জাতীয় দৈনিকে একটি “বিজাতীয়” খবর ছেপেছে। প্রথম বার পড়ে বুঝতে পারিনি! পরে ল্যাবে বসে কাজের ফাঁকে আবার পড়লাম। এবারও বুঝতে সমস্যা হল। ক্রস ভেরিফাই এর জন্য নেট এ সার্চ দিলাম। আমার শেষ আশাটুকু ধূলায় লুটিয়ে, পত্রিকার খবরটিই সত্যি প্রমাণ হল। মাননীয় প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজ ক্ষমতা বলে, শাস্তি প্রাপ্ত আরও এক খুনিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন!

মানুষ সমাজ বদ্ধ জীব। মানুষ একা চলার চেয়ে চলার পথে সঙ্গী সাথি নিয়ে   চলতে পছন্দ করে। পছন্দ করে নেতৃত্ব দিতে, বা নেতৃত্ব অনুসরণ করতে। একক ভাবে করা যায় না এমন কোন কাজ করার সময় মানুষ তা সমষ্টি বদ্ধ ভাবে করে, এবং তা করার সময় স্বভাবগত কারণে মানুষ সাধারণত একজন ব্যক্তি বা সমষ্টিকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়। তাই একজন কার্যকর দলনেতা নির্বাচনের জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে, অধিকাংশ মানুষের কাছে দল নেতাকে সম্মান জনক হতে হবে। তাই দলনেতার ব্যক্তিত্ব ও বিচক্ষণতা দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক রানী। দেশের সকল সাধারণ জনগণ, দল মত নির্বিশেষে রানীর নেতৃত্বকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। যদিও রানী যুক্ত রাজ্যে একজন প্রতীকী অর্থে নেতা। যুক্তরাজ্য গণতান্ত্রিক দেশ, জনগণই ক্ষমতার উৎস। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতে মানুষের কাছে প্রশ্নাতীত ভাবে রানী ঐক্যের প্রতীক। গণতন্ত্র ও আধুনিকায়নের যুগে, যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাজ্যের মত কোন প্রতীক নেই যাকে সামনে রেখে দেশর তাবৎ জনগণ ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে। এই শূন্যতা দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বহু সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। নানা টিভি সিরিয়াল, সিনেমা ইত্যাদি তৈরি করে প্রেসিডেন্ট “ইন্সটিটিউট” কে জাতীয় হিরোতে পরিণত করছে। একই কারণে, জাতিকে ঐক্য বদ্ধ ও সুসংহত রাখা। তাই আজ সাধারণ মানুষ প্রেসিডেন্টের ডাকে সারা দিয়ে দেশের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। নানা দেশে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। আর এসবের মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট “ইন্সটিটিউট” টি “হিরো” আকারে পরিচিত হয়েছে তাবৎ দুনিয়ায়, এক বাক্যে সবাই চেনে, “মিস্টার প্রেসিডেন্ট।”

সারা পৃথিবীর সকল শান্তিকামী মানুষ বিশ্বাস করবে, কোন অবিশ্বাস, অনাস্থা বা ঘৃণার উপর ভর করে কোন জাতি সামনে আগাতে পারে না। তাই শত ভেদাভেদ থাকলেও নির্ভরতার একটি জায়গা থাকাটা আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি তেমন একটা ইনস্টিটিউশন আমরা দাড় করাতে পারিনি। একটা ইনস্টিটিউশন আমরা আজও পাইনি, যাকে দল মত নির্বিশেষে সবাই আস্থা রাখতে পারে বা পারছে। বাংলাদেশে এমন একটি নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা ছিল, এবং আছে। শূন্য স্থানটি আজও পূরণ হয়নি। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট থেকেই, দলীয় সংকীর্ণতা, নেতার অদূরদর্শিতা, তোষামোদকারীদের উপর নির্ভরশীলতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাবের সুযোগে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী দেশের জনগণের এই ঐক্যের স্থানটিতে আঘাত হেনেছে। সাধারণের সেই ঐক্যের ও আস্থার স্থানটিতে বার বার আঘাত এসেছে, দোদুল্যমান হয়েছে যখন একাধিক বার এই ইনস্টিটিউশনের উপর স্বৈর শাসনের ঘৃণ্য খড়গ নেমে এসেছে। আমাদের ঐক্যের অভাব ও রাজনৈতিক দৈন্যতা ই এর নিয়ামক হিসাবে কাজে করেছে বেশী। ঐক্যের অভাবকে সহজে কাজে লাগিয়ে সুবিধাভোগীরা অল্প আয়াসেই পেয়ে গেছে একদল সুশিক্ষিত, আজ্ঞাবহ, উচ্ছিষ্ট ভোগী গোত্র। নানা নামে, বেনামে তাদের কার্যক্রম চলছে। এভাবেই দীর্ঘ চড়াই উৎরাই পাড় হয়ে তেমন কোন কার্যকর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ছাড়াই দেশ অনেকটা বুড়ো হয়েছে। গণতন্ত্রও হয়তো এসেছে। আমরা, তরুণরা আবারও আশার আলো জ্বালিয়ে, বুক বেঁধে ছিলাম। এবার আমাদের সামনে চলার দিন বোধহয় এসেছে। দেশের এই দীর্ঘ চড়াই উৎরাই এর পরেও, দেশে রয়ে গেছে আস্থা অনাস্থার দোলাচল। তাই সংসদীয় গণতন্ত্র থাকায় সকলের আস্থার শেষ স্থানটি রয়ে গেল প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের আদলে “মিস্টার প্রেসিডেন্ট” না হলেও অনেকটা সে রকমই। অনেকটা আমাদের শেষ ভরসা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ঘৃণ্য কামনা চরিতার্থ করার জন্য, কখনও কখনও প্রেসিডেন্ট ইন্সটিটিউটকেও কলঙ্কিত করতে পিছপা হয়নি। একজন সৎ ও যোগ্য প্রেসিডেন্ট যখন দলীয় হীনমন্যতা ও ক্ষুদ্রতার উপরে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছেন, তখন সরকারী দলই তাকে ছোট করার, ও জনগণের কাছে আস্থাহীন করার নানা অপকৌশল প্রয়োগ করেছে। বর্তমান সরকারও অতীতে তাদের অপকর্মের সাফাই না গাওয়ার দৃষ্টান্ত থেকে এক জন তল্পী বাহককে প্রেসিডেন্ট আকারে বেছে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। তাই শুরু থেকেই বিরোধীদলের অনেকে বর্তমান প্রেসিডেন্টের উপর আস্থা রাখতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে।

অতীতে, প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজউদ্দিনের সময়ে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ট্র্যাক রেকর্ডের কারণে প্রথম থেকে বিতর্কিত না থাকলেও, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূলত বিরোধীদলের লগী বৈঠার আন্দোলনের সুযোগে, দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত হতে রক্ষা করার নামে, ইয়াজউদ্দিনের অকস্মাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার খায়েসকে জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ জনগণের সামনে এভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঐ আন্দোলন ও প্রেসিডেন্টের “তত্ত্বাবধায়ক সরকার” এর প্রধান হিসাবে ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি লোভ জনিত ছিলনা! হিসাব মোতাবেক, অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মূলত আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের নির্বাচনী ঐক্যের আঠারোটি দল প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের নিরপেক্ষতা নিয়ে স্বভাবসুলভ প্রশ্ন তুলে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হলে, প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান স্বেচ্ছায়  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে অপারগতা জানান। এর ফলে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির অবকাশ তৈরি হলে ড. ইয়াজউদ্দিন ক্ষমতা নেন। আওয়ামীলীগ ও তার ঐক্যের আঠারো দল পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে তখনও পর্যন্ত ইয়াজউদ্দিনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন ও নেতৃত্ব মেনে নেয়। কিন্তু তারা পূর্ববর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপ নিয়ে, এবং নতুন কিছু ইস্যু সামনে এনে আওয়ামীলীগের নেয়া নানা কঠোর কার্যক্রমের কারণে সীমিত ক্ষমতা সম্পন্ন ইয়াজউদ্দিন সরকারকে তটস্থ হয়ে থাকে। এবং বিভেদ বাড়তেই থাকে। কিন্তু একজন সাধারণ বাংলাদেশী ঘুণাক্ষরেও জানতে পারলও না, এই হিংসা, বিভেদ ও অনাস্থার রাজনীতি তাদের জাতীয় ভাগ্যকে কোথায় ঠেলে দিল। জনগণ ও জনমত কে বিভক্ত করার খেলায় লিপ্ত রাজনৈতিক দলগুলোও কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্দুকের নলের মাথায় আবারও ধরাশায়ী হয়ে যাবে গণতন্ত্র। তারা বুঝতেও চায় নি, প্রেসিডেন্টকে একটি শক্তিশালী ইন্সটিটিউট হিসাবে না দাড় করিয়ে তটস্থ করে রাখার ফল ভালো নয়। এর ফল শুধু আওয়ামীলীগ তার সরিক দল সমূহ বা বিএনপি ও তার সরিক ‘স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিই’ নয়, পুরো জাতি পরবর্তী দুই বছর ভোগ করেছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষ আবার আশায় বুক বেঁধে ছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিষয়ে, তার সীমাহীন দলীয় আনুগত্যের কারণেই বিরোধী দল সহ, শিক্ষিত মহল আস্থা রাখতে পারেনি। একজন নিরপেক্ষ মানুষ খুঁজে পাওয়া আওয়ামীলীগ সরকারের জন্য দুরূহ হয়ে পরে। পক্ষান্তরে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও সরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের নাম উঠে আসে। কথিত আছে, আওয়ামীলীগ প্রেসিডেন্ট পদের বিনিময়ে জাতীয় পার্টিকে তার জোটে এনেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলীয় আজ্ঞাবহ ও ভীরু প্রকৃতির বলে বিরোধী জোট গুলো আগুন ছড়ালেও তাদের হাতে কোন মোক্ষম প্রমাণ ছিল না।

কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট দলীয় পরিচয়ের চিন্হিত অপরাধীদের একের পর এক ক্ষমা করে দেয়ায়, সুধি মহলে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার প্রাপ্ত ক্ষমতার অপব্যবহার প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে। শুধুমাত্র তার অপরাধ প্রশ্রয় প্রবণতা ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনে সংবিধানে পরিবর্তন এনে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাসের কথাও আলোচনায় এসেছে! তিনি কলমের এক খোঁচায় ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত কুড়ি জন আসামীকে মুক্ত করে দিলেন। যেখানে কিনা ইন্টারনেটে প্রাপ্ত ভিডিওতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে গামা নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশের বুকে পা তুলে দাঁড়িয়ে আছে আওয়ামীলীগের নেতা, তাকে হত্যার পর্যায় গুলো! বর্তমান প্রেসিডেন্ট আঠারো বছর সাজা প্রাপ্ত আসামীকে শুধু মাত্র দলীয় এক নেতার পুত্র হওয়ার সুবাদে মুক্ত করে দিলেন! তিনি এমন আরেক জনকে দলীয় বিবেচনায় ক্ষমা করেছেন যার বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা রয়েছে এবং তিনিও সাজা প্রাপ্ত ফাঁসির আসামী। এই বিষয় গুলো জনমনে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে যে, প্রথম আলো পত্রিকাতে পাঠক পাঁচশত দশটি (এই লেখাটি লেখার সময়) মন্তব্য করেছে। অধিকাংশই ঘৃণা ভরা মন্তব্য, বলে দিতে হয় না। কিছু মন্তব্য এমন তীব্র যে পত্রিকার মন্তব্য হিসাবে প্রকাশ করা যায় নি। সেগুলো

৫১০ টি মন্তব্য!

প্রকাশ পেলে হয়ত আরও বেশী হত। এক্ষেত্র স্মর্তব্য যে, প্রথম আলো তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন খবরের বিপরীতে এত বেশী মন্তব্যের এটাই রেকর্ড। নিকটতম মন্তব্য সংখ্যা তিনশতের কাছাকাছি, একজন রিক্সা চালকের সমাজে অবদানের কাহিনী, যেখানে একশত ভাগ মন্তব্য এসেছে একজন রিক্সা চালকের প্রশংসা করে।

ক্ষমা মহৎ গুন। কিন্তু একটি ক্ষমার উপর এত শত মন্তব্য ও লেখা ‘আমার জানামতে’ বাংলাদেশের ইতিহাসে আর নেই। আমরা আশা করতে পারি, তিনি দয়ার সাগর। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসের তিনি সেই সাক্ষী যিনি নিজের দলনেতাকে অশুভ চক্রের হাতে নিহত হওয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে চোখের সামনে ঘৃণ্য আততায়ীর বোমার আঘাতে খুন হতে দেখেছেন। তিনি প্রিয় মানুষের হত্যার গভীরতম কষ্ট নিজে উপলব্ধি করেছেন। তার চেয়ে বাংলাদেশে প্রিয় মানুষ হত্যা হলে আর হত্যাকারীর বিচার না হলে যে যাতনা, আর কেউ বেশি জানে না। সেই তিনি কেন, কিসের ইশারায় এমন কাজটি করলেন, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। কেন তিনি দলীয় বা ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দিয়ে দাগী খুনের আসামিকে মুক্ত করে দিলেন? স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, তিনি কেন এটা করলেন। তিনি একজন অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান কৌশলী। এই আচরণের পরিণাম তার চেয়ে খুব কম মানুষই বেশী জানে। তিনি এটাও জানেন, কোন রূপ রাগ, ক্ষোভ, ব্যক্তিগত বিরাগ বা আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি কিচ্ছু করতে পারেন না। তিনি সেই শপথ নিয়েই পবিত্রতম সংবিধানের রক্ষক হয়েছেন। তিনি যদি আজ দলীয় বিবেচনায় অর্থাৎ আবেগের বশবর্তী হয়ে এই হীন কাজটি করে থাকেন, তা তার শপথ ভঙ্গের সামিল। সুতরাং তিনি তা করতে পারেন না! তবে কি কোন রূপ ভয় ভীতি দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়েছেন? তিনি সম্ভবত তাও করতে পারেন না। তবে কি এমন কিছু ঘটছে যা আমরা জানি না? যদি তেমন কিছু ঘটেই থাকে, একজন দেশ প্রেমিক পাঠক হিসাবে আপনার ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আর তার কোনটিই যদি না ঘটে থাকে, তাহলে মিস্টার প্রেসিডেন্ট আপনার কিছু করার আছে। পত্রিকায় প্রকাশিত মত থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, আপনি কোন অবস্থাতেই প্রেসিডেন্ট ইন্সটিটিউটটিকে কলঙ্কিত করতে পারেন না। শুধু তাইই নয়, আপনি কি আপনার স্ত্রী হন্তাকে ক্ষমা করবেন, এমন প্রশ্নও বহু ব্লগ ও সংবাদ পত্রে এসেছে। আর আপনি যদি এমন কোন কারণে এই কাজ করে থাকেন যা প্রকাশ্যে বলতেও আপনি ভীত, তাহলে অন্তত ঈশারা দিন। দেশ রক্ষার যাদের তাগিদ আছে, সেই তরুন সমাজকে আপনি আপনার সাথে পাবেন।  আজ শুধু একবার ভাবুন, যখন অপরাধীদের ক্ষমা করছেন তখন বিচার প্রার্থী পরিবারগুলোর কেমন লেগেছে। বর্তমান তরুণ সমাজ হয়তো এখনও আপনার সাথে আছে, হয়ত থাকবেও। কিন্তু তার আগে এই কৃত কর্মের জন্য জনতার কাছে না হলেও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইতেই হবে, ক্ষমঃ ক্ষম অপরাধঃ