তার কোন জন্ম নেই
কোন মৃত্যু নেই
কোন বয়স নেই
নেই কোন সীমা, নেই কোন পরিসীমা
তবে কী তার জীবন
কী তার জীবনের পরিক্রমা?
তার নেই কোন আকার
নেই কোন আকৃতি
তবে কী তিনি, কী তার রূপ
কী তার প্রকৃতি?
তার নেই কোন ওজন
নেই কোন আয়তন
তবে তিনি দেখতে কেমন?
তিনি সাত আসমানের উপরে করেন বাস
সেথায় তিনি কীভাবে নেন শ্বাস-প্রশ্বাস?
সেথায় নেই কোন অক্সিজেন
তবে তিনি কী উপায়ে নিশ্বাস নেন?
যদি কোন জীবিত জিনিসের না থাকে শ্বাস-প্রশ্বাস,
এমন অদ্ভুত চিজে লোকে কীভাবে করে বিশ্বাস?
তার নেই কোন আদি
নেই কোন অন্ত
তবে তিনি কী মৃত না জীবন্ত?
তার নেই কোন আহার, নেই কোন নিদ্রা
জাগতিক কোন ঘটন-অঘটনে
তার নেই কোন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
তবে নিশিদিন জাগিয়া জাগিয়া
তিনি করেন কী ক্রিয়া?
তার নেই হস্ত-পদ-স্কন্ধ
নেই মাথা কল্লা
তবে তিনি কেমন আল্লা?
তার নেই কোন লিঙ্গ
নেই কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
নেই স্বামী, নেই স্ত্রী
নেই পুত্র, নেই কন্যা
নেই কোন পরিবার
এ কেমন তাজ্জব ব্যাপার!
তার নেই কোন সমকক্ষ
নেই কোন সমতুল্য
তিনি অতুল্য।
তিনি অসীম, নিঃসীম কিন্তু নিঃসঙ্গ
তবে কী আছে তার জীবনে রঙ্গ,
কী তার অশেষ-জীবনের মূল্য?
সবকিছুতেই শুধু নেই নেই
চক্ষু নেই,কর্ণ নেই, নাসিকা নেই
দেখা নেই, সাক্ষাত নেই, প্রমাণ নেই।
নিখিল জগতে এমন কোন ব্যক্তি বা বস্তু নেই।
তার মানে তিনি নিজেই নেই?
ঈশ্বর নামক অস্তিত্বহীন এই কিম্ভুত প্রানীটির(!) সঙ্গে বিজ্ঞানের বিরোধ বহুদিনের, প্রতিটিতে জয়ী হয়েছে বিজ্ঞান। আমার কাছে পৃথিবীর সবচাইতে অপ্রয়োজনীয় তর্কের বিষয় হচ্ছে ‘ইশ্বর আছেন নাকি নেই’। যারা বলছেন আছেন, দায়ীত্বটি তাদের – প্রমান করুন, প্রমান করলেই ল্যাঠা চুকে যায়। একটি শুভ(!) দিন দেখে তাকে জনসন্মুখে হাজীর করুন। আমরা সকলে মিলে ধন্য হই। তা না পারলে কুটতর্ক রেখে আসুন মানবতার জয়গান গাই।
ঈশ্বর এর ঈশ্বর মানুষ, সন্দেহ নেই
একদিন তোমরা তা মেনে নেবেই।
@দ্বীপ,
আপনার সাথে একমত।
বিশ্বাসীরা রহস্য ভালবাসে, ‘নেই’ এর নীরব ও পরাক্রমশালী উপস্থিতী মানেই তো রহস্য। আবার সকল অন্যায়, শোষণ, অপকর্ম করার পর একজন ‘আশ্রয়দ্বাতা’ আছেন ভাবতেও ভাল লাগে। মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন, ভোগবিলাস, হুরপরী ও সার্বিক ইন্দ্রিয়তৃপ্তির ব্যবস্থার জন্যও তো একজন লাগে। লোভ এবং ভয় থেকেই সকল ইশ্বর এর জন্ম।
@দ্বীপ,
ঠিক বলেছেন।
নেই নেই তবু কমতি নেই তাদের
এক থেকে তেত্রিশ কোটি সংখ্যা যাদের
…
তবে শুধু ইসলাম এর উপর মানুষ এত কান ক্ষ্যাপা এইটা আমার মাথায় ঢোকে না।
ভিডিও তা দেখবেন…
@অরণ্য, httpv://www.youtube.com/watch?v=rQn64XJrnr4
@অরণ্য,
অলৌকিক সব ধর্মই বানোয়াট। কিন্তু ইসলাম সবচেয়ে ভয়ানক। কোরানের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় অমুসলিমদের প্রতি হিংসা ও জিঘাংসা ছড়িয়ে আছে। আপনার প্রশ্নের জবাব কোরানেই পাবেন।
@ তামান্না ঝুমু,
“আমি” আছি
জন্মেছিলাম সুদূর অতীতে,
অসহায় অজ্ঞের ভীতিতে,
মানুষের কল্পিত বিশ্বাসে।
তারা শান্তি পেতো আশ্বাসে,
হোক না তা ‘মগজে’।
আছি অজ্ঞের কল্পনাতে,
‘শাশ্ত্রের’ পাতাতে,
জাযকের কথাতে;
পলিটিশিয়ানের বানীতে,
সুবিধাবাদীর মাথাতে,
ধুরন্ধরের আলাপীতে।
কিছুই করিনা আমি,
সাধ্য নাই তা জানি।
তবু পাই ‘সালামী’
কেন এ মূর্খামী ?
মরন আমার ‘জ্ঞানে বিজ্ঞানে’,
‘চেলারা’ তা জানে মানে মনে।
তাই তারা বলে জনে জনে,
‘আমাতে বিশ্বাসী’ হও মহা-প্রানে।
আজও আছি বেঁচে,
বহাল তাবিয়তে!
‘চেলাদের’ কল্যানে,
তাদেরই “বিশেষ” প্রয়োজনে।
————-
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। (F) (Y)
@গোলাপ,
লাইনটি অনবদ্য। এই কবিতা আপনার লেখা নাকি? খুব সুন্দর তো! (F) (F)
@তামান্না ঝুমু,
‘কিছু নাই’এর আছরে,
সঙ্ক্রামিত আবেগে,
মনে এলো ভাব,
লিখলাম জবাব।
———-
ভাল থাকুন। অনবদ্য লিখার হাত আপনার।
লিখতে থকুন।
কেন জানি আমার কবিতা কখনোই খুব একটা ভাল লাগে না। কিন্তু আপনার এই কবিতাটি বার বার পড়ে মুখস্ত করতে ইচ্ছা হচ্ছে। :clap :clap
মানবতার চরম সংকটেও তিনি
আপন মহিমায় সর্বদাই ভাস্বর
অক্ষমই হোক আর হিজড়াই হোক
তবু রয়ে যান তিনি আমাদের ঈশ্বর :-[ ।।
@অভীক,
কোন ধর্মের প্রভু নারী, কোন ধর্মের পুরুষ কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রভুর কোন লিঙ্গ নেই মানে তিনি লিঙ্গ প্রতিবন্দী হিজড়া।
তার নামে যতই করা হোক উপাসনা
তাতে তার কিছু যায় আসেনা।
তাকে যতই দেয়া হোক গালি
যতই করা হোক তার নামে চিৎকার
তিনি সবকিছুতেই নির্বিকার।
কারণ তিনি নেই
কখনো ছিলেননা
কখনোই থাকবেননা,
তিনি তো কিছুই না
শুধু কিছু মানুষের কল্পনা।।
কেন এ নিষ্ঠুর-উপবাসের সাথে দারুনভাবে মানানসই হয়েছে। উভয় পৃষ্টায়, হাতে হাতে ঘুরবে। ওরা সবাই ছুটি থেকে ফিরে আসুক। আপনি আমাদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। নারীর পর ধর্মীয় ও অলৌকিক বিশ্বাস নিয়ে, এরপর কী নিয়ে? মুনাফা, শোষণ-বঞ্চণা, ভন্ডামি-প্রতারণা নিয়ে! আপনার কবিতার ধারালো তরবারির আঘাতে সমাজের শক্তিশালী ভন্ডদের মুখোশ খুলে দিন। আমরা নিশ্চিতভাবেই আছি আপনার সাথে।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
@আব্দুল হক,
মানুষকে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আপনি একটি মহৎ কাজ করছেন। আমি আপনার কাজে কিছুটা সহায়তা করতে পারছি জেনে ভাল লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আল্লাপাক আপনাকে নিয়মিত অহী পাঠাচ্ছেন—খুব ভাল কথা। বিশ্বাসীদের উচিৎ হবে আপনার নবুয়তের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা.
দেখুন সুরা হাম্বা হাম্বা (আল বাছুর)
২: ১ ইলী বিলী ফিলী
২:২ এ সেই কিতাব তামান্না-ই ঝুমু যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী নবির জন্য,
২:৩ যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপনার উপর ঈমান প্রতিষ্ঠা করে।
২:৪ এবং যারা না দেখে, না শুনে, না ভেবে বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব অকথ্য, বিষয়ের উপর যা আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি আমি পাঠিয়েছি তামান্না-ই-ঝুমু কিতাবকে নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।
খুব সুন্দর অহী—মুখস্ত করে রাখার মত।
@আবুল কাশেম, (Y)
@আবুল কাশেম,
আমার উপর যে ওহী নাজিল হলো, কী করি আমি এখন, আমি যে লিখতে পড়তে জানিনা! এ ওহীগুলো খেজুর পাতায় কে লিখে রাখবে?
আল্লাহ পাক “বখনা বাছুরের” নামে কেন সূরা নাজিল করেছিলেন?
@আবুল কাশেম,
আ – মি – ন
@কাজী রহমান,
সুম্মা আ-মি-ন।
@আবুল কাশেম,বখনা বাছুরের নামে সুরা নাজিল হল আর এঁরে বাছুর কি দোষ করল?
যা নেই তাকে ‘তা’ বলি কেন? যিনি নেই তাকে ‘তিনি’ বলি কেন? প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপাদান, মানুষ কোনো এক অসহায় মুহুর্তে এই ‘নেই’কে স্মরণ করে।
এ কেমন বিষ্ময়!
যুক্তির অন্তরালে অযৌক্তি আশ্রয়।
@মৌনমনা,
আসলে ‘তাকে’ তিনি না বলে ‘কিছুনা’ বলা উচিত।
মানুষের অসহায় মুহূর্তে ‘নেই’ কে স্মরণ ক’রে ‘নেই’ এর কাছে কেউ কোন সহায়তা পেয়েছে কি? যে জিনিস নেই সে জিনিস কারো কোন কাজে আসবে কীক’রে?
বাহ! দারুণ।
@আফরোজা আলম,ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
আপনি বাঙলার প্রথম মহিলা নবী। আল্লাহ আপনাকে প্রচুর রহমত দান করুন। সেই আল্লাহ যিনি নেই থেকে সবকিছু পয়দা করেন। যিনি নিজেও নেই হয়ে যান।
@মাহফুজ,
যিনি নেই তিনি আপনার উপরও রহমত বর্ষণ করুন, আমিন।
(Y)
@হেলাল,ধন্যবাদ
?
(Y)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি হলো এটা চিন্তা করাও নাকি ইসলামে মহাপাপ। কারণ এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে মোহাম্মদের ভন্ডামী ধরা পড়ে যাবে। তাই সে মানুষের মুখ ও মনে মহাপাপের তালা দিয়ে চাবি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল।
কে বলে নেই আমি?
আমাকে পাবে ধার্মীকের রক্ত রাঙ্গা চোখে
পাবে মোল্লার প্রাণ হরনের হুংকারে
পাবে পাদ্রীর বাইবেলের ললিত সুরে
পাবে ব্রাহ্মনের দূর্বোধ্য মন্ত্রে
চিত্ত প্রসারিত করো, দেখো আমি আছি
তলোয়ারের প্রলয় ঝংকারে
রাইফেলের ছুটে চলা বুলেটে
বোমার গগন বিদারি চিৎকারে
বিশ্বাসীর অশ্লীল গালাগালির শৈল্পিক প্রলেপে
তার পরেও কি বলবে আমি নেই?
যদি মনে কর তাই, মনে রেখ,
নেইয়ের মাঝে আমার বসবাস। :))
@রাজেশ তালুকদার,
কবিতাটি আপনার লেখা নাকি? খুব সুন্দর।
@রাজেশ তালুকদার,
খুব ভাল বলেছেন। ‘তিনি’ আছেন বিশ্বাসীদের মগজে।
হুম। লজিক আছে। ভালো লাগলো।
@মোজাফফর হোসেন, ধন্যবাদ।
তার নাম করে যুগে যুগে প্রতারক সব,
লুঠছে সম্পদ গড়ছে বিত্ত-বৈভব।
ধন্যবাদ তামান্না ঝুমু।
@সফ্টডক,
অদৃশ্য শক্তির নামে দৃশ্যমান প্রতারনা
লোকে কেন বোঝেনা?
@তামান্না ঝুমু,
পয়গম্বর আর শিষ্যদের মিথ্যা বুলি,
লোকের চোখে দিয়েছে যে ঠুলি!
@সফ্টডক,
লোকের চোখে লাগানো মিথ্যে ঠুলি
জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকে যাবে খুলি।
@তামান্না ঝুমু,
লোকের চোখে লাগানো মিথ্যে ঠুলি
জ্ঞান বিজ্ঞানের আলোকে যাবে খুলি।
সেই আশার আলোয় নিরন্তর দুলি!
@সফ্টডক,
দুলিতে দুলিতে দুদোল দোল
পেয়ে যাবেন আশার কূল।(ইনশাল্লাহ্)
@তামান্না ঝুমু,
পেয়ে যাবেন আশার কূল।(ইনশাল্লাহ্)
কবির মুখে পড়ুক চন্দন-ফুল।(মাশাল্লাহ্)
@সফ্টডক,
কাজে-অকাজে ইনশাল্লাহ্, মাশাল্লাহ্
বলিতে ভুলিবেননা
আল্লাহ পাকের সাথে নাফরমানি করিবেননা।
@তামান্না ঝুমু,
আস্তাগফিরুল্লাহ্ নাউযুবিল্লাহ্
বান্দা হবে না নাফরমান।
ইনশাল্লাহ্ মাশাল্লাহ্
হাসিল হবে হুর-গেলমান। :))
@সফ্টডক,
এই বান্দাটিকে মনে হয়
ঈমানদার ও কৃতজ্ঞ,
মনে রাখিবেননা ভয়
আপনার তরে স্বর্গ ভ’রে
হুর-হেলমান ও মদের আছে বরাদ্দ।
কোন চিন্তা নেই আপনার
সেথায় আছে পক্ষীমাংস,ফলমূল,অফুরন্ত খাবার
অনন্তকাল ধ’রে মনের আনন্দে
মদের নদীতে কাটবেন সাঁতার।
নেই তার কোনো ছবি, নেই কোনো বিম্ব।
বিশ্বাসীর হৃদয়ে বাস, সে এক অদ্ভুত অশ্বডিম্ব। 🙂
ঈশ্বর কোনো শক্তি নন। আবার তিনি অপদার্থ- তার ভর নেই, আকার নেই, আয়তন নেই, মগজ নেই, ঘিলু নেই। অর্থাৎ তার অস্তিত্বও নেই। ;-(
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার লাইন দুটো চমৎকার হয়েছে। কোথাও যদি কোন অশ্বডিম্ব থেকে থাকে, ডিম্বে বিশ্বাসীগণ তাকে ধরে এনে প্রমাণ করে দিতে পারে। আমাদের তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু তারা তা না করে শুধু প্যাচাল করছেন কেন?
@সৈকত চৌধুরী, (Y)