লিখেছেন: শুভজিৎ ভৌমিক
যখন ধর্ম এবং ঈশ্বরে বিশ্বাসী কোনও মানুষ, ধর্ম বা ঈশ্বরে বিশ্বাস নিয়ে অন্য কাউকে প্রশ্ন করেন, এবং উত্তরে যদি শুনতে পান যে উত্তরদাতা নাস্তিক, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রশ্নকর্তার ঠোঁটে একধরণের তাচ্ছিল্যের হাসি খেলা করে। এই হাসি দেয়ার পর অনেকেই যে মন্তব্যটি করেন তা হচ্ছেঃ
“হেহ ! নাস্তিক্য ! এটা তো আজকাল একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।”
এমন নাস্তিক সম্ভবত একজনও পাওয়া যাবে না, যিনি এই কথাটি জীবনে একবারও শোনেননি। প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ তার “আমার অবিশ্বাস” বইয়ের “বিশ্বাসের জগৎ” প্রবন্ধে লিখেছেনঃ
“একটা কিছু বিশ্বাস করতে হবে মানুষকে, বিশ্বাস না করা আপত্তিকর। আপনার পাশের লোকটি স্বস্তি বোধ করবে যদি জানতে পারে আপনি বিশ্বাস করেন, তার বিশ্বাসের সাথে আপনার বিশ্বাস মিলে গেলে তো চমৎকার; আর খুবই অস্বস্তি বোধ করবে, কোনো কোনো সমাজ আপনাকে মারাত্মক বিপদে ফেলবে, যদি জানতে পারে আপনি বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস কয়েক হাজার বছর ধ’রে দেখা দিয়েছে মহামারী রূপে; পৃথিবীর দীর্ঘস্থায়ী মহামারীর নাম বিশ্বাস।”
বলাই বাহুল্য, এই বিশ্বাসটি হচ্ছে ধর্ম এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস, এবং মহামারীটি হচ্ছে ধর্ম বা ঈশ্বরে বিশ্বাসের রোগ। ভাবটা এমন যে, সবাইকে এই রোগে আক্রান্ত হতেই হবে, সবাইকে একই গোয়ালের গরু হতেই হবে। কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত না হয়, তাহলেই তার আরোগ্য, অর্থাৎ নাস্তিক্য, হয়ে যায় বাকী সবার চোখে ফ্যাশন, বা শো-অফ করার উপায়।
নিচের কার্টুনটা দেখলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে। আপনি ধর্মের নামে গাছ-পালা, মূর্তি-পাথর বা গরু-ছাগল কিংবা কালো-সাদা ঘরবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শারীরিক কসরৎ করলে সেগুলো অস্বাভাবিক হয়না, আর কেউ যদি সেগুলো না করে, তবেই সে অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
ছবিঃ “ধর্মকারী” ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।
কী কারণে নাস্তিক্যকে শো-অফ বলা হচ্ছে ? বিশ্বাসীরা উত্তর দেনঃ “এটা সবার চেয়ে আলাদা হতে চাওয়ার একটা প্রবণতা। ধর্ম নিয়ে উলটাপালটা কিছু বললেই বিখ্যাত হওয়া যায়, বিতর্কিত হওয়া যায়। আর বিখ্যাত হওয়ার এই সহজ পথ কে ছাড়বে ?”
ধর্ম এবং ঈশ্বর বিশ্বাসীদের বড় সমস্যা হচ্ছে, যে মাপকাঠিতে তারা নাস্তিক্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন, সেই একই মাপকাঠিতে তারা নিজেদের একবারও মেপে দেখেন না। যদি দেখতেন, তাহলে হয়তো বিষয়গুলো তাদের কাছে আরও আগে ধরা পড়তো এবং তারা প্রশ্ন তুলতেন না। আসুন এবার তাদের তোলা সেই প্রশ্নের মাপকাঠিতেই তাদের বিচার করা যাক।
নাস্তিক্য তো একটা ফ্যাশন !
মানুষের বিশ্বাস যদি হয় ফ্যাশন বিচারের মাপকাঠি, তাহলে ইসলাম একটা ফ্যাশন, হিন্দুধর্ম একটা ফ্যাশন এবং পৃথিবীর যাবতীয় বিশ্বাস হচ্ছে ফ্যাশন। সেই অনুযায়ী, আপনি যদি ধর্ম পালন করে ফ্যাশন দেখাতে পারেন, তাহলে আমি ধর্ম পালন না করে ফ্যাশন দেখাতে পারবো না কেন ?
না মানে, বলতে চাইছি এটা বাকী সবার চেয়ে আলাদা হওয়ার একটা চেষ্টা, তাই না ?
নির্দিষ্ট ধর্ম পালনই হচ্ছে আসলে মানুষের চেয়ে আলাদা হওয়ার চেষ্টা। আপনি একটি ধর্ম গ্রহণের সাথে সাথে ওই ধর্মটি বাদে পৃথিবীর বাকী ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা হয়ে গেলেন, তাই নয় কি ? শুধু তাই নয়, এটা আপনাকে একেবারেই আলাদা করে দেবে। এক ধর্মের বিশ্বাসের সাথে আরেক ধর্মের বিশ্বাসে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এক ধর্ম অন্য ধর্মকে বাতিল করে দেয় এবং অন্য ধর্মাবলম্বীকে ভালো চোখে দেখে না। তাই আপনাকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী থেকে শত হাত দূরে থাকতে হবে। তার মানে কী দাঁড়াচ্ছে ? ধর্ম পালন হচ্ছে বাকী সবার চেয়ে আলাদা হওয়ার চেষ্টা।
এটা আসলে হুমায়ুন আজাদ বা তসলিমার মত বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা !
তাহলে ইসলাম পালন হচ্ছে জাকির নায়েকের মত বা হিন্দু ধর্ম পালন করা হচ্ছে সাঁই বাবার মত বিখ্যাত হওয়ার প্রচেষ্টা। একজন হুমায়ুন আজাদ বা তসলিমা বাংলাদেশে বিখ্যাত হয়েছেন বটে, কিন্তু ধার্মিক হয়ে তো আরও ব্যাপক লাভ। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ববিখ্যাত ধার্মিক জাকির নায়েকের মত কোনও বিশ্ববিখ্যাত নাস্তিকের নাম বলুন তো, যাকে সাধারণ মানুষ এক নামে চিনবে ! পারবেন কি ?
তো নাস্তিক্যের হাত ধরে যদি জনপ্রিয়তা না-ই আসে, তাহলে নাস্তিক্য আর জনপ্রিয় হওয়ার হাতিয়ার থাকলো কীভাবে ? আমি তো বরং বলতে পারি, জনপ্রিয় হওয়ার নয়, বরং নাস্তিক্য হচ্ছে ধর্ম-সংবেদনশীল দেশে বেঘোরে নিজের প্রাণটা হারানোর হাতিয়ার। জনপ্রিয় হুমায়ুন আজাদ বা জনপ্রিয় তসলিমার পরিণতি আপনাদের মত ধার্মিকেরাই কী করেছে, তা কি আমরা দেখিনি ? C.T.V.N. চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ভারতীয় যুক্তিবাদী প্রবীর ঘোষকে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সেরা ধনী জ্যোতিষী “আচার্য্য সত্যানন্দ”।
কে চায় অযথা জনপ্রিয় হতে গিয়ে নিজের গলা “বিসমিল্লাহ” বা “ওঁ” লেখা ছুরির নিচে পেতে দিতে?
না ঠিক আছে, নাস্তিক তুমি, ভালো কথা। কিন্তু আজকাল তো অনেকে না জেনেই নাস্তিক হয়। কিছুই জানে না, অথচ বলছে আমি নাস্তিক। ফেসবুকে রিলিজিয়াস ভিউ দিয়েছে এথিস্ট। এগুলো আসলে ভাঁওতাবাজী এবং লোক-দেখানো কাজ।
নাস্তিক হওয়ার জন্য যে অনেক কিছু জানতেই হবে, এটা কে বলেছে ? আপনি যখন নিজেকে ধার্মিক হিসেবে পরিচয় দেন, তখন কি কেউ জানতে চায়, যে আপনি আপনার ধর্মের যাবতীয় বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানেন কিনা ? ফেসবুকে যখন আপনি রিলিজিয়াস ভিউ থিস্ট লেখেন, তখন কি কেউ ভ্রু কুঁচকে বলে, আপনি কেন থিস্ট ? যে কোনও বিষয় সম্পর্কেই জানা ভালো, কিন্তু জানা বিষয়টাকে আপনি শর্ত হিসাবে দিতে পারেন না। আপনি যেমন সবকিছু জেনে ধার্মিক হতে বাধ্য নন, আমিও সবকিছু জেনে নাস্তিক হতে বাধ্য নই।
ধর্মকারী ওয়েবসাইটের পরিচালক একজন ধর্মপচারকের মতেঃ
যদি গুটিকয়েক বালক-বালিকা নিজেদের পরিচয় দেয় নাস্তিক হিসেবে “জাস্ট ফ্যাশন” বলে, তাতেও তো ক্ষতিকর কিছু নেই। ফ্যাশন মানেই খারাপ, তা তো নয়! বরং ধার্মিক হবার ফ্যাশন, এটাই সত্যিকারের ফ্যাশন। কারণ, অধিকাংশ পাবলিক কিছু না জেনে ধর্মবিশ্বাস নামের গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসায়।
যারা পারিবারিক সূত্রে কোনও একটা ধর্ম পেয়েছে এবং লালন করে চলেছে, তারা কিন্তু না জেনেই ধার্মিক। বেশির ভাগ ধার্মিকই না জেনে ধার্মিক। একটা শিশুর জন্মের সাথে সাথেই সে পরিবারের ধর্মটা পেয়ে যায়। তখন কিন্তু কেউ প্রশ্ন করে না যে, এই শিশু জেনে ধার্মিক, নাকি না জেনে ধার্মিক।
তাই, না জেনে ধার্মিক, আর না জেনে নাস্তিক সমান কথা। এটা একজন মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপরে নির্ভর করে যে সে কী মানবে বা মানবে না। সে যদি না জেনেই কিছু মানে, তাহলে যদি ভ্রু কোঁচকানোর কিছু না থাকে, তাহলে যদি কেউ না জেনেই কিছু না মানে, তাহলেও ভ্রু কোঁচকানো যাবে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভ্রু কোঁচকানোর কারণটা কী ?
মানুষ সব সময়ই চায় দলে ভারী হতে। যেমনঃ আপনার পাশের লোকটি আপনার কোনও কথার সাথে একমত হলে আপনি তাকে স্বাভাবিকভাবেই নিজের মত একজন লোক বলে মনে করেন, এবং নিজের পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পান, একটা সমর্থন বা সাপোর্ট পান। মানুষের সাইকোলজিকাল ক্যারেক্টারই এরকম। যে কেউ নিজের মতের পক্ষে সমর্থন পেলে সুখী বোধ করে।
তা ধার্মিকেরা সুখী বোধ করুন, সমস্যা নেই। তাদের মতের সমর্থন দেয়ার জন্য পৃথিবীতে মানুষের অভাব পড়ে যায়নি। তবে নাস্তিকদের সেই সমর্থনটা দরকার হয় না। কেউ সমর্থন করবে না জেনেই নাস্তিকেরা নাস্তিক হয়। পরিবারের সমর্থন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থাকে না, থাকে না বন্ধু-বান্ধবদের সমর্থন।
শুধু নাস্তিক্যের কারণেই যে পরিমাণ বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়, তাতে নাস্তিকদের কেমন লাগে ? ভালো নিশ্চয়ই লাগে না ! অ্যাকটিভ নাস্তিকদের সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে ধার্মিক প্রিয় মানুষগুলোর সাথে। কিন্তু এটা কি হওয়া উচিত ? নাস্তিক্যকে ফ্যাশন বা একধরনের অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে ধার্মিকেরা যে ক্রমাগত নাস্তিকানুভুতিতে আঘাত দিয়ে যাচ্ছেন, সেটা কি মেনে নেয়া যায় ?
অথচ, এই নাস্তিকেরাই যখন ধর্মের সমালোচনা করেন, তখন ধার্মিকেরা চিৎকার করতে থাকেন, “অন্য মতের ওপর শ্রদ্ধা থাকা উচিত।” এই শ্রদ্ধাটা ধার্মিকরা নাস্তিকদের মতের ওপর দেখাচ্ছেন না কেন ?
বিচার কি সবার জন্য একই মাপকাঠিতে হওয়া উচিত নয় ?
পান চিবাতে চিবাতে ধর্মের পিক ফেলা ধার্মিক মানুষের অভাব নেই বাংলাদেশে। তেমনি অভাব নেই দুই চারটা চটি বই পড়ে হেপাটাইটিস ভাইরাসে সংক্রমিত পানিতে ধোয়া চায়ের কাপে আার্সেনিক মেশানো পানিতে বানানো চায়ে চুমুক দিতে দিতে সদ্য জাতে ওঠা ‘নাস্তিকদের যাদের অনেকে আবার নিজেদের নিরশ্বরবাদী ‘দার্শনিক’ ভাবতে বেশী পছন্দ করেন। ঈশ্বর বাদ দিলে ধার্মিকদের সাথে এদের পার্থক্য অল্পই। এরাও এক ধরনের পরম সত্যে , উদ্দেশ্যে, আধ্যাতিকতায় বিশ্বাস করেন। তথাকথিত ‘নৈতিকতা’ নিয়ে ধর্মের খুব কাছাকাছি অবস্থান এসব নাস্তিকদের।
কথা হচ্ছে যে , কিছু অস্বীকার করার অর্থই দাড়ায় সেটার পরোক্ষ অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া , মনস্তত্বিক অস্তিত্ব হলেও।
এই দুই ধারার বাইরে বিজ্ঞানের অবস্থান। প্রকৃত বিজ্ঞানের চর্চাকারীরা এসবে নিজেদের জড়ান না । হাওয়ায় ঝাড়ু দেয়ার চাইতে অনেক গুরত্বপূর্ন কাজ রয়েছে যেগুলো কোটি কোটি মানুষের জীবনে বস্তুনিষ্ট অর্থ বহন করে । বিজ্ঞান বুঝলে আস্তিক – নাস্তিক এসব নিয়ে ভাবার অবকাশ থাকে না।
@সংশপ্তক,
আমার মনে হয়, আল্লাহ আছে নাকি নেই? এই প্রশ্নর উত্তরে আস্তিক বলে আছে, নাস্তিক বলে নেই। আর আমি বলি জানিনা।
মস্তিষ্কের ক্রিয়ার নাম হলো চিন্তা । চিন্তা আবার এক মেরু কেন্দ্রিক হয় না । তার জন্য প্রয়োজন দ্বিতীয় মেরুর ।
আস্তিকতা হলো মানব চিন্তার ফসল । আস্তিকতা আবার একক ভাবে থাকতে পাড়ে না । তার জন্য প্রয়োজন বিপরীত ধর্মী চিন্তার । আর এই বিপরীত ধর্মী চিন্তা হলো নাস্তিক্য । তাই আস্তিকতা ও নাস্তিক্য হলো একই দন্ডের বিপরীত দিক ।
ফেসবুকে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।এখানেও এসে পড়লাম শুভজিৎ।
ফেসবুকে ধর্ম বিরোধী একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।
god is just a concept by which we can measure our pain
i dont blv in jesusu
i dont blv in mohammod
i dont blv in karma…
i just blv in me…
its d real thing…
john lenn একটি গানের লাইনকে কিছুটা বিক্ররতি করে দেয়া।
এতেই ধার্মিকদের আতে ঘা লেগে গেলো।একজন বলল এভাবে বলা নাকি উচিৎ হয় নি।মুসলমানেরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে!!!বলার আগে নাকি আমার ধার্মিকদের কথা ভাবা উচিৎ ছিল।
মানে কি ধার্মিকেরা কি ছোট বাচ্চা যাদের নাক টিপলে দুধ বের হয়। আমার একটি স্ট্যাটাস ওদের ক্ষতি করবে।ধার্মিকেরা যখন ধর্মের বানী দিয়ে স্ট্যাটাস দেয় তখন নাস্তিকদের কথা মনে করে লেখে!!!
আজব!!!যেনো সব সম্মান আস্তিকদের প্রাপ্য।নাস্তিকেরা কদর্য পদের কোনো প্রাণী!
@বুনো বিড়াল,
ধরুন গোলাম আজমের কথা, তার অনেক ভক্ত আজকের স্বাধীন বাংলাদেশেই আছে, তাদের অনুভুতিতে আঘাত না দিয়ে তার বিচার চাওয়া কি সম্ভব?
গোলাম আযমের ভক্তের সংখ্যা নিতান্ত নগন্য এবং সরাসরি প্রতিবাদ করার সাহস নাই বলেই এটা নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য হয় না । ধর্মের ভক্ত সংখ্যা বেশী বলেই কি তার সম্পর্কে সত্য কথাও বলা যাবে না ?
সত্যি সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ !!
পোস্টটা এখানে দেখে ভালো লাগলো। আমার মন্তব্য আগের মতোই থাকছে। মোচের কারণে ব্র্যান্ডন ফ্লাওয়ারকে স্মার্ট লাগে হাইপথেসাইজ করে কেউ যদি মোচ রাখা শুরু করে নিজেও স্মার্ট হবার জন্য, সেটাতে আমি যেমন কোন আপত্তিকর কিছু খুঁজে পাইনা; একইভাবে আইনস্টাইন, ফাইনম্যান, ক্রিক, হকিঙ্গ, ডকিন্স প্রমুখেরা (যারা কিনা মানবো ইতিহাসের প্রিটি স্মার্ট ব্যক্তি হিসেবেই সাধারনভাবে বিবেচিত) নাস্তিক বিধায় তাদের দেখাদেখি কেউ যদি মননে নাস্তিকতা লালন করা শুরু করে সেটাতেও কোন সমস্যা দেখি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে নাস্তিকতাকে একটি ইন্টেলেকচুয়ালি সুপিরিয়র এবং প্রিটি স্মার্ট অবস্থান বলেই মনে করি। ভবিষ্যতে আমার মনে যদি কখনও এমনকি আস্তিকতার বীজ পুনরায় বাসা বাঁধে বার্ধক্যের কারণে খাঁজা হযরত হয়রানের মতো, আমি হবো রিলুক্টেন্ট নিজেকে আস্তিক ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে, খুব সম্ভবত in course of this জনমানসে নিজেকে একটি অনস্মার্ট ক্ষেত হিসেবে প্রমানিত করে ফেলার ভয়ে কিংবা লজ্জায়! শুভজিতকে মুক্তমনায় স্বাগতম।
@আল্লাচালাইনা,
ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি নিয়মিত লিখবো। আপনি বেশ সময় নিয়ে ফেসবুকে একটা দীর্ঘ মন্তব্য করেছিলেন, সেটা তুলে দিচ্ছিঃ
@শুভজিৎ ভৌমিক,
শতকরা ৯৫% সায়েন্টিস্ট নাস্তিক
– এর কি কোন তথ্য প্রমান কারো আছে? মানে ৯৫% এর?
প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের শিক্ষা হচ্ছে নিজেদের মত বা ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবা। এই শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদাররা কখনো অপরের মতকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে না। সচরাচর যে আচরণগুলোর মুখোমুখি হতে হয়, তা আলোচনায় আনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লেখাটি ভাল লেগেছে। মুক্তমনায় আপনাকে স্বাগতম।
@বাদল চৌধুরী,
তাহলে ধার্মিকদের এই “পরধর্ম সহিষ্ণুতার” বুলি কপচানোর কারণ কী ? আমার তো মনে হয় এগুলো অনেক বড় বড় ধাপ্পাবাজি। মুখে যে ধার্মিক যাই বলুক না কেন, মনে মনে তো সে নিজের মতকেই সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করে।
নিচের ছবিটা দেখুন, অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবেঃ
[img]http://3.bp.blogspot.com/_NMY3YN6nGwM/TQyojELq6xI/AAAAAAAAA6E/7OVfzbWBWc4/s400/build+church+in+saudi+arabia+islamic+intolerance.JPG[/img]
আমারব্লগে লেখা একটা পোস্টে নাস্তিকের ধর্মকথা লিখেছিলেনঃ
কী মনে হয় আপনার ?
মুক্তমনায় স্বাগতম :)। লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
স্বাগতম জানানোর জন্য আপনাকে মাইনাস (N)
নাস্তিক্য নিয়ে ধর্মবিশ্বাসীদের আক্রমন করা নিয়ে এই লেখাটি খুব-ই চমত্কার হয়েছে। ধন্যবাদ
@প্রত্যয়,
নাস্তিক্য নিয়ে ধর্মবিশ্বাসীদের আক্রমন করা নিয়ে এই লেখাটি নিয়ে আপনার মন্তব্য খুব-ই চমত্কার হয়েছে। ধন্যবাদ। :hahahee:
নির্ভর করে কে কিভাবে নিজেকে ও অন্যকে মূল্যায়ন করে। সমস্যাটা মনে হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু মানসিক দ্বন্দের মাঝেই সীমাব্দ্ধ। নাস্তিক আস্তিক প্রশ্ন এখানে অবান্তর। মেইনস্ট্রীম বিশ্বাসের বাইরে যেয়ে ভিন্ন যে কোন বিশ্বাস বা অবিশ্বাস পোষণকারীকেই আপনার পোস্টে বর্ণীত সমস্যার মুখোমুখি হওয়া লাগে।
@ফারুক,
মেইনস্ট্রিম বিশ্বাস কী বস্তু ?
@শুভজিৎ ভৌমিক,কোন জনপদের বেশির ভাগ মানুষ যে ধর্মে/অধর্মে বিশ্বাস করে , তাকেই মেইনস্ট্রিম বিশ্বাস বলে। বাংলাদেশে এটা সুন্নি ইসলাম , ভারতে হিন্দু আর স্টালিনের সোভিয়েট রাশিয়ায় নাস্তিক্যবাদ।
@ফারুক,
সেটা না হয় বোঝা গেল।
এবার বলেন তো সব “মেনষ্ট্রিম” সমাজে কি সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়, বা অন্তত ধর্ম বিশ্বাস ভেদে এর মাত্রা কেন ওঠা নামা করে?
@আদিল মাহমুদ, হ্যা , সব “মেনষ্ট্রিম” সমাজেই কম বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সমস্যাটা কম নাকি বেশি সেটা ও ব্যাক্তি নির্ভর। কেউ তিলকে তাল করে , আবার কেউ তিলকে উপেক্ষা করে।
ধর্ম বিশ্বাস ভেদে এর মাত্রা ওঠা নামা করে না। মাত্রা ওঠা নামা করে সমাজ কতটা শিক্ষিত , তার উপরে। গত মাসে নাইজিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতার দিকে খেয়াল করুন। যেখানে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট সেখানে খৃষ্টানরা নিগৃহিত হয়েছে (খুন , ধর্ষন , বাড়ি পোড়ানো) , আর যেখানে খৃষ্টানরা সংখ্যাগরিষ্ট সেখানে মুসলমানরা নিগৃহিত হয়েছে (খুন , ধর্ষন , বাড়ি পোড়ানো)। মাত্রা ধর্মভেদে একি।
@ফারুক,
দুনিয়ায় তো নাইজেরিয়া বাংলাদেশ ছাড়াও আরো বহু যায়গা আছে, নাকি?
ধর্মীয় ভিত্তিতে দেখা হলে কোন অঞ্চলের লোকের মাঝে অসহিষ্মুতার পরিমান বেশী বলে মনে করেন, এবং তার কারনটা কি?
@আদিল মাহমুদ, সমাজের সার্বিক শিক্ষার লেভেলের সাথে ধর্মীয় অসহিষ্নুতা ব্যস্ত/বিপরীত আনুপাতিকভাবে জড়িত। এর সাথে বিজ্ঞান শেখার কোন যোগ নেই। :))
@ফারুক,
🙂
আপনি যে ধরা দেবেন না সে আমি জানি।
@আদিল মাহমুদ, আপনার কাছে ধরা দিতে আমার আপত্তি নেই। কী বল্লে আপনার মনঃপুত হবে ও আপনার মনে হবে আমি ধরা দিয়েছি , সেটা লিখে জানান । গ্রস ভুল না হলে স্বীকার করে নেব। 🙂
@আদিল মাহমুদ,আপনার কাছে ধরা দিতে আমার আপত্তি নেই। কি বল্লে আপনার মনঃপুত হবে ও আপনার মনে হবে আমি ধরা দিয়েছি , সেটা লিখে জানান। গ্রস ভুল না হলে স্বীকার করে নেব। 🙂
@ফারুক,
এটা মনঃপূত হওয়া না হওয়ার বিষয় না, এটা সাহিত্য বা আর্ট কালচার কিছু নয়।
আমি আপনাকে যদি প্রশ্ন করি যে এ পর্যন্ত কোন কোন দেশ চাঁদে মানুষ নামিয়েছে তবে কি আপনি জবাব দেবেন যে যারা মহাকাশ বিদ্যায় উন্নতি করেছে তারাই নামিয়েছে?
নাকি সরাসরি বলবেন যে আমেরিকা রাশিয়া নামিয়েছে?
আপনার প্রতি প্রশ্ন ছিল সরল, যার জবাব হবার কথা কোন একটি ধর্মাবলম্বীদের নামে।
@আদিল মাহমুদ,আপনি যতটা মনে করছেন , আপনার প্রশ্নটি এত সরল নয়। আবারো দেখি আপনার প্রশ্নটি-
অসহিষ্মুতার পরিমানের মাপকাঠি কী? কত বছর আগে থেকে গণনা শুরু করব? এগুলোর উত্তর না জানলে আপনার সরল(?) প্রশ্নের উত্তর দেয়া তো অসম্ভব। সেকারনেই “যারা মহাকাশ বিদ্যায় উন্নতি করেছে ” এমন উত্তর দিলে সত্যের বরখেলাপ করা হয় না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার প্রতি প্রশ্ন ছিল সরল, যার জবাব হবার কথা কোন একটি ধর্মাবলম্বীদের নামে। কোন একটি ধর্ম কেন হবে? সব ধর্মই এক্ষেত্রে সমান।এছাড়া শিক্ষার ভুমিকাই বা অস্বীকার করছেন কিভাবে? তবে শিক্ষিত লোক চরম সাম্প্রদায়িক হতে পারে। আসলে এটা এত সহজে বলা সম্ভব নয়।
@ফারুক,
সমাজ নিয়ে পরে কথা বলি, ব্যক্তির শিক্ষা লেভেলের সাথে এটার অনুপাত কেমন। ধরেন, বিন লাদেন, জাকির নায়েক, বিলাল ফিলিপস উচ্চ শিক্ষিত। এরা কেন বই লেখে, ভাষণ দেয় সমকামী কিংবা ইসলাম ত্যাগীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড? এই অসহিণ্ষুতার উৎস কোথায়?
@হোরাস,
যদিও আমি সমাজবিজ্ঞানী নই তবুও কমনসেন্স বলে , যখন কোন শিক্ষিত ব্যাক্তি ধর্মীয় সহিংসতাকে উষ্কে দেয় , তখন বুঝতে হবে ব্যাক্তির মোটিভ বা ব্যাক্তি স্বার্থের (অর্থ , ক্ষমতা , নেতা হওয়ার বাসনা…) সাথে এটা আনুপাতিক হারে জড়িত।
ধর্ম বা অধর্মকে এরা হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করে। এরা জ্ঞান পাপী। সকল ধর্মে এমনকি নাস্তিকদের মাঝে ও এদের দেখা পাবেন।
@ফারুক,
😀
আপনি কূটনীতিবিদ হিসেবে খুব ভাল করতে পারতেন আগেও লক্ষ্য করেছি জানি না আপনার পেশা কি।
@আদিল মাহমুদ, হেঃ হেঃ আমি কূটনীতিবিদ না বা আমার ১৪ পুরুষে ও কেউ কূটনীতিবিদ ছিল না। আমারে কূটনীতিবিদ কইলে কূটনীতিবিদরা মাইন্ড খাইব। :))
@আদিল মাহমুদ, আপনার মনে হয় এতগুলো মানুষের সামনে বাঁদর নাচ দেখতে ভাললাগে, দেখান আমরাও দেখি, মাঝে মাঝে এন্টারটেইনমেন্টের দরকার আছে।
লেখাটি সম্ভবত ফেসবুক নোট হিসেবে লেখা হয়েছিল। ফেসবুকে একবার দেখেছি। ভালো লেগেছে। ওখানে যথেষ্ট আলোচনাও হয়েছে লেখাটি নিয়ে। প্রাসঙ্গিক লেখাটি এখানে দেখেও ভালো লাগল। লিখতে থাকুন। মুক্তমনায় স্বাগতম। (F)
@নিটোল,
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভজিতকে অবশেষে এখানেও দেখা গেল।
লেখা ভাল হয়েছে, ছবিটা দেখে অট্টহাসি সাইট বাধ্য হয়েছি 🙂 ।
@আদিল মাহমুদ,
ধন্যবাদ আদিল ভাই। কিন্তু “অট্টহাসি সাইট” কী জিনিস ?
@শুভজিৎ ভৌমিক,
ওসব নাস্তিকেরা বুঝবে না। বিশ্বাস আনলেই বোঝা যাবে। নাস্তিকেরা আছেই কেবল ত্রুটি বের করে কূট তর্ক বাধাতে।
@আদিল মাহমুদ,
আপকো দেখকে তো ইহুদী-নাছারা-কাফির-নাস্তিক-মালাউন-মুশরিক-মুর্তাদ বলে মনে হোতা হ্যায়। আপনি সিআইএ, মোসাদ সহ বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট লাগতা হ্যায়। আপ লোগোকে লিয়েই আজকে ইসলামের এই অবস্থা।
তবে টেনশন মাত লেনা, সত্যের সেনানীরা নেবেনাকো বিশ্রাম, তাদের জিহাদ চলবেই অবিরাম :guli: :guli: :guli:
@শুভজিৎ ভৌমিক,
সত্যের নয়, এখন ধমাধম সেনানীরা নেবা নাকো বিশ্রাম
@আদিল মাহমুদ,
নাস্তিকেরা কার উপর বিশ্বাস আনবে ? বিষয়টি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বললে ভালো হতো । নাস্তিকেরা অনেক কিছু জানে বলেই তর্ক করে ।
@shahin,
সে আপনি বুঝবেন না ভাই, মেলা কথা।
পূর্ন ঈমান আনলেই অনেক কিছু বোঝা যায়, কারন তখন আর মনে তেমন কূট প্রশ্ন আসে না। প্রশ্ন আসলেও যা তা বলে মনকে প্রবোধ দেওয়া যায়।
@আদিল মাহমুদ,
ভীষণ রকমের সহমত। পরিচিত অনেক ধার্মিককেই দেখেছি ভিন্ন ধর্মের লোকের প্রতিও তাদের এক ধরণের সহানুভুতি থাকে যেটা একজন নাস্তিকের জন্যে থাকে না। এখানেই সকল বিশ্বাসী এসে এক হয়ে যায়।
@স্বাধীন,
আপনি ঠিকই বলেছেন। কেন যে থাকে না তার জবাব আহমদ শরীফ সুন্দরভাবে বলেছেন:
আস্তিকের সবচেয়ে বড়ো দোষ দলছুট বলে তারা নাস্তিকের প্রতি সক্রিয় কিংবা নিষ্ক্রিয়ভাবে অসহিষ্ণু। তারা সমাজে চোর-ডাকাত-গুণ্ডা-লম্পট-মাতাল-জালিয়াত-প্রতারক প্রভৃতি যে কোনো আস্তিক দুষ্ট-দুর্জন-দুর্বৃত্ত-দুষ্কর্মাকে সহ্য করতে এমনকি কৃপা-করুণা বশে ক্ষমা করতেও রাজি, কিন্তু নাস্তিকের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পরিহার করতে অক্ষম। যদিও নাস্তিক এমন কোনো নুতন পাপ বা অপরাধ করে না যা আস্তিকে দুর্লভ। বাস্তবে নাস্তিকের ন্যায়-নীতি-আদর্শনিষ্ঠা ও বিবেকানুগত্য বেশিই থাকে। (এবং আরও ইত্যাদি, আহমদ শরিফ)
আমি “নাস্তিকতা একটি ফ্যাশন” এর সাথে হুমায়ুন আজাদের উদ্ধৃতিটির যোগসূত্র খুঁজে পেলাম না। অভিযোগটি তো মনে হচ্ছে অনেকটা এরকম যে — নাস্তিকতাও এখন একটি ফ্যাশন-সুলভ গড্ডালিকা প্রবাহে পরিণত হয়েছে।
@রৌরব,
বোঝার ভুল অথবা আমার বোঝানোর ভুল। হুমায়ুন আজাদের উদ্ধৃতির নিচেই ব্যাখ্যাটা দিয়েছিঃ
না সমান কথা না। নাস্তিক হতে হলে কিছু না জানলেও চলবে। অর্থাৎ একজন সদ্যজাত শিশুকেও আমরা নাস্তিক বলতে পারি কিন্তু আস্তিক হতে হলে জানতে হবে। জানতে হবে আল্লাহ কি? সে কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে তৈরী হল? মানুষের উপাসনা দিয়ে সে কি করে? কেন মানুষকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করতে হয়? সে কি শুভকর কিছু নাকি অশুভ নাকি দুটোর মিশ্রণ? আর বিশ্বাসীরাই বা তার সম্পর্কে এত কিছু জানে কিভাবে ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে ঘটে উলটো। একজন মানুষ জেনে (বা জানলে) হয় নাস্তিক আর না জানলে হয় আস্তিক।
নাস্তিকতা মানে হল ‘ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস/বিশ্বাসহীনতা’ । এর মানে এই না যে নাস্তিক হতে হলে আপনাকে বলতে হবে ‘ঈশ্বর বলতে কিছু নেই’। ‘ঈশ্বর বলতে কিছু নেই মনে করা’ এবং ‘ ঈশ্বরে অবিশ্বাস করা’ এর মধ্যে পার্থক্যটা একটু বলি। যেমন, আপনি কোনোদিনও ভুতের নাম শুনেন নি। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই ভুতের অস্তিত্বে বিশ্বাস করবেন না অর্থাৎ অবিশ্বাস করবেন কিন্তু এ সম্পর্কে না জেনে বলতে পারবেন না ওটার অস্তিত্ব আছে কিনা(‘অবিশ্বাস’ মানে ‘বিশ্বাস না করা’ , অবিশ্বাস=অ+বিশ্বাস )। তবে একটা কথা মনে রাখা জরুরী, যারা ঈশ্বর বলতে কিছু নেই বলেন তারাও নাস্তিক তবে তারা নাস্তিক ঈশ্বর বলতে কিছু নেই তা মনে করার জন্য না বরং তা কেবলমাত্র ঈশ্বরে বিশ্বাসহীনতার জন্য।
আরেকটি প্রাসঙ্গিক লেখা
নাস্তিকতাও একটি ধর্ম (কিংবা বিশ্বাস) হলে
কোন পোস্ট থেকে নিয়েছে এর লিংক দেওয়া জরুরী ছিল। একটু খেয়াল রাখবেন।
আশা করি নিয়মিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন ও লেখবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
–
@সৈকত চৌধুরী,
এখানে “জানা” কথাটা একটু বৃহদার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। যেমন ধরুনঃ “সে কিছুই জানে না” – এধরনের কোনও মন্তব্য যদি আপনি শোনেন, তাহলে সাদা চোখে কী ধরনের পার্সেপশন আসতে পারে ? সে বিষয়টি কী, তা জানে, তবে বিষয়টি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা তার নেই – এরকম একটা পার্সেপশন আমি ব্যক্তিগতভাবে পাই।
ধর্মকারীর এই পোস্ট থেকে ছবিটা নেয়া হয়েছে। স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
লিংকের জন্য রীতিমত কপাল চাপড়াতে ইচ্ছা করছে। ৫০০ টাকা দিয়ে “অবিশ্বাসের দর্শন” কিনে খালি খালি অভিজিৎ’দা আর রায়হান ভাইকে বড়লোক বানালাম। কিনে দেখি মুক্তমনাতে লেখাগুলো আগেই পড়েছিলাম। ;-( ;-(
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারার একাংশ অগোছালো লাগলো। আপনি বলেছেন, ভূতের নাম না শুনে থাকলে কেউ ‘ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস’ করবে না। যে নাম আমাদের মস্তিষ্কে থাকে না, তাতে বিশ্বাস/অবিশ্বাসের কিছু এসে যায় না। যখনই কোন নাম বা বিষয় আমাদের মস্তিষ্কে থাকে, তখন আমরা তাতে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করার সুযোগ পাই।
‘নাস্তিক হতে হলে কিছু না জানলেও চলবে’ এ যুক্তি আমি আংশিক সমর্থন করলাম। কিন্তু এ যুক্তির ভিত্তিতে আপনি একজন শিশুকে নাস্তিক বললেন। এটা গ্রহণযোগ্য মনে হল না। আস্তিকতা, নাস্তিকতা বা এ ধরনের চিন্তাগুলোর বাইরে হল একজন শিশু। শিশু বড় হবার সময় যখন এ বিষয়টা সামাজিকীকরণের মধ্য দিয়ে সে জানতে পারবে এবং এ বিষয়ে একটা মত পোষণ করবে, তখনই বলা যাবে সে আস্তিক বা নাস্তিক কিনা। আস্তিক বা নাস্তিক হতে হলে কাউকে ‘ঈশ্বর’ শব্দটার সাথে হালকা পাতলা পরিচিত থাকতে হবে এবং বিশ্বাস-অবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ঈশ্বরসংক্রান্ত অন্তত একটা চিন্তা থাকতে হবে ‘আছে/নেই’। সে সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা বা না জানা পরের ব্যাপার।
@সৈকত চৌধুরী,
বক্তব্যটা বেশ ভালো লাগল। সুন্দর বিশ্লেষণ।