শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত বইমেলা ২০১২ গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে। ২০১১ আমার বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার কারনে এবার বইমেলায় প্রথম দিন আসিনি। সেই দিন মন্ত্রী-মিনিস্টারদের ভীড়ে পিষ্ট হতে চাইনি। তাই প্রথম দিন গেলাম না মেলায়। তাছাড়া এইবার মেলায় কেমন এক দলছুট-দলছুট ভাব। গেলবার মেলায় আমাদের গীতা’দি এবং প্রধান উদ্যেগী মামুন ভাই ছিলেন। এইবার গীতা’দি কিছু ব্যস্ত আছেন তাঁর কর্মক্ষেত্র নিয়ে। আগামী কাল কথা দিয়েছেন যাবেন বইমেলায়। সুতরাং আমার ও যাবার সম্ভবনা আছে।
আজ মেলার ত্রিতীয় দিন। আগেই শ্রদ্ধেয় রনদীপম দাদার সাথে কথা হয়েছিল তিনি যাবেন। আমিও যাবো।
অতএব গেলাম। অনেক মানুষের ভীড় ঠেলে সাতরাতে সাতরাতে হাঁপাতে হাঁপাতে উপস্থিত হলাম। এ দিকে সেই সূদুর রাজশাহী থেকে মুজাফফর আমার খবর নিচ্ছে। আমি একা যাচ্ছি। কেমন লাগবে। ও জানে আমি বেশীক্ষণ হাটতে পারিনা। অবাক হলাম সত্যি অবাক হলাম,
এইটুকূ ছেলে আমার মত সাধারণ মানুষের কত খেয়াল রাখল। ও তার বন্ধু মেহেদি’কে বলে দিয়েছে যেনো অবশ্যই আমার খেয়াল রাখে। এবং বসবার ব্যবস্থা করে দেয়। আজকাল এমন মানুষ পাওয়া সত্যি দুস্কর।
ভীড় ঠেলতে ঠেলতে মামুন ভাইকে খুব মনে পড়ছিল। গেলোবার তিনি ছিলেন মধ্যমনি। আজ তিনি উপস্থিত নেই।
ইচ্ছে থাকা সত্বেও বাংলাদেশ এসেও তড়ি ঘড়ি চলে যেতে হল। শীত শীত ভাবটা মেলায় গিয়ে কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেল। হয়তো বা ভীড়ের কারনে।
রনদীপমদার সাথে দেখা হবার পরে এগুলাম আমাদের প্রিয় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে যাবো বলে।
এইবার শুদ্ধস্বর প্রকাশনী বেশ বড় পরিসরে জায়গা করে নিয়েছে। চমৎকার সাজিয়েছে।
সামনেই চোখে পড়ল মুক্তমনার প্রিয় লেখক অভিজিত আর রায়হান আবীরের লেখা “অবিশ্বাসের দর্শণ” বইটা।
সুন্দর ঝক-ঝকে মলাটে সাজানো। বেশ ভালো লাগলো।
শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর টুটুল ভাইয়ের সাথে কুশল বিনিময়ের পরে গেলাম “লিটিল মাগাজিন” চত্তরে।
একটা সু-খবর আছে। আমাদের প্রিয় মুজাফফর একটা স্টল বরাদ্দ পেয়ছে বাংলা একাডেমীর তরফ থেকে। লিটিল মায়াজিন চত্তরে উষ্ণ আহবান পেলাম মেহেদির কাছ থেকে। মেহেদি শাশ্বতিকীর ঢাকার পরিচালক(ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিলাম) । ওখানে পরিচয় হল মিষ্ট ভাষী মেহেদির বান্ধবীর সাথে।
অতঃপর রণদীপম দা, মেহেদি, আর মুজাফফরের ভাই সহ গেলাম চা খেতে। একটা বিষয় লক্ষনীয়। মেলা বেশ ভালোই জমে ঊঠেছে। বোধ করি ঢাকার মানুষের মনোরঞ্জনের তেমন স্থান নাই বললে চলে। এ ছাড়াও সারা বছর
সাহিত্যঅনূরাগীরা এই বিশেষ মেলা ফেব্রুয়ারীর মেলার অপেক্ষায় বসে থাকে। তাদের জন্যে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বইমেলা আকর্ষনীয় হবে বৈকি।
নিজকে ভীষন একা লাগছিল। ভালো লাগার সাথে এক নিঃসঙ্গতা বোধ কাজ করছিল। মুক্তমনার আর কোনো সদস্যকে দেখতে পেলাম না। তারা কেউ গিয়েছিলেন কিনা জানিনা। আগে তো শুদ্ধস্বরের সামনেই সবাই জমায়েত হতাম। এইবার অনেকের অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মত।
ঘন্টা দুয়েকের মত ঘোরা-ফেরা করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সন্ধ্যা হবার আগেই ফিরে এলাম বাড়িতে।
এইভাবে প্রথম দিনের বইমেলা দেখা শেষ করলাম।
আগামীদিন যাবার ইচ্ছে আছে। এর পরে কী হয় ধারাবাহিক ভাবে জানিয়ে যাবো মুক্তমনার পাঠকরা যদি জানতে ইচ্ছুক হন। ছবি পরে আপলোড করা হবে। আমার কাছে ক্যামেরা ছিলনা। রণদীপমদার কাছে ছিল। তিনি আবার আগামী কাল রওয়ানা দিবেন দেশের বাড়ির দিকে। এক বিবাহ অনুষ্ঠান আছে। দিন দশেক পরে আবার ফিরবেন বলেছেন।
এইভাবে ম্যাড়-মেড়ে মন নিয়ে পড়ন্ত সূর্য হেলে পড়ার আগেই বাড়ির দিকে পা বাড়ালাম।
আমি খুব লজ্জিত। আসলে মুক্তমনা তো একটা পরিবারের মতো, আমার মনে হয় আমার জায়গায় অন্য কেউ হলেও কাজ করতো। মুক্তমনার সকলকে আমাদের শাশ্বতিকীর স্টল ঘুরে যাবার আমন্ত্রণ রইল। মেলায় আসলেই লিটলম্যাগের এদিকটাই একবার ঘুরে যাবেন, ভাল লাগবে….
আমাদ
আমাদের স্টলে থাকছে…
রবীন্দ্র-সংখ্যা : মূল্য ৬০টাকা
লোকসংস্কৃতি সংখ্যা : মূল্য ৭০টাকা
অনুবাদ সংখ্যা : মূল্য ৫০টাকা
নাটক সংখ্যা : মূল্য ৫০টাকা
এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে–(১০ তারিখের পর থেকে)
‘গল্পকথা’র হাসান আজিজুল হক সংখ্যা
‘আবহ’র জাকির তালুকদার সংখ্যা
‘মলাট’র গল্প সংখ্যা
‘ইরিডেনাস’র গল্প সংখ্যা
‘আড্ডা’র গল্প সংখ্যা
ঘাম-এর গল্প সংখ্যা
‘মাদুলী’র নিসর্গ সংখ্যা
‘ক্রম’র কবিতা সংখ্যা
স্টল নং – ২৩, লিটল ম্যাগ জোন
@মোজাফফর হোসেন,
নিশ্চয় সবাই আসবে। অনেকগুলো ম্যাগাজিন বের হয়েছে। বাহ দারূণ।
আফরোজা আলম নূতন প্রকাশিত বইয়ের জন্য (F) অভিনন্দন!
আর দেশী, প্রবাসী সবাই বইমেলার আনন্দ উপভোগ করুন ,
বইমেলা চেতনার অলিন্দে, মস্তিষ্কের নিউরণ্ সঙ্গীতের ঝংকার তুলুক –
সবাইকে বইমাসের শুভেচ্ছা!
@লাইজু নাহার,
আপনার কথায় সত্যি আনন্দিত হলাম। এইবার বইমেলা শেষ মেষ কেমন হবে জানিনা।
তবু সব ভালো যার শেষ ভালো।
আমার বই প্রকাশের শুভেচ্ছার বিনিময়ে আপনাকেও – (F)
(Y) (Y)
@নিটোল, 🙂
বইমেলার কার্জনের দিকের গেটের ঠিক পাশে আমার ডিপার্টমেন্ট,মেলা যেতে ২মিনিট লাগে। এ বছর আজকেই প্রথম গিয়েছিলাম,সাথে কেও ছিলোনা বলে ১৫-২০ মিনিট ঘুরে চলে এসেছি,বইও কেনা হয়নি একটাও। বাসায় ফিরেই দেখি আবীর ভাই(রায়হান) ম্যাসেজ দিসে যে সে আসতেসে :-Y :-Y। গতবার নানা ঝামেলায় মামুন ভাই + বাকি সবার সাথে ঠিকমত দেখাও করতে পারিনি,এবার আশা করি কিছুটা হলেও বেশি সময় মেলায় কাটাতে পারবো যদিও রণদীপমদার মত আড্ডা দেয়ার সাধ মেটাতে পারবোনা 🙁 । দুপুর বা বিকালের দিকে কেও মেলায় আসলে আমার সাথে যোগাযোগ করলে সত্যি অনেক খুশি হবো :)।
আফরোজা আপুকে বই প্রকাশের অভিনন্দন (F) (F) ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এইবার সময় হলে নিশ্চয় একত্রিত হব। রণদাদা আসুন। মুজাফফর আসুক সবাই একত্রিত হব ইচ্ছে আছে।
পারলে ই-বার্তায় আপনার মোবাইল নং দেবেন। আমার নং চাইলে পেতে পারেন। যদি আপত্তি না থাকে।
আপনার অভিনন্দন গ্রহণ করলাম।
@আফরোজা আলম,
নম্বর পাঠিয়ে দিলাম। আশা করি এবার সবার সাথে দেখা হবে :)।
বই মেলা নিয়ে কথা উঠলেই এড়িয়ে যেতে চাই, বুকটা একটু টনটন করে। যদিও দেশে থাকতে শেষের দিকে খুব যেতাম না। কিন্তু কম হলেও ত যেতাম। একসময় প্রতিদিন যেতাম।আস্তে আস্তে যখন ভিড় খুব বেরে গিয়েছিল আমি শুক্রবার জুম্মার সময়টা বইমেলায় চলে যেতাম,ভীর কম থাক্ত,কেনার বইগুলো কিনে নিতাম আর অন্যদিনে মেলা প্রাঙ্গনের বাইরে আড্ডা দিতাম। খুব বেশী বন্ধু পাই নাই সাথে যাবার। ঢাকার যে ইট-কাঠের খাঁচার মাঝে আমার বেড়ে ওঠা সেখানে বন্ধুরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার মোহে এত ব্যস্ত যে বইমেলা ওদের টানে না,বেইলী রোডের নাটকও না। আমি চলে যেতাম দূর সম্পর্কের বন্ধু নিয়ে।দুর সম্পর্কের বন্ধু মানে অনেক বড় হবার পর কেউ কেউ বন্ধু হয়েছে যারা কিছুটা এমন।আমি জানি না ঢাকার ইট-কাঠের খাঁচার ছেলেদের বই মেলা কম টানে কেন?। এখনও দেশে গেলে ফেব্রুয়ারিতে যাবার চেষ্টা করি বই মেলায় ঢূ মারি,বেইলি রোডেও যাই,উপচে পড়া জনসমুদ্রে থমকে যাই।
মানুষের ভিড়ে খুজে পাই না আমার সেই ঢাকা
ছিনতাই হয়ে গেছে আমার ঢাকা
এখানে ছিল না বড় দালান
ছিল না বিল্ডারদের আস্ফালন
মিউনিস্যাপাল্টির ঝাড়ুদার ই ছিল
রাস্তার অলঙ্করন
সে ঝাড়ুর ধুলায় ফুচকা দূষিত হত না
কোথায় আমার সেই ঢাকা!
খুজে পাই না আমার ঢাকাকে
যেখানে সন্ধ্যার ছায়ায় ফাল্গুনে
গাঁদা ফুলের সাথে হলুদ শাড়িতে
প্রিয়া এসেছিল গোলাপ নিয়ে
রমনার কাবাব আর নান দিয়ে
সন্ধ্যা কেটেছিল উদাসী হাওয়ার সাথে
পাই না খুজে আমার ঢাকাকে……
@সপ্তক ভাই,
দারুণ! স্মৃতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন! (Y)
@সপ্তক,
ঠিক কথা বলেছেন। আপনার স্মৃতির সাথে আমার ও অনেকখানি মিল আছে। আগে আজিমপুরে থাকা অবস্থায় হেটে ঢাকা ইউনিভারসিটির ল-ফাকাল্টির ভেতর দিয়ে এক রাস্তা ছিল ওখান দিয়ে বইমেলা যেতাম। তখন মেলা এমন বানিজ্যিকরনে পরিণত হয়নি। আমাকে নিয়ে আমার মেজ বোন যেতো।
আমি বেশ ছোট ছিলাম কিনা। মানে একা যাবার মতন ছিলাম না। দেখতাম -কবি আসাদ চৌধুরীর ভরাট কণ্ঠের কবিতা আবৃত্তি, আরো কত কবি লেখক। কি যে ভালো লাগতো। বটগাছের ছায়া জুড়ে চলত নানান অনুষ্ঠান। বই পড়ার নেশা ছোট বেলা থেকেই ছিল। তখন আরো তৃষ্ণা বেড়ে যেত। কবি লেখক’দের কে আলাদা জগতের মানুষ মনে হোত। কী অবাক কান্ড। আপনার স্মৃতি আমার স্মৃতি কেও কাঁপিয়ে দিল কাঁদিয়ে দিল।
এখনকার সন্তানরা এমন খুব কম হয়। কেন জানিনা। জানতে চাইও না। জানলে মনে বেদনা বাড়বে বৈ কমবে না।
@সপ্তক,
কবিতা ভাল লেগেছে। দেড়যুগেরও বেশী সময় পর ঢাকায় গিয়ে আমার শৈশব আর কৈশোরের শহরকে খুঁজে পাই নি।
আফরোজাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি–ফানুস প্রকাশিত হবার জন্য।
@আবুল কাশেম,
আপনার অভিনন্দন আন্তএইক ভাবে গ্রহণ করলাম।
@ আবুল কাশেম
আন্তরিক হবে। টাইপ মিসটেক।
মজা করে বই মেলাতে ঘুরে ফিরে দেখুন আর আমাদেরকে মাঝে মাঝে আপডেট জানান, কেমন লোক জন বই পত্র কিনছে, কোন ধরণের বই বেশী কিনছে। আমার তো মনে হয়- সহী আমলনামা, নামাজ শিক্ষা, নেয়ামূল কোরান এ জাতীয় বইই এখনকার মানুষের বেশী করে কেনার কথা, কারন দেশে যেভাবে টুপি আর বোরখার সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে, তাতে সেরকমটাই ঘটার সম্ভাবনা বেশী। :-s
@ভবঘুরে,
আপনাকে স্বাগতম। আসুন দেখুন। কেউ জানবে না আপনাকে। তবু বইমেলা বলে কথা। নিজেরা এক পরিবার বলে দাবি করি অথচ এমন দূরে থাকলে হয়? এখন অনেক কিছু বদলে গেছে। মুক্ত বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের অভাব নেই। তাই আবার ও বলছি আসুন।
@আফরোজা আলম,
বই মেলায় মুক্তমনারা মিলিত হয় জেনে খুব ভাল লাগল, অনলাইনের দুনিয়ায় হাপিয়ে গেলে ভাবি এ থেকে কি মুক্তি নাই,বদ্ধমনাদের যন্ত্রণায় ত কোথাও যাবার উপায় নাই,এখন ভাবছি এ ভাবনা মিছেই , ধরায় নেমে বই মেলাকে খুব ছুতে ইচ্ছে হচ্ছে,ছুব নিশ্চয়,…। শুভকামনা বইমেলার মুক্তমনাদের জন্য (F) ।
@সপ্তক,
আপনি দেশে থাকেন কিনা জানিনা। নাকি প্রবাসী বাংগালি? দেশে থাকলে বলতাম আসুন – আসুন সবাই এক হই একদিনের জন্যেও। প্রবাসী হলেও বলি সময় নিয়ে আসুন। অনেকেই আসেন, তেমন করে।
@আফরোজা আলম,
হাঁ আমি অভাগা প্রবাসি।দেশে গেলে বই মেলাকে সামনে রেখেই যাই। দেখা হবে ,হয়ত এবার নয় আরেকবার।ভাল থাকুন
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ, একুশে-র বইমেলা নিয়ে লেখার জন্য। কতটা বছর কেটে গেলে, আসি আসি করেও আর আসা হলো না। আমরা এমনি এক সমাজে বসবাস করি, যেখানে অধিকাংশ মানুষ, নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জীবন-যাপন করে।
ঢাকাস্থ মুক্তমনারা এ নিয়ে লিখুন, আমরা দূর প্রবাসে, তাই পড়ে প্রাণ জুড়াই।
@স্বপন মাঝি,
আপনি যেমন করে অনূভব করছেন এওম কজনা করে। এইটাই সবার প্রেরণা।
আফরোজা আপাকে ধন্যবাদ বইমেলার তথ্য দেয়ার জন্য। এবার অফিসের কাজে ব্যস্ততার জন্য গতবারের মত এত যাওয়া হবে না। তবে যাওয়া শুরু করব। তাছাড়া, মামুনকে যথারীতি মিস করছি। অনন্ত, কল্যাণ, লীনা, মিথুনের সাথে যোগাযোগ করে দেখি মেলায় তাদের পদচারণা নিয়ে। মোজাফফরের সাথে কথা বলেছি। সে দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকায় আসবে। তখন আমিও নিয়মিত যাব। মেলা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন দেয়ারও ইচ্ছে আছে।
@গীতা দাস,
আপনাকে অনেক মিস করছি। আপনি ফ্রি হয়ে আসুন।
(F) (F)
@আসরাফ,
আপনার ২ টি গোলাপ গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম আফরোজা আপার বইটির নাম “ফানুস”। ব্বিইইই
বইটির সাফল্য কামনা করি। সেই সাথে অভিজিত দা আর রায়হান আবীরের লেখা “অবিশ্বাসের দর্শণ” বইটাও সাফল্যের আলো দেখবে আশা রাখছি। সম্ভবত রণদীপম দা, সৈকত ও অনন্ত বিজয়ের লেখা বইও বের হচ্ছে এই বারের বই মেলায়।
@রাজেশ তালুকদার,
আসলে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন নিয়ে লেখা বই কেমন হবে। কেমন সাড়া পাবে জানিনা। তবে এই বই লেখার পেছনে অনেকের অবদানের মাঝে মুক্তমনার পাঠকদের যুক্ত করলাম। তাদের উৎসাহতেই আমি এগুতে পেরেছি। ভাবিনি কোনদিন এই লেখাটা বই আকারে প্রকাশিত হবে। যখন লিখি একান্তই খেয়ালের বশে লিখতে থাকি। যেখানেই থামতে চেয়েছি পাঠক আমায় থামতে দেইনি। ধন্য মুক্তমনা পাঠক। আপনাদের সবাইকে তাই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই রাজেশ।
@আফরোজা আলম,
খবরটা শুনে সত্যি খুব খুশি হয়েছি। বইটা কেনার প্লানও রয়েছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেকোনো লেখা আমাকে খুব টানে।
অভিনন্দন আপু! (F) ‘ফানূন’-এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি!
@কাজি মামুন,
আপনার উৎসাহকে স্বাগতম জনাই।
@আফরোজা আলম,
আপু, আজ মেলায় গিয়েছিলাম। আপনার বইটি সংগ্রহ করলাম; কিন্তু লেখককে পেলাম না বলে আক্ষেপ রয়ে গেল। এমনিতেই অনেক প্রত্যাশা করি আছি; হাসান আজিজুল হকের মূল্যায়ন সেই প্রত্যাশাকে আরও উস্কে দিয়েছে! ভাল থাকবেন।
@কাজি মামুন,
মেলায় আমি একদিনই গিয়েছি। কথা ছিল গীতাদি যাবেন সাথে আমিও যাবো। তা আর হচ্ছে না।
এক কাজ করলে হয় আপনি আপনার ফোন নং টা(যদি আপত্তি না থাকে) ইবার্তায় দিয়ে দিন। আমি নিশ্চয় যাবো। আমার বাড়ির থেকে কাছেই তবে বেশী রাতে সাধারণত আমি কম থাকি। সেই দিন তাহলে রামগড়ুড়ের ছানা’কেও আসতে বলব। হাঁ, আমার লেখায় কথা সাহিত্যিক হাসান আজ্জিজুল হক কিছু লিখেছেন। যাতে প্রেরণা আমার ও বেড়েছে। আর শুক্রবার আমি যাবো। নিশ্চয় ঐ দিন গেলে দেখা হবে। তার আগে যদি যাই আপনার নং পেলে জানিয়ে দেব।
আহ! বছর ঘুরে আবারো সামনে চলে এল বইমেলা, কাংক্ষিত এবং প্রত্যাশিত বই মেলা!
পোস্টটি দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর রণদীপমদার উপরের মন্তব্য থেকে জানলাম আপনার উপন্যাস বেরুচ্ছে।
অনেক অভিনন্দন!
আশা করব গীতাদি, লীনা, রায়হান সহ আর যারা বইমেলায় ঘুরছে তারাও পোস্ট দেবেন। আর সাথে রণদীপমদার ছবি তো থাকবেই।
পুনশ্চ – এই বই মেলায় যাদের যাদের বোই বের হচ্ছে তারা যদি মডারেটর সমীপে বইয়ের তথ্য জানিয়ে (বইয়ের শিরোনাম, বিষয়বস্তু, প্রচ্ছদ, প্রচ্ছদ শিল্পীর নাম, প্রকাশক, মূল্য ইত্যাদি), তাহলে সেটি পোস্ট আকারে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। গতবারের বই সংক্রান্ত পোস্টটি এখানে।
@অভিজিৎ,
আমি আপনাকে পাঠাচ্ছি। সব ডিটেলস এ। আপনি কষ্ট করে মডারেটরদের কাউকে দিয়ে আপ্লপড করে দিলে খুশী হব ।
@অভিজিৎ,
একটা বিষয়ে বলতে ভুলে গিয়েছি। অনেকেরই নতুন বই বের হয়েছে। আমার জানা মনে যেমন রণদীপম দা উনার বেশ কখানে বই বের হয়েছে।
এই সব কারন বিবেচনা করে ২০১২ যাদের বই বেরিয়েছি তাদের লিস্ট ২০১২ লিস্টেই করা দরকার। সেখানে আগের লেখার লেখকেরাও থাকতে পারে, যাদের ২ সংস্করণ বের হয়েছে।
না আপা, দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই। মূলত একুশে বইমেলাটার একটা চরিত্র আছে। তা জমে ওঠে দ্বিতীয় সপ্তা থেকে। তাই প্রথম সপ্তায় বাদাইম্যা আড্ডাবাজেরা আসে সন্ধ্যার দিকে। এরপর থেকে মেলা যত বয়স্ক হতে থাকে, ততই আড্ডাগুলো বিকেলের দিকে ফিরতে থাকে।
আপনি সন্ধ্যার আগে মেলা ছেড়ে যাওয়ার পরই যতোসব আড্ডাবাজের আগমন ঘটেছে। তাছাড়া তখন প্রচণ্ড ভীড় বেড়েছে। সন্ধ্যায় তো রীতিমতো জমজমাট আড্ডা হয়েছে শুদ্ধস্বরের সামনে। রাত আটটার দিকে শুদ্ধস্বরের সামনে ঘাসের উপরই বসে পড়েছিলাম সবাই। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো যে, এরা ছিলো সবই সচলের আড্ডাবাজ। প্রায় জনা কুড়ি হবে। যাক্, পরেরবার যখন আসবেন তখন হয়তো আড্ডার তোড়ে অতিষ্টই হতে হবে।
আর ছবি ওঠাবার জন্যেই ভীড় জমার আগে সেই দুপুরের পরপরই গিয়েছিলাম মেলায়। উদ্দেশ্য মেলাটার কিছু ছবি তুলে রাখা। তুলেছিও অনেক। সময়াভাবে এগুলো আপলোড করা হবে না এ সপ্তায়। পুরো এক সপ্তা নেটের বাইরেই থাকবো পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে। পরে একসময় ছবি দেয়া যাবে। তবু যাদের কৌতুহল তীব্র, তাঁরা এই ( http://community.webshots.com/album/582274332qyeByh ) এলবামটাতে গুটিকয় ছবি দেখে ঘোল খেয়ে নিতে পারেন। বাকি আলাপ পরে হবে।
সবাইকে বইমেলার অভিনন্দন।
আর হাঁ, মুক্তমনা বন্ধুদেরকে যে কথাটা বলা হয়নি, যা আফরোজা আপাও বলেন নি, আফরোজা আলমের একটা উপন্যাস প্রকাশিত হচ্ছে শুদ্ধস্বর প্রকাশনী থেকে। খুব সম্ভব আগামীকালই মেলায় আসবে ওটা। বাকি তথ্য আশা করি আপাই সবাইকে জানাবেন। অভিনন্দন আফরোজা আপা !!
@রণদীপম বসু,
দাদা আপনার অভিনন্দন আমি হ্রষ্ট চিত্তে গ্রহণ করলাম। কী লিখেছি জানিনা। নিজকে কোনো দিন লেখক ভাবতে পারিনা। পারবো বলে মনে হয় না। তবু আপনার অভিনন্দন গ্রহন করলাম।
আবার দেখা হবে আপনি পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষ করে আসুন।
@রণদীপম বসু,
হিংসায় প্যাড ফুইল্ল্যা যাইতাসে। হগল আড্ডাবাজগো উফ্রে অবিরাম ঠাডা পড়ুক :-X
বইমেলা হচ্ছে এমন তীর্থ যেখানে কেউ পাপ মোচনের জন্যে যায় না। যায় না স্বর্গ পাবার আশায়ও। কোন লোভ নয় ভয় নয় কাম-প্রেম কিংবা ঘৃণাও নয়। কেবলই প্রাণের টানে যায়। আর সবচে মজার ব্যাপার হচ্ছে অন্য সকল তীর্থে মানুষ যা পাবার জন্যে যায় সেসকলই কেবলমাত্র এই বইমেলায় পাওয়া যায়।
@অরণ্য, আপনার সুন্দর মন্তব্যকে স্বাগতম জানাই।
কলকাতাতেও বইমেলা শুরু হয়েছে 🙁
@কৌস্তুভ,
হা জানি শুনেছি অনেক আগেই। আমার বই পাঠাতে বলছে। লোক পেলেই পাঠিয়ে দেবো।