-
তার অনুমতিক্রমেই এখানে অনুবাদিত হল।
ধর্মীয় পাগলামি বা বিরিঞ্চিগিরির(Cult) প্রভাব সাধারনত একটা ছোট্ট , নির্দিষ্ট চৌহদ্দির মধ্যেই থাকে। তাহলে, ইসলাম কিভাবে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মে পরিনত হল? কিভাবে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ এ জিনিসে ডুবে আছে, যাদের মধ্যে কিনা অগুনতি পরিমানে মেধাবী মানুষ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে মিথ্যাচারের শক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। অসত্যের শক্তি সম্পর্কে একজন ওস্তাদ মিথ্যাবাদীর চেয়ে কেই বা বেশী জানে? জোসেফ গোয়েবেল, হিটলারের প্রজ্ঞাপন মন্ত্রী (Propaganda Minister ) ঠিক এমনই একজন, মিথ্যা এবং শঠতার প্রতিপালক। উনি একবার বলেছিলেনঃ “যদি বিরাট আকারের একটা মিথ্যা বারবার বল, তাহলে ওটাই সত্যে পরিনত হয়।“
একটা মিথ্যা কিভাবে পৃথিবীর প্রধানতম ধর্মে পরিনত হল সেই আলোচনায় ঢোকার আগে এই আলোচনার সাথে সম্পর্কিত যুক্তির কয়েকটি হেত্বাভাসের(Logical Fallacy) সাথে পরিচিত হয়ে নি আসুন।
এই হেত্বাভাসের প্রকৃতি হল, যেহেতু বিশ্বাসটা অনেক অনেক কাল ধরে চলে আসছে সেজন্য এটা অবশ্যই সত্য। অথবা বলা যায় “এটা এভাবেই হয়ে আসছে, সুতরাং এটা সঠিক”। এই হেত্বাভাসটা ইসলাম বাজারজাতকারীদের(Muslim Apologists) কাছে খুবই প্রিয় একটি যুক্তি। আরবীতে এটাকে বলে তাকরীর। এই হেত্বাভাস উল্লেখ করে যে, ইসলাম ১৪০০ বছর ধরে অবস্থান করছে, সুতরাং এটা সত্য হতে বাধ্য।
“হাজার বছর ধরে বেঁচে আছে” এমন অনেক উদাহরন দেয়া যায় যেগুলো আখেরে ঠিকই নগ্ন হয়েছে। এমনই একটি মতবাদ ছিল ভূ-কেন্দ্রিকতা। গ্যালিলিও রংমঞ্চে আবির্ভুত হবার আগে সবার বিশ্বাস ছিল পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মান্ডের কেন্দ্রে অবস্থিত। মানবসমাজের সমান বয়সী এই মতবাদ বিশ্বাস করত সূর্য, চন্দ্রসহ সমস্ত গগনপট পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। গুটিকয়েক মানুষই এই তত্ত্বের বিরোধিতা করেছে। অনাদিকালের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অভিজ্ঞ এই মতবাদও শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমানিত হয়েছে।
আর্গুমেন্টাম অ্যাড নিউমেরাম(Argumentum ad numerum):
আরেকটি হেত্বাভাস যা মুসলমানেরা আঁকড়ে ধরে আছে তা হল, যেহেতু বিপুল সংখ্যক মানুষ ইসলামে বিশ্বাস করে তার জন্যে ইসলাম সত্য হতে বাধ্য। (অনেকটা এরকম”মাইনষয়ে খায়, আমিও খাই”।) তাদের কথা হলঃ “এতসব মানুষ কিভাবে ভুল হয়?”
আর্গুমেন্টাম অ্যাড নিউমেরাম বলে যে, যতবেশী সংখ্যক মানুষ একটি দাবী সমর্থন করবে তার সত্য হবার প্রবনতা তত প্রবল হবে।
শুধুমাত্র কেউ বিশ্বাস করে না বলেই একটা সত্য মিথ্যা হয়ে যায় না, তদ্বিপরীতভাবেও একই কথা বলা যায়। সত্যকে অধিকাংশের মতামতের কাছে বলি দেয়া যায় না। সত্য বিশ্বাসকে পরোয়া না করেই বেঁচে থাকে। আমরা ভোটাভুটি করে সত্য নিরুপন করতে পারি না। পৃথিবী কখনোই সমতল ছিল না, এমন কি যখন সবাই ওটাই বিশ্বাস করত তখনও না।
আর্গুমেন্টাম অ্যাড পপিউলাম (Argumentum ad populum):
আর্গুমেন্টাম অ্যাড পপিউলাম হল আর্গুমেন্টাম অ্যাড নিউমেরামের আরেকটি রূপ। এটা আমাদের জানায় যে, কোন একটা কিছু সত্য কারন সেটা বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সানুনয়ী বা আবেদনসৃষ্টিকারী(Appealing)। আপনি এই হেত্বাভাস পালন করবেন যখন, আপনি কোন বিবৃতির ন্যায্যতা দাবী করবেন সেই বিবৃতি কতজন পছন্দ করে তার উপরে নির্ভর করে। আবেগপূর্ণ কথাবার্তা প্রায়শই এই ধরনের হেত্বাভাসের বড় বৈশিষ্ট। যেমনঃ ইসলাম ১৪০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে অবস্থান করছে এবং এর বিলিয়নের উপরে অনুসারী আছে। মানুষের জীবনের উপরে ইসলামের ব্যাপক প্রভাব ছিল এবং এখনও আছে। এটা পৃথিবীকে বীজগণিত এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক উপহার দিয়েছে। যখন ইউরোপ অন্ধকার যুগে আচ্ছন্ন তখন বাগদাদের রাস্তা ছিল তীব্র দ্যুতিময়। ইসলাম সবচাইতে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে এরা সবাই ভুল করেছে?
তো, কেন ইসলাম উতরে গেল? আপাতবিরোধী হলেত্ত সত্য, ইসলাম টিকে গেছে কারন এটা একটা মহামিথ্যা! এডলফ হিটলার তার মেইন ক্যাম্ফ(১৯২৫) বইতে বলেছেনঃ
“জনতার বৃহৎ অংশ একটা ছোট্ট মিথ্যার চাইতে বড় মিথ্যার শিকার হবে বেশি সহজে”। বৃহৎ মিথ্যার অন্তর্গত শক্তি এবং যতবড় মিথ্যা ততই বিশ্বাসযোগ্য শোনাবে এটা যদি কারো জানার প্রয়োজন ছিল, তো সেটা হল হিটলার। আরেকটা চমৎকার উক্তি হল
জর্জ অরওয়েলের, Politics and the English Language বইয়ের লেখক। তিনি লিখেছেনঃ
“রাজনৈতিক ভাষা…………নির্মিত হয় মিথ্যেকে সত্য হিসেবে এবং হত্যাকে সম্মানজনক হিসেবে আর হাওয়াকে কঠিন হিসেবে দেখানোর জন্য।”
বিশাল মিথ্যাগুলো কেন এত বিশ্বাসযোগ্য? এর পেছনের ব্যাখা হল, একজন সাধারন গড়পড়তা মানুষ খুব বড় ধরনের মিথ্যা বলতে সাহসই করে না। তার ভয় থাকে তাহলে তার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না আর সে সবার হাসির খোরাকে পরিণত হবে। আর সবাই যেহেতু ছোটখাট গা বাঁচানো মিথ্যা বলেছে বা শুনেছে সেজন্য মোটামুটি সবাই সেটা শোনা মাত্র ধরে ফেলে। বড়সড় এই মিথ্যা গুলো এতই অস্বাভাবিক হয় যে, শ্রোতা একরকম চমকে ওঠে। বেশীরভাগই এগুলো হজম করার জন্য প্রস্তুত থাকে না। যখন মিথ্যাটা হয় প্রকান্ড, তখন শ্রোতা বিস্ময়ে ভাবে কিভাবে একজন মানুষ এই ধরনের কথা বলার স্পর্ধা করতে পারে, ঔদ্ধত্য দেখাতে পারে। তখন আপনার হাতে থাকে দুটো মাত্র সিদ্ধান্তঃ এই কথা যে বলছে হয় সে মাথানষ্ট পাগল, বুজরুক আর নয়ত সে যা বলছে সত্যি। এখন যেকোন কারনেই হোক যদি এমন হয় যে, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার আগে থেকেই একটা সমীহভাব ছিল, তার ক্যারজম্যাটিক ব্যক্তিত্বের প্রতি অথবা কোন অঙ্গীকারবোধ থেকে, এবং যার জন্য তার পাগলামিকে আপনি প্রত্যাখ্যান করতে পারছেন না? তখন আপনি আসলে আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেন যে সে যা বলছে তা সত্য, এমন কি তার দাবী অর্থহীন হলেও।
প্রকান্ড আকারের মিথ্যা আমাদের সাধারন বিচার বিবেচনাবোধকে উড়িয়ে দেয়। এটা অনেকটা কিলোগ্রাম মাপার যন্ত্র দিয়ে টন মাপার মতন। এটা আর সঠিক ওজন দেখায় না। এমন কি এটা মাঝে মাঝে কোন ওজনই দেখায় না। অতএব বলা যায়, হিটলার ঠিক ছিল। বিরাট আকারে মিথ্যা কখনও কখনও ছোট মিথ্যার চাইতেও বিশ্বাসযোগ্য হয়।
মোহাম্মদ যখন তার সাত আসমানে ঘুরে আসার কথা বলে, আবু বকর প্রথমে হতচকিত হয়ে যায়। কি করা যায় সে বুঝতে পারছিল না। কথাগুলো ছিল সম্পূর্ণই পাগলামি। তার কাছে শুধুমাত্র দুটো পথ খোলা ছিল। হয় তাকে স্বীকার করতে হবে, যে মানুষটার জন্য সে এত উপহাস সহ্য করেছে সে মাথায় ছিটগ্রস্থ, নইলে তাকে জোর করে তার সমস্ত কল্পকাহিনীতে বিশ্বাস করতে হবে। তার জন্য কোন মধ্যমপন্থা খোলা ছিল না।
ইবনে ইসহাক বলেন, যখন মোহাম্মদ তার কল্পনাগুলো সবার কাছে বলল, “তখন অনেক মুসলমান তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। কয়েকজন আবু বকরের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমার বন্ধু সম্পর্কে তোমার মতামত কী? সে দাবী করছে সে গতরাতে জেরুজালেমে গিয়েছিল, সেখানে নামাজ পড়েছে, আবার মক্কায় ফিরেও এসেছে!
উত্তরে আবু বকর তাদের মিথ্যাবাদী বলল। তখন তারা বলল, সে(মোহাম্মদ) তখনও মসজিদে বসে এই কথাগুলো বলছে। আবু বকর বলল, যদি সে ঐ কথা বলে থাকে তাহলে সত্যিই বলেছে। আর এ কথায় এত বিস্ময়েরই বা কি আছে? উনি তো আমাকে দিনে অথবা রাতে স্বর্গ থেকে আল্লাহর যোগাযোগের কথা বলেছেন, এবং আমি বিশ্বাসও করেছি। এটাতো তোমরা যা নিয়ে লাফালাফি করছ তার চেয়েও বেশী বিস্ময়কর!
নিখুঁত যুক্তি। বস্তুত আবু বকর আসলে যা বলেছিল তা হল, যখন আপনি আপনার যুক্তিকে শিকেয় তুলে অযৌক্তিক জিনিসে বিশ্বাস করা শুরু করেন তখন আপনি যে কোন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেন। একবার যখন আপনি নিজেকে বোকা বানিয়েছেন তখন সারাজীবন বোকা হবার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারন বোকামির শেষ নেই। এমন ক’জন আছেন যারা ৫৪ বছরের এক বুড়োর সাথে ৯ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে শুতে দেবে? এর জন্য দরকার চুড়ান্ত গাধামী। আর এই গাধামী শুধুমাত্র অন্ধ বিশ্বাসের মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।
আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আবু বকর, ততদিনে তার প্রায় সমস্ত সম্পত্তি মোহাম্মদ আর তার পাগলামির জন্য ব্যয় করেছে। এই লোকটা অনেক ঝুকি নিয়েছে। এই পর্যায়ে এসে তার বন্ধুর কথায় চলা ছাড়া আর কোন পথ তার ছিল না। সে পরিচালিত হচ্ছিল এটা চিন্তা করাটাই ছিল বেদনাদায়ক। এটা সে তার স্ত্রীর কাছে কীভাবেই বলত? কীভাবে মক্কার জ্ঞ্যানী গুনিদের কাছে বলত, যারা কিনা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছিল, তাকে মাথামোটা বলেছিল? আবু বকরের জন্য পেছন ফেরার দরজা বন্ধ হয়ে গিয়ছিল। সে শুধু একটা কাজই করতে পারত তাহল মোহাম্মদ যা বলে তা শুধু শুনে যাওয়া। তার বিবেককে কবর দিতে হয়েছিল আর মোহাম্মদের কল্পনায় বিশ্বাস করতে হয়েছিল। যখন একজন মাত্র মানুষের উপরে আপনি আপনার সমস্ত বিশ্বাস রাখেন এবং তার জন্য বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেন, তখন আপনি আপনার স্বাধীনতা ছুড়ে ফেলেন আর পরিণত হন তার হাতের পুতুলে। আর এই জিনিসটাই বিরিঞ্চিবাবারা তাদের অনুসারীদের কাছ থেকে চায়। শুধুমাত্র এ ধরনের একনিষ্ঠতাই পারে তাদের নার্সিসিষ্ট(এটার বাঙলা কী??) চাওয়াকে সম্পূর্ণভাবে চরিতার্থ করতে।
মোহাম্মদের ঐসব গালগপ্প আবু বকরের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু তারপরেও অবশেষে সে তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিল একারনে যে, তাকে ত্যাগ করা মানে হল মেনে নেয়া যে সে এতদিন গাধামী করেছে আর সেটা হত একটা বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা। আপনি যাকে ঈশ্বরের দূত বলে মেনে নিয়েছেন তার সমালোচনা করা বেশ কঠিন একটা কাজ। বস্তুত এটা একটা বেশ বীরত্বপূর্ণ কর্ম, যেটা দূর্বল মনের একজন বিশ্বাসীর পক্ষে অসম্ভব। যতই আপনি আপনার স্বাধীনতা ত্যাগ করছেন, যতই ঐ ব্যক্তির জন্য ত্যাগ স্বীকার করছেন, তাকে ছেড়ে যাওয়া ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। আপনি কীভাবে আপনার বন্ধু বান্ধবদের কাছে মুখ দেখাবেন, বলবেন আপনি এতদিন প্রতারিত হয়েছেন? আপনার বিবেকের সাথেই বা কীভাবে আপোষ করবেন এতগুলো বছর, এত অর্থ নষ্ট করার জন্য?
একজন গড়পরতা সাধারন মানুষ যেটা বুঝতে পারে না তা হল, এই বিরিঞ্চিবাবারা মোটেও কোন সাধারন ব্যক্তি নয়, তারা সাইকোপ্যাথ। কিন্তু তাদেরকে ধরতে পারাটা খুব একটা সহজ নয়। এই নার্সিসিস্ট গুলো প্রায়ই যে শুধু স্মার্ট তাই নয়, প্রতিভাবানও বটে। তারা কমনীয়, হাসিখুশী, অমায়িক, বুদ্ধিমান এবং ক্যারিজম্যাটিক। বুদ্ধিমত্তার সাথে সাইকোপ্যাথলজির কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু সাইকোপ্যাথের যেটার অভাব সেটা হল বিবেক। উচ্চতর ধীশক্তি আর বিবেকহীনতা, এই দুয়ের সমাহার তাকে চরম বিপজ্জনক করে তোলে। এক্ষেত্রে হিটলার একটা যথাযথ উদাহরন। গানপয়েন্টে রেখে আপনার
যথাসর্বস্ব কেড়ে নেওয়া বেরসিক সাইকোপ্যথটার থেকে অনেক অনেক বেশী বিপজ্জনক হল ঐ চতুর সাইকোপ্যাথটা যে কিনা বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথা আর মিথ্যে অঙ্গিকার দিয়ে মিলিয়ন মিলিয়িন লোককে বিপথে চালিত করে।
হিটলার, স্ট্যালিন ছাড়াও ইতিহাসের অনেক স্বৈরশাষকরাও ছিল বিকৃতমস্তিষ্কের। তবুও কয়েকজনই মাত্র তাদের পাগলামীতে সন্দেহ করেছে। স্বৈরশাষকের উন্নত ধীশক্তিই সম্রাটের অদৃশ্য ছদ্মবেশ। প্রত্যেকেই এটা দেখে এবং স্তুতি প্রকাশ করে। যারা এই পরিমন্ডলে পরে না তারাও পরবর্তিতে অন্যান্য সকলের দেখাদেখি বিশ্বাস করে ফেলে। এভাবেই মিথ্যাটা চিরস্থায়ী হয় এবং কোন প্রকার সমালোচনা সহ্য করা হয় না।
সহিংসতার ব্যাবহারঃ
সম্পূর্ণভাবে গ্রহন হবার পরেও মিথ্যাবাদী সাইকোপ্যাথ তার মিথ্যেকে বাঁচিয়ে রাখতে সহিংসতা ব্যবহার করতে প্রস্তুত থাকে। দাবী সমর্থন করতে জোর প্রয়োগ করা আরেকটি হেত্বাভাস যেটা অত্যন্ত সফলভাবে স্বৈরশাষকদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই হেত্বাভাসটার নাম আর্গুমেন্টাম অ্যাড ব্যাসিউলাম(Argumentum ad baculum)। এটা হয় যখন কেউ একজন একটি সিদ্ধান্ত অন্যদের গ্রহন করার জন্য জোর প্রয়োগ করে বা জোর করার হুমকি দেয়।
মোহাম্মদ তার বিজয়গুলোকে স্বর্গীয় সহায়তার কথা বলে মহিমান্বিত করত। সত্য হল সে জিতত,”Because he played Dirty”। আল্লাহ তার পক্ষে ছিল এই কারনে সে জেতে নাই, বরং সে জিতেছে কারন সে ছিল চতুর, নিষ্ঠুর এবং স্থিরসঙ্কল্প যেকোন ভাবে জেতার জন্য এমন কি শঠতা এবং বিশ্বাসঘাতকতার মধ্য দিয়ে হলেও! অপ্রস্তুত নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করতে হলে আপনার পক্ষে ঈশ্বরের থাকার কোন দরকার নেই।
আর্গুমেন্টাম অ্যাড ব্যাসিউলাম(Argumentum ad baculum)কে বলা যায় এভাবে, “শক্তিই মুক্তি”(Might is Right) হুমকিগুলো সরাসরি হতে পারে এমনঃ
* পৌত্তলিকদের যেখানেই পাও হত্যা কর। (Slay the idolaters wherever you find them. 9:5)
* আমি অবিশ্বাসীদের মনে ভয়ের সঞ্চার করবঃ অতএব ঘাড়ের ওপরে আঘাত কর আর তাদের থেকে সমস্ত প্রতঙ্গ কেটে ফেল।(I will instill terror into the hearts of the unbelievers: smite ye above their necks and smite all their finger-tips off them 8:12) ৮ঃ১২
অথবা হতে পারে একটু ঘুরিয়ে পেচিয়েঃ
* আর যারা অবিশ্বাস করে আর আমাদের নিদর্শনসমুহকে মিথ্যারোপ করে, তারা দোজখবাসী। (And as for those who disbelieve and reject Our Signs, they are the people of Hell 5:11) এটা হবে ৫ঃ১০।
* তার(অবিশ্বাসী) জন্য এই দুনিয়াতে রয়েছে লাঞ্ছনা, আর কিয়ামতের দিনে আমরা তাকে আস্বাদন করাব জ্বলা-পোড়ার শাস্তি। (For him [the disbeliever] there is disgrace in this life, and on the Day of Judgment We shall make him taste the Penalty of burning (Fire)) ২২ঃ৯।
* যারা আমাদের নির্দেশাবলীতে অবিশ্বাস করে, নিশ্চই তাদের আমরা অচিরে আগুনে প্রবেশ করাবো। যতবার তাদের চামড়া পুরোপুরি পুড়ে যাবে ততবার আমরা সেগুলো বদলে দেব তার পরবর্তে অন্য চামড়া দিয়ে যাতে তারা শাস্তি আস্বাদন করতে পারে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞ্যানী। ((As for) those who disbelieve in Our communications, We shall make them enter fire; so oft as their skins are thoroughly burned, We will change them for other skins, that they may taste the chastisement; surely Allâh is Mighty, Wise. (Q. 4:56) ) ৪ঃ৪৫।
হুমকি এই প্রকান্ড মিথ্যেকে একটা নাটকীয় গুরুত্ব প্রদান করে। আঘাতটা এতই তীব্র যে একজন এ সম্পর্কে নির্বিকার থাকতে পারে না। “একজন মানুষ কীভাবে এতটা নিশ্চিত হতে পারে যে ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের শাস্তি দেবেন??” অথবা, “একজন মানুষ কীভাবে এতজনকে হত্যা করতে পারে শুধুমাত্র তাকে অবিশ্বাস করার জন্য??” আপনি তখন বিস্মিত হন এবং আরো বিশ্বাসপ্রবন হয়ে পড়েন এবং আর্গুমেন্টাম অ্যাড ব্যাসিউলাম(Argumentum ad baculum) কাজ করে। সর্বাধিক সহিংসতা সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য। উত্তর কোরিয়ানরা আক্ষরিক অর্থেই উন্মাদ কিম জাং-কে পূজো করে। এটা নিশ্চিতভাবেই এসেছে চরম সহিংসতা এবং সমালোচনার প্রতি কোন প্রকার সহনশীলতা না দেখনোর মাধ্যমে।
আউম শিনরিক্য (Aum Shinrikyo) কাল্টের গুরু শোকো আশারা(Shoko Asahara) যখন তার মুরিদগুলোকে টোকিয়োর সাবওয়েতে স্যারিন গ্যাস ছেড়ে নিরীহ মানুষগুলোকে হত্যা করতে বলেছিল , তারা এই ন্যাক্কারজনক আদেশের বিরোধিতা করেনি। তারা তাদের বিবেককে স্তব্ধ করে রেখেছিল এবং এটাকে তাদের গুরুর উচ্চতর জ্ঞ্যানের পরিচয় ভেবেছিল। তাদের দুটো পথ খোলা ছিল সামনে। হয় তাদের স্বীকার করতে হত যে সে একজন উন্মাদ এবং তারা এতিদিন গাধামী করে এসেছে আর তাদের এত দিনের তিতিক্ষা সবই বৃথা নয়ত, বিশ্বাস করতে হত যে এই ব্যক্তির জ্ঞ্যানের গভীরতা মাপার মতন জ্ঞ্যান তাদের নেই, যার জন্য তার কাজে প্রশ্ন করা উচিত নয়। এই মানুষগুলো আশারা’র সাথে থাকার জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিল। তাদের অতীত জীবনের সাথে সমস্ত যোগাযোগ তারা বিচ্ছিন্ন করেছিল। তারা যদি তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করেও, তাহলেও যাওয়ার কোন জায়গা তাদের নেই। যেহেতু আশারাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা মতবিরোধ সহ্য করা হবে না সেহেতু সে যা বলে তাতে বিশ্বাস করা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় ছিল না। তারা সমস্ত সন্দেহ অগ্রাহ্য করে নিজেরকেই জোর করে বিশ্বাস করিয়েছিল।
ডাঃ ইকুয়ো হায়াসি(Dr. Ikuo Hayashi) ছিল একজন নামকরা ডাক্তার যে কিনা আশারার একজন একান্ত অনুসারীতে পরিণত হয়েছিল। যে পাঁচজন ব্যক্তিকে টোকিয়ো সাবওয়েতে স্যারিন গ্যাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল হায়াসি ছিল তাদের একজন। হায়াসি ছিল জীবন বাঁচানোর জন্য হিপোক্রেটিক শপথ নেয়া প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ফিজিশিয়ান। বিষাক্ত তরল মেশানোর একটা সময় হায়াসি তার সামনে বসা একজন মহিলার দিকে তাকিয়ে ভীত হয়ে পড়েছিল। সে জানত যে সে ঐ নারীকে হত্যা করতে চলেছে। কিন্তু পরমূহুর্তেই সে তার বিবেককে চুপ করিয়েছিল এবং নিজেকে প্রবোধ দিয়েছিল একথা বলে যে “আশারাই সবচেয়ে ভালো জানে” এবং তার গুরুর জ্ঞ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।
বিনা কারনে কাউকে হত্যার কথা সাধারন একজন মানুষ চিন্তাও করবে না। এই মানুষটা আপনাকে বিশ্বাস করিয়েছে আপনার স্বর্গ নরকে যাওয়ার চাবি তার কাছে। আপনার পরকালের ভাগ্য তার হাতে। আপনি তার উপরে আনুগত্য রেখেছেন এবং বিশ্বাস করেছেন সে যা বলেছে তাতেই আর আপনি এমনকি তার কথায় সন্দেহ করতেও ভীতিবোধ করেন। সে আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে আপনি যদি তাকে সন্দেহ করেন তাহলে আপনি দোজখে যাবেন। আপনার হাতে দুটো পথ, উন্মাদ হিসেবে তাকে সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা নয়ত তার সমস্ত কিছুতেই প্রশ্ন না তুলে বিশ্বাস করা। আপনি নিজের কাছেই প্রশ্ন তুলছেন, “কী হবে লোকটা যদি সত্যি বলে?” তার অবাধ্য হলে আমাকে চিরকালের জন্য শাস্তিগ্রহন করতে হবে। এই ঝুকিটা কি নেয়া যায়? চাইলেই দেখা যাচ্ছে কতশত মানুষ তাকে গ্রহন করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা খুবই চালাক চতুর। তারা সবাই কি ভুল হতে পারে? আপনি আপনার নিজের সাথে কথা বলবেন নিজের বিবেককে চুপ করিয়ে। এখন আপনার কাছে প্রশ্ন আসবে আপনি কী করবেন? এই ধর্মটাই আপনার সবকিছু। সুতরাং আপনি আপনার বিবেক চুপ রাখেবেন, বুদ্ধিমত্তা বন্ধক রাখবেন আর মেনে নেবেন আপনাকে যা করতে বলা হবে। আপনার বাধ্যতাকে পুরস্কৃত করা হবে। আপনার সাথীরা আপনার নিষ্ঠা, ত্যাগ, বিশ্বাসের প্রশংসা করবে। আপনার কর্মকান্ড প্রথমে আপনার বিবেককে জাগ্রত করলেও এই সমস্ত প্রশংসা আপনার সান্তনা দেবে। আপনার ভেতরে ভালো লাগা তৈরী করবে। ক্রমেই আপনার কাছে খারাপকে ভালো এবং হত্যাকে স্বর্গীয় বলে মনে হবে।
সেজন্য আপনি বিশ্বাস করবেন আপনার গুরুর কথা যখন সে বলবে মানুষ হত্যা করে আপনি স্বর্গে যাবেন। যখন আপনাকে আপনার নিজের জীবন বলি দিতে বলবে, আপনি হাসিমুখে তাই করবেন। যখন আপনাকে আপনার নিজের সম্পত্তি, আপনার নিজের স্ত্রী কিংবা নিজের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে তার সাথে শোবার জন্য চাইবে, আপনি কোন প্রকার সংকোচ ব্যাতিতই তা করবেন। আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তা, ইচ্ছাশক্তি তার কাছে বন্ধক রেখছেন। আপনার ভাবনা চিন্তা বা প্রশ্ন করার মতন কোন যৌক্তিকতাই থাকে না, শুধুমাত্র আদেশ পালন করা ছাড়া। আপনি প্রচন্ডভাবে চেষ্টা করবেন অনুগত হবার জন্য। সেবা এবং সংযমে আপনি আপনার সাথীদের ছাড়িয়ে যেতে চাইবেন। আপনাকে বলা হয়েছে, এবং আপনি বিশ্বাস করেছেন যে, যতবড় ত্যাগ ততবড় পুরষ্কার। আপনি ঐ ব্যক্তিকে সেবা করতে পেরে, তার জন্য আপনার সম্পত্তি ব্যয় করতে পেরে এবং আপনার জীবন তার এবং তার দর্শনের জন্য ত্যাগ করতে পেরে এবং তার ইচ্ছা পূরন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করবেন।
ষোল বছরের কিশোর ওমাইয়ার মোহাম্মদের একটি যুদ্ধের সঙ্গী ছিল। মোহাম্মদ শহীদের মর্যাদা সম্পর্কে এমন স্ফুরিত, প্রদীপ্ত ভাষায় বর্ননা করেছিল যে তার ধর্মান্ধতায় আগুন ধরে গিয়েছিল। খাওয়ার জন্যে মুঠোয় নেয়া খেজুর ছুঁড়ে ফেলে চিৎকার করে বলে উঠেছিল,”এগুলোই কী আমাকে জান্নাত থেকে দূরে রেখছে? নিশ্চিতভাবেই, আমি আমার প্রভুর সাথে দেখা করার আগে এর স্বাদ আর নেবো না।“ (“Is it these that hold me back from Paradise ? Verily, I will taste no more of them, until I meet my Lord!”)। এই কথাগুলো বলে সে শত্রুর শিবিরের দিকে এগিয়ে গেল এবং অতি শীঘ্রই তার আরাধ্য ভাগ্য বরন করল।
আপনি একবার বিশ্বাসী হয়ে গেলে, আপনার প্রিয় নবী মিথ্যে বলতে পারে সেই সম্ভবনাই উড়িয়ে দেবেন। সাইকোপ্যাথরা বিবেকশুন্য হয়। কোন প্রকার অনুশোচনা ছাড়াই এরা মিথ্যে বলতে পারে, মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ হত্যা করতে পারে। এটা করাকে তারা তাদের দায়িত্ব মনে করে। হিটলার বিশ্বাস করত সে ঈশ্বরের কাজ করছে। বস্তুত, তার প্রকাশিত বক্তব্যের মধ্যেই সেটা পরিষ্কার দেখা যায়। তার বই মেইন কেম্ফ-এ লিখেছেঃ
“সেজন্য আজ আমি বিশ্বাস করি, ইহুদিদের প্রতিরোধ করে আমি সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করছি,, আমি পালনকর্তার জন্য যুদ্ধ করছি।“(Hence today I believe that I am acting in accordance with the will of the Almighty Creator: by defending myself against the Jew, I am fighting for the work of the Lord.)
আয়াতুল্লাহ মোনতাযেরী, খোমেইনির কৃপাদৃষ্টি থেকে বঞ্চিত এবং তার সাথে মতের অমিল হবার আগ পর্যন্ত যার খোমেইনির স্থলাভিসিক্ত হবার কথা ছিল, তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, যখন খোমেইনি তিন হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ছেলে মেয়েকে হত্যা করার হুকুম দিয়েছিল, তখন মোনতাযেরী তাতে বাধা দেন। খোমেইনি তখন বলেছিল যে, সে যেন চুপ থাকে এবং এ কাজে নাক না গলায়, এই কাজের জন্য সে(খোমেইনি) আল্লাহর কাছে জবাব দেবে।
সাইকোপ্যাথগুলোর নেতৃত্ব দেবার সহজাত ক্ষমতা থাকে। থাকে আড়ম্বরপূর্ণ ধ্যান-ধারনা আর থাকে ব্যাপক আবেদন। তাদেরকে মনে হতে পারে তারা শক্তিমত্তার স্তম্ভ এবং জন্মনেতা। এটা শুধু আপনিই না, আরো বহু “চালাক-চতুর” মানুষ একইভাবে তাদের “মাহাত্ম্য” চিনতে পারে। এই মানুষগুলোর প্রত্যকে কিভাবে ভুল হয়? আপনি বিস্মিত হবেন এবং তার উচ্চারিত কথাগুলোকে যুক্তি দিয়ে সরাসরি বাদ না দিয়ে ঐ কথাগুলোর কোন লুকায়িত এবং গূঢ় মানে খুজে বের করবেন যা ঐ কথাগুলোকে সমর্থন করতে পারে। তার কথাবার্তা যতবেশী অর্থহীন, আপনার কাছে মনে হবে ততবেশী অলৌকিক আর স্বর্গীয়।
হিটলার বিপুল জার্মানদের সমর্থন আদায় করেছে শুধুমাত্র তার মিথ্যাগুলোকে খাইয়ে। সে ছিল একজন মনোমুগ্ধকর বক্তা। যখন সে বক্তৃতা দিত, তার কন্ঠ প্রবল থেকে প্রবলতর হত এবং জার্মানীর ভেবে নেয়া শত্রুদের দিকে তার রোষ উগ্রে দিত। জার্মানদের মধ্যে সে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলেছিল। যতবড় মিথ্যা, ততবেশী বিশ্বাসযোগ্য, তার এই বিশ্বাস প্রমানিত হয়েছিল। তারা তাকে ভালোবাসত এবং তার অগ্নিবৎ ভাষনে কান্নাসিক্ত হত।
ইবনে সা’দ একটি হাদিসের উল্লেখ করে যেটা হিটলার আর মোহাম্মদের মধ্যে সাদৃশ প্রকাশ করেঃ ধর্মোপদেশের সময়, যখন সে গলা উচিয়ে কথা বলত তখন তার চক্ষু লাল হয়ে উঠত এবং একজন সেনাবাহিনীর অধিনায়কের মতন তার লোকেদের দিকে রাগান্বিতভাবে সতর্কবানী দিতেনঃ”পূনরুত্থান এবং আমি এই দুটো আঙুলের মতন( তার তর্জনী এবং মধ্যমা দেখিয়ে) । মোহাম্মদের পথনির্দেশনই সর্বত্তম এবং নিকৃষ্ট হল তার পরিবর্তন। আর পরিবর্তনের ফলাফল হল নরকবাস। ”
ইবনে সা’দ একই জায়গায় বলছেনঃ “ধর্মোপোদেশের সময় নবী একটা ছড়ি চালনা করতেন।”( সম্ভবত তার কর্তৃত্বের চিহ্নস্বরুপ!!)
অন্যকে শৈল্পিকভাবে, নির্লজ্জের মত নিজকার্যে নিপূণভাবে ব্যবহার করা এমন কোন কাজ নয় যেটা আপনি কিংবা আমি শিখে ফেলব, অথবা সহজে আয়ত্ব করব। আমাদের সবচেয়ে বড় “অসুবিধা” হল আমাদের “বিবেক”। বিবেকশুন্য সাইকোপ্যাথগুলোর মধ্যে ওরকম নিপুণতা প্রাকৃতিকভাবেই এসে পড়ে। হিটলার, মাও, পলপট, স্ট্যালিন এবং মোহাম্মদরা ছিল বিবেক রহিত।
কাজেই কেন ইসলাম সফল হয়েছে? এর চারটি উত্তর রয়েছেঃ
* ইসলাম বৃহত্তম মিথ্যা।
* মোহাম্মদ ছিল নিষ্ঠুর স্বেচ্ছাচারী।
* ইসলাম ভিন্নমতের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় অসহনশীল।
* ইসলাম ক্ষমতার একটি অস্ত্র।
কেন সবাই মোহাম্মদের প্রশংসা করেছিল?
মুসলমানদের একটা প্রশ্ন খুবই বিচলিত করে তা হল, মোহাম্মদ যদি এতই খারাপ হবে তাহলে তার সাহাবীরা কেন তার এত প্রশংসা করেছিল? কেন কেউ তার নিন্দা করেনি, এমন কি সে মারা যাবার পরেও?
উত্তর হল, যে সমাজ ব্যক্তিপূজোর উপরে ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে মনের কথা খুলে বলাটা সবসময় নিরাপদ নয়। সত্য কথা সমাজ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করতে পারে, অথবা আরো খারাপ, আপনার জীবনটাই খরচ হয়ে যেতে পারে। যেসব মানুষ ভিন্নভাবে চিন্তা করতে পারে তারা মুখ ভালোভাবেই বন্ধ রাখতে জানে, জানে কিভাবে ঘাড়ের উপরে মাথাটা রাখতে হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আবি সারহ, যে কিনা মোহাম্মদের হয়ে কোরান লিখে দিচ্ছিল, সে বুঝে ফেলেছিল আসলে কোন প্রকার দৈববাণী ছিল না, মোহাম্মদই কোরান বানাচ্ছিল। তার মদীনায় পালিয়ে যেতে হয়েছিল এবং শুধুমাত্র মক্কার নিরাপদে পৌছে সে যা পেয়েছিল তা প্রকাশ করেছিল। তথাপি, মোহাম্মদ মক্কা বিজয়ের পর আবি সারহকে ততক্ষণাৎ খুজে নিয়ে এসে তাকে হত্যা নির্দেশ দেয়। তবে সে বেচে যায় ওসমান মধ্যস্থতা করায়, যে কিনা তার বৈমাত্রেয়(তারা একই সাথে প্রতিপালিত হয়েছিল) ভাই ছিল।
যেখানে সমালোচনা স্তব্ধ করে দেয়া হয়, সেখানে পরগাছা, পা-চাটারা প্রশংসা করে, মোসাহেবি করে, যা নয় তাই ফলাও করে প্রচার করে নেতার কৃপাধন্য হতে চাইবে। মোহাম্মদের মৃত্যুর পরেও, পরগাছাগুলো তাদের তোষামোদী অব্যাহত রাখে, মহিমাকীর্তন করে আকাশে তুলে ফেলে, এমন কি তার নামে অলৌকিক ঘটনার কথাও বলে এই চিন্তা থেকে যে এগুলো তাদের মর্যাদা বাড়াবে, তাদেরকে পুণ্যাত্মা হিসেবে দেখাবে। মোহাম্মদের গায়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটানোর তকমা লাগানো হয়েছে, যদিও সে নিজেই কোরানে এ ব্যাপারে তার অপারগতার কথা বলেছে। (১৭ঃ৯৩)
১৪০০ বছর পরেও মুসলমানেরা একইভাবে আচরণ করে যেটা করত মক্কায় মোহাম্মদের সময়। যারা ভিন্নমত পোষণ করে তারা কথা বলতে ভয় পায়, আর যদি বলেই ফেলে তাহলে দ্রুত তাকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়, অন্য দিকে ধামাধরা সামান্য পরগাছাগুলোকে সম্মান করা হয় মোহাম্মদ এবং তার “গুণাবলী” ধরে রাখার জন্য। এমন ভন্ডামী আর চাটুকারীতায় ভরা উৎপীড়নকারী পরিবেশে কীভাবে সত্যের জয় হবে?
এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে, মোহাম্মদ তার সমালোচনাকারীকে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে, আর ওমর, ছিল মোহাম্মদের ডান হাত, তলোয়ার হাতে সদাপ্রস্তুত থাকত, যারাই মোহাম্মদের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলত তাদের ঠোঁট কেটে নেয়ার হুমকি দিত। মোহাম্মদ চাটুকারীতাকে উৎসাহিত করত, আর মুক্তচিন্তা, সমালোচনাকারীদের শাস্তি দিত।
এরকম উৎপীড়নকারী পরিবেশে বসবাসকারী মানুষ একসময় সেই নেতার অতিমানবীয় গুণাবলীতে বিশ্বাস আনে এবং তাদের বিশ্বাস সত্য এবং বাস্তবে পরিণত হয়।
সম্প্রতি চক্ষুসার্জনদের একটি দল উত্তর কোরিয়াতে গিয়েছিল ছানিআক্রান্ত মানুষদের সাহায্য করতে। হাজার হাজার নবীন, বৃদ্ধ লাইনে দাড়িয়েছিল এবং দৃষ্টি পুনরূদ্ধারের পরে ডাক্তারা স্তম্ভিত হয়ে দেখল তারা ডাক্তারদেরকে ধন্যবাদ না জানিয়ে প্রথমেই দেয়ালে ঝুলতে থাকা কিম ঝিং-এর প্রতিকৃতিতে প্রণত হচ্ছিল এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছিল, যেই স্বেচ্ছাচারী কিনা বছরের পর বছর তাদেরকে অন্ধ বানিয়ে রেখেছিল।
মোহাম্মদের মিশন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল অংশত কারন , সে এমন এক সময়ে, এমন এক জায়গায় দেখা দিয়েছে যেখানে সে ছিল, একদল অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন অধিকন্তু, উৎকট স্বদেশভক্ত লোকদের মাঝে। তার লুটতরাজের ধর্মকে খাড়া করাবার জন্য যেসব গুনাবলী দরকার সেগুলো আগে থেকেই তার অনুসারীদের মাঝে ছিল। তীব্র উৎকট জাতীয়তাবোধ, ধর্মান্ধতা, উদ্ধতভাব, দাম্ভিকতা, অতিআত্মম্মন্যতা(Megalomania), নির্বুদ্ধিতা, আত্মপ্রশংসা, লোভ, যৌনলালসা, জীবনের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্যভাব এবং আরোও নিকৃষ্ট চরিত্র যেগুলো ইসলামের নির্দেশক ছাপ(Hallmark), এগুলো আগে থেকেই কাঁচা-মাল(materia prima) হিসেবে আরবে উপস্থিত ছিল যেখানে মোহাম্মদ তার “প্রোফেটিক এন্টারপ্রাইজ” চালু করেছিল। এসমস্ত গুনাগুণ পরবর্তিতে ইসলামের বলি অন্যসকল জাতির উপরেও চাপানো হয়েছিল। যাদের এসব প্রাথমিক গুণাবলী যেগুলো ইসলামে পাওয়া যায় আগে থেকেই ছিল, তারা একটা সাধারন ভুমি পেল পূনর্বিন্যস্ত হতে এবং তাদের অনৈতিক, অপরাধমূলক কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে।
আগামী খন্ডে সমাপ্ত…।
-
এই খন্ডের ব্যাবহৃত তথ্যসূত্রঃ
* Politics and the English Language 1946 http://www.resort.com/~prime8/Orwell/patee.html
* Sira Ibn Ishaq:P 183
* Adolf Hitler, Mein Kampf, Ralph Mannheim, ed., New York : Mariner Books, 1999, p. 65.
* Ibn Sa’d Tabaqat, page 362
* The unbelievers repeated asked Muhammad to bring a miracle so they can believe (Quram 17: 90) and Muhammad kept telling them “Glory to my Lord! Am I aught but a man,- a messenger?” (Qur’an 17: 93)
আপনার করা অনুবাদটি অনেক ভাল লাগল স্বাধীনভাবে চিন্তা করার পথনির্দেশনা পেলাম। অনেক ধন্যবাদ। :clap
এই জতীয় সাইকোপ্যাথ দের নাম কি? যারা শিশুদের সাথে যৌন কর্ম করে ?? এদের রোগের কি কোন নাম নাই??আসলেই এই পদের রুগীদের রোগের নাম কি ?
লেখাটা ভাল লাগল ।তাহলে হুজুররা যে যুক্তি করে যে কোরানে সব কিছুই আছে, সমাজ চালাতে এর চেয়ে ভাল কিছু হতে পারেনা বা কেউ কোরাণকে ভুল প্রমাণিত করতে পারেনি…এটার উপযুক্ত উত্তর কি হতে পারে….??
@মার্ক শুভ,
আসলেই আছে। মানে আজকে বিগ-ব্যাং প্রমানিত বলে এটাই কোরানে মহাবিশ্বের সৃষ্টি বলে দেওয়া আছে। কালকে যদি মাল্টি ইউনিভার্স তত্ত্ব প্রমানিত হয় তাহলে বিং-ব্যাং উধাও হবে আর মাল্টি ইউনিভার্স এসে পড়বে। এর মধ্যে কোন সন্দেহ নাই।
আফগানিস্তানে তালাবানদের শাসন, বর্তমান পাকিস্তানে শরিয়া ল’ সৌদি এরাবিয়াতে শরিয়া ল’, শুধু এগুলোকে আলাদা না করে সমস্ত মুসলিম বিশ্বকেই দেখেন তাহলেই অবস্থা পরিস্কার হয়ে যাবে।
একটু কষ্ট করে মুক্তমনায় ইসলাম নিয়ে লেখাগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন কোরানে ভুল আছে কি নেই।
আর্টিকেলগুলো পড়েন তাহলেই শুধু বিচি ছাড়া খেজুরগুলোকেই না, স্বয়ং আল্লাহ আসলেও তাকেও যুক্তিদিয়ে পরাস্থ করতে পারবেন।
সবশেষে অনেক অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে এত বড় লেখাটা পরার জন্য। 🙂
@saiful-an unique translated article.thanks a lot.awaiting for next part & request -when it will be posted at muk..mona plse email me.
@muzaffar,
ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
আপনার ইমেইল আইডি পেলে আপনাকে জানিয়ে দেয়া যেত।
@ ছাইফুল ও
@আকাশ মালিক
আপনি(ছাইফুল) এখানে যে “আব্দুল্লাহ ইবনে আবি সারহ” এর নাম উল্লেখ করেছেন, ভাই আকাশ মালিক তার ই-বই এ(যে সত্য বলা হয়নি) এর বোকার স্বর্গ অধ্যায়ের ৮৩ পৃষ্ঠায় কোরানের অহি লেখকের নাম ‘আবদুল্লাহ বিন ছাদ”লিখেছেন। কোনটা সঠিক?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনাকে ভালো লেগে গেল, আপনি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন দুটো লেখাই।
আকাশ মালিক ভাই, আর আলী সিনা দুজনের কেউই ভুল না। আব্দুল্লাহ ইবনে আবি সারহ এর সম্পূর্ণ নাম হল আব্দুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবি সারহ। তার বাবার নাম ছিল সাদ ইবনে আবি সারহ। আব্দুল্লাহ ইবনে সাদ ইবনে আবি সারহ মানে, আব্দুল্লাহ হল সাদ ইবনে আবি সারহএর পুত্র।
এবার আশা করি পরিষ্কার হয়েছে। 🙂
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই আপনার নজর “আব্দুল্লাহ ইবনে সাদে”র দিকে একটু বেশি পড়ে গিয়েছিল বোধহয়।তাই আপনার অলক্ষ্যে অনুবাদকের নাম হয়ে গেছে “ছাই-ফুল” আসলে হবে “সাইফুল”।
@রাজেশ তালুকদার,
ধন্যবাদ এতবড় একটা ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
[১] আলি সিনার সব লেখাগুলোর বঙ্গানুবাদ দরকার যদি আমি তার বক্তব্যের সাথে একমত না
[২] আলি সিনার সাথে এইজন্যেই একমত না-ইসলাম ধর্ম নামে ভাইরাল মিমটির একটি বিবর্তিত রূপ-ফলে এই মিম ভাইরাসটি তার ডি এন এ টেকানোর জন্যে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। যা সব ধর্মই নিয়ে থাকে-ইসলামে তা বেশী-কারন তা আরো বেশী বিবর্তিত।
[৩] মিমের সাথে শুধু ভয়ের সম্পর্ক এমন ভাবা ভুল। ইসলাম মানুষকে সরল এবং সৎ জীবনের শিক্ষা দেয়, সমাজের জন্যে আত্মত্যাগের কথা বলে। অন্য ধর্মর মূল শিক্ষাও এক।-কিন্ত এত জোর করে, সেটা কেও মানতে বলে না। শুধু ভয়ে দেখানোর জন্যে ইসলাম সফল তা না- ইসলাম ভাল মানুষ গড়তেও সাহায্য করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে সে কোন ইসলাম মানছে?
[৪] ইসলাম টিকবে কি টিকবে না তা নির্ভর করছে, এই মিমটি পরিবর্তিত উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে কতটা খাপ খাওয়াতে পারছে। আজকে বিশ্ব বনাম ইসলামের দ্বন্দ -সেটাই। ইসলামের সাথে উৎপাদন ব্যবস্থার বিরোধ। ইসলামের হাজারটা রূপ আছে এবং তা সেই রূপেই বাঁচবে, যেখানে আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে তার কোন বিরোধ নেই। এবং সেটা হবেই এবং হলে বাকী ধর্ম গুলি যেভাবে ঢোঁড়া সাপ হয়ে গেছে, ইসলাম ও বিষ হারিয়ে সেই ভাবেই বাঁচবে।
@বিপ্লব পাল,
১. একমত না হওয়াটা দোষের কিছু না। সব ব্যাপারে একমত হওয়াটাই বরং একটু অস্বাভাবিক হত।
২. এটার মানে আমি বুঝতে পারিনি। আমি যা বুঝেছি যদি সেটাই হয় তাহলে আমার বক্তব্য হল, চোরও চুরি করার জন্যে সবরকম ব্যাবস্থা গ্রহন করবে, কিন্তু সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
৩. এখানে মোটেই শুধুমাত্র ভয়ের কথা বলা হয় নি।এখানে পরিষ্কার ভাষাতেই লেখা আছে কারনগুলো।
* ইসলাম বৃহত্তম মিথ্যা।
* মোহাম্মদ ছিল নিষ্ঠুর স্বেচ্ছাচারী।
* ইসলাম ভিন্নমতের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় অসহনশীল।
* ইসলাম ক্ষমতার একটি অস্ত্র।
আর এগুলোর মাধ্যমে কেন ইসলাম টিকে গেছে সেগুলোর কারন সম্পূর্ণ লেখাটা জুড়েই আছে। তারপরেও আপনার কাছে সঠিক মনে নাহলে আশা করব আপনার একটা কনভিন্সিং ব্যাখ্যা আছে এর উপরে। আর তাও যদি না থাকে তাহলে আপনার দ্বিমত করাকে সম্মান জানাই।
৪.
এব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত। দেখুন ইতিহাসের দিকে তাকালেই বোঝা যায় এসব ধর্মের দিন একসময় ফুরাবে। এটাই স্বাভাবিক। গত ১০০ বছর আগে কিন্তু ইসলাম নিয়ে এরকম খোলামেলা আলোচনা করা ছিল এককথায় অসম্ভব। কিন্তু এখন হচ্ছে। বেশ ভালো ভাবেই হচ্ছে। কারন কী? কারন হল এখন মানুষ আস্তে আস্তে শিক্ষিত হচ্ছে, তাদের ভেতরে সহনশীলতা আসছে। এটাই স্বাভাবিক। এই লেখার উদ্দেশ্য কিন্তু ইসলাম বাঁচবে না মরবে সেটা নয়। এই লেখার উদ্দেশ্য হল শুধু যুক্তির মাধ্যমে দেখানো কিভাবে ইসলাম এত বছর যাবত টিকে আছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@বিপ্লব পাল, বায়োলজিকাল জবাব । বায়োটেকনোলজি নিয়ে পরেছেন? যাই হোক আপনার লেখা কমেন্টটা ভালো লাগল।
লেখা অসাধারন হয়েছে। লিংক গগুলোর জন্য আলাদা ভাবে ধন্যবাদ (Y) ।
এখন শুধু মুসলমানগো আইনা তোওবা করানো দরকার :rotfl: ।
@সীমান্ত ঈগল,
ধন্যবাদ জানবেন। 🙂
সবে বানান করে বাংলা পড়তে শিখেছি। বাবার পুরনো একটা বইয়ে একটা গল্প ছিল, “দশ চক্রে ভগবান ভূত”। তখন কিছুই বুঝিনি। না বুঝার কারনেই গল্পের নামটি হুবহু মনে আছে। এবং যতই দিন যাচ্ছে এর মর্মার্থ বেশী করে বুঝতে পারছি – “দশচক্রে ভূত ভগবান।”
প্রচন্ড মিথ্যার উপরে বিরাট জনগোষ্টির নিঃসংকোচ বিশ্বাসের উপর ধর্ম টিকে আছে। আলী সিনা একজন বড় মাপের চিন্তাশীল ব্যক্তি। তিনি যে সত্য উপলব্ধি করেছেন তা লেখার সংঘবদ্ধ করতে পেরেছেন পৃথিবীর কল্যানে।
সাইফুল ইসলাম তাঁর লেখাটি যথার্থ অনুবাদ করে সবাইকে ঋণে আবদ্ধ করলেন। দুর্দান্ত হয়েছে। আলী সিনা বাংলা জানলে আপনার পিঠ চাপড়ে দিতেন। দেখা হলে আমি আপনার পিঠটি একদিন চাপড়ে দেব।
(F)
@নৃপেন্দ্র সরকার,
সেদিনটার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু করলাম। 🙂
ইসলাম ধর্ম আজ ও আমাদের ১৪০০ বছর আগেই রেখে দিয়েছে।এখন আমরা সাহস করে নিজের পরিবার এর কাছেই বলতে পারি না ম্রা বিশাস করিনা এই মিথ্যাচার।ইস্লাম ধর্মে বড় ভাল কাজ হল আল্লার রাস্তায় যুদ্ধ।এই কারণে সাধারন মানুষের ভিতী আরও চরম।ছোট বেলায় ভাতাম আল্লার তো অনেক খমতা তবুও এত ভিন্ন ধর্ম কেন? ভাতাম আকাশে আরবী তে বড় করে আল্লা লিখে দিলেইতো হয় চাঁদের বদলে। :lotpot:
আপনার লেখা টা দারুন লাগল। (Y)
@মিতু,
সেটাই। ধরেন একটু আকাশে এসে দেখা দিলেই ল্যাঠা চুকে যেত। তা না, সে চিল্লাইতে চিল্লাইতে আকাশ পাতাল এক করে ফেলবে কিন্তু তাও দেখা দেবে না।
ধন্যবাদ পাঠের জন্য, আর লেখাটা কিন্তু আমার না। আমি শুধু অনুবাদ করেছি আর কি। 🙂
অসাধারণ একটা কাজ শুরু হল সাইফুল! (Y)
আমি জীবনে অনেক বড় বড় কবির লেখা পড়েছি, কিন্তু এই সাইফুল সব সময়ই আমার অন্যতম প্রিয় একজন কবি। এবারে সাইফুল তার কবিতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
@অভিজিৎ,
এই মন্তব্যটা খালি দেখতেই আছি দেখতেই আছি। আহা নিজের প্রশংসা এত ভালো লাগে আগে ভাবি নাই!!!! :rotfl:
অসংখ্য ধন্যবাদ অভিদা, এমন চরম মন্তব্যের জন্য। :)) :))
চমৎকার অনুবাদ। (F)
@সৈকত চৌধুরী,
সৈকত ভাই, খালি ভালো মন্দ কইলে হইব না। লেখা টেখা কিছু ছাড়েন তো,নাকি!! :))
অসাধারন! (Y)
@আতিকুর রাহমান সুমন,
ধন্যবাদ জানবেন। 🙂
বাংলা ভাষায় অনুবাদকৃত গ্রন্থের সংখ্যা খুবই কম। যাও বা আছে তাও অনেক সময় দূর্বল অনুবাদের জন্য সুখপাঠ্য হয় না (শুধু ডিকশ্নারি দেখে অনুবাদ করলে যা হয় আরকি) । সকল পাঠকের কথা মনে করে মুলরস ঠিক রেখে ভাবানুবাদ করা অনেক কঠিন। তাই আপনাকে ধন্যবাদ একটি সুন্দর লেখা দেয়ার জন্য।
অনুবাদশিল্পে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি, তাই মুক্তমনাকে ধন্যবাদ উনাদের এই উদ্দোগের জন্যে।
@লাট্টু গোপাল,
অনুবাদের অবস্থা আসলেই দূর্বল আমাদের বাঙলা ভাষায়। ভালো অনুবাদ দেখাই যায় না খুব একটা। আমি চেষ্টা করেছি ভাবানুবাদ করতেই, তবে কোনভাবেই মূল লেখার বাইরে যেয়ে নয়। আমার প্রথম অনুবাদ, যার জন্য ভুল ভ্রান্তি থাকবেই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য। নিয়মিত হবেন আশা করছি।
@সাইফুল ইসলাম,
সূধীজন মূখে শুনেছি, অনেক সময় নাকি অনুবাদ মূল গ্রন্থকেও ছাড়িয়ে যায়। তাই এখন থেকে কিন্তু আপনার দায়িত্ব অনেক বাড়ল।
আপনার কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকল, স্যাটানিক ভারর্সেস এর অনুবাদ করার জন্য (কারন সীমিত জ্ঞানের প্রেক্ষাপটে এর অনেক কিছুই আমার এন্টেনাতে ক্যাচ্ করেনি)। কিংবা আপনার জানা মতে এর কোন ভালো অনুবাদ থাকলে তা অবশ্যই জানাবেন।
দারুন কাজ করেছেন সাইফুল। সুন্দর অনুবাদ ও অসাধারন তথ্যমুলক লেখাটির জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
অনিশ্চয়তা ও ঘটনার পিছনে কারন না জানার অজ্ঞতা থেকেই ধর্মের সৃষ্টি। এর সুবাদে কিছু অতি চালাক ও ধুরন্ধর ব্যাক্তি হাতিয়ে নেয় সুবিধাগুলো।
@রাহনুমা রাখী,
ঠিক।
ধন্যবাদ পাঠের জন্য।
@রাহনুমা রাখী,
“অনিশ্চয়তা ও ঘটনার পিছনে কারন না জানার অজ্ঞতা থেকেই ধর্মের সৃষ্টি।”
(Y)
এটাই চেয়েছিলাম ভাই । নাস্তিকদের জন্য সত্যিই উপযুক্ত হেদায়েত । অনেক ধন্যবাদ।
@রিংকু,
আপনাকেও ধন্যবাদ পাঠের জন্য। 🙂
আমি একজন সমাজে ও বিশ্বে শান্তি-প্রিয় মুছলিম ব্যক্তি। কিন্তু সেই সমস্ত ধর্ম গুরুদেরকে আমি চরম ভাবে ঘৃনা করি যারা নিজে ও নিজের সন্তান সন্ততি ও পরিবার বর্গ কে প্রয়োজনে কোন রাষ্ট্রীয় সেনা ছাউনির অভ্যন্তরে চরম নিরাপত্তার মধ্যে রাখিয়া অন্যের অবুঝ ও কিশোর কিশোরী ও তরুন তরুনী দেরকে আত্মঘাতি বানাইয়া যাত্রিবাহী প্লেন হাইজ্যাক করাইয়া টুইন টাওয়ারে আঘাত করাইয়া শুধু ঘাতককে,নিরপরাধ প্লেন যাত্রিকে ও আমাদের মত নিরপরাধ নাগরিকদেরই মারতে চায়না, বরং বিশ্বের সভ্যতার অগ্রগতির যাত্রাকেও স্তব্ধ করে দিতে চায়। এই সমস্ত ধর্ম গুরুরা নারীদের বোরকা পরাইয়া বুকে বোম্ব বাধাইয়াও আত্মঘাতি হামলায় ও আমাদেরকেই মারার জন্যই পাঠাইয়া থাকেন। ধংশাত্বক কাজে এদের বুদ্ধিটা কত পাকা।
আবার এদেরকে ধরবার জন্য মিসন পাঠাইলে, এই আমরাই সারাবিশ্বে প্রতিবাদের বন্যা বহাইয় দিই, যাবা কোথায়?
আর এরা চরম নিরাপত্তার মধ্যে নিজেদেরকে রাখিয়াও নিজেদেরকেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেনাই। কারন? শয়তানি বুদ্ধি তো ধংশ হবেই
আরো লিখুন।অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ।
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
আসলে ধর্ম যদি ব্যক্তিগতভাবে কেউ পালন করে তাতে কিন্তু কারোরই কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। এটাকে যখন কেউ সবার উপরে চাপিয়ে দিতে চায় তাহলেই সমস্যাটার শুরু হয়। আপনার ধর্মবিশ্বাসকে আমি শ্রদ্ধা করি যতক্ষন পর্যন্ত আপনি আমার, আমার পরিবারের, বা অন্য কারোর জন্য হুমকির কারন হবেন না। আপনার বিশ্বাসের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আপনি আরো পড়ুন ইসলাম সম্পর্কে, দেখুন আসলেই এটা কী বলতে চায়। আপনার যদি মনে হয় এটাই সঠিক, তাহলে এটাই সঠিক, যদি মনে হয় ভুল তাহলে আপনাকে অবিশ্বাসের জগতে স্বাগতম। সম্পূর্ণই আপনার বোঝার উপরে নির্ভর করে। তবে আপনাকে অবশ্যই যুক্তির পথে হাটতে হবে। তাহলেই কিন্তু সঠিক পথটা পাবেন। 🙂
আর, এটা কিন্তু মোটেই আমার লেখা নয়, এ ধরনের লেখা লেখার মতন মেধা আমার হয়ত কোন দিনই হবে না। আমি ক্ষুদ্র অনুবাদক মাত্র। মূল লেখক ইনি। মূল লেখাটাও এখানে পাবেন।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পাঠের জন্য।
ভাই , আমি ভাবছিলাম এ নিবন্ধটা আমি অনুবাদ করে মুক্তমনাতে ছাপাব আর ইহুদি নাসারা কাফের মুরতাদদের বাহবা নেব। কিন্তু আপনি আমার পাকা ধানে মই দিলেন। 🙁
তবে ধন্যবাদ একারনে যে, আমাকে আর সময় ও পরিশ্রম দুটোই খরচ করতে হলো না। 🙂 আপনার অনুবাদ ভালই হয়েছে। আরও ভাল হতে পারত আর একটু মনযোগ দিলে। এ ধরনের অনুবাদ অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে না করলে পাঠকরা অনেকসময় ভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায় আর আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হয়।
আপনাকে অনুরোধ করব এ ধরনের আরও ভাল ভাল নিবন্ধ আছে আলি সীনার, সেগুলো অনুবাদ করুন আর আমাদের মত কাফের নাস্তিকদের হেদায়েত করুন। এর জন্য আপনি যদি দোজখে যান, অসুবিধা নাই সেখানে আমরা আপনাকে সঙ্গ দেব। 😀
@ভবঘুরে,
প্রবন্ধের টাইটেল দেখে মনে করেছিলাম লেখাটি বুঝি আপনারই।(খোদার কসম কইরা কইতাছি)। কবি সাইফুল ভাইরে :guli: ।
@ভবঘুরে,
একটা কাহিনী বলি, আপনার শোনাও হইতে পারে।
হাশরের ময়দান টয়দানের কাহিনী শ্যাষ হওয়ার পরে, যার যার কাজের বিচার টিচার করে জান্নাত জাহান্নামে পাঠানো হইল। তো খুব স্বাভাবিক ভাবেই নাস্তিক কমিউনিষ্টগুলারে জাহান্নামে পাঠানো হইল। %
@সাইফুল ইসলাম,
কমেন্ট পুরাটা আসল না। এইখানে দেখেনঃ
হাশরের ময়দান টয়দানের কাহিনী শ্যাষ হওয়ার পরে, যার যার কাজের বিচার টিচার করে জান্নাত জাহান্নামে পাঠানো হইল। তো খুব স্বাভাবিক ভাবেই নাস্তিক কমিউনিষ্টগুলারে জাহান্নামে পাঠানো হইল। আল্লাহ চিন্তা করল, আসলে এই নাস্তিক, কমিউনিষ্টগুলা তো আসলে ভালই আছিল, খালি আমার নাম নেয় নাই। একটা শ্যাষ চান্স দেওয়ার জন্যে সে জীব্রাইলরে ওদের কাছে, মানে জাহান্নামে পাঠাইল। বলল, দেখ তারা আমার নাম নিতে রাজি আছে কিনা। এক সপ্তাহের মইধ্যে আমারে রিপোর্ট করবা। তো জীব্রাইল গেল। এক সপ্তাহ যায়, দুই সপ্তাহ যায়। জীব্রাইল ফেরে না। আল্লার তো মেজাজ গরম হইয়া গেলো। জীব্রাইল কেন এখনও আসে না?
মোটামুটি একবছর পরে জীব্রাইল আসল। মুখে দাড়ি টাড়ি নিয়া বেশ দার্শনিক টার্শনিক ভাবভঙ্গি। আল্লাহ তো রাখে ফাইট্টা পড়ল। হু, তুমি মিয়া আমার লগে ফাইজলামি কর? আমি তোমারে কইছি এক সপ্তাহ মইধ্যে রিপোর্ট দিবা, আর তুমি এক বছর লাগাইয়া দিলা। জীব্রাইল, আসম কাহিনী কী কও তো?
আল্লারে মাঝ পথে থামাইয়া দিয়া জীব্রাইল কইল, জীব্রাইল না, কন কমরেড জীব্রাইল!!!!
ঐ জাহান্নামে আপনার সাথে নিশ্চিত দেখা হইব। :))
@কবি,
খুব ভাল অনুবাদ হয়েছে। পরিশ্রম বৃথা যায়নি। পুরোটা পড়েছি, একটানে।
ইদানিং আমি ১০০% পাঠক। আজকে লগইন না করে পারলাম না।
@আতিক রাঢ়ী,
আতিক ভাই, এই সব কতা কইয়া তো পার পাওন যাইব না। আপনারে মুক্ত-মনায় শ্যাষ কবে দেখছি কন তো?
ঝাইড়া কাশেন আর লেখা টেখা কিছু ছাড়েন। :))
(Y)
@ডারউইনের ভুত,
:thanks:
এতো ভাল অনুবাদ করতে পারেন জানলে কিছু বই অনেক আগেই আপনার কাছে পাঠিয়ে দিতাম। আলী সিনার এই লেখাটা পড়ার আগে আমি মনে মনে প্রচুর ভাবতাম মুহাম্মদের বেঁচে থাকা আর সফলতা নিয়ে। নিজে নিজেই সম্ভাব্য তিনটি উত্তর আবিষ্কার করেছিলাম। (১) তার অসাধারণ সাহস। (২) তার ধৈর্য্য (৩) সঠিক সময়ে সঠিক (গর্দভ) সমাজে তার জন্ম। আরো ভাবতাম, আবু জেহেল, আবু লাহাব, ওমর ও আবু সুফিয়ানের মতো মানুষের হাত থেকে বাঁচলেন কী ভাবে? মক্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময়, ওহুদের যুদ্ধে ও হোনায়েনের যুদ্ধে বেঁচে যাওয়াটা আশ্চর্য লেগেছে।
চেঙ্গিস খানের স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হলো, তিনি তার স্ত্রীকে রক্ষা বা উদ্ধার করার চেষ্টা না করে পলায়নের পথ ধরলেন। চেঙ্গিস খান সাধারণ মানুষ হলে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে নিশ্চত মৃত্যুর মুখে নিজেকে তুলে দিতেন, বিশাল রাজ্য দখল করা আর কোনদিন হতোনা। আমার মনে হয়েছে মুহাম্মদ সেরকম ধৈর্য্যধারক ও অসাধারণ বুদ্ধির মানুষ ছিলেন। তবে তিনি যতই চতুর আর আকলমন্দ হোন না কেন, আজিকার দিনে তার কোন গুনাবলীই হালে পানি পেতোনা।
বানান নিয়ে কী বলবো, ফরিদ ভাই যখন দেখেও কিছু বললেন না? তবে এমন সুন্দর একটি পরিশ্রমী গুরুত্বপূর্ণ লেখা টাইপোর কারণে যেন শারাবির গলায় বরফহীন হুইস্কী মনে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার মিনতি রইলো।
আর এই এতো দীর্ঘ লেখাটা তিন খন্ডে দিলেই তো পারতেন, আমাকে নামাজ কাজা করতে হতোনা। যত সময়ে লেখাটা পড়লাম, ততক্ষণে বিশ রাকাত তারাবিহ সহ উনত্রিশ রাকাত নামাজ পড়তে পারতাম। গেল আমার সব বরবাদ হয়ে, তবু এমন একটা দারুণ লেখা উপহার দেয়ার জন্যে- (Y) (Y) (F) (F) :clap :clap
@মালিক ভাই,
প্রথমে ভেবেছিলাম ভাগ ভাগ করে ছোট করে দেই। পরে দেখলাম তাতে হত লেখাটার আবেদন কিছুটা কমে যাচ্ছে। পরে দিয়ে দিলাম। 🙂
উৎসাহের জন্য (F) (F)
সুন্দর প্রান্জল ভাসায় আলী সিনা অনুবাদ করিয়া প্রকাশ করার জন্য লেখক কে ধন্যবাদ।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
আপনাকেও সবটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। 🙂
যে কোন অনুবাদ বেশ জটিল কাজ। বার বার ডিকসনারির পাতা উল্টাতে উল্টাতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগার তার উপর মূল লেখকের প্রত্যেকটা কথা ও লাইন এদিক ওদিক হওয়ার কোন জো নেই। এক কথায় যথেষ্ট পরিশ্রম সাধ্য একটি জটিল কাজ। এ কাজটি আপনি যথেষ্ট কুশলতার সাথে সম্পন্ন করতে সক্ষম, তার প্রমান দিয়েছেন।তার জন্য আপনাকে :clap
কবির সাথে অনুবাদক আরেকটা নতুন বিশেষণ যোগ হল 🙂
@রাজেশ তালুকদার,
আর বলবেন না, বেশী মাথা গরম হয়েছে এটার বিশালত্ব দেখে। প্রথমে ভাবলাম তেমন বড় না, কিন্তু অনুবাদ করতে গিয়ে দেখি, খাইছে, পরো ১২ পৃষ্ঠা!!(তারপরেও আরো অর্ধেকটা বাকি আছে!) মানে আমি তো শ্যাষ। 🙁 🙁
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
বৎসর দুএক এর মত মুক্তমনা পরি।ক্লিক করলে ই ইসলাম আর মহাম্মাদ এর উপর লিখা নিরঘাত থাকবে ই।থাকুক অসুবিধা নেই।আকাশ মালিক সাহেব এর “যে কথা বলা হয়নি” ,এর পর মহাম্মাদ আর ইসলাম এর অসারতা বা ভণ্ডামি যাই হোক প্রমান করার প্রয়োজন এ বা কি আমি বুঝি না।বরং অন্য ধর্ম গুলোর অসারতা এবং তাদের প্রবর্তক দের অসারতা এবং ভণ্ডামি নিএ বিস্তারিত কিছু লিখা আশা করি।যদিও ইসলাম এর নাম এ মৌলবাদী শক্তির ভয় এ আমরা ভীত বেশি।তারপরেও অন্যান্য ধর্ম গুলোতে নিশ্চয় এমন কিছু নেই যা গ্রহন করা যাই।সব ধর্ম ই মানুষ এর বানান।ইসা,মুসা,রাম কৃষ্ণ এরাও ভনড।বুদ্ধা নাকি আবার enlighted? ;সেটা কি ব্যাপার ?।ইসলাম এর অসারতা আর মহাম্মাদ এর লুইচ্চামি নিএ অনেক কথা বলা হহএছে।এভাবে বছর এর পর বছর ছলতে থাকলে মৌলবাদী দের মত অনেক এ বল্বে…মুক্তমনা এহুদি নাসারা দের থেকে টাকা পায় :lotpot: ।তাই সব প্রচলিত ধরমের অসারতা আর প্রবর্তক দের ভন্দামি নিয়ে একটি পুরনাঙ্গ লিখা …আকাশ মালিক সাহেব বা অভিজিৎ কেউ লিখতে পারেন এবং বর্তমান বিজ্ঞান এর যুগে এই অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলচনার নাম এ মেধা এবং শক্তির অপচয় বন্ধ করা যেতে পারে।
@সপ্তক, আপনি বছর দুয়েক ধরে পড়ছেন, আর মুক্তমনায় তারও বেশী সময় ধরে আপনার কথাটার জবাবই দেওয়া হয়ে গেছে যে, শুধুমাত্র ইসলামকে নিয়ে কেন এত বেশী লেখা আসে। ইসলাম প্রধান দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখা আসবে এটাই স্বাভাবিক, কী বলেন?
তবে হ্যা, আকাশ মালিক ভাইয়ের যে সত্য বলা হয় নি, আবুল কাশেম স্যারের অনেক লেখা আছে, অভিদার অনেক লেখা আছে, এমন আরো অনেকের লেখাই আছে মুক্তমনাতে যেগুলো পড়লে আসলে অন্য কিছুর দরকার হয় না। কিন্তু সমস্যা হল, একটা বিশ্বাস ছেড়ে দেওয়া এতটা সহজ নয়, আপনি যেভাবে ভাবছেন। অনেক অনেক সময়, অনেক অনেক আঘাত দিতে হয়। এবং আঘাতটা আসতে হয় একের পর এক। তাহলেই না বিশ্বাসের দূর্গ ভাঙবে। তাই না? 🙂 🙂
@সপ্তক,
অলরেডী বলা শুরু হয়ে গেছে। শুধু কি মুক্তমনা ? এখন তো কিছু লোক সহী বুখারী, সহী মুসলিম এসব সহী কিতাবকেও ইহুদী নাসারাদের লেখা বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। কারন এসব কিতাবেই তো লেখা আপনার মতে মোহাম্মদের লুইচ্চামির কিচ্ছা কাহিনি। হয়ত এমন একদিন আসবে যখন তারা বলা শুরু করবে- খোদ কোরানও ইহুদি নাসারাদের লেখা। কারন সেখানেও তো হাদিসের ঘটনাবলীর সমর্থন আছে। আমি সেদিনের অপেক্ষাতেই আছি।
@ভবঘুরে,
আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। আসলে একদল তৈরী হচ্ছে যারা বলে বেড়াচ্ছে কোরানের অনেক আয়াতই কোন কাফের দ্বারা লিখিত হয়েছে। যদিও তারা ইহুদীদের নাম পরিস্কার করে বলে না-তবু বুঝা যায় যে এরা কাদের দায়ী করতে চায় কোরানে যে মার মার কাট কাট আয়াত গুলো আছে তার জন্য।
তাদের একটা (হয়ত বেশিও হতে পারে) ওয়েব সাইটে তারা এক নতুন কোরান সঙ্কলন করে প্রকাশ করেছে–সেই কোরানে সেই সব আয়াতগুলো বাদ দেওয়া হচ্ছে যার কার্যকরিতা আজ বিশ্বের আমজনতা মুগ্ধ হয়ে দেখছে–আর ভাবছে এই-ই ত শান্তির ধর্ম! আহা! কী শান্তিই না আছে ইস০লামে। এদের এক বিশাল নেতা (তুরস্কের এদিপ ইউকসেল) আবার নতুন এক কোরানের ইংরাজি অনুবাদ করেছেন–যে অনুবাদে যে সব আয়াতে হত্যা কর–এই আদেশকে চমৎকার ভাবে চুমো খাও বলা হয়েছে।
ইনাদের যুক্তি হচ্ছে–সর্ব দয়ালু আল্লাহ পাক কোন ভাবেই তাঁর নিজের হাতে সৃষ্টি কে হত্যা আথবা অথবা নিষ্ঠুরতা দেখাতে পারেন না। তাই সেই সব আয়াতগুলো নিশ্চয় মানুষের দ্বারা লিখিত। বলা বাহুল্য সেই সব মানুষগুলো যে ইহুদী তাতে কোন সন্দেহ থাকা নয়–কারন জনাব এদিপ ইউকসেল–বিতর্কের গরম আবহাওয়াতে এতই ইয়া নফসি ইয়া নফসি করছিলেন যে উনি ইসলামিদের মোক্ষম আশ্রয় ব্যক্তিগত আক্রমণ–তথা ইহুদিদের দিকে আংগুলি হেলন করলেন। ফল এই হল যে মোডারেটর জামি গ্লাযভ-কে হস্তক্ষেপ করতে হল–যাতে বিতর্কের প্রসঙ্গ হারিয়ে না যায়।
তাই আমরা বলতে পারি যে ওনাদের ভাষ্য হচ্ছে কোরানের অনেক আয়াত ইহুদীদের লিখিত।
কী আশ্চর্য্য এই দুনিয়া!
যাই হোক এই দলের দুই এক নেতাদের সাথে কয়েক বছর আগে আমার সেই দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছিল Fronpage magzine ওয়েব সাইটে। জনাব ইউকসেল সেই বিতর্কের উপর ভিত্তি করে এক বই-ও লিখেছেন এবং প্রকাশ করেছেন। বইটির টাইটেল হলঃ
Peacemaker’s Guide to WAR MONGERS–by Edip Yuksel; Publisher brain powers.
আগ্রহ থাকলে বইটি আমাজন থেকে কিনে পড়তে পারেন।
সময়ের অভাবে খুঁটিনাটি লিঙ্ক দিতে পারছি না। কেউ খুব আগ্রহী হলে আমি চেষ্টা করব–অথবা বিতর্কের কপি পাঠিয়ে দিব।
@আবুল কাশেম,
তাই নাকি ? জানতাম না তো !
আসলে এটাই হওয়ার কথা। সত্য কোন দিন চাপা থাকে না। ওই যে কথায় বলে না – ধর্মের ঢাক আপনি বাজে!
ইসলাম আমাদের মুসলমানদের অনেক ক্ষতি করেছে, এখনো ক্ষতি করার জন্য ফণা তুলে আছে । আমরা সকল জাতি গোষ্ঠির থেকে হাজার বছর পিছিয়ে আছি। এমনকি পৌত্তলিক পূজারী বলে কথিত হিন্দুরাও বহু এগিয়ে গেছে। আমরা দুনিয়ার সর্ব শ্রেষ্ট মানব মোহাম্মদের একমাত্র সত্য ও শ্রেষ্ট ধর্মের অনুসারী আমরা পিছিয়ে আছি আর অন্য জাতি গোষ্ঠিকে অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছি দারুন হীনমন্যতায়। আমরা এতটাই লাজ লজ্জা ও মান ইজ্জত বিহীন যে – যখন আমরা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোন জাতীয় দুর্যোগে পড়ি , তখন সাত তাড়াতাড়ি সেই ইহুদি নাসারা কাফের মুরতাদদের কাছে ছুটে যাই ভিক্ষুকের মত ভিক্ষার আশায়-যাদেরকে আমরা উঠতে বসতে অভিশাপ দেই , গালি দেই আমাদের নামাজে বা কোরান তেলাওয়াতের সময়। দুর্ভাগ্য আমাদের , আমরা যে নামাজ ও কোরান তেলাওয়াতের সময় তাদেরকে অভিশাপ বা গালি দেই তা আমরা জানি না কারন আমরা আরবী জানি না ।
বেশ ক’বছর আগে আলী সিনা ও এদিপ ইউকসেল বিতর্কটি (Debate) পড়েছিলাম। অত্যন্ত সাবলীল, যুক্তি-রেফারেন্সে ভরপুর ১৬৮ পৃষ্ঠা দীর্ঘ। আলী সিনার এই বিতর্ক ও অন্যান্য ইসলামীক স্কলারদের সাথে তার বিতর্ক থেকে পাঠকরা ইসলামের অনেক অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
খুব ভাল লাগল।মুসা,ঈসা,রামকৃষ্ণ,বুদ্ধা…এদের অরথাত সব ধর্ম প্রচারক দের ভণ্ডামি নিয়ে কোন লেখক এর লেখার আশায় রইলাম।
@সপ্তক,
গৌতম বুদ্ধের ব্যাপারটা মনে হয় আলাদা। কোন সৃষ্টিকর্তার সাথে তাঁর সস্পর্ক আছে একথা তিনি বলেননি। জন্ম-রোগ-ব্যাধি-মৃত্যু নিয়ে তাঁর উপলব্দি থেকে নির্বানের কথা তিনি বলেছেন। তাঁর উপলব্ধি কোন সঙ্ঘবদ্ধ ধর্মে পরিনত হউক তা তিনি ভাবেননি।
রামকৃষ্ণ বলতে আপনি বোধহয় “শত গোপী বল্লভ শ্রীকৃষ্ণের” কথা বলেছেন। ঐ রকম কৃষ্ণ পৃথিবী আসলে কেউ ছিল না।
বুদ্ধ এবং মুহম্মদের মধ্যে একটা তুলনা এভাবে করা যায়। একজন রাজ্য ছেড়ে ভিখারী হয়ে পথে নেমেছিলেন, আর একজন পথের ভিখারী থেকে রাজত্ব সৃষ্টি করেছিলেন (করেছেন।)
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আসলে বুদ্ধের সাথে আল্লাহর নবীর তুলনা সম্পূর্ন অর্থ হীন মনে হয় আমার কাছে।
এক জন রাজ্যসুখ ও নারী সঙ্গ ত্যাগ করে সন্নাসী হয়েছেন আরেক জন রাজ্য বিস্তার ও নারী সঙ্গে প্রবল আসক্ত হয়েছেন। এক জন বলেছেন চাইলে যে কেউ বুদ্ধ হতে পারবে অন্য জন বলেছেন আমিই শেষ। আর কেউ নবী দাবি করতে পারবেনা। এক জন বলেছেন কর্মই নিজের মুক্তি দাতা অপর জন বলেছেন ঈশ্বর ও আমি তোমার মুক্তি দাতা। এক জন বলেছেন কোন অদৃশ্য শক্তির কাছে প্রার্থনায় কোন ফল নেই অপর জন বলেছেন প্রার্থনা না করলে অপেক্ষা করছে কঠোর শাস্তি। এক জন বলেছেন-“Don’t blindly believe what I say. Don’t believe me because others convince you of my words. Don’t believe anything you see, read, or hear from others, whether of authority, religious teachers or texts. Don’t rely on logic alone, nor speculation. Don’t infer or be deceived by appearances.”
“Do not give up your authority and follow blindly the will of others. This way will lead to only delusion.”
“Find out for yourself what is truth, what is real. Discover that there are virtuous things and there are non-virtuous things. Once you have discovered for yourself give up the bad and embrace the good.”
– The Buddha
আরেক জন বলেছে আমি যা বলেছি তা বিশ্বাস করতেই হবে। না করলে তুমি হবে কাফের, পরকালে ভোগ করবে অনন্ত নরক। আর ইহকালে আমার পথ ছেড়ে গেলে তোমার শাস্তি হবে নিশ্চিত মৃত্যু।
@রাজেশ তালুকদার,
তারপরও বেশ ভাল তুলনা করে দেখিয়েছেন। (D)
@রাজেশ তালুকদার,
একটু যুক্ত করে দিলাম
বুদ্ধ বলেছিলেন,’আমার উপদেশিত ধর্ম নৌকার মতো,পারে পৌঁছানোর জন্যে,ঘাড়ে করে বয়ে চলার জন্য নয়’।
নবীরটা বোধ হয় AK47 এর মত হাতে করে নিয়ে বেড়ানোর জন্য,যাকে পাইবে সংহার করিবে! :guli:
@রাজেশ তালুকদার,
ভাল তুলনা করেছেন। (F)
আসলে বুদ্ধের দর্শনের অনেক কিছুই আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে অসংগতিপূর্ণ হলেও বুদ্ধের থেকে আমরা চারিত্রিক বিশুদ্ধতা শিখতে পারি, তার অপূর্ব সংযম থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। কিন্তু সেদিক দিয়ে মুহম্মদের থেকে শেখার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনি বুদ্ধ ও মোহাম্মদের শিক্ষার অপূর্ব তুলনা তুলে ধরেছেন।
বুদ্ধের বানী- আমি যা বলছি তা অন্ধের মত বিশ্বাস ক’রো না।
আর মোহাম্মদের বানী- আমি যা বলছি তা অন্ধের মত বিশ্বাস কর, না করলে তোমাকে কোতল করা হবে।
ঠিক এ কারনেই বুদ্ধিস্টদের অনেকেই হয়েছে উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি, পক্ষান্তরে এমন একটাও মুসলিম দেশ নেই যে হয়েছে উন্নত ও সমৃদ্ধ। মোহাম্মদের এ ধরনের কু শিক্ষা যতদিন মুসলমানরা ত্যাগ না করবে, উন্নতি ও সমৃদ্ধির কোন সম্ভাবনাই নেই এটা নিশ্চিত।
–‘আপনি বুদ্ধ ও মোহাম্মদের শিক্ষার অপূর্ব তুলনা তুলে ধরেছেন।
বুদ্ধের বানী- আমি যা বলছি তা অন্ধের মত বিশ্বাস ক’রো না।
আর মোহাম্মদের বানী- আমি যা বলছি তা অন্ধের মত বিশ্বাস কর, না করলে তো
@রাজেশ তালুকদার,
আপনার মন্তব্যটি যুক্তিযুক্ত এবং উপযুক্ত মনে হয়েছে আমার কাছে কিন্তু একটাকথা নাবলেই পারছি না, নারী আসক্তি দোশের নয় যদি তা হয় একগামিতা।মহানবী বহুগামিত ছিলেনই ধর্ষকও বটে।নারী আসক্তি ত্যাগ করা মানে নারী অপাংক্তেয় কিছু।নারী সঙ্গ ত্যাগ করার মধে্য আমি কোন মহত্ততা খুজেপেলাম না।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
তাইলে বুদ্ধ ধর্ম গ্রহন করলেও কেমন হই???।।এটা নাকি পুরনাঙ্গ জীবন বেবস্থা… :rotfl:
@সপ্তক,
অন্য যেকোন ধর্মের চেয়ে শ্রেয়তর।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
রামকৃষ্ণ নামে একজন তো ছিলই এমন কি বেশ জাঁকিয়ে ধর্মকর্ম করে গ্যাছে। বিবেকানন্দতো এই পাবলিকেরই শিষ্য ছিল। নরেন্দ্র থেকে পরে হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
রামকৃষ্ণ ও মোহাম্মদ উভয়েরই মৃগীরোগ ছিল। রামকৃষ্ণ কালী কালী বলে অজ্ঞান হয়ে পড়ত আর মোহাম্মদ যখন অজ্ঞান হয়ে পড়ত তখন ঘন্টাধ্বনির মত ওহী আসত; এসময়ে উভয়েরই চোখ লাল হয়ে যেত, গা দিয়ে দর দর করে ঘাম ছুটত। তবে দুজনের মধ্যে বিরাট তফাত হলো- রামকৃষ্ণ কাউকে মারতে বলে নি, মোহাম্মদ অন্যকে খুন করতে বলেছে- নিজে খুন করেছেও।
আর মোহাম্মদ যেখানে কামনা চরিতার্থ করার জন্য ইচ্ছামতো বিবাহ করেছে সেখানে রামকৃষ্ণ ৬ বছরের শিশু সারদাকে বিবাহ করেও সারাজীবন স্ত্রীসঙ্গ থেকে বিরত ছিলেন।
আচ্ছা মৃগীরোগ থাকলে কি মানুষের উপর স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব এসে যায় নাকি?
মোহাম্মদের ব্যাপারে খুব বেশি জানি না। কিন্তু আমার খুব অবাক লাগে যে রামকৃষ্ণের মতো অশিক্ষিত লোক নরেন্দ্রের মতো মেধাবী শিক্ষিত যুবককে প্রভাবিত করেছে। এমনকি যখন নরেন্দ্রনাথ রামকৃষ্ণের কালীতে বিশ্বাস আনেন তখন কিন্তু তিনি পাশ্চাত্যশিক্ষায় শিক্ষিত একজন শিক্ষিত নাস্তিক ছিলেন।
নরেন্দ্রনাথ যখন প্রথম রামকৃষ্ণের নিকট যাতায়াত শুরু করেন তখন তিনি তাকে একজন আধপাগল গোছেরই কিছু একটা ধরে নিয়েছিলেন। আর সেই নরেন্দ্রনাথই কিনা পরবর্তীতে রামকৃষ্ণের ভাবশিষ্য হয়ে গেলেন।
@ সাইফুল, এতো দারূণ রচনা যে কী বলি , এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি। আবার পড়ব। অনেক ধন্যবাদ সাথে– (F) (F)
নরেন এর মাথা তো খেয়েছিল রাম কৃষ্ণ। আর স্ত্রী কে মা-মা বলে ডাকা ডাকি করত। তবে স্ত্রী সঙ্গ থেকে বঞ্চিত ছিল এমন শুনিনি, বা পড়িনি।
নরেন প্রথম দিকে রামকৃষ্ণ কে পছন্দই করতেন না। কিন্তু রামকৃ্ষ্ণ নাছোড়-বান্দা ছিল। নরেনের প্রতি এহেন প্রেম দেখে আধুনিক যুগে কী বলত আমার সন্দেহ
– 😉
@সাইফুল ইসলাম,
তা ঠিক। বাংলাদেশেও প্রচুর রামকৃষ্ণ আশ্রম আছে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের কাছে রামকৃষ্ণ নস্যি। শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে প্রভুপাদ সারা পৃথিবীতে ইস্কন তৈরী করেছেন। আপনি অঘ্রান থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের যে কোন হিন্দু গ্রামে যাবেন – দেখবেন মাইক সহযোগে “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” প্রচার হচ্ছে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা।
রামকৃষ্ণও বেশ জাঁকিয়ে ধর্মকর্ম করে গ্যাছে। ঠিক। নিজে জীবনটাকে বঞ্চিত করেছেন, সাথে স্ত্রীকেও। তিনি নাকি স্ত্রীর মধ্যে সমগ্র নারীজাতি দেখতেন এবং তাঁকে “মা” সম্বোধন করতেন। হিন্দুরা এর মধ্যে মহাত্মা খুজে পায়। ঘরে ঘরে রামকৃষ্ণ আর সারদার ছবি টাঙ্গিয়ে পূজো করে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার কথা একদম ঠিক। তবে ইদানিং হিন্দি ছবি বা সিরিয়ালে আরো হিড়িক পড়ে গেছে কৃষ্ণলীলা নিয়ে- আসলে এই সব কাহিনির রচয়িতা কে- জানতে ইচ্ছে করে। এক্কেবারে বলিউডের যে কোনো ফিল্ম প্রডিউসারকে হার মানিয়ে দেবে। স্বয়ং বচ্চন পরিবারেই দেখা যায় এক ঐশ্বরিয়ার দুইবার বিয়ে দেয়া হয়- একবার গাছের সাথে আবার বচ্চন পুত্রের সাথে-
শুনা যায় গুরুর আদেশ :-O
@আফরোজা আলম,
সিনেমার কাহিনীর মতই রাধা-কৃষ্ণও কাহিনী। সে যুগে আজকালের মত অজস্র কাহিনীকার ছিল না। একটা কাহিনীই নানা জনে টানাটানি করে কলেবর বৃদ্ধি করত এবং বছরের পর বছর চলতে থাকত। দেখুন না সেদিনও গ্রামাঞ্চলে একই কাহিনীর যাত্রা বছরের পর বছর চলত। আলোমতি বা রূপবানও চলেছে অনেক দিন। যোগাযোগ এবং নগরায়নের কারনে সিনেমা গ্রাম পর্যন্ত চলে গেছে। একই কাহিনীর যাত্রাগান আর চলছে না।
রাধা-কৃষ্ণের কাহিনীতে মাদকতা আছে। এর মধ্যে ক্লাসিক্যাল সুর আছে। মানুষ ধর্ম হিসেবে গ্রহন করেছে। তাই এখনও চলছে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দারুন বলেছেন।
@সপ্তক,
সবার কথা যেমন তেমন, বুদ্ধকে (বোধ হয় গৌতম বুদ্ধের কথা বলতে চেয়েছেন) ভন্ড বললে আমাকে বলতে হবে আপনার জ্ঞানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। বুদ্ধরা (হ্যাঁ, বুদ্ধ শুধু একজনই ছিলেন না।) কেউই ধর্ম প্রচার করেননি, তাঁরা সবাই ই ছিলেন শিক্ষক। তাঁদের বাণী “নিশ্চয়ই তোমরা আমার চেয়ে বেশী জাননা” নয়, বরং “তোমরাই খুঁজে কি সত্য, কি বাস্তবতা”। এরপর কিভাবে তাঁকে অথবা তাঁদেরকে ভন্ড বলতে পারেন?
আপনার অনুবাদ চমৎকার হয়েছে–ভবিষ্যতে আরও ভাল হবে তাতে আমার সন্দেহ নাই।
আলী সিনার এই পুরানো রচনাটি আমার কাছে কালজ্বয়ী মনে হয়। এত সুন্দর, বলিষ্ঠ, এবং জোরালো রচনা খুব কমই পড়া যায়। আপনি আলী সিনার এই রচনাটি বাংলায় অনুবাদ করে এক বিশাল কাজ করেছেন।
যাক, আলী সিনা ইসলামকে মিথ্যা বলেছেন–তা নিঃসন্দেহে সত্যি। তবে এর সাথে আমি আরও দুটি শব্দ জুড়ে দিতে চাই–সেগুলো হচ্ছে: ইসলাম হল ‘বর্বর’ ও ‘সাম্রাজ্যবাদী’। সত্যি বলতে ইসলামের মত এত সাফল্যজনক সাম্রাজ্যবাদী কখনও হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না। ইসলামি সাম্রাজ্যবাদের সবচাইতে বর্বর দিক হচ্ছে–সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত, এবং নৈতকতার অবদমন–যার ফলে বিজিত দেশগুলো হারায় তাদের সমাজ, সংস্কৃতি, ভাষা—এমনকি খাদ্য এবং আচার অনুষ্ঠান।
এই সব বিজিত দেশগুলো পরিণত হয় আরবদের দাশে–মানে হচ্ছে আরবদের পদানত, সব দিক দিয়েই। আলী সিনা এই ব্যাপারে কিছু লিখেছেন–তবে আমার মনে হয় এ নিয়ে প্রচুর লিখার অবকাশ আছে। আপনি এই ব্যাপারে কিছু লিখুন–এই আমার অনুরোধ।
@আবুল কাশেম,
চরম বাস্তবতা! এ বর্বরতা ও সাম্রাজ্যবাদ থেকে বাংলাদেশ যে কবে মুক্তি পাবে, সে আশায় বুক বেঁধে আছি।
সাইফুল ইসলামকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@আবুল কাশেম,
ঠিক এই কথাটাই আমি তাকে বলেছিলাম। ইংরেজীতে আলী সিনার লেখার মতন প্রাঞ্জল লেখা খুব কমই দেখা যায়। চমৎকার সাবলীল লেখেন ভদ্রলোক।
আবুল কাশেম ভাই, অনেক কৃতজ্ঞতা লেখাটা পড়ে উৎসাহের জন্য।
:guru: :guru: :guru:
চরম একটা কাজ করে ফেলেছেন ভাই। এমন সমৃদ্ধ লেখায় মুক্তমনা ভরে উঠুক-এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা।
যে কবিতা লেখে,সে অনুবাদও করে। :))
@নিটোল,
আহা প্রশংসা শুনতে কী ভালোই না লাগে! সাধু সাধু! 😀 😀
অনেক ধন্যবাদ।
@রাশেদুজ্জামান,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। হাহাহাঃ
(F) (F)
প্রবন্ধটি চমৎকার। এইভাবে ফ্যালাসি-র দিক থেকে বিশ্লেষণ করা একটা নতুন আঙ্গিক দিয়েছে। অনুবাদও সহজপাঠ্য। আপনাকে সাধুবাদ।
@কৌস্তুভ,
ধন্যবাদ জানবেন কৌস্তভ। সাথে থাকবেন ভবিষ্যতে আশা করছি। 🙂
(Y) সুন্দর অনুবাদ হয়েছে। টাইপোগুলো ঠিক করে নিও সময় করে। ভালো অনুবাদে টাইপো থাকাটা ঠিক নয়। ঠিক এ ধরণের যুক্তিবাদী লেখাগুলোই বেশি বেশি অনুবাদ করা দরকার এবং মুক্তমনাতে এই লেখাগুলোই স্থান পাওয়া দরকার।
@স্বাধীন,
স্বাধীন ভাই, আর বলবেন না, মানে টাইপো আমারে খাইছে পুরাই। :-X
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাজেশনের জন্য, পাঠের জন্য। 🙂
সুন্দর অনুবাদ। আমারা সময় ব্যায় করে, বিশ্বাসীদের গালাগালি হজম করে লিখে যাচ্ছি জনকল্যাণ্যের জন্য।আমরা স্বর্গ বা ক্ষমতার লোভে কাজ করছিনা।আমরা চাইছি মানুষ অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসুক। আমাদের এ আপ্রাণ প্রচেষ্টায় যদি কারো মনের সীল-মোহর খোলে তবেই শ্রম সার্থক হবে।
@তামান্না ঝুমু,
সহমত জানাচ্ছি।
পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
দারুণ! শুভকামনা রইল কবি, এরকম একটা পরিশ্রমসাধ্য কিন্তু প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য।
অনুবাদটাও অসাধারণ হয়েছে। সাবলীল এবং সহজপাঠ্য।
@ফরিদ ভাই,
মানে এখন তো দেখা যায় নিজেরই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে অনুবাদটা ভালো হয়েছে। মানে আমার জীবনের প্রথম অনুবাদ কিনা! একটু বালোভাষা আছে এইটার জন্য। :))
অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই উৎসাহ দেয়ার জন্য। 🙂
অসাধারণ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। 🙂
@নাজমুল,
পেয়ে যাবেন আশা করি শীঘ্রই।
পাঠের জন্য ধন্যবাদ জানাই। 🙂
নার্সিসিষ্ট=আত্মপ্রেমী হতে পারে
might is right=শক্তির জয় সর্বত্র এই টাইপ কিছু হতে পারে।
এখানে যে প্রশ্নগুলো খন্ডন করা হয়েছে এগুলো এত বেশি পাই মানুষের কাছ থেকে…যাক এবার তাদ্রকে এই লেখার রেফারেন্স দেয়া যাবে মুখ খরচ না করে।
আমার মনে হয় ধর্ম ব্যাপারগুলো টিকে গেছে মানুষের জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে। মানুষ আদিমযুগের পশুর মত বেঁচে থাকার অবস্থা পেরিয়ে যখন মোটামুটি স্টেবল জীবনধারায় আসল, নিজের জন্য কিছু সময় পেল তখন তারা ভাবতে শুরু করল আমরা কোথা থেকে এসেছি, কোথায় যাব, এই দুনিয়াই কি শেষ? ইত্যাদসি ইত্যাদি। তখন একদল মেধাবী মানুষ সেসব মানুষদের প্রবোধ দিতে, তাদের ভয় ও হাহাকার দূর করতে এবং তাদের মাঝে নৈতিকতার (ভাল কাজে উৎসাহিত করা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদির মত সিম্পল নৈতিকতা) ধারণা আনার জন্য বলে “এখানেই শেষ নয়, পরেও জীবন আছে, আর তা অনন্ত কালের জন্য।” ভাবতে পারেন এমন একটা যুগান্তকারী কথা মানুষ কিভাবে গিলেছিল? আর এই ব্যাপারটাকেই পরবর্তীকালে ক্ষমতা, শাসন ও শোষনের হাতিয়ের হিসেবে ব্যবহার করেছে কিছু বিবেকবর্জিত বুদ্ধিমান মানুষ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ভাল লাগল পড়ে। (Y) প্রিয়তে নিলাম।
@লীনা রহমান,
নার্সিসিষ্টের বাঙলাটার থেকে কেমন যেন ইংরেজিটাই বেশী আবেদনসৃষ্টি করে। আর might is right’র একটা সাজেশন রৌরবও দিল, দেখি শেষ পর্যন্ত কী হয়।
তোমার চিন্তার সাথে আমারও মোটামুটি মিল আছে। অনিশ্চয়তা একটা বিরাট ফ্যাক্টর। যা কিনা পরকালের মতন চিন্তা ভাবনা বিশ্বাস করাতে পারে।
জাইক্কা মামু একবার একটা লেকচারে বলেছিল, এই পার্থিব সমাজে আমাদের অনেক পাপ মোচন হয় না, প্রতিশোধ নেয়া যায় না। তার মানে কী আর হবে না? পাপ করে একজন এভাবেই পালিয়ে বেচে যাবে?
ভেবে দেখ এই একই যুক্তিগুলো দিয়েই আগের নবীগুলা মানুষকে ফাঁদে ফেলত।
ধইন্যা এত্ত বড় একটা জিনিস পড়ার জইন্যে। :))
@ সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আলী সিনার এ প্রবন্ধটি বাংলায় প্রকাশ
করার জন্য। গত ১৪০০ বছর ধরে “ইসলাম” নামক মিথ্যাচারের প্রধান ভিকটিম হল ধর্মপ্রান ‘মুসলীম সমাজ’। তাদেরকে ‘সত্য’ জানতে দেয়া হ্য় নি। যুগে যুগে অমানুষিক নিষ্ঠুরাতায় “মুহাম্মদী বিধানে” সত্য প্রকাশ কারীদের
দমন করা হয়েছে। আজ ও তা চলছে যেখানেই সুযোগ মিলছে। এ পরিস্হিতির অবসান হতেই হবে, এতে সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে মুসলীম সমাজ। আজকে ইন্টারনেট যুগে ‘ইসলামের “অন্ধকার” দিকগুলো প্রকাশ করার সূযোগ এসেছে। কুরান -হাদীস-সীরাতে যা লিপিবদ্ধ আছে তা দিয়েই ইসলামের “সত্যিকারের চেহারা’ চেনা যাবে। বাহিরে তাকনোর দরকার পড়বে না।
@গোলাপ,
মানে এটা অনুবাদের অনুমতি নেয়ার পরে আমিই ভীড়মি খেয়েছিলাম এটার বিশালত্ব দেখে। প্রথমে দেখলে ছোটই মনেও হয়েছিল। আসল কাজ করতে গিয়ে মাথায় আগুল লেগে গেল। 🙁
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা অনুবাদের চেয়ে পড়া আরো বেশী কষ্টের। যে সাইজ! :))
জোর যার মুল্লুক তার?
@রৌরব,
ঠিক এই কথাটাই আমার মাথায় প্রথমে এসেছিল। তারপরে কেন জানি না সঠিক মনে হল না। এজন্য বাদ দিয়েছিলাম। দেখি সবাই কী বলে।
সাজেশনের জন্য কৃতজ্ঞতা থাকল। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
রৌরব এর “জোর যার মুল্লুক তার” কথাটা কিন্তু ভাল লাগছে (অবশ্য উন্মাদীয় “মাইরের উপর ওষুধ নাই” ও খারাপ না :)) )
কষ্ট করে এত সুন্দর একটা অনুবাদ উপহার দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। (D)
@সাইফুল ইসলাম,
হ্যাঁ, রৌরবের কথা ঠিক, ওটার বাংলা জোড় যার, মুল্লুক তার।
কিছু কিছু জায়গায় টাইপো বাদ দিলে এককথায় অসাধারণ। সঠিক যুক্তির সঠিক ব্যবহার, বিশেষ করে আর্গুমেন্টের রেফারেন্সটা অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ যত্ন করে লেখাটি লেখার জন্য।
@অন্ধকারে আলোর খোঁজে,
মানে এই টাইপো নিয়ে যে আমি কী করব বুঝেই উঠতে পারছি না। এত বার দেখলাম তারপরেও ভুল থাকল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত্ত বড় একটা তিমি মাছ পড়ার জন্য। :))