রুমানা মঞ্জুর এখন এক পরিচিত নাম। তাকে নিয়ে ফেসবুক, ব্লগ ছাড়াও মুখে মুখে ফিরছে আলোচনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই শিক্ষিকা আজ দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা আসলেই এখনো কোথায় আছি। রুমানা আজ বিছানায় পড়ে কাতরাচ্ছেন, তার বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, ডান চোখও প্রায় গেছে, নাকে এবং সারা শরীরে কামড়ের ভয়ানক দাগ। আর এসবই করেছে তার স্বামী হাসান সাঈদ। কিজন্য জানেন? তার সন্দেহ ছিল রুমানা কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে এক ইরানী ছেলের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তার সাথে প্রেম চালিয়ে আসছিলেন। আমি এখানে অন্য অনেকের মত এটা কখনোই বলবনা রুমানার ব্যাপারে এ অভিযোগ(!) সম্পূর্ণ মিথ্যে। এ ব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে চাইছিনা কারণ মানুষের মন বড় বিচিত্র আর তাছাড়া আসলে রুমানা বা তার স্বামীর মধ্যকার পরিস্থিতি কি ছিল আমি জানিনা। আমি শুধু এই পুরো ঘটনার মাঝে দিয়ে আমাদের সমাজের মানসিকতা দেখার চেষ্টা করব।
একদল এ ঘটনায় মনে করেছেন-
১। মেয়েটারই তো সমস্যা ছিল, তার নিজের দোষেই তো তার এই দুর্দশা। স্বামী সন্তান ফেলে প্রেম করবা আর শাস্তি পাবানা? এই ধরণের মেয়েদের জন্যই সুস্থ সামাজিক ও পারিবারিক জীবন নষ্ট(!)হয়।
(অথচ এ ধরণের একপেশে এবং অসুস্থ মানসিকতার মানুষগুলো কিন্তু এ সম্ভাবনা মাথায় রাখেননি মেয়েটি পারিবারিক জীবনে অসুখী থাকতে পারে। তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে এমন সমস্যা থাকতে পারে যা আমরা জানিনা অথচ তা হয়ত তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। এগুলো ছাড়াও আরেকটি সম্ভাবনা থেকেই যায়, তা হল মানুষের মন খুব বিচিত্র আচরণ করতে পারে বন্ধুত্ব, ভালবাসা এ ধরণের মানবীয় অনুভূতির ক্ষেত্রে। যেমন ধরুন একজন পুরুষ বা নারী তার বিবাহিত থাকা অবস্থায় আরেকজন মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়লেন, আমরা ওই পুরুষ বা নারীর পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এ ঘটনাটার প্রভাব নিয়ে কথা বলতে পারি হয়তো, কিন্তু সমগ্র পরিস্থিতি না জেনে বিচারকের আসন গ্রহন করে তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি নির্ধারণ করতে পারিনা।)
২। একদল মনে করেছেন মেয়েটা কেন আগে বের হয়ে আসেনি? এটা খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। কেন এরকম মোটামুটি মূল্যহীন স্বামীর ঘর করে আসছিলেন তিনি এতদিন, যে কিনা সংসারের ভরণপোষনের যোগ্যতা বা সামর্থ্যও রাখতনা?
এর উত্তর হচ্ছে সমাজ। আমাদের সমাজে পুরুষের ছায়া ছাড়া কোন একাকী মেয়ের জীবন যে কতটা দুর্বিষহ হতে পারে সেকথা বলাই বাহুল্য। আমাদের সমাজে একজন লোক একজন মহিলাকে তার স্ত্রী বানিয়ে ব্রোথেল চালালেও সমাজ ততটা বাঁধা দেয়না যতটা দেয় কোন যুবতী বা ডিভোর্সি বা বিধবা মহিলা এমনকি তার সন্তানকে নিয়ে কোন বাসা ভাড়া নিতে চাইলে। কারণ পুরুষ যত অথর্ব বা অকর্মণ্যই হোক সে একজন নারীর মাথার উপরের ছায়া! মনে করুন আমাদের সমাজের একজন পঙ্গু, মদ্যপ ও বেকার লোক, যাকে তার স্ত্রী আয় করে খাওয়ান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই পরিবারের কর্তা কে হন বলুন তো? অবশ্যই ওই পুরুষ! একজন ডিভোর্সি বা বিধবা মহিলা আমাদের সমাজে বাসা ভাড়া পাবেননা সহজে, চাকরি পাবেননা সহজে, বাবার বাড়িতে থাকলেও দুদিন পরেই শুরু হবে গঞ্জনা, প্রতিবেশীরা তার দিকে প্রথমে করুণা আর তার পরে ঘৃণার চোখে তাকাবে, উনি তার মেয়েকে বিয়ে দিতে সমস্যায় পড়বেন, উনার ও উনার বাবার পরিবারের সম্মানহানি হবে কারণ সেই মেয়েটি হয়ত তার জন্য অযোগ্য একজন মানুষকে ত্যাগ করে এসেছে বা কোন কারণে তার স্বামীকে হারিয়েছে! এ পরিস্থিতিতে রুমানার ওই সংসারে থেকে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি কি আমরা তাকে দোষ দিতে পারি, বলতে পারি যে এটা সম্পূর্ণই তার সিদ্ধান্ত ছিল যেখানে সমাজ আমাদেরকে বিশেষ করে মেয়েদেরকে বেঁধে দেয় কি ধরণের আচরণ সে করতে পারবে?
মোটামুটি অধকাংশ মানুষের কাছেই রুমানার ব্যাপারটা খুব অবাক করার মত কিছুনা, যেন এটাই স্বাভাবিক। এমনকি আমার সামনে এক নারীকে বলতে শুনেছি
“আহারে ওই শয়তানটা মেয়েটার কি অবস্থা করেছে! থাক স্বামী স্ত্রীর যেই জায়গাটাতে আঘাত দেয় ওই জায়গাটুকু বেহেস্তে যায়!”
আর একথা খোদ হাদিসেই আছে (দুঃখিত সূত্র দিতে পারছিনা এই মুহূর্তে)। ওই পশুটি এখনো স্বামী! ভৃত্যের প্রতি যত অন্যায়ই করুকনা কেন সে প্রভু। সাঈদ রুমানার মুক্তির উপায়! রুমানার তো তাহলে উচিত সারা শরীরের প্রতিটি জায়গায় সাঈদের আঘাত নেয়া যাতে তার শরীরের কোন টুকরোই বাদ না যায় বেহেস্তের ছোয়া পাওয়া থেকে!
রুমানার এ ঘটনা ঘটেছিল নাকি গত ৫ই জুন, আর এ ঘটনা মানুষে সামনে এসেছে ১৩ই জুন। এর কারণ কি এটা হতে পারেনা যে এই সমাজে “স্বামী” হবার কারণে সে এ কদিন সেলিব্রেটি হওয়ার আর লাল দালানের আতিথেয়তা পাবার পথ থেকে দূরে ছিল?
আমি অনেকের মত মনে করছিনা সাঈদ নেহাতই কুৎসা ছড়াচ্ছে রুমানার ব্যাপারে। ইরানী ছেলের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা পুরোটাই ভুয়া। তারা এই কথাগুলো ভাবছে কারণ অপরিষ্কার চরিত্রের কোন মেয়ের পক্ষ নিলে যে এই সমাজে আমাদের মান থাকেনা!
রুমানার প্রেমের ব্যাপারটা যদি সত্যি হয়ও তবু আমি তার পক্ষ নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করছিনা, কারণ কাবিননামায় স্বাক্ষর করে কারো ইচ্ছা, বাসনা বা স্বাধীনতাকে কিনে নেয়া যায়না, কেউ আমাকে পছন্দ না করলে তার গায়ে হাত তোলাও যায়না, তাকে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা যায়না (যদি আমি নিজেকে আর আমার সাথীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে চাই, আর যদি তা না ভাবি সভ্যতা তো আমার জন্য নয়)। কেউ আজ আমাকে ভালবাসছে বলে আমি তাকে বাধ্য করতে পারিনা সারাজীবন আমাকে ভালবাসতে, বা আমি কাউকে নিজের করে রাখতে চাই বলে কাউকে বাধ্য করতে পারিনা আমার নিজের হয়ে থাকতে।
সাঈদের এ ধরণের পাশবিক আচরণও কিন্তু সমাজ দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায়। একজন পুরুষ আমাদের সমাজে “আমি নারীর চেয়ে উচ্চতর” এ ধরণের মনোভাব নিয়েই আসে, সে যখন দেখে সেই “নিম্নতর” জীবটির চেয়ে সে ব্যর্থ তখন তা তার পক্ষে সহ্য করা কষ্টকরই বটে। আর সেই নিম্নতর জীবটি যদি স্বাধীনভাবে যোগ্যতর কাউকে বেছে নিতে চেষ্টা করে তা তো আরো অসহ্য। এখন উপরোক্ত সব ঘটনাগুলো যদি হাসান সাঈদকে অসুস্থ করে ফেলে তাহলে তার পক্ষে এ ধরণের জঘন্য কাজ করা সম্ভব। সে স্বামী, আর এক নিম্নতর জীব নারীর তার চেয়ে যোগ্য হবার স্পর্ধা সে গুড়িয়ে দেবেনা? সাঈদের মত অসুস্থ কিন্তু সবাই না, কিন্তু সমাজ ও ধর্মীয় কিছু বিধান যে তাদেরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে তা তো বলাই বাহুল্য।
ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু উদাহরণ নিচে দিলামঃ
সুরা বাকারার ২২৮ নং আয়াতে রয়েছে –
পুরুষের অবস্থান নারীদের চেয়ে উপরে।
সুরা নিসা’র ১১ নং আয়াতে রয়েছে –
একজন পুরুষ দুইজন স্ত্রীলোকের সমান।
এছাড়াও পুরুষকে তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে নারীকে দেয়া হয়নি। আর হাদিসে তো বলাই হয় স্বামীর হাতে স্ত্রীর শরীরের যে অংশ আঘাত পারে, সেই অংশ বেহেস্তে যাবে। এছাড়াও স্বামী যখনই স্ত্রীকে মিলনের জন্য ডাকবে স্ত্রী যে কেজই করুকনা কেন ছুটে আসতে হবে আর কোন স্ত্রী যদি স্বামীর চাহিদা পূরণ না করে তাহলে তাহলে নাকি ফেরেস্তারা সারারাত সেই স্ত্রীকে অভিশাপ দিতে থাকে। পুরুষের জন্য চার বিয়ের সুযোগ তো রয়েছেই।
আর স্ত্রীকে প্রহার করা কিন্তু ধর্মসম্মতই! সুরা নিসায় বলা হয়েছে-
“পুরুষ নারীর নিয়ন্ত্রণকর্তা এবং রক্ষাকর্তা, কেননা আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন (শারীরিক শক্তির বিচারে) এবং যেহেতু পুরুষ অর্থ দিয়ে তাদের ভরণপোষণ করে । তাই সতীসাধ্বী নারীরা হবে একান্ত অনুগতা-বাধ্যগতা, স্বামীর অবর্তমানে আল্লাহর নির্দেশিত পথ অনুযায়ী তাদের ইজ্জত আব্রু রক্ষা করবে । যে সকল স্ত্রী থেকে অবাধ্যতা এবং খারাপ আচরণের আশংকা করো, তাদের মৃদু তিরস্কার করো, অতঃপর তাদের সঙ্গে শয্যা বর্জন করো এবং অতঃপর তাদের প্রহার করো ।”
আরো শুনেছি
– ” স্ত্রী যদি বশ না মানে, তাহলে স্বামী তাকে উপহার দিয়ে কিনতে চেষ্টা করবে, আর তাতেও কাজ না হলে হাত বা লাঠি দিয়ে মেরে তাকে নিজের বশে আনবে।”
-” স্বামী তাহার স্ত্রীকে চারটি কারণে প্রহার করিতে পারে, এর মধ্যে একটি, স্বামীর বিনা অনুমতিতে কাহারও বাড়িতে বেড়াইতে গেলে…”
হাসান সাঈদ ধর্মসম্মত কাজই করেছেন, যেজন্য রুমানা বেহেস্তবাসী হতে চলেছিলেন নরক যন্ত্রণার মাঝে দিয়ে।
এভাবে যদি সমাজের ও ধর্মের শিক্ষার মাধ্যমে নারী ও পুরুষ উভয়েই নারীকে নিম্নতর প্রাণী হিসেবে জানতে থাকে তাহলে তো নারীরা অর্ধমানুষ বা নিম্নতর জীব আর পুরুষেরা অমানুষ হয়েই থাকবে।
দাদারাতো খাওযা দাওযা ভালই করছেন 😉
কিছু দিন আগে মারতিন সরকার কে তার বউ এবং দুই মেয়ে মিলে হত্যা করে এর ধরমীয় ব্যখ্যা করবেন কি ???????????????????????
@কাইসার, ভাই আপনি লেখাটা পড়ে দেখবেন আরেকবার? আমি কি বলেছি সাঈদ কুরয়ানের আয়াত দেখে এই কাজ করেছে? দেখুন এটা ত স্বীকার করবেনই যে আমাদের মানসিকতা, মতামত,চিন্তাভাবনা গঠনে সমাজের ও পারিপার্শ্বিকতার বড় ভূমিকা আছে। আর এসবকিছুর উপর ধর্মেরও সুনির্দিষ্ট প্রভাব থাকা স্পম্ভব। তাই আমি বলছি ধর্মের কিছু ব্যাপার আমাদের মানসিকতাকে খারাপ শেইপ দিতেই পারে। আমি বোঝাতে চেয়েছিও এ ধরনের ঘটনায় সমাজ ও ধর্মের প্রভাব থাকতেই পারে। আপনি কি শুধু “কুরান” “ইসলাম” “ধর্ম” এই কয়টি কথা ছাড়া আমার লেখায় আর কোন শব্দই দেখেননি? তাহলে আমারই ব্যর্থতা বলতে হবে, নাকি আপনার সমস্যা? ভাল থাকবেন
লীনা,
আমি একজন উচ্চশিক্ষিত ডক্টরধারী নারীকে খুবই কাছ থেকে জানি ও চিনি যে ছোটকাল থেকেই একটি সেক্যুলার পরিবেশের মধ্যে বড় হয়েছে। নিরশ্বর,বস্তুবাদীদর্শন,নারীবাদ ও মার্ক্সবাদী মতবাদে জ্ঞাত ছিল। নিজের বিবাহিত জীবনের বেলায় সারাজীবন সুভোনিষ্ট এক কমিউনিষ্ট পুরুষতন্ত্রের অসভ্য নামধারী স্বামীর যাতাতলে একযুগ পিষ্ট হয়েছে।
সে চক্র থেকে বহু মাসুল দিয়ে অন্যের সাহায্যে বের হয়ে ইউরোপে সেটেল হয়েছে। বিদেশে কয়েক বছর থাকার এতোকিছুর পরে এখন আবার সব তন্ত্র-মন্ত্র ভূলে গিয়ে একেবারে অজানা-অচেনা এক তথাকথিত বাংগালী ধর্মবিশ্বাসী দুই বিবাহিত এক আদমের বাহুডরে আবদ্ধ হয়েছে।
এই যদি হয় আমাদের দেশের তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত অবলা নারীর ভূশন তাহলে আমার তোমার কাছে প্রশ্ন কোন নারীরা সব তন্ত্র সহ পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা প্রতিঘাত করবে………???????
( একই কমেন্টস লীনার লেখারটির বেলায়ও প্রযোয্য বলে এখানে কপিপেষ্ট করে দিলাম )
রুমানার এমন ঘটনার পরে এখন আমাদের দেশের নারীবাদী সংগঠনগুলি কি পদক্ষেপ নেয় সত্যি তা দেখার বিষয়।এই ঘটনার পর যদি আমাদের দেশের তথাকথিত শিক্ষিত নারীদের চোখ-কান খোলে ???
লীনাকে ধন্যবাদ সময়োপযোগী লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
(Y)
চোখের বদলে চোখ,নাকের বদলে নাক, ব্যথার বদলে ব্যথা এটাই একমাত্র শাস্থির বিধান থাকা উচিৎ নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে।
আজ রুমানার দুচোখ নষ্ট হয়ে গেছে।তার জন্য তার ঘর জামাই স্বামীর উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।
সাঈদের অপরাধ বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের উপর যেমন চাপানো যায় ( বিপ্লবদার আদালতে অবশ্য) , তেমনই শেয়ার ব্যবসার উপরওতো চাপানো যায়। শেয়ার ব্যবসায় লাভ করলে বেটার মন ফুরফুরা থাকত, প্রয়োজনে আরেকটা বিয়া করত, রোমানাকে মারত না। এ জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্রধান আসামী করে সাঈদকে শুধু পরিস্থিতির কারণে অপরাধ বাস্তবায়নকারি হিসেবে দেখা যেতে পারে। 😕
ধর্মকে কথায় কথায় দোষারোপ করা ভাল লাগে না। কিন্তু এটাও তো ঠিক, মোল্লারা মেয়েদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার কথা কখনও বলেনা। মেয়েদেরকে যেন মুখমণ্ডলে আঘাত না করে, সব সময় না পিটায়ে যেন বিছানা আলাদা করে দেয় ইত্যাদিতে তারা এ যুগেও মহানুভবতা খোজে পায়। বাদাইম্মা জামাইদেরকে কিভাবে ছেঁচা দেয়া যায় তা হুজুরদের মুখে এ জীবনে শুনিনি।
লীনার মত মেয়েদেরকে নিয়ে র্যাবের মত বাহিনী করে গায়ে হাত তোলা বদমাশ জামাইদের রাস্তায় এনে কান ধরে উঠবস করালে বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের আউটকাম উল্টে যেতে বাধ্য।
ডিভোর্স দিলেই সমস্যার সমাধান হয়না। এক সমস্যা থেকে বাচতে আরেক সমস্যা ডেকে আনা হয়। তাছাড়া সন্তান থাকলে এটা আরও কঠিন। আমারতো মনে হয় দেশে এমন কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা ( ডিভোর্স ছাড়াও) পারিবারিক সমস্যা সমাধান করে। কোলাংগার জামাইরা প্রথমবার গায়ে হাত তুললেই মহিলাদের উচিৎ এ সব সালিশ কেন্দ্রে জানিয়ে বদমাশদেরকে সতর্ক করা।
রোমানার মাধ্যমেই গন সচেতনতা আসুক। রোমানা ও তার মেয়ের জন্য শুভ কামনা রইল।
লিনা বিষয়টা নিেয় লিখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।জানিনা সবাই কেন তর্ক করছেন।মানুষ চাইলে পৃথিবিটাকে সর্গ বানাতে পারত শুধু যদি বিবেকের কথা মনে থাকত।কেন যে মনে থাকে না!!!!!!!!!!!!!!!!
@আস্ত্ রিন,ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
নাহ, রুমানাকে আর কিছুই দর্শন করতে হবে না-
‘রুমানার দু চোখই নষ্ট হয়ে গেছে’
কী নির্মল চেহারা ছিল তার-
[img]http://new.ittefaq.com.bd/uploads/news_image/2011-06-20_1308499533.jpg[/img]
রুমানা যে নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন, তাতে তাঁর নিজেরও অনেকখানি দায়-দায়িত্ব রয়েছে। যে স্বামী স্ত্রীর চোখ গেলে দেয়, কামড়ে নাক ছিড়ে ফেলে, সেই স্বামী যে আগেও তাঁকে অত্যাচার করে নি, এটা বিশ্বাস করা যায় না। তিনি প্রেম করে এই ছেলেকে বিয়ে করেছেন, তারপর অত্যাচার সহ্য করে দশ বছর সংসার করেছেন, সন্তান নিয়েছেন। এটা তিনি কী কারণে করেছেন সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত নারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিদেশে ডিগ্রি করছেন, এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। এরকম একজন নারী কেন একজন অপদার্থ, অত্যাচারী স্বামীর সঙ্গে দশ বছর সংসার করেন, সেটা কিছুতেই মাথায় ঢোকে না আমার। অনেকেই আমাদের সমাজে তালাক দেয়া নারীর সামাজিক অবস্থান নিয়ে কথা বলবেন, কিন্তু সেই কথার সাথে একমত নই আমি। ঢাকা শহরে বিবাহবিচ্ছেদকারী বহু নারী আছেন, যাঁরা ঠিকই নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে গেছেন। আজকে যদি রুমানার চোখ নষ্ট না হতো, নাকে কামড়ের দাগ না পড়তো, তবে তিনি এই দাগবিহীন মারপিটকে আগের মত ভুলে গিয়ে, ঠিকই পাষণ্ডটার সাথে সংসার করে যেতেন।
শুধু রুমানা নয়, উচ্চশিক্ষিত, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী অনেক নারীকে দেখেছি, স্বামীর অত্যাচারকে লুকিয়ে রেখে, অন্যদের কাছে গদগদ হয়ে স্বামীর প্রশংসার প্লাবন ছড়াতে। আমাদের দেশের মেয়েরা এই কাজটা কেন করে, সেটা এখনও বুঝতে পারি নি আমি।
@ফরিদ আহমেদ, আসলেই অদ্ভুত ব্যাপার। স্বাবলম্বী হয়েও অনেকেই সামাজিক ব্যাপারগুলোকে অতিক্রম করতে পারেননা। আবার আমার এক খালাকেই দেখেছি উনি ঠিকই পাষন্ড স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে এসেছিলেন এবং এখন উনাকে ছাড়াও ভালই আছেন, আগে আত্নীয়রা অনেকেই উনাকে স্বামীর কাছে ফিরে যেতে বলত।কিন্তু আমার খালা কারোরই খাননা বা পরেননা তাই তারা কেউ সুবিধা করতে পারেনি।
@লীনা রহমান,
গতকাল রাতে CBC News এ রুমানা মঞ্জুরের টেলিফোন সাক্ষাতকার প্রচার করা হলো। সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে যে, তাঁরা রুমানার পরিচয় হিসাবে UBC girl বলেছে। রুমানার বন্ধু মোহসেন সেডিগ এই উইকএন্ডে তাঁর জন্য ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় র্যালি অর্গানাইজ করছে। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষও রুমানা যাতে তাঁর ডিগ্রি শেষ করতে পারেন সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
সিবিসি নিউজ এর স্ক্রিপ্ট এবং ভিডিও দেখতে পাবেন এখানে।
@ফরিদ আহমেদ, এটা তো খুবই ভাল খবর। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
লেখিকাঃ
আপনার লেখা দেখে আপনাকে সুস্থ হবার আহবান জানাচ্ছি। সব কিছুতে আপনে ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) খুজে পান। বিপ্লব পালের কথা বুঝার চেষ্টা করুন, কাজে দিবে। আপনেও ভবঘুরে সাহেবের মত সব কিছুতে ইসলাম খুজে পান। সমাজে কিছু একটা খারাপ হলেই ইসলাম খুজে পান।
যাইহোক আরও অনেক চিন্তা করতে হবে,সব লেখা ভাল হয়নি, – যদিও এটা আমার বলা উচিৎ না। তবে আমার দৃষ্টিতে ভাল লাগেনি। বিশেষ করে শেষে ও প্রথমেও হাদিস, কোরান নিইয়ে আসাতে। সকল ধর্মের বই পড়বেন, সকল ধর্মের অনুষ্ঠানে যাবেন। গভির চিন্তা করবেন। মিলাতে চেষ্টা করুন। সকল ধর্মের অনুষ্ঠান আলাদা হলেও এদের মূল এক।
এক জায়গায় আপনার নিজস্ব একটা মন্তব্য পেয়েছিলাম, সেইটুকু ভাল লেগেছে।
আমার মন্তব্য একটূ কর্কস ধরনের, তাই ক্ষমা করবেন।
ভাল থাকবেন
@Russell, আপনার সাথে আগেও যখন কথা হয়েছে তখনই বুঝেছিলাম আপনি লেখার থিম ধরতেই পারেননা। তাই আর কথা বাড়াতে চাইনা।ভাল থাকবেন
লেখার মূল থিম ঠিক আছে। তবে ব্যাপারটাকে চাইলেই বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কেও যদি বলে- সাঈদ মানসিকভাবে অসুস্থ, এই কাণ্ডের পেছনে আর কোনো কিছুই নেই,শুধু তার অসুস্থতা দায়ী- তাহলে তার বক্তব্য ফেলে দেয়া যাবে না। তবে সাধারণভাবে দেখতে গেলে পুরুষদের এমন মানসিকতার পেছনে যে ধর্মের হাত আছে তা মেনে নিতেই হবে।আমাদের দেশে ইসলাম ধর্মই মূলত ‘পুরুষ’ মানুষের মনোজগত গঠন করে। তাই এসব ঘটনার ব্যাখায় ধর্মের ঢুকে যাওয়া অদ্ভুত কিছু নয়।
বিপ্লব পালের কথার সূত্র ধরেই বলছি- হ্যাঁ, বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান দিয়ে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কাজটা হালাল হয়ে গেল। বিজ্ঞান কোনো বিষয়কে শুধু ব্যাখ্যা করে, তাকে সাপোর্ট করে না বা তার কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না। তাই বিজ্ঞান কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থা- যেটা দিয়েই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন আমাদের মূল চিন্তার বিষয় হওয়া উচিত কীভাবে এমন ঘটনা বারবার ঘটা রোধ করা যায়।
লেখিকাকে উনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@নিটোল,
তবে সাধারণভাবে দেখতে গেলে পুরুষদের এমন মানসিকতার পেছনে যে ধর্মের হাত আছে তা মেনে নিতেই হবে।আমাদের দেশে ইসলাম ধর্মই মূলত ‘পুরুষ’ মানুষের মনোজগত গঠন করে
– ভুল।
ইহা অনেকগুলো কারনের ভিতর একটি কারন, তবে হ্যা শক্ত একটি কারন।
@নিটোল,
একজাক্টলি। বিপ্লবের সাথে এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন বিষয়ে আমার তর্ক হয়েছে। আমার প্রায়ই মনে হয় ‘কী বনাম উচিৎ’ এর হেত্বাভাস (“Is” vs. “Ought” fallacy) দিয়ে আক্রান্ত হবার প্রবণতা আছে । বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের সাহায্যে কোন একটা ছক বা প্যাটার্ণ হয়তো ব্যাখ্যা করা যায়, কিন্তু কি করা ‘উচিৎ’ আর উচিৎ নয় – তা নয়। আরো পরিস্কার করে বললে বিবর্তন কোন অথোরিটি দাবী করে না। মানে বিবর্তন মনোবিজ্ঞান দিয়ে কোন কিছুর বৈধতা দেয়া কিংবা দেয়ার চেষ্টা করা পুরোপুরি একটা ফ্যালাসি। অনেক পুরুষ ধর্ষন কেন করে, কিংবা মারামারি কাটাকাতি কেন বেশি করে তা বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের সাহায্যে ব্যাখ্যা দেয়া যায়, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সেগুলোকে আইনসিদ্ধ করে দিতে হবে, বরং এ ধরণের নিষ্ঠুর ঘটনা রোধ করাই কাম্য।
@অভিজিৎ,
তোমার যুক্তি মানতে গেলে সাধু দের যুক্তি যে যোগাবলে কাম, প্রেম জয় করা যায় -এই সব ও মানতে হয়। তার মানে তুমি স্বীকার করছে বিবতর্ন মনটা কিছু না-মানুষ যা শিখছে বা তার মনকে ট্রেইন করছে সেটাই সব। তাহলে আর বিবর্তন মনোবিজ্ঞান নিয়ে লিখে লাভ কি? মনটা যদি অতই প্লাস্টিক হবে, তাহলে ত বিবর্তন মনোবিজ্ঞান সম্পূর্ন ফালতু বা ইনএফেক্টিভ :lotpot:
@বিপ্লব পাল,
‘কী বনাম উচিৎ’ এর হেত্বাভাসের উল্লেখ মানে যে সাধুদের ‘যোগাবলে কাম, প্রেম জয় করা’ এই অদ্ভুত যুক্তি এই প্রথম শুনলাম। আমার কাছে বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের গুরুত্ব ঐ সামাজিক প্যাটার্ণের ব্যাখ্যা পর্যন্তই, উচিৎ অনুচিতের ক্যাচালে হান্দানো নয়। সেই ক্যাচাল তুমি কর সারা দিন রাত, আমি সেই ক্যাচালে নাই সেটা বলে গেলাম আর কি। :))
@অভিজিৎ,
এটা অপরাধ সেটা ত লিখেছি। এটা করা উচিত ত বলছি না। শুধু বলছি এই ধরনের ছেলেদের মানসিকতাটাকে শুধু সমাজ দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না। নিউ জার্সিতে আমাদের এক পরিচিত ফামিলিতে স্বামী বৌ পেটাত। মেয়েটা উচ্চশিক্ষিতা। এবং অদ্ভুত সেই রিলেশন। মেয়েটি একের পর এক পরকীয়া করে যাবে-আমার এক বন্ধুর বিবাহ বিচ্ছেদ করেই ছাড়ল-আর ওর বর ওকে ছুক ছুক করার জন্যে পিটিয়ে যাবে। তাও সে স্বামীকে ছাড়বে না। আমি এই ঘটনা নিয়ে ক্লিওপেট্রা নামে একটা গল্প লিখেছিলামঃ[ পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে হবে]
এসব উচ্চমার্গের প্রেম এবং পেটানোর কি সামাজিক ব্যখ্যা আছে জানি না :-X ।
প্রেমের সামনে আমার পান্ডিত্য এবং দর্শন অসহায় দর্শক :-Y এক্ষেত্রে সাহিত্যই ভাব প্রকাশের উত্তম মাধ্যম :rotfl:
@নিটোল,
সহমত! আমার কমেন্টেও এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম বিপ্লব পালকে।
@নিটোল,
একমত।
১। জেনেটিক্যালি পুরুষ এগ্রেসিভ হতে পারে।
২। পরিবেশ তথা হতাশায় ভোগে মানুষ এগ্রেসিভ হতে পারে।
৩। ধর্মীয় তরিকায় মেয়েদের সাইজ করতে এবং উম্মতে মুহাম্মদির পথে নিজেকে পরিচালিত করতে পুরুষ এগ্রেসিভ হতে পারে।
সাঈদের ক্ষেত্রে উপরের যে কোন একটি কারণে হোক বা একাধিক কারণে হোক লীনার বিশ্লেষণ ১০০% ভুল হতে পারেনা। আর এসব কারণগুলো মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ধরলাম রোমানা পরকীয়া করেছে, সে সাঈদকে আগে আক্রমণ করেছে, আগে গালাগাল দিয়েছে কিন্তু সাঈদ ইচ্ছা করলে বিভিন্ন ভাবে পরিস্থিতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।
১। সে ঐ মুহূর্তে চুপ থাকতে পারত।
২। দুরে চলে যেতে পারত।
৩। সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে পারত।
কিন্তু সাঈদ উপরের একটিও না করে পাল্টা আক্রমণ করেছে এমন ভাবে যা চরম অপরাধীরা যা করে।
সুতরাং সে অবশ্যই চরম শাস্তিটাই প্রাপ্য।
পারিবারিক নির্যাতন আর দশটা অপরাধের মত মনে হয় না। অন্য সব অপরাধের ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী অন্যদেরকে জানায় বা অন্যরা দেখতে পায় কিন্তু পারিবারিক নির্যাতনে ভুক্তভোগীরা অন্যকে জানায় না মান সম্মানের ভয়ে, অন্যরা দেখতে পায়না, এমনকি ভুক্তভোগী নিজেও হয়তো জানেনা যে সে এক প্রকার নির্যাতনের স্বীকার।
যেহেতু এধরনের অপরাধ লাইম লাইটে খুব একটা আসে না, তাই রোমানা ঘটনার মাধ্যমেই যেন বড় ধরনের একটা সচেতনতা আসে সমাজে। এ ঘটনাকে কোন কিছুর বিনিময়েই হালকা চোখে দেখার বা বিপ্লবদা’র ভাষায়-
এটা আর পাঁচটা অপরাধের মতন, আরেকটা অপরাধ যা পৃথিবীর সর্বত্র হয়। এমন ভাবা ঠিক হবে না।
লীনাকে সময়োপযোগী এ লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার বউ যদি এমনকি ইরাণী ছেলের সাথে প্রেমও করে, তুমি তাহলে ঘরে বসে বসে কি করো বেইবী লোশনের শিশি দিয়ে হতভাগা? যাও গিয়ে কচুগাছের সাথে ফাঁসি নেও না কেনো বাস্তবতা মেনে নিতে এতোটাই কষ্ট যদি হয়? তুমি হচ্ছো একটা হোতকা মোটা বোতল টাইপ ছেলে, তারপরে আবার বলে চোখেও দেখো না, জীবনে করতেও আবার পারোনাই কোনকিছু, সফলতা শব্দটি থেকে তোমার দূরত্ব কয়শো কোটি আলোকবর্ষ এটা খাতা কলমে হিসাব করা যাবে না, হিসাব করতে ক্যালকুলেটার লাগবে, তাও আবার কোন সাধারণ ক্যাল্কুলেটোর না, আঠারো ডিজিটের ক্যালকুলেটোর। অপরাধ যদি মেয়েটা কোন করেই থাকে সেটা হচ্ছে- তোমার মতো একোটা লুজারের ঘর করার ঘাণী এতোদিন কলুর বলদের মতো টেনে! এবং এই অপরাধের জন্য কোন সাধারণ মানুষ যদি তার কানে কামড় দিতো (অবশ্যই জেন্টলি) সেটা হতো কম্পারেটিভলি স্লাইটলি মাইনর অফেন্স 😀 !
আমি খুবই খুবই ক্রুদ্ধ এবং হতাশ বঙ্গালের এই ইনটলারেবল ধ্যাষ্টামো দেখে, আমাদের একটা অংশ এমনকি বোতলের পক্ষে সাফাই গাইছে এখন? শেখ হাসিনার উচিত অনতিবিলম্বে ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ কমিটি গঠন করা, কালক্রমে আমরা সবাইতো সিরিয়াল কিলার হয়ে যাবো নাহলে? ফেইসবুকে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট প্রমোটকারি গ্রুপের সদস্য হয় সাড়ে চার হাজার বঙ্গসন্তান, বঙ্গসন্তান একটা গ্রেইভিয়াস বডিলি হার্মের ভিক্টিমের চরিত্রে কালিমা লেপন করে ক্রিমিনালের কাজটি হালাল করে দেওয়ার জন্যে? নাকি ব্যাপারটা এইরকম যে পলিমাটি আর খীর-পায়েস দ্বারা তৈরী আমাদের বঙ্গাল দেহ এবং চিত্ত সবসময় পৃথিবীর বুকে এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ততপর থাকে যেটা দেখে কিনা একটা সাধারণ মানুষের মনে হবে যে- “সত্যিইতো সেলুকাস”!
@আল্লাচালাইনা, আমার লেখাটার দুর্বলতা সত্ত্বেও আপনি এর পয়েন্টটা ধরতে পেরেছেন দেখে ভাল লাগছে।
//“আহারে ওই শয়তানটা মেয়েটার কি অবস্থা করেছে! থাক স্বামী স্ত্রীর যেই জায়গাটাতে আঘাত দেয় ওই জায়গাটুকু বেহেস্তে যায়!”//
এই ধরণের কথা যারা বলে বা বলতে পারে, তারা এই সমাজের আগাছা ছাড়া কিছুই নয়। আর এই আগাছাড়াই গাছের চেয়ে বেশী হয়েগেছে। তাই এখন যারা ভাল তারাই আগাছা হয়ে বেঁচে আছে।
@আনন্দ,
অন্যের সাথে হয়েছে তো, তাই মহিলার ধর্মের কথা শোনানোর মুড আছে। নিজের সাথে বা নিজের মেয়ের সাথে হলে বুঝতেন, স্বর্গগামী অঙ্গ ইহলোকে কী কষ্টটাই না দেয়!
এই ঘটনার সাথে আসলে ধর্মের একদমই সম্পর্ক নেই। সাইদ ধার্মিক না, বস্তুত, সে কোন সুস্থ মানুষও না। নেটে দেখলাম স্বাধীন ভাই ও icsf এর রায়হান রশীদ ভাই বলছেন যে ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়েই তার আচরণ অস্বাভাবিক ছিল, ছেলেরা তাকে “পাগলা” ডাকত, তাকে বলে কলেজ থেকে বেরও করে দেওয়া হয়েছিল। তবে সাইদের প্রতি যারা এখন সহানুভূতি দেখাচ্ছে বা রুমানার “পরকীয়া”কে হাইলাইট করছে, তাদের মধ্যে ধার্মিক-নির্ধার্মিক সবাই আছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে ধর্ম পুরুষতন্ত্রের প্রোডাক্ট, পুরুষতন্ত্র ধর্মের প্রোডাক্ট না। নারীবিদ্বেষ ঠেকাতে হলে পুরুষতন্ত্রকেই আক্রমণ করতে হবে। ধর্ম উচ্ছেদ করলে সমাজে হয়ত ধার্মিক নারীবিদ্বেষী থাকবে না, কিন্তু অধার্মিক নারীবিদ্বেষী ঠিকই থাকবে 🙂
@পৃথিবী,
মিথষ্ক্রিয়াটি সম্ভবত জটিলতর, তবে ধরলাম আপনার কথাই সত্যি। তারপরও কিন্তু এমনটা বলা যায় না যে, ধর্ম পুরুষতন্ত্র থেকে উদ্ভুত বলে তার স্বাধীন সত্তা তৈরি হয়ে যায় নি। মানবিক প্রতিষ্ঠানগুলি লোহা-তামার মত স্থিতিস্থাপক নয়। ধর্ম উচ্ছেদ হলে নারীবিদ্বেষে একটা মান ও পরিমাণগত পরিবর্তন আসবে, এ অনুমান অসংগত নয়।
@রৌরব, সহমত
@পৃথিবী, আমি বুঝতে পারছিনা আমি কোথায় বুঝাতে ভুল করেছি। আমি বলেছি এ ধরণের মানসিকতা তোইরি করতে সমাজ ও ধর্ম কনট্রিবিউট করতে পারে, কোথাও কি একথা বলা আছে যে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সাঈদ প্রথমে কুরান হাদিস ঘেটেছে আর তারপর এই কাজ করেছে? আমি শুধু দেখাতে চেয়েছি এ ঘটনা নিয়ে আশে পাশের মানুষ কে কি ভাবছে, আমি কি ভাবছি আর আমাদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও সমাজের উপর ধর্মের প্রভাব যে নিঃসন্দেহে রয়েছে তা স্বীকার করতেই হবে।
এ ধরনের নৃশংস আক্রমন সব সমাজেই দেখা যায়। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোয় এধরনের আক্রমন এসিড-সন্ত্রাস এর প্রকোপ বেশী এর মূল কারন সাধারন আইন-বিহীনতা, দরিদ্র-দেশের শিক্ষাবিহীনতা ইত্যাদি। এই ঘটনাটিতে আমাদের দেশের কিছুটা অনন্যতা খুজে পাওয়া যায় ঘটনা পরবর্তীতে অনেক মানুষের প্রতিক্রিয়ায়। ‘এক হাতে তালি বাজে না’, ‘মেয়েটা নিশ্চই কিছু করেছিলো’, ‘স্বামী-মেয়ে কে রেখে কেমন করে পড়াশোনা করতে এতদূর গেলো’ এরকম নানারকম ঘৃন্য কথাবার্তাতেই আমাদের সামাজিক দূরাবস্থা প্রকাশ পায়। কোনো অবস্থাতেই যে শারীরিক আক্রমন জাস্টিফাই করা যায় না, লেট এলোন এরকম বেজার্ক হিংস্রতা, এটা অনেকে বুঝতে অক্ষম। আর আমাদের এই সামাজিক দীনতার জন্যে ধর্মও কিছুটা হলেও দায়ী।
@সফিক,
নাহ আপনার চিন্তাটা হয়ে যাচ্ছে অগভীর, গভীর হতো যদি কিনা আপনি বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের আলোকে এই ঘটনা ব্যাখ্যার চেষ্টা করে করে এক রাতে একুশ পিঁপে নস্যি ফুরিয়ে ফেলতেন।
এইটাও বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে। under this circumstance নস্যি লাগবে ছেচল্লিশ পিঁপে :-[ !
(Y) (Y) (Y)
@সফিক, সহমত
আর আমাদের এই সামাজিক দীনতার জন্যে ধর্মও কিছুটা হলেও দায়ী।
আমি বুঝতে পারছি না যে আমার quote করা কমেন্ট গুলো এভাবে পোষ্ট হচ্ছে কেন? আমি ত আগে যেভাবে করতাম quote এ hit করে, সেভাবেই করছি!! আজব ব্যাপার!
লেখিকার বিশ্লেষন ১০০% ভুল।
পৃথিবীতে এমন কোন সমাজ নেই, যেখানে পুরুষ তার নারীর ওপর নির্যাতন করে না। আমেরিকার মতন উন্নত সমাজে বধূহত্যা বা বৌকে নানান ভাবে নৃশংস হত্যা ( হোমিসাইড) প্রতিনিয়ত হচ্ছে-বাংলাদেশের থেকেও অনেক বেশী কেস উন্নত দেশেও পাওয়া যাবে। সুতরাং এর মধ্যে ইসলামকে টানা বেশ হাস্যকার ব্যাপার। আসল কারণ আরো অনেক জটিল এবং গভীরে। সেটা মনে হয় বিবর্তন মনোবিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা ভাল।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বৌকে মারধর অত্যাচার করার চল প্রায় সব সমাজেই ছিল-কোরানত একদম তাতে আল্লার সীলমোহর মেরে দিয়েছে। তার মানে এই নয় নারী নির্যাতনে হিন্দু, খ্রীষ্ঠান, কমিনিউস্ট কেও পিছিয়ে আছে-সবাই সমান, কারন আসল সমস্যা পুরুষের নির্মানে।
পুরুষ আসলেই ভীষন হিংসাত্মক এবং এগ্রেসিভ। এটা পুরুষের “মনের” নির্মান-পুরুষের মধ্যে এগ্রেসন কম থাকলে, নারী তাকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে ছেলেবেলা থেকেই তাকে মারপিট করে পুরুষ সমাজে একটা সন্মানজনক অবস্থা নিতে হয়।
সুতরাং সর্ষের মধ্যেই ভূত। নারীই যেখানে চাইছে পুরুষালি পুরুষ -সেখানে পুরুষের ঈর্ষা এবং হিংসা আসা স্বাভাবিক। সেটার মাত্রা অতিক্রম পৃথিবীর সর্বত্র হচ্ছে এবং তার পরিণতি জেল। যেটা হয়েছে সেটা একটা অপরাধ। তার জন্যে সমাজ , ধর্মকে টানা হাস্যকর।
যে ছেলেটি এই কাজ করেছে, সে ঈর্ষায় পুড়ে এই অপরাধ করেছে-আর সেই ঈর্ষায় পোড়ে যে অনেক গভীরে গিয়ে ভালবাসে। আজ পশ্চিম বঙ্গে এক পুলিশ তার বিবাহিত প্রেমিকাকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছে! কি ব্যাখ্যা দেবেন এর? সেই পুলিশত জানে তারও জীবন শেষ! সে কি লাভের জন্যে এই কাজ করল? কোন লাভ নেই তার-শ্রেফ প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল এবং হতাশাই ভুগছিল তার প্রেমিকা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও স্বামীকে ছাড়তে রাজী না!
এর জন্যে সমাজ ধর্মকে গালি দেওয়া যায়?
@বিপ্লব পাল, কাকে গালি দেয়া যায় তাহলে?
@লীনা রহমান,
গালাগালি করাটা কি খুব দরকার? আসলে জেনারালাইজড না করাটাই ভাল। আর গালি দিতে চাইলে শুধু অপরাধীকেই দিন।
@বলার ইচ্ছা নাই, আমি কিন্তু আমার লেখায় কাউকে গালি দিইনি। বিপ্লব পাল উনার কমেন্টের শেষে বলেছিলেন
সেই প্রেক্ষিতে আমি ওই কমেন্ট করেছি। আপনি ভুলভাবে নিয়েছেন আমার কথাটা। আমি সাঈদ রুমানার ঘটনার মত ঘটনার পেছনে কি কি প্রভাবক থাকতে পারে সেগুলো বলার চেষ্টা করেছি, আর দেখাতে চেষ্টা করেছি এ বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের মতগুলো কি আর আমার মতটা কি। এই লেখার কোন পার্টটা আপনার কাছে জেনারালাইজেশন বলে মনে হয়েছে?
@লীনা রহমান,
একজন খুনীর জন্যে কি করেন?
কাকে গালাগাল দেন?
@বিপ্লব পাল, আমি কিন্তু আমার লেখায় কাউকে গালি দিইনি। আপনি আপনার কমেন্টে বলেছেন
সেই প্রেক্ষিতে আমি ওই কমেন্ট করেছি। আপনি ভুলভাবে নিয়েছেন আমার কথাটা।আমি গালি দিলাম কোথায়?
@বিপ্লব পাল,
(Y) আর ধর্মের ব্যাখ্যাগুলোও ভুল হচ্ছে না তাহলে কারন বিবর্তনীয় প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট নরের জিঘাংসা থেকেই এগুলো ব্যাক-আপ পেয়েছে। লীনা রহমান যা বলেছেন শুধু উপরে উপরে বলেছেন, আরো গভীরে যাওয়া যেত, তাই বলে অগভীরভাবে বিশ্লেষন করলেই ১০০% ভুল হবে কেন? ব্যাপারটা এমন সব মেটালই রক, আবার হেভী,ডুম,প্রগ্রেসিভ সবই আবার মেটাল তাই ডিস্টার্বড এর একটা হেভী মেটাল গানকে মৌলিকতম বিশেষন না দিয়ে শুধু মাত্র রক বললে ১০০% ভুল হবে মনে করিনা।
কেন না? কই কোন অপরাধীকে আজ পর্যন্ত এভাবে ডিফেন্ড করতে দেখলাম না, যে ইয়োর অনার, খুনটা আসলে আমার দোষ? হয়েছে কি, আমার কগনিটিভ ইন্টেলিজেন্স দ্বারা আমি যে ইনপুট গুলা নিতাম জ্বীনকোড আর পরিবেশগত কারনে সেগুলো এমনসব কর্মসাধনে প্ররোচিত করত যা আদালতের ভাষায় অন্যায় বা নেগেটিভ।
ঐ পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে? অক্সিটোসিন খেয়ে অ্যামাগডালার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গুলি করে উড়িয়ে দিয়েছে প্রেমিকা। দোষ কার? পুলিশ ব্যাটার না? নাহ। পুলিশ ব্যাটারই কারন আমাদের সমাজ ব্যবস্থাই এমন, তোমার অ্যামাগডালা নিস্ক্রিয় হয়ে গেছিলো শাস্তিও তোমাকেই পেতে হবে।
@টেকি সাফি,
অপরাধীকে শাস্তি না দিতে লিখেছি কি?
প্রশ্ন হচ্ছে এটা আরো পাঁচটা অপরাধের মতন, আরেকটা অপরাধ যার সাথে সমাজ বা ধর্মকে যুক্ত করে লাভ নেই।
@টেকি সাফি, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি মনে করি আমাকে, আমার মানসিকতাকে অন্তত পারিপার্শ্বিকতা ও সমাজব্যবস্থা দিয়ে বেশি ব্যাখ্যা করা যাবে বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের চেয়ে, অন্যদের কাহিনি জানিনা :))
@বিপ্লব পাল, দাদা, আপনার কথায় আমি একমত।
@বিপ্লব পাল,
nope, you sled down a little bit more! কান কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়াটা কোন পৌরুষ নয়, ঠিকাছে? এইটা অসুস্থতা, ছেলেটা হয় যাবে পাগলা গারদে নয় জেলে- যেখানেই যাক সেটা আসল পয়েন্ট না।
আপনি লেখকের পয়েন্টটাই ধরতে পারেন নাই মনে হচ্ছে, লেখক এইখানে কোনকিছু বিশ্লেষণ করার চেষ্টাই করেনি। একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে গ্রেইভিয়াস বডিলি হার্ম করেছে, তার এসাল্টের প্রকৃতি ডমেস্টিক ভায়োলেন্স এবং ডমেস্টিক ভায়োলেন্সকে পৃথিবীর সব দেশই শক্ত হাতে দমন করে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউটেশনে একটি জনপুঞ্জে কিছু পাগল-ছাগল জন্ম নিবে এইটাই স্বাভাবিক, সেইটা লেখকের পয়েন্ট না। লেখকের পয়েন্ট হচ্ছে ঐসব রিটার্ডেড বঙ্গসন্তানদের নিয়ে যারা কিনা এই সাইকোপ্যাথটার সপক্ষে ছাফাই গাইছে। তাদের সাফাই গাওয়ার অনেকগুলো কারণের একটাতো অবশ্যই ইছলাম। ইছলাম ধর্ম সরাসরি নারীকে পুরুষের অর্ধেক ঘোষণা দিয়েছে; ধর্ষিত হবার শাস্তি মৃত্যুদন্ডে নির্ধারিত করেছে। দেশে শরীয়া থাকলে রুমানার এখন আর হাসপাতালে সুচিকিতসা হতো না, তাকে জনপ্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করা হতো। শরীয়া দেশে নেই কিন্তু শরীয়াসেবক শুকরশাবক যেই কয়টা আছে তাদের বেনিফিট অফ ডাউট কোনদিকে পড়ছে এটা স্পষ্টতই দৃশ্যমান। ইছলামকে এইখানে টেনে আনবে না তো টেনে আনবেটা কি?
:lotpot: নাহঃ, বিবর্তন মনোবিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা হচ্ছে একটি গুব্লি-ডি-গুকের ওয়ার্লপুলে নেমে অনবরত ঘুর্ণী খেয়ে যাওয়ারই নামান্তর যেই ঘুর্ণী কখনই থামতে যাচ্ছে না। একরাতে ছত্রিশ পিঁপে নস্যি ফুরিয়ে আপনি হয়তো বিবর্তন মনোবিদিজ্ঞানের আলোকে একটি ব্যাখ্যা দাড় করাবেন, আর আরেকজন এসে সকালে এক কথাতেই বলে দিবে- বিপ্লব পালের ব্যাখ্যা ১০০% ভুল:-D ! আপনাদের যদি একশো বছর সময়ও দেওয়া হয়, কোন কনসেনসাস ব্যাখ্যায় আপনারা পৌছুতে পারবেন না কিন্তু। how about কমনসেন্স? বিবর্তন মনোবিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা না করে কমন্সেন্স দিয়ে ব্যাখ্যা করে দেখি আমরা এইটা আমাদের কোথাও নেয় কিনা?
:clap কথাটা বেশ হাস্যকরতো তাই না? বাস্তববৈরী এইসব হাইপারকাব্যময়তা আপনাকে কোথায় নিচ্ছে একটু ভেবে দেখবেন আশা রাখি।
@আল্লাচালাইনা,
লেখিকা এই অপরাধের সাথে সমাজ এবং ধর্মের ভূমিকাকে যুক্ত করতে চেয়েছেন। সেটা ভুল। এটা আর পাঁচটা অপরাধের মতন, আরেকটা অপরাধ যা পৃথিবীর সর্বত্র হয়।
লাফালেই কেও লম্বা হয় না 😛
@বিপ্লব পাল, আমি যদিও এ লেখায় কোন বিশ্লেষণই করিনি শুধু রুমানার ঘটনাটা নিয়ে আশে পাশে কে কি ভাবছে, আমি কি ভাবছি আর এসব ব্যাপারে আমাদের মানসিক গঠনে সমাজিক অবস্থা এবং ধর্মের প্রভাবের কথা বলতে চেয়েছি। তবু আপনি আমার বিশ্লেষন(!) ১০০% ভুল বলায় কিছু মনে করিনি, কারণ ঠিকমত না বুঝে কারো লেখাকে বা কথা সম্পর্কে ঠাস করে এমন একটা মন্তব্য করে ফেলা আপনার পুরোনো স্বভাব।
আর আমি যখন আমাদের সমাজের কথা বলছি তার মানে কিন্তু এই না যে আমি বোঝাচ্ছি যে এমন ঘটনা পৃথিবীর আর কোন দেশেই হয়না।
তাহলে তো চুকেই গেল, এ ব্যাপার নিয়ে কথা বলেই আর কি হবে, সাঈদের তো দোষ নাই, দোষ তার নির্মানে। এ সমস্যার কোন সমাধান তো নেইই, সমাধান চাওয়ার মত মুখও আমাদের নেই। কারণ পুরুষ তো তার নির্মাণের কাছে অসহায়!
এমন হাস্যকর কাজ না করে আমরা তাহলে মেয়েরা যাতে মেয়েলি পুরুষদেরকে চায় সেজন্য ক্যাম্পেইন করি। সমাজ ও ধর্ম যে এর মধ্যেই “কিছুই না” হয়ে গেছে আমাদের মানসিকতা গঠনের ক্ষেত্রে এটা এ চিন্তা আমার মাথায় আসেইনি! :-Y
হাসান সাঈদের ভালবাসার উপাখ্যান নিয়ে আজই একটা উপন্যাস লিখতে বসছি। এই চান্স এ বিখ্যাত এক প্রেমকাহিনির লেখক হিসেবে আমিও বিখ্যাত হয়ে যাবো। সবাই ট্রিট পাবেন, চিন্তা নাই;-)
@লীনা রহমান,
হাসান সাঈদের ভালবাসার উপাখ্যান নিয়ে আজই একটা উপন্যাস লিখতে বসছি। এই চান্স এ বিখ্যাত এক প্রেমকাহিনির লেখক হিসেবে আমিও বিখ্যাত হয়ে যাবো। সবাই ট্রিট পাবেন, চিন্তা নাই;-)
@বিপ্লব পাল, তর্ক তিন প্রকার
১/যে ভাভেই হোক নিজের মত প্রতিষ্ঠা করা ।
২/অযুক্তি, অর্থাৎ ঠিক বেঠিক বুঝিনা যে ভাভেই হোক অন্যের যুক্তিকে পরাস্থ করা।
৩/সত্য উদঘাটন করা ।
আপনি কোনা বেশি পছন্দ করেন? :-s ২ এর দিখে ঝোক বেশি নাকি?
@বিপ্লব পাল,
যে ছেলেটি এই কাজ করেছে, সে ঈর্ষায় পুড়ে এই অপরাধ করেছে-আর সেই ঈর্ষায় পোড়ে যে অনেক গভীরে গিয়ে ভালবাসে।
লেখাটা সাইজে এনে দেয়ার জন্য যে এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিগুলা করলেন তাকে ধন্যবাদ জানাই 🙂
প্রথমে আমি একজন পুরুষ হিসেবে লজ্জিত এবং মঞ্জুর-এর পাশবিক অত্যাচারের জন্য তাকে জানাই নিন্দা এবং তার এহেন পাশবিকতার জন্য তীব্র প্রতিবাদ । রুমানা আপুর জন্য ভালোবাসা এবং সহমর্মিতা । আর লেখিকার জন্য ভবিষ্যৎ পথ চলার অনুপ্রেরণা এবং প্রতিবাদী হওয়ার আহ্বান । যুগযুগ ধরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদেরকে সবসময় দাসী হচ্ছে। নারীর অধিকারকে কখনো সঠিকভাবে আদৌ মূল্যায়ন করা হয়নি এই গুণেধরা সমাজে । সুধীজনেরা আদৌ নারিদেরকে ভোগ্য বস্তু হিসেবে সমাজে পরিচিতি করিয়ে যাচ্ছেন । তাই সমাজ অন্ধকার আর এর অন্ধকার সমাজে জন্ম নিচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন মতিভ্রম কিছু পেশিবহুল পুরুষ, যারা নিজেদেরকে অদ্বীতিয় করে তুলে আর নারীদেরকে শুধু লোভনীয় কিছু প্রাণী বলে মনে করে । রাস্তার বের হলেই নানারকম অশোভনীয় ভাষার মন্তব্য শুনতে হচ্ছে আমার বোনদের । সংখ্যাগুরু নারীদের চেয়ে সংখ্যালঘু নারীদের আরো বেশিমাত্রায় এর মানবেতর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হচ্ছে । একদিকে সমাজের রীতিনীতি আর অন্যদিকে উৎ পেতে থাকা কিছু মাংশাসী জীব । তারপর ও নারীদের এহেন নীরব ভূমিকা আমাকে ব্যতীত করে । গর্জে উঠা নারীদেরকে পিছু হঠানোর জন্য পুরুষমানসিকতার নারীরা মাঠে নামেন সেসব প্রতিবাদী নারীদের হঠানোর জন্য । অধিকারের নামে শুধু পুরুষের পায়ের স্ত্রীর বেহেস্ত মনে করার নারীদের মানায় না । আমি চাই আমার মা-বোনেরা এগিয়ে আসুক সমান তালে আর মঞ্জুরের মতো লোকদের যতক্ষণ পর্যন্ত উচিত শিক্ষা হবে না সমাজে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে ঘরে-বাইরে, রাস্তা কিংবা খোলা-মাঠে ।
@অমিত হিল, আমি ভীষণভাবে দূঃখিত, মঞ্জুর- এর বদলে হবে **হাসান সাঈদ । আসলে নারীদের নামের পিছনে পুরুষের নাম আমাকে প্রায়ই বিভ্রান্ত করে ।
@অমিত হিল, ধন্যবাদ পরার ও মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে সহমত জানাই।
বিঃদ্রঃ মঞ্জুর হচ্ছে রুমানা ম্যাডামের বাবার নাম, উনার স্বামীর নাম নয়।
মানুষ মাত্রই সন্দেহ প্রবণ হতে পারে কিন্ত এটা মনে রাখা দরকার সন্দেহ যদি বাস্তবেও রুপ নেয় তবু বউ হোক বা সন্তান হোক কারও গায়েই হাত তোলা যায়না। যত বড় অপরাধই হোক কেউ কাউকে শারিরীক শাস্তি দেয়ার অধিকার থাকা উচিত না, এটা পুলিশই হোক, শিক্ষকই হোক, স্বামী-স্ত্রীই হোক বা সন্তানই হোক। এমনকি হাতে নাতে পরকিয়াই ধরা পরলেও না।
@হেলাল, আমিও তাই মনে করি।
@লীনা রহমান,
আরে রাখেন আপনার ধর্ম আর কোরান, এসব বিবর্তনের কারণ। বিজ্ঞানের ফয়সালা দেখুন।
খুনী অপরাধীর পক্ষে ওকালতি? বিবর্তনের নিয়মে, ধারায়, প্রক্রীয়ায় অপরাধ প্রবণতা অপরাধীর দেহে মনে ওলরেডি ইনপুট করা। সুতরাং নাচছি মোরা সুতোর টানে, এখানে পুতুলের কী দোষ? তাই না?
স্বাভাবিক? এটা প্রত্যক্ষ ক্রাইম সমর্থন ছাড়া আর কিছু নয়। সুতরাং বিবর্তন জীববিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা থেকে ফল দাঁড়ালো এই, কোর্ট-কাছারির দরকার নাই, সকল খুনী ধর্ষক নারী নির্যাতনকারী অপরাধীকে সোজা হেমায়েতপুর পাঠিয়ে দেয়া হউক। এটা ঘটছে বিবর্তনের নিয়মে প্রকৃতির ইচ্ছায়। আর না হয়, এ থেকে বাঁচার অন্য উপায় হিসেবে মেয়েকে মেয়েলি পুরুষ বেছে নিতে হবে।
@আকাশ মালিক, তাই তো দেখছি, ভুলই হয়ে গেল 🙁
@লীনা রহমান,
অন্য একটি ব্লগে এ নিয়ে তুমুল বাক-বিতন্ডা হচ্ছে, যেখানে আমিও কিছুটা জড়িত। আমি বলি, হে নরাধমের দল, নারী্র, দোষ খুঁজার আগে বল, তারর গায়ে হাত তুলার অধিকার তুই কোথায় পেলি? প্রকৃতি, সমাজ, ধর্ম? মুখে দাবী করিস সুশীল, শিক্ষিত আর খুঁজবি রুমানার দোষ। লাথি মারি তোর সুশীলতায়, থুতু ফেলি তোর ধর্মে আর শিক্ষায় যে শিক্ষায় তুই মানুষ হতে পারলি না। ওরে মূর্খের দল, করা যেটা দরকার সারা দুনিয়া জুড়ে আওয়াজ তুল, এক রুমানা নয়, সারা বিশ্বের সকল প্রকার নারী নির্যাতনের বিরোদ্ধে, জিহাদ ঘোষণা কর সকল অন্যায়ের বিরোদ্ধে। এ নারী আমাদের মেয়ে, বোন, স্ত্রী, আমাদের মা।
@আকাশ মালিক,
আমিও একমত আকাশদা’র সাথে। তবে একটু বেশী হয়ে গেলো না।
কুকুর কামড় দিয়েছে পায়,
কুকুরকে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়!!!!
ধন্যবাদ
@সবুজ বড়ুয়া,
লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ, লীন। তবে রুমানার উপর অত্যাচারের পেছনে ধর্মের ব্যাপারটা কতটুকু জড়িত তা নিয়ে সন্দেহ আছে আমার। ধর্মের কারণে যে অত্যাচার হয় না তা নয়, অনেকই হয়, তবে রুমানার ক্ষেত্রে ধর্মের চেয়েও প্রবলতর ব্যাপারটি হচ্ছে পুরুষালী জিঘাংসা। নারী যখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠে, শিক্ষা দীক্ষা, সংস্কৃতি এবং আর্থিক দিক দিয়ে তার সঙ্গিকে ছাড়িয়ে যায়, বহু পুরুষই তা মেনে নিতে পারে না। উচ্চশিক্ষায় রুমানার সফলতা সাঈদের ক্ষেত্রে তৈরি করেছে এক ধরনের ঈর্ষা আর জিঘাংসা। তারই শিকার রুমানা।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে রুমানার এই তথাকথিত স্বামী রত্নটি এখন রুমানার চরিত্র হননে নেমেছে। এ ধরণের ক্ষেত্রে পুরুষদের একটাই অস্ত্র থাকে নির্যাতিত মেয়েটিকে যে কোন ভাবে ‘খারাপ মেয়ে’ হিসেবে প্রতিপন্ন করা। সেই যে – ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করেছিলো পুলিশেরা মনে আছে? এর পরদিন পুলিশের আর্গুমেন্ট ছিল – ইয়াসমিন বেশ্যা, খারাপ মেয়ে। যেন খারাপ মেয়ে প্রমাণ করতে পারলে খুন ধর্ষণ, চোখ খুবলে নেয়া – সব জায়েজ হয়ে যায়!
আমি চাই রুমানার মত মেয়েরা বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত নয়, বিদ্রোহ করুক। একমাত্র নারীদের সম্মিলিত শক্তিই পারে পুরুষতান্ত্রিক এই অত্যাচারের পায়ে শিকল পরাতে।
@অভিজিৎ, ভাইয়া, আমি আসলে শুধু রুমানার ঘটনা নয় এ ধরণের সকল ঘটনার ক্ষেত্রে ধর্ম ও সমাজ দুটোর অবদানই বোঝাতে চেয়েছি। আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থা কিন্তু অনেকটা কনট্রিবিউট করে এ ধরণের জিঘাংসামূলক আচরণে ক্ষেত্রে। কারণ আমরা সবাই জানি নারী যত শিক্ষিতই হোক বা শক্তিশালী হোক না কেন সমাজে তার অবস্থান পুরুষের নিচেই থাকবে বলে আমরা মনে করি। আর আর সাঈদ যে রুমানার চরিত্রের উপরে আঙ্গুল তুলছে তাও কিন্তু এজন্যেই যাতে সমাজ রুমানাকেই শেষ পর্যন্ত দন্ডিত করে। আসলেই কিন্তু তাই হচ্ছে। অনেকেই সাঈদের এই ঘৃণ্য আর ভয়ঙ্কর কাজকে ছাপিয়ে রুমানার চরিত্রহীনতাকেই বড় করে দেখছেন! পুরো ঘটনাটিতেই আমাদের বেড়ে ওঠা, সমাজ তো কনট্রিবিউট করেছেই, ধর্মও করার কথা।
@লীনা রহমান,
তসলিমার একটি কবিতা আপনার জন্য –
‘তুমি মেয়ে,
তুমি খুব ভালো ক’রে মনে রেখো
তুমি যখন ঘরের চৌকাঠ ডিঙোবে
লোকে তোমাকে আড়চোখে দেখবে।
তুমি যখন গলি ধরে হাঁটতে থাকবে
লোকে তোমার পিছু নেবে, শিস দেবে।
তুমি যখন গলি পেরিয়ে বড়ো রাস্তায় উঠবে,
লোকে তোমাকে চরিত্রহীন বলে গাল দেবে।
যদি তুমি অপদার্থ হও,
তুমি পিছু ফিরবে,
আর তা না হ’লে
যেভাবে যাচ্ছো, যাবে।’
@অভিজিৎ, আগেই পড়েছিলাম কবিতাটা, খুব ভাল লেগেছিল আমার। ধন্যবাদ। আর আমি নিশ্চিত আমি যেভাবে যাচ্ছি সেভাবেই যাবো, পেছনে ফিরবনা। 🙂
@লীনা রহমান,
আমি অভিজিৎ রায়ের সঙ্গে সহমত পোষন করছি এক্ষেত্রে। আমি তো বুঝে পাইনে, যে রুমানা যদি একটি ইরানী ছেলেকে ভালো বেসেই থাকে, তাতে তার অপরাধটি কোথায়! সাঈদের উচিৎ ছিলো ভালোবাসা দিয়ে স্ত্রীর মনকে জয় করা, এহেনো শক্তি প্রয়োগে নয়। নিশ্চয়ই রুমানা এতোটা অবুঝ নন। আসলে এটিই ঠিক যে মিস রুমানার আ্যকাডেমিক উৎকর্ষতা আর মননশীলতার কাছে সাঈদ যথার্থই ছিলো অপদার্থ। আর তাই পুরুষালী জিঘাংসায় সে হয়ে উঠেছিলো মত্ত। আমাদের দুঃখিত হওয়া ছাড়া কিইবা আর করার অছে। সেই সাথে আমাদের মেয়েদেরও উচিৎ জেগে উঠা এবং নিজের সম্মানজনক যোগ্য মর্যাদাটি আর্জনে ব্রতী হওয়া।
@অভিজিৎ, সাঈদ অবশ্যই সরাসরি কুরান হাদিস ঘেটে কাজগুলো করেনি। কিন্তু ধর্ম সমাজের চিন্তা ভাবনার প্রকৃতি নির্দেশ করে অনেক ক্ষেত্রে। আর সমাজ ও পারিপার্র্শ্বিকতাই তো একজন মানুষের মানসিক অবস্থান তৈরি করে। এজন্যই সাঈদের মনে রুমানার উপর এ ধরণের নির্যাতন করার জন্য অনুশোচনা অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু সে অনুশোচনা হয়ত এজন্য নয় যে সে রুমানার উপর অন্যায় করেছে, অনুশোচনা হয়ত এজন্য, সে রুমানার এই অবস্থা করার কারণে ধরা পড়ে গেছে!
এরকম অবস্থার মাঝে বড় হওয়ার কারণেই শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, উপার্জনাকারী বা গৃহবধূ, নির্বিশেষে হাজারো নারী অত্যাচার সহ্য করছেন আর স্বামীরা অত্যাচার করছেন। আর এই সমাজের কারণেই অনেক নারীই হসপিটালের বেডবাসী বা কবরবাসী হওয়া ছাড়া ওই অগ্নিকুন্ড থেকে বেরোতে পারছেনা। ভাবুন একবার, কোন নারীর চরিত্রে এতটুকু দাগও তার উপর হওয়া অনেক ঘৃণ্য অত্যাচারকে ছাপিয়ে তাকেই অপরাধী করে তুলতে পারে!
@অভিজিৎ,
আমার মনে হয় শতাব্দী ধ’রে নারীর উপর পুরুষের শারিরীক আঘাতের কারণ হচ্ছে শারিরীক শক্তি। সাধারণত প্রাকৃতিক ভাবে পুরুষের শারিরীক শক্তি নারীর চেয়ে বেশী। তাই অনেক পুরুষকেই দেখা যায় তারা অতি তুচ্ছ কারণেও নারীর শরিরের উপর তাদের শারিরীক শক্তি প্রয়োগ ক’রে থাকে।তাই ধর্মগ্রন্থগুলোও সেভাবে রচিত হয়েছে। রোমানা যদি সাঈদের চেয়ে বেশি শক্তিশালিনী হতো তাহলে রোমানাকে আক্রমণের পর সাঈদের অবস্থা রোমানার বর্তমান অবস্থার মত হতো।
@অভিজিৎ, আমি আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। ভালো না লাগলে ডিভোর্স দিতে পারত। আফটার অল ৪ডা বিয়ে জায়েজ। হা হা হা। প্লিজ অন্য মাইন্ডে নেবেন না।
আমার অধ্যাপিকা রুমানার প্রতি সহমর্মিতা আছে। সাঈদকে উপযুক্ত বিচার না দিলে, ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ!!!
আমি অবাক হই, আমাদের তথাকথিত ইস্লামিস্টরা এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পলন করছেন সমাজে, যেন এটা শুধুই তাদের স্বামী-স্ত্রী’র একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
সমাজের এ ধরনের অসংগতিকে যেন শিক্ষিত সমাজ -নারী সমাজ ও যুব সমাজ, রাষ্ট্র মেনে না নেয়। ধর্মীয় মতবাদের আড়ালে যেন এ ধরনের কর্মকান্ডের বিচার যেন ম্লান হয়ে না যায়। সেটাই কামনা করি।
আমি চাই, রুমানা এক চোখ যেন ফিরে পায়। আর যদি তা না হয়, ভয় নেই এগিয়ে যাও, পরাজয়ে ডরে না বীর।
অভিদার নক পেয়ে খুবই তাড়াহুড়ায় লেখা পোস্ট। কাল ঢাকার বাইরে যাচ্ছি, হয়ত অনেককে উত্তর দিতে দেরি হবে। পোস্ট যেমনই হোক(অবশ্যই নিম্নমানের হইছে) অভিদাকে গুতাটার জন্য ধন্যবাদ জানাই, কয়েকদিন ধরে লিখব লিখব করে লেখা হয়েই উঠছিলনা।