(মানুষের ধন আল্লাহর ধন, রসূলের ধন) লিঙ্কঃ সূরা মোখতাসার ১,, সূরা মোখতাসার ২, সূরা মোখতাসার ৩, সূরা মোখতাসার ৪
গোলমালটা কোথায় হইল বুঝা যাইতেছে না। ঘণ্টাধ্বনি শুনিতেছি তবে তাহা স্ট্যাটিকময়। আবছা। কেবলই খ্যাড় খ্যাড় শব্দ হয়। বানীপথে অন্তরায় সৃষ্টি হইতেছে এটুকুই বুঝি। কে যেনো কহে ওহে পইদ্দো স্হগিত রাখিয়া গইদ্দো লিখো। কারন জিজ্ঞাসিতে না পারিলেও কি ভাবে যেনো বুঝিয়া লইতেছি যে এ মুহূর্তে আদেশ সেই রকমই। ইহাদের মাঝে কেহ কেহ কহিতেছে ৪ বিসর্গ ৩৪ ধরনের কোরানিক তথ্যসূত্রসমূহ তাহাদের নিকট জটিল গাণিতিক সমীকরনসম মনে হয়। কি করিয়া বুঝাই ইহার মানে কোরানের ৪ নম্বর সূরার ৩৪ তম আয়াত। তাহারা পারা বুঝে কিন্তু ইহাতে যে ১১৪ খানি সূরা রহিয়াছে এবং সেই সব সূরায় নানান সংখ্যক আয়াত রহিয়াছে তাহা বুঝিতে চাহে না। ওই বিসর্গ নিসর্গ সমূহই বড় হইয়া দাঁড়ায়। আমি তাহাদের দোষ দেখি না। তাহাদের ঈমান অতিশয় শক্ত। প্যাঁক কিতাব খুলিয়া যাঁচাইবার প্রয়োজন বোধ করে না। হাপকাঠমোল্লা টাইপ পাব্লিকের বয়ান শুনিয়াই কাজ হইয়া যায়। বাংলা ইংরেজী অনুবাদ দেখিয়া কেনই বা বৃথা কালক্ষেপন, ইহা অপেক্ষা পরকীয়া যুক্ত একখানি বাংলিশ টিভি নাটককেই তাহারা উত্তম মনে করে। উহারা এক্সট্রা ক্রেডিট এক্সট্রা সওয়াবেরে গুল্লিও মারে না।
যাহাই হউক চন্দ্রাহত হইয়া পশ্চাৎ গৃহাঙ্গিনায় উড়ালপাটির উপর বসিয়া রহিয়াছি। মনে আশা আলাদীনের মত উড়াল দিব, ইহাতে চড়িয়াই হয়ত মেরাজে যাইবো। এক দূর দ্বীপবাসিনীকেও সংগে লইবার গোপন আশা। তাহার আবার ডিজিটাল ক্যামেরা আর রেকর্ডার সংগে রাখিবার বেজায় শখ। প্রমানপত্র ছাড়া তাহার চলেই না। উড়ালপাটি হয়ত একটু ভারী হইয়া যাইবে, কিন্তু কি আর করা, কিছু বলিলে সে আবার ভাগিয়া যাইতে পারে। ভ্রমণও নিরানন্দ হইয়া যাইতে পারে। রিস্ক ফ্রী থাকাই উত্তম।
ঝিম মারিয়া বসিয়া আছি। ঝিম ঝিম ভাব প্রকট হইতে প্রকটতর হইতেছে, আলো নাকি আঁধার ঠিকমত ঠাহর হইতেছে না। ঝিম ঝিম দোল দোল ভাব, এমনি সময় হঠাৎ করিয়া বিকট শব্দ হইয়া উঠিল। থরহরি কম্পে অবলোকন করিলাম এক খানি নূরানী চক্রযান হইতে মালাকুল মূত হুজুর নামিয়া আসিতেছে। তিনি তর্জনী উঁচাইয়া মাটি কাঁপাইয়া পাঙ্খা ঝাপ্টাইয়া হুঙ্কার দিয়া কহিলেনঃ
-আজ আপনার খবর করিয়া দিব।
ভয়ে আমি ফাটা বাঙ্গিসম হইয়া গেলাম। করজোড়ে কাঁপিয়া কাঁপিয়া কহিলাম,
-কি হইয়াছে, কি আমার অপরাধ?
তিনি কহিলেন,
-আপনি পাব্লিকেরে এইসব সূরা মোখতাসার ফোখতাসার করিয়া কি সব গিলাইতেছেন। ব্যাবসার লালবাত্তি জালাইবার ধান্দা ফাঁদিয়াছেন নাকি। প্যাঁক কিতাবের বানী সহজবোধ্য করিয়া আপনার কি লাভ? রহস্য ভাঙিতেছেন। রহস্য না থাকিলে খাইবেন কি? ভোগ্লামি না করিলে কেহই কিছু মানিবে না। ধর্ম নামক এত বিশ্ববিশাল লাভজনক ব্যাবসা চালাইবেন কি করিয়া? আপনাকে লইয়া মাস্টার প্ল্যান ভেস্তিয়া যাইবে। মহিলাদের মহা বাড় বাড়িবে, কিছু নপুংসকও চান্স লইতে পারে।
-আমি কহিলাম কলাটা মুলাটা নিয়া তো ভালোই আছি, ভেট নিতান্ত কম পাইতেছি না। কিঞ্চিৎ ওবিস হইয়াছি বটে কিন্তু তাহাতে বিছানায় ব্যাতিত অন্য কোথাও খুব একটা অসুবিধা হইতেছে না।
মালাকুল মূত হুজুর রাগে কাঁপিতে লাগিলেন। জ্যোৎস্না রাস্তায় হিমুর কুকুরের মত রক্ত হীম করা গম্ভীর ঘরর ঘরর শব্দ করিতে লাগিলেন। ঘরর গম্ভীর শব্দাপেক্ষা আরো গম্ভীর স্বরশব্দে কহিলেনঃ
-বেকুবের মত কথা কহিবেন না। অন্য কেহ ব্যাপক লুটপাট শুরু করিবার পূর্বেই আপনাকে প্রমান করিতে হইবে আপনিই লোপাটশ্রেষ্ঠ। অন্যের ধন আল্লাহর ধন, রসূলের ধন ইত্যাদি কহিয়া মাল বানাইতে না পারিলে এইবার আপনি অণ্ডকোষ হারাইবেন। আমার পারমিট থাকিলে এখনই তাহা ব্যাবচ্ছেদ করিয়া ফেলিয়া দিতাম, অন্য কাহাকেও ভাগিনা ডাকিতাম; কিন্তু আজিকে আমাকে সেই অথরিটি দেওয়া হয় নাই। যাহাই হউক, ধোড় পাব্লিকেরে হাম্বাক বানাইয়া যথেচ্ছ লুটিবার জন্য আপনাকে কোরানের ৯ নম্বর সূরা, এত-তাওবা’র ৩৪, ৩৫ ও ১১১ নম্বর আয়াত মনে করাইয়া দিতেছিঃ
“………. আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।”
“সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার”।
“আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে………………” ।
ফেরেশ্তা হুজুর অতঃপর আরো কহিলেন,
-মুমিনের মালামাল লুটিবার আরো বহু তরিকা আছে। উহারা পটল তুলিবার আগেই মাল হাতাইয়া নিতে হইবে; বাৎলাইয়া দিতেছি আরো ক’খানা লুটপাটের সুরা ও আয়াত। ‘সূরা মুনাফেকুন’ কোরানের ৬৩ নম্বর সূরা। ইহার ১০ নম্বর আয়াতে আছে:
“আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম”।
-উহারা স্ত্রী সন্তানদের দোহাই পাড়িলে পাল্টা ওই মুনাফাকুন সূরার ৯ নম্বর আয়াত ঝাড়িবেন। এখানে লেখা আছে,
“মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত”।
হুজুরে মূত সাব আরো কহিলেন,
-হুইন্না মুসলমান যাহারা তাহাদেরকে উত্তেজিত করাইয়া অস্ত্রপাতি সহ ভিন্ন ভিন্ন দলে ভাগ করিয়া দিতে হইবে। জিহাদ মিহাদ জাতীয় ভূজুং দিয়া একটা কিছু করাইয়া লইতে হইবে; যাহাতে গনীমতের মাল পাওয়া যায়। লুটকৃত ধন-সম্পদ, সোনা-দানা, টাকা-পয়সা, মাল-কড়ি, পূরুষ-নারী সকলই আমাদিগের। মন চাহিলে নিজেরটা রাখিয়া কিঞ্চিৎ ভাগ দিবেন আমসেনাদিগকে, মন না চাহিলে দিবেন না। তবে সহবৎ ও বেচিবার উদ্দেশ্যে খাস চ্যালাদের নারী ভাগ ও হাল্কার মধ্যে মালভাগ দিলেই উহারা ঠাণ্ডা হইয়া যাইবে। সহবৎ পদ্ধতি নিয়া আযল কাজল বেশিকিছু কহিবেন না, উহারা উহাদের পছন্দ পদ্ধতি ব্যাবহার করুক। বেশি উৎপাত করিলে কোরানের ৮ নম্বর সূরা ‘আনফাল’ এর ১ নম্বর আয়াত ধরাইয়া দিবেন, যাহাতে বলা আছে,
“আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে থাক”।
একটানা এতক্ষন এত বানী ঝাড়িয়া অবশেষে ফেরেশ্তা হূজুর সামান্য দম লইবার অবকাশ পাইলেন।
হূজুরের ব্যাপক ডেলিভারির এই পর্যায়ে আমার কিছু কথা কহিবার সাধ জাগিলো, সাহস সঞ্চিয়া কহিলাম,
-হূজুর ইহা তো পুকুর চুরি, আর পাব্লিকই বা ইহা খাইবে কেন। তাহারা তো মুহাম্মদকেই শেষ নবী হিসাবে জানে।
-আরে রাখেন আপনার শেষ নবী, এই যে জ্ঞানবৃক্ষের ফল ভক্ষণকারী মুক্তমনা কিছু পাব্লিক মুহাম্মদের চরিত্র আর ফুলের মত পবিত্র রাখে নাই। আমাদের ব্যাবসার চোদ্দটা বাজাইয়া দিতেছে। উহারা থর জুজু জিউস জেরোয়েস্টার ভগ-বান বুদ্ধ রা ইব্রাহীম মূসা ইসা মুহাম্মদ রবীন্দ্র হুমায়ুন সহ সকল নবীর ধুতি পাজামা গাজামা জাঙ্গিয়া খুলিয়া লইয়াছে। মহিলা নবী নামাইবার ধান্দা করিতেছে। লেস-হিজড়া নবীও নামিতে পারে। সময় থাকিতে থাকিতে আপনি সাহস সঞ্চয় করুন। নতুন উদ্যমে ঝাঁপাইয়া পড়ুন। ফায়দা লুটুন, এই নিন বানী, তাহাদের কোরানের ৪ নম্বর সূরার ৮০ নম্বর আয়াত কহিবেন,
“যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি”।
-এক্ষেত্রে মহাম্মদের পরিবর্তে খালি আপনার নাম পড়িলেই চলিবে।
আমি কহিলাম,
-সূরা তো পাল্টাইয়া গেল। কোরানের বানী একটু ফানি হইয়া গেল না?
তিনি কহিলেন
-ধূরো মিয়াঁ, আপনাকে নিয়া মহা মুশকিল। আপনার ঘিলুর জায়গায় শুধুই গোমাতার বর্জ্য। এই নিন কোরানের ১৬ নম্বর সূরা না’হল এর বাণী, আয়াত নম্বর ১০১,
“যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না”।
বুঝলেন তো যে সূরা বদলানো যায়? এখন আপনি আপনার সুবিধা মত আয়াত বিমূর্ত কোবতেকারে যোগভাগ করিয়া নিন, ছন্দ মিলাইয়াতে অসূবিধা হইলে কবি হুসেন মুহাম্মদ হেরশাদের নিকট যান। তবে সাবধান, সংগে কোন বিবি লইবেন না।
আমি অতিশয় বিগলিত হইলাম। মাষ্টার প্লান অতি ভালো লাগিতে লাগিলো। ক্রমশঃ সাহস বাড়িল, ফেরেশ্তা মালাকুল মূতকে জিজ্ঞাসিলাম,
-হূজুর, এত দিন তো গ্যাব্রিয়েল হূজুর আমাকে বালাৎকার করিয়াছে, আজ আপনি কেন? একথা শুনিয়া মালাকুল মূত হূজুর বিমর্ষ হইলেন। তিনি একযোগে উষ্মা ও ঈর্ষা প্রকাশিয়া কহিলেন,
-গ্যাব্রিয়েল ব্যাটা বড় চালাক, তেলঘুষ দানে আমাদের ভাত মারিতেছে। আমার নাম বিকৃত করিয়া আজ্রাইল বানাইয়াছে। তাই আমি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়া চাপ্লিসে কিছু কাজ দেখাইতেছি। আপনাকে দিয়া সেই কাজ উদ্ধার করিব। উহাকে শিক্ষা দিয়া ছাড়িব। সে একাই নাকি বিশ্বস্ত ফেরেশ্তা। বিশ্বাস না হইলে কোরানের ২৬ নম্বর সূরা আশ শো’আরা’র ১৯২, ১৯৩, ১৯৮ নম্বর আয়াত
“এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ। বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে। আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন”।
অকস্মাৎ ঝনাৎ ঝনাৎ ঠং করিয়া কোথা হইতে যেন বেকায়দা শব্দ উঠিল। আমিও কেরেক্ কেরে করিয়া কাৎরাইয়া উঠিলাম। দিবানিদ্রা ত্যাজিয়া গ্যালন খানিক মূত্ত্যাজিতে ছুটিলাম।
(জিজ্ঞাসাঃ মূ-ত্ত্যাজিয়া আরো গইদ্দো লিখিবো নাকি ঢিলা কুলূখ লইয়া পইদ্দে আসীন হইবো?)
আপনারা দয়া করে আল্লাহ, নবী (স:) এবং কোরআন নিয়ে হাসি তামাশা করবেন না, আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত দিন
শুনে রাখ অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি ।তারা কি জানে না যে, আল্লাহ্ ও তাঁর নবীর বিরোধিতাকারীদের জন্য আছে জাহান্নামের আগুন,সেখানে তারা চিরকাল থাকবে । নিশ্চয় আল্লাহর কাছে তাদের সবচেয়ে বড় মর্যাদা আর তারাই তো সফলকাম যারা বিশ্বাস করে।আর যারা নবীর বিরোধিতা করবে তারা তাদের কৃতকর্মের দরুনই ধ্বংস হয়ে যাবে… :))
@ইফতি,
আপনার মন্তব্যে দন্তমোবারক স্পষ্ট, অতঃপর যাহা কিছু বাকি ও অস্পষ্ট তাহা নিশ্চয় গায়েবে!
অবাক বিস্ময়ে পড়লাম আর ভাবলাম বাংলাদেশের মোল্লারা এই নাস্তিকের কাটা মাথার মূল্য কত টাকা ঘোষনা করবে। এক কোটি টাকার কম হবে না। মুফতি আমিনির চেলারা শেখ হাসিনার আমলে একটু বেকায়দায় আছে। তা না হলে এতদিনে ফোতোয়া জারি হয়ে যেত। একবিংশ শতাব্দির মহা আধুনিক নবির কথা থেকে বুঝলাম উনি অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন। আমিনির চেলাদের হাত বাংলাদেশ পর্যন্ত লম্বা। সুদুর অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে পারবে না। তাই এই নবির কোন ভয় নাই। অবলিলায় মনের মত আয়াত নাজেল করতে পারবেন। আমিন। সুম্মা আমিন।
@নাস্তিক মুসলমান,
ও ভাই নাস্তিক মুসলমান, আমি তো প্যাঁক কোরান পড়িয়া উহা হইতে হইতে সরাসরি বয়ান দিতেছি। প্যাঁক কোরান পড়িবার কারনে তো আমার সওয়াব হইবার কথা। মুল্লারা আমার গর্দানে গ্যান্দা পুষ্পের মাল্যদান করিবে বলিয়া আশা রাখি। আপনিও কারিশ্মা দেখিতে ১৩ই নভেম্বর ২০১২ তে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কেইর্রন্সে চলিয়া আসুন। :))
@কাজী রহমান,
আধুনিক নবিজি, আপনি আমার জন্য আপনার ১০০ নামধারি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন যেন আমি সহি সালামতে আপনার রওজা মোবারকে সুদুর আমেরিকা থেকে রওয়ানা হয়ে আগামি বছরের নভেম্বর মাসে চলিয়া আসিতে পারি। আমি হুইল চেয়ারে। তাই বোরাখে কাম হবে না। আপনি আমার জন্য বরং আপনার বন্ধুর আল্লাহ ব্যাবহারের পালকিটা পাঠিয়ে দেবেন দয়া করে।চাকুরি নাই বিধায় প্লেনের টিকিট কিনতে পারছিনা। আমন্ত্রনের জন্য আপনাকে ধন্ন্যা না জিরা।
@নাস্তিক মুসলমান,
মরিবার পূর্বেই নবীর ‘রওজা’ পরিদর্শন করিবেন ? আপনি রগকাটা বাহিনীর কেহ নাকি ?
যাহাই হউক, আপনি সম্ভবত আমার আস্তানাতাম্বু’র কথা কহিতেছেন। পাল্কির ব্যাবস্থা সম্ভব। অসুবিধা নাই। তবে আপনি যদি মার্চের ২০, ২০১৫ পর্যন্ত অপেক্ষিতে পারেন তাহা হইলে আমি নিজেই আপনার কাছাকাছি আসিব। ঐদিন সবুজভূমি (Greenland) এলাকায় অবস্থান করিব। ২ ১/২ মিনেটের মধ্যেই সূর্যকে উদরস্থ করিয়া উগ্লাইয়া দেখাইব।
@বাংলার নবী কাজী রহমান,
চমৎকার! আপনাকে আমার জিহাদী অভিন্দন। এতদিনে আল্যা-প্যাক আমাদের প্রতি সুপ্রশন্ন হয়েছেন। হে নবী, আপনার আবর্তনে বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হবেই হবে। কারন, আপনারা সাহাবারা তো আর লাখ লাখ টাকা খরচা করে প্রতি বছর মক্কায় হ্ব্জ করতে যাবে না! দেশের টাকা দেশেই থাকবে (প্রায় ১২০,০০০ জন হাজী x২০০,০০০/ হাজী খরচ = ২৪ বিলিয়ন টাকা =৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতি বছর)। আরও থাকবে আল্ল্যা-প্যাকের রিজিক “পবিত্র জিহাদী-লুট-পাট লব্ধ গনিমতের ১০০% হালাল মালামাল”। আর ঠেকাই কে? সুবহান্যাল্ল্যা! অচিরেই আমরা আরবদের কায়দায় সমৃদ্ধশালী জাতীতে পরিনত হবো। ইনশাল্লাহ! (Y)
@গোলাপ,
ধইন্ন্যা ভাই গোলাপ; অঙ্কটি ভাল কষিয়াছেন। ডলার পাউন্ডেও তো একখানি হিসাব পাওয়া গেলো। ইহাতে সোনাদানা ছাড়াও তো বাস্তুভিটাসহ সকল সম্পদ মালামালের বিক্রয়লব্ধ অর্থ মুল্লাকোষে জমা হইবার কথা। মুমিনদের উপর প্যাঁক কোরানে তো এই রকমই নির্দেশ। (@)
বেশ সুন্দর।
@বাসার,
ধইন্ন্যা রে ভাই ধইন্ন্যা :thanks:
নাজিল যদি হয় সুরা সদ্য
হলোই তা গদ্য কিংবা পদ্য
বয়ান করতে নবী তাহা বাধ্য
স্রষ্টার বাণী ঠেকায় কার সাধ্য
@ফরিদ আহমেদ,
হাহা হাহা হাহা
উত্তর হইছে বাহা
বুকে পাইলাম বল
করবো নাকো ছল
মনে আসে যাহা
ত্বরিত লিখবো তাহা। :))
একজন নিরীহ বাঙালী পাঠক, আপনার লেখার শিরোনাম দেখে দু’পা পিছিয়ে, এক পা’ এগিয়ে সাহস করে পড়ে ফেললাম। পড়ে এতটুকু বুঝলাম; বাঙলা, ইংরেজি ও আরবী, এই তিনটি ভাষায় আপনি পারদর্শী।
আমি কিছুটা বিভ্রান্ত। বিশ্বায়নের যুগে আপনার প্রভুও কি ভাষার বিশ্বায়ন ঘটাচ্ছে? আর তারই প্রকাশ আপনার মাধ্যমে।
আপনারা দিনকে রাত আর রাতকে দিন, চাঁদকে দ্বিখন্ডিত, সূর্যকে গ্রাস – সবই করতে পারেন, শুধু আমাদের মত দিবা-রাত্রি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কোন বাণী ( আপনার ভাষায় সম্ভবত’আয়াত’)নিয়ে আসতে পারেন না।
আসলে আমাদের মত মানুষদের জন্য আপনি ও আপনার প্রভু বড় বেশি এক চোখা।
আমার এ মন্তব্য পড়ে আপনি ও আপনার প্রভু খুব বেশি রেগে গেলেও আমার কিছু করার নেই। কারণ খুব সহজ, আমার হারাবার বা পাবার মত কিছু নেই। ল্যাংটার আবার পাগলের ভয়!
@স্বপন মাঝি,
দারিদ্র তো মুমিনকে করিয়াছে মহান। আপনি কি দেখেন নাই যে আমীরগনের উপর নির্দেশ আছে তারা তাহাদের মালামাল আল্লাহের রাহে খর্চা করিবে? আর এক বার দেখুনঃ
মানে হইলো মহান গরীব হইয়া যাও। আল্লহ ও রসূল তো মহান গরীবের দলে, শুধু পাব্লিকের মালামাল তাহাদের, দেখুনঃ
পব্লিক আল্লার রাহে মানে মুল্লা দিগকে দান খয়রাত করিয়া পটল তুলিবে। মুল্লারা তাহা আল্লার রাহে ভোগ ভাগ ও খর্চা করিবে। আল্লাহ সকলের জন্য ইজা খাতা খুলিয়াছে, জান্নাতে গেলেই শোধ করা হইবে।
সকল আয়োজন তো গরীবের জন্যই। :))
হে নবি;
আপনি নিন আমার সেলাম।
ইলিম বিলিম ফিলিম
নতুন আয়াত পাঠাচ্ছি—অপেক্ষা করুন
@আবুল কাশেম,
আয়াতের অপেক্ষায়ঃ (O)
চমৎকার একটি লেখা
@বাবর,
আপ্নেরেও ধইন্ন্যা :))
াপনার লেখাগুলি খুব ভালো লাগে। আরো লিখুন।
@Fantastic,
ধইন্ন্যা, ধইন্ন্যা :thanks: লিখিতেই থাকিব
হে ডিজিটাল বঙ্গীয় নবী হুজুর পৈদ্দ্যর আশায় হস্ত, মুখ, পদ, চক্ষু বুজু করিয়া পবিত্র কম্পু খুলিয়া পাইলাম সুস্বাদু একখানি গৈদ্দ্য। অবাক বিস্ময়ে পড়িয়া দেখি বাণী ঝড়িতেছে সেখায় অবিরত, আপনার নবীত্ব বাড়িতেছে অতি চমৎকার দ্রুত। বিশ্বাস আনিতেছি অল্পদিনে আপনার দৈব মর্ম বাণী পৌঁছিবে বাংলার ঘরে ঘরে ভরিবে কম্পু জ-গ-ত।
😀 :hahahee:
@রাজেশ তালুকদার,
বেশুমার ধইন্না। কম্পুই এখন ভরসা। আজিকের প্রজন্ম কম্পু প্রেমিক তাই তো ব্লগাইতেছি। উহাদের উপর ব্যাপক আশা, উহারাই শ্মশ্রুধারী দিগকে সাইজ করিয়া ফেলিবে বলিয়া ধারনা করি। খাস দিলে দোয়া রাখিবেন। (D)
অসাধারন আর লেখার ঢং চিন্তার খোরাক জাগায়।
চলুক।
(Y)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
নিকট পর্যবেক্ষণ ও আপনার মন্তব্য একাধিক লিখিবার প্রেরনা যোগায়, (D)
গদ্যরীতিটাও মন্দ লাগছে না। অনেক ডিটেইলস পাওয়া যাচ্ছে।
লেখাগুলি একদম স্পেসিফিক রেফেরেঞ্চ এর কারনে অসাধারন।
আশা করি চালু রাখবেন।
@মুরশেদ,
চালু রাখিবো, চালু রাখিবো, আপনিও রাখুন। সকলে মিলিয়া চালাচালি করিয়া বিশ্বাস ফালি ফালি করিয়া দিব।
চমৎকার লেখাঃ কাহিনী বলার সুন্দর ধরন।
@অবিশ্বাসী,
হে অবিশ্বাসী, সত্বর বিশ্বাস আনুন। বিশ্বাস আনিলেই ভয় দেখাইব।
ভয় পাইলেই বাজিমাৎ, আপনার সম্পদ আমার, বাকিতে বাকিতে বাকিতে, হুর পাবেন বেশুমার
যদি সত্যিকারের নবী হন
তাহলে তব পবিত্র অ্ঙ্গুলির ইশারায়
সূর্যকে দ্বিখণ্ডিত করিয়া দেখান।
এইবার দেখিতেছি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ওহী নাজিল হইতেছে! নবীর কথার উপরে কোন কথা নাই। আপনার উপরে গদ্য বা পদ্য যখন যেইভাবে নাজিল হয় আপনি সেইভাবে তাহা জনসমক্ষে প্রকাশ করিবেন। কোন আয়াত ভুলিয়া গেলে সমস্যা নাই। তার স্থলে আল্লাপাক আরো উত্তম আয়াত নাজিল করিবেন। তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।
@তামান্না ঝুমু,
দ্বিখন্ডিত তো সোজা কাজ, উহাকে পূরাই খাইয়া ফেলিব। কারিশ্মা দেখিতে ১৩ই নভেম্বর ২০১২ তে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার কেইর্রন্সে চলিয়া আসুন। ডিজিটাল ক্যামেরাখানি আনিতে ভূলিবেন না যেন।
@কাজী রহমান,
প্রথম দশ বছর পইদ্দে থাকা আপনার প্রভুর পছন্দনীয়, যদিও প্রভু কবি মানুষকে প্রচন্ড ঘৃণা করেন, বলেছেন কবিরা পাগল, উম্মাদ, মাথা খারাপ। জগতের সকল অবিশ্বাসী, কাফির মুশরিকরা একত্রিত হইয়াও আপনার মাবুদের মতো তিন-লাইনি কবিতা লিখিবার হেকমত খুঁজিয়া পায় নাই, কোনদিন পাইবেওনা। যেমন-
ইন্না আওতাইনা কালকাওসার
ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ানহার
ইন্না শা নিয়া কাহুয়াল আবতার।
এমন পইদ্দ লিখিতে কেউ / পারিবেনা কোন-দিন,
চ্যালেঞ্জ আপনার প্রতিপালকের / প্রেমময় যিনি, অনন্ত অসীম।
যদি, আপনাকে তারা গালি দেয় / বলে নির্বংশ আবতার,
বলুন, লেজ কাটা তোরা কাফিরের দল / নবীর তরে কাল্-কাউসার।
@আকাশ মালিক,
ঠিক কহিয়াছেন। অবিশ্বাসী শ্মশ্রুমণ্ডিত এক কবি নিম্নোক্ত খানি লিখিয়া প্রায় বাজিমাৎ করিয়াছিলঃ
পশ্চাৎ হইতে সালাম জানাইয়া সন্মুখে আসিয়া তরুণী কহিল,
-হূজুর সালাম পশ্চাৎ হইতে দিলাম আদবে হায় কমতি রহিল,
-ভালোবাসার জিনিস একদিক দিয়া দিলেই হয়, তাহাতে রস কমকি বহিল?
(নিন্দুক লোকজন বহু কাল গুন গুন করিয়া কহিবে ইহাতে নির্মলেন্দু গুনের কোবতের ছায়া রহিয়াছে)
@কাজী রহমান,
এতদূরে কীভাবে যাইবো? আল্লাপাকের কাছে চাহিয়া একখানি বোরাক পাঠাইয়া দিবেন।
@তামান্না ঝুমু,
দুশ্চিন্তা করিবেন না। বোরাক ভায়া হানি চলাচল করে। কুনো চিন্তাই করিবেন না।