আমি এখন অনুভূতিহীন;
আনন্দ,
বেদনা,
অস্থিরতা,
কিংবা, নাম না জানা হাজারটা অনুভূতি;
কোনটাই আমার মধ্যে বিদ্যমান নেই।
দু’দিনের এই জীবন নিয়ে ,
খেলে যাচ্ছি একের পর এক খেলা।
এ নেহায়েৎ মন্দ না।
ঘড়িতে যার টিকটিক করে বাজে মৃত্যুঘন্টা,
তার আবার হৃদয়ে অনুভূতির যন্ত্রণা!
সেই কবে ভুলেছি আমি ভালোবাসতে ভালোবাসা;
সেই কবে ভুলেছি হারাবার ভীত ডানা।
চাই না একাকী, তোমার চোখে শুষ্ক কান্না,
অমানবিক সম্পর্কের সুরে গল্পে বাঁধা,
নিদারুণ অপরাধী পলায়নপর ভালোবাসা।
তোমার মাঝে ভুলে থাকার নেশা;
সেই নদীতে নৌকাডুবির ঘনঘটা।
অমরত্বের অমৃতে মৌমাছি গুঞ্জনে,
থেকো তুমি সৃষ্টিতে সযতনে।
বড় বেশী বেখেয়ালে,
ডুবে থাকা অনুভবে,
সৃত্মিটুকু সাথে নিয়ে,
চলে যাবে খেয়ালী পাগলা হাওয়া।
এতক্ষন ধর্ম নিয়া আউলা প্যাচাল পড়ার পর আপনার কবিতা বড়ই শান্তির যোগান দিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
@aunik, ওম শান্তি! 🙂
আসলে তাই। এইটুকু মেনে নিতে পারলে তো জীবনটাকে সুখে আর শান্তিতে এক নিমিষে পার করে দেয়া যায় দেখছি। কী জানি ভুল ভাবলাম কিনা।
@বাদল চৌধুরী, যা করার শেষ ঘন্টাটা বাজার আগেই করতে হবে যে। প্রাণ ভরে বাঁচা যাকে বলে। 🙂
চলে যাবে খেয়ালী পাগলা হাওয়া।
হাওয়া আসেই তো চলে যাবার জন্য।হয়ত কিছু দিয়ে যায় কিছু নিয়ে যায়।হয়ত চাওয়া পাওয়ার হিসেব ছাড়াই চলে আসা যাওয়া।
কবিতাটি ভালো লাগল।বিশেষ করে প্রথম ও শেষ প্যারাটি।
খুব বেশি ভালো লাগল।
@বুনো বিড়াল, বাব্বাহ! এইখানে দেখি ওয়াইল্ড ক্যাটও আছে! ধন্যবাদ ওয়াইল্ড ক্যাট। 🙂
চমৎকার!
কবিতা খুব ভাল লেগেছে!
@লাইজু নাহার, এই ছোট ছোট আনন্দগুলো আমি ধরতে পারি বলেই আমার কাছে জীবনটা সুন্দর লাগে। এইটাই খুব সম্ভবত আমার একান্ত সুন্দর বৈশিষ্ট্য, যেখানে আমি শিশুর মত করে ভাবতে পারি, আচরণ করতে পারি। চার পাঁচ বছরের বাচ্চার মত প্রজাপতির পিছনে ছুঁটে বেড়ানো। এই নির্মল আনন্দটা আমার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নেবে, কার সাধ্য তা! :rotfl:
প্রথম অংশটা আমার খুব ভালো লাগলো।
@মোজাফফর হোসেন, ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
প্রথম অংশটাই আসলে আমার মূল বক্তব্য।
এইটা কি হইল?
@নীল, ইয়ে মানে, আমিও না ঠিক বুঝলাম না, আসলে এইটা কি হইল! 😕
একটু গদ্যে পদ্যে খেলা আরকি। (*)
জীবনটা বড় বেশ। অনেক নাকি রঙ। দেখে শেষ করা নাকি যায় না। ভেসে থাকা গেলে উড়ে বেড়ানো মন্দ কি?
ভালো লেগেছে কবিতাটা।
@কাজী রহমানঃ ভেসে ভেসে উড়ে বেড়ানোর মজাই আলাদা। খেয়ালী পাগলা হাওয়ার মত বাঁধনহারা। 🙂
এই মেরেছে
তুমিও ঘাসফুল?
গোটা পশ্চিম বঙ্গে এখন চারিদিকে ঘাসফুল
ঘাসফুলের বাজারদর দেখছি বেড়েই চলেছে
@বিপ্লব পাল, ঘাসফুলের বাজার দর আমার কাছে চিরকালই বেশী। ছেলেবেলা থেকে এই জিনিসটাকেই আমার সবচেয়ে বেশী আপন আপন লাগে। ঘাসফুল ভালোবাসি, তবে ইহা পশ্চিমবঙ্গের ঘাসফুল নয় দাদা, নিতান্তই পায়ের কাছে পড়ে থাকা সুন্দরের নাম। 🙂
@নীল রোদ্দুর,
😀 😀 😀 উত্তরটা ভারী কাব্যভারী হয়েছে
@নীল রোদ্দুর,
কবিতাটা পাঠ করে বলতে চেয়েও বলিনি। আর পারলাম না।
ঘাসের ভেতর থেকে,
ওঠে এসেছিলাম আমি।
তুমি আতঁকে ওঠে দৌড়ে পালালে,
পতঙ্গ নয়, আমিই ছিলাম সেই ঘাসফুল।
০১-০৮-০৮
@স্বপন মাঝি,
ভাষা নেই আমার! (F)
এইটুকুই কি পুরো কবিতাটা? যদি এইটুকু ছোট্টও হয় পুরোটা, তবু আমাকে বলতেই হবে, স্বয়ংসম্পূর্ণ!
@নীল রোদ্দুর,
অল্পকথন নামে চার লাইনের অনেকগুলো ভাবনা আছে, সেগুলো নিয়ে আমার নিজের দ্বিধা কাটেনি।
আপনাদের বিনয় হয়তো আমাকে কিছুটা উস্কে দেবে।
আসলে প্রশংসা শুনে খুব একটা অভ্যস্ত নই।
খুব খুব করে ধন্যবাদ দিচ্ছি, মনে হয় মানুষকে অনুপ্রাণিত করার মহত্বটুকু আপনার আছে।
@স্বপন মাঝি, আমি আপনার অল্পকথন গুলো পড়তে চাই। এটা একটা শিল্প বটে, অল্পকথায় নিজেকে বা নিজের ভাবনা গুলো প্রকাশ করা। সাম্প্রতিক সময়ে অনুগল্পের প্রতি আমার আকর্ষণও বেড়েছে সেজন্যই। 🙂
@নীল রোদ্দুর,
ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অল্পকথনগুলো সংগ্রহ করে মুক্তমনায় পোস্ট করে দেব ভাবছি।
একজনের আগ্রহ, আরেজনকে উদ্দীপ্ত করে, খুব ভাল লাগলো।
“খেলা খেলা দিয়ে শুরু
খেলতে খেলতে শেষ…”
গানটা মনে পড়ে গেল!
@শ্রাবণ আকাশঃ এহহে, আমি তো মনে হয় গানটা শুনিনি। 🙁
খুব ভাল লেগেছে।
@স্বপন মাঝি, ধন্যবাদ। 🙂