প্রতিদিন অপিস যাবার সময়ই ফ্যাসাদটা বাধে। ঝগড়া করার আর কি কোন সময় নেই? বউ কেন যে এমন করে ভেবে পায় না এস আই মকবুল। সব পুলিশের বউ কি এমন হয়? হাজারটা দোষ তার। ছেলের প্রাইভেট মাষ্টারের টাকা দিতে কয়টা দিন দেরী হয়েছে- দোষ কার? এস, আই সাহেবের। সাধ আহ্লাদের খাবার যোগাড় হয়নি কেন? মানানসই একটা শাড়ী নেই কেন? চুলে বিদেশী শ্যাম্পু নেই কেন? গাড়ী নেই কেন? মফস্বল শহরের জীর্ণ ঘরে কেন বাস? অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর জানা থাকে না এস. আই মকবুলের। সঠিক জবাব দিতে পারে না বউয়ের সওয়ালের। তাই নিরবতায় নিরাপদে থাকতে হয় তাকে। একপেশে যুদ্ধে জয়ী হয় বৌ- পুলিশের বৌ। আজকে মনিরা একটু বেশি চ্যতা- বেশি গরম হয়ে আছে। তারপরেও মনে একটু সাহস জড় করে বউকে সে কাছে ডাকে আদরে, “মনি, এই মনি, একটু শুনে যাও এইখানে।” বউরে মাঝে মধ্যে আদর করে ‘মনি’ ডাকে এস আই। হঠাৎ করে ‘মনি’ ডাকে গরম তেলে যেন পানির ফোটা পড়ে। রান্না ঘরে হুড়মুড়িয়ে হাড়ী-পাতিল পতনের ঝনঝন বেসুরো শব্দ বেজে ওঠে। মকবুল আর সেদিকে যায় না- আপদের গন্ধ পায়, চুপ থাকে। একসময় মনিরা রাগে ফুলতে ফুলতে এস আইয়ের সামনে এসে দাড়ায়।
-এই কথা কি কেউ বিশ্বাস করবো- এস আইয়ের হাত খালি, ঘর খালি! থানার পিওনওতো দৈনিক ট্যাহা কামায়, সুখের মুখ দেখে।
মনিরার মুখে এসব নতুন কোন কথা না, তারপরেও আগ্রহ নিয়ে সব শোনে মকবুল। মুখ তার গম্ভীর হয় সহসা।
-মনি, তুমিতো জান, আমার বাপজান পুলিশ ছিলেন। বেতনের টাকার বাইরে যে আর কিছু পাওয়ার থাকতে পারে সেইটা উনি জানতেন না, পারতেন না। তার পোলা অইয়া আমিও তাই করি, অন্য কিছু পারি না। কইতে পার এইটা আমার একটা রোগ।
-রোগ তো বটেই, তয় ঘোড়া রোগ। এই ঘোড়া রোগেই তুমি মরবা।
কণ্ঠের বাকা ব্যাঙ্গ ঢেলে দিয়ে দ্রুত অন্যত্র প্রস্থান করে মনিরা। তীব্র অভিমান আর হতাশা তার গমনে। সে দিকে উদাস তাকিয়ে থাকে এস আই।
-আমার আইতে আইজ দেরী হইবো। জরুরী অপারেশন আছে- ভীষন জরুরী। ধরতে পারলে প্রোমোশনও হইবার পারে।
বউকে সামনে না পেয়ে উচুগলায় কথাগুলো ঝেড়ে টুং টাং শব্দ তুলে ঘর ছেড়ে সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এস আই মকবুল। খুব বেশী দূরে নয় থানাটা। গাড়ীর থেকে সাইকেল অনেক ভাল। তাতে যেমন ব্যায়াম হয়, পয়সাও তো বাঁচে। কিন্তু কে বোঝাবে এই কথা মনিরাকে?
কিছুদূর প্যাডেল মেরে রাস্তার চৌমাথায় রূস্তমের মুদি দোকানের সামনে এসে পৌছায় মকবুল। ফাকা দোকান, কোন ক্রেতা নেই তেমন। এই সময়টা অফিস আর স্কুল কলেজে যাওয়ার সময়। দোকানে একা একা বসে আছে রুস্তম সাব। তাকে সবাই এখন রূস্তম সাব বলেই ডাকে। আগে দোকান ছোট ছিল- লোকে ডাকতো রূস্তম বলে। এখন ব্যাবসা বড় হয়েছে, তাই লোকে তাকে যোগ্য সম্মান দেয়। কি জানি কি মনে করে মকবুল রুস্তমের দোকানের সামনে থামে। সাইকেলটা একটা গাছে ঠেস দিয়ে রেখে বেঞ্চিতে গিয়ে বসে। থানা, আর বাড়ীর বাইরে এই একমাত্র স্থান যেখানে বসে মনে কি এক শান্তি পায় এস আই- অন্যরকম শান্তি। ছুটির দিনে অথবা অবসরে অবকাশে এখানে আড্ডায় টানে তারে। আড্ডা দেয় রুস্তম সাবের সাথে, অন্য কেউও জোটে মাঝে মধ্যে।
– সালামালাইকোম এস আই সাহেব।
গলা বাড়িয়ে বড় এক সালাম দেয় মুদি রুস্তম। পেশাদারী ভঙ্গিতে বসতে বলে খরিদ্দারকে। বসতে বসতে সালামের উত্তর দেয় এস আই। রূস্তমকে ভাল লাগে তার। লোকটা অন্য রকম । মুখে এক চিলতে হাসি সব সময় সে ধরে রাখার চেষ্টা করে। অনেকটা মাসুম শিশুর হাসি। মুদি দোকানীরা সাধারণত এমন হয় না। তার কথায় কাজে কোন ধানাই পানাই নেই। মুদির মনটা সাদা।
-এখন হাতে সময় নেই, রুস্তম সাব। ছেলেডার মাষ্টারের বেতন বাকী পড়ছে। পারলে আমারে কিছু টাকা ধার দ্যান। বেতন পাইলে দিয়া দিমু।
– কত দিমু, স্যার।
-দেন, হাজার খানেক।
-তয় এস আই সাব, একখান কতা কমু?
-কি কথা?
-আমার কিমুন জানি বিশ্বাস অয়না, আফনের ট্যাহার অভাব!
রূস্তম মুদির কথা শুনে একটা বড় হাসি দেয় এস আই। সাথে রুস্তমও হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে টাকা পকেটে রাখে মকবুল।
-আমি বুচ্ছি আপনি কি কইবার চান। সবাই সব কিছু পারে না। দুই এট্টা অন্যরকমতো হয়, নাকি? এই ভাবে চলা আমার এট্রা রোগ, ঘোড়া রোগ।
আবার একটা অট্ট হাসি দেয় এস আই। হাতে বেশী সময় নেই তার। সাইকেলে পেডেল মেরে অদৃশ্য হয়ে যায় মকবুল।
মকবুল ভাবে- চলে আর ভাবে। কি যে ছাইপাশ বলে মুদি রুস্তম, হাসি ধরে। বড্ড হাসি লাগে তার। রুস্তম কি তারে বোকা ভাবে অথবা হাদা। হতে পারে, তবে সে ঐ রকমই। বেশী চলাক সে হতে পারে না, কি জানি কেন? তবে চালাক লোকের অনেক পয়সা হয়। অত পয়সাতে তার কি কাজ? যা আছে তাই সই। তার সহকর্মীরা প্রায় রুস্তমের মতই কথা কয়। এস আই শাহ আলম তো তাকে প্রায়ই বলে একই কথা- মকবুল সাব, দ্যাশের আম-জনতা পুলিশেরে কি ভাবে জানেন? আমাদের ভাবে পাগলা কুত্তা অথবা বিষ্ঠা। মানে দিন ফুরালে ভয় আর ঘেন্না ছাড়া আমাগো ভাগ্যে আর কিছু থাকে না। এইডা চরম ক্ষতি আমাগো। এই ক্ষতি ক্যামনে পোষাতে হয় জানেন? মাল কড়ি, ট্যাহা, ক্ষ্যামতা দিয়া। পাপপূন্য কোন ব্যাপার না। অবসরে গিয়া হজ্জ-টজ কইরা আইলে সব ফকফকা পরিষ্কার। তাই সময়ডারে কাজে লাগান, মকবুল সাব।
শাহ্ আলম সাহেবের কথা ভেবে মনে মনে হাসে এস আই মকবুল। সেও কি তাকে বোকা ভাবে নাকি? মনে হয় সে তাইই। আল্লায় যারে যেমন বানায়। এতে তার কি করার আছে? তবে সে যানে তার একটা জিনিস করার আছে- কাজটা, চাকরীটা ঠিকমত করা। মাইনেটা একটু কম এই যা অসুবিধে। তবে আশা আছে মকবুলের মনে- পুলিশের মজুরী কমিশন কাজ করছে, রিভিউ করছে। আজ হোক কাল হোক বেতন, সুযোগ সুবিধা বাড়বেই। তখন আর কোন অসুবিধা থাকবে না।
টেবিলে বসতে না বসতেই মকবুলের কক্ষে ছুটে আসে এস আই শাহ্ আলম। শশব্যাস্ত সে। জরূরী কিছু একটা বলতে চায়।
-সব পুলিশ সোর্সের রিপোর্ট আমরা পেয়ে গেছি। জঙ্গী মনোয়ার তাড়া খেয়ে ভুবনেশ্বর রাজবাড়ীতে লুকিয়েছে। হেড অফিস থেকে এখনই একশান নিতে বলেছে। আমরা দুপুর বারটা এক মিনিটে অপারেশন শুরু করবো। আমি ফোর্সের সাথে মিটিং সেরে ফেলেছি, সবাই রেডী। আপনি রেডী হন। অর্ডার আছে, অক্ষত ধরতে হবে জঙ্গিকে।
কথাগুলো এক নিশ্বাসে বলে শেষ করে এস আই শাহ্ আলম। উত্তেজনায় তার বুক ওঠা নামা করছে, তবে মুখে লেগে রয়েছে একটা অচেনা বিরক্তির প্রলেপ। বিরক্ত সে উপর-ওলাদের উপরে। তারা একটা আদেশ দিয়েই ক্ষ্যান্ত দেয়- করাটা কত কঠিন এইটা তো তারা জানে না।
অপারেশন শুরু হয়েছে। প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে গোলাগুলি হবার পর এখন আর কোন শব্দ নেই। মনে হয় জঙ্গি মনোয়ারের গুলি শেষ হয়ে গেছে। রাজবাড়ীটা জটিল গোলক ধাঁধার মত। এই ধাঁধার সবটাই যে পুলিশ জানে এমন নয়। সবাই যার যার মত চেষ্টা করে যাচ্ছে লক্ষ্য বস্তু ঘায়েল করার। মকবুল জীবনের ঝুকি নিয়ে রাজবাড়ীর গভীরে ঢুকে পড়ে। প্রাসাদের বাইরে সবাই অপেক্ষায়, উত্তেজনায়। আধা ঘন্টা কেটে গেছে। সময় চলছে ধীরে। কোন খবর নেই আসামীর। হঠাৎ বিকট এক মরন চিৎকার এস আই মকবুলের। শব্দ লক্ষ্য করে ছুটে যায় সবাই। ধরা পড়ে জঙ্গি। কিন্তু এস আই মকবুল ধরা পড়ে যোমের হাতে। তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। ফিরিয়ে আনা যায় না মৃত্যুর দরজা থেকে। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কেন সে এমন ভয়ানক এক আসামীকে পেছন থেকে জাপটে ধরলো? কেন এমন বোকামী করল? সেটা কি আসামীকে অক্ষত ধরার জন্য? এমন বোকামী মানুষ করে?
ময়না তদন্ত শেষে লাশ পৌছে গেল বাড়ীতে এস আই মকবুলের বাড়ীতে। সেখান থেকে তা এনে রাখা হলো মহল্লার ঈদগাহ মাঠে। জোহর নামাজ বাদে সব মুসাল্লীরা জানাজায় শরীক হবে এই আশায়। কি জানি কি মনে করে মুদী রুস্তম ফরজ নামাজটা পড়েই দোকান খুলে বসলো। মহল্লার চৌমাথায় একলা দোকানে বসে সে ছটফট করতে লাগল। একি ঝামেলা হলো। নামাজ শেষে মুসাল্লীদের তো ঈদগার দিকে যাবার কথা। দু-একজন বাদে প্রায় সবাই অন্যদিকে চলেছে কেন? ব্যাপার কি, ভাবে রুস্তম। ছটফট করে তার মন। গলা বাড়িয়ে উচ্চস্বরে মুসাল্লীদের প্রশ্নকরে, “আপনারা ঈদগার দিকে যাচ্ছেন না কেন? এস আই সাহেবের জানাজা এখন- এইডা কি আমনেরা জানেন না?
লোকগুলো কি বোবা না কালা? উত্তর দেয় না কেন? মাথা নীচু করে যার যার বাড়ীতে গিয়ে ঢোকে নামাজীরা। কে একজন চলমান ভীড়ের ভেতর থেকে বলে উঠে, “পুলিশের আবার জানাজা।” কবর খোড়া থেকে শুরু করে নানান কাজে বহু খাটা খাটনি গেছে রুস্তমের আজকে। লোক জনের মতিগতি সুবিধের লাগে না তার। দোকান বন্ধ করে দৌড়ে আসে ঈদগায়। সেখানে এসে দেখে সে- ইমাম সাহেব পাঁচ-ছয় জন লোক নিয়ে দাড়ায়ে আছে জানাজার জন্য। ভয়ানক এক দম বন্ধ করা কষ্টে অন্তরটা ফেটে যেতে চায় রুস্তমের। এমন একজন মানুষের শেষ যাত্রাটা এভাবে হবে? সারাটা জীবন ধরে এই একটা লোককে দেখেছে রুস্তম, যার তুলনা নেই। ভেতরটা ফেটে চৌচির হয়ে যায় তার। একবার ভাবে চিৎকার করে সবাইকে বলে দেয়- তোমরা পুলিশ বলতে যা বুঝ এস আই মকবুল তা নয়। সে অন্য মানুষ। সে পুলিশ, তবে পুলিশ তার মত নয়। সব প্রমাণ তার কাছে আছে। তার কাছে বাকীর খাতা আছে, ধারের খাতা আছে। কিন্তু কিছুই বলতে পারে না, মুখ দিয়ে কোন শব্দ ছোটে না মুদী রূস্তমের। শুধু কফোটা চোখের পানি ঝরে পড়ে কবরের শুকনো মাটিতে। হেলে পড়া সুর্য্যের লাল কিরন গায়ে মেখে ঢুকে পড়ে নিস্প্রান মকবুল মাটির গর্তে। সবার অগোচরে হয়তো একটু ভালবাসাও মেখে দেয় সুর্য্যটা তার কফিনে। কিন্তু ঐ সূর্য্যটা পরদিন প্রভাতে সগৌরবে ফিরে আসলেও মকবুল কি ফিরে আসবে আবার সহস্র সতীর্তের অপজশের বড় ঝুলি কাধে নিয়ে তার পর্ন কুটীরে? আসবে কি? হয়তো আসবে, তবে অন্য কোন মকবুল, অন্য কোনখানে। ওদের আসতে হবে- অল্প সংখ্যায় হলেও আসতে হবে। আসবে আর বিদায় হবে মকবুলের মতই, কারন ওরা বোকা। বোকাইতো! এই জনপদে সেই দিনই ওরা গেড়ে বসবে যেদিন সব বোকারা একসাথে জ্বলে উঠতে পারবে বারুদের মত। চালাকেরা সেদিন বিদায় নেবে তমষায়।
অগুনিত ঘৃনার চোখ আর কুটিল বাতাসেরা হাক ছাড়ে- বিদায় হও মকবুল। ঘোড়া-রোগে বিক্ষত এস আই মকবুল তার ভাগ্যনামা হাতে নিয়ে ত্রস্তে নাই হয়ে যায় নিরবে। কোন খিলাত, মরনোত্তর কোন মেডেল বা নিদেনপক্ষে কোন কর্তা-হোতার দু-একটা অমর বানীও তার সিথান আলোকিত করে না। বোকা মানুষের ভাগ্যে হয়তো এর থেকে বেশী কিছু হয়না। হয়তো এস আই মকবুল বোকাই, তাই বলে একটা উদাহরণ হবার কোন যোগ্যতাই কি তার নেই? হাতে গোনা মকবুলেরা কি শুধু দুএকজন রূস্তমের হৃদয়ে বীর হয়ে, অথবা বোকা হয়ে বেচে থাকবে? এমন হয় কিসের দোষে? কার দোষে?
এত আবেগময় অথচ এত কমিটেড গল্প এই ব্লগে আমি খুবই কম পড়েছি। ট্রাজিক পরিনতিটা কাদিয়েছে, তাতে অসুবিধা নেই, কারন গল্পের আবেদন ও কমিটমেন্ট যথেষ্ট তীব্র। এমন একটা ছোটগল্প উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মূক্ত মনায় সাহিত্য চর্চার অবস্তা খুবি সোচনীয়। খুবি কম এই ব্লগে আসি। আজকে হঠাৎ করে ঘোড়া-রোগ গল্পটা দেখে ভাবলাম কমেডি জাতীয় কিছু হবে। কিন্ত পড়তে পড়তে আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমার ধারনা এমন একটা শর্ট-ফিকশান এই ব্লগে খুবি কম এসেছে। দুর্গন্ধময় পচা একটা পেশজীবি একটা সম্প্রদায়ের ভেতর থেকে খাটি সোনা বেরিয়ে নিয়ে এসে তা সাহিত্য রসের মাধ্যমে পরিবেশন করাটা চাট্টিখানি কথা না। আপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক।
ঘোড়া রোগ যদি সারা দেশব্যাপী সংক্রামিত হত!!!
@গীতা দাস,
এই একটা মাত্র রোগ যার সংক্রমন খুবই জরুরী, আর এর জন্যে কোন ভ্যক্সিনেরও দরকার নেই। ঠিকই বলেছেন, এমন একটা অসুখ দরকার বিনা চেষ্টায় সব মানুষ ভাল হয়ে যায়- এটা একটা স্বপ্ন বিলাস।
এটা কি সত্যি ঘটনা? ভালো পুলিশ এখনও আছে? নাকি শুধু গল্পেই পয়া যায়??
@ছন্দা,
হতে পারে সত্যি। তবে এমন যে ঘটে সেটা বুঝা যায়, হজারে হলেও একটা। মূল কথা হলো কি উদ্দেশ্যে এই বিরল ঘটনাগুলো তুলে আনা হয়- উদ্দেশ্য আর কিছু না, নিজেদের দায়িত্বকে উপলব্ধি করার একটা সুজোগ দেয়া।
আমার মনে হয় মানুষের মনে যত সমস্যা তার থেকে হাজার গুণ বেশি সমস্যা আমাদের সিস্টেম এ। এত মানুষ তো খারাপ হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না।
@অরণ্য,
সিস্টেম সুন্দর ছিল বলেই বুশ আর ব্লেয়াররা দেশের অতটা ক্ষতি করতে পারে না। বিতাড়িত হতে হয় ওঘোরে। দেশে একটা সিস্টেম গড়ে তোলা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।
বেশ ভালো আর বক্তব্য ভালো লাগল গল্পটার।
@আফরোজা আলম,
সমালোচনা করতে করতে মুখ তেতো হয়ে গেছে, ভাবলাম একটু এষ্টিম দিয়ে লিখি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট গল্পের ধাঁচে লেখা–খুব ভাল লেগেছে, এক নিঃস্বাসে পড়ে নিলাম।
@আবুল কাশেম,
কারো ভাল লাগলে, লেখকের ভাল লাগে ৭০ গুন বেশী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সব কিছু এখনো নষ্ট হয়নি পুরোটা। এখনো মানুষ আছে। এমনকি পুলিশের মধ্যেও মানুষ খুজে পাওয়া যায়। তেমন করে খুজলে আদালাত, সাব রেজিস্টি অফিস, ভুমি অফিস, শিক্ষা বোর্ড (রাজনৈতিকদের ব্যাপারটা জানি না) সব খানেই ভাল মানুষ নিশ্চয়ই খুজে পাওয়া যাবে।
কেন যাবে না?
@মুরশেদ,
আপনি ঠিক বলেছেন। ঐ সমস্ত ভালদের তুলে এনে খারাপদের সামনে তুলে ধরা উচিৎ অনুকরনীয় হিসাবে। তবে সমালোচনাও করা দরকার গঠন মূলক ভাবে। ধন্যবাদ।
তাই হয়ে থাকে, তাই হয় , তাই হয়ত হবে
@ঢাকা ঢাকা,
ভাল লোক সব সময় সংখ্যালঘু। এদের ভাল কাজগুলো আলোতে নিয়ে আসা খুবই জরুরী। সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
খারাপ থেকে ভালো তুলে দেখিয়েছেন।
সবাইকে এক চশমায় না দেখে অন্যকে বুদ্ধি বিবেচনা যুক্তি দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করাটাই যে ভালো, সেটা আর ক’জনাই বা মানে।
ভালো লিখেছেন।
@কাজী রহমান,
পুলিশ আর ডাক্তার এই দুটো শ্রেনীর মানুষের ভাল করার আর খারাপ করার ক্ষমতা অনেক। অথচ এরা মানুষের কাছে অ ন্য ভাবে চিহ্নিত। যারা যত পতিত তাদের তত এষ্টিম দেওয়া লাগে। দুয়েকটু ছিটেফোটা যা ভাল আছে তাই নিয়ে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
“ঘোড়া রোগ” নাম দেখে একটা রসাত্মক লেখা হবে ভেবে পড়া শুরু করি। কিন্তু পুরো লেখাটা পড়ে চোখে জল আসার উপক্রম হয়েছে। সাথে সাথে এস আই মকবুলের প্রতি ভক্তি-স্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে।
এমন সৎ, বোকা মকবুল যে আমাদের খুব বেশী প্রয়োজন। সেলুট “এস আই বোকা মকবুল”।
@জিল্লুর রহমান,
আপনার অনুভুতি যথার্থ। আমার এক দাদা ছিলেন, তিনি বলতেন- ‘ভাইরে, চোখের পানিটাই হলো সত্যি আর সব মিথ্যা’। আবেগ বা অনুভুতির রাজা হচ্ছে চোখের জল। প্রথমে সহানুভুতি পরে সমানুভুতি। সহানুভুতিই চোখে আনে জল। পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।