১.
আমি যে আইএসপির লাইন ব্যাবহার করি সেই লাইনের আমরা বেশ কয়েকজন নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু শেয়ার করি ল্যানের মাধ্যমে। মুভি, বই, রসময়গুপ্ত থেকে শুরু করে পর্ণ কোনটাই আমরা শেয়ারের আওতার বাইরে রাখি না। গণতান্ত্রিক অধিকার বলে কথা। হাসিনা সরকার বেআইনি ঘোষনা করলেও তার আইনের মুখে মুতে দিয়ে শেয়ার করেই যাচ্ছি। কাজে সুবিধার জন্য ফেসবুকে একটা গ্রুপও খুলে নিয়েছি। নাম “পিনিকবাজের দল”। কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধু , যার সাথে স্কুল কলেজে দুটোতেই একই সাথে পড়েছি, আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করল গ্রুপে পর্ণ কালেকশন কেমন আছে জানতে চেয়ে। নেওয়া যাবে কিনা? বললাম আলবাৎ যাইব। কেন যাইব না? তবে শর্ত একটাই, তোমার নিজেরও কিছু শেয়ার করন লাগব বাপধন। তো আমাকে লিঙ্ক দিতে বললে আমি বললাম যে একটু অপেক্ষা কর, দিতাছি। ও বলল, তাইলে তুই দে, আমি নামাজটা পইড়া আসি!
কী আর করব, নামাজি বান্দার আবদারতো আর হেলায় ফেলাতে পারি না। দিলাম একগাদা কালকশনের লিঙ্কটা।
২.
আজকে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে ঢুকে দেখি স্কুলের এক বন্ধু একটা ছবি শেয়ার করেছে। কয়েকজন মিলে একটা প্লাকার্ড ধরে রেখেছে বাঙলাদেশ ভারত খেলায় স্টেডিয়ামের দর্শক গ্যালারীতে। লেখা “Stop BSF Brutality”। বন্ধুর রাষ্ট্রনীতি সচেতনতা দেখে ভালো লাগল। তারপরে গেলাম “পিনিকবাজের দলে”। গিয়ে দেখি ঐ একই বন্ধু কয়েকটা স্থিরচিত্রের লিঙ্ক দিয়ে বলেছে গিয়ে পছন্দ করতে(ফেসবুকিও ভাষায় Like)। বন্ধুর আবদার রক্ষা করতে গেলাম। গিয়ে পছন্দ না করেই ফেরত আসলাম। এয়ারটেলের স্পন্সর করা একটা প্রতিযোগীতায় সে অংশগ্রহন করেছে। লক্ষ তার হিমালয়। জেতার প্রবল আগ্রহ। জিজ্ঞেস করলাম এই ভন্ডামীর কারন কী? খুবই যৌক্তিক একটা উত্তর দিল। বলল, ঐটা দেশের জন্য, আর এটা আমার জন্য। আমি চুপ মারিয়া রইলাম।
বুঝলাম বন্ধুর চিন্তাভাবনার ধারা। আগায় কোপ, গোড়ায় পানি। বাহ, কী ফানি কী ফানি। দেশাত্ববোধও হল, নিজের ক্যরিয়ারও হল। আবহমানকালের বাঙালি চরিত্র। আমার বিমল আনন্দের খোরাক। সাথে সাথে দুঃষহ বেদনারও।
আমার খুব বেশী ব্লগে ঢোকা হয় না। মুক্তমনায় একমাত্র নিয়মিত। মাঝেমাঝে সচলায়াতন আর সামহোয়্যারে। কথাটা এজন্যেই বললাম যে, ভারত বন্ধের ডাক আসলে প্রথমে কোন ব্লগ থেকে দেয়া হয়েছে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমি যেহেতু সচলায়তনের মাধ্যমে জেনেছি সেই প্রেক্ষাপট থেকেই বলি।
কিছুদিন আগে যখন ইন্ডিয়া বাঙলাদেশের মধ্যে একটা সাইবার যুদ্ধ যুদ্ধভাব চলছিল, আমার জায়গা থেকে আমি সেটাকে সমর্থন করেছিলাম। আরো অনেককেই দেখেছি সমর্থন করেছে। এবং আরো অনেককে দেখেছি বুদ্ধিজীবির গম্ভীরতা নিয়ে বিরোধীতা করতে। সচলে এ বিষয়ে পোষ্ট দেখেছি।
পহেলা মার্চ আর পনেরেই মার্চ, এ দুটো তারিখে ব্লগিং জগতে অন্তত ভারত বন্ধ পালিত হয়েছে। পহেলা মার্চের বন্ধের ঘটনায় এয়ারটেলের বিচি কাধে না উঠলেও পেটে যে ঢুকেছে সেটা বোঝা গেছে এয়ারটেলের উপহারের বহর দেখে। শুধুমাত্র পহেলা মার্চের রিচার্জেই সম্ভবত ১০০% বোনাস দেয়া হয়েছিল(পরিমানটা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই)। হ্যাকারদের প্রতি আমার নৈতিক সমর্থন ছিল। স্বাভাবিকভাবেই আমি এই বন্ধেরও পক্ষে। আমি যে জায়গাটায় হতাশায় ভুগি সেটা অবস্থান করছে অন্যখানে ।
আমার মা, টিভির সামনে বসে সাধারনত সন্ধা হবার সাথে সাথেই। ওঠে ১১ কি ১১.৩০টার দিকে। কোন কোন দিন ১২টাও পার হয়। যারা বুঝতে পারছেন না বাঙলাদেশের টেলিভিশনে কী এমন দেখায় যার জন্য এতসময় উনি টিভির সামনে বসে থাকেন, সে সমস্ত মূর্খদের জন্য বলছি পাহারা খাতুনের রঙিন টিভি সাদাকালো করে দেয়া মুখ এবং আBull এর সদাআবুলীয় হাসি ছাড়াও বাঙলাদেশের টিভিতে জি-বাঙলা নামে একটা চমৎকার চ্যানেল আছে। সেটার ইন্দ্রজালে একবার পড়লে আর বের হওয়া সম্ভব নয়। আরো আছে স্টার প্লাস নামে হিন্দিভাষী একটা চ্যানেল(মূলত বিউটিপার্লার এবং পূজামন্ডপ) যার প্রয়োজনীয়তা বাঙালি মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত কর্মহীন গৃহিনীদের সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার এবং বাথ্রুমে যাওয়ার মতনই অত্যাবশকীয়। প্রথম প্রথম না বুঝলেও এখন আমি জানি এই আকর্ষনের কারন। একটা ধারাবাহিক শেষ হতে খুব কম করে হলেও ২ থেকে ৩ বছর লাগে। একটা জিনিস শুরু করে তার শেষ না দেখাটা দৃষ্টিকটু।
বাঙলাদেশের যেকোন ছবিতোলার ঘরে আপনি ঢুকে দেখুন, শুধু ভারতীয় চলচ্চিত্রের তারকাদের ছবি দেখবেন। আপনি ভারতেই আছেন কিনা ভেবে বিস্মিত হওয়াটা মোটেই বিস্ময় নয়।
আপনি যেকোন অনুষ্ঠানে যান, হিন্দি ছাড়া আর কোন গান আপনি পাবেন না।
আপনি বর্তমানের ছেলেপেলেদের সাথে কথা বলে দেখুন সরি’র পাশাপাশি এখন হিন্দিও শুনবেন।
এমন কী জাপানিজ একটা কার্টুন “ডোরেমন” যেটা কিনা তুমুল শিশুপ্রিয় সেটাও হিন্দিতে। এবারের বই মেলায় আমার ব্যক্তিগত মতে সর্বাধিক বিক্রিত বই হল ডোরেমন।
প্রথম ঘটনাটা উল্লেখ করেছিলাম, বাঙালি যদি মুসলমান হয় তাহলে তার উভয়সংকটটা কোথায় হয় সেটা বোঝানোর জন্য।
দ্বিতীয় ঘটনাটা উল্লেখ করেছি বাঙালির আন্তর-ইতিহাস বা বাঙালির আসল চরিত্রটা দেখানোর জন্য।
আর আমার মায়ের ঘটনাটা উল্লেখ করলাম বাঙ্গালি যখন কর্মহীন রমনী হয় তখন কী করে বা করছে।
পাত্রপাত্রী যখন এমন চরিত্রের তখন তাদের দিয়ে সিরিয়াস কাজ করতে যাওয়াও সিরিয়াস।
আজকে বাঙলাদেশ ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ কাটাতাঁরময় যোগ ফেলানীময় যোগ হাবু শেখময় যোগ বিএসিএফের যা ইচ্ছা তাময় সম্পর্ককের প্রেক্ষিতে ভারত বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগেই বলেছি এর সাথে আছি, আবারও বলছি আছি। কিন্তু ভাবিত হই বাঙালির চিরাচরিত খোলারহস্যের চরিত্র দেখে। এরা হুজুগে কিছুদিন নাচবে, যখন দরকার হবে এয়ারটেলের স্পন্সর করা প্রতিযোগীতায় নাম লেখাবে।
যখন দরকার হবে নামাজের আগে পর্ণ খুজবে(হয়ত বিষন্ন নামাজের বিমর্ষ সময়ে মন ভালো রাখার জন্য)।
আবার যখন দরকার হবে ফেসবুক ওয়ালে ইন্ডিয়া ভাজাভাজা করে ফেলবে। কিন্তু কাজের কাজ হবে না কিছুই। শাসক শাসকের মতনই থাকবে। বাঙালি আজীবন মিউমিউ করে সে পা চেটে দেবে।
বাঙালির গর্ব করার মতন তেমন কোন ইতিহাস নেই। বহু চর্বিত চর্বনে চূর্ণ ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের গল্প ছাড়া বলার মত আর কিছুই নেই। যার জন্য যে কোন ঘটনাতেই এই হজমকৃত ঘটনাদ্বয় ঘুরে দিরে আসে। এই দুই গর্বের কথা চিন্তা করেও যদি বাঙালি পারে তো ভারত বন্ধে হাতে হাত রাখুক। বলুক, ভারতীয় পণ্য ব্যাবহার করব না। ভারতীয় চ্যানেল দেখব না। ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করব না। ভারতীয় ভাষা হিন্দিতে লটপট করব না কথার মাঝখানে। থাপ্পরের জবাবে থাপ্পর না দিতে পারি একটা ঝাড়ি অন্তত দেই, যাতে পরের বার থাপ্পর দেয়ার আগে ভাবনা চিন্তা করে নেয় ভালো মতন করে।
দেশের যৌক্তিক অবস্থানের প্রশ্নে মৌলবাদী হতে হবে। ইতিহাসের মিউমিউ করা প্রজাতীদের মধ্যে শ্রেষ্ট হওয়ায় আজকে বাঙালির এ অবস্থা। দু একটা গৌরব ধুয়েধুয়ে পানি খেতে খেতে ডায়রিয়া হতে চললেও পানি খাওয়া বন্ধ হচ্ছে না। বাঙালিকে এখন জাতিয়তাবাদী মৌলবাদী পানি খেতে হবে। গৌরবের পানি এত বছরে যে নর্দমার পানিতে পরিণত হয়েছে আর চেহারা হয়েছে শুকনো বিচির মত সেটা খেয়াল করে দেখতে হবে। এর চেয়ে জাতিয়তাবাদী ঘোলা পানি অনেক সুপেয় আর মিষ্টি।
মুক্ত-বাণিজ্যের ধারক এবং বাহক, বাণিজ্যেরর স্বার্থে অনেকে অনেক রকম কথা বলে, তাতে অবাক হবার কিছু থাকে না। অনেকদিন পর আপনার উদয়, অভিনন্দন।
নির্যাতিত জাতি আর আধিপত্য জাতি-র পার্থক্য মনে থাকলে জার্মান আর বাংলাদেশ ভিন্নভাবে ধরা দিত আপনার চোখে। নিষ্পেষিত একটা জাতি-র ওঠে দাঁড়াবার জন্য কখনো কখনো জাতীয়তাবাদ (অপছন্দের হলেও) জরুরি হয়ে ওঠে।
অনলাইন বাণিজ্য সীমান্ত মানে না, আমরাও জানি, কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দিতে কাঁটাতারের বেড়া কেন? কেন নেপালের লোকজন ভারতে এসে পাঁচ বছর কাটালে নাগরিত্ব পাবে, আর একজন বাংলাদেশিকে হেয় করা হবে? আচ্ছা, বাংলাদেশিরা না হয় খারাপ, খোদ কলকাতার একজন পাসপোর্ট নবায়ন করতে গিয়ে, এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়; সে কেন এত ঘন ঘন বাংলাদেশে যায়? আর লেখককে বলতে হয়, অখন্ড সংস্কৃতির টানে। তাতেও কর্তাদের মন ভরে না।
তারমানে ১০০০ বছর আগে বা ১০০০ পরের ব্যাপারটা মাথায় রেখে শীত-নিদ্রায় যাই; গনেশ আর লক্ষীতে ভরে যাক বেনিয়াদের ঘর, কি বলেন?
উদাহরণ তো দিলেন, কিন্তু গুজরাট; ওরাও কি আপনাদের এবং আমাদের মত বাংলিশ ( যদিও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে তারা আপনাদের এবং আমাদের চেয়ে এগিয়ে, অনুগ্রহ করে তথ্যসূত্র চেয়ে বসবেন না, আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে, তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন। )
যাক, আপনাকে মুক্তমনায় দেখে ভাল লাগলো, ভিন্নমত মানে তো পায়খানা নয়, তা’হলে উন্নততর সংস্কৃতির কথা না বলে, আসুন আমরা খিস্তিখেউড়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠি।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ভাষার বৈচিত্র্য, মানুষে মানুষে বৈচিত্র্য, জাতিতে জাতিতে বৈচিত্র্য, কেন যে আপনার গাত্রদাহের কারণ হয়ে ওঠে; আমি খুব না-জানা বলে, জানা হয়ে ওঠেনি। তো কি আর করা, যেখানেই পা, সেখানেই ম্যাকডোনাল্ড/ বার্গার কিং/ ডাংকিন ডোনাট আর সাধু সাধু না বলেঃ ওয়াও! মার হাবা !
একটুখানি লজ্জা আপনার, আমার এবং লেখকেরও, বাংলাটা মরতে মরতে, এখনো বেঁচে আছে গ্রামে, তো সেই গ্রামকেও “দুখিয়ার কুঠি” বানানো হচ্ছে।
আসলে কোন কিছুতে কি কারো কিছু যায় আসে? মরেই তো যাবো। ১০০০ বছর নয়, ১০০ বছর কি হবে, তা ভেবে আমার কি লাভ, তার চেয়ে উলটে পালটে দে মা, লুটেপুটে খাই।
তবুও কেউ কেউঃ শ্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যায়। যেমনঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ও গেয়ে ওঠলেন;
httpv://www.youtube.com/watch?v=Tz5rG6kzB4M&feature=related
এই ধরনের বস্তাপচা জাতীয়তাবাদি চিন্তা ইউরোপে ২০০ বছর আগে ছিল। হিটলারের মেইন ক্যম্প পড়া না থাকলে সইফুল পড়ে নিলে ভাল হয়। ভবিষয়তে বাংলাদেশ, ভারত এসব দেশের অস্তিত্ব থাকবে না, থাকতে পারে না। জাতিয়তাবাদ মানুষের উন্নতির পরিপন্থী-সভ্যতার ঘড়ির উল্টোদিকে এর কাঁটা।
আসলে যাদের হাতে খুব বেশী কাজ নেই, তারা এই এসব জাতিয়তাবাদি উন্মাদনা ছড়ায়। এটা ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের জন্যেই সত্য। যারা কাজের লোক, তাদের একটাই উদ্দেশ্য থাকে যৌত্বিক বস্তুবাদি উন্নতি-সেখানে ভারত, পাকিস্তান,বাংলাদেশ ভাই ভাই। আমি বর্তমানে অনেক বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানি অনলাইন কন্ট্রআক্টর দের দিয়ে বেশ কিছু কাজ করায়। তারাও আমার প্রতি লয়াল, আমিও তাদের প্রতি লয়াল। কারন বাণিজ্যের স্বার্থ। অনলাইনে দেশ নেই বলে বৈরীতা নেই। বাণিজ্যে সীমান্ত তুলে দিলে এই সব জাতিয়তাবাদি ভুত উঠে যাবে।
সংস্কৃতি ভাষা এসব ক্ষণস্থায়ী বিবর্তন জাত প্রোডাক্ট। আজ থেকে ১০০০ বছর আগে বাংলা হিন্দি ছিল না-আজ থেকে ১০০০ বছর পড়েও থাকবে না। এসব নিয়ে মাতামাতি করার কারন দেখি না-কারন এসবের ধর্মই পরিবর্তনশীলতা এবং সংশ্লেষণ।
বাংলাদেশীদের হিন্দি ভাল লাগতেই পারে। কারন তা ফার্সি ঘেঁসা-মুসলমান সংস্কৃতির সাথে পালির মিশ্রনে তার উৎপত্তি। এই নিয়ে এত কান্নাকাটির কিছু দেখি না।
সইফুলের ভাষার সাথে হিটলারের মেইন ক্যাম্পের মিল আছে। এসব লেখা প্রগতিশীলতার নামে পায়খানা।
@বিপ্লব পাল,
তো ২০০ বছর আগের ইউরোপ আর আজকের ইউরোপের মধ্যে কোন পার্থক্য কি বিপ্লব পাল দেখতে পান?
আমি যেটা বুঝি না সেটা হল, ভারতীয়দের কেন বাঙলা ভালো লাগে না। একটু জ্ঞ্যান দেন তো বিপ্লব পাল।
আমি মোটেই প্রগতিশীলতার বিজ্ঞাপন দিতে আসি নাই দাদা। যেটা আপনি প্রায়ই দিয়ে থাকেন। আমি পরিষ্কার ভাষাতেই মৌলবাদী জাতীয়তাবাদের বিজ্ঞাপন দিচ্ছি। আপনি এটার মধ্যে যেভাবে পায়খানা খুজে পাচ্ছেন যেটা নিতান্তই দূর্গন্ধবর্ধক, আমিও তেমনি আপনার কথার মধ্যে ঘামক্ষরনকারী, কামে উত্তেজিত সঙ্গমপিয়াসী, ফেলানী, হাবু শেখ হত্যাকারী, সমর্থনকারী ভারতীয় জনতার টোন খুজে পাচ্ছি। আপনি আমার লেখায় পূরীষ খুজে পেলেও আপনার মহান ভারতের উত্তেজিত শিশ্নকে কীভাবে নেতানো যায় সেটা বের করতে পারছেন না(হয়ত ইচ্ছে করেই)।
সেটা তুলে দেবেন কি পূরীষ গবেষক বিপ্লব পাল? নাকি আবাল বাঙালি জনতা? নাকি ভারতীয় “যৌত্বিক বস্তুবাদি উন্নতি”তে বিশ্বাসী সরকার?????
আগে বুঝুন বাঙালিদের বর্তমান অবস্থা, তারপরে এখানে সেখানে পায়খানা খুজুন।
ও আরেকটা কথা, আমি যদিও নামের ব্যাপারে মৌলবাদী নয়, তারপরেও বলছি আমার নামটা সাইফুল, সইফুল না। যতটুকু মনে আসে আরেকবার আপনাকে ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছিলাম। এর পরের বার থেকে আপনার নাম বিপ্লব পাল থেকে বাল হয়ে যেতে পারে।
@সাইফুল ইসলাম,
এই পলা দেহি শেষে লুঙ্গি ধইরা টান দিব! :-O । আমি আর নাই (C)
@সপ্তক,
এই পলা দেহি শেষে লুঙ্গি ধইরা টান দিব!:-O । আমি আর নাই (C)
@বিপ্লব পাল,
অঃট-অনেক দিন পর আপনাকে মুক্তমনায় দেখা গেল। নতুন লেখা কিছু দিন। মুক্তমনায় এখন আগেকার মত লেখা পড়তে পাইনা অনেক দিন।
@আফরোজা আলম,
আপু, আপনার সাথে একমত।
@বিপ্লব পাল,
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলি, আমার ব্যবসায় বাংলাদেশী ও পাকিস্তানীদেরকে আমি ঠিক সেই রকম লয়াল বা বিশ্বস্ত পাই নি যে ভাবে পেয়েছি ইরান, ভারত, শ্রীলংকা বা অন্যান্য দেশের কর্মচারীদেরকে। আমার জাজমেন্টটা কি ঠিক হলো? কেন এমন হলো? আমি বলবো, কারণটা অন্য জায়গায় তবে ধর্ম নয়।
আপনার বিশ্লেষণটা তো ভালই চলছিলো, কিন্তু-
শেষের শব্দটা ব্যবহার না করলেও পারতেন।
@বিপ্লব পাল,
অামি একটা জিনিস বুঝি না, অামাকে বোঝাবেন, বিপ্লব পাল। অাগামিতে একটা জিনিস থাকবে না বলে এখন সেটার চর্চা করা যাবে না? ভবিতব্যের সাথে ঔচিত্য গুলাচ্ছেন? মুসলমানেরাই যদি নিজেদের মধ্য নিজেদের ঐক্য গঠনের অধিকার রাখে, একটা জাতি সেটা কেনো করতে পারে না বলেন দেখি? জাতীয়তাবাদ কি ইন্হেরেন্টলি খারাপ কিছু? ধর্মপালন বা ধর্মীয় ঐক্যও তো ইন্হেরেন্টলি খারাপ কিছু নয়। তাহলে একটা মানুষ জাতীয় ঐক্যের কথা ভাবতে পারবে না কেনো?
অাপনার অামার ক্ষতি না করে জাতি কি ধর্ম গোষ্ঠি সবারই সেল্ফ ডিটার্মিনেশানের অঢেল অধিকার অাছে। যখন অাপনার অামার তাতে কিছু অাসছে যাচ্ছে না, তারপরেও সেই গোষ্ঠিবদ্ধতাকে কটাক্ষ করাটা একধরনের অাগ্রাসী মনোভাব বৈকি! পুঁজিবাদ খারাপ না, কিন্তু সেটার কারণে সবাই একদিন এক কাতারে চলে অাসবে এমন রূপকথা না বিশ্বাস্য, না কাম্য।
@রূপম (ধ্রুব) ভাই,
একটি জিনিসের মৃত্যু ঘটবে জেনেও আমি কেন তা আঁকড়ে থাকব যক্ষের ধনের মত, সে জিনিসটি কিছুতেই বুঝতে পারছি না। জাতীয়তাবাদ যা মানুষের মুক্তিকামিতার পথে বড় বাঁধা, তাকে কেন ভবিষ্যতের কুশিলবদের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে, তাও বুঝতে পারছি না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায় শত বছর পূর্বেই তার সুবিখ্যাত উপন্যাস ‘ঘরে-বাইরে’র সন্দীপ চরিত্রের মাধ্যমে দেখিয়ে গেছেন, জাতীয়তাবাদ কিভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠে। জাতীয়তাবাদী সন্দীপ ‘স্বদেশী আন্দোলনের’ নামে শুধু অসংখ্য মুসলিম নিম্ন আয়ের মানুষের উপরই জুলুম চালায়নি, সঙ্গে হাত বাড়িয়েছে আশ্রয়দাতা বন্ধু নিখিলেশের স্ত্রীর উপরও। এখনকার ভারতের যেসব জাতীয়তাবাদী নেতা-আমলা বাংলাদেশকে এক্সপ্লয়েট করতে চায়, তারা ঐ সন্দীপের উত্তরসূরি বলেই মনে হয়!
@কাজি মামুন,
জাতীয়তাবাদ ভালো না খারাপ ঐটা না বলে এক কাজ করতে পারেন। কীভাবে ভারতের কবল থেকে বাঁচা যায় তার দু একটা উপায় দেখান। আমরা জ্ঞ্যানী হয়ে উঠি ধীরে ধীরে মামুন এবং বিপ্লব পালের ছায়ায় থেকে।
@সাইফুল ইসলাম,
খুব সোজা উপায় আছে। ভবিষ্যতের হাতে ছেড়ে না দিয়ে এখনই জাতীয়তাবাদের মৃত্যু ঘটানো বা অন্তত তার জন্য চেষ্টা করা। উগ্র জাতীয়তাবাদ, উগ্র গোত্রপ্রেম, উগ্র ধর্মপ্রেম প্রভৃতি হল সব সমস্যার সুতিকাগার; আজকের আগ্রাসী ভারতের পেছনেও রয়েছে এই উগ্র জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদের মৃত্যু ঘটিয়ে সীমান্ত (অর্থাৎ ধর্ম, গোত্র, জাতি, লিঙ্গ, বর্নের সীমানা) বিহীন পৃথিবী কায়েম করতে পারলে পৃথিবীর মানুষের সত্যিকার মুক্তি নিশ্চিত হবে বলে আমার ধারনা। আমাদের সস্তা মন্তব্যের জবাবে আপনার কাছ থেকে ‘হল্কা প্রতিক্রিয়া’ না পেয়ে অবাক হলেও কৃতজ্ঞ। ভাল থাকবেন।
@কাজি মামুন,
ধারনাটা যখন আপনার তখন তো আর কোন ভুল নাই। কিন্তু কী কী উপায়ে জাতীয়তাবাদের ইন্তিকাল ফর্মানো যায় ঐটাও যদি একটু জানাইয়া দিতেন আমার মতন জাতীয়তাবাদীদের অনেক উপকার হইত।
@সাইফুল ইসলাম,
এই যে আপনি ব্লগিং করছেন তাও কিন্তু জাতীয়তাবাদের মৃত্যু ঘটানোর একটা উপায়। ফেইসবুকের মত সোশাল নেটওয়ার্ক, আন্তর্জাতিক মিডিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্রম উন্নতি আস্তে আস্তে বিভিন্ন জাতীয়তার মানুষের সম্পর্ককে নিবিঢ় করছে, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে করছে উদার, গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা ভাবতে আর কোন বাঁধা থাকছে না। এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে সত্য; কিন্তু জাতীয়তাবাদের মৃত্যুর আলামত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, ‘হালকার উপর ঝাপসা’ চোখদুটোকে সামান্য প্রসারিত করলেই তা দেখতে পাওয়া সম্ভব।
ধারনা ভুল হতেই পারে, বিশেষ করে আপনার লেখার বিরুদ্ধে যায়, এমন কোন ধারনা প্রকাশ তো কোন যুক্তি-তর্ক ছাড়াই বাই ডেফিনিশন ভুল, কি বলেন?
@কাজি মামুন,
জানতাম উত্তর দিতে পারবেন না। আপনার গুরুর সাথে আলোচনা কইরা আইসেন। অপেক্ষায় থাকলাম। আর কোন কিছু সম্পর্কে পরিষ্কার না জাইন্যা শুধুশুধু নীতিমালা দিতে আইসেন না। আপনার সময় নষ্ট, আমার সময় নষ্ট। সবার সময় নষ্ট।
গত বছর মার্চে ” শিলা কি জওয়ানি ….. ভিত্তিক একটা লেখা দিয়েছিলাম, সেখানে যতটা প্রতিবাদ
দেখে ছিলাম, সাইফুল ইসলামের এ লেখাটায় তা দেখছিনা দেখে খুব ভাল লাগছে!
এর মধ্যে অবশ্য তিস্তা, টিপাইমুখের পানি অনেক গড়িয়েছে !
এই হয় ! এভাবেই মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন হয়!
আর তাই হয়েছে এই কয়েকটা মাসে!
এখানের টিভিতে প্রায়ই একটা বিজ্ঞাপন দেখি …… “One man can make differenc”!
কথাটার মধ্যে কিন্তু বিরাট একটা সত্য লুকিয়ে আছে!
সচলায়তন এ বিষয়ে অনেক কর্মসূচী নিয়েছে একটা শান্ত পুকুরে ঢিল ছোঁড়ার মত এর তরঙ্গ কি্নতু চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে !এর প্রভাব পরবেই!
আমি আশাবাদী
দেশের সব কিছু ব্যবহার করে দেশের উন্নতি চাই!
নিজেদের সম্মান আজ আমাদের নিজেদেরই বাড়াতে হবে , কেউ তা বাড়িয়ে দেবেনা!
মুক্তমনায় এ প্রসঙ্গে আরও লেখা দেখতে পেলে ভাল লাগত!
@লাইজু নাহার,
ধন্যবাদ।
@লাইজু নাহার,
আপনার লেখার লিংকটা দিয়ে দিলে ভাল হতো।
@স্বপন মাঝি,
স্বপন মাঝি ভাই এখানে
লেখায় একটা বিদ্রহী ভাব আছে। ভাল লেগেছে। তবে মৌলবাদ বা জাতীয়তাবাদ অন্য আইডিয়া থেকে কেন ভাল, এটা ঠিক বুঝতে পারিনি। তবে এই বিশ্বায়নের যুগে বড় সাংস্কৃতিক আন্দলন ছাড়া গনমনকে সঠিক রাস্তায় আনা বোধ হয় সম্ভবনা। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে সেটার কোন সম্ভাবনা তৈরী হয়নি। তবে আমি মোটেই নিরাশবাদীর দলে নই।
@শাখা নির্ভানা,
বাঙালিদের যে আত্মসম্মানবোধ আছে এটা বোঝাতে হলে আপনাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয়তাবাদী হতে হবে।
দেশের অর্থনীতি পুষ্ট করতে আপনাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয়তাবাদী হতে হবে।
ভারতের দাদাগিরির উপযুক্ত জবাব দিতে আপনাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয়তাবাদী হতে হবে।
ভবিষ্যতে আর ফেলানীর লাশ দেখতে না চাইলে বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাকে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয়তাবাদী হতে হবে।
এই কারনগুলো আমার কাছে আপাতত যথেষ্ট মৌলবাদী জাতীয়তাবাদী হবার জন্য।
কোন যুগে “বড় সাংস্কৃতিক আন্দলন ছাড়া গনমনকে সঠিক রাস্তায় আনা” যেত?
দেশী পন্যের ব্যবহার কি গুতা দিয়ে বাড়াতে হবে নাকি গুন দিয়ে। একসময় ভারতের শাড়িতে/পাঞ্জাবিতে/লুঙ্গিতে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব হয়ে যেত। আর এখন ?। বাংলাদেশের শড়ী লুঙ্গি এত উন্নত যে ভারতেও যায়। পচা সাবানের চাহিদা আছে,যমুনা গ্রুপের সাবান বন্ধ হয়ে গেছে,কারন যমুনা গ্রুপের সাবান আয়ারমেটিক এর ঘ্রাণ পচা সাবানকেও হার মানাইছিল!, “সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান” দেখলে বাজার দখল হয় না,”সামি কা আধিকার” দেখলে বাজার দখল হইয়া যায়? । বাংলাদেশ থিকাও অনেক কিছু ভারতে চোরাই পথে যায়, ইলেক্ট্রনিক গুডস ছাড়াও সিল্ক,পলিয়েস্টার এর কাঁচা মাল যায়। কারন অগুলার কাচামাল ভারতের নিজস্ব,মান খারাপ , বাংলাদেশের ব্যাবসায়িরা আমদানি কইরা ভারতে চোরাই পথে রফতানি করে। বর্জন বর্জন গর্জন বন্ধ কইরা অর্জন করমু কবে আমরা?
@সপ্তক,
হায় হায়! এইডা কী কইলেন??
ইসলাম ভাই যা কয় ঐ ডাই কাররেক্ট!
@সপ্তক,
দাড়ান ভাই জান, আওয়াজটা একটু নিচা কইরা দেন। আমি ভারতের কয়েকটা প্রতিষ্ঠান, বা যেইগুলা বাঙলাদেশের চলতাছে তার একটা লিস্টি দেইঃ
১. কিংফিশার
২. আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক
৩. এয়ারটেল
৪. স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া
৫. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক
৬. এয়ার ইন্ডিয়া
৭. জেট এয়ারওয়েজ
প্ররসাধনী –
১. লেকমে
২. হিমালয়া
৩. বোরোলীন
অটোমোবাইল –
১. বাজাজ
২. টাটা
৩. মাহিন্দ্রা
৪. হিরো
৫. মারুতী
জীবন-যাপন –
১. টাইটান
২. এপোলো গ্রুপ
৩. তাজ গ্রুপ
৪. গোদরেজ সামগ্রী
৫. সিনথল
৬. ভিআইপি
৭. প্যারাসুট (মারিকো গ্রুপ)
খাবার
১. কিসান
২. বারিস্তা
৩. কোয়ালিটি
৪. মাদার ডেইরি
৪. ব্রিটানিয়া
৫. ডাবর
৬. আমুল
সোর্সঃ http://www.sachalayatan.com/arfias/43268
এহন আমারে কন ভারতে বাঙলাদেশের কয়ডা পণ্য আফনে দেখছেন? না বুইঝ্যাই চিল্লাইয়া উঠবেন এই জন্য আগেই কয়েকটার লিস্টি দিয়া দেই, যেইগুলা ভারতে চলার যোগ্যতা রাহেঃ
১. প্রাণ
২. কেয়া
৩. জিএমজি এয়ারলাইনস
৪. ইউনাইটেড এয়ারলাইনস
৫. রিজেন্ট এয়ারলাইনস
৬. বেক্সিমকো
৭. নাভানা
৮. স্কয়ার
৯. গ্রামীন
১০. রহিম-আফরোজ
১১. আড়ং
১২. একমে
১৩. ইনসেপটা
১৪. প্রাইড
১৫. ওয়ালটন
সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান দেখলে দ্যাশের বাজার দখল অইয়া যায় কারন, ঐ সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান আফনে দেখেন ভারতীয় চ্যানেলে। মাতায় কিছু ঢুকল?
আমিও কই, গর্জন বন্ধ কইরা অর্জন করন লাগব। মাতাডারে খেলাইতে অইব। হুদাই ফালাইলে অইব না।
@সাইফুল ইসলাম,
আপ্নে যে লিস্ট দিছেন তাতে ভারতের মোট ২৮ রকমের পণ্য , সেবা আছে। আমি কানাডাতে থাকি এইখানে আমি গত ১২ বছরে ১২ টা কানাডিয়ান সেবা পাই নাই,সব আমেরিকান। ব্যাঙ্ক,বিমা,বারগারের দোকান, এমন কি জাইঙ্গা জুতাও। সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান সিরিজটা ৭০/৮০ র দশকে বিটিভি তে দেখাইত। বিটিভির সপ্তাহে প্রতিদিনই একটা হলিউডের সিরিয়াল থাকত। ডালাস, দ্য সেইন্ট, ম্যানিক্স, ত্য ব্যারন, স্টার ট্র্যাক…।
আর বাংলাদেশের যেসব পন্যের লিস্ট দিলেন সেইসব ভারতে ঢুকাইতে কেউ না করছে?। ভারতের এগুলার সমমানের বাঁ আরও ভালো পণ্য থাকলে ত ভাই পাত্তা পাইব না। কি করবেন?।মারবেন?। বাংলাদেশের দুইটা চ্যানেল চালু হইছে ভারতে। ক্যাবল প্রভাইডারগ আগ্রহ থাকতে হইব বাংলাদেশের চ্যানেলের জন্য,তারা যদি আগ্রহ না দেখায় তাইলে অনুমতি থাক্লেও কি না থাক্লেও কি?।
বড় দেশের বাঁ শক্তিশালী দেশের পাশে থাকলে যন্ত্রনা থাকে। কৌশলী হওয়া ছাড়া উপায় নাই। তবে হাবু শেখের নির্যাতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়া এবং ব্লগে প্রতিবাদ হয়েছে আমি তা পূর্ণ সমরথন করি। এ ছাড়া আমাদের আপাতত কি ই বাঁ করার আছে। সরকার নতজানু। আমাদের প্রতিবাদ ভারতকে বাধ্য করবে সন্মান করতে । কিন্তু আমরা যেন ঘ্রিনার উদ্রেক না করি। ভারতের জনগন যেন এটা না মনে করে যে আমরা তাদের ঘ্রিনা করি। রাজনীতির পচা শামুখে আমরা পা কাটব কেন?। জনগন কে ব্যবহার করেই রাজনিতিবিদ্ রা পেট চালায়।
@সপ্তক,
সমস্যার তো কিছু নাই যদি দুই দেশের মইধ্যে আসলেই শান্তি শৃংখলা থাকে, আসলেই বানিজ্য ঘাটতি না থাকে, আসলেই সীমান্তে মাইরা ঝুলাইয়া না রাখে, আসলেই সীমান্ত রক্ষীরা যহন ইচ্ছা তহন ল্যংটা কইরা না পিটায়, যহন ইচ্ছা তহন পিটাইয়া চক্ষু তুইল্যা ফেলাইয়া রাইখ্যা যায়। এই অবস্থা অইলে তো কোন সমস্যা নাই। আপনিতো দেহা যায় আসল কারনই জানেন না ক্যান বন্ধের ডাক দেওয়া হইছে। :-Y
ভারতের জিনিসপাত্তিগুলা নিশ্চই আফনে আর আফনের পরিবার ডাইক্যা এই দ্যাশে আনছেন? নাকি??
কবের থিকা জানি চালু অইছে ঐটাও জানাইয়া দেন না। আর কোন কোন জায়গায় চলে ঐডাও।
এইখানে ঘৃনার কোন প্রশ্ন নাই। প্রশ্নটা আত্নসম্মানের, প্রশ্নটা প্রতিবাদের।
@সাইফুল ইসলাম,
এখন ভারতের মানুষ আমাগো টা ডাইক্যা না নিলে কি করা?। তবে যা নেওয়ার তা নেয় ত, যেমন টাঙ্গাইল;এর শাড়ি,ঢাকাই জামদানি ভারতে জনপ্রিয়।
ডাও।
চাহিদা না থাকলে যোগান থাকে না। আমাগো চ্যানেল ভারতের মানুষ না দেখতে চাইলে ত জোর কইরা দেখানো যাইব না।
এয়াইডাই আসল কথা। আমরা ভারতের পণ্য ব্যবহার করুম কিনা সেইডাও ত আমাগো চয়েস। এইখানে আপ্নে ঠিক আছেন, আপত্তি নাই। একমত। আমাগো আত্মসম্মান টা আবার মার্কামারা :)) ।
বানিজ্য ঘাটতি জোর কইরা পুরন করা যায় না । প্রয়োজনেই বানিজ্য আসে। আমেরিকা,ইউরপ আমাগো দেশে কাপর,জুতা বানাইতে আসে শ্রম শোষণের লাইগ্যা, আমাগো ভালার লাগ্যা না। ভারতের যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়ীরে গুলি করলেও আমদানি করব না , এশিয়ার মধ্যে বেশী হইলে জাপান,তাইওয়ানের মেশিন আনে ব্যবসায়িরা। বইলা দিতে হয় না। বাংলাদেশের কোন গারমেন্টসে ভারতের কোন মেশিন ব্যবহার হয় না। এগুলা ছাড়াও এই যে আমাগো পাটের বাজার আমরা হারাইছি, ভারত ঢুইকা পড়ছে, কার দোষ?। ৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে পলিথিনের আহনের পর পাট মুখ থুবড়াইয়া পরছে। আমরা নতুন অবস্থায় বিপনন চ্যালেঞ্জ মকাবেলা করতে পারি নাই। বাজার হারাইছি, ভারত নিয়া গেছে। দোষ দেই ভারতরে। এখন আবার আমাগো জুট ব্যবসায়ীরা প্রাকিতিক আঁশের চাহিদা বাড়ার কারনে বিপননে সক্রিয় হইছে আমাগো পাটের বাজার ও ভালো হইতাছে। আগে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে দক্ষ ব্যবসায়ি ছিল না , এখন আছে, এইডাই পার্থক্য।
আর পশ্চিম বঙ্গের দাদারা আমাগো দিকে সহানুভুতির হাত বাড়াইছে সবসময়। এই যে আমাগো দেশের সারে চাইর হাজার মাইল সিমান্ত ভারতের লগে এর পুরাটাই দাদাগ লগে। ১৯৬৫ তে যখন ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধ লাগে পূর্বপাকিস্তানের সীমান্ত পুরাডাই অরক্ষিত ছিল কিন্তু একডাও গুলি হয় নাই অইদিক থিকা এই দিকে। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় কেন্দ্রিয় প্রধান মন্ত্রি লাল বাহাদুর শাস্রিরে বইলা দিছিলেন পূর্বপাকিস্তানের মানুষ আমাগো ভাই আমাগো উপর দিয়া অইদিকে যাওন যাইব না। কেউ আসেও নাই। ৭১ এর কথা বাদি দিলাম। এখনো পশ্চিম বঙ্গের দাদারাই তারকাটার বিরুদ্ধে বেশী সোচ্চার, হাবু শেখের অত্যাচারের কাহিনি অনারাই ফাশ কইরা দিছেন। এর মইধ্যেই অনারা এইডাও কইছেন যে , সিমান্তে বিএসেফ এর সব সদস্য অবাঙ্গালি, এইডা ষড়যন্ত্র দুই বঙ্গের মানুষের মইধ্যে কেওয়াছ লাগানোর। মমতা ব্যানারজি অনুমতি দেয় নাই মেলা র। মমতার রাজনৈতিক বিরোধী সিপিএমের সাথে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক ছিল। এইডা মমতার গা জালা/। কিন্তু দাদারা রাগ করছে মমতার উপরে। এগুলা হইল রাজনিতিবিদ্গ গো খেলা। আমরা সাধারন মানুষ এর বলি হমু কেন?। আমাগো প্রতিবাদ দুই দেশের সরকারের কাছে, জনগন ভাই ভাই।
বিশ্বাস করেন, আপনার সাথে পুরো মিলে গেছে। আমার মা, বোনেরাও জিটিভি দেখে এভাবেই। কিন্তু এখন আমি কি করব? মায়ের পছন্দের স্বাধীনতার উপর সেন্সর চালাব? এমন না যে, আমার মা খুব ভারত ভক্ত অথবা ভারত নিয়ে তার ব্যাপক আগ্রহ! কিন্তু তবু আমার মা সুবর্ণলতা দেখে, কেয়াপাতার নৌকা, অগ্নিপরীক্ষা, সাত পাঁকে বাঁধাও মিস হয় না। এমনকি আমার মার ধর্মকেন্দ্রিক বিশাল আনুগত্য পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের একটি সাধারণ হিন্দু পরিবারের কাহিনী দেখার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু কেন? আপনি শুধু লম্বা ধারাবাহিক আর শেষের চমকের যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন বিষয়টাকে। কিন্তু আমি আরও কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছি:
(১) জি বাংলার মত ভারতীয় চ্যানেলগুলো যে করেই হোক আমার আর আপনার মায়ের মত অসংখ্য বাংলাদেশী গৃহকত্রীদের আকর্ষণ ধরে রাখতে পেরেছে; এক্ষেত্রে দেশী চ্যানেলগুলোর ব্যর্থতাকে আমাদের দেশাত্ববোধহীনতার ছাতা দিয়ে কোনভাবেই ঢাকা সম্ভব না।
(২) তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা ভারত আকাশ সংস্কৃতির প্রতিযোগিতায় আগে নেমেছে, তাই তাদের টেক্কা দিতে আমাদের সময় লাগবেই।
(৩) আমাদের দেশীয় চ্যানেলগুলো অনেক ক্ষেত্রেই অনুষ্ঠান নির্মাণ, সিরিয়াল, ছবি তৈরি প্রভৃতির ক্ষেত্রে ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে; তো আমাদের দেশের অনেক মানুষ তাই অরিজিনাল জিনিসটাই ভোগ করলে, তাকে দোষ দেব কি যুক্তিতে?
(৪) আমাদের দেশের মানুষের বিদেশী পণ্য, বিশেষ করে ভারতের পাশে থাকায় ভারতের পণ্যের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে, সত্য। কিন্তু আমাদের উপর যে উপনিবেশবাদের ভুত ভর করেছে, তা দূর করতে সময় তো দিতে হবে। আমাদের বিদেশী পণ্য প্রীতি আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে এবং যাচ্ছেও কিছুটা। কিন্তু বিদেশী পণ্য প্রীতি কি শুধু বাংলাদেশীদেরই জাতিগত বৈশিষ্ট্য? বর্তমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি আমেরিকানদের বিদেশী পণ্য প্রীতি নেই?
(৫) আমাদের রাজনীতিবিদরা যখন ভারতের মত শক্তিশালী দেশগুলোর বাজার হবার প্রতিযোগিতায় নামে মসনদ দখলে সুবিধা হবে বলে, তখন সব দোষ আমার-আপনার মার? তারা চাইনিজ ভাষা বুঝলে হয়ত চাইনিজ দেখত বা ভাল ইংলিশ বুঝলে হয়ত ইংলিশ সিনেমা দেখত! সাধারণ মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া ‘স্বদেশী আন্দোলনের’ মাধ্যমে স্বদেশবাসীকে কিভাবে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল, তা বুঝতে রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’ পড়াই যথেষ্ট হতে পারে।
ভারতের সাম্রাজ্যবাদীতা বা আধিপত্যবাদের জবাব দেয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী মৌলবাদ জন্ম দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই আমার মতে। তাহলে ‘ঘরে বাইরের’ সন্দীপের মত অসংখ্য সন্দীপ জন্মাবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে পারি (যেটা আমরা করছি এবং ভারতের ঈর্ষার কারণও হচ্ছে তা), তা হলেই কেবল ভারতীয়, চাইনিজ, ইঙ্গ-মার্কিন-জার্মান-সৌদি আধিপত্য থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব। আসল সমস্যাটা হল, সন্দীপরা বিদেশী আধিপত্যের জবাব দিতে গিয়ে নিজের অন্তরালে নিজের দেশে নতুন এক আধিপত্যের জন্ম দেয়, যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। আজকের ভারতের যেসব নীতিনির্ধারক বাংলাদেশের উপর আধিপত্যবাদের ছক কষায় ব্যস্ত রাখে নিজেদের, আমি নিশ্চিত তারাই পূর্বজন্মে (যদি থেকে থাকে) সন্দীপ ছিল, যারা উগ্র স্বদেশী আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন ভারতের কৃষক বা সাধারণ মানুষকে পথে বসিয়েছিল আর তলে তলে জমিদার বন্ধু নিখিলেশের স্ত্রীকে ভোগ ও বিদেশী তামাকে মত্ত ছিল।
অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পেয়ে খুব ভাল লাগল।
@কাজি মামুন,
হালকার উপরে ঝাপসা একটু বলে দিলেই মনে হয় আপনার সমস্তা প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়ে যাবে।
এখানে মোটেও রাতারাতি চিত্র পালটানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে না। এই গা সওয়া অবস্থা যেমন একদিনে সৃষ্টি হয় নি, তেমনি এক দিনে যাবেও না। শুধু একটু ধাক্কা দিয়ে পাশের লোকটাকে জাগিয়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার কাছ থেকে ”হালকার উপর ঝাপসা” উত্তর পেয়ে মোটেও অবাক হইনি। কারণ এরকম বিশ্লেষণেই আপনি সিদ্ধহস্ত। তো আপনার উদ্দেশ্যে আর একটি সস্তা প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি (যদিও জানি এবার ‘হালকার’ পরিবর্তে ‘হলকা’ উত্তর পেয়ে যেতে পারি!)ঃ
আপনি কাদের ধাক্কা দিয়ে জাগাতে চান? রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’র সন্দীপ কিন্তু স্বদেশী আন্দোলনের নামে ঘুম থেকে জাগাতে গিয়ে অসংখ্য খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল; কোন পরিণাম চিন্তা না করেই অসংখ্য মানুষকে পথে বসিয়েছিল; আর অন্যদিকে নিজের সুবিধাবাদী শ্রেণী স্বার্থ ঠিকই টিকিয়ে রেখেছিল।
ভাল থাকবেন।
বরং আমি মনে করি ভারতের কাছে অনেক অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।
ওদের পণ্য বর্জন বা চ্যানেল বন্ধ করলে কি আমাদের উন্নতি হয়ে যাবে? যখন আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি ঐ সময় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম একবার। তো যেই আমি এগিয়ে যেতে লাগলাম অন্যদের থেকে ,অমনি পেছন থেকে টেনে ধরল, আমি থেমে গেলাম। অন্য কেউ প্রথম হল। সামনের জনের ক্ষতি করে নিজের অবস্থান উঁচুতে নেবার বাঙালির এই প্রবণতা আমি আজিবন দেখে আসছি।
দৌড় খেলায় সামনের জনের ক্ষতি করে প্রথম হওয়া যেতে পারে, কিন্তু এতে করে ঐ দৌড়বিদের গতি কিন্তু বাড়ে না।
ঠিক তেমনি ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ বা পণ্য বর্জন করলে আমাদের চ্যানেল বা পণ্যের মান কিন্তু বাড়বে না। বরং ওদের থেকে ভালো কিছু করে বাজার দখল করতে হবে। শুধু ভারত নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নিতে গেলে এর বিকল্প নেই।
ভারত এমন একটা দেশ যার মানচিত্র আঁকলে বাংলাদেশের মানচিত্র এমনেই আঁকা হয়ে যায়। আমাদের অবস্থানও আমাদের বুঝতে হবে।
ঢিল মারলে পাটকেল মেরে জবাব দেয়া যায়, কিন্তু পাটকেল খেয়ে অ্যাটম বোমা মারলে আর কিছু মারবার থাকে না।
ভারত আমাদের দেশ ঘিরে আছে বলেই বিরোধটা ভারতের সাথে। অন্য দেশের সাথে না। ভারতের কারনেই কিন্তু ৭১ এ এত সহজে জেতা গিয়েছিলো, এখনো অন্য দেশের কাল হাত আমাদের অপর পরে না ঐ একই কারণে।
ভারতের সরকার জনগণ সবার মধ্যে যে দেশপ্রেম তার কিছুটা যদি আমরা শিখতে পারতাম!
ভারতের অনুকূলে অনেক কথা বললাম, এর মানে এই নয় যে আমি ওদের অপকর্মের পক্ষে। আমাদের কে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যায় সহ্য করাও অন্যায়।
আপনার সাথে আমিও একমত যে বাঙালি হুজুগে মাতাল। তাই আমাদের মৌলবাদী না হয়ে যুক্তিবাদী হতে হবে।
@অরণ্য,
আপনার প্রশ্নটার মধ্যে একটা ঋনাত্নক উত্তর বুদবুদ তুলছে। প্রশ্নের মাধ্যমেই আপনি জানিয়ে দিচ্ছেন, না, বাঙলাদেশ ভারতকে ছাড়া উন্নতি করতে পারবে না। আমি উত্তর দেয়ার আগে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি,
আপনি কীভাবে এত নিশ্চিত হলেন?
এখানে উন্নতি বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন?
বাঙলাদেশে এত দিন ধরে যে ভারতী চ্যানেলগুলো করে খাচ্ছে তাতে করে বাঙলাদেশ উন্নতির কোন ক্রাইটেরিয়াতে উর্ধ্মূখী সূচক দেখিয়েছে?
আর আপনি গুরুগম্ভিরভাবে যে লাইনটা বললেন তাতে করে কিন্তু পরিষ্কার হয়ে গেল আপনার সমস্ত গম্ভীরতা মস্ত বড় কুমরা। আমি কোন জায়গাতে বলেছি ভারতের ক্ষতি করে বাঙলাদেশের উন্নতি করতে হবে? আমি বলেছি দেশী পণ্যের ব্যাবহার বাড়াতে। আমার বাড়ির উঠোনে এসে এক কাবুলিওয়ালা প্রত্যেকদিন সুদের ব্যাবসা করে যাবে, আবার ইচ্ছা হলেই পাছায় গদাম দেব, আর আমি যদি বলি আমার নিজের চেষ্টায় জমি জিরাত করে খাব আর তখন আপনার মতন গবেষকরা এসে বলবেন কাবুলিওয়ালাকে খেদানো যাবে না, তাতে করে তার ব্যাবসায় ক্ষতি হয়ে যাবে।চরম না জিনিসটা?
আমার স্থুল মস্তিষ্কে আমি আমাদের অবস্থানটা বুঝতে পারছি না। আমাকে একটু বুঝিয়ে দিয়ে যান দয়া করে।
এটা বোঝার জন্য আপনার মতন ক্যালীবারের লোক লাগবে বলে তো মনে করছি না। ধন্যবাদ তথ্যটা দেয়ার জন্যে।
তাহলে আসেন নিজেদের পাছাটা ভারতে কাছে মেলে ধরেই রাখি। আফটার অল ৭১-এ সাহায্য করেছে। এ অধিকারতো অবশ্যই পেয়েছে। কী বলেন? একটা জাতীয় আন্দোলনের ডাক দেওয়া যায় এ ব্যাপারে। “জাতীয় পোদ মারা দিবস” নামটা মনে হয় খারাপ হয় না কী বলেন? দলে দলে বাঙলাদেশীরা যাতে যোগ দেয় সেজন্য ক্যাম্পেইন করে যায়।
ও আরেকটা কথা, ভুলে গিয়েছিলাম। এ আন্দোলনে আপনি সবার আগে থাকবেন তো উত্তেজনায় কম্পমান পশ্চাৎদেশ নিয়ে?
কীভাবে শিখব বলেন?? তাদের মতন হতে গেলে তো প্রত্যেকদিন দু একটা ভারতীয় ফেলে দিতে হয়। সেটা করতে গেলে তো আপনি থিওরি দেবেন যে, আরেকজনের পেছনে টান মেরে রেসে যেতা যায় না। আমরা আবাল বাঙালিরা যাই কোথায় বলুন ত?
কম করে হলেও দেড় হাজার বছরের গবেষনা এইটা কী বলেন?? না হলে এমন গম্ভীর কথা বাইর হয় কোথার থেকে??? :-s
আপনি যেহেতু একমত হয়েছেন, তাহলে আমাকে আরো ভাবতে হবে আসলেই বাঙলি হুজুগে কি না।
ধন্যবাদ আপনার স্কলারলি মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
মুক্তবাজারে টিকে থাকতে হলে সকল আন্তর্জাতিক পণ্যের মানের বিপরীতে আমাদের এগিয়ে থাকতে হবে। মানুষ ভালোটাই চায়। এটি বোঝার জন্যে হাজারো তথ্য প্রমাণের প্রয়োজন পরে না।
ব্যবসা, উন্নতি বলতে যে কি বোঝায় তা আপনি যে ব্যাপক বোঝেন তা আপনার ব্যাবসা (ব্যবসা) বানান দেখেই বোঝা যায়। চেনা বামনের তো আর পৈতা লাগে না। তাই আর কথা বাড়ালাম না।
আমার অপারগতা নাকি আপনার নির্বুদ্ধিতা ঠিক বুঝতে পারছিনা। আপনি সব কিছু ঋণাত্মক নিচ্ছেন। আমি মোটেই এধরণের কথা বলিনি। পরমুখাপেক্ষিতা কোন সমাধান হতে পারে না। তবে পরস্পর সহযোগিতা দরকার বলেই আমি মনে করি।
খুবই যৌক্তিক কথা! স্থুল মস্তিষ্ক…
তা ঠিক। যুক্তি, তথ্য এসব তো আপনার বাম হাঁতে থাকে। টয়লেট টিস্যু হিসেবে ব্যবহার করে ফেলেন না তো আবার? :-s
:)) আপনার ভাষাজ্ঞান ও তার শৈল্পিক ব্যবহার দেখে আমি আসলেই উত্তেজনায় কম্পমান। এই না হলে মৌলবাদী!! :guru:
“চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত” আল্লাহু আকবার! আপনি শুধু নামেই ইসলাম না কাজেও। (Y) খারাপ দিক গুলো বাঙালি দ্রুত আকৃষ্ট হয়।
:)) ভালই বলেছেন। দেড় হাজার বছরের গবেষণা। কি করব বলেন, এই দেড় হাজার বছর তো আপনি মিরাজে ব্যস্ত ছিলেন তাই বোধ হয় আপনি ঠিক কমিনিকেট করতে পারছেন না।
আপনার সেই বন্ধুটার কথা মনে পরে গেলো, যেনাকি “আগায় কোপ, গোড়ায় পানি” এই নীতিতে চলে। আপনি কিন্তু মোটেই তার নীতিতে চলেন না। আপনি “গোঁড়ায় কোপ, আগায় পানি” নীতি বেছে নিয়েছেন।
চমৎকার…
ধরাযাক দু’ একটা ইঁদুর এবার!
@অরণ্য,
আপনার মন্তব্যে যেহেতু কোন কাউন্টার লজিক নাই সেজন্য উত্তর পাওয়ার যোগ্যতা হারাইছে। এই মন্তব্য করতেছি শুধুমাত্র এই জন্যই যে আপনি আবার যাতে মনে কইরা না নেন আমি আপনার প্রখর যুক্তির চাপায় শ্বাসকষ্টে নিহত হইয়া গেছি।
@সাইফুল ইসলাম,
:)) এ পরাজয় বড়ো মধুর লাগছে!(ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি)
আপনার লজিকের ম্যাজিকে
হেরে গেলাম আজিকে!
আর আমার যুক্তির চাপায় আপনার শ্বাসকষ্টে নিহত হয়ার কোন সুযোগই নাই। কথায় আছে না,”যতই চাপাচাপি করো, কোন লাভ নাই”( নিরেট যে, তাই)
@সাইফুল ইসলাম,
এই সমস্ত কী হচ্ছে সাইফুল ভাই? তারপর- বিপ্লব পাল ও অরণ্যের সাথে মন্তব্যে-প্রতি মন্তব্যে যে ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে তা মুক্তমনায় আশা করা যায় না। মূল আলোচনার জায়গাটা ক্রমশ ব্যক্তি বিদ্বেষ ছড়ানোর ক্ষেত্রে পরিণত হতে চলেছে। আপনি তো লেখক, আপনার উদ্দেশ্য হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়টার প্রতি পাঠকের সমর্থন অর্জন। প্রতিক্রীয়াশীল ভাষা যে, এর কোন সহায়ক নয় সে কথা আপনাকে বোঝানো ধৃষ্টতা হবে। ভারতের পণ্য বর্জন করবো, না কি নিজের পণ্যের মান বাড়াবো, তাদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করবো, না কি আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য-চুক্তি ও সমতার ভিত্তিতে বাণিজ্য করবো, এর পক্ষে- বিপক্ষে খুবই যৌক্তিক শালীন ভাষায় আলোচনা নিত্যদিন হচ্ছে ব্লগ জগতের বহু ফোরামে। অবস্তাটা কি এমনি হয়েছে যে, সন্দীপ হয়ে বন্দে মা তরম গঠনের ডাক দিবেন? গত কোরবাণীর হাটে, যে গরীব ব্যবসায়ীরা ভারতের গরু বিক্রী করে বউ বাচ্চার ঈদের কাপড় কিনলো, আগামী ঈদে সে কী করবে একবার ভেবে দেখেছেন? সাহিত্য সংস্কৃতির কথা আপাতত নাই বা বললাম। তবে ছোট্ট পরিসরে বলি, আমি কোনভাবেই হতাশ হতে পারিনা, যখন দেখি এই দেশই আমাদেরকে উপহার দেয় প্রলয়ংকরী নোলক, সালমা, লিজা, নিশীতা, উদয়, নীলয়দের।
এবার আমার ব্যক্তি স্বার্থপরতা, সুখ, শান্তি বিলাসিতার কাছে যে দেশপ্রেম হার মানে তার একটা উদাহরণ দেই। বিলেত থেকে নিয়ে যাওয়া Razor blade এক সময় ফুরিয়ে গেল। এরপর থেকে ওয়াদা করেছি, দেশপ্রেমের সাক্ষী প্রমাণ দিতে প্রয়োজন হলে দাড়ি লম্বা করে নির্মলেন্দু গুণ বা রবীন্দ্রনাথ হতে রাজী কিন্তু তওবাহ, আর কোনদিন বাংলাদেশী ব্লেইড গালে লাগাবোনা। :-Y আমি তো বাংলাদেশী ব্লেইডই কিনতে চেয়েছি, কিনেছি ব্যবহারও করেছি।
পচন ধরেছে বৃক্ষের মগজে, কমপিউটারের মাদারবোর্ডে, ডাল-পালায় জল ঢেলে খুব একটা লাভ হবেনা। মাথা সুস্থ সবল হয়ে গেলে শাখা-পল্লব এমনিতেই তরতাজা সজীব হয়ে উঠবে।
@আকাশ মালিক,
অধিকাংশ বাংলা ব্লগের কুৎসিত ভাষা ব্যবহার, অর্থহীন তর্ক, নিম্নমানের পোস্টের কারণে মুক্তমনা ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া হয়না। বেশ কিছুদিন ধরে মুক্তমনাতেও এমন কিছু পোস্ট ও মন্তব্য প্রকাশ করা হচ্ছে যা দেখে সত্যিই শঙ্কিত হতে হয়। 🙁
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই, এইটা তেমন কিছুই না। বেশী আতেলদের সঙ্গে একটু রঙ্গ রসিকতা। যারা অ-আতেল তাদের সঙ্গে কিন্তু আবার আমি ফিরিস্তা। এইটাই আমার টোন। আমার জিনগত বৈশিষ্ট। ছাড়ানো সম্ভব না মনে হয়। 🙂
এইডা তো আমার পরিবারে ও একই সমস্যা, সেই যে সিরিয়াল শুরু হয় আর থামা থামির
শেষ নেই, তাও আবার বিজ্ঞাপন চলাকালিন সময়ে অন্য চ্যানেল এর সিরিয়াল, বন্ধু দের লগে কইলাম , সুনলাম ওগো পরিবারে ও একই অবস্থা, জি-বাঙলা, স্টার জালশা, মহুয়া… কত চ্যানেল এ কত সিরিয়াল, বান্ধবী গুলারে কয়লাম কিরে, তোদের হিন্দি ইন্ডিয়ান সিরিয়াল এর উপর এতো আসক্তি ক্যান? উত্তর যা পাইলাম এক এক জনের কাছে মোটে ও সন্তোষজনক না, কেও বাংলাদেশী চ্যানেল তো দেখেই না, উল্টা কয় ধুর বাংলদেশি চ্যানেল গুলা তো অখাদ্য টাইপ অনুষ্ঠান প্রচার করে, যা নাকি দেখার মত না, আর যা আলোচনা তা স্টার জালশা, সেট মাক্স, জি-বাঙলা, ইটিভি, এগুলার অনুষ্ঠান নিয়া, আর দেভ, কয়েল, জিত, শাহেদ কাপুর, প্রিয়াঙ্কা ছপ্রা, কারিনা, এরা কোথায় কি করতাসে তা লইয়া ।
@বেয়াদপ পোলা,
ঘটনা সত্য। বাঙলাদেশীগো কাছে ময়ুরীর বক্ষ প্রদর্শন অচলীল হইলেও ক্যাট্রিনার প্রদর্শনী স্বর্গীয় আমেজ আনে।
হয়ত হাতের কাজে বেশি সহায়তা পায় এইটা একটা কারন হইতে পারে।
সাইফুল ভাই,
আপনার লেখার হাতটি খাসা।(যখন আমাকে গাল পাড়েননা, পড়তে দিব্যি লাগে! 😀 )
যাকগে একটা ছোট্ট কথা বলার ছিল। এইটা আমি লক্ষ্য করেছি যে পশ্চিমবংগের অধিকাংশ বাংগালীরা যেমন বাংগালী বলতে শুধু নিজেদেরই বোঝেন, বাংলাদেশের বাংগালীরাও বোধহয় কেবল নিজেদেরকেই বোধহয় কেবল বাংগালী মনে করেন(অবশ্য পশ্চিমবংগের কেসটা যতটা জোর দিয়ে বলতে পারব, বাংলাদেশেরটা অতটা জোর দিয়ে বলতে পারবনা।লেখাপত্র ও আলোচনা থেকে এইরকমই মনে হয়।)
ক্ষুদ্র গন্ডি ও কাঁটাতারগুলোর মাঝে বৃহত্তর বঙ্গীয় চেতনা ঢাকা পড়ে গেছে। আমরা নিজেদের নিয়ে এত কম জানি এবং ছোট ছোট দ্বীপ বানিয়ে কুয়োর ব্যাঙ হয়ে দিব্যি সেঁধিয়ে থাকি।তাই হিন্দি সংস্কৃতি, স্টার প্লাস আর শাহরুখ খানদের চাপে আমরা সহজেই বিমোহিত হয়ে যাই। চেন্নাইতে কিছুদিন থেকে তামিলদের মধ্যে নিজেদের ভাষা আর সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব দেখে খুব ভালো লেগেছিল।তামিল নাড়ুর তামিলদের শ্রীলঙ্কান তামিলদের প্রতি যে ভ্রাতৃত্ববোধ আছে, দুই পারের বাংলার মানুষের তার সিকিভাগ-ও নেই।
বাংলা ভাষা ও বাংগালী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অতন্দ্র প্রহরার(তামিলদের মতন) প্রয়োজন!
@অনামী,
আপনি যে জাতীয়তাবোধের কথা বলেছেন সেরকম কিছু আমি কোন সময়ই বোধ করি না। আমি বৃহৎ দৃষ্টিতে জাতীয়তাবাদী। যেমন ধরেন প্রত্যেকটি জাতি সত্তারই নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার, পালন করার অধিকারে বিশ্বাসী। কিন্তু আপনি যদি এখনকার কথা চিন্তা করে দেখেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা এখন আর বাঙালি নেই(অন্তত তাদের কথায় তা মনে হয় না, যদিও তাতে প্রকৃতপক্ষে কিছু আসে যায় না)। তারা নিজেদের পরিচিয় দেয় ভারতীয় বলে। ঠিক এই জায়গাটাতে তারা বাঙলাদেশের বিপক্ষে শোষকের ভুমিকায় অবতীর্ন। কারন তাদের পরিচয় ভারতীয় এবং তারা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে।
একটি অর্থনৈতিক স্বাধীন সমাজে কিংবা দেশে যাই বলেন না কেন, আমি দুনিয়ার সমস্ত জাতির মিশ্রণে তৈরী খিচুরী জাতি হয়ে থাকতেও রাজি আছি। একটি দাদাগীরি মুক্ত সমাজে আফ্রিকার তথাকতিত অসভ্যদের সাথে থাকতেও আমার কোন আপত্তি নাই। আমার আপত্তি আছে পশ্চিমবঙ্গের মতন জাতির সাথে থাকতে যেখানে তারা মুখে বলবে বৃহৎ বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা কিন্তু কাজের সময় পকেটের টাকায় তৈরী বিএসএফ কুকুরবাহিনীর যা ইচ্ছা তা দেখেও আনন্দে ঘুম সঙ্গম নাওয়া খাওয়া প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করে যাবে।
মনে হয় পরষ্কার হয়েছে। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা বাঙালিও বটে, ভারতীয়ও বটে।দুটোর মধ্যে কোন দ্বন্দ নেই।আপনার যুক্তি মানলে তো রবীন্দ্রনাথ-নজরুলও স্রেফ ভারতীয় কবি,বাঙালি নন, কারন তাদের বাঙলাদেশী পাসপোর্ট ছিলনা। আপনার মতন অনেক ‘শিক্ষিত’ বাঙালি পশ্চিমবঙ্গে আছেন যাঁরা বাংলাদেশের বাঙালিদের বাঙালি নয়, স্রেফ ‘মুসলমান’ বলে।আপনাকে যদি কেউ বলে যে আপনি বাঙালি নন, শুধু মুসলমান, আমারও ততটাই খারাপ লাগবে, যদি আমাকে কেউ বলে আমি বাঙালি নযই, শুধু ভারতীয় বা শুধু হিন্দু।ভাষার জন্যে প্রাণ শুধু পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা নন, আসামের বাঙালিরাও দিয়েছেন।ভারতের বাঙালিরা দেশের মধ্যে নিজেদের বাঙালি বলে, যেমন তামিলরা নিজেদের বলে তামিল।দেশের বাইরে গেলে নিজেদের বলে ভারতীয়। তার মানে কি তামিলদের ভারতের বুকে কোন জাতিসত্ত্বা নেই? ভাষা নিয়ে তাদের স্পর্শকাতরতা(যা কখনো কখনো বিরক্তিকর একগুঁয়েমির পর্যায় চলে যায় দেখার মতন)।আজও অধিকাংশ তামিল হিন্দি বলেনা, ভারতে থেকেও হিন্দি ছবি দেখেনা।কিন্তু কোন তামিলকে প্রশ্ন করে দেখবেন, আমার মতন সেও বলবে যে সে ভারতীয় ও তামিল একই সাথে, কোন দ্বন্দ নেই।
আমি বৃহৎ বা ক্ষুদ্র কোন রকম জাতীয়তাবাদের কথা বলছিনা। আমি সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের কথা বলছি, যেইটা হয় বন্ধ বা হলেও নমঃ নমঃ করে চলছে। এই যেমন ধরুন কিছুদিন আগে মুক্তমনাতে আমরা সাইবার যুদ্ধ নিয়ে গলা ফাটাফাটি করলাম, হলফ করে বলতে পারি, এই আলোচনাটা মুখোমুখি হলে এতটা তিক্ত হত না। এই আলোচনাগুলি বন্ধ হয়ে যায় বলে একধরনের xenophobia মানুষের মনে গেড়ে বসে এবং সেই অবিশ্বাসের ফসল নিয়ে রাজনীতি করে ক্ষুদ্রশক্তিগুলো।
হায়রে, দুনিয়াটা যদি অত্ত সরল হত।লোকে নিজের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। ক্ষমতায় যারা আছে তারা শোষকের ভুমিকায় অবতীর্ন হয়ে যাকে পারছে তাকেই শুষছে রে ভাই। কে ভারতীয়, কে বাংলাদেশী তার বিচার করতে তাদের বয়েই গেছে। মণিপুর থেকে কাশ্মীর থেকে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসীরা সব্বাই ভারতীয় জওয়ানদের জওয়ানীতে অস্থির।আমার ট্যাক্সের টাকায় এদের ইনসাসে গুলি যখন ভরা হয়, এদের পাপের দায় আমার উপরও বর্তায় বইকি!
@অনামী,
এ সমস্যাটা হয় হয়ত আমাদের ভাষার দৈন্যের জন্য। বাঙালি হতে হলে বাঙলাদেশী পাসপোর্টের দরকার নাই। কিন্তু ভারতীয় হতে হলে ভারতীয় পাসপোর্টের দরকার হয় কিন্তু। আমার কথাটা হয় ধরতে পারেন নি, নইলে আমি বুঝাতে পারি নি। স্বার্থের প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা, মানে আপনারা কার দিকটা আগে দেখবেন? বাঙলাদেশের বাঙালিদের নাকি ভারতীয় বাঙালিদের? আপনি এ ও সে, দু চারজন হয়ত এখানে তুখোড় যুক্তি উত্থাপন করে আমাদের দাবীর যৌক্তিকতা প্রমানে ব্যাস্ত থাকতে পারেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গতো আর আপনাদের দু চারজন নিয়ে না। তাই না? স্বার্থের প্রশ্নে ভারতীয় বাঙালি বলে কিছু নেই। আছে শুধু ভারতীয়। সুতরাং ভারত যদি শোষকের চালক আসনে থাকে তাহলে আপনারা তার চাকা।
গার্মেন্টসে কাজ করা এক দম্পতি কর্মক্ষেত্রে শোষিত হয় মালিক পক্ষ থেকে, আর ঐ নারী সদস্য বাসায় বসে শোষিত হয় পুরুষ সদস্যটি দ্বারা। নিজ সুযোগে সবাই শোষন চালিয়ে যাচ্ছে। আমি শুধু নারী পক্ষটির হয়ে বলছি, যে লোকটি তোমাকে শোষন করছে তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ কর। যেহেতু তুমি গাঙ্গের জলে ভেসে আসা কচুরীপানা নও। তোমার রুটি তোমার নিজের রোজগারের সামর্থ তোমার আছে।
রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে বাঙালী বেশ খানি এগিয়েছে। এগুচ্ছে।
আমি অত হতাস নোই। জি বাঙলা বা স্টার প্লাস ছাড়াও অনেক বাঙলা চ্যানেল, বাংলাদেশী চ্যানেল আছে। এবং তারা বেশ ভালই চলছে।
মধ্যবিত্তের কর্মহীন রমনীর বাইরেও কর্মঠ সংগ্রামী মানুষ আছে। একজন বস্ত্র বালিকা সারা সপ্তা খেটে খুটে বন্ধের দিন বন্ধুর সাথে চিরিয়া খানায় জায়।বিপুল আগ্রহে ঝাল মুড়ি খায়। পহেলা বৈশাখের আয়জনও তাঁর মন্দ না।
সম্ভবত নিম্ন বিত্ত থেকেই বাধ ভাঙ্গা বাঙালী উঠে আসছে।
@মুরশেদ,
ঠিক বিপরীতে আমি বেশ হতাশ। আমি কিছুই দেখি না যেটাতে আশা করা যায়। সত্যি বলছি। আপনি যেখানে চিড়িয়াখানায় ঘোরা কে আনন্দিত ভঙ্গিতে দেখছেন আমার দৃষ্টি ঠিক আনন্দিত না। আমার দৃষ্টি হল এমন যে, যেদিন সবাই শুধু চিড়িয়াখানায় যাবে সেদিনই আনন্দিত হওয়া যায়। একজন পাতায়াতে সূর্যস্নান করবে আর আরেকজন জায়গা না পেয়ে চিরিখানায় যেয়ে বাঁদর নাচ দেখবে এটা আমার কাছে উন্নতি বা আনন্দিত দৃষ্টিতে দেখার মতন কিছু না। 🙂
এমন কথা বলার হেতুটা বোধগম্য হচ্ছে না- বুঝিয়ে দিলে ভাল হোত।
@আফরোজা আলম,
আমার কথাটা কিন্তু একেবারেই সোজাসাপ্টা। আমি না বোঝার কোন কারন দেখলাম না। 🙂
ভাই এই ভারত বন্ধ তথাকথিত অপারেশন ব্ল্যাকমার্চের অপভ্রংশ।এটা নিয়ে এত ফালাফালি কিসের।আর ঐ হ্যাকথুকে নৈতিক সমর্থন না দিয়ে আপনার বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোয়া দিন। 😀
@ডেথনাইট,
আপনার ক্যালানো দাঁতের হাসি ছাড়া আর কিছুই বোধগম্য হল না মন্তব্যে।
ভারত বন্ধের সাথে Operation Black March এর কোন যোগাযোগ নাই। আপনি তো বেশ ভালোই খোজ খবর রাখেন দেখা যায়। Anonymous গ্রুপ কোথায় ভারত বন্ধের কথা বলেছে Operation Black March-এ একটু জানিয়ে দিয়ে যান আমাদের। তারপরে না হয় আমরা অপভ্রংশ খুজব। কী বলেন।
আর আমার বুদ্ধি নিয়ে আপনার চিন্তিত না হলেও চলবে। আমাকেই না হয় ভাবতে দিন। আমার বাঙালি সম্পর্কে প্রবোচনটা জানেন তো?
এতো সহজে সরলীকরণ করার মতো কোন যৌক্তিকতা আমি কখনোই খুঁজে পাই নি, কোন সচেতন মানুষ পাবেও না বলে আমার বিশ্বাস।
@শফিউল জয়,
ভাগ্যভালো মনের কথাটা কই নাই। তাইলে কী কইতা কে জানে। :))
প্রচলিত গল্পটি ছিল এরকমঃ ইংরেজি জানা এক লোক ছিল গ্রামে। তো একদিন এক ইংরেজ এলো, সে গ্রামে। গ্রামের লোকজন মহা উৎসাহে ইংরেজি-জানা লোকটিকে ধরে নিয়ে এলো সাহেবের সাথে কথা বলার জন্য। গৌরবের এ ধন ইংরেজের সামনে দাঁড়িয়ে, সাহেব জিজ্ঞেস করছে, ‘তোমার নাম কি?’
উত্তর এলো, ‘ইয়েস।’
‘তুমি কি এ গ্রামে থাকো?’
‘নো।’
‘তুমি কি ইংরেজি জানো?’
‘ইয়েস।’
রাগে সাহেব তার গালে একটা চড় কষিয়ে চলে গেলো। তো গ্রামের লোকজন তাকে চেপে ধরলো, ‘সাহেব তোমাকে চড় মারলো কেন?’
সে হাসতে হাসতে বললো, ‘ এত ইংরেজি জেনেও আমি কেন এই গ্রামে পড়ে আছি, সাহেবের এটা সহ্য হয়নি, তাই ।’
হ্যাঁ, আমরা আত্মমর্যদাহীন জাতি, আমাদের মেরুদন্ড নেই। আমরা ‘৫২ আন্দোলনকেও উৎসবে পরিণত করেছি, আমরা ‘৭১ এর চেতনা অনেক অনেক দূরে সরে গিয়েও গদগদ, আরো আরো জগখিচুড়ি; তো মেরা দুস্ত তুমি এনিকছু লিখতে পারো, ইয়ে এক গ্লোবালাজেশনের যুগ, সো হোয়াট, থেংকু।
আমি জানি না, আপনি কলিম খানের লেখাগুলো পড়েছেন কি-না? আমার এক বন্ধু তার ‘দিশা থেকে বিদিশা’ পাঠিয়েছিল; পড়ে আগ্রহ, বাকি বইগুলো সংগ্রহ হয়ে যাবে এ সপ্তাহে। বিশেষ করে তার ‘বঙ্গীয় শব্দ কোষ’ । আপাতঃ অপ্রাসংগিক মনে হলেও এর যোগসূত্র আছে।
দেখা যাক হাতুড়ি চালাবার পরও মানুষ, ‘কত রবি জ্বলেরে/ কি-বা আখিঁ মেলেরে।।’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে কি-না।
ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
কথাটা ‘ ‘কত রবি জ্বলেরে/ কে-বা আখিঁ মেলেরে।।’ হলে ভালো হত না?
@কাজী রহমান,
ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু ভুলটুকু ধরিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে গেলেন কেন?
@স্বপন মাঝি,
কলিম খানের লেখা পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হল।
ধন্যবাদ।