ধর্মের ইতিহাসে সর্বাধিক বিতর্কিত ধর্মীয় বাণী সম্ভবত আল কোরআন এর সুরা নিশা-র তৃতীয় আয়াত । “… বিবাহ করবে স্বাধীনা রমণী দের মধ্যে যাকে তোমার ভাল লাগে ,দুই তিন অথবা চার।” ছোটবেলা থেকে অনেকগুলো কোরআন পরেছি । প্রায় প্রতি টি ব্যাখ্যাকার এর ব্যাখ্যায় দেখেছি বলা হয়েছে যে , এই আয়াতটির দ্বারা প্রাক ইসলামী যুগের অসংখ্য বিবাহের রীতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে বিবাহের সংখ্যা চার টির মধ্যে সীমিত করে দেওয়া হয়েছে কোরআনে । যদিও এই কথার অসত্যতা নিয়ে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই । কিন্তু আজ আমার অলোচনার বিষয় অন্য । প্রথম প্রথম কোরআন পড়তাম খুব ভক্তি ভরে । পরে দর্শন নিয়ে অনার্স পরতে গিয়ে বুঝলাম , দর্শনে আধুনিক যুগের সূত্রপাত হয়েছে সংশয় থেকে । সত্যে পৌঁছানোর উপায় হিসাবে সংশয় অপরিহার্য । তাই আমিও ধর্মগ্রন্থ পড়ার সময় সংশয়বাদী হয়ে পড়লাম । প্রথম প্রথম মনে প্রশ্ন আসতো , আল্লাহ যদি কোরআনে চার টি পর্যন্ত বিবাহের কথাই বলে থাকেন , তবে নবী কেন নিজে সেটা মানেন নি ? কেন নিজে ১০ এর অধিক বিবাহ করলেন ? বহু দিন কাউ কে প্রশ্ন টা করতে পারি নি , আজ থেকে বছর ৬ আগে একদিন আব্বু কে প্রশ্ন টা করেই ফেললাম । আব্বু উত্তরে বলেছিল ,নবী রসুল তো আর সাধারণ মুসলমান নন , তিনি আল্লাহ-র বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত । আল্লাহ ইসলাম প্রচারের মহৎ দায়িত্ব প্রদানের সাথে সাথে তাকে কিছু বিশেষ সুবিধাও দিয়েছিলেন ,যার মধ্যে এটাও একটা । আমি পাল্টা জবাব দিয়েছিলাম , তাহলে তো নবীর জীবনী মুসলিম দের অনুসরণ করা উচিত নয় — কেন না তিনি তো বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত ! আব্বু কোনও উত্তর না দিয়ে খুব বকাঝকা করেছিলেন মনে আছে ।
সে যাই হোক , এখন আমার মনে যে প্রশ্ন টি আসে , তা হল , কোরআন নিশ্চয়ই আল্লাহ-র বাণী নয় । কেন না , কোরআন যদি আল্লাহ-র বাণী হতো তাহলে কি নবী সেটা না মেনে পারতেন ? নিশ্চয়ই না । কিন্তু তিনি তা করেছেন , অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশ তিনি মানেন নি । এ থেকেই বোঝা যায় ,যে নবী কোরআন কে কত টা গুরুত্ব দিতেন । অবশ্য তার প্রিয়তমা পত্নী আয়েশা ও জানতেন কোরআনের মর্ম । এই বিষয়ে তিনি সূক্ষ্ম ব্যঙ্গোক্তিও করেছেন।
ইসলামী ব্যাখ্যাকার রা কিভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে সত্য গোপন করে , মিথ্যা প্রকাশ করে আমাদের পথভ্রষ্ট করছেন । ইসলামের মাহাত্ম্য প্রচার করতে গিয়ে তারা এতটা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন ,যে আমরা মনে করছি ইসলাম সত্যিই স্রস্টার মনোনীত ধর্ম । আমরা ওই বড় বড় সম্মানিত মুখ গুলোর আড়ালের মানুষ কে চিনতে পারছি না । সনাক্ত করতে পারছি না তাদের তাদের সব জেনেশুনে করা মিথ্যাচার কে । আজ তাই এরকম একটি মিথ্যা কথনের মুখোশ খোলার জন্য আমা এই লেখা । আমি এই লেখা শুরু করতে চাই এরকমই একজন খ্যাতনামা বাঙালি ইসলাম প্রচারক এর একটি নবী জীবনী র একটি অংশ তুলে ধরে ।
মহানবী হজরত মহম্মদের বিবাহ সম্পর্কে বহু ইসলামী ব্যাখ্যাকার রা বলে থাকেন , মহানবী যখন এত গুলো বিবাহ করেছিলেন তখন কোরআনে বিবাহ ও বিবাহের সংখ্যা সম্পর্কিত কোনও আয়াত নাযিল হয়নি । তাই নবীর ৪ এর অধিক বিবাহ ইসলাম ও কোরআনের বিরোধী বা গোনাহ রূপে গণ্য হতে পারে না । এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান , পি এইচ ডি , ডি লিট ইত্যাদি ডিগ্রী ধারী জনাব ডঃ ওসমান গনী সাহেব তার ‘মহানবী’ নামক হজরত মহম্মদের জীবনী গ্রন্থে লিখেছেন—“ ৫১ বছর বয়স পর্যন্ত হজরতের মাত্র একজন স্ত্রী ছিলেন । পরবর্তী ৭ বছরে তিনি বাকি সকল কে বিবাহ করেন । এই বিবাহ গুলো সম্পন্ন হয় শুধু মাত্র ইসলাম প্রচারের সহায়ক হিসাবে । অষ্টম হিজরি তে , যখন তার বয়স ৬০ তখন বিবাহ সম্পর্কে আল্লাহ-র নির্দেশ এলো ।’’ এবং এই নির্দেশ টি হল কোরআনের ৪; ৩ । এবং কোরআন তাকেও নির্দেশ দিয়ে দিল , “ এরপর তোমার জন্য কোনও নারী বৈধ নয় । যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে মোহিত করে । তবে তোমার অধিকার ভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য নয় । {৩৩;৫২}” বিষয় টি কে আর একটু পরিষ্কার করতে গিয়ে গনি সাহেব আরও বলেন , “ হজরত যে সময় পর্যন্ত এত গুলো বিবাহ করেছিলেন{৬০ বছর পর্যন্ত , অষ্টম হিজরি } সেই সময় পর্যন্ত বিবাহের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও নীতি কোরআন কর্তৃক নির্ধারিত হয়নি । সুতরাং , ততদিন পর্যন্ত সকলে যা খুশি তাই করেছে । যখনই কোরআন বিবাহের সংখ্যা নির্ধারিত করে দিল , তখন থেকেই হজরত স্বয়ং তার বিবাহ সম্পর্কে কোনও পরিবর্ধন তো দুরের কথা , পরিবর্তন ও করেন নি ।” {মহানবী ৪১৮-৪১৯ পৃষ্ঠা}
এই ধরনের ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যায় সাধারণ মানুষ সন্দেহ করে না । কিছুটা এই ধরনের ব্যক্তির পদমর্যাদা ও সামাজিক উচ্চ অবস্থানের জন্য ও কিছু টা ইসলাম কোরআন ও নবীর প্রতি অন্ধ ভক্তির কারণে । কিন্তু ব্যাখ্যা টি প্রকৃতপক্ষে চূড়ান্ত মিথ্যাচারের নিদর্শন । নবীর কোরআন লঙ্ঘন করার বিষয় টি কে আড়াল করার জন্য দেওয়া এই ব্যাখ্যা আসলে পচা পাউরুটি তে মাখন লাগিয়ে বিক্রি করা । আমার এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য দুই টি—
১) দেখানো যে নবী নিজেও কোরআনের নির্দেশ পালন করতেন না।
২) দেখানো যে এই সব ব্যাখ্যাকার রা কিভাবে ইসলাম কোরআন ও নবী কে নির্দোষ ও মহান প্রতিপন্ন করতে কিভাবে প্রতিনিয়ত মিথ্যা প্রচার করছেন ।
আর তা করতে গেলে আমাদের শুধু বিশ্বাসের উপর আস্থা না রেখে তথ্য গুলিকে ঠিক ঠাক কাল পরম্পরায় সাজাতে হবে । তাহলে শুরু করা যাক—
ডঃ ওসমান গনী সাহেবের মিথ্যা খুব সহজেই ধরা পরে যায়। ওসমান গনী বলছেন যে ওই আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল অষ্টম হিজরি তে । কিন্তু সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (রহঃ) এর তরজমা এ কুরআন মাজিদ অবলম্বনে সম্পাদিত ইসলামী প্রকাশনী ট্রাস্ট এর পবিত্র কুরআন বই তে সুরা নিসা(৪) অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে বলা হয়েছে , “ তৃতীয় হিজরি সনের শেষ ভাগ হতে শুরু করে চতুর্থ হিজরি –র শেষ কিম্বা পঞ্চম হিজরির প্রথম ভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রচিত হয়েছে ।’’ আরও নির্দিষ্ট করে যদি সুরা নিসার ৩ নং আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় নির্ণয় করা যায় , তাহলে দেখা যাবে টা ওহোদের যুদ্ধের ঠিক পরেই রচিত । অর্থাৎ তৃতীয় হিজরি সনের রমযান মাসের ঠিক পরেই । কেন না , অনাথ দের সমস্যা নাকি তখনই হয়েছিল । সৈয়দ আব্দুল হালিম এর ‘ইসলাম ও তার রুপায়ন’ নামক গ্রন্থেও আমরা এই কথার সমর্থন পাই । এখন প্রশ্ন, এই আয়াত যখন অবতীর্ণ হয়েছিল , তখন অর্থাৎ হিজরি ৩ এর রমযান মাসের ঠিক পরে নবীর বৈবাহিক স্থিতি ঠিক কি ছিল ?
এর উত্তর জানতে গেলে শুরু থেকে শুরু করা প্রয়োজন । আমরা জানি মহম্মদের জন্ম ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে । তিনি যখন ২৫ বছরের যুবক ,তখন তিনি প্রচুর সম্পত্তির মালিক খাদিজা নামক এক ৪০ বছর বয়স্কা মহিলা কে বিবাহ করেন (৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) । খাদিজার যৌবনে তখন ভাঁটার টান । তাই এই বৈবাহিক সম্পর্কে তিনি খুব একটা সন্তুষ্টি পান নি । তবু খাদিজার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর বিবাহ করেন নি । এই ঘটনা কে যতই নবীর সংযমের দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখানো হোক না কেন , আসল কারণ ছিল প্রয়োজন । অর্থাৎ প্রথমত , শূন্য মহম্মদ খাদিজার মত প্রবল ব্যক্তিত্বময়ী নারী র আশ্রয়ে ছিলেন । দ্বিতীয়ত , খাদিজার বিপুল সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতে হতো যদি তিনি খাদিজা কে তালাক দিতেন । কিন্তু খাদিজা মারা যাওয়ার পর তিনি আস্তে আস্তে নিজের মুখোশ করতে শুরু করলেন ।
খাদিজা মারা যাওয়ার(৬২০ খ্রিষ্টাব্দে) পর পরই তিনি বিবাহ করলেন ৫০ এর অধিক বয়সী সউদা কে( ৬২১) । অজুহাত ছিল খাদিজার রেখে যাওয়া সন্তান দের দেখাশুনা । কিন্তু সউদা কে বিবাহ করার কারণ যে শুধুই তাই , তা কিন্তু নয় । (কেননা , পরবর্তী কালে আমরা দেখতে পাই তালাক থেকে বাঁচতে তার নিজের পালার রাত টি ও তিনি নবীর প্রিয়তমা আয়েশা কে দিয়ে দেন কাঁদতে কাঁদতে । ) শারীরিক কারণ ও ছিল অবশ্যম্ভাবী রূপেই । কিন্তু সেই শারীরিক সুখ তিনি সউদার কাছ থেকে পান নি । তাই তিনি আরও একটি বিবাহের কথা ভাবছিলেন । তিনি তার ভুল শুধরাতে চাইলেন একটি কুমারী মেয়ে কে বিবাহ করে । (প্রৌঢ় লোকেদের অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোট মেয়েদের প্রতি যৌন আকর্ষণ অনুভব করতে। মহম্মদের এই অবচেতন মনের আকর্ষণ তার স্বপ্নে প্রকাশিত হয় ।…আয়েশা হতে বর্ণিত- আল্লাহ-র নবী বললেন, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি তোমাকে স্বপ্নে তোমাকে দুইবার দেখেছি। এক ফেরেস্তা সিল্কে মোড়ানো একটা বস্তু এনে আমাকে বলল- এটা খুলুন অগ্রহন করুন, এটা আপনার জন্য । আমি মনে মনে বললাম- যদি এটা আল্লাহ-র ইচ্ছা হয় , এটা অবশ্যই ঘটবে । তখন আমি সিল্কের আবরণ উন্মোচন করলাম ও তোমাকে তার ভিতর দেখলাম । আমি আবার বললাম, এটা আল্লাহ-র ইচ্ছা হয় , এটা অবশ্যই ঘটবে । সহীহ বুখারী, ভলুম-০৯ , বই ৮৭ , হাদিস নং- ১৪০ ।) কিন্তু হাতের কাছে তো আর কেউ ছিল না তার প্রাণের বন্ধু আবুবকরের ৬ বছরের কন্যা আয়েশা ছাড়া । তাই তিনি আবুবকর কে প্রস্তাব দিলেন । আবুবকর চমকে উঠেছিলেন । কিন্তু হয় তিনি বন্ধুর অনুরোধ ঠেলতে পারেন নি , নয়তো কাল্পনিক আল্লাহ-র আদেশের সামনে মাথা নিচু করেছিলেন । আয়েশার বয়স তখন মাত্র ৬ । এখনকার হিসাবে ক্লাস ওয়ান স্ট্যান্ডার্ড এর ছাত্রী । আর ওই বয়স বিবাহ বা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে নিতান্তই অনুপযুক্ত । সুতরাং উপযুক্ত করে তলার জন্য মহম্মদ কে কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হতো । তাই তিনি এই সময়ে অপেক্ষা করার মনস্থির করলেন । কিন্তু দ্বিতীয় হিজরি তে বদরের যুদ্ধে ওমরের কন্যা হাফসা (যার বয়স তখন ১৮ থেকে২২ এর মধ্যে )-এর পতি মারা গেলে তিনি আবুবকর ও ওসমান কে প্রস্তাব দিলেন হাফসা কে বিবাহের জন্য । কিন্তু তারা বিবাহ করতে না চাইলে মহম্মদের হাতে চলে আসে সুবর্ণ সুযোগ । তিনি নিজেই বিবাহ করেন হাফসা কে । এটি হিজরি ৩ এর প্রথম দিকের ঘটনা ।
লক্ষণীয় , এখনো পর্যন্ত মহম্মদের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনা হয়নি । কেননা , ১ম পত্নী বিগতা , ২য় পত্নী বিগত যৌবনা এবং প্রথম পত্নীর সন্তানদের প্রতিপালিকা মাতা , তৃতীয় পত্নী নেহাতই শিশু এবং পিতার গৃহেই অবস্থান রতা । এবং ৪র্থ বিবাহের ক্ষেত্রেও তাকে সমালোচনার মুখে পরে হয় নি , কেননা তিনি অন্যদের বলেছিলেন বিবাহ করতে বিধবা হাফসা কে , কিন্তু তারা করেন নি । তাই মহম্মদের এই বিবাহ সমালোচনার মুখে না পরে বরং প্রশংসিত হয়েছিল।
এরপর পঞ্চম বিবাহের সময় তাকে প্রথম সমালোচনার মুখে পরতে হয় । ৩য় হিজরি তে জয়নব বিনতে খোজাইমা-র স্বামী ওহোদের যুদ্ধে মারাত্মক ভাবে জখম হন এবং নিহত হন । এর পর কিন্তু মহম্মদ আর কাউ কে জয়নব বিনতে খোজাইমা কে বিবাহ করার প্রস্তাব না দিয়ে নিজেই বিবাহ করে নিলেন । মুসলিম রা আগেও এইরকম বিবাহ দেখেছিল । কিন্তু জয়নব বিনতে খোজাইমা –র ক্ষেত্রে মেনে নিতে তাদের কষ্ট হচ্ছিল । হওয়াটাই স্বাভাবিক । কেন না , যে ব্যক্তি যুদ্ধে মারা যাবেন , তাদের পত্নী কেই নবী বিবাহ করবেন—এই যুক্তি কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । নবী ও বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি নিন্দিত হচ্ছেন ।
ঠিক এই সময়েই অবতীর্ণ হল সুরা নিসা-র ৩য় আয়াত । এই আয়াত দ্বারা মহম্মদের আল্লাহ (না কি মহম্মদ নিজেই!) মহম্মদ কেও সমালোচনার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন ৪ টি বিবাহের অনুমোদন দিয়ে । অন্যদিকে তিনি বাকি মুসলিমদের ও ৪টি বিবাহ করার অনুমতি দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতে চাইলেন । এতে কিছুটা কাজ তো অবশ্যই হয়েছিল । কিন্তু সমালোচনা থিতিয়ে দিয়েছিল অন্য একটি ঘটনা । কয়েকদিনের মধ্যেই জয়নব বিনতে খোজাইমা-র মৃত্যু হয়। কিন্তু মহম্মদ এখানেই থেমে থাকলেন না ।
জয়নব বিনতে খোজাইমা-র মৃত্যুর পর মহম্মদের জীবিত পত্নীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ এ । সুতরাং আল্লাহ-র নির্দেশ মত তিনি এখনো একটি বিবাহের অধিকারী । সুতরাং , তিনি সুযোগ হাতছাড়া করবেন কেন ? কয়েক মাসের ব্যবধানেই হিজরি ৪ এ বিবাহ করে ফেললেন আরেক জন বিধবা নারী, উম্মে সালমা কে । যার পতি আবু সালমা ওহোদের যুদ্ধে আহত হন এবং এক বছরের মধ্যেই হিজরি ৪ এ মারা যান । যেহেতু আল্লাহ আগেই চার টি পর্যন্ত বিবাহের অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন তাই এবারেও তিনি সমালোচনার মুখে পরলেন না ।
কিন্তু কতদিন ? প্রবল সমালোচনা ও নিন্দা শুরু হল পরের বছর । ৫ম হিজরি সনে, যখন তিনি সম্পর্কে তার বোন এবং অন্যদিকে তার পোষ্যপুত্রের তালাক প্রাপ্তা পূর্ণ যুবতী স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাস কে বিবাহ করলেন , তখন তাকে তার ই অনুগামী দের দ্বারা যে অভূতপূর্ব সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছিল , তা হয়তো অন্য কোনও ভাবে জানার উপায় নেই । কিন্তু সেই নিন্দা ও সমালোচনা থামাতে নবী এবং তার আল্লাহ কে যে কম কসরত করতে হয়নি , তা বোঝা যায় ,কোরআন এর ৩৩ নং সুরা আহ-যাব পরলে । কিন্তু তার আগে সুরা আহ-যাব অবতীর্ণ হওয়ার সময় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া একান্ত আবশ্যক –নয়তো এই লেখা অর্থহীন হয়ে পড়বে –
পূর্বে উক্ত গ্রন্থে সুরা আহ-যাব এর অবতীর্ণ হওয়ার সময়কাল সম্পর্কে বলা হয়েছে , “এই সুরায় তিন টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । প্রথমত , পঞ্চম হিজরির শওয়াল মাসে অনুষ্ঠিত আহ-যাব যুদ্ধ ; দ্বিতীয়ত , পঞ্চম হিজরির জিলক্কাদ মাসে অনুষ্ঠিত বনু কুরাইযার যুদ্ধ ; ও তৃতীয়ত , পঞ্চম হিজরির জিলক্কাদ মাসে অনুষ্ঠিত জয়নবের সাথে নবীর বিবাহ । এই ঐতিহাসিক ঘটনা সমূহের ভিত্তি তে এই সুরা নাযিল হওয়ার সময়কাল (৫ম হিজরি) সঠিক ভাবে নির্ধারিত হয়ে যায় ।”
সুতরাং এই বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই যে সুরা আহ-যাব এর অবতীর্ণ হওয়ার সময়কাল ৫ম হিজরি । এবার আমরা প্রসঙ্গে আসি । এই সুরা টি ভাল করে পরলেই বোঝা যাবে সমালোচনা ও নিন্দা বাদ থেকে মহম্মদ কে বাঁচাতে আল্লাহ-র কি আপ্রাণ চেষ্টা !
প্রথম প্রচেষ্টা :- আয়াত ৪০ –“মহম্মদ তোমাদের পুরুষ দের মধ্যে কারো পিতা নয় । সে আল্লাহ-র প্রেরিত ও বারতা বাহকদের শেষ জন ।” সেই সময় পোষ্যপুত্র ও নিজ পুত্র কে আলাদা করে দেখা হতো না । পুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কে বিবাহের নিন্দা যারা করছিল , তাদের এই আয়াতের দ্বারা বোঝানো হল যে ,তিনি জায়েদের পিতা নন , সুতরাং তার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী এ বিবাহ করতেই পারেন ।
দ্বিতীয় প্রচেষ্টা :- আয়াত ৫০—“ হে নবী ! তোমার জন্য সকল স্ত্রীগন কে বৈধ করেছি ,জাদের তুমি দেনমোহর প্রদান করেছ । এবং বৈধ করেছি তোমার অধিকারভুক্ত দাসিগন কে ,যাদের আমি প্রদান করেছি । এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচাতো , ফুফাতো মামাতো ও খালাতো বোন—জারা তোমার সঙ্গে দেশ ত্যাগ করেছে ।” সেই সময় নিজের নিকটস্থ আত্মীয় দের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা কে ভাল চোখে দেখা হতো না । তাই ফুফাতো বোন জয়নব কে বিবাহ করার নিন্দা যারা করছিল , এই আয়াতের দ্বারা তাদের নির্দেশ দেওয়া হুল যে ,জয়নব মহম্মদের ফুফাতো বোন হলেও , মহম্মদের বিবাহের জন্য বৈধ । যেহেতু আল্লাহ টা অনুমোদন করেছেন ,তাই এই নিয়ে কারো কিছু বলার থাকতে পারে না ।
তৃতীয় প্রচেষ্টা :- এত বলেও যখন সমালোচনা থামানো গেল না , তখন আল্লাহ নবী কে নির্দেশ দিলেন , যা আমাদের আলোচনায় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ । আয়াত ৫২ :- “এরপর তোমার জন্য কোনও নারী বৈধ নয় । তমার স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য স্ত্রীও নয় , যদিও তাদের সৌন্দর্য তমায় মোহিত করে । তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসী দের ব্যাপারে এটা প্রযোজ্য নয় ।” নবী কে নিজ দাসী ছাড়া আর অন্য কাউ কে বিবাহ করতে আল্লাহ নিষেধ করলেন । এবং তা ৮ম হিজরি ( অধিকাংশ ইসলামী ব্যাখ্যাকার দের এবং আমাদের অতি কাছের জনাব ডঃ ওসমান গনী-র মত) -তে নয় ,৫ম হিজরি তে । কিন্তু তা তিনি পালন করেন নি । এর পর ও তিনি একাধিক নারী কে বিবাহ করেছেন ,যারা তার দাসী নয় । সুতরাং , স্পষ্টতই আল্লাহ তথা কোরআনের নির্দেশ তিনি নিজেই মানেন নি ।
সে যাই হোক ,এর পর ও কিন্তু নিন্দা-মন্দ থামেনি । তাই মহম্মদের আল্লাহ নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করতে হুমকি দিতেও পিছ পা হননি । আহ-যাব সুরার ৫৭ , ৬০ ,৬১ নং আয়াত গুলি তে , প্রথমে আল্লাহ-র শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন , তার পর তাদের নগর ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন ,ও তাতেও না থামলে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করেছেন ।
তবে আমার প্রশ্ন হল , যে আল্লাহ ও কোরআন নবী কে বাঁচাতে এত কিছু করলো, সেই আল্লাহ ও কোরআনের নির্দেশ নবী মহম্মদ মানেন নি কেন ? তাহলে কি তিনি জানতেন ,যে কোরআন আল্লাহ-র বাণী নয় ?
এইবার আসি সেইসব নির্লজ্জ ,মিথ্যাবাদী ব্যাখ্যাকার দের প্রসঙ্গে । আমার প্রশ্ন হল আর কতদিন এমন টা চলবে ? কতদিন আমরা সাধারন মানুষ এইসব মিথ্যা কে ‘চক্ষু কর্ণ মুদিয়া’ বিশ্বাস করে যাব ?
আপনার উক্তিগুলু দেখে বুঝাই জাছে যে, আপনি ইসলাম ধরমের ঘুর বিরুধি। ভাল।কিন্তু আপনি ভালভাবে দেখলে দেখবেন যে,হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর অধিক বিবাহক্রিত নারি কিন্তু বিধবা এবং এতিম ছিলেন।তখন কার যুগে, বিধবা এবং এতিমরা চরম অবহেলিত ছিল। আর কুরআনে এও বলা আছে যে, তুমি তখনই একাধিক বিবাহ কর, যখন তুমার পুরববরতি ইস্ত্রিগন বিবাহ করতে অনুমতি প্রদান করবেন এবং এও বলা আছে যে, তুমি তখনই একাধিক বিবাহ করবে যখন তুমি প্রত্তেক ইস্ত্রিকে সমান মরযাদা, সমান ভালবাশা, সমান অধিকার প্রদান করতে পারবে। এবং উনি সকল ইস্ত্রিকে তাদের প্রাপ্প মরযাদা,ভালবাসা,অধিকার দিতে পেরেছিলেন। পারলে এমন কুন রেফারেঞ্চ দেন, যেইখানে তার ইস্ত্রিদের মধে কেও একযন কম্পলেন করেছিলেন যে, তারা বহু বিবাহে অমত ছিলেন এবং তারা তাদের প্রাপ্প মরযাদা,ভালবাসা,অধিকার থেকে বঞ্ছিত হইএছিলেন।
ভাই অামি অাপনার সাথে এক মত
আপনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে
খুব ভাল লাগলো ।
কিন্তু এটা স্বীকার করতেই হবে যে মুহম্মদ নিঃসন্দেহে একজন মেধাবী ছিলেন ।
@সমীর চন্দ্র বর্মা ।, :guru: ছিলেন । কিন্তু বোকা ও কম ছিলেন না । সত্য যে স্বপ্রকাশ । সেই কথা টা তিনি মানতেন না ।
@মহসিনা খাতুন,
আপনি ঠিকই বলেছেন । আমি কিন্তু আপনাকে সেটা বলিনি । আমি বলেছি ওনার শয়তানি করার মেধা যথেষ্ট ছিল । যার কারনে , লাদেন , হিটলার , এরশাদ সিকদার এরা সবাই ধরা খাইলেও মুহাম্মাদ ধরা খাননি । একারনেই ওনাকে আমি মেধাবি বলেছিলাম ।
কিন্তু সত্য তো চাপা থাকে না । তাই আস্তে আস্তে আমাদের হাতে তার কু কীর্তিগুলো ধরা পরছে ।
ভাল থাকবেন । http://blog.mukto-mona.com/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/rose.png
আল্লাহ বলেছে- চারটি পর্যন্ত বিয়ে কর , যদি সবার সাথে সমান সদ্ভাব বজায় রাখতে না পার তবে একটি । এক হাদিসে আছে মোহাম্মদের এক সময় একসাথে ৯ টি স্ত্রী ছিল। অনেকগুলো হাদিস আছে যাতে বলা আছে তাদের মধ্যে তিনি আয়শাকে বেশী ভালবাসতেন ও তার ঘরেই বেশী থাকতে চাইতেন। ওদিকে সাওদাকে বুড়ী হয়ে যাওয়াতে তাকে আর পছন্দ করতেন না ও তাকে তালাক দিতে চেয়েছিলেন। অত:পর তার রাতের পালা আয়শাকে দিয়ে দেয়ায় তালাকের হাত থেকে সাওদা রক্ষা পায়। প্রশ্ন হলো- খোদ নবীই সবার সাথে সমান সদ্ভাব বজায় না রেখেই ৯ টা বউ একসাথে রাখতে পারলে এখন একজন মানুষ নবীর আদর্শ অনুসরণ করে একসাথে ৪ টা বউ রাখতে পারবে না কেন ?
যে যাই বলুক,লেখাটি আমার খুব ভাল লেগেছে।রামগড়ুড়ের ছানাের উদ্দেশ্যে করা মন্তব্যটি আপত্তিকর হলেও লেখক ক্ষমা চেয়েছেন।এর পরে আর বলার কিছু থাকে না।তাছাড়া লেখকের মন্তব্যেই বুঝা যায়,এটি অসতর্কতার কারণে হয়েছে।এটা নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কিছু দেখিনা।
@মহসিনা খাতুন,
সহজপাঠ্য, সাবলীল ও তথ্যবহুল। লিখাটি খুব ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ! (F)
@গোলাপ, আপ নাদের উৎসাহ দান ই আমাকে আরও লেখার অনুপ্রেরনা দেয় । ধন্যবাদ ।
সূরা নিসা আর বিবি আয়েশা কে নিয়ে লেখার এখন আর অভাব নাই ইন্টারনেটে, মুক্তমনাতেই প্রচুর আছে,এই লেখায় নতুন কোনো যুক্তি পেলামনা। আর আমি ঠিক নিশ্চিতনা এইসব লেখা ধার্মিকদের উপর কতটা ইফেক্ট ফেলে,তারা কতটা কুসংস্কারমুক্ত হয় এসব পড়ে,critical/scientific thinking ডেভেলপ না হলে কোনো কাজই হবে,সেদিকেই বেশি জোর দেয়া দরকার।
@রামগড়ুড়ের ছানা, সুরা নিসা আর বিবি আয়েশ আনিয়ে তো আমি কথা বলি নি ! আপনি পড়েছেন ?
@মহসিনা খাতুন,
আমি মনোযোগ দিয়ে পড়িনি স্বীকার করছি। নিসার কথা আপনি শুরুতেই লিখেছেন,ভিতরেও লিখেছেন ,আয়েশার কথাও পরে এসেছে, খাদিজার মৃত্যুর পর একেরপর এক বিয়ে করা,পালকপুত্রের বৌকে বিয়ে করা,কুরানের আয়াতের মাধ্যমে বিয়েকে valid করে নেয়া এসব লিখসেন যা নিয়ে প্রচুর চর্বিত-চর্বণ হয়েছে ইন্টারনেটে,আমি তাই বলতে চাচ্ছিলাম এক লেবু কচলে তিতা করে লাভ নাই। অনেকেই হয়তো আমার সাথে দ্বিমত হবেন,আমার তর্কে যাবার ইচ্ছা নেই,শুধু নিজের মতটা জানালাম। ভালো থাকবেন।
@মহসিনা খাতুন
আমি মনে হয় রামগড়ুড়ের ছানাের বক্তব্য ধরতে পেরেছি। আসলে নবীর বিবাহ এবং এ জাতীয় বিষয় নিয়ে অনেক লেখাই এ পর্যন্ত লেখা হয়েছে, তবে সেগুলোর কারণে সাধারণের ধর্মবিশ্বাসে কতখানি পরিবর্তন এসেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। আমার মনে হয়, পরিবর্তন আনার দুইটা উপায় আছে – ১) প্রচলিত ধর্মগুলোর ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এবং ২) বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে দেখিয়ে দেয়া আসল সত্যটা কী এবং মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা এবং যুক্তিবাদিতার বিকাশ ঘটানো। ব্যক্তিগতভাবে আমি ২য় উপায়ের পক্ষপাতী। তাই বলে, ১ম উপায়টাকে অপ্রয়োজনীয় বলিনি কিন্ত। এ লেখাখানি ফেসবুকে ১০০ এরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে এবং আগেরটি ২০০এরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে আপনার লেখা মানুষজন পছন্দ করছে। তবে, আপনি যেহেতু যুক্তিবিদ্যার স্টুডেন্ট, আপনার কাছে সাধারণের চেয়ে আরেকটু বেশি প্রত্যাশিত। মানুষজন যুক্তির মজা টের পেলে নিজেই সেই যুক্তি প্রয়োগ করবে, আপনাকে বা আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিতে হবে না। সময় করে যুক্তিবিদ্যার অ-আ-ক-খ শেখান না!
@প্রতিফলন, একটা লিখেছিলাম । কিন্তু লোকে কতটা বুঝতে পেরেছে জুক্তিবিদ্যার টেকনিক্যাল দিক গুলো , আমার কাছে পরিস্কার নয় । তবে এগুল যে বুঝতে পারছে , আমি বুঝতে পারছি । তবে ওরকম লেখা আবারও লিখবো । সময় করে । (Y)
@মহসিনা খাতুন,
এই লেখাটির কথা বলছেন? লেখাটি আমি পড়েছিলাম আগেই,কোনো কারণে মন্তব্য করা হয়নি,লেখাটি বেশ ভালো লেগেছিলো,চিন্তা করার মতো জিনিস পেয়েছি লেখাটায় (Y) (Y) ।
@রামগড়ুড়ের ছানা, ও প্রতিফলন , ধন্যবাদ । আমি এই লেখাটার কথাই বলছিলাম । ধন্যবাদ । যুক্তিবিদ্যা ও দর্শন নিয়ে লেখাও লিখবো সময় করে । অবশ্যই ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
যে কোন কিছুই ইন্টার্নেট খুজলে পাওয়া যাবে। মুক্তমনায় বিবর্তন নিয়েও অনেক চর্বিত চর্বন লেখা হয়, সেগুলোরও তাহলে দরকার নেই, নাকি? নতুন যুক্তি না হলে লেখার কোন দরকার নেই,এটা কোন যুক্তি? আপনার জানা থাকলেই সেটা যে সবারই জানা থাকবে সেটা ভাবেন কেন? নিউটনের সূত্র আপনার জানা আছে বলে সেটা কি আর পড়ান হবে না?
“কাজই হবে না” বলতে চেয়েছেন ধরে নিচ্ছি। তো কার “critical/scientific thinking ডেভেলপ না হলে’? র কথা বলছেন? ধার্মিকদের? তাদের critical/scientific thinking ডেভেলপ কে করাবে? তার তো সেটা করে না, করলে তো ধর্মান্ধ থাকত না। তাহলে কি আমরা সেই চেষ্টা করব? কিভাবে। বিজ্ঞানের কথা বলে? তারা কি বিজ্ঞান কম পড়ে। পড়েই তো তারা আবার আল্লহকে খুজে পায় বিজ্ঞানের মধ্যে। মহসিনার লেখাই তো critical thinking এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ধার্মিকদের শতাব্দী পুরোন ধারণাকে বিচারপূর্বক প্রশ্ন করা। এটাই একমাত্র উপায় বা অস্ত্র। আপনার এর চেয়ে উত্তম কোণ উপায় জানা থাকলে একটা critical/scientific thinking এর উদাহরণ দেন (স্পেসিফিক, ঘোলা ঘোলা সাধারন কথা নয়) যার দ্বারা ধার্মিকদের মনে যুক্তির উদয় হবে।
@যাযাবর,
লেখকের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে তার পছন্দমত লেখার,আমি শুধুমাত্র সাধারণ পাঠক হিসাবে মতামত দিয়েছি। আর অভিজিৎদার অবিশ্বাসের দর্শন হলো খুবই ভালো একটা উদাহরণ,উনিও ধর্মকে আক্রমণ করেছেন কিন্তু আক্রমণ করার ধরণটা ভিন্ন ছিলো। তবে এটাও অবশ্যই আমার নিজস্ব মতামত,তর্ক করলে অনেক কথা আসবে আপাতত সে ইচ্ছা নাই।
@রামগড়ুড়ের ছানা, যে ক্ষমতা আমার নেই ,আমাকে তাই করতে বলছেন ? আমাকে কার সাথে তুলনা করছেন ? তার যোগ্য আমি ? আপনার কি মাথা খারাপ ? sick!!!!
@মহসিনা খাতুন,
আমি কখন তার সাথে আপনাকে তুলনা করলাম? আমি শুধু একটা উদাহরণ দিয়েছি যাযাবরকে। উপরে দেখেন আপনার একটা লেখার প্রশংসাও করেছি,সেটাও উদাহরণ হিসাবে আসতে পারতো,লেখাটায় যথেষ্ট শক্তিশালী যুক্তি আছে। আপনি কি ভেবে ক্ষেপে গিয়ে sick বললেন আমার জানা নেই,এত সাধারণ কথায় ভুল বুঝলেতো সমস্যা।
@রামগড়ুড়ের ছানা, সরি । আমি এইভাবে বলতে চাইনি । ক্ষমা করবেন । ইদানীং এই মুদ্রাদোষ টি তে আমাকে পেয়ে বসেছে । কথায় কথায় বলে থাকলেও ব্লগে বলা কখনই উচিত নয় । আমি অনুভব করতে পারছি । মুদ্রা দোষ হলেও তা নিন্দাযোগ্যই । ক্ষমা প্রার্থনা করছি । নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন । আর কখনই কেউ ভাববেন না , যে , আমি এই ব্লগের লেখকদের কাউকেই কখনই অপমান করতে চাইছি । কেননা , আমার লেখার অনুপ্রেরনা তো আপনারাই ! আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম , আপনি অভিজিৎ রায় এর সাথে আমার মতো শিক্ষানবীশের তুলনা করছেন ? সেটা করা কি ঠিক ?
@মহসিনা খাতুন,
এরপরে আর কিছু বলার থাকতে পারেনা,অনেক ধন্যবাদ :-)।
@মহসিনা খাতুন,
মন্তব্যটি আপত্তিকর। এরকম ব্যক্তি আক্রমণ মুক্ত-মনার নীতিমালার লঙ্ঘন। আপনি কি তা ভেবে দেখবেন?
@সৈকত চৌধুরী, সত্যি আমি অইভাবে বলতে চাইনি । রামগড়ুড়ের ছানা এর কাছে ক্ষমা চেয়েছি । আপনারা অনেক সিনিয়র । ভুল করলে ধরিয়ে দেবেন । দেখবেন , সেই টা আর রিপিট হবে না । আপনার শুনে খারাপ লেগেছে , আমি ক্ষমা প্রার্থী আপনার কাছেও ।
@মহসিনা খাতুন,
মহসিনা, আপনার কারো মন্তব্য অপছন্দ হতেই পারে, কিন্তু সেটাকে লেখক হিসেবে পাঠকের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিলেই হয়। কাউকে অযথা ‘sick’ বলার দরকার কি? শুধু আমি নই, অনেকের কাছেই এটি আপত্তিকর ঠেকেছে। ব্যক্তি আক্রমণ পরিহার করে মন্তব্য প্রদান করলে অযাচিত ঝামেলা এড়ানো যায়। আশা করব আপনি রামগড়ুড়ের ছানাের কাছে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করবেন।
@অভিজিৎ, দুঃখিত দাদা । আমি শুধু এমনি বলে ফেলেছিলাম । আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি ।আপনার কাছেও ক্ষমা চাইছি ।
@যাযাবর, আমিও এরকম ই বলতে চাইছিলাম । কিন্তু , আপনার মতো গুছিয়ে বলতে পারছিলাম না । ধন্যবাদ আপনাকে । :thanks:
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমি যা বলতে চেয়েছিলাম যাযাবর বলে দিয়েছেন। তবু মন্তব্য লিখছি, কারণ ইদানিংকালে কিছু মুক্তমনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, তাদের ধারণা, তারা যে পথ অনুসরন করেন সেটাই একমাত্র গ্রহনযোগ্য পথ। অন্য সব পথগুলোই ভুল। কী আশ্চর্য! মুক্তমনার মন এত সংকীর্ন হবে কেন?
মহসিনা যে বিষয়ে লিখেছেন, সেটা রামগড়ুড়ের ছানাের বহুবার পড়া থাকতে পারে। তিনি ইচ্ছা করলেই ‘চ্যানেল চেঞ্জ’ করে অন্য কিছু দেখতে পারেন। কিন্তু যারা এ বিষয়ে আগে পড়েনি বা আরও পড়তে চায়, তাদের বঞ্চিত করে তিনি এই চ্যানেল অপ্রয়োজনীয় বা বাহুল্য দাবি করতে পারেন না। মুক্তমনায় বিবর্তন নিয়ে আস্ত একখানা আর্কাইভ আছে বলে বিবর্তন নিয়ে আর লেখা উচিত হবে না? শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ রায় অসাধারন একটি বই লিখেছেন বলে অবিশ্বাসের দর্শন নিয়ে আর লেখা উচিৎ না?
প্রসঙ্গত মনে পড়ল, এই বইয়ের সহ লেখক রায়হান আবীরকে কয়েকদিন আগে সচলায়তনে একটা পোস্টে ‘হিজড়া’ শব্দটা derogatory অর্থে বহুবার ব্যবহার করতে দেখে আমি যৎপরোনাস্তি বিস্মিত হয়েছি। পরে তিনি তার এই কীর্তিকে এক দল বন্ধুকে ‘গাছ’ বলে ডাকার সঙ্গে তুলনা করে আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সকলেই জানে, ‘হিজড়া’ আর ‘গাছ’ একই লিগের শব্দ নয়।
আসলে বই লিখে, গুরুগম্ভীর কথাভর্তি রচনা লিখে, বক্তৃতা দিয়ে মুক্তমনা হওয়া যায় না। মুক্তমনা হতে হয় মননে, যেখানে ‘হিজড়া’ শব্দের derogatory অর্থের স্থানই নেই।
@এমরান খান, ধন্যবাদ আপনাকে ।
এই উক্তি টি রামগড়ুড়ের ছানা কে আমার করা উচিত হয়নি । ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি এজন্য ।
@মহসিনা খাতুন,
আমি লক্ষ্য করছি আপনার অনেকগুলো বানান কিন্তু আগের তুলনায় এখানে এসে অনেকটা ঠিক হয়ে গেছে। আমার অবস্থাও এ রকম ছিল, এখনও যে খুব একটা ভাল তা বলা যাবেনা। এভাবেই ধীরে ধীরে সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের বিপ্লব দা’র লেখায় আমি অবাক হতাম তিনি বাংলা এ ভাবে লিখেন কেন? ভারতে যে বানান রীতি অন্যরকম সেটা জানতাম না। অন্য ব্লগে আপনাকে এই বানান নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছি, আপনি মনে কিছু করেন নি তো?
আজ আমাদের সমাজে আয়েশা, হাফসার মতো নারীর বড়ই প্রয়োজন। ৫৬ বছর বয়সের নবীর বিছানায় শিশু আয়েশা ও তরুণী হাফসা কেমন সুখী ছিলেন তা পুরোপুরি মাতাল ছাড়া কারো না বোঝার কোন কারণ দেখিনা। স্বামীকে খুন করে স্ত্রীর সাথে সহবাস? এটা বিয়ে না রেইপ? কতো অসহায় ছিল সেই সময়ের নারীরা। জানেন, নজরুল নিজেকে ছোট পাখির সাথে তুলনা করে বলতেন- বড় বড় পাখিদের ঠোকর ঠাকর খেয়ে ছোট পাখিরা ডালে ডালে পালিয়ে বেড়ায় সত্য কিন্তু অন্য ডালে গিয়েও সে তার গান ঠিকই গেয়ে যায়। আসুন আমরা সবাই নজরুলের ভোরের পাখি হয়ে যাই।
@আকাশ মালিক,
না না । বানানরীতি -র কথা ছেড়ে দিলেও , ভুল ও তো কিছু আছে । আর আপনাদের কথায় রাগ করতে পারি না । যাদের দেখে লিখতে সাহস পাওয়া , তারা কোনও পরামর্শ দিলে , তাতে কেউ কখনো রেগে যায় না । আনন্দ বোধ করে ! 🙂 আর একটা মজার বিষয় , আপনি যখন ভুল টা দেখিয়েছিলেন । তখন কয়েকটা দেখে তো বুঝতেই পারিনি যে কি ভুল করলাম । মনে হচ্ছিল , ঠিক ই তো লিখেছি ।
প্রিয় এমরান খান,
আপনার অপ্রাসঙ্গিক ভাবে মুক্তমনার সংজ্ঞার লেকচারে আবার অপ্রাসঙ্গিক ভাবে আমাকে টেনে এনে সেখানে নিজেই আমাকে সেরা মুক্তমনাদের একজন নির্বাচিত করে তারপর আবার টেনে নিচে নামিয়ে আনার মন্তব্যটা দেখে যারপরনাই আমোদিত হলাম।
এই লাইন দিয়েই শুরু করি। মুক্তমনাদের কারা এমন দাবী করেছে? কনটেক্স বিবেচনায় বোঝা যাচ্ছে শাফায়াতের করা মন্তব্যকে উদ্দেশ্য করেই আপনার এই লাইন। কিন্তু শাফায়াত তার মন্তব্যে কোথাও বলেনি, তার মতটাই গ্রহণযোগ্য মত এবং সকলের উচিত এই মত গ্রহণ করা। আপনার বক্তব্যের টোনে মন্তব্যকারী শাফায়াত আর শাফায়াত থাকেনি, হয়ে গেছে মুক্তমনাদের প্রতিনিধি। অথচ রামগড়ুড়ের ছানা জোর গলায় নিজের মত প্রকাশ করেছে মাত্র- যে মতটি হচ্ছে এই ধরণের লেখা আদতেই সমাজে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা? সে মনে করেছে ফেলেনা। এবং ব্লগের পাতায় পাতায় ব্লগাররা প্রতিনিয়ত যে নিজেদের মতামত প্রকাশ করে চলছেন এটাও সে ধরণেরই প্রকাশিত মতামত। শাফায়াতের মন্তব্যের সাথে হয়তো আমি একমত নই, কারণ এ ধরণের লেখা পড়েই আমি প্রথমবারের মতো ধাক্কা খেয়েছি- এ ধরণের লেখার প্রয়োজনীয়তা আমি তাই কখনই অস্বীকার করিনা। যার যেভাবে ইচ্ছা লিখুক। কিন্তু আপনি যদি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করেন, তাহলে শাফায়াতের করা প্রক্রিয়াই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য- কেননা এই ধরণের লেখা দিয়ে যদি সেই অর্থে যুক্তিমনষ্কতা প্রচার করা যেতো তাহলে পৃথিবীতে আজও বহাল তবিয়তে ধর্ম টিকে থাকতো না। অপরদিকে বিজ্ঞানমনষ্কতার চর্চা সত্যিকারের মানুষ হতে বেশি সহায়তা করে। ধর্মের মতো একটা আবাইল্লা জিনিস নিয়া টাইম নষ্ট করলে আগানো যাবে? যাবেনা। এইটা আপনেও বুঝেন, আমিও বুঝি। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায়, ফেসবুকে অতিরিক্ত শেয়ার হওয়া বিবেচনায় বা অন্য যে কোনো বিবেচনায় আপনি, আমি এইটাকে সাপোর্ট করি, রামগড়ুড়ের ছানা করেনা। অথচ এই মতপ্রকাশের জন্য আপনি তাকে সংকীর্ণ মনোভাবের বললেন। এখন বলেন, সংকীর্ণ মনোভাবটা আসলে কার?
এইবার আমার কথায় আসি। আপনি যদি আমাকে চিনতেন তাহলে হয়তো বুঝতেন, আমি নিজেকে কখনও মুক্তমনাদের নবী দাবী করিনাই, যতোবারই মুক্তমনাদের নানা গ্রুপ সংগঠনের কথা এসেছে সযতনে এড়িয়ে গিয়েছে। কোনোদিন মনে করি নাই, আমি হচ্ছি গিয়া আসল মুক্তমনা, বাকিদের উচিত আমার মতো হওয়া। ভারী ভারী কথার একটা বইয়ের একজন লেখক বটে আমি কিন্তু সেই বইয়ে কোথাও লিখিনাই, মুক্তমনাদের উচিত এইভাবে চলা। এইভাবে না চললে আমি খেলমুনা। অবিশ্বাসের দর্শনে লেখকদের কেউই কোথাও দাবী করেনাই মননে তারাই আসল মুক্তমনার ঝান্ডাধারী। আপনি মন্তব্যে সেই কথাও বললেন।
সচলায়তনে আমি হিজড়া শব্দ ব্যবহার করেছি, এক লোকের বারবার মাথা নাড়ানোকে তুলনা করেছি হিজড়াদের মতো মাথা নাড়ানোর সাথে। অনেকের কাছেই সেটা হিজড়াদের প্রতি অসম্মানজনক হিসেবে মনে হয়েছে, সেটা তারা উল্লেখ করেছেন এবং আমি আমার মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে সেটা পরিবর্তন করেছি। উপরের মন্তব্যে আপনি আপনার অবাক হওয়ার কথা আনলেন, আমার গাছের সাথে তুলনার কথা আনলেন কিন্তু আমার ভুল স্বীকারের কথা সযতনে চেপে গেলেন। ব্যক্তিগতভাবে এইসব ভুল থেকে আমি শিক্ষা নেই, হাজারো অগুনের ভিড়ে নিজের অন্তত এই একটা গুন আছে। আমি কাউকে গুরু মানিনা, সমাজের সকল ঘটনা থেকে ইনপুট নিয়ে তারপর নিজে সকল সমস্যার সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। এইভাবে পৃথিবীর অসংখ্য ট্যাবু থেকে নিজকে মুক্ত করতে পারলেও আমিও মানুষ, যদিও আপনি আমাকে নবী মনে করতেছেন। এবং মানুষ বলেই আমি এই ভুলটা করতে পারছি- এবং সেটা স্বীকার করতে লজ্জাবোধ করিনাই, কেনো অপমানজনক সেটা জানতে চাইয়া পালটা প্রশ্নও ছুইড়া দেই নাই কারোরে।
গাছের সাথে তুলনাটা আপনার কাছে ভুল লাগলো? একটা ছেলের আচরণের সাথে অবশ্যই হিজড়াদের মিল থাকতে পারে- সেটা কি ঠিক কিনা। আলোচনা হতে পারে, এই কথাটা সভ্য মানুষের এভাবে বলা উচিত কি উচিত না? উচিত না। কিন্তু আমি বলে ফেলছি। এরমানে কী এই যে হিজড়াদের প্রতি আমার এতোটাই লো অপিনিয়ন যে এদের দেখলেই বমি টমি করে একাকার করি? আর আমি হিজড়া বললেই সেটা এতো বিগডিল বানিয়ে উপস্থাপন করতে হবে ক্যানো? আমার প্রতি এই ক্ষোভের জন্ম কোথায় জানতে পারলে ভালো হইতো কিন্তু জানতে চাইনা, আপনার নিজের কাছেই রাখেন।
অবিশ্বাসের দর্শনকে টাইনা আনাতে এই মন্তব্যটা করতে বাধ্য হলাম, নিজের অবস্থান প্রকাশের দায়িত্ববোধ থেকে। তা নাহলে আপনার লগে কথা কওয়ার জন্য এই বিশাল মন্তব্য লেখার পেছনের সময়টা ব্যয় করতাম না। এইবার মুড়ি খান এবং দূরে গিয়া অসংকীর্ণমনত্বগিরি করেন। পারলে একটা কোর্সও খুইলা ফেলেন অসংকীর্ণমনত্বঃ১০১
@রায়হান আবীর,
আমার আগের মন্তব্যের কোন অংশে আপনাকে ‘সেরা মুক্তমনা’ নির্বাচন করেছি???? প্লিজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিন।
খুবই বিস্ময়ের কথা! সেরা মুক্তমনার প্রসঙ্গ কখন তুললাম? নাকি মনের খায়েশ ফাল দিয়া বের হয়েছে?
রামগড়ুড়ের ছানাের করা মন্তব্যে আমি ‘কিছু মুক্তমনার’ কথা লিখেছি যারা অন্য চিন্তাধারা ও ধরন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তাদের মন্তব্যে প্রকারান্তরে প্রকাশ করতে চেয়েছেন যে তারা যে লাইনে চিন্তাভাবনা করেন, সেটাই সহি। রামগড়ুড়ের ছানাের এই মন্তব্য ছাড়াও আরো দুইটা মন্তব্যের কথা মনে পড়ছে। একটা টেকি সাফির। বাকিটার লেখকের নাম মনে করতে পারছি না বলে দুঃখিত। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারনে আমি তাদের চিন্তাভাবনার সংকীর্ণতার কথা বলেছি। এইটা আমার ধারনা। সেইটা জানাতে পারব না? আপনি তো মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বলছেন। আমি সেই স্বাধীনতাই ব্যাবহার করেছি। আপনার সেটা পছন্দ না হতেই পারে।
আপনাকে ব্যাক্তিগতভাবে চেনার প্রসঙ্গ টু দা পয়েন্ট হল? আপনার লেখা থেকে আপনার পাঠক আপনার সম্পর্কে জানবে। তাদের সবাই আপনার ব্যাক্তিগত পরিচিত হতে পারে না। আপনি যা লেখেন, মন্তব্য করেন, স্ট্যাটাস দেন, সেইগুলা থেকে আমরা ধারনা করে নেই।
আমার মন্তব্যের কোন জায়গায় আমি লিখেছি, অবিশ্বাসের দর্শনের লেখকরা মুক্তমনার ঝান্ডাধারী???
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বললেন যা আমি লিখিনি, তার কথা।
তর্কের সময় বানানো কথা কি তর্কের একটা স্ট্র্যাটেজি?
সচলায়তনে আপনার ভুল স্বীকারের ধরণ ছিল খুবই দায়সারা গোছের, যাতে নিজেকে নির্ভুল প্রমাণ করার প্রয়াসও ছিল। আর তাই ভাবটা এমন ছিল, পাবলিক যেহেতু বলছে, তাই ভুল স্বীকার করলাম। যথার্থভাবে ভুল স্বীকার করলে আমি এই প্রসঙ্গ তুলতামই না।
আপনার আমিত্ব বেশী হয়ে যাচ্ছে। হিজরা যে কেউ খারাপ অর্থে ব্যাবহার করলেই সেইটা একটা ডিল। বিগ হোক বা নাই হোক।
সমালোচনায় এত ক্ষুব্ধ হওয়া কি উচিৎ? হিজরা বিষয়ক মন্তব্য যেহেতু আপনার ছিল, তাই সমালোচনা আপনার বিরুদ্ধে হবে, সেইটাই কি স্বাভাবিক না? অন্য কেউ করলে তার বিরুদ্ধে যেত। এখানেও ‘আমি’ টেনে আনা অপ্রাসঙ্গিক।
বাহ! বাহ! কি দারুন। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি আমার আগের মন্তব্যে একটিও কটু কথা বলি নি। বুঝলাম শক্ত সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। আমার কথায় যদি ভুল থেকেও থাকে সেটা প্রমান করলেই তো হত। প্রমান যেহেতু করা যায় নি, তাই আমাকে দূরে গিয়ে মুড়ি খেতে বললেন একজন বিদগ্ধ মুক্তমনা-ব্লগার (এখানে মুক্তমনা বললাম ব্লগ অর্থে)। খুবই কার্যকরি পদ্ধতি। এতে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া যায় এবং প্রতিপক্ষকে এক হাত নিলাম ধাঁচের মেকি আত্মতৃপ্তিও থাকে।
কোর্স খোলার বিষয়ে আপনার অন্য পরামর্শ নিশ্চয় মাথায় রাখব। তবে তার আগে আপনার কাছে বক্তৃতার শিক্ষা নিতে হবে। অনেক জায়গায় পড়েছি, বাকযন্ত্রের এমন ব্যাবহারে আপনি ভীষন দক্ষ।
@এমরান খান,
দেখুন আমি কখনোই বলিনি যে আমি যা ভাবি সেটাই ঠিক, আমার নিজের বিচার-বিবেচনায় কোনো একটা মত পছন্দ হয়নি তাই ভিন্ন একটা মত দিয়েছি, আর আপনি তাতেই সংকীর্ণ বলে ফেললেন। তর্ক যাবার ইচ্ছা না থাকায় আমি কোনো উত্তর দেইনি। কিন্তু আপনি ২য় বার আমাকে সংকীর্ণ বলে ফেললেন।
আমি কাওকে জোরও করিনি নবীর বিয়ে নিয়ে না লিখতে, লেখকের সাথে আমার কোনো শত্রুতাও নেই, আমার মনে হয়েছে এতে কাজ হয়না,সেটাই আমি বলেছি,আপনার ভিন্ন মত থাকতেই পারে, অনেকেই আমার সাথে একমত হয়নি,রায়হান আবীরও হননি, সেটা না হতেই পারেন কিন্তু কাওকে সংকীর্ণ বলার আগে ১০বার ভেবে নেয়া দরকার।
আমি চ্যানেল যেমন বদলাতে পারি তেমন কোনো চ্যানেলের কোনো অনুষ্ঠানকে অপ্রয়োজনীয় বলে মত প্রকাশও করতে পারি,আপনিও তাতে ১০০বার দ্বিমত পোষণ করতে পারেন কিন্তু আপনার মতকে মেনে না নেয়ার জন্য সংকীর্ণ বলতে পারেননা। বিবর্তন নিয়ে একটা সময় একই ধাচের অনেকগুলা লেখা আসার কারণে আমি সেটা নিয়ে ব্লগে বন্যা আপুকে বলেছিলাম,অনেকের হয়তো সেটা পছন্দ হয়নি,কিন্তু সেখানে কেও ক্ষেপে গিয়ে বিশেষণ প্রয়োগ করেননি।
আমি জানিনা সচলে রায়হান আবীর ভাই কি বলেছিলেন,তবে সেটা এখানে টেনে আনারও কোনো মানে দেখিনা আমি। তার কথা পছন্দ না হলে সেখানেই তাকে জানাতে পারতেন,এখানে আপনার মন্তব্য যে তার চোখে পড়বে তার গ্যারান্টি কি? এক ব্লগের ঘটনা আরেক ব্লগে না টানাই ভালো। আমি যদি আরেকজনে ব্লগে গিয়ে এই কথাগুলো বলতাম তাহলে নিশ্চয়ই পছন্দ হতো না।
সময় নিয়ে মন দিয়ে পড়লাম। ভাল লিখেছেন, জটিল গবেষনা (F)
@Triple A, :thanks:
আয়াতগুলো ত আগে থেকেই লওহে মহফুজে লিপিবদ্ধ ছিল। মুহাম্মদ মিরাজে গিয়েও কি সে বিষয়ে কছু জানতে পারেননি! আল্লাও কি তাকে কিছু বলেননি!
লেখাটি শেয়ার করলাম।
@তামান্না ঝুমু, হে হে হে ! আল্লাহ চেপে গিয়েছিল ম্যাটার টা ! 😀
আপনি আপনার পিতাকে যে জবাব দিয়েছেন, সত্য কথা হল, এর কোনই পাল্টা জবাব নাই।
এরপরেও আপনাদের ওখানে (পশ্চিম বংগে) ইসলামী জোস তো মনে হয় দিন দিন হু-হু করে বেড়েই যাচ্ছে। ওখানে মসজিদ মাদ্রাসার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
কিছু দিন আগেই তো সরকার মাদ্রাসাকে সরকারী অনুদান দেওয়ার ও ঘোষনা করেছে,সংবাদে শুনেছিলাম, অথচ ভারত কোন ইসলামিক রাষ্ট্র নয়!!
ধন্যবাদ আপনার ধারাল যুক্তিপূর্ণ উত্তরের জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সমাজবাদী পার্টি,মমতা, লালুর মতো আলু টাইপ তোষণকারী রাজনীতিবিদ থাকলে হবে না।এরা ক্ষমতা দখলের ঘোরে দেশটাকে শত বছর পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মমতা মুসলিমদের ভালো করতে গিয়ে বরং আরো পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। মাথায় কিছু না থাকলে আবেগ দিয়ে যে দেশ চলে না , রসাতলে যায় আমাদের দেশের পর মমতা তা আবার দখিয়ে দিলেন। :ban:
আমি নিশ্চিত কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবংগ হিন্দু আর ইসলামি চরম্পন্থির উত্থানে বিপর্যস্ত হবে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, কয়েকদিন আগে আমি হাওড়া স্টেশনে সর্বোদয় স্টল এ দেখি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি বই । “পশ্চিমবঙ্গ কি বৃহত্তর বাংলাদেশের অঙ্গীভূত হতে চলেছে?” মনে মনে বলেছিলাম , এরকম চললে তো নিশ্চিত । যদিও দল টা কে আমি পছন্দ তেমন করি না । কিন্তু বই টি পড়ার ইচ্ছা আছে । পরের বার যখন যাব ,কিনে নেব ভেবেছি ।
আসলে কি জানেন মমতার নীতি তে গ্রামের দিকে অদ্ভুত পোলারাইজেশন চলে আসবে । আমি গ্রামে থাকি । মমতার প্রতি হিন্দু রা তো সন্তুস্ত নয় ই । মুসলিম রা ও বলছে , দিচ্ছে নিয়ে নিই , তারপর ফেলে দেব… যতই মুসল্মান সাজো ,কাফেরের রক্ত যাবে কোথায় ? মাঝ খান থেকে একে অন্যের সমালছনা করে নিজেদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । মৌলবাদী হিন্দু আর মুসলিম দল গুলো সুযোগ নিয়ে আরও লম্ফ ঝম্প করছে । দেখা যাক কি হয় !
@মহসিনা খাতুন,
যে জায়গাটার ব্যাখ্যা জানতে আপনি অনুরুধ করেছিলেন, তালিমাতে ইসলাম থেকে সংক্ষেপিত ইংরেজি অনুবাদ নিচে দেখুন। আর আয়েশা, হাফসা, জয়নাব ও ম্যারিয়া সম্মন্ধে আরো জানতে হলে আমার লেখা মুক্তমনায় পাঁচ পর্বের আয়েশার সাথে এক রজনী পড়ে নিবেন।
Her first marriage was to Khunais bin Hudhaifah bin Adi, who was from the tribe of Banu Sahm. He had embraced Islam during the initial days of the dissemination of the Divine message by Allah’s Prophet. Hafsa had also accepted Islam along with her husband. Khunais emigrated to Ethiopia in the 6th year of the Prophethood. A few years before the actual migration of the Prophet to Madinah, he returned to Makkah and then taking Hafsa with him, also migrated to Madinah.
Khunais was a brave soldier of Islam. In the 2nd year of Hijra, he fought gallantly in the battle of Bader. Then in the 3rd year of Hijra in the Battle of Ohud, he fought against the enemies of Islam, with exceptional courage and chivalry. But he received several wounds in the course of the Battle. He was taken to Madinah in that condition and even after treatment, he did not recover and finally succumbed to his wounds. Hafsa thus was widowed.
When Hafsa completed her waiting period, her great father, Omar bin al-Khattab started thinking about her marriage. One day in privacy, the Prophet made a mention about Hafsa to his companion Abu Baker. Omar, not having the faintest idea about this, asked Abu Baker to marry his daughter. Abu Baker kept quiet. This disappointed Omar, who then went to Othman, who had recently lost his wife Ruqaiyah (daughter of the Prophet). Othman answered that he did not want to marry at that time. Then Omar went to the Prophet and narrated to him the whole situation. The Prophet replied: ‘Why not marry Hafsa to someone who is better than both Abu Baker and Othman?”
We learn from Sahih Bukhari, that Hafsa was a bit short-tempered and sometimes would even answer the Prophet back. One day, her father, Omar bin al-Khattab, who had come to know this, went to her and asked: “I have heard that you talk to the Noble Prophet as if you were on an equal footing with him. Is it true.” Hafsa replied: “Of course! I do”.
তাহলে পরিষ্কার বোঝা গেল, বিধবা যুবতি হাফসা নবীজীর সুনজরে এসেছিলেন তা ওমর জানতেন না, কিন্তু উসমান ও আবুবকর জানতেন। ওমরকে দেয়া মুহাম্মদের উত্তরটা লক্ষ্য করুন- The Prophet replied: ‘Why not marry Hafsa to someone who is better than both Abu Baker and Othman?”
নবীজী তো আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছেন তার শাশুর আবুবকর ও জামাতা উসমানের কানে। সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ। আপনি কি আবুল মনসুরের হুজুর কেবলা গল্প পড়েছেন?
@আকাশ মালিক,
না পড়ি নি তো ! আর আপনার এই লেখা টা মন দিয়ে পড়লাম । স্ক্রিনশট নিয়ে রাখলাম ।
পরে কাজে লাগবে । অসংখ্য ধন্যবাদ । :thanks:
ধর্ম নামক বস্তুটা যতদিন আমার মাথায় বাসা বেঁধে অবস্থান করছিল ততদিন মনে হয়েছে আমি কোন নর্দমায় শ্বাস বন্ধ করে ডুব দিয়ে আছি। আর যেদিন এই ধর্ম নামক ভুতটাকে মাথা থেকে নামিয়েছি সেদিন থেকেই মুক্ত পাখির মত ডানা উন্মুক্ত করে পৃথিবীর বুক থেকে মুক্তভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে শিখেছি, সেদিন অনুভব করেছি সত্যিই পৃথিবীটা কত সুন্দর, সেদিনই ভাবতে শিখেছি মানবতাই ধর্ম, সেদিন থেকে আমার বিবেক আমাকে তাগিদ দিচ্ছে “এই পৃথিবীর জন্য, মানুষের জন্য কিছু কর তোমার শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে”, সেদিন ভালবাসতে শিখেছি মহাকাশের নক্ষত্রগুলো হতে শুরু করে পৃথিবীর সূক্ষ্ম কীটপতঙ্গগুলো পর্যন্ত, প্রেমে পড়েছি সাগর-পাহাড়-ঝরনার, নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি প্রকৃতির মাঝে।
সত্যিই ভাবতে অবাক লাগে, মুহাম্মদের মত একজন বর্বর, ভন্ড, প্রতারক, বদমাইশ কিভাবে কোটি কোটি মুসলিমের কাছে শ্রেষ্ঠ মানব হলো!!! ধার্মিকরা আসলেই মিথ্যাকে, প্রতারণাকে, শঠতাকে বেশি ভালবাসে। নয়তো সত্য জানতে তাঁদের এতো ভয় কেন?
@অচিন পাখি, ভাবতে অবাক লাগে, শুধু না , ভাবলে মাথা ঝিমঝিম করে । :-O
@অচিন পাখি,
খুবই ভাল বলেছেন। দাসত্বে (আবদ-আল্লাহ) কখনই মুক্তির আনন্দ মেলে না।(Y)
@গোলাপ, একটা কবিতা পড়েছেন ? ” স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় !” এখন দেখি , বেশিরভাগ লোকে দাস হয়ে থাকতেই পছন্দ করে ! :-Y
আর বেশীদিন না ,কারন মহসিনারা বুঝাতে নেমেছে ।
অসাধারন লেখা।
লেখক যে ভাবে যুক্তির অবতারনা করেছেন তাতে আর কুযুক্তি দেয়ার সাহস আমার নেই। ধন্যবাদ মহসিনা আপনাকে। আরো ভালো লেখা পড়ার আশায় রইলাম।
পুরাই ফার্দাফাই।আসলে ইসলামের অনুসারীরা সত্য ইতিহাস থেকে এতো দূরে সরে গেছেন কিংবা তাদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে যে ,তারা সত্য ইতিহাস দেখলে বিশ্বাস করতেই চায় না।এটাই তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
(G) (Y)
অনেক গোছানো লেখা। লেখার বস্তুনিষ্টতা, যুক্তি এবং অনাবশ্যক খোঁচাখুঁচির ব্যবহার না থাকা (যা ধর্ম সংক্রান্ত অনেকের লেখায় প্রকট হয়ে লেখার মূল উপজীব্যকে ম্লান করে ফেলে) মুলতঃ বিষয়ের উপর লেখকের দখল প্রকাশ করে।
@সোহেল চৌধুরী, ধন্যবাদ ।
পড়লাম। ভাল লাগলো। ইসলাম ধর্ম এর জন্মকাল ঐতিহাসিক। প্রাগ-ঐতিহাসিক নয়। তাই কেউ যদি ভুল তথ্য দিতে যায়। সে সত্যকে লুকিয়ে ইসলামকে বাঁচাতে চাইচ্ছে। কিন্তু এটাও ঠিক মিথ্যা উপর গড়া একটা দর্শন কিন্তু বালির বাঁধের মতই ধসে পড়ার কথা। কিন্তু এখনো পড়তেছে না। সেই ১৪০০ বছর ধরে টিকে আছে। কেন? অবশ্যই সেটা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্যই। কারণ তারা মিথ্যাকে বেশী ভাল বাসে।
@রঞ্জন বর্মন, কারণ তারা মিথ্যাকে বেশী ভাল বাসে।
(Y)
লেখক বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম, 🙂
আল্লা পাক ভালই জানতেন তাদের সৌন্দর্য তাকে মোহিত করতেই থাকবে। আল্লা পাকের দূরদর্শিতা সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে।
একারনেই পরবর্তীতে নাবিজী আরও নারীর পাণি গ্রহন করে থাকতে পারেন। কেননা তাদের সৌন্দর্যে মোহিত হতে তো দোষ নেই। আল্লা পাকের ভবিষ্যৎ বাণী তো মিথ্যে না।
দয়াল নবীর অনুসারীগন যদি এভাবে নিরন্তর মোহিত হতে থাকে তো কী অবস্থা হবে?
@কাঠি বাবা, দয়াল নবীর অনুসারীগন যদি এভাবে নিরন্তর মোহিত হতে থাকে তো কী অবস্থা হবে?
@এডমিন
মন্তব্যের সাথে স্মাইলী আসছেন।একটু সাহায্য করেন।
@ডারউইনের ভুত, আপনি কি এই টা দিতে চাইছেন ? (W) না এই টা (N) না কি একেবারে :ban: ? জোক করলাম ! 😉
যতদিন চক্ষু কর্ণ মুদিয়া থাকব।
এর পক্ষে আপনি অনেক ধৈর্য সহকারে ইতিহাস ঘেটে যে যুক্তি খাড়া করেছেন,তা বোধ হয় কারো পক্ষে খন্ডন করা সম্ভব নয়। আপনার এহেন ধৈর্য ও পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ।
আর তা ছাড়া নবীর স্ত্রীদের সম্পর্কেও বেশ কিছু জানা হল।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ধন্যবাদ ! :thanks: