কোরান কে লিখেছে? কখন, কোথায়, কিভাবে, কেন? সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির ধর্ম মহান ইসলাম থাকতেও পৃথিবীতে এতসব অন্য ধর্ম কেন? ওরা আল্লা মানছে না কেন? বাংলাদেশের মুসলমানদের মনে কখনো কখনো এই ধরনের প্রশ্ন জাগলেও এ নিয়ে কেউ খুব একটা ঘাঁটাঘাঁটি করে না কেউ, ভাবে খামোখা কি দরকার? অসুবিধা তো হচ্ছে না তেমন। বাংলাদেশের মুসলমান তো এত গোঁড়া মুসলিম না, যার ইচ্ছা হিজাব লাগায়, যার ইচ্ছা টুপি পরে, সুটবুট পরে, কোন অসুবিধা নেই। একজন সাধারণ মুসলমান, কারো সাতে পাঁচে নেই, চাকরি কিংবা ব্যাবসা করে, খায় দায়, গান গায়, জুম্মার দিনে জামাতে নামাজ পড়ে, সেজেগুজে বৈশাখী মেলায় যায়, রোজার মাসে রোজা রাখে, ঈদ চাঁদে নতুন জামাকাপড় কেনে, কেমন আছেন কেউ জানতে চাইলে আজকাল বলে আলহামদুলিল্লাহ। ঝামেলা নেই, চিন্তা নেই, ভালো আছে, বেশী কিছু জানার দরকারও নেই। ইসলামকে প্রশ্ন করা যায়না, ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। তবে ঈমান, বিশ্বাস বা আল্লা রসূলকে সত্য মেনে প্রশ্ন করা যায়। সংশয় মনের ভেতরে রেখে ইসলাম নিয়ে প্রশ্ন? অসম্ভব। ঈমান যাবে, ঈমান নষ্ট হওয়া মানেই তো সব শেষ। তাই বাংলাদেশের মুসলমানদের জীবনে ধর্মচার জরুরী কিন্তু ধর্মজ্ঞান অপ্রয়োজনীয়, অজ্ঞতাই আদরণীয়।
আর বেশী কিছু পড়বার আগে নীচে অল্প কিছু চাঁছাছেলা প্রাথমিক তথ্যঃ
(ক) হযরত মোহাম্মদের মৃত্যু (৬৩২ খ্রিঃ) এর প্রায় ১৯ বছর পর আজকের কোরান লেখা হয়েছিলো বলে ধরা হয়।
(খ) হযরত মোহাম্মদের মৃত্যুর প্রায় ২০০ বছর পর ইমাম বুখারীর হাদিস বই লেখা হয়েছিলো বলে ধরা হয়।
(গ) প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর, দায়িত্বকাল ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ।
(ঘ) দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর, দায়িত্বকাল ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ।
(ঙ) তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান, দায়িত্বকাল ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ।
(চ) চতুর্থ খলিফা হজরত আলী, দায়িত্বকাল ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৬১ খ্রিস্টাব্দ।
ধরা যাক তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞানের সুবিধাজনক এই সময়ে বাংলাদেশের মুসলমান ধর্মাচারের ব্যাপার পেরিয়ে ধর্ম নিয়ে আরো একটু জানতে চাইলো। কিন্তু সমস্যা, তারা তো ঈমান, বিশ্বাস বা আল্লা রসূলকে ধ্রুব সত্য মেনে প্রশ্ন করবে, উত্তরও জানতে চাইবে সেভাবেই। জানাটা সব সময়ই ওই প্রভাবে প্রভাবিত থাকবে, ব্যাপারটা কেমন হবে? এখন আল্লা রসূলকে সত্য মেনে প্রশ্ন করা, উত্তর যা’ই হোক না কেন, তাতে ইসলাম, আল্লা এবং রসূল অবধারিত ভাবে জিতবেন। কারন সেটাই পূর্বশর্ত। অনেকটা ‘বিচার আচার সবই মানি কিন্তু তালগাছটা আমার’ এরকম ব্যাপার। এখন এই রকম পূর্বশর্ত মেনে কোন বিতর্ক কি সম্ভব? গোঁড়ায় গলদ মার্কা শর্ত নিয়ে কারা মুখে ফেনা তুলবেন? তারা কি স্বাভাবিক নাকি ঘোর লাগা দাঁড়িয়ে ঘুমানো অস্বাভাবিক মনের মানুষ? এই সব জিজ্ঞাসায় মনেমনেও তাদের পূর্বশর্ত ঠিক থাকতে হবে। সবজান্তা আল্লা সবার মনের ভিতরের খবরও জানেন। বেঈমানি চলবে না। পূর্বশর্তে, মানে ইসলাম আল্লা রসূল অপরাজেয় এইটা মানার ব্যাপারে সাচ্চা পাক্কা থাকতে হবে, না হলে মানুষটা তো মুসলমানই না।
এত কিছুর পরও ধরে নেওয়া যাক কেউ সত্যি সত্যিই গণ্ডী পেরিয়ে একটু বেশী জানতে চাইল ইসলাম নিয়ে। জানতে তার দ্বিধা লাগলেও সে ভাবল, এতে হয়ত তেমন দোষের কিছু নেই। জন্মসূত্রে মুসলমান হওয়াতে তাদের বেশীরভাগই তা জানতে পেরেছে একটু বড় হয়ে যে তারা মুসলমান। এটা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনজনেরা, যেমন মা বাবা, পরিবারের বড়রা তাদেরকে বলেছে যে তারা মুসলমান। তাই তারা তাই। তাকে তো জামা জুতোর পছন্দের মত কোনটা নেবে, হিন্দু, মুসলমান নাকি খৃষ্টান ইত্যাদি ধর্ম কোনটা নেবে, সে সুযোগ দেয়া হয়নি। কাজেই হয়ত একটু সাহস করা যায়।
যাই হোক, একটা ব্যাপার বলা দরকার, এই ব্লগে বহুবার ধর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং হতেও থাকবে। তা’হলে আবার এই লেখাটি কেন? এই লেখাটা তাদের জন্য, যাদের মাথায় ওইসব কি, কে, কখন, কেন, কিভাবে ইত্যাদি কিছু প্রশ্ন মাঝে মাঝে খেলা করে মোটাদাগে উত্তর খুঁজবার জন্য। সঙ্গোপনে খুঁজে বেড়ায় যারা সহজ সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্যসূত্র, তাদের জন্য ওই ধরনের কিছু সূত্র দেবার চেষ্টা আছে এখানে।
কোরান লিখেছে বা সঙ্কলিত করেছে কিছু মানুষ। ফেরেস্তা টাইপের কেউ কোন পাথর টাথরে অগ্নিরশ্মি ধরনের কিছু দিয়ে এটা লেখেনি। আকাশ থেকেও পুরো বইটা হঠাৎ কোন ঠাশ্ শব্দ করে পড়েনি। অতি সাধারণ ভাবে বলা হয় যে এটা ২৩ বছর ধরে হজরত মোহাম্মদের উপর কখনো এক বা একাধিক আয়াতে, মূলতঃ জিব্রাইল ফেরেস্তার মাধ্যমে, আল্লার বানী হিসেবে নাযিল হয়েছে। কি ভাবে? হজরত মোহাম্মদের স্বপ্নে, ঘোরের মধ্যে, তন্দ্রাপ্লুত অবস্থায়, জিব্রাইল ফেরেস্তার ফুঁয়ে, বন্ধুবেশী ফেরেস্তার মাধ্যমে, সরাসরি ফেরেস্তার মাধ্যমে ইত্যাদি।
নীচে দেখুন একটা মোখতাসার; কোরান নিয়ে একনজরে সংক্ষিপ্ত কিছু প্রাথমিক তথ্যঃ
১। কোরান কে লিখেছে?
মানুষ। হজরত মোহাম্মদের জীবদ্দশায় তার কাছের সঙ্গী সাথীরা চামড়ায়, খেজুর পাতায়, পশুর হাড়ে ইত্যাদিতে আয়াত লিখে রাখতো। হজরত মোহাম্মদ কখনো এক আয়াত, কখনো একাধিক আয়াত বলতো আর মানুষ সাথী, মানে সাহাবায়েক্বেরামরা কেউ কেউ তা লিখে রাখতো নিজেদের কাছে। অনেকে মিলে তা মুখস্থও করত, কেউ কেউ শুধু মুখস্থই রাখতো। কয়েকটি আয়াতের যোগফল হল এক একটি সূরা, আর; এখনকার কোরান সেই রকম ১১৪টা সূরার যোগফলের গ্রন্থ।
২। কোরানের সঙ্কলন কখন শুরু হয়েছে?
হজরত মোহাম্মদের মৃত্যু (৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) এর ঠিক পরপরই সঙ্কলন নিয়ে হৈ চৈ এর শুরু। হজরত মোহাম্মদের জীবদ্দশাতেও একটি কোরান সঙ্কলিত হয়েছিল যা মুখ দেখিয়েছে খুব কম সময়ই। হজরত মোহাম্মদের মৃত্যুর পর নব্য ইসলামী শক্তির নেতৃত্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর। খলিফা আবু বকরের (দায়িত্বকাল ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ, বলা হয় বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়) নির্দেশে, সাহাবায়েক্বেরাম যায়েদ বিন সাবেতকে নেতা করে দায়িত্ব দেওয়া হয় কোরান সঙ্কলিত করার। সে যথাসাধ্য চেষ্টা করে একটি সঙ্কলন তৈরী করে এবং তা খলিফা আবু বকরকে দেয়। অন্যান্য কিছু সাহাবা, যেমন ইবনে মাসউদ, আলী বিন আবী তালেব, মুআবিয়া বিন আবী সুফিয়ান ও উবাই বিন কা’ব প্রমুখ রাও নিজ দায়িত্বে কিছু সঙ্কলন করে।
৩। কোরানের এই সঙ্কলনটিই কি আজকের কোরান শরীফ?
না, এটি সেটি নয়। নীচে দেখুন।
৪। কোরানের সঙ্কলন কেন শুরু হয়েছিলো?
কিছু হাফেজ ক্বারী সাহাবা যারা কোরানের অনেকখানি মুখস্থ রেখেছিলো, তাদের অনেকেই ইয়ামামা নামের একটি যুদ্ধে নিহত হয়। মুখস্থকারীদের সাথে সাথে কোরানও যাতে হারিয়ে না যায় সেই প্রচেষ্টার অংশই ছিলো এই প্রাথমিক সঙ্কলনের মূল কারন।
৫। যায়েদ সঙ্কলিত কোরানই কি আজকের কোরান? এরপর কি হোল?
না, এটিও নয়। প্রথম খলিফা হজরত আবু বকরের মৃত্যুর পর আরব বিশ্বে ইসলামী শক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (দায়িত্বকাল ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ, আততায়ীর হাতে নিহত হয় বলে বলা হয়)। যায়েদের করা সঙ্কলনটি এবার হজরত ওমর নিজের হেফাযতে রেখে দেয়। খলিফা ওমরের মৃত্যুর পর ওই সঙ্কলনটি অল্প কিছুদিনের জন্য তার মেয়ে হাফজা’র হেফাজতে থাকে।
৬। কোরান তা’হলে আজকের মত হল কি করে?
এইবার এলো তৃতীয় খলিফা হজরত ওসমান (দায়িত্বকাল ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ, দলীয় কোন্দলে নিহত বলে কথিত)। তৃতীয় এই খলিফা ক্ষমতায় বসেই কোরানের একাধিক সঙ্কলনের দ্বন্দ্বের ঝামেলার মুখোমুখি হয়ে যায়। তখন দেখা যায় যায়েদের কোরান সঙ্কলন, অন্যান্য সাহাবাদের কোরানের সঙ্কলন এবং অন্যান্য নানান সাহাবাদের দাবীকৃত মুখস্থ কোরানের আয়াত একে অন্যের সাথে মিলছে না। তিনি এসময় যায়েদের প্রথম সঙ্কলনটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে নতুন একটা সঙ্কলন করিয়ে নেন। কথিত আছে লোক দেখানো ভাবে তিনি কিছু কিছু নামকরা সাহাবাক্বেরাম ও ইসলামী পণ্ডিতদের সাথে এ নিয়ে পরামর্শ করে নতুন কোরানের কপি বিভিন্ন প্রদেশে পাঠিয়ে দেন। অন্যসব সঙ্কলন পুড়িয়ে ফেলবার হুকুম দিলেন এই খলিফা। তৈরী হল আজকের কোরানের কথিত মূল সঙ্কলন, আনুমানিক ৬৫১ খৃষ্টাব্দে। মতভেদে অবশ্য বলা হয় আজকের কোরান আরো পূর্নাঙ্গ হয় প্রায় ৮০০ খৃষ্টাব্দের দিকে। আরো কজন মুসলিম শাসকের হাত ঘুরে, শত শত বছর ধরে আরো পরিবর্তিত হয়ে, হাতকপি, কাঠের ব্লককপি, ছাপাখানা প্রযুক্তি কপি এবং তারপর অনুবাদকবৃন্দের অনুবাদ কপিতে রূপান্তরিত হয়ে হল আজকের এই কোরান।
৭। হজরত আলীর কোরান তা’হলে কোনটা?
ইসলামী সাম্রাজ্যের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (দায়িত্বকাল ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৬১ খ্রিস্টাব্দ, চরমপন্থীদের দ্বারা নিহত বলে কথিত)। হজরত আলীর আমলেও হজরত ওসমানের সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক কোরান সর্বজন স্বীকৃত হয়নি। আজকের ইরাক অঞ্চলের ওই সব মুসলমানেরা ওসমানের এই সঙ্কলনটি প্রত্যাখ্যান করতে থাকে। বলতে থাকে যে সেটির সাথে উব্বে ইবন মাসুদের মত সম্মানিত সাহাবাক্বেরামও একমত নন। খলিফা হয়ে হজরত আলীও ওসমানের সঙ্কলিত কোরানে অসংগতি ও ক্রমবিপত্তির কথা দৃঢ় ভাবে বলেন। এটি বদলে নতুন একটি সঙ্কলনের চেষ্টাও করেন, কিন্তু সেটি সর্বজন স্বীকৃত হয় না। মোটামুটি ভাবে ওসমান সঙ্কলনটিই তখন থেকে টিকে যায়।
যেঁচে পড়ে এসব তথ্য এমনি এমনি দেওয়া হয়নি। একটু ভাবনার জন্য দেওয়া হয়েছে। মানুষের দ্বারা কোরানে আয়াত ইচ্ছামত বাদ দিয়ে দেওয়া, ইচ্ছামত সঙ্কলন করা, স্ববিরোধী বা পরস্পর বিরোধী আয়াত, আয়াত রহিত করা, আগের মক্কি সূরা কোরানে রেখেও ওই সব এক একটি সূরার বদলে নতুন বিদ্বেষপূর্ণ হিংস্র অন্য সূরা প্রতিস্থাপন, নির্ভুল কোরানে একের পর এক ভুল, একই ব্যাপারের বিবরণ এক এক যায়গায় এক এক রকম, মেয়েদেরকে ছোট করা, পুরুষদের বড় করা এবং বেহেশতে চির কুমারী হুর উপহার দেওয়া, অথচ মেয়েদের জন্য এই পৃথিবীতে কড়া নিষেধের বেড়াজাল আর বেহেশতে গেলে আলতু ফালতু আঙ্গুর বেদানা পুরষ্কার, ছেলেদের জন্য মদ ও যৌনতৃপ্তির জন্য চির যৌবনা মেয়ে আর সমকামী পুরুষের জন্য কিশোরবালক, কিন্তু সম্পদে সাক্ষীতে তুচ্ছ মেয়েরা, ছেলেরা শক্তিমান মহান, ইত্যাদি আরো অনেক অনেক বৈষম্য। মানুষ মানে হজরত মোহাম্মদের বয়ানে আর খলিফার তাড়াহুড়ায় তৈরী কোরানের এতসব; যদি বাঙ্গালি কোন মোল্লা ছাড়াই; বাংলায় পড়ে বুঝে ফেলে, তা’হলে যে গুমোর ফাঁস হয়ে যাবে। কোরান নিজেই ইসলামের জন্য হূমকি হয়ে যাবে।
ইসলাম নিয়ে নিজ ভাষায় কিছুটা বেশী জানলে বাংলাদেশের মুসলমান ভালো রকমের সংশয়ের গ্যাঞ্জামে পড়ে যাবে, হয়ত ভাববে তাদের ঈমান ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেলো। ভাববে জানার কি-ই-ই দরকার খামোখা, তার চেয়ে অজ্ঞ থাকাই ভালো, আচার অনুষ্ঠান করে করেই পুল সিরাত পার হয়ে যাওয়া যাক। নাকি কেউ কেউ আবার অতি গোঁড়ামি ছেড়ে, আরো কিছু পড়ে জেনে কিছুটা বাঙালী হয়ে যাবে? নাকি হয়ে যাবে মুক্তমনের মানুষ? ব্যাপারটা কি অত সহজ হবে? কে জানে, হয়তো বা, কোন এক দিন।
-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-
আরো লেখা লিঙ্কঃ সূরা মোখতাসার ১, সূরা মোখতাসার ৩, সূরা মোখতাসার ৪, সূরা আল মূত্ত্যাজিয়া, হিজাবী মেয়ে বেহেস্তি সুখ
-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-x-
রেফারেন্সের পেতে আর মুক্তমনে আরো বেশী বেশী জানতে চাইলে, মুক্তমনাদের লেখা পড়ুন, বিশেষ করে এদেরঃ
আবুল কাশেম, ভবঘুরে, সৈকত চৌধুরী, আকাশ মালিক, সাইফুল ইসলাম, নাস্তিকের ধর্মকথা, কৌস্তভ, আল্লাচালাইনা, সংশপ্তক, সাদাচোখ, টেকি সাফি, রূপম(ধ্রুব), অভীক, গীতা দাস, রাজেশ তালুকদার,বিপ্লব পাল, শিক্ষানবিস, ফরিদ আহমেদ, অভিজিৎ, বন্যা আহমেদ, কাজী রহমান এবং বাকিদের
পোস্টটিতে মন্তব্যের অপশন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, মন্তব্যকারীদের নতুন লেখার প্রতি মনোনিবেশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সুন্দর লেখা (Y)
@এম এস নিলয়,
আলো জ্বেলে হাইপেশিয়া জ্বলে;
পাদ্রী মোল্লার স্বার্থপর গনিতে।
জাতিভাগে কাটে দাগ মৌলোভী
অবিরাম মারে নিরীহ মানুষ।
চেতনাতে তৃপ্ত মগজধোপা বাপমা
স্বর্গবীমা কিনে বেচে বিশ্বাসে।
পাল্টে চলে সভ্যতার সংজ্ঞা;
অসভ্য সভ্যতা অসভ্য রেখে।
তবু বাঁচে কয়েকটা আলোধরা;
একাগ্র কৌতূহল দিয়ে উপহার।
আমাদের শক্তি তুমি আমি
চলো বাতিঘর বুনি যতনে।
…….. ……….. ……. মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিলয়। আলো-আনন্দে থাকুন (C)
@কাজী রহমান, কাজী ভাই এইসব লেখা লেখি ছেড়ে দিসেন দেখি আজকাল? ঘটনা কি? তৌবা করছেন নাকি? 😀 । খুব সুব্দর লিখেছেন তো। এইরকম জিনিস আরো চাই! (Y)
@অর্ফিউস,
কাজী ভাই পড়েন সুন্দর
@অর্ফিউস,
কোন সব অর্ফিউস? বাতিঘর নাকি কোথা থেকে এলো?
@কাজী রহমান,
এই টাইপ গুলা। ধর্ম নিয়ে সমালচনা মুলক লেখা মুক্ত মনাতে থেমে গেছে কেন বুঝতে পারছি না। এগুলো থামানোর দরকার কি? আপনি ( বা আপনার মত অনেকে বিশেষ করে আদিল ভাই) করছেন গঠনমুলক সমালোচনা, কোন জাতিবিদ্বেষ মুলক লেখা নয়। তবে সবাই মিলে দেখছি একেবারে গন পদত্যাগ করলেন 🙂 ! এটাই ভাল ঠেকছে না। মুক্ত মনাতে বিজ্ঞান, রাজনীতি মানবাধিকারের পাশাপাশি ধর্মীয় গোঁড়ামি আর কু সংস্কার নিয়েও লেখা থাকবে এটাও স্বাভাবিক নয় কি? শেষের টি যেন আর কেউ লিখতেই চায় না! ( দয়া করে আবার আমাকে লিখতে বলবেন না ভাই, আমি লেখক না মোটেও :)) )
লেখায় কোন লজিক খুজে পেলাম না
কুরাআন আগে যেমন ছিল, আখন ঠিক তেমনই আসে। তার প্রমান হল এর কন আয়াত আপ্নারা ভুল প্রমান করতে পারবেন্না। যাকির নায়াক আর কুরাআন নিয়া ভিডিও ডিভিডি দেক্তে পারেন। তাছারা আর বাহিরে প্রস্ন গুল কনো না কনো আলেম থিকই দিতে পারবে।
মুক্তমনায় হাদিছ বিশেষজ্ঞের অভাব নাই। কেহ আমাকে নিম্ন বর্ণিত হাদছটির সূত্রটা দিতে পারেন? হাদিছটিঃ
হাদিছটি আমি অনেক আগে একজন মৌলবী সাহেবের মুখে শুনেছিলাম। আমি কিছু মাওলানা সাহেবদের সংগে হদিছটা লয়ে একটু আলাপ আলোচনা করতে ইচ্ছুক।কিন্তু চাক্ষুস সূত্র জানা না থাকলে তো আর আলাপ করা যায়না,এজন্য সূত্রটি আমার বিশেষ প্রয়োজন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হুবুহু এই হাদিস আমি সহিহ সিত্তাতে দেখি নাই। সহিহ সিত্তা মানে ছয়টি সহি হাদিসের বই–যার মধ্যে বুখারী সবার উপরে।
মনে হয় আপনার উদ্ধৃত হাদিস অন্য কোন হাদিস বই থেকে নেওয়া। আপনি মাওলানা/মৌলভীদের জিজ্ঞাসা করুন।
তবে আমি নীচে বুখারী শরীফ থেকে একটা হাদিস দিলাম–যা সহি এবং যা নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। এই হাদিসটা আপনার উদ্ধৃত হাদিসের মতই। এর অনুবাদ করেছেন মাওলানা আজিজুল হক।
এই ধরণের বেশ কিছু হাদিস আছে। আপাততঃ উপরে দেওয়া হাদিস আপনার মাওলানাকে দেখান–কী উত্তর পান তা জানার আগ্রহ রইল।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ আপনাকে উক্ত হাদিছটির প্রায় সমান লিংকটা দেওয়ার জন্য। আজিজুল হকের বোখারীতেও ওটা দেখে নিলাম। আমি ছোট বেলায় আমাদের বাড়ীতে লজিং মাস্টার মৌলভী সাহেব (পার্শবর্তী একটি বড় মাদ্রাসার}এর মুখে ঐ হাদিছটি শুনতে পেতাম।
সম্ভবতঃ ওটা কোন তাফছীরেও থাকতে পারে। কোন কোন বাংলা পুস্তিকায় ও দেখেছি।
কখনো দৃস্টিগোচর হইলে জানাবেন।
ধন্যবাদ
নিজের অস্তিতের খোঁজ নাই আইছে কোরআন এর অস্তিতের সন্ধান দিতে, XXXX ।
@বেয়াদপ পোলা,
লেখকের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মন্তব্যের একটি শব্দ, যেটি বাংলায় গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয়, মুছে দেওয়া হলো। মুক্তমনার নীতিমালার এই ধারাটির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করছি যে, মুক্তমনার নীতিমালা অনুসরণ করে আপনি মন্তব্য করবেন।
এই মন্তব্যটি যেহেতু মডারেশনের হাত দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, সে কারণে আমরাও এর আংশিক দায়ভার গ্রহণ করছি। লেখকের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি এবং সেই সাথে মন্তব্য অনুমোদনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা হবে, সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
@মুক্তমনা এডমিন,
অনেক ধন্যবাদ। মুক্তমনায় সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকুক।
মুক্তমনা এডমিন, আমি কিন্তু অনেক পোস্ট এ প্রায় দেখি (ছাগু, ছাগল, রামছাগল প্রভৃতি ) অনেককে বলতে। আমাকে ও বলা হয়েছে অনেক পোস্ট এ এবং তাতে অনেকে উৎসাহিত ও দিছে, আমি যে শব্দটা লিখেসিলাম ওটা তো খুব কমন শব্দ বাংলা তে, উনার আপত্তি ক্যান হল বুঝলাম না, আমার মনে হয় উনার ওটাতে আপত্তি থাকার কথা ছিল না উনি যদি ওটা সত্যি এ না হত।
@ কাজী রহমান,
কিছু দিন ধরে ব্যস্ত আছি, মুক্তমনায় নিয়মিত বসতে পারি নাই।
আজকেই আপনার লিখাটি দেখলাম।
(Y) (F)
@গোলাপ,
আপনার লিঙ্কটা দিতে গিয়ে দেখি মন্তব্য ছাড়া আর কিছু নাই। অথচ আপনার কাছে দুনিয়ার রেফারেন্স।
বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কোথা থেকে এল আবার “জরথুস্থ্রবাদের” “জেন্দ আবেস্তা” থেকে এসেছে।তবে মনে রাখবেন, ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্যের ৮০%-ই জাংক, ফেইক বা এমনকি ডাহা মিথ্যা। কোনো পিকিউলিয়ার তথ্য পেলে আগে যাচাই করে দেখুন। If it’s too good to be true, it probably is.ধর্মের ইতিহাসও তাই।নইলে রৌরবদা এখনি তর্কের রিগোরাস তত্ত্ব আউরাবেন। :lotpot:
@ডেথনাইট,
বাহ মোখতাসারের মোখতাসার মন্তব্য। পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।
কোথা থেকে এলো আজকের কোরান?
তিন দল মানুষ দাবী করেন উসমানের রক্তের দাগ লাগানো কোরান তাদের কাছে আছে। যার কাছেই হউক আজকের কোরান সে সময়ের কোরান নয়। প্রচুর অক্ষর, শব্দ এমন কি বাক্যও রদবদল করা হয়েছে, অনেক কিছু বাদ দেয়া হয়েছে আবার অনেক কিছু যোগও করা হয়েছে।
উসমানের সময়ের কোরানের সাথে বর্তমান কোরানের তুলনা করে দেখুন তো কিছু বুঝা যায় কি না। রং ম্যাচিং করে তুলনা করুন, (যদি কেউ জের, জবর, পেশ, তাশদিদ, নোখতা ছাড়া আরবি পড়তে পারেন) পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন আর দেখবেন একই সুরার কেমন ভিন্ন দুটি রূপ।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/images-1.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
এই জাতীয় জিনিস বহু বহু দিন ধরে খুঁজছি। লিঙ্ক প্লিজ। পারলে আরো বড় ছবি দেন। ছবির ক্যাপশন পড়তে পারছি না। এটা কি সানার কোরান? সেটা নিয়েও গবেষণা জরুরি। কিন্তু এতো এতো কোরান বিশেষজ্ঞ, কেউ দেখি সেটা নিয়ে কিছু জানে না। :-X
@রূপম (ধ্রুব),
ক্যাপশন বড় দিয়েছিলাম, দেখলাম সমস্ত পেইজ কভার করে ফেলে। সময় যদি পাই শরীরে যদি কুলায় এ নিয়ে একটা পূর্ণ লেখা সাজাবার ইচ্ছে রইলো। আপাতত এটা দেখুন- (সার্কল দেয়া অক্ষরগুলো খেয়াল রাখবেন)
httpv://www.youtube.com/watch?v=-x1JsyFrpKg&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=R0SZxPa9QXQ&feature=related
@আকাশ মালিক,
চমৎকার কাজ করলেন! সময় করে দেখবো। তবে বাহবাটা দেবো রেফারেন্স সমৃদ্ধ লেখাটা দিলে। এটা আপনাকে করতে হবে। আর যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায় এমন রেফারেন্স দিতে। প্রয়োজনে একটু কষ্ট করে স্ক্যান করে দেন। রেফারেন্স কেবলই যেনো কোরান হাদিস অনলি না হয়। এটার খুব দরকার। ফ্যাক্টটা পাকাপাকিভাবে পরিষ্কার হওয়া দরকার। একজন মুমিন মুসলমানেরও জানাটা খুব প্রয়োজন, সত্যটা কী। এখানে যুক্তিটা বোঝা দরকার। মুসলমান এরপরেও তার ইমান রেখে যাবেন। কিন্তু সেটা নিশ্চয়ই একটা জানা বা প্রমাণিত ভুলের উপর দাঁড়িয়ে করবেন না। ঐশী গ্রন্থ যদি মানুষের লেখা/পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তাকে সম্পূর্ণ খোদা লিখিত ভাবার পাপ নিশ্চয়ই তারা করবেন না। খ্রিস্টানরাও এই বিভ্রান্তিতে বহুদিন ছিলেন। এখন তারা আরো সত্যভিত্তিক হয়েছেন। একজন খ্রিস্টানধর্মীর এখন – বাইবেল অপরিবর্তিত খোদার বাণী – এমন অসত্য দাবীর বিপদে পা রাখেন না।
@আকাশ মালিক,
আকাশ কাঁপানো তথ্য। আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ভাই। (O)
@আকাশ মালিক,
এছাড়া যদি জানেন দুইটা আলাদা কী অর্থ দাঁড়াইলো সেইটাও দেন কাইন্ডলি।
@আকাশ মালিক,
এ পর্যন্ত শুনে আসছিলাম আমরা বর্তমানে উসমানের কোরান পড়া শুনা করছি। এটা তা হলে উসমানের কোরআন ও নয় ?কোরান তাহলে তো একের পর এক পরিবর্তন হতে হতে এ পর্যন্ত এসেছে। অথচ মাওলানা সাহেবদের প্রায়ই যোর দাবী শুনা যায়, এই কোরানের একটি বাক্য বা শব্দ তো দুরের কথা এর সামান্য একটা জের,যবর,নোক্তা ও কেয়ামত পর্যন্ত কারো পরিবর্তন করার ক্ষমতা নাই। “আল্লাহ পাক নিজেই কোরান রক্ষা করিবেন”কোরানের কোথাও নাকি আছে।
আর তা ছাড়া কোরানের নাকি ৭টি ভার্শন (স্থানীয় ভাষায়)হাদিছ দ্বারা অনুমোদিত আছে। ৭ রকমের ভার্শন অনুমোদিত থাকলে কোরানের অপরিবর্তনিয়তা তো এখানেই বিনষ্ট হয়ে যায়। কি করে তাহলে কোরান অপরিবর্তন থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মোটেই নয়।
প্রথম শাসনকর্তা আবু বকর থেকে ওমর, উসমান, আলী হয়ে মুয়াবিয়ার শাসনকাল পর্যন্ত সময়ে, ধাপে ধাপে কোরান সংকলন কমিটি করে, যথেষ্ঠ সময় ও অর্থ ব্যয় করে, সীমাহীন মতানৈক্য, ঝগড়া-বিবাদ, তর্কবিতর্কের মাধ্যমে, যথাসম্ভব ব্যাকরণগত ভুলসমুহ সংশোধন করে, প্রচুর দাড়ি, কমা, অক্ষর, শব্দ ও বাক্য বিলুপ্ত ও সংযোজন করে, কোরানকে বর্তমান রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতো কিছুর পরেও ব্যাকরণগত ভুল, বস্তুজগতের স্বাভাবিক নিয়মের পরিপন্থী, পদার্থ বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক কিছুই কোরানে রয়ে গেছে।
এখানে একটু দেখতে পারেন-
@আকাশ মালিক,
কোটি কোটি বৎসর আগে লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত মানব জাতির একমাত্র পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান “কোরান” তা আবার মানুষের দ্বারাই সংসোধিত হতে হয় ? তার পরেও বর্তমানে অজস্র ভূল ভ্রান্তি থেকে যায়।
মাওলানা সাহেবদের দুই একটি ব্যকরনিক ভূল ধরিয়ে দিলে তাঁরা বলেন,কোরানের ব্যকরন কে সঠিক এবং মান সম্মত ধরে অন্য সব বিচার বিবেচনা করতে হবে।
যদি দেখানো হয় সেটা ধরতে গেলে ভাষার মেরুদন্ড ব্যকরন নষ্ট হয়ে ভাষার মুল যে উদ্দেশ্য “মনের ভাব প্রকাশ” তা এক এক স্থানে এক এক রকম এমনকি বিপরিত মুখি ও হয়ে যায়,তা বাস্তব ক্ষেত্রে সুধু সমস্যাই সৃষ্টি করেনা অনেক ক্ষেত্রে বিপজ্জনক ও বটে।
তখন তাঁরা বলেন যেখানে যে অর্থ হলে সঠিক বলে বিবেচিত হয় সেখানে সেই ভাবে বুঝে নিতে হয়।
কত বড় মূর্খের ন্যায় কথা বার্তা !!
@আকাশ মালিক, অতদুরে যাওয়ার দরকার নেই। বর্তমানে প্রচলিত হাফস ও ওয়ারশ ভার্ষানের দুই ধরনের কোরান পাওয়া যায় , দুটৈ কিং ফাহাদ কোরান কমপ্লেক্স থেকে ছাপা হয়- এদের ভিতরেও অনেক পার্থক্য আছে।
there is a marked differences between the
Hafs and Warsh in this area with quite a few “Y” and “T” or other dot/vowel changes as can
be seen in the examples below:
The truth of the matter however is that there are significant differences which cannot simply be waived away or ignored…
For example:
■ 2:125 in Hafs is وَاتَّخِذوْا “WatakhIzu” (You shall take) / In Warsh it is وَاتَّخَذوْا “WatakhAzu” (They have taken/made).
In 2:125 the subject being addressed is that of “Maqam Ibrahim”. One version gives a command/order, while the other states a historical fact/observation.
■ 3:146 in Hafs is قاتل “Qatal” (Fought) / In Warsh it is ُقتل “Qutil” (Were Killed).
In 3:146 the difference is between a prophet and those with him being killed, while in the other the difference only means that they fought by his side.
■ Verse counts for Hafs are 6236, while Warsh records 6214 (other versions record 6616, 6217, 6204, and 62262).
আরো অনেক আছে।
@ফারুক,
কই কই কইয়াও আপনারে জিজ্ঞেস করা হয় নাই। ফারুক ভাই কি নামাজ পড়েন?
@সাইফুল ইসলাম, নাস্তিকতা থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হওয়ার পর থেকে , গত সাত বছরে ২/৩ ওয়াক্ত নামাজ মিস্ হয়েছে। নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরন করি।
@ফারুক,
সাধারন মুসল্লীরা যেমনে পড়ে অমনেই পড়েন, নাকি হাদিস অনলিদের জন্য আলাদা ব্যাবস্থা আছে কোরানে?
@সাইফুল ইসলাম,
দুঃখিত। কোরান অনলি।
@সাইফুল ইসলাম, আমার জ্ঞান বুদ্ধিতে যেটা উত্তম মনে হয় , সেভাবেই নামাজ পড়ি।
39:18 Those who listen to the Word, and follow the best of its application (in a given situation), such are the ones whom God has guided, and they are the ones endowed with insight. যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
17:36 And you shall not follow blindly any information of which you have no knowledge. (Using your faculties of perception and conception) you must verify it for yourself. In the Court of your Lord, you will be held accountable for your hearing, sight, and the faculty of reasoning. যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।
@ফারুক,
ভাই নাস্তিক হবার আগে কি মুসলমান ছিলেন?
@কাজী রহমান,
:)) আপনেরও ভাই বলিহারি, এইটা আবার জিগান লাগে নাকি? কত্ত মানুষরে দেখলাম যারা মুসলিম থেকে নাস্তিক হয়ে আবার ভুল বুঝে ইসলামের বিশুদ্ধতা বুঝতে পেরে তওবা করে ফিরে আসে, আপনি নিজেও দেখসেন নিশ্চয়ই মেলা। ফারুকও অবশ্যই এই দলেই পড়েন। :rotfl:
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দেখুন এখানে,
15:9 (সূরা হিজর-মক্কায়)
“আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।”
75:16-17(সূরা আন-নযিআ’ত- মক্কায়)
“তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না। (17) এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব।”
@গোলাপ,
এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আয়াত দুইটির সূত্র বেশ কিছু দিন ধরে খুজেও বের করতে পারি নাই। শেষ পর্যন্ত আপনি স্বত প্রনোদিত হয়ে আমার সমস্যাটা দূর করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এবার আমি save করে রাখব।
@গোলাপ,
“
15:9(সূরা হিজর-মক্কায়)
“আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।”
75:16-17(সূরা আন-নযিআ’ত-মক্কায়)
“তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না। (17) এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব।”
গোলাপ এবং আঃ হাকিম চাকলাদার এর জ্ঞাতার্থে বলছিঃ
৭৫ নং সূরা “আন-নযিয়াত” নয়, ৭৫ নং সূরা হলো সূরা “কেয়ামত”
উপররোক্ত ১৫ নং সূরা হিজর এর ৯ নং বাক্যর বঙ্গানুবাদটি পুরোপুরি সঠিক নয়।
“ইন্না-নাইনু নাযযলনায় যিকরা অইন্না-লাহু লাহা-ফুজুন” এর সঠিক বঙ্গানুবাদ হলোঃ
নিশ্চয় আমরা সংযোগ নাজেল করিয়াছি এবং নিশ্চয় উহার জন্য আমরাই হেফাজতকারীরূপে রহিয়াছি। (১৫ঃ৯)
ব্যাখ্যা ঃ- “জিকির” শব্দের অর্থ স্মরণ ও সংযোগ। “স্মরণ” হইতে আরম্ভ করিয়া উহার পরিণতি “সংযোগ” পর্যন্ত সকল অবস্থাকেই জিকির বলে। নিজ ক্ষoমতায় আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ লাভ করা মানু্ষের পক্ষে মোটেই সম্ভবপর নহে। আল্লাহর উচ্চতম পরিষদের ব্যক্তিগণই কেবল মানুষের সঙ্গে আল্লাহর সংযোগ ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়া থাকেন এবং এই সংযোগের হেফাজত করা তাঁহাদেরই কাজ। অর্থাৎ তাহারই আল্লাহর সংযোগ দান করিয়া থাকেন এবং দান করার পর উক্ত সংযোগের হেফাজতও তাঁহারাই করিয়া থাকেন। তাঁহাদের মাধ্যম ব্যতীত আল্লাহর সঙ্গে কোনরূপ সংযোগ মানুষের হইতে পারে না। সংযোগ অবিচ্ছিন্ন রাখা তাঁহাদেরই ক্ষoমতাধীন।
অপরপক্ষীয় লোকেরা “জিকির” শব্দটিকে “কোরান” অর্থে এবং “নাহনু” শব্দটিকে “আমি” অর্থে গ্রহণ করিয়া নিম্নরূপ অর্থ প্রকাশ করিয়া থাকেঃ “নিশ্চই আমি (আল্লাহ) কোরান নাজিল করিয়াছি এবং উহার হেফাজতকারীও আমি”। এইরূপ অর্থ গ্রহণ করিয়া তাহারা বলিতে চাহেন যে কোন রাজ শক্তির সাধ্য নাই কোরানকে ব্যতিক্রম করিয়া প্রকাশ করিবার। তাঁহাদের নিকট ইহাই যদি বাক্যটির অর্থ হইয়া থাকে তবে তাঁহারাই আবার কেমন করিয়া বলীয়া থাকেন যে, পূর্ববর্তী আহলে কেতাবগণ তাঁহাদের ধর্মগ্রন্থ বদলাইয়া ফেলিয়াছে? আল্লাহ্ তখন সেগুলির হেফাজতকারী কেন হইলেন না? মানুষ কেমন করিয়া উহা বদল করিতে পারিল? অতএব, ভাষাগত শব্দার্থ বদলাইয়া “জিকির” শব্দটিকে কোরান বলিবার অধিকার তাহারা কোথায় পাইলেন? [“মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মতভেদের কারণ” –সদর উদ্দিন আহমদ চিশতি page no. 94]
সবাইকে ধন্যবাদ
@শামীম মিঠু,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য। ৭৫ নং সুরা আল-কিয়ামাহ, ৭৯ নং সূরা আন-নযিআ’ত। ভুলটা অনিচ্ছাকৃত।ভাই, কুরানের সহি মানে কোনটা এটা নিয়ে ‘বাক-বিতণ্ডা” তো নতুন কোন খবর নয়। যে ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি তা হচ্ছে উক্ত অনুবাদটি আমার নিজের নয়।
দেখুন এখানে:
এবং এখানে:
আবারও ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
@আকাশ মালিক,
আমি আরবী পড়তে জানিনা। সুরাটির বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ করে দেয়া যাবে কি?
আপনি যে ইতিহাস থেকে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন , সেই ইতিহাস কতটুকু সত্য সে ব্যাপারে কি কোন খোঁজ নিয়েছেন? মুসলমানদের নিজেদের রচিত ইতিহাসের বাইরে অন্য কোন নিরপেক্ষ সুত্র বা অন্য জাতির লেখা ইতিহাস কি আপনার এই বর্ণনাকে সমর্থন করে?
ধর্মীয় ইতিহাস কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা জানতে নিচের বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন- আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, লেবানিজ খৃষ্টান ঐতিহাসিক কামাল সালিবির লেখা The Bible Came from Arabia এবং Who Was Jesus?: Conspiracy in Jerusalem
আমারতো ধারনা , মুহম্মদ ও কোরানের যে ইতিহাস আমরা জানি , তা পুরাটাই ভুল।
@ফারুক,
আপনার পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ ফারুক ভাই।
নীচে মুক্তমনার লেখকদের লিঙ্ক আবার দিয়ে দিলাম। নানা ধরনের লেখকদের অন্তত শ’খানেক রেফারেন্স ওখানে পাওয়া যাবে। চাইলে একটু কষ্ট করে দেখে নেবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আবুল কাশেম, ভবঘুরে, সৈকত চৌধুরী, আকাশ মালিক, সাইফুল ইসলাম, নাস্তিকের ধর্মকথা, কৌস্তভ, আল্লাচালাইনা, সাদাচোখ, টেকি সাফি, রূপম(ধ্রুব), অভীক, রাজেশ তালুকদার, তামান্না ঝুমু, বিপ্লব পাল, ফরিদ আহমেদ, অভিজিৎ, বন্যা আহমেদ, কাজী রহমান এবং বাকিদের
@কাজী রহমান,
কারো নাম দেখি বাকি রাখেন নি!! ওদের লেখার সাথে কম বেশি পরিচিত। ওরা প্রচলিত গন্ডির বাইরে নন। কোরানের খোঁজ যখন নিচ্ছেন , তখন ধার্মিকদের মতোই অন্ধভাবে অবিশ্বাস করলে চলবে?
@ফারুক,
কোরানের মোটামুটি ইতিহাস হচ্ছে; কোরানের বেশির ভাগই ওল্ড টেস্টামেন্ট ও নিউটেস্টামেন্টের অবিকল নকল, কিছুটা পরিবর্তিত ,পরিবর্ধিত নকল আর বাকিটা সুচতুর মুহাম্মদের নিজের রচিত।
@তামান্না ঝুমু, কোরান , ওল্ড টেস্টামেন্ট ও নিউটেস্টামেন্ট তিনটারি উৎপত্তি একি জায়গায় – আরবে (বর্তমানের সৌদি আরবে)। মিল তো থাকবেই , অবিকল নকল হওয়াও বিচিত্র নয়। আল্লাহ/গডের বাণী তো আর ভিন্ন বা পরস্পর বিরোধী হতে পারে না।
42:13] He decreed for you the same religion decreed for Noah, and what we inspired to you, and what we decreed for Abraham, Moses, and Jesus: “You shall uphold this one religion, and do not divide it.” The idol worshipers will greatly resent what you invite them to do. GOD redeems to Himself whomever He wills; He guides to Himself only those who totally submit. সুঃ আশ-শুরা , আঃ ১৩
তিনি তোমাদের জন্য সেই একই দ্বীণ (ধর্ম) নির্ধারন করেছেন, যা নূহ আঃ এর জন্য করেছিলেন এবং যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি ও যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম আঃ, মূসা আঃ ও ঈসা আঃ কে এই মর্মে যে , “তোমরা দ্বীণকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না।”
41:43] What is said to you is precisely what was said to the previous messengers. Your Lord possesses forgiveness, and He also possesses painful retribution. সুঃ হা-মীম , আঃ ৪৩
আপনাকে ঠিক ঠিক তাই বলা হয় , যা বলা হতো পূর্ববর্তী রসুলগণকে।
21:25] We did not send any messenger before you except with the inspiration: “There is no god except Me; you shall worship Me alone.”
সুঃ আম্বিয়া , আঃ ২৫
আপনার পূর্বে আমি যে রসুলই প্রেরন করেছি , তাকে একই অহী পাঠিয়েছি: “আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই , সুতরাং আমারই উপাসনা কর।”
@তামান্না ঝুমু, আপনি জানেন বাইবেল কি ভাষায় রচিত হয়েছিলো- সেটা হিব্রু ভাষায়।
এবং , হিব্রু অত্যন্ত কঠিন একটা ভাষা।হিব্রু ভাষার বাইবেল কখন আরবিতে প্রথম অনুবাদ হয়েছিল জানেন।মুহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যুর প্রায় আড়াইশ বছর পরে :)) ।
http://en.wikipedia.org/wiki/Bible_translations_into_Arabic
চিন্তা করুন ব্যাপারটা।সবাই জানে , মুহাম্মদ সাঃ এর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বালাইই ছিলো না।তাহলে , তিনি কিভাবে হিব্রু ভাষা পড়লেন?আর কিভাবেই বা,হিব্রু ভাষার বাইবেল পড়লেন , আর মিলিয়ে লিখলেন।একটা ভাষা শিখা যে কি যক্কির ব্যাপার সেটা ইংরেজি নিয়ে ১২-১৪ বছর পড়েও IELTS এ ৫/৬ পাওয়া থেকে বোঝা যায়।আরো বড় কথা তিনি কারো সাথে শলাপরামর্শ করে কুরআন লিখতেন না। লিখা বললে , ভুল হবে – বলা হবে।
আর যেই মিলগুলি খুঁজে পেলেন – সেগুলো হল ঈসা আঃ এর শিক্ষা।ঈসা আঃ , মুহাম্মদ সাঃ এর পূর্বের নবী।এক নবীর কথার সাথে অন্য নবীর কথার মিল তো থাকবেই। (C)
@ফারুক,
আপনার কি করে ধারনা হলো আমরা যে ইতিহাসটা জানি সেটা ভুল, আর আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, লেবানিজ খৃষ্টান ঐতিহাসিক কামাল সালিবির লেখাটা নিরপেক্ষ।
@ব্রাইট স্মাইল্, কেউ কিছু বল্লো আর তা মেনে নিতে হবে , এমনটা নিশ্চয় কোন সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের কাছে আশা করা উচিৎ নয়। ঐতিহাসিক কামাল সালিবির লেখাটা নিরপেক্ষ কি না , সেটা বিবেচ্য নয়। উনি কি প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন তার বক্তব্যের সমর্থনে , সেটাই বিবেচ্য।
@ফারুক,
কিন্তু আপনি তো তাই করছেন, ঐতিহাসিক কামাল সালিবির লেখাটায় যে প্রমান উপস্থাপনা করা হয়েছে তা আপনি মেনে নিচ্ছেন!
@ব্রাইট স্মাইল্, তাই কী? প্রমাণটা যদি আমার দৃষ্টিতে অকাট্য হয় , তাহলে তো আমাকে সেটা মেনে নিতেই হবে। নাকি ঐতিহাসিক কামাল সালিবি সেটা উপস্থাপন করেছেন বা বলেছেন বলেই সেটা মেনে নেয়া যাবে না!! আপনার যুক্তি বোধ কি বলে?
@ফারুক,
তাই ভাই, অন্যদের দৃষ্টিতেও ঐতিহাসিক কামাল সালিবি ছাড়া অন্য আরও অনেকের প্রমান অকাট্য মনে হয়, তাই তাঁরা আপনার মতোই সেটা মেনে নেন। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্, সেটাই স্বাভাবিক। সেকারনেই এত মত ও পথ।
এই লেখায় আপনার কমিউনিকেশান এফোর্ট সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আরো চলুক। (C)
@রূপম (ধ্রুব),
ধন্যবাদ রূপম (ধ্রুব), বিষয়টা অনায়াসে পৌঁছে দেবার জন্য যতটা সম্ভব সহজ রাস্তার চেষ্টা করেছি বটে। (C)
ভাল লাগল। তবে সদর উদ্দিন চিশতী রচিত বই এবং এই ধরনের আরও অনেক মহামানব গনের লেখা যদি জোগাড় করে পড়তে পারেন তাহলে ধর্ম অধর্ম ও প্রকৃত কোরান সম্পর্কে ধারনা ভালই হবে আশা রাখি।
আজকের যেই কোরান তা মূলত ওসমানের সময় কার কোরান নয়, ইহা আরও পরের। ইয়াজিদ মামা যখন শাসন দখল করেন তখন তিনি এই কোরান ৭টি স্থানে প্রেরন করেন, প্রচার প্রসারের খাতিরে আরও কি কি যেন। যাইহোক অতঃপর কুফাতে যেই কোরান রাখা হয় সেই কোরান আজ সর্ব ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। অর্থাৎ যেখানে ইয়াজিদ ছিল। বাকি কোরান কোথাও নেই। ওসমানের যেই করান যাদুঘরে রাখা আছে তার সাথে বর্তমান কোরানের অনেক ক্ষেত্রেই সেই ভুল চোখে পড়ে। একটি অনলাইনে সেই কোরান দেখেছিলাম , পরবর্তিতে সেই সাইট বন্ধ করে দিয়েছে।
আর কোরানের যেই বঙ্গানুবাদ অথবা তফসির নামক যেই প্রহসন আজও বিশ্ব জুড়ে ক্ষ্যত, তা আসলেই মুসলমানের অন্ধকারে থাকার মূল কারন। আজ মুসলিম ওহাবী মতে ইসলাম পালন করে। ইহা সেই মূল ইসলাম নয়।
সত্য জানাটাই মূল, তাই বলে না জেনে মোহাম্মদ নাম শুনলেই হাসির পাত্র বানিয়ে, নারীর কামুক এইসব বলে নিজেদের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো ভাল দিক নয়। কেননা যা দেখি, শুনি সবই ঐ মোল্লাদের রচিত, তাদের দৃষ্টিতে তাদের অন্তরের কথা মোহাম্মদের বা ইসলামের নামে চালানো।
আপনার লেখায় ব্যক্তিগত কোন আক্রমন নেই, সত্যের সন্ধান এর ইচ্ছা খুজে পাওয়া যায়। এই সাইটে তেমন একটা এখন আসিনা, কারন ইনারা একজন ব্যক্তির আক্রোশে সারাদিন রাত বিধি ব্যস্ত। সত্য জানিতে চায়না, শুধু যেন গালাগালি করিতে পারিলেই যেন বিদ্যান হয়ে যায় বলে মনে করেন। কোরান যেমন মানুষের দ্বারা আজ বিশ্ব দরবারে, হাদিসও তেমনি। আর এই সকল মানুষ দ্বারা রচিত কোরান আর হাদিস দ্বারা ইতিহাস, মোহাম্মদ, ইসলাম যাচাই করা কি বিদ্যান দের কাজ? যদিও বিদ্যান ইনারা অনেকেই, কিন্তু জ্ঞানী বলে ধরে নিতে পারিনাই।
যাইহোক ভাল থাকবেন।
@Russell,
আপনি ফিরে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। ওয়েলকাম ব্যাক। অন্যান্য লেখাগুলোতেও আপনার মন্তব্য আশা করবো। ভালো থাকুন।
আমি পোস্টটি মোবাইল থেকে পড়েছি। আমরা অনেকেই মোবাইল থেকে এই ব্লগ পড়ি কিন্তু দুঃখের বিষয় মোবাইল থেকে কমেন্ট করা দুরুহ। সেটাও ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে মোবাইল থেকে শেয়ার এর কোনো লিংক পাই না। আমি ব্লগের পরিচালকদের কাছে মোবাইল থেকে শেয়ারের লিংক দেয়ার জন্য জোড় দাবি জানাচ্ছি।
@সত্যের পূজারী,
আপনার মন্তব্য মডারেটরের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি তাদের কেউ ব্যাপারটা দেখবেন। অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ।
ভেঙ্গে যাচ্ছে একের পর এক বিশ্বাসের কালো দেয়াল , ভাল লাগছে এই ভেবে যে ,যা জানছি তা অন্তত বুঝে শুনে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানছি । ধন্যবাদ । আপনার কষ্ট আলোর মুখ দেখুক ।
@মুসাব্বির,
কালো পর্দা উড়িয়ে দেবার জন্যই এই সব লেখা। মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো। ধর্মান্ধদের আলোতে বের করে আনাই হোক আপনার আমার আর আমাদের মত সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। ডান দিকের মার্জিনে বিষয় ভিত্তিক লেখা দেখে পছন্দ মত পড়ুন। বিজ্ঞান, মানবতা, ধর্ম, যুক্তি ইত্যাদি যে কোন বিষয়ে পড়ুন।
ভালো থাকুন, ধন্যবাদ (C)
@কাজী রহমান,
কি বলে ধন্যবাদ দেব জানিনা। আপনার এতো সুন্দর এবং মূল্যবান ও কৌতুহলউদ্দিপক লেখা সত্যি ভালো লাগলো। দীর্ঘ আলোচনায় না গিয়ে কেবল ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম- (Y)
@আফরোজা আলম,
আচ্ছা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
কৌতুহল জাগানিয়া ছোট্ট এই লেখাটি অনেক চিন্তার উদ্রেক করে। আল্লাহ প্রদত্ত গ্রন্থ বলে দাবিদার ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর মুখোস খুলতে এই লেখাটি সহায়তা করবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
সৈকত ভাই প্রদত্ত আবুল কাশেম ভাই-এর রেফারেন্স লেখাগুলো বাংলায় অনুবাদসহ স্থায়ী আর্কাইভস-এ স্থান পেলে বাঙালি পাঠকসমাজ উপকৃত হতো। এ বিষয়ে একটা উদ্যোগ এখনই নেয়া উচিত। বিজ্ঞরা আলোচনাকে আরও বিস্তৃত করবেন প্রত্যাশা করছি।
@জোবায়েন সন্ধি,
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ধর্মান্ধদের আলো দেবার চেষ্টাই তো আপনি আর আমরা সবাই করছি। আলোচনা খোলা আছে। ডান দিকের মার্জিনে বিষয় ভিত্তিক লেখা ড্রপমেনুতে খুজলেই পাওয়া যাবে। ওটা কিন্তু বেশ সহজ ফিল্টার।
আপনার এই সংক্ষিপ্ত লেখাটি অতিশয় মূল্যবান। প্রত্যেক মুসলমানের পড়া উচিৎ।
কী আশ্চর্য্যের ব্যাপার! আজ পর্য্যন্ত তার একটি প্রমাণও কেউ দেখাতে পারল না! আজ পর্য্যন্ত একটা পাথরের টুকরো, উটের পাঁজরের হাড্ডি, একখণ্ড চর্ম অথবা একটা পার্চমেন্টে লেখা কোরানের একটি আয়াত কেউ দেখল না। অথচ সহস্র বছর আগের প্রাগৈতিহাসিক যুগের অনেক ছবি, নকসা ইত্যদি আজও দেখা যাচ্ছে–বিভিন্ন প্রস্তর খণ্ডে, বিভিন্ন গুহায়। অথচ মাত্র ১৫০০ বছরের আগের লেখা মাত্র একটি প্রমাণও আমরা দেখছি না।
এর চাইতে মিথ্যা, ধাপ্পাবাজি আর কী হতে পারে?
সময়ের অভাবে বেশি কিছু মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তবুও দুই একটি তথ্য জানা দরকার–
খলীফা আবু বকরের সময় যে কোরান সঙ্কলন করা হয় তা হয় শুধুমাত্র জায়েদ ইবনে সাবিত দ্বারা। এর জন্য কোন পরিষদ গঠন করা হয় নি। যায়েদ একাই এই দূরূহ কাজটি সম্পন্ন করেন। মনে রাখা দরকার–জায়েদ ছিলেন একজন আনসারি–বা মনীনার আদিম বাসিন্দা। আর সব খলীফারাই ছিলেন কোরায়েশ বা মক্কা থেকে আগত মোহাজের।
খলীফা ওসমানের সময় যে কোরান সঙ্কলন হয় তা করা হয় এক পরিষদ দ্বারা। এই পরিষদের সদস্যরা ছিলেন–জায়েদ বিন সাবিত, আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, সায়ীদ বিন আল আ’স, এবং আবদুর রহমান বিন সাবিত বিন হাশিম। জায়েদ ব্যতিত এই পরিষদের সবাই ছিলেন কোরায়েশ। যেহেতু কোরানের পাঠ নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছিল, তাই ওসমান নির্দেশ দিলেন যে একমাত্র কোরাশদের ভাষাতেই কোরান লেখা হবে।
অথচ মনে রাখতে হবে–নবীজি নিজেই বলে গেছিলেন, কোরান সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় নাজেল হয়েছে এবং সবই জায়েজ। তাই এটা পরিস্কার যে খলীফা ওসমান–নবীর আদর্শ হতে বিচ্যুত হলেন।
নবীজির আমলেই যে সম্পূর্ণ কোরান সঙ্কলিত হয়েছিল তা আমরা হাদিস থেকে পরিস্কার জানতে পারি। নবীর জীবদ্দশায় যাঁরা কোরান সঙ্কলন করেছিলেন তাঁরা ছিলেন–উবাই বিন কা’ব, মুয়াজ বিন জাবাল, আবু জায়েদ, এবং জায়েদ বিব সাবিত। এঁরা সকলেই ছিলেন আনসার বা মদীনার আদিম অধিবাসী।
স্বাভাবিক প্রশ্ন–নবীজি কেন একজন কোরায়েশকে কোরান সঙ্কলন কাজে নিয়োজিত করেন নি? তবে কি আমরা ধরে নিতে পারি যে কোরানের ব্যাপারে নবী কোন কোরায়েশকে বিশ্বাস করতেন না?
নবী তাঁর জীবন কালে বলে গেছিলেন যে মাত্র চারজনের কাছে কোরান শিখা যাবে–এঁরা হলেন–আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ, সালিম (আবু হজায়ফার মুক্ত করা দাস), উবাই বিন কা’ব, এবং মুয়াজ বিন জাবাল।
নবীর প্রিয়তম কোরান পাঠক ছিলেন–আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, খলীফা ওসমান সমস্ত কোরান পুড়িয়ে দিলেও আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ তাঁ কোরান কোন দিনই খলীফা ওসমানের হাতে সমর্পণ করেয়ান নাই। তাই ইবনে মাসুদের হাতেই ছিল নবীজির আসল কোরান। সেই কোরানের কী হল কে জানে। খুব সম্ভতঃ সেটা বোধ করি বিবি আয়েশার হাতে আসে–কারণ হাদিস বলে বিবি আয়েশার কাছেও একটা কোরান ছিল–এবং কোরানের ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকলে আয়েশা উনার নিজস্ব কোরান দেখতেন–খলীফা ওসমানের দ্বারা লিখিত কোরানের তোড়ায় পাত্তা দিতেন।
জানা যায় যে আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ দেখতে, শুনতে, উঠাবসায় এবং চিন্তাধারায় একেবারে নবীজির মত ছিলেন–সেই জন্যই কী নবী ইবনে মাসুদকে এত ভালবাসতেন?
এই রকম অনেক প্রশ্ন রয়েছে কোরানের ব্যাপারে।
দুঃখিত—সময় নাই–এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। হাতের কাছে বই পত্র নাই–সূত্র চাইলে পরে দেওয়া যাবে।
@আবুল কাশেম,
বেশ কদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।
কষ্ট করে দীর্ঘ মন্তব্য করেছেন, সে জন্য ধন্যবাদ। (C)
@আবুল কাশেম,
এটাই আসল কথা।মুহাম্মদের সময় আরবী ছিল কথ্য ভাষা যার নাম Sabaean।অন্যদিকে জিব্রাইল উনাকে তা বয়ান করেছেন যদিও কি ভাষায় কে জানে :-s আরবী ভাষার টাইমলাইন অনুযায়ী কুরআনই আরবীতে লেখা প্রথম বই বা সাহিত্য।কুরআন মানুষই লিখেছে কোন ঐশীবানী নয় তা বুঝতে রকেটসাইন্সটিস্ট হতে হয় না।এটি কুরাইশ আরবীতেই লিখিত তার কোন প্রমান নেই।এর উচ্চারণ ঠিক রাখার জন্য পরে হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে এতে মাখরাজ তাজ্ববিদ এসব যোগ করতে হয়েছিল।
@আবুল কাশেম,
আমি আপনার প্রবন্ধ “Who Authored the Qur’an?—an Enquiry” টা পড়তেছি।
PART 2 হতে নীচে একটি অংশ তুলে দিলাম। ঐ অংশে হাদিছ “বোখারী”এর কিছু উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। আমি সরাসরি হাদিছের ঐ লিংকটা পেতে চাই এবং তার থেকে ঐ হাদিছ গুলি (অনুবাদ )দেখতে ইচ্ছা করছি। লিংক গুলী পাওয়া কি সম্ভব? সম্ভব হলে এবং আমাকে দিতে পারলে বাধিত হইব।
অংশটিঃ
1
আমি যে লিংক গুলী চাচ্ছিঃ
১। Volume 7, Book 67, Number 407:
২। Volume 5, Book 58, Number 169:
৩। Sahih Bukhari:
The most true words said by a poet was the words of Labid…5.58.181
Volume 5, Book 58, Number 181:
৪। A true poetry testifies the indestructibility of Allah…8.76.496
৫।
Volume 8, Book 76, Number 496:
Narrated Abu Huraira:
The Prophet said, “The truest poetic verse ever said by a poet, is: Indeed! Everything except Allah, is perishable
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কোরান-হাদিস এর ইংরেজি ও বাংলা খুঁজার জন্য এই পোস্টের সাহায্য নিতে পারেন, বিস্তারিত বলা আছে। ( ঐ অংশটা কপি-পেস্ট করতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু অনেকগুলো লিংক থাকায় আলসেমি লাগল। দুঃখিত )
হাদিসের বাংলায় যে সমস্যা তা হল, এগুলোর সিরিয়াল খুব এলোমেলো। এছাড়া অনেক হাদিস বাংলা অনুবাদের সময় বোধ হয় বাদ দেয়া হয়েছে, খুঁজে পাই নি। অবশ্য ইংরেজি হাদিসগুলো গুগলিং করলেই পেয়ে যাওয়ার কথা।
@সৈকত চৌধুরী,
ধন্যবাদ আপনাকে লিংকটা দেওয়ার জন্য। এখন আমি সূত্রগুলী ধরতে পারতেছি। দেখা যাচ্ছে ব্যাপারটি কত মারাত্বক ভূল পথে অগ্রসর হয়ে গিয়েছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার রচনায় সব লিংক দেওয়া হয়েছে। লেখাটি অনেক পুরানো হওয়ায় হয়ত লিংক কাজ নাও করতে পারে।
ইংরাজিতে হাদিস পড়বেন এইখানেঃ
http://www.cmje.org/religious-texts/hadith/
আজকাল বেশ কিছু নতুন বাঙলা সাইটে বাঙলা হাদিস পড়া যেতে পারে—
অসুবিধা হচ্ছে বাঙলা এবং ইংরাজি হাদিসগুলোর মিল খুঁজে বাহির করা। এই কাজ খুবই সময় সাপেক্ষ।
আপনি চেষ্টা করুন। আমি সময় পেলে বাঙলা অনুবাদ দিয়ে দিব। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। আপনার ব্যক্তিগত ই-মেইল দিলে আমি তাতে বাঙলা অনুবাদ পাঠিয়ে দিব।
ইসলামের অজানা তথ্যের উপর আপনার অগাধ উৎসাহ সত্যই প্রশংসনীয়। দিন রাত পড়তে থাকুন, বুঝতে থাকুন—দেখবেন কী থেকে কেমন হয়ে যাচ্ছে!
@আবুল কাশেম,
অনেক অনেক ধনবাদ বোখারী লিংক দেওয়ার জন্য। কোরানে যেমন সহজে বোঝা যায়,২:৩৫ অর্থ দ্বিতীয় ছুরা (বাকারা)আয়াত নং ৩৫ কিন্তু হাদিছে কোনটা volনং কোনটা Book নং কোনটা হাদিছ নং এবং কোনটার ক্রম কোথা হতে আরম্ভ কোথায় শেষ হয়েছে এগুলি আমার কাছে জগাখিচুড়ী হয়ে যেত। মোটেই ধরতে পারতামনা।
এবার আমার কাছে একেবারে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে।
এখন তো দেখা যাচ্ছে ব্যাপার টি প্রথম থেকেই মারাত্বক ভূল পথে অগ্রসর হয়ে গিয়েছে,এখনো যাচ্ছে,বরং যথেষ্ঠ দাপটের সংগে দ্রুত গতিতেই অগ্রসর হচ্ছে। আজকেও বিবিসির খবরে শুনলাম মিসরের নির্বাচনে উদার পন্থি পরাজিত হয়ে উগ্রপন্থিরা ক্ষমতায় যাওয়ার পথে।
আমরা অদ্ভুৎ ভাবে কতবড় একটা ধোকাবাজীর জালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছি।তা কল্পনাও করা যায়না।
একমাত্র আপনাদের মত ধর্মীয় বিজ্ঞানীদের লিখনীর শক্তিশালী অস্ত্র এটাকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আশ্চর্য্য হচ্ছি না। বাঙলাদেশেও কী তাই ঘটবে? আজকের বিশ্বে ইসলামই সবচাইতে কঠিন সমস্যা। মুসলিমরা আজ এই বিপদজনক সংক্রামক (ভাইরাস) রোগে আক্রান্ত। এই রোগ ছাড়তে সময় লাগবে।
আজকের এই বল্গাহীন জংলী ইসলামকে প্রতিহত করা সহজ নয়। আমাদের এই লেখনী কী কতদূর যাবে জানি না। সংখায় আমরা দূর্বল–তবুও মুক্তমনায় আজকাল কিছু লেখকের সাহস দেখে আশাম্বিত হই। আজকের এই ভয়ংকর ইসলামকে লাগাম দিতে সময় লাগবে–অনেক ধৈর্য্যের দরকার, রাতারাতি কিছু হবে না। আপনার মত পাঠক এবং লেখকের প্রচুর প্রয়োজন। আর কাজী রহমান, ভবগুরে, তামান্না ঝুমু…এই ধরণের অসীম সাহসী লেখকের প্রচুর প্রয়োজন। ইতিহাসে এঁদের মত লেখকেরই নাম লেখা হবে–যারা সহসের সাথে এক দানবের সাথে লড়ে ছিল এবং সভ্যতাকে বাঁচিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই, ডরাইসি :))
@আবুল কাশেম,
আপনি যে অসাধ্য পরিশ্রম করিয়া যে সব নির্ভর যোগ্য হাদিছ গুলী সংগ্রহ করেছেন, সেই হাদিছ গুলী অর্থাৎ নবীর নিজের মুখের বানীই কোরান,ইছলাম,নবীত্ব এর জন্য,১০০% ই খন্ডন কারী। ধরুন নীচের হাদিছটা যে কেহই পড়িবে সে অনায়াসেই বুঝিতে পারিবে,যে বর্তমান কোরান ও ইছলামের উৎপত্তিস্থল কোথায়। অথচ এই হাদিছ নবীর বিরোধী পক্ষ হইতে আসে নাই,বরং নবীর নিজের মুখের বানী,তাও আবার সব চাইতে নির্ভর যোগ্য বোখারী হাদিছের।
হাদিছ টি নীচে দিলাম।
কোরান কেন কবিতার মত এত ছন্দময়,ছন্দ কে ঠিক রাখবার জন্য যেখানে যা খুশী তাই বলা হচ্ছে,কেন এত রাগের বাক্য,কেন এত অভিশাপের বাক্য,এগুলী কোথা হতে এসেছে,অদ্ভুৎ ব্যাপার,উপরোক্ত নবীর হাদিছটি তার পূর্ণ স্বাক্ষী হিসাবে কাজ করছে।
আপনার ইংরাজী পুরাতন প্রবন্ধ গুলী মুক্তমনায় কেহ বংগানুবাদ করিয়া মাঝে মাঝে প্রকাশ করিতে থাকিলে,এটা একটা বড় কাজ হইতো।তাহলে নূতনেরা জানার সুযোগ পাইতো।
<
এটা ধরতে পেরেছে তার সংখা একেবারে কম নয়। আমার জানা মতে এরুপ অসংখ্য লোক রয়েছেন।কিন্তু তারা বিভিন্ন পারিপা্শিক কারনে কোন রকমের প্রকাশ্য কিছু প্রকাশ করতে না পেরে শুপ্ত অবস্থায় রয়েছেন। বাংলাদেশেই ১৪/১৫ বৎসর আগেই আমার অনেক সহকর্মীদেরকে বাহ্যত কিছুই বুঝা যাইতোনা,কিন্তু এ প্রসংগে কোন কথা উঠলেই অত্যন্ত পরিস্কার ভাবে এবং নির্ভরের সংগে বলতো,”কোরান তো তৎকলীন কিছু ব্যক্তিবর্গের বানানো গ্রন্থ।”
তার মানে তারা তখনই এর উপর যথেষ্ট পড়া শুনা করে ফেলেছিল।
আজ বংলাদেশে আমার একজন পরিচিত লোকের সংগে টেলিফোনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলাপ হচ্ছিল। তিন তাবলীগে যাতায়াত করে থাকেন। তিনি বল্লেন তাবলীগের আমীর নির্দেশ দিয়েছেন,সবাইকে জামাত কে ভোট দিতে এবং তারা তাই করবে। উনি বল্লেন অসংখ্য তাবলীগ কারী রয়েছে।
তাহলে বাংলাদেশের অবস্থাটা দেখুন।
আপনার দেওয়া হাদিছের রেফারেন্স দেখার লিংকটা আমার জন্য অত্যন্ত উপকার করেছে।
এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি তো কখনই হাদিছ কি ভাবে দেখা যায় তা মোটেই জনতামনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার মন্তব্য খুব ভাল লাগল।
আজকের বিশ্বে ইসলাম হচ্ছে এক আতংকের নাম। আসলে এইটাই হচ্ছে ইসলামের আসল রূপ। যে সব মুসলিমরা বলে ইসলাম হচ্ছে শান্তি, সাম্য, ন্যায় ও সৌভ্রাত্রিত্বের ধর্ম–তাঁরা হয় মিথ্যুক না হয় ভণ্ড অথবা ইসলামের আসলরূপে কিছুই জানেন না।
ইসলাম যে আতংকের ধর্ম তাতে বিস্ময়ের কিছুই নাই। যাঁরা কোরান ভাল করে পড়েছেন তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক সুরায় দেখেছেন আল্ল পাক নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন
‘আমি আপনাকে পাঠিয়েছি ভীতি প্রদর্শক রূপে’। তার অর্থ কী? ইংরাজিতে এর সাফ সাফ অনুবাদ হচ্ছে ‘I have sent you as a terrorist’.
এ ছাড়াও অনেক হাদিসে নবী নিজের মুখেই বলেছেন উনি এসেছেন সন্ত্রাসের মাধ্যমে জোরপূর্বক ইসলাম কায়েমের জন্য।
তা যে হবে তাতে আশ্চর্য্যের কী আছে? তবলীগ, জামাত, হুজি, লস্কর তায়বা, হিযবুল তাহরীর, তালিবান, আল-কায়দা…এরা সবাই যে একই সূত্রে গাঁথা তাতে কী কোন সন্দেহ আছে? আসছে দিনগুলিতে আমরা আরও চাঞ্চল্যকর খবর এবং ঘটনা দেখব তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। বাঙালিরা দেখবে আসল ইসলাম–যে ইসলাম নবীজি প্রচার করেছেন, যে ইসলাম আল্লা পাক দিয়েছেন।
আপনি হাদিস পড়ুন–বিশেষতঃ সুনান দাউদ এবনফ ইবনে মাজাহ—হয়ত চমকে যাবেন ইসলামের আসল চেহারা দেখে।
সব শেষে, আপনি যে দীর্ঘ হাদিস দিয়েছেন–তার বাঙলা অনুবাদ দিলাম–মাওলানা আজিজুল হকের—
৫.১৬৭১ আবদুল্লাহ ইবনে ওমর(রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, নবুয়তপ্রাপ্তির পুর্বে একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম (মক্কার নিকটস্থ) ‘বালদাহ’ এলাকার শেষ প্রান্তে যায়েদ ইবনে আমর ইবনে নোফায়েলের সঙ্গে মিলিত হইলেন। তথায় কোরায়শ বংশীয় কাহারও পক্ষ হইতে নবী ছালাল্ললাহু আলাইহি অসাল্লাম সমীপে দওয়াতের খানা পরিবেশন করা হইল (তাহাতে গোশ্ত ছিল)। নবী (সঃ) তাহা খাইতে অস্বীকার করত যায়েদ ইবনে আমরের সম্মুখে দিয়া দিলেন। তিনি বলিলেন, হে কোরায়শগণ, তোমরা দেব দেবীর নামে পশু জবাই করিয়া থাক—আমি তাহা খাই না। আল্লাহর নামে জবাই কৃত হইলে খাইয়া থাকি। যায়েদ ইবনে আমর সর্বদা কোরায়েশদের জবাই করার রীতির প্রতি ভর্ৎসনা করিতেন। তিনি বলিতেন, ভেড়া বকরী সৃষ্টি করিয়াছেন আল্লাহ, উহার আহার যমীন হইতে উৎপাদনের জন্য আকাশ হইতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন আল্লাহ; আর সেই ভেড়া বকরী তোমরা জবাই কর আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামের উপর। এই রীতির প্রতি তিনি ঘৃণা প্রকাশ করিতেন এবং ইহাকে অতি বড় অন্যায় বলিতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, যায়েদ ইবনে আমর সিরিয়ায় গিয়াছিলেন সত্য ধর্মের খোঁজ করিতে। তথায় এক ইহুদী আলেমের সংগে সাক্ষাৎ করিয়া তাহাদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন এবং বলিলেন, হয়ত আমি আপনাদের ধর্ম অবলম্বন করিব। ঐ আলেম বলিলেন, আমাদের ধর্ম গ্রহন করিয়া আল্লাহর গজব নিজের উপর টানিয়া নিও না। যায়েদ বলিলেন, আমি ত আল্লাহর গজব হইতেই রক্ষা পাইতে চাই; সাধ্য থাকিতে আমি আল্লাহর গজব লইব না। আপনি আমাকে অন্য কোন ধর্মের সন্ধান দিবেন কি? তিনি বলিলেন, হানীফ ধর্ম কি? তিনি বলিলেন, ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামের ধর্ম—তিনি ইহুদীও ছিলেন না, নাসরানীও ছিলেন না। (তাঁহার ধর্মের অনুশাসন ত লুপ্ত হইয়া গিয়াছে, এখন শুধু এতটুকুর খোঁজ আছে,) তিনি একত্ববাদী ছিলেন—এক আল্লাহ ভিন্ন অন্য কিছুর উপাসনা তিনি করিতেন না।
অতপর যায়েদ এক খৃস্টান আলেমের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন; তাঁহার নিকটও ঐরূপ বলিলেন যেরূপ ইহুদী আলেমের নিকট বলিয়াছিলেন। খৃষ্টান আলেম তাঁহাকে বলিলেন, আমাদের ধর্ম গ্রহণ করিয়া আল্লাহর অভিশাপ কখনও নিজের উপর টানিয়া লইবেন না। যায়েদ বলিলেন, আমি ত আল্লাহর অভিশাপ হইতে রক্ষা পাইতে চাই; সাধ্য থাকিতে আমি আল্লাহর অভিশাপের কিঞ্চিতও লইব না, আপনি আমাকে অন্য কোন ধর্মের অনুসন্ধান দিবেন কি? তিনিও হানীফ ধর্ম তথা ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের ধর্মমত সম্পর্কে বলিলেন।
যায়েদ যখন সকলের কথায়ই ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের ধর্ম—একত্ববাদের খোঁজ পাইলেন তখন সিরিয়া হইতে ফিরিয়া আসিলেন এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে হস্তদ্বয় উত্তোলনপূর্বক বলিলেন, হে আল্লাহ! আমি তোমাকে সাক্ষী বানাইতেছি, আমি ইব্রাহীমের ধর্মমতের উপর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলাম। আবু বকর (রাঃ) তনয়া আসমা (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন; আমি যায়েদ ইবনে আমরকে দেখিয়াছি, তিনি কা’বা ঘরের সহিত হেলান দেওয়া অবস্থায় দাঁড়াইয়া বলিতেন, হে কোরায়শগণ! আমি ভিন্ন তোমাদের কেহই ইব্রাহীমের ধর্মমতের উপর নহে (অর্থাৎ তোমরা হযরত ইব্রাহীমের ধর্মের মিথ্যা দাবীদার। কারণ, তোমরা মোশরেক, আর ইব্রাহীম (আঃ) ছিলেন নিরেট একত্ববাদী)।
যায়েদ ইবনে আমর অন্ধকার যুগের সব অপকর্ম হইতে পবিত্র ছিলেন। মেয়ে সন্তানকে জীবিত মাটিতে পুঁতিয়া দেওয়া হইতে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করিতেন। কোন পিতা স্বীয় কন্যাকে ঐরূপ হত্যা করিতে চাহিলে যায়েদ তাহাকে বলিতেন, (তাহার খোরপোষের জন্য তাহাকে হত্যা করিতে চাও!) আমি তাহাকে প্রতিপালন করিব, ব্যয়ভার আমি বহন করিব; তাহাকে হত্যা করিও না। এই বলিয়া তিনি ঐ হতভাগীকে নিজ আশ্রয়ে নিয়া যাইতেন এবং প্রতিপালন করিতেন। সে বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে তাহার পিতাকে ডাকিয়া বলিতেন, ইচ্ছা করিলে এখন তোমার কন্যাকে তুমি নিয়া যাইতে পার, নতুবা আমিই তাহার সমুদয় ব্যয়ভার বহন করিয়া চলিব। (পৃষ্ঠা—৫৪০)
@আবুল কাশেম,
আসলে আমি উক্ত দীর্ঘ হাদিছটির বংগানুবাদটা পাওয়ার আশা মনে মনে করতেছিলাম।
কিন্তু আপনার কাছে চেয়ে আপনাকে পরিশ্রম দিতে দ্বিধা বোধ করেছিলাম। এ কারনে আপনার কাছে চাই নাই।
কিন্তু আপনি অজান্তেই আমার ইচ্ছা টা পূরন করে দিয়েছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজ আমি এর তৃতীয় পর্বটি পড়লাম। ইসলামের উৎপত্তি ও কোরান সৃষ্টির রহস্য আরো পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। আমি ধীরে ধীরে সবগুলী পর্বই পড়ব। আপনার অসাধ্য পরিশ্রমের সংগ্রহ বৃথা যায় নাই। এখন অশংখ্য লোক এটা পড়িয়া ইসলাম ও কোরানের মূল উৎসের সন্ধান লাভ করিতেছে।
আর তা ছাড়াও ইসলামের উৎপীড়নে মানুষের পৃষ্ঠ এখন দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই তো খবরে একের পর এক শুনতেছিলাম ইরাকে সুন্নি মুসলমানেরা নিজ ভাই শিয়া মুসলিমদের তীর্থ স্থানে আত্মঘাতি আক্রমনকারী হয়ে অসংখ্য শিয়া মুছলিমদের হত্যা করে করে শহীদ হয়ে বেহেশতে চলে যাচ্ছে।
এটাই তো ইসলামের আসল রুপ।
কেন, মাত্র কিছু দিন আগেই
তো বাংলাদেশে খাটি ইসলামিস্ট রা দেশের সম্পদ “বিচারক”দের একের পর এক হত্যা আরম্ভ করিয়া দিয়া ইসলামের সঠিক রুপটা দেখানো আরম্ভ করে দিয়েছিল।
এইটাই নাকি শান্তির ধর্ম ইসলাম ও পবিত্র কোরানের নির্দেশ।
আর ৯/১১ এর ঘটনা ও তো আমাদের সম্মুখেই ঘটল এবং এর জের এখনো শেষ হয় নাই,হয়তো আল কায়েদার অস্তিত্ব যতদিন থাকবে ততদিন এটা চলতে থাকবে।
এভাবে ইসলামের একের পর এক (SERIESE)আঘাতের চোটে মানব জাতি এখন দিশে হারা। যাবে কোথায়?
ধন্যবাদ
বক্তব্যের সারাংশ অনুযায়ী কুরানের আয়াতগুলোকে মোটামুটিভাবে নিম্নলিখিত শ্রেনীতে ভাগ করা যায়:
————————————————————————————————————
সার বক্তব্য আয়াত সংখ্যা (কম পক্ষে)
১) অবিশ্বাসীদেরকে আল্লাহর হুমকি,শাসানী, ভীতি প্রদর্শন অসম্মান =521 521
২) অবিশ্বাসীদেরকে হামলা, খুন ও তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ = 151 ১৫১
৪) আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে অভিশাপ দেন, বিপথে পরিচালনা করেন
ও অন্তরে ‘সীল’ মেরে হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করেন =66
৬৬
৫) আল্লাহ যাকে খুশী হেদায়েত দেন,যাকে খুশী শাস্তি দেন = 50
6) পূর্ববর্তী নবীদের গল্প-গাঁথার উপাখ্যান =1297
সংশোধনঃ
১) অবিশ্বাসীদেরকে আল্লাহর হুমকি,শাসানী, ভীতি প্রদর্শন অসম্মান = ৫২১
২) অবিশ্বাসীদেরকে হামলা, খুন ও তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ = ১৫১
(৫২১ এবং ১৫১ কেন জানি পর পর দুবার হয়েছে)।
আমি একটু অন্য প্রসঙ্গে বলি। লেখকের এই লেখার উদ্দেশ্য আমার কাছে পরিষ্কার হল না। কোথা থেকে এল আজকের কোরান? আমি ভেবেছিলাম এই শিরোনামে আমরা পাব আসলে কিভাবে কোরান বেপারটা আসে। এটা কি আসলেই অলৌকিক কিছু না মানুষে রচিত গ্রন্থ সে বেপারটা একটু থাকলে ভালো হতো। কারণ কোরানে সম্ভবত কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা আছে। ষে গুলো সত্য না মিথ্যে সে দিকে আমি যেতে পারব না। কারণ আমি অতো ভালো জানি না। তবে বৈজ্ঞানিক কিছু বেপার যে ভুল সেটা আমি জানি যেমন বিবর্তনবাদ এবং সৌর জগত সম্পর্কিত বিষয় গুলো। লেখক হয়তো যথেষ্ট জানেন এই বিষয় গুলো নিয়ে। তাই আমাকে একটু জানালে উপকৃত হব। যেমন কোরানে বিদ্যমান ঐতিহাসিক কিছু বেপার এগুলো সত্য কি মিথ্যা? সত্য হলে মুহাম্মদ যার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না বলে জানি তার তথ্য ব্যবহারের উৎস কি ছিল? এইসব আর কি।
@আন্ধার,
লেখার উদ্দেশ্য, কৌতূহলে উদ্দীপনা সৃষ্টি। সেটি হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত আপনার কাছে প্রশ্ন তো পেলাম। ধন্যবাদ সেজন্য।
এই লেখাটাতেই কিন্তু বলা হয়েছে কোথা থেকে এলো। বিস্তারিত পড়ার জন্য আরো অনেক মুক্তমনা লেখকদের নাম লেখাটার নীচে আছে। ওখানে গিয়ে নামের ওপর ক্লিক করলে ওদের সব লেখা দেখতে পাবেন। আপনার পছন্দেরটা ক্লিক করে পড়ে নিন প্লিজ।
অলৌকিক কিছুর প্রমান কোথাও তো দেখিনি ভাই, আর তাই আহ্বান করছি সৈকত চৌধুরীর কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? লেখাটা পড়ে নিতে। অন্যদের গুলোও পড়ে নিতে পারেন সময় পেলে। ওসবে বাংলায় লেখা গুপ্তধন রয়েছে।
বিবর্তন নিয়ে বন্যা আহমেদের লেখাগুলো খুব নাম করেছে। বিজ্ঞান নিয়ে অভিজিৎ সহ কারটা ছেড়ে কারটা বলি। ডানদিকে বিষয় ভিত্তিক লেখায়, বিজ্ঞান টেনে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন সব। ধর্ম টেনেও একই ব্যাপার ঘটাতে পারেন। কষ্ট করে নামগুলোর ওপর ক্লিক করে দেখে নিন। ইসলামের ইতিহাস, মোহাম্মদ, কোরান হাদিস, ইত্যাদির আসল রূপগুলো জানতে ভবঘুরে, আকাশ মালিক, আবুল কাশেম, সৈকত চৌধুরী প্রমুখের নাম তো তারা হয়ে জ্বলে।
কিছু নামের লিঙ্ক আবার দিয়ে দিলামঃ
আবুল কাশেম, ভবঘুরে, সৈকত চৌধুরী, আকাশ মালিক, সাইফুল ইসলাম, নাস্তিকের ধর্মকথা, কৌস্তভ, আল্লাচালাইনা, সাদাচোখ, টেকি সাফি, রূপম(ধ্রুব), অভীক, রাজেশ তালুকদার, তামান্না ঝুমু, বিপ্লব পাল, ফরিদ আহমেদ, অভিজিৎ, বন্যা আহমেদ, কাজী রহমান এবং বাকিদের
নবীজি আপনি কুরান নিয়ে এসব কী বলছেন। আপনার উপরও ত ওহী নাজিল হয়। সেসব ওহী অবশ্য মুক্তমনায় সংকলিত আছে। তাই সংকলন নিয়ে চিন্তা নেই।
@তামান্না ঝুমু,
অনেকদিন দ্বীপবাসীনির খোঁজে কবি মোডে ছিলাম তো, তাই একটু আউলা, ঠিক হয়া যাবে, চিন্তা করবেন না। (C)
আপনি স্বল্প বর্ণনায় অনেক গভীর কিছু কানা ঘুষা প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেলেন। বলা যায় অনুসন্ধিৎসু মনের উৎসাহীদের ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে মূল সত্যটাকে আরো একবার ভালো করে জানার বিশেষ আমন্ত্রণ পত্র।
@রাজেশ তালুকদার,
আমন্ত্রণ পত্র দারুণ বলেছেন তো, আসলে তো সেটাই ছিলো মূল ভাবনা।
কৌতুহলোদ্দীপক একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আবুল কাশেমের যে লেখাটার লিঙ্ক সৈকত দিয়েছেন সেটা ভাল একটা রেফারেন্স।
এটা কি এই পর্বেই শেষ, নাকি আরো বিস্তৃত হবে সামনে?
@অভিজিৎ,
এই রকম খুব প্রাথমিক প্রশ্ন আর তথ্যসূত্র নিয়ে কৌতূহলে উদ্দীপনা জাগাবার একটা পরিকল্পনা কিন্তু সত্যিই আছে। :))
আবুল কাশেম এর এই ই-বইটি দেখা যেতে পারে
Who Authored the Qur’an?—an Enquiry
Part — 1 — 2 — 3 — 4 — 5
ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার দেওয়া লিংটা পড়লাম। আবুল কাশেম ভাইয়ের অত্যন্ত মূলবান রচনা। মুক্তমনায় তাঁর প্রোফাইলে কিন্তু এই প্রবন্ধটি নাই। এটা ইংলিসে লেখা।
যদি এটা কেহ বাংলায় অনুবাদ করে মুক্তমনায় রেখে দিত,তাহলে আরো বেশী পাঠক আরো বেশী স্বচ্ছন্দ ভাবে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিত। ওটা ভাল ভাবে বুঝতে গেলে বেশ কিছু শব্দের অর্থ বুঝতে ইংলিশ ডিকশনারী ও দেখার দরকার হয়।
লিংকটা আমি SAVE করিয়া রাখিলাম।
ধন্যবাদ,লিংকটা দেওয়ার জন্য।
@সৈকত চৌধুরী,
হ্যাঁ, দারুণ। ওটা বাংলা করবার বেশ জোর দাবী দেখতে পাচ্ছি। হয়ে যাবে আশা করি। লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ।
কোরানের জন্ম-ইতিহাস নিয়ে আপনার এ লেখাটা, আমাদের সামনে যে প্রশ্নগুলো সামনে নিয়ে আসে, তাতে একটুখানি হলেও বিশ্বাসে ভাঙ্গন ধরে। অন্যের কথা জানিনা, সদরুদ্দীন চিশতির ‘ইসলামে বিভ্রান্তির ই্তিহাস’ পড়ে আমার চোখ অনেক খুলে গিয়েছিল। যদিও বইটা তিনি লিখেছিলেন, ইসলামকে বাঁচাতে। আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিল কোরান যদি আল্লাই রক্ষা করবে তো ওসমানি ‘কোরান; সংকলন করে বাকি কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলতে বললেন কে্ন?
ব্যস। মাদ্রাসার ছাত্ররা অবশ্য পিটাতে চেয়েছিল, পারেনি। পায়ের তলায় মাটি ছিল। গন-সেবা করে, গণ আস্থা অর্জন করেছিল আমাদের ছোট্ট সংগঠন। তাই গলায ফাটিয়ে মুক্তকন্ঠে নিজের মতটুকু প্রকাশ করতে পারতাম।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু সামাজিক সেবা দিয়ে যেভাবে শেকড় গেড়ে বসে তার বিপরীতে শেকড়বিহীন এই আমাদের কথা কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখবে, জানি না। তবুও কেউ কেউ ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামার ঘরে’ মন্দ কী?
@স্বপন মাঝি,
সেটাই তো কথা, এসবেই তো সন্দেহের বীজ লুকানো। খুব সাধরন মানুষ যদি খুব সাধরন যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে প্রশ্ন করে তাহলেই তো চলে। কিন্তু ওই যে, বাংলাদেশের মুসলমানদের জীবনে ধর্মচার জরুরী কিন্তু ধর্মজ্ঞান অপ্রয়োজনীয়, অজ্ঞতাই আদরণীয়।
@কাজী রহমান,
ইবনে ওয়ারাক সম্পাদিত অরিজিনস অফ কোরান বইটাও দেখতে পারেন।
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ, লিঙ্কটা এক্কেবারে বুলস্ আই।
@স্বপন মাঝি, আপনি কি সদর উদ্দিন চিশতির ‘মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মতভেদের’ কারন বইটির কথা বলছেন? উনার রচিত ‘কোরান দর্শন’ পড়েছেন কি? কোরান নিজেই কোরানের ব্যাখ্যা এবং কোরান নিয়ে যে মতভেদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সববিরোধীতা তার উত্তর কিছুটা তার বইতেই খুজে পাওয়া যায়। আশা করি আপনি এ বিষয়ে কিছু অবহিত করলে খুশি হবো। আমি মুক্তমনার সম্মানিত পাঠক বৃন্দদের কে আত্মিক শুভেচ্ছা এবং সত্য অনুসন্ধানের জন্য সাধুবাদ জানাই। উনার মতবাদ ও চিন্তা-চেতনার কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা আছে সে বিষয়ে জানালে উপকৃত হবো। এ বিষয়ে সম্মানিত মুক্তমনার লেখকদের কে কিছু বিশ্লেষণ মূলক লেখার অনুরোধ রহিল।
@শামীম মিঠু,
ঠিক তাই, ধন্যবাদ । আমার স্তৃতি শক্তি খুব নিম্নমানের। তাই বইটির নাম বলে দে’য়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ। না, আমি ‘কোরান দর্শন’ পড়িনি। তবে উনার ব্যাখ্যা ভাবধারা সম্পর্কে কিছু ধারণা আছে। যেমন কোরান বুঝতে হলে রবীন্দ্র সাহিত্য পড়তে হবে। শ্রী কৃষ্ণও একজন নবী। পথ ভিন্ন ভিন্ন, গন্তব্য অভিন্ন।
সবচেয়ে ভাল লাগতো,ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক এবং আচার নির্ভর প্রয়োগের বিরোধীতা। এখনো কারো বিশ্বাস নিয়ে খুব একটা কিছু বলতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু বিশ্বাস যখন দানা বেঁধে, সংগঠিত হয়ে, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করে সমাজের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন তার শেকড় ধরে টান দিতে হয়।
আর এ টান দিতে গিয়েও, আমি অবাক হয়ে শুনলাম, সদরুদ্দীন চিশতি তার ভক্তকে বলছে, ‘ও নাস্তিক তো, তাকে তার মতই থাকতে দিন’
আর হ্যাঁ, প্রতিষ্ঠান বিরোধী ধার্মিক ছিলেন বলে, প্রাতিষ্ঠানিক ধার্মিকরা তার বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়, তাকে না পেয়ে বাড়িতে আগুন দে’য়া হয়। উনি পালিয়ে বেঁচে গেলেন।
এবার বুঝুন, ধর্মে বিশ্বাস করেও রক্ষা নেই, যদি না মতে মিলে। বিশ্বাসের ধরণটাই এরকম।
আপনিও এ বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন বা মতামত জানাতে পারেন।
ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
আমি অবাক হয়ে শুনলাম, সদরুদ্দীন চিশতি তার ভক্তকে বলছে, ‘ও নাস্তিক তো, তাকে তার মতই থাকতে দিন’
আপনাকে অনেক সাধুবাদ, ধন্য হওয়া বা পাওয়ার কোন যোগ্যতাই আমার নাই। আমি অধম কেবল মুক্তমনার অতি ক্ষুদ্র সাধারন, অজ্ঞ ও নবীন পাঠক মাত্র। গ্রন্থকার জনাব ‘সদর উদ্দীন আহমেদ চিশতি’ কর্তৃক লিখিত গ্রন্থসমূহ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত এবং নিষিদ্ধ এমন কি তার জন্য তাকে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। সে যাই হোক, “আপনার অবাক হওয়ার মতন কি এমন মনে হলো” সেটা আমি বুঝে উঠতে পারলাম না।
নাস্তিকতা কি সরল-সাধারন-সস্তা বিষয়?
‘না’ বা ‘নাই’ এর প্রতি আস্থাবান, যা কিছু মিথ-মিথ্যা-ভুল, কল্প-কাহিনী-কিচ্ছা, অ-বৈজ্ঞানিক-ভ্রান্ত মতাদর্শন, যা অন্যায়-অ-বিচার-পুরাতন-বার্ধক্য, পরাধীন-আবদ্ধ-মোহঘেরা-জরাজীর্ণ, মনগড়া-ধ্যান-ধারনা ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
ধার্মিক মাত্রই ধর্ম বিশ্বাসী। আর ধর্ম মানে ‘ধারণকৃত স্বভাব-প্রকৃতি-বৈশিষ্ট্য’ যা সৃষ্টিতে ধরিয়া রাখে বা থাকে এবং যা প্রকাশিত হয় তার মাঝে। কাজেই ধর্মহীন বলে কোন কিছু নাই। মানুষ মাত্রেই ধার্মিক, প্রত্যেক মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি এবং নির্বাচনী ক্ষমতা প্রয়োগের ধর্ম আছে। সেই ধর্মের ব্যবহারিক স্থান-কাল-পাত্রভেদ ও বিধি-বিধানও ধর্ম। কাজেই ধর্ম নিরেপেক্ষ, ধর্মশূন্য ও অ-ধার্মিক নাস্তিক হওয়াও কঠিন অনুশীলন সার্বক্ষণিক ধারাবাহিক ধ্যান সাধনার বিষয়।
মুক্তমনার উত্তোর-উত্তোর প্রচার-প্রসার-বৃদ্ধিন্নোয়ন, মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করি এজন্যই যে, মানুষ সত্য জানুক, সত্য উপলব্ধি করার মানসিকতা ও চেতনা জেগে উঠুক প্রাণে। মানুষ সত্য খুজেনা, সত্য বুঝেনা, মিথ্যা নিয়ে জন্ম নেয়, মিথ্যার মাঝে বড় হয়, মিথ্যায় মৃত্যুতে পতিত হয়। এটা জীব শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসাবে আমাদের জন্য কলঙ্কময় অধ্যায়।
@শামীম মিঠু,
এমন এক বাস্তবতায় আমাদের বেড়ে ওঠা, অবাক না হয়ে উপায় ছিল কি? আমি প্রায়ই বন্ধুদের বলতাম, আমরাই আস্তিক আর বিশ্বাসীরা নাস্তিক।
আমি যদিও মুক্তমনার কেউ নই, তবুও এখানে নিয়মিত আসি, ভাল লাগে। আপনিও আপনার ভাবনা নিয়ে লেখা দিতে পারেন।
একটা ব্যাপার, কে কি বিশ্বাস করলো, এ নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু বিশ্বাসটা যখন সংগঠিত হয়ে, একটা সংবিধান হাতে ধরিয়ে দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে, তখন শুধু প্রতিষ্ঠান নয়, সংবিধানের মূল ধরে টান দিতে হয়। এ কাজটা মুক্তমনার অনেক লেখক নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন।
আপনার ভাবনাগুলো জানতে ইচ্ছে করছে।
তথ্যটা মনে হয় ঠিক না। যায়েদ কোরান লিখেছে (সংকলন) করেছে দুইবার। একবার আবুবকরের সময়ে। আরেকবার ওসমানের সময়ে। যায়েদ ছাড়া আর কাউকে দিয়ে ওসমান কোরান লিখিয়েছে বলে আমার জানা নেই। বাকি সংকলনগুলো অন্য খলিফাদের সময় তৈরি হয়েছে। ( নিশ্চিত নই আমি। তথ্যটা ভুলও হতে পারে)। যায়েদকে দিয়ে নতুনভাবে কোরান লেখানোর পরেই আগের সব সংকলনগুলো (যায়েদের পুরোনোটা সহ) ধ্বংস করে দেওয়া হয়। যদিও ওর অনেকগুলোই লোকমুখে প্রচলিত থেকে যায়। ইবনে মাসুদ নামের এক লোকও কোরানের সংকলন করেছিলেন। তাঁর সংকলনে সুরাগুলোর ক্রম ভিন্ন ছিল। শুধু তাই নয়, বর্তমান কোরানের গোটা তিনেক সুরা সেখানে ছিলই না। অন্যদিকে ইবনে কাব এর সংকলনে সুরা ফাতিহার মত আরো দুটো অতিরিক্ত সুরা ছিল। যায়েদের কোরান সংকলন গ্রহণ করায় অন্য কোরান সংকলনকারীরা তেমন কোনো আপত্তি না করলেও, ইবনে মাসুদ এটাকে মেনে নিতে পারেন নি কিছুতেই। তাঁর যুক্তি ছিল যে তিনি মুহাম্মদের সাথে যায়েদের তুলনায় অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন এবং কোরান সম্পর্কে তাঁর ধারণা যায়েদের চেয়ে অনেক বেশি।
@ফরিদ আহমেদ,
যায়েদ আবু বকরের সময় প্রথমটাতে যে ছিল সেটা উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বার ওসমানের সময় যায়েদের কপিটাই স্ট্যান্ডার্ড বলে ধরা হয়। লাইনটা ঠিক করে দিচ্ছি এখন। নতুন একটা তথ্য এসেছে; হাফসার কাছে গচ্ছিত কপিটিও নাকি আনা হয়েছিলো এবং ওসমানের কাজ শেষ হবার পর ওটা নাকি ফিরিয়ে দেয়া হয়নি আর।
যায়েদের কোরান সংকলন গ্রহণ করায় অন্য কোরান সংকলনকারীরা তেমন কোনো আপত্তি না করলেও, ইবনে মাসুদ এটাকে মেনে নিতে পারেন নি কিছুতেই। তাঁর যুক্তি ছিল যে তিনি মুহাম্মদের সাথে যায়েদের তুলনায় অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন এবং কোরান সম্পর্কে তাঁর ধারণা যায়েদের চেয়ে অনেক বেশি।