প্রমাণহীন বিশ্বাসে,
স্বর্গ লাভের আশ্বাসে,
এসো হত্যা-সুখের উল্লাসে
আনন্দ কলরবে হেসে হেসে;
তাজারক্তের বানে আমরা যাই ভেসে।
এসো,
নিজের তাজারক্তের কাদায় ছটফট করা
মৃত্যুগামী পশুর মৃত্যুযন্ত্রণা দেখে করি উল্লাস।
হত্যা শেষে করি কোলাকুলি
রক্তের হলিখেলা খেলে শান্তির কথা বলি।
এসো,
সকলে মিলে নিরীহ জীব হত্যা করি।
ওদের রক্তের বিনিময়ে, প্রাণের বিনিময়ে
মহান স্রষ্টার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করি;
তাঁর রক্তপিপাসু মন জয় করি,
ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের রাজ্য গড়ি।
মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ ক’রে ক’রে
যখন ওদের দেহটি প্রাণহীন নিথর হয়ে যায়,
ওরা দৃষ্টিহীন আয়তচোখে
স্রষ্টার পানে, সৃষ্টির সেরা জীবের পানে
নিষ্পলক তাকিয়ে রয়।
ওদের সেই দৃষ্টিহীন দৃষ্টি দেখে
খুশির বিদ্যুৎ খেলে যায়
আমাদের চোখে মুখে।
‘স্রষ্টার মন করতে পেরেছি জয়’
এই ভেবে মনে তৃপ্তি ও গর্ব অনুভূত হয়।
এসো,
বলি দেয়া অবলা, প্রতিবাদহীন প্রাণীদের
নিষ্প্রাণ দেহ ব্যবচ্ছেদ করি।
ওদের নিসাড় দেহ হতে
চামড়া টেনে খুলে ফেলি।
সেই চামড়ায় ব্যাগ, জুতা, জ্যাকেট
আরো হরেক রকম সৌখিন বস্তু তৈরি করি।
ওদের কলিজা, মগজ, নাড়িভুঁড়ি;
দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
কেটে কেটে ছোট ছোট টুকরো করি।
সেই টুকরোগুলো
মজাদার উপায়ে রান্না করে
নিজেদের উদোর পূর্তি করি।
গরীবের মাঝে বিতরণ ক’রে
মহত্ব ও সওয়াব হাসিল করি।
ওদের রক্ত, মাংস ও চামড়া নিয়ে খেলি
মহত্বের কেলী।
আত্মরক্ষায় নিরুপায় পশুদের
মৃত্যুযন্ত্রণার বিকটতানে,
ওদের রক্তের বানে,
দীনের শান্তিসুখ আসে আমাদের প্রাণে।
নির্বোধ সব পশুরা এই ধরণীর পরে
সৃষ্টি হয়েছে আশরাফুল মাকলুকাতের
প্রয়োজন ও সুখের তরে।
এ-ত ওদের পরম সৌভাগ্য!
দেবতা স্বয়ং মনে করেছিলেন
ওরা তাঁর উদ্দেশ্যে বলির যোগ্য।
এ-ত মহান হত্যাযজ্ঞ!
পশুদের হওয়া উচিত দেবতার কাছে কৃতজ্ঞ।
এই মহান হত্যাকে নিষ্ঠুর বলে কোন নরাজ্ঞ?
আমরা নিরীহের রক্তে খেলি
রক্তের হলিখেলা।
রক্তসাগরে ভাসাই শান্তির ভেলা।
সেই সাগরতীরে বসাই
পিশাচের কোলাকুলির মেলা।
আমরা সৃষ্টির সেরা জীব।
অসহায় পশুর জীবন করে হরণ
আমরা পুণ্য করি অর্জন;
সার্থক করি পশুদের মূল্যহীন পশুজীবন।
আমরা বুদ্ধির জোড়ে, প্রযুক্তির জোরে
পশুভুবনে নিজেদের স্বৈরসাম্রাজ্য তুলেছি গ’ড়ে।
পশুদের সদ্যকর্তিত গ্রীবা থেকে
যখন টগবগিয়ে খুন ভাসে,
তখন পবিত্রহত্যা-সুখের উল্লাসে
আমাদের চকচকিয়ে চোখ হাসে,
খিলখিলিয়ে মুখ হাসে,
বিশ্বাসে ভরা বুক হাসে।
হৃদয়খানি নাচে, ময়ূরের মত নাচে।
পশু হত্যার দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে হার্ট অ্যাটকে মারা গেছে এক কিশোর।
এই ব্যাপারে সব বয়সের সবাইকে সতর্ক থাকা জরুরী।
@ব্রাইট স্মাইল্,
খুবই মর্মান্তিক খবর। এই রকম নির্মম দৃশ্য নিজের চোখে দেখে কারুরই সুস্থ্য থাকার কথা নয়। যারা সহ্য করছে ও আনন্দ করছে, অলৌকিকতা এবং আজগুবিতায় তারা অন্ধ হয়ে রয়েছে বলে তাদের পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে।
@ব্রাইট স্মাইল্, ভাই,সবথেকে বাজে ব্যাপার হল ফেসবুকে একটা গ্রুপ এ আমি আজ দুপুরে দেখেছি পা বাঁধা ও সদ্য কোরবানি করা একটা ছাগল কে( যাএ কাটা গলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসে মাটি ভিজিয়ে দিচ্ছে।দেখে গা টা ছমছম করে উঠেছে আমার।এই সব ছবি পোষ্ট করলেও কি কোরবানির অর্ধেক সোয়াব পাওয়া যায় কিনা জানা নাই আমার। :-s
তামান্না ঝুমু,
প্রথমেই বলে নিচ্ছি কোরবানির দিন রাস্তায় রক্তের বন্যা দেখে আমারও খারাপ লাগে;পশুর উপর ছুরি চালানো দেখে আঁতকে উঠি! তবু আপনার কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখছি, কোন মতাদর্শ চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের বোধকে শানিত করার জন্য। আশা করি জবাব পাব।
(১) আমরা অরণ্য ধংস করে অগণিত প্রজাতি বিলুপ্ত করে নগর সভ্যতার পত্তন করেছি; আর সেই নগরীর ঝকঝকে তকতকে রাস্তায় পশুর রক্ত দেখে আতংকিত হচ্ছি; এটা কি এক প্রকার সুবিধাবাদীতা নয়?
(২) আমরা উৎসব করে গো-হত্যাকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলছি; কিন্তু এই আমরাই তো প্রতি সপ্তাহান্তে বিয়ে-বাড়িতে উৎসব করে গো-মাংস ভক্ষণ করছি। এটা কি একপ্রকার দ্বি-চারিতা নয়?
(৩) আমরা জীব-হত্যাকে খারাপ বলছি; আমরা নিরামিষভোজী হওয়াকে মহত্ত্বম গুন মনে করছি; কিন্তু উদ্ভিদ কি জীব নয়? নাকি হাটতে চলতে পারে না বলে তাকে আমরা জড় হিসাবেই দেখব?
(৪) আমরা বাঘসহ অনেক প্রাণীকে বিলুপ্তির হাত রক্ষা করার জন্য পৃথিবীময় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই প্রাণীগুলোর অনেকেই মাংসাশী; এদের মাংস-নির্ভরতাকে রুখতে পারব আমরা? সেটা করলে প্রকৃতির ‘খাদ্য চক্র’ কি ভেঙ্গে পড়বে না?
(৫) ‘নির্মমতা’ বা ‘অমানবিকতা’ এই শব্দগুলোর কি মানে আছে বিবর্তনীয় বিজ্ঞানের কাছে? বিবর্তনের দৃষ্টিতে মানুষ তো একটি প্রজাতি ছাড়া কিছু নয়, যাকে অতীতে সংগ্রাম করতে হয়েছে অন্য প্রজাতির সাথে এবং এখন করতে হচ্ছে নিজ প্রজাতির সাথে। ধর্মমতে গরিব-নির্যাতিত-শোষিত মানুষ সামর্থবান মানুষদের দয়া-দান-ভালবাসা পাওয়ার অধিকার রাখে; কিন্তু বিবর্তনের ধারনায় গরীব ও শোষিত মানুষ টিকে থাকার সংগ্রামের পরাজিত প্রজাতি নয়কি? বিলুপ্তিই এদের একমাত্র নিয়তি নয়কি?
আগামী ৭ তারিখ এ বিশ্ব কষাই সমিতি এর বার্ষিক জবাই
অনুষ্ঠানে আপনারা সবাই আমন্ত্রিত। (G)
আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম যে কোন এক পরম বৈষ্ণব(পৌরাণিক কাহিনী), জীব হত্যা করবেন না বলে, মরা ঘাস খেতেন।কারন জীব হত্যা পাপ।যাহোক, উদ্ভিদেরও জীবন আছে, এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।অবশ্য তাদের অনুভুতি আছে কিনা আমার জানা নেই। তো সবাই মিলে সেই বৈষ্ণব ঠাকুরের মত, স্বয়ং মৃত ঘাস পাতা খেলে কেমন হয়? 🙂 ?তাহলেই তো ল্যাঠা চুকে গেল তাই না? @ সব ভেজিটেরিয়ান
আমি ভেবেছিলাম তে ঝুমু আপু কোরবানির বিরোধিতা করে কবিতা টা লিখেছেন, কিন্তু আমি ভুল প্রমানিত হয়েছি 🙂
@অচেনা,
আমার কবিতাটি পশুবলি ও পশুহত্যার বিরুদ্ধে লেখা।
@তামান্না ঝুমু,
ধন্যবাদ আপু আপনার তথ্যের জন্য। তবে এখানে আমি মন্তব্য আর এগিয়ে নিবনা কারন আমি কোনদিন নিরামিষ খেয়ে বাঁচতে পারব না। 😉
আর আপনার “আল্লাহর বানি” কবিতা গুলো আমার দারুন ভাল লাগে।
পার্ট ৪ এর অপেক্ষায় রইলাম। ওহি নাজিল হলেই আমাদের জানাবেন কিন্তু আপু।
ভাল থাকবেন। 🙂
(F)
তামান্না ঝুমুকে তার সংবেদনশীলতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
এখানে অনেকে বলছেন গাছেরও তো অনুভূতি আছে। একটি ছাগশিশুকে কেটে খাওয়া ও গাছ থেকে কলা পেড়ে খাওয়া কি এক হতে পারে? একটি কলাকে আপনি পোষ্য করতে পারেন? স্তন্যপায়ী পশুর চেতনাকে শাক-পাতার সঙ্গে তুলনা করে আমরা শুধু প্রকৃতির অঙ্গনে সেই পশু-পাখীদের যথাযথ স্থান দিতে অস্বীকার করি তাই নয়, আমাদের মনুষ্যত্বকে খাটো বা trivialize করি। যেমন একগাদা গরু, ভেড়া বা মুরগীকে গাদাগাদি করে ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় যে তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা কোনভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে দমবন্ধ হয় মারা যেতে হয় তাহলে এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হবার কথা নয়, কারণ আমরা বলতে পারি পাট কেটে গাট্টি করে নিয়ে যাবার সাথে এর কোন পার্থক্য নেই। পাটেরও তো অনুভূতি আছে, তাই না।
পশুখামারের শিল্পায়নের ফলে পশুর মাংস সহজলভ্য। সেই শিল্পের দেয়ালের পেছনে পশুর প্রতি কি ব্যবহার করা হয় তা আমরা দেখি না। অনেক সময় ধর্মীয় কারণে পশুকে ধীরে ধীরে মরতে হয়। সেই মৃত্যুর প্রকট বেদনা ও রক্তকে গাছের তথাকথিত “আর্তনাদের” সঙ্গে তুলনা করলে আমরা নিজেদের মানুষ বলে দাবি করতে পারি না।
এক সময়ে মাংস আমাদের বাঁচার জন্য খেতে হত। আমার ধারনা মানুষ প্রাকৃতিক বিবর্তনের বাইরে অনেক কিছু করেছে, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি এর মধ্যে পড়ে। শারীরিকভাবে দুর্বল মানুষদের তো আমাদের বাঁচানোরই কথা নয়। সবকিছু raw বিবর্তনের চশমায় দেখলে আমরা যে সংবেদনশীল চেতনায় মহাবিশ্বকে দেখি সেটাও হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। আর বিবর্তনের সূত্রেও আমি যদি পশুদের দেখি তারা আমার অনেক বেশি নিকট আত্মীয় টমেটো বা আলুর থেকে!
মাংস বা মাছ খাব না, আমি তা বলছি না। পশুর মাংসকে আমাদের জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ না করে luxury হিসেবে ভাবলে মাংসের শিল্পায়ন অনেক কমে যাবে, পৃথিবীর ওপরও চাপ একটু কমবে।
@দীপেন ভট্টাচার্য,
পশুর আর্তনাদ কানে যায় অথচ ক্ষুধার্ত মানুষের আর্তনাদ কানে যায় না। ভেড়া বা মুরগীকে কেন দাড়করিয়ে নেয়া হল, কেন তাদের কে চেয়ার দেয়া হল না এই নিয়ে মহা চিৎকার জুরে দিলেন, যেখানে লাখো মানুষের দাঁড়াবার জায়গা টুকু নাই। আজব মানবিকতা!
কথাটা উলটো হয়েছে। সত্যটা হচ্ছে একসময় মাংস আমাদের বাঁচার জন্য না খেলেও চলত। কারণ তখন প্রচুর বন জঙ্গল ছিল। অগনিত ফল শাঁক পাতা ছিল। সেই তুলনায় মানুষ ছিল খুব নগণ্য সংখ্যক।
দুই ভাগ জল আর এক ভাগ স্থলের এই পৃথিবীর মানুষ গুলর কথা কি আপনি একবারও ভাববেন না??
আবাদি জমির পরিমাণ কত??
কি পরিমাণ ফসল উৎপাদন করতে পারি আমরা??
শুধু ফসলী খাদ্যে কত জনের পেট ভরবে??
খাদ্য জোগানে ফসলী খাদ্য ও মাছ-মাংসের অনুপাত কত??
মরু অঞ্চলের মানুষ গুলি কি খেয়ে বাঁচবে??
মেরু অঞ্চলের কথা কি একবার ভেবেছেন??
নাহয় কোন কথাই আমরা ভাবলাম না। গাছের প্রাণ ও অস্বীকার করলাম। সবাই ঘাস পাতা খেতে সুরু করলাম। কিন্তু ফলাফল???
এক মাসের মধ্যে গোরু ছাগলও খাদ্য সংকটে মারা পরবে। মানুষের কথা না হয় বাদ ই দিলাম!
@অরণ্য, (Y)
@অরণ্য,
😀 😀
@অরণ্য,
😀 😀
@অরণ্য,
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ জল, একভাগ স্থল।
আমরা মানবজাতি। মহাবিশ্বে এ যাবত আবিষ্কৃত একমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী। তাই আমরা এখন থেকে শুধু নিজেদের কথাই ভাববো। অন্য কারো কথা ভাবলেও তা নিজেদের স্বার্থে ভাববো।
@তামান্না ঝুমু,
অ্যালা বুঝেন, চাইর ভাগোইর তিন ভাগোই জল! আমি তো তাও কমাই কইছিলাম। ধইন্যেবাদ :))
এই বিপুল পরিমাণ জলভাগ থেকে যদি মাৎস্য ও মৎস্যকূল আহরণ না করা হয়, কি করে মানবজাতির খাদ্যের যোগার হবে বলুন? চার ভাগের মাত্র এক ভাগ স্থল। ঐ এক ভাগের বেশির ভাগই অনাবাদী। নগরায়নের ফলে তারও বৃহৎ অংশে আবাসন/কল কারখানায় দখল করে আছে। এই সামান্য আবাদি জমিতে পর্যাপ্ত ফসল ফলান সম্ভব নয়। আবেগ দিয়ে পেট চলে না।
[img]http://2.bp.blogspot.com/-NaV1S7IVQxs/TpMZ2QVn5aI/AAAAAAAAGQU/iyYr9JvtN50/s400/hunger16620m.jpg[/img]
ভুল বুঝবেন না। পশুর কষ্ট বুঝেছেন, ক্ষুধার জ্বালা বোঝেন নি। লাখো মানুষ মারা যাচ্ছে বছরে। তাদের আর্তনাদ মুহূর্তের নয়, দিনের পর দিন মাসের পর মাস ক্ষুধার জ্বালায় আর্তনাদ করে ওঁরা। এই ক্ষুধা মরণের আগে তাঁদেরকে মুক্তি দেয়না।
[img]http://internationalhealthrelief.files.wordpress.com/2011/04/hunger.jpg[/img]
এক টুকরো মাংস তুলেদেন ওদের হাতে। প্রাণী হত্যার সব পাপ আমি মাথা পেতে নেব।
@অরণ্য,
শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নারীর মূল্য প্রবন্ধটি পড়েছেন কিনা জানিনা। মানুষ এক সময় মানুষের মাংস খেত। ফিজিয়ানরা বৌয়ের উপর আসক্তি কমে গেলে নিজের বৌকে জবাই করে খেয়ে ফেলতো। সে সমাজে এটা মোটেও নিন্দনীয় ছিলনা বরং বীরত্ব ছিল। কোন কোন অঞ্চলে মানুষ বেচা কেনা হতো। বাজার হতে মানুষ কিনে এনে অন্য মানুষেরা খেত। এমন কি নিজের সন্তানকেও মা বাবা বিক্রী করে দিত। এখনও পৃথিবীতে নর-খাদক রয়েছে। কিছুদিন আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম, মালেশিয়ায় কিছু পাহাড়ী মানুষ আছে যারা অন্য অঞ্চলের মানুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছু দিন প্রেম করার পর তাকে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করে খেয়ে ফেলে।
ক্ষুধার্ত বা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ দেখলে আমরা দুঃখ পাই। স্বল্প কিছু মানুষের হাতে পৃথিবীর সংহভাগ সম্পদ কুক্ষিগত। তাই কেউ অনাহারে মরে, কেউ অতি আহারে মরে। অনাবাদি জমিগুলোতে যদি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয় তাহলে কৃষির ফলন অনেকগুণ বাড়বে। মানুষে মানুষ খাওয়া বন্ধ করেছে। একদিন হয়ত অন্য প্রাণী খাওয়াও বন্ধ করবে। ইতিমধ্যে অনেকে করেছেও।
অনাহারী শিশুদের মুখ দেখে আমরা ব্যথিত হই। কিন্তু পশু জবাই করার দৃশ্য কি কম মর্মান্তিক? গাছের প্রাণ আছে। আপনি একটি ফল অনায়াসে ছিঁড়তে পারবেন। কিন্তু একটি গরু কি আপনি জবাই করতে পারবেন?
যার যার খাদ্যাভ্যাস তার তার নিজস্ব ব্যাপার। কারো যদি নিরীহ পশুদের প্রতি মায়া হয় হয়ত ওরা তাদের হত্যা করা বন্ধ করবে। কিন্তু এই বিজ্ঞানের যুগেও পুণ্যের লোভে পশু হত্যা ত কোন ভাবেই কাম্য নয়। ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
জবাই করা তো দূরের কথা, জবাই দেখতেই পারিনা (U)
এ দৃশ্য কেন এত নির্মম জানেন?? কারণ পশু প্রতীবাদ করতে জানে। তাঁর বাঁচার লড়াই আমরা দেখতে ও বুঝতে পাই। ঠিক তেমনি একটি বৃক্ষও প্রতীবাদ করে। আমরা গাছের ডাল কাঁটি, ফল ছিঁড়ি, খুঁচিয়ে কষ বের করে ওঁরই পাতা ছিঁড়ে তা সংগ্রহ করি। ওঁর রক্ত(?) সাদা বলে আমরা তা অনুভব করতে পারিনা। ওঁর কান্না নিশ্চুব বলে তা শুনতে পাই না।
তবুও বেঁচে থাকার তাগিদে এই সূক্ষ্ম নির্মমতা আমাদেরকে উপেক্ষা করতেই হয়। সত্যিই যদি শুধু মাত্র উদ্ভিদ থেকে আমাদের সকলের খাদ্যের যোগান হোতো, তাহলে হয়ত পশু হত্যার মত স্থূল নির্মমতা আমরা পরিহার করতে পারতাম।
সহমত পোষণ করছি। এই বৃহৎ পশু হত্যা উৎসব বন্ধ হোক।
@তামান্না ঝুমু,
না আপু, অবশ্যই আমরা তা ভাববো না। কাজেই আমাদের সাপ, ইঁদুর, ছুঁচো,তেলাপোকা সহ যাবতীয় ক্ষতিকারক প্রাণীও মারা চলবে না, কারন তাদের প্রান আর অনুভুতি আছে।এতে সাপ যদি কামড় দিয়ে মেরেও ফেলে তবু নিজের কথা ভেবে অন্য প্রাণী বধ করা চলবে না, যেমন নিজেদের খাবার কথা ভেবে প্রাণী হত্যা করা চলবে না, কি বলেন আপনি? 🙂
………
দুঃখিত যদি আমি আপনার মনে আঘাত দিয়ে থাকি, কিন্তু আমার কথাটা আপনার কাছ থেকেই নেয়া।
@অরণ্য,
হ্যা. ঠিক কথা। যেখানে লাখো মানুষের দাড়াবার জায়গাটুকু নেই সেখানে পশুর খাদ্যের জন্য আবাদী জমিতে চাষ করা কি মানবিক? পশুর ফার্মগুলোতে পশুর খাদ্যের জন্য যে পরিমান জমি ব্যবহার করা হয় সেখানে কি মানুষের জন্য খাদ্যের চাষ করা যেত না। এছাড়াও পশুর জন্য অতিরিক্ত পানিও খরচ হয়।
আমারতো মনে হয় পশুর খাদ্যের জন্য যে জমি ব্যবহার করা হয় সেখানে ফসলী পন্য উৎপাদন করলেই মানবসভ্যতা লাভবান হবে।
মানুষ বর্তমানে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরী করে। আর আমাদের পাকস্থলী খাদ্য প্রাণীজ না উদ্ভিজ্জ তা দেখে পরিপাক করবে না। ছয়টি খাদ্য উৎপাদন ঠিকমতো পেলেই আমাদের পক্ষে বাচা সম্ভব সে প্রাণী হতে আসুক কিংবা উদ্ভিদ হতে আসুক তাতে কিছু যায় আসে না।
মানবসভ্যতার ইতিহাসের খুব ক্ষুদ্র অংশ কৃষিসভ্যতার ইতিহাস। এর আগের একটা বিরাট সময় জুড়েই মানুষ বনে-জঙ্গলে শিকার করে কাটাত। সে সময় মানুষ নিজের খাদ্য নিজে তৈরী করতে পারত না। তাই প্রোটিন এবং স্নেহ পদার্থের জন্য স্বাভাবিকভাবেই মাংসের উপর নির্ভর করতে হত। এছাড়া কোন বড় পশু শিকার করলে তা দিয়ে অনেকদিনের খাবারের জোগান হয়ে যেত। তাই পশু শিকার সেইসময়ের মানুষের জন্য খুবই আনন্দের ছিল। আমার তো মনে হয় সেইসময়ের শিকারী মনোভাব মানুষের এখনো রয়ে গেছে। তাই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পশু হত্যা করে মানুষ আনন্দ পায়।
কিন্তু বর্তমান যুগে আমাদের প্রোটিন এবং স্নেহের জন্য মাংসের উপর নির্ভর করার আদৌ প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।
যেহেতু ফসলী খাদ্য আমরা নিজেরাই তৈরী করি আর মাংসও আমরা নিজেরাই তৈরী করি তাই মাংসের জন্য ব্যবহৃত জমিতে ফসলী খাদ্য উৎপাদন করে সহজেই আমরা আমাদের ফসলী খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারি।
তবে এখানে মাছের কথা বলতে চাচ্ছি না। কারন সেক্ষেত্রে আসলে এই যুক্তি খাটে না। 🙂
গরু-ছাগল আমরা নিজেরাই উৎপাদন করছি। তাই গরু-ছাগলের উৎপাদন কমিয়ে দিলেই হবে।
আর ভারতের অনেক স্থানের লোকেরা কিন্তু ভেজিটেরিয়ান। তারা কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং বেচেও আছে।
যাহোক আমি কিন্তু আপনাকে ভেজিটেরিয়ান হতে বলছি না। কারন কেউ যদি চায়ও ভেজিটেরিয়ান হতে তাহলেও পরিপার্শ্বিক অবস্থা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার ভেজিটেরিয়ানিজমের অনুকূলে নাও থাকতে পারে।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে একসময় গোত্রে গোত্রে মারামারি হতো। সেইসময় কেউ যদি গান্ধী হতে যেত তাহলে তার পক্ষে বেচে থাকাই সম্ভব ছিল না।
আমার কোন কথায় যদি ভাই কষ্ট পান তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
যাহোক পরিশেষে আমি বাংলাদেশের একজন ভেজিটেরিয়ানের একটা আর্টিকেল শেয়ার করতে চাই:
http://www.rafiqphd.org/component/content/article/44-health/91-vege
@রনবীর সরকার,
হা যেত। তাতে কিছু পরিমাণ ফসলী খাদ্য বেশি উৎপাদন করা যেত। সমস্যাটা পরিমাণে! ২০’/১৫’ এর একটা উন্নত মুরগীর খামার থেকে যে পরিমাণ ডিম ও মাংসের যোগান আপনি পাবেন, সম ক্ষেত্রফলের জমিতে ফসল আবাদ করে পরিমাণ হিসেবে তার সিকি ভাগও পাবেন না।
[img]http://media.web.britannica.com/eb-media/03/503-050-AEC26FB3.jpg[/img]
বুঝলাম! তো খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামাল কোথায় পায়? বাঁজার থেকে মাছের তেল কিনে এনে_ ‘ঐটা তো বিজ্ঞানিদের বানানো! অথচ কত গুল প্রাণের বলিদানে যে ঐ দ্রব্য তৈরি তার খোঁজ আপনি রাখেন না। এ যেন কাকের নিজ চোখ বুঝে খাদ্য লুকানো, নিজে দেখলাম না মানে কেউ দেখলনা টাইপ বোকামি।
বন জঙ্গলের তো অভাব ছিলনা, তো পশু হত্যা কেন করতে গেল? কারণটা সহজ, ওটা তার খাবার! যদি তা না হোতো তাহলে সেই সময় থেকেই মানুষ ঘাস খেত। গোরু যেমন ঘাস খায়, বাঘ যেমন মাংস খায়, সর্বভুক মানুষ সব খায়। এতে ন্যায় অন্যায় পাপ পুণ্যের কোন জায়গা নাই!
হয়ে যেত না ভাই, এখনও হয়। হয় বলেই আমি ভেগান তত্ত্বের সব কথা মানতে পারছিনা। প্রতিবছর ৩০ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় মারা যায়। সেখানে যদি অনেকদিনের খাবারের জোগান দেয়া যায় তাকি খুব অমানবিক হবে??
স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ত না তবে বেঁচে আছে। ভাই, যারা বেঁচে আছে তাঁরা তো বেঁচেই আছে। যারা খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে আমি তাদের কথা বলছি। আপানার ফ্রিজ ভরা মাংস আছে শাঁক সবজি আছে, যা ইচ্ছা আপনি খেতে পারেন। আপনি বললেন না যে “কোন বড় পশু শিকার করলে তা দিয়ে অনেকদিনের খাবারের জোগান হয়”। আমারও একই কথা। মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিলে কি পরিমাণ খাদ্যের অভাব সৃষ্টি হবে তা চিন্তার বাইরে।
কষ্ট দুঃখ পাইলাম! 😛
সত্য কথা হচ্ছে, পশু হত্যায় আমারও মন কাঁদে। আপনার কথায় কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই। খুশি হয়ার অনেক কারণ আছে 🙂 । আপনার চেষ্টা খুব মহৎ।
আমি বাস্তবতার পথে কথা বলেছি। হয়ত কথা গুলি অনেকসময় নির্মম হয়ে উঠেছে। কি করবো বলেন, কিছু কথা নির্মম হলেও সত্য!
@অরণ্য,
(Y)
@অরণ্য,
আপনি বোধহয় আমার যুক্তিটা ধরতে পারেন নি। আমি কিন্তু মুরগীর খামারের স্থানের কথা বলিনি মুরগীর খাদ্যের যোগানের জন্য যেই জমি ব্যবহার করা হয় তার কথা বলছি। আসলে মুরগীর খামার আর পশুর খামারই বলুন , সেখানে আসলে খাদ্যের কাচামাল তৈরী হয় না। আসল খাদ্য মূলত ফসলী জমিতেই উৎপাদন করা হয়। তারপর সেগুলো খামারগুলোতে প্রক্রিজাতকরনের মধ্য দিয়েই বলতে গেলে আমরা মাংস পাই।
wiki তে কি বলছে দেখুন:
Changes in commodity prices for poultry feed have a direct effect on the cost of doing business in the poultry industry. For instance, a significant rise in the price of corn in the United States can put significant economic pressure on large industrial chicken farming operations.[40]
এর অর্থ পোল্ট্রি ফার্ম কিংবা পশু খামার পুরোটাই সেই ফসলী জমির উপরই নির্ভরশীল। এখন বলুন যে ফসলী জমি আমরা পশু খাদ্যের জন্য ব্যবহার করি তা যদি মানুষের খাদ্যের জন্য ব্যবহার করা হত তবে কি আমরা অধিক খাদ্য পেতাম না?
খাদ্য উৎপাদনের কাচামালতো আমরা প্রকৃতি থেকেই পাই। আমি শুধু এক্ষেত্র বলতে চেয়েছিলাম যে আমাদের খাদ্যগুলো মূলত আমরাই উৎপাদন করি আর অবশ্যই প্রকৃতির সহায়তায়।
পূর্বে কিন্তু মানুষ মানুষের মাংসও খেত। খাদ্য বলে কি আপনি বলবেন এখানে পাপ পুণ্যের জায়গা নেই?(আমি অবশ্য এখানে পাপ-পুণ্য এর স্থলে নৈতিকতা শব্দটা ব্যবহার করতে চাই)।
নৈতিকতার অর্থ অবশ্যই স্থান,কাল এবং পাত্রভেদে পরিবর্তনশীল। একসময় মারামারি-কাটাকাটি ছাড়া মানুষের পক্ষে বাচাই অসম্ভব ছিল কারন আপনি তাদের না মারলে তারা আপনাকে মেরে ফেলবে। কাজেই সেসময় নিজ গোত্রের লোকদের রক্ষার্থে অন্যদের হত্যা করাই ছিল নৈতিকতা। সেই সময়ের সেই মানুষগুলো কি কল্পনাও করতে পারত যে তাদের উত্তরসূরীরা ভার্চুয়াল জগতে পশু হত্যা নৈতিক না অনৈতিক তা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পরবে। যদি প্রকৃতি এবং ভাগ্য আমাদের প্রতি বিরূপ না হয় তবে ভবিষ্যতে হয়ত আমাদের উত্তরসূরীরা আরো অভিনব উপায়ে খাদ্য উৎপাদন করতে পারবে আর তখন হয়ত আমাদের উত্তরসূরীদের আর এরকম নৃশংস উপায়ে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে না।
(ইনভিট্রো মিট কিন্তু ইতিমধ্যে তৈরী হয়েছে যদিও সেটাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা চলছে যদিও তা বাজারজাতকরন আরো পরের ব্যাপার)।
আমারতো মনে হয় পশুর খাদ্যের জন্য বরাদ্দ ফসলী জমিতে মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করলেই ক্ষুধার সমস্যা কমবে।
৩০ মিলিয়ন মানুষকে মাংস খাওয়ানোর চেয়ে সুষম ভেজ খাবার দেওয়াই কি অধিক সাশ্রয়ী নয়?
হিন্দুদের অনেক মন্দিরে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফ্রিতে খাওয়ানো হয়। যদি সেখানে নন-ভেজ দেওয়া হত তাহলে ফ্রিতে এরকম ঘন ঘন খাওয়ানো কি সম্ভব?
অনেক ধন্যবাদ। আসলে মুক্তমনার প্লাটফর্মেই এরকম আলোচনা নির্মোহভাবে করা সম্ভব। আসলে আমি ভেজিটেরিয়ানিজম ঠিক না বেঠিক সেই আলোচনায় যাচ্ছি না। শুধুমাত্র আমার কিছু যুক্তি দেখাচ্ছি। কারন যুক্তির পথ ধরেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব।
@রনবীর সরকার,
ঘটনা সত্য! তবে ঘটনা আর একটাও আছে। 😉 wiki-র data রেঁধে খাওয়া যায় না (শাঁকের ডাঁটার মত)।
মূল বিষয় আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আর তা’হল “পরিমাণ”।
আপনি বলছেন,
প্রথমত, পোল্ট্রি ফার্ম কিংবা পশু খামার পুরোটাই ফসলী জমির উপরই নির্ভরশীল নয়। দ্বিতীয়ত, আপনি যে অধিক খাদ্যের কথা বলছেন তার পরিমাণ খুব, খুবই নগণ্য।
খামার বা গৃহপালিত পশু পাখিদের খাদ্যের মেন্যুটা একবারও কি জানতে চেষ্টা করবেন না??
চলুন দেখি ওঁরা কি খায়…
১। ভুষি, কুড়ো, চিঁটা
২। ঘাস ও লতাপাতা
৩। ধান গমের খড়
৪। ভাতের মাড় ও অন্যান্য
৫। শামুক ঝিনুকের মাংস
৬। ডিম, শামুক ও ঝিনুকের খোলস চূর্ণ
৭। চিঁটা গুড়
৮। মৎস্য
৯। কেঁচো ও অন্যান্য কীট পতঙ্গ
১০। ধান গম ও অন্যান্য ফসলী
১১। ঘাসের বীজ ও অন্যান্য ফল
১২…এবং আরও আরও…
আবাদি পশু পাখির খাদ্যের মেন্যুতে ফসলী শস্যের পরিমাণ খুবই নগণ্য। উলটো, যে সব খাদ্য মানুষের খাবারের মধ্যের পরে না সেই সকল উপানাদকে মানুষের খাবারে রূপান্তরিত করার এক আজব দায়িত্ব ওঁরা নিজেদের অজান্তে পালন করে যাচ্ছে।
আবাদি পশু পাখি যদি আমাদের ৩ ভাগ ফসলী নষ্টের কারণ হয়ও, তথাপি, এঁর পরিবর্তে ৩০ ভাগ খাদ্যের যোগান ওঁরা দিচ্ছে।
মানুষ কি প্রকৃতির বাইরের কেউ?? কেন বঞ্চিত করবেন আমায়??
তাছাড়া “কাচামালতো আমরা প্রকৃতি থেকেই পাই” বলেই দায় মুক্ত হতে চাইলেন যা নিতান্তই অসম্পূর্ণ যুক্তি। প্রকৃতির উপাদান
বলতে প্রাণীও কিন্তু পরে! এবং তথাকথিত man made খাদ্যের উপাদান কিন্তু উদ্ভিদ প্রাণী দু’ই।
এযে জুত মেরে গরু দান?? সাবধান!সাবধান!! (চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন আছে) :))
দুঃখজনক হলেও সত্য, ভেজ খাবার সাশ্রয়ী নয়। আপনি হয়ত বর্তমান বাজার মূল্যের তালিকা এনে ধরবেন! কিন্তু যদি মানুষ ভেগান হয়ে যায় তাহলে ঐসময়ের মূল্য তালিকা একবার ভেবে দেখুন। আগে ও বলেছি আবারও বলছি, আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ খুব, খুব বেশিই কম। আর মৎস্য ও মাৎস্য জাত খাবার পরিহার করা মানে নিজের পায়ে কুড়াল নয় এযে মাথায় বুলেট মারা!
যদিও প্রাণ হত্যা করার মত দুঃখজনক ঘটনা আর হয়কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু আমরা নিরুপায়। 🙁 প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলা যায় না।
তবুও মন জীবনানন্দের কবিতার লাইন বলে যায়…
… মাংস খাওয়া হল তবু শেষ?
@রনবীর সরকার,
হা আমিও একমত তবে বিগত ১০০০০ বছর ধরেই কিন্তু কৃষিকাজ টাই প্রাধান্য পেয়েছে। কারন সহজে খাদ্য পেলে কে যাবে শিকারে। তাছাড়াও শুধু জমি চাষ করে ফসল ফলাতে গেলেও বিপদ তাই না?সার দিতে হবে, পোকা মাকড় দমন করতে।ওগুলো কিন্তু প্রাণী। কাজেই প্রাণী হত্যার ব্যাপার টা কিন্তু কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না, তাই না দাদা? 🙂
@দীপেন ভট্টাচার্য,
আপনার পর্যবেক্ষণমূলক মন্তব্যটি ভাল লেগেছে। গাছ থেকে একটি ফল বা সবজি আমরা সবাই ছিঁড়তে পারি কিন্তু একটি গরু কি আমরা নিজ হাতে জবাই করতে পারি? এমন কি যারা ননভেজ তাদের মধ্যেও কয়জনে তা পারে?
কিছু কিছু ক্ষেত্তে আমার মনে হয় মুক্তমনা বে-হুদায় তর্ক করে। যেমন আপনার লেখাটি পড়ে মনে হলো।
কুরবানীর সময়টা এলেই কেমন যেন মন খারাপ করে। ধর্মের নামে কি উৎফুল্ল্যতাই নিরীহ প্রানীদের হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। কি বিচিত্র ধর্মীয় বিধান (?!)। সবচেয়ে বেশী ‘প্রিয়’ যে পশুটিকে আপনি নিজ হাতে লালন-পালন করেছেন (ছাগল-ভেড়া ইত্যাদি), যে হালের বলদটা সারা জীবন ভুমিতে লাঙ্গল বয়ে ‘সমস্ত পরিবারের অন্য-সংস্থানে’ ভুমিকা রেখেছে- তারই বৃদ্ধ বয়সে মালিক ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তার গলায় ছুঁড়ি চালিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে উৎসব করছে! ভাষাহীন প্রানীটি মরার আগে মালিকের এই নিষ্ঠুরতা হতভাগ হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছে!
প্রানী জগতে মানুষই সবচেয়ে ‘হিংস্র ও নিষ্ঠুর’। অন্যান্য প্রানীরা হত্যা করে তাদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে। উৎসবের নিমিত্তে উল্লাসী হত্যা-যজ্ঞ শুধু মানুষের দ্ব্রারাই সম্ভব! তবুও সে স্বঘোষীত ‘আশরাফুল মখলুকাত’ নামধারী। উৎসবের নিমিত্তে উল্লাসী হত্যা-যজ্ঞকারী প্রানীর নামটা ‘আশরা-fool মখলুকাত’ হলেই বেশি মানানসই শোনাতো!
@গোলাপ,
কারো প্রাণের বিনিময়ে কেউ খুশি হতে পারে এবং এই জোরপূর্বক বলিদানযজ্ঞ উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন হতে পারে!
ঈদুল আযহা। মুসলিমদের মহানন্দের একটি দিন। হত্যাসুখে মুসলিম জাহান উল্লসিত। আর এই দিনটি আমার সবচেয়ে বেদনার দিন। একদিনে একযোগে কোটি কোটি নির্দোষ প্রাণীকে কী নির্মমভাবে হয়া করা হয় পুণ্য লাভের আশায়।
@গোলাপ, এক দম উচিত কথা বলেছেন।
শুধু পশু কুরবানিই না, অনেক পরিবার আছে যারা নিজেদের সামাজিক মর্যাদা (ধর্মের) রক্ষ্যা করতে গীয়ে অনিচ্ছা সত্তেও কুরবানি দেয় এবং পুরো মাসের টাকা খরচ করে পড়ের মাসে হাপিত্তিশ করে। এদের দুঃখ কেউ বুঝলনা………………
@জুনাইদ,
ঠিক বলেছেন। আর্থিক সংগতি না থাকলেও অনেকে কোরবানী দিয়ে থাকে মান সম্মান রক্ষার্থে।
হে নবী নিসা;
আমার সবুজ সালাম জানবেন।
পশুরা যদি পড়তে পারত তবে তারাও আপন্র এই অহীনামা পড়ে কাঁদত এবং সবুজ সালাম জানাতো।
@আবুল কাশেম,
আল্লাপাক বলেছেন পশুরাও তার এবাদত করে। তাহলে ওরা নিশ্চই পড়তে পারে। পড়তে না পড়লে এবাদত করবে কীকরে?
@তামান্না ঝুমু,
মানুষের কাছে না হোক অন্তত পশুদের কাছে আপনি নবী হিসেবে স্বীকৃতি পেতেন যদি পশুদের কোনপ্রকারে এই অহীনাম পৌছে দিতে পারতেন। 🙂
@রনবীর সরকার,
পশুরাও এবাদত করে। ওরা নবীও চিনে।
দীনের নবী মোস্তফায় রাস্তা দিয়া হাঁইটা যায়, একটি হরিণ বান্ধা ছিল গাছের তলায়।
গল্পটি জানেন নিশ্চয়।
@তামান্না ঝুমু,
না দিদি। গল্পটাতো জানা নেই। 🙁
ইসলাম সম্পর্কে আমার যা জানা বেশিরভাগই মুক্তমনা থেকে।
হিন্দুপরিবারে জন্ম নেয়াতে হিন্দুধর্ম সম্পর্কেই বেশি পড়াশোনা করা হয়েছে, ইসলাম সম্পর্কে তেমন একটা পড়াশোনা করা হয় নাই।
গল্পটা একটু বলে দিননা। গল্প পড়তে আমি বড় ভালু পাই। 🙂
@রনবীর সরকার,
গল্পটি কোন বইতে পড়িনি, শোনা গল্প।
একদিন দীনের নবী মোস্তফা(মুহাম্মদ) রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। দেখলেন গাছের তলায় একটি হরিণী বাঁধা আছে এবং সে হরিণীটি অঝোরে কাঁদছে। তার কান্না দেখে দয়াল নবীর কোমল মন হু হু করে কেঁদে উঠলো। তিনি হরিণীকে জিজ্ঞেস করলেন , তুমি কাঁদছ কেন? হরিণণী বললো, “আমাকে এক শিকারী ধরে এনেছে। আমি আমার বাচ্চার জন্য কাঁদছি। ওকে অনেকক্ষণ দুধ খাওয়ানো হয়নি।না জানি বাছা আমার খিদের জ্বল্য কী করছে!”
নবী বললেন,”তুমি তোমার বাচ্চাকে দুধ খাইয়ে এসো। আমি তোমার বদলে গাছ তলায় বাঁধা রইলাম।”
হরিণী বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে গেল,নবীকে রেখে। এই সময় শিকারী ফিরে এল। হরিণীকে না দেখতে পেয়ে ,তার জায়গায় একজন লোক দেখে সে সেই লোকটির সাথে রাগান্বিত হল। বললো তুমি আমার হরিণ চুরি করেছ। সেই শিকারী লোকটি নবীকে চিনতোনা। নবী বললো একটু পরেই হরিণী ফিরে আসবে। ঠিকই একটু পরে বনের হরিণী বাচ্চাকে দুধ খাইয়ে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ফিরে এলো।
সেই দয়াল নবী মোস্তফাই আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন পশু হত্যা করে পুণ্য অর্জন করতে, চোরের হাত কেটে দিতে,প্রেমিক-প্রেমিকাকে দোররা মারতে।
আপনার আপত্তি কোনটাতে? পশু হত্যা নাকি কোরবানী? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
পশুবলি হচ্ছে ধর্মের সবচেয়ে ঘৃণ্য প্রথা। বুদ্ধিমান প্রাণী কর্তৃক অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধির প্রাণীদের হত্যা করাও বর্বর নয় কি?
@তামান্না ঝুমু,
ধরে নিচ্ছি আপনি প্রক্রিয়াতে মানে হত্যার প্রক্রিয়াতে আপত্তি জানাচ্ছেন। আর যদি তা না হয় তাহলে মনে হয় আপনি নিরামিষাশী। তাই কি? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
দুটোই।
@তামান্না ঝুমু,
তাহলে জাইক্কা মামুর যুক্তি দেই। গাছ লতা পাতারও জীবন আছে কিন্তু। :)) :)) 😀 😀
@সাইফুল ইসলাম,
প্রাণীরাও যদি গাছের মত নিজের দেহে খাদ্য তৈরি করতে পারতো বা কেঁচোর মত মৃত্তিকা ভক্ষণ করে জীবন ধারন করতে পারতো!
@সাইফুল ইসলাম,
জাইক্কা মামু কে? জাকির নায়েক ? তিনি আমাদের মামা হন নাকি?
@তামান্না ঝুমু,
হাহাহাহাহ, স্কুলে থাকতে আমাদের এক স্যার ছিল ইংরেজির। তার নামও ছিল জাকির। ওনাকে বলতাম জাইক্কা মামু। ঐ নামই জাকির নায়েকের গায়ে লাগিয়ে দিলাম আর কি।
@সাইফুল ইসলাম,
ভালই হলো মামা পরকালে কাজে আসতেও পারেন। সত্য পথের পথিক, নেককার মামা তার পথভ্রষ্ট, বিপথগামী, দোযখী ভাগিনেয়-ভাগিনেয়ীদের জন্য বেহেস্তের সুপারিশ করতেও পারেন।
@সাইফুল ইসলাম,
জাইক্কা মামু! 😀 😀
@সাইফুল ইসলাম,
জাকির নায়েক একদিকে বলেন গাছপালার জীবন আছে , অন্যদিকে বলেন ইসলামিক নিয়মে কুরবাণী করলে নাকি পশু ব্যথা কম পায়।
পশু ব্যথা কম পায় এ সময়, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যুক্তি হাজির করেন । কিন্তু একটা গাছের নার্ভাল সিস্টেম আর মস্তিস্ক না থাকলে সেটা কি করে ব্যথা পায় তার কোন ব্যাখা দেননা।
গাছ প্রতিক্রিয়া দেখায় বলেই যে ওটা ব্যথা পাচ্ছে তার যুক্তিসংগত কারন আছে বলে মনে হয় না। কারন কোন মানুষের হাতের আঙ্গুল কাটা গেলে সেটাও কিন্তু লাফায়। আর টিকটিকির লেজ কাটা গেলেও তা জীবন্ত জীবের মতো লাফাতে থাকে। তাহলে কি এটা বলা যাবে যে হাতের আঙ্গুল বা টিকটিকির লেজের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অনুভবশক্তি আছে?
@রনবীর সরকার,
কোরবানী হয়ে যাওয়া কোন পশু মনে হচ্ছে জাকিরের কানে কানে এই সুসংবাদ দিয়ে গেছে। হত্যা ত হত্যা। কম ব্যাথা আর বেশি ব্যাথা কি? কম ব্যাথা দিয়ে হত্যা করা যদি মহান কাজ হয় তবে ত কোরবানীর পশুদেরকে এনেসথেশিয়া করে হত্যা করা উচিত। তাহলে তারা মোটেও ব্যাথা পাবেনা।
গাছের অনুভূতি সবচেয়ে ক্লাসিক। খুব ছোট বেলায় শুনেছিলাম হারমোনিয়াম নিয়ে গিয়ে বাগানে গান করলে সে বাগানের গাছ গুলো সুন্দর ফুল দেয়। আমাদের মোটামুটি বড় একটি ফুলের বাগান ছিল। সব ভাইবোনেরা “তুই গা,” “না না তুই গা…” এমন করতে করতে শেষে দেখা যেত বাগানে গিয়ে গাছগুলোকে শুধু আমাদের হাসি ঠাট্টাই শোনানো হত। এত বছর পর আবার নুতন করে গবেষণার ফল বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন – গাছকে ক্লাসিকাল মিউজিক শোনালে গাছ নিজের মাঝে বেশি প্রাণ পায়, বেশি ফল ফলাদি দেয়। এর চাইতে ক্লাসিকাল অনুভূতি আর কাদের আছে?
****এটাও সত্য যে গাছ কিন্তু ঠিকই বোঝে মানুষের ভালোবাসা আর আদরের ভাষা।****
শুধু জীব হত্যা করেই যে মানুষ স্রষ্টার মন জয় করে তা নয়, মানুষ নামের নরাধম জীবও মাইনসেরে (মানুষরে ) হত্যা করে স্রষ্টার মন যোগাইতে চায়। যেমন, ১৯৭১ সালে কুখ্যাত,অসভ্য,জানোয়ার,গোলাম আজমের নেতৃত্ত্বে আমাদের ৩০ লাখ মা- বাবা,ভাই-বোন সহ আপামর জনতাকে হত্যা করেছিল সে-ই নরাধমের নাকি বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানোর জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সফল হউক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
দৈনিক সমকালে শেষের পাতায় গোলাম আযমের উপর লিংকটি ঠিকমত মনে হয় কাজ করছে না বিধায় আবারো এখানে দিলাম।যদি এবারো না আসে তাহলে যারা পড়তে ইচ্ছুক তারা অনুগ্রহ করে সমকালে পড়ে নিতে পারেন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
নিরীহ জীব হত্যা করলে যেমন আল্লাহ খুশি হন, কাফের হত্যা করলেও খুশি হন। দুটোই সওয়াবের কাজ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার ও রাজাকারেরা যেসব হত্যা এবং ধর্ষণ করেছিল তাও সওয়াবের কাজ। কারণ গণিমতের মাল হত্যা ধর্ষণ যা খুশি তা করা যায়।
গোলাম আজম সহ সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। কোন ক্ষমা বা নিস্তার নাই।
@তামান্না ঝুমু,
প্রাসংগিক বিধায় লিংকটি দিলাম। দেখেন আমাদের দেশের উচ্চ ডিগ্রিধারী ড,আতাউর রহমান মিয়াজি কিভাবে ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সমন্নয় সাধন করেছেন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ডিগ্রীধারী অন্ধবিশ্বাসীদের অন্ধত্ব দেখে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অন্ধবিশ্বাসী হওয়ার জন্য এত পড়াশোনার কি দরকার তাও বুঝিনা।
@তামান্না ঝুমু, “অন্ধবিশ্বাসী হওয়ার জন্য এত পড়াশোনার কি দরকার তাও বুঝিনা।”
পড়াশোনা না রেকর্ডিং সব এক এক টা টেপ রেকর্ডার ।
বাশা থেকে কপি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পেস্ট করা।
এদের আর যাই থাক সুস্ট বিশ্লেষণ এর ক্ষমতা নাই।
পশু হত্যা দেখলে খুবই কষ্ট হয়
কিন্তু কি উপায়?
মাংস আমার তিন বেলাতেই চাই
আর ঐ নিরামিষ?
আমার প্লেটে ওর জায়গা নাই!
🙁 🙁
………
মানুষের মত হিংস্র প্রাণী ২য় টা নাই! সব প্রাণীই বড়জোর খাবারের প্রয়োজনে অন্য জীব হত্যা করে। কিন্তু একমাত্র মানুষ হচ্ছে সেই জীব যে কিনা আনন্দে(শিকার), শোকে(শ্রাদ্ধ), উৎসবে( বিয়ে, জন্মদিন,…), পূজায়(বলি), ঈদে(কোরবানি),…,… হত্যায় লিপ্ত থাকে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত দেয়া হয়না (ছুইল্লা কাইটটা ঝাল নুন মাখাইয়া জ্বালাইয়া পুড়াইয়া কাঁটা চামচ দিয়া মুখে লইয়া চিবাইয়া খাওয়া হয়)! এমনকি মানুষ ঘুমিয়ে থাকলে ও হত্যা বন্ধ থাকে না( কারন মশার কয়েল জ্বলতে থাকে)।
আর স্বজাতি হত্যা মানুষের মৌলিক বৈশিষ্ট্য! এবং তা মানুষ কে এক ও অদ্বিতীয়ের আসন দান করেছে (ঈসা-মুসা-মুহম্মদ আরও যারা আছেন বদ এবং তাদের গড)।
@অরণ্য,
নিরীহ প্রাণীদের হত্যা করলে ত পাপ হওয়ার কথা। কিন্তু পাপ না হয়ে পুণ্য হয় কেন?
@তামান্না ঝুমু,
চমৎকার!
“নরিীহ প্রাণীদরে হত্যা করলে ত পাপ হওয়ার কথা। কন্তিু পাপ না হয়ে পুণ্য হয় কনে?”
মানুষের পূণ্যির জন্য আল্লা/হরির আর যে কোন পথ জানা ছিলো না, তাই তো এরূপ বিধান!
@কফিল কাঙ্গাল,
রক্তের হলিখেলা ও মাংস খাওয়ার অতি উত্তম ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মহাপ্রভু।
@তামান্না ঝুমু,
আমাকে বলছেন?? :-s
পাপ হয় না পুণ্য হয় জানি না, তবে উদর পূর্তি হয়।:razz:
আমি ইবাদতে ঠিক বিশ্বাসী নই। আল্লাহ্/ব্রহ্ম ত আমাকে বলেন নাই, নানান জনে নানান কথা বলে( বেদ, কোরআন, বেন্থা সাহেব…)।
আল্লাহ্/ব্রহ্ম রে নিয়া টানাটানি করাটা বৃথা সময় নষ্ট আর কি! পাপ পুণ্য আরও হাস্যকর। বরং বিবেকের কথা ভাবি।
পুণ্য লাভে একদিনের বলির চাইতে, প্রতিদিন যে হাজারও প্রাণী হত্যা করছি, এই ভাবনাই আমাকে বেশি ভাবায়। অথচ বাঁচতে হলে প্রাণী হত্যা করতেই হবে।
@অরণ্য,
প্রাণী হত্যা না করেও সুন্দরভাবে বাঁচা যায়।
@তামান্না ঝুমু,
যায় না! আমি ১০০% নিশ্চিত।
তবে যদি আপনার কাছে কোন উপায় জানা থাকে তো জানাবেন, হত্যা নিন্দনীয়।
কোন রকম ঘাস পাতা খেয়ে বাঁচা অর্থহীন। আর ফল বা পাতা গাছ থেকে ছিঁড়ে খুবলে খাওয়াটাও কম নির্মম নয় (কেননা গাছের ও প্রাণ আছে)। একটা গরুর প্রাণও প্রাণ আবার একটা মশার প্রাণও কিন্তু প্রাণ। শুধু কি তাই, একটা অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কত শত প্রাণ যে মৃত্যু মুখে পতিত হয় তার ইয়ত্তা নাই। 😛
আমি মনে করি বেঁচে থাকার প্রয়োজনে প্রাণী হত্যা করা যেতে পারে। তবে তা যত কম নিষ্ঠুর উপায়ে হয় ততো ভালো।
আল্লাহ্/ ব্রহ্ম কে খুশি করতে পশু বলি নিন্দনীয়। কেননা তাদের তো নিশ্চয়ই খাবারের প্রয়োজন নেই।
@অরণ্য,
সব প্রাণী যদি গাছের মত স্বালোক সংস্লেশন প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারত ভাল হতো। পৃথিবীতে কোন হত্যা থাকতো না। গাছের প্রাণ আছে কিন্তু অনুভূতি আছে কিনা জানিনা।
কেন অর্থহীন? অনেক ভেজিটেরিয়ান আছে যারা জীবনে ননভেজ স্পর্শ করেনি। তাদের জীবন কি অর্থহীন হয়ে গিয়েছে? যারা ভিগেন তারা ত দুধ এবং দুগ্ধজাত কোন খাবার পর্যন্ত খায়না। এ জন্য তাদের কোন দুঃখও নেই।
আর ফল বা পাতা গাছ থেকে ছিঁড়ে খুবলে খাওয়াটাও কম নির্মম নয় (কেননা গাছের ও প্রাণ আছে)। একটা গরুর প্রাণও প্রাণ আবার একটা মশার প্রাণও কিন্তু প্রাণ। শুধু কি তাই, একটা অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কত শত প্রাণ যে মৃত্যু মুখে পতিত হয় তার ইয়ত্তা নাই।
@তামান্না ঝুমু,
গাছেরও অনুভূতি আছে। পরিচিত একটা উদাহরণ হচ্ছে লজ্জাবতী(touch me not). প্রাণ থাকলে অনুভূতি থাকবে। গাছ শব্দ করতে পারেনা বলে তাকে আপনি অনুভূতিহীন বলতে পারেন না।
আছে। উনারা প্রাণী বধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, সুতরাং যত কষ্টই হক তাঁরা স্বীকার করবে না। গৌতম বৌদ্ধের অনুসারীরা কিন্তু ধর্মেই নামেই এই কষ্ট স্বীকার করে থাকেন। নিজ ইচ্ছায় নয়। বিধবাদের ক্ষেত্রেও একই কথা।
মানুষ সর্বভুক প্রাণী। জানেন নিশ্চয়ই?? আমিষের প্রয়োজন তার অবশ্যই থাকবে।
একটা মাংসাশী প্রাণীকে আপনি কিন্তু ঘাস পাতা খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন না। যদি অতি কষ্টে বেঁচেও থাকে, তবে তা নিতান্তই নির্মম কাজ হবে। প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল তো আপনি নষ্ট করতে পারেন না।
**নিচের অংশটা বুঝলাম না। আমার লিখাটাই তুলে দিয়েছেন। যুক্তি আশা করছি।
@অরণ্য,
আপনার লেখাটা উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে রয়ে গিয়েছে।
গৌতম বুদ্ধ মানুষকে জীব হত্যা করতে মানা করেছেন। ভিগেন হতে বলেননি। ভিগেন মানে যারা দুধও খায়না। মাছ মাংস ত নয়ই। আমার পরিচিত অনেক ভিগেন আছে যারা বৌদ্ধ নয়। কেউ কেউ খ্রীস্টান, কেউ কেউ নাস্তিক।
@তামান্না ঝুমু,
গৌতম বুদ্ধের অনুসারীরা খাওয়ার জন্যে জীব হত্যা করেন না। নিরামিষ খেয়ে জীবন ধারণ করেন। এটাও কিন্তু ধর্মেরই নামে হল। ঠিক এই কথাটাই আমি বলেছি।
কেউ কেউ কী খেলো তাতে কিন্তু মানুষের জীবন চলেনা। যেই প্রাণীর যে খাবার সে তাই খাবে। প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল আপনি বদলাতে পারবেন না।
আপনার পরিচিত ভিগেন তত্ত্ব কাজ করার কোন কারণ আমি দেখি না। আপনি বলছেন “ভিগেন মানে যারা দুধও খায়না। মাছ মাংস ত নয়ই।” যা নিতান্তই অসম্ভব। দুধ খাওয়া কে আপনি যদি খারাপ মনে করেন, তাহলে তো কোন মা তার বাচ্চা কে বুকের দুধ খাওয়াবেনা। আপনার মতে চললে পৃথিবী টিকে থাকতে পারবে না।
আর গাছের ও যে প্রাণ আছে, এই বিষয়টা আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন না।
ধরুন আপনার ভাইরাস জ্বর হল। আপনি কি এখন অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না? ভিগেন হলে তো খেতে পারবেন না। কেননা একটা অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে হাজার হাজার ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া মারা পরবে। 🙁
উপায় একটাই। নিজে মারা পরা। এতেও লাভ হবে না। কেননা আপনার মৃত্যু মানে আপনার শরীরে যত পরজীবী ছিল তাদেরও মৃত্যু।
ধর্মের নামে জীব হত্যা করার প্রতীবাদ যৌক্তিক। কিন্তু প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলার দাবী অযৌক্তিক।
@অরণ্য,
কোন ক্লাসে একই সমতলে নামক একটি গল্প পাঠয় ছিল। কোন ক্লাসে ঠিক মনে নেই। একটি দরিদ্র কৃষক পরিবার। কৃষি কাজ ও দুধ বিক্রী করে তাদের সংসার চলে। তাদের কয়াকটি সন্তানের মধ্যে একটি মেয়ে আছে। প্রতিদিন দুধ দোহনের সময় সে গরুর বাছুরকে ধরে রাখে যাতে সে ছুটে গিয়ে দুধ খেয়ে ফেলতে না পারে। কিছু দিন পর মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। তার সন্তান হয়। সে সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার শিশু সন্তান তার কোলে বসে দুধ খাচ্ছিল। এ সময় গরুর দুধ দোহানো শুরু হয়েছিল। তার ছোট ভাই বাছুর ধরে রেখেছিল। এ দৃশ্য দেখে তার নিজের সন্তানের কথা মনে হয়। তার সন্তান তার দুধ খেতে পারছে কিন্তু বাছুরটি পারছেনা। সে চিৎকার করে বলে উঠে, ওকে ছেড়ে দে। গাইয়ের দুধ বাছুরের জন্য। তোদের জন্য নয়।।
ভিগেনরা দুধ খায়না। কারণ যেকোন প্রণীদের দুধ খাওয়ার অধিকার তাদের বাচ্চাদের। মানুষ তাদেরকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সে দুধ নিজেরা খেয়ে নেয়। ভিগেনরা নিজের বাচ্চাকে নিজের দুগ্ধ পান করিয়ে থাকে। এতে কোন অন্যায় নেই।
গরুর দুধ দোহানুর দৃশ্য দেখে মহামতি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও দুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন।(সেই সময়-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)।
@তামান্না ঝুমু,
উদ্ভিদেরও প্রাণ রহিয়াছে, একথা জানিতে পারিয়া স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু শাঁক, তরকারী, সবজি ফল মূল সকল খাওয়া ছাড়িয়া দিলেন।(এই সময়- অরণ্য) 😛 অতঃপর সকল মানুষের অপমৃত্যু!
মহামতি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, গৌতম বৌদ্ধ, মাহাত্মা গান্ধীর খাবারের রুচি জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়াটা কি যৌক্তিক?? আপনি যদি ভিগেন হন তো খুব ভালো কথা। সবার খাবারের মেন্যু এক হতে হবে এমন তো নয়!
গৌতম এসে বলবেন আমিষ খাবেন না, মুহাম্মদ বলবেন চিংড়ী খাবেন না এটা হারাম ওটা হারাম এখন আপনি এসে বলছেন দুধও হারাম। মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সে কি খাবে তা সে নিজের রুচি দিয়েই বুঝবে। তর্কের খাতিরে অযৌক্তিক তত্ত্ব কেন চাপিয়ে দিতে চাইছেন??
আপনার কথা মত যদি সব চলতে থাকতো, তাহলে পৃথিবীতে বৈচিত্র্যময় কোন প্রাণীই থাকতো না। শুধু গোরু আর ঘাস ছাড়া। এবং অতঃপর গাইগুলি তাদের নিজ নিজ বাছুরকে দুধ খাওয়াতে থাকতো।
@অরণ্য,
আমি কারো উপর জোর করে খাবারের মেন্যু চাপিয়ে দেইনি। আমার কাছে যেটা নির্মন মনে হয়েছে সেটা বলেছি। সবার মেন্যু এক হতে হবে তাও কখনো বলিনি।
গৌতম বুদ্ধ আমিষ খেতে মানা করেননি। জীব হত্যা করতে ও খেতে মানা করেছিলেন। যেকোন প্রকারের ডালের মধ্যে প্রচুর পরিমানে আমিষ রয়েছে। আমি দুধ হারাম বলিনি। বলেছি ভিগেনরা দুধ খায়না। দুটি বাক্যের মাঝে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আমি কারো উপরে কোন তত্ত্ব চাপিয়ে দিতে চাইছি এটা আপনি কেন বলছেন? আমি ত বলিনি আমার তত্ত্ব সবাই অনিচ্ছাকৃতভাবে গ্রহন করুক বা নিজের গায়ে চাপিয়ে নিক! আমি আমার মতামত প্রকাশ করেছি মাত্র।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার মতামত কে সাধুবাদ জানাই। (Y)
প্রাণ হত্যা অবশ্যই কারো কাম্য হতে পারেনা, ধর্মের নামে হত্যার উৎসব তো রীতিমত নিষ্ঠুর। এ ব্যাপারে আমিও আপনার সাথে একমত।
তবে প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল আমি ঠিক অস্বীকার করতে পারছিনা। আর কোন রকম প্রাণ হত্যা না করে জীবন ধারণ সম্ভব, এই তত্ত্বটা যৌক্তিক নয়।
যেমন, আমিষের প্রয়োজনে ডাল খাওয়াতে যে নিষ্ঠুরতা নেই, এ ব্যাপারে আমি একমত নই। কেননা একটা উদ্ভিদের ফল বা বীজ হচ্ছে তার সন্তানের মত। ফসলি উদ্ভিদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রকট। ধান বা ডালের ফলন্ত গাছ হত্যা করে তাদের সন্তান-বীজকে আমরা রান্না করে খাই। খেতে হয়। বাঁচতে হলে যার যা খাদ্য সে তা খাবেই।
@তামান্না ঝুমু, “প্রাণী হত্যা না করেও সুন্দরভাবে বাঁচা যায়।”
কিভাবে? বুঝিয়ে বলবেন কি আপু?নিরামিষ খেয়ে বাঁচতে বলছেন? তা উদ্ভিদেরও তো প্রান আছে নাকি? 🙂
@তামান্না ঝুমু,
চমৎকার লিখেছেন। (Y) (Y)
“নিরীহ প্রাণীদের হত্যা করলে ত পাপ হওয়ার কথা। কিন্তু পাপ না হয়ে পুণ্য হয় কেন?”
-কারন ধার্মিক ইতরগুলো “বিসমিল্লাহ” আর “নমঃ নমঃ” বলে হত্যা করে-তাই তাদের পূণ্য বেড়ে যাই। আজব থিওোরি।
@আমি আমার,
আজব না হলে ধর্ম হবে ক্যামনে?
@অরণ্য,অবশ্যই প্রজন আছে তবে ধর্মের নামে আন্নন্দের(ঈদ)উদ্দেশে নয়। (Y)
বেচে থাকার জন্য জীব হত্যা অন্য কথা।
খালি হত্যা না, একেবারে জবাই করে হত্যা। আর এতেই নাকি কম কষ্ট দিয়ে পশু বধ করা যায়। অথচ বাস্তবে কিন্তু দেখা যায় যে জবাই না করে হার্ট এ ছুরি মারলে কম কষ্টে মরে পশুটা।অন্তত জবাই করার থেকে ভয়াবহ আর কিছুই নাই। যাহোক আপু, এইটা কি নতুন ওহী, নাকি হাদিস? 🙂 ।সুন্দর লিখেছেন। (Y)
@অচেনা,
না এটা ওহী বা হাদিস নয়, এটা হচ্ছে পবিত্র হত্যাসুখের উল্লাস প্রকাশ। আর যেভাবেই হত্যা করা হোক না কেন হত্যা ত হত্যা।
নিজের পালিত কবুতরগুলো জবেহ করেছিলাম
বুক কেপেছিল কি?,মনে নেই ত…
বুড়ো হয়েছিল ওগুলো
খেয়েছিলাম মনের সুখে খিচুড়ির সাথে।
জীব হত্যা মহাপাপ,কে যেন বলেছিল?
গৌতম!কই নেড়া মানুষগুলো জীব হত্যা করছেই অবিরত
চীন দেশ,কম্বডিয়া রক্তে স্নাত;
কোরবানির পশু কিনতে যাই হাটে
দেখি না আমাদের আশে পাশে কত পশু
লোম ভর্তি মুখ নিয়ে পশুগুলো ঘুরে ফিরে
পশু জবাই করতে করতে মানুষ হত্যায় হাত পাকিয়েছে
আল্লাহ আকবর বলে রগ কেটে দেয় অনায়াসে
নারীর পেট চীরে ওরা দেখতে চায়
কিভাবে মানব শিশু বেঁচে থাকে মাতৃ গর্ভে;
আমরা সেই জাতি,ঘাতক পতাকা উড়িয়ে গেলে পথ ছেড়ে দেই
আমরা নপুংস বিকলাঙ্গ জাতি যার আত্মসম্মান নেই
পিতৃ ঘাতক জাতির উত্তরসুরি আমি পালিয়ে বেড়াই
আমার স্থান নেই স্বদেশে অথবা বিদেশে
আঙ্গুলী তুলে বলে সবাই,তুমি পিতৃ-ঘাতক
তাই আমি পলাতক!
@সপ্তক, সপ্তক লিখেছেন চিন ও কম্বোডিয়া নাকি পশু হত্যা হয়। কম্বোডিয়া ও চিন দেশে ধর্মের নামে পশু হত্যা হয় তা আমার জানা নাই।
@আরূপ,
চীন, কম্বোডিয়ায় মার্ক্সবাদ ধর্মের নামে মানবপশু হত্যা হয়েছে।
@আরূপ,
বিয়ে সাদী বা রসনা বিলাসে পশুবলি করলেও বৌদ্ধ ধর্মে অন্তত ধর্ম রক্ষায় পশু বলির কোন বিধান নাই।
@রাজেশ তালুকদার,
বুদ্ধ যেকোন কারণেই জীব হত্যা করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কয়জন বৌদ্ধ সেটা মেনে চলে?
@রাজেশ তালুকদার,
পশু হত্যা না ভাই,আমি মানুষ হত্যা বুঝিয়েছি।চিন অ কম্বোডিয়াতে মানুষ হত্যা হয় নাই?!!! বা এখনো হয় না!!!
@আরূপ,
পশু হত্যা না ভাই,আমি মানুষ হত্যা বুঝিয়েছি।চিন অ কম্বোডিয়াতে মানুষ হত্যা হয় নাই?!!! বা এখনো হয় না!!!
@সপ্তক,
মানুষ ও ত একপ্রকার জীব না কি?
@সপ্তক,
পশু হত্যা আসলে কাফের হত্যার ট্রেনিং হতে পারে। হত্যার সময় বলতে হয় আল্লাহ মহান।
@তামান্না ঝুমু,
পশু হত্যা আসলে কাফের হত্যার ট্রেনিং হতে পারে।
:-X