শয়তান এক রোমাঞ্চকর ভীতি জনক ধর্মীয় চরিত্র। যার সরব উপস্থিতির কেন্দ্র বিন্দু আসমানী কিতাবের পাতায় ও কিতাব বিশ্বাসীদের আবদ্ধ মনে সীমাবদ্ধ। ধর্ম বোদ্ধাদের কাছে শয়তান সব রকম মন্দ কাজের প্রতীক।বেহেস্ত থেকে মনুষ্যকুলকে বিতারিত করার চক্রান্তকারী, ভাল মানুষকে করে বিপথগামী, নরক রাজ্যে মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার উৎস, এক কথায় ঈশ্বর ও মানুষের মাঝে বিদ্যমান সম্পর্কের ফাটল ধরাতে দিন রাত্রি বিরামহীন গতিতে কাজ করে যাওয়া যেন শয়তান এক মাত্র পেশা।
শয়তান শব্দটি এসেছে হিব্রু শব্দ স্যা-টান(sa-tan) থেকে যার আভিধানিক অর্থ “শত্রু।আদম ও ঈভকে “জ্ঞান বৃক্ষের” ফল খাওয়ানোর অপরাধে স্বর্গ থেকে বিতাড়নের পর তার নাম হয় “স্যাটান”(satan)।Old testament থেকে New testament যুগে এসে শয়তান সম্পর্কিত ধারনা ও শয়তানি ক্ষমতার ব্যাপক রদবদল হয়েছে। Old testament উৎপত্তি হয়েছে খ্রীষ্ট পূর্ব ১৫০০-৪০০ বছর আগে প্রায় ৩৯ টি বইয়ের সমন্বয়ে যা লিখিত হয়েছে মূলত হিব্রু ভাষায় এবং কিছু আরামায়িক(Aramaic) ভাষায়। প্যালেষ্টাইন অঞ্চলের আমজনতার ভাষা ছিল এই Aramaic। অপর দিকে গ্রীক ভাষায় New testament লিখিত হয়েছে ২৭ টি বইয়ের সমন্বয়ে। ইহুদি দার্শনিক আলেকজেন্ড্রারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বহু খাটা খাটুনি করে আনুমানিক খ্রীষ্ট পূর্ব ২৫০ বছর আগে ৭০ মতান্তরে ৭২ জন অনূবাদক ১২ দলে ভাগ হয়ে OT হিব্রু থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করেন। অনুবাদের কাজটি করতে গিয়ে OT কে তারা Historical, Poetic এবং Prophetic এই তিন ভাগে করে এতে অনেক কিছু সংযোজন বিযোজন করেন অত্যন্ত সর্তকতার সাথে।হিব্রু থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করতে গিয়ে এখানে শয়তান অবর্তিন হয়েছে Devil রূপে। Devil শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক শব্দ Diabolos থেকে। অর্থ “শত্রু” বা “প্রতিপক্ষ” হলেও অর্থ গত দিক থেকে Satan অপেক্ষা Devil অনেক ওজনদার অর্থাৎ বেশী মন্দ ধারনার অধিকারী। Devil সরাসরি ঈশ্বরের অবাধ্য ঈশ্বরের প্রতি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টিকারি ও মানুষের শত্রুরূপে বিবেচিত। এছাড়াও শয়তান কে ডাকা হয় অরো অনেক নামে যেমনঃ- Lucifer, Dragon, Serpent, Beelzebub, Abaddon ইত্যাদি। ইসলামে শয়তানের নাম রাখা হয়েছে “ইবলিশ”,ইসলামে “ইবলিশ” চিত্রিত হয়েছে ঈশ্বরের পরে সব চেয়ে বেশী শক্তিশালী ক্ষমতাধর ব্যক্তি চরিত্রে।
এই শয়তানের সাথে মানুষের পরিচয় কিভাবে হল সে ইতিহাস জানতে হলে ঐতিহাসিকদের মতে আমাদের পিছাতে হবে খ্রীষ্টের জন্মেরও অনুমানিক ২০০০ বছর আগে। যখন প্রাচীন ইরান আক্রান্ত হয়েছিল ইন্দো-ইউরোপিয়ান “কুরগান”(kurgan) জাতি দ্বারা। এদের আবাস স্থল ছিল রাশিয়ার দক্ষিন কোনে। খাদ্য ও উন্নত জীবন জীবিকার খোজে বিপুল সংখ্যক কুরগান জাতি মধ্য প্রাচ্য ও ইউরোপে ক্রমাগত বসত গড়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করে নেয়। “কুরগানরা” ছিল বহুদেবতায় বিশ্বাসী। তাদের আচরিত ধর্মীয় গ্রন্থ ছিল “ভেদাস”।
পশ্চিম ইউরোপে জুড়ে যে কুরগানরা বসতি স্থাপন করেছিল কালক্রমে পরিবর্তনের হাওয়ায় তারা পরিচিতি পায় সেল্টিক (Celtic) জন গোষ্ঠি নামে। স্থানীয়দের সাথে মিলে মিশে একাকার হওয়ায় নীরবে তাদের ধর্মে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। নতুন ধর্মীয় মত হয় “ড্রুয়িডিজম” (Druidism)।
আর যে সব “কুরগান” মধ্য প্রাচ্যে বসতি গড়ে তুলেছিল প্রবাহমান সময়ের স্রোতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে ঘটে যায় যুগান্তকারী নাটকিয় পরিবর্তন। যুক্ত হয় মানুষ মড়ার পরে মৃত ব্যক্তির আত্মার “পাপ মোচন” ও “নরক দন্ড” ভোগের নব দুই ধারা। এই বিশ্বাস মতে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির আত্মাকে অবশ্যই ঘোড়ায় চড়ে পার হতে হবে একটি খুবই সরু সাঁকোর উপর দিয়ে। তাদের দেবতা “রাশু” (Rashu) দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করবেন প্রত্যেক আত্মার সাঁকো পার হওয়ার চলমান ও কম্পমান পতনের দৃশ্য। পুন্যআত্মারা সাঁকো অনায়াসে পার হয়ে স্বর্গে পৌঁছতে পারলেও পাপী আত্মারা সাঁকো থেকে পিছলে পড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন ভয়ানক দুর্গন্ধযুক্ত জলন্ত অগ্নি কুন্ডে(নরকে)।
ইতিহাসবিদদের দাবি, এরাই প্রথম কৃত কর্মের ফল অনুসারে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির আত্মা নামক এক পরম সত্বার স্বর্গ-নরক গমন ধারনার ধর্মীয় দিগন্তের সূচনা করে। তাদের বিশ্বাস দেবতা “রাশু” শুভ শক্তি। তাঁর পক্ষে মানু্ষকে কোন প্রকার অন্যায় বা পাপ কাজে সহযোগীতা করা সম্ভব নয়। তাহলে কেন মানুষ অন্যায় বা পাপ কাজ করে? কে ভালো মানুষকে প্রলুব্ধ করে পাপ বা অন্যায়ের পথে টেনে নিয়ে যায়? এর জন্য দায়ী কে বা কোন অদৃশ্য শক্তি? এই আপাত দুরূহ প্রশ্ন গুলোর একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান খুজতেই ধীরে ধীরে কল্পতিত হতে শুরু করে মন্দ বা পাপের প্রতীক কোন এক বিশেষ শক্তির। কিন্তু তখনো শয়তান চরিত্রটি আজকের মত এত শক্তিশালী পূর্নাঙ্গ চরিত্র নিয়ে জন্ম লাভ করেনি।
আনুমানিক ৬২৮ থেকে ৫৫১ খৃস্টপুর্বে পারস্যে বর্তমান ইরানে জন্ম লাভ করা পয়গম্বর জরোয়াস্টার (Zoroaster)শয়তানের ধারনাটিকে আরেকটু স্বচ্ছ অবয়ব দান করার চেষ্টা করেন। তাঁর প্রচারিত মতবাদটি পরিচিতি পায় মাজদাবাদ (Mazdaism)নামে। তিনি তাঁর প্রচারিত ধর্মে আধাত্মিকতা বাদে অনেক নতুন ধারা সংযোজিত করেন। ধর্মীয় ইতিহাসে প্রথম এক ঈশ্বরবাদী ধার্মের প্রবক্তা হিসাবেও তাকে বিবেচিত করেন ইতিহাসবিদরা। তৎকালীন সমাজে পূজিত বরুণ, মিত্রা ও ইন্দ্রকে পূজা করতে অস্বীকার করে পরিবর্তে শুরু করেন তাঁর সৃষ্ট সর্ব ক্ষমতার অধিকারী, স্বর্গ মর্ত্যের সৃষ্টিকারী আহুরা মাজদা (Ahura Mazda) )নামে এক শুভ পুরুষ দেবতার পূজা। জরোয়াষ্টারের মতে আহুরা মাজদার আরেক জমজ ভাই হল আহরিমান (Ahriman)। যিনি হলেন মন্দের দেবতা। পৃথিবীতে যত খারাপি আছে সব কিছুর স্রষ্টা এই আহরিমান।
আহুরা মাজদা ও আহরিমানের মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্ব প্রতিষ্ঠায় শুরু হয় বিরোধ। বিরোধ গড়ায় যুদ্ধে। জরোয়াষ্টার বিশ্বাস করতেন তাদের এই যুদ্ধ ক্রমাগত চলতেই থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত না খারাপ দেবতা আহরিমান পরাজিত না হয়। মাজদাবাদে আছে শেষ বিচার নামে এক বিচার ব্যবস্থা যেখানে মৃত মানুষদের আত্মাকে কর্ম অনুযায়ি দুই ভাগে ভাগ করা হবে। যারা ভাল কাজ করবে তাদের প্রাপ্তি স্বর্গ আর যারা খারাপ কাজ করবে তারা ভোগ করবে অনন্তকাল নরক যন্ত্রনা ।
ইতিহাসবিদ দের ভাষ্য মতে মাজদাবাদের লেজ ধরেই এক ঈশ্বরবাদী ইহুদি, খ্রিষ্টান ও পরিশেষে ইসলামের জন্ম।
জি মেসান্ডির (G.Messande) মতে খৃষ্ট পুর্ব ৫ম শতাব্দি থেকে খৃষ্ট পুর্ব ৫৩ সনের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে ইহুদিরা মাজদাবাদের অনেক কিছু আত্মসাৎ করে। তার মধ্যে আত্মা অবিনশ্বর, স্বর্গীয় দেবতা ও শয়তানের ধারনা অন্যতম।
প্রাচীন ইস্রাইলে প্রথম দিকে গড়ে ওঠা হিব্রু ধর্মীয় মতানুসারে ভালো ও মন্দ উভয় কাজ সব্যসাচী রূপে পরিচালনা করতেন তাদের ঈশ্বর জেহোবাহ (Jehovah)নিজেই। শয়তানকে তখনো ঈশ্বরের প্রতিপক্ষ রূপে উপস্থাপনের কোন চেষ্টা না করে বরং সর্ব ক্ষমতা ও একক সিদ্ধান্তের অধিকারী ঈশ্বর জেহোবার ইচ্ছানুসারে সব কিছু ঘটত বলে বিশ্বাস করা হত।
Isaiah 45:6-7
I am the LORD and there is none else. I from the light and create darkness. I make peace and create evil. I the Lord do all things. (KJV)
Lamentations 3:37-38
Who has commanded and it came to pass, unless the Lord has ordained it? It is not from the mouth of the Most High that good and evil come?
প্রমাণ হিসাবে আরো উল্লেখ করা যায় সমগ্র পৃথিবী ব্যাপী প্রলয়ংকরি বন্যায় নোয়ার নৌকা ভাসানোর হিব্রু গল্প। বন্যায় জান, মাল ও সম্পদের যত ধ্বংস ও ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিল সবটাই ঘটেছিল ঈশ্বরের ইচ্ছাতে।
Old testament যুগের প্রারম্ভিক দিকেও ধর্মে শয়তানের কোন ভুমিকা নেই। এখানে ঈশ্বরই সর্বেসর্বা অর্থাৎ কর্তার ইচ্ছা কর্ম। সে যুগের মানুষের চেষ্টা ছিল ঈশ্বরকে ইনিয়ে বিনিয়ে সব সময় তুষ্ট রাখার অপ্রাণ চেষ্টা করা। ঈশ্বর প্রসন্ন থাকলেই দেশ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনে কেবল ভালো বা শুভ পরিস্থিতি বিরাজ করবে আর কোন কারনে ঈশ্বর অসন্তুষ্ট হলেই মানুষের উপর ঈশ্বরের অভিশাপ ধেয়ে আসে এটাই ছিল সে যুগের প্রচলিত বিশ্বাস। OT পঞ্চম খন্ডকে বলা হয় “ডিউটারনমি” (Deuteronomy)। এখানে ঈশ্বরের নিষ্ঠুরতার কিছু নমুনা বর্নিত আছে-
The LORD will send on you curses, confusion and rebuke in everything you put your hand to, until you are destroyed and come to sudden ruin because of the evil you have done in forsaking him. The LORD will plague you with diseases until he has destroyed you from the land you are entering to possess. The LORD will strike you with wasting disease, with fever and inflammation, with scorching heat and drought, with blight and mildew, which will plague you until you perish. (Deuteronomy 28:20-23)
মানুষকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালাতেই যেন ঈশ্বরের যত আনন্দ। অথচ ঈশ্বর সব সময় কল্পিত হয়ে এসেছে শুভ প্রতীক রূপে মানুষের রক্ষাকর্তার ভূমিকায়। OT তে ঈশ্বরের বর্ননা দেখে মনে হয় শয়তান এখানে ঈশ্বরের চেয়ে ঢের ভালো। অসহায় মানুষের উপর শয়তান কখনো এত বর্বরতার সুযোগ নেয় নি।
হিব্রু বাইবেলের সংকলিত কয়েকটি বইয়ের মধ্যে “জব” (Job) অন্যতম। জব কখন কোথায় লিখিত হয়েছিল সে সম্পর্কে রয়েছে প্রচুর মতানৈক্য। লেখকের নামও অজানা। তারপরেও হিব্রু বাইবেলে জবকে একটি শিক্ষনীয় ও পবিত্র বই হিসাবে গন্য করা হয়। হিব্রু বাইবাল মতে পূর্ব প্যালেইষ্টাইনে জন্ম গ্রহন করা জব ছিলেন ধনশালী, ন্যায় নিষ্ঠ, সত্যবান, পরোপকারী, পরিশ্রমী, মোটের উপর একজন আদর্শ পুরুষ। যিনি সারা জীবন ঈশ্বরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও স্মরন করে গেছেন অবলীলায়। তাই জব পরিগনিত হয়ে গেলেন ঈশ্বরের প্রিয় পাত্র হিসাবে। কিন্তু জবের ঈশ্বর প্রীতি শয়তানের একদম সহ্য হল না। কুটিল শয়তান চক্রান্ত করে ঈশ্বরকে পরার্মশ দিল জব ঈশ্বরকে আদৌ সত্যিকার অর্থে কোন ভক্তি শ্রদ্ধা করে কিনা তা একবার বাজিয়ে দেখার। শয়তানের কথা ঈশ্বরের মনে ধরল, শুরু করলেন নির্দয় কঠিন পরীক্ষা। ঈশ্বর শয়তান কে আদেশ করলেন প্রথমে তার ছেলেমেয়েদের হত্যা করার, তার সমস্ত ধন সম্পদ ধ্বংস করার, শেষে জব কে দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত করার। অসীম মানসিক নির্যাতনে নিস্পেষিত ও অনেক দুঃখ কষ্ট ভোগের পরেও জব ঈশ্বরের প্রতি কোনরূপ গালমন্দ বা দোষারোপ করলেন না। তার ঈশ্বর ভক্তিতে সামান্য ফাটল দেখা গেল না কোথাও। পরীক্ষায় পাস করলেন জব। খুশি হলেন ঈশ্বর। এই হল জবের কাহীনি। যা দীর্ঘ পদ্য আকারে লেখা আছে হিব্রু বাইবেলে। এই গল্পের নৈতিক শিক্ষা হল শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও প্রতিটি মানুষের কর্তব্য ঈশ্বরের প্রতি আস্থা রাখা কারন ঈশ্বর সব সময় আপনার পরীক্ষা নিচ্ছেন।
“One day the divine beings presented themselves before the LORD, and the satan (Heb: ha-satan) came along with them. The LORD said to the Adversary, ‘Where have you been?’ Satan answered the LORD, ‘I have been roaming all over the earth.’ The LORD said to Satan, “Have you noticed my servant Job?” – Job 1:6-8
জবে শয়তানের অনুঃপ্রবেশ ঘটলেও আমাদের কাছে দিবা লোকের মত পরিষ্কার ঈশ্বরের অনুমতি ছাড়া অর্থব শয়তানের শয়তানি করার বিন্দু মাত্র ক্ষমতা ছিল না। অনান্য দেবতার মত সেও ছিল অত্যন্ত উচ্চ পদ সম্পন্ন একজন ঈশ্বরের আজ্ঞাবহ বাধ্য দেবতা। যে ঈশ্বরের ঈশারা ছাড়া একক সিদ্ধান্তে কোন খারাপ কাজে পা বাড়ানোর অধিকার রাখত না।
Satan can not perform any acts unless God approves (Job 1:6 to 2:10)
অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু শেষে এসে মনে হলো আরো কিছু শুনবার আছে।
লেখাটা তে কোন দার্শনিক টাচ নেই আর লেখাটার কাঠামো বেশ দুর্বল বলেই মনে হয়েছে। তবে এটা যদি শুধু জরথ্রুস্তবাদ এর আহিরমন আলোচনা সংক্রান্ত পোস্ট হয়ে থাকে তাহলে খারাপ হয়নি।কিন্তু মার, সেথ,এপফিস এর মত শয়তান দেবতারা কিন্তু বহু আগে থেকেই বিদ্যমান আছে নৃ-তত্ত্ব আর ইতিহাসে তাদের ব্যাপারে আপনাদের কি বলার আছে?
শয়তান নিয়া লেখাটা আর গুছানো হতে পারত
আপনার লেখাটি ভালো লাগছে ৷ আগামী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ৷
এপ্রিলের ১১ তারিখ শয়তান দিবস।
(http://spiritualsatanist.blogspot.com/2009/04/its-satans-day-celebrate.html)
আমাদের দেশের মহামান্য লুচিফার গু আজম, মুত নিজামী, দেইল্লা চুড়া, সাকা দের জুতাপেটার জন্যও একটা দিবস করা দরকার। স্বয়ং আজাজিলকেও ( মনে হয় শয়তানজির আসল নাম) এত মানুষকে হত্যা ও ধর্ষনের জন্য কেউ দায়ী করেনি। শয়তানজি গাদ্দাফীর মত ক্ষমতায় জোর করে না থেকে আমাদের নিজামী লুচিফারের কাছে পদত্যাগ করা উচিত।
লেখাটা হঠাত শেষ হয়ে গেলে মনে হয়। বুঝতে পারিনি ওখানেই শেষ। উপসংহারে কি আরো কিছু বলার থাকতে পারত?
এত কিছু লেখা হচ্ছে, শয়তান কি দোষ করলো যে তাকে নিয়ে কেউ লিখবে না। শয়তানের পেছনে লেগেছেন? সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখবেন, আপনার লেখা আপনিই পড়তে পারছেন না।
খুব ভাল লেগেছে।
@স্বপন মাঝি,
কথাটা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। শয়তানকে নিয়ে লিখছি দেখে ঈশ্বর তেঁতে উঠতে পারেন। :))
বাইবেল ভিত্তিক শয়তান সম্পকির্ত লেখাটি ভালোই লাগলো।
এই পৃথিবীতে এমন দলও রয়েছে যারা শয়তানের এবাদত করে। সেই দলের নাম চার্চ অব শয়তান। গুগলে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন আগ্রহী পাঠকরা। সেখানে দেখতে পাবেন- তাদের কাজকর্ম, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য।
বাস্তবে শয়তান থাকুক বা না থাকুক সেটা বড় কথা নয়; কিন্তু শয়তানী কাজকর্ম বহাল তবিয়তে বিদ্যমান।
আমিও শয়তানের ডায়েরী নামে বই পড়েছিলাম। বইটি পড়ে খুব মজা পেয়েছিলাম। বইটি দুখণ্ডে বিভক্ত। গল্পের বইয়ের মতই বইটি পড়েছি।
@মাহফুজ,
ভালোলাগার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে সয়তানের গল্প খুব ভাল লেগেছে তার সাথে প্রশ্ন উত্তর গুলো আরো বেশি ভাল লেগেছে।
রাজেশ ভাই,
শয়তানের বিবর্তন ইতিহাসটা ভাল লেগেছে। ছোট থাকতে একটা বই পড়েছিলাম, যতদুর মনে পড়ে বইটির নাম ‘শয়তানের ডাইরি’। শয়তানের নাকি ছেলে-মেয়েও আছে এবং কিভাবে তারা মানুষকে ধোকা দেয় তা একজন মৌলানা সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। তিনি কোথায় এ তথ্য পেয়েছেন তা অবশ্য বলেননি। অবশ্য হুজুর মানুষ যা বলে তাই সত্য, তাদের কথার রেফারেন্স লাগে না।
যাই হোক শয়তানও আল্লার পাকের শত্রু, আবার নাস্তিকরাও আল্লা পাকের শত্রু। নাস্তিকরা শয়তানজির সাথে বুঝাপড়া করে আল্লা পাককে একটা ছেছা দিতে পারলে মন্দ হতনা।
@হেলাল,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@হেলাল, মুক্তমনার সব লেখকই কি নাস্তিক? তাহলে মুক্তমনা নাম না রেখে অবিশ্বাসী বা নাস্তিকমনা রাখলেই তো হয় :lotpot: :lotpot:
ধন্যবাদ রাজেশ দা।
The History Of Devil
এটা শয়তানের বিবর্তনের ইতিহাস নয়।শয়তানের ধারনার বিবর্তনের ইতিহাস। :-[
আমার মাথায় এক নতুন চিন্তার উদ্রেক ঘটল। প্রতিটি ধর্মই কিন্তু অন্ধের মত বিশ্বাসের কথা বলে। অর্থাৎ প্রশ্নহীন বিশ্বাস। যেমন আল্লাহ ও তার রসুলে বিশ্বাস, ঈশ্বরে বিশ্বাস, যীশু খৃষ্টে বিশ্বাস, ঈশ্বর বা আল্লাহ ৬ দিনে দীন দুনিয়া সৃষ্টি করেছে বা কাদা মাটি দিয়ে আদম বানিয়েছে এসবে বিশ্বাস। পক্ষান্তরে বিজ্ঞান আমাদেরকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করে, বিনা কারনে কোন কিছু অন্ধের মত বিশ্বাস করাতে অজ্ঞানতা বা মূর্খতা বলে বুঝায়। যা মূলত: ধর্মীয় বিধান বা বিশ্বাসকে চ্যলেঞ্জ করার সামিল তথা শয়তানি কায় কারবার। সেহেতু বিজ্ঞান হলো শয়তানি শাস্ত্র আর বিজ্ঞানীরা হলো সব শয়তানের চ্যালা।
@ভবঘুরে,
আপনার নতুন চিন্তাটি আমি খুবই মূল্যবান মনে করি ৷ অনগ্রসর বন্য সমাজগুলোয় খা৺টি শয়তান চরিত্র দুর্লভ ৷ আদিম সমাজগুলোয় ভালো ও মন্দশক্তির দেবতার অস্তিত্ব থাকলেও তাদের পার্থক্য এতই সামান্য যে মন্দশক্তির দেবতার চুড়ান্ত মেরুকরন হতে পারেনি ৷ মন্দশক্তির দেবতা বা শয়তান শরীর পেতে শুরু করে যখন মানুষের চিন্তাধারা একেবারে আদিম পর্যায় থেকে খানিকটা এগিয়ে গেছে ৷ শয়তানের প্রাচীন মূর্তী বলে যা পাওয়া যায় দেখা গেছে তা প্রায়ই শুভ দেবতারই মূর্তী কেবল প্রতিদ্বন্দী ধর্ম সম্প্রদায় তাকে শয়তান আখ্যা দিয়েছে ৷ খ্রীষ্টান পাদ্রিরা আফ্রিকার আদিবাসীদের উপাস্য দেবতাদের ডেভিল বলেই আখ্যা দিয়ে এসেছে ৷
জ্ঞানের ও চিন্তাধারার বিকাশের সঙ্গেই শয়তান মূর্ত হতে থেকেছে ৷ তাই বলছিলাম খুব একটা ভুল বলেননি, জ্ঞান-বিজ্ঞান শয়তানী কর্মকান্ডই বটে ৷
@শুভ্র, অনগ্রসর ধর্ম কিনা জানিনা-হিন্দু ধর্মে ও শয়তানের ধারনা নাই
@নস্ট কবি,
এটা সত্য যে আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মতন সনাতন ধর্মে কোন বিশেষজ্ঞ কিংবা কেন্দ্রীয় শয়তানের ধারনা নেই । তবে শয়তানের সমধাতুজ অস্তিত্ব সেখানে অস্বীকারও করা হয় না। সনাতন ধর্মে সবসময় একটা দ্বৈততা কাজ করে যেখানে স্হান -কাল-পাত্র সাপেক্ষে একই সত্তা শুভ কিংবা অশুভ কার্য সাধনে সক্ষম। কোন কিছুই এককভাবে শুভ কিংবা অশুভ নয় বরং এ দুয়ের সমন্বয়ে একটা সত্তা পরিপূর্নতা লাভ করে বলে সনাতন ধর্মের দর্শন বিশ্বাস করে।
@সংশপ্তক,
সুন্দর বলেছেন ৷ (Y)
@নস্ট কবি, (I) (Y)
@নস্ট কবি,
আমার মনে হয় প্যাগান ধর্মে বহু দেবতার অস্তিত্ব জীবনের নানা অসঙ্গতিকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করত ৷ যখন এক ঈশ্বরের উদ্ভব হলো তখন সব দায় গিয়ে পড়লো ঐ একজন ঈশ্বরের ঘাড়ে; সেই দায় থেকে বা৺চতেই হয়তো মনোদেয়িজমে স্যাটান বা ইবলিশের সৃষ্টি ৷
শয়তানের বিবর্তনের ইতিহাস পড়তে বসে হতাশ হলাম । শয়তানের বিবর্তনের ইতিহাস কোন রকম নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ছাড়া কিভাবে লেখা সম্ভব বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে। শয়তান এবং ঈশ্বরের জন্ম একই সাথে যখন ধর্মের প্রাথমিক বিকাশ ঘটে প্রায় ৫০ হাজার বছর পূর্বে। এখানে সেসব কথা না বলে একদম শেষের দিক থেকে ( খ্রী:পূ: ২০০০) বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ম গ্রন্হগুলো এসেছে অনেক পরে। এছাড়া সাল উল্লেখ করার সময় খ্রীষ্টীয় এবং খ্রী:পূ: এর পার্থক্য বোঝা উচিৎ।
সবশেষে ,
‘স্যা-টান’ শব্দটা আমেরিকান ইংরেজী বোধহয় । হিব্রু শব্দটা হবে হা সাতান যার মানে মূলতঃ দোষারোপকারী – এখানে হা একটা ডিফিনিট আর্টিকল । 🙂
@সংশপ্তক,
যতদুর জানি শয়তানের কোন বাস্তব অস্তিত্ব কোন কালে ছিল না। কিতাব সমূতে যে শয়তানের কথা শুনি তা সব কাল্পনিক। পৃথিবীর কেউ কোনদিন শয়তানকে চাক্ষুষ দেখেছে এমনও কোন প্রমান নেই। যে প্রানীর কোন বাস্তব অস্তিত্ব ছিল না তাকে নিয়ে কিভাবে নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ হবে বুঝতে পারছি না।
@ভবঘুরে,
বিবিধ ধর্মের সৃষ্টি এবং বিকাশ অবশ্যই নৃতাত্ত্বিক গবেষণার বিষয়বস্তু । শয়তান এবং ঈশ্বর ধর্মেরই অংশ। নৃতত্ত্ব বা anthropology কেবলমাত্র মানুষের সংস্কৃতি, আচার আচরণ ও বিকাশ নিয়ে গবেষণা করে, অন্য প্রানী নিয়ে নয়। শয়তানের প্রাচীন কোন মূর্তি এক্ষেত্রে একটা নিদর্শন হিসেবে দেখা যায় যার মাধ্যমে বোঝা যায় যে ঐসময় মানুষ শয়তানে বিশ্বাস করতো।
@সংশপ্তক,
দুনিয়াতে শয়তানের মূর্তির অভাব নেই মনে হয়। তাহলে তো শয়তান নিয়ে বিরাট এক গবেষণা প্রকল্প খোলা যেতে পারে।
@ভবঘুরে,
শয়তানের বিবরতন কি এমনেই হয়েছিল???
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কথাটা আমার কাছে খুব একটা পরিষ্কার নয়। আমার ধারনা ধর্মে শয়তানের অনেক আগেই ঈশ্বর কল্পিত হয়েছিল। শয়তানের ধারনা পরে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হয়েছে।
খ্রীষ্টিয় শব্দ টি লিখে আমি “আগে” একটি শব্দ ব্যবহার করেছিলাম যা হয়তোবা আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। যা হোক শব্দটি আমি সংশোধন করে খৃষ্ট পূর্ব করে দিলাম।
দুঃখিত নৃতাত্বিক নয় আমি বরং ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকেই শয়তান চরিত্রটিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
@রাজেশ তালুকদার,
শয়তানের অনেক আগেই ঈশ্বর কল্পিত হয়েছিল – আপনার এ ধারনার সপক্ষে তথ্য প্রমান থাকলে , আমিও এব্যপারে জানতে আগ্রহী। এটা যাচাই করা সহজ কাজ নয় যদিও।
@সংশপ্তক,
আমার ধারনা ঈশ্বর ও শয়তানের উৎপত্তির ইতিহাস সমকালীন।
@ভবঘুরে,
এ ধারণটা বেশ শক্তিশালী বলে মনে হয়। যে বইয়ে ঈশ্বর আছে , সেখানে শয়তানও আছে এবং বইগুলো মানুষই লিখেছে। শয়তানহীন ঈশ্বর মানে তো খালি মাঠে গোল দেয়া।
@সংশপ্তক,
রাজেশদার যা বলার ছিলো বলেছে, আপনার যদি আরো কিছু বলার থাকে বলুন না, শুধু শুধু তর্ক বিতর্কে সময় নষ্ট করে লাভ কী ? :-X
@হৃদয়াকাশ,
আমি আসলে লেখককে কিছু গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করেছি যা উনি এই সিরিজের পরবর্তী পর্ব লেখার সময় ভেবে দেখতে পারেন। উনি নৃতাত্ত্বিক নয় বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে লেখার কথা বললেও ধর্ম জিনিষটাই একটা নৃতাত্ত্বিক বিষয়। একেশ্বরবাদী ধর্মগুলো বয়সে সবচেয়ে তরুন। বহু ঈশ্বরবাদ এবং সর্বেশ্বরবাদের শয়তানের ধারনা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
বৈজ্ঞানক দৃষ্টিতে ধর্মকে ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন কিছু নয় কারন মস্তিষ্কের কিছু অনু ধর্মের জন্য দায়ী যার প্রথমেই আসে ডোপামিনের নাম। অন্যান্য অনুগুলিও একে একে আগামী দিনে আবিস্কৃত হবে। রোমিও জুলিয়ার আত্মহত্যা এবং ধর্মের কারনে আত্মবলিদান একই সূত্রে গাথা কারন এসব কিছুই মস্তিষ্কের একটা বিশেষ অবস্হা নির্দেশ করে।
কেন শয়তান কিংবা ঈশ্বরের ধারনা মানুষের মাঝে এলো ? এ প্রশ্নের উত্তর সবার আগে খুঁজতে হবে। মানুষ শয়তান এবং ঈশ্বরের ধারনা সৃষ্টি করেছে মূলতঃ নিজেকে ইনডেমনিটি দেয়ার উদ্দেশে। এর পরেও ইনডেমনিটি না মিললে মানুষ সমাজকে দায়ী করে , তারপর পিতা মাতাকে ও চারপাশের লোকজনকে। সবশেষে সে নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই দায়ী করতে পারে না যখন ইনডেমনিটি পাওয়া অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। মানুষ তখন আত্ম সংহারের পথ বেছে নেয়ার কথা ভাবে স্বল্প কিংবা দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়ায়।
অঃটঃ আপনাকে চুল ছিড়তে দেখে সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি করে উত্তর দিলাম কারন চুল আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বস্তু । আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোটরাও আমার চুল নিয়ে হিংসা করে। (@)
@সংশপ্তক,
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে উদ্ধৃত করা বিষয়ে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান আছে। তাই সময় নষ্ট না করে এ ব্যাপারে আপনি যদি কোনো প্রবন্ধ লিখেন তাহলে আমাদের জ্ঞান ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হয়।
প্রকৃতপক্ষে আমি বলতে চেয়েছি রাজেশদাকে গাইডলাইন না দিয়ে আপনি নিজেই মাঠে নেমে পড়ুন। আপনার যদি মনে হয় এ ব্যাপারে রাজেশদার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে তাহলে আপনি শুধু তাকে গাইডলাইন দিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থানে তাকে পৌঁছাতে পারবেন না। (O)
@হৃদয়াকাশ,
আপনারা কেউ যদি আমার সাথে এব্যপারে যৌথভাবে একটা প্রবন্ধ লিখতে চান , সেটা সবচেয়ে ভালো হয়। এককভাবে লেখালেখি করতে যে মানসিক বল দরকার তা আমার মধ্যে অনেকদিন থেকেই নানা কারনে নেই । মুক্তমনায় একটা সিরিজ শুরু করার পর আর চালিয়ে যেতে পারিনি। আপনাদের সহযোগীতা হয়তো আমাকে পূনরায় লেখালিখিতে ফেরাতে সাহায্য করবে।(@)
@সংশপ্তক,
আসলে এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান সীমিত। তবে পড়ার এবং লেখার ধৈর্য আমার এখনও যথেষ্ট। আমি অচিরেই আল হাদিসের পোস্টমর্টেম এবং কোরানের স্ববিরোধিতা নামে দুটি সিরিজ লেখার পরিকল্পনা করছি, কাজ কিছুটা এগিয়েছেও। তারপরও আপনি যদি শয়তান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় বই পুস্তক দিয়ে সাহায্য করেন, আমি একটা চেষ্টা চালাতে পারি।
ধন্যবাদ। (W) (F)
@হৃদয়াকাশ,
ধন্যবাদ। খুশী হলাম জেনে যে লেখালেখির ধৈর্য এখনও যথেষ্ট পরিমানে আপনার মাঝে রয়েছে।
৯০ এর দশকে জার্মানীতে শয়তান পুজারী একটা গ্রুপকে কাছাকাছি পর্ষবেক্ষণ করার সূয়োগ আমার হয়েছিলো। সে অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায়। এছাড়া মানব বিবর্তনের ধারায় শয়তানের ধারনার সর্বপ্রথম আবির্ভাব নিয়ে কিছু তথ্যসূত্র আপনাকে দেয়া যাবে। আমি এই মুহুর্তে মুক্তমনার জন্য কয়েকমাস আাগের একটা অসম্পূর্ন লেখা শেষ করার চেষ্টা করছি নানা চড়াই উৎরাই পেড়িয়ে। (@)
@সংশপ্তক,
ঠিক আছে, আপনি আপনার লেখা শেষ করার পর অথবা তার আগেই শয়তান সম্পর্কিত যেসব ডকুমেন্ট আছে সেগুলো আমার কাছে পাঠান, আমি পড়াশুনা করতে থাকি তারপর দেখা যাক কোথায় গিয়ে দুজনে পৌঁছতে পারি।
ধন্যবাদ। (F)