবে তারা মুসলমানদের সঙ্গে স্বদেশ রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। কিন্তু প্রথম থেকেই ইহুদিরা এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছিল। বনি কুরাইজার এরূপ চুক্তিভঙ্গের অপরাধ পর পর ক্ষমা করা হয়।
ওহুদ যুদ্ধের পর তারা নুতন করে মুসলমানদের সঙ্গে এই মর্মে সন্ধিচুক্তি করে যে, অতঃপর আর কখনই তারা তাদের শত্রুদের সাথে হাত মেলাবে না। এই চুক্তি স্থাপনের সুবাদে ক্ষতিপূরণ ও দন্ড ব্যতিরেকেই তাদের অপরাধ মার্জনা করা হয়।
অতঃপর কুরাইশদের মদিনা আক্রমণের সংবাদে প্রথম সুযোগেই তারা সন্ধিপত্র ছিন্নকরে ফেলে এবং শত্রু শিবিরে যোগদান করে। তাদের চুক্তিভঙ্গের খবর মুহম্মদের কানে পৌঁছিবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাদ বিন রিদ্দবকে পাঠিয়ে তাদেরকে অনুরোধ করলেন তাদের তাদের কর্তব্য পালন করতে ফিরে যাবার জন্যে। তারা যে উত্তর প্রদান করেছিল তা অতীব ঔদ্ধত্যপূর্ণ। ‘কে সেই মুহম্মদ, কে সেই প্রেরিত পূরুষ যাকে আমরা মানব? আমাদের ও তার মধ্যে কোন চুক্তি নেই।’
বনি কুরাইজা গোত্র অঙ্গীকৃত চুক্তি সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়েছিল এবং একসময়ে তাদের দিক থেকে তারা মদিনাবাসীকে প্রায় হতবাক করে ফেলেছিল- এটা এমন একটা ঘটনা যা সফল হলে মুসলমানরা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হত। কাজেই মুসলমানরা এই বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাখ্যা দাবী করা তাদের কর্তব্য হিসেবে মনে করল। এই দাবী কুরাইজা গোত্র স্পর্ধার সাথে প্রত্যাখ্যান করল। ফলে ইহুদিদের অবরোধ করা হল এবং স্বেচছায় আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করা হল।
আর কোন মানুষের সমগ্র অপরাধের ভার তার ঈমানের ভারকে অতিক্রম করতে পারে না। সুতরাং ঈমান থাকলে অপরাধ যতই হোক না কেন সে বেহেস্তবাসী একদিন না একদিন হবেই।
আর ইহুদি বা খৃষ্টানের উদাহরণ দিচ্ছেন কেন? তারা কারা? মূসা বা মোজেস এবং ঈসা বা যিশু খৃষ্ট তো একই কাতারের লোক, একই ধর্ম প্রচারকারী।
@mkfaruk,
তাই নাকি?
সবচেয়ে প্রাচীন মুসলিম ইতিহাসবিদদের মতে মুহাম্মদ তার মদিনা জীবনের (৬২২-৬৩২ সাল) ১০ বছরে মোট ৬০ টিরও বেশী যুদ্ধে /সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন। গড়ে ৬-৮ সপ্তাহে একটি। এই হলো তার লিস্ট:
আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে এই বিপুল সংখ্যক সংঘর্ষের মধ্যে ওহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধ ছাড়া আর কোনটাই আত্মরক্ষা মূলক ছিল না। ছিল ‘offensive/preemptive।
উপযুক্ত রেফারেন্স সহ মন্তব্য করুন।
@গোলাপ,
আপনি এই সব অন্ধ ও বধির লোকদেরকে যতই দলিল দস্তাবেজ থেকে উদাহরণ দিন না কেন এরা ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানোর মতো তাদেরকে শিখানো বুলিই আউড়ে যাবে। এরা ইতিহাস পড়ে না , হাদিস পড়ে না এমনকি কোরানও পড়ে না। মোহাম্মদ এদের হৃদয় ও মন শুধু নয়, মস্তিষ্কেও সীল মেরে দিয়ে গেছে।
@ভবঘুরে,
দলিল দস্তাবেজ তাদের কাছেও আছে। পার্থক্য শুধু একই দলিল দস্তাবেজের অনুবাদ আপনি করেছেন এক ভাবে তারা করেছেন আরেক ভাবে, আপনি বোঝেছেন এক রকম তারা বোঝেছেন অন্য রকম। এ জন্যে তাদেরকে অন্ধ ও বধির আখ্যায়ীত করে তাদের সাথে আলোচনার দরজা বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। আপনি নিজেই মেনে নিচ্ছেন এসব শিখানো বুলি। তাহলে দোষটা কার, আর আপনার এই লেখাটাই বা কার জন্যে? আমরা শুধু ইনফরমেশন দিতে পারি, তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরতে পারি, কাউকে তা বিশ্বাস করতে বা মেনে নিতে ফোর্স করতে পারিনা। আমাদেরকে সংযত কোমল ভাষা ব্যবহার করতে হবে, প্রমাণ করতে হবে কাউকে কোন বিশেষণে আখ্যায়ীত করা বা কারো প্রতি ঘৃণা-ক্ষোভ থেকে এসব লেখা হচ্ছেনা। মুহাম্মদ কোরানে বহুবার এক দলকে অন্ধ ও বধির আর আরেক দলকে চক্ষুষ্মাণ ও জ্ঞানী বলে দুনিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়ে গেছেন, আমরা তা করতে পারিনা। আমাদের লেখা হউক Informative writing আমরা হই শুধুই নিরপেক্ষ বার্তাবাহক ও তথ্য প্রদানকারী।
@ভবঘুরে,
হায় আল্লা, আমি তো ইতিহাস সম্পর্কে আপনার পড়াশুনো আমার থেকে কম বলেই ধরে নিয়েছিলাম!
@mkfaruk,
আপনি যা বললেন সেটাকেই সত্য বলে ধরা হবে, যতক্ষন না আপনি আপনার ইতিহাসের জ্ঞান এখানে জাহির করছেন। আপনাকে অনুরোধ, দয়া করে আপনার আবেগ মথিত অর্থহীন কথাবার্তা এখানে পোষ্ট করবেন না। এ বিষয়ে এডমিনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কারো বিশেষ আবেগের কথা শুনার জন্য আমরা এখানে আসি না। অন্ধ বিশ্বাস ও আবেগ প্রকাশ করার অন্য ব্লগ সাইট আছে সেখানে গেলে তারা আপনাকে মাথায় করে রাখবে।
@ভবঘুরে,
বাদ দেন না ভাই। আবেগপ্রবণ কথাবার্তার মাধ্যমেই তো প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা নিজেদের আসল রুপ। কারা যুক্তি আর কারা আবগে চলে এটা অনেক মানুষের কাছেই পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে এভাবে।
@ভবঘুরে,
আমি যা জানি তা এখানে জাহির করতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু তার আগে আমার জানা দরকার আপনার একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা কি। এটা কেন? কারণ তাতে পাঠকদের বুঝতে সুবিধে হবে, আর আমিও আত্মতৃপ্তি লাভ করব।
তবে একথা ঠিক, আপনি যদি এসএসসি থেকে এম এস পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন, আপনার কয়েকটি বিষয়ে দেশের বাইরে থেকে পিএইচডি থাকে এবং আপনার একাডেমিক শিক্ষা যদি আরো তিন যুগ আগে হয়- অবশ্যই আমি আপনার সাথে বিতর্কে যাব না। কারণ তখন আমি আপনার থেকে নীচের লেভেলে বিবেচিত হব।
@mkfaruk,
ভাই বিষয়টা তো দেখি ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে গেলেন। কিন্তু ভাইজান এত উত্তেজিত হওয়ার কোন কারন তো দেখি না। আমরা কিন্তু আপনা মত বিজ্ঞ মানুষের সাথে আলোচনা করতেই পছন্দ করি। এতে বহু পাঠক উপকৃত হয়। এমনও হতে পারে আমরা সবাই ভুল পথে চলছি, আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। হতে পারে আল্লাহই আমাদেরকে হেদায়েত করার জন্য আপনার মত মহাজ্ঞানীকে পাঠিয়েছেন।
জাকির নায়েকের মত একজন সাধারণ এম বি বি এস পাশ ডাক্তার যখন মহা ইসলামি পন্ডিত হতে পারে, তখন আমরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা লোকজন তো সামান্য কিছু জানতেই পারি না কি ?
@ভবঘুরে,
আপনার কি এমবিবিএস এর একটি সার্টিফিকেট আছে? আপনার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট কি তার থেকে সমৃদ্ধ? যদি তা না হয়, তাহলে
এভাবে জাকির নায়েক সম্পর্কে মন্তব্য হাস্যকর।
আপনি মি: নায়েকের এমবিবিএস এর পূর্বে সাধারণ শব্দটি ব্যবহার করে নিজের মানষিকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন জনাব ভবঘুরে। আর এ কারণেই আমি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি, আপনাকে হেয় করার জন্যে নয়। কারণ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি কখনও অপরকে এ মানসিকতা থেকে দেখে না।
@mkfaruk,
উনি সাধারন বলতে নিচের লেভেলের ডিগ্রি বুঝিয়েছেন। আর আসল সমস্যাটা তো আপনারই তৈরি করা তাই না?আপনি নিজেই কিন্তু ঐ প্রসঙ্গের আবিষ্কারক। অসংলগ্ন কথা বার্তা ছাড়া আপনি কি র কিছুই শেখেননি?
আর মেডিকেল পড়াই যদি আপনার কাছে অসাধারণের প্রতিক হয়ে দাঁড়ায়, তবে আপনাকে বলতে চাই যে যারা চার্টার্ড আকাউন্টেন্ট অথবা বিজ্ঞানের বিষয়ের বাইরে অনেক বিশয়ে পড়াশোনা করে বেরিয়েছেন তারা কেউ মেডিকেল পাশ করাদের থেকে কম যোগ্য না অথবা তাদের কম পরিশ্রম করে লেখাপড়া করতে হয় না। চার্টার্ড আকাউন্টেন্ট হওয়া যে কত কঠিন পরিশ্রমের কাজ এটা সবাই কম বেশি জানে। অথবা আই বি এ থেকে বিবিএ এমবিএ করে বের হওয়াটাও পান্তা ভাত খাবার মত সোজা না।
জি এতক্ষণে ঠিক কথা বলেছেন। আর এর মাধ্যমেই আপনি নিজেই প্রমান করে দিলেন যে আপনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি নন। কারণ ভবঘুরে ভাইয়ের অথবা কারও শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়া গেলে যাকির নায়েকের টাও জানতে চাওয়া যাবে।বরং আরও বেশি কর চাওয়া যাবে কারন যেহেতু শিক্ষাক্ষেত্রে রেজাল্ট কার কতটা ভাল সেটাই আপনার কাছে উপরের আর নিচের লেভেলের মাপকাঠি, যেটা আপনি নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছেন আপনার সেই মন্তব্যে। মনে রাখবেন যাকির নায়েক আপনাদের কাছে সুপারস্টার হলেও, আমাদের কাছে একটা মাথা মোটা ভণ্ড ছাড়া র কিছুই না, যে কিনা একের পর এক তথ্য ছাড়া মিথ্যা কথা বলে যায়। মুক্ত মনাতে আপনি যাকির নায়েকের ভণ্ডামি নিয়ে অনেক লেখা পাবেন। পড়ে দেখতে পারেন সেইসব লেখকদের লেখা, যদি তাদেরকে আপনি আপনার উপরের বা নিদেনপক্ষে সমান লেভেলের লোক ভেবে থাকেন।
@অচেনা, (Y)
@mkfaruk, আপনি তো দেখি বেশি বোঝা পাব লিক, এম বি বি এস আপনার কাছে অসাধারন হলে আমার কি করার আছে ,ভবঘুরে ভাই পরে নিজেকে আরো সাধারন করেছেন সে্টা কি আপনার চোখে পরেনি?
@mkfaruk,
মোহাম্মদের একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা কি জানতে পারলে সুবিধা হত! ইউনিভার্সিটি অফ হেরা গুহা, আর শিক্ষক জিবরাঈল? 😀
মানুষের জানা না জানা এটা কি একাডেমিক শিক্ষার উপর খুব বেশি নির্ভরশীল? ভাইজান স্কুল, কলেজ ইউনিভার্সিটিতে তো কোনদিন নিজের বিষয়টার বাইরে কিছুই শিখতে পারলাম না! হ্যাঁ আরেকটা জিনিস জোর করে শেখানো হয়েছে যে স্কুল লেভেলে আর তা হল আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ তার রসুল।আপনি কি এই জিনিস টার জন্যই একাডেমিক শিক্ষার উপরে বেশি জোর দিচ্ছেন? আপনি কি ইসলামিক স্টাডিস পরেছেন? যদি পরে থাকেন তবু সমস্যা নাই, আর না পড়ে থাকলে ত বুঝতেই পারছেন যে আমার মত আপনার মুসলিম পিতাও কেন আপনার জন্য বিজ্ঞান বা বানিজ্য বিভাগ ঠিক ( দয়া করে ভুল বুঝবেন না কেউ প্লিজ, এখানে কোন সাবজেক্টকেই ছোট করে দেখান আমার উদ্দেশ্য না বরং আমি চাকরীর বাজারে চাহিদা আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য বেশির ভাগ মানুষ কি করতে চায় সেটাই বলতে চেয়েছি মাত্র !) করে দিয়েছেন কারণ ওগুলা ছাড়া যে পেটে সর্বশক্তিমান আল্লাহ অন্নের জোগাড় করতে হিমশিম খান তাই না? 😉 । তা আপনার উল্লেখিত শর্তগুলো ভবঘুরে ভাইকে আপনার থেকে উপরের লেভেল এ রাখবে ও আপনি চলে যাবেন নিচের লেভেলে আর সেগুলো পুরন না হলে তিনি সেই লেভেলে যেতে পারবেন না ব্যাপারটা পরিস্কার হল না। ১ম হলেই তো সে বেশি জ্ঞানী হবে এই কথা আজ প্রথম শুনলাম। হা ক্লাসের ১ম বয় বা গার্ল অঙ্কটা ভাল পারতে পারে সেই সাথে আরো কিছু। উচ্চতর লেভেলে নিজেস্ব বিষয়টা, কিন্তু এর সাথে আল্লাহ রসুলের তর্কের কি সম্পর্ক ওটাই বুঝি না।তবে কি আমি উপরে যেটা বললাম আপনি সেটাই মিন করেছেন? যদি সেটাই করেন, তবে আমার মনে হয় যে ব্লগের সদস্যরা আপনার মত মানসিকতার লোকের সাথে কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে।
@ভবঘুরে,
দুধ খাওয়া শিশুর মত –মা আমাকে বকছে। –এ কি ধরণের ভাষা? সাইটটির নাম দেখে, এতদিন এখানে লেখালেখি করেও অর্থটা বোঝেন নি? অবাক কান্ড?
এডমিন সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে বলেই তো আপনার আর্টিকেলটি এখানে স্থান পেয়েছে। স্কুলের পরীক্ষার খাতায় হলে বুঝতেই পারছেন, আপনাকে আর এক ক্লাস নীচে নামিয়ে দেয়া হত।
@mkfaruk, :-Y যেমন খোদা তার তেমন বান্দা
@গোলাপ,
মুহম্মদ সম্পর্কে আমি মোটামুটি জানি। সে ছিল আমার শখের সাবজেক্ট। আর এ কারণেই এ কথা বলা- মুহম্মদ কখনও কাউকে অকারণে আক্রমণ করেননি। আপনিও আমার পর্যায়ে এলে অবশ্যই একমত হবেন।
@mkfaruk,
কে বলেছে অকারনে আক্রমন করেছে?
মদিনার প্রথম জীবনে স্রেফ ডাকাতি করতেন উনি তার দল নিয়ে মক্কার বানিজ্য কাফেলার ওপর,. উদ্দেশ্য ধন সম্পদ লুট করা। কারন যে সব লোক জন নিয়ে তিনি মদিনাতে যান তাদের ভরণ পোষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এভাবে লুট পাট করে যখন তার শক্তি একটু বাড়ে, লুটের মালের বখরা পাওয়ার জন্য দলেও অনেক লোক জুটে যায় তখন শুরু হয় মদিনার পার্শ্ববর্তী ইহুদি বসতি গুলোতে আতর্কিতে আক্রমন, উদ্দেশ্য ঐ একটাই লুটপাট। আর একটা উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি নিধন কারন ইহুদিরাই তাদের তৌরাত কিতাব মারফত একশত ভাগ নিশ্চিত ছিল যে এ মোহাম্মদ কোন আল্লাহর নবী নয়। যে কারনে ইহুদিরা ছিল মোহাম্মদের সবচাইতে বড় শত্রু। শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করতেই এভাবে আতর্কিকে তাদের বসতিতে মোহাম্মদের দল আক্রমন করত। বনু কুরাইজা, খায়বার এসব ইহুদি বসতিতে কিভাবে আক্রমন করেছিল একটু হাদিস ঘাটেন পেয়ে যাবেন, দরকারে google এর সাহায্য নেন।
মোহাম্মদ সম্পর্কে জানতে আপনাকে নির্মোহ হতে হবে প্রথমে। যদি আপনি প্রথমেই তাকে আল্লাহর নবী মনে করে তার সব কাজ কে বিচার করেন তাহলে তাকে চেনা যাবে না । বরং তার কাজগুলি একজন নবীর পক্ষে মানান সই কি না এ ভাবে বিচার করে তার সম্পর্কে জানুন , আশা করি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছে যাবেন।
@ভবঘুরে,
আমি একজন টেকনিক্যাল পারসন, আর তাই যুক্তি ও প্রমাণ ছাড়া তথ্য আমলে নেই না কোরআন ব্যতিত। তাই কে, কেন, কখন, কাদের উপস্থিতেতে ইত্যাদি-আমি প্রথমেই দেখে নেই। আপনার মত বুখারী মুসলিমদের হাদিস দেখেই তা সত্য বলে ধরে নেই না যতক্ষণ না ঐ হাদিসের চারজন স্বকর্ণে শোনা সাহাবী পাওয়া না যায়।
@mkfaruk,
আসলেই আপনি টেকনিক্যাল পারসন। আর তাই কোরান ব্যতিত আর কোন কিছুই আমলে নেন না তাইনা? শুধুমাত্র কোরানকেই বিনা প্রশ্নে মেনে নেন, তাই না ভাই? 🙂 ।
@mkfaruk, দাদা আমরা ইস্লামের সমালোচনা করি ইস্লামের বিভিন্ন বই ঘেটে আর তাতেই মহা গন্দগল ভাবুন তো একবার…আমেরিকার পেপার পড়ে আর আমেরিকাকে কতই সমালচনা করা যায়//? আমেরিকার পেপার গুলো তো আর তাদের বিপক্ষে লিখে না…যারা হাদিস কুরান লিখেছে তারা কি আর বিপক্ষে লিখেছে তারা ছিল সাহাবি নিজের ধর্মের বিপক্ষে তারা আর এমনকি কি লিখেছে…ছিটে ফোটা যা দেখা যায় তাতেও মহা গ্যাঞ্জাম,গজামিল,ভন্ডামি—–
@mkfaruk,
আপনি খুবই সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনার মত অনেকেই “ইসলামকে” জানার চেষ্টা করে “শখের বসে”। সত্য জানার তাগিদে নয়। যে যে ধর্ম-পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছেন, সে সেই ধর্মকেই “অকাট্য” বলে জেনেছেন। জন্মসূত্রে প্রাপ্ত তার সে ধর্মটাই যে “অকাট্য সত্য” সেটাকেই প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই সে পড়াশুনা করেন। প্রায় ক্ষেত্রেই তা “সখের বসে”। পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মাম্বলীরাই তাই করেন। যতক্ষণ না কোন ব্যক্তি এই স্তর অতিক্রম করে তার পৈতৃক ধর্মটিকে নির্মোহ দৃষ্টিতে “সত্য জানার তাগিদ” নিয়ে বাস্তবতা-যুক্তি-তথ্য-জ্ঞানের আলোকে বিচার করার সাহস সঞ্চয় করতে না পারবেন ততদিন পর্যন্ত সে তার পৈতৃক ধর্মের কোন “খুঁতই” খুঁজে পাবেন না। এই সত্যকে অস্বীকার করার কোনই অবকাশ নেই। নিচের ভিডিও ক্লিপটি আমার পছন্দের, ধর্মকারীতে প্রকাশ করেছে।
ফারুক সাহেব, একটা বিষয় আমাদের সবারই মনে রাখা দরকার তা হলো যারা মুক্তমনায় ইসলাম নিয়ে নিয়মিত লিখেন, প্রবন্ধগুলো পড়েন ও মন্তব্য করেন তাদের প্রায় সবারই জন্ম মুসলিম পরিবারে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আপনি কোন পর্যায়ে আছেন তা আমি জানি না। আমি কোন পর্যায়ে আছি সেটাও আপনার অজ্ঞাত। তার চেয়েও বড় বিষয় এই যে, আপনি এবং আমি একে অপরের সাথে একমত হলাম কি হলাম না তা মোটেও জরুরী নয়। আদি উৎস থেকে উপযুক্ত রেফারেন্স সহ মন্তব্য বিনিময়ের মাধ্যমে পাঠকরা হবেন উপকৃত। মুক্তমনার পাঠকরা উচ্চ-শিক্ষিত ও জ্ঞানী। তারা সঠিক সত্য ঠিকই খুঁজে নিতে পারবেন।
ভাল থাকুন।
Dear Believer: Why Do You Believe? -9 mins
httpv://www.youtube.com/watch?v=4RXmkftK0Sw&feature=plcp
http://www.youtube.com/watch?v=4RXmkftK0Sw&feature=plcp
@mkfaruk,
দেখুন ভাই বাজে কথা বলার ফোরাম এটা না। তাই আপনি যদি কোন ব্ক্তব্য দেন দয়া করে যথাযথ দলিল দস্তাবেজ উল্লেখসহ তা দিবেন। আপনারাই কিন্তু কথায় কথায় দলিলের কথা বলেন আর সেটা হলো কোরান ও হাদিস। আমি আমার নিবন্ধে সমস্ত কথাগুলো যথাযথ দলিল সহকারে পেশ করেছি। আর আপনি সেই চিরাচরিত মূর্খ ও স্টুপিড মোল্লাদের মত নিজের মন থেকে যা মনে আসে তাই আউড়াইয়া গেলেন।
শর্তে বলা ছিল যারাই মক্কা থেকে মদিনা যাবে তাদেরকেই মোহাম্মদ ফেরত দেবে- যার সাধারণ জ্ঞান আছে তারই বোঝার কথা এর দ্বারা নারী পুরুষ উভয় বোঝায়। এটা বুঝানোর জন্য আল্লাহর বানীর দরকার পড়ে না।
তাই মোহাম্মদই হুদায়বিয়ার চুক্তি করার পর পরই চুক্তি ভঙ্গ করেছিল, কুরাইশরা নয়। এর পর বশিরের ঘটনা এড়িয়ে গেলেন কেন? বশির মদিনার পাশে থেকে অবাধে মক্কার বানিজ্য কাফেলার ওপর ডাকাতি করে বেড়াচ্ছিল সেটা মোহাম্মদ বন্দ করে নি। এটা চুক্তি লংঘন নয় ? সুতরাং মোহাম্মদই পর পর চুক্তি লংঘন করে যাচ্ছিল, মক্কাবাসীরা নয়। এর ফলে অতিষ্ট হয়ে মক্কাবাসীরা আপনার বর্নিত ঘটনার সাথে জড়িয়ে যায়। আর এর মূল কারনই ছিল মোহাম্মদের চুক্তি লঙ্ঘনের একের পর এক ঘটনা। তাহলে মূল দোষ কার ওপর বর্তায় ? এটা তো অনেকটা পায় পা দিয়ে বিবাদ বাধানোর ব্যপারের মত। আর মোহাম্মদই সেটা করেছে যার প্রমান কোরান , হাদিস ও সিরাতে আছে। প্রখ্যাত কোরান তফসিরকারও ব্যখ্যা করেছে। যখনই মোহা্ম্মদ কোন আকাম করেছে তখনই সে সেটাকে আল্লাহর বানীর দ্বারা সিদ্ধ করেছে। এ কোন ধরনের আল্লাহ যে মোহাম্মদকে আকাম কুকাম করতে উৎসাহ যোগায় ? মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করল ও ৫৪ বছর বয়েসে ৯ বছরের আয়শার সাথে যৌন সংসর্গ শুরু করল, কেন ? আল্লাহ তাকে সেটা বলেছে। মোহাম্মদ তার পালিত পূত্রবধুকে নানা ছলা কলায় তালাক দিয়ে বিয়ে করল, কেন ? আল্লহ বলেছে। মোহাম্মদ তার দাসী মারিয়াকে তার স্ত্রী হাফসার ঘরে নিয়ে যৌন মিলন করেছে, কেন ? আল্লাহ বলেছে। মোহাম্মদ পর পর ১৩ টা বিয়ে করে সেই তখনকার সময়েও একটা রেকর্ড করে ফেলেছে, কেন ? আল্লাহ বলেছে। মদিনার পাশ দিয়ে যাওয়া মক্কাবাসীদের বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তা লুটপাট করছে মোহাম্মদ ও তার দল বল, কেন ? আল্লাহ বলেছে। মোহাম্মদের আল্লাহ যদি সত্যিকার কোন করুণাময় ও বিবেকসম্পন্ন কেউ হয়ে থাকে এ ধরণের জঘন্য কাজ করতে সে কাউকে বলতে পারে নাকি ? যদি সে মানুষটা হয় একজন নবী যার জীবন আদর্শ নাকি সর্বকালের সেরা ও অনুকরণযোগ্য ? এখন মোহাম্মদ উক্ত কাজ গুলির কোনটা অনুসরণ যোগ্য বলবেন কি ?ঠিক এরকম ভাবেই হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি মোহাম্মদই আগে ভঙ্গ করেছে, কেন আল্লাহ সেটা বলেছে। ৬০:১০ আয়াতের তাফসিরেও ইবনে কাথির সেটা পরিস্কার করেছে। আর আপনি কোন চুনোপুটি এসে বলছেন, মোহাম্মদ চুক্তি ভঙ্গ করে নি ? মোহাম্মদ দুনিয়ার যত আকাম কুকাম করে বেড়াবে যার উদাহরণ আগেই দেয়া হয়েছে, সব তাকে আল্লাহ বলে আর তাই সে করে ? এটা আপনাদের মত অন্ধ মূর্খ ও বধির মানুষরা বিশ্বাস করতে পারে কিন্তু একজন সূস্থ মানুষ এটা কখনোই বিশ্বাস করতে পারে না।
আপনারা ক্রমাগত মিথ্যা প্রচারনা করে শত শত বছর সাধারন মুসলমানদেরকে ধোকা দিয়ে তাদের অফুরন্ত সর্বনাশ করেছেন, তাদেরকে দুনিয়ার গরীব ও অনগ্রসর জাতি রূপে চিরস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দয়া করে এখন সেটা বন্দ করুন। ইহুদি নাসারা কাফেরদের দেশের সাহায্য ও ভিক্ষা ভোগ করবেন আবার তাদেরকেই গালাগালি, অভিশাপ দেবেন এ ধরনের মুনাফেকিও বন্দ করুন।
@ভবঘুরে,
আপনি আপনার নিজের লেখাকে নিজেই বিশ্বাস করছেন না দেখছি। আর্টিকেলে সন্ধির শর্তটি কি লিখেছেন? আপনি কি লেখেন নি- ‘হুদায়বিয়ার সন্ধিতে একটা শর্ত ছিল- কুরাইশদের কোন লোক পালিয়ে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে , মোহাম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে।’ তবে এখন কেন আবার শর্তটি পরিবর্তন করে লিখছেন-
‘শর্তে বলা ছিল যারাই মক্কা থেকে মদিনা যাবে তাদেরকেই মোহাম্মদ ফেরত দেবে- ‘-স্পষ্টতই এভাবে আপনি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।
আপনার আর্টিকেলে লেখা শর্তটিতে (কুরাইশদের কোন লোক পালিয়ে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে , মোহাম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে।’ ) স্পষ্ট সেটা পুরুষদের জন্যে। কেননা “লোক” বা ব্যক্তি বলতে পুরুষ বোঝায়- নারী নয়। আর আপনার মত সেই সময়ে কিছু মুসলিমও ভ্রান্তিতে পড়েছিল, যখন কুরাইশরা সাঈদাকে ফেরৎ চেয়েছিল। অত:পর মুহম্মদ সাঈদার স্বামীর কাছে সন্ধিচুক্তির উল্লেখিত শর্তের সঠিক ব্যাখ্যা শেষে সাঈদাকে ফিরিয়ে দেবার দাবী প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ‘এই শর্ত পুরুষদের জন্যে, নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
যদি মুহম্মদ শর্ত ভঙ্গ করত তাহলে কুরাইশরা প্রতিবাদ করত। কিন্তু তাদের কেউই প্রতিবাদ করেনি।
আর বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি বা দাউদ সাহেবের হাদিস নিয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনে, কারণ তাদের হাদিসের উপর আমার তেমন বিশ্বাস নেই। কিন্তু আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে মুহম্মদ ৯ বৎসরের আয়েশার সাথে যৌন সংসর্গ করেছেন?
আর মুহম্মদ তার পালিত পুত্রের বধূকে নানা ছলাকলায় তালাক দিয়ে বিয়ে করেছে বলছেন। সেই নানা ছলাকলা কি?
আমরা তো জানি -মুহম্মদ নিজেই জায়েদের সঙ্গে জয়নবের বিবাহের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। আর তখন জয়নব ও তার ভ্রাতা আব্দুল্লাহ ইবনে জহস এই সম্বন্ধ স্থাপনে ‘আমরা বংশ-মর্যাদায় তার চাইতে শ্রেষ্ঠ ও উন্নত।’ -এই বলে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিলেন। তখন মুহম্মদ তাদেরকে বিবাহে রাজী হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এই নির্দেশও উপেক্ষা করেছিলেন। এতে এই আয়াত –
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে-সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।(৩৩:৩৬)
নাযিল হলে জয়নব ও তার ভ্রাতা এ শ্রবণে তাদের অসম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়ে বিবাহে রাজী হয়েছিলেন। কিন্তু সুন্দরী, সম্ভ্রান্ত ও সম্পদশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা জয়নব মুক্ত ক্রীতদাস স্বামী জায়েদকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি। তাছাড়া মুহম্মদের সহধর্মিনী হবার সাধ তার পূর্ব হতেই ছিল। একারণেই হয়ত: তিনি প্রায়শঃ জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে জয়েদকে তুচ্ছ প্রতিপন্ন করতেন। আর তিনি এটা করতেন এমনভাবে, যা শুধুমাত্র নারীরাই জানে কিভাবে তা করতে হয় এবং স্বাভাবিকভাবে তা জায়েদের মনঃস্তাপ বৃদ্ধি করেছিল এবং এই বিতৃষ্ণা একসময় তাকে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্ররোচিত করেছিল।
জায়েদ তাকে পরিত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুহম্মদের কাছে তা প্রকাশ করেছিলেন। এতে মুহম্মদ তাকে বলেছিলেন, ‘তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর।’
তখন জায়েদ জয়নবের বিরুদ্ধে ভাষাগত শ্রেষ্ঠত্ব, গোত্রগত কৌলিন্যাভিমান এবং আনুগত্য ও শৈথিল্য প্রদর্শণের অভিযোগ উত্থাপন করলেন এবং মুহম্মদের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন না। এতে মুহম্মদ দুঃখিত হয়েছিলেন কারণ তিনিই এই বিবাহ-বন্ধনের আয়োজন করেছিলেন। আর পরবর্তীতে জয়নবকে কেন বিবাহ করেছিলেন তা আমরা সকলে জানি।
তালাক সংগ্রহের পর জয়নব মুহম্মদকে তাকে বিবাহ করার জন্যে নানা পন্থায় সানুনয় অনুরোধ চালিয়ে যেতে থাকলেন। তখন তাকে বিবাহ করার বাসনা মনে জাগলেও মুহম্মদ দ্বিধা-দ্বন্ধে ছিলেন লোকনিন্দার ভয়ে, এই ভেবে- এ বিয়ে বৈধ না অবৈধ হবে। অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হবার পর তিনি জয়নবকে বিবাহ করেন।
এ সংক্রান্ত কোরআনের আয়াতসমূহ- আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন; তুমিও যাকে অনুগ্রহ করেছ; তাকে যখন তুমি বলেছিলে, ‘তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছে থাকতে দাও এবং আল্লাহকে ভয় কর।’
তুমি অন্তরে এমন বিষয় গোপন করছিলে, যা আল্লাহ প্রকাশ করে দেবেন। তুমি লোকনিন্দার ভয় করছিলে, অথচ আল্লাহকে ভয় করা উচিৎ।(৩৩:৩৭)
‘তুমি যে স্ত্রীকে মায়ের মত বলে বর্জন কর আল্লাহ তাকে সত্যিই তোমার মা করেননি, অথবা যাকে তুমি আপন পুত্র বলে ঘোষণা কর, তাকে তোমার প্রকৃত পুত্র করেননি, এ সমস্ত তোমার মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শণ করেন। পালিত পুত্ররা তাদের আপন পিতার নামে পরিচিত হোক এ-ই আল্লাহর কাছে অধিকতর ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জান তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোদের কোন বিচ্যূতি হলে গোনাহ নেই তবে ইচ্ছেকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’(৩৩:৪-৫)
তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়, তুমি তার অনুসরণ কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।(৩৩:২) আল্লাহ নবীর জন্যে যা নির্ধারণ করেন তাতে তার কোন বাঁধা নেই। পূর্ববর্তী নবীদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। আল্লাহর আদেশ নির্ধারিত, অবধারিত।(৩৩:৩৮)
এই বিবাহ পৌত্তলিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। তারা বিমাতা ও শাশুড়ীকে বিবাহ করত। কিন্তু দত্তক পিতা কর্তৃক দত্তক পুত্রের বিবর্জিত স্ত্রীকে বিবাহ করাকে নিন্দনীয় কাজ হিসেবে দেখত। কোরআনের এই আয়াত নাযিল হবার পর এই ভ্রম নিরসন করে-
‘কিন্তু জায়েদ যখন জয়নবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে তোমার স্ত্রীরূপে দান করলাম, যাতে পালিত পুত্রের স্ত্রীদের বিবাহ করা সম্বন্ধে বিশ্বাসীদের মনে কোনরূপ খটকা না লাগে?’(৩৩:৩৭)
(এই বিবাহের পরও জায়েদ এবং মুহম্মদের মধ্যে শুরু-শিষ্য সম্পর্কের সামান্যতম অবনতি ঘটেনি। কেন? জায়েদকে কি নির্বোধ বলে মনে হয় আপনার?)
আর মেরী মুহম্মদের দাসী ছিল না, ছিল তার স্ত্রী। তার গর্ভে মুহম্মদের পুত্র ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করেছিল।
মুহম্মদ তেরটা বিয়ে করে রেকর্ড করে ফেলেছেন! তাহলে শলোমনের কি হবে? তার তো তিন শত বিবাহিত স্ত্রী ছিল।
মুহম্মদ কোন কোন বাণিজ্য কাফেলা লুটপাট করেছে পরিস্কার করে বলেন।
আর মুহম্মদের এই কাজগুলি অনুসরণ যোগ্য -ছোট একটা রচনাই লিখে দিলাম, পড়ে দেখেন।
মুহম্মদের ব্যক্তিত্বের বিনয় নম্রতা, আত্মার মহত্ত্ব ও হৃদয়ের পবিত্রতা, চরিত্রের তপশ্চর্যা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা ও কোমলতা এবং কঠোর কর্তব্যপরায়ণতা, যা তাকে আল-আমিন উপাধিতে বিভূষিত করেছিল তা সমন্বিত হয়েছিল তার আত্মসমীক্ষার কঠোর বোধের সঙ্গে- যা ছিল তার চরিত্রের বিশিষ্টতা। একবার তিনি মক্কার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলেন, তখন একজন অন্ধ, বিনয়ী বিশ্বাসীকে তার সঙ্গদান থেকে বিমুখ করেছিলেন। তিনি সর্বদা অনুশোচনার সঙ্গে এ ঘটনার পুনরুল্লেখ করতেন এবং এ ব্যাপারে আল্লাহর অনুমোদনের কথা ঘোষণা করতেন। অতঃপর যখনই মুহম্মদ ঐ ব্যক্তিকে দেখতে পেতেন তখনি তাকে সম্মান দেখানোর জন্যে কাজ ফেলে এগিয়ে যেতেন এবং বলতেন, ‘সেই ব্যক্তিকে বারবার অভিনন্দন যার জন্যে প্রভু আমাকে তিরস্কার করেছেন।’
মুহম্মদ। এই বিস্ময়কর ব্যক্তি যিনি পিতার স্নেহ কি তা কোনদিন জানতে পারেননি, শৈশবে মাতৃহারা হয়ে মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনি করুণ শৈশব থেকে তিনি চিন্তাশীল যুবকে পরিণত হয়েছেন। তার যৌবন, তার শৈশবের মতই নির্ভেজাল ও সত্যনিষ্ট; তার পরিণত বয়স তার যৌবনের মতই কঠোর ও অকপট। তার শ্রবনেন্দ্রিয় দীন ও দুর্বলদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি চির উম্মুক্ত; তার হৃদয় আল্লাহর সমগ্র জীবের প্রতি দরদ ও সহানুভূতিতে পরিপূর্ণ। তিনি এত বিনয় ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে চলাফেরা করতেন যে, লোকে তাকে দেখলেই বলত- ঐ যে, আল আমিন-বিশ্বাসী, সত্যবাদী ও বিশ্বাসভাজন চলেছেন।
একজন বিশ্বস্ত বন্ধু একজন অনুরক্ত স্বামী, জীবন মৃত্যুর রহস্য, মানুষের কাজ-কর্মের দায়িত্বসমূহ, মানুষের অস্তিত্বের পরিণতি ও লক্ষ্য উন্মোচনের জন্যে নিবেদিত চিন্তাবিদ হিসেবে মুহম্মদ একটি জাতি তথা বিশ্বকে ঢেলে সাজানো ও পরিশ্রুত করার মহান ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। এই কাজে একটি মাত্র হৃদয় (খাদিজা) তাকে শান্তি ও সান্তনা জুগিয়েছিলেন। ব্যর্থতা দ্বারা হতবুদ্ধি হলেও তিনি কখনও বিচলিত হননি, হতাশ হননি। যে কাজ সম্পাদনের জন্যে আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন তার সফল বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তিনি অবিরত সংগ্রাম করেছেন।
মুহম্মদের চরিত্রের পবিত্রতা ও মহত্ব, আল্লাহর করুণা সম্পর্কে তার সুতীব্র ও ঐকান্তিক বিশ্বাস শেষপর্যন্ত তার চারপাশে টেনে এনেছিল বিপুল সংখ্যক অনুরক্ত ভক্তকে। যখন তীব্রতম পরীক্ষার সময় উপস্থিত হয়েছিল, তিনি বিশ্বাসী নাবিকের মত তার শিষ্যরা নিরাপদ হবার পূর্ব পর্যন্ত নিজ অবস্থানে অবিচল ছিলেন। তারপর তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন।
মুহম্মদ ছিলেন মানুষের অধিপতি, মানুষের হৃদয়ের নিয়ন্ত্রক, নেতা, আইন প্রনেতা এবং প্রধান প্রশাসক। কিন্তু এসব সত্ত্বেও অহমিকা তার মধ্যে স্থান পায়নি-তিনি ছিলেন অত্যন্ত নম্রনত। এই ধর্ম প্রচারক নিজ হাতে তার পরিধেয় সেলাই করতেন এবং প্রায়ই অনাহারে অতিবাহিত করতেন, তিনি সত্যিই ছিলেন জগতের প্রবলতম শাসকের চেয়েও প্রবলতর ব্যক্তিত্ব।
মানুষ সর্বদা সেই ব্যক্তির প্রতি মহত্ত্বের ধারণা আরোপ করে যিনি অন্যায়ের প্রতিশোধ নেবার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমার স্বর্গীয় নীতির শুধু প্রচার করেন না বরং তার অনুশীলন করে থাকেন। রাষ্ট্র প্রধান ও জনগণের জীবন ও সম্পদের অভিভাবক হিসেবে মুহম্মদ ছিলেন তার নিকৃষ্টতম শত্রুর প্রতিও কোমল হৃদয় ও দয়ালু। তার চরিত্রে মানুষের চিন্তায় অধিগত শ্রেষ্ঠ গুণ-ন্যায়বিচার ও করুণার সম্মিলন ঘটেছিল।
মুহম্মদ সিনাই পর্বতের নিকটবর্তী সেন্ট ক্যাথারিন মঠের সন্ন্যাসীদের ও সকল খ্রীষ্টানদের একটি সনদ প্রদান করেছিলেন। এই সনদ তার মতবাদের বিস্ময়কর প্রশস্ততা ও ধারণার উদারতার নির্দেশক। এরদ্বারা তিনি খ্রীষ্টানদের যেসব সুযোগ-সুবিধা ও স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তা তারা তাদের স্বধর্মী নৃপতিদের শাসনাধীনেও পায়নি। এছাড়াও মুহম্মদ ঘোষণা করেছিলেন যে, এই সনদের মধ্যে যেসব বিষয় নির্দেশিত হয়েছে তা, যে মুসলমান লংঘন ও নিন্দা করবে সে আল্লাহর নির্দেশনামার খেলাফকারী ও ইসলাম ধর্মের অবহেলাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
মুহম্মদ খ্রীষ্টান ও তাদের গীর্জা, ধর্মযাজকদের নিরাপত্তা ও তাদের বাসগৃহ সংরক্ষণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন এবং তার শিষ্যদের প্রতি কড়া নির্দেশ দান করেছিলেন। এদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছিল যে, খ্রীষ্টানদেরকে যেন অন্যায়ভাবে কর দিতে না হয়; কোন বিশপ যেন তার নিজ এলাকা থেকে বিতাড়িত না হয়; কোন খ্রীষ্টান যেন তার শরীয়ত পরিত্যাগ করতে বাধ্য না হয়; কোন সন্ন্যাসী যেন মঠ থেকে বহিস্কৃত না হয়; কোন তীর্থযাত্রী যেন তীর্থ দর্শনে বঞ্চিত না হয়। মুসলমানদের মসজিদ কিংবা তাদের বাসগৃহ নির্মাণের জন্যে যেন খ্রীষ্টানদের কোন গীর্জা ধ্বংস করা না হয়। মুসলমানদের সঙ্গে বিবাহিত খ্রীষ্টান মহিলাদের স্বীয় ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার যেন থাকে এবং সে বিষয়ে তাদের প্রতি কোনরূপ জুলুম বা উৎপাত করা যেন না হয়।
যদি খ্রীষ্টানরা তাদের গীর্জা বা মঠ সংস্কারের জন্যে কিংবা তাদের আচার-অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে সাহায্যের আবশ্যকতা বোধ করে তবে মুসলমানরা যেন তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এই কাজ তাদের ধর্মে অংশ গ্রহণের সামিল বিবেচিত হবে না, এ শুধু তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করা এবং মুহম্মদের অধ্যাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শণ করা, যা আল্লাহ ও তাঁর রসূল কর্তৃক তাদের অনুকূলে প্রদত্ত হয়েছে। যদি মুসলমানরা মদিনার বাইরের খ্রীষ্টানদের সঙ্গে শত্রুতায় অবতীর্ণ হয়, তবে দেশের খ্রীষ্টান অধিবাসীদের প্রতি তাদের ধর্মের জন্যে যেন অবমাননা করা না হয়। কোন মুসলমান খ্রীষ্টানদের প্রতি অন্যথা আচরণ করলে সে ইসলামের শত্রু বলে ঘোষিত হবে।
মুহম্মদ মানুষকে দেখিয়েছিলেন তিনি কি ছিলেন। তার চরিত্রের মহত্ব, তার কঠিন বন্ধুত্ব, তার সহনশীলতা ও সাহসিকতা, সর্বোপরি তিনি যে সত্য প্রচার করার জন্যে এসেছিলেন তার প্রতি তার আন্তরিকতা ও অগ্নিগর্ভ উদ্দীপনা-এসব উৎকর্ষ তার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলেছিল। এসব গুণ তাকে অমান্য করা ও তার প্রতি অসম্ভব ভালবাসা, অনুরক্ততা পোষণ না করার ব্যাপারটাকে অসম্ভব করে তুলেছিল। মুকুটধারী কোন সম্রাটই নিজ হাতে সেলাইকৃত ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত এই মানুষটির মত আনুগত্য পাননি। মানুষকে প্রভাবিত করার বিস্ময়কর প্রতিভা ছিল তার।
মুহম্মদের মত বিশুদ্ধ, কোমল অথচ বীরত্বব্যঞ্জক স্বভাব শুধু শ্রদ্ধারই উদ্রেক করে না, ভালবাসারও উদ্রেক করে। মহৎ ব্যক্তিদের প্রতি বিনয়, দীন-দরিদ্রের প্রতি অমায়িকতা এবং দাম্ভিকদের প্রতি মর্যাদাপূর্ণ আচরণ তার জন্যে বয়ে এনেছিল সার্বজনীন শ্রদ্ধা ও ভক্তি। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সকলকে সমানভাবে প্রভাবিত করার প্রতিভা তিনি লাভ করেছিলেন। এই সঙ্গে তার মুখমন্ডলে ছিল একটা গাম্ভীর্য, প্রতিভার দীপ্তি, যারা তার সংস্পর্শে আসত তারা শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হত।
তার মনের অসাধারণ উন্নয়ন, অনুভূতির একান্ত কোমলতা ও বিশুদ্ধ এবং তার শুদ্ধাচার ও সত্যনিষ্ঠা হাদিসের অপরিবর্তিত বিষয়বস্তুতে রূপলাভ করেছে। তিনি নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি সর্বাপেক্ষা দয়ালু ছিলেন। তার ভৃত্য আনাস বলেছিলেন, ‘আমি দশ বৎসর ধরে হযরতের খেদমতে ছিলাম, তিনি কখনও উঃ পর্যন্ত বলেননি।’
তিনি শিশুদের অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি শিশুদের রাস্তায় দাঁড় করাতেন এবং তাদের চিবুকে হাত বুলিয়ে দিয়ে আদর করতেন। তিনি জীবনে কখনও কাউকে আঘাত করেননি। কথাবার্তায় তার ব্যবহৃত নিকৃষ্ট ভাষা হল, ‘তার কি হয়েছে? তার ললাট ধূলোয় ধুসরিত হোক!’
কাউকে তিরস্কার বা অভিশাপ দেবার জন্যে বলা হলে তিনি বলতেন, ‘অভিশাপ দেবার জন্যে আমাকে পাঠান হয়নি, আমি মানবের কাছে আশীর্বাদ হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’
মুহম্মদ পীড়িত লোকদের দেখাশুনো করতেন, প্রতিটি জানাজার মিছিল যা তার নজরে পড়ত তাতে যোগদান করতেন, ভৃত্যের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেন। তিনি নিজের পরিধেয় বস্ত্র পরিস্কার করতেন, নিজের ছাগ দোহন করতেন এবং নিজের পরিচর্যা নিজেই করতেন। তিনি কখনও আগে মৈত্রীর বন্ধন ছিন্ন করেননি, কেউ বিচ্ছিন্ন না হলে তিনি বিচ্ছিন্ন হতেন না, তিনি ছিলেন সবচেয়ে দিলদরাজ, সবচেয়ে সাহসী ও সবচেয়ে সত্যবাদী, তিনি যাদের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন, তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত রক্ষক ছিলেন। কথাবার্তায় তিনি ছিলেন সবচেয়ে মিষ্টভাষী, সবচেয়ে সদালাপী। যারা তাকে দেখত, তারাই তার প্রতি শ্রদ্ধাপ্লুত হয়ে পড়ত।
মুহম্মদ খুবই মৌনী স্বভাবের ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন কথা বলতেন, তখন তা গুরুত্ব ও বিবেচনা সহকারে বলতেন এবং তা কেউ বিস্মৃত হতেন না। বিনম্রতা ও অনুকম্পা, ধৈর্য্য, আত্মত্যাগ ও উদারতা তার সমস্ত আচরণে প্রকাশ পেত। তিনি তার আহার্য অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খেতেন এবং তার চারপাশের প্রত্যেকের আরাম আয়েশের দিকে অত্যন্ত যত্নবান থাকতেন। তিনি নিম্নস্তরের লোকদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শ্রবণ করার জন্যে পথের মধ্যে থামতেন। তিনি নীচু লোকদের গৃহে যেতেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশায় সমবেদনা জানাতে, তাদের ব্যর্থতায় অনুপ্রেরণা দিতে।
মুহম্মদ কখনও প্রথমে আল্লাহর প্রশস্তি কীর্তন না করে আহার শুরু করতেন না এবং শুকরিয়া প্রকাশ না করে আহার থেকে উঠতেন না। তার প্রতিটি কাজের সময় সুনির্দিষ্ট ছিল। দিনের বেলা যখন তিনি নামাজে থাকতেন না, তখন দর্শনার্থীদের সাক্ষাৎ দান করতেন এবং জনসাধারণের জন্যে কাজ করতেন। রাত্রিতে তিনি সামান্য ঘুমাতেন, অধিকাংশ রাত্রি আল্লাহর ধ্যানে অতিবাহিত করতেন।
তিনি দীন-দরিদ্রদের ভালবাসতেন ও তাদের শ্রদ্ধা করতেন। চরম শত্রুর প্রতিও তার আচরণ ছিল মহানুভবতা ও ধৈর্য্যশীলতার নিদর্শণ। রাষ্ট্রের শত্রুদের প্রতি তার কঠোর মনোভাব এবং নিজের প্রতি ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, হুমকি, জুলুম ও নির্যাতন বিজয় মূহুর্তে-সব তিনি ভুলে যেতেন এবং চরম অপরাধীকেও ক্ষমা করতেন।
মুহম্মদ অত্যন্ত সাদাসিধে প্রকৃতির ছিলেন। তার চাল-চলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, জিনিসপত্র সবই ছিল আড়ম্বরহীন। অনেক সময়ই তাকে অনাহারে থাকতে হত। খেজুর ও পানি প্রায়ই তার একমাত্র আহার্য ছিল। অভাবের জন্যে প্রায়ই তার গৃহে হাড়ি চড়ত না। আল্লাহ তার সম্মুখে এ জগতের সম্পদের ভান্ডার উন্মুক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।
এই বিশিষ্ট শিক্ষাগুরুর মন মানসিকতা ছিল মূলতঃ আধুনিক এবং তার সামাজিক ধারণা ছিল গঠনমূলক-বিচ্ছিন্নতাধর্মী নয়। তার সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক উন্নয়নের মূহুর্তেও তিনি পারিবারিক জীবনের কর্তব্য উপেক্ষা করেননি। মানুষের সেবাই তার কাছে ছিল সর্বোচ্চ ধর্ম কার্য।
মুহম্মদ তার পয়গাম প্রচারের পর দেড় হাজার বৎসর অতীত হয়েছে, কিন্তু এর মাধ্যমে তিনি যে নিষ্ঠা অনুপ্রাণিত করেছিলেন তার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম ঘটেনি এবং সেদিনকার মত আজও বিশ্বাসীদের অন্তরে ও মুখে সেই স্মরণীয়বাণী উৎসরিত হয়।
–‘হে আল্লাহর রসূল, আমার জীবন তোমাতে উৎসর্গীত হোক।’
@mkfaruk,
আপনার উক্ত বক্তব্য দিয়ে আপনার মানসিকতা বোঝা যায় যে নারীকে আপনি ব্যক্তি হিসাবে স্বীকার করতে নারাজ। তারপরেও আপনার যুক্তি ধরে নিলেও ইবনে কাথিরের তাফসির কি বলে ? সেটা পড়েন নি মনে হয় ভাই জান। একটু পড়ে নিন দয়া করে। উপরে আছে। আপনি কি কাথিরের চেয়ে কোরান বেশী বুঝেন?
আবু বশিরের কাহিনী বার বার এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন ভাইজান? আসলে এটাই ছিল সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কোন নারী মক্কা থেকে মদিনায় গেলে তাকে ফেরত না দেয়াতে খুব বেশী কিছু যায় আসে না বলেই কুরাইশরা এটা নিয়ে হয়ত তেমন কিছু বলে নি কিন্তু তাদের বানিজ্য কাফেলাতে ডাকাতি করে লোকদেরকে হত্যা করে লুটপাট করাতে তাদের অনেক ক্ষতি , তাই তারা কিন্তু মোহাম্মদের কাছে দুত পাঠিয়েছিল এ বিষয়ে মোহাম্মদ কে ব্যবস্থা নিতে , শর্ত – কোন পুরুষ মানুষও যদি পালিয়ে মদিনায় যায় তাহলে ফেরত দিতে হবে না। কিন্তু মোহাম্মদ আবু বশিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন নি। আপনি এ বিষয়টা একটু খোলাসা করুন, প্লিজ।
হা হা হা , ভাইজান , এতক্ষনে আপনার আসল মনোভাব বের হয়ে পড়েছে। আপনার এদের হাদিসে তেমন বিশ্বাস নেই। বরং বলা চলে যা আপনার পক্ষে যায় সেগুলি বিশ্বাস করেন , যা যায় না তা অবিশ্বাস করেন। এটা হলো চরম সুবিধাবাদিতার নমূনা। যুক্তি তর্কে সেটা তো চলবে না। উক্ত লোক সকল কি ইহুদি নাছারা নাকি মুশরিক ছিল? তারা কি ইচ্ছা করে নবীকে বিতর্কিত করার জন্য মনগড়া হাদিস লিখে রেখে গেছে? আর তা ছাড়া হাদিস ছাড়া মোহাম্মদকে চেনার উপায় কি ? বলবেন – কোরান। আল্লাহ কি কোরানের একটা প্রিন্টেড কপি সুন্দর বাঁধানো মোড়কে করে মোহাম্মদের কাছে পৌছে দিয়েছিল? না হলে কিভাবে দিয়েছিল, কিভাবেই বা সেটা বই আকারে বেরল? মোহাম্মদের জীবনী সম্পর্কে জানার উপায় কি তাহলে ? তার চাইতে বড় প্রশ্ন মোহাম্মদ যে একটা ঐতিহাসিক চরিত্র তা আপনি জানলেন কোথা থেকে? আপনাকে একটা প্রশ্ন করি –
হাদিস ছাড়া প্রমান করুন মোহাম্মদ বলে কোন লোক ছিল। আর সে লোক একজন পয়গম্বর ছিল।
এর পরই কিন্তু কোরানের স্থান । মোহাম্মদ পয়গম্বর ছিল এটা প্রমানের পর কোরান যে আল্লাহর কিতাব তা স্বয়ংক্রিত ভাবে প্রমানিত হয়ে যাবে। তার আগে নয়। দয়া করে নিচের সার্কুলার যুক্তি খাড়া করবেন না-
মোহাম্মদ বলেছে – কোরান আল্লাহর কিতাব।
কোরানে বলেছে – মোহাম্মদ আল্লাহর পয়গম্বর।
তাই মোহাম্মদ আল্লাহর পয়গম্বর।
বিষয়টা তাহলে এরকম হবে-
আমি ভবঘুরে বলছি – আমার এ নিবন্ধ লেখার সময় আল্লাহ আমাকে তথ্য সরবরাহ করেছে।
নিবন্ধ বলছে- ভবঘুরে একজন পয়গম্বর।
তাই আমি একজন পয়গম্বর।
এখানে আপনাকে প্রমান করতে হবে আমি পয়গম্বর নই।
আজব লাগছে শুনতে? বলবেন- যিনি দাবি করবেন তিনিই তা প্রমান করবেন। তাই যদি হয় আপনার লজিক – তাহলে কোরান-হদিস ছাড়াই আগে প্রমান করুন মোহাম্মদ পয়গম্বর। দয়া করে পূর্বোক্ত সার্কুলার লজিক আনবেন না। আপনারা কিন্তু সব সময় এ ধরনের সার্কুলার লজিক ব্যবহার করে থাকেন যা প্রকারান্তরে আপনাদের বক্তব্যকে হাস্যকর করে তোলে, অনেককেই দেখি এটা বুঝতেও পারে না।
জয়নাব নিয়ে মুক্তমনাতে লেখা আছে, ধর্ম ক্যটাগরিতে খোজ নিন পেয়ে যাবেন। এখানে আসল ব্যপার হচ্ছে নৈতিকতা যা আপনি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। জয়নাব জায়েদের স্ত্রী থাকার সময়ে মোহাম্মদকে আব্বা সম্বোধন করত, কারন জায়েদ ছিল তাঁর পালিত পূত্র। সেই মোহাম্মদ পরে কিভাবে উক্ত নারীকে বিয়ে করে বিছানায় তুলতে পারে। আর এটা কোন সাধারন মানুষ নয় , একেবারে দুনিয়ার শ্রেষ্ট ও আদর্শ মানুষ মোহাম্মদ একটা করেছেন, যার জীবনাদর্শ অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। জয়নাবকে বিয়ে না করলে ইসলামের কি এমন ক্ষতি হতো? বরং লাভই বেশী হতো। আজকে তাহলে মানুষ এটা নিয়ে মোহাম্মদকে সমালোচনা করতে পারত না। অথচ এ ধরণের একটা অনৈতিক কাজ করার জন্য কোরানে আল্লাহ বেশ কিছু আয়াত নাজিল করেছে। দেখে মনে হয়- আল্লাহ এ বিয়ে নিয়ে বহু পেরেসানির মধ্যে ছিল। মোহাম্মদের ব্যক্তিগত খায়েশ মিটাতে আল্লাহর এত ব্যতিব্যস্ততাই সন্দেহের উদ্রেক করে। একজন সর্ব শক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহর চরিত্রের সাথে খাপ খায় না। উক্ত সব আয়াত যে প্রকারান্তরে মোহাম্মদের নিজের বানান তা বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। তাছাড়া এটা আপনার বর্ণিত তথ্যেরও বিরোধী। আপনি বলেছেন –তখন আরবরা বিমাতা ও শাশুড়িকে বিয়ে করত যা অবশ্যই অন্ধকার যুগের প্রথা। এ প্রথা থেকে উদ্ধার করতেই মোহাম্মদের আগমন। কিন্তু তিনি নিজেই স্বয়ং পূত্র বধুকে বিয়ে করে কি ধরনের আদর্শ স্থাপন করলেন তা আমাদের বোধগম্য। শিশু বিয়ে করাও ছিল জাহেলিয়া যুগের খারাপ প্রথা। কিন্তু মোহাম্মদ ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করে কিভাবে এ প্রথা রদ করলেন তা তো বোঝা গেল না। নাকি আপনি এখন গবেষণা করে বের করেছেন যে আয়শাকে ৬ বছর বয়েসে বিয়ে করেন নি ? যদি করে থাকেন তার সূত্র কি? সূত্রের বিশ্বাসযোগ্যতাই বা কি ? কিন্তু আসল কথা হলো কোরান হাদিস সিরাত অনেক কিছুই পড়লাম কোথাও দেখি নাই লেখা আছে আরবরা বিমাতা বা শাশুড়ীকে বিয়ে করত। আপনার এ তথ্যের সূত্র কি ? কিভাবেই বা তা আবার বিশ্বাস করেন ?
এটা আপনার ব্যক্তিগত আতিশয্যের কথা। এসব কথা যখন বলেন তখন মোহাম্মদের ইতিহাস ভুলে যান বা না জেনেই বলেন। মোহাম্মদ ৪০ বছরে নবুয়তি পান, এর পর ১০ বছর ধরে মক্কাতে ইসলাম প্রচার করেন, এ দশ বছরে তার অনুসারীর মোট সংখ্যা ৬০/৭০ এর বেশী ছিল না। তাও আবু বকর ও ওমর ছাড়া বাকি সবাই ছিল প্রায় দাস/দাসি। এটাকে বিপুল সংখ্যক লোক বলা যায় না। মোহাম্মদ মদিনায় গিয়ে যখন ক্ষমতায় আসীন হন , তখনই মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয় মূলত লুট পাট করা গণিমতের মালের জন্য। যার প্রমান কিন্তু এ নিবন্ধে হাদিস থেকে দেয়া আছে। হাদিস বিশ্বাস না করলে আপনাকেই প্রমান করতে হবে কিভাবে বিপুল মানুষ আকৃষ্ট হলো। অত:পর মোহম্মদ মদিনার চারপাশে অনবরত আক্রমন চালাতে থাকেন, তাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দিয়ে বলা হতে থাকে যে ইসলাম গ্রহন না করলে এরকম আক্রমনের সম্মুখীন প্রায়ই হতে হবে ও খুন হয়ে যেতে হবে যা মোহাম্মদ তার গোটা মদিনার জীবনে করে গেছেন। তা আবার করেছেন আল্লাহর বানীর নামে – সূরা আত তাওবা মন দিয়ে শানে নুযুল সহকারে পড়ুন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
আহা দয়াল ও করুনার সাগর নবি! সেকারনেই তিনি ৬ বছর বয়েসের আয়শাকে বিয়ে করে ৯ বছর বয়েসে তাকে স্ত্রী হিসাবে ঘরে তোলেন। শিশুদের ভাল না বাসলে কি এটা কেউ করে ? স্ত্রী হিসাবে ঘরে তুলে একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে কি করে , এটা কি খোলাসা করে বলতে হবে ?
খৃষ্টানদের ব্যপারে যেসব কথা বললেন দলিল থেকে প্রমান সহকারে উপস্থাপন করলে তার উত্তর দেয়া হবে।
বিবেক জাগ্রত করুন, চোখ খুলুন, মুক্ত মন নিয়ে কোরান হাদিস পড়ুন, মোহাম্মদকে চিনুন। এতে আপনার আমার জাতির উপকার হবে। ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
কিন্তু তিনি নিজেই স্বয়ং পূত্র বধুকে বিয়ে করে কি ধরনের আদর্শ স্থাপন করলেন তা আমাদের বোধগম্য। এর স্থলে হবে বোধগম্য নয়।
@ভবঘুরে,
মি ভবঘুরে, আসলে আমরা সত্য প্রকাশকারী’-এ কথা না বলে বলুন আমারা সত্য বিকৃতকারী। আপনি বলছেন ‘বাজে কথা বলার ফোরাম এটা না’, কিন্ত আমি তো দেখছি আপনি তাই করে যাচ্ছেন। প্রকৃত সত্যকে না জেনে বা জেনে আড়াল করে যাচ্ছেন।
এখন আমরা দেখি প্রকৃত তথ্য কি। আর কারা হুদাইবিয়ার সন্ধি খেলাপ করেছে।প্রথমে আমরা দেখি হুদাইবিয়ার সন্ধির শর্তগুলি কি ছিল। সন্ধির শর্তগুলি ছিল এমন-
১)-এ বৎসর মুসলমানদেরকে হজ্জ্বব্রত পালন না করেই ফিরে যেতে হবে।
২)-তাদেরকে পরবর্তী বৎসর কা’বাগৃহ দর্শণের অনুমতি দেয়া হবে
৩)-প্রয়োজনীয় অস্ত্র তীর্থযাত্রীরা সঙ্গে নিয়ে ‘কোশবদ্ধ অবস্থায়’ তিন দিনের জন্যে মক্কায় থাকতে পারবে।
৪)-দশ বৎসরের জন্যে শত্রুতা বন্ধ থাকবে এবং কেউ যুদ্ধকারীদের সাহায্য করবে না। যে গোত্র যার সাথে রয়েছে তার বেলায় এই নীতি প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ এদের কারও প্রতি আক্রমণ বা আক্রমণে সাহায্যদান হবে চুক্তিভঙ্গের নামান্তর।
৫)-যদি কুরাইশদের কোন ব্যক্তি অভিভাবক বা প্রধানদের সম্মতি ব্যতিরেকে মুহম্মদের দলভূক্ত হয়, তবে তাকে কুরাইশদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
৬)-মুসলমানদের মধ্যে থেকে যদি কেউ মক্কাবাসীদের কাছে ফিরে যায়, তবে তাকে ফেরৎ দেয়া হবে না।
৭)-কোন গোত্র যদি কুরাইশ কিংবা মুসলমানদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চায় তবে বাঁধামুক্ত অবস্থায় স্বাধীনভাবে তা করতে পারবে। ইত্যাদি
চুক্তির এই শর্তগুলি কুরাইশদের দেয়া মুহম্মদের নয়। (ভবঘুরে, আপনি কিন্তু আপনার আর্টিকেলে- হুদায়বিয়ার চুক্তিতে মোহাম্মদ অত্যন্ত চাতুরতার পরিচয় দেন। -বলে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।)
সন্ধি শেষে মুহম্মদ যখন হুদাইবিয়াতেই অবস্থানরত ছিলেন, তখন কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত হল। আবু জন্দল নামক এক মুসলমানকে কুরাইশরা বন্দী করে রেখেছিল। সে কোন রকমে পালিয়ে মুহম্মদের কাছে উপস্থিত হল।
সন্ধির (৫ম) শর্তানুসারে কুরাইশরা জন্দলকে ফিরিয়ে দেবার দাবী করল। মুহম্মদ সন্ধিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি শরীয়তের নীতিমালার হেফাযত ও তৎপ্রতি দৃঢ়তা কখনও বিসর্জন দিতে পারেন না। তাই কিছু কিছু মুসলমানদের আপত্তির মৃদু গুঞ্জন সত্ত্বেও তিনি তৎক্ষণাৎ কুরাইশদের দাবী মেনে নিলেন এবং জন্দলকে ফেরৎ পাঠালেন। এরপর ঘটেছিল সাঈদার বিষয়টি।
আপনি মি: ভবঘুরে বলেছেন সাঈদাকে ফেরৎ না দিয়ে মুহম্মদ চুক্তির ভঙ্গ করেছেন। আর আমি বলছি মুহম্মদ সন্ধি চুক্তির কোন শর্তই ভঙ্গ করেননি। আপনি চুক্তির যে শর্তের (৫ম শর্ত) কথা বলছেন স্পষ্টতই ঐ শর্তটি পুরুষদের জন্যে। নারীদের সম্পর্কে ঐ শর্তে কিছু বলা হয়নি। কেননা ব্যক্তি বা লোক বলতে পুরুষ বোঝায় নারী নয়। কিন্তু কিছু মুসলিম ভ্রান্তিতে ছিল, যখন কুরাইশরা সাঈদাকে ফেরৎ চেয়েছিল। তখন এ সম্পর্কে আয়াত নাযিল হলে এবং মুহম্মদ চুক্তির শর্তটি ব্যাখ্যা করলে শর্তটির প্রকৃত অর্থ স্পষ্ট হয় এবং মুসলিমদের ভ্রান্তি দূর হয়। নাযিলকৃত আয়াতটি এই–মুমিনগণ, যখন তোমাদের কাছে ঈমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জান যে, তারা ঈমানদার, তবে আর তাদেরকে কাফেরদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা কাফেরদের জন্যে হালাল নয় এবং কাফেররা এদের জন্যে হালাল নয়। কাফেররা যা ব্যয় করেছে, তা তাদের দিয়ে দাও। তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। তোমরা কাফের নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়। (60:10)
অত:পর মুহম্মদ সাঈদার স্বামীর কাছে সন্ধিচুক্তির উল্লেখিত শর্তের সঠিক ব্যাখ্যা শেষে সাঈদাকে ফিরিয়ে দেবার দাবী প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন- এই শর্ত পুরুষদের জন্যে, নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
যদি মুহম্মদ শর্ত ভঙ্গ করত তাহলে কুরাইশরা প্রতিবাদ করত। কিন্তু তাদের কেউই প্রতিবাদ করেনি।
কিন্ত কুরাইরা সন্ধি চুক্তির ৪র্থ শর্তটি ভঙ্গ করেছিল। (উপরের শর্তটি দেখুন।)
বনি খোজারা মুসলমানদের সঙ্গে তাদের রক্ষণাবেক্ষণে চুক্তিসূত্রে আবদ্ধ ছিল। আর কুরাইশরা ছিল বনি বকরদের সঙ্গে। কুরাইশরা হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তির ৪র্থ শর্তটি ভঙ্গ করে গোপনে বনি বকরদেরকে যোদ্ধা ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল। তাদের সহযোগিতায় পুষ্ট হয়ে বনি বকররা বনি খোজাদেরকে আক্রমণ করেছিল রাতের বেলায়। এতে অধিকাংশ খোজা নিহত হয়েছিল এবং অল্পকিছু পলিয়ে গিয়েছিল।
কুরাইশরা ভেবেছিল নৈশ অভিযানে বনি বকরদেরকে গোপনে সাহায্য করার এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ সূদূরে অবস্থানরত মুহম্মদ বা মুসলমানরা কখনও জানতে পারবেন না। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া ঐসব বনি খোজারা অতিকষ্টে মদিনায় এসে পৌঁছেছিল। অতঃপর মুহম্মদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দান করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছিল। তারা তাদের অভিযোগে বলেছিল, ‘হে রসূলুল্লাহ! কুরাইশরা আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তারা আপনার সেই সূদৃঢ় প্রতিজ্ঞাপত্রখানা বাতিল করে দিয়েছে। রজনীর অন্ধকারে অতর্কিতভাবে তারা বনি বকরদের সাথে আমাদের ‘অরক্ষিত’ আবাসগুলি আক্রমণ করেছে এবং আমাদেরকে শায়িত ও উপবিষ্ট অবস্থায় নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে।’
কুরাইশ ও বনি বকরের এই পৈচাশিক অত্যাচারের ও মিত্র খোজা বংশের এই মর্মন্তুদ হত্যাযজ্ঞের পর এই আয়াতসমূহ নাযিল হল -‘সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।’(৯:১)
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (০৯:০৫)—-এই হল আয়াতসমূহ নাযিল হওয়ার কারণ (শানে নযুল), যা আপনি মি: ভবঘুরে, ব্যাখ্য না করে আয়াতসমূহের অপব্যাখ্যা করেছেন। এখন আমরা দেখব পরবর্তী ঘটনা কি?
এদিকে বনি খোজাদের কিছু লোকের পালিয়ে মদিনায় গমনের সংবাদ কুরাইশদের কাছে শীঘ্রই পৌঁছে গেল। তারা বদর, ওহোদ ও আহযাব যুদ্ধের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে নিতে না পেরে এমনিতে হীনবল হয়ে পড়েছিল। তার উপরে চুক্তিভঙ্গের বর্তমান ঘটনায় তাদের কাছে মুসলমানদের যুদ্ধ প্রস্তুতির আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছিল। অতঃপর মুহম্মদ ও মুসলমানদের পূর্ণ নীরবতা তাদের এই আশঙ্কাকে আরও ঘনীভূত করেছিল। সুতরাং কুরাইশ দলপতি আবু সুফিয়ান মুহম্মদ ও মুসলমানদের মনোভাব জানতে তাড়াতাড়ি মদিনায় হাজির হয়েছিলেন।
মদিনায় এসে আবু সুফিয়ান স্বীয় কন্যা, নবী পত্নী উম্মে হাবিবার হুজরায় উপনীত হলেন। পিতাকে দেখে হাবিবা তাড়াতাড়ি হযরত যে বিছানায় উপবেশন করতেন তা গুটিয়ে রাখলেন। এ দেখে আবু সুফিয়ান বললেন, ‘এই বিছানার মর্যাদা কি তোমার পিতার চাইতেও বেশী।’
তিনি বললেন, ‘এই শয্যায় আল্লাহর রসূল উপবেশন করেন, আর তুমি হলে মুশরিক।’
কন্যার এই উত্তর শুনে তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ‘মুহম্মদ আমার এই স্নেহের কন্যাটিকে যাদুর জালে আবদ্ধ করে আমার প্রতি এরূপ বীতশ্রদ্ধ করে রেখেছে!’
কন্যার হুজরা থেকে বেরিয়ে আবু সুফিয়ান মদিনায় ইতস্ততঃ এদিক সেদিক ঘুরলেন। কোথাও কোন যুদ্ধ প্রস্তুতি নেই- নিশ্চিত হয়ে তিনি অতঃপর মুহম্মদের দরবারে হাযির হলেন। মুহম্মদ আবু সুফিয়ানের মদিনায় আগমনের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করলেন, বললেন, ‘কি উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার এখানে আগমন?’
আবু সুফিয়ান বললেন, ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি আমাদের পক্ষ থেকে ভেঙ্গে গিয়েছে। সুতরাং পুনঃরায় সন্ধি স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে আমি আগমন করেছি।’
মুহম্মদ তার কথার কোন উত্তর না দিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এতে তার মনোভাব বুঝতে পেরে শঙ্কিত হয়ে তিনি দরবার থেকে বেরিয়ে গণ্যমান্য কয়েকজন সাহাবীর কাছে আবেদন রাখলেন যেন তারা মুহম্মদের কাছে চুক্তি বলবৎ রাখার সুপারিশ করেন। কিন্তু তারা সবাই কুরাইশদের পূর্ববর্তী ও উপস্থিত ঘটনাবলীর তিক্ত অভিজ্ঞতার দরুন প্রস্তাবটি নাকচ করে দিলেন। ফলে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে মক্কায় ফিরে এলেন আবু সুফিয়ান। এই হল প্রকৃত ঘটনা। এবার আমরা দেখব পরবর্তীতে কি হয়েছিল।
৮ম হিজরীর ১৮ই রমজান। পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে দশ সহস্য সৈন্য সংগ্রহ শেষে মুহম্মদ মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। এরূপে মূসার ভবিষ্যৎ বাণী পূর্ণ হল, ‘দশ সহস্র ন্যায়নিষ্ট সহচরসহ তিনি এলেন। মক্কার উপকন্ঠে ‘মার উজ-জহরান’ নামক গিরি উপত্যকায় শিবির স্থাপিত হল।
সন্ধি ভঙ্গ করে বনি বকরদের উপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞে সহযোগীতা করার দায়ে কুরাইশদের উপর অনুরূপ হত্যাযজ্ঞ চালানোই ছিল উপযুক্ত বিচার। কিন্তু (৯:৫) আয়াতের শেষাংশে আল্লাহ বলেছেন যে-[sb]কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[/sb] সুতরাং মুহম্মদ দূত মারফত কুরাইশদের কাছে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।।
– হয় তোমরা বনি খোজা গোত্রকে উপযুক্ত রক্তপণ দিয়ে এই অন্যায়ের প্রতিকার কর। অথবা,
– বনি বকর গোত্রের সাথে সকল সম্বন্ধ ছিন্ন কর। অথবা,
– হুদাইবিয়ার সন্ধি বাতিল হয়েছে বলে ঘোষণা কর।
কুরাইশরা দূতকে জানিয়ে দিল, ‘আমরা তৃতীয় শর্তটিই মেনে নিলাম।’
উপরের সমস্ত বর্ণনা থেকে এটা অতি পরিস্কার যে, মুহম্মদ বা মুসলমানদের দ্বারা হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ করা হয়নি বরং ঐ চুক্তি ভঙ্গ করেছিল কুরাইশগণ।
এখন আমরা দেখব বশরের কাহিনী। বশর কুরাইশদের অত্যাচারের হাত থেকে পালিয়ে মদিনায় চলে এল। মক্কাবাসীরা সন্ধির চুক্তি অনুসারে তাকে ফেরৎ চাইলে মুহম্মদ তাকে ফেরৎ দিয়ে দিলেন। মক্কায় ফিরে গেলে কি মাত্রার শারিরীর অত্যাচার হবে তা বশর জানত। সুতরাং সে নিজ জীবন বাঁচাতে দু’জনের একজনকে হত্যা করে সাগরপারের দিকে পালিয়ে গেল। এতে দোষের কি? জীবন বাঁচাতে অস্ত্র ধারণ সকল ধর্মেই স্বীকৃত। আর তাই যে ব্যক্তি বশরের হাত থেকে বেঁচে মদিনায় মুহম্মদের নিকট পালিয়ে গিয়েছিল সে বা কুরাইশদের কেউ মুহম্মদের দরবারে বশরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিচার প্রার্থী হয়নি।
এর পর কি হল? বশর কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলা লডটতরাজ করতে লাগল। এতে কি সে দোষের কিছু করেছে? স্ত্রী-পুত্র পরিজন রেখে সে সাগরপারে লুকিয়ে জীবন-যাপন করছে কেন? কারা দায়ী এজন্যে? সুতরাং তার সম্মুখ দিয়ে কুরাইশদের পণ্য-সম্ভার চলে যাবে আর সে পেটে পাথর বেঁধে চেয়ে চেয়ে দেখবে? বাহ দারুণ।
এদিকে কুরাইশরা কি করল? বশরের কার্যাবলী যদি অপরাধের পর্যায়ে পড়ত কুরাইশরা অবশ্যই মুহম্মদের দরবারে বিচারপ্রার্থী হত। কিন্তু অপরাধের পর্যায়ে পড়েনি বলে তারা লোক পাঠিয়ে কেবল সন্ধিচুক্তির ৫ম শর্তটি প্রত্যাহার করে নেয়।
এখানে একথা ভুলে গেলে চলবে না যে কুরাইশদের প্রকৃতি কেমন ছিল। ওমর বিশরকে হত্যা করাতে তৎক্ষণাৎ কিছু মুসলিম তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মুহম্মদের দরবারে মামলা দায়ের করেছিল। বিশরের উদাহরণ দিয়ে আমি একথা বলতে চাচ্ছি যে, অন্যায়কে প্রশয় দেবার মত প্রকৃতি কুরাইশদের (হোক সে মুসলিম বা পৌত্তলিক) কখনও ছিল না।
এর পর আসি ‘সহি বুখারি, ভলিউম-৭, বই-৭২, হাদিস-৭১৭’ হাদিসের ব্যাপারে। এ দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন আপনি? তার মানে ইসলাম একজন মুসলমানকে যেমন ইচ্ছা খুশী অপকর্ম করার ফ্রি লাইসেন্স দিচ্ছে, শধু শর্ত একটাই – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় ও মোহাম্মদ তার রসুল এটুকুতে বিশ্বাস করা।
একথা কেন বলছেন না অপরাধীর সর্বাপেক্ষা কঠোর, নিকৃষ্টতম শাস্তি ইসলামেই আছে। চুরির অপরাধে ডান হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলা, ডাকাতির অপরাধে ডান হাত বা বাম পা কর্তন । ব্যভিচারের শাস্তি এক‘শ বেত্রাঘাত (অবিবাহিতের বেলায় প্রযোজ্য) অথবা প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা (বিবাহিতের বেলায় প্রযোজ্য) এবং ব্যভিচারের অপবাদ আরোপের শাস্তি আশিটি বেত্রাঘাত।
বার বার অপকর্ম করেও কিন্তু একজন মানুষ বেহেস্তে যেতে পারে যদি তার ইমান থাকে।– এ কথা তো সেই ইসলামের এবং দুনিয়ার প্রথম মানব আদম থেকেই সত্য। এতে তো নতুন কিছু দেখছিনে। আর ইসলামে অপরাধকারীর শাস্তি দুনিয়াতে কি তা তো এই মাত্র বললাম।
আপনি মুহম্মদের অপকর্মের উদাহরণ দিচ্ছেন-উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- বানু কুরাইজা, খায়বার এসবের ওপর আক্রমন ,ইহুদিদেরকে নির্বিচারে হত্যা, তাদের ধন সম্পদ লুট-পাট, নারীদেরকে ভাগাভাগি করে নিয়ে যৌনদাসী বানান।
-এভাবে সত্যকে বিকৃত করা যাবে না, মি ভবঘুরে। প্রকৃত তথ্য জানতে হবে-
মক্কার কুরাইশদের একান্ত আকাঙ্খা ছিল আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ও অন্যান্য মুনাফেকদের দ্বারা মদিনাতে একটা আভ্যন্তরীণ বিপ্লব সংঘটিত করা। কিন্তু বদর যুদ্ধের পর তারা বুঝতে পারল যে, এদের দ্বারা এ ধরণের কোন কাজ সংঘটিত করার ক্ষমতা, যোগ্যতা বা বুদ্ধিমত্তা- কোনটাই নেই। উবাই কর্তৃক হতাশ হয়ে তারা মদিনার ইহুদি গোত্রের সাথে সঙ্গোপণে যোগাযোগ রক্ষা করতে লাগল। এ ছাড়া তারা মক্কার চারিদিকে তাদের দূত পাঠিয়ে বিভিন্ন গোত্রকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলল। এই কাজে ইহুদিরা সবচেয়ে বেশী সক্রিয় হল।
কিছু নাজির গোত্রের লোকের উদ্দীপনায় খায়বরের ইহুদিরা মুসলমানদের ধ্বংস করার লক্ষ্যে একটি লীগ গঠনের চেষ্টা করল। তাদের চেষ্টা আশাতিরিক্ত সফল হয়েছিল। একটি প্রবল আঁতাত শীঘ্রই গড়ে উঠল। দশ সহস্য সু-নিয়ন্ত্রিত সৈন্যের একটি বাহিনী আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মদিনা অভিমুখে অগ্রসর হল। পথে কোন বাঁধা না পেয়ে তারা পঞ্চম হিজরীর শাওয়াল মাসে মদিনার কয়েক মাইলের মধ্যে আক্রমণের পক্ষে সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থানে তাঁবু স্থাপন করল।
নিরাপত্তার জন্যে সুরক্ষিত গৃহসমূহে নারী ও শিশুদের রেখে পরিখার সম্মুখে নগরের বাইরে মুসলমানরা তাঁবু স্থাপন করল। এ সময়ে সক্রিয় সাহায্যের প্রত্যাশা না করলেও অন্যদিকের নিরাপত্তার জন্যে অন্ততঃপক্ষে তারা বনি কুরাইজা গোত্রের নিরপেক্ষতার উপর নির্ভর করেছিল।
মদিনায় যখন সাধারণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়, তখন অন্যান্য শর্তাদির সঙ্গে প্রত্যেক গোত্র এই শর্তও মেনে নিয়েছিল যে, মুসলমানদের কোন শত্রুকে কোনভাবেই তারা সাহায্য সহযোগিতা করবে না এবং যদি বহিঃশত্রু কর্তৃক মদিনা প্রজাতন্ত্র আক্রান্ত হয় তবে তারা মুসলমানদের সঙ্গে স্বদেশ রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। কিন্তু প্রথম থেকেই ইহুদিরা এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছিল। বনি কুরাইজার এরূপ চুক্তিভঙ্গের অপরাধ পর পর ক্ষমা করা হয়।
ওহুদ যুদ্ধের পর তারা নুতন করে মুসলমানদের সঙ্গে এই মর্মে সন্ধিচুক্তি করে যে, অতঃপর আর কখনই তারা তাদের শত্রুদের সাথে হাত মেলাবে না। এই চুক্তি স্থাপনের সুবাদে ক্ষতিপূরণ ও দন্ড ব্যতিরেকেই তাদের অপরাধ মার্জনা করা হয়।
অতঃপর কুরাইশদের মদিনা আক্রমণের সংবাদে প্রথম সুযোগেই তারা সন্ধিপত্র ছিন্নকরে ফেলে এবং শত্রু শিবিরে যোগদান করে। তাদের চুক্তিভঙ্গের খবর মুহম্মদের কানে পৌঁছিবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাদ বিন রিদ্দবকে পাঠিয়ে তাদেরকে অনুরোধ করলেন তাদের তাদের কর্তব্য পালন করতে ফিরে যাবার জন্যে। তারা যে উত্তর প্রদান করেছিল তা অতীব ঔদ্ধত্যপূর্ণ। ‘কে সেই মুহম্মদ, কে সেই প্রেরিত পূরুষ যাকে আমরা মানব? আমাদের ও তার মধ্যে কোন চুক্তি নেই।’
বনি কুরাইজা গোত্রের দক্ষিণ পূর্বদিকে অনেকগুলি সুরক্ষিত দূর্গ ছিল। তারা এলাকাটির সঙ্গে সুপরিচিত ছিল এবং তারা অবরোধকারীদেরকে মদিনার দুর্বল জায়গাগুলো দেখিয়ে দেবার ব্যাপারে বাস্তবিক সাহায্য করতে পারত। তাছাড়া তারা কয়েকজন মুসলিম মহিলা ও শিশুকে হত্যা করে তার দায়ভারও গ্রহণ করল। এসব কারণে মুসলমানদের মধ্যে ভীষণ আতঙ্ক দেখা দিল। ফলে মূল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে মুসলিম বাহিনীর এক উল্লেখযোগ্য অংশকে নিজেদের মহিলা ও বালক-বালিকাদের সুবাদে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রাখতে হল। এতে সহজেই কুরাইশ বাহিনী পরিখা অতিক্রমপূর্বক মদিনায় প্রবেশ করে মুসলমানদেরকে নির্মূল করার সম্ভাবণা সৃষ্টি হয়েছিল।
যাহোক কুরাইশরা ব্যর্থ হল। তারপর কি হল?
বনি কুরাইজা গোত্র অঙ্গীকৃত চুক্তি সত্ত্বেও বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়েছিল এবং একসময়ে তাদের দিক থেকে তারা মদিনাবাসীকে প্রায় হতবাক করে ফেলেছিল- এটা এমন একটা ঘটনা যা সফল হলে মুসলমানরা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হত। কাজেই মুসলমানরা এই বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাখ্যা দাবী করা তাদের কর্তব্য হিসেবে মনে করল। এই দাবী কুরাইজা গোত্র স্পর্ধার সাথে প্রত্যাখ্যান করল। ফলে ইহুদিদের অবরোধ করা হল এবং স্বেচছায় আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করা হল। তারা একটি মাত্র শর্ত প্রদান করল যে, আউস গোত্রের প্রধান সা‘দ ইবনে মু‘আজের বিবেচনার উপর তাদের শাস্তি নির্ভর করতে হবে।
সা‘দ ইবনে মু‘আজ ছিলেন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। পরিখা যুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মদিনার মসজিতুন নবীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। ইহুদিদের প্রস্তাবে মুহম্মদ বাধ্য হয়ে সেই অবস্থাতেই তাকে আনতে লোক পাঠালেন।
সা’দকে তার খাটিয়া শুদ্ধ বহন করে আনা হল। মুহম্মদ তাকে বললেন, ‘ইহুদিরা তোমাকে বিচারক নিযুক্ত করেছে। তুমি যে-দন্ড বিধান করবে তাই তারা মেনে নেবে। আমিও তা মেনে নিতে রাজী আছি।’
সাদ কি তাদেরকে কোরআনের আলোকে বিচার করবে? তা করলে কি তারা মানত? সুতরাং সাদ তাওরাতের আইন অনুসারেই বিচার করল। সাদ বলল, তাওরাতে আছে-‘কোন দলের সাথে বিরোধ উপস্থিত হলে প্রথমে তাদেরকে সন্ধির জন্যে আহবান কর, যদি তারা সে আহবানে কর্ণপাত করে এবং সন্ধি করতে রাজী হয়, তবে তাদেরকে করদমিত্র রূপে গ্রহণ কর, যদি তারা তা না শুনে, তবে তাদের সাথে যুদ্ধ কর, যুদ্ধে তারা পরাজিত হলে তাদের পুরুষদেরকে হত্যা কর, স্ত্রী, পুত্র, বালক-বালিকাদের দাস-দাসীরূপে ব্যাবহার কর এবং তাদের ধন-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নাও।’ –এই শাস্ত্র বিধান অনুসারে আমি এই রায় দিচ্ছি যে, মুসলমানদের সাথে সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করার জন্যে সমস্ত ইহুদি পুরুষদের, যারা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল-প্রাণদন্ড হবে, স্ত্রীলোক এবং বালক-বালিকারা মুসলমানদের দাস-দাসীরূপে পরিগণিত হবে এবং তাদের সমস্ত সম্পত্তি মুসলিম সৈন্যদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে।’
এই দন্ডজ্ঞা ছিল, নিঃসন্দেহে নির্মম কিন্তু সেই যুগে যুদ্ধের গৃহীত প্রথাসমূহের সঠিক প্রয়োগ। যদি সা’দের বিচার ছাড়াই তাদের প্রতি হত্যা দন্ডাজ্ঞা দেয়া হত, সেক্ষেত্রেও তৎকালীন যুদ্ধনীতির সঙ্গেও তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হত। অধিকন্তু তারা নিজেরাই সা’দকে একমাত্র সালিস ও বিচারক মনোনীত করেছিল। তারা জানত যে, তার বিচার আদৌ গৃহীত ধারণার বিপরীত নয়। কাজেই তারা কোন অনুযোগ করেনি। তারা একথাও জানত যে যদি তারা জয়ী হত তবে কোন বিবেচনা ছাড়াই তারা শত্রুনিধন করত। হযরত দাউদ অধিকতর হিংস্রতা সহকারে বিজিত অমালেকাদের সঙ্গে আচরণ করেছিলেন, তাদের কাউকে বিঁধে, কাউকে কুড়াল দ্বারা কুপিয়ে ও করাত দিয়ে চেরা হয়েছিল, আর অন্যান্যদের ইটের চুল্লিতে ঝলসিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
মারাত্মক আহত সাদ পরদিন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। কিন্তু তার দন্ডাজ্ঞা যথাযথভাবে কার্যকরী করা হয়েছিল। এতে মুহম্মদের দোষটা কোথায়?
আর বনি কাইনুকার ঘটনাটা এই-
ইহুদি গোত্র বনি কাইনুকার বেশীরভাগ লোক ছিল কারিগর। তারা স্ব-ধর্মাবলম্বী লোকদের মত দেশদ্রোহী, দুর্বিনীত ও কলহপ্রিয়। তারা তাদের চরম নৈতিক শৈথিল্যের জন্যেও বিখ্যাত ছিল। একদিন এক গ্রাম্য তরুণী বাজারে দুধ বিক্রি করতে এল। ইহুদি তরুণেরা তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করল। একজন মুসলমান পথচারী বালিকার পক্ষ গ্রহণ করলে যে দাঙ্গার সুত্রপাত হল তাতে অশ্লীল আচরণকারী নিহত হল। ফলে উপস্থিত ইহুদিরা মুসলমানটাকে হত্যা করে ফেলল।
এই ঘটনায় উত্তেজিত মুসলমানরা অস্ত্রধারণ করল এবং এক বন্য দৃশ্যের অবতারণা ঘটল। রক্তের স্রোত প্রবাহিত হল এবং উভয়পক্ষের বহুলোক নিহত হল। দাঙ্গার প্রাথমিক খবর পেয়েই মুহম্মদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেন এবং তার শিষ্যদের উন্মত্ততা আয়ত্তে আনলেন। তিনি অবিলম্বে দেখতে পেলেন যে দেশদ্রোহ ও উচছৃঙ্খলতাকে যদি প্রশ্রয় দেয়া হয় তবে এক ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে। ইহুদিরা প্রকাশ্যে ও জ্ঞাতসারে চুক্তির শর্তাদি লংঘন করছে। কঠোর হস্তে এ সবের পরিসমাপ্তি ঘটান প্রয়োজন। নইলে শান্তি ও নিরাপত্তা চিরতরে বিদায় হবে। ফলে তিনি তৎক্ষণাৎ বনি কাইনুকা গোত্রের আবাসস্থলে গেলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করে তাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে মুসলিম কমনওয়েলথের অন্তর্ভূক্ত হতে কিম্বা মদিনা ত্যাগ করতে নির্দেশ দিলেন।
ইহুদিরা অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় এই নির্দেশের জবাব দিল, ‘হে মুহম্মদ, তোমার লোকেরা কুরাইশদের উপর বিজয়ী হয়েছে বলে গর্বিত হইও না। যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী নয় এমন লোকদের সঙ্গেই তুমি যুদ্ধ করেছ। আমাদের সঙ্গে তুমি যদি বোঝাপড়ায় আসতে চাও, তবে আমরা তোমাকে দেখিয়ে দেব আমরা কেমন বাপের ব্যাটা।’
তারা তাদের দূর্গে আশ্রয় নিল এবং মুহম্মদের নির্দেশ অগ্রাহ্য করল।
বনি কাইনুকাদেরকে দমন করা একটি অপরিহার্য কর্তব্য ছিল। তাই কালবিলম্ব না করে দূর্গ অবরোধ করা হল। কয়েকদিনের মধ্যেই ইহুদিরা বুঝতে পারল এই মোকাবেলা তাদের জন্যে ফলপ্রসূ হবে না। পনের দিন পরে তারা আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিল এবং দুর্গের ফটক খুলে দিল। অতঃপর তারা মুহম্মদকে বলল- ‘হে রসূল আল্লাহ! আপনি আমাদের সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা তাতেই সম্মত আছি।’
প্রথমে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে মনস্থ করা হয়েছিল কিন্তু মুহম্মদের চরিত্রের কোমলতা বিচারের অনিবার্য রায় জয় করল এবং কাইনুকা গোত্রের লোকদেরকে শুধুমাত্র নির্বাসিত করা হল।মুহম্মদের কোন দোষ দেখা যায় কি?
বনি নাজির: বনি কাইনুকা গোত্র যেরূপ করেছিল বনি নাজির গোত্র ঠিক একই অবস্থায় নিজেদের স্থাপন করল। তারা সম্পাদিত চুক্তি বহির্ভূত কাজে লিপ্ত হল।
বনি নাজির গোত্রের কিছু ইহুদি মুহম্মদ সমীপে হাজির হয়ে বলল, ‘আপনি আমাদেরকে ইসলামের পথে আহবান করছেন-অথচ ধর্ম নিয়েই আমাদের ও আপনাদের মাঝে যত বিরোধ। আমরা একটা সমাধানে উপনীত হতে চাই। সুতরাং আপনি কয়েকজন সাহাবীসহ আমাদের মহল্লায় আসুন, আমরাও কয়েকজন আলেম নির্বাচন করি। আপনি তাদের সাথে কথাবার্তা বলুন। যদি তারা আপনার প্রচারিত ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করতে পারেন, তাহলে ইসলাম গ্রহণে আমাদের আর কোন আপত্তি থাকবে না।’
ইতিমধ্যে বনি কুরাইজা গোত্র মুসলমানদের সঙ্গে নুতন করে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হয়েছিল। মুহম্মদ বনি নাজিরকেও তদ্রুপ সন্ধিতে আবদ্ধ করতে চাইলেন। সুতরাং তিনি বললেন, ‘লিখিত ওয়াদা না দিলে আমরা তোমাদের মুখের কথায় বিশ্বাস করতে পারি না।’
তারা বলল, ‘আমাদের মধ্যে মতভেদ কেবল ধর্ম নিয়ে। সুতরাং এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারলে আমাদের মাঝে কোন বিরোধ অবশিষ্ট থাকে না। আমরা বিলক্ষণ ইসলাম গ্রহণ করব। সুতরাং কথিত সন্ধিপত্রের কোন প্রয়োজনীয়তা অবশিষ্ট থাকবে না।
বনি নাজির গোত্র মুহম্মদকে হত্যার এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছিল। তারা পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে, তাদের আলেমরা পোষাকের মধ্যে অস্ত্র লুকিয়ে রাখবে এবং মুহম্মদের আগমনের পর প্রথম সুযোগেই তারা তাকে হত্যা করবে। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে মুহম্মদ কিছুমাত্র অবহিত ছিলেন না। সুতরাং তিনি তাদের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন।
নির্দিষ্ট দিনে মুহম্মদ দু‘জন সাহাবীসহ বনি নাজিরদের মহল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। যেহেতু ধর্ম নিয়ে আলোচনা সুতরাং কেউই সাথে আত্মরক্ষার জন্যে অস্ত্র নেয়া জরুরী মনে করলেন না। তারা কিছুদূর অগ্রসর হতে না হতেই পশ্চাৎদিক থেকে জনৈক আনসার ছুটতে ছুটতে এসে তাদের গতিরোধ করলেন এবং তৎক্ষণাৎ ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের বিষযটি অবহিত করলেন।
মদিনার আওস ও খাজরাজ বংশ এবং ইহুদিদের মধ্যে বিবাহ প্রথা প্রচলিত ছিল। এই সূত্রে এই আনসার ভগ্নির, বনি নাজির গোত্রের এক বিশিষ্ট ইহুদির সাথে বিবাহ হয়েছিল। সে মুহম্মদকে হত্যা প্রচেষ্টার ঐ ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পেরে গোপনে তার ভ্রাতাকে সবকিছু জানিয়ে দিয়েছিল।
সমস্ত ঘটনা জানার পর মুহম্মদ আর কালক্ষেপন করা সমীচীন মনে করলেন না। তিনি অনতিবিলম্বে দূত মারফত নাজির গোত্রকে বলে পাঠালেন- ‘তোমাদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র আর দুরভিসন্ধি সম্পর্কে আমরা সম্যক অবগত। দেশে বিরাজমান শান্তি-শৃঙ্খলা এবং জনগণের ধন-প্রাণ, মান-সম্ভ্রম বিপন্ন ও বিনষ্ট করার প্রচেষ্টার হেন পথ নেই যা তোমরা গ্রহণ করনি। আমরা পুনঃপুনঃ সন্ধির প্রস্তাব করা সত্ত্বেও তোমরা আমাদের প্রস্তাবের প্রতি কর্ণপাত করা প্রয়োজন অনুভব করনি।
-সুতরাং দেশ ও জনগণের স্বার্থে তোমাদেরকে মদিনায় অবস্থান করতে দেয়া আর সম্ভব নয়। তোমরা অনতিবিলম্বে মদিনা ত্যাগ করে তোমাদের পছন্দমত স্থানে চলে যাও।’
মুহম্মদ নজির বিহীন উদারতা দেখিয়ে তাদেরকে দশদিন সময় মঞ্জুর করেছিলেন, যাতে এই হতভাগারা ধীরে-সুস্থ্যে শান্তভাবে অন্যত্র যাবার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারে।
বনি নাজির গোত্র মদিনা ত্যাগ করে চলে যেতে সম্মত ছিল। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই তাদেরকে বাঁধা দিলেন। তিনি বললেন, ‘তোমরা এখানেই থাক, অন্যত্র যাবার প্রয়োজন নেই। আমার অধীনে দু‘হাজার যোদ্ধার একটি বাহিনী আছে। প্রয়োজনে তারা প্রাণ দেবে, কিন্তু তোমাদের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগতে দেবে না।’
তখন বনি নাজিররা উবাইয়ের সমর্থনের উপর নির্ভর করে মুহম্মদকে একটা উদ্ধত উত্তর প্রদান করল। তারা তার আশ্বাসে প্ররোচিত হয়ে বলে পাঠাল-‘আমরা কোথাও যাব না। আপনি যা করতে পারেন করেন।’
সুতরাং মুহম্মদ এক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে চতুর্দিক থেকে অবরোধ করলেন। এতে তারা দুর্গের ফটক বন্ধ করে বসে রইল। আর আশা করতে লাগল আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের দু‘হাজার সৈন্যের সাহায্য, মদিনার বনি কুরাইজার এবং অন্যান্য ইহুদি গোত্রের সাহায্য অবিলম্বে এসে যাবে। সুতরাং তাদেরকে আর দেশত্যাগ করতে হবে না। কিন্তু তাদের এ আশা যে দূরাশায় পরিণত হতে পারে তা তাদের মনে একবারও উদয় হয়নি।
মুহম্মদ অতি ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বনি নাজিরদের দূর্গ ঘেরাও করেছিলেন। এতে মুনাফেকরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে চুপসে গিয়েছিল। একে তারা স্বভাবগত ভীতু তদুপরি দলবদ্ধ হবার অবকাশ পায়নি। অন্যদিকে ইহুদি গোত্র বনি কুরাইজার পক্ষে বনি নাজিরদেরকে কোন সাহায্য করার সুযোগ অবশিষ্ট ছিল না। কেননা তারা মাত্র কয়েকদিন পূর্বে মুহম্মদের সাথে নুতন করে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হয়েছিল। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বজাতিকে সাহায্য করার সাহস তারা করেনি।
আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের ও বনি কুরাইজা গোত্রের অঙ্গীকৃত সাহায্যের ব্যাপারে হতাশ হয়ে অবরোধের পনের দিন পর বনি নাজিররা অবশেষে সন্ধির জন্যে আবেদন জানাল।
পূর্বের প্রস্তাব পুনরুজ্জীবিত করা হল, আর বনি নাজিররাও তাদের আবাসস্থল পরিত্যাগ করতে সম্মত হল। অস্ত্র-শস্ত্র ব্যতিত অন্যান্য যাবতীয় অস্থাবর সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে যাবার অনুমতি তাদেরকে দেয়া হল। পরিত্যাগ করার সময় তারা তাদের বাসগৃহসমূহ ধ্বংস করে ফেলল, যেন সেগুলি মুসলমানরা অধিকার ও ভোগ করতে না পারে।
মুহম্মদের আগমনপূর্ব মদিনায় যেসব স্ত্রীলোকের সন্তান বাঁচত না তারা মানত করত, যদি তাদের সন্তান বেঁচে থাকে তবে তাদেরকে ইহুদিধর্মে দীক্ষিত করবে। প্রচলিত এই প্রথার কারণে আনসারদের অনেক সন্তানই ইহুদি সমাজভূক্ত হয়ে পড়েছিল। বনি নাজির গোত্রের নির্বাসনকালে আনসার সম্প্রদায় তাদের এসব সন্তানদের মদিনা ত্যাগ করতে দিতে রাজী হল না। এতে ইহুদিরা বলল, ‘এরা তোমাদের সন্তান হলেও আমাদের সমাজভূক্ত। সুতরাং আমরা এদেরকে ছেড়ে যাব না।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হল- দ্বীন সম্পর্কে কোন জবরদস্তি নেই, সত্যপথ ও বিপথের মধ্রে সত্যপথ দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে।(২:২৫৬)
-এই আয়াত নাযিল হবার পর মুহম্মদ ঘোষণা করলেন, ‘মৃতবৎসা স্ত্রীলোকদের মানতের ফলে ইহুদি সমাজভূক্তরা সে সমাজে থাকা না থাকার ব্যাপারে স্বাধীন মতামতের অধিকারী।’
এরফলে ঐসব সন্তানেরা মদিনা ত্যাগ বা থেকে যাবার অধিকার প্রাপ্ত হয়।
বনি নাজিররা মদিনা ত্যাগ করে চলে গেল। ৪র্থ হিজরীর রবিউল আওয়াল মাসে এই নির্বাসন কার্যকরী হয়েছিল। এতেও কি মুহম্মদের কোন দোষ দেখা যায়?
– – এটা তো অবশ্যই সত্য। যে ধর্ম দুনিয়ার প্রথম মানব আদম পালন করেছে, যে ধর্ম নূহের, যে ধর্ম আব্রাহামের, যে ধর্ম যাকোবের, যে ধর্ম মোজেসের, যে ধর্ম ডেভিডের, যে ধর্ম শালোমনের, যে ধর্ম এলির, যে ধর্ম জেসাসের অবশ্যই সেই ধর্মের লোকেরা সর্বাধিক সম্মানিত এ দুনিয়ায় এবং পরকালে। সেই ধর্মই ইসলাম এবং মুহম্মদের। প্রমাণ চান?
জিজিয়া নিয়ে মিথ্যে আরোপ করছেন কেন? প্রকৃত তথ্য কি?
Jizya Tax-It’s a poll tax demanded from the non Muslim subjects for residing independent and secure in an Islamic Republic. And this tax fixed for Najranian was- Annual two thousand pairs of clothes. One lungi and a sheet of clothe is a pair and the price of each pair fixed as one ukiya (one ukiya equal to 40 dirhams, or 11.5 gms of silver).
Jizya tax applied especially to followers of Judaism, Christianity, and Zoroastrianism, who were tolerated in the practice of their religion because they were “peoples of the Scripture”. Polytheists of Arabia were not included, never a Jizya have been taken from them.
The Jizya tax originally intended to be used for charitable purposes. The revenues were paid into the private treasuries of rulers. The Ottoman Sultans used the proceeds to pay military expenses.
Qur’an not fixed any rates for Jizya. It depends on the kind consideration of the ruler. In this regard, the direction of Muhammad was- ‘the man who will torture a non Muslim imposing a burden beyond his capacity, on the day of Judgement I will take the side of the non Muslim. And surely he will be loser against whom I will stand.’
According to this direction, Calipha Omar fixed Jizya during his period as- for rich 4 (four) dirham/month, for middle class 2 (two) dirham/month and for lower class 1(one) dirham/month (1 dirham equal to 3.5 masha of silver). The jizya was levied on men who had reached their majority; women, children, old men, slaves, poor people, and monks were exempted.
সব শেষে বলি- মি ভবঘুরে আহেতুক একজনের চরিত্র নিয়ে টানাটানি করছেন কেন তথ্যের বিকৃত ব্যাখ্যা করে? আপনার নিজের চরিত্রটা একটু ভেবে দেখেছেন? আর হাদিস নিয়ে ফালতু বাড়াবাড়ি করে মানুষের মূল্যবান সময় অপচয় কেন করছেন আপনি? হাদিস সম্পূর্ণ নির্ভুল এটা কোন মুসলমানই বিশ্বাস করেনা। আর বুখারী নির্ভুলতার দিক দিয়ে অন্যদের উপরে এটা ঠিক, তদুপরি তার সংকলিত সকল হাদিসই নির্ভুল এটাও কোন মুসলিম বিশ্বাস করে না। সুতরাং কোন হাদিস দিয়ে আর্টিকেল লেখার পূর্বে হাদিসটি কখন, কি কারণে, ৪জন বিশিষ্ট সাহাবীর উপস্থিতে বলা হয়েছে কিনা তা বিবেচনায় অনতে হবে। আরও অনেক কিছু বলার ছিল যা আপনি পাঠকদের মন্তব্যে মন্তব্য করেছেন, কিন্ত আপনার সেইসব বক্তব্য আপনারই আর্টিকেল বহির্ভূত বিধায় সেগুলি আলোচনায় আনলাম না।
নিজেকে জানুন আগে। কয়খানা হাদিস আর কোরআনের বঙ্গানুবাদ পড়ে জ্ঞানী হওয়া যায় না। রাহুলের ‘ভবঘুরে শাস্ত্র’ টা আগে পড়েন।
@mkfaruk,
ভাইজানের গল্প বলা ও বানানোর ক্ষমতা বেশ ভালই বলতে হবে। আপনি ধর্ম নিয়ে আলাপ আলোচনা না করে গল্প বা উপন্যাস লিখলেই অনেক উন্নতি করতে পারতেন।
আমার প্রতিটি বক্তব্যে যেখানে যথাযথ দলিল পেশ করেছি, সেখানে আপনি মনের মাধুরী দিয়ে একটা গল্প লিখে ফেললেন। সেজন্যেই বলছি আপনার গল্পটা বেশ উপভোগ্য হয়েছে। তবে আলোচনা করতে চাইলে আপনাকে উপযু্ক্ত দলিল সহকারে গল্পটা আবার লিখতে হবে। অন্যথায় আমার পক্ষে আপনার এ গল্পের কোন উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। দু:খিত।
@ভবঘুরে,
আপনি আদৌ কোন দলিল পেশ করেননি। দু’চারটি হাদিস আর কয়েকটি কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছেন মাত্র। কিন্তু সেসব হাদিস বা কোরআনের আয়াতের শানে নযুল বর্ণনা না করে, নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করে ঐ সব হাদিস বা আয়াতকে বিদ্বেষমূলকভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন। আর আমি আপনার প্রত্যেকটি তথ্যকে সংশোধন করেছি। আমি যা লিখেছি তা আপনাকে উদ্দেশ্য করে, আপনার তথ্য নিয়ে। যথেষ্ট উৎস উল্লেখ করিনি এটা সঠিক এবং এটা এ কারণে যে আমি ধরে নিয়েছি আপনি ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি জানেন।
যখন উৎস কেউ উল্লেখ না করলেও পাঠ মাত্র্বই বুঝতে পারবেন কোত্থেকে কথাটা এসেছে, তখন ধরে নেবেন আপনার পড়াশুনো এবং জানা একটা পর্যায়ে এসেছে এবং আপনি বিষয়টি সম্পর্কে মোটামুটি জেনেছেন।
আর কেবল তারপরেই ঐ বিষয় সম্পর্কে লেখালেখি করতে পারেন, তার আগে করা উচিৎ নয়। কেননা তা করলে তা আপনার আর্টিকেলের মত -অন্ধের হাতি দেখার মত হাস্যকর হবে ব্যাপারটি।
সমালোচনা অবশ্যই ভাল যদি তা হয় গঠনমূলক। কিভাবে ধর্মীয় বিষয়ের সমালোচনা করতে হয় তা জানতে আরজ আলী মাতুব্বরের লেখাগুলো দেখেন।
ভাল থাকুন।
@mkfaruk,
ভাই আপনি হাসালেন। ইসলামে দলিল মানেই তো হলো কোরানের আয়াত ও হাদিস। এছাড়াও ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুলুল্লাহ, ইবনে কাথিরের তাফসির, আল তাবারির তাফসির এসবকেও দলিল বলা হয় তবে তারা তাফসির করেছেন বুখারী, মুসলিম এদের হাদিসের ওপর ভিত্তি করেই। ভাইজান কি বলবেন, ইসলামে দলিল বলতে আর কি বুঝেন? আমার নিবন্ধে বিষয়বস্তুর সাথে সংশ্লিষ্ট আয়াত ও হাদিস সেই সাথে কাথিরের তাফসির উল্লেখ করেছি। দলিল হিসাবে আর কি উল্লেখ করতে হবে, ভাইজান? যদি পরিস্কার করতেন খুব ভাল হতো।
অল্প জ্ঞানী মানুষ আমি , আপনার মত মহা পন্ডিত নই। তাই জানি না ভাই। দয়া করে একটু জানাবেন আপনার গল্পের উৎস কি ? তবে দয়া করে হাদিস থেকে কোন কিছু উল্লেখ করবেন না , কারন আপনি তো আবার সেগুলো বিশ্বাস করেন না। ইবনে কাথির বা অন্য কারও তাফসির থেকেও কিছু উল্লেখ করবেন না , কারন তাদের তাফসির কিন্তু উক্ত হাদিসের উপর ভিত্তি করেই। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আপনাকে এমন যথার্থ উৎসের উল্লেখ করতে হবে যা আপনার আমার সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য হয়।
না ভাই বলেছি তো আপনার মত অত জ্ঞানী এখানে কেউ নেই, তাই কেউ উৎস সম্পর্কে ওয়াকিফহাল নয়। সুতরাং সবার অবগতির স্বার্থে উৎসগুলি উল্লেখ করুন প্লিজ।
আগে উৎসগুলি উল্লেখ করুন তো , তারপর দেখা যাবে কে অন্ধের মত হাতি দেখছে।
মানুষ যখন অন্ধ ও বধির হয় তখন তার ওপর অস্ত্রপচার চালানোর দরকার হয় মাঝে মাঝে নইলে কিন্তু তার অন্ধত্ব ও বধিরতা মোচন হয় না, আশা করি এটা আপনার জানা।
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাল থাকুন।
@ভবঘুরে,
ইসলামের দলিল হল- সত্য তথ্য উপস্থাপন। ইসলাম বায়োলজী নয় যে বৈজ্ঞানিক শ্রেণী বিন্যাসের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে এর সত্যতা নির্ণয় করতে হবে। জু’লজী নয় যে ডিসেকশন বা এনাটমি করে এর সত্যতা নির্ণয় করতে হবে। কেমিষ্ট্রি নয় যে বৈজ্ঞানিক ল্যাবে নিয়ে বিভিন্ন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এর সত্যতা নির্ণয় করতে হবে। পদার্থ বিজ্ঞান নয় যে বৈজ্ঞানিক সূত্র দিয়ে এর সত্যতা নির্ণয় করতে হবে, ইত্যাদি।
তাহলে ইসলাম কি? এক কথায় ইসলাম হচ্ছে হাদিস ও কোরআনের সমষ্টি। এখানে কোরআন হচ্ছে ঐশীবাণী আর হাদিস হচ্ছে মুহম্মদের কথা, কাজ ও অনুমোদন।
এখানে কোরআন যেহেতু ঐশীবাণী, সুতরাং এটা নির্ভুল। কোরআন নিজেও এটা দাবী করেছে বিভিন্ন আয়াতে।
আর হাদিস, এটা মুহম্মদের তিরোধারণের আনেক পরে সংকলিত শোনা কথার উপর ভিত্তি করে আমাদের মত সাধারণ মানুষের দ্বারা। সুতরাং সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়।
তাহলে কোরআনের আয়াত বা কোন হাদিস কিভাবে বুঝব আমরা? এর জন্যে আমাদের জানতে হবে বেশ কয়েকটি উত্তর যথা-
কি?, কেন?, কখন? —কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যার জন্যে এবং
কি?, কেন?, কখন? কাদের উপস্থিতে? হাদিসের ব্যাখ্যার জন্যে। এসব জানা না থাকলে সেই আয়াত বা হাদিস কোথাও ব্যবহার করা আর অন্ধের হাতি দেখা সমান।
আর এসব জানতে হবে বিভিন্ন তফসির ও ইতিহাস থেকে। এখানে এই বিভিন্ন শব্দটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কারও জানার পরিধি নির্ভর করবে এর সংখ্যার উপরে। আপনাদের কি মনে হয়?
আর তাই ইসলাম বা অন্য কোন ধর্ম সম্পর্কে কথা বলতে হলে, দু’চার ‘শ নয়, দু’ চার হাজার কিতাব অবশ্যই পড়তে হবে। কেবল তখনি কেউ সত্য খুঁজে পাবে।
@mkfaruk,বিশাল এক মহাভারত রচনা করে ফেললেন দেখছি। কিন্তু ফলাফল ত আল্লার মত মহাশূন্য। কোনো মানে বুঝলাম না। আপনি বলেছেন হাদিস বিশ্বাস করেন না, কোরান বিশ্বাস করেন কি? কোরানই ত যত পচামির গোড়া। রাহুলের “ভবঘুরে শাস্ত্র” এর সাথে কোরান-হাদিসের কি সম্পর্ক তাও ত বোঝার কোনো সাধ্য নেই!
@তামান্না ঝুমু,
লেখাটা একটু বড় হয়েছে বটে এবং এর জন্যে আমি দু:খিত। আমি একই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ইতিপূর্বে করেছিলাম, কিন্তু লেখক দেখলাম আমার সংক্ষিপ্ত লেখাকে ধরতে পারছেন না, অন্যদিকে পাঠকরাও বিভ্রান্ত হচ্ছে আর তাই সহজ করে লেখার জন্যে কলম ধরতেই দেখি তা সত্যিই মহাভারত হয়ে গেছে। তা কেমন লাগল আমার লেখা?
হাদিস বিশ্বাস করিনা এটা কিন্তু কোথাও আমি বলিনি। ভালকরে খুঁজে দেখুন। আর কোরআন অবশ্যই বিশ্বাস করি। এটা একটা নির্ভূল কিতাব।
আমার লেখাটা ছিল ভবঘুরে কে উদ্দেশ্য করে, একারণেই ভবঘুরে শাস্ত্র এসেছে। আগে পিছে একটু লক্ষ্য করুন।
@mkfaruk,কোরান সম্পূর্ণ নির্ভুল গ্রন্থ হলে এর নির্ভুল বাণীসমগ্র ত বিশ্বাসীদের নির্ভুলভাবে অবশ্যই পালনীয়; যেমন, নির্ভুলভাবে দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীদের হালাল পদ্ধতিতে সম্ভোগ, শিশুবিবাহ, বহুবিবাহ, বিধর্মীহত্যা,হালাললুণ্ঠন, চোরের হাত কেটে দেয়া, দোররা মারা ইত্যাদি।
ব্লগে অনেকেই নিরাপত্তার খতিরে বা যেকোনো কারণেই হোক ছদ্মনামে লিখেন। তাছাড়া নামটা ছদ্ম কি স্বনাম সেটা কোনো ব্যাপার না। কিন্তু কারো নাম নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করাও কোরানী শিক্ষা?
@তামান্না ঝুমু,
চোরের হাত কেটে দেয়া, দোররা মারা -অপরাধীর ক্ষেত্রে এ শাস্তিগুলো কোরআনে আছে যা আমি ভবঘুরের আর্টিকেলের উত্তরেও উল্লেখ করেছি। আর এসবের যুক্তিসংগত ব্যাখ্যাও আছে। কিন্তু বাকীগুলোর ব্যাপরটা তো জানিনে। আছে নাকি? তাহলে তো শংকরের মতই বলতে হচ্ছে ‘কত অজানারে’।
এই জন্যেই বলা হয়েছে ‘প্রত্যেক জ্ঞানী লোকের উপরে আছে আরো বড় জ্ঞানী।’
আমার তো মনে হয় সত্য বলার জন্যে যদি ছদ্মনাম নিতে হয়, তবে সে সত্য না বলাই ভাল।
রাহুল সাংকৃত্যায়নের সব লেখাই অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ। তিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। ছোটবেলায় বাড়ি থেকে পালিয়ে ভবঘুরেদের দলে যোগ দেন। একসময় তিনি পৈতৃকধর্ম পরিত্যাগ করে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হন, তারপর সে ধর্মও ত্যাগ করে হয়েছিলেন কম্যুনিষ্ট।
আর ভবঘুরে নাম দেখেই বইটি তাকে পড়তে বলেছি, ব্যঙ্গোক্তি করিনি।
আর আপনি কি আমাকে মুমিন মুসলিম মনে করেছেন? আমি যদি নিজেকে মুমিন মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেই, তাহলে মিথ্যাচার করা হবে। নামাজ রোজা ধর্মকর্ম কোনকিছুই তো আমার করা হয় না।
@mkfaruk,
৪;২৪, ২৩;৫-৬, ৩৩;৫০, ৭০;২৯ এই আয়াতগুলো পড়লেই বাকী ব্যাপারগুলো জানতে পারবেন।
কাফেরকুল শহীদ হলে ত আর বেহেশতে যাবেনা!বেঁচে থেকে যতদিন কুফরী করা যায় আরকি। যেকোন ভাবেই সত্য বলা উচিত। প্রকাশ্যে না পরলে আড়ালে থেকে, প্রত্যক্ষভাবে না পারলে পরোক্ষভাবে।
আল্লার কাছে পরকালে কি জবাব দেবেন? তাছাড়া মদের নদীতেও ত সাঁতার কাটার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন না!৪৭;১৫
@তামান্না ঝুমু,
আমি ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি জানি এই কথার উপর আপনি আদৌ বিশ্বাস স্থাপন করেননি দেখছি। সুতরাং কি আর করা। এখন আমার মোটামুটি জানাকে প্রমাণ করতে আপনি এক কাজ করেন, মি: ভবঘুরের মত একটা ধারাবাহিক আটিকেল হিসেবে কোরআনের ঐ সব আয়াত নিয়ে ব্যাখ্যা দাবী করেন। আমি সবগুলোর যথাযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য (যুক্তি ও বিবেকের) ব্যাখ্যা দেব কথা দিচ্ছি, যদি বেঁচে থাকি।
নিজেকে লুকিয়ে সত্য বলা তো কাপুরুষের মত হয়ে গেল, তার থেকে বীরের মত প্রকাশ্য সত্য বলাই উচিৎ নয় কি?
আপনি কি পরকালের বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন বা এ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা কি আছে? বোধহয় নেই এ কারণেই একথা বলছেন। অবশ্য কোটিতে একজন মুসলিমেরও এধরণের ধারণা আছে বলে আমার মনে হয় না। যাহোক সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হবে মাত্র তিনটি বিষয়ের উপর বিচার নির্ভর করবে। ঈমান, আমল আর দাওয়া। আর তা আমলনামা থেকে। কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে খৃষ্টান এই সব প্রশ্ন সেখানে উত্থিত হবে না। অবশ্য যারা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে বিতর্কে নামবে তাদের কথা আলাদা। যদি কখনও সময় পাই এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করব।
@তামান্না ঝুমু,
কি লাভ সত্য বলে? কেউ কি গ্রহণ করবে?
জেসাস কি সত্য নিয়ে আসেনি? তার কথা এবং কাজে যুক্তি প্রমান কি কম ছিল? কয়জন তা গ্রহণ করেছিল?
আপনি কি তার থেকেও বেশী জ্ঞান, তার থেকেও বেশী যুক্তি প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়েছেন?
যদি বলেন হ্যাঁ, তাহলেই আমি আপনার উপরের বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে, আপনার পায়ের ধূলো মাথায় নিয়ে আপনাকে অনুসরণ করা শুরু করব। কথা দিচ্ছি।
@mkfaruk,
বলেন কি ? বাকী ব্যপারগুলো জানেন না ? তাহলে জানেন কি ? আশ্চর্য! আমি তো ভাবছিলাম ভাইজান একজন ইসলামি পন্ডিত। যাহোক নিচে লক্ষ্য করুন-
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, 33:50
উক্ত আয়াতে কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। এ বাক্য দুটির অর্থ কি ভাইজান ? আল্লাহ কেন মোহাম্মদকে যথেচ্ছ বিয়ে করার ফ্রি লাইসেন্স দিলেন , মোহাম্মদের অসুবিধাই বা কি ছিল ? বলবেন কি দয়া করে ?
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, ৩৩: ৫২
ফ্রি লাইসেন্স দেয়ার পর আবার তা বাতিল করার কারন কি , বলবেন কি ?
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেন। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। কোরান, ৩৩: ৫১
উক্ত আয়াতের অর্থ কি একটু বলবেন ? মোহাম্মদ কাদেরকে যেমন ইচ্ছু দুরে রাখতে ও কাছে রাখতে পারবেন?
যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। কোরান, ২৩:৫-৬
মালিকানা ভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সংযত না থাকার জন্য বলা হচ্ছে?
নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। কোরান, ০৪:২৪
উক্ত আয়াতে – নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। আল্লাহ কি বিষয়ে বলছে ও কাদেরকে নিষিদ্ধ ও হালাল করছে ? আর কি বিষয়ে সে বিধান ?
আরও আয়াত উল্লেখ করব ? না ভাইজান আপাতত: এটুকু থাক। আস্তে আস্তে বাকিগুলো পরে দেয়া হবে।
আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম।
@ভবঘুরে,
ভবঘুরে আপনি অনর্থক ফালতু প্রশ্ন করছেন একের পর এক। ইতিপূর্বে আমি কোরআন সম্পর্কে আমার এক মন্তব্যে বলেছি- এটা একটা নির্ভুল কিতাব।
এই বাক্যের গঠনকি আপনি লক্ষ্য করেননি? আমি তো দেখছি আপনাকে সবকিছুর আগে বাংলাভাষা রপ্ত করতে হবে। এই বাক্য একটি কিতাবের নির্ভুলতা ঘোষণা করছে দৃঢ়ভাবে। আর যখন কেউ তার জ্ঞান দ্বারা কোন কিতাবের মধ্যে কোন খুঁত খুঁজে না পায় কেবল তখনই এমন দৃঢ়তা নিয়ে বক্তব্য দিতে পারে। অর্থাৎ ব্যাক্তির কাছে কিতাবের প্রতিটি তথ্যের কোন না কোন যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা আছে।
আমি আগেই আমার বিভিন্ন মন্তব্য দ্বারা একথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছি যে, কোরআনের কোন আয়াত বুঝতে হলে প্রথমে আয়াতটি অবতরণের কারণ জানতে হবে। আপনি তা না জেনে অহেতুক এখানে একের পর এক আয়াতের উদাহরণ দিচ্ছেন। আমি কি এখানে কোরআনের তথফসির করতে এসেছি?
আমি বারবার বলছি ধর্ম সেনসেটিভ বিষয়, অথচ সেই বিষয়ে আপনি সামান্য জেনে একটা ধর্মকে কলুষিত করতে চাচ্ছেন। এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। আমি ধারণা করেছিলাম আপনি এরপর যথেষ্ট না জেনে অন্তত: কোরআনের কোন আয়াত সম্পর্কে কথা বলবেন না। কিন্তু আপনি তা করেননি। আমার মনে হচ্ছে তা দু’টি কারণে প্রথমত:
এই ধরণের মনোভাব আপনার এখনও যায়নি।
আর দ্বিতীয়ত: আপনি মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষবশত: কোরআন ও ইসলামের সমালোচনায় নেমেছেন।
এধরণের মানষিকতা পরিহার না করলে, আমি আর আপনার সঙ্গে কোনরূপ বিতর্কে যেতে আগ্রহী নই।
এখন আমি আপনার আয়াতগুলি অবতরণের কারণ ব্যাখ্যা দেব। তবে সবগুলির দিতে গেলে আবারও মহাভারত হয়ে যাবে, তাই কেবলমাত্র- ৩৩:৫০, ৩৩:৫১ ও ৩৩:৫২ আয়াতগুলিকে আমলে নিলাম সাথে অবশ্য আরও কিছু আয়াত রয়েছে।
পরপর কয়েকটি যুদ্ধে জয়লাভের পর যুদ্ধলব্ধ গনিমতের মালবন্টনের ফলে মুসলমানদের মধ্যে খানিকটা স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছিল। সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে প্রাচুর্য ও সম্পদ বৃদ্ধি দেখে এসময় মুহম্মদের স্ত্রীদের মাঝেও খানিকটা প্রাচুর্যের মাঝে জীবন-যাপনের অভিলাষ উদয় হল। তারা ভাবলেন রসুলুল্লাহর ভাগের গনিমতের মাল নিশ্চয় আছে। তাই তারা সমবেতভাবে মুহম্মদের কাছে নিবেদন করলেন, ‘হে রসূলুল্লাহ! পারস্য ও রোমের সম্রাজ্ঞীরা নানারকম অলংকার ও বহুমূল্যবান পোষাক-পরিচ্ছদ ব্যাবহার করে থাকে। আর তাদের সেবা-যত্নের জন্যে অনেক দাস-দাসীও রয়েছে। এদিকে আমাদের দারিদ্র-পীড়িত, জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থা তো আপনি নিজেই জানেন। তাই মেহেরবানী পূর্বক আমাদের জীবিকা ও অন্যান্য খরচাদির পরিমান খানিকটা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করুন।’
মুহম্মদ তার পুণ্যবতী স্ত্রীদের কাছ থেকে দুনিয়ার ভোগবিলাসী সুযোগ-সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষভাবে মর্মাহত হলেন এই কারণে যে, তারা তার এতদিনের সংসর্গ ও কোরআনের জ্ঞান প্রশিক্ষণ লাভের পরও নবীগৃহের প্রকৃত মর্যাদা অনুধাবণ করতে সক্ষম হননি। অবশ্য স্ত্রীরা কিন্তু ধারণা করতে পারেননি যে, এতে তিনি দুঃখিত হবেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হল- হে নবী! তোমার পত্নীদেরকে বল, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদেরকে বিদায় দেই। পক্ষান্তরে যদি তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্যে আল্লাহ মহাপুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।(৩৩:২৮-২৯)
এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর মুহম্মদ সর্বপ্রথম বিবি আয়েশাকে ডেকে বললেন, ‘আমি তোমাকে একটা কথা বলব- উত্তরটা কিন্তু তাড়াহুড়ো করে দেবে না বরং তোমার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শের পর দেবে।’
তিনি বিবি আয়েশাকে আয়াতগুলো পাঠ করে শোনালেন।
বিবি আয়েশা-তাকে তার পিতা-মাতার সাথে পরামর্শ না করে মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলা থেকে- তার প্রতি মুহম্মদের এক অপার অনুগ্রহ দেখতে পেলেন, তিনি আরও ভাবলেন- মুহম্মদ নিশ্চিত জানতেন তার পিতামাতা কখনও তাকে তার থেকে বিচ্ছিন্নতা অবলম্বণের পরামর্শ দেবেন না। সুতরাং আয়াতগুলো শোনার পর তিনি আরজ করলেন, ‘এখন এই ব্যাপারে আমার পিতামাতার পরামর্শ গ্রহণের জন্যে আমি যেতে পারি কি? আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রসূল ও পরকালকে বরণ করে নিচ্ছি।’
বিবি আয়েশার পর অন্যান্য পত্নীদেরকেও কোরআনের এই নির্দেশ শোনান হল। তারা সকলেই আয়েশার মত একই মত ব্যক্ত করলেন অর্থাৎ কেউই তার সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক মোকাবেলায় ইহলৌকিক প্রাচুর্য ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গ্রহণ করতে সম্মত হলেন না।
নবীপত্নীদের এহেন সিদ্ধান্তে তাদেরকে পুরস্কার স্বরূপ আল্লাহ মুহম্মদকে কিছু উপদেশ দিয়ে তার স্ত্রী গ্রহণের সীমা নির্ধারণ করে দেন।
এ সংক্রান্ত আয়াতসমূহ-হে নবী! তোমার জন্যে তোমার স্ত্রীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে তুমি মোহরানা প্রদান কর। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ তোমার করায়াত্ত করে দেন এবং বিবাহের জন্যে বৈধ করেছি তোমার চাচাত ভগ্নি, ফুফাত ভগ্নি, মামাত ভগ্নি, ও খালাত ভগ্নিকে যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে।
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্যে- অন্য মুমিনদের জন্যে নয়। তোমার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে। মুমিনদের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
তুমি ইচ্ছে করলে তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছে কাছে রাখতে পার। তুমি যাকে দূরে রেখেছ, তাকে কামনা করলে তাতে তোমার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভবণা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং তুমি যা দাও, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
এরপর তোমার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য তোমাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন।(৩৩:৫০-৫২)
অতঃপর নবী পত্নীদের নিজেদের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে তাদেরকে তাদের চলাফেরা ও আচার আচরণের উপদেশ সম্বলিত এই আয়াতসমূহ নাযিল হল- হে নবী পত্নীরা! তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীল কার্য করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। এটা আল্লাহর জন্যে সহজ। তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তার রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে আমি তাকে দু‘বার পুরস্কার দেব এবং তার জন্যে আমি সম্মানজনক রিজিক প্রস্তুত রেখেছি।
–হে নবী পত্নীরা! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গীতে কথা বোলও না, ফলে সেই ব্যক্তি কু-বাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শণ করবে না। নামাজ কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে।
—হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ! আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানগর্ভ কথা, যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয় তোমরা সেগুলো স্মরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সর্ববিষয়ে খবর রাখেন।(৩৩:৩০-৩৪)
ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
নারে ভাই মোমিন মুসলিম হতে গেলে নামাজ রোজা করা লাগে আপনাকে কে বলল? খালি জুমার নামায পরবেন আর রোজার দিনে ৩০টা রোজা করবেন এবং ওই ৩০ দিন নামাজ মাশাল্লাহ ৫ ওয়াক্ত। কাউকে বাইরে খেতে দেখলে রোজার গুহ্যদ্বারে বাঁশ ঢুকছে ভেবে নিয়ে আল্লাহু আকবর বলে খাবার দোকান আর যারা খাচ্ছে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন জিহাদী জোশ নিয়ে।এটাই প্রমাণ করবে যে আপনি ধর্মপ্রান মোমিন মুসলিম আর ইসলাম শান্তির ধর্ম।
আর অবশ্যই রোজার মধ্যে বিজ্ঞান দেখবেন। প্রচার করবেন আর অবশ্যই বিশ্বাস করবেন যে রজা থাকা মানে এক ধরনের ডায়েট করা যাতে শরীরের উপকার হয়। একথা ভুলেও ভাববেন না যে শেষ রাতে খাবার পর সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারে হরিলুট করলে, আর তার কিছুক্ষন পরেই আরেক গামলা ভাত খাবার পর ঘুমাবেন ২০ রাকাত তারাবি শেষ করে। আবার সেহরি খাবেন শেষ রাতে তার পর সারাদিনের উপোষ, এভাবেই ৩০ দিন সারা দিন অন্নজল ত্যাগ করে সারা রাত ধরে খেয়ে সেটা পুষিয়ে দিয়ে মহান শরীর বিজ্ঞানী মহাম্মদের কথামত শরীরের উপকার করতে থাকুন। অবশ্যই এইকথা ভুলেও ভাববেন না যে রাতে বেশি খেলে সেটা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আল্লাহ যেখানে বলেছে যে এটা উপকারি কাজেই মানুষ কি বলল না বলল কি যায় আসে? আল্লাহর থেকে বড় বিজ্ঞানী আর কে আছে তাই না?
রোজার দিনে মানুষ একে সারারাত ধরে খায় তার পরও ভাবে যে সংযম করছে। অন্য সময়ের থেকে মুসলিম রা ওই সময়ে খায় বেশি। আর সমস্যা কি? আল্লাহ আছে না? সব কিছুর মধ্যেই বরকত। উনি ফু দিলেই সব ঠিক। আমার অ্যালার্জি আছে তাই গরু খাই না। কোরবানীতে মা জোর করে বলে যে খা বাবা, কোরবানির মাংসে বরকত থাকে, তাই ওটা খেলে কিছু হয় না 😀 ।
@অচেনা,
এই ভাষাটা কি শিক্ষিত লোকের? এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করলে পাঠক কি সাইটে আসবে? আপনার সম্পর্কে কি ধারণা করবে? আপনার উদ্দেশ্য সৎ এটা কি কেউ ভাববে, নিজের মনের কাছে প্রশ্ন করে দেখেন তো? আপনি ধর্ম মানেন আর না মানেন, তারপরও আপনার ধর্ম সম্পর্কে কেউ এমন মন্তব্য করলে আপনার লাগবে না? নিজের নাম পরিচয় দেবার সৎ সাহস নেই, অথচ আপনি মানুষকে সত্যের পথে আনতে চাচ্ছেন? যাহোক আপনি যত খারাপ মন্তব্য করতে চান করেন। অবশ্যই বাক স্বাধীনতার পক্ষে আমি।
তবে আমি আর এখানে কোন মন্তব্যে অংশ গ্রহণ করছি না।
সবাইকে ধন্যবাদ।
@mkfaruk,
ভাইজানের কি মানসিক বা স্মৃতিভ্রম জাতীয় কোন সমস্যা আছে নাকি ? নিচে দেখুন কি মন্তব্য করেছেন হাদিস বিশ্বাস করা নিয়ে। এ জন্য আপনাকে মিথ্যাবাদী বলতে পারতাম, আমরা নিতান্তই ভদ্রলোক বলে সেটা করলাম না। কিন্তু আপনাদের মত বিশ্বাসীরা কি পরিমান মিথ্যা বলতে পারে তার সামান্য নমূনা নিচে দেয়া হলো-
mkfaruk এর জবাব:
জুন ১১, ২০১২ at ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ
@ভবঘুরে,
আপনি আপনার নিজের লেখাকে নিজেই বিশ্বাস করছেন না দেখছি। আর্টিকেলে সন্ধির শর্তটি কি লিখেছেন? আপনি কি লেখেন নি- ‘হুদায়বিয়ার সন্ধিতে একটা শর্ত ছিল- কুরাইশদের কোন লোক পালিয়ে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে , মোহাম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে।’ তবে এখন কেন আবার শর্তটি পরিবর্তন করে লিখছেন-
‘শর্তে বলা ছিল যারাই মক্কা থেকে মদিনা যাবে তাদেরকেই মোহাম্মদ ফেরত দেবে- ‘-স্পষ্টতই এভাবে আপনি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।
আপনার আর্টিকেলে লেখা শর্তটিতে (কুরাইশদের কোন লোক পালিয়ে মোহাম্মদের দলে যোগ দিলে , মোহাম্মদ তাকে কুরাইশদের নিকট ফেরত দেবে।’ ) স্পষ্ট সেটা পুরুষদের জন্যে। কেননা “লোক” বা ব্যক্তি বলতে পুরুষ বোঝায়- নারী নয়। আর আপনার মত সেই সময়ে কিছু মুসলিমও ভ্রান্তিতে পড়েছিল, যখন কুরাইশরা সাঈদাকে ফেরৎ চেয়েছিল। অত:পর মুহম্মদ সাঈদার স্বামীর কাছে সন্ধিচুক্তির উল্লেখিত শর্তের সঠিক ব্যাখ্যা শেষে সাঈদাকে ফিরিয়ে দেবার দাবী প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ‘এই শর্ত পুরুষদের জন্যে, নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
যদি মুহম্মদ শর্ত ভঙ্গ করত তাহলে কুরাইশরা প্রতিবাদ করত। কিন্তু তাদের কেউই প্রতিবাদ করেনি।
আর বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি বা দাউদ সাহেবের হাদিস নিয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনে, কারণ তাদের হাদিসের উপর আমার তেমন বিশ্বাস নেই। কিন্তু আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে মুহম্মদ ৯ বৎসরের আয়েশার সাথে যৌন সংসর্গ করেছেন?
আর মুহম্মদ তার পালিত পুত্রের বধূকে নানা ছলাকলায় তালাক দিয়ে বিয়ে করেছে বলছেন। সেই নানা ছলাকলা কি?
@ভবঘুরে,
ভাই ভবঘুরে,
এটা বলেছি এই বাক্যটিতে—
তেমন শব্দটি ব্যবহারের কারণে। বাংলা বাক্যের অর্থতো আপনার বুঝতে না পারার কারণ নেই। আপনি বাঙালী নন?
এই সামান্য বাংলা ভাষায় কথার মারপ্যাচ ধরতে না পারলে আপনি যুক্তি-তর্কে আসবেন কিভাবে? আশ্চর্য!!
@mkfaruk, হাদিসে আপনার তেমন বিশ্বাস নেই, কেমন বিশ্বাস আছে? নিজের পছন্দ মত কিছু বিশ্বাস করবেন আবার কিছু করবেন না! ব্যাপারটা ক্যামন না!
@তামান্না ঝুমু,
ম্যাডাম,
আমার ব্ক্তব্যগুলো একটু মনোযোগ না দিয়ে পড়তে তো বিষয়টি ধরতে পারবেন না। আমি হাদিস সম্পর্কে আমার মনোভাব আমার মন্তব্যসমূহে কি কি বিষয় উল্লেখ করেছি?
এখনও কি আমার মনোভাব বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে?
@mkfaruk,
ভাইজান,
আশা করি ভাল আছেন। আপনার লেখা দেখে মনে হচ্ছে আপনার ধারনা আল্লাহ একটা প্রিন্টেট ও বাধাই করা কোরান জিব্রাইলের মাধ্যমে মোহাম্মদের নিকট প্রেরন করেছিল। আর তাই তা নিখুত ও বিশুদ্ধ। আপনি কোরান কিভাবে নাজিল হয়েছিল ও সংগৃহীত হয়েছিল তার মোটামুটি একটা বিবরণ পাবেন এ নিবন্ধের ৫ম পর্ব ও ৬ষ্ট পর্বে।দয়া করে কি একটু চোখ বুলাবেন সেখানে ? আপনার যদি হাদিসের প্রতি তেমন আস্থা না থাকে , তাহলে মোহাম্মদ ও কোরান সম্পর্কিত কোন কিছুতেই আস্থা রাখতে পারেন না। কারন মোহাম্মদ সম্পর্কে সেই তার আমলে বা তার মরার অনেকদিন পর্যন্ত কেউই তার সম্পর্কে কেউ কিছু লিখে যায় নি। তবে কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু লিখে রেখেছিল যার উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে ইবনে ইসহাক তার সিরাত রাসুলুল্লাহ লেখেন ও পরবর্তীতে বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ, ইবনে মাজা এরা হাদিস লেখেন। এখন যেহেতু কোরান মোহাম্মদের কাছে একটা প্রিন্টেড ও বাধাই করা অবস্থায় আল্লাহ পাঠায় নি, তাহলে সে কোরান কিভাবে মোহাম্মদের কাছে আসল ও সংরক্ষিত হলো তা জানতে আপনাকে তো উপরোক্ত লেখকদের কথাকেই বিশ্বাস করতে হবে। এদের লেখাকে যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে আপনাকেই যথাযথ দলিল সহ প্রমান করতে হবে কিভাবে কোরান নাজিল হয়েছিল ও তা সংকলিত হয়। কোরানের বিশুদ্ধতা ও যথাযথ সংরক্ষনের বিষয়ে প্রমান দিতে গেলে কোরানের বক্তব্য কিন্তু এখানে গ্রহনযোগ্য হবে না , কারন আমরা তো মনে করি মোহাম্মদ নিজেই কোরানের কাহিনী গুলো বলেন ও তার সাহাবীরা সেসব বিচ্ছিন্নভাবে লিখে রাখেন। সুতরাং কোরানের সত্যতা ও সংরক্ষনের বিশুদ্ধতা প্রমানের জন্য কোরান সাক্ষী হতে পারে না। বিষয়টি এরকম-
মোহাম্মদ বলছেন- কোরান আল্লাহর বানী
কোরান বলছে- মোহাম্মদ আল্লাহর নবী
তাই মোহাম্মদ আল্লাহর হলেন আল্লাহর নবী।
এটা একটা সার্কুলার লজিক যাকে বলা হয় ফ্যালাসি। কারন এখানে দ্বিতীয় কোন সাক্ষী নেই। কোরান কোন ব্যক্তি নয় যে সে মোহাম্মদের সাক্ষী হতে পারে। তার অর্থ কোরানের বক্তব্য বস্তুত: মোহাম্মদেরই বক্তব্য। তাই কোরানের বক্তব্য মোহাম্মদের দাবীর সাক্ষী হতে পারে না। তাই কোরান আল্লাহর বানী ও মোহাম্মদ আল্লাহর নবী এটা প্রমানের জন্য অন্তত: এটা দ্বিতীয় সাক্ষী লাগবেই। এখন এ দ্বিতীয় সাক্ষী পাবেন কোথায় ? তা পাবেন ঐসব হাদিস গ্রন্থ ও সিরাত- এ। এখন উক্ত গ্রন্থগুলোতে যদি আপনার আস্থা না থাকে তাহলেও আর একটা উপায় আছে তা হলো কোরানের বক্তব্যের বিশুদ্ধতা। কিন্তু দু:খজনকভাবে কোরানের মধ্যে অসংখ্য স্ববিরোধীতা, ব্যকরণগত ভুল, ঐতিহাসিক তথ্যের ভুল, বিজ্ঞানের বিষয়গত ভুল, অনৈতিক/সভ্যতা বিগর্হিত বিধি বিধান বিদ্যমান। সুতরাং এ ধরনের একটা কিতাব কখনই আল্লাহর কাছ থেকে আসতে পারে না। আপনি কষ্ট করে এ নিবন্ধের সবগুলো পর্ব একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন আপনি নিজেই সেটা টের পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে আবার বলছি- কোরানের প্রতিটি আয়াত নাজিলের পিছনে কিছু না কিছু ঘটনা আছে। সে ঘটনা না জানলে কোরান পড়ে আপনি কিছুই বুঝবেন না। এখন সেই ঘটনা আপনি জানবেন কিভাবে ? কোরানে তো সে ঘটনার বর্ননা নেই। তা জানতে গেলেও আপনাকে তাফসিরের সাহায্য নিতে হবে, দুর্ভাগ্য জনকভাবে উক্ত তাফসিরও কিন্তু হাদিস ও সিরাতের ভিত্তিতে রচিত। তার মানে আপনাকে কোরান বুঝতে হাদিসের সাহায্য নিতেই হবে। এখন হাদিস বিশ্বাস না করলে আপনি কোরানকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না। আপনার নিজস্ব বক্তব্য ও ব্যখ্যা গৃহীত হবে না। কারন আপনি তো আর মোহাম্মদের সাথে ছিলেন না। এবার বুঝুন , হাদিসকে এক ফুতকারে উড়িয়ে দিলে মোহাম্মদ ও কোরান দুটোকেই উড়িয়ে দেয়া হয়, ভাইজান। সুতরাং যে কোন বক্তব্য দেয়ার আগে তার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকা বাঞ্ছনীয়।
ধণ্যবাদ আপনাকে।
সংশোধনী: তাই মোহাম্মদ আল্লাহর হলেন আল্লাহর নবী। এর পরিবর্তে হবে তাই মোহাম্মদ হলেন আল্লাহর নবী।
@ভবঘুরে,
কোরআন কিভাবে নাযিল হয়েছিল তার উত্তর আমি আগেই দিয়েছি মি: ভবঘুরে,
mkfaruk এর জবাব:
জুন ১৪, ২০১২ at ৮:০০ অপরাহ্ণ
@HuminityLover,
তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা স্বরূপ এবং তার সীমাবদ্ধতা, ইবলিসের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা, ফেরেস্তাদের প্রকার ও সীমাবদ্ধতা, আত্মার প্রকৃতি ও উপাদান, পাপ পূণ্য- ন্যায় ও অন্যায় এর ধারণা, আমলনামা, পরকালের বিচার পদ্ধতি, লওহে মাফুজের কিতাব, দোযখ ও বেহেস্তের প্রকৃতি, পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের বিকাশ ও পূর্ণতা লাভের ইতিহাস ইত্যাদি জানে এমন কেউ ছাড়া বির্তক জমবে না। (পাঠকদের মধ্যে এমন কেউ থাকলে আওয়াজ দিয়েন তাতে আমাদের মধ্যের বিতর্ক মারফৎ অন্যান্য পাঠকরা হয়ত উপকৃত হবেন।)
ভবঘুরে, একই কথা বারবার রিপিট করলে পাঠকরা বিরক্ত হবেন। মোটামুটি জানার সংজ্ঞা আমি দিয়েছি। এরপরও কি আমাকে ভেঙ্গে বলতে হবে?
@mkfaruk,
না ভাই, এর মারপ্যাচ ধরতে পারিনি। একটু বুঝিয়ে বলবেন কি এর অর্থ কি ? খেয়াল রাখবেন এ সাইটের অধিকাংশ পাঠকই কিন্তু আমাদের মন্তব্য মনযোগ সহকারে অনুসরণ করছেন। যা বলবেন ভেবে চিন্তে বলবেন। কারন আপনার বক্তব্যের উপর ভিত্তি করেই অনেকের বিশ্বাস দৃঢ় হচ্ছে, আবার অনেকের বিশ্বাস টলমলে হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং খুব সাবধান।
@ভবঘুরে,
আমি এখানে ধর্ম প্রচার করতে আসিনি। তাই কার বিশ্বাস দৃঢ় হল, কার দৃঢ় হল না -তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
আমি এখানে আপনার একটা আর্টিকেলের দ্বিমাত্রিক চিত্রকে তৃতীয়মাত্রার চিত্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছি মাত্র। কারণ আপনার চিত্রে পেছনের দৃশ্যটা নেই।
ভাই ভবঘুরে, এই সাইটে বাংলা ব্যকরণ নিয়ে আলোচনা করলে তা-কি খুব হাস্যকর হবে না?
শুধু এইটুকু জেনে রাখেন, বিশ্বাস শব্দের প্রি পজিশনে বসে তেমন শব্দটি বিশ্বাসকে শর্তাধীন করে ফেলেছে।
@ mkfaruk,
আপনার মন্তব্যের রিপ্লাই অপশন না পেয়ে এভাবেই উত্তর দিতে হচ্ছে।
আমার বাবা আর মার ধর্ম ইসলাম। আর আমি আপনাদের ওইসব ধর্মীয় কালিমা থেকে অনেকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছি।
ভাইজান আমি জিহাদী না। মরতে ভয় পাই। হা আত্মহত্যা করার সাহসকে যদি আপনি সৎ সাহস বলেন, তবে স্বীকার করছি, ওটা আমার নেই।
mkfaruk,
আপনারা ওইসব অসভ্য আর অমানবিক কাজগুলি করতে পারবেন, আর সংখ্যালঘু নাস্তিক বলে ২ /৪ টা অসভ্য ভাষাও ব্যবহার করতে পারব না , বিচারটা একটু বেশি একপেশে হয়ে গেল না?
আহা ভাইজান এত আবেগপ্রবণ কেন আপনি? আবেগ না কমালে কাফিরদের হিদায়েত করবেন কিভাবে? 😀 ।
@তামান্না ঝুমু,
আনেক কিছুই বুঝতেপারছেন না আবার ফলাফল নির্ধারণ করে দিচ্ছেন- বিষয়টা কন্ট্রাডিকটরী হয়ে গেল না? ফলাফল বিচার করবে জ্ঞানীরা।
@mkfaruk,
আল্লা ত নিজেই নিজেকে জ্ঞানী-বিজ্ঞানী বলে ঘোষণা করেছেন। ফলাফলটা তিনি নিজে এসে নির্ধারণ করতে পারবেন না!বিজ্ঞানী আল্লা কি একটি ঠেলাগাড়ি বানিয়ে দেখাতে পারবেন?
@তামান্না ঝুমু,
সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে আপনার বিশেষ ধারণা নেই বলেই এমন কথা বলছেন। আপনি প্লেটোর দি রিপাবলিক বইটা পড়ে দেখেন আগে, নেটেই আছে, বেঞ্জামিন জোয়েটের অনুদিত। তারপর বুঝতে না পারলে আমরা আলোচনা করব।
@mkfaruk, ধারণা আর থাকবে কীভাবে বলুন! তিনি আজীবন লুকিয়ে রইলেন যে! সামান্য একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সাহস নেই!
@তামান্না ঝুমু,
বহু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন তিনি। নমরুদকে কি তিনি সরাসরি যুদ্ধে পরাজিত করেননি? আবরাহাকে? শতশত উদাহরণ দেয়া যাবে।
@mkfaruk,
আপনি কোথায় কোরান কিভাবে নাজিল হয়েছিল সে সম্পর্কে বলেছেন? কোথাও তো খুজে পেলাম না। আবার কপি করে পেষ্ট করেন প্লিজ।
@ভবঘুরে,
এ কারণেই আপনার জন্যে তথ্যে রেফারেন্স উল্লেখ করিনি আমি। কারণ রেফারেন্স হিসেবে- কোন মাসের কত তারিখ কতটার সময় এবং কাকে উত্তরটি দিয়েছি— তা লিখে উল্লেখ করে দেবার পরও আপনি তা খুঁজে পেলেন না।
@তামান্না ঝুমু,
আমি এই মন্তব্য করেছি আপনার মন্তব্যের উপর।
যাহোক সৃষ্টিকর্তার স্বরূপ সম্পর্কে আমিই লিখে দিলাম। আপনাকে আর কষ্ট করে বইটা পড়তে হবে না।
God is good. And no good thing is hurtful. And that which is not hurtful, hurts not. And that, which hurts not, does no evil. And that, which does no evil, can’t be a cause of evil. Again, the good is advantageous; and therefore, the cause of well-being. It follows therefore that the God is not the cause of all things, but of the good only.
Thus God, as He is good, is not the author of all things, as the many assert, but He is the cause of a few things only, and not of most things that occur to men. For few are the goods of human life, and many are the evils, and the good is to be attributed to God alone; of the evils the causes are to be sought elsewhere, and not in him.
Then we must not say like Homer that-
Two casks Lie at the threshold of God, full of lots,
One of good, the other lots of evil,
And that he, to whom God gives a mixture of the two,
Sometimes meets with evil fortune, at other times with good;
But that he, to whom is given the cup of unmingled ill,
Him wild hunger drives o’er the beauteous earth. And again God,
Who is the dispenser of good and evil to us.
We can’t say that God plants guilt among men when he desires utterly to destroy others. The sufferings of Niobe, -or of the house of Pelops, -or of the Trojan War -we must not say that these are the works of God, or if they are of God, there must some explanation of them.
God did what was just and right, and they were the better for being punished; but that those who are punished are miserable, and that God is not the author of their misery, the wicked are miserable because they require to be punished, and are benefited by receiving punishment from God; but that God being good is the author of evil to any one is not to be said. As God is not the author of all things, but of good only.
whether God is a magician, and of a nature to appear insidiously now in one shape, and now in another –sometimes himself changing and passing into many forms, sometimes deceiving us with the semblance of such transformations; or is he one and the same immutably fixed in his own proper image?
If we suppose a change in anything, certainly that change must be effected either by the thing itself, or by some other thing. And things which are at their best are also least liable to be altered or discomposed; for example, when healthiest and strongest, the human frame is least liable to be affected by meats and drinks, and the plant which is in the fullest vigour also suffers least from winds or the heat of the sun or any similar causes.
And the bravest and wisest soul will be least confused or deranged by any external influence. And the same principle should applies to all composite things- furniture, houses, garments; when good and well made, they are least altered by time and circumstances. Then everything which is good, whether made by art or nature, or both, is least liable to suffer change from without.
But surely God and the things of Gods are in every way perfect. Then He can hardly be compelled by external influence to take many shapes.
But may God not change and transform Himself? Clearly, that must be the case if He is changed at all. And will He then change Himself for the better and fairer, or for the worse and more unsightly?
If He changes at all He can only change for the worse, for we cannot suppose Him to be deficient either in virtue or beauty.
But, no one would not desire to make himself worse. Then it is impossible that God should ever be willing to change; being, as is supposed, the fairest and best that is conceivable, God remains absolutely and forever in his own form.
Then, if someone tell us that-
The God, taking the disguise of strangers from other lands,
Walk up and down cities in all sorts of forms;
-is considered as imposing a slander on God, speaking blasphemy against the God. And he who speak blasphemy against God; He will forbid Heaven for him.
But although the God Himself unchangeable, still by witchcraft and deception He may make us think that He appear in various forms. But we cannot imagine that God will be willing to lie, whether in word or deed, or to put forth a phantom of Himself.
But the true lie, if such an expression may be allowed, yet is hated of God and men. As no one is willingly deceived in that which is the truest and highest part of himself, or about the truest and highest matters; there, above all, he is most afraid of a lie having possession of him. The reason is, only that deception, or being deceived or uninformed about the highest realities in the highest part of himself, which is the soul, and in that part of him to have and to hold the lie, is what mankind least like; is what he utterly detest.
And now remarking, this ignorance in the soul of him who is deceived may be called the true lie; for the lie in words is only a kind of imitation and shadowy image of a previous affection of the soul, not pure unadulterated falsehood. The true lie is hated not only by the God, but also by men.
Whereas the lie in words is in certain cases useful and not hateful; in dealing with enemies -that would be an instance; or again, when those whom we call our friends in a fit of madness or illusion are going to do some harm, then it is useful and is a sort of medicine or preventive; also in the tales of mythology, because we do not know the truth about ancient times, we make falsehood as much like truth as we can, and so turn it to account.
But any of these reasons cannot be apply to God. As we can’t suppose He is ignorant of antiquity, and therefore has recourse to invention.
Or perhaps one may tell a lie because he is afraid of enemies. And that is inconceivable. But one may have friends who are senseless or mad. But no mad or senseless person can be a friend of God. Then no motive can be imagined why God should lie. Then the superhuman and divine is absolutely incapable of falsehood.
Then, God is perfectly simple and true both in word and deed; He changes not; He deceives not, either by sign or word, by dream or waking vision. The God is not magician who transform Himself, neither do He deceive mankind in any way.
@তামান্না ঝুমু,
সমস্যা কি আপু? বিজ্ঞানীরা নাকি কোরান পড়ে বুঝেই সব আবিষ্কার করেছে? না হলে নাকি পারত না!হায় হায় রে আইনস্টাইন কি করলি তুই কোরান পরে বুঝেই থিওরী অফ রিলেটিভিটি আবিষ্কার করলি, তবু ব্যাটা মুসলিম হলি না। জান্নাতে ৭০টা হুর পেয়েও হারালি 😛
@mkfaruk,
তাহলে কি করতে আসছেন এখানে?
আপনার সকল মন্তব্য আপনার নিজস্ব কাল্পনিক চিত্র , বার বার আপনার গল্পের রেফারেন্স দিতে বললাম আপনি পাকাল মাছে মত সরে গেছেন। এ দেখে এ সাইটের পাঠকরা ইতোমধ্যেই আপনার মাথার ঠিক আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ শুরু করেছে মনে হয়।
@ভবঘুরে,
গ্রেড ওয়ান লোভেলের একটা শিশুও বলে দিতে পারবে কি করতে এসেছি আমি এখানে। কারণ আপনার উল্লেখিত কোটের মধ্যেই উত্তরটা রয়েছে।
সম্মানিত পাঠকগণ, এই আর্টিকেলের লেখকের ( মি: ভবঘুরে) জ্ঞানের পরিধি কতটুকু তা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম।
এখন আপনারাই বলুন এই ব্যক্তির সাথে বিতর্ক করা আর সম্পূর্ণ উন্মাদ একজনের সাথে বিতর্ক কি সমান নয়???
@mkfaruk,
আপনি ভবঘুরে এর জ্ঞানের পরিধি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, দেখে মজা পেলাম। আপনার কমেন্টস পড়েই বুঝতে পারছিলাম আপনার জ্ঞানের সীমা, এখন আরও শিউর হলাম।
আপনি নিজের জ্ঞান বুদ্ধির জোরে ভবঘুরে কে কাবু করতে না পেরে এখন পাঠকের ভোট চাইছেন । বাহ বা। দেখেন কয়জন আপনার পক্ষ হয়ে আপনাকে কমেন্টস ভিক্ষা দেয়। আমার বিশ্বাস আপনাকে শূন্য ঝুলি নিয়েই ফিরতে হবে। এর আগেও আপনার মতো অনেক
মুক্তমনায় এসে তর্ক বিতর্ক করেছে। কিছুদিন পর যখন বুঝতে পেরেছে এখানে থেকে সুবিধা হবে না তারা চলেও গেছে।(ভবঘুরেরা কিন্তু আছে এবং থাকবে) দেখেন আপনি কয়দিন থাকতে পারেন আর আপনার বিদ্যা বু্দ্ধি(!) জাহির করতে পারেন। তবে একটা কথা না বললেই নয়, আপনাদের মতো লোক মুক্তমনায় আসে বলেই আমরা কিন্তু দুটো কথা বলার সুযোগ পাই। সেই চান্সে আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি একটু বাড়ে।
@কাফের,
এর আগেও আপনার মতো অনেক
মুক্তমনায় এসে তর্ক বিতর্ক করেছে।
আপনি কিসের লোভে এসেছেন? ফাও খেতে? ফাও খাবার দিন শেষ।
@mkfaruk,
হা হা হা , সম্মানিত পাঠকরা কিন্তু ঠিকই বুঝে গেছে আপনি কি করতে এসেছেন। আপনার স্ববিরোধী মন্তব্য প্রকাশ করে আপনি হামবড়া ভাব নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে এসেছেন। কিন্তু ভাইজান, এই ইন্টারনেট ও মিডিয়ার যুগে সেটা আর সম্ভব নয়। মানুষ যে কোন তথ্য অতি সহজেই খুজে পায়। আপনি বলেছেন- বুখারি, মুসলিম এসব হাদিসে আপনার তেমন বিশ্বাস নেই অথচ অত:পর সেই হাদিস থেকেই একের পর এক উদ্ধৃতি দিয়ে আপনার স্বপক্ষে বক্তব্য পেশ করে গেছেন। তবে পুরো উদ্ধৃতিতে হাদিসের পরিস্কার বক্তব্য ছিল না তার সাথে ছিল আপনার মনের মাধুরী মিশানো রূপকথার গল্প। যে কারনে আপনাকে এত অনুরোধ করার পরেও কোন রেফারেন্স দেন নি। আপনি কি এখনকার পাবলিককে আপনার মতই পাগল আর উন্মাদ মনে করেন নাকি ? এ থেকে একটা পাগলও বুঝতে পারে আপনার চরিত্র কতটা স্ববিরোধী। হাদিস ছাড়াও নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে গরু রচনার মত রচনা লিখে গেছেন। ভাই এসব উদ্ভট কল্প কাহিনী প্রচার করার জন্য ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে, সেখানে যেতে পারেন। এখানে নয়। পরিশেষে হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি কে আসলে ভঙ্গ করেছিল ,তা গোলাপ ভাই অত্যন্ত পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন। মনযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। যাহোক আপনাদের আসলে দোষ নেই, দোষ হলো আমাদের সমাজ। আমাদের সমাজ আমাদেরকে শিশু বয়স থেকেই আমাদেরকে মগজ ধোলাই করে দেয় আর নিম্নলিখিত ধারনাগুলো সত্য হোক মিথ্যা হোক ঢুকিয়ে দেয়-
(১) মোহাম্মদ ছিল আল্লাহর নবী। যদিও তার কার্যক্রম ও আচরণ পরীক্ষা করলে বোঝা যায় তার মৃগীরোগ ছিল। আর কোরান তাকে উন্মাদ সাব্যাস্ত করত যা মৃগী রোগের একটা লক্ষন।
(২) মোহাম্মদ ছিল আল আমিন তথা সত্যবাদি। যদিও কোরানই বলে তার আশে পাশের মানুষগুলো তাকে মিথ্যাবাদি বলত।
(৩) মোহাম্মদ হলো সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ট মানব ও তার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র। যদিও সে জীবনে বহু ডাকাতি , খুন , ধর্ষন, শিশু বিয়ে, পূত্রবধু বিয়ে, দাসী/যুদ্ধবন্দিনীর সাথে বিয়ে বহির্ভুত সেক্স করেছে যার প্রমান কোরান ও হাদিসের পাতায় পাতায় বর্নিত আর মোহাম্মদ তার সব কিছুকে আল্লাহর আদেশ বলে চালিয়েছে।
(৪) মোহাম্মদ জীবনে অনেক যুদ্ধ করেছে যার সব গুলোই আত্মরক্ষামূলক। যদিও মাত্র ২/৩ ছাড়া বাকি সব যুদ্ধেই ছিল মোহাম্মদ নিজে আগে আক্রমনকারী। তার মধ্যে আবার অধিকাংশই ছিল নিরীহ জনপদে আতর্কিতে আক্রমন যার সুন্দর বর্ননা হাদিসে আছে।
স্ববিরোধীতা ত্যাগ করে , নির্মোহ দৃষ্টি দিয়ে কোরান হাদিস পড়ুন, অন্ধত্ব ত্যাগ করুন।
ভাল থাকুন।
@ভবঘুরে,
হুদায়বিয়ার সন্ধি চুক্তি কে আসলে ভঙ্গ করেছিল তা আমি আমার ব্যাখ্যায় পরিস্কার বলেছি। কোন চুক্তি ভঙ্গ হয় চুক্তির পর। চুক্তি সাক্ষরের পূর্বের কোন ঘটনা দিয়ে চুক্তি ভঙ্গের উদাহরণ কার্যকরী নয়। আর তাই তার মন্তব্যের কোন জবাব আমি দেইনি। তার জানার দৌড় কতটুকু তা আমি বুঝতে পেরেছি।
তাহলে আপনার মন্তব্যে আমি উত্তর দিচ্ছি কেন? কারণ আপনি আর্টিকেলের লেখক।
@ভবঘুরে,
আপনার ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি গোলাপের মন্তব্যের জবাবে। দেখেন সেখানে কোরআন কি বলেছে তার সম্বন্ধে ডিটেইল দেয়া হয়েছে।
৩ নম্বর আপনার নিজের কথা তাই তার উত্তর দেয়া হল না।
এটাও আপনার নিজের কথা তাই এর উত্তর দেয়া হল না।
@mkfaruk,
কাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্নটা করলেন? আমারতো মনে হয় যে ভবঘুরে ভাই আপনার মত একটা উজবুকের সাথে কথা বলে খামাখাই নিজের সময় নষ্ট করছে। উন্মাদ তো আপনি নিজে mkfaruk, ব্যপারটা বুঝেন নাই?
যে প্রথমেই ব্লগ এ এসে নিজেকে বিশাল কিছু বলে দাবি করে বসে আর তারপর একটার পর একটা মনগড়া কথা বার্তা বলে যায় , আর নিজের জ্ঞান জাহির করে তাকে উন্মাদ ছাড়া কি বলা যায়? আপনি যদি সত্যি জ্ঞানী হন তবে নিজেকে জাহির করার এত প্রবণতা কেন আপনার মাঝে?
আর মুহাম্মদ আপনার শখের সাবজেক্ট তাই না? এ জন্যই তো জানেন ঘোড়ার ডিম। শখের বশে কোন কাজ করা আর গবেষণা করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে এটা যদি কোনদিন বুঝতে পারেন তবেই দেখবে যে আর নিজের বিদ্যা জাহির করতে মন চাইবে না। কারন সত্যিকার জ্ঞানী তার বিদ্যাটা প্রমাণ করে দিবে, প্রথমে এসেই বলবে না যে আমি এইটা জানি ওইটা জানি, আর বাভ দেখাবে না যে তার থেকে বেশি আর কেউ জানে না।
@mkfaruk,
হাহাহা এইত নিজের আসল রূপ টা প্রকাশ করে দিলেন এতক্ষণে 😀
@mkfaruk,
আপনার কথাগুলো এতই রাবিশ যে সেগুলো পড়ে সময় নষ্ট করার আর প্রয়োজনই বোধ করছি না। যুক্তি শব্দটা ব্যবহার করলাম না, কারণ এগুলো যুক্তির মধ্যেই পড়ে না।
@বাবু,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।
এটা তো প্রবাদ বাক্যের মতই যে, সত্য অত্যন্ত কঠিন এবং হজমে কষ্টদায়ক।
@mkfaruk,
আপনার বোধহয় জানা নেই যে, মুক্তমনার যারা লেখক এবং নিয়মিত পাঠক তারা সত্যকে ভয় পায় না। আমি বলেছি আপনার যুক্তিহীন লেখার কথা। একের পর এক উল্টা পাল্টা কথা বলে যাচ্ছেন কোনো রেফরেন্স ছাড়াই। এজন্যই বলেছি, রাবিশ, পড়ার অযোগ্য।
@কাফের,
কিন্ত্র সত্য গ্রহণ করতে ভয় পায় তাই নয় কি?
এই যেমন ধরেণ আপনি, সকল যুক্তি ও প্রমাণ নিয়ে জেসাস এসেছিল সত্য নিয়ে -কিন্তু তাকে কি আপনি গ্রহণ করেছেন?
জীবনে একটিও মিথ্যা বলেনি এমন ব্যক্তিও সত্য নিয়ে এসেছিল, কিন্তু তাকে কি আপনি গ্রহণ করেছেন?
@mkfaruk, কথাটা তো আপনার জন্য ও প্রযোজ্য
ফলে তিনি তৎক্ষণাৎ বনি কাইনুকা গোত্রের আবাসস্থলে গেলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করে তাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে মুসলিম কমনওয়েলথের অন্তর্ভূক্ত হতে কিম্বা মদিনা ত্যাগ করতে নির্দেশ দিলেন। — শান্তিবাদি গান্ধি মহানবির কি দয়ার নমুনা্??! গুজ রাট দাঙ্গার সময় হিন্দু রাও মুস্লিম দের ধরে কাটছিল আর এই অপ্শন টাই দিয়েছিল হয় হিন্দু হও নয় গুজ্রাট ছাড়—–এখন দেখছি কট্টর দাঙ্গাবাজ হিন্দু আর ভন্দ মহাম্মাদের কোন অমিল নেই
@mkfaruk,
ওহ বলতে ভুলে গেছি। ইসলাম দাবী করে সে নাকি বহুগামীতা বন্দ করেছে ও এটা নাকি জাহেলিয়া যুগের খারাপ ঐতিহ্য। অথচ মোহাম্মদ নিজে ১৩ টা বিয়ে করেছেন, তাও কিন্তু করেছেন ইসলাম প্রচারের অনেক পরে। বহুবিবাহ বন্দ করার উপদেশ যিনি দেন তার তো প্রথমেই উচিত নিজে সেটা না করা , তাই না ? শুধু তাই নয়, নিজে করেছেন ১৩ টা অন্যকে করতে বলেছেন ৪ টা এটা কেমন কথা ? কেউ যদি কোন আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তার তো উচিত প্রথমে নিজে সেটা পালন করা। উনি নিজে ৪ টা বিয়ে করে অন্যকে ৪ টা করতে উপদেশ দিলে ভাল হতো না ? এর জবাব আমি জানি কি দেবেন। বলবেন- আল্লাহ বলেছে। মোহাম্মদ যখনই কোন উদ্ভট ও অসামাজিক কাজ করেছে তখনই সে আল্লাহর দোহাই দিয়েছে। এটা কোন ধরনের আল্লাহ আর কোন ধরনেরই বা নবি? ভাই আপনি যদি সত্যিকার শিক্ষিত মানুষ হয়ে থাকেন এ প্রশ্নগুলো একটু নিজে করুন। দেখবেন আপনি নিজেই এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
@ভবঘুরে,
এর সব উত্তর আমি দিয়ে দিয়েছি ৩৩:৫০, ৩৩:৫১ ও ৩৩:৫২ আয়াতের ব্যাখ্যায় পেয়েছেন নিশ্চয়।
@mkfaruk,” মুহম্মদ তেরটা বিয়ে করে রেকর্ড করে ফেলেছেন! তাহলে শলোমনের কি হবে? তার তো তিন শত বিবাহিত স্ত্রী ছিল।”
শলোমন মহান পবিত্র মানুষ এটা কে বলেছে?
আপনি একটা খারাপ জিনিষকে আরেকটা খারাপ জিনিষের সাথে তুলনা করে ভাল প্রমান করার অপচেষ্টা করছেন।এধরনের মানুষিকতার পরিবর্তন আনুন।
”আর বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি বা দাউদ সাহেবের হাদিস নিয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনে, কারণ তাদের হাদিসের উপর আমার তেমন বিশ্বাস নেই।”
আপনি যে মহম্মদের চরিত্র নিয়ে বিশাল এক রচনা লিখলেন এসকল তথ্যের উৎস কি? স্বপ্নে পেয়েছেন?নাকি মনগড়া বলে গেছেন! তাহলে কুরআনকে কোন লজিকে বিশ্বাস করছেন? বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি বা দাউদ এদের সংকলিত হাদিস কেন অস্বীকার করছেন? যুক্তি দেখান। আন্দাজে একটা প্রতিষ্ঠিত জিনিষকে ভুল বলে বাদ দিবেন এটাতো হয়না। কুরআন সংকলনের দায়িত্ব আল্লার এটা কুরআন সংকলনকারীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছে কিনা তার প্রমান কি? গোমর ফাঁস হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখলেই সেটা বাতিল,জাল,দূর্বল।অদ্ভূত!
”আর মেরী মুহম্মদের দাসী ছিল না, ছিল তার স্ত্রী। তার গর্ভে মুহম্মদের পুত্র ইব্রাহিম জন্মগ্রহণ করেছিল।”
মারিয়া কিবতিয়া মিশরের শাষনকর্তা মোকাওকিস মহম্মদকে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়েছিলেন।তার সাথে কোন বিবাহের প্রমান পাওয়া যায়নি।যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে বিশুদ্ধ উৎস থেকে দেখান।
@সত্যের সাধক,
শলোমনকে যিনি তাঁর রসূল করেছেন, তিনিই মুহম্মদকে আবার তাঁর রসূল করেছেন। এ কারণেই উদাহরণ যুক্তিসংগত।
যাহোক,
এর মানে হচ্ছে শলোমন মহান পবিত্র এটা আপনার জানা নেই। ভাল কথা, তাহলে তার সম্পর্কে আপনার যা জানা আছে সেইটা সবাইকে জানান।
তারপর আমরা আলোচনায় আসি। কি বলেন?
এর উত্তর এখানেই দিয়েছি কোন এক জনের মন্তব্যে উত্তরে। অথবা নেটে সার্চ করুন- Why Muslims Believe in Qur’an?
ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন আপনি। ‘ অস্বীকার’ শব্দ কোথাও ব্যবহার করিনি আমি। আমি যা বলেছি তা হল -এদের সব হাদিস সম্পূর্ণ নির্ভুল এটা কোন মুসলিমই বিশ্বাস করে না।
কারণ তুলনামূলক নির্ভরযোগ্য বুখারীরই অনেক হাদিস বাতিলযোগ্য। জানতে চাইলে আকরাম খাঁর মুস্তফা চরিত বইটি পড়েন।
@mkfaruk,
ভাইজান, মনের মাধুরী মিশিয়ে মুহাম্মদ সম্বন্ধে বিরাট রচনা লিখেছেন দেখছি! বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিল, ইসলামী বক্তৃতা-বিবৃতি এবং মক্তব-মাদ্রাসায় “মুহাম্মদের জীবনী” রচনা প্রতিযোগিতায় আপনার এ রচনা বিশেষ উপযোগী তাতে কোনই সন্দেহ নেই ! কিন্তু কোন সিরিয়াস বিতর্কে এর গ্রহণযোগ্যতা “শূন্য”। কারণ, বিতর্কে উপযুক্ত “রেফারেন্স” অত্যাবশ্যক। আপনি লিখেছেন,
ধরে নিলাম আপনি সত্য কথা বলছেন! সে ক্ষেত্রে, মুহাম্মদ সম্বন্ধে এত বড় রচনার “উৎস (Reference)” কি তা কি পাঠকদের একটু জানাবেন?
তাই নাকি? আপনার দীর্ঘ রচনা এক্কেবারে টিপিক্যাল মুমিনদের গৎবাঁধা ‘মুহাম্মাদী উপাখ্যান’। যুগে যুগে আম-মুসলমানদের এসব কিচ্ছা শুনিয়ে আপ্লুত করে হয়েছে! ১৪০০ বছর ধরে চলছে এ “মিথ্যার বেসাতী”! সাধারণ মুসলমানদের করা হয়েছে সত্য বঞ্চিত! মুহাম্মদের জীবন নিয়ে “রেফারেন্স সমৃদ্ধ অনেক আলোচনা মুক্তমনায় করা হয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। উপযুক্ত “রেফারেন্স” সহ মন্তব্য করুন।
@গোলাপ,
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি বা দাউদ হাদিস রচনা না করলে মুহম্মদ বলে কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পাওযা যেত না? আপনার পড়াশুনো হাদিসের বাইরে কম বোধহয় এ কারণেই উৎস খুঁজে পাচ্ছেন না। যখন উৎস কেউ উল্লেখ না করলেও পাঠ মাত্র্বই বুঝতে পারবেন কোত্থেকে কথাটা এসেছে, তখন ধরে নেবেন আপনার পড়াশুনো এবং জানা একটা পর্যায়ে এসেছে এবং আপনি বিষয়টি সম্পর্কে মোটামুটি জেনেছেন।
@mkfaruk,
ভাইজান, নিজেকে খুব “পণ্ডিত ব্যক্তি” মনে করছেন? আবার একটা মিথ্যাচারের মহাভারত রচনা করেছেন। আদি উৎস থেকে মুমিনরা যুগে যুগে ঘটনার বিকৃতির ঘটিয়েছে। পুরো ঘটনায় কি পরিমাণ বিকৃতি হয়েছে তা জানতে “আদি উৎসে” কি লিখা আছে তা জানা অত্যন্ত জরুরী। সে কারণেই “রেফারেন্স” অত্যন্ত আবশ্যক। আবারও বলি, “ধর্মীয় যে কোন বিতর্কে উপযুক্ত “রেফারেন্স” অত্যাবশ্যক।” মনের মাধুরী মিশিয়ে যা খুশী লিখে যাচ্ছেন! আর রেফারেন্স চাইলে বিরক্তিকর “হামবড়া” ভাব দেখাচ্ছেন? এ সমস্ত বস্তা-পচা ভাষণ ছোটকাল থেকে অনেক শুনে এসেছি। খুবই বিরক্তিকর! লিখেছেন,
কি অদ্ভুত যুক্তি! আগেও বলেছি এখনও বলছি গত ১৪০০ বছর ধরে চলছে এ “মিথ্যার বেসাতী”! বিষয়টি সম্পর্কে শুধু মোটামুটি না বেশ ভালভাবেই জানি। তাই আমার বুঝতে কোনই অসুবিধা হচ্ছে না যে আপনি, জেনে বা না জেনে, “মিথ্যাচার” করে চলেছেন। সে কারনেই রেফারেন্স চাচ্ছি। মনের মাধুরী মিশিয়ে আপনি যে বিরাট প্রবন্ধ লিখেছেন তা অসত্য ও বিকৃত। আমার আগের মন্তব্যে লিখেছিলাম,
আপনি “পিছলায়ে গিয়েছেন”।
লিখেছেন,
বিকৃতি কত প্রকার ও কি কি? তা জানা যায় আপনার মন্তব্য গুলো পড়লে। হাবিবা যা বলেছিল,
তারপর লিখেছেন,
না স্যার! আবু সুফিয়ান বলেছিলেন,
ভাইজান, ইসলামের সর্বপ্রথম শিক্ষা “অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা”। হোক না সে নিজের পিতা-মাতা।
উম্মে হাবিবা ইসলামের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিতা ছিলেন।
লিখেছেন,
শাবাশ ভাইজান! এক্কেবারে খাঁটি মুহাম্মদী যুক্তি!! মুহাম্মদ যে ডাকাত দল তৈরি করে প্রথমে কুরাইশ কাফেলা এবং পরে সমগ্র আরবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন এই “একই যুক্তিতে”। সন্ত্রাস-ডাকাতি-ভূমি দখল-লুটপাট-গনিমত-সবই বৈধ করেছিলেন এই একই যুক্তিতে।
নিজের পিতার প্রতি হাবিবার ব্যবহারে আপনি কোন অস্বাভাবিকতা দেখতে পাচ্ছেন না। আবু বশর এর ডাকাতি- সন্ত্রাস-লুটপাটে কোন অন্যায় দেখতে পাচ্ছেন না। পাওয়ার কথাও নয়! মুহাম্মদের শিক্ষায় কোন মানুষ আর “মানুষের পর্যায়ে থাকে না”। সে হয় “ইসালমিষ্ট”! আরো দেখুন,
***Breaking oath is permissible while find better option later
Terror
Whether it was permissible to attack the pagan warriors at night with the probability of exposing their women and children to danger
হ্যাঁ। মুহাম্মাদের মত “টেরর” তার প্রতিদ্বন্দীদের কেহই হতে পারে নাই।মুহাম্মাদ কোন নিয়ম-নীতির ধার ধারতো না। কিন্তু তৎকালীন আরব জনগুষ্ঠী ‘ন্যায়-অন্যায়, সততা, সন্ধি-চুক্তির প্রতি সন্মান’ বজায় রাখার সর্বাত্তক চেষ্টা করতো। তারা যুদ্ধবাজ ছিল, কিন্তু ‘বেঈমান’ ছিল না। কিন্তু মুহাম্মাদের বিবেকে এসবের কোন বালাই ছিল কিনা সন্দেহ। তার নীতি ছিল, “The end justifies the means”। দেখুন এই হাদিসটিঃ
War is deceit’.
এখানেই শেষ করছি। আপনার “রচনার” উৎস পাঠকদের জানিয়ে বাধিত করুন। নিজের “হামবড়া” ভাবটা কমান। পাঠকদের বোকা ভাবার কোন কারন নাই।
@গোলাপ,
আমি নিজেকে পন্ডিত মনে করিনে আর এমন কথা কখনও বলিনি। যাহোক আমার মন্তব্যগুলোতে কোন ফাঁক আছে কি না তা পাঠক বিবেচনায় আনবে।
আপনি হাদিসগুলো উল্লেখ করে কি প্রমান করতে চাচ্ছেন? যাহোক সবগুলো হাদিসের ব্যাখ্যা দিতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে। শুরু আর শেষটা দেই কি বলেন?
(Bukahri: Volume 6, Book 60, Number 138:) -এটি আয়েশা প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার বিষয়ে তার পিতা সম্পর্কে বলছেন। তার পিতা আবু বকর একবার তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছিলেন। আর কেন করেছিলেন তা ব্যাখ্যা করতেই এ বক্তব্যের অবতরণা করেছেন তিনি।
ঘটনা এই-
শেষরাত্রি। বিবি আয়েশা তার সওয়ারীর মধ্যে নিদ্রামগ্ন। তার কানে কারও চিৎকার ভেসে আসছে। তিনি ধড়মড় করে উঠে বসলেন। একজন ঘোষণাকারীর কন্ঠ রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে ভেসে এল-‘কাফেলা কিছুক্ষণের মধ্যে এখান থেকে রওনা হয়ে যাবে। সুতরাং প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ প্রয়োজন সেরে প্রস্তুত হয়।’
মুহম্মদ যখন কোন অভিযানে যেতেন তখন তিনি কোন না কোন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। বনি মুস্তালিকদের বিরুদ্ধে অভিযানে তিনি বিবি আয়েশাকে সঙ্গে নিয়েছিলেন।
এই ঘোষণা শুনে বিবি আয়েশা তার সওয়ারী থেকে নামলেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হবে। তার নিদ্রার রেশ এখনও কাটেনি ঠিকমত। অগোছাল পায়ে তিনি একটু দূরে নির্জণ স্থানে গেলেন। অতঃপর যখন তিনি ফিরছিলেন, গলায় হারের অস্তিত্বহীনতা অনুভব করলেন। অজান্তেই তার হাত গলায় উঠে এল। না, নেই! মুহুর্তেই ঘুমের রেশ সম্পূর্ণ কেটে গেল তার, বুঝতে পারলেন হারটি কোথাও ফেলে এসেছেন। তিনি বিশেষ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। কারণ হারটি ছিল তার বড় বোন আসমার। সুতরাং হার খুঁজতে খুঁজতে পুনঃরায় সেখানে গেলেন তিনি।
এদিকে আয়েশার হাওদা-পর্দা বিশিষ্ট আসনটিকে (ইতিপূর্বে পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ায় এ ধরণের আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল) উটের পিঠে সওয়ার করে নিয়ে কাফেলাটি রওনা হয়ে গেল। আয়েশার হালকা-পাতলা গড়নের কারণে সওয়ারী বাহকরা বুঝতে পারল না যে তিনি সওয়ারীর মধ্যে নেই।
এদিকে আয়েশা ফিরে এসে দেখতে পেলেন কাফেলাটি চলে গেছে। তিনি চিন্তা ও দুর্ভাবনায় অধীর হয়ে পড়লেও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন। অহেতুক এদিক সেদিক ছুটোছুটি বা কাফেলার পশ্চাৎধাবণ না করে সেখানেই চাদর গায়ে জড়িয়ে বসে রইলেন এই ভেবে- নিশ্চয়ই সওয়ারী বাহকদের এই-ভুল শীঘ্রই ধরা পড়বে এবং হযরত কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন।
সময় ছিল শেষরাত্রি, একসময় তিনি নিদ্রার কোলে ঢলে পড়লেন।
ইতিমধ্যে প্রভাত হল এবং সেখানে সাফওয়ান নামক জনৈক সাহাবী উপস্থিত হলেন। সেনাবাহিনীর লোকেরা ভুল করে কোন কিছু ফেলে রেখে গেল কি-না সেটা দেখার জন্যেই তিনি মুহম্মদের নির্দেশে পিছনে রয়ে গিয়েছিলেন।
তখন পর্যন্ত প্রভাত রশ্মি ততটা উজ্জ্বল হয়ে ফুটে ওঠেনি। সাফওয়ান দূর থেকে একজন মানুষকে নিদ্রামগ্ন দেখতে পেলেন। কাছে এসে তিনি বিবি আয়েশাকে চিনে ফেললেন কারণ পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বেই তিনি তাকে দেখেছিলেন। যাহোক তাকে এরূপ অবস্থায় দেখে তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। অত্যন্ত বিচলিত অবস্থায় তার মুখ থেকে-‘ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন’ উচ্চারিত হয়ে গেল। এই বাক্য বিবি আয়েশার কানে যাবার সাথে সাথে তিনি জাগ্রত হয়ে গেলেন এবং সাফওয়ানকে দেখে মুখ ঢেকে ফেললেন। সাফওয়ান রসূলুল্লাহর স্ত্রীকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করা সমীচীন হবে কি-না ভেবে কিছুক্ষণ দোদুল্যমনতায় ভুগলেন। অবশেষে তাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে তিনি দ্রুত তার উটটি তার কাছে এনে বসিয়ে দিলেন। অত:পর বিবি আয়েশা তাতে সওয়ার হলে তিনি উটের রশি ধরে হেঁটে মদিনার পথে রওনা দিলেন।
একসময় মদিনার উপকন্ঠে এসে তারা কাফেলার দেখা পেলেন। সাফওয়ানের উটে সওয়ারী বিবি আয়েশা-এই দৃশ্যে সকলেই অবাক হল, মুহম্মদও উদ্বিগ্ন হলেন। সাফওয়ান সকল কথা খুলে বললেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই মুহম্মদের সংস্পর্শে থেকেও কখনও শুদ্ধ-বুদ্ধ হতে পারলেন না। তার মধ্যে সবসময় মুহম্মদকে হেয় প্রতিপন্ন করার চিন্তা ও প্রচেষ্টা কাজ করেছে। সুতরাং মদিনায় পৌঁছে তিনি আয়েশা ও সাফওয়ানের ঘটনাটিকে একটা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করলেন। তিনি বিবি আয়েশার চরিত্রের উপর কলঙ্ক আরোপ করলেন এবং তার এই রটনা সুকৌশলে লোকদের মাঝে ছড়িয়ে দিলেন। এতে নিন্দুকেরা কানাঘুসা শুরু করল।
মুনাফেকদের সাথে এই রটনায় কিছু মুমিন মুসলমানও সামিল হয়ে পড়লেন। এদের মধ্যে অগ্রণী ছিলেন কবি হাসসান বিন সাবেত (শিরীর স্বামী), আবু বকরের আশ্রিত মিসতাহ-বিন-উসামা এবং হাসনা বিনতে জহস-মুহম্মদের স্ত্রী জয়নবের ভগ্নি।
হাসনা, ভগ্নি জয়নবকে মুহম্মদের কাছে গৌরবান্বিত করার মানসে এই সুযোগ নিলেন।
মুহম্মদ যদিও আয়েশাকে এই রটনা সম্পর্কে কিছুই জানতে দেননি কিন্তু তিনি সবকিছু অবগত হলেন। নিদারুণ দুঃখ আর লজ্জায় স্বামীর অনুমতি নিয়ে পিতৃগৃহে চলে গেলেন তিনি। এ বিষয়ে কোন ওহী নাযিল না হওয়ায় মুহম্মদও কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। আর এদিকে আয়েশা পিতৃগৃহে কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে যাচ্ছিলেন।
অতঃপর একদিন মুহম্মদ আবু বকরের গৃহে গিয়ে আয়েশাকে বললেন, ‘হে আয়েশা, লোকে তোমার সম্বন্ধে যা বলছে তা নিশ্চয়ই শুনেছ। যদি তুমি এ ব্যাপারে কোনরূপ দোষী থাক; তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।’
এসময় আবু বকর ও তার স্ত্রী বিষন্ন মুখে নিরব হয়ে একপাশে গৃহকোণে বসে রইলেন। আয়েশা উত্তর করলেন, ‘ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি ভালকরে কোরআন পড়িনি, আমি ছেলেমানুষ, এখনও আমার জ্ঞান পরিপক্ক নয়, তবুও আমি আপনার কথার তাৎপর্য বুঝতে পারছি। আল্লাহর কসম, এ-ব্যাপারে আমি কখনও তাঁর কাছে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইব না, কেননা আমি নির্দোষ। দোষ করে তা অস্বীকার করা যেরূপ অন্যায়, দোষ না করে তা স্বীকার করাও তদ্রুপ অন্যায়। এতে আমি মিথ্যেচারিনী হব, কেননা আল্লাহ জানেন প্রকৃত ঘটনা।
–তাছাড়া এভাবে ক্ষমা চাইলে লোকের কাছে নিশ্চয়ই আমার মর্যাদা বাড়বে না। সবাই মনে করবে দোষ সত্যিই করেছিলাম, পরে ক্ষমা চেয়ে মাফ পেয়েছি, আবার যদি বলি আমি মোটেও দোষী নই, তাও কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি এখন সম্পূর্ণ নিরুপায়, নিঃসহায়। কাজেই আমি কিছুই বলতে চাইনে, কেবল ইউসূফের পিতা বিপদে পড়ে যা বলেছিল, আমি শুধু তাই বলব- ‘আমি ধৈর্য্য ধরে থাকব, একমাত্র আল্লাহই আমার ভরসা।’
আয়েশার বিরুদ্ধে মুনাফেক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই রটিত অপবাদের গুজব একমাস চালু থাকার পর এই আয়াত নাযিল হলঃ ‘যারা সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোকদের সম্বন্ধে কুৎসা রটনা করে এবং চারটি প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারে, তাদেরকে আশিটি দোররা মারবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্যকে সত্যি বলে গ্রহণ করবে না, কারণ তারা সীমালঙ্ঘনকারী।’(২৪:৪)
নিশ্চয়ই যারা এ মিথ্যে অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমারই দলভূক্ত লোক। একে তুমি অশুভ বলে মনে কোরও না, পরন্তু এরমধ্যে তোমার জন্যে কল্যাণ নিহিত আছে। অপরাধকারীদের প্রত্যেকে তাদের কাজের জন্যে যথাযোগ্য শাস্তি ভোগ করবে, যে সর্বাপেক্ষা এ কাজে আগ্রহশীল, তাকে গুরুতর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা হবে।(২৪:১১)
উপরের আয়াত নাযিল হওয়ার পরে সকলের প্রতি অপবাদের হদ প্রয়োগ করা হল-এমনকি জয়নবের ভগ্নি হাসনাও রেহাই পাননি।
অতঃপর মুসলমানদেরকে উপদেশ দিয়ে এই আয়াতসমূহ নাযিল হয়েছিল- ‘হে বিশ্বাসী পুরুষ এবং নারীরা, তোমরা যখন এ কুৎসা কাহিনী শুনলে, তখন আপনজনদের কথা মনে করে কেন বললে না যে, এ সুস্পষ্ট মিথ্যে কথা?’ এবং যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ না থাকত এবং দুনিয়া ও আখেরাতে তাঁর করুণাই না প্রকাশ পেত, তবে তোমরা (আয়েশার সম্বন্ধে) যে সব (কুৎসিৎ) আলোচনায় যোগ দিয়েছিলে, তার জন্যে নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হত। তোমরা এমন বিষয়ে আলোচনা করতে আরম্ভ করলে যার সম্বন্ধে তোমরা কিছুই জানতে না? তোমাদের কাছে বিষয়টি খুব হালকা মনে হয়েছিল, কিন্তু আল্লাহর কাছে তা গুরুতর ছিল’ এবং যখন তোমরা তা শুনলে তখন কেন বললে না যে, এ সম্বন্ধে কোন মন্তব্য করা আমাদের সাজে না, সমস্ত গৌরব আল্লাহর, নিশ্চয়ই এ একটি মস্ত বড় অপরাধ।’ আল্লাহ তোমদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা যদি বিশ্বাসী হও, তবে ভবিষ্যতে যেন এরূপ কর্ম আর না কর।’(২৮:১২-১৭)
আয়েশা ও সাফওয়ান দোষমুক্ত হলেও কুৎসাকারীদের উপর সাফওয়ানের আক্রোশ কমল না। কবি হাসসানকে তিনি গুরুতর আহত করলেন। আর আবু বকর কসম খেলেন মিসতাহকে তিনি আর কখনও সাহায্য করবেন না।
আবু বকরের এই কসমের পর এই আয়াত নাযিল হল-এবং তোমাদের মধ্যে যারা সঙ্গতি সম্পন্ন, তারা যেন তাদের আশ্রিতজনকে, দরিদ্রদেরকে এবং যারা আল্লাহর পথে পালিয়ে গেছে, তাদেরকে কোনরূপ সাহায্য করবে না বলে প্রতিজ্ঞা না কর। তাদের উচিৎ সকলকে ক্ষমা করা এবং (প্রতিজ্ঞা থেকে) ফিরে দাঁড়ান; আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন, এই কি পছন্দ কর না? আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’(২৪:২২)
অতঃপর আবু বকর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলেন ও বললেন যে, যতদিন তিনি জীবিত থাকবেন ততদিন কোন অবস্থাতেই মিসতাহকে সাহায্য করতে ভুলবেন না।
Volume 4, Book 52, Number 267:
মুহম্মদ, তার প্রচারিত ইসলাম সর্বমানবের কাছে পৌঁছিবে-যে উদার বাসনা দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তার অনুসরণে তিনি প্রতিবেশী রাজন্যবর্গ ও তাদের প্রজাকূলকে সত্যধর্ম ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিয়ে কতিপয় দূত প্রেরণ করেছিলেন। এদের মধ্যে গ্রীকসম্রাট হেরাক্লিয়াস ও পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজও ছিলেন।
মক্কার একজন দেশত্যাগী সমতার ভিত্তিতে তাকে মহান খসরু বলে অভিহিত না করার স্পর্ধার জন্যে খসরু বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং তার পত্রের ঔদ্ধত্যের জন্যে ক্রোধান্বিত হন, পত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেন এবং ঘৃণার সঙ্গে দূতকে তাড়িয়ে দেন। যখন এই আচরণের খবর মুহম্মদকে জানান হল, তিনি শান্তভাবে এই মন্তব্য করেছিলেন।
@mkfaruk,
হা হা হা , দারুন বলেছেন এবার । আপনি হাদিস বিশ্বাস করেন না আবার এখন সেই হাদিস থেকেই রেফারেন্স দিচ্ছেন ? আজব পাবলিক আপনি ভাই। আয়শা অসতী কি না , তা জানতে আল্লাকে আয়াত নাজিল করতে হয়, মোহাম্মদ যথেচ্ছ বিয়ে করবে কি না সেজন্যে আল্লাহকে আয়াত নাজিল করতে হয়, মোহাম্মদ ডাকাতি করবে কি না বা ডাকাতির মাল ভাগাভাগি করবে কি না তার জন্যে আল্লাহকে আয়াত নাজিল করতে হয়, দাসী বা যুদ্ধ বন্দিনী নারীদের সাথে বিয়ে বহির্ভুত সেক্স করতে পারবে কি না তার জন্য আল্লাহকে আয়াত নাজিল করতে হয়, পালিত পূত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করবে কি না তার জন্য আল্লাহর জন্য আয়াত নাজিল করতে হয়। হায়রে আল্লাহ! তোমার আর কোন কাজ নেই। মোহাম্মদের কু প্রবৃত্তি চরিতার্থ করতে আপনাকে কতই না পেরেশানি পোহাতে হয়েছে।
ভাই , আপনার সাথে তর্ক চলে না। আপনি প্রথমেই বলেছেন হাদিস বিশ্বাস করেন না, এখন সেই হাদিস থেকেই রেফারেন্স দিয়ে আপনার বক্তব্যের যথার্থতা প্রমানের চেষ্টা করছেন। ভাই , কিছু মনে করবেন না , একটা উপদেশ দেই- পারলে তাড়াতাড়ি একটা মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ও হ্যা , মোহাম্মদের যথেচ্ছ বিয়ে, দাসী/বন্দিনী নারীর সাথে সেক্স করা এসব নিয়ে কিছু আয়াত উপরে দিয়েছিলাম সে ব্যপারে তো নিশ্চুপ। বিষয় কি ?
@ভবঘুরে,
আমি কোন হাদিসের রেফারেন্স দেইনি। গোলাপ কয়েকটি হাদিস ভুলভাবে উপস্থাপন করাতে আমি দুটি হাদিসের শানে নযুল বর্ণনা করেছি মাত্র।
আপনার এই কথার উত্তর HuminityLover, কে দেয়া এই উত্তরে রয়েছে-
mkfaruk এর জবাব:
জুন ১৪, ২০১২ at ৮:০০ অপরাহ্ণ
@HuminityLover,
তাই নাকি? তবে আমার মনে হয় মি: ভবঘুরের এই লেখায় আমি যতগুলি মন্তব্য করেছি তার সবগুলিই আগে আপনার পড়া উচিৎ তাহলে হয়ত: ধারণা করতে পারবেন সাইটের অন্য লেখাগুলি পড়ে আমি কি করতে পারব।
আর কোরআন নাযিলের বিষয়টি কি আপনি জানেন? এটা বললাম একারণে যে, মি: ভবঘুরে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে। আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে আপনি বিষয়টি জানেন না।
@mkfaruk,
আপনার মন্তব্যটি পড়ে বেশ অবাক হলাম। যে হাদিসে আপনার “তেমন” বিশ্বাস নাই সেই হাদিস দিয়েই মন্তব্য করেছেন। আপনি ঠিক কি বলতে ও বুঝাতে চাচ্ছেন তা মোটেও পরিষ্কার নয়। . প্রথমে লিখলেন,
জবাবে আপনার জ্ঞাতার্থে পুরো লিস্ট দিয়ে জানালাম যে সবচেয়ে প্রাচীন মুসলিম ইতিহাসবিদদের মতে মুহাম্মদ তার মদিনা জীবনের (৬২২-৬৩২ সাল) ১০ বছরে মোট ৬০ টিরও বেশী যুদ্ধে /সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন। গড়ে ৬-৮ সপ্তাহে একটি। আদি মুসলিম ঐতিহাসিকদের মতে এই বিপুল সংখ্যক সংঘর্ষের মধ্যে ওহুদ এবং খন্দকের যুদ্ধ ছাড়া আর কোনটাই আত্মরক্ষা মূলক ছিল না। ছিল ‘offensive/preemptive। উপযুক্ত রেফারেন্স সহ মন্তব্য করুন।
আপনি পিছলায়ে গেলেন। মুহম্মদ কখনও কাউকে অকারণে আক্রমণ করেননি আপনার এ মন্তব্য এর স্বপক্ষে কোন রেফারেন্স না দিয়ে ঘোষণা দিলেন,
আমি জবাবে লিখলাম,
তারপর লিখলেন মনের মাধুরী মিশিয়ে মুহাম্মদের বিরাট গুণকীর্তন। জানালেন,
জবাবে লিখলাম,
আপনি আবার পিছলায়ে গেলেন। তারপর, আপনার মনের যাবতীয় মাধুরী মিশায়ে আগের চেয়েও বিশাল ‘রেফারেন্স বিহীন’ আর একটা “রচনা” ছাড়লেন! আর দিলেন ঔদ্ধত্যমূলক “হামবড়া ঘোষনা”, লিখলেন
জবাবে লিখলাম,
বিষয়টি সম্পর্কে শুধু মোটামুটি না, বেশ ভালভাবেই জানি। তাই আমার বুঝতে কোনই অসুবিধা হচ্ছে না — “মিথ্যাচার” করে চলেছেন। –মুহাম্মদের শিক্ষায় উম্মে হাবিবা নিজের জন্মদাতা পিতাকে সম্বোধন, “you are an unclean polytheist”, — মুহাম্মদের শিক্ষা, “If you ever take an oath to do something and later on you find that something else is better, then you should expiate your oath and do what is better.”
আপনি তার জবাবে লিখেছেন “আয়েশা উপাখ্যান”, সেই হাদিস গ্রন্থ থেকে যাতে আপনার ‘তেমন” বিশ্বাস নেই। আবার আমাকেই প্রশ্ন করেছেন,
My dear mkfaruk, জবাব হলো “সত্য উদঘাটন”। আপনি মনে হয় ঠিক বুঝতে পারছেন না কাদের সাথে আপনি বিতর্কে নেমেছেন। আপনার অন্যান্য “মন্তব্যগুলো” ও পড়েছি। সবই অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা। প্রবন্ধের লেখক বহু রেফারেন্স সহ খুব ভালভাবে প্রমাণ করেছেন যে মুহাম্মদ “শুরু থেকেই” হুদাইবিয়া চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছেন। আপনি তার বিপরীতে বানু-বকর এবং বানু খোজার উদাহরণ এনেছেন। বানু খোজার “কিচ্ছার আংশিক” যারা ইসলাম নিয়ে একটু পড়াশুনা করেছেন তারাই জানেন। কিন্তু পুরো ঘটনা (নীচে) অনেকই জানেন না। আবু-বশির ও মুমিন মহিলাদের (যাদেরকে আপনি “ব্যক্তি” বলেই মনে করেন না) অধিকাংশ মুসলমানই জানেন না। লেখক সেটাই জানিয়েছেন এই প্রবন্ধে।
এবার আসি বনি বকর ও বনি খোজার ঘটনায়। বরাবরের মতই আপনি জেনে বা না জেনে “বিকৃত” তথ্য পেশ করেছেন (রেফরেন্সহীন)। চার পর্বের এ ঘটনার “শেষ পর্ব” থেকে আপনি বয়ান দিয়েছেন। আদি উৎসে পুরো ঘটনার যে বিবরণটি দেয়া আছে তা হলো এই:
সংক্ষেপে:
১) এখানে আক্রমণকারী/আগ্রাসী হলো বনি খোজা -তারই ১ম খুন করেছে বনি বকরের লোককে (Malik bin Abbad)
২) বনি বকর সেই খুনের বদলায় বনি খোজার ১জন লোককে খুন করে
৩) বনি খোজা ২য় বার আক্রমণ করে বনি বকরের আরও তিনজন লোককে খুন করে (Salma, Kulthim and Dhu’ayb)
৪) বনি বকর সেই বিশিষ্ট তিনজন লোকের “খুনের বদলায়” শেষ আক্রমণটি করে।
৫) পুরো ঘটনাটায় “আরবের দুই গোত্রের” কোন্দল, যেখানে বনি খোজা হলেন(পরবর্তীতে মুহাম্মদের পক্ষের গোত্র)আক্রমণকারী। (৪র্থ পর্বে) বনি বকরের সমস্ত লোক সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন না (though all the B. Bakr did not follow him)। যেখানে বনি বকরেরই সমস্ত লোক জড়িত ছিলেন না সেখানে সমস্ত কুরায়েশ-কুল সন্গবদ্ধ হয়ে বনি বকরকে সাহায্য করেছিলেন এমন ধারনা নি:সন্দেহে সত্যের অপলাপ (“পাগল-প্রলাপ”)। অল্প কিছু কুরাইশ এখানে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়।
৬) অথচ মুহাম্মদ “দুই গোত্রের” কোন্দলকে “মক্কা-আক্রমণের বাহানায়” রূপান্তরিত করেছিলেন। কারণ, “If you ever take an oath to do something and later on you find that something else is better, then you should expiate your oath and do what is better” – সন্ধির ২ বছরের (দশ বছরের শর্ত) মধ্যেই মুহাম্মদ অনেক শক্তিশালী হয়েছেন। তার আর অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
৭) এখানে স্পষ্টতই আক্রমণকারী/আগ্রাসী হলো বনি খোজা। তারা খুন করেছে ৪জন নিরোপরাধ লোককে। বানু বকর সেই খুনের বদলায় আক্রমনকারী বনি খোজার ২জন লোককে খুন করেছে।
My dear mhfaruq, আপনি কেমন লোক তা জানা যাবে আপনার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে। আপনার নিজের “উক্তিতে” নয়। মুহাম্মদও তার ব্যতিক্রম নয়। মুহাম্মদ কেমন লোক ছিলেন তা জানার জন্য মুহাম্মদের জবানবন্দীই (কুরান) যথেষ্ট (More than sufficient)। মুহাম্মদের আশে পাশের লোকেরা তাকে কিরূপ মূল্যায়ন করতেন? দেখা যাকঃ
“মুহম্মদের চরিত্রের পবিত্রতা ও মহত্ব, — মুহম্মদ কখনও কাউকে অকারণে আক্রমণ করেননি –” ইত্যাদি গালভরা দাবীর স্বপক্ষে রেফারেন্স সমৃদ্ধ ” প্রমাণ হাজির করুন।”
@গোলাপ,
এবার আমরা দেখব মুহম্মদ কেমন লোক ছিলেন, তার আশে পাশের লোকেরা তাকে কিরূপ মূল্যায়ন করতেন-
জানতে হলে তিনটি বিষয়ের তিনটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।
ক). মুহম্মদের ব্যক্তি চরিত্র।
খ). কেন কুরাইশদের কিছু তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করছিল।
গ). কেন কুরাইশদের কিছু তার বিরোধিতা করছিল।
1. আমরা জানি আবু তালিব, মুহম্মদের পিতৃব্য, তিনি মুহম্মদের শত অনুরোধ উপরোধ সত্ত্বেও ইসলাম গ্রহণ করেননি। অথচ তিনি তার পুত্র আলীকে বলেছিলেন-
আবু তালিব বললেন, ‘হে আমার পুত্র! সে (মুহাম্মদ) তোমাকে যা ভাল নয় এমন কিছুর দিকে আহবান করবে না, কাজেই তুমি স্বাধীনভাবেই তার প্রতি অনুগত হতে পার।’
কখন একথা বলছেলিনে তা এখন আমরা দেখব।
একদিন মরুভূমির নির্জণে আবু তালিব দূর থেকে মুহম্মদ ও আলীকে প্রার্থনায় নিমগ্ন থাকতে দেখতে পেলেন। প্রার্থনার ভঙ্গীর ব্যাপারে বিষ্মিত বোধ করার কারণে তিনি নিকটবর্তী হলেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে তাদের প্রার্থনা মনোযোগ সহকারে দেখলেন। নামাজ শেষে তিনি মুহম্মদকে বললেন, ‘ওহে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি কোন ধর্ম অনুসরণ করছ?‘
মুহম্মদ উত্তর দিলেন, ‘এই ধর্ম আল্লাহর, তার ফেরেস্তাদের, তার নবীদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের ধর্ম। আল্লাহ আমাকে তার বান্দাদের কাছে পাঠিয়েছেন তাদেরকে সত্যের দিকে পরিচালিত করতে, হে পিতৃব্য! আপনি সকলের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ব্যক্তি। এটা একটা সম্মেলন, আমি আপনাকে অনুরোধ করি যে, আপনি ইসলাম গ্রহণ করে এর প্রচারে সহায়ক হোন।’
আবু তালিব একজন দৃঢ়চিত্ত সেমিটিকের যথার্থ ভঙ্গীতে বললেন, ‘হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র! আমি আমার পিতা-পিতামহের পালিত ধর্ম জলাঞ্জলি দিতে পারিনে, তবে পরম শক্তিমান আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি যে, যতদিন আমি জীবিত আছি কেউ তোমার কেশাগ্রস্পর্শ্ করতে পারবে না।’
এরপর পুত্র আলীর দিকে ফিরে সম্মানিত গোত্রপতি সে কোন ধর্ম অনুসরণ করছে তা জিজ্ঞেস করলেন। আলী উত্তর দিলেন, ‘হে আমার পিতা! আমি আল্লাহ ও তাঁর এই প্রেরিত পুরুষে বিশ্বাস করি এবং তাকে অনুসরণ করি।
এসময় আবু তালিব ঐ মন্তব্য করেছিলেন।
2. আবু জেহেলকে ইসলামের চরমতম দুষমন হিসেবে সবাই আমরা জানি। এখন আমরা মুহম্মদ সম্পর্কে তার বক্তব্য দেখি।
আবু জেহেল বললেন-নিঃসন্দেহে মুহম্মদ সত্যবাদী। সে সারা জীবন একটিও মিথ্যে বলেনি।
এবার আমরা ঘটনার পটভূমিতে যাই।
মুহম্মদ জনসম্মুখে পৌত্তলিকতা বর্জন করার আহবান জানাতে সাফা পর্বতের পাদ দেশে এক সভা আহবান করলেন। সেখানে তিনি আল্লাহর দৃষ্টিতে তাদের অপরাধের ব্যপকতা, মূর্ত্তিপূজার অসারতা স¤পর্কে এবং অতীতকালে পয়গম্বরদের আহবানে সাড়া না দেয়ায় বিভিন্ন গোত্রের যে ভয়াবহ পরিনতি হয়েছিল সে সম্পর্কেও সতর্ক করলেন। সকলকে সম্বোধন করে তিনি বলেছিলেন, ‘হে আমার দেশবাসী! শ্রবণ করুন! এক বেহেস্তী সওগাত আমি আপনাদের জন্যে নিয়ে এসেছি। আল্লাহর পবিত্র কালাম আমি লাভ করেছি। আপনারা মূর্ত্তিপূজা করবেন না। একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করুন। বলুন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ। ইসলাম-ই আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। ইসলাম গ্রহণ করুন, ইহকাল ও পরকালে আপনাদের কল্যাণ হবে। অন্যথায় শিরক ও কুফরের কারণে ভীষণ আযাব সকলকে গ্রাস করবে।- কে এই সত্য প্রচারে আমাকে সাহায্য করবেন? কে আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন? -আসুন।’
অনেকে বিরক্ত হল। আবু লাহাব বললেন, ‘আমার কাছে ঢের অর্থ ও লোকবল রয়েছে, আমি এগুলোর বিনিময়ে নিজেকে বা পরিবারকে রক্ষা করব।’
কেউ কেউ বলল, ‘হে মুহম্মদ! তুমি যদি পয়গম্বরই হবে তবে কোন একটি মু‘জেযা দেখাও তো? আমাদের এই মরুভুমিতে একটি নহর বইয়ে দাও তো?’
কেউ কেউ বলল, ‘যদি আপনি বাস্তবিকই আল্লাহর রসূল হয়ে থাকেন, তবে মু‘জেযার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর ধন-ভান্ডার আমাদের জন্যে একত্রিত করে দিন।’
তিনি বললেন, ‘এই কাজের জন্যে আমি আসিনি। সব মু‘জেযা আল্লাহর ইচ্ছেধীন, তিনি ইচ্ছে করলে সবকিছুই করতে পারেন। আমি যাদুকর নই, আর যাদু দেখিয়ে আপনাদেরকে স্বমতে আনতে ঘৃণাবোধ করি। সত্যের জলন্ত স্পর্শে আপনাদের মন যদি সাড়া না দেয় তবে আপনারা আমার কথা শুনবেন না।’
তারা বলল, ‘তবে আমাদের ভবিষ্যৎ উপকারী ও ক্ষতিকর অবস্থা ও ঘটনাবলী ব্যক্ত করুন, যাতে আমরা উপকারী বিষয়গুলো অর্জণ করার এবং ক্ষতিকর বিষয়গুলো বর্জন করার ব্যবস্থা পূর্ব থেকেই করে নিতে পারি। অবশ্য আমরা বুঝতে অক্ষম যে, আমাদেরই স্বগোত্রের একজন লোক, যিনি আমাদের মতই পিতা-মাতার মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং পানাহার ও হাট-বাজারে ঘোরাফেরা ইত্যাদি মানবিক গুণে আমাদের সম অংশীদার, তিনি কিরূপে আল্লাহর রসূল হতে পারেন! কোন ফেরেস্তা হলে আমরা তাকে রসূল ও মানবজাতির নেতারূপে মেনে নিতাম।’
পরবর্তীতে তাদের কথার জবাবে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল-তুমি বল, আমি আপনাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমনও বলি না যে, আমি ফেরেস্তা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।’(৬:৫০)
যাহোক আবু লাহাব (আগুনের পিতা) ক্রুদ্ধ হয়ে বলে উঠলেন, ‘মুহম্মদ! ধৃষ্টতা পরিহার কর। তোমার পূজনীয় পিতৃব্য ও খুল্লাতাত ভ্রাতৃগণ এখানে উপস্থিত আছেন, তাদের সম্মুখে বাতুলতা কোরও না। তুমি কুলাঙ্গার। তোমার আত্মীয়দের উচিৎ তোমাকে কয়েদ করে রাখা।’
তিনি সোরগোল পাকিয়ে তুললেন। তার এহেন ব্যাবহারে মুহম্মদ মর্মাহত হলেন। এমনিতে তিনি এবং তার স্ত্রী ইসলামের ও মুহম্মদের চরম বিদ্বেষী ছিলেন।
এসময় আলী সম্মুখে এগিয়ে এসে উচ্চকন্ঠে ঘোষণা করলেন, ‘হে রসূলুল্লাহ! আমি আপনার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত আছি। আল্লাহর কসম, আজ হতে আমি আমার জীবন আপনার সেবায় নিয়োজিত করলাম।’
কিন্তু কুরাইশরা তার আহবানের প্রতি ব্যঙ্গোক্তি করল, তরুন আলীর উদ্দীপনাকে হেসে উড়িয়ে দিল। উপহাস ও তামাসার মহড়া করতে করতে তারা স্থানত্যাগ করল।
কয়েকদিন পর কুরাইশ সর্দার আখনাস ইবনে শরীকের সাথে পথে আবু জেহেলের দেখা হল। আখনাস তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ সম্পর্কে তোমার ধারণা কি আমাকে সত্য করে বল? তাকে সত্যবাদী মনে কর না মিথ্যেবাদী?’
তখন আবু জেহেল উপরের মন্তব্য করেছিলেন।
তার কথা শুনে আখনাস তাকে বলেছিলেন, ‘তবে কেন তোমরা তার বিরোধিতা করছ?
উত্তরে আবু জেহেল বললেন, ‘’ব্যাপার এই যে, কুরাইশ গোত্রের এক শাখা বনি কোসাইয়ে এসব গৌরব ও মহত্ত্বের সমাবেশ ঘটবে, অবশিষ্ট কুরাইশরা রিক্তহস্ত থেকে যাবে- আমরা তা কিরূপে সহ্য করতে পারি? পতাকা তাদের হাতে, হাজীদের পানি পান করানোর গৌরবময় কাজটি তাদের দখলে, কা’বার প্রহরা ও চাবি তাদের করায়ত্ত। এখন নব্যুয়তও তাদের হাতে ছেড়ে দিলে আমাদের আর কি রইল?
–তাই আমরা কোনদিনই তাদের অনুসরণ করব না, যে পর্যন্ত না আমাদের কাছেও তাদের অনুরূপ ওহী আসে।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল- যখন তাদের কাছে কোন আয়াত পেঁছে, তখন বলে, ‘আমরা কখনই মানব না যে পর্যন্ত না আমরাও তা প্রদত্ত হই, যা আল্লাহর রসূলগণ প্রদত্ত হয়েছেন। আল্লাহ এ বিষয়ে সুপরিজ্ঞাত যে, কোথায় স্বীয় পয়গাম প্রেরণ করতে হবে।(৬:১২৪)
3. আবু জেহেল মুহম্মদকে বললেন, ‘তুমি মিথ্যাবাদী এরূপ কোন ধারণা আমরা পোষণ করি না। তবে আমরা ঐ গ্রন্থকে অসত্য মনে করি যা তুমি প্রাপ্ত হয়েছ।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে এই আয়াতসমূহ নাযিল হয়েছিল-আমার জানা আছে যে, তাদের উক্তি তোমাকে দুঃখিত করে। অতএব তারা তোমাকে মিথ্যে প্রতিপন্ন করে না, বরং জালেমরা আল্লাহর নিদর্শণাবলীকে অস্বীকার করে। তোমার পূর্ববর্তী অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তারা এতে সবর করেছে। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছা পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছে। আল্লাহর বাণী কেউ পরিবর্তণ করতে পারে না। তোমার কাছে পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে।(৬:৩৩-৩৪)
এখন আমরা ঘটনার পটভূমিতে যাই।
কিছু কিছু কুরাইশ নেতা মুহম্মদ সম্পর্কে সম্যক জানা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছিলেন। এদেরই একজন ওলীদ ইবনে মুগীরা। ‘রায়হানা কুরাইশ’ নামে খ্যাত এই ব্যক্তি ছিলেন অগাধ বিত্তশালী। তার ফসলের ক্ষেত ও বাগ-বাগিচা মক্কা থেকে তায়েফ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তিনি একদিন মুহম্মদের কোরআন পাঠশুনে, মুহম্মদ ও কোরআন সম্পর্কে বলে বেড়াতে লাগলেন, ‘এ তো লোক পরস্পরায় প্রাপ্ত জাদু বৈ নয়, এ তো মানুষের উক্তি বৈ নয়।’
তার সম্পর্কে কোরআনের এই আয়াত নাযিল হল- তোমার পালনকর্তা সম্যক জানেন কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যূত হয়েছে এবং তিনি জানেন যারা সৎ পথপ্রাপ্ত। অতএব, তুমি মিথ্যারোপকারীদের আনুগত্য করবে না। তারা চায় যদি তুমি নমনীয় হও, তবে তারাও নমনীয় হবে। যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, তুমি তার আনুগত্য করবে না। যে পশ্চাতে নিন্দা করে একের কথা অপরের কাছে লাগিয়ে ফেরে, যে ভাল কাজে বাঁধা দেয়- সে সীমালংঘন করে, সে পাপিষ্ঠ, কঠোর স্বভাব, তদুপরি কূখ্যাত; এ কারণে যে সে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতির অধিকারী। তার কাছে আমার আয়াত পাঠ করা হলে সে বলে, ‘সেকালের উপকথা।’ আমি তার নাসিকা দাগিয়ে দেব।(৬৮:৭-১৬)
যাকে আমি অনন্য করে সৃষ্টি করেছি, তাকে আমার হাতে ছেড়ে দাও। আমি তাকে বিপুল ধন-সম্পদ দিয়েছি এবং সদা সঙ্গী পুত্রবর্গ দিয়েছি এবং তাকে খুব সচ্ছলতা দিয়েছি। এরপরও সে আশা করে যে, আমি তাকে আরও বেশী দেই। কখনই নয়। সে আমার নিদর্শণসমূহের বিরুদ্ধাচারণকারী। আমি সত্ত্বরই তাকে শাস্তির পাহাড়ে আরোহণ করাব। সে চিন্তা করেছে এবং মনস্থির করেছে। ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনস্থির করেছে। আবার ধ্বংস হোক সে, কিরূপে সে মনস্থির করেছে! সে আবার দৃষ্টিপাত করেছে। অতঃপর সে ভ্র“কুঞ্চিত করেছে ও মুখ বিকৃত করেছে, অতঃপর পৃষ্ঠ প্রদর্শণ করেছে ও অহঙ্কার করেছে। এরপর বলেছে, এ তো লোক পরস্পরায় প্রাপ্ত জাদু বৈ নয়, এ তো মানুষের উক্তি বৈ নয়।’
আমি তাকে দাখিল করব অগ্নিতে। তুমি কি জান অগ্নি কি? এটা অক্ষত রাখবে না এবং ছাড়বেও না, মানুষকে দগ্ধ করবে। এর উপর নিয়োজিত রয়েছে উনিশ জন ফেরেস্তা।(৭৪:১১-৩০)
আবু জেহেল যখন কোরআনের এই আয়াত শুনলেন যে, জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক উনিশজন ফেরেস্তা, তখন তিনি কুরাইশ যুবকদের সম্বোধন করে বললেন, ‘মুহম্মদের সহচর তো মাত্র উনিশজন। অতএব, তার সম্পর্কে তোমাদের চিন্তা করার দরকার নেই।’
আর জনৈক কুরাইশ বলে উঠল, ‘হে কুরাইশ গোত্র! কোন চিন্তা নেই। এই উনিশ জনের জন্যে আমি একাই যথেষ্ট, আমি আমার ডান বাহু দ্বারা দশজনকে এবং বাম বাহু দ্বারা নয়জনকে দূর করে দিয়ে উনিশের কিচ্ছা চুকিয়ে দেব।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হল- আমি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেস্তাই রেখেছি। আমি অবিশ্বাসীদের পরীক্ষা করার জন্যেই এ সংখ্যা করেছি- যাতে কিতাবীরা দৃঢ় বিশ্বাসী হয়, মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবীরা ও মুমিনরা সন্দেহ পোষণ না করে এবং যাতে যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা এবং অবিশ্বাসীরা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছেন? এমনিভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছে সৎপথে চালান। তোমার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। এটা তো মানুষের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।(৭৪: ৩১)
কিছুদিন পর মুহম্মদের সাথে আবু জেহেলের দেখা হল। মুহম্মদ তাকে কেন তিনি কোরআন ও তার বিরোধিতায় নেমেছেন জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তখন ঐ উক্তি করেছিলেন।
মুহম্মদ তার উক্তিতে দু:খ পেলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াতসমূহ নাযিল হয়েছিল-আমার জানা আছে যে, তাদের উক্তি তোমাকে দুঃখিত করে। অতএব তারা তোমাকে মিথ্যে প্রতিপন্ন করে না, বরং জালেমরা আল্লাহর নিদর্শণাবলীকে অস্বীকার করে। তোমার পূর্ববর্তী অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তারা এতে সবর করেছে। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছা পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছে। আল্লাহর বাণী কেউ পরিবর্তণ করতে পারে না। তোমার কাছে পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে।(৬:৩৩-৩৪)
4. আবু সুফিয়ান বললেন, ‘তিনি গবীর-দুঃখীকে সাহায্য করতে, সত্য ও শূচিতার অনুশীলন করতে, ব্যভিচার, পাপ ও মানুষকে ঘৃণা করা থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
তার শিষ্য সংখ্যা বাড়ছে কিংবা কমছে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তর এল, ‘তার শিষ্য সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং তার একজন শিষ্যও তাকে পরিত্যাগ করেনি।’
এখন আমরা পটভূমিতে যাই।
মুহম্মদ গ্রীকসম্রাট হেরাক্লিয়াসকে একটি পত্র দিয়েছিলেন।দূত দেহইয়া ইবনে খলফের মাধ্যমে প্রেরিত পত্রটি ছিল এরূপঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানুর রহিম –
আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল মুহম্মদের পক্ষ হতে রোমের প্রধান পুরুষ হেরাক্লিয়াস সমীপে-
সত্যের অনুসরণকারীদের প্রতি সালাম। অতঃপর আমি আপনাকে ইসলামের দিকে আহবান করছি। ইসলাম কবুল করুন, আপনার কল্যাণ হবে। ইসলাম গ্রহণ করলে আল্লাহ আপনাকে দ্বিগুণ পুরস্কৃত করবেন। অন্যথায় প্রজা সাধারণের পাপের জন্যে আপনি দায়ী হবেন।’
বল, ‘হে গ্রন্থধারীরা! এস, আমরা ও তোমরা এক যোগে সেই সাধারণ সত্যকে অবলম্বন করি; আমরা কেউই আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে পূজা করব না এবং আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করব না বা নিজেদের মধ্যে হতে কাউকেও আল্লাহর আসনে বসাব না।’ কিন্তু যদি তারা এ কথা না মানে তবে বলে দাও যে, আমরা মুসলমান; তোমরা এ কথার স্বাক্ষী থেক।’ (৩:৬৩)
(মোহর): মুহম্মদ-রসূল-আল্লাহ
সিরিয়া ত্যাগের পূর্বে হেরাক্লিয়াস পত্র প্রেরক ব্যক্তির সম্পর্কে জানার জন্যে সচেষ্ট হলেন। এই উদ্দেশ্য তিনি আরব থেকে আগত গাজাতে উপস্থিত কাফেলার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠালেন। তাদের মধ্যে ছিলেন আবু সুফিয়ান, যিনি তখনও ছিলেন ইসলামের চরমতম দুশমন।
হেরাক্লিয়াস তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘কি মতবাদ মুহম্মদ উপস্থাপিত করছে?’
তখন আবু সুফিয়ান ঐ মন্তব্য করেছিলেন।
5. আবিসিনিয়ার সম্রাট নাজ্জাসী আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলিমদের কাছে প্রশ্ন রাখলেন, ‘এই ধর্মটি কি, যার জন্যে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী ধর্ম ত্যাগ করেছ এবং আমার ধর্ম কিংবা অন্য কোন জাতির ধর্ম গ্রহণ করনি?’
আবু তালিবপুত্র, আলীর ভ্রাতা জাফর তাদের মুখপাত্র হিসেবে জবাব দিলেন-
হে রাজন!
আমরা মুর্খতা ও বর্বরতার মধ্যে নিমগ্ন ছিলাম, আমরা মূর্ত্তিপূজা করতাম, ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলাম, আমরা মৃত প্রাণীর মাংস খেতাম, আমরা অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করতাম; আমরা মনুষ্যত্বের প্রত্যেকটি অনুভূতি, অতিথি ও প্রতিবেশীদের প্রতি দায়িত্ব একেবারে জলাঞ্জলি দিয়েছিলাম, আমরা ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির বাইরে কোন আইন জানতাম না।
–এসময়ে আমাদের মধ্যে আল্লাহ এমন একজন মানুষ পাঠালেন যার জন্ম, সত্যবাদিতা, সততা ও বিশুদ্ধতা সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম; যিনি আল্লাহর একত্বের দিকে আমাদের আহবান জানালেন এবং তাঁর সঙ্গে কোন বস্তুর শরিক স্থাপন না করতে শিক্ষা দিলেন;
সত্যকথা বলতে, বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে, দয়ালু হতে এবং প্রতিবেশীর অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে নির্দেশ দিলেন;
নারী জাতির বিরুদ্ধে দুর্ণাম না রটাতে, এতিমের ধন আত্মসাৎ না করতে তিনি আদেশ দিলেন;
তিনি পাপসমূহ ও অনিষ্ট থেকে দূরে থাকবার জন্যে নামাজ কায়েম করতে, জাকাত দিতে ও রোজা রাখতে আমাদের আদেশ দিয়েছেন।
–আমরা তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছি এবং এক আল্লাহর এবাদত ও কোন কিছুর সঙ্গে তাঁর শরিক স্থাপন না করার নির্দেশ মেনে নিয়েছি।
6. কুরাইশ নেতা হারেস ইবনে ওসমান তার ইসলাম গ্রহণ না করার এক কারণ বর্ণনা করলেন। মুহম্মদ তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তিনি বললেন, ‘আপনার শিক্ষাকে সত্য মনেকরি, কিন্তু আমাদের আশঙ্কা এই যে, আপনার পথনির্দেশ মেনে আমরা আপনার সাথে একাত্ম হয়ে গেলে সমগ্র আরব আমাদের শত্র“ হয়ে যাবে এবং আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে উৎখাত করে দেয়া হবে।’
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াতসমূহ নাযিল হয়েছিল-তারা বলে, ‘যদি আমরা আপনার সাথে সুপথে আসি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব।’ আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করিনি? এখানে সর্বপ্রকার ফলমূল আমদানি হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।(২৮:৫৮)
তারা কি দেখে না যে, আমি একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থান করেছি। অথচ এর চতুর্পার্শ্বে যারা আছে তাদের উপর আক্রমণ করা হয়। তবে কি তারা মিথ্যায়ই বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর নেয়ামত অস্বীকার করবে?(২৯:৬৭)
এভাবে অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যাবে উপরের ঐ তিনটি পয়েন্টের সমর্থনে।
@mkfaruk,
“রেফারেন্স” কোথায়?
একটু “দম” নেন। Rubbish!
@গোলাপ,
“
আমিও একই কথা আপনাকেও বলছি -মুহম্মদ কখন কাকে অকারণে আক্রমণ করেছেন এই দাবীর স্বপক্ষে প্রমাণ দরকার নেই, কাহিনীই হাযির করেন। তারপরই সে সম্পর্কে কথা বলব।
@গোলাপ,
আপনিও দেখি হাস্যকর সব প্রশ্ন নিয়ে আসছেন। বাংলা ভাষায় লেখা এর পরও বাক্যের অর্থ ধরতে পারছেন না?
কুরাইশ প্রধানের এই কথার পর দুনিয়ার সমস্ত যুক্তি অচল। এটা এখনও বুঝতে না পারলে যে কোন একজন বার এট ল এর কাছ থেকে জেনে নিন।
@mkfaruk,
এ বিষয়টি কোথায় বলা আছে? আপনার এ দাবীর ভিত্তি কি? নাকি আপনি সে সময় আবু সুফিয়ানের সাথে ছিলেন? সহজ প্রশ্ন , আশা করি সহজভাবে উত্তর দিবেন। বলবেন না এ ঘটনা সবাই জানে। না ভাই , আমরা এ ঘটনা জানি না। আপনার কাছে জানতে চাই।
@ভবঘুরে,
ভবঘুরের আর্টিকেলে আমি বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়েছি। আপনার বিষয়টি পরিস্কার করে পাঠকদের জানাতে ঐ রকম একটা গল্প তৈরী করে নিয়ে আসেন। তারপর আমরা রেফারেন্সের বিষয়ে আসব। আপনার পড়াশোনার দৌড়টা আগে আমরা জানি। কি বলেন?
@mkfaruk,
অবশ্যই! প্রমাণ ছাড়া বানিয়ে বানিয়ে মনের মাধুরী মিশেয়ে রেফারেন্স বিহীন “গল্প” যে কোন বিতর্কেই “Rubbish” বলে গণ্য। দেখুন এই লেখায় আমার এই “Golap এর জবাব: অক্টোবর ২৩rd, ২০১০ at ২:১৭ অপরাহ্ণ” এবং এই লিখায় আমার এই, “গোলাপ এর জবাব: নভেম্বর ১৬th, ২০১০ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ” মন্তব্যে। একটু কষ্ট করে পড়ে নেবেন। এবং মুক্তমনা পাঠকদের আপনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাধিত করবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মুক্তমনা পাঠকদের বিনোদিত করার জন্য। আপনি “হামদ ও নাআাত” শুনচ্ছেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে চক্রাকর যুক্তি (মুহাম্মদ-আল্লাহ=আল্লাহ-মুহাম্মদ) ছাড়া কোন “রেফারেন্স” দিতে পারছেন না । হাদিসে “তেমন” বিশ্বাস করেন না কিন্তু সে হাদিস থেকেই ‘চোতা” মারতেছেন। কুরানকে “অকৃত্রিম” বিশ্বাস করেন কিন্তু সেই কুরানই যখন মুহাম্মদের “মিথ্যাচার, উন্মাদ, জালিয়াত (52:33-forged Quran) ও বিকারগ্রস্ত (যাদু-গ্রস্ত)” এর স্পষ্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে তখন আবার আরেকটা “গল্প” ফেঁদে “অসার যুক্তি” দিচ্ছেন।
ভাইজান, আপনারা সাধারণ মুসলমানদে “সরল বিশ্বাস ও কুরান-সিরাত-হাদিসের অজ্ঞানতাকে” পুঁজি করে যুগে যুগে কি পরিমাণ “মিথ্যাচার” করে চলেছেন তা যে কোন সুস্থ-বুদ্ধির বিবেকবান মানুষ “আদি -উৎস” গিয়ে নির্মোহ মানসিকতা নিয়ে একটু পড়াশুনা করলেই জানতে পারবেন। মুক্তমনায় অনেক উচ্চ-শিক্ষিত জ্ঞানী লেখক, পাঠক, সমালোচক আছেন যারা নি:স্বার্থভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে “মুহাম্মদ” এবং তার আবিষ্কৃত “ইসলামের” আসল রূপ সাধারণ মুসলমানদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন। আজ মুসলমানেরা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে-তথ্য-প্রযুক্তিতে পৃথিবীর সর্বনিম্ন। আজ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর” – জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ তার সুফল ভোগ করে চলেছে। বর্তমান পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ মানুষ “মুসলমান”- প্রায় ১২৬ কোটি। অথচ এই বিপুল জন-গুষ্টির অবদান “বর্তমান” বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে “শূন্য, শূন্য, শূন্য”। এটা অত্যন্ত লজ্জাকর! বিশ্বের অন্যান্য জাতির মানুষরা খুব ভালভাবেই জানেন এ সত্যটি।
যে কোন বিতর্কে “রেফারেন্স” অত্যাবশ্যক। পাঠকরা ইতিমধ্যেই জেনে গেছে যে আপনার ইসলাম জ্ঞান “বটতলীয় ধর্ম-জ্ঞান”। যে কোন ওয়াজ-মাহফিলে, TV বক্তৃতা, ইসলামী “সিডি” তে “এসমস্ত লেকচার” সাধারণ মুসলমানেরা জন্মের পর থেকেই শুনে আসছেন। আপনার মন্তব্য মুক্তমনার জন্য যদিও অনুপযোগী, তবুও আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার সুবাদে পাঠকরা “মুহাম্মদের” প্রকৃত ইতিহাস আরও বেশী জানতে পারছেন।
আমার মনে হয় না আমাদের এ আলোচনাকে আরও দীর্ঘায়ত করার প্রয়োজন আছে। আমি এখানেই এ আলোচনার ইতি টানছি। ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
প্রযুক্তির কতটুকু জ্ঞান আছে আপনার? এ শব্দ কি আপনি ব্যবহার করতে পারেন? আপনার প্রযুক্তিতে কি সর্বোচ্চ ডিগ্রী আছে? না থাকলে থেমে যান। এ শব্দ আমি ব্যবহার করলে মানাবে।
@গোলাপ,
আপনার আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণে আমাকে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে ভিন্ন এঙ্গেল বেঁছে নিতে হল। যা আমি এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম সবসময়।সত্য সব সময়ই সত্য।যাহোক এখন প্রসঙ্গে আসি-
আপনার মন্তব্য সকল থেকে আপনার জানার পরিধি কি তা পাঠকদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস। আর বিষয়টি সম্পর্কে শুধু মোটামুটি না, বেশ ভালভাবেই জানেন এটা আমার বোঝার জন্যে আপনার জ্ঞানের স্বীকৃতি দরকার। আর জ্ঞানের স্বীকৃতি দেয় শিক্ষাবোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর ফলাফলের শ্রেণী আপনার জ্ঞানের পরিধি জানাবে। আপনার পিএইচডি গুলোর বিষয়গুলি এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নাম জানাতে ভুলবেন না।
@গোলাপ,
নিজেকে পন্ডিত মনে করলে এখানে আর্টিকেল লিখতাম। আমার কোন আর্টিকেল এই সাইটে নেই। আমি কেবল আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত দিকটা দেখাতে চেষ্টা করেছি। উদাহরণ দিতে হবে?
পানিতে অর্ধেক ডোবানো একটা সোজা লাঠি বাঁকা দেখা যায়। আপনারা লাঠিটিকে বাঁকা বলাতে আমি কেবল লাঠিটা পানির উপর তুলে দেখিয়েছি।