আবুল কাশেম
(মে ১৩, ২০১১)
৯ম পর্বের পর।
ইসলামের সবচাইতে গোপন ব্যাপার—চুক্তি করা বিবাহ (মুতা বিবাহ) বা ইসলামী বেশ্যাবৃত্তি
আমরা আগেই দেখেছি কেমন করে ইমাম হাসান অগণিত স্ত্রী নিয়েছেন। অনেকে বলেন হাসান না কী ৩০০-এর বেশী স্ত্রী জোগাড় করেছিলেন। কেমন করে তা সম্ভব হোল? কোন এক ওয়েব সাইটে পড়েছিলাম: “হাসান এক বসাতেই চার স্ত্রীকে বিবাহ করতেন”। (http://www.al-islam.org/al-serat/imamhasan.htm)। এই সাইট থেকে এই তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে অনেক দিন আগে। তবে পাঠকেরা চাইলে অন্য ইসলামী সাইট দেখতে পারেন। এরপর এই চার বিবির সাথে সহবাস করার পর হযরত হাসান আবার এক বসাতেই চারজনকে তালাক দিয়ে দিতেন। এই ভাবেই চলত তাঁর যৌন লীলাখেলা। এই ধরনের অস্থায়ী, স্বল্প মেয়াদী বিবাহকে মুতা বিবাহ বলা হয়। সুন্নিরা এই বিবাহের ঘোর বিরুদ্ধে। কিন্তু শিয়ারা ধুমসে এই বিবাহ করে যাচ্ছে আজকেও। কিছুদিন আগে সংবাদ পত্রে পড়েছিলাম যে ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা এতই খারাব যে তথাকার ইসলামী সরকার সরকারিভাবে কিছু কিছু ‘উপভোগ’ কেন্দ্র (Decency House) স্থাপন করছে, যেখানে একজন পুরুষ (বিবাহিত অথবা অবিবাহিত) কয়েক মিনিটের জন্য একজন মহিলার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে পারবে স্বল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে। এরপর যৌনকর্ম সমাধা হলে ঐ বিবাহ চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। টেলিভিশনে একটা প্রামাণ্য চিত্রেও দেখিয়েছে কেমন করে ইসলামী বিবাহ আদালতের মোল্লারা টাকার বিনিময়ে এই ধরণের বিবাহ লিখছে। যাই হোক এর নাম হচ্ছে মুতা বিবাহ। এর স্থায়িত্ব কয়েক মিনিট থেকে কয়েক বছর হতে পারে।
একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় যে এই ব্যবস্থা ইসলামী বেশ্যাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়; এবং ইরানের ন্যায় যে সব ‘উপভোগ’ কেন্দ্রে এই ধরণের বিবাহ হয় তা ইসলামী গণিকালয় ছাড়া আর কিছু নয়। হাদিস থেকে আমরা জানি যে রসুলুল্লাহ এই ধরনের বিবাহের ব্যবস্থা করেছিলেন উনার সৈন্যদের জন্য যারা জিহাদ করতে গিয়ে যৌন ক্ষুধায় কাতর ছিল। পরে খলীফা উমর এই বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন। কিন্তু এই ব্যাপারে অনেক মত ভেদাভেদ আছে। কে সঠিক আর কে বেঠিক তা নির্ণয় অতিশয় দুরূহ। তাই ইসলামী বিশ্ব আজও এই ব্যাপারে দুই ভাগে বিভক্ত।
দেখা যাক কোরনে কি ভাবে মুতা বিবাহ লিখা হয়েছে।
কোরান সূরা আন নিসা, আয়াত ৪:২৪
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়—এটা তোমাদের জন্য আল্লাহ্র হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তাদের স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য—ব্যভিচারের জন্যে নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ্ হবে না। যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ, রহস্য-বিদ।
প্রশ্ন উঠতে পারে মুতা বিবাহের জন্য কি পরিমাণ অর্থ লাগতে পারে?
উত্তর পাওয়া যায় এই হাদিসে।
সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ২৩৪৯:
জাবির বিন আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন:
আমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহ্র রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিসের ঘটনা শোনার পর উমর এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।
নারীরা কি অবলা পশু?
আমাদের দেশে অনেক সময়ই আমরা নারীদের অবলা প্রাণী বলে থাকি। অবলা বলতে আমরা কি বুঝাই? গৃহপালিত গবাদি পশুদের বেলায়ও এই শব্দটি ব্যাবহার করা হয়। তা’হলে আমরা কি নারীদের গবাদি পশুর মত মনে করিনা? আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে নবীজি ঠিক এই শব্দটিই ব্যাবহার করেছেন মুসলিম নারীদের উপর। নারীদের ব্যাপারে এইই ছিল নবীজির শেষ ভাষ্য। বিদায় হজ্জে নবীজি যে ভাষণ দেন তা অনেক ইসলামী পণ্ডিতেরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ, অলৌকিক, বিস্ময়কর বলে থাকেন। এখন দেখা যাক নবীজি সেই ভাষণে কি বলেছেন। ভাষণ অনেক বড় হওয়ার জন্যে শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক অংশটুকু এখানে বাংলায় অনুবাদ করা হোল।
এই উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে আল তাবারির ইতিহাস বই থেকে (ভলুম ৯, পৃঃ ১১২ ১১৪):
হে মানবজাতি, এখন তোমরা জেনে রাখ যে তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের যেমন অধিকার আছে তেমনি তাদেরও অধিকার আছে তোমাদের উপর। তোমাদের স্ত্রীর উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে যে তারা যেন তোমাদের অপছন্দ কোন ব্যক্তিকে তোমাদের বিছানায় না নেয়। আর তোমাদের স্ত্রীরা যেন প্রকাশ্যে কোন কুকর্ম না করে। যদি তোমাদের স্ত্রীরা এইসব করে তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন তাদেরকে প্রহার করার। তবে এই প্রহার যেন তীব্র না হয়। নারীদের সাথে ভাল ব্যাবহার করবে, কেননা ওরা হচ্ছে গৃহপালিত পশুদের মত। গৃহপালিত পশুদের মতই ওরা নিঃস্ব—ওদের নিজের বলে কিছুই নেই। তোমরা নারীদের নিয়েছ আল্লাহ্র কাছ হতে আমানত হিসেবে। এরপর তোমরা তাদের দেহ উপভোগ করেছ—যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে আইনসিদ্ধ করেছেন। হে মানবকুল, তোমরা আমার কথা শুন এবং উপলব্ধি কর। আমি আমার বার্তা তোমাদের কাছে পৌঁছিয়েছি এবং তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম তা যদি তোমরা আঁকড়ে থাক তবে কোনদিন বিপথে যাবে না। তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম তা হোল আল্লাহ্র কিতাব আর তাঁর নবীর সুন্নাহ্।
উপরের বক্তব্যে রসুলুল্লাহ ইসলামে নারীদের অবস্থান ধার্য করে গেছেন পাকাপোক্ত ভাবে—তা হচ্ছে: নারীরা গবাদি পশুর মত এবং তাদেরকে মুসলিম পুরুষেরা ঐ ভাবেই ব্যাবহার করবে।
উপসংহার
অনেকেই প্রশ্ন করবেন—আমি পুরুষ হয়ে কেন ইসলামে নারীদের ব্যাপারে এত মাথাব্যথা দেখাচ্ছি—কীইবা লাভ হবে এই সব লিখে। এর উত্তর আমি লিখেছি এই প্রবন্ধের ভূমিকায়। এখানে পুরুষ নারীর কথা নয়। যেই ব্যক্তির মাঝে নূন্যতম বিবেক, সংবেদন,ও মানবিকতা বিদ্যমান আছে সেই ব্যক্তি কোনদিনই সহ্য করতে পারবেনা মুসলিম নারীদের উপর এই অমানুষিক বর্বরতা যা ইসলাম চালিয়ে যাচ্ছে। দেখুন, পশু পাখীদের উপর যাতে নির্দয়তা করা না হয় তার জন্য বিশ্বব্যাপী রয়েছে ‘পশু নির্যাতন রোধের জন্য রাজকীয় সংস্থা’ (RSPCA—Royal Society for Prevention of Cruelty to Animals) । সৃষ্টি কালে এই সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া। এখন হচ্ছেন সম্রাজ্ঞী এলিজাবেথ। এই থেকে আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারি—এই সংস্থাকে কি পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয়। মানুষ হয়ে আমরা যদি পশুদের প্রতি বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা, এবং অবিচার রোধের জন্য এত যত্নবান হই তবে আমরা কেন আজ ইসলামে নারীদের প্রতি যে অমানুষিক বর্বরতা করা হচ্ছে তার জন্য সোচ্চার হই না? এটা সত্যিই আমাদের সবার বিবেক নাড়া দিতে বাধ্য।
এই বর্বরতার বিরুদ্ধে শুধু মুসলিম নারীরাই নয় বরং সকল নারী এবং পুরুষদের একসাথে সোচ্চার ও সংগ্রামী হওয়া দরকার। ইসলামের প্রধান উৎস থেকে এই প্রবন্ধে দেখান হয়েছে মুসলিম নারীদের কী করুন অবস্থা। কিন্তু সবচাইতে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে প্রায় সব মুসলিম নারীই এই ব্যাপারে অজ্ঞ—এমনকি তারা তাদের ইসলামের অধীনে এহেন মানবেতর, পশু-সম, নির্দয়তা, অন্যায় এবং দুরাচার মেনে নিয়েছে। মুসলিম নারীরা ভাবে ইসলাম তাদের মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু এই ধারণা যে কত ভ্রান্ত—তাইই এই রচনায় দেখানো হয়েছে।
এই রচনাটি অনেক মুসলিম পুরুষ ও নারীদের কাছে অবিশ্বাস্য ও মর্মন্তুদ মনে হতে পারে। কিন্তু যা দেখানো হয়েছে তা হচ্ছে প্রকৃত ইসলাম—যা ইসলামি পণ্ডিতেরা সর্বদায় আড়াল রাখতে চান। যখন ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু হবে এবং যখন পরিপূর্ণভাবে শারিয়া বলবত করা হবে তখন আমরা দেখব যে এই প্রবন্ধে যা লিখা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে সত্যি। এই রচনা লিখতে গিয়ে আমি নিজেই চমকে গেছি—ভাবতেই পারিনি ইসলামে এত বর্বরতা আছে নারীদের প্রতি। এখন উটপাখির মত আমরা গর্তে মাথা ঢুকিয়ে ভাবতে পারবনা যে ইসলামে সবকিছুই ভালভাবেই আছে। আমাদের ভাবতে হবে আমাদের মওলানা, মোল্লা, অথবা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিতেরা গলা বাজিয়ে যা বলছেন তা কতটুকু সত্য। আমরা যদি বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করি যে এই সব ইসলামি বুজুর্গরা মুখে ইসলাম নিয়ে যে সব ভাল ভাল কথা বার্তা বলেন তার পিছনে অনেক বর্বর, নিষ্ঠুর এবং অমানুষিক বার্তা আছে যা তাঁরা চালাকি করে গোপন রাখতে চান। তাই আমাদের সবার উচিত হবে এই সব আলেম, এবং ইসলামি পণ্ডিতদের সুন্দর সুন্দর কথাবার্তায় তেমন কান না দিয়ে নিজে কোরান, হাদিস এবং শারিয়া জানা।
আমাদের বুঝতে হবে যে নারী এবং পুরুষ ছাড়া মনুষ্য প্রজাতি এই বিশ্বে থাকবেনা। কিন্তু যেহেতু একমাত্র নারীদেরকেই গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসব করতে হয় তাই তাদের ভূমিকা হচ্ছে মুখ্য। নারীরাই পারে তাদের শরীর দিয়ে একটি নতুন প্রাণ সৃষ্টি করতে। এরপরও তাদেরই দায়িত্ব পড়ে এই নবজাত শিশুদের লালন পালন করা। এই দুরূহ এবং মায়াপূর্ণ সেবা না পেলে আমরা কেউই বাঁচতাম না। এছাড়াও আমাদের ভাবতে হবে যে মনুষ্য প্রজাতির পঞ্চাশ ভাগকে শুধুমাত্র উপভোগের যন্ত্র, শিশু তৈরীর কারখানা, বোঝা এবং যৌন ক্রীতদাসী হিসাবে গণ্য করা নিতান্তই অন্যায়, ও অসভ্যতার বহিঃপ্রকাশ। যেদেশে ইসলাম কায়েম হবে সেই দেশে এক মুসলিম নারীর জন্যে এক সুন্দর, সুখী, সমৃদ্ধিশালী এবং অর্থবহ জীবন রচনা করা অসম্ভব। যে নারী আমাদেরকে তাদের গর্ভে ধারণ করেছে—আমাদের মাতা, আমাদের বোন, আমাদের স্ত্রী এবং প্রেয়সী—এরা কোন ক্রমেই এই ইসলামী বর্বরতার শিকার হতে পারে না, কোনক্রমেই এইসব নারীরা ইসলামি শারিয়ার বলি হতে পারে না।
মুসলিম নারীদের তাই জেনে রাখা উচিৎ যে শারিয়া তাদের জন্যে এক বিরাট খড়গ যা তাদের সমস্ত সম্মান, অধিকার ও নারীত্বের মর্যাদাকে হত্যা করে তাদেরকে পশু এবং ক্রীতদাসীর পর্যায়ে নিয়ে আসবে। ইসলাম কায়েম হলে তার সবচাইতে ভুক্তভোগী হবে নারীরা। এই ইসলামি দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্যে তাদেরকে অর্জন করতে হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, যৌন স্বাধীনতা, শারীরিক এবং মানসিক স্বাধীনতা।
এখন মুসলিম নারীদের চিন্তা করতে হবে ওঁরা কি তাঁদের ন্যায্য স্বাধীনতা ও সুখ অর্জন করবেন না ইসলামি দাসত্ব মেনে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকবেন। বিশ্বে রয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি মুসলিম নারী যাদের বেশীরভাগই তাদের জীবন কাটায় ঘরের চার দেওয়ালের মাঝে। এখন এই বিশাল সংখ্যক নারীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা কি গৃহের চার দেওয়ালেই বন্দী থাকবেন, না বাইরে এসে তাঁদের মানুষ হিসাবে বাঁচবার অধিকার কায়েম করে নিবেন।
সমাপ্ত (নারী অধ্যায়)
(বিঃ দ্রঃ পাঠকের ধৈর্যের কথা স্মরণ করে এই পর্বের এখানেই সমাপ্তি ঘটালাম। অন্যান্য পর্ব সময় পেলে লিখা যাবে। অনেকে অনুরোধ করেছেন ইসলামী স্বর্গে পুরুষেরা কীভাবে নারী উপভোগ করবে এবং ইসলামী নরকে নারীরা কি পাবে তা নিয়ে লিখতে। এই প্রসঙ্গ এত বিশাল যে এই রচনায় তা অন্তর্গত করা সম্ভব নয়। সময় পেলে এই বিষয়ে একটা আলাদা রচনা লিখা যাবে। অনেকে অনুরোধ করেছেন ইসলামিক গণহত্যার উপরে একটা ধারাবাহিক রচনা লিখার। সময় পেলে তা লিখা যাবে। পাঠকেরা চাইলে কিছু মজার মন্তব্য পড়তে পারেন—এখানে )
সূত্র
পবিত্র কোরআনুল কারীম, মূল:তফসীর মারেফুল কোরআন, হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ শাফি (রহঃ), অনুবাদ ও সম্পাদনাঃ মাওলানা মুহিউদ্দিন খান। মদীনা পাবলিকেশান্স, ৩৮/২ বাংলাবাজার ঢাকা-১১০০।
al-Bukhari, Muhammad b. Ismail. Sahi Bukhari. Ttranslated in English by Dr Muhammad Muhsin Khan:
Muslim, Abu al-Hussain b. al-Hajjaj al-Qushairi. Sahi Muslim. Translated in English by Abdul Hamid Siddiqui:
Muslim, Abu al-Hussain b. al-Hajjaj al-Qushairi. Sahih Muslim, vol. I. Translated in English by Abdul Hamid Siddiqui,. Kitab Bhavan, 1784 Kalan Mahal, Daraya Ganj, New Delhi-110002, India.2004. ISBN: 81-7151-042-6 (Vol.I-IV).
Abu Dawud, Sulayman b. al-Ash’ath. Al-Sunaan, a collection of Hadith,vol.i. Translated in English by Prof. Ahmad Hasan, Kitab Bhavan, 1784 Kalan Mahal, Daraya Ganj, New Delhi-110002 (India), 2001.
Abu Dawud, Sulayman b. al-Ash’ath. Al-Sunaan, a collection of Hadith Translated in English by Prof. Ahmad Hasan:
Malik, ibn Anas ibn Malik, Abdullah al-Asbahi al-Himyari. Muwatta. Translated in English by A’sha Abdurrahman at-Tarjumana and Ya’qub Johnson:
Al-Muwatta of Imam Malik ibn Anas. Translated in English by Aisha Abdurrahman Bewley. Madinah Press Inverness, Paper Edition 2004. ISBN 0710303610.
Hughes, T.P. Dictionary of Islam, Publisher Kazi Publications, Inc. 3023-27 West Belmont Avenue, Chicago, IL 60618, 1994.
Al-Ghazali’s Ihya’ Ulum al-Din (abridged by Abd el Salam Haroun), Revised and Translatd by Dr. Ahmad A. Zidan; Published and Distributed by: Islamic Inc. P.O. Box 1636, Cairo, Egypt, 1997.
Ahmad ibn Naqib al Misri, Reliance of the Traveller (Revised edition, Umdat al Salik), Edited by Nuh Ha Mim Keller; Published by Amana Publicatios, Belltsville, Maryland U.S.A, 1999.
Abdur Rahman I. Doi. Sharia the Islamic Law, Publisher A.S. Noordeen, G.P.O. Box No. 10066, Kuala Lumpur, Malaysia, 1998.
Ibn Warraq. Why I am not a Muslim. Prometheus Books, Amherst, New York, 1995.
al-Tabari, Abu Ja’far Muhammad b. Jarir. The Last Years of the Prophet, vol. ix. Translated by Ismail K. Poonwala. State University of New York Press, Albany, 1990. ISBN 0-88706-692-5.
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-১)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ২)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৩)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৪)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৫)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৬)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায় ৭)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়—৮)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-৯)
ইসলামে বর্বরতা (নারী অধ্যায়-১০)
হারিসের কাহিনিটা অনেক খুঁজেও কোথাও পেলাম না।
এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা আর সেটা হাদিসে লেখা থাকবে না সেটা তো মানা মুশকিল 😕
কারো জানা থাকলে একটু বলুন প্লিজ (B)
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম, বেশ ভালো লাগল।
খুব ভাল লাগলো সবটুকু পড়ে। কিন্তু অনেক কথা লেখার থাক্লেও লিখতে পারতাম না কারন যেহেতু আমি ব্লগ এর সদস্য না তাই মনে হয় quote অপশন তা আমি ব্যাবহার করতে পারছি না।
ধন্যবাদ আপনার জ্ঞানগর্ভ লিখনির জন্য।
ইছলামে এ ধরনের মুতা বিবাহ এর ব্যবস্থা ছিল বা এখনো শিয়া দের মধ্যে প্রচলিত আগে জানিতামনা। এটা শুনিয়া অত্যন্ত অবাক হইলাম। তা হলে তো বেশ্যা বৃত্তি ও মুতা বিবাহের মধ্যে কোনই পার্থক্য থাকলনা!
একটু বিস্তারিত জানাবেন কি হারিছের ঘটনাটি কি ছিল?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
আপনার লেখাটি অসাধার হয়েছে, সকল মুসলিম নারীকে লেখাটি পড়াতে পারলে ভাল হত। হয়ত এতে তারা তাদের ধর্মে প্রতি অন্ধ বিশ্বাস থেকে সড়ে অসবে আলোর পথে। কারন যারা ভুক্তভূগি যতখন না তারা তাদের অবস্থার পরিবর্তন চায়, কারো পক্ষে কিছু করা খুবই দুস্কর, তার পরও আপনার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। :guru:
@সীমান্ত ঈগল, মুসলিম নারীকে পড়িয়ে লাভ নাই। যে মুসলিম নারীদের চোখ বন্ধ তারা দেখবে না।
এই সিরিজের সবগুলো পর্ব নিয়ে একটা ই-বুক করার দাবী জানিয়ে গেলাম।
প্রথমত বাংলায় লেখার জন্য ধন্যবাদ। বাংলায় লেখা না হলে অনেক কিছু জানা থেকে অন্ধকারে থেকে যেতাম। আপনাকে আর ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে না। অনুরোধ, সবগুলো লেখা কি আমার মত বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য বাংলায় অনূবাদ করা সম্ভব?
এবং বই আকারে বেরুচ্ছে কবে? আর কিছু না পারি বন্ধুদের উপহার দেবার মত ….
আপনি ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
কেউ অনুবাদের দায়িত্ব নিলে তা সম্ভব। আমার সময় নেই অনুবাদ করার।
আপাততঃ কোন সম্ভাবনাই নাই। ভবিষ্যতের কথা জানিনা। কোন প্রকাশক চাইবে আমার লেখা প্রকাশ করতে?
এবার একটা ইবুকের অপেক্ষায়…
রেফারেন্সগুলো তো দিলেন কিন্তু লিংক ছাড়া গুলো কোথায় পাওয়া যেতে পারে; জানালে সুবিধা হত।
অনেক ঘেটে এই ধরনের লেখা দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি অন্য টপিক নিয়েও এ ধরনের লেখা আরো পাবো।
@শ্রাবণ আকাশ,
নির্ভর করছে মুক্তমনার কর্তাদের উপর; আমার করার তেমন কিছু নাই।
কিছু কিছু বই আমাজনে পাবেন। অন্য বই আপনার নিকটবর্তী ইসলামী বই কেন্দ্রে খোঁজ নিতে পারেন।
ধন্যবাদ আবুল কাশেম ভাইকে। দীর্ঘজীবী হউন। খুবই মন দিয়ে পড়েছি আপনার লেখা। ভবিষ্যতে আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম। আশাকরি আপনার যুক্তিযুক্ত লেখনি দিয়ে প্রকৃত সত্যকে উন্মোচন করবেন।
‘শেষপর্ব’ কথাটা দেখে একটু হতাশ হলাম। আমি ছিলাম আপনার এই সিরিজের নীরব পাঠক। কমেন্ট করি নি কখনও। আজ কমেন্ট না করে পারলাম না। যাইহোক, চমৎকার একটা সিরিজ-এর সফল সমাপ্তিতে আপনাকে জানাই অযুত-নিযুত অভিনন্দন! (F) (W) (F)
আজকের লেখার উপসংহারটা অসাধারণ!
@আদম অনুপম,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধারাবাহিক রচনা লিখা সময়সাপেক্ষ্য। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই, নীরবে নিশ্চুপে সবগুলো পর্ব পড়েছি আর আপনার দীর্ঘায়ু ও সু স্বাস্থ্য কামনা করেছি। অবাক হয়েছি এই বয়সে এই রুগ্ন শরীর নিয়ে এত বিরাট সিরিজ লিখলেন কী ভাবে? উপসংহারটা বেশ সুন্দর হয়েছে। শেষ একটি কথা নিয়ে একটু আলোচনা করি।
তারা ভাবেনা, ভাবতে পারেনা, সেই শক্তি তাদের নেই। শক্তি হরণ করা হয়ে গেছে শিশুকালে। ইসলামকে জানার চেনার সুযোগ তাদেরকে দেয়া হয়নি। কম্যুউনিটির, সমাজের শতশত শিশু কিশোর, নার্সারি থেকে নিয়ে উইনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েদেরকে চোখের সামনে বড় হতে দেখেছি। দেখেছি আমার মেয়েদেরকেও। সম্পূর্ণ বিপরিতমূখী চিন্তা চেতনা, মন-মানসিকতা। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
মুক্ত পরিবেশে সকল নারীকে এই রচনা পড়তে দেয়া হউক, কোরান-হাদিস বুঝে পড়ার সুযোগ দেয়া হউক, তারাই ঝাড়ু মেরে এ সব ধর্মের আবর্জনা ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে।
আপনার শরীরের অবস্থা জেনে আমি চিন্তিত হই। এবার কিছুটা দিন বিশ্রাম নিন, আপনার বিশ্রামের খুবই প্রয়োজন।
ইরানের বেশ্যাবৃত্তি ও সে দেশের মুসলমান নারীর অবস্থাটা ইউ টিউবে দেখলাম। খুবই বেদনাদায়ক করুণ কাহিনি। মুতা বিবাহ কোরান সম্মত এবং মুহাম্মদের আমলে তার সাহাবীগন নির্বিঘ্নে এ কাজ করেছেন। কোরান এবং নবী নিজে যে কাজ নিষেধ করেন নাই, সেই কাজ নিষেধ করা, অস্বীকার করা কোরানেরই অবমাননা করা-
httpv://www.youtube.com/watch?v=j7njssrvZVY&feature=related
httpv://www.youtube.com/watch?v=yG8l9LQAK1o&feature=related
@আকাশ মালিক,
আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি ১০০% একমত। আমাদের মত দেশের মেয়েরা কোনদিনই মুক্ত পরিবেশে শিক্ষা প্রদান করা হয় না, সেই শিশু অবস্থা থেকে তাদের ব্রেইনকে ওয়াশ করে দেয়া হয়। এর পর তারা যতই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করুক না কেন , কিছুতেই কিছু হয় না, বরং তারা তখন নানা কায়দায় গোজামিল দিয়ে তাদের বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে ও তাদের দেখে সাধারন মেয়েরা প্রভাবিত হয়ে তাদের জীবনকেও অন্ধকারে নিক্ষেপ করে।
@ভবঘুরে,
আপনি যা লিখেছেন তার সাথে আমি একমত। আমার অভিজ্ঞতা বলছে বাংলাদেশের শিক্ষিতা মহিলারাই বেশী মৌলবাদী। সত্যি বলতে–বাংলাদেশের অশিক্ষিত, শ্রমিক এবং কৃষিকার্য্যে লিপ্ত নারীরা অনেকাংশে ইসলামী আবোল তাবল চিন্তা থেকে মুক্ত। তারা তেমন পড়াশোনা জানেনা–তাই শুধু অল্প নামাজ ও রোজা রেখেই সন্তষ্ট—কিন্তু শিক্ষিত মহিলারাই ‘মকসুদুল মোমেনীন’ এবং ‘বেহেশতের কুঞ্জী’ গ্রন্থ পড়েন এবং ১০০% খাঁটি মুসলিম রমণী হয়ে যান। এই খোদ অস্ট্রেলিয়াতে দেখছি কেমন ভাবে এম এ পাশ মহিলারা সমাদরে ‘মকসুদুল মোমেনীন’ পড়ছেন এবং হিজাব ধরছেন। শুধু তাই নয়, টেলিফোন করছেন অন্যান্য বাঙালী মহিলাদের মোকসুদুল মোমেনীন পড়ার জন্য এবং কুফার হতে দূরে থাকার জন্য।
প্রতিটি ধর্মের জন্য এ কথা সত্য। মুলতঃ এ পন্থাটাই ধর্মকে যুগ যুগ ধরে টিকিয়ে রেখেছে। শিশু বয়সেই তাদের মগজ ধোলায় করা না হলে পরিনত বয়সে সুস্থ ও যুক্তিস্মমত চিন্তা করা অনেক সহজতর হতো। ১১ বছরের পূর্বে শিশু মনে যে বীজ ঢুকানো হয়, বিশেষ করে তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা, তা থেকে বরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠে।
@আকাশ মালিক,
আপনার মত বিশিষ্ঠ লেখক যে আমার লেখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন সেটাই যে আমার সৌভাগ্য। এর পর আর কী লিখব? বাংলায় লেখা এটাই বোধ করি আমার প্রথম পূর্নাঙ্গ রচনা। এই রচনায় ভাষাগত অনেক ভুল থাকা সত্বেও পাঠকেরা সমাদরে লেখাটি পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন তার জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
হাঁ, বয়স বাড়ছে–কিন্তু তা যে আমার বিশ্বাস হতে চাই না। মনে হচ্ছে সেই ৩০।৩২ বছরের অবিবাহিত যুবক রয়ে গেছি। মনে পড়ছে নবীজি বলেছিলেন মৃত্যুর পর মোসলমানদের আবার জীবিত করবেন ৩৩ বছরের যুবক রূপে–যাতে তারা ইসলামি স্বর্গের হুরপরীদের সাথে আজীবন সহবাস করতে পারে। আমিও কি তাই পাব নাকি?
হ্যাঁ, আপনি ঠিক লিখেছেন। আল্লা পাক আমার লেখা পড়ে আমার উপর তাঁর গজব পাঠিয়েছেন মনে হচ্ছে। আপনার পরামর্শ মত আমি কিছুদিন বিশ্রাম নিচ্ছি।
আপনার প্রথম পর্বে মন্তব্য করেছিলাম আর এখন শেষ পর্বে এসে মন্তব্য করলাম। প্রত্যেকটা পর্বই পড়েছি। আপনার লেখাগুলি বাংলাতে অনুবাদ করা অতি জরুরী।তাতে বাঙলা ভাষভাষী মানুষ অতি সহজে বুঝতে পারবে।
এটা ভাবার তো কোন কারণ নাই। নারী-পুরুষ নিয়েই সমাজ। নারী-পুরুষের সমস্যাকে আলাদা সমস্যা না ধরে এটাকে মানব জাতির সমস্যা ধরতে হবে এবং সমস্যার সমাধান করতে হবে।
নারী-পুরুষের পারস্পরিক সহানুভূ্তিই পারে বৈষম্য দূর করতে। আর এই চেতনা যখন আমাদের মধ্যে আসবে সেই সময় পৃথিবীটা আরও অনেক এগিয়ে যাবে।
@সুমিত দেবনাথ,
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। যার মাঝে নিম্নতম বিবেক আছে সে কোন ক্রমেই অবিচলিত থাকতে পারবে না যখন সে উপলদ্ধি করবে ইসলাম কী নিদারুণভাবে নারীদের অসম্মান করছে। প্রত্যেক বিবেকমান ব্যক্তিরই উচিত হবে এর প্রতিবাদ করা এবং এই বর্বরতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া।
আমি অনেক নারীর সাথে কথা বলে দেখেছি। এসব পড়তে দেয়েছি। সব জেনে শুনেই তারা আল্লাহর ভয়ে ইসলাম ইসলাম করে। শত চেষ্টায়ও পরকালের ভয় ও মোহজনিত কারণে এসব নারীদের ইসলাম বিমুখ করা কঠিন।
@গীতা দাস,
একই কথা আমারও। সব জেনে শুনেই ওরা তা করে। তাই আমি নারী জাতি নিয়ে দারুন হতাশাগ্রস্ত।
@ভবঘুরে,
প্রসঙ্গক্রমে নারীর কথা এসেছে। অনেক নারী পুরুষ জাতের অনেকের থেকে বহুগুণ এগিয়ে প্রগতির দিক থেকে। ইসলামের বর্বরতার কথা জেনেও অনেক উচ্চ শিক্ষিত পুরুষরাও ইসলাম ইসলাম করে। বর্বরতার মাঝে নিজ ধর্মের বিজয় দেখে।
@গীতা দাস,
আমাদের দেশে অনেক নয়, কিছু হয়ত বা। আর সেগুলো হলো ব্যাতিক্রম। আমি সামগ্রিকভাবে নারী জাতির ব্যপারে মন্তব্য করেছি।
@গীতা দাস,
আপনার মন্তব্যটা নিদারূণভাবে সত্যি। তা সত্বেও আমি আশাবাদী। তার কারণ, দশ বছর আগে হাতে এই মুক্তমনাতেই গোনা দুই তিন জন ছাড়া কেউই ইসলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল না। কিন্তু আজ এই পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আজ মুক্তমনা সহ অন্যান্য বিভিন্ন সাইটে প্রচুর লেখক দেখা যাচ্ছে যারা সাহস করে ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরেছে। এই রচনার ভূমিকায় আমি আমার এই লেখাটা তাদেরকেই উৎসর্গ করেছি।
আপনি কষ্ট করে ধৈর্য্য ধরে এই প্রবন্ধটা পড়েছেন এবং মূল্যবান মন্তব্য করেছেন সে জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
আপনার সাথে আমি আংশিকভাবে একমত।
বিদেশে দেখেছি কেমনভাবে পুরুষেরা নারীদের পাশে দাঁড়ায় নারীদের মানবিক অধিকার রক্ষণের দিকে। তেমনিভাবে দেখেছি নারীরাও পুরুষদের পাশে দাঁড়ায় তাদের সম্মান রক্ষার জন্য।
এমনিভাবে আমাদের দেশের পুরুষদের সামনে আগিয়ে আসতে হবে আমাদের দেশের নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য। নারী, পুরুষ উভয়কেই পরিশ্রম করতে হবে এ জন্য।
এ সিরিজগুলো একত্রে একটি বই আকারে বের করা যেতে পারে। পরবর্তী সিরিজটি তারাতারি শুরু করুন।
এই প্রশ্নটা আমার মনেও ইদানিং ঘুরপাক খাচ্ছিল। তা হলো- মেয়েরা নিজেরাই যদি ঘরে বন্দী হয়ে থেকে, পুরুষের আনন্দের খোরাক হিসাবে গন্য হয়ে নিজেদেরকে ধন্য মনে করে , পুরুষদের দরকারটা কি তাদের ঘুম থেকে জাগানো ? তা ছাড়া আমি তো তেমন কাউকে জাগতেও দেখি না। আমার এক তাবলিগী ডাক্তার বান্ধবীর সাথে বেহেস্তে নারীদের জন্য কি আছে এ বিষয় নিয়ে বিপুল তর্ক হয় যদিও সে মোটেও কোরান হাদিস থেকে দেখাতে পারেনি কি আছে নারীদের জন্য বেহেস্তে। সেদিন এক মোবাইল বার্তা পাঠিয়েছে- বেহেস্তে যাওয়া স্বপ্নে সে বিভোর আছে, আহা কি শান্তি সেখানে! এই হচ্ছে আমাদের দেশের নারীদের একটা বড় অংশের মানসিকতা। এরা মুক্তি তো চায়ই না , বরং বন্দীত্বকে এখন তারা মুক্তি ও বিরাট মর্যাদাকর মনে করে। যাহোক, অতিব কষ্ট স্বীকার করে , অনেক ঘেটে ঘুটে আপনি যে নিবন্ধগুলো লিখলেন তার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
ভবঘুরে,
জাগানোর অবশ্যই দরকার আছে। ধর্মীয় কারনে যে নারীরা ঘরে বন্দি থাকতে চায়, তারা ব্রেনওয়াসড্। সারাটা জীবন ধর্মের ভয়-ভীতির মধ্যে থেকে Stockholm Syndrome ভোগে তারা।ধর্মীয় কারনে না হলেও, জেসি ডাগারডে্র কেস চমৎকার একটা উদাহরন এধরনের ব্রেনওয়াসিংএর।
ঘরে বন্দি না থেকে জীবন কি রকম হতো অনেকেই তারা জানে না। অনেক প্রবাসী বাঙালি মেয়েরা, বিদেশে এসে শুধু স্বামী, বাচ্চার জন্য রান্না করাটাকেই জীবনের উদ্দেশ্য মনে করে। অন্য কোন ধরনের যে জীবন সম্ভব, তারা তা জানে না, অভ্যাসের দাস হয়ে জানতেও চায় না। এই অভ্যাস ভেঙ্গে যদি তারা মন খুলে দেখতে পারে দুনিয়াটা, হয়তো তারা আর বন্দি থাকতে চাবে না। তাদের অধিকার আছে বন্দি থাকার, কিন্তু আমাদের উচিৎ তারা যেন অভ্যাসের বাইরে বেড়িয়ে, সব কিছু ভেবে চিন্তে, informed decision নিতে পারে, তার চেষ্টা করা। তাই জানাতে হবে, বুঝাতে হবে, শত বাধার মধ্যেও।
@জয়,
আপনার কথাটি নিদারূণভাবে সত্য।
যে ব্যাং কুয়ার চারিধার ছাড়া আর কিছু দেখে নাই–তার জন্য বিশ্বই বা কী?
আমাদের দেশের নারীদের অবস্থাও তাই। তারা যে বিশ্বের সমস্ত কিছুর ভাগীদার হতে পারে তা তারা ভাবতেই পারে না।
কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই তারা সব পেতে পারে। তাদের নিজেদের পায়ের শৃংখল ছাড়া হারাবার কিছু নাই।
@জয়,
আপনার মন্তব্য ভাল লাগলো।
@ভবঘুরে,
কোন এক হাদিসে পড়েছিলাম—নবীজি স্বর্গ এবং নরক ঘুরে আসলেন। স্বর্গে যা দেখার তা দেখলেন। নরকে গিয়ে দেখলেন অসংখ্য নারীদেরকে তাদের স্তনে বড়শী লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
হাদিস বই হাতের কাছে নাই। পেলে জানানো যাবে।
@ভবঘুরে,
তারা দেখেও দেখে না,
তারা বুঝেও বুঝে না,
তারা ফিরেও না চায়।
মুক্তমনা মডারেটর দের কাছে জোর দাবী রইল এই ধারাবাহিক টিকে ই-বুক আকারে প্রকাশ করার ।
দারুন একটা ধারাবাহিকের জন্য লেখককে ধন্যবাদ ।
সবগুলো পর্ব চটজলদি রেফারেন্সের জন্য দারুণ কাজের। খুব ভালো একটা কাজ হয়েছে এটা। পরবর্তী চমকের অপেক্ষায় থাকলাম। (F)
অবাক হলাম না, এমন চরম এবং নিকৃষ্টতম মন্তব্য পড়ে। হাসিও পেলো,ওরা কোন জগতে বাস করে।
এরো শিঘ্র এই সিরিজ শেষ হয়ে গেলো ভেবে দুঃখ লাগছে। আরো নতুন কিছু পড়ার আশায় থাকলাম।
অঃটঃ আমি মুক্তমনায় অনেকদিন যাবত অনুপস্থিত। ব্যাক্তিগত অনেক সমস্যার কারনে। তবে মুক্তমনাকে স্বরণ করি সব সময়।
এমন এক একটা দিন আমার অতিবাহিত হচ্ছে যা বলতে পারছিনা।
মুক্তমনা সদস্যরা নিশ্চয় আমার মঙ্গল কামনা করবেন, এই কামনা করি। যাতে আমার পরিবার বিপদমুক্ত হয়।
@আফরোজা আলম,
বিপদমুক্তি উপযুক্ত কার্যকারণে হয়। বিপদ আছে বলেই তো মুক্তিতে আনন্দ। তবুও শুভ কামনা (O)
ধর্মকারীতে এ প্রসঙ্গে “এক মুসলিম মেয়ের লেখা ছোট্ট নিবন্ধ” নামে একটা মজার পোষ্ট দেখলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি তথ্যবহুল ধারাবাহিক লিখার জন্য। অনেক অজানা তথ্য জানলাম।