আমি গত কয়েকদিন যাবত হুমায়ূন আহমেদ পাঠ করছি। অন্তর্জালে এই লেখকের যত বই পাওয়া যায় আর কোন লেখকের তত বই পাওয়া যায় না, যার জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়েছে। কারন হুমায়ূন আহমেদের প্রসবিত বইয়ের সংখ্যা বিপুল। কিনে এই বই পড়া একাবারেই সম্ভব হবে না আমার পক্ষে। সুতরাং যেখানে পাচ্ছি নামাচ্ছি আর তেলওয়াত করে যাচ্ছি নিঃশব্দে। হঠাৎ করে আলাদা ভাবে হুমায়ূন পাঠের একটা কারন তার লেখা সম্পর্কে একটা ধারনা নেওয়া, কারন হুমায়ূন সম্পর্কে আমার ধারনা বিচারিক স্কেলে অন্যান্য লেখকদের তুলনায় দুঃখজনকভাবে নিম্নমুখী। যার জন্য হুমায়ূনমুরীদদের অনেক অনেক প্রশংসার ভীড়ে আমার নিজস্ব মতামত দেওয়ার সময় বিবেকের তাড়না বোধ করি। কারন যার লেখা তেমন পড়িই নি তার সম্পর্কে উক্তি করা কতটুকু যৌক্তিক সেটা বিবেচনার যোগ্য।
যাই হোক আমি এই লেখা হুমায়ূনের সাহিত্য কিংবা হুমায়ুন আজাদের ভাষায় অপসাহিত্য যাই বলি সেটা নিয়ে নয়। এই লেখার উদ্দেশ্য অনেকটাই হুমায়ূনের পক্ষে ওকালতি করার মতন। প্রথমেই একটা খবরের লিঙ্ক দেইঃ
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘দেয়াল’ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা
দেয়াল সম্পর্কে একটু তথ্যঃ
দেয়াল কী? একটি অপ্রকাশিত উপন্যাস(উপন্যাস নাও হয়ে উঠতে পারে)। কী ধরনের উপন্যাস? ঐতিহাসিক।
কোন পটভূমিতে লেখা হয়েছে? এখন পর্যন্ত আলু পত্রিকার সাহায্যে জানা গেছে এটি ৭৫-এ মুজিবের হত্যাকান্ড এবং ঐ সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখিত। যার দুটি অধ্যায় প্রকাশের সাথে সাথে ব্লগ জগতে আলোচনা সমালোচনা এবং হুমায়ূনমুরীদদের বেশ কষ্টে সময় কাটছে।
যাই হোক এটাও আসল খবর নয়। আসল খবর হল বাঙলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বাঙলাদেশের পাঠক সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার মহান প্রকল্পের আওতায় “দেয়াল” উপন্যাসটিকে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং আসল ইতিহাস না দেয়া হলে বইটিকে প্রকাশ হতে দেয়া হবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উনি ভুল কী তথ্য দিয়েছেন?
সোমবার আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “হুমায়ূন আহমেদের ওই উপন্যাসে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ যথাযথভাবে প্রকাশ পায়নি। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন `বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ তাদের মাঝখানে রাসেলকে নিয়ে বিছানায় জড়াজড়ি করে শুয়ে থরথর করে কাঁপছিলেন। ঘাতক বাহিনী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকল। ছোট্ট রাসেল দৌড়ে আশ্রয় নিল আলনার পেছনে। সেখান থেকে শিশু করুণ গলায় বললো, তোমরা আমাকে গুলি করো না। শিশুটিকে তার লুকানো জায়গা থেকে ধরে এনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়া হলো।“
কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ঘটনার একটি স্বীকৃত বিবরণ রয়েছে। তাতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাজের ছেলে রমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে রাসেলকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্ধৃতি দিয়ে আলতাফ হোসেন বলেন, “হুমায়ূন আহেমেদের একটি অপ্রকাশিত বইয়ের পত্রিকায় প্রকাশিত অংশে ভুল তথ্য রয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে রাসেল মায়ের কাছে যেতে চাইলে তাকে হত্যা করা হয়।
সূত্রঃ বাঙলানিউজ২৪
আর?
আরেকটি অভিযোগ হল খন্দোকার মোশতাককে বইতে এমনভাবে দেখানো হয়েছে যে তাতে করে তাকে মুজিবের খুনের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে হয় না। কিন্তু আদালতে এটা প্রমানিত হয়েছে।
পাঠক,অভিযোগগুলোর সাথে কি আপনি একমত?
আমি একমত। ইতিহাস সচেতন যে কোন সুস্থমস্তিষ্কের মানুষই একমত হবে। কিন্তু সমস্যাটা আসলে অন্যত্র। এর আগে,
বাঙলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের কথা আপনাদের ভাবতে বলছি। যেটি কিনা যুদ্ধাপরাধ করার দায়ে অভিযুক্ত। আদালতে এবং সুস্থ জনমনে। তারা অত্যন্ত সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিরোধিতা করে আসছে বাঙলাদেশ নামক দেশটির পৃথিবীতে প্রসবিত হবার পর থেকেই। পাশাপাশি তাদের সাহায্য করে যাচ্ছে আরেকটি দল। যেটার শুরু তাদের গুরুই করেছিল। দালাল অধ্যাদেশ আইন নামে একটি আইন ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি আবু সাদত মোহাম্মদ সায়েম জারি করেছিলেন। যেটি কিনা মেজর জেনারেল জিয়া নামে এক খালখোদক বাতিল করে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদেরকে এই দেশের মাটিতে পূনর্বহাল করেছিল।
দলটির নাম?
জামাত। যাদের কাঁঠালপাতাপ্রীতি সর্বজন জ্ঞ্যাত।
আমার প্রশ্ন এই দলটিকে কেন এখনও নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় নি?
প্রশ্নটি কার কাছে?
To whome it may concern?
পরিষ্কারভাবে দন্তন্য আকারে না।
আমার প্রশ্ন “অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম” এর প্রতি।
আমার প্রশ্ন “স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে দুজন বিচারপতি রুল জারি করেছেন, মানে এএইচএম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ” এর কাছে। কেন জামাত নামের দলটিকে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হবে না?
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে ইতিহাস বিকৃত হয়েছে এজন্য যদি তার বই নিষিদ্ধ হয় তাহলে বাঙলাদেশে প্রত্যেক বছর হাজার হাজার বই ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
সাহিত্য সৃষ্টি করতে যেয়ে অপসাহিত্য সৃষ্টি হবার কারনে যদি নিষিদ্ধ করার মতন যৌক্তিক কারন থাকত তাহলে আমি হুমায়ূন আহমেদের প্রত্যেকটি বই নিষিদ্ধ করার পক্ষে প্রচারনা চালাতাম। কিন্তু সেটা হবে সভ্যতার পরিপন্থি। ঠিক যেমনিভাবে হবে ইতিহাস বিকৃতির দায়ে বই কোন বই নিষিদ্ধ করা।
আমি পরিষ্কারভাবে এই নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানাই এই নিষিদ্ধের। কারন কোন বই নিষিদ্ধ করা প্রমান করে সংশ্লিষ্ট দেশটি অসভ্য। তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। তারা ভীতু।
ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন কেশ ছিড়বেনা যদি হুমায়ূন আহমেদ বলে মেজর ফারুক মুক্তিযোদ্ধা ছিল। কারন আমি জানি ও ছিল না। ইতিহাস তাই বলে। কেবলমাত্র হুমায়ূন আহমেদের মতন জনপ্রিয় মধ্যম শ্রেনীর লেখক লিখলেই সেটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে? প্রশ্নই আসে না। আর যে সকল হুমায়ূনপাঠীরা ইতিহাস জানার জন্য লালা ঝরিয়ে হুমায়ূনের বইয়ের অপেক্ষা করে তাদের আসলে ইতিহাস না জানলেও কোন ক্ষতি নেই জানলেও লাভ নেই। যারা ইতিহাস জানে উপন্যাস পরে তাদের ইতিহাস জানার আসলে কোন দরকার নাই। কারন তারা মাকাল ফল। ইতিহাস জেনে তারা কেবল পাতিহাসই হবে।
এই ঘটনার একটা মজার দিক হল, হুমায়ূন আহমেদ পড়েছে গ্যাড়াকলে। হুমায়ূনের মাথা নিউইয়োর্কের রোদেলা দুপুরে যদি জাম্বুরায় পরিনত না হয়ে থাকে তাহলে মনে থাকবে যে হুমায়ুন আজাদের একটি বিশেষ বই সম্পর্কে তার উক্তি ছিল এমনঃ
““কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।””
আমরা চাই আম্লিগের টেরোরিস্ট সংগঠন ছাত্রলিগ(ছাত্রীলিগ নাই, যদিও মতিয়ার মতন অগ্নিকন্যাদের এখন হাটে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়) হুমায়ূন আহমেদের উপরে কোন হামলা না করুক ইতিহাসসঠিকীকরন কিংবা সহজ ভাষায় ইতিহাসের পাতিহাসিকরন জোশে উদ্বুদ্ধ হয়ে। কিন্তু যদি হয় তখন তার উত্তরটা কী হবে? এমন কী এই নিষিদ্ধ করনের বিপক্ষেই সে কী যুক্তি দেবে?
আমরা চাই ইতিহাস বিকৃতি করার জবাব দেওয়া হবে ইতিহাসের সঠিক তথ্য জানানোর মাধ্যমে। ইতিহাস “গুম” করার মাধ্যমে নয়। যদিও বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অভিধানে “গুম” একটি অতি প্রিয় শব্দে পরিনত হয়েছে।
কারন আমরা যারা নিজেদের অসভ্য মনে করি না তারা বিশ্বাস করি একটা মহৎ উক্তিতেঃ
I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it- Evelyn Beatrice Hall
শুধু হুমায়ূন আহমেদ না, আমরা চাই লেখকের স্বাধীনতা। যেখানে একজন লেখক লেখার আগে কী কী লিখবেনা সেটা নোট করে রাখতে হবে। ভাবতে হবে না “স্বতঃপ্রনদিত” হয়ে কোন এটর্নি জেনারেল কিংবা বিচারপতি(জানি না পত্নি নাই কেন) তার লেখার উপরে কাচি চালাবে। কারন তাকে আর যাই বলা যাক, সভ্যতা বলা যায় না।
ফাউল আওয়ামীলীগ কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের বেলায় একটু ছাড় দিয়েছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। হয়ত তার অসুস্থতা আর জনপ্রিয়তার (?) কথা চিন্তা করেই। তা না হলে দেয়াল উপন্যাসের সংশোধন করার কথা বলেই ছেড়ে দিত না। ইদানিং দলটির চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য তা বলে না।
প্রথম আলোর সম্পাদকের দিন দিন উন্নতি হচ্ছে!!!!!কার্টুনিষ্ট আরিফকে দিয়েই তার উন্নতির শুরু। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার কার্য্কলাপ নিয়ে হাসিনার কাছে ক্ষমাও চাইলেন। তার আরও উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছি।
হুমায়ুন আহমেদ পু্রপুরি সুস্থ হয়ে যে তৃতীয় বিয়ের চিন্তা করবে না এর কোন গ্যারান্টি নেই। আর আজ মন চায় তো দেয়াল লিখবেন, কালকে নিজামীকে নূরানী চেহারা বলে নায়ক বানিয়ে আরেকটি উপন্যাস লিখবেন। তার কলমে কালি আছে, তার ফাউন্টেন পেন, কাঠ পেন্সিল আছে, বলপেন আছে। মহা সমাবেশের মত মাঠ ভরা পাঠক আছে। একই কাহিনীর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখার মত কৌশল আছে। কাজেই সাইফুলরা ব্লগে একটু আধটু লিখে তার কি করবে?
আদালত? থাক,আবার আদালত অবমাননার মামলায় জড়িয়ে যাব।
@গীতা দাস,
:))
@ দেয়াল (১ম অধ্যায়)
হুমায়ূন আহমেদ।
ইডিয়ট কোথাকার।
@আকাশ মালিক,
এই ইডিয়টটাই এখন বাঙলাদেশের সেরা লেখক। হুমায়ূন স্টাইলে বলি, এইটা ভাই দুনিয়ার অনেক রহস্যের মধ্যে একটা। আফসোস!
@সাইফুল ইসলাম,
রহস্যে বিশ্বাস নাই। এর একটা কারণ হতে পারে – স্থান,কাল ও পরিবেশ। দুনিয়ার সকল নবী পয়গাম্বর, অলৌকিক ঐশ্বরিক ক্ষমতাধারী ধর্মযাজক, পীর ফকির, সাধু সন্যাসী, ভগবান পুরুহিত দেব-দেবী থেকে নিয়ে হালের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, সবই স্থান,কাল ও পরিবেশের দান। হুমায়ুন সেই সুযোগ সন্ধানী এক ব্যক্তি। এই মুহুর্তে তাকে ট্যাকল দেয়ার মতো বা তার প্রতিপক্ষ কেউ নেই, এটা তিনি জানেন। তাই ‘আবু লাহাব’-এর অর্থ আগুনের পুত্র বলেও তিনি পার পেয়ে যান। নতুন প্রজন্ম তার বই থেকে এই অর্থ জেনে বিশ্বাস করবে। ১৬ কোটি মুসলমানের দেশের মানুষ যদি তা মেনে নেয়, সেটাই হবে আমার কাছে শ্রেষ্ট রহস্য।
@আকাশ মালিক,
কাউকে ইডিয়ট বলার আগে একটু খোঁজ নেয়া উচিৎ।
লাহাব (لَهَبٍ) অর্থ গুগলে দেখলাম – flame /আগুনের শিষ
http://translate.google.com.kw/?hl=en&tab=wT#ar|en|%D9%84%D9%8E%D9%87%D9%8E%D8%A8%D9%8D
লেন আরাবিক ইংলিশ ডিক্সনারিতে –
لَهَبٍ – flame , tongue of fire ,to blaze , radiance , raging of fire , to be extremely hungry , thirst
@ফারুক,
আবু লাহাব মানে হলো, আগুনের পিতা; আগুনের পুত্র না। বুঝলেন? আপনার সম্ভবত হোমিওপ্যাথি দরকার। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,আবু লাহাব নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়েছে মুক্তমনায় এবং সেগুলো হাদীস নামক কল্পকাহিনীর উপর ভিত্তি করে। লাহাব নামে রসূলের চাচার কোন পিতা বা পু্ত্র ছিল কিনা জানি না , তবে শুধুমাত্র কোরানের উপরে ভিত্তি করে যে জ্ঞান পাওয়া যায় সেটা হলো-
Surah 111: 1 تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
They who separated from this instrument of advise (Qur’an), which is made manifest and evident; will suffer from diminution and be at a loss. Resulting in them living as if dead and perished, suffering an emotive thirst.
Surah 111: 2 مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
As long as one is away from manifest advise (Qur’an), which is intended to fulfil ones needs. They shall not benefit from whatever they collect as wealth and property.
Surah 111: 3 سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
The ones who shall try to outwit, deceive and circumvent, the distinct essence that exists through eternity as an intense illumination, will cause themselves to suffer from emotive thirst.
Surah 111: 4 وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
As a result the comparison for them is as a land in which no herbage grows, even if it is rained upon. Or just like a person who carries the utmost burden of cut off, dried section of their grapevine, their burden is of no use except as dried fuel for the fire.
Surah 111: 5 فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
In this state of deception and separation they continue to suffer from a vehement thirst, affected by drowsiness and slumber to the point of death and destruction. Instead of making a covenant to obtain a promise of security and safety, and holding on to it laboriously, and with energy.
@ফারুক,
আমাকে এ জ্ঞান দেয়ার রহস্য কী? আমি কি আপনার কাছ থেকে এটা জানতে চেয়েছিলাম? এ আলোচনা কি এখানে প্রাসঙ্গিক? আপনি তো ভাল রকম বিরক্তিকর। :-X
@ফারুক,
স্যরি স্যার, হুমায়ুন যখন লিখেছেন তখন নিশ্চয়ই ডিকশোনারির খোঁজ খবর নিয়েই লিখেছেন, তারটাই সত্য হবে, আমিই ভুল।
[img]http://www.amarblog.com/sites/default/files/imagecache/body/%20images/8_5_0.jpg[/img]
ইতিহাস নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস-চেষ্টার বিষয়ে একটি ফাটাফাটি স্যাটেয়ার। হাস্তেইয়াছি…হাস্তেইয়াছি…
গোয়াল-চুমায়ুন আহমেদ-প্রথম পর্ব
গোয়াল(২য় খণ্ড)-চুমায়ুন আহমেদ
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@বিপ্লব রহমান,
হাসতে হাসতে শ্যাষ। :lotpot: :lotpot:
দেওয়ালের উপন্যাসিক মান কেমন হবে জানি নয়া তবে ঐতিহাসিক মান কেমন হবে তা বুঝেছি। বংগবন্ধু হত্যাকান্ড সম্পর্কে হাজারটা উতস আছে, সেগুলি সব বাদ দিয়ে মাসক্যারেনহাসের বইই একমাত্র মূল সূত্র বেছে নেবার কারন সম্ভবত এই বইতে নিষ্ঠুর খুনী ফারুক-রশীদের যায়গায় দেশপ্রেমি/বিপ্লবী চেহারার ফারুক রশীদকে পাওয়া যায়।
মজার ব্যাপার হল যে এই বই এর বাংলা অনুবাদ ‘৮৭ সালে বের হবার পর ফারুক এক সাংবাদিকের সাথে আলাপে অধিকাংশ বিষয়ই কল্পকাহিনী বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। বিশেষ করে আন্ধা হাফেজের পার্টটার কথা মনে আছে। ফারুল হেঁসে বলেছিল যে ঐ ব্যাটা থ্রীলার লিখেছে। টুংগী পাড়ায় মুজিব শাসনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কর্তৃক বংগবন্ধুর বাড়ি লুটপাটের ঘটনা এক মাসক্যারেনহাস কিভাবে পেলেন তাও নিশ্চয়ই হুমায়ুন ভাবেননি। আরো হাস্যক’র কিছু ভুল আছে যেমন ফারুক আর্টিলারি অফিসার, সে ছিল ট্যাংক বাহিনীর অফিসার, আর্টিলারির নয়। পাকিস্তানে জন্ম হওয়া ফারুক বাং’লা লিখতে তো জানতোই না এমনকি শুদ্ধভাবে বাং’লায় ক’থাও বলতে পারত না। সেই ফারুকের মনে বৃষ্টি দেখে বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান ভাবের ক’থা শুনে হাসি পাওয়াই স্বাভাবিক।
তবে আদালতের এভাবে নাক গলানো উচিত হয়নি। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে যদিও আমি বিভ্রান্ত, আমি পত্রিকায় দেখেছিলাম সঠিক ভাবে ইতিহাস বর্ননার পরামর্শ দিয়েছে। কথায় কথায় উচ্চ আদালত যেভাবে জনজীবনে আসছে তাতে দেখা যাবে ব্লগের দুই ব্লগারের তর্ক থামাতেও আদালত বসে গেছে। বাক স্বাধীনতার টুটি চেপে ধরতে সামনে এসব খুব খারাপ উদাহরন হয়েই থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। রাসেল হত্যা বর্ননা পুরো ইতিহাস সম্মত না হলেও উপন্যাসে এর বর্ননা বিরাট কোন বিকৃতি যার জন্য উচ্চ আদালত তলব করতে হয়েছে তা ম’শা মারার জন্য কামান দাগাই ম’নে হয়।
@আদিল মাহমুদ,
হাহাহাহাহা। কালকে রাতে প্রথম আলোতেও দেখলাম আনোরার হোসেন একটা আর্টিকেল লিখেছেন। মোটামুটি এরকম কথাই বলেছে সেখানে। সাথে এও বলেছে ফারুক হয়ত পাইক্কাদের চর ছিল।
গতকাল পড়লাম এরই লেখা আরেকটি ঐতিহাসিক(!!!???) উপন্যাস “সৌরভ”। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। এক ইয়াং বাড়িওয়ালার হাসিখুশিলটরপটরীআবেগ ছাড়া আর কিছু পেলাম না। জোসনা ও জননীর গল্প পরে অনেক মানুষের হৃদয় অর্জন করেছে হুমায়ূন। আপনি পড়েছেন কিনা জানি না। আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধকে হাসিকৌতুকময় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা মনে হইছে এটা পড়ার পরে। এটা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের উপরে ভালো উপন্যাস হয় আমি আসলেই বুঝতে অক্ষম।
এই যার অবস্থা, দেয়াল যে তার অতীত খেয়ালের বাইরে কিছু হবে না এটা আমি নিশ্চিত। কারন প্রকাশিত দুই অধ্যায়তেই উৎকৃষ্ট ভাড়ামোর সন্ধান পাওয়া গেছে। পাইক্কা মিলিটারী উপস্থিতি যেখানে আছে আর যেখানে হুমায়ূনের কোন চরিত্র আছে, আপনার ধরে নিতে হবে সেখানে রাজপুত্রের চেহারা নিয়ে এক মিলিটারি আছে। আমি জানি না কীভাবে সম্ভব এইটা!
@সাইফুল ইসলাম,
হুমায়ুনের লেখার সাথে বহুদিন পরিচিত তাই আমার মনে ওনার একটি মাইন্ড সেট আছে। আমার মনে হয় না উনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, রাজাকার দমন, কিংবা কোন রকমের আদর্শ নিয়েই সিরিয়াসলি ভাবেন। ওনার মূল উদ্দেশ্য থাকে চমক দিয়ে পাঠক ধরে রাখা, ব্যালেন্সিং নীতি বজায় রাখা (কোনদিন বিএনপি/আওয়ামী এ ধরনের কোন পক্ষপাতিত্বে কোন ভাবেই না যাওয়া, কোথাও নাস্তিক মার্কা সুরে লেখা আবার সেটা কাটাতে কোরান হাদীসের বানী ঢুকিয়ে নিজেকে সাচ্চা ইসলাম প্রেমি প্রমান করা), সর্বোপরি নিজের নিরাপদ অবস্থান বজায় রাখতে কোন রকমের ঝুঁকিতে না যাওয়া। এই শেষেও কারনেই সম্ভবত ওনার অজস্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখায় জামাতে ইসলামী দলটির কোন উল্লেখ থাকে না। ছোট ভাই এর মত মৌলবাদীদের বিষদৃষ্টিতে পড়ার ঝুঁকি উনি কোন ভাবেই নেবেন না। সম্প্রতি মৌলবাদীদের কাছে উলটো জনপ্রিয় হয়েছেন।
জোছনা জননী আমার কাছেও তেমন উচ্চমানের লেখা মনে হয়নি, তবে আমাদের সাহিত্য জগতের তূলনায় বলতে হবে সেটা খুব কম নয়। জ্ঞানী বিহারী রাজাকার, শাহরুখ খান নামের সুদর্শন, শান্ত সৌম্য মুর্তির পাক অফিসার এসব খুব অসম্ভব না হলেও তার লেখায় এসব লোক এভাবেই বারে বারে আসে।
পাকিস্তানীদের কিছু লোকে ফর্সা সুন্দর (পাঞ্জাবি/পাঠান) এতে তেমন সন্দেহ নেই, এটা মিথ্যা নয়। তবে পাক আর্মি বলতেই উনি সাধারনত এদেরই দেখেন।
আনোয়ার হোসেনের আর্টিকেলও পড়লাম। ভালই লিখেছেন। এ উপন্যাসে কিছু তিক্ত সত্য উঠে আসবে বলেই মনে হয় যেগুলি অন্ধ বংগবন্ধু ভক্তদের জন্য তেমন প্রীতিকর হবে না। জিয়া প্রেমিদের জন্যও খারাপ খবর আছে। মুশকিল হল সেসব প্রতিষ্ঠা করতে বিতর্কিত কিছু সূত্রের আশ্রয় নেওয়া যার কারনে আসল ব্যাপারই চাপা পড়ে যাবে।
@আদিল মাহমুদ, অসাধারণ বলেছেন।
আসলে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস হতে পারে অবসর সময়ে যখন ভাল কিছু করতে মন চায় না তখন অলস সময় কাটানর একটি উপায় মাত্র।
@অচেনা,
আমি একজনের একটা লেখায় একবার পড়ছিলাম, ধরেন আপনার ঘন্টা খানেক বা ঘন্টা দুয়েকের একটা ট্রেন জার্নি করতে হবে। তো এই সময়টা বসে বসে কী করবেন? একটা হুমায়ূন আহমেদের বই কিনে ফেলুন। পড়তে থাকুন। যখন স্টেশনে পৌছাবেন ততক্ষনে বই শেষ হয়ে গেছে। ট্রেন থেকে নামার সময় বইটা আস্তে করে ফেলে দিয়ে গন্তব্যে চলে যান।
@আদিল মাহমুদ,
ঘটনা ১০০ভাগ সত্য।
আমি হুমায়ূনের উপন্যাসে খারাপ দেখতে কোন চরিত্র পাই নাই এখনও।
@সাইফুল ইসলাম,
চেহারা বিষয়েও উনি স্বতন্ত্র। কেন যেন ওনার কিঞ্চিত উলংগ প্রীতি আছে। এমনকি ওনার অশরীরি চরিত্ররাও প্রায়শই উলংগ অবস্থায় আছে, তাদের আবার দেখতে পায় সুন্দরী নায়িকারা। মাঝে মাঝে উল্টোও হয় অবশ্য।
একদম খাঁটি কথা। (Y)
একদিকে এটা ঠিক যে আজকে হুম্যানের বই নিষিদ্ধ করলে কাল অভিজিতদারটা করতে পারে। কিন্তু হুম্যানের মতো জনপ্রিয় লেখক যে দিনকে রাত বললে পাঠক সেটাই মেনে নেয় সে যদি মিথ্যা ইতিহাস লিখে তার ফলাফল কতটা খারাপ হতে পারে?
তবে আমি একটা বই নিষিদ্ধ করার পক্ষে,সেইটা হলো মোস্তফা জব্বারের মাধ্যমিক কম্পিউটার শিক্ষা,পড়লে মাথায় শর্ট সার্কিট হয়ে যায়।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
নির্ভর করে মেনে নেয়া জনগনের কতভাগ হুমায়ূনের তৈরী করা হিমু তার উপরে। হিমু টিমুরা ইতিহাস জানলেও দেশের কিছু হবে না, না জানলেও কোন ক্ষতি হবে না।
তোমার মস্তিষ্কানুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য এইটা ভাবা যাইতে পারে। :))
@সাইফুল ইসলাম,
স্কুলের পাঠ্য বই নিশ্চই উপন্যাস না। যদিও হয় সেইক্ষেত্রে কিন্তু স্ট্রিক্ট নিয়ম মানতে হবে
হুআ’র পাঠকরা হুআ’র বইকে কিন্তু স্কুলের পাঠ্যবই বা ইতিহাসের মতোই মনে করে। তাছাড়া তার বেশির ভাগ পাঠকই আমার ধারণা স্কুলের ছাত্র। আলু পত্রিকায় অনলাইন সংস্করণে আলু-পাঠকরা হুআ’র কাছ থেকে সঠিক ইতিহাস জানার জন্য যে আহাজারি শুরু করেছিল, তাতে মনে হয় বইটি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি স্বয়ং হুআ’কেও নিষিদ্ধ করা উচিত।
@হেলাল,
এটা আমার মতে তেমন কোন কঠিন সমস্যা না। যারা হুমায়ূন সম্পর্কে, হুমায়ূনের বই সম্পর্কে খোজ খবর রাখে তারা তার বইয়ের কন্ট্রোভার্সি সম্পর্কেও খবরা খবর রাখবে বলেই আশা করা যায়। আর যারা নিজের চেষ্টায় খবর রাখে না, জানানোর পরেও রাখে না, হেলাল ভাই, আপনাকে বলি, ওদের না জানলে কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না।
সাইফুল, বইটির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা নিয়ে কিছু আর নাই বা বললাম। তবে এটুকু বলতে পারি যে, আপনার লেখাগুলো (সেটা যা নিয়েই লিখেন না কেন) পড়লে দুটো বিপরীত অনুভূতি হয়। একদিকে মনে হয় প্রতিটা শব্দ লিখতে লিখতে হয়তো আপনি নিজেই নিজের ‘কেশ ছিড়ছেন’ আর অন্যদিকে চরমভাবে ‘বিনোদিত’ হতে হতে হাসতেই থাকি। আরো বেশী করে লিখেন না কেন আপনি?
@বন্যা আহমেদ,
জুতো মেরে গরু দান করলেন কিনা বুঝতেছি না কিন্তু বন্যা আপা। :-s :))
সাইফুল, তারপরও আপনার সাথে কিঞ্চিৎ দ্বিমত করার অবকাশ আছে। হাজার হাজার বই নিষিদ্ধ হবে এমনটা আশা করা ঠিক না। তবে যে লেখাটা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে সম্ভাবনা দেখা দেয়, তার বিকৃতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন অস্বীকার করা কি ঠিক হবে ? স্কুল পাঠ্যে যদি একটা বিকৃত ইতিহাস ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তার প্রভাবটা চিন্তা করে দেখেন তো ! একটা ক্লাশের সবগুলো দুষ্ট ছাত্রকে সাজা দেয়া কঠিন হয়তো। তবে সবচেয়ে দুষ্ট ছেলেটাকে সাজা দিয়ে দৃষ্টান্ত রাখতেই হয় নিয়ন্ত্রণের জন্য।
আর মাকাল ফলদের অবহেলা করারও সুযোগ নেই। কেননা এরাই সমাজে সংখ্যাগরিষ্ট অংশ। এদেশে অন্ধ ধার্মিকদের সংখ্যাগরিষ্টতার কারণেই কিন্তু অনেক ভালো উদ্যোগ বিফলে যায়। আজ যুক্তিবাদী মুক্তদৃষ্টি সম্পন্ন লোকের সংখ্যা এদেশে কম নয়। কিন্তু তারাও কিন্তু মাকাল ফলদের নৈরাজ্যের কাছে অসহায় হয়ে থাকে। প্রশ্ন হলো, আপনি ইতিহাস বিকৃতিকে প্রশ্রয় দেন কিনা। ফিকশন লিখুক যে যার ইচ্ছা মতো। কিন্তু ইতিহাস আশ্রিত কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন কোন উপন্যাস রচনার বিশাল বিজ্ঞাপন নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়, সেটার বিকৃতিকে মেনে নেয়ার কোন অর্থ হয় না। আমরা সবাই স্বাধীনতা চাই। কিন্তু স্বাধীনতা মানে কি স্বেচ্ছাচারিতা ?
আজ অফিসে গিয়ে জামাত মনস্ক সহকর্মীদের ক্ষোভ আর উষ্মা দেখেই বুঝতে বাকি থাকে না যে, এটা হয়তো সুদূরপ্রসারী কোন দুরভিসন্ধিরই পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ। যাদেরকে কখনো একটা বই কিনতে বা পড়তে দেখি না, লেখকের স্বাধীনতা নিয়ে এরাও যখন হৈ হল্লা করছে, তখন কী আর বলবো ! অথচ আমার একটা উৎবচনের উক্তি শুনেই এরা কিন্তু কদিন আগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেছিলো আমার প্রতি। লেখক স্বাধীনতার এই বিভ্রম কী দিয়ে ব্যাখ্যা করবেন ? বিষয়টাকে আগে এতোটা হাল্কাভাবে নেয়া হয়েছিলো বলেই আজ ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হয়। যাক্, বিষয়টি নিয়ে অল্প কথায় বোঝানো মনে হয় সম্ভব নয়। তারপরও বললাম। ধন্যবাদ।
@রণদীপম বসু,
অবশ্যই দ্বিমত করতে পারেন। না করলেই অবাক হব।
স্কুলের পাঠ্য বই নিশ্চই উপন্যাস না। যদিও হয় সেইক্ষেত্রে কিন্তু স্ট্রিক্ট নিয়ম মানতে হবে। কেননা স্কুলের বাচ্চারা কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল সেটা বিচার করতে পারবে না যেটা আমি বা আপনি পারব। তাদেরকে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে আমাদের যেখানে দাঁড়িয়ে সে বিচার করতে পারবে হুমায়ূনের উপন্যাস পরে ইতিহাস জানবে নাকি মুলধারা একাত্তরের মতন বই পড়তে হবে। যেই কাজটা আমরা আমাদের দেশে সঠিকভাবে করতে পারিনি বলেই আজকে মাকাল ফলে দেশ ছেয়ে গ্যাছে।
আমি মানছিও না। হুমায়ূন সম্পর্কে আমার মতামত জানলে হয়ত এ কথা আপনি বলতেনও না। শুধু মাত্র ফালতু লেখার জন্যেই হুমায়ূন অপাঠ্য হবার যোগ্য, তার উপরে ইতিহাস বিকৃতি করাতো অনেক পরের কথা।
কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার কী করতে পারত? বোধ করি এটাই আপনার আসল জিজ্ঞাসা। সরকার একটা গেজেট প্রকাশ করে বলতে পারত বইয়ে যে ইতিহাস লেখা হয়েছে সেটা সম্পূর্নই ভ্রান্ত। পত্রিকায় লেখালেখি হতে পারত। আমার তো মনে হয় সরকার এই আজাইরা সিদ্ধান্ত নিয়ে হুমায়ূনের মুখোশটাকে সঠিকভাবে জনসম্মুখে বের করতেই বাধা দিল।
জামাত সরকারের খারাপ পদক্ষেপ সম্পর্কে উষ্মা প্রকাশ করলে নিশ্চই আপনি আলু পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মতন বালুতে মুখ গুজে বসে থাকবেন না, শুধুমাত্র জামাত বলেছে এই জন্যেই? জামাত উষ্মা প্রকাশ করছে তাদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে, আমরা করব আমাদের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে।
আমরা অবশ্যই সোচ্চার হব। কিন্তু সেটা মুখ টিপে ধরে নয়। কারন হুমায়ূনের এই লেখার প্রতিবাদ করার জন্য অনেক অনেক এবং অনেক উপায় রয়েছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম, আপনার আর আমার চেতনায় কোন গরমিল নেই। তবে দৃষ্টিভঙ্গির বিবেচনায় কিঞ্চিৎ পার্থক্যটার হেতু বুঝতে পারলাম এখন। সেটা হলো, আপনি হয়তো বিচার বিভাগকে সরকারের অংশ হিসেবে ভাবেন নি। অথচ আমার ধারণায় বিচার বিভাগ সরকারেরই একটা অংশ। আমি এখানে সরকার বলতে ক্ষমতাসীন দলকে বুঝতে চাই নি। হয়তো ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব আছে, কিন্তু বিচার বিভাগ সরকার বা রাষ্ট্রের একটা অঙ্গ তো বটেই ! অতএব বিচার বিভাগ এখানে দায়িত্ব পালন করা মানে সরকারই দায়িত্ব পালন করেছে বলে ধরে নিয়েই আমার মন্তব্য প্রকাশ করেছি। এবং সেক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চাইতে এটাই অধিকতর প্রভাব বিস্তারী হয়েছে বলে মনে করি। এতে করে এটা চাউর হলো যে হুমায়ুন ইতিহাস বিকৃতি করছেন। সেইসব মাকাল ফলের বোধে এটা হয়তো এন্টিবায়োটিকের কাজ দেবে, এই যা।
আর হুমায়ুন লিখলে তার ভুল ধরিয়ে যে পাল্টা লেখার কথা বলছেন, সেটা তো সেই মাকাল ফলরা পড়বে না ! তাহলে কী লাভ হলো ? শেষপর্যন্ত ক্ষতিটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে না !! আমার বক্তব্যটা কি বোঝাতে পারলাম ?
@রণদীপম বসু,
সরকারের যেকোন পদক্ষেপই জনগন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে লক্ষ্য করে।যেমন দুদিন আগের ঘটনা। মাল মুহিত বলল, বিশ্লেষন না করে রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টে যাওয়া আমাদের উচিত হয় নি। বাঙলাদেশে যারা পত্রিকা পরে তারা কিন্তু সবাই এই খবর পেয়ে গেছে। কারন? কারন এটা সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রতিক্রিয়া সরকারেরই কাজের বিপক্ষে। আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি সেটা হল, সরকারের পদক্ষেপ কিন্তু একটি জনগন আকর্ষনকারী ব্যাপার। আপনি মনে করছেন আদালতের মাধ্যমে সতর্কতা জারী(যেটা আসলে নিষেধাজ্ঞা) করার ফলে মাকাল ফলগুলোর কাছে সেটা “এন্টিবায়োটিকের ” মত কাজ করবে। করবে যে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। কিন্তু এই এন্টিবায়োটিকের একটা রিএকশনও থাকবে।
সাধারন ঔষধ থাকতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে এন্টিবায়োটিক দেওয়া স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
যেটা আমি আগেও বলেছি সরকারী একটা প্রজ্ঞাপন জারী করে বইটির ইতিহাস বিকৃতি সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হলে সেটা প্রত্যেকটি পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম হত নিঃসন্দেহে। সরকারের কাজ হল, নিষিদ্ধ করার মতন অসভ্য একটা কাজও করা হল না। আবার হুমায়ূনের বালকপাঠক-বালিকাপাঠিকদের জানানোও হল।
মতামতে ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ভালো লাগল কথা বলে রণদা। 🙂
@রণদীপম বসু,
“বিকৃতিকে মেনে নেয়ার কোন অর্থ হয় না। আমরা সবাই স্বাধীনতা চাই। কিন্তু স্বাধীনতা মানে কি স্বেচ্ছাচারিতা ?” সমস্ত সেন্সরশিপের শুরু ঠিক এই রকম একটি বাক্য দিয়ে শুরু হয়. হুমাযুন আহমেদ উপন্যাস (মতান্তরে অপন্যাস) লিখছেন, ইতিহাস নয়. তাছাড়া সরকারী ব্যাখ্যান টি যে একশ ভাগ সত্যি সেটার প্রমান কি ? অতএব হুমায়ুন তার মতন লিখুন. সরকারী ভাষ্যের সঙ্গে তার বয়ানের ফারাকের কারণ তাকে আজ না হোক কাল ব্যাখ্যা করতেই হবে, সেটা না করতে পারলে তার গপ্পো কে লোকে গপ্পো বলেই মানবে, ইতিহাস নয়.
সাইফুল সাহেব হুমাযুন আহমেদের লেখা পছন্দ করেন না. তাতে কোন সমস্যা নেই, সবার সব লেখা ভাল লাগতে হবে এমন কোন কথা নেই. কিন্তু হুমাযুন আহমেদের ওপর তার সব গুস্সা অপ্রাসঙ্গিক ভাবে এই লেখায় প্রকাশ কলেন কেন ? এই লেখার মূলকথা তো দেয়াল উপন্যাস নিষিদ্ধকরণ নিয়ে হুমাযুন আহমেদের সাহিত্যের মান নিয়ে নয়. তাই যে দুই জন বিচারপতি অর্বাচীনের মতন একটা নির্দেশ জারী করেছেন তাদের নিয়ে কোন আলোচনাই হল না.
@মিয়া সাহেব,
এই কথাটা হুমায়ূন নিজে বলেছে, আর হুমায়ূন-অনুসারীরাও বলছে। আপনি ঠিক কোন দলে আমি জানি না। যদি সাধারন একটা উপন্যাসই লিখত তাহলে চরিত্রগুলো কেন ঐতিহাসিক? নাকি সবগুলো চরিত্র কাকতালীয়ভাবে ইতিহাসের প্রভাবশালী চরিত্রগুলোর সাথে মিলে যায়?
মূল লেখাতে হুমায়ূন সাহিত্য সম্পর্কে আসলে কোন কথা নাই। আমি ফোকাসড করতে চেয়েছি শুধু নিষেধাজ্ঞার উপরে। আর দুই বিচারপতি কিন্তু আসল বিষয়বস্তু না। আসল ব্যাপারটা হল নিষেধাজ্ঞা। কারন এইদুই বিচারপতি না হয়ে অন্য দুইজন এই কাজ করলেও আমরা প্রতিবাদ জানাতাম।
অসাধারণ যুক্তি! অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে যে প্রশ্নটি করেছেন, তাও মোক্ষম হয়েছে! বিচার তো দু’রকম হতে পারে না। আদালতের রায় আমাদের বিচার-ব্যবস্থার নগ্নতাকেই তুলে ধরেছে মাত্র!
তাহলে শুধু ইতিহাসের বই পড়েই ইতিহাস জানতে হবে? উপন্যাসের ইতিহাসকে আপনি খারিজ করে দিচ্ছেন? লেখকের মনের মাধুরী সত্যকে ঢেকে ফেলে বলে? মুস্কিল হল, আপনি যে গাদা গাদা ইতিহাস বহির উপর আস্থা রাখছেন, তা যে লেখকের মন-মাধুরীর হাত থেকে রেহাই পাবে, তার নিশ্চয়তা কই? জানেন তো, আম্বালীগ ও বিনপির আলাদা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে? এমনকি জামাতেরও একখানা একান্ত ‘১৯৭১’ রয়েছে!
তবে আরো বড় মুস্কিল আছে! সাহিত্যে লিখিত ইতিহাসকে ছুঁড়ে ফেলে দিলে যে এই পৃথিবীর অনেক ইতিহাসই আর পাওয়া যাবে না! প্রাচীনকালে এখনকার মত শুধু ইতিহাসকেই ভালবেসে ইতিহাসের সন্ধানে ব্যাপৃত থেকে মস্ত মস্ত ইতিহাস বহি লেখার চর্চা ছিল না। আজকের অনেক ইতিহাসবেত্তা সেই যুগের ইতিহাস সাজিয়েছেন ঐ সময়কার সাহিত্য তল্লাস করেই। তো সাহিত্যের ইতিহাসকে পাতিহাসের দলে ঠেলে দিলে, সেই দলে আমার-আপনারও ঢুইকা যাওয়ার সম্ভাবিলিটি কিন্তু এক্কেবারে উড়ায় দেওন যায় না!
@কাজি মামুন, ভাই আপনার সাথে আমি একমত । কিন্তু মনের ভাব টা লেখায় আনতে পারতেসিলাম না বলে লিখতে পারতেছিলাম না । 🙂
@কাজি মামুন,
আপনি যদি আসলেই ইতিহাস জানতে চান তাহলে আপনাকে হার্ডকোর ইতিহাসের বইই পড়তে হবে।
নিশ্চয়তা নাই বলা যায় না। একজন ঐতিহাসিকের কথা সেই ঐতিহাসিকের নামের কুদরতে কেউ বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে তার ক্রেডিবিলিটি দেখে। প্রমান দেখে।
এখন কার ইতিহাসটা সঠিক এইটা জানতে মাথায় কিছু পরিমানে ধুসর পদার্থ থাকতে হয়। ইতিহাস বললেই সেটা ইতিহাস হয়ে যায় না। তার জন্যে কিছু ক্রেডিবিলিটি দরকার হয়। ৭১-এ এদেশে কী হয়েছে সেটার বক্তব্য আমরা যা জানি তার থেকে জামাতের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা হবে। আপনি কোনটা সঠিক মনে করেন?
জামাতেরটা না নিশ্চই? তাহলে বলেনতো কেন জামাতেরটা বিশ্বাস করেন না?
তাই নাকি? আপনার জ্ঞ্যানে আমি সবসময়েই চমৎকৃত হই। দুই একটা ঘটনার নাম বলেন তো যেগুলো আপনি ঐতিহাসিক উপন্যসের মাধ্যমে পেয়েছেন কিন্তু ইতিহাসের বইতে ছিল না। তাহলেই আমি আমার ভুল স্বীকার করে নেব।
বলেন কী? তাইলে Augustus, Cassius Dio, Eunapius, Herodotus(আরো অন্তত আধা ডজন ঐতিহাসিকের নাম আমি জানি যারা ঐতিহাসিস উপন্যাস লেখে নাই ইতিহাস রচনা করতে) এরা কারা?
Polybius জন্মাইছিল খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সালে। তার The Histories বইতে খ্রিষ্টপূর্ব ২২০ থেকে ১৪০ সাল পর্যন্ত ডিটেইলস বর্ননা আছে। ঐটা কিন্তু ঐতিহাসিক উপন্যাস ছিল না।
আজকের ইতিহাসবেত্তারা ঐ যুগের ইতিহাস সাজিয়েছে বলতে কিন্তু কোন রাজা কোন ষড়যন্ত্রে কীভাবে মারা গেছে এইটা জানায় নাই। জানাইছে ঐ রাজা কেমনে খাইত, কী খাইত, কয়টা বিয়া করছিল, কয়জন হারেমে ছিল এইসব। ট্রয় হোমারের বই। এইটাকি ইতিহাস? হইতেও পারে নাও হইতে পারে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে ট্রয়ের কাহিনীর মতন যুদ্ধ হয়ত হয় নাই কিন্তু ঐ সময় খুবই বিখ্যাত একটা যুদ্ধা হইছিল দুইটা রাজ্যের মধ্যে। কিন্তু আপনি যদি কন হোমার যা কইছে ঐগুলাই ইতিহাস তাইলে জিউসও হাচা, হেলেনও হাচা লগে একিলিসিও হাচা। আপনার কী মনে হয়? আসলেই হাচা?
কথা সত্য। সম্ভাবিলিটি হ্যাজ। তবে আমার কিন্তু কোন লেখকের ঐতিহাসিক উপন্যাসে ঢুকতে খারাপ লাগব না।
@সাইফুল ইসলাম,
মজার ব্যাপার কি জানেন? আমার এই সমস্তা জ্ঞ্যান কিন্তু আপনার লেখা পরেই অর্জিত!
আপনি চমৎকৃত হন আমার জ্ঞ্যানে, আর আমি চমৎকৃত হই আপনার সাধারণীকরণের ক্ষমতায়! হার্ডকোর ইতিহাস বহির কথা কেউ অস্বীকার করছে? কিন্তু আপনি সাহিত্যে বর্ণিত ইতিহাসকে পাতিহাসের দিকে ছুঁড়ে ফেলাতেই না এত প্রশ্ন উঠল! ইতিহাস জানার জন্য ইতিহাস বহি পড়াই সবচেয়ে উপযোগী; কিন্তু তাই বলে সাহিত্যে বর্ণিত প্রাসঙ্গিক ইতিহাস পুরো বর্জনীয়, সে কথা কোন যুক্তিবিদ্যার বইতে বলা আছে?
ক্রেডিবিলিটি একটা সুন্দর ক্রাইটেরিয়া বটে! তো এই ক্রাইটিরিয়াটা উপন্যাসের ইতিহাসে প্রয়োগ করুন না! নাকি ক্রেডিবিলিটি শুধু ‘ইতিহাস’ গ্রন্থের জন্যই বরাদ্দ? অথবা গবেষণা/প্রমাণ শুধু ঐতিহাসিকদের জন্যই প্রযোজ্য?
আপনি তো ৭১-এ জন্মাননি; তা হলে আপনি কেমন করে জানেন? ইতিহাস বহি পড়ে? তো আপনি একজন বিনপিমনা লোকের লেখা ইতিহাস পড়লেন, যেখানে কার্যত জিয়াকেই মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নায়ক হিসাবে দেখানো হয় (যেহেতু মুজিব দেশকে জল্লাদের মুখে ঠেলে দিয়ে নিজের আখের গুছাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, তাদের ভাষায়); তো আপনি কি করবেন? দেখুন ৭১ এ যা ঘটেছিল, তার তো দু’রকম ইতিহাস থাকতে পারে না। সত্য ইতিহাস একটাই থাকে। তারপরও আপনাকে প্রশ্নটা করেছিলাম, আপনার ইতিহাস বহির উপর অগাধ আস্থা দেখে! ইতিহাস বহি বলুন, আর সাহিত্যে বর্ণিত ইতিহাস বলুন – দু’জায়গাতেই ভেজাল থাকতে পারে! ক্রেডিবিলিটির প্রশ্নে আপনি কোন একটিকে এগিয়ে রাখতে পারেন না।
উপন্যাস তো আধুনিক যুগের ব্যাপার-স্যাপার! কিন্তু বৃহৎ অর্থে আপনার দর্শনকে সাহিত্যে বর্ণিত ইতিহাস গ্রহণের বিরোধী বলেই মনে হয়। তো সেই অর্থে, পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন বই ছাড়া আর কোথা থেকে আপনি চার্বাকদের সম্পর্কে জানতে পারেন? আপনি যদি অবিশ্বাসী হয়ে থাকেন, তাহলে বেদ-বাইবেল-কোরানসহ সমস্ত ধর্মপুস্তকই আপনার কাছে এক প্রকার সাহিত্য । আর এখান থেকেই কিন্তু আপনার প্রিয় ঐতিহাসিকবৃন্দ তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার স্বরূপ খুঁজে বেড়ান।
ঐ যে বললাম সাধারণীকরণ! কেউ বলেছে, ঐতিহাসিকরা উপন্যাস লিখে ইতিহাস রচনা করেন? অথবা প্রাচীন যুগ শুধু আপনার দেয়া নাম আর সময়কালেই সীমাবদ্ধ? এর চেয়েও প্রাচীন নেই? আর আপনার বর্ণিত খ্রিস্টপূর্ব সময়ে কোন উপন্যাস লেখা হয় নাই, যা থেকে ইতিহাসের আকর অনুসন্ধান করা যায়?
জিউস/হেলেন হাচা না; কিন্তু আপনিই তো বললেন, এমন একটা যুদ্ধের কথা জানা গেছে। আর ঐ যুদ্ধের তালাসে প্রাথমিক তথ্যটা সরবারহ করেছিল হোমারই! আপনার অজানা থাকার কথা না (যেহেতু আপনার জ্ঞ্যান আমার থেকে অনেক বেশী) যে, আজকের দুনিয়ার নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের অনেক বড় ঋণ সাহিত্যের ইতিহাসের নিকট! এমনকি আপনার কাছে ফেলনা রূপকথা/ দৈত্য-দানব/রাক্ষসের গল্প থেকে ইতিহাসের মনি মুক্তা তুলে আনছেন নৃতাত্ত্বিক ঐতিহাসিকরা!
ভাল থাকবেন। আপনার মূল লেখাটা কিন্তু আমার খুব ভাল লেগেছে।
কাল রাতের প্রথম আলোর অনলাইন আপডেটে খবরটির শিরোনামে ‘নিষিদ্ধ’ কথাটি ছিল। একটু পরেই দেখি তা উধাও। আজকের পেপারে দেখলাম ‘সংশোধন করে প্রকাশের আশা আদালতের’।
@প্রদীপ দেব,
কিন্তু না করলে?
মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে তো জানা তথ্যের বিকৃতির লাইসেন্স নয় কি বলেন সাইফুল? সেই ক্ষেত্রে আদালতের রুলজারীকে অতোটা দোষারোপ করা যায় কিনা জানিনা। এসব বিষয় গুলো গুরুত্ত্বদিয়েই বিবেচনা করা উচিৎ বলে আমি মনেকরি। তা নাহলে আমাদের মতো দেশে তথ্যের ক্ষেত্রে গোয়েবেলসীয় ইফেক্ট দেখা দিতে পারে।
আর বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলটি ফাউল নয় সেটা যদিও ব্যপক গবেষনার বিষয় তবুও গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসতে অপেক্ষাকৃত সহায়ক দলগুলোর মুখাপেক্ষী হওয়া ছাড়াকি আমাদের সামনে কোন বিকল্প আছে? নেই। ফাউল আওয়ামীলীগ বাদ দিলে মহা ফাউল জাতীয়তাবাদী কিংবা জাতীয়পার্টি আছে, আর শেষের দুইটার ঘাড়ে চড়ে লুচ্চা জামাত যে সামনে এসে দাঁড়াবে তাতে কোনই সন্দেহ নেই। এমনকি চান্স পেলে আওয়ামীলীগের ঘাড়ে চেপেও হাজির হয়েযেতে পারে! ভাবুনতো কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে! বরং এই ফাউল আওয়ামীলীগকেই বেলাইন থেকে লাইনে রাখার জন্যে ঠেঙ্গানো যেতে পারে।
আর প্রথম আলো? যথাযথ ভাবে একে প্রথম আলু বলা হয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা বলি। এই পত্রিকাটা আসলে কোন আদর্শ বহন করে বলে মনে হয়না। এই যে বললেন না যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, এই পত্রিকা ওয়ালাই গলাফাটিয়ে টি. ভি শো থেকে শুরু করে যেখানে সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে, অথচ সে নিজেই আবার মতপ্রকাশের গলার টুটি চিপেও ধরে! নেও ঠেলা এবার সামলাও। আসলকথা হলো ব্যবসা। ফরিদ ভাই, শুধু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে না, প্রগতির বিরুদ্ধে, বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে এই আলুর যথাযথ থাবা সম্প্রসারণ প্রায়ই আমার চক্ষুগোচর হয়। গুম নিয়ে কতো কাহিনী করলো এই আলু, অথচ আলু নিজেই সদস্যদের মন্তব্য গুলো গুম করে দেয় অনায়াসে! আমি ভেবে পাইনে যে এই প্রথম আলোর আচোড়ন আর জামাতের আচোড়নে এতো মিল কেনো!
@পি. পত্রপূট,
আপনিই বলেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা কী। তারপরেই না হয় আলোচনায় যাই।
আপনি ঠিক কোন ক্রাইটেরিয়ায় আম্লিগকে ফাউল এবং বিএনপি জামাতকে ফাউলতর বললেন সেটা আমার মোটেই বোধগম্য নয়। যাই হোক যার যার মত ব্যক্তিগত। আমি আম্লিগকে ঠেঙিয়ে লাইনে আনা যাবে বলে মনে করি না। যেখানে অন্য অপশন আছে।
ফরিদ ভাইকে দেয়া মন্তব্যেই বলেছি উপরে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
হুমায়ুন আহমেদ সাহিত্য সম্রাট হৈলে
তেলা পোকাও জেট প্লেন! :hahahee:
@বিপ্লব রহমান,
কতা হাচা। :))
আদৌ বাংলাদেশে সেই অর্থে কোন সাহিত্যিক বা উপন্যাসিক আছে কী ?
@সেজবা,
বাঙলা গদ্য সাহিত্য দূর্বল। তারপরেও বেশ কয়েকজন খুব, খুব শক্তিমান লেখক আছেন যাদের গদ্য আন্তর্জাতিক মানের।
আর আপনার “কী”টা “কি” হবে। 🙂
আওয়ামী লীগ, আদালত ও হুমায়ূন আহমেদ …….
ঈশ্বর উহাদের মংগল করুক ……..
সবাই বলেন …… আমিন !!!
:guru: :guru: :guru:
@নোবেল,
আমিন। ছুম্মা আমিন।
লেখাটার জন্যে ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। আসলে কি নিষেধাজ্ঞা? বিডিনিউজ২৪ ও প্রথমালো তো বলছে আদালত কেবল আশা করছে যে হুমায়ূন আহমেদ লাইনে আসবে। লেখার স্বাধীনতার পক্ষে আমি। তবে কেবল এইটুকু বলার সুযোগ পাওয়ার চেয়েও বিষয়টা উত্থাপিত হওয়ার গুরুত্ব বরং এখানে যে এই অধিকারগুলা আর ব্যতিক্রমগুলা নিয়া চিন্তাভাবনায় এখন স্ট্রেসটেস্টিং করা যাইতেছে। আওয়ামী লীগ দন্তনখরযুক্ত রাষ্ট্রবাদী হইতে পারে, কিন্তু ভোদাই না। সে শেষমেশ উপন্যাস নিষিদ্ধের পথে হাঁটবে না হয়তো। আদালতরে দিয়ে আশা করাইয়া হুমায়ূনরে লাইনে আনবে। আপনে এইটারে নিষিদ্ধও বলতে পারবেন না তখন। বড়জোর বলতে পারবেন যে আদালতের এইসব নিয়া কথা বলার এখতিয়ার কী? কিন্তু আবার নিশ্চিতও করা কঠিন যে আদালতের এখতিয়ার নাই। ফলে নিষিদ্ধ যতক্ষণ না করতেছে, আদালতরে দিয়া আশা করানো আমার চোখে আওয়ামী লীগের সেন্সিটিভ রাজনৈতিক চাল। প্রথম আলো চাল চাললে আমরা রাষ্ট্রবাদী হইয়া ওদের নিষিদ্ধ করতে পারি না, হক কথা। এতে আমরাই বরং ভিলেন হইয়া যাই, প্রথমালো গোষ্ঠি হইয়া যায় কাউমাউয়ের নায়ক। কিন্তু আমরা যে চাল চালতে পারি না, এইটা একেবারে হলফ কইরা বলার মতো নিশ্চয়তা পাইতেছি না। আপাতত এইটা আমার ভাবনা।
এখানে একটা কথা বুঝতে চাইতেছি অনেক দিন ধরে। মাকাল ফল হবার বা অথর্ব হবার কি অধিকার আছে কি নাই? নাকি অথর্ব হওয়া নিষিদ্ধ। প্রগতিশীল ভাবনার চরম রূপটা কিন্তু অথর্ব হবার অধিকাররে অস্বীকার করে। এমন কি অবিজ্ঞানমনষ্ক হবার অধিকাররেও অস্বীকার করে। সবাইরে লাইনে রাখতে চায়। উদ্দেশ্য মহৎ সন্দেহ নাই। কিন্তু এর ফলাফল সবসময় ভালো ঠেকে না। আবার মুক্ত হাওয়া বাতাসে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ঈশ্বরের রাজ্য তৈরি হয়। কথা হইলো মুক্তি না প্রগতি?
@রূপম (ধ্রুব),
এবং? এবং লাইনে না আসলে বই প্রকাশ করতে দিবে না। অনেকটা এইরকম, আমি একটা প্রশ্ন করব, সেইটার উত্তর আপনাকে দিতে হইব হ্যা এবং না এর মধ্যে। এর বাইরে না। এবং উত্তর না দিয়াও আপনি পারবেন না। আবার আমি বলব এইটাই আপনার স্বাধীনতা! আমরা যদি ধরে নেই “লাইনে” আনার পরেই প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হইব তাহলে সম্পূর্ণ বইটা সরকার লিখলেই পারে।
মাকাল ফল হওয়া অধিকারের প্রশ্ন না। কেউ ইচ্ছা করে মাকাল ফল হইতে চাইলে সে হইতে পারে(হয় কি?)। অথর্ব হওয়াটাও তো নিষিদ্ধ না। কিন্তু খুব বেশি ভাব ধরা যাবে না। এইটাই হইল আমার কথা।
অথর্ব হইতে হইতে যদি একজন “থর্ব( :)) )”রে জোর করে অথর্ব করতে চায় তা হইলে আমি গদাম দেওয়ার পক্ষপাতি।
দুইটাই।
@সাইফুল ইসলাম,
কিন্তু ভাবখানা দেখে মনে হইতেছে হুমায়ূন লাইনে না আসলে আদালত কেবলই হতাশ হইবেক।
থর্ব হইতে হইতে যদি একজন অথর্বরে ‘জোর’ কইরা থর্ব করতে যায়, তাইলে তার ব্যাপারে কী করার পক্ষপাতী? প্রগতির কাছে তো এইটা সওয়াবের কাজ। :-s
@রূপম (ধ্রুব),
প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় ঐ সওয়াব না নেওয়াটাই বরং প্রগতিশীলতা, যেহেতু এইখানে “জোর” কথাটা আছে। আমি জোর করার পক্ষপাতি না যতক্ষন না আমার বাড়া ভাতে ছাই ফেলতেছে।
হতে পারে এটা হুমায়ূন আহমেদের-ই একটা পাতানো খেলা। যদিও তিনি অপন্যাস লেখেন, আমার বিশ্বাস উপন্যাস কি তা তিনি জানেন। আর জানেন বলেই তিনি বোঝেন যে মুজিবকে নিয়ে তার পক্ষে অপন্যাস লেখাও সম্ভব নয়। আর তাই ইচ্ছে করেই তিনি ঐ প্রকাশিত অংশ নিষিদ্ধ হবার জন্যই লিখেছেন। নিজে না বলে, হাসিনার সরকারকে দিয়েই না বলিয়ে নিতে চান বলে মনে হচ্ছে।
@আদনান,
হইতে পারে। 🙁
চরম!!
হুমায়ূন যেমন ফাউল, আম্বালীগও তেমন ফাউল। দুই ফাউলে ভালই লাগছে দেহি।
সরি, আরেক ফাউলের কথা ভুইলাই গেছিলাম – প্রথম আলু।
কে যে কার থিকা বড় ফাউল এইটাই এখন বড় প্রশ্ন।
@অভিজিৎ,
সবগুলাই ফাউল।
@অভিজিৎ,
হ
প্রথম আলোর সমস্যাটা ধরতে পারছি না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটার পর একটা বিতর্কিত বিষয়কে প্রমোট করার চেষ্টা করছে তারা। একবার দুবার হলে ভুল বলে মেনে নেওয়া যেতো, কিন্তু বার বার যখন করছে, তখন বুঝতে হবে যে, এর পিছনে পরিকল্পিত কিছু আছে।
দেয়াল যেটুকু পড়লাম, তাতে মনে হলো, এন্থনি মাসকারেনহাসের বই আ লিগ্যাসি অব ব্লাডেরই উপন্যাস সংস্করণ এটি।
@ফরিদ আহমেদ,
বিতর্ক। আর বিতর্ক মানেই বেশি কাটতি। 🙂