মূল প্রবন্ধটি আলী সিনার। সেটা এখানে আছে। তার অনুমতিক্রমেই এখানে অনুবাদিত হল।
প্রথম খন্ড এখানে…
মোহাম্মদের ব্যাপার স্যাপার বুঝতে হলে আমাদেরকে সাম্প্রতিক কালের ধর্মীয় পাগলামি(Cult) এবং এদের গুরুদের মনের গভীরে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এমন প্রচুর উদাহরন রয়েছে। আমি অল্প কয়েকটার কথা বলছিঃ
জিম জোনস, ভদ্র, সাধারন মানুষদেরকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে সে মসিহ। তাদেরকে সে বুঝিয়ে সুজিয়ে পরিবার ত্যাগ করিয়ে জঙ্গলের মাঝে তার “মদিনায়” নিয়ে গিয়েছিল। নিউ গায়ানার সরকারকে বিনামূল্যে তাকে ৩০০ একর জমি দিতে রাজি করিয়েছিল। সে তার অনুসারীদের অস্ত্র সাথে রাখার জন্য এবং দ্বিমতকারী যে কাউকেই হত্যা করতে রাজি করিয়েছিল। এই লোকগুলোই একজন সংসদ সদস্য এবং তার দেহরক্ষীদের খুন করেছিল এবং পরবর্তীতে তার(জিম জোনস) কথায় সায়ানাইড খেয়ে তাদের মধ্যকার ৯১১জন আত্নহত্যা করেছিল।
তার ক্ষেত্রে এই আকর্ষনশক্তির ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে দেবেন, আর সেই লোকগুলোর আনুগত্য আর আস্থার, যারা কিনা তার উপরে বিশ্বাস এনেছিল?
ডেভিড কোরেশ, ওয়াকো, টেক্সাসে ব্রাঞ্চ ডেভিড প্রাঙ্গনে তার অনুসারীদেরকে জড়ো করেছিল। তারা সেদিনের প্রত্যেকটি মূহুর্ত তার সাথে সাথে ছিল। তার কথা মত তারা সশস্ত্র ছিল। তারা তাদের কিশোরী কন্যাকে তার সাথে শুতে দিয়েছিল যেমন দিয়েছিল আবু বকর তার অপ্রাপবয়ষ্ক মেয়েকে মোহাম্মদের সাথে। তারা চার জন এটিএফ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং আত্নসমর্পন না করে সমস্ত কম্পাউন্ডকে বুবি ট্রাপ করে উড়িয়ে দেয় এবং ফলশ্রুতিতে তারা, সাথে তাদের পরিবারবর্গ সকলেই মৃত্যুবরন করে। এটাকে যদি আনুগত্য না বলা যায় তাহলে এটা কী? সে ঘটনায় ৯০ জন নিহত হয়।
অর্ডার অফ দ্যা সোলার টেম্পলঃ এই ধর্মীয় গ্রুপটির দাবী অনুযায়ী তাদের ৭৪জন তিনটি ভিন্ন ভিন্ন যন্তর মন্তর অনুষ্ঠানে(Ritual) তাদের জীবন আত্নত্যাগ করেছে। এই পাগল গোষ্টির(Sect) সদস্যরা বেশীর ভাগই উচ্চ শিক্ষিত এবং সংগতিশালী (Well-to-do) মাথাওয়ালা ব্যাক্তিত্ব, যারা আবু বকর, ওমর এবং আলী যে কিনা মাথা খাটানোর চেয়ে হত্যাকেই বেশী পছন্দ করত, তাদের থেকে অনেক অনেক বেশী মেধাবী।
এই গ্রুপটির দুজন অতি পরিচিত নেতার একজন জন হলেন লুক জরেট(Luc Jouret), যিনি একজন বেলজিয়ান, হোমিওপ্যাথির ডাক্তার, আরেকজন হলেন জোসেফ ডি মাম্ব্রো(Joseph di Mambro)একজন বিত্তবান ব্যাবসায়ী। এই বিরিঞ্চি দলে(Cult) তারা ছিল অনেকটা মুহাম্মাদ এবং আবু বকরের মতন। তারা নিজেরা এই উন্মাদীয় কার্যকলাপে বিশ্বাস রাখত এবং তারা নিজেরাও আত্নহত্যা করেছিল।
এই বিরিঞ্চি দলটি (Cult) প্রচন্ড গুরুত্ব দিত সূর্যকে। তাদের উন্মাদীয় যন্তর মন্তরীয় (Ritual) হত্যা-আত্নহত্যার উদ্দেশ্য ছিল, এই গ্রুপের সদস্যদের নক্ষত্র “সিরিয়াস” (Sirius)-এর নতুন পৃথিবীতে নিয়ে যাওয়া। এই ভ্রমণে সাহায্যের জন্য শিশুসহ অনেক প্রতারিতদের মাথায় গুলি করে অথবা কালো প্লাস্টিকের ব্যাগের মাধ্যমে, বিষক্রিয়ায় হত্যা করা হয়।
লুক এবং জোসেফ, তাদের মৃত্যুর পরে উদ্ধারকৃত চিঠিতে লিখেছিল যে তারা, “এই পৃথিবী, সত্য এবং বিশুদ্ধতার নতুন মাত্রা খুজতে ত্যাগ করছে, পৃথিবীর এই ভন্ডামীর থেকে বহু দূরে। ” এটা কি ভীষণ অদ্ভুতভাবে মোহাম্মদ যা প্রচার করেছিল তার মতন শোনাচ্ছে না? শুধুমাত্র আত্নহত্যা করতে বলা ছাড়া, সেটায় তার জন্য কোন লাভ ছিল না।
সে তার(মোহাম্মদ) জন্য ,তার অলীক মনগড়া আল্লাহর জন্য অনুসারিদেরকে যুদ্ধে যাওয়ার কথা বলত, নিহত করতে এবং নিহত হবার কথা বলত । বলত নিস্পাপ লোকেদের লুট করার জন্য এবং তার জন্য ক্ষমতা ও সম্পদ আনার জন্যে। সে এই বিরিঞ্চিবাবাদের থেকে অনেক বেশী আত্মাভিমানী এবং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে অনেক বেশী অনাগ্রহী।
আপনি কিভাবে এই মানুষগুলোর অসুস্থ আত্নত্যাগের ব্যাখ্যা দেবেন? আপনি কি তাদের বিশ্বাসের ওপর এই দৃঢ় প্রত্যয় অস্বীকার করতে পারেন?
স্বর্গের দ্বার(Heaven’s Gate): ১৯৯৭ সালের ২৬শে মার্চ, স্বর্গের দ্বার(Heaven’s Gate)এর ৩৯ জন তাদের দেহ ত্যাগ করার (Shed their Containers বা আত্নহত্যা) এবং হেল-বপ ধূমকেতুর আড়ালে লুকিয়ে থাকা আকাশযানে(মূলত সসার) চড়ে বসার সিদ্ধান্ত নেয়।
স্বর্গের দ্বারের সদস্যরা তিন দিনে, তিনটি আলাদা শিফটে পৃথিবীতে তাদের শেষ ভোজ অনুষ্ঠান উদযাপন করে মৃত্যুবরণ করে। ১৫ জন প্রথম দিনে, ১৫জন তারপরের দিনে এবং বাকি ৯জন তৃতীয় দিনে দেহ ত্যাগ করে। একদল যখন পুডিং কিংবা আপেল পাইয়ের সাথে ফেনোবারবিটালের এক ডোজ নেয় আর ভদকা পান করে শুয়ে পরে তখন আরেকদল প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যাবহার করে তাদের মৃত্যুকে ত্বরাম্বিত করার জন্য। একটা ভীতিকর রকমের সতর্ক গণআত্নহত্যা, এই পাগল পূজারীগুলোকে প্রত্যেক শিফটে মৃত্যুর পর তাদের মৃত্যদেহ পরিষ্কার করার জন্য আরেকদল পূজারী প্রস্তুত ছিল শেষ দুজনের আত্নহত্যার আগ পর্যন্ত। তারা ভাড়া নেয়া বাড়িকে ঠিক আগের মতন সাজানো গোছানো অবস্থায় রেখে যেতে চেয়েছিল। মানে এমন কি মৃত্যুর পরেও উপকর্তা হিসেবে থেকেছিল। প্রত্যেকটা মরদেহেরই বিভিন্ন ধরনের সনাক্তকারী চিহ্ন ছিল। বিস্ময়করভাবে তাদের প্রত্যকের পকেটে ছিল পাঁচ ডলারের নোট আর খুচরো পয়সা, আর বিছানার নিচে ছোট্ট সুটকেসে তল্পিতল্পা গুছানো ছিল।
জন দে রুইল্টার(John de Ruilter) এর কাহিনীর দিকেও একটু চোখ ফেলতে পারেন, যার অনুসারীরা তাকে যীশুর থেকেও মহান মনে করত, তাদের মেয়েদেরকে তার সাথে বিছানায়ও যেতে দিতে দ্বিধা করত না। তার অনুসারী মধ্যে একজন ছিল মনোবিদ। সে কিরা কেটা বলেছে তার ত্রিশ বছরের ডাক্তারী চর্চায় সে তার মতন “সুস্থমস্তিষ্কের” লোক আর দেখেনি।
এরকম হাজার হাজার ঘটনা রয়েছে। বিরিঞ্চিবাবাগুলো হয় ক্যারিজম্যাটিক, হয় প্ররোচক এবং তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তুষ্ট। কোনভাবেই তারা সাধারন মানুষের মতন না, তারা সাইকোপ্যাথ। তারা সাধারন মানুষের থেকে আলাদা এবং এই কারনেই তারা টিকে যায়। তারা প্রায়শই বেশ মেধাবী, কিন্তু বাস্তবতা আর কল্পনার জগৎ তাদের কাছে জগাখিচুরী পাকিয়ে যায়। অন্যদেরকে তারা তাদের কার্যক্ষমতা, আকর্ষন, আত্ন-প্রতিশ্রুতি, একক ক্ষমতা আর প্রখর দৃঢ়সত্তার মুখোশে হতবিহবল করে ফেলে। এর কারন হল তারা বাস্তবতার সাথে কল্পনাকে পৃথক করতে পারে না। তারাই প্রথম তাদের নিজ নিজ মিথ্যাতে বিশ্বাস স্থাপন করে। এই প্রত্যয়ই তাদের ঘনিষ্ট বন্ধুবান্ধব আর আত্নীয় স্বজনদের বোকা বানায়, তারা ধরে নেয় যে তারা (সাইকোপ্যাথগুলো) এমন কিছু জানে যা অন্যেরা জানে না।
মোহাম্মদ আলাদা কিছু ছিল না। সে ছিল একটা সাইকোপ্যাথ। অন্য একটা আর্টিকেলে আমি তার মনোজগতের একটা নকশা আবিস্কার করেছি, নাম হচ্ছে The Force Behind Muhammad। হিটলার, স্ট্যালিন এবং অন্যান্য ক্যারিজম্যাটিক নেতারা মোটেও বোকা ছিল না। তারা ছিল চরম মাত্রায় বুদ্ধিমান কিন্তু উন্মাদ।
তার থেকেও উন্মাদীয় কার্যকলাপ হচ্ছে, বাস্তবতা হল, বিলিয়ন সংখ্যায় মানুষ একটা সাইকোপ্যাথকে অনুসরন করে এবং তাদের বিশ্বাসে ভিত্তি যুক্তির কিছু হেতাভ্বাস। তাদের প্রত্যকের বিশ্বাস টিকে আছে অন্যের বিশ্বাস দেখে এবং প্রত্যেকেই ভেরার পালের মতন প্রত্যেককে অনুসরন করে যাচ্ছে। যদি প্রতিটা ভেড়া একটা পথেই যায় তাহলে সেটাই সঠিক পথ হতে বাধ্য। “বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ তো আর ভুল হতে পারে না!”
-
ভেড়া মানসিকতা এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যহীনতাঃ
মুসলমানড়া নিজেদের বলে “উম্মাহ”। এ শব্দটি আর “উম্মি” শব্দটির মূল একই। মোহাম্মদ নিজেকে উম্মি বলত যার মানে হল, নিরক্ষর, অশিক্ষিত, বিদ্যালয়ে গমন করেনি যে।
অতএব, উম্মাহ মানে হল নিরক্ষরকে অনুসরন করা সম্প্রদায়। মোহাম্মদের ক্ষেত্রে এটা দ্বারা বোঝানো হয় যে, তার জ্ঞ্যানের উৎস ছিল স্বর্গীয়। তত্সত্ত্বেও এই বৈশিষ্ট “উম্মাহর” ক্ষেত্রে খাটে না। সুতরাং উম্মাহর, সংজ্ঞানুযায়ী মানে দাঁড়ায়, অজ্ঞবিশ্বাসীর দল।
সুরা আল-ইমরানের ২০ নম্বর আয়াতে আছেঃ
“আর তাদে বল যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে, আর নিরক্ষরদের। তোমরা কি আত্নসমর্পণ করেছ?” (And say to the People of the Book and to those who are unlearned: (Ummiyeen) “Do ye (also) submit yourselves?”)(অনুবাদ ডাঃ জহুরুল হক)
এখানে উম্মিয়ান(Ummiyan الأُمِّيِّينَ) শব্দটি হচ্ছে উম্মির বহুবচন যেটা অনুবাদ করা হয় এভাবেঃ
ইউসুফ আলিঃ যারা অশিক্ষিত।
পিকথালঃ যারা পড়তে জানে না।
শাকিরঃ অশিক্ষিত জনগন।
আমরা আরেকটা আয়াত নেইঃ
আল-ইমরানের ৭৫ নাম্বার আয়াতঃ
“তারা বলে, অক্ষরজ্ঞ্যানহীনদের ব্যাপারে আমাদের কোন পথ ধরে চলার দায়িত্ব নেই”।(অনুবাদ ডাঃ জহুরুল হক) (“They say, “there is no call on us (to keep faith) with these ignorant (Pagans).(Ummiyeen)”)
ইউসুফ আলি এই আয়াতে শব্দটিকে অনুবাদ করেছেন এভাবেঃ অজ্ঞ।
পিকথালঃ পৌত্তলিক।(Gentile)
শাকিরঃ অশিক্ষিত জনগন।
এই Gentile শব্দটি(বিশেষ্য) সাধারনত সেই সব লোকেদের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে যারা কিতাব সম্পর্কে অজ্ঞ। ইংরেজিতে “Gentile” এর সমার্থবোধক শব্দ হচ্ছে “Pegan(পৌত্তলিক)”.।
ঐতিহাসিকভাবে, পদ Gentile শাষক রোমানদের দ্বারা অরোমানদের(Non-Roman)কে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হত, এটা ইহুদীদের দ্বারা গৃহীত হয় অ-ইহুদীদের বোঝাতে, পালাক্রমে সেটা ক্রিশ্চিয়ানদের দ্বারা বোঝানো হত পৌত্তলিকদেরকে। কোরানে, সাধারনভাবে পদ আল-উম্মাইয়ান(al-Ummiyeen) অনুবাদিত হয় অশিক্ষিত লোকেদের বোঝাতে।
সুরা আল- জুমু’আহ’র ২ নাম্বার আয়াতে আছেঃ
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ
ইউসুফ আলি অনুবাদ করেছে এভাবেঃ
“It is He Who has sent amongst the Unlettered an apostle from among themselves,”-
বাঙলা অনুবাদ(ডাঃ জহুরুল হক)ঃ “তিনিই সেইজন যিনি নিরক্ষরদের মধ্যে, তাদেরই মধ্য থেকে একজন রসূল দাঁড় করিয়েছেন।“
এবং তার ব্যাখ্যায় তিনি লিখেছেনঃ “The Unlettered: as applied to a people, it refers to the Arabs, in comparison with the People of the Book…”
সুরা আল-বাক্কারাহ’র ৭৮ নাম্বার আয়াতে আছেঃ
“আর তাদের মধ্যে হচ্ছে নিরক্ষর যারা ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে উপকথার বেশি জানে না”(অনুবাদ ডাঃ জহুরুল হক)।
উম্মি শব্দটির মূল হচ্ছে উম(Um),অর্থ মা। আক্ষরিক অর্থে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে গেলে এর মানে হবে Natural বা প্রাকৃতিক বা জন্মগত, যদিও এই দুটো শব্দের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থ হয়েছে। ব্যুৎপত্তিগতভাবে উম্মি হল মায়ের থেকে জন্ম নেয়ার সময় যে অজ্ঞ, অশিক্ষিত সে অবস্থাটা।
তাহলে উম্মাহ হল তারাই, অশিক্ষিত এবং নিরক্ষরের দল যারা কিতাব সম্পর্কে অজ্ঞ, যার জন্যে তারা পথ খুজে পেতে বিফল হয়েছে। উম্মাহর প্রতিনিয়ত নির্দেশনা দরকার। ইমাম, একই মূল থেকে এসেছে, হল সেই জন যিনি উম্মাহকে নেতৃত্ব দেন। মূলত এটা হল ভেড়া এবং রাখালের ধারনা। সম্পূর্ণ মুসলিম সম্প্রদায়কে ভেড়া মনে করা হয়, রাখালের প্রয়োজনে।
বিশ্বাসীদেরকে অন্যান্য বিশ্বাসীরা যা করছে তাই করতে হবে এবং তাদের সবাইকে অন্ধভাবে অনুসরন করতে হবে ইমামকে, এবং ইমাম পালাক্রমে তাদেরকে নির্দেশনা দেবে যা মোহাম্মদ করত।
সঠিক এবং ভুল, ভালো এবং মন্দ তাদের নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিরুপন করা হবে না। মোহাম্মদ যা করেছে বা বলেছে তাই সঠিক আর যা করতে মানা করেছে তাই ভুল। অন্যভাবে বলা যায়, মুসলমানরা নৈতিকতার মানদন্ডে এবং সাধারনজ্ঞ্যনের সাহায্যে মোহাম্মদের বিচার করতে পারবে না, উল্টোভাবে নৈতিকতা এবং সাধারনজ্ঞ্যানের মানদন্ড বিচার কতা হবে মোহাম্মদের কথা এবং কাজ দিয়ে।
এই মনোভাব মুসলমানদেরকে চিন্তা করার থেকে ক্ষান্ত দেয়। এই সম্প্রদায়ে একই রকম আচরন আর চিন্তাশৈলী অনুসরন করে ব্যক্তি পায় নিরাপত্তা আর স্বস্তি।
প্রথানুসারী কাজ বা আচরণকে উৎসাহিত করা হয় আর মুক্তচিন্তাকে চরম শাস্তি দেওয়া হয়। মুক্তচিন্তকের জন্য অধিকাংশের সাথে ভিন্ন মত পোষণ করা আনতে পারে চরম বেদনা আর কষ্ট।
মুসলিমরা আনন্দ/বেদনা উদ্দীপনের মাধ্যমে টিকে আছে। ইশারায় লেজ নাড়লে তারা পুরস্কৃত হয়। চাটুকারিতা পুরস্কৃত হয় এবং তাদের গ্রহনযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলে আর তাদের সামাজিক অবস্থান আঁকড়ে ধরতে সাহায্য করে। অন্য দিকে মুক্তচিন্তার ফলাফল চরম।
মানসিক পর্যায়ে বিশ্বাসী একজন জাহান্নামের ভয়ে অস্থির থাকে আর জান্নাতের প্ররোচনায় লালায়িত হয়। এই মানসিক চাপ তার যৌক্তিক কার্যক্ষমতাকে অবশ করে দেয় এবং এমন দিকে তাকাতে বাধা দেয় যেখানে তাকালে ব্যাপক মিথ্যার এ বিশ্বাস নড়ে যেতে পারে।
এটা আরেকটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেটা ইসলামকে এতগুলো শতাব্দী টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। মুসলিমদেরকে নিরুৎসাহিত করা হয় এবং তারা মুক্তচিন্তা করতে সাহস করে না। এই ছকের বিরোধিতা করা, এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা এতটাই বিপজ্জনক ধরনের বেদনাদায়ক যে, বিশ্বাসীর মেরুদন্ডে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। বিরুদ্ধ স্রোতে চিন্তাপ্রবাহ চালিয়ে দিলে করলে সে তার স্ত্রী-পরিবার, তার বন্ধুবান্ধব, চাকুরী, তার সামাজিক অবস্থা, সম্মান, তার সম্পদ, স্বাধীনতা এমন কি তার জীবন পর্যন্ত হারাতে পারে।
সমাজ আর পরকালের ভয় ইসলামের এত লম্বা সময় টিকে থাকার পেছনে দুটো প্রধান কারন। এই মিথ্যেটা কখনই প্রশ্নের মুখোমুখি হয় নি এবং এটা যতদিন এমন অবিচল, অটল থাকবে ততদিনই এটা অক্ষত থাকবে। মিথ্যা দীর্ঘায়ু হলেই সেটা সত্য হয়ে যায় না। ইসলাম টিকে আছে ভীতির কারনে, মোটেই সেটা সত্য বলে নয়।
সামাজিকভাবে ইসলাম বিশ্বাসীদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যহীন করে গড়ে তোলে। প্রায়োগিকভাবে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যহীনতাকে ভেড়া মানসিকতা বলা যায়। এটা একটা মনোগত অবস্থা যেখানে এই মানসিকতা জাগ্রত হয় যখন আরো অনেকেই কিংবা বড়সর একটা দল একসাথে ভিড় করে।
ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যহীনতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট হল, স্ব-সচেতনতা এবং নিজস্বতাকে খর্ব করে। ইসলামে নিজস্বতাকে সরাসরি অস্বীকার করা হয় এবং এটাকে মিশিয়ে ফেলা হয় উম্মাহ’র সাথে। সে যে তখন শুধু ফলতঃ ক্রীতদাসই হয়ে যায় তা নয়, তাকে এমনকি ডাকাও হয় এই নামেই। তাদেরকে ডাকা হয় “ইবাদ” নামে, যার আক্ষরিক অর্থ হল “ক্রীতদাস”।
ব্যক্তিসাতন্ত্র্যহীনতা একজনের আত্নসংযম এবং আচার-ব্যবহারের প্রনালী দুর্বল করে দেয়। এটা হিংস্র জনতার কার্যকলাপ, হৃদয়হীন গুন্ডাপান্ডা এবং জনগনের ইচ্ছায় গণপিটুনিতে বা ফাঁসিতে হত্যাকে প্ররোচিত করে। এই ব্যাপারটা বিশেষভাবে লক্ষণীয় যখন উম্মাহ মসজিদে যায় এবং ইমাম ও কাঠমোল্লাদের আরক্তিম মুখে মুসলমানদের অত্যাচার করার জন্য নিরীশ্বরবাদী এবং ইহুদীদেরকে অভিশাপ দিতে বললে উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
কারোরই ‘কেন’ প্রশ্ন করার অনুমতি নেই। সে অত্যাচারের প্রমান কী আর কেনই বা তাকে নিরীশ্বরবাদী এবং ইহুদীদেরকে ঘৃণা করতে হবে? এই প্রশ্ন যদি একটা ছোট্ট বাচ্চা করে তাহলে তার গালে চড় ছুঁইয়ে শিখিয়ে দেয়া হবে এটা একটা অনুচিত প্রশ্ন, আর যদি এটা কোন পূর্ণবয়স্ক কেউ করে তাহলে সে বিরাট ঝামেলায় পড়তে পারে।
ব্যক্তিসাতন্ত্র্যহীনতা গণহত্যা, গোড়ামী, সভ্য-ভব্যতার অভাবের মতন সামাজিক ঘটনার সাথেও জড়িত। এটা বিশ্বাসী/পালনকারী মুসলমানদের চারিত্রিক প্যাটার্ন ব্যাখ্যা করে। ফালুজাহতে কয়েকজন আমেরিকান ঠিকাদারকে প্রকাশ্যে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা, রামাল্লায় ইসরায়েলী সৈনিকদের অঙ্গহানী এগুলো মাত্র দুটো ঘটনা যেগুলোর শিকার শুধুমাত্র আমেরিকান আর ইসরায়েলী হবার জন্যে জনসম্মুখে এসেছে। তথাপি এই ঘটনা ইসলামে মোটেও বিরল নয়। ইরানে হাজার হাজার বাহা’ইসকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, পাকিস্তানেও একই ঘটনা ঘটেছে তাদের ক্ষেত্রে যারা কিনা ব্লাসফেমী আইন ভেঙেছে এবং মোহাম্মদকে অপমান করেছে। মসদিজে খুতবা শোনার পরে মুসলমানরা প্রায়শই হিস্টিরিয়া রোগীর মতন উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং হত্যা জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
হাস্যকরভাবে এটাই ইসলামের নির্দয় এবং দমনমূলক প্রকৃতি, সাথে আছে এটার চরম অযৌক্তিকতা যেটা কিনা এই মতবাদকে একটা সফল ধর্মে পরিণত করেছে এবং এত লম্বা সময় ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে।
ইসলাম বিশ্লেষনমূলক সমালোচনা পছন্দ করে না। মোহাম্মদ ভালো ভাবেই জানত সমালোচকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষমতা তার নেই। সুতরাং তিনি ঐদিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং কেউ আর তাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস পায় নি।
এমননি পশ্চিমেও কেউ ইসলামের বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করলে ঝাকে ঝাকে বিদ্রোহ করে এবং ঐ পশ্চিমাদের বিদেশে বসেই হত্যা করে এবং দাবী করে তাদের অনুভুতিতে আঘাত হানা হয়েছে। এটা হয় পরবর্তীতে যাতে আপনি আর সমালোচনা করতে না পারেন এই ধারনা থেকেই। তারা ভালোভাবেই জানে তারা আপনার সমালোচনার উত্তর দিতে পারবে না এবং তার মানে হল ইসলামের সমাপ্তি।
-
কেন সবাই মোহাম্মদের প্রশংসা করেছিলঃ
একটা প্রশ্ন মুসলমানদের মাথায় আসে সেটা হলঃ সমস্ত সাহাবীরা কেন তার এত প্রশংসা করেছিল? কেন কেউ তার নিন্দা করেনি, এমন কি সে মারা যাবার পরেও?
উত্তর হল, যে সমাজ ব্যক্তিপূজোর উপরে ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে মনের কথা খুলে বলা সবসময় নিরাপদ নয়। সত্য কথা সমাজ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করতে পারে, অথবা আরো খারাপ, আপনার জীবনটাই খরচ হয়ে যেতে পারে। যেসব মানুষ ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পারে তারা ভালোভাবেই মুখ বন্ধ রাখতে জানে। পরিবর্তে পরগাছা, পা-চাটারা প্রশংসা করে, মোসাহেবি করে, যা নয় তাই ফলাও করে প্রচার করে নেতার কৃপাধণ্য হতে চায়। নেতার মৃত্যুর পরেও, পরগাছাগুলো তাদের তোষামোদী অব্যাহত রাখে। এত বছর পরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নি। যারা ভিন্নমত পোষণ করে তারা কথা বলতে ভয় পায়, আর যদি বলেই ফেলে তাহলে দ্রুত তাকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়, অন্য দিকে ধামাধরা সামান্য পরগাছাগুলোকে সম্মান করা হয় মোহাম্মদ এবং তার “গুণাবলী” ধরে রাখার জন্য। এমন ভন্ডামী আর চাটুকারীতায় ভরা উৎপীড়নকারী পরিবেশে কীভাবে সত্যের বিস্ফোরন হবে?
আমরা এমন অনেক কাহিনী জানি যেখানে মোহাম্মদ তার সমালোচনাকারীকে হত্যার হুকুম দিচ্ছে এবং ওমর যে কিনা মোহাম্মদের কতৃত্ব সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুললে তার ঠোঁট কেটে নেয়ার জন্য ছিল সদা প্রস্তুত। মোহাম্মদ মোসাহেবি উৎসাহিত করত আর সমালোচনাকে কঠোর হস্তে দমন করত।
সুতরাং, মোহাম্মদের রহস্য আর রহস্য নয়। সে সফল হয়েছিল কারন সে বৃহত্তম মিথ্যা বলেছিল এবং যারা তাকে নিয়ে প্রশ্ন করত আর অমান্য করত তাদের নির্দয় হাতে দমন করত।
মোহাম্মদের সাফল্যের আরো কারন হল, সে দেখা দিয়েছিল সবচেয়ে অজ্ঞ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং বর্বর লোকেদের মাঝে। তার লুটতরাজের ধর্মটাকে টিকিয়ে রাখতে যেসব চরিত্রের দরকার ছিল সেগুলোর সবই তার প্রথমদিকের অনুসারীদের মধ্যে ছিল এবং পরবর্তীতে তার বিরিঞ্চিগিরির শিকার অন্যান্যদের উপরেও তা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তীব্র উৎকট জাতীয়তাবোধ, ধর্মান্ধতা, উদ্ধতভাব, দাম্ভিকতা, অতিআত্মম্মন্যতা(Megalomania), নির্বুদ্ধিতা, আত্মপ্রশংসা, লোভ, যৌনলালসা, জীবনের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাব এবং আরোও নিকৃষ্ট চরিত্র যেগুলো ইসলামের নির্দেশক ছাপ(Hallmark), এগুলো আগে থেকেই কাঁচা-মাল হিসেবে আরবে উপস্থিত ছিল যেখানে মোহাম্মদ তার “প্রোফেটিক এন্টারপ্রাইজ” চালু করেছিল। তার শুধু দরকার ছিল একটা বড়সড় মিথ্যা তৈরী করা এবং কিছু অসহিষ্ণুতা আর হিংস্রতা যোগ করা, ঘৃণার একটা নিটোল ধর্ম সৃষ্টি করার জন্য।
একারনেই ইসলাম এখন পর্যন্ত টিকে আছে, এটা সত্য ধর্ম বলে নয়।
-
তথ্যসূত্রঃ
১. http://en.wikipedia.org/wiki/Jim_Jones
২. http://en.wikipedia.org/wiki/David_Koresh
৩. http://en.wikipedia.org/wiki/Order_of_the_Solar_Temple
৪. http://en.wikipedia.org/wiki/Luc_Jouret
৫. http://www.biography.com/notorious/crimefiles.do?action=view&profileId=259590&catId=259449
৬. http://en.wikipedia.org/wiki/Heaven%27s_Gate_%28religious_group%29
৭. http://en.wikipedia.org/wiki/Comet_Hale%E2%80%93Bopp
৮. http://www.faithfreedom.org/Articles/sina/which_religion.htm
৯. http://www.faithfreedom.org/Articles/sina/force_behind_mo.htm
১০. http://www.nytimes.com/2004/03/31/international/worldspecial/31CND-IRAQ.html
১১. http://en.wikipedia.org/wiki/2000_Ramallah_lynching
আমি ভুলক্রমে ছোট ভাইকে একদিন ধর্মের অসারতা অকাট্য প্রমানসহ বলেছিলাম , প্রথমে তার মুখে বিস্ময়ভাব চলে আসলো পরবর্তীতে সে একটু চাপা ক্রুদ্ধ (আমার উপর) আর খুব-ই বিসন্ন হয়ে পরলো (সত্য জেনে ); আমার খুবই খারাপ লাগলো তাই কিছুক্ষণ পর বললাম দেখ আমি কিন্তু নিশ্চিত না ,তারপর ইসলাম প্রমানের জন্য কিছু গাজাখুরি প্রমান দেখিয়ে বললাম দেখ ইসলামই হয়তো সত্য ধর্ম আর এসব বিসয় কাউকে খবরদার বলবি না ; তার পরের দিন একটা লেখা অর্ হাতে তুলে দিয়ে বললাম যে আসলে আমি-ই ভুল ছিলাম ইসলাম তো জলজ্যান্ত সত্য, ও একটু আনন্দিত হলো , আহ এটাই তো চাই ; এরপর অর্ সাথে ধর্ম বিসয়ে কোনদিন কথা বলি নি ; পাকা অভিনেতা না হয়েও ধর্মবিশ্বাসের অভিনয় করে যাচ্ছি আজীবন; আমি কিছু পাপ করেছি যা ধর্মে বিশ্বাসী হলে করতাম না কিন্তু অতি আপনজনের কাছে দু একটা পাপ ধরা পরে গিয়েছিলো আমার খুব-ই খারাপ লাগছিল আর বলতে ইচ্ছে করছিলো যে আমি অতটা খারাপ নই, আমিও তোমাদের ভালো বংশের মানুষ, ধর্মে বিশ্বাস করলে আমিও এসব করতাম না (কি জানি আমি আসলেই খারাপ কি না তবে এটা নিশ্চিত ধর্মে বিশ্বাসী হলে করতাম না ,আর ধর্মে বিশ্বাসীদের চেয়ে ধর্মে অবিশ্বাসীদের ভালো হওয়া অবশ্যই কঠিন, অবিশ্বাসীদের ধর্ম শুধু মানবধর্ম আর বিশ্বাসীদের মানবধর্ম + সবসময় একজন দেখছে এই চিন্তা) আর তাছাড়া আমি চাই না আমার বৃদ্ধা মা যে কিনা কিছু বছর পর মারা গিয়ে আমার মৃত বাবার সাথে বা মৃত নানার সাথে দেখা করার সুখসপ্নে বিভোর অন্তহীন সুখের সপ্নে বিভোর তার এই বেহেস্ত নষ্ট করে দিতে…তার মিথ্যা অনন্তসুখ-সপ্ন ভাঙিয়ে eternal nothingness-এর সত্য দু:সংবাদ দিতে
আমার আগের তিন কমেন্টে শেষের দিকে একটু কারেকশন থাকায় পুনরায় পোস্ট করলাম(আগের তিনটা ডিলিট করতে পারলে ভালো হত ) —
আপনি ভালো অনুবাদক তবে আলী সিনার মুসলিম-বিদ্বেষ প্রবল সেটা বোঝা যায় তাছারা নব্য নাস্তিকদের মধ্যেও মুসলিম বিদ্বেষ প্রবল , আর শুনুন ইসলাম উপমহাদেশে সাধারণত গায়ের জোরে প্রচারিত হয় নি বরং হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন কুসংস্কার আর ইসলামের কিছু ভালো দিকের কারণে ইসলাম প্রচার লাভ করেছিলো; বেশিরভাগ মুসলিমদের পূর্বপুরুষ-ই অস্ত্রের মুখে নয় ইসলামের গুন শুনেই ইসলামে এসেছে , পৃথিবীতে সবচেয়ে বর্ধমান বিশ্বাস হলো নাস্তিকতা আর ইসলাম (অস্ত্রের জোরে?) … আর আমি একতরফা লেখা পছন্দ করি না .. আমার পূর্বপুরুষ কি অস্ত্রের মুখে ইসলামে এসেছেন ? কখনই না, আমার চৌদ্দ পুরুষ মুসলিম কিন্তু তারা কি খারাপ? তারা ইসলাম থেকে ভালো কিছুই শিখেছেন , খারাপ কিছু না; ইউরোপে মিলিয়ন মিলিয়ন নারীকে ডাইনী বলে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ,এর জন্য কে দায়ী, ইসলাম ? না ,খ্রিস্টধর্ম দায়ী; হাইপেশিয়া, ব্রুনো সহ অনেককে মারার জন্য বা অনেককে অপদস্তের জন্য কে দায়ী ? খ্রিস্টধর্ম; ইন্ডিয়ায় লাখ লাখ (নাকি কোটি কোটি কে জানে ) নারীকে সতীত্বের জন্য স্বামীর সাথে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ,এর জন্য কে দায়ী, ইসলাম ? না ,হিন্দু ধর্ম দায়ী; আমি কাম্পাসে আশেপাশে যত ধার্মিক মুসলিম দেখি তারা সবাই গড়পড়তা মানুষের চেয়ে ভালো এর জন্য দায়ী কে ?ইসলাম. বর্তমান পৃথিবীতে করা বেশী নিস্পেষিত ? মুসলিমরা ; তারা পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদীতার সিকার, সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তৈরী তালিবানরাই আমেরিকান আগ্রাসনের পর মুসলিমদের মারছে, সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তৈরী আল-কাইদা কেন ফ্রাঙ্কেন্স্তাইন হয়েছিলো , আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়েই আমেরিকান দুতাবাসে ৯৮(সম্ভবত ) সালে কেন আক্রমন চালিয়েছিলো , সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে মুসলিম পীড়ন বিশেষত ফিলিস্তিনি পীড়নের জন্য ;; প্রায় সব জায়গায় মুসলিম পীড়নের জন্য (বা বর্তমানে অন্য ধর্মাবলম্বী পীড়ন) সাম্রাজ্যবাদীদের হাত , আর শুনে রাখুন মুসলিমরা যতটুকু রক্তপাত , নিরীহ মানুষ খুন করেছে তার চেয়ে অনেক গুন বেশী হয়েছে খ্রিস্টানদের হাতে (এককালের সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের বংশধর বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা কর্তৃক কোটি রেড ইন্ডিয়ান বা কোটি আফ্রিকান নিগ্র হত্যা, অন্যান্য ইউরোপিয়ান দখলবাজদের দ্বারাও কোটি কোটি , আবার হিটলার, মুসোলিনি , আবার বিশ্বযুদ্ধ দুটাতে কয়েক কোটি করে মানুষ হত্যা, আবার নাস্তিক মাও বা লেনিনের হাতে কোটি কোটি .. যাক আর বলছি না ).. আর আমি ছোটবেলা থেকে ধর্মে অবিশ্বাসী হয়েও মুস্লিম পরিবারে জন্মাবার কারণে কোনো হীনমন্যতায় ভুগি না বরং গর্ববোধ করি..প্রচারেই প্রসার ৯/১১-এ মাত্র ৩০০০ মানুষ মরেছিলো কিন্তু ওরা আমেরিকান বলে কিনা ওদের জীবনের মুল্য অনেক বেশী তাই বুশ-কর্তৃক মিলিয়ন ইরাকি হত্যার চেয়েও সেটাই বড় খবর(৯/১১-এ লাদেনই দায়ী তা আমি নির্দিধায় মানতে পারি না কারণ হয়তোবা মুসলিম দেশে হামলা চালানোর বৈধতা অর্জনের জন্য মোসাদ আর সিআইএ এটা ঘটিয়েসে আর একটা ভুয়া ভিডিও বানিয়ে বাজারে ছেড়েছে যাতে নাকি লাদেন হামলার কথা সীকার করেছে কিন্তু এরকম ভিডিও তৈরী করা কি ওদের পক্ষে কোনো ব্যাপার , হলিউডে তো দেখা যায় কয়েক যুগ আগে মারা যাওয়া প্রেসিডেন্ট টম হ্যাংকের সাথে আলাপ করতে কিন্তু সেটা কি সত্য ? আর ধরলাম ভিডিওটা সত্যি কিন্তু লাদেন হামলা না করলেও যে তিনি সীকার করে এর কৃতিত্ব নিতে চাইবেন এটা বুঝতে তো আইনস্টাইন হওয়া লাগে না … আর তাছারা এবটাবাদে লাদেনকে এরেস্ট না করে কাউকে মৃতদেহ না দেখিয়ে তাকে সাগরে ফেলে দেওয়া হলো কেন? তাকে আটক করে তার বিচার করা কি বেটার ছিল না তাতে তারা আল কায়েদার কলাকৌশল, তথ্য জানতে পারতো ,এটা তো আমার কাছে ৮মাশ্চর্য লাগে সাধারণ বোকা মানুষ ও তো এটা করবে না ; কিন্তু তারা কিসের ভয়ে এটা করে নি , এর কারণ কি এটাই যে তার বিচার করতে গেলে সত্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে; তারও পরেও ধরলাম যদিও আমি ধরি না লাদেন-ই এ কাজ করেছে তাহলে দোষটা এককালের আমেরিকার বন্ধু মুসলিম লাদেনের আর আমেরিকার দখলদার ইসরাইলি তোষামোদী নীতি……আবার বলবেন না যে মুসলিমরা হাজার বছর আগে ইহুদীদেরকে জেরুজালেম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো তারাই আবার বর্তমানে পুনর্দখল করেছে , এটা ভুল ধারণা মুসলিমরা যখন জেরুজালেম দখল করে তখন সেখানে ছিল খ্রিস্টানরা আর ধারণার ২য অংশ ‘তারাই আবার বর্তমানে পুনর্দখল করেছে’ এটাও ভুল কারণ বহু আগে খ্রিস্টানদের জেরুজালেম দখলের আগে যে ইহুদীরা জেরুজালেমে থাকতো তাদের বংশধর বর্তমান ইসরাইলিরা নয়… এরা সত্যিকার অর্থেই উড়ে এসে জুরে বসা , এদের মিল শুধু ধর্মে জাতিগত কোনো মিল নাই,পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জাতের ইহুদীরা এসে জবরদখল করে বসেছে এবং এখনো অবৈধ ইহুদী বস্তি স্থাপন করেই চলেছে আমি নিয়মিত পেপার পরি কোনদিন দেখিনি কোনো ইসরাইলি শিশু মরেছে কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় অসংখ নিরীহ ফিলিস্তিনি(মানুষ না, ফিলিস্তিনি) মারা যাচ্ছে যেমন কয়েক বছর আগেও দেখেছি সম্ভবত ১৪০০ ফিলিস্তিনি মরেছে তার বিপরীতে ইসরাইলি মাত্র ১৩ জন মরেছে , এটাই ঘটে চলেছে ); ৩০০০ আমেরিকানের জন্য ৩০০০ বছর পর্যন্ত সারা বিশ্ব এমনকি বাঙালীরাও লিখে যাবে কিন্তু আমাদের-ই স্বদেশী ৫০০০ নিরীহ বাংলাদেশী যে নেলীতে ভারতীয়দের হাতে মারা পরলো আমরা জানি-ই না.. অন্য জায়গার কথা বাদ , শুধু মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশ দেখুন আর সীমান্তঘেরা দুই দেশ ভারত আর মায়ানমারকে দেখুন, ভারতে গুজরাটে দাঙ্গায় হাজার হাজার সংখালঘু মুসলিম মারা হয়, কাশ্মিরে মারা হয়, নেলিতে ৪-৫ হাজার বাংলাদেশী নিরপরাধ মুসলিম মারা হয় কিন্তু তাদের বিচার হয় না …. বাংলাদেশে কোন জায়গায় কোন সন্কালঘু হিন্দু মরেছে বলে আমি এখনো পাই নি হলেও দুই তিনটা হবে হয়তো আমি অন্তত শুনি নি ..মায়ানমারে দেখুন ২য বিশ্বযুদ্ধের সময় লাখ মুসলিম মারা হয়, ৭৮, ৯২ (সম্ভবত) আবার রিসেন্ট দাঙ্গা মিলিয়ে হাজার হাজার মুসলিম মারা হয়. মুসলিমদের মধ্যেও খারাপ আছে ; I am proud to be in muslim family , to be surrounded by muslims; be unbiased; good and bad is in every religion, every nation, everywhere. ধর্মেরও প্রয়োজন আছে; আমি বিজ্ঞানের ছাত্র, ছোটবেলা থেকে ধর্মে অবিশ্বাসী তবে স্রষ্টায় বিশ্বাসী কিন্তু বাইরে আমি সাধারণ বাংলাদেশীদের মতই নিজেকে ধর্মে বিশ্বাসী বলি.. আমি নিজ অভিজ্ঞতায় জানি ধর্মে বিশ্বাস থাকলে আমি একজন বেটার মানুষ হতে পারতাম , আমি কিছু পাপ করেছি যা ধর্মে বিশ্বাসী হলে করতাম না.. আর তাছাড়া আমি চাই না আমার বৃদ্ধা মা যে কিনা কিছু বছর পর মারা গিয়ে আমার মৃত বাবার সাথে বা মৃত নানার সাথে দেখা করার সুখসপ্নে বিভোর অন্তহীন সুখের সপ্নে বিভোর তার এই বেহেস্ত নষ্ট করে দিতে..
শুধু মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশ দেখুন আর সীমান্তঘেরা দুই দেশ ভারত আর মায়ানমারকে দেখুন, ভারতে গুজরাটে দাঙ্গায় হাজার হাজার সংখালঘু মুসলিম মারা হয়, কাশ্মিরে মারা হয়, নেলিতে ৪-৫ হাজার বাংলাদেশী নিরপরাধ মুসলিম মারা হয় কিন্তু তাদের বিচার হয় না …. বাংলাদেশে কোন জায়গায় কোন সন্কালঘু হিন্দু মরেছে বলে আমি এখনো পাই নি হলেও দুই তিনটা হবে হয়তো আমি অন্তত শুনি নি ..মায়ানমারে দেখুন ২য বিশ্বযুদ্ধের সময় লাখ মুসলিম মারা হয়, ৭৮, ৯২ (সম্ভবত) আবার রিসেন্ট দাঙ্গা মিলিয়ে হাজার হাজার মুসলিম মারা হয়. মুসলিমদের মধ্যেও খারাপ আছে ; I am proud to be in muslim family , to be surrounded by muslims; be unbiased; good and bad is in every religion, every nation, everywhere.
আপনি ভালো অনুবাদক তবে আলী সিনার মুসলিম-বিদ্বেষ প্রবল সেটা বোঝা যায় তাছারা নব্য নাস্তিকদের মধ্যেও মুসলিম বিদ্বেষ প্রবল , আর শুনুন ইসলাম উপমহাদেশে সাধারণত গায়ের জোরে প্রচারিত হয় নি বরং হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন কুসংস্কার আর ইসলামের কিছু ভালো দিকের কারণে ইসলাম প্রচার লাভ করেছিলো; বেশিরভাগ মুসলিমদের পূর্বপুরুষ-ই অস্ত্রের মুখে নয় ইসলামের গুন শুনেই ইসলামে এসেছে , পৃথিবীতে সবচেয়ে বর্ধমান বিশ্বাস হলো নাস্তিকতা আর ইসলাম (অস্ত্রের জোরে?) … আর আমি একতরফা লেখা পছন্দ করি না .. আমার পূর্বপুরুষ কি অস্ত্রের মুখে ইসলামে এসেছেন ? কখনই না, আমার চৌদ্দ পুরুষ মুসলিম কিন্তু তারা কি খারাপ? তারা ইসলাম থেকে ভালো কিছুই শিখেছেন , খারাপ কিছু না; ইউরোপে মিলিয়ন মিলিয়ন নারীকে ডাইনী বলে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ,এর জন্য কে দায়ী, ইসলাম ? না ,খ্রিস্টধর্ম দায়ী; হাইপেশিয়া, ব্রুনো সহ অনেককে মারার জন্য বা অনেককে অপদস্তের জন্য কে দায়ী ? খ্রিস্টধর্ম; ইন্ডিয়ায় লাখ লাখ (নাকি কোটি কোটি কে জানে ) নারীকে সতীত্বের জন্য স্বামীর সাথে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ,এর জন্য কে দায়ী, ইসলাম ? না ,হিন্দু ধর্ম দায়ী; আমি কাম্পাসে আশেপাশে যত ধার্মিক মুসলিম দেখি তারা সবাই গড়পড়তা মানুষের চেয়ে ভালো এর জন্য দায়ী কে ?ইসলাম. বর্তমান পৃথিবীতে করা বেশী নিস্পেষিত ? মুসলিমরা ; তারা পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদীতার সিকার, সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তৈরী তালিবানরাই আমেরিকান আগাসনের পর মুসলিমদের মারছে, সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে তৈরী আল-কাইদা কেন ফ্রাঙ্কেন্স্তাইন হয়েছিলো , আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়েই আমেরিকান দুতাবাসে ৯৮(সম্ভবত ) সালে কেন আক্রমন চালিয়েছিলো , সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে মুসলিম পীড়ন বিশেষত ফিলিস্তিনি পীড়নের জন্য ;; প্রায় সব জায়গায় মুসলিম পীড়নের জন্য সাম্রাজ্যবাদীদের হাত , আর শুনে রাখুন মুসলিমরা যতটুকু রক্তপাত , নিরীহ মানুষ খুন করেছে তার চেয়ে অনেক গুন বেশী হয়েছে খ্রিস্টানদের হাতে (আমেরিকা কর্তৃক কোটি রেড ইন্ডিয়ান বা কোটি আফ্রিকান নিগ্র হত্যা, অন্যান্য ইউরোপিয়ান দখলবাজদের দ্বারাও কোটি কোটি , আবার হিটলার, মুসোলিনি , আবার বিশ্বযুদ্ধ দুটাতে কয়েক কোটি করে মানুষ হত্যা, আবার নাস্তিক মাও বা লেনিনের হাতে কোটি কোটি .. যাক আর বলছি না ).. আর আমি ছোটবেলা থেকে ধর্মে অবিশ্বাসী হয়েও মুস্লিম পরিবারে জন্মাবার কারণে কোনো হীনমন্যতায় ভুগি না বরং গর্ববোধ করি..প্রচারেই প্রসার ৯/১১-এ মাত্র ৩০০০ মানুষ মরেছিলো কিন্তু ওরা আমেরিকান বলে কিনা ওদের জীবনের মুল্য অনেক বেশী তাই বুশ-কর্তৃক মিলিয়ন ইরাকি হত্যার চেয়েও সেটাই বড় খবর(৯/১১-এ লাদেনই দায়ী তা আমি নির্দিধায় মানতে পারি না কারণ হয়তোবা মুসলিম দেশে হামলা চালানোর বৈধতা অর্জনের জন্য মোসাদ আর সিআইএ এটা ঘটিয়েসে আর একটা ভুয়া ভিডিও বানিয়ে বাজারে ছেড়েছে যাতে নাকি লাদেন হামলার কথা সীকার করেছে কিন্তু এরকম ভিডিও তৈরী করা কি ওদের পক্ষে কোনো ব্যাপার , হলিউডে তো দেখা যায় কয়েক যুগ আগে মারা যাওয়া প্রেসিডেন্ট টম হ্যাংকের সাথে আলাপ করতে কিন্তু সেটা কি সত্য ? আর ধরলাম ভিডিওটা সত্যি কিন্তু লাদেন হামলা না করলেও যে তিনি সীকার করে এর কৃতিত্ব নিতে চাইবেন এটা বুঝতে তো আইনস্টাইন হওয়া লাগে না … আর তাছারা এবটাবাদে লাদেনকে এরেস্ট না করে কাউকে মৃতদেহ না দেখিয়ে তাকে সাগরে ফেলে দেওয়া হলো কেন? তাকে আটক করে তার বিচার করা কি বেটার ছিল না তাতে তারা আল কায়েদার কলাকৌশল, তথ্য জানতে পারতো ,এটা তো আমার কাছে ৮মাশ্চর্য লাগে সাধারণ বোকা মানুষ ও তো এটা করবে না ; কিন্তু তারা কিসের ভয়ে এটা করে নি , এর কারণ কি এটাই যে তার বিচার করতে গেলে সত্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে; তারও পরেও ধরলাম যদিও আমি ধরি না লাদেন-ই এ কাজ করেছে তাহলে দোষটা এককালের আমেরিকার বন্ধু মুসলিম লাদেনের আর আমেরিকার দখলদার ইসরাইলি তোষামোদী নীতি……আবার বলবেন না মুসলিমরা হাজার বছর আগে ইহুদীদেরকে জেরুজালেম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলো তারাই আবার বর্তমানে পুনর্দখল করেছে , এটা ভুল ধারণা মুসলিমরা যখন জেরুজালেম দখল করে তখন সেখানে ছিল খ্রিস্টানরা আর ধারণার ২য অংশ ‘তারাই আবার বর্তমানে পুনর্দখল করেছে’ এটাও ভুল কারণ বহু আগে খ্রিস্টানদের জেরুজালেম দখলের আগে যে ইহুদীরা জেরুজালেমে থাকতো তাদের বংশধর বর্তমান ইসরাইলিরা নয়… এরা সত্যিকার অর্থেই উড়ে এসে জুরে বসা , এদের মিল শুধু ধর্মে জাতিগত কোনো মিল নাই,পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জাতের ইহুদীরা এসে জবরদখল করে বসেছে এবং এখনো অবৈধ ইহুদী বস্তি স্থাপন করেই চলেছে আমি নিয়মিত পেপার পরি কোনদিন দেখিনি কোনো ইসরাইলি শিশু মরেছে কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় অসংখ নিরীহ ফিলিস্তিনি(মানুষ না, ফিলিস্তিনি) মারা যাচ্ছে যেমন কয়েক বছর আগেও দেখেছি সম্ভবত ১৪০০ ফিলিস্তিনি মরেছে তার বিপরীতে ইসরাইলি মাত্র ১৩ জন মরেছে , এটাই ঘটে চলেছে ); ৩০০০ আমেরিকানের জন্য ৩০০০ বছর পর্যন্ত সারা বিশ্ব এমনকি বাঙালীরাও লিখে যাবে কিন্তু আমাদের-ই স্বদেশী ৫০০০ বাংলাদেশী যে নেলীতে ভারতীয়দের হাতে মারা পরলো আমরা জানি-ই না.. অন্য জায়গার কথা বাদ , শুধু মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশ দেখুন আর সীমান্তঘেরা দুই দেশ ভারত আর মায়ানমারকে দেখুন, ভারতে গুজরাটে দাঙ্গায় হাজার হাজার সংখালঘু মুসলিম মারা হয়, কাশ্মিরে মারা হয়, নেলিতে ৪-৫ হাজার বাংলাদেশী নিরপরাধ মুসলিম মারা হয় কিন্তু তাদের বিচার হয় না …. মায়ানমারে দেখুন ২য বিশ্বযুদ্ধের সময় লাখ মুসলিম মারা হয়, ৭৮, ৯২ (সম্ভবত) আবার রিসেন্টলি দাঙ্গায় আবার হাজার হাজার মুসলিম মারা হয়. মুসলিমদের মধ্যেও খারাপ আছে ; I am proud to be in muslim family , to be surrounded by muslims; be unbiased; good and bad is in every religion, every nation, everywhere.
এত মুল্যবান ও সময়োপযোগী লেখাটি ডাউনলোড করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মাল্টিআপলোডের সাইটটাই খোলেনা। একটু দেখবেন কি?
সেই সাথে মুক্তমনার বিভিন্ন ভালমানের তথ্যমূলক লেখাগুলোকে পিডিএফ ফরমেটে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের সবার তো নেট নেই। মাঝেমধ্যে বন্ধুর বাড়িতে, বা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে মুক্তমনা পড়ি। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে আসতে পারিনা। আমাদের সমস্যা অনুভব করার জন্য আবারো অনুরোধ করছি।
অনুবাদকর্মটির জন্য অনুবাদককে ধন্যবাদ।
সাইফুল ইসলাম স্যারকে বলছি…
আপনার মাধ্যমে আলী সিনা’কে চিনেছি। আর আলী সিনা স্যারের লেখার মাধ্যমে জেনেছি তার প্রখর জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা। এই অধমদের জ্ঞান বিতরণের জন্য অ—নেক—ক.. অ–নে—ক ধন্যবাদ। আপনার দ্বিতীয় অনুবাদের জন্য আবারো ধন্যবাদ। আশারাখি আগামীতে আলী সিনা স্যার সহ অন্যান্য লেখার অনুবাদ মুক্তমনায় প্রকাশ করবেন কেননা আপনার অনুবাদ ক্ষমতা অসাধরন!! সেই সাথে আলী সিনা স্যারের পরিচিতিও জানাবেন। তাহলে চির কৃতজ্ঞ ও বাধিত থাকবো। শুভ কামনায় রইল…
যুক্তিবাদী কাজ করে সমস্ত মিথ্যের বিরুদ্ধে। সেটা হতে পারে ধর্ম, সেটা হতে পারে রাজনীতি, সেটা হতে পারে আমাদের বর্তমানের মিডিয়া। সুতরাং মিডিয়া বাদ তো না মোটেই, বরঞ্চ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটাকে প্রায়োরিটি দেয়া উচিত। আর সেই যুক্তিবাদকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মুক্তমনা। আপনিও নিয়মিত হন। মুক্তমনার মিছিলে যোগ দিন।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য। 🙂
আপনার অনুবাদ চমত্কার হয়েছে. মুক্তমনাতে প্রথম চোখ বুলাই যখন, তখন বিস্মিত হয়েছিলাম যে বাংলায় এধরনের চর্চা হচ্ছে. সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন…আমরা সাহস করছি, একটু একটু করে নিজেদের বিবেক নিয়ে আমরা নিজ বাক্তিসত্বাকে মিথ্যার খোলশ থেকে আবিষ্কার করছি…এ এক অদ্ভূত আনন্দ.
প্রতিভাবান প্রতারক হিসেবে যুগে যুগে মুহাম্মদ ছাড়াও হিটলার এর মত অনেকের আবির্ভাবের উল্লেখ এক চমত্কার দৃষ্টান্ত. এখনো খ্রিস্টান সমাজে “মোরমোন” গোষ্ঠী রয়েছে, যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদের বহুবিবাহের অনুমতি দিয়েছে. . এমনি এক শঠ হলো নাইজেরিয়া’র আবুবকর মাসাবা, যে কিনা ৯১টি বিয়ে করেছে আল্লাহ’র নির্দেশে!
মানুষ যতটা সাফল্যের পুজারী, ততটা সত্যের নয়; প্রথা-অনুসারী হওয়া যতটা সহজ, প্রথা বিরোধী হওয়া ততটাই কঠিন. মুহাম্মদের ধর্ম ছিল পূর্ববর্তী অনেক ধর্মের চেয়ে সংস্কারকৃত এবং প্রাথমিক অনুসারীগোষ্ঠী সংগঠিত হবার পর ইসলামের প্রচার ছিল বলপ্রয়োগের মাধ্যমে, যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে . অনেক ক্ষেত্রে ইসলাম অপেক্ষাকৃত অধিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মের দ্বারা নিপীড়িত মানুষদের জন্য মুক্তিস্বরুপ আবির্ভূত হয়েছিল…যেমনটি হয়েছে উপমহাদেশে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য…যদিও যুদ্ধে বিজয় ছিল প্রথম শর্ত.
শাসকশ্রেণী এবং অভিজাতশ্রেণী’র অন্যতম প্রধান অস্ত্র হলো রহস্য এবং সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা ও ধর্মভীতি; ইসলামের প্রধান আকর্ষণ হলো এর প্রায় নিখুত রহস্যময়তা….আমি বলব সকল ধর্মেরই তাই…সুতরাং শাসকশ্রেণী যুগে যুগে ধর্ম এবং অজ্ঞতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করে গেছে. তাই ধর্মসমূহের টিকে থাকার জন্য সকল উপকরণ উপস্থিত ছিল সবসময়. অবশ্য কালের নির্মম নিয়মে সব ধর্মই এবং তাদের প্রচলিত নিয়মকানুন পরিবর্তিত হয়েছে স্থানভেদেও.
ইহকালেই জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া….পরকাল বলে কিছু নেই….এই নির্মম সত্য আত্মস্থ করার চেয়ে পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া নিজেদের প্রায় অধিকাংশ অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষদের জন্য পরকালের ফলে ফুলে ভরা বেহেস্তের আশায় মুখ বুজে বঞ্চনা সয্য করা অনেক সহজ…এটা তাদের স্বাভাবিক পরিনতিকে মেনে নেয়ার জন্য অনেক বেশি সহায়ক.
পৃথিবী বদলেছে অনেকটাই, ক্ষমতাবানদের প্রতারণা’র ধরন বদলেছে, ধর্ম অনেকটাই অকেজো অস্ত্রে পরিনত হয়েছে….কিন্তু ঈশ্বরবিশ্বাস এখনো মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রোথিত…খোদ আমেরিকাতে ৭৬% মানুষ মনে করে তারা ঈশ্বরবিশ্বাসী….(এবং নিজেদের সাথে প্রতারনাকারী)…আর সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার ধরন পাল্টেছে…কিন্তু তা আরো নির্মমভাবে মিথ্যাচারিতায় পূর্ণ হয়েছে….সাম্প্রতিক ইরাক, আফগানিস্তান এর পতন এবং লিবিয়া ও সিরিয়া’র পরিনতি’র দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রচারযন্ত্রের মিথ্যাচার মানুষের বিচারক্ষমতাকে কিভাবে অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখে শাসন, শোষণ ও ঔপনিবেশিকতার বিস্তার ও বিশ্ব বিবেক তথা বিকাশমান মানব সভ্যতার চেতনার ক্রমনিক অবমাননা করতে পারে.
তাহলে…আমরা যারা সত্য খুজি, মানব জাতি’র সাথে যুগে যুগে ঘটে যাওয়া প্রতারণা’র নীরব প্রতিবাদক হিসেবে নিজেকে আবিষ্কারের আনন্দে মুগ্ধপ্রায়…তারা কি প্রাগৈতিহাসিক মিথ্যাচারের বিরুদ্ধেই শুধু লড়ব নাকি সমসাময়িক প্রচারযন্ত্রসমূহের মিথ্যাচার এর দিকেও সচেতন দৃষ্টি দেব?
@রুদ্র,
খুব ভাল বলেছেন।
তীব্র উৎকট জাতীয়তাবোধ, র্ধমান্ধতা, উদ্ধতভাব, দাম্ভকিতা, অতআিত্মম্মন্যতা(গবমধষড়সধহরধ), নর্বিুদ্ধতিা, আত্মপ্রশংসা, লোভ, যৌনলালসা, জীবনরে প্রতি তুচ্ছতাচ্ছল্যিভাব এবং আরোও নকিৃষ্ট চরত্রি যগেুলো ইসলামরে নর্দিশেক ছাপ(ঐধষষসধৎশ), এগুলো আগে থকেইে কাঁচা-মাল হসিবেে আরবে উপস্থতি ছলি যখোনে মোহাম্মদ তার “প্রোফটেকি এন্টারপ্রাইজ” চালু করছেলি। তার শুধু দরকার ছলি একটা বড়সড় মথ্যিা তরৈী করা এবং কছিু অসহষ্ণিুতা আর হংিস্রতা যোগ করা, ঘৃণার একটা নটিোল র্ধম সৃষ্টি করার জন্য।
সাইফুল সাহবেকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এতো সুন্দর একটি লখো উপহার দওেয়ার জন্য, আরো লখো আশা করছ।ি ভালো থাকনে, সুস্থ্য থাকনে। এসব লখো জনগণরে মধ্যে বশেি করে ছড়য়িে দয়ো যায় তার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হতো।
ধন্যবাদান্তে, কফিল কাঙ্গাল।
@কফিল কাঙ্গাল,
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই পাঠের জন্য।
ভালো থাকবেন। 🙂
@ সাইফুল ইসলাম,
খুব ভাল হয়েছে। ‘অনুবাদ’ কাজটি সহজ নয়, অনেক পরিশ্রম সাপেক্ষ ব্যাপার।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আলী সিনার এ লিখাটি অনুবাদের জন্য।
ভাল থাকুন। (F)
@গোলাপ,
গোলাপকে (F)
@ সাইফুল ইসলাম, ভাই আমি এই লেখাটার প্রথম খণ্ড ওপেন করতে পারছি না। পেজ এরর দেখাচ্ছে!আগে প্রথম খণ্ড তা পড়তে চাই।না হলে ২য় খণ্ড পড়ে মজা পাব না। তাই প্লিজ এররটা ফিক্স করেন।ধন্যবাদ।
@অচেনা,
আপনি কি মোবাইল দিয়ে ঢুকছেন? অনেক সময় মোবাইলে সমস্যা করে। লিঙ্কে কোন সমস্যা নাই।
আমি এখানে লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি। দেখেন কাজ হয় কিনা।
http://www.mukto-mona.com/bangla_blog/?p=18053
@সাইফুল ইসলাম, না ভাইয়া আমি মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ খুব কম করি। তাছাড়াও আমার মোবাইল এ বাংলা লেখা দেখা যায় না তাই মুক্ত মনা সব সময় পিসি দিয়েই ব্যবহার করতে হয়। যাহোক আমি আবার চেষ্টা করেছি আগের মতই ফলাফল। এই মেসেজ টা বার বার আসে Oops! This page appears to be missing.
HTTP 404 – File not found.
আমি আপনার ২টা লিংক এই এই মেসেজ পেয়েছি।বুঝতে পারছি না কি হয়েছে। ২য় পার্ট ত সহজেই ওপেন হচ্ছে।বুঝতে পারছি না কি করব এখন। লেখাটা পড়ার খুব ইচ্ছা আমার।পি ডি এফ আকারে আপলোড করতে পারবেন প্লিজ সম্ভব হলে?তাহলে পড়তে পারব আশা রাখি।
@অচেনা,
আপনি একটা কাজ করে দেখেন, লিংক থেকে www. বাদ দিয়ে দেখেন তো ওপেন হয় কিনা-
mukto-mona.com/bangla_blog/?p=18053
@অচেনা,
আপনার জন্য পিডিএফ দিয়ে দিলাম।
এখানে দেখুন।
@সাইফুল ইসলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂 ।কোন বিরতি না দিয়ে দুটো পার্টই পড়ে শেষ করলাম।আলী সিনা যেমন অসাধারন লিখেছেন তেমনি আপনার অনুবাদও হয়েছে চমৎকার।আসলে একটা ব্যাপার আমার প্রথম থেকেই বোধগম্য নয় যে কেন মুসলিমরা বার বার দাবি করে যে তারা শ্রেষ্ঠ!অনুসারীর সংখ্যা দিয়ে সবকিছু বিচার করা ত নির্বোধের লক্ষন। আমি বেশি কিছু বলতে চাই না কারন অনেক কথাই আমি ভাল করে গুছিয়ে লিখতে পারি না,আমি সুলেখক না। শুধু একটা জিনিস আমার খুবি অবাক লাগে যে ৬ বছরের একটা শিশুর ভিতর মহাম্মদ কি যৌন আবেদন দেখতে পেল যে এক্কেবারে তাকে জান্নাতী উপহার বলে আবু বকর কে বুঝিয়ে ওই শিশু কে বিয়ে করল আর তার ৩ বছর পর সঙ্গম! ভাবতেই আমার গা গুলায়।কিন্তু এগুলোই মুসলিম রা এড়িয়ে যায় অনলাইনে, আর রিয়েল লাইফ এ মারতে আসে তেড়ে।যাহোক আমার একটাই ভয় যে মুসলিম দের জন্মহার খুবি বেশি তাই তারা দিন দিন সংখ্যায় ভারি হচ্ছে,আর মুসলিম রা ভাবছে যে আল্লহর কুদরতেই প্রত্যেক দিন লাখ লাখ মানুষ ইসলাম ধর্মে কনভার্ট হচ্ছে। আর এতেই মুসলিম দের গোঁড়ামি দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাঝে মাঝে আমি হতাশ বোধ করি এই ভেবে যে আদৌ ইসলাম নামের এই কাল্ট টার পতন হবে কিনা! এটা দিন দিন ক্যান্সারের মতই বাড়ছে।দিন যাচ্ছে আর মুসলিমদের সহনশীলতা কমতে কমতে ভীতিকর পর্যায় নেমে আসছে। আমার এক খালাত ভাই কিছুদিন আগেও আমার আখেরাতের রাস্তা পরিষ্কার করতে গিয়ে ইউটিউব ভিডিও ( কোরানের ভেল্কি সম্পর্কিত) দেখতে বলে।দেখার দরকার মনে করি নাই, কারন জানতাম যে সেগুলো আবর্জনা হতে বাধ্য।আসলে সে আমাকে ঐগুলো দেখিয়ে সে কনভিন্স করতে চেয়েছিল ইসলাম মানাতে!কি আজব একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কে কনভিন্স করতে এইসব আবর্জনা ব্যবহার করার চেষ্টা!কিন্তু সবথেকে বাজে ব্যাপার হল,আমি যখন উলটা ইসলাম কে ভুল প্রমান করতে অনেক গুলো কথা বললাম আর উদাহরন দিলাম,আর মুক্ত মনার কিছু লেখা তাকে পড়তে বললাম,অমনি খেপে গিয়ে বলল,” তুই আর তোর প্রিয় ঐ নাস্তিক ব্লগের সবাই অল্প বিদ্যাধারী গাধা,তাই ইসলাম না বুঝেই এটার বিরুদ্ধে লাগিস “। আরও এমন কিছু কথা শুনাল যা লেখার অযোগ্য!খুবি অবাক হলাম এটা ভেবে যে এমন কি সে কোন লেখা পড়তেও রাজি না মুক্ত মনা ব্লগ এর!অথচ সে একজন ওয়েল এডুকেটেড ছেলে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে।আসলেই শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাউকে শিক্ষিত করতে পারে না এটা সেদিন আরেকবার বুঝে গেলাম।তো ভাই আপনি আলি সিনার আর কিছু লেখা অনুবাদ করেন।খুব ভাল লাগবে সবার আশা করি।আর জাকির নায়েক এর বিরুদ্ধে আরো কিছু প্রবন্ধ লিখতে মুক্তমনার লেখকদের অনুরোধ করছি আমি।এগুলো আমরা অনেকেই অনেক জাকির নায়েক ভক্তের কাছে যুক্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারব।এই নির্বোধ জাকির নায়েক এখন যে ইসলামে এক অঘোষিত নবীর মর্যাদা পাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
খুবই ভাল হয়েছে। ভাল লেগেছে। (Y)
@সত্যের পূজারী,
ধন্যবাদ সত্যের পূজারী পাঠের জন্য। 🙂
আশা করি নিয়মিত হবেন মুক্তমনায়।
শুভ কামনা রইল।
মোহাম্মদের সাথে প্রথম লিস্টের মসিহদের মিল দেখানো যে হয়েছে, সেখানে একটা বড়মাপের অমিল হলো তারা প্রায় সবাই আত্মহত্যাউন্মুখ। অন্যদিকে মোহাম্মদ বা তার প্রথমদিকের অনুসারীদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা আদৌ ছিল কিনা বেশ সন্দেহ আছে। ওখানটায় মিলের চেয়ে অমিলই তো বেশি দেখা যাচ্ছে। এই পার্থক্যটা কেনো, সেটা মাথায় ঘুরঘুর করছে বলে মিলগুলো ঠিক আর দাগ কাটছে না।
ইসলাম কোটি কোটি মানুষের মাঝে টিকে থাকার কৃতিত্বটা বহুলাংশে মোহাম্মদকে দিয়ে দেয়াটাই এখানে একটা বড় সমস্যা। ইসলামের যখন প্রচারিত ও প্রসারিত হয়, তখন সেটা কোরানের আক্ষরিক ভার্শন হিসেবে হয় না। বলা চলে আংশিক, বা আরো ভালো করে বললে প্রচারকের নিজের দেখা ও নিজের দর্শনে পরিমার্জন করা ইসলামটাই প্রসারিত হয়। ফলে ইসলামের যে সচরাচর রূপকে নাস্তিকদের ডিসকোর্সে সমালোচনা করা হয়, কনভার্টেডরা কিন্তু কনভার্শনের সময় ইসলামের সেই রূপ দেখেন না। জীবদ্দশাতেই সম্ভবত দেখেন না। অনেকে তাই ভীতির কারণে নয়, তাদের দেখা বা তাদেরকে দেখানো সুন্দর ইসলামের কারণেই ইসলামে রয়ে যান। আদিল মাহমুদ যেমন বললেন। যদিও ব্যাপারটা পুরোপুরি এতো সাদা কালো না। এদের মধ্যে ভয়ভীতিও কাজ করে। আবার ভয়ভীতি যাদের মধ্যে বহুলাংশে কাজ করে, তারাও কিছু কিছু করে ইসলামকে তাদের মতো করে ভালো ভালোও মনে করেন। সেসবের উপাদানও ইসলামের টেক্সট থেকে শুরু করে মোহাম্মদ পরবর্তী প্রচারকদের মধ্যেই ছিল। তাই, মোহাম্মদের বাইরে ইসলামের প্রচারকদের নিজেদের প্রচারিত ইনটারপ্রিটেশানের কৃতিত্ব ইসলামের এই কোটি কোটি মানুষের মাঝে টিকে যাওয়ার পেছনে অনেকটাই আছে। সব ইসলামি শাসক প্রচারক যদি উমরের মতো হতো বা লাদেনের মতো হতো, ইসলাম সহসাই নাৎসীবাদের মতো বা সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের মতো পরিত্যক্ত আদর্শে পরিণত হতো জনমনেই।
এবং ব্যাপারটা আসলে তাই ঘটছে। জঙ্গি ইসলাম বা ইসলামের যে অংশটা মূলত ভীতিভিত্তিক, সেটার পতন সহজ। কিন্তু সেই পতনে ইসলাম গায়েব হয়ে যাওয়ার তেমন কোনো আলামত দেখছি না। বরং জঙ্গি ইসলামের পতনে সাধারণ বহু মুসলমান খুশিই হবে। তাদের জোর করে কোরান পড়তে ও মেনে চলতে বলা গোষ্ঠিদের একটা অন্তত কমবে, অন্যদের কাছেও নিজেদেরকে অজঙ্গি প্রমাণ করার তাগিদ আর থাকবে না। তখন ইসলাম কেনো তারপরেও টিকে আছে সেটার পুনরায় আলোচনা করা লাগবে। বর্তমান যুক্তিগুলো খুব টিকবে হয়তো না। সেটা অবশ্য এখন থেকেই চিন্তার বিভিন্ন মাত্রা দিয়ে করা যেতে পারে।
@রূপম (ধ্রুব),
এখানে শুধু আকর্ষনের ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে। মানে কিভাবে একজন মানুষের কথায় কেউ নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিতে পারে। ঐ মসিহটার প্রতি যে নিবেদন, আত্ননিবেদন সেটাই দেখানো হয়েছে। আর আত্নহত্যার ব্যাপারটা প্রবন্ধেও বলা হয়েছে যে, ইসলামের সাথে এই ঘটনাগুলোর এই ব্যাপারটাতে পার্থক্য আছে।
তবে মোহাম্মদের জন্যে নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়ার ঘটনা বা এমন কথা কিন্তু খুব একটা বিরল নয়। মানে ইসলামের জন্য বা মোহাম্মদের জন্য জীবন দেয়া অনেকটা আত্নহত্যার মধ্যেই পরে না কি? 🙂
তারপরের বক্তব্যের সাথে আমি মোটামুটি একমত। মোহাম্মদের কাজটা ছিল একটা বীজ পুতে দেয়া আর কিছুদিন দেখভাল করা। লোকেদের বিশ্বাস করানো যে এই গাছটাকে যত্ন করলে তাদের লাভ হবে আখেরে। এরপরে কিন্তু দেখা গেছে গাছটা কারো সাহায্য ছাড়াই বেড়ে উঠছে। জন্মগত মুসলমান হচ্ছে অস্বাভাবিক হারে। এটা এমনকি ইসলামেরই একটা নির্দেশ। যত পারো উম্মত বাড়াও। জন্মকে নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। এটাও একটা বড় কারন ইসলামের এত প্রসারে, এত মুসলমান হবার পেছনে।
আর মাঝে মাঝে মালীরাতো পানি ঢেলেছেই। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
(Y)
আলি সিনার বেশ কিছু লেখা আমার অতিরিক্ত উগ্র মনে হয়েছে,লোকটা আমেরিকার প্রতি খুব বেশি পক্ষপাতি,পারলে পুরো মুসলিম জাতিকে উড়িয়ে দেয়। তবে তার বেশ কিছু লেখায় যুক্তির ব্যবহার প্রশংসনীয়,লেখার ভাষাগুলোও খুব সহজবোধ্য। এ লেখাটি অনেক আগেই ইংরেজিটা পড়েছি,ভালো লেখা,সাইফুল ভাইকে ধন্যবাদ অনুবাদের জন্য।
@রামগড়ুড়ের ছানা ভাতিজা,
আছো কেমন?
এই লেখাতে সিনা সাহেবের যুক্তি একেবারে কংক্রীট মনে হয়নি। পুরো মূল্যায়নের অভাব আছে মনে হয়। প্রথম পর্ব অবশ্য এখনো পড়িনি।
মূল কথা হল নবী মোহাম্মদ ইসলাম গায়ের জোরে কায়েম করেছে এবং সেই বলে এখনো টিকে আছে।
কথাটার বাইরেও আরো কারন আছে বলেই আমার মনে হয়। নবীর মোহাম্মদের বা ইসলামে কি ভাল বলতে কিছুই নেই? সেসবের কোন ভূমিকাই ইসলামের প্রসারে নেই? ইসলামের প্রসারে অনেক ক্ষেত্রে বাহুবলের জোরে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ভূমিকা থাকলেও অনেক এলাকায় জোর জবরদস্তির কোন ব্যাপার নেই। সেসব যায়গায় মোহাম্মদের ইসলাম কিভাবে গেল ও কোটি কোটি মোহাম্মদ ভক্ত কিভাবে পয়দা হল তার ব্যাখ্যা কোথায়?
আজকের দিনেও সঠিক হিসেব নিশ্চিত না হলেও প্রধান ধর্মগুলির মধ্যে সেই নবী মোহাম্মদের ধর্মেই কনভার্ষনের হার সবচেয়ে বেশী। এরই বা কারন কি? এসব প্রশ্নের জবাব দিতে সিনা সাহেব মনে হয় ১০০% ব্যার্থ। আমি আশা করেছিলাম এসব প্রশ্নের জবাব থাকবে, পাইনি।
সাইফুল বেচারা মনে হয় এবার গোস্যা করা শুরু করেছে, তাই আপাতত থামা দরকার। অনুবাদ ভালই হয়েছে।
@আদিল ভাই,
পেরতম অনুবাদ মিয়া। দিলেন তো কট খাওয়াইয়া। 🙁
তবে কথা হল, প্রবন্ধটা যতটানা ইসলামের টিকে যাওয়া তার চেয়ে বেশী মোহাম্মদের টিকে যাওয়াটা।
ইসলামের অনেক ভালো দিক অবশ্যই আছে। সেটা উল্লেখ না করার কারন তো ধরেন আপনি জানেনই। তবে এটা সত্য, ঐগুলো উল্লেখ করলে অবশ্যই লেখাটার মান আরো উন্নত হত।
অনেক ধন্যবাদ আদিল ভাই পাঠের জন্য।
আপনি থাকেন কই? একদমই দেখা যায় না!!!!
@সাইফুল ইসলাম,
থাকি কানাডাতেই। তোমাকে তেমন মারি নাই, সিনা সাহেবকে কিছুটা দিলাম।
এই জাতীয় এনালাইসিস কেমন একপেশে লাগে। প্রথমেই তো মনে প্রশ্ন আসার কথা যে যেভাবে সিনা সাহেব নবী মোহাম্মদকে এঁকেছেন তাতে তো তাকে প্রাচীন কালে না হলেও অন্তত এই জমানায় এক কুখ্যাত চরিত্র হিসেবেই দেখা যাবার কথা। এত বড় সংখ্যক মানুষকে কিভাবে হাজার বছরের ওপর বোকা বানিয়ে রাখা যায় তার ভাল ব্যাখ্যা থাকা দরকার না? যদিও লেখকের বলা ভেড়া মানসিকতা এখনো একটি কারন বলা যায়, তবে পুরোটা ব্যাখ্যা করে না।
এই জাতীয় লেখকরা কেন যেন নবী মোহাম্মদ বা ইসলামের বিন্দুমাত্র সাফল্য আছে তাও কোনমতেই স্বীকার করতে চান না।
ইসলাম ও নবী মোহাম্মদের সাফল্য কি ভিন্ন করে দেখা যায়? ইসলাম যারা গ্রহন করে বা পালন করার দাবী করে তারা কার ফলোয়ার?
@আদিল ভাই,
মোহাম্মদ আর ইসলাম, মোহাম্মদের জীবদ্দশাতে অবশ্যই সমার্থক ছিল। বেঁচে থাকতে কেউ কোরানের পাতা উল্টাতো না, দেখত মোহাম্মদ কী করে। মৃত্যুর পরে কিন্তু ব্যাপারটা কিছুটা হলেও আলাদা হয়েছে। ইসলামের প্রসার হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী পথে। যারা এই কাজ করেছে তাদেরকে মোহাম্মদ নিজ হাতেই বানিয়ে রেখে গিয়েছিল। মোহাম্মদের তৈরী করা ইসলাম তখন মোহাম্মদ ছাড়াও বাড়তে পারছে। মোহাম্মদ বীজ পুতে কয়েক বছরের জন্য ভালো ব্যাবস্থা করে রেখে কিছু ভালো মালী তৈরী করে দিয়ে গিয়েছিল। যারা তার মৃত্যুর পরেও ইসলামকে দেখা শোনা করে রেখেছে। মুসলমানেরা সংখ্যার বাড়ছিল। এমন তো নয় যে সবাই নতুন করে ইসলাম গ্রহন করছিল! জন্মগত মুসলমান সব সময়েই ছিল। এখনও হচ্ছে।
ইসলাম রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেছে। আজকে যারা মুসলমান তারা কেউই কোরান বা মোহাম্মদ বলেছে বলে মুসলমান না। আজকের মুসলমান জন্মগতভাবে মুসলমান। যেটা শুধু আজকে না, অনেক আগের থেকেই হয়ে এসেছে।
প্রথম দিকের বীজ আজকে বটবৃক্ষ হয়ে উঠেছে।
সেজন্য মোহাম্মদের সাফল্যের সাথে ইসলামের সাফল্যের মিল থাকলেও কিছুটা পার্থক্য তো মনে হয় আছেই।
একটা বৃক্ষ একবার দাঁড়িয়ে গেলে সেটা পরে নিজেই খাবার খুজে নেয়। কিন্তু আলোচনার সময় কিন্তু আমাদের দেখতে হবে বীজটা কোথা থেকে এসেছিল আর বেঁচেই বা ছিল কী করে।
@আদিল মাহমুদ, আমার তা মনে হয় না ভাই। হা ইসলামের ভাল কিছু তো অবশই আছে।চুরি করো না মিথ্যা বল না,এছাড়াও অনেক ছেলে ভুলানো ভাল কথাও আছে।তা ভাল কথা কিছু না বললে চলবে কেন?মানুষের মগজ ধোলাই করতে ভাল কথার বিকল্প নেই। “আল্লাহচাইনা” যে মোডারেটে ইসলাম কে আসল ইসলামের জারজ সন্তান উল্লেখ করেছিল তার লেখায়,সেই লেখাটা আমার সবথেকে প্রিয় লেখাগুলোর একটা। যদিও উনার লেখায় মাঝে মাঝে উনি একটু বেশি আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন, তবু বলব যে তিনি তো মানুষই, আর সব মানুষেরই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে।উনাকে ত আর দেখি না। জানি না কি হল উনার!যাহোক ভাল কথা দিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করা হল সবথেকে সহজ।কাজেই ইসলামের যে কিছু ভাল দিকও থাকবে এটায় অবাক হবার কি আছে?কিন্তু ভেড়ার ছদ্মবেশে ওটা যে আসলে নেকড়ে তাতো আপনি ভালভাবেই বুঝেন আশা করি 🙂
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তোমার লগে একমত । হেয় মাঝে মাঝে আমেরিকার এজেন্ট গো লাহান কতাবার্তা কয়। এমনিতে ঠিক আছিল কিন্তু এই কামডার জইন্যে হেরতে মাঝে মাঝে আমার কাছে দূর্গন্ধ আহে।
কিন্তু কতা অইল, খালি প্রোগ্রামিং করলে অইব নি মিয়া? লেহাও তো ছাড়ন লাগব নাকি???? :))
@রামগড়ুড়ের ছানা, আমি ভাই ফেইথ ফ্রীডোম এ আলি সিনার কিছু লেখা পড়েছিলাম। আমার ত মনে হয় না যে উনি ভুল কিছু বলেছেন। হা ভুল যে উনি করেন না তা না, সব মানুষই ভুল করে কিন্তু উনার লেখাগুলো যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ বলেই আমার মনে হয়। আর আমি মনে করি যে ভুক্তভোগি মাত্রেই ইসলাম বিদ্বেষী। কাজেই আমি আলি সিনার এই ব্যাপারটা ফিল করি 🙂
সাইফুল,
প্রথম অনুবাদেই বাজিমাত। চলুক।(Y)
কেমন আছো ?
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
মামুন ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্যে।
আমি ভালো আছি। আপনি ভালো তো? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আমি ভালো আছি।
ভাল থেক।
প্রবন্ধটা ভাল লেগেছে। আমারও মনে হয় আমরা সবকিছুর অন্ধ অনুকরন করে চলেছি। আলি সিনার আর কোন লেখা আগে পড়িনি। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
পড়ে দেখতে পারেন আলী সিনার লেখা। আমি খুব কমই দেখেছি এত চমৎকার প্রাঞ্জল ভাষায় ইংরেজি।
ইসলাম নিয়ে ওনার প্রচুর লেখা আছে।
সাইটের লিঙ্কটা হলঃ http://www.faithfreedom.org
আর পাঠের জন্য ধন্যবাদ। 🙂
এইটা একটা চমৎকার কাজ হয়েছে (Y)
@স্বাধীন,
অনেক ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই। ভালো থাকবেন অনেক। 🙂
সাইফুল কে কি বলে প্রশংসা করব বুঝতে পারছিনা- (*)
@আফরোজা আলম,
কোন দরকার নেই। শুধু পাঠেই আমি খুশি। :))
অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। ভালো থাকবেন কবি। 🙂
আলি সিনার কিছু লেখা খুবই সুন্দর। ফেইথফ্রীডমে ওনার আরও কিছু ভাল লেখা আছে। সেগুলিও অনুবাদ করতে পারলে ভাল হয়। বাক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে মুহাম্মদের জীবন একটা রূপান্তর। সাধারণ একজন ভাবুক মানুষ আস্তে আস্তে পরিণত হয়েছেন উগ্র স্বৈরাচারী, দক্ষ কূটনীতিক ও প্রচণ্ড কামুক একজন মানুষে। অবশ্য এটা হওয়া অবধারিত ছিল কারণ উনি ধর্মকে রাজনীতি,সমাজ ও রাষ্ট্রে এমনভাবে মিশিয়েছিলেন যে শেষেরদিকে তার ধর্মটা আধ্যাত্মিক মতবাদ থেকে পুরোপুরিভাবে পরিণত হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের একটা মাধ্যম হিসেবে। আর লেখক যেমন বললেন যে সাফল্য অর্জনের জন্য বিরিঞ্চিবাবাদের প্রয়োজন হয় কিছু অন্ধ ভক্তের তাই মুহাম্মদ তার সমালোচনা বন্ধ করলেন কঠোরভাবে। নিজেকে দাবি করলেন স্রষ্টার প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে যাতে তাকে নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা কখনই হতে না পারে। মুসলিমরা যেদিন মুহাম্মদের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে পারবে সেদিনই ইসলামের শেষ দিন হবে।
@আলোকের অভিযাত্রী,
ঠিক তাই। (Y)
আলী সিনা একবার নেকি হালিস করিল প্রবন্ধটি রচনা করে আর আপনি সেই নেকি কয়েকগুন বৃদ্ধি করলেন প্রবন্ধটির যথাযত বঙ্গানুবাদ করে। (F)
আশাকরি আপনারা দু’জনি বেহেস্তে নসিব হইয়া পরস্পরকে একটিবার আলিঙ্গন করিবেন।
বেশ ভালো অনুবাদ হয়েছে। (Y)
@রাজেশ তালুকদার,
বেহেস্তে গেলে কিন্তু পছন্দের লোকজনদেরও নেওয়া যায়। বেহেস্তে গেলে আপনার নামটা উচ্চারন করব আল্লা পাকের দরবারে। যে পাম দিলেন তাতে না দিয়েতো আর উপায় নাই। :))
@সাইফুল ইসলাম, ভাই বেহেস্তে যাওয়ার বড় সখ হইসে দয়া কইরা আপনাদের পছন্দের তালিকায় আমার নামটাও শেয়ার কইরেন ,অনুবাদটির জন্য অনেক ধন্যবাদ ,তবে মুক্তমনায় আরাও অনেক সুন্দর সুন্দর রেফারেন্স সহ লেখা পরেছি ।(Y)
অনুবাদ ভাল হয়েছে, :-s ভেড়ার পালকে কি ভাবে মানুষের পালে পরিনত করা যায়, শুধু মাত্র মুক্ত মনায় লিখে সম্ভব না, ঘর ছেড়ে বাইড়ে যেতে হবে মুক্ত আকাশের নিচে। যদিও বেঘোরে প্রানটা বির্সজন দিতে হতে পারে, এখনও আপন জন কেউ জানে না যে আমি পাল থেকে হারিয়ে গেছি। ভাবছি তবে কি এভাবেই যাবে দিন নিরবে নিভৃতে?! 🙁
@সীমান্ত ঈগল,
একই সমস্যা আমারই ছিল। বোধ করি আমাদের মতন নাফরমানদের সবারই এই সমস্যা থাকে। তবে একটা ঝড় না তুললে হয় না। কিন্তু সমস্যা যেটা হয় তাহল বাবা-মা। এই দুজনের মুখের দিকে চাইলে অনেক কিছু আর করা হয় না। তারপরেও আমি মোটামুটি পার করতে পেরেছি। আপনার জন্যেও শুভকামনা রইল।
সবশেষে পাঠের জন্য ধন্যবাদ জানাই। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
অপশক্তিগুলোর উৎপাদিত ঝড়ে, আমরা এতটাই বেসামাল, ঝড় তুলবো তো দূরের কথা, একসাথে দাঁড়াতেই পারছি না।
পথ আর মত ভিন্ন হলেও একসাথে চলা যায়,যদি মনে হয়,’তাসের ঘর’ টাই পথ চলার বাঁধা হয়ে আছে।
একটা ঝড় তো দরকার, তা কারো ভাল লাগুক বা না লাগুক।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার অনুবাদ প্রাঞ্জল ও সাবলীল হয়েছে।
এক নাগাড়ে পড়ে নিলাম।
আলী সিনার এই ধরণের আরও কিছু লেখা রয়েছ। সেগুলিও অনুবাদের কথা চিন্তা করতে পারেন।
@আবুল কাশেম,
আমি কৃতজ্ঞ আপনি লেখাটা পড়েছেন। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব।
জ্ঞানের আলোর ছোঁয়া লাগেনি যাদের, উম্মাহ, সে সময় তাহলে তাদের ঝোলায় ভরতে ভয়টা মূল কাজটা সেরেছে। আর তার পর বংশ পরম্পরায়ঃ
আধুনিক যুগে বাপমাদের দোষ কাটানোর কি চেষ্টাই করতে হবে না? এভাইবেই চলবে?
বেশ যত্ন করে ইটের পরে ইট গেঁথে রচনাটা দাঁড় করিয়েছেন। সাম্ভব্য কারন দেখিয়ে যুক্তি দেখিয়েছেন। তুলনামূলক কিছু বিকল্প যুক্তি বা দৃষ্টিকোন থাকলে লেখাটা আরো অনেক সমৃদ্ধ হতে পারতো বলে মনে করি। এমনি অবশ্য যথেষ্ট হয়েছে।
ভালো লেগেছে লেখাটা।
@কাজী রহমান,
রহমান ভাই, এখানে আমি কিন্তু একটা অক্ষরও নিজ থেকে লিখিনি। আলী সিনার লেখা থেকে অনুবাদ করেছি মাত্র। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
বুঝতে পেরেছি। ভালো থাকুন।
সুলিখিত বিশ্লেষণ, ভালো লাগল।
@কৌস্তুভ,
ক্রেডিট কিন্তু আলী সিনার। 🙂
ধন্যবাদ জানাই পাঠের জন্য।
এত সহজ বোধহয় না মোহাম্মদের সাফল্যের রহস্য। তারপরেও বলবো যে, বিশ্লেষণ দারুণ হয়েছে। সাবাশ কবি।
@ফরিদ ভাই,
সব দোষ কিন্তু আলী সিনার, আমার না। :))
পাঠের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
আপনার প্রবন্ধ টি তো বেশ ভালই লাগল। তবে “জিম-জোনস,ডেভিড কোরেশ,অর্ডার অফ দ্যা সোলার টেম্পল” এদের নাম আমি এই প্রথম শুনলাম। কত সনের দিকে এবং কোন দেশে ঘটেছিল একটু জানালে বাধিত হইব।
আপনার এ বক্তব্য টা তো বাস্তব সম্মতই মনে হচ্ছে। ইমাম সাহেবরা শুধু আজগুবী অবৈজ্ঞানিক কথাই বলেন না। তারা কোরানের আয়াত পড়ে পড়ে গ্যালিলিও,নিউটন,আইনষ্টাইন এর সুত্র গুলিও আমাদের মত ভেড়াদেরকে চরম দাপটের সংগে বুঝিয়ে থাকেন। আর আমরা পরম ভক্তিতে তাৎক্ষনিক ভাবে গদ গদ হয়ে পড়ি।
কিন্ত অদ্ভুত ব্যাপার হল,যদি পরবর্তিতে একটু সেই বাক্য গুলির অর্থ অনুসন্ধান করা যায় তা হলে দেখা যায় তাদের বক্তব্যের সংগে ও মুল অনুবাদের সংগে কোন মিল নাই।
কিন্তু কয়জনের পক্ষ্যে এটা তদন্ত করে দেখার সুযোগ হয়ে থাকে?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
প্রবন্ধটি কিন্তু মোটেও আমার নয় চাকলাদার ভাই। মূল প্রবন্ধ আলী সিনার। আমি শুধু অনুবাদ করেছি মাত্র। প্রত্যেকটি ঘটনারই কিন্তু সাথে লিঙ্ক দেয়া আছে। ওখানে ক্লিক করলেই , জিম-জোনস,ডেভিড কোরেশ,অর্ডার অফ দ্যা সোলার টেম্পল ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এটা ঠিক বুঝতে পারছি না। কোনটার অনুবাদ মূলের সাথে মিলছে না? আমারটা? আমি আমার অনুবাদের ব্যর্থতা মেনে নিতে সর্বদা প্রস্তুত। সত্যি কথা বলতে এই প্রবন্ধই আমার প্রথম অনুবাদ। সুতরাং ভুল ত্রুটি থাকবেই।
আর যদি অন্য কোনটার কথা বুঝিয়ে থাকেন, তাহলে আমি ধরতে পারছি না। একটু বিস্তারিত যদি বলেন তাহলে ভালো হত।
অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আমি দুখিতঃ সম্ভবতঃ আমার মন্তব্য টি ভাল করিয়া না পড়িয়া ভুল বুঝিয়াছেন। একটু লক্ষ করিয়া পড়িয়া দেখুন। ওটা আমি মসজিদের ইমাম সাহেবদের লক্ষ করিয়াই বলেছি।তারা কোরানের মিথ্যা অনুবাদ করিয়াও কোরানকে একটা বিজ্ঞানের মহাগ্রন্থ দাবি করিয়া আমাদের মত ভেড়াদেরকে বুঝিয়ে থাকেন।
ও বাক্য আপনাকে লক্ষ করিয়া বলি নাই।
আপনার একটি জ্ঞানগর্ভ বিষয়ের প্রাঞ্জল অনুবাদ ও লিংক ধরিয়ে দওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমারই ভুল ছিল তাহলে। অনেক ধন্যবাদ হাকিম চাকলাদার ভাই পাঠের জন্য। ভালো থাকবেন। 🙂