কুঞ্জলতার ভেজা আঁড়ে দেখা দিয়ে লুকিয়ে গেলে
আমি, ধরে আসা বৃষ্টি ফাঁকে কতই দিলেম উঁকি,
একটু খানি দেখেই না’হয় দিয়ে দিতাম ছুটি।
অঝোর ধারা তাড়িয়ে দিলো, মিছে হল খুনসুটি।
অনেক ক্ষণের বর্ষা হল, বৃষ্টি খানিক থেমেও গেল,
আকাশটা ফের রঙিন হল, নাবলো ঘাসে ফিঙে,
থাকলে তুমি লুকিয়ে যে তবু বদ্ধ ঘরের কোনে,
চেয়ে থাকা জলে গেল, আমায় পড়ল না’তো মনে।
অনেক রঙের মিশেল যখন বিকেল বেলায় হল,
সেই শাড়িটা পরে যে-তোমার একটু হাসি এলো।
তোমায় ছুঁতেই দৌড়ে এলো, রঙের আকাশ যত,
একলা আমি দেখতে পেলাম, রঙিন তুমি কত।
এরকম কবিতা পাঠ করলে মনোজগতে যে ছায়া পড়ে, সেই ছায়াটাকে দেখতে গিয়ে, দেখলাম; আমার বয়স দশ বছর কমে গেছে।
কবিতা পারে; অনেককিছু পারে; এমন কী বয়সটা পর্যন্ত হাওয়া করে দেয়।
একটা গান বার বার শুনে যেরকম আরাম; কবিতাটা, অনেকটা সেই-রকম হয়ে গেল।
@স্বপন মাঝি,
হেহঃ হেঃ হেঃ; আপনার তো হেব্বি সুবিধা হয়ে গেলো, বান্ধবীদের বয়স ব্যাসার্ধ আরো খানিক বেড়ে গেলো :))
বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিয়ে প্রেয়সীকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা! খুবই রোম্যান্টিক দেখছি নবীকে!
@তামান্না ঝুমু,
হেঃ হেঃ হেঃ সবই বয়সের দোষ :))
খুবই ভাল লাগা নিয়ে কবিতাটি পড়ছিলাম। কিন্তু নীচের দুই লাইনে কেমন যেন ছন্দ পতন লাগছে!!!(এটা আমার অজ্ঞতাও হতে পারে)
‘অনেক রঙের মিশেল যখন; বিকেল বেলায় হোল;
হঠাৎ এলে একটু হেসে, নীল শাড়িটা পরে,’
আপনাকে হতাশ করার জন্য কিন্তু এ মন্তব্য নয়। এ লাইন দুটো ছাড়া বাকিটুকুর গীতিময়তা মনকে ছুঁয়ে গেছে। আপনার কলম থেকে অঝোর ধারায় কবিতা ঝরুক— এ প্রত্যাশা করছি।
@গীতা দাস,
ঠিক করে দিয়েছি (C)
গুনে গুনে সাতটা (রঙধনুর ৭ রঙ বলেই কি?) করে শব্দ মিলিয়ে লিখতে কষ্ট হয়নি? ছন্দের এই মধ্যযুগিও বর্বরতা মেনে নিতে আর ভালো লাগে না ;-(
@অরণ্য,
ব্যাপারটা ধরে ফেলেছেন যে। মিলে গেলে কি আর করা 😉
শুধু ছন্দই দেখলেন; আর কিছু না? :-s
লুটোপুটি, হুটোপুটির এই জীবন! আহা!
অনেক দিন এমন কাটকাট কবিতা পড়িনি! ছয় ছন্দের কি অপূর্ব খেলা! ভাল্লাগছে, রহমান ভাই!
@কাজি মামুন,
খুব রঙিন
মন রঙিন
সব রঙিন
সেই রঙিন 🙂
চমৎকার!
কী দুর্দান্ত চমৎকার
এই মানব জীবন।
(Y)
@অরণ্য,
(D)