আমি নিজেই কবিতার খুব একটা ভক্ত নই। কবিতার লাইন সংখ্যা ১০ অতিক্রম করলে পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। তবে অনুকবিতা পড়তে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে নিজেও ফেইসবুকে অনু-কবিতা লিখে ফেলি। ফেসবুকে স্টেটাসে লেখা সেই কবিতাগুলোর চারটি নিয়েই আজকের আমার এই পোষ্ট।
হাইকোট ও ধর্মানুভূতি
স্রষ্টা বেচারা ঘুমিয়েই তাই
দুষ্টু নাস্তিকেরা দিচ্ছে আন্ডা;
অসহায় আস্তিকদের পোদ রক্ষায় তাই
হাইকোট উড়িয়েছে ঝান্ডা!!
(হাইকোট কর্তৃক ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১ টি ওয়েব সাইট ও ৫টি ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধের প্রেক্ষিতে লিখা)
গোপন টোকা
গোপন টোকা দেবো বলে
হাঁটি তোমার জানালার পাশে;
হায়রে কপাল জানালা খুলে
তোমার বেরসিক বাবা কাঁশে!!
স্মৃতি
সময়কে বন্দি করে
বসে আছি নিয়ে কাঁচের জার;
নিসংগতা চুপি চুপি এসে
নেড়ে দিয়ে যায় স্মৃতির দুয়ার!!
দলছুট
উষ্টা খাইয়াও হইনা পশ্চিম মুখি
দাঁড়াইয়া মুইত্যা হারাই শুধু নেকি;
ধর্ম আর কুসংস্কারের সঙ্গম চলে
নামাযের কাতার ছেড়ে তাই দলছুটদের দলে!!
ভাই কী লাভ এতো বিরোধিতা করে?
এই বিষয়ে কিভাবে কি করা যেতে পারে ?
সংবাদটি এখানে পেলাম
http://bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=189256&hb=top
ঢাকা, মার্চ ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠায় কয়েকটি ফেইসবুক পেইজ এবং একটি ওয়েবসাইট বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একটি রিট আবেদনে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার বুধবার এই আদেশ দেয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আদালত একইসঙ্গে এই পেইজ ও ওয়েবসাইট সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরুর নির্দেশও দিয়েছে।
আদেশের পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই সব ফেইসবুক পেইজ এবং ওয়েবসাইটে হজরত মুহাম্মদ (স.) ও ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়েছে।
ফেইসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা প্রকাশ করতে তিনি রাজি হননি।
পাঁচটি ফেইসবুক পেইজ এবং একটি ওয়েবসাইটের কথা তুলে ধরে বুধবার সকালে হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাতুল সারওয়ার এবং ঢাকা সেন্টার ফর ল অ্যান্ড ইকোনোমিকসের অধ্যক্ষ এম নুরুল ইসলাম।
প্রাথমিক শুনানি করে আদালত অন্তর্র্বতীকালীন এই আদেশ দেয়।
পাশাপাশি আদালত একটি রুলও জারি করেছে। রুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক বা অন্য ইন্টারনেট সাইটে থাকা ওই সব ইউআরএল (ইউনিভার্সাল রিসোর্স লোকেটর), গ্রুপ বা পেইজ স্থায়ীভাবে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
একইসঙ্গে অশালীন আধেয় আপলোড করায় এ সব সাইট/ওয়েব পেইজের হোতা/প্রতিষ্ঠাতা/হোস্টের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং একই ধরনের অশালীন ও জঘন্য আধেয় প্রদর্শনকারী সাইট/ওয়েব পেইজ বন্ধের ধারবাহিকতা কেন নিশ্চিত করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
তিন সপ্তাহের মধ্যে বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এমআই/১৭২৫ ঘ.
হাঁ, আমিও তাই-ই ভাবছিলাম। এখন থেকে ধর্মকারি দেখা আমার জন্য দৈনিক পাঞ্জাগানা নামায হয়ে গেল।
আমাদের দেশ যে পথে ধাবিত হচ্ছে তাতে মুক্তমনা ব্লগও কালো হাতের কবলে পড়তে পারে যে কোন সময়। এই দলের শিকড় ইসলামের মাটিতে প্রথিত।
যাক, বাঙলাদেশ সরকার মুক্তমনা নিষিদ্ধ করে দিলে ভালই হবে–আওয়ামী লীগের চেহারা মুবারক জ্বল জ্বল করে দেখা যাবে। কিন্তু মুক্তমনার অসীম সাহসিকেরা আজ যা শুরু করেছে তা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে গেছে। এক মুক্তমনা নিষিদ্ধ হ’লে শত মুক্তমনা তৈরী হবে।
তাই নাকি? ঐ ওয়েব সাইটের নাম কি? এখন তো ঐ ওয়েব সাইট দেখে ফরয হয়ে গেল আমার জন্যে।
ঐ হারাম ওয়েব সাইটের যোগাযোগ ঠিকানা দিবেন কি?
আচ্ছা, আমাদের, মানে মুর্তাদ-কাফেরানুভূতিতে যে আঘাত দেয়া হচ্ছে তার ব্যাপারে হাইকোর্ট কী করছে? বাঙলাদেশে ইসলামী আইন কানুন ঠিক মতই প্রয়োগ করা হচ্ছে মনে হয়। কোথায় যেন পড়েছিলাম–বর্তমান বাঙলা সরকারের একটা স্তম্ভ হচ্ছে ধর্ম-নিরপেক্ষতা। সেই স্তম্ভ কী ধ্বসে গেছে এখন?
@আবুল কাশেম,
পত্রিকায় নাম আসে নাই। তবে কারো কারো ধারণা সেটি ”ধর্মকারী” বা ”মুক্তমনা” হবার সম্ভাবনা প্রবল।
আর, বর্তমান বাঙলা সরকারের একটা স্তম্ভ ”ধর্ম-নিরপেক্ষতা” ডাঃ এমেনমেন্ডের আধীনে বার কয়েক অস্ত্রপাচারের পর ”সংবিধান নামক অপারেশন থিয়েটারে” মুমূর্ষ অবস্থায় বাঁচিয়া আছে (H)
@আবুল কাশেম,
এই ওয়েব সাইটের নাম এখনো প্রকাশ করা হয় নি। তবে তা ধর্মকারী (dhormockery) হওয়ার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি ( নিয়মিত ব্লগ অনুসন্ধানী নাস্তিকরা তাই মনে করছে)
আমাদের দেশ যে পথে ধাবিত হচ্ছে তাতে মুক্তমনা ব্লগও কালো হাতের কবলে পড়তে পারে যে কোন সময়।
হাঃ হাঃ হাঃ … (Y)
@অভিজিৎ, 🙂
‘গোপন টোকা’ মনকে টোকা দিয়ে গেছে; ভারী সুন্দর এ অনুকাব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি নিয়মিত অনুকাব্য লিখবেন আশা করি।
@কাজি মামুন, 🙂 ধন্যবাদ!