কিছু ছবি কিছু জিজ্ঞাসা।
আকাশ মালিক
মুহাম্মদ-প্রেমী্রা সাতক্ষীরায় ৭টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিল। হতভাগা বিধর্মীদের মাথা গুঁজার একটুখানি জায়গাও আর নেই। হাঁড়ির ভাত, চালের টিন, ঘরের কাপড় এমন কি লক্ষ্মীপদ মন্ডলের মেয়ে নমিতার কানের দুলও তারা কেড়ে নিয়ে গেছে। মাটি পোড়া গন্ধের দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে কপাল ভাঙ্গা শিশুরা। আমরা সে খবর শুনেও না শুনার, দেখেও না দেখার ভান করেছি। কিন্তু কেন? যাদের কলমের আগায় বারুদ উড়ে তারা কেউ যে কিছু বললেন না। ওহ, না বলারই কথা। আপনারা তো লাশের গন্ধ শুঁকে বলতে পারেন, এ যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার ষড়যন্ত্র, এ যে পুঁজিবাদের কুফল। তারপর গোটা কয়েক ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের কারণে ইসলামকে বা মুহাম্মদকে তো আর দায়ী করা যায় না। আহা রে, স্বসস্ত্র শ্রেণী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন না হওয়ার কি করুণ পরিণতি! ফারহাদ মাজহার, বদরুদ্দীন উমরেরা কি কিছু বললেন? অন্তত এ পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি। আর পত্রিকাওয়ালারা? তারা তো কার্টুনিষ্ট আরিফের কথা ভুলে যায়নি, মুখ খুললে পরে মতির মতো করজোড়ে মাথা নত করতে হবেনা মুহাম্মদ-প্রেমীদের পদতলে? জানি, মুহাম্মদের বা তার কোরানের সমালোচনায় আপনাদের বড় বিরক্তি। আমরা যে মুখ্যসুখ্য মানুষ, নৃতাত্বিক সমালোচনা করতে জানি না। পরম সৌভাগ্যবান আপনারা, মুখে সোনার চামচ, হাতে বিজ্ঞান নিয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। আমাদের মতো তো আর আপনারা ধর্মের চড়-থাপ্পড় খেয়ে বড় হোন নি। আপনাদের চারপাশে হাসি-খুশী সুখের ছড়াছড়ি, কোথাও ধর্মের কোন বেড়াজাল নেই। কোথায় কোথাকার কোন্ হরিদাসীর কপালের সিঁদুর মুছে গেছে সে খবর আপনাদের নিলে কি চলে? কিন্তু আমরা যারা হাঙ্গর কুম্ভীর, সাপ-বিচ্ছু, বাঘ-ভল্লুকের মাঝে বাস করি তাদেরকে তো ওদের বিষদাঁতটা কোথায় চেনে রাখতে হয়। তাই আপনাদের পছন্দ না হলেও বলবো এই বিষদাঁতের নাম মুহাম্মদ ও তার কোরান। নাহ, ধর্মের কথা বলে আর আপনাদের সময় নষ্ট করবোনা, ছোট্ট অনুরোধ রইলো নীচের ছবিগুলো দেখে একবার বলেন তো প্লিজ এর উৎসটা কোথায়?
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খান্ডবদাহন?
কবি শামসুর রহমান।
http://youtu.be/xuH7cZ_nHt4
ভাল লাগল।
আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের কিছু মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এই মানুষগুলো সম্পর্কে…..যদিও বা জেনে শুনেই আমি বাঘের লেজে পারা দিচ্ছি তারপর ও একটু বলি :))
জীবন ও জীবিকার জন্য শেষ খরকুটো আকড়ে ধরবার শেষ প্রচেষ্টায় …….শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা অতি ক্ষুদ্র এককেন্দ্রিক কিছু মুঠো জ্ঞানের (এক অর্থে) মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিকতায় জীবনের প্রতিটি স্তরে যে মনন নিয়ে বেড়ে উঠেছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসা এখন আদৌ কি সম্ভব তাদের?
যারা শেষ পর্যন্ত এসে তাদের ভুল যদিও বুঝতে পেরেছে, তারা সামাজিক ও পারিবারিক পরিমন্ডল থেকে বের হতে পারছে না পাছে এ কুল ও কুল দুকুল ই হারায় ।
এরা শুধুই হুক্কাহুয়ায় জড়ো হতে পারে, এদের কজন মুক্তমনার এই পোস্ট টি পড়ছে, সন্দেহ আছে; এরা কেউ ইন্টারনেট ও ব্যাবহার করে কিনা তাতেও সন্দেহ আছে।
ধর্মের যে জ্ঞানকে তারা আকড়ে ধরে আছে, সেটা তাদের মুর্খতা নাকি ধৃষ্টতা নাকি অজ্ঞতা সেটা নিয়ে তারা কখনই বিন্দু মাত্র চিন্তিত নয়, তাদের কাছে আলো পৌছাবে, সে দায়িত্ব আমরা কেউ ই নেব না।
এই মানুষগুলোর জীবন দারিদ্র আর হতাশায় জর্জরিত, হতাশা এদের মস্তিষ্ককে কুড়িয়ে খেয়েছে আর সুবিধাবাদীরা লুফে নিয়েছে এই বোধ জ্ঞানহীন সম্পন্ন মানুষগুলোকে।
আমরা এদের নিয়ে কথা বলে কি হবে, এরা তো তোতা পাখির মতো বিজ্ঞাপন এর কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে । একটি ব্যানারের পেছনে খরচ করবার মতো সামান্য টাকাটাও তাদের ঘর থেকে আসে না। পুরো ব্যাপারটাকে যারা চালাচ্ছে নেপথ্যে তারাই আসল ভয়ঙ্করী কালসাপ।
এরাই সুবিধা বঞ্ছিত মানুষ, এরাই আবার ধর্মের কিছু অকাট শ্লোগান নিয়ে ব্যানারধারী। সব ধরনের ব্যাবসার উপযুক্ত খোরাক ।
সেরকম সুযোগ পেলে হয়ত, হয়ত এবং হয়ত পাল্টালেও পাল্টাতে পারত তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া, নিরুপায় কিংবা স্বেচ্ছায় গ্রহন করা এই জীবন দর্শন।
বি:দ্র: আমি তাদের পক্ষে কথা বলছি, প্লিজ দয়া করে এ ভুলটি কস্মিনকালেও মনে করবেন না 🙂
বিপ্লব রহমানের সাথে একমত। ছবিগুলোর উৎস জানাটা জরুরী।
পাঁচ ছ’জন মানুষ বিশাল আকারের ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত। (তৃতীয় ছবিতে) এক বেচারা তো বিশাল এক হাই তুলতে ব্যস্ত। সব ছবির স্থান ঘুরে ফিরে একই জায়গায় বলে মনে হচ্ছে।
@ছিন্ন পাতা,
এখানে সর্বপ্রথম ছবিটায় সব ক’টা ব্যানার একসাথে আছে।
বই পইড়া মস্তিষ্ক ভড়েলই শিক্ষিত হয় না, বিবেক বিবেচনারও দরকার পরে। অন্ধ জনের মনে অালো অাসুক, মুক্ত হোক সকলের চেতনা।
এর উৎস তো রাস্ট্রীয় ব্যবস্থার নথীতে, সমাজ কাঠামোর গভীরে, সরকারী নীতির আঁচল তলে। আর অনেক অনেক ধর্ম ব্যবসায়ীদের বৈষয়িক লাভালাভে ও পরকাল লোভীদের অনুর্বর মস্তিষ্কে।
@গীতা দাস,
সহমত- (Y)
এই ব্লগ লেখার জন্য কেউ কেউ নাখোশ যে কেন শুধু এভাবে লেখা হল, কেন ওভাবে লেখা হল না। কেন শুধু এক গোষ্ঠীকে সমালোচনা করা হল ইত্যাদি। আরে উনিত তাও কিছু লিখেছেন এ নিয়ে। যতটুকুই হোক বিবেককে নাড়া তো দিয়েছে। আর কেউ তো কিছুই লেখেনি। তিন সপ্তাহের অধিক সময় কেটে গিয়েছে ঘটনাটি ঘটার। নীরব থাকার চেয়ে কিছু লেখাটা তো বেটার। আরেকটা কথা, ইসলাম আর নবী কে সমালোচনা বা দায়ী করলে অনেকে (ইসলামিস্ট নয়) হাঁ হাঁ করে ইসলাম ব্যাশিং এর ধুয়া তুলেন। যদি বলা হয় সব ধর্ম বা সব ধর্মের নবীরা সন্ত্রাসের জন্য দায়ী তখন তাঁরা হাঁ হাঁ করে ধর্ম ব্যাশিং (ইসলাম ব্যাশিং+খ্রীষ্টান ব্যাশিং+হিন্দু ব্যাশিং+ইত্যদি ইত্যাদি) হচ্ছে বলে ধুয়া তুলেন না। তখন সব ঠিক আছে।
@যাযাবর,
বিষয়টা এভাবে লেখা হলো না, ওভাবে লেখা হলো, সেটা নয়। কিংবা কোন গোষ্ঠীকে সমালোচনা করা আর কোনটাকে সমালোচনা করা হলো না, সেটাও নয়। এই লেখার সততা এবং আসল উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। এ লেখার মূখ্য বিষয়ও সাতক্ষীরা নয়, অন্য কিছু। সাতক্ষীরার মত একটা মানবিকতা দলনের ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে আইওয়াশ হিসাবে। কাজেই ও নিয়ে আনন্দিত হবার কোনো কারণ নেই। সাইফুলের মন্তব্যটা পড়লেই বিষয়টি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।
ব্লগ লেখার সময়ে তাড়াহুড়োর কারণে আমরা অনেকেই যে ভাবটা প্রকাশ করতে চাই, অনেক সময় ঠিকমত সেটা করতে পারি না। কিন্তু, যখনই কেউ প্রশ্ন তোলে সে বিষয়ে, লেখক তখন তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করেন মন্তব্যের মাধ্যমে। এই লেখা প্রকাশ হবার প্রায় সাথে সাথেই সাইফুল তাঁর মন্তব্য করেছেন, যদিও এখন অন্য অনেক মন্তব্যের কারণে নীচের দিকে চলে গিয়েছে তা। সাইফুল খুব ঝাঁঝালো ভাষায় এই লেখাটিকে গার্বেজ হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং মুক্তমনার কারো কারো প্রতি ক্ষোভ উগরে দেবার জন্য সাতক্ষীরাকে আকর্ষণীয় চানাচুরের প্যাকেজ হিসাবে ব্যবহার করেছেন, সেই অভিযোগ এনেছেন আকাশ মালিকের বিরুদ্ধে। আকাশ মালিক সাইফুলের গুরুতর অভিযোগের মন্তব্যের পাল্টা উত্তর দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু সাইফুলের সমস্ত অভিযোগকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে অস্পষ্ট কিছু কথাবার্তা বলে বিদায় নিয়েছেন। শক্তভাবেতো দূরের কথা, মিনমিন স্বরেও বলার চেষ্টা করেন নি যে, আপনার অভিযোগ সত্য নয়। তাঁর পর্যায়ের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে এটা আমি আশা করি নি।
আমি নিজেও এটাকে ছদ্ম পোস্ট হিসাবে অভিহিত করেছি। সেই অভিযোগকে অস্বীকার করেও কোনো মন্তব্য তাঁর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত আমি পাই নি (ধারণা করছি এখন পাবো) 🙂 । কাজেই, এটা যে সাতক্ষীরার ঘটনার বিষয়ে একটা নিরীহ মানবিক পোস্ট, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গিয়েছে আমার ভাবনায়।
@আকাশ মালিক, আপনার লেখায় যে মানুষগুলোর উপর অত্যাচারের কাহিনি বিবৃত করেছেন তা নিয়ে বলার কিছু নেই, এগুলো দেখলে এক ধরণের অসহায়ত্ব গ্রাস করেতে থাকে, এটা জাতি হিসেবে আমাদের সবার ব্যর্থতা। তবে আপনার লেখাটার বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকেই যা বলেছেন তার পুনরাবৃত্তি না করে পারছিনা। আপনি বোধ হয় এখানে দেশের ‘তথাকথিত বাম’দেরকে উদ্দেশ্য করে লেখাটা লিখেছেন এবং সেক্ষত্রে আপনাকেও এখানে কিছু প্রশ্ন না করে পারছিনা। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার একটি জাতীয় ইসু, এটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শুধুমাত্র ছোট্ট একটা গোষ্ঠির ওপর বর্তালো কবে? প্রশ্নগুলো যদি আপনি দেশের সেকুলার অংশের জন্য রাখতেন তাহলে অবশ্যই বলার কিছু ছিল না। দেশের সরকার, সাধারণ জনগন, বাম-ডান-মাঝামাঝি সকল বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়েরই তো এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসার কথা ছিল। আপনার লেখাটা যদি মাইনরটির প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে লিখে থাকেন তাহলে তা এখানে কোনভাবেই ফুটে ওঠেনি, আর যদি লেখাটা শুধুমাত্র বামদের ওপর বিষোদ্গার করার জন্য লিখে থাকেন তাহলে অবশ্য ঠিকই আছে, এখানে আমার আর তেমন কিছু বলার নেই।
এরুপ কেন করেছে এই সমস্ত কোরান প্রেমীরা? এদের আর কী দোষ।কারন এরা কোরানের আসল রুপ সম্পর্কে নিতান্ত অজ্ঞ।
এদের যদি পড়ে দেখার সৌভাগ্য হত “যে সত্য বলা হয় নাই”,”ঈশ্বরের ভাষা” বা “WHO AUTHORED QURAN” তাহলে এরা কোনদিনই এহেন জঘন্য অমানবিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হইতে পারিতেন না।
বাংলাদেশে আমার কিছু কিছু পরিচিত লোক যারা নিয়মিত তাবলীগে যাতায়াত করেন তাদের সংগে মাঝে মাঝে কথোপকোথন কালে তারা বলেন খুব শীঘ্রই আমরা ইসলামিক দল গুলি একত্র হয়ে বাংলাদেশকে একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিনত করিব।
একথা শুনার সাথে সাথে আমি শিহরিয়া উঠি কারন বাংলাদেশ কি তাহলে আর একটি ব্যর্থ পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে পরিনত হতে চলেছে?
অনেকদিন পর আপনার লেখাটা পেয়ে এক নাগাড়ে পড়ে ফেল্লাম। মাঝে মাঝে লিখবেন।
সাতক্ষীরার এই ধ্বংসযজ্ঞ কুরানের আয়াত অনুযায়ী কিছুই না। যতদিন ধর্ম থাকবে ততদিন এ সব চলতেই থাকবে।
@তামান্না ঝুমু,
আচ্ছা আপনি নবী মানুষ, আপনার কথাই সই। তবে এই লেখার আসল যে প্রশ্নটা ছিল, অর্থাৎ এই নারকীয় হত্যা-ধ্বংসের পেছনের মূল কারণটা কী? সেটা এখনও পরিষ্কার জানা গেলোনা।
উত্তরটা কি পাসক্যেল বলে দিয়েছেন- Men never do evil so completely and cheerfully as when they do it from religious conviction.” – Pascal
পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না। আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথা বলছি। সংখ্যায় কম হলেও অন্যান্য ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে আছেন। তারাও কি দলবদ্ধ হয়ে এমন অন্যায় অত্যাচার মুসলমানদের উপর করেন?
এই সময়ে মুক্তমনায় রাহুল গুপ্তের Ethnic Cleansing In Bangladesh লেখাটি স্মরণ করা যেতে পারে।
@আকাশ মালিক,
ওপরে একটি মন্তব্য করেছিলাম; হয়তো আপনার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। তাই আবার জানতে চাইছি, আপনার লেখার ছবিগুলোর উৎস কী? 😕
@আকাশ মালিক,
হয়ত তারা সংখ্যালঘু ব’লে সাহস করেনা। ভারতে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে এমন ঘটনা, তাছাড়া ইসরাইল-পেলেস্টাইনের কথা ত সবারই জানা। সব ধর্মই মানুষের তৈরি ও খারাপ। তবে কুরানের মত অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থে বিধর্মীদের যেখানে পাওয়া যায় সেখানে হত্যা করতে বলা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এটাও একটা কারণ হতে পারে।
কোথাও কেউ নেয় দেখবার…………….
রাষ্ট্র নিজেই। এই রাষ্ট্র একই সঙ্গে ভোটবাজীর ইস্যুতে মৌলবাদ, সামন্ত অবশেষ ও পুঁজিবাদকে লালন করে। এরই পোষাকী বহি:প্রকাশ জিন্সের প্যান্ট+পাঞ্জাবি+দাঁড়ি ওয়ালা মৌলবাদী যুবকদের মানবন্ধন। (W)
লেখাটি ফটোব্লগ না হয়ে আরো বেশী বিশ্লেষণধর্মী হয়ে ওঠার দাবি রাখে।
ধন্যবাদ।
পুনশ্চ: ছবিগুলোর উৎস জানানোটা খুব জরুরি। ধন্যবাদ।
আমাদের দেশের রাজনীতি, “একূল ওকূল দুকূলই রক্ষা করতে চায়”। এক দিকে ধর্ম নিরেপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট বলে চিৎকার করে মুখে ফেনা তোলে আর অন্য দিকে ধর্মান্ধ ফতোয়াবাজদেরও প্রশ্রয় দিয়ে যায়। কারণ তাদেরও যে হাতে রাখতে হবে, না হলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করবে কি করে। এই নোংরা রাজনীতির কুফল ও জেরগুলো পরে গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর উপর। তবে আমি মনে করি, সমাজের বিবেকবান মানুষদের এই নির্যাতিত মানুষগুলোর পাশে এসে দাড়াতে হবে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এই ধর্মান্ধ, ভন্ড-মূর্খ, হিংস্র প্রাণীগুলোর বিরুদ্ধে আর ধিক্কার দিতে হবে নোংরা-স্বার্থবাজ রাজনীতিবিদদের।
ঘুম থেকে উঠে লেখাটা পড়ে বা দেখে, মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল! এ পাশবিক অমানবিক বিভীষিকা কবে, কখন ঘটলো পরিষ্কার বুঝলাম না? শাস্রিয় ধর্ম মাতাল, ধর্মীয়-দাঙ্গাবাজরা দু’পায়া আজব জীব মাত্র! ওরা অমানুষ, ওদের কোন ধর্ম নাই, আছে কেবল কুধর্ম! এ নারকীয় ঘটনা তার-ই প্রকাশ!
ধর্মাধর্মী যাতা কলে পিষ্টে চাপা পরে
ধ্বংস হচ্ছে মানব-প্রকৃতি-সভ্যতা!
কবে বন্ধ হবে কুধর্মের বর্বরতা?
মানব ধর্ম উপেক্ষিত! তাঁর বদলে শাস্রিয় ধর্ম বা অধর্ম প্রচলিত?
অন্ধ-মূর্খ, ধর্ম-মাতাল কু-ধার্মিকেরা
ধর্মের নামে কুধর্ম করে তারা!
ওরা বড্ড অসুস্থ মানুসিক বিকারগ্রস্ত,
ওদের মানুসিক চিকিৎসা করা বড় প্রয়োজন।
নচেৎ কু-ধর্মের মাতালামি বা পাগলামি বন্ধ হবে না কোন দিন!
মালিক ভাই, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে আমি বাধ্য হইতেছি যে আপনি এইবার সম্পূর্ণ একটা গার্বেজ প্রসব করলেন যার জায়গা হয়ত ডাস্টবিনে না কিন্তু আর যাই হউক আপনার হাত থেকে বাইর হওয়াটা উচিত হয় নাই।
আপনি অনেক রাখ ঢাকের চেষ্টা করলেও ব্লগে যারা নিয়মিত তারা কিন্তু ঠিকই বুঝতে পারছে আপনার আসল লক্ষ্য মোটেই সাতক্ষীরার মানবিকতা মুক্তমনায় আনা না, আপনার আসল উদ্যেশ্য আপনার কর্মপন্থার সাথে কতিপয় ব্যক্তির কর্মপন্থা না মেলার কারনে আপনার মনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হইছে সেইটা উগরে দেওয়া। সাতক্ষীরার ঘটনাটা এইখানে রুচি চানাচুরের আকর্ষনীয় প্যাকেট। যেইটা না হইলে চানাচুরটা গছানো যাইতেছে না।
আপনি যদি আসলেই ঐ অসহায় মানুষগুলোর জন্য কষ্ট পাইতেন আমার মনে হয় কারা সমালোচনা কোন পথে করতে চায় বা করতে বলে ঐ তরীকা না দেখে কেন এগুলো ঘটছে, কারা ঘটাচ্ছে, এই ঘটনার কী করলে আর ঘটবে না, এখানে সরকারের ভুমিকা কী, সরকার সেই ভুমিকা পালন করেছে কিনা, আমরা সাধারন জনগন কী করতে পারি এই ব্যাপারে, এগুলো নিয়ে লিখতেন। অন্তত আমার কাছে সেইটাই যৌক্তিক মনে হয়। সম্পূর্ন লেখাটাই ক্ষোভ আর অভিমানের ফসল। আপনার কাছ থেকে আরো পরিণত লেখা আশা করি মালিক ভাই।
@সাইফুল ইসলাম,
প্রায় দশ বছর যাবত দ্বান্দিক বস্তুবাদের আলোকে ব্যাখ্যা করে মহীউদ্দিন উরফে সেতারা হাসেমরা শিখাইলেন, এ সব শুধুই রাজনৈতিক ইসলামের কারণ, অল্প সংখ্যক কিছু মানুষের কোরানের অপব্যাখ্যার কারণ। আর ঘুঘু বারবারই এসে ধান খেয়ে গেল।
একজন ধর্ষক ডাকাত ইলিয়াস আলীর খবর প্রত্যেক পত্রিকার হেডলাইন। সাতক্ষীরার সংবাদ শিরোনাম হওয়ার যোগ্যতা রাখলোনা? কারণটা কি আপনি নিজেই বলেন। চোখের সামনে সাতটা পরিবারের মানুষের এমন দশা করে ছাড়লো, রাজপথ অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও, সরকার পতনের ডাক কেউ দিলনা।
যে সরকার বলেন, কোরানের আইন মেনেই নারী উন্নয়ন নীতিমালা তৈ্রী করা হয়েছে, যে সরকার সাম্প্রদায়িকতার প্রতীক বিসমিল্লাহ সংবিধানে রখে দিয়েছে, তার কাছে কি ফরিয়াদ করবো ভাই? জেলে ঢুকাইছে নাটকের সাথে জড়িত যারা ছিলেন তাদেরকেই, যারা ধ্বংস করেছে তাদেরকে নয়।
বুদ্ধিজীবিদের কি অভাব আছে বাংলাদেশে। তাই আশা করেছিলাম প্রত্যেকটা পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামে আর অন্তত বদরুদ্দিন ওমরের মতো মানুষ যারা গাছেরও খায় তলারও খায় তাদের কিছু জ্ঞানী উপদেশ লেখা থাকবে।
@সাইফুল ইসলাম,
গার্বেজের জায়গা তো ডাস্টবিনই হওয়া উচিৎ ছিল, তাই না? এই গার্বেজ আবার আপনার ঘরদুয়ার দুর্গন্ধ করে দিচ্ছে নাতো?
লেখকের লেখাটাই লেখককে লিখতে দেয়া সমীচীন বলে মনে হয় আমার। আর সবাইকে এক বিষয়ে লিখতে হবে কেন?
আমাদের কাছে আকাশ মালিক ভাইয়ের লেখাটির গুরুত্ব অন্যখানে; যখন ”যাদের কলমের আগায় বারুদ উড়ে তারা” আশ্চর্যজনকভাবে নিরব রয়েছেন, তখন তাদের সেই সুবিধাবাদী চরিত্র নিয়ে একখানা লেখা বড্ড সময়োপযোগী বলেই মনে হয়েছে। সাতক্ষীরার দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কতটুকু সরব হয়েছে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া? অথচ দেখুন বিশিষ্ট জননেতা ইলিয়াস আলীর কি তীব্র উপস্থিতি ‘মিডিয়া হাউস’ জুড়ে! এটা ঠিক, সাতক্ষীরার অমানবিকতা নিয়ে এই লেখাটা নয়, কিন্তু সেই লেখার প্রয়োজনীয়তা আকাশ ভাইয়ের লেখার প্রয়োজনীয়তাকে খাটো করে না, বরং বাড়িয়ে তুলেই বলে আমার মনে হয়।
মুক্তমনা একটা মিথস্ক্রিয়ার ফোরাম, আর তাই এই আলোচনায় অংশ নিলাম। কিছু মনে করবেন না যেন।
মালিক ভাই,
কইয়া দিলাম আফনে আমাগো ছাম্প্রদায়িক ছম্প্রীতি নষ্ট করবেন না! তছলিমা একবার শালার পুতের বাংলাদেশ কইয়া জিহাদি গো লেজে আগুন ধরাইয়া কি নর্তন-কুর্দনই না করাইলো! এতো বছর পর আফনে আবার কী শুরু করবেন?
@অনন্ত বিজয় দাশ,
ঠিকই বলেছো অনন্ত। আচ্ছা আবুল মনসুরের নাটকটা কি তুমি পড়েছো? পড়তে চাইলে বলো আমি এখানে সপূর্ণ লেখাটা তুলে দিব। জানো অনন্ত, আমাদের গ্রামের সেই প্রফেসারের ( একই স্কুলে সে যখন দশম শ্রেণীতে আমি তখন নবম শ্রেণীতে পড়তাম) কী হয়ে ছিল? ঘটনা তোমার জানা আছে, তার নামও ছিল আবুল। সে এই নাটকেরই একটি সংলাপ তার বন্ধুদের সামনে উল্লেখ করেছিল মাত্র। মাইকে এলান দিয়ে, সাত গ্রামের মানুষ জড়ো করে, মসজিদের পুকুরে তাকে গোসল করায়ে গায়ে সাদা কাপড় জড়িয়ে, মাথায় টুপি পরায়ে তওবা করানো হয়েছিল। সারা দুনিয়া দেখলো, কেউ বীরত্বের অট্টহাসি দিল, কেউ ব্যঙ্গ-বিদ্রোপ করলো, নিজের দেশে সে পরবাসী হয়ে গেল। দেখা হয়েছিল তার সাথে একবার। ভাল মন্দ কিছু জিজ্ঞেস করলোনা, দেখা মাত্র বুকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলো। আস্তে করে কানে কানে শুধু বলেছিল, এ দেশ ছেড়ে তোমার চলে যাওয়া ঠিক হয় নি। আমিও কাঁদলাম আর বললাম- আবুল রে ভাই, আমি যে ভীরু কাপুরুষ, স্বার্থপর আমি তোর জন্যে কিছু করতে পারবো না। আমি নিজেকে ধিক্কার দেই, লান্নত এই জীবনে, অসার এই বেঁচে থাকা, কেন তোর মতো, কেন আমি দাউদ হায়দার, তাসলিমা হতে পারিনা।
অনন্ত ভাই, এই আমার দেশ এই আমার গ্রাম। তুমি আমাকে গালি দিও ধিক্কার দিও লানত দিও হাজারবার কিন্তু আমাকে ধর্মের কথা বলতে নিষেধ করোনা।
অনেক অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। যেনো মনে হচ্ছে
:-O
নির্মম সত্য কথাগুলো অনেকদিন পর আপনার কলম থেকে বের হল। আপনাকে- (F)
বাংলা সংস্কৃতি লালনে পালনে চর্চায় যত ভাটা পড়বে, বাঙালি ততই মোসলমান হবে। ধর্মের আড়ালে হবে মানবতা ছাপানো রগ কল্লা কাটা আইনের ধ্বজাধারী প্রচারক। হবে আমানবিক। সারাটা পৃথিবী যখন আধুনিক থেকে হবে আরো আধুনিক আর অগ্রসর, বাঙালি তখন হয়ত সাচ্চা মোসলমান হয়ে পেছন পানে ফিরে যাবে সেই বর্বর মধ্যযুগে। ধিক্ ধর্মান্ধতা।
একেবারে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলেন। যারাই ইসলামের এই সব হিংস্রতাকে পরিস্ফুটিত করে লেখা লেখি করছে তাদেরকে বলা হচ্ছে ‘ইসলামফোব’, ঘৃণা সৃষ্টি কারী, শান্তির ধর্মের শত্রু…এই সব আর কি।
এখন কি দেখলাম? দেখছি…আমাদের প্রত্যেকটি কথায়ই সত্য হয়েছে–এই সব ব্যানারে। কিন্তু আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা কেমন নিশ্চুপ, নিরব—ইসলামের এই হিংস্রতার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করার সাহস এঁদের নেই।
@আবুল কাশেম,
ব্যানারের নামগুলো লক্ষ্য করেছেন? এরা শুধু সাধারণ গরিব কওমি মাদ্রাসার ছাত্র নয়, জামাতি নয় এরা-
বাংলাদেশ জাতীয় কোরান শিক্ষা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী উলামা লীগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ চিকিৎসক পরিষদ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোষ্ট গ্রাজ্যুয়েট কলেজ, ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি। সারা বাংলাদেশ যদি দাঁড়িয়ে যায় একটা নাটকের বিরোদ্ধে, এই যদি হয় দেশের অবস্থা তখন হিন্দুদের শেষ ব্যক্তিটি এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে আর কতোদিন লাগবে মনে হয়?
@আকাশ মালিক,
দেখলাম। আশ্চর্য হচ্ছিনা। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছিঃ ইসলামের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়ছেন তাদের সবচাইতে বড় অন্তরায় জিহাদি, জামাতি, হারাকাতি, ইমাম, মুরীদ মাদ্রাসা…এরা নয়। সব চাইতে বড় অন্তরায় হচ্ছে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইসলামী মাদ্রাসা নয়) ছাত্র এবং শিক্ষকেরা। এদের পেছনে রয়েছেন তথাকথিত সুশীল সমাজ–যাদের আমরা মডারেট মুসলিম বলে থাকি। এই দলে রয়েছেন আমাদের প্রধাণ মন্ত্রী সহ সমগ্র মন্ত্রী পরিষদ, আমলা, সামরিক, এবং পুলিশ বাহিনী।
মনে হয় আগামী দুই তিন দশকের মাঝে বাঙলাদেশের হিন্দুদের সংখ্যা ১% হবে।
নাগরিকের জান-মাল-নিরাপত্তার রক্ষক রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কথা বলে, তারপর না-হয় আপনার কাঙ্খিত তীর ছুঁড়ে মারতে পারতেন, তাদের উপর, যারা – আপনার ভাষায়ঃ
কে প্রতিবাদ করলো কি করলো না, এটাই যেন হয়ে উঠলো মুখ্য আর রাষ্ট্রের ভূমিকা হয়ে গেল গৌণ।
প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে গেলে, রাষ্ট্র আরো সহিংস হয়ে উঠে। সন্দেহ নেই। সমালোচনা যথার্থ হতো, যদি আপনার লেখায় রাষ্ট্রে্র দায়-দায়িত্ব নিয়েও আঙ্গুল তুলতে দ্বিধা না করতেন।
ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
বাবরের আমলে সারা বাংলাদেশ যখন ইসলামী বোমায় ক্ষত-বিক্ষত তখন হুমায়ুন আহমেদ না সুন্দর একটা লেখা দিলেন ইত্তেফাকে এই বলে যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলাম সন্ত্রাস সমর্থন করেনা। উদাহরণ স্বরূপ মুহাম্মদের চলার পথে ইহুদী বুড়ির কাঁটা বিছানোর কেচ্ছা শুনালেন। ইসলাম হুমায়ুনেরা ভাল বুঝেন, না মানুষের কল্লা পিপাসু ঐ ব্যানার হাতে মানুষেরা বেশী বুঝে?
রাষ্ট্র নিজেই নুনু কাটা মুসলমান, সে তো সেজেছে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের পাহারাদার, অমুসলিমদের কথা ভাবার তার সময় কোথায়? সে কথা বলবে ভোটের পাল্লায় ওজন করে।
তাই তার প্রতিই ক্ষোভ রাগ গোসা দেখাই, যার কাছে আশা করি, যার কাছে প্রত্যাশা বেশী, যার কিছু দেবার, করার ক্ষমতা আছে। আগে শেখানো হতো, বুদ্ধিজীবীরা একটি দেশের মেরুদন্ড। মেরুদন্ড কি ত্যাড়া হয়ে গেছে, একটু সোজা হয়ে দাঁড়ানো যায়না?
@আকাশ মালিক,
মুরগির কলিজার মতই দুর্বল মেরুদণ্ডতো। ভয়ে আসলেই গুঁড়োগুঁড়ো হয়ে গিয়েছে সেগুলো। সে কারণেই ছদ্ম পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে হয় সবসময়। সোজা হয়ে দাঁড়াবে কী করে?
@ফরিদ আহমেদ,
ধর্মের পাহারাদার আমাদের সরকার যে ইন্টারনেট তন্ন তন্ন করে ইসলাম বিদ্বেষীদের খোঁজে বের করার মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে, ছদ্ম পরিচয়ে ইসলামের সমালোচনা করার দিনও বুঝি ফুরিয়ে আসছে। আমার দুর্বল মেরুদণ্ডের কারণ তো গ্রামের সেই প্রফেসার বন্ধুকে বললাম যে আমি তার জন্যে কিছু করতে পারলাম না। গ্রামে কবি সাহিত্যিক জ্ঞানীগুণী লেখক বুদ্ধিজীবী কম ছিলেন না। সবাই মুখ ফিরিয়ে নিল কেউ কথা কয়না। সেই মানুষটা এক সময় দেশ জাতি সমাজ নিয়ে বেশ ভাল লিখতো, এখন আর কিছুই লিখেনা, লেখার সাহস করতে পারেনা। ছদ্ম পরিচয়েই হয়তো এখনও কলমটা হাতে ধরে রাখতে পারছি।
তবে যে যুব সমাজ বাংলাদেশ ক্রীকেট দলকে পাকিস্তান যাওয়া থেকে ফেরাতে পারে, তারা কেন সম্মিলিত ভাবে এ দেশ থেকে ধর্মীয় উম্মাদনা বন্ধের উদ্দ্যোগ নিতে পারেনা তা বুঝতে পারিনা।
@আকাশ মালিক,
ধর্ম নিয়ে দেশে যে বাড়াবাড়ি রকমের উন্মাদনা চলছে তা দেশের যুব সমাজ বুঝতে পারছে কিনা সন্দেহ হয়, সবাইকেতো দেখি একই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে চলছে।
@আকাশ মালিক,
ছদ্ম জিনিসটা খুব সংক্রামক। এই লেখাটাও সে কারণে একটা ছদ্ম লেখা হয়ে গিয়েছে। আসল টার্গেট পিছনে, কিন্তু বন্দুক তাক করে ধরেছেন সামনের দিকে। আশা করেছেন যে, ব্যাকফায়ার করে পিছনের টার্গেটকে আঘাত করতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভুলে গিয়েছেন যে বন্দুক আর পিছনের টার্গেটের মাঝখানে আপনার অবস্থান রয়েছে। 🙂
@স্বপন মাঝি,রাষ্ট্র হচ্ছে জনগনের সৎ মা।
এরা মুবাহিলা না করে রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার নিয়ে কি করে? আল্লাহর দেয়া তরিকার উপর কোন আস্থা নাই দেখা যায়। ঈমানের এই দুরাবস্থা দেখে আমি মর্মাহত। 🙁
@হোরাস,
আমি মুবাহিলা নিয়ে একটা লেখা লিখবো, আপনার অনুমতি চাই। মাল-মসলা কিছুটা যোগাড় আছে আপনারটার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন হবে। আচ্ছা হোরাস ভাই, বিভিন্ন ব্লগে মুসলমানদের সহানুভুতি, মায়া কান্না, আক্ষেপ-আকুতি তো দেখলাম। আপনি মনে করেন তারা কেউ বিশ্বাস করে মুহাম্মদ নবী ছিলেন না? মুহাম্মদের বা কোরানের সমালোচনা করলে তারাও কি তেড়ে আসবেনা? মানুষ কী ভাবে মুহাম্মদকে আল্লাহর উপরে বসিয়ে রেখেছে দেখুন; একজন ব্লগার (সোনা ব্লগে) বলেছে, নবীজীর প্রতি কটুক্তির প্রতিবাদ করা ঈমানী দায়ীত্ব, প্রতিবাদ না করলে ঈমান থাকবেনা আর ঈমান না থাকলে মুসলমান হওয়া যায়না।
@আকাশ মালিক, অবশ্যই লিখবেন। আমার অনুমতির কথা বলে লজ্জ্বা দিচ্ছেন কেন? আপনার লেখা যে অনেক বেশী সমৃদ্ধ হবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
আগে কোথাও বলেছিলাম – আল্লাহর সমালোচনা করে পার পাওয়া সম্ভব কিন্তু মুহাম্মাদের সমালোচনা করে পার পাওয়া যায় না। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় হলে যা হয় আরকি।
ওদের লজিক সব টুইস্টেড লজিক। বুঝতে চেষ্টা করলে আপনার মাথা আউলা হয়ে যাবে।
@হোরাস, :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@হোরাস,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
অস্তিত্বহীনের প্রতিনীধি! তার অবমাননা!
দুচোখ মেলে দেখি আমি, বলতে কেবল মানা!
ধর্ম নাকি মানবতা, জ্ঞান দিলো তার উম্মত।
এইতো হলো ধর্ম তাদের, দেখতে খুব সূরত!