আজকে মুক্তমনার নিজস্ব ই-বার্তার মাধ্যমে একটা ই-বার্তা পেয়েছি মুক্তমনার একজন সদস্যের কাছ থেকে। ব্যক্তিগত ই-বার্তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে নেই। তবে, এই নিয়মটা মনে হয় দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অযাচিতভাবে একতরফা হুমকি প্রদায়ক কোনো ই-বার্তা প্রকাশে বাধা আছে বলে মনে হয় না। আর তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে যে, মুক্তমনার সদস্যদের সকলের স্বার্থেই এই ইবার্তাটি দেখা প্রয়োজন।
মুক্তমনায় আমরা বহু বিষয় নিয়েই তর্ক-বিতর্ক করি। সেই সব বিতর্ক যে সব সময় হাস্যমুখে সমাপ্ত হয় তা নয়। কখনো কখনো তা তিক্ততায়ও রূপ নেয়। কিন্তু এর পরেও আমরা যেটা থেকে বিচ্যুত হই না, সেটা হচ্ছে সুশোভন আচরণ করা এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা ধরে রাখা। আজকে একটা লেখায় আমি যেভাবে বিপ্লবের পক্ষ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি সেটা দেখলে যে কেউ ভাবতে পারে যে, বিপ্লব আমার জানের দোস্ত। যে কোনো কিছুতেই বিপ্লবকে আমি ডিফেন্ড করি। কিন্তু মুক্তমনায় যারা দীর্ঘদিন ধরে আছেন, তাঁরা খুব ভাল করেই জানেন যে, মুক্তমনায় সবচেয়ে বেশি বিতর্ক করেছি আমি বিপ্লবের সাথে। আজকে বিপ্লবের বদলে মুক্তমনার অন্য যে কোনো সদস্যের উপরে যদি আক্রমণ হত, আমি একই তীব্রতা নিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। নিজেরা ঝগড়াঝাটি করি, তর্কাতর্কি করি, সেটা নিজেদেরকে একটা পরিবারের সদস্য বলে মনে করি বলেই করি। সেই ঝগড়াঝাটির মধ্যে অন্যকে অপমান করার বা অন্যের সম্মান হানি করার, বা ধুলোয় মিশিয়ে দেবার মত মনোভাব থাকে না। এর গভীরে ঠিকই পরস্পরের প্রতি ভালবাসার টানটা রয়ে যায়। কিন্তু, অন্য কেউ যখন মুক্তমনাকে এ’পাড়া বলে সম্বোধন করে এর কোনো সদস্যের উপরে ঘৃণ্য আক্রমণ চালাবে পরিবারের সদস্য হিসাবে তখন তাঁকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়া, আক্রমণ থেকে প্রতিহত করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য। আজকে মুক্তমনার সদস্যরা সেই দায়িত্ব এবং কর্তব্যটা অত্যন্ত সুচারুভাবেই পালন করেছেন।
মুক্তমনা পরিবারের একজন সদস্য হিসাবেই আমি গর্বিত। আরো গর্বিত এই ভেবে যে, এই পরিবারের দ্বার-রক্ষকের দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়। সেই দ্বার রক্ষা করতে গিয়ে যদি কারো হুমকি ধামকি এবং অসভ্য আচরণের শিকার হই, তবে সেটা সকলকে জানানোও আমি কর্তব্য বলে মনে করি। কারণ, সবাইকে নিয়েই আমাদের এই ছোট্ট কিন্তু শক্তিশালী একটা পরিবার।
এই ই-বার্তাটি আমি পেয়েছি আমাদের মুক্তমনার নতুন সদস্য জনাব মাসুদ রানার কাছে থেকে। এর আগে আমি কখনোই তাঁর নাম শুনিনি। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সাথে কোনো ই-বার্তা যোগাযোগের সম্পর্ক আমার ছিল না কখনোই। ই-বার্তাটি আপনারা পড়বেন এবং আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন বলেই আশা করছি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,আপনার সাহস দেখে
তারিফ করতে ইচ্ছা করছে। একটি
ব্লগের মালিক পক্ষ হয়ে আপনি
ভিন্নমতের মানুষকে সুস্থ
মস্তিষ্কে লিখুন বলে পরামর্শ
দেবার স্পর্ধা পান। আপনি কে?
ছোট্ট একটি অথোরিটী পেয়ে ধরাকে
সরা জ্ঞান করছেন, ফরিদ? কী
ক্ষমতা আছে আপনার? লেখা বন্ধ
করে দিবেন? বাদশাহ হলে তো মেরেই
ফেলতেন, তাই না?
মুক্তমনাতে যে আপনার মতো বাজে
কথা বলার লোক আছে তা জানা ছিলো
না।
‘পাড়া’র সর্দার হয়েছেন? অন্য
পাড়ায় যেতে বলেছেন? ক্ষমতা
দেখাতে গেলে কোনো জ্ঞান
বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না।
যদি বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করতে
চান, বুদ্ধিতে খেলুন, ব্লগের
পেশী দেখাবে না।
আপনাকে নিশ্চিত করছি, আমি
সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্নতো
বটেই, সুস্থতার বাইরে যারা
অবস্থান করে, তাদের জন্য কিছু
করার যোগ্যতাও ধারণ করি। মাতাল
কি না? না। মদ পান করি না। তবে
আগে করতাম। মদ পান করলে
মুক্তমনায় আসা যাবে না? এটি কি
মসজিদ নাকি?
কপাট বন্ধ না করে উন্মুক্ত
রাখুন! মুক্তমনা হোন!
@ অ্যাডমিন,
এই পোস্ট আর প্রথম পাতায় দেখতে ভালো লাগছে না। ব্যক্তিগত আক্রমণের বন্যায় মন্তব্যের ঘরও উপচে পড়ছে।
তাই বিনীত অনুরোধ, পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক; বন্ধ করা হোক মন্তব্য করার অপশন।
🙁
@বিপ্লব রহমান,
পাঠকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই থ্রেডে কমেন্ট করার অপশন কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হল।
এখানে স্মর্তব্য, এডমিনের পক্ষ থেকে কমেন্ট বন্ধ করার অর্থ এই নয় যে, এ নিয়ে কেউ আরেকটি নতুন থ্রেড খুলে নতুন করে ঝগড়া শুরু করবেন, কিংবা কমেন্ট করতে পেরে না করে ব্যক্তিগতভাবে ইমেইল কিংবা ই-বার্তা পাঠিয়ে ব্লগারদের উত্যক্ত করবেন। ব্লগাররা নীতিমালা মেনে ব্যাপারটিকে সুস্থ সমাপ্তির পথে পরিচালিত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরেকটা কথা,
রানা ভাইকে মুক্তমনায় স্বাগতঃ… (F)
আপনি নিঃসন্দেহে রিসোর্সফুল.. তবে কিঞ্চিৎ ‘মিস-ইনফর্মড’।
আশা করি সৌর্সের সবকিছু আ-ফিল্টার গলাধঃকরণ করবেন না…
আমি আপনার কাছে মার্ক্সিজম নাম-দস্তখত শিখতে চাই… অনেকেই মনে হয় সুর মেলাবেন আমার সাথে।
@আরিফুর রহমান,
উনার কাছে মার্ক্সিজমের নাম-দস্তখত শেখার আবেদন অনেকেই করেছেন। আমিও করেছিলাম। কিন্তু উনি সেটা সযন্তে এড়িয়ে গেলেন। উনার মনে হয় ছাত্র হিসেবে আমাদেরকে পছন্দ করেননি কোন কারণে। উনি অনেক গুনী মানুষ বুঝা যাচ্ছে তবে আপনার সাথে আমিও বলবো উনি কিঞ্চিৎ মিস-ইনফর্মড।
মুক্তমনা নুতন সদস্যদের ব্যাপারে সব সময়ই সহনশীল। তবে সেই সহনশীলতা দুপক্ষ হতেই হতে হয়। উনি নিজেও যদি সহনশীল হতেন ব্যাপারটি আরো অনেক আগেই মিটে যেতো। সেটা না করে উনি আমাদের সবাইকে বিপ্লব পালের কথিত চামচা ধরে নিয়ে আমাদেরকে ইচ্ছে মত অপমান করেছেন, আর জনে জনে যেয়ে দাবী করেছেন আমরা উনাদেরকে গালি দিয়েছে। এই যদি একজন গুনী মানুষের আচরণ হয় তবে তা হতাশা জনক, তা দ্বিধাহীন কন্ঠে জানাতে চাই। ভালো থাকুন।
এনি ওয়ে এখন সামনের দিকে এগুনো যাক।
@স্বাধীন, ধন্যবাদ। আমি মিসইনফর্মড্? যেকেউ মিসইনফর্মড হতে পারেন। আমি এ্যাগ্রী করি। কিন্তু ‘আমাদের সবাইকে বিপ্লব পালের কথিত চামচা ধরে নিয়ে আমাদেরকে ইচ্ছে মত অপমান করেছেন’ – বক্তব্য সত্য নয়।
প্রপার কন্টেন্ট এ্যানালাইসিস করুন। আমি যা বলিনি, তা দিয়ে যদি আমাকে অভিযুক্ত করা কি ঠিক? আমি আপনার সমর্থন চাই না, কিন্তু বস্তুনিষ্ঠতা তো আশা করতে পারি? ফেয়ারনেস?
আমি ‘বিপ্লব পালের চামচা’ বলেছি কি? ফিরে আবার দেখুন তো, প্লীজ! আবারও বলছি, আমি ‘বিপ্লব পালের ভক্ত’দের কথা উল্লেখ করেছি। এই শব্দটির দ্বারা মুক্তমনার সবাই বিপ্লব পালের ‘চামচা’ বোঝানো হয় না। আর ‘চামচা’ শব্দটি আমি আমাদের সমাজে একটি প্রটোটাইপ ‘মহারথী’র উল্লেখে বলেছি। আমাদের সংস্কৃতিতে কি চামচা নেই?
আমি ‘আক্রমণাত্নক’ কিছু বলে থাকলে সেটি বলেছি বিপ্লব পাল ও ফরিদ আহমদের উদ্দেশ্যে। সবাইকে অপমান করেছি, এটি আনফাউন্ডেড এ্যালিগেশন।
দয়া করে সংশোধন করে নিলে বাধিত হবো। আমার বিরোধিতা করুন – বিশ্বাস করুন – কিছু মাইন্ড করবো না। কিন্তু প্লীজ, যা বলিনি, তা আমার মুখে ঠেসে দেবেন না। বিজ্ঞানে অবজেক্টিভিটি ও প্রিসিশন অত্যন্ত জরুরী।
আমার এ-মন্তব্য/উত্তরটিকে অপমান হিসেবে নিবেন না, প্লীজ!
ভালো থাকুন।
@আরিফুর রহমান, ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, এখন আমার পালাবার সময় এসেছে। তুমি জানো, মার্ক্সবাদ আমার টপিক নয়।
আমার টপিক বেঙ্গলি আইডেন্টিটী। আমি বৃহৎ বাঙালী জাতি গঠনে এবং বিশ্বে এর যোগ্য স্থান নির্ধারণে নিবেদিত। তুমি এও জানো (তুমিও এর অংশ) কেনো আমি জাতি সঙ্ঘের মহাসচিব কফি আনানকে লিখেছিলাম বাংলাকে সঙ্ঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার। সেখানেই প্রথম আমি দেখাই, বাঙালী হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এথনোলিঙ্গুয়িস্টিক গ্রুপ, যা তার প্রাপ্র্য মর্যাদা পাবার দাবী রাখে।
এখন বাংলাদেশের যে-রাজনীতিবিদরা ফলস্ দাবী করে অন্যায়ভাবে কৃতিত্ব নিতে চাইছে আমার কাজের। অবশ্য, আমি তাতে মাইন্ড করি না। আমার কাজ চাই – নাম নয়। কিন্তু যা তাদের নেই সে হচ্ছে এ-দাবীর অন্তর্নিহিত দৃষ্টিভঙ্গি, দর্শন ও কর্মসূচি।
এ-বিষয়ে কারও আগ্রহ থাকলে কিছু শুরু করা যেতে পারে। একমাত্র প্রকৃত সেক্যুলার হবার মধ্য দিয়েই বাঙালীর শক্তি ও মুক্তি। তবে আমাদের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক মানের অনেক উন্নয়ন দরকার। ক্ষুদ্ররা স্বাধীন হতে পারে না। আমাদের অবশ্যই আরও বড়ো হৃদয়ের হতে হবে। আমি আশাবাদী।
শুক্রবারে এসো।
@রানা ভাই,
এ শুক্রবারে আলেকজান্দ্রা প্যালেসে লন্ডন আনন্দ উৎসবে যাচ্ছি। তাই হয়তো আসা হবে না।
আমজাদ আলী খান, গুলজার, ধৃতীমান চ্যটার্জী, অজয় চক্রবর্তী, কবিতা কৃষ্ঞমূর্তি, আমান আলী খান, হরিহরন, রুপনকর বাগচী, রাঘব চ্যাটার্জী, শুভমিতা ব্যনার্জী, বিজয়লক্ষ্মী বর্মন সহ অনেকেই আসবেন।
আপনিা সময় করতে পারলে ওখানে দেখা হবে’খন।
মাসুদ সাহেবের লেখাটি পড়লাম। চমৎকার লাগলো। উনার আক্রমনের ভাষা এবং ক্ষুরধার বক্তব্য আমার ভাল লেগেছে। সালমান রুশদীর বলেছেন “What is freedom of expression? Without the freedom to offend, it ceases to exist”
উনি বিপ্লব পাল ভাইকে অফেন্ড করেছেন, যেটাকে আমি পজিটিভলি দেখেছি। এই ধরনের আক্রমনাত্মক লেখাকে আমি সাধুবাদ জানাই। উনার লেখাটিতে মন্তব্য করা যাচ্ছে না বলে এখানেই করলাম। আধুনিক প্রবন্ধের ভাষা হবে ছুরির মত শানিত, যা প্রতিপক্ষকে ফালাফালা করবে। উনার লেখাটি সেই রকমই ছিল।
আর যে সব দুঃখজনক ব্যাপার হয়ে গেল, তাতে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই। আশা করি মাসুদ সাহেব নিয়মিত লিখবেন। আমি মুক্তমনাতে লিখি না বা কমেন্ট করি না তেমন একটা, তবে মাঝে মাঝেই পড়ি।
আর মুক্তমনাতে এখন পাঠক, লেখক এবং মন্তব্যকারী প্রচুর। তারা যদি নতুনদের ব্যাপারে আর একটু সহনশীল এবং যত্নবান হন, তেড়ে না এসে একটু সময় নিয়ে কথা বলেন, তবে নতুন মেম্বারদের জন্য তা শুভই হবে। মুক্তমনাতে নতুন মানেই সে ছাগল পাগল, এমনটা নাও হতে পারে।
আর মাসুদ সাহেবের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনার সম্পর্কে যা জানলাম বিভিন্ন সুত্র থেকে, আপনি গুনী মানুষ। এত ছোট ব্যাপারে আপনি সিরিয়াস হয়ে গেছেন। ব্লগে অনেক ধরনের মানুষ আসে, সবার কথা এত ধরতে নেই। আপনি আপনার মত করে ধারালো লেখা উপহার দিন, দেখবেন কদিন পরে আপনার সমালোচনায় যখন আমি কলম ধরবো, মুক্তমনার সদস্যারা আমার উপরে একই ভাবে খড়গহস্ত হবে।
@আসিফ মহিউদ্দীন,
চমৎকার, (Y) (Y) পাবলিকের বিচার বলে কথা। তা আপনি এখানে লিখেন না কেন? অন্যান্য ব্লগে তো আপনার লেখা পড়ি। আমরা কি কোন গোনাহ করেছি?
@ শ্রদ্ধেয় আকাশ মালিক, আপনি আমার অন্যতম প্রিয় একজন লেখক। আজকেও একজনকে আপনার একটা লিঙ্ক দিলাম। আপনার কথা শুনে তাই লজ্জায় পরে গেলাম।
আমি নিজেকে কর্মী মনে করি,ব্লগার বা লেখক বা বুদ্ধিজীবি মনে করি না, ওসব পারিও না ভাল। প্রথম যখন নিজের ভেতরে অবিশ্বাস টের পাই, তখন প্রচন্ড যুদ্ধ করতে হয়েছে, নিজের সাথে, পরিবার এবং পরিবেশের সাথে। তাই যে সব তরুন কিশোর আজকে প্রচলিত প্রথায় অবিশ্বাসের কারণে নিজের সাথে লড়ছে, তাদের সাথে আড্ডা দিতে বা আলোচনা করতেই বেশি আনন্দ পাই। তাদের একটু সাহস দেই, তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি।
আর সামহোয়্যারে একটু আধটু লিখি, সেখানে বিভিন্ন ধরণের, বিভিন্ন মতের ছেলে পেলে আসে, যারা মুক্তমনায় আসে না ধর্ম যাবার ভয়ে, মুক্তমনা সম্পর্কে অপপ্রচার শুনে।
তাদের আবার অনেকেই ঘোর মৌলবাদী, আমাদের নাম শুনলেই তেড়ে আসে। কিন্তু তারা তো আমাদেরই বন্ধু, স্বজন। চেষ্টা চালিয়ে যাই তাদের ভেতর থেকে কিছু বের করে নিয়ে আসার। মৌলবাদ তাদের কোন অপরাধ নয়, আমাদের শিক্ষা আর পরিবেশে মৌলবাদী হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তাদের নিয়েই কাজ করে যেতে চাই। মুক্তমনাতে সকলেই খুব চমৎকার লেখেন, আলোচনা করেন। এখানে কর্মীর চাইতে লেখক বেশি প্রয়োজন, আপনার মত, অভিজিৎ ভাই বা মাসুদ সাহেবের মত।
একটু সময় বের করতে পারলে অবশ্যই মুক্তমনাতে নিয়মিত হবার ইচ্ছা আছে। করি করি বলেও করা হয়ে উঠছে না আসলে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
@আকাশ মালিক, প্লীজ লেখা অব্যাহত রাখুন।
@আসিফ,
রানা ভাই এখনি হঠাৎ সিরিয়াস হয়ে যান নি, বেশ অনেকদিন ধরেই ওনার কাছে পালবাবুর ব্যপারে কম্প্লেন যাচ্ছিলো। তাই একটু ঘষে দিলেন, আর কি!
রানা ভাইয়ের লেখার সময়টা খৈয়াল করে, গেলো বছর জুনে লেখা, মালেসিয়াতে।
এতোদিন পর কেন এই ব্রেন গান গর্জে উঠলো… এটা একটা প্রশ্নো বটে! 😉
@আরিফুর রহমান,
এই মুহুর্তে ব্লগের পরিবেশ অনেকটা শান্ত হয়ে আসছে, আর পেছনে তাকানো নয় চলুন সামনে অগ্রসর হই। একস্থানে স্থির দাঁড়িয়ে কথা বলার সময়টা তো নেই। আমরা আপনাদের মত ভাল লেখকদের লেখা পড়তে চাই, আপনাদের মাধ্যমে জগতটাকে জানতে চাই, চিনতে চাই। সেই যে গেলো বছর জুন মাসে (ঘাতক মইনুদ্দিনকে নিয়ে) একটা লেখা দিয়েছিলেন আর তো খবর নাই। অতিসত্তর কিছু লেখা খয়রাত করুন তো প্লিজ।
@আসিফ মহিউদ্দীন, চমৎকার লাগলো আপনার মন্তব্য।
@আসিফ মহিউদ্দীন, ইউ আর সৌ গুড। আমাকে দয়া করে লজ্জা দিবেন না। আপনার সাথে আমি একমত যে, যুক্তিকে অবশ্যই শার্প হতে হবে। আমরা সাধারণতঃ অন্যের কথা বোঝার চেয়ে নিজের কথা বোঝাতে বেশি যত্নশীল। কিন্তু এন্ড অফ দ্য ডে, অন্যের কথাটা ভালো করে বুঝলে অন্যকেও ভালো করে নিজেরটা বোঝানো যায়।
আপনি নিশ্চয় জানেন, সালমান রুশদীর স্যাটানঙ্ক ভার্সেস না পড়েই কিন্তু কোটি-কোটি লোক তাকে পৃথিবী থেকে বহিষ্কার করে দেবার আন্দোলন শুরু করছিলো।
আমার উপর ভারসাম্যহীন আক্রমণে আমি এতোটুকুও বিচলিত হয়নি। শুধু খারাপ লেগেছে এটি ‘মুক্তমনা’ বলে। সমালোচনার কারণে মৌলবাদীরা তেড়ে এলে আমি কিছুই মনে করতাম না।
আপনার ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ।
প্রচুর গিয়ানজাম… কথা সত্য।
তবে একটা ছোট ডিস্ক্লেইমার দিয়ে যাই… উপরে জনাব আরিফ রহমান আর এই অধম আরিফুর রহমান একই ব্যক্তি নহেন।
দয়া করিয়া নামের মিল দেখিয়া বিভ্রান্ত না হইবার অনুরোধ করা গেলো। (যদি হইয়া থাকেনও)।
তবে কার যেন একটা কমেন্টের কপি পেস্ট মেরে দিতে ইচ্ছে হলো..
আমার ইদানীংকার বোধ হলো….
আম্রিকা খুব একটা খ্রাপ জিনিষ….
কমুনিস্ট আম্রিকা ধূয়ে ফেলে
ইস্লামিস্ট আম্রিকা নামের সবকিছুতে বোমা মারে…
মাঝে মাঝে ইস্লামিস্ট কমুনিস্ট কিভাবে যেন হাত ধরাধরি করে হাঁটে… কমন শত্রু আম্রিকাকে গান পাউডার দিয়ে ওযু করাতে চায়।
আমি অতসব বুঝি না…
মুক্তমনা ধর্মের পক্ষে কখনো লিখেছে বলে দেখিনি (আমার দেখার সীমানা খুবই কম)
পাল বাবু একটু পুঁজিবাদী, তাকে সমঝে দেবার হয়তো দরকার পরেছিলো কারো!! তাই একটা ঝড় উঠলো আর কি!
পুঁজিবাদ একটা বিটকেলে বস্তু… পুরো দুনিয়ায় তার গ্রাস। সে আবার ধর্মও পোষে…
আসলেই… প্রচুর গিয়ানজাম!!
তবে বরবাদ মজহার বিষয়গুলারে একটু চোখে চোখে রাখা দরকার…
কি বলেন!! :-s :-s :-s
আমি সামান্য কিছু বিষয় জানতে চাচ্ছি।
১। ফরিদ ভাইকে আপনার এই ই-বার্তা পাঠানোকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? আপনার কি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করা উচিত নয়? ফরিদ ভাই আপনার প্রতি মন্তব্য করেছিলেন আপনি মডারেসনের প্রতি অহেতুক গুরুতর অন্যায় অভিযোগ করার পর। এরকম অভিযোগ কোন জায়গায়ই সহ্য করার বিধান নেই। তারপরো আপনার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ফরিদভাই শুধু প্রতি মন্তব্য করেছেন ব্যক্তিগতভাবে।
২। বিপ্লব পালকে কেন মুক্ত-মনায় বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয় বলে আপনার মনে হল? অভিজিৎ দাকে কেন বিপ্লব পালের রক্ষক বলে আপনার মনে হল? আর বিপ্লব পালকে যদি মুক্ত-মনায় বিশেষ কোনো গুরুত্ব দেয়া হয় তবে আপনাকে কেন আমন্ত্রণ করে এখানে আনা হল?
৩। আপনি নিজেকে অনেক ডিগ্রীদারি বলে দাবি করেছেন। আপনার কাছ থেকে একটু দায়িত্বশীলতা আশা করা কি অন্যায় হবে?
@সৈকত চৌধুরী, ধন্যবাদ।
১) ফরিদ আহমেদ আমাকে গালি দিয়ে এবং আমার সঙ্গে জড়িত করে এক নারীক আক্রমণ করে সীমাহীন অন্যায় করেছেন। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। প্রতিবাদ করে আমি সম্পূর্ণ ঠিক কাজ করেছি। ফরিদ আহমেদকে এ-অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কমেন্ট আটকে দেবার অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়। আরিফের মন্তব্য পড়ুন। অভিযোগ সহ্য করার বিধান নাই? অভিযোগ করা যাবে না? অভিযোগ করার বিধানহীন কোনো সভ্য জগতের কথা আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে পারেন তিনি? তিনি তো অলরেডি তা বলেছেন। ব্যবস্থা নিতে বলুন। তার গৃহীত ব্যবস্থা এটি আমাতে কোনো উদ্বেগ বা ভীতির সঞ্চার করবে না। ভীতি প্রদর্শিত হলেই কি সব হৃদপিণ্ডে তা সঞ্চারিত হয়? মনে হয় না।
২) বিপ্লব পাল বিশেষ মর্যাদা পেতেই পারেন। এতে দোষের কিছু নেই। একজন ভালো কন্ট্রিবিউটর বিশেষ মর্যাদা পেতেই পারেন। তবে ন্যায়-অন্যায় বলে একটি কথা আছে, যা সব মর্যাদার লোকদের জন্যই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। অভিজিৎকে বিপ্লব পালের রক্ষক মনে হয়েছিলো তখন, যখন বিজ্ঞান নিয়ে একটি বক্তব্য নিয়ে বিপ্লব পালের সঙ্গে তর্কে তিনি এ-ভাবেই আবির্ভুত হয়েছিলেন। তখন তিনি আমার লেখার প্রেইসও করেছিলেন। তাই হয়তো তিনি আমাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু এ-নিমন্ত্রণ তিনি ইচ্ছা করলে প্রত্যাহারও করতে পারেন। তাতেও আমি বেঁচে থাকার প্রেরণা হারাবো না।
৩) আমি সাইকোলজী ডিগ্রীর কথা বলেছি একটি প্রসঙ্গে। হঠাৎ করে আমি ডিগ্রীদারী দাবী করতে যাবো কেনো? ডিগ্রী না থাকলেও একটু নয়, অনেকটুকু দায়িত্বশীলতা আশা করা যায়। দাবী করাটা মোটেও অন্যায় নয়। আমি অত্যন্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তি। প্রত্যেকটি মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি যত্ন সহকারে। আমাকে অনেকেই গালাগালি করছেন। কিন্তু আমি পালটা গালি দিচ্ছি না। এ-রকমটি আপনি বেশি দেখবেন না। আমি নার্ভ হারাইনি। বিপ্লব পালকে ক্ষমা চাইতে বলায় তিনি চেয়েছেন। আমি তার প্রেইস করেছি এবং আমার কথায় কোনো কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। এগুলো সব দায়িত্বশীলতার মধ্যেই পড়ে।
@মাসুদ রানা,
এই থ্রেডে এই আমার শেষ কমেন্ট।
লাইজু নাহার যেমন নারী, গীতা দাসও একজন নারী। আপনি লাইজু নাহারকে উপলক্ষ করে যে বিচার চাইছেন, সেই একই ধরণের অপরাধে আপনাকেও দোষী করা যায়। আপনি লাইজু নাহারকে উপলক্ষ করেছেন মূলতঃ লাইজু নাহার আপনার পক্ষে কথা বলেছিল, কিন্তু গীতা দাস আপনার বিপক্ষে কথা বলায় তাকে আক্রমণ করতে আপনার বাধেনি কিন্তু। এখানে নারী পুরুষ টেনে এনে জল ঘোলা করলে লাভ হবে ?
একেবারেই অবান্তর কথা। আমার মনে নেই কখন আমি বিপ্লব পালের রক্ষক হয়ে আবির্ভুত হয়েছিলাম। আমি মূলতঃ আপনার চেয়েও বেশি বিপ্লবের বিরুদ্ধে তর্ক করেছি বলে মনে পড়ে। তারপরেও আপনার কথা যদি ঠিক ধরেও নেই – কখনো বিজ্ঞান নিয়ে কোন বক্তব্যে বিপ্লব পালের কোন কথাকে সমর্থন করলেই তো আমি রক্ষক হব তা তো ঠিক নয়। আমাদের ম্যাসেজের কন্টেক্সটে ফেলে বিচার করতে হবে, ম্যাসেঞ্জার নয়। গোলাম আজম যদি বলে, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে, কিংবা বুশ যদি বলে ২ + ২ সমান ৪ হয়, তবে কেবল তারা গোলাম আযম কিংবা বুশ বলেই সেই উক্তিগুলোর বিরোধিতা করতে হবে নাকি? সেটা কোন যুক্তির কথা নয়। আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন, আমি কি বলতে চাইছি।
আপনার উপলব্ধির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি যখন দুঃখ প্রকাশ করেছেনই, এ নিয়ে আর কথা আমি বাড়াবো না। আমি কোন গালি দিয়েছি বলে ম্নে পড়ে না, কিন্তু তারপরও দুঃখ প্রকাশ করতে আমার কোন অসুবিধা নেই। আশা করব ফরিদ আহমেদও একই রকমভাবে ব্যাপারটির শেষ করবেন।
আপনি যদি অনুমতি দেন তো এই থ্রেডটাকে প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেই। সাইফুল সহ অনেকেই বলছেন। আমি চাই না এ নিয়ে আর বিতর্ক বাড়ুক। আপনি কি বলেন?
@অভিজিৎ, নন-রিপ্রেজেন্টেশন কখনও কখনও মানা যায়, কিন্তু মিস রিপ্রেজেন্টেশন কখনও মানা যায় না।
গীতা দাস আমার উদ্দেশ্যে বললেন, ‘আর পাগলে কি না বলে’ । উত্তরে আমি বললাম, ‘ধন্যবাদ। গীতার মতোই অমোঘ বাণী’ ।
পক্ষান্তরে লাইজু নাহারকে ফরিদ আহমেদ বললেন, ‘সোহানার মত মাসুদ রানার পেশী বলে বলীয়ান হয়ে…’
তো, আপনার কাছে দুটোই আপনার কাছে সমান? আমি গীতার কথাকে গীতার বাণীর মতো অমোঘ বললাম। আর ফরিদ আহমেদ লাইজু নাহারকে আমার নায়িকা বানালেন। দুটো এক? আপনি আমাকে ‘সেই একই ধরণের অপরাধে আপনাকেও দোষী করা যায়’ বলে দুটোকে সমান করে দিলেন। আপনার বিচার ধারা লক্ষ্য করে আমি বিস্মিত।
তখন বললেন, ‘আমাকে অযথা আর চ্যালেঞ্জ করতে হবে না’।এখন আবার জাজমেন্ট দিতে শুরু করলেন। এগুলো ঠিক হচ্ছে না।
@মাসুদ রানা,
সারাদিন ধরে অর্থহীন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘ্যানঘ্যানানি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। আগে জানলে এই পোস্টটাই দিতাম না আমি। 🙁
লাইজু নাহারকে আমি আপনার নায়িকা বানাই নি। আপনি মনে হচ্ছে কোনো কারণে এই ভ্রান্ত ধারণাটাকে মনের মধ্যে গেঁথে নিয়েছেন। তাই বার বার এই বিষয়টাকে টেনে আনছেন। তবে, বার বার এই বিষয়টার অবতারণা যে একজন ভদ্রমহিলার জন্য বিব্রতকর, সেটা বোঝার মত সাধারণ জ্ঞানটুকুও মনে হচ্ছে আপনার নেই।
নারীবাদী শুধু গলার জোরে দাবী করলে হয় না, কাজে কর্মেও তার প্রমাণ রাখতে হয়।
@ফরিদ আহমেদ, আমার যে-‘সাধারণ জ্ঞানটুকু’র অনুপস্থিতি আপনি লক্ষ্য করছেন, সেটি যে আপনি বহু আগেই খুইয়ে বসেছেন, সে খেয়াল কি আপনার আছে? আপনার শুরু করা ঘেউ-ঘেউয়ের জবাবে ‘ঘ্যানঘ্যানানি’ হচ্ছে। ক্লান্ত হলে চলবে কেনো? পৌস্ট দিয়ে ভুল করে থাকলে, তুলে নিন। ক্ষমতা তো আছেই। আবার প্রয়োগ করুন।
আপনার গালাগালির উত্তরে আমার প্রতিক্রিয়াতো কবিতার মতো পৌস্ট দিয়ে সবাইকে ডেকে ‘সুচিন্তিত’ মতামত আশা করলেন। এবং আপনার আশা-পূরণের প্রক্রিয়ায় আমার উপর বর্ষিত হলো প্রচুর গালি। আমি কাউকে উলটো গালি না দিয়ে উত্তর দিয়েছি ধন্যবাদ সহকারে। সবার উত্তর দিয়েছি।
তো, ন্যায়পাল, আমার ‘হুমিকী’ আপনার কোন্ ‘সুবচনের’ বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ছিলো এবং কোন্ পরিস্থিতিতে ছিলো তা উল্লেখ করলেন না কেনো? কেনো সিলেক্টিভ ইনফর্মেশন প্রোভাইড করলেন? কেনো বলেল না যে আপনি আমাকে ‘মস্তিষ্কের অসুস্থা’, ‘মাতলামী’ ইত্যাদি ইঙ্গি করে কমেন্ট দিয়েছিলেন এবং এর পাল্টা কমেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় আমি এই ই-বার্তা করেছিলাম?
স্ববিরোধিতার তো আপনার শেষ নেই। লিখেছেন, ‘আজকে বিপ্লবের বদলে মুক্তমনার অন্য যে কোনো সদস্যের উপরে যদি আক্রমণ হত, আমি একই তীব্রতা নিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়তাম’।
আমিও দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মুক্তমনার সদস্য। বিপ্লব পালের ক্ষমা প্রার্থনা আমার কাছে এক্ষণে শ্রদ্ধেয়, কিন্তু তিনি যখন আমাকে গালি দিয়ে শুরু করলেন, তখন কোথায় ছিলো আপনার এই নীতিবোধ? আপনি যে বোধের পরিচয় দিয়েছেন, তা সামন্তবাদী ও ট্রাইব্যাল চরিত্রের। এর সাথে তালিবানদের চরিত্রগত কোনো পার্থক্য নেই। মৌলবাদী শুধু কি ধর্মেই হয়? মার্ক্সবাদী মৌলবাদী, নাস্তিক মৌলবাদী, ইত্যাদি নানা রকমের মৌলবাদী হতে পারে। কিন্তু মুক্ত-মনা হওয়া কঠিন।
আপনি মডারেটর হয়ে আমাকে অন্য পাড়ায় যাবার ইঙ্গিত করেছেন। সেটি আপনার কোন্ নীতিতে পড়ে?
লাইজুকে নায়িকা বানানি? তো ভদ্রমহিলাকে ‘সোহানা’ বললেন কেনো? উত্তর দিন, কী বানিয়েছে তবে? বলুন, কোন সম্মান দেখাতে তাকে ‘সোহানা’ করে মাসুদ রানার পেশীশক্তিকে নির্দেশ করলেন? এটি বুঝি খুব ভালো মূল্যবোধ? নিজের বিচার নিজে করার ক্ষমতা আছে? করুন তো দেখি নিজের বিচার!
আমি মনে করি আপনার মতো ‘ঝাঁপিয়ে পড়া’র মানসিক প্রবণতা সম্পন্ন ব্যক্তির উচিত হবে মুক্তবুদ্ধির মডারেটর হবার বদলে রেসলিংয়ে ফাইট করা। সেখানে আপনি ইচ্ছা-মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন।
আমার এ-মন্তব্য আপনার মধ্যে অবস্থানরত জিঘাংসাকে যদি আরও তীব্র করে তোলে এবং এর ফলে আমাকে এক্ষণই কতল করার স্পৃহা জাগ্রত করে, তাহলে নিশ্চিন্তে করুন। ফেয়ার ফাইট করার কোনো কমিটমেন্ট আপনার নেই।
অন্য সবার গালাগাল আমি ক্ষমা করেছি। কিন্তু আপনি মডারেট বা লীডার বলে আপনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ অক্ষুণ্ণ রাখছি। পারলে অভিযোগ খণ্ডন করুন। যদি জেন্টলম্যান হোন, দয়া করে গালি দিবেন না। গালি দিলে আমি প্রস্থান করবো।
অন্যদের বলছি, ফরিদ আহমেদ ও আমার মধ্যে মল্লযুদ্ধ হচ্ছে যুক্তির। ফেয়ার ফাইট করতে দিন দু’জনের ভেতর। অন্যেরা পিছন থেকে মারবেন না। ওয়ান-টু-ওয়ান ফাইট। আমি তাক সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করেছি, তাকে উত্তর দিতে দিন।
আসুন ফরিদ!
আরেকটু যুক্ত করি। ফরিদ সাহেব, আমি আশা করবো, আপনার জিঘাংসা পরিতৃপ্ত হবার পর শান্ত হয়ে ‘উচিত-অনুচিত’টা ভাববেন। যদি কখনও মনে অনুতাপ আসে আমাকে গালাগাল দেবার জন্য, তাহলে সঙ্কোচ না করে ক্ষমা চাইতে কুন্ঠাবোধ করবেন না।
@মাসুদ রানা,
আপনারা জ্ঞাণী গুণীজন যারা জ্ঞানগর্ভ আলোচনা আমাদেরকে উপহার দিচ্ছেন বা যারা লেখালেখি করেন, তাদের চেয়ে আপনাদের লেখা যারা পড়েন, অর্থাৎ আমার মত সাধারণ পাঠকের সংখ্যা এই ব্লগে অনেক বেশী। প্রথমেই আপনাকে মুক্তমনায় স্বাগতম।
আপনার লেখার স্টাইল, বলার ভঙ্গি, পাঠককে বুঝানোর স্কিলটা আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে। বড় আশা ছিল বিপ্লব দা আমাদেরকে মার্ক্সবাদ বা দ্বান্দিক বস্তুবাদ নিয়ে যে ভুল তথ্য শেখায়ে আসছেন, এবার আমরা আপনার কাছ থেকে সঠিক তথ্যটা জানবো। আপনি আমাদেরকে আপনার লেখার মাধ্যমে নিশ্চয়ই একটা মেসেইজ দিতে চেয়েছিলেন, তা কি সফল হয়েছে বলে মনে করেন? কেন প্রবন্ধের বিষয় বস্তুর উপর পাঠকের কোন মন্তব্য নাই, আপনি তা ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এবার আল্লাচালাইনার মন্তব্যটি দেখুন-
অভিজিত রায় যদি আপনাকে আসলেই আমন্ত্রন জানিয়ে থাকে, তবে আমি নিশ্চিত আসলেই আমাদেরকে দেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে আপনার।
এটা আমি আশা করেছিলাম আপনার লেখাটির প্রথম কয়েকটি লাইন পড়েই।
আমার বিশ্বাস আপনি পারবেন। পাঠক আপনার কাছ থেকে কী আশা করে, পাঠককে কীভাবে আপনার পক্ষে ধরে রাখা যায়, সেটা আপনাকে বলে দেয়া আমার ধৃষ্টতা বেয়াদবী হবে। শুধু একটা কথা বলি, দাদা ভাই এখানে রাজা-প্রজা, পরিষদ, সাংসদ কিচ্ছুই নেই, এখানে কোন পরিবারতন্ত্র নেই, মন্তব্যের ঘরে কোন মডু-ফডু, পুলিশ-কর্তৃপক্ষ নেই। মন্তব্যের ঘরে এডমিন যখন আসেন তখন এডমিন নাম নিয়েই আসেন, ফরিদ, অভিজিৎ নামে নয়।
অনুরোধ রইলো যা হয়ে গেছে সব পেছনে ফেলে দিয়ে পাঠকের চাহিদা, পাঠকের পারস্পেক্টিভ মনে রেখে সামনে অগ্রসর হোন। আল্লাচালাইনার সুরে সুর মিলিয়ে আমিও বলি- এখন আপনি যাদেরকে ‘দলবেঁধে আমাকে আক্রমন করছে’ বলে অভিযুক্ত করছেন, তাদের চেয়ে আপনার অবস্থানই হবে অনেক অনেক বেশী শক্ত এবং গ্রহনযোগ্য। তারাই আপনাকে যথোপযুক্ত সম্মানের সাথে গ্রহণ করে নিবেন। এবং তা সম্ভব একমাত্র আপনার লেখনীর মাধ্যমে।
@আকাশ মালিক,
আকাশ মালিকের মন্তব্যের সাথে আমি সহমত। মাসুদ রানা, আপনি একজন রিসোর্সফুল ব্যক্তি এবিষয়ে কোন দ্বিধা নেই। আপনার কাছ থেকে মূল্যবান লেখা অবশ্যই আসবে। মাঝখান থেকে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেল। এই মূহুর্তে মুক্তমনার সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিপ্লব পালের সাথে আপনার হ্যান্ডশেক হয়ে গেছে। প্রত্যেকে একটি করে হ্যান্ডশেকের মন্তব্য না করলেও প্রকারান্তরে সবার সাথেই আপনার হ্যান্ডশেক হয়ে গেছে।
অভিজিতের শেষ পোষ্টিংটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলুন এই থ্রেডে আমরা আর কোন মন্তব্য করব না। আপনাকে স্বাগতম। আপনার একটা লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমিও একমত আপনার সাথে। মাসুদ রানার লেখা, যুক্তির ব্যবহার আমার ভাল লেগেছে। উনি নিঃসন্দেহে রিসোর্সফুল ব্যক্তি। আশা করি উনি নিয়মিত মুক্তমনায় লেখা দেবেন। সময়ের সাথে আমরা দেখব যা হয়েছে তা নিছকই ভুল বুঝাবুঝি।
@মনজুর মুরশেদ, ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কথা আমার ভালো লেগেছে, যদিও আমি মোটেও রিসৌর্সফুল কেউ নই। আপনার কথাগুলো নিঃসন্দেহে উৎসাহব্যঞ্জক।
ভালো থাকুন।
@নৃপেন্দ্র সরকার, ধন্যবাদ। হ্যান্ডশেইকের কৃতিত্ব বিপ্লব পালেরই। আপনি নিশ্চয় সহমত হবেন যে, বিজ্ঞান মনস্কতার একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভুল বোঝার সাথে-সাথে তা সংশোধন করা। নিজেকে চ্যালেইঞ্জ করা, টেস্টে ফেলা, ভুল থাকলে সংশোধন করা, প্রয়োজনীয় গ্রহণ ও বর্জন করা – এগুলো বিজ্ঞান মনস্কতার বৈশিষ্ট্য। বিপ্লব পাল সে-বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ।
আপনাকে এবং আপনার মতো সুন্দর বোধের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। আমি এখন শুধু ফরিদ আহমেদের এ্যাপোলজীর আশায় আছি। দেখি তিনি কী নিয়ে আসেন।
ভালো থাকুন।
@মাসুদ রানা,
ধন্যবাদ।
কথায় কথা বাড়ে
চাঁচলে বাড়ে (মাটির) কূয়ো
গতকাল ক্ষনিকের জন্য সুস্থ অবস্থা বিরাজমান ছিল। সেই সুযোগে আমার একটা আবেদন ছিল – কথা (মন্তব্য) না বাড়ানোর জন্য। আমি লিখেছিলাম
সেটা হল না। আপনি নতুন করে মল্ল যুদ্ধের আহবান জানালেন।
ফরিদ সাহেব এ্যাপোলজী করবেন নাকি মল্ল যুদ্ধ করবেন সেটি তাঁর ব্যাপার। তবে মুক্তমনা মল্ল যুদ্ধের ক্ষেত্র হউক তা আমরা চাই না।
এ্যাপোলজীর ব্যাপারটি বিপ্লব পালের মত আপনিই শুরু করে আপনার মহত্ব দেখাতে পারতেন। যেমন আপনি বলেছেন
এতে বিপ্লব পালের মত আপনারই মহত্ব বাড়ে। তাছাড়া ক্যাচালটি ত আপনিই শুরু করেছেন। আপনার মূল লেখাকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১) বিপ্লব পালের লেখায় ভুল-ভ্রান্তি পেয়েছেন এবং দেখিয়েছেন – এটি মুক্ত আলোচনার বিষয়। প্রশংসা যোগ্য বিষয়।
২) বিপ্লব পালকে ব্যক্তিগত আক্রমন করেছেন সাথে সাথে গনভাবেও আক্রমন করেছেন।
দ্বিতীয় পয়েন্ট্ টি আপনার প্রথম পয়েন্টকে খর্ব করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আক্রান্তরা আপনাকে প্রতি আক্রমন করছে। কেউ আপনার মূল্যবান প্রথম অংশ নিয়ে কথা বলছে না।
গতকাল অনুরোধ করলাম থ্রেডটিতে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে। থাকলেন না। আপনি মল্ল যুদ্ধের ঘোষনা দিলেন। আপনি তো আরো কর্দমাক্ত হওয়ার পথ বেছে নিলেন।
আমি আবারও অনুরোধ রাখছি। চলুন বিরত হই। আমরা সবাই সবাইকে বুঝতে পারছি। কার কতটা দোষ পরিষ্কার করে প্রমাণ বা বলার দরকার নেই।
আমরা আবার নতুন টপিক নিয়ে আলোচনায় নিয়োজিত হই।
আমার একটা আবেদন ছিল – কথা (মন্তব্য) না বাড়ানোর জন্য। আমি লিখেছিলাম
সেটা হল না। আপনি নতুন করে মল্ল যুদ্ধের আহবান জানালেন।
ফরিদ সাহেব এ্যাপোলজী করবেন নাকি মল্ল যুদ্ধ করবেন সেটি তাঁর ব্যাপার। তবে মুক্তমনা মল্ল যুদ্ধের ক্ষেত্র হউক তা আমরা চাই না।
এ্যাপোলজীর ব্যাপারটি বিপ্লব পালের মত আপনিই শুরু করতে পারেন। যেমন আপনি বলেছেন
এতে বিপ্লব পালের মত আপনারই মহত্ব বাড়ে। তাছাড়া ক্যাচালটি ত আপনিই শুরু করেছেন। আপনার মূল লেখাকে দুটো ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১) বিপ্লব পালের লেখায় ভুল-ভ্রান্তি পেয়েছেন এবং দেখিয়েছেন – এটি মুক্ত আলোচনার বিষয়। প্রশংসা যোগ্য বিষয়।
২) বিপ্লব পালকে ব্যক্তিগত আক্রমন করেছেন সাথে সাথে গনভাবেও আক্রমন করেছেন।
দ্বিতীয় পয়েন্ট আপনার প্রথম পয়েন্টকে খর্ব করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আক্রান্তরা আপনাকে প্রতি আক্রমন করছে। কেউ প্রথম আপনার মূল্যবান অংশ নিয়ে কথা বলছে না।
গতকাল অনুরোধ করলাম থ্রেডটিতে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে। থাকলেন না। আপনি মল্ল যুদ্ধের ঘোষনা দিলেন। আপনি তো আরো কর্দমাক্ত হওয়ার পথ বেছে নিলেন। সেই একই কথা
কথায় কথা বাড়ে
চাঁচলে বাড়ে (মাটির) কূয়ো
আমি আবারও অনুরোধ রাখছি। চলুন বিরত হই। আমরা সবাই সবাইকে বুঝতে পারছি। কার কতটা দোষ পরিষ্কার করে প্রমাণ বা বলার দরকার নেই।
আমরা আবার নতুন টপিক নিয়ে আলোচনায় নিয়োজিত হই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
খুব চমৎকার মন্তব্য করেছেন নৃপেনদা। আমার মনে হয় মাসুদ রানা নিজেই যখন ক্যাচাল শুরু করেছেন, ব্লগের বিভিন্নজনকে গণহারে বিপ্লবের চামচা, পাড়ার সর্দার – এসমস্ত নানা পদের বিশেষনেবিশেষিত করেছেন, তখন অন্য কারোর এপোলজির জন্য ইগো নিয়ে বসে না থেকে সামনের দিকে তাকানোই তার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
আমীন!
@মাসুদ রানা,
দুঃখিত। কাট এন্ড পেস্টিং এ গ্যাঞ্জাম হয়ে গেছে। মূল বক্তব্য আবার কাট-পেষ্ট করলাম। ঠিক হল কিনা তাও চেক করতে পারছি না। এখনই একটা মিটিং এ যেতে হচ্ছে।
@আকাশ মালিক, দয়া করে আমাকে লজ্জা দিবেন না। আমি বরং আপনার লেখার ভক্ত।
ভালো থাকুন।
স্বাধীন ভাইয়ের সাথে আমি একমত আগের পোষ্টে মন্তব্য বন্ধ না করলেও চলত। মাসুদ রানা সাহেব যেভাবে কথা বলেন সেভাবে বিচার করলে এই ই-বার্তাকে মোটেও থ্রেট বলা যায় না। এই কথা উনি মনে হয় মন্তব্যের ঘরেও করতে পারতেন। স্বাভাবিকভাবেই ই-বার্তা যেহেতু তাই একটু ব্যক্তিগত ভাব এসে গেছে।
সত্যি বলছি মাসুদ রানা সাহেবের জন্য আমার বেশ খারাপই লাগছে। আপনি অনেক যোগ্য ব্যক্তি কিন্তু আপনার যোগ্যতার পরিচয় কিন্তু আমরা পাব আপনার ব্যাবহারে। আমার তো নিজের কাছেই খারাপ লাগছে আপনার মত একজন মানুষকে আমার মত এক পুচকে ছোড়ার কিছু পরামর্শ দিতে। আন্তরিক ভাবেই বলছি আপনার আগের লেখাটা পড়ে আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। আমি খুবই চমৎকার একটা তর্কযুদ্ধের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আপনাদের দু জনের নিজেদের ভুলেই এত সুন্দর একটা শুরুর করুন পরিসমাপ্তি হল।
আপনি ফরিদ ভাইকে সম্ভবত আগের থেকে চিনতেন না। তাহলে আমি অন্তত নিশ্চিত তাকে ঐভাবে কথা বলতেন না। মুক্তমনাকে যারা অনেক দিন ধরে চেনে তারা জানে ফরিদ ভাই মুক্তমনার সেই প্রথম থেকেই নিজের সন্তানের মত দেখে আসছে। সন্তানের সম্পর্কে শুধুশুধু অভিযোগ শুনলে সব বাবা মায়েরই খারাপ লাগে। আপনি নিজে একজন বাবা আপনিতো সেটা বুঝবেন। ফরিদ ভাই আপনাকে যেমন কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে, আমার এই কথাটা লিখে রাখুন কালকে এই বিপ্লব পালই যদি আপনাকে অশোভন কিছু বলে বিপ্লব পালকে ফরিদ ভাইয়ের ঐসব শ্রুতি মধুর কথা গুলো শুনতে হবে। আপনি মুক্তমনার সম্পর্কে কিছু পুর্বনির্ধারিত চিন্তা নিয়ে লিখেছেন। লিখতেই পারেন, কিন্তু তার জন্যে কিন্তু আপনাকে মুক্তমনার সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত থাকতে হবে।
আপনাকে অনেক অনেক শুভ স্বাগতম জানাই মুক্ত-মনায়। আশা করব আপনার যোগ্যতার পরিচয় অতি শীঘ্রই পাবো আমরা।
অনেক ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম, চমৎকার লিখেছেন। আমি আশা করবো, ফরিদ আহমেদ আমাকে যে-সমস্ত বাজে শব্দ-যোগে গালি এবং এক নারীকে আমার সঙ্গে জড়িত করে যে আক্রমণ করেছেন, তার জন্য ক্ষমা চাইবেন।
আমি বিশ্বাস করি, বিপ্লব পাল কাপুরুষ নন। তিনি ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আমি জানি তিনি লেনিনবাদের উপর কোন জায়গা থেকে আসছেন। ওর সাথে আমার প্রচুর বিনিময় হবে। মতের মিল হবে, আবার অমিলও হবে।
কিন্তু ফরিদ আহমেদ কর্তৃপক্ষীয় স্থান থেকে আমাকে যে গালাগাল করেছেন, তার প্রতিবাদ জারী থাকলো।
অন্যান্যদের গালাগাল আমি গায়ে মাখছি না। কারণ, রাজা যা বলে, পারিষদ দলে তার চেয়ে একটু বেশিই বলে। ওরা এক সময় অনুতপ্ত হবেই।
ভালো থাকুন।
ঘুম থেকে উঠে দেখি এতো সব কাণ্ড। আগের লেখাটায় হুট করে মন্তব্য বন্ধ করাটা আমার মতে ঠিক হয়নি। তর্ক এগুচ্ছিল, কিন্তু সেটা বন্ধ করে দেওয়ার মতো অবস্থায় যায়নি। যে কারণেই এই ই-বার্তা। তাই এটি ই-বার্তা হিসেবে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। এটাকে মন্তব্য হিসেবে দেখছি।
কিন্তু মন্তব্য হিসেবেও এটি কোন সভ্য মন্তব্য নয়। উনি অবশ্য বলবেন উনাকে যে অসুস্থ মস্তিষ্ক বা মাতাল বলা হয়েছে সেগুলো কি? সেগুলো একটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে যেখানে আপনি সজ্ঞানে সরাসরি মডারেটরদেরকে অভিযুক্ত করেছেন। আমি আপনাকে বলেছিলাম যে এটি খুব শক্ত অভিযোগ, কিন্তু আপনি এর গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। আপনি এখনো স্বীকার করেননি যে আপনার অভিযোগগুলো মনগড়া। আপনি আপনার অভিযোগ ভুল স্বীকার করে নিন, আমি নিশ্চিত ফরিদ ভাইও আপনার সুস্থতা নিয়ে অভিযোগ তলে নিবেন। কিন্তু সাইকোলজি বিশেষজ্ঞ না হয়েও বলতে পারি আপনাকে যতটুকু বুঝেছি আপনি তা তুলে নিবেন না।
এভাবে আপনার অন্যান্য অভিযোগগুলোও মনগড়া। যেমন বিপ্লব’দার সমর্থনে সবার এগিয়ে আসা। আপনি মন্তব্যগুলো পড়ে দেখুন কেউ বিপ্লব’দা সমর্থনে এগিয়ে আসেনি। এসেছে আপনার লেখার স্টাইল নিয়ে দ্বিমত জানাতে। মুক্তমনায় ফারুক সাহেবের পরে যে ব্যক্তিটি সবচেয়ে বেশি কথা শুনে তিনি হচ্ছেন বিপ্লব’দা। কেন? তার একটি কারণ আপনি উল্লেখ করেছেন তা হচ্ছে উনারও ভাষার ব্যবহার। যত্রতত্র উনি সবাইকে অজ্ঞ, ঠপবাজ এগুলো বলে বেড়ান। কিন্তু তারপরেও বিপ্লব’দা কখনো কাউকে আপনার মতো আক্রমন করে না। এখানেই আপনার আর বিপ্লব’দার পার্থক্য। আপনার প্রতিটি মন্তব্যে বিনয় থাকে কিন্তু সাথে থাকে দম্ভ। আপনি একজন বিশাল জ্ঞানী ব্যক্তি তা প্রতিটি ছত্রে উল্লেখ রয়েছে। এই পরিমান দম্ভ নিয়ে কমিউনিটি ব্লগে বেশিদিন টিকবেন না আগেই বলেছিলাম।
আর বার বার অভজিৎ’দাকে টানাও ভুল। অভিজিৎ’দা আপনাকে নিমন্ত্রণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু সেটা আপনি বিশাল জ্ঞানী বলে নয়। এই ব্লগে যারাই আগ্রহ দেখিয়ে চার/পাঁচটা মন্তব্য করে তাকে মডারেটরদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেটাকে অভিজিৎ’দার ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ ভাবলে ভুল করবেন। তবে আমার মনে হয় এই সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আবার ভাবার দরকার রয়েছে। এভাবে কাউকে সদস্য পদ দেওয়ার বিরোধিতা করে আগেও কোন একটি লেখায় বলেছিলাম। সদস্য পদ দেওয়ার আগে অন্তত একটি হলেও পোষ্ট অতিথি লেখক হিসেবে দিতে দেওয়ার জন্য। একটি লেখাই যথেষ্ট কোন মানুষের আচার/ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য। মন্তব্য নয়। কারোর লেখার সমালোচনা হলে সেই ব্যক্তি উক্ত সমালোচনা কিভাবে হ্যান্ডেল করে সেটাতেই বুঝা যায় ব্যক্তিটি অন্যের মতামতের প্রতি কতটা সহনশীল। জনাব মাসুদ সাহেবের যে কোন প্রকার সহনক্ষমতা নেই সেটা আমার কাছে পরিষ্কার। উনার মতো দাম্ভিক ব্যক্তি ব্লগে খুব কমই দেখা যায়। উনার লেখা থেকেই আমি উদ্ধৃতি করি
এই মানসিকতা নিয়ে মুক্তমনায় লিখতে পারবেন না এ আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
এখানে আরো একটি বিষয় যুক্ত করতে চাই। কেমন যেন সংঘবদ্ধ কোন দলের দেখা পাচ্ছি। মাসুদ সাহেবের লেখাটি এর মধ্যে ৪০ জন্য শেয়ার করেছেন। অনেকটা সোয়াদ সাহেবের গন্ধ পাচ্ছি। মুক্তমনা যে এখন ভালো একটি প্রচার মাধ্যম হয়ে উঠেছে সেটা বুঝা যাচ্ছে। সামুতে নাকি একটি নিক আছে যার আড়ালে একাধিক ব্যক্তি লিখে থাকেন। মাসুদ সাহেবের নিকে মাসুদ সাহেবই লিখেন এতে কোন সন্দেহ নেই, কারণ প্রতিটি মন্তব্যের ভাষা একই। কিন্তু উনার সমর্থনে উনি যেভাবে বন্ধু মহল নিয়ে এসেছেন সেটা দেখে অবাক হতে হয়। উনি আসলে এভাবেই কাজ করনে। তাই অন্যদেরকেও ভাবেন যে আমরাও সবাই বিপ্লব পালের সহযোগী। কিন্তু উনি যে ভালো ভাবে হোমওয়ার্ক করেননি তার প্রমান এই মনগড়া অভিযোগ। না হলে দেখতে পেতেন যে ফরিদ ভাই, বা অভি’দা বা আমি, আমরা কেউ বিপ্লব’দার সমর্থক নই। অনেক ক্ষেত্রেই উনার সাথে তর্ক হয়েছে নানান বিষয় নিয়ে। একটু খানি হোমওয়ার্ক করলেই এই ভুলটা উনারা করতে পারতেন না।
যা হোক, আপনাকে বহিষ্কারের যে আবেদন জানিয়েছেন আমার মনে হয় না কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দিয়ে আপনাকে শহীদ নাম ধরণের কোন সুযোগ করে দিবেন। মুক্তমনা থেকে কাউকে বহিষ্কারের নিয়ম নেই। আপনার লিখতেও কোন বাধা নেই। তবে একই রকমের ব্যক্তি আক্রমনে লেখা বা মন্তব্য করলে একই রকমের প্রতিক্রিয়া পাবেন এটা বলতে পারি। এই ব্যাপারে মুক্তমনার সদস্যদের সুনাম রয়েছে। তারা এই একটি ব্যাপারে বেশ প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করে কেন যেন। উপরে ফরিদ’দা মন্তব্য কিংবা আমার আগের মন্তব্যগুলো আবার খেয়াল করে দেখুন। বিপ্লব’দা না, মুক্তমনার যে কোন সদস্যদকেই কেউ যদি ব্যক্তি আক্রমন করে তবে মুক্তমনার সদস্য হিসেবে সেটাকে প্রতিরোধ করা হবে। একই কথা প্রযোজ্য আপনার ক্ষেত্রেও। আপনাকেও যদি কেউ আক্রমন করে তার প্রতিবাদও হবে। আপনি অবশ্য অভিযোগ করতে পারেন কই আপনার সমর্থনে কেউ তো এগিয়ে আসেনি। এখন পর্যন্ত আপনি আক্রান্ত নন, বরং আপনি সমানে মডারেটর থেকে শুরু করে সকল সদস্যকেই অভিযুক্ত করে যাচ্ছেন, তাই কিছু পাটকেল খাচ্ছেন। আপনি যেদিন আসলেই আক্রান্ত হবেন সেদিন আপনি এই ফরিদ ভাই সহ অনেককেই পাশে পাবেন।
ততদিন ভালো থাকুন এই কামনা করি।
@স্বাধীন, সারা দিন ধরে প্রচুর গালাগালি হজম করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আপনার প্রতিটি কথার উত্তর দিতে পারি। কিন্তু যাবো না এ-জন্যেই যে, ফরিদ আহমেদের গালাগালকে আপনি ‘মন্তব্যের প্রেক্ষিতে’ জায়েজ করেছেন। আপনার অবস্থান স্পষ্ট।
আরিফ অলরেডি বলেছেন, তাকে কতক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিলো। সুতরাং এটি আমার মনগড়া নয়। আক্রান্ত হচ্ছি বলে আপনার কাছে করুণা চাচ্ছি না। আপনি তো নিজেই একজন আক্রমণকারী।
নৌট নিন, সবাই বিপ্লব পালের ভক্ত, তা বলিনি এবং এটি সম্ভবও নয়। তবে বিপ্লব পালের ভক্ত থাকা কি অসম্ভব? প্রতিক্রিয়া থেকেই তো বোঝা যাচ্ছে।
মুক্তমনায় টিকতে না পারলে দারুন বিষয় মিস করবো সত্য। কিন্তু সম্ভবতঃ বেঁচে থাকার অন্য কোনো প্রেরণা পেয়ে যাবো।
ইতোমধ্যে আপনি আরও উচ্চমাত্রায় গালি সঙ্কলন করুন। আপনার সাংস্কৃতিক মানটা বুঝে ধন্য হই।
ধন্যবাদ
@মাসুদ রানা,
আপনার ধৈর্য দেখে অবাক না হয়ে পারি না। জনে জনে সবাইকে যেয়ে গালি দেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন যেন আমরা গালাগালি করার জন্যেই এখানে আসি। আপনি আমাদের সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করছেন সেটারই প্রতিবাদ করছি। আপনার আসলে কোন ইচ্ছেই নেই অন্যদের সাথে একত্রে চলার। একই প্যাচাল পারতে আর ভালো লাগে না। খুদা হাফেজ। অন্য কোন ব্লগে আবার দেখা হয়তো হবে।
@স্বাধীন, দেখা নিশ্চয় হবে! আশা করি, আমাকে গালি দেবার জন্য আপনি একদিন অনুতপ্ত হবেন।
@মাসুদ রানা,
আমি কমপক্ষে চারটি কি পাঁচটি মন্তব্য করেছি। কোন কোন শব্দ গুলো আপনার কাছে গালি মনে হয়েছে আমাকে একটু তুলে ধরুন। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে আপনার সাথে আলোচনার সময় সেই শব্দগুলো পরিহার করে চলতে।
@স্বাধীন,
:-[
হা হা হা…. আমি এখনো একটি লেখাও দিতে পারিনি। আমার তাইলে ব্লগে সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা নাই(আপনার মতে)। :-Y
@আসরাফ,
যোগ্যতা শব্দটি অনেক কঠিন শব্দ, এমন কথা আমি বলিনি এবং বলবোও না। কে যোগ্য আর কে যোগ্য না সেই বিচারের কথা আনা হয়নি আমার মন্তব্যে। :-Y আমি বলেছি যে সদস্য পদ দেওয়ার আগে অন্তত একটি লেখা অতিথি লেখক হয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে। কারোর কোন লেখা না পড়ে, শুধু মন্তব্য পড়ে্, একজন ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় না, আমার মতে। আপনি কি এই ব্যাপারে আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন? তাই অন্তত একটি লেখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করি। সেই হিসেবে যদি আপনার কথাও বলেন, আমি বলবো হ্যা আপনার অতিসত্বর একটি লেখা দেওয়া ফরজ হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি লেখা নামিয়ে ফেলুন একখান :))
@আসরাফ, ব্যাপারটি আপনি আনুগত্যের অর্থে বুঝুন। এটিই পৃথিবী!
এইটা হুমকি নাকি কবিতা? 🙂
@শ্রাবণ আকাশ,
কোরানের আয়াতের মতই কনফিউজিং। শ্রুতিমধুর কিন্তু সমূহ ক্ষতিকর। 🙂
@শ্রাবণ আকাশ, ছেলেবেলায় টেনিদার গল্পে পড়েছিলাম কে জানি জাপানী হাইকু (Haiku) কবিতাকে হুক্কো কবিতা বলেছিলো। আমার তো এটাকে হুমকি-কবিতা ই মেন হচ্ছে। এরকম সুন্দর স্ট্রীম ওফ কনসাসনেস জাতীয় লেখা সহজে চিখে পড়ে না।
মি: রানাকে ধন্যবাদ একটি সুন্দর ঝগড়া-ঝাটি উপহার দেবার জন্যে। প্রত্যেকের প্রতিটি কথার প্রতিউ্ত্তর দেবার মতো ধোৈর্য ওয়ালা লোক স্কুলের গন্ডী পেরোনোর পড়ে আর দেখিনি। আপনাকে স্বাগতম:।
@সফিক, ধন্যবাদ। আপনাদের কাছে আমাদের জেনারেশনের চেয়ে আরও ভালো কিছু আসবে। এটিই প্রত্যাশা। গালি না দিয়ে থাকতে পারার জন্য ধন্যবাদ।
দীর্ঘায়ু হোন।
আপনার এই কথাটাকেই সত্য বলে মেনে নিলাম, যে অনেকে মিলে একজনকে আউটনাম্বার করা উচিত না। আমি আপনাকে কর্নার করবো না বরং আপনার প্রতিই আমার বেনিফিট অফ ডাউটই থাকলো। বস্তুত, বিপ্লব পালকে জড়িত করে এমন কোন ডিসপিউটে আমার বেনিফিট অফ ডাউট সর্বদাই সেইদিকেই পড়বে বিপ্লব পাল কিনা যেই দিকের বিপরীতে অবস্থান করছে!
আর বার বার বিদেয় হওয়ার কথা বলছেন কেনো? মুক্তমনা থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার হতে দেখিনি, আপনার এই এপারেন্ট এলিগেশন সম্পুর্ণই ভিত্তিহীন। বহিষ্কার করাতো দূরে থাকুক মুক্তমনা বরং ফারুকের মতো অপবিজ্ঞানবাদী বোধশুণ্য ইসলামিস্ট জার্কদের প্রতিও উদারতা প্রদর্শন করে থাকে এমনকি। আপনি একটা পোস্ট লিখেছেন, কোন না কোন কারণে সেটি মেস-আপে পর্যবসিত হয়েছে। This nohow equates to বহিষ্কারাদেশ, ঠিকাছে? বস্তুত মুক্তমনা আসলেই কাউকে বহিষ্কার করতে চাইলে খুব সম্ভবত আমাকেই সবার আগে করাটা যুক্তিসঙ্গত হতো, কেননা আমি তিনটি পোস্ট লিখলে তার মধ্যে অন্তত একটি মেস-আপ এ পর্যবসিত হয় 🙁 ! আপনার এই বহিষ্কাদেশের আশঙ্কা আসলেই খুব লজ্জিত বোধ করাচ্ছে, অন্তত আমাকে। আর অভিজিত রায় আপনাকে আমন্ত্রন জানিয়েছে এটা বার বার সকলকে মনে করিয়ে দিয়ে কিন্তু আপনি অভিজিত রায়কেই অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছেন খুব সম্ভবত। অভিজিত রায় যদি আপনাকে আসলেই আমন্ত্রন জানিয়ে থাকে, তবে আমি নিশ্চিত আসলেই আমাদেরকে দেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে আপনার। তাই অনুরোধ থাকলো না যাবেন না, বরং যেই মেস-আপ হয়েছে সেটা রিকভার করুন; যদি পারেন, তবে হাস্যকর হলেও সত্যি যে এখন আপনি যাদেরকে ‘দলবেঁধে আমাকে আক্রমন করছে’ বলে অভিযুক্ত করছেন, তাদের চেয়ে আপনার অবস্থানই হবে অনেক অনেক বেশী শক্ত এবং গ্রহনযোগ্য, আপনাকেই জয়ী করবে সেটা।।
এই জিনিষটি আপনি আপত্তিকর আপত্তিকরভাবে ভুল বুঝছেন। আপনার উপরোক্ত মন্তব্যটির আন্ডারটোন কি এই-ই না যে- ‘মুক্তমনার প্রত্যেকটি সদস্যই বিপ্লব পালের ভক্তজন?’ আপনি নিজে বিপ্লব পালকে আপনাকে ঠগবাজ বলার জন্য গালি দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করছেন, আর অন্যদিকে মুক্তমনার সকলকেই বলছেন ‘বিপ্লব পালের ভক্তজন’, এইটাও কি একটা প্রায় গালি দেওয়ার সমানই নয়? কে বিপ্লব পালের ভক্তজন? আমি আপনাকে একটা ৫০টাকার স্টাম্পে লিখে দিতে পারি, আপনি যদি দশজন মুক্তমনা সদস্যদেরকে নাম ধরে বলেন যে- এই এই ব্যক্তিরা বিপ্লব পালের ভক্তজন, সেই দশজনের মধ্যে নয়জনই আউটরাইট এই অভিযোগের বোগাস এলিগেশনের তীব্র তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। বিশ্বাস না হলে নিজে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার এই কথাটা বলা উচিত হয়নি। মুক্তমনার সদস্যরা যথেষ্টই সেন্সিবল, এবং কেউই বিপ্লব পালের ভক্তজন নয়।
না অবশ্যই না। আপনি যদি নিয়মিত এই ফোরামে চোখ রাখেন এটা আপনার চোখ এড়িয়ে যেতে পারেনা কোনভাবেই যে- বিপ্লব পালের এইসমস্ত সোস্যাল ইন্টার্যাকশন ডিজঅর্ডার সংখ্যাগুরু মুক্তমনা সদস্যই প্রস্রয় দেয় না। এবং দয়াকরে মুক্তমনা সদস্যদেরকে এইটুকু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও ম্যাচিউর্ড মনে করে সন্মানযুক্ত করুন যে- নিজেকে যে জাহির করে সে কতোবড় জার্ক এটা গজকাঠিতে মেপে নেওয়ার বুদ্ধি বিবেক মুক্তমনা সদস্যরা ধারণ করে এবং সকলকে যে অজ্ঞ বলে, সে নিজে যে কতোটা বিজ্ঞ এটারও একটা রাফ এস্টিমেশন নির্ধারণ করার বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা এই ফোরামের সদস্যদের রয়েছে।
ফাইনালি, আপনার আরও লেখা চাই এছাড়াও চাই মেস-আপ যা হয়েছে তার ক্লিল-আপ শিগ্গিরই শুরু হবে। ভালো থাকবেন।। আর এইসব ব্যাপার না ইজিটেইক করুন, আমরা জটিল জটিল এবং চরম কম্পিটেটিভ ভার্টিব্রেট, কমপ্লেক্স আমাদের জীবন এবং ততোশিকই কমপ্লেক্স আমাদের দ্বন্দ্ব এবং সংঘাত। হাওএভার এই সবকিছু ছাপিয়ে আশার কথা হচ্ছে সকল ক্ষতিই রিকভারেবল। ছেলেমানুষী যেনো আমরা না করে বসি। (F)
@আল্লাচালাইনা, আপনি তো ভাই মজার মানুষ! মাসুদ রানা কখন বলেছেন যে ‘মুক্তমনার সকলেই বিপ্লব পালের ভক্ত’? কৌট করা বাক্যগুলো থেকে আমি বুঝলাম যে, মাসুদ রানাকে ঐ পোস্টে যারা গাল দিচ্ছেন তারা বিপ্লবের ভক্তকূল। আর আপনি বুঝছেন যে, সকলেই বিপ্লবের ভক্তকূল?
দৃশ্যতঃ বিপ্লব পালের ইংরেজি বাক্য বুঝতে অসুবিধা হয়, আপনার দেখা যাচ্ছে বাংলাও হয়? হতেই পারে। সেটা মোটেও বড় কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সেই অসুবিধাটিকে নির্ণয় করতে না পারা। যার ফলে এই ‘ভুল’ বুঝার উপর ভিত্তি করে আপনি ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পর্যন্ত দৌড়ে গেছেন! আপনি কি স্ট্যাম্প-দলিল-পত্রাদি’র সাথে কোনভাবে জড়িত?)
আপনার গালাগালও দেখছি মুক্তমনার নীতিমালার ফিল্টারে আটকা পড়ছে না! একজন সহব্লগারকে (ফারুক) অপবিজ্ঞানবাদী বোধশুণ্য ইসলামিস্ট জার্ক বলতে আপনার না বাঁধতে পারে, কিন্তু মুক্তমনার নীতিমালায় কেন তা আটকাচ্ছে না সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি!
আপনার মন্তব্যে আরো ন্যাক্কারজনক ব্যাপার আছে। বহিষ্কাদেশের আশঙ্কাকে আপনি ‘বোগাস এলিগেশন’ও বলেছেন – তার ফলে নাকি আপনি আবার লজ্জাও বোধ করছেন! উপরে দেখুন, হেলাল কেবল বহিষ্কারের কথা বলেনই-নি, পরে তার জন্য আন্তরিক দুঃখও প্রকাশ করেছেন। মন্তব্যগুলো মন দিয়ে না পড়ে, মনগড়া কথা বলে এই একবার ‘মেস-আপ রিকভার করার’ উপদেশ দিচ্ছেন তো একবার লজ্জা পাচ্ছেন, আবার স্ট্যাম্প আনতে কৌর্টে দৌড় লাগাচ্ছেন! ইংরেজী বাংলা মিশিয়ে আরো কী কী যে বললেন, সে গুলোতে আর না-ই বা গেলাম।
একটা মন্তব্যেই এতগুলো ‘মহান কর্ম’ করে ফেলা সহজ কাজ নয়, আপনাকে অভিনন্দন।
@আরিফ রহমান,
😀 আজব ব্যাপার!!!!! এই থ্রেডে মাসুদ রানাকে উদ্দেশ্য করে যেই কয়েকটা মন্তব্য এসেছে আমার মনে হয় তার মধ্যে আমারটাই সবচেয়ে বেশী টলারেন্ট এবং ব্যালেন্সড। অথচ আপনার প্রতিমন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে যে- আমিও মাসুদ রানা কথিত দলবেঁধে আক্রমনকারীদেরই একজন! ইন্টারেস্টিং না??? হেলাল কি বলেছে সেটাতো সম্পুর্ণই তার নিজস্ব অভিমত, মুক্তমনার অভিমত সেটা অবশ্যই প্রতিফলিত করে না। এমনকি আমি এটাও বলেছি যে- মুক্তমনার কোর্স অফ কন্ডাক্টও প্রতিফলিত করে না যে পুর্বে কাওকে মুক্তমনা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
অঃ…তাই বুঝি ব্রাদার? কি কি যে আপনাদের সংজ্ঞায় গালিগালাজ আর কি কি যে মৃদুভাষণ এইটা নিয়াই বড্ডো কনফিউশনে পড়ি গেছি!!!
@আরিফ রহমান,
আমাকে এর চেয়েও উচ্চমার্গের গালাগালিতে উনি অভ্যস্ত। মুক্তমনার নীতিমালা দেখিয়ে লাভ হয় নি। (মডারেটর বা মুক্তমনাদের কেউ দেখায় নি আমি দেখিয়েছিলাম)। অবাক হওয়ার কিছু নেই। আল্লাচালাইনার মতো ব্লগারের যেমন অভাব নেই , তেমনি সময়ে খড়গহস্ত আর সময়ে ঘুমিয়ে পড়ার মতো মডারেটরদের ও অভাব নেই। ইনহাস্ত (ওয়াতানাম) ব্লগানাম।
হা হতোস্মি!
ব্যপারটা অনেকটাই ফলস স্টার্টের মত হয়ে গেল। এখানে পরিস্হিতি যেটা এখন বিরাজ করছে তা কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। অন্যান্য অনেক ব্লগে নানা কিসিমের ব্লগার থাকলেও মুক্তমনায় রানা সাহেবের সমান বা তাঁর চেয়েও উঁচু stature এর ব্লগার আছেন যার তাঁদের stature উল্লেখ না করেই ব্লগিংয়ে অংশ নেন। ব্লগিংয়ে stature নয় বরং substance সবচেয়ে বড় জিনিষ।
আমি নিশ্চিত যে ক্রিটিক লেখার বদলে উনার নিজস্ব বিষয়ের উপর মৌলিক লেখার ক্ষমতা রানা সাহেবের আছে যা থেকে সবাই উপকৃত হতে পারেন। উনি যেভাবে রিয়্যাক্ট করেছেন তা যে কোন নতুন সদস্যের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে কারন সবাইয়ের এনডিউরেন্স ক্ষমতা এক রকম নয়। সবার সাথে মিলেমিশে চলাটা ব্লগিংয়ে খুবই জরুরী ভিন্নমত , প্রকাশের সময়ও। একজন সফল ব্লগার কাউকে না চটিয়েও মনের ভাব প্রকাশ করতে জানেন। প্রফেশনাল জগতে যে অথরিটি থাকে , সেটা ব্লগিংয়ে আশা করাটা ঠিক হবে না। আমরা কেউই তা করিনা।
আমি সবাইকে অনুরোধ করবো শান্ত ভাবে বিষয়টার এখানেই ইতি টানতে। এডমিন কিছু আলাপ করতে চাইলে সেটা রানা সাহেবের সাথে প্রাইভেট পর্যায়ে করতে পারেন। এখন সাদা পতাকা ঝুলানোর সময়।
@সংশপ্তক, আপনি প্রকৃতই ভদ্রজন। দয়া করে আগেই ধারণা করে নিবেন না প্লীজ।
আমি অত্যন্ত বিনীতভাবে বলি, আমার চেয়ে অনেক অনেক উঁচু stature এর ব্লাগার এখানে আছেন। বিশ্বাস করুন, আমি নিজেকে উঁচু stature এর মনে করি না। এটি বিনয় নয়। সত্য।
আমার বুদ্ধি সাধারণ, কিন্তু সম্ভবতঃ আহাম্মক নই। তবে, টাকা-পয়সার ব্যাপার বেশ কয়েক বার মানুষকে বিশ্বাস করে ঠকেছি, সে-জন্য মাঝে-মাঝে নিজেকে বোকাও মনে হয়। কিন্তু মানুষকে অবিশ্বাস করলে আমি আমার চরিত্রের যা হারাবো, তার মূল্য হারানো টাকা পয়সার চেয়ে বেশি বলেই মনে হয়। তবে নিশ্চিত নই।
সিক্যুয়েন্স লক্ষ্য করুন। ভুল হলে বলুন।
১) আমি ব্লগ লিখেছি অভিজিতের নিমন্ত্রণে।
২) ব্লগে বিপ্লব পালের ৪টা ভুল উল্লেখ করেছি – অবজেক্টিভলী।
৩) প্রথম মন্তব্য বিপ্লব পালের। তিনি শুরু করলেন আমাকে ‘ঠগবাজি’ শব্দ-যোগে গালি দিয়ে।
৪) আমি প্রতিবাদ করে তাকে সতর্ক করে দিলাম যাত গালি না দেন।
৫) সাথে-সাথে শুরু হয়ে গেলো আর গালি বিভিন্ন দিক থেকে।
আপনার প্রতি আমার প্রশ্নঃ
১) আমি প্রকাশিত লেখার সমালোচনা করতে পারি না?
২) আমার ধরা ভুলগুলো ঠিক না ভুল? উত্তর কেউ দিচ্ছে না।
৩) আমাকে বিপ্লব পাল যে গালি দিলেন, এখানে আরিফ ছাড়া কেউ উল্লেখ করছেন না।
৪) আমি কি গালির প্রতিবাদ করতে পারি না?
৫) আমি কি কোনো গালি দিয়েছি?
দয়া করে উত্তর দিন। আপনি আপনার ন্যায়বোধ ব্যবহার করুন।
ধন্যবাদ
@মাসুদ রানা,
প্রশ্ন হচ্ছে যে , আমার লেখার ভুল ধরে সমালোচনা যদি আপনি একইভাবে করে সমজাতীয় একটা পোস্ট দিতেন তাহলে আমার মধ্যে প্রতিক্রিয়া কি রকম হতো। এর উত্তর হচ্ছে যে, আসলেই ভুল হয়ে থাকলে আমি সেটা স্বীকার করে নিতাম এবং ভুল ধরে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতাম। ইগো আর সুপার ইগোর মধ্যকার টানা হেঁচড়ায় যেতাম না। এর কারন আমি এমন সব জিনিষ নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত যেখানে ভুল ধরে দেওয়াটাকে আশীর্বাদস্বরূপ বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্ত সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।
এজন্য সুপ্রাচীন কাল থেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় স্হান-কাল-পাত্র সব সময় ওজন করে দেখার পরামর্শ দেয়া হয়। জার্মান সংস্কৃতিকে বলা হয় ‘নো- ননসেন্স’ সংস্কৃতি কেননা সেখানে সরাসরি কথা বলা এবং শোনার চর্চা রয়েছে। বাঙালী সংস্কৃতি এখন পর্যন্ত ঔপনিবেশিক কেরানী সিনড্রোম থেকেই বেড়িয়ে আসতে পারেনি , সমালোচনার নামে সাধারনত কাদা ছোড়াছুঁড়ি করাটাই নিয়ম । কেউ ভুল ধরলেই সাহেবদের বুটের কথা স্মৃতিতে ভেসে উঠে এবং ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে নেতিবাচকভাবে সেটাকে দেখা হয়। আমি অত্যন্ত খুশী যে কোন বাঙালী কিংবা দক্ষিন এশীয় মানব-মানবীর সাথে আমাকে কাজ করতে হয় না যেটা আবার একই সাথে অতীব দূঃখের বিষয়ও বটে। (@)
যাহোক , এসব ভুলে গিয়ে কিছুদিন পর কগনিটিভ প্যাটার্নের উপর কিছু একটা লিখে ছেড়ে দিন। মানব কগনিশন নিয়ে আমার ষথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। উপরন্তু , রাজনীতি , ধর্ম ,লিঙ্গনীতি , যৌননীতি ইত্যাদি বিষয় কখনই আমার চায়ের পেয়ালা ছিলো না। (@)
@মাসুদ রানা,
আপনাকে বিদায় হওয়ার কথা বলা আমার ভুল হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কাউকে বিদায় করার পক্ষে আমি নয়।
কিন্তু ফরিদ ভাইয়ের কাছে ই-বার্তায় যা বলেছেন এ জন্য কি একবারও আপনার ভুল স্বীকার করেছেন?
আপনার লেখা ব্লগে দেরিতে আসতে পারে যদি আপনি লগইন না করে লিখেন। এটা আমারও প্রায়ই হয়, ভুলে যায় লগইন করতে। এ ক্ষেত্রে আপনি ই-বার্তায় মডারেটরকে জানাতে পারতেন কেন আপনার লেখা আসতেছে না। আপনি যদি উত্তর পেতেন যে আপনার লেখা যাচাইয়ের পর আসবে তখন না হয় আপনি অভিযোগ করতে পারতেন। আর ঐ বার্তায় কি আপনার মনে হয়না যে আপনি ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করেছেন? আপনার পরিচিতজনদের সাথে কি আপনি এভাবেই ব্যবহার করেন?
আর এখানে অবশ্যই সমালোচনা করা যাবে, তর্ক করা যাবে শুধু ব্যক্তি আক্রমণ করা যাবে না। মুক্তমনা দিন দিন দ্রুত প্রসার হচ্ছে এর একটা বড় কারণ কাদা ছোড়াছুড়ি নাই। কেউ এসে তা করলে আমার মত সাধারণ পাঠকের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
যাই হোক আপনি যোগ্য লোক, আশা করি যোগ্যতার পরিচয় দিবেন।
মাসুদ রানা,
অতীতে কিছু ভাল কন্সট্রাক্টিভ মন্তব্যের কারণে আপনাকে একাউন্ট এক্সেস দেয়া হয়েছিল। একাউন্ট দেয়ার অর্থ এই নয় যে, প্রথম লেখা থেকেই ব্লগারদের বিরুদ্ধে ঝগড়া ফ্যাসাদ বাধিয়ে বসবেন। আমি নিজেই বিপ্লবের লেখার বড় সমালোচক। বিপ্লবও আমার। আমি যখন বিবর্তন মনোবিজ্ঞান নিয়ে কোন লেখা লিখি – আমি জানি সবচেয়ে বড় সমালোচনাটা বিপ্লবের পক্ষ থেকেই আসতে যাচ্ছে। তা বলে আমাদের মতান্তর ঝগড়াঝাটিতে রূপ নেয়া না। আপনি (এবং আপনার মতই যারা) আপনার বক্তব্যের কিংবা যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন তার সমালোচনা করছেন – তারা সবাই বিপ্লবের সমর্থক কিংবা চামচা এটা ভাবলে কিন্তু বড় ভুল হবে। আমি তো বিপ্লবের দর্শনের ঘোর বিরোধি, আপনি মুক্তমনায় খুঁজলে ফরিদ আহমেদেরও বহু লেখা পাবেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিপ্লবের ধারণাকে রিফিউট করা বেশ কিছু লেখা তার পেইজেই আছে। আমার মনে পড়ে না যে, কারো সাথে মতান্তরের কারণে ব্যক্তিগত ইমেইল করে কাউকে থ্রেট করার কোন প্রয়োজন পড়েছে আমার কখনো। কাজেই আপনার বক্তব্যের বিরোধিতা মানেই কেউ বিপ্লবের পক্ষে ওকালতি করছে ভাবলে – এটা আমার চোখে ফ্যালাসি অফ বাইফারকেশন ছাড়া আর কিছু নয়।
একটি কথা বলে রাখি – কেবল ভাল লেখা কিংবা কত জোরালোভাবে যুক্তি উপস্থাপন করছেন তা নয়, লেখার পাশাপাশি অন্য সদস্যদের সাথে আন্তঃসংযোগের ধাঁচ সহ অনেক কিছুই সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারটি মাথায় রাখতে অনুরোধ করছি। ব্লগে এসে প্রথমেই অযথা ঝগড়া ফ্যাসাদ করে পরিবেশ নষ্ট করা মোটেই কাংক্ষিত নয়। এটা আপনার জন্য, এবং আপনার বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করছে সবার জন্যই প্রযোজ্য।
@অভিজিৎ,
দাদা
আপনার মন্তব্যটা আমি আরো আগেই আশা করেছিলাম। আমার মনেহয় তাহলে এতটা ঝামেলা হতো না।
@আসরাফ,
আরে অফিসের ঝুট ঝামেলায় আর কিছু দেখারই সময় পাই নাই এই কয়েকদিন। আশা করছি এখন থেকে নজর রাখব।
@অভিজিৎ, ধন্যবাদ নিমন্ত্রণের জন্য। নিমন্ত্রণ প্রত্যাহার গালাগাল হজম করেই চলে যাবো।
আপনি নিমন্ত্রণ না করলে এখানে ভর্তিই হতাম না। আপনি দৃশ্যপটে এসে ভালোই করেছেন।
প্রথমতঃ আপনার উপরের অভিযোগগুলো আমি প্রত্যাখান করছি। কারণ এগুলো ঠিক নয়। কিন্তু আমারতো দাবী করলেই চলবে না, প্রমাণ করতে হবে।
চলুন আমরা প্রকৃত অর্থেই বিতর্ক করি। আমি আপনার মন্তব্যগুলোকে চ্যালেইঞ্জ করতে চাই। অনুমতি দিচ্ছেন? নিচে কিছু নিয়ম প্রস্তাব করছিঃ
(১) গালি দেয়া যাবে না। যেমন, ‘মাতাল’, উদ্ধত, ‘হামবড়া’।
(২) প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছু আরোপ করা যাবে না। যেমন, ‘আপনি পড়েননি’।
(৩) কোনো উত্তর এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
আমার প্রস্তাবিত তিন-নীতির অধিক কিছু যুক্ত করতে চাইলে দয়া করে যুক্ত করুন।
তবে আমি চাই বিতর্ক হোক।
অপেক্ষায় থাকলাম।
@মাসুদ রানা,
আমাকে অযথা আর চ্যালেঞ্জ করতে হবে না। আপনার নিয়ম ঠিক আছে। ‘মাতাল’, উদ্ধত, ‘হামবড়া’ বলা সত্যই অন্যায়। ঠিক একইরকম অন্যায় যখন কেউ বলেন – “আপনি ভালো হাতে পড়েছেন। সুতরাং সাবধান!” কিংবা “পাড়া’র সর্দার হয়েছেন?” কিংবা “গীতার মতোই অমোঘ বাণী” – এগুলো মন্তব্য কেউ করেন। আর ব্যক্তিগত ইমেইল করে থ্রেট করা তো রীতিমত অশোভন। আমি বার বারই বলছি -চলুন পরিবেশ উন্নত করি। আপনার তরফ থেকে এখনো দেখলাম না আপনি বলছেন যে, ‘হ্যা আমারো ভুল হয়েছিল, কিছু বিশেষণ প্রয়োগ করায়’।
আপনি কি চান কেবল কাসুন্দি ঘাটতে, নাকি যা ঘটেছে ভুলে গিয়ে সামনের দিকে তাকাতে?
@অভিজিৎ দা,
এ ক ম ত।
একারণেই ওপরে মন্তব্য করেছি–
আমি মুক্তমনাকে মু্ক্তমানাই মনে করতাম। এখন মনে হচ্ছে কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন। মনে হচ্ছে বুদ্ধি আর যুক্তি এখন অন্তর্জালের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর সম্পত্তি। আমরা বাঙ্গালীরা ইমোশনাল ফুলস -ই থেকে গেলাম দূর্বিনীত এবং ভীত নতুন কোন challenge এর প্রতি। বূঝলাম মাসুদ রানা অন্যায় করেছেন কিন্তু এর বিরুদ্ধে যে ব্লগের মুরব্বীরা লেগে গেলেন সেটা শোভন দেখাচ্ছেনা।
মুক্তমনার মডারেটরদের উপর আক্রমণ আগেই অনেক দেখেছি কিন্তু এরকম উদ্ধত আর প্রায় নির্বোধ ভাষায় আক্রমণ দেখিনি। পাঠক-লেখকদের ভালবাসায় মুক্তমনার আরো এগিয়ে যাবে,এসব “ডিগ্রিধারী”,”যোগ্য” মানুষদের বাজে কথায় ব্লগের কোনো ক্ষতিই হবেনা। কেও ফরিদদার মত মডারেটরের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে বলতে চাই,পারলে আপনি মুক্তমনার মত সফল,পাঠকপ্রিয় একটি ব্লগ দিনের পর দিন সফলভাবে পরিচালনা করে দেখান। কাজটি আপাতভাবে সহজ মনে হলেও আসলে যে কতটা ঝামেলার ও কতটা ধৈর্য লাগে অনেকের সেটা মাথায় আসেনা।
@রামগড়ুড়ের ছানা, আপনার ফরিদদার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি। প্রশ্ন তুলেছি তার গালি দেবার স্পর্ধা নিয়ে। গালির প্রতিবাদ করা ন্যায়সঙ্গত।
মুক্তমনা সফল বলেই তো এখানে আসা। তবে এ-রকম ভাবা ঠিক নয় যে পৃথিবীতে যা আছে, এটিই চূড়ান্ত।
গালি ছাড়া আর কিছু আছে আপনার?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
এ ক ম ত। (Y)
@ মাসুদ রানা
দেখুন জীবন নিতান্তই এতই ছোট- কুস্তি না করে আমরা শিখতেও পারি।
আপনার অবস্থান হচ্ছে মার্কসবাদ “রাজনৈতিক” বিপ্লবকে সূচিত করে। পৃথিবীর আরো 99.9999% মার্কসবাদিই তাই মনে করে। কারন মার্কসের জীবন এবং লেখাতে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আপনিও তার দুচার চরন তুলে দিয়েছেন কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্টো থেকে।
কিন্ত এর বাইরেও ত অনেক কিছু থাকতে পারে? মার্কসবাদে যা সবাই জানে, সেটা নিয়ে লেখার আমার মাথা ব্যাথা হবে না -কারন বাংলাতে মার্কসবাদি বিপ্লব নিয়ে ভুরি ভুরি লেখা আছে। আপনি যা লিখছেন তা সবাই জানে। আমি কিন্ত তাই নিয়ে লিখছি না।
বার্নস্টাইনের সময় থেকেই মার্কসবাদের বিবর্তনীয় ব্যখ্যার একটা ধারা চলে আসছে যাদের কমিনিউস্টরা রিভিশনিস্ট বলে। কিন্ত সেটাও মার্কসবাদের একটা ধারা হিসাবেই গ্রহণযোগ্য এবং সেই ধারারও দীর্ঘ বিবর্তন আছে।
ব্যাপারগুলো অত সহজ না। মার্কস যেমন বিপ্লবী ছিলেন তেমন পয়সার অভাবে বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ইনফর্মার ও ছিলেন। দুটোই প্রমানিত সত্য। তাহলে মার্কস বিপ্লবী না বিপ্লব বিরোধি বুর্জোয়া?
এই জিনিসগুলো নিয়ে এই ভাবে ব্লাঙ্কেট আলোচনা করা যায় না। এর জন্যে ধর্য্য ধরতে হয়। আপনার প্রথমেই বোঝা উচিত, প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে যখন আমি মার্কসবাদ নিয়ে লিখছি, তার পেছনে একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে। আপনি অপেক্ষা করুন।
@বিপ্লব পাল,
আপনার আরো যত কথা আছে সবই শুনতে চাই, কিন্তু সবার আগে মাসুদ রানা আপনার প্রবন্ধে যে ৪টি ত্রুটি নির্দেশ করেছেন, সে সম্পর্কে মুখ খুলুন দয়া করে। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বলুন তাহলে সকলেরই বুঝতে সুবিধা হবে।। মাসুদ রানার সমালোচনা যদি বেঠিক হয় তাহলে সেটা বলুন, ব্যাখা করে বুঝিয়ে দিন – তিনি সংশোধন করার সুযোগ পাবেন।
(প্রসঙ্গতঃ দয়া করা বিশেষণ দেবার নাম করে গালাগাল দেবেন না, বিশেষণ ছাড়াই কথা বলুন।)
@বিপ্লব পাল, আপনার প্রথম বাক্যকে স্বাগত জানাই। ‘কুস্তি না করে শিখতে পারা’ যদি মীন করুন, তাহলে দয়া করে বলুন, প্রথমেই ‘ঠগবাজি’ শব্দ-যোগে গালি দিয়ে শুরু করলেন কেনো? আমি তো আপনাকে গালি দিইনি।
দ্বিতীয়তঃ যদি সত্যি জ্ঞান অনুসন্ধানী হোন, স্বীকার করুন মার্ক্সের কৌটেশনের বাংলা অনুবাদে ও ব্যাখ্যায় ভুল করেছেন। তা-নাহলে বলুন, আমার ভুল ধরায় ভুল আছে। দেখিয়ে দিন, কোথায় ভুল করেছি আপনার ভুল ধরতে। সবার সামনে বলছি, স্বীকার করে নেবো।
তৃতীয়তঃ যদি মনেই করেন যে, আমরা সবাই সবার কাছ থেকে শিখতে পারি (যা আমি আন্তরিকভাবে মনে করি), তাহলে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে না জেনে, না-জিজ্ঞেস করে কীভাবে বলতে পারেন ‘আপনি পড়েননি’, ‘আপনি জানেন না’, ‘বোঝার সামর্থ্য নেই’? একই কথা কিন্তু আমিও আপনাকে বলতে পারি। কিন্তু বলিনি। কারণ, আমরা কেউ কাউকে এভাবে বলার অধিকার রাখি না। জ্ঞানের কথা না হয় বাদই দিলাম। আর নিউটন তার নিজের জ্ঞানের বিষয়ে কী বলেছিলেন, সে-কথা আর এখানে উল্লেখ করলাম না।
আমি বার-বার আপনাকে বলেছি, মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ, ইত্যাদি আমার প্রস্তাবনা নয়। একে ডিফেন্ড করতে আমি বাধ্য নই। মার্ক্স বা লেনিন ঠিক ছিলেন না কি ভুল ছিলেন, তাতে তো আমি যাইনি। কিন্তু আপনি যদি রেফারেন্স ভুল করেন, তাহলে তো ভুল ধরতেই পারি। পারি না? আমি প্রমাণ সহকারে বলেছি, মার্ক্স বলেছে বলে আপনি যা বলেছেন, সেটি ঠিক নয়, ভুল।
আপনি আমাকে লেনিনের লেখা উল্লেখ করে ‘মার্ক্সবাদী সাহিত্যের গভীরে’ প্রবেশ করতে বলেন। এটিতো আমার প্রসঙ্গ নয়। আমি কেনো আপনার সাথে প্রবেশ করতে যাবো? তাছাড়া আমি যেহেতু দেখিয়েছি যে, আপনি পাঠে ভুল করছেন, সেক্ষেত্রে আমি তো আপনার সাথে পাঠে প্রবেশ করার নিমন্ত্রণ গ্রহণ না-ও করতে পারি।
আপনি বললেন, আমি মার্ক্সবাদের সবার-জানা কথা বলছি। হ্যাঁ, সবার জানা কথাই বলছি। আমি সবার চেয়ে আলাদা ভাবে মার্ক্সে গোপন লেখা আবিষ্কার করিনি। আর যা বলছি, তা মন থেকে বলছি না, বই থেকে বলছি।
আপনি, মার্ক্স সামাজিক বিপ্লব নয়, সামাজিক বিবর্তন ইঙ্গিত করেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু আমার মতো অনেকেই জানে, তিনি অস্থিত্বশীল ব্যবস্থার সবল উচ্ছেদ ও বিপ্লবের কথা বলেছেন। তিনি যে তা বলেছেন, সে-তো দেখালাম তার লেখা তুলে এনে।
মার্ক্স যদি পরে তা প্রত্যাহার করে থাকেন এবং আপনার কাছে সে তথ্য থাকে, আমি জেনে যার-পর-নাই কৃতজ্ঞ হবো। কিন্তু তা দেখানো আগে পর্যন্ত আমার বোঝার সামর্থ্য নেই বলে আপনি কী অর্জন করতে চান? আমার বোঝার সামর্থ্য নেই বললে কি মার্ক্স যে বিপ্লব চান না তা প্রমাণিত হয়ে যায়?
আপনি যখন মার্ক্সবাদ নিয়ে লিখছেন, তার পেছনে একটা দীর্ঘ ইতিহাস আছে? কিন্তু আপনার ইতিহাস জানা কি আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে?
কথা হচ্ছে রীয়েল টাইমে। নির্দিষ্ট বিষয়ে – আপনার মার্ক্সের ব্যাখ্যা নিয়ে। আপনার পরবর্তী লেখার জন্য আমাকে বর্তমানের লেখা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অপেক্ষা করতে হবে কেনো?
ধন্যবাদ।
@মাসুদ রানা,
আপনি ত নিজেকে ভাষাবিদ বলে দাবি করেছেন। এবার বলুন ঠগবাজি এবং ঠগবাজের মধ্যে পার্থক্য কি? আপনার চ্যালেঞ্জের পদ্ধতিকে ঠগবাজি বলা হয়েছিল এবং কারন ও আমি কমেন্টেই লিখেছি। কাউকে ঠগবাজ বলা গালি দেওয়া। সেটা ত করি নি। আপনার “রিফিউটেশন” পদ্ধতিকে ঠগবাজি বলা হয়েছে বা গালি দেওয়া হয়েছে। লেখাকে গালি দেওয়া এবং ব্যাক্তি মাসু্দ রানাকে গালাগাল দেওয়া এক না কি? আপনার গভীর ভাষাতত্ত্ব কি বলে?
এর উত্তর আমি আগে্র লেখাতেই দিয়েছি। বার্নস্টাইন একটু পড়েই দেখুন না। অনেক কিছু নতুন জিনিস ও জানতে পারবেন। না হলে অপেক্ষা করুন। হেগেলিয়ান ডায়ালেক্টিকে জনবিপ্লবের তত্ত্ব কোথা থেকে আসতে পারে-এই প্রশ্ন আমি ত শুধু করি নি। আরো অনেক দার্শনিকই করেছেন গত এক শতাব্দি ধরে। বিপ্লবী জীবনের ব্যার্থতাতে [ এবং বিপ্লবের ব্যার্থতাতেও] মার্কসও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন। ব্যাপারটা কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্টোতে মার্কস কি লিখেছেন শুধু তাই দিয়ে ভাবলে, সরলীকরন হবে এবং সেক্ষেত্রে আমার কি এই লেখার দরকার ছিল?
এটা আপনি ভুল বুঝেছেন। আমার ইতিহাস আপনাকে জানতে বলি নি। এই বিপ্লব না বিবর্তন-সেই বিতর্কের ইতিহাসের দিকে নির্দেশ করেছি।
দেখু্ন আপনি ত মনোবিজ্ঞানের লোক। আমি মনো্বিজ্ঞানী নই-তবে সামান্য যেটুকু বুঝছি-আপনি মুক্তমনার সদস্যদের একটা “স্টিরিওটাইপিং” করতে চাইছেন-সেটাত যুক্তি সম্মত বা বিজ্ঞান সম্মত না। ঠিক আছে, আমার বঙ্গানুবাদ পছন্দ হয় নি-আমি ভুল লিখেছি। সেটা লিখতেই পারেন। কিন্ত তার সাথে লিখে বসলে্ন আমি বাংলা বা ইংরেজি জানি না। সেটা ত ব্যক্তিগত আক্রমন যদিও তাতে আমার কিছু যায় আসে না-ভাষাতে নিজের দুর্বলতা বরাবরই স্বীকার করে নিয়েছি। নেহাৎ লিখতে ভাললাগা বলে লেখা। একটু শেখার জন্যে লেখা। তার জন্যে এত কুস্তি কসরৎ খিস্তির কোন দরকার নেই।
আপনি ভুল ধরাতে চান স্বাগতম। সেটা নিয়েই লিখুন। আমি পালটা উত্তর দিতাম। লেখাকে গালাগাল দিন-লেখককে খামোকা টানাটা শীলনতা বিরোধি।
@বিপ্লব পাল, আমি নিজেকে কখনও ভাষাবিদ বলে দাবী করিনি। করেছি কি? কোথায়? কখন? আপনি আমাকে অনেক কিছু ধরে নিচ্ছেন। আশ্চর্য্য! দয়া করে আপনার শব্দগুলো আমার মুখে ঠেসে দেবেন না।
‘ঠকবাজি’ ও ‘ঠগবাজ’ শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই আছে। সিমান্টিক বিশ্লেষণে না-গিয়েই বলিঃ এ-পার্থক্য নির্দেশের মধ্য দিয়ে গালি দেয়া কর্মটি বাতিল হয়ে যায় না। আমি যদি আপনাকে ‘চোর’ না বলে বলি ‘আপনি চুরি করেছেন’, তাহলে কী দাঁড়ায়? ওয়েল, আমি বলতে পারি, আমিতো আপনাকে চোর বলিনি! আপনি বলেছেন, ‘আপনি প্রথমেই ঠগবাজি দিয়ে শুরু করলেন’।
আমার ভাষাবোধে বলে, ওটি একটি গালি। আমি এটিকে একটা গালি হিসেবেই নিয়েছি। আপনি গালি দিয়ে এখনও অননুতপ্ত, আর আমি এখনও বিক্ষুব্ধ।
আপনি যদি মৌলবাদী হতেন এবং আপনার বিশ্বাসের সমালোচনার কারণে যদি আমাকে এর চেয়েও খারাপ গালি দিতেন, আমি ভ্রুক্ষেপ করতাম না। কিন্তু আপনি নিজেকে একজন নাস্তিক ও বিজ্ঞান-মনস্ক বলে দাবী করেন। নাস্তিকদের কাছে মানুষ ছাড়া আর কেউ উপাস্য নেই। আর এ-মানুষ কোনো ব্যক্তি মানুষ নয়। সমগ্র মানবতা।
একজন প্রকৃত নাস্তিকের প্রেরণা আসে মানুষকে ভালোবেসে। ধর্ম যখন ঈশ্বর বা আল্লাহ’র নামে মানুষকে নিষ্পেষিত করে, কিংবা যে-কোনো আদর্শ যখন মানুষ নিগৃহীত করে, তখনই মানুষের পক্ষে মানুষ ঈশ্বর, ধর্ম বা নিবর্তনমূলক আদর্শ ত্যাগ করে।
আপনি মানুষকে অপমান করলে আর কী থাকে আপনার? আপনি আপনার উপর আস্থা হারাতে চাই বলে একটি সৎ পরামর্শ দিচ্ছিঃ আপনি আমার কাছে গালি দেবার জন্য ক্ষমা চান। আমি আপনাকে ক্ষমা করবো। এবং তারপর জ্ঞানতাত্ত্বিক আলোচনা করব, একমত পোষণ করবো, দ্বিমত পোষণ করবো, পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে।
আর তা নাহলে, অযথা সময় নষ্ট করার দরকার নেই। গাল দিয়েছেন বেশ করেছেন।
@মাসুদ রানা,
(1)
আপনার লেখাকে ঠগবাজি বলায় যদি আপনার হৃদয় তপ্ত হয়, এবং আপনি মনে করেন, আপনাকেই গালাগাল দেওয়া হয়েছে, তাহলে আমি ক্ষমাপার্থী। এবার শান্ত হয়ে কিছু গঠনমূলক আলোচনাতে আসুন। আপনার ভুলের জন্য ক্ষমা আপনি চাইতেও পারেন, নাও পারেন। আমাদের জীবন খুবই ক্ষনস্থায়ী এবং আমার মনে হয় না আমরা কেওই কারুর চেয়ে বড় বা ছোট। তাই এই সব ফালতু ব্যাপারগুলো দূরে ঠেলে, আসল আলোচনাতেই ঢোকা ভাল।
(২) মানবতাবাদ বিতর্ক জ্ঞান আদর্শ এই সব কিছুর ওপরে বলেই আমি মনে করি। আপনার মতন আমিও মানি মানুষের থেকে বড় কিছু নেই। কিন্ত লেনিনবাদে বা কমিনিউজমে মানুষের চেয়ে তত্ত্বকে বড় করে কোটি কোটি লোককে দুর্ভিক্ষ বা মৃত্যুমুখে পাঠানো হয়েছে। সেই জন্যেই লেনিনিজমের বিরুদ্ধে আমি লিখি এবং মার্কসীয় তত্ত্বের বা সমাজ বিবর্তনের আরো মানবিক পথ আছে কি না-তার অনুসন্ধান করি। আপনি নিশ্চয় মা্নবেন আজ পর্যন্ত সব্কটি লেনিনিস্ট বিপ্লব রক্তপাত এবং নরহত্যা ছারা মানব জাতিকে বিশেষ কিছু দেয় নি। তাই মানবিক এবং গণতান্ত্রিক মার্কসবাদি পথ-যাতে শোষনের অবসান হয়-অমানবিকতার অবসান হয়, তা খোঁজা জরুরী। আমি সেই পথেরই সন্ধান করি মাত্র।
যদি মানবিকতাকেই আপনি সোনাদ দন্ড হিসাবে মেনে নেন-আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকা উচিত না। আশা করব, ভবিষয়তে সেটা মেনেই চলবেন।
@বিপ্লব পাল, আপনি প্রমাণ করেছেন আপনি কাপুরুষ নন। আমি সব দুঃখ ভুলে আপনাকে ক্ষমা করছি। অধিকন্তু বলি, আমার লেখায় আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা অবশ্যই বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে বিনিময় করবো এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় রাখবো।
ভালো থাকুন।
@মাসুদ রানা & বিপ্লব দা,
চমৎকার। এইত খাটি মুক্তমনার পরিচয়। ফরিদ ভাইকে অনুরোধ করব আসুন সব কিছু ভুলে গিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাই। ভুল ভ্রান্তি যারই হোক ভুলে যাই। আমরা যদি নিজেদের মধ্যেই ভুল বোঝাবুঝি করি তাহলে ক্ষতি আমাদেরই। দেখেন তো আমি ছোট মানুষ হয়ে আপনাদের পরমর্শ দিচ্ছি। আমার কাছেই খারাপ লাগছে। প্লিজ ফরিদ ভাই, আসেন আমরা সব ভুলে যাই। মাদুভ ভাইও সব কিছু ভুলে আসেন সামনে এগোই। আরেকটা নতুন পোষ্ট দিয়ে ফেলেন দেখি। :))
ফরিদ ভাই, এই পোষ্টটা এখন নীড় পাতা থেকে সরিয়ে ফেললেই মনে হয় ভালো হয়, কী বলেন?
অহহ, মাসুদ ভাইয়ের নামের বানানটা ভুল এসেছে। দুঃখিত মাসুদ ভাই।
@মাসুদ রানা,
বিশ্বাস করুন এইভাবে যদি লিখেন তাহলে একজনকেও খুজে পাবেন না যে আপনাকে অপছন্দ করবে।
নতুন আরেকটা পোষ্ট লিখুন, নিজের জাত চিনিয়ে দিন সবাই ভালবাসবে। অন্তত আমি অনেক সূখী হব। 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে
@মাসুদ রানা,
এই টোনে এবং বিষয়ের কনটেক্সটে থেকে এরকমভাবে বিতর্ক করলে আমার মনে হয় না কেউই আপত্তি করবেন।
যারা আপনার বিরোধিতা করছেন তারা কেউই আপনার শত্রু নন। আপনার আপনার কাছ থেকে শক্তিশালী যুক্তি শুনতেই আমরা সব সময়েই আগ্রহী, সেটাই কাংক্ষিত। আপনার প্রতি যে মন্তব্য করা হয়েছে সবই যে ঠিক তা কিন্তু নয়, হেলাল ইতোমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। আরো কেউ আপনাকে গালি দিলে আপনিও ইগনোর করুন, আড় আলোচনা বিষয়ে সীমাবদ্ধ রাখুন। আপনার কোনই ভুল হয়নি, সবাই একতরফা ভাবে আপনাকেই দোষী করছে – এটা ভাবাটাও বোকামি হবে। তাই পরবেশ উন্নত করার চেষ্টাটা আপনার তরফ থেকেও আসুক।
মুক্তমনায় আপনার পদার্পন শুভ হোক।
@বিপ্লব পাল,
অ্যাঁ!! 😛
মুক্তমনায় এমন হবে আমি কখনো আশা করি নি।
আসুন আমরা একে অপরের প্রতি কাদাঁ ছুড়াছুড়ি না করে মুক্তবিষয়ে আলোচনা করি। অন্যান্য ব্লগে দেখি মাশাআল্লাহ :guli: :guli: :guli: :guli: :guli: :guli:
@ফরিদ আহমেদ
এই পরিবারের দ্বার-রক্ষকের দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়। সেই দ্বার রক্ষা করতে গিয়ে যদি কারো হুমকি ধামকি এবং অসভ্য আচরণের শিকার হই। :lotpot:
আল্লা বাঁচায়ছে আমি মুক্তমনার দ্বার রক্ষকের চাকরি পাইনি। তা নাহলে এই অতি উচ্চ ডিগ্রিধারী হেমায়েতপুর বাসীর অতি উচ্চ খিস্তি খেওর খাইতে হত।
আল্লার কাছে দোয়া করুন-আপনার যা হওয়ার তো হয়ছেই , আল্লা যেন আমাদেরকে তার হাতের শ্লীলতাহানি হতে বাঁচায়।
@হেলাল, আমি দুঃখিত হেলাল, আপনি একের পর এক গালাগাল দিয়েই যাচ্ছেন কিন্তু অনুধাবন করতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না! কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইছিঃ এটি কি মুক্তমনার নীতিমালার পরিপন্থী নয়? না-কি এই নীতিমালা ব্যাক্তি বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন?
মূল প্রসঙ্গে, অর্থাৎ বিপ্লব পাল যে এঙ্গেলসের লেখাকে মার্ক্সের বলে চালিয়ে দিলেন, ভুল অনুবাদের উপর ভিত্তি করে ভুল ব্যাখা দিলেন (এবং মাসুদ রানা বাদে প্রায় সকল পাঠকই এই ভুল তথ্য ও ব্যাখ্যা হজম করে নিলেন!) সে বিষয়ে কিছু বলুন হেলাল। আপনার কি মনে হয় না, তথ্য বিকৃতি ঘটিয়ে দর্শনশাস্ত্রের একটি বিষয় নিয়ে সমালোচনা প্রবন্ধ (হ্যা বিপ্লবের প্রবন্ধটি যদিও অগোছালো, তথাপি সমালোচনাই বটে) লিখাটা বিপ্লবের জন্য যথার্থ হয়নি? মাসুদ রানা তথ্য-প্রমাণ সহ সেটি ব্যাখা করে কি বিপ্লব পালের উপকার করেছেন না-কি অপকার করেছেন? আর যার বিপ্লবকে সত্য গ্রহণে অনুপ্রেরণা না দিয়ে বরং বাধা দিয়েও ‘বন্ধুত্বের দাবী’ করছেন, পরিনামে তারা কি তার ‘বন্ধুর’ ভূমিকা পালন করছেন?
@হেলাল, আমি সত্যিই বিস্মিত! শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র কাছে দোয়া?
আমার এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিন – যেটি আপনারা পারেন। সোজা সমাধান। কিন্তু এর দ্বারা ভুল কখনও শুদ্ধ হয়ে যাবে না। আপনারা এতোগুলো লোক এক জনকে আক্রমণ করেছেন। তাও যুক্তি নয়, গালাগালি করে।
এই হচ্ছে সুস্থতা! আর আমি হচ্ছে হেমায়েপুরী? যে-কোনো অভিধা দিন। তাতে আপনাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটবে। আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পাবেন।
আরও শক্তিশালী হোন!
@মাসুদ রানা,
আয়না কী আপনার সামনে নেই?
@নিদ্রালু, আয়না অবশ্যই আছে। সব সময় রাখি। তাই আমি একটি গালিও কাউকে দিইনি। গালি দেয়া আমার সংস্কৃতি নয়। শুধু গালি দেবার প্রতিবাদ করছি। প্রতিবাদের অধিকার নিশ্চয় আপনারা কেড়ে নিতে চান না?
ধন্যবাদ।
@মাসুদ রানা,
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র কাছে দোয়া?
ভাই মাসুদ রানা,
সারা জীবন সাইকোলোজী পড়িয়েছেন মনে হয়, কিন্তু অন্যের সাইকোলজী বুঝে উঠতে এখনও সক্ষম হননি বলেই আমার প্রতীতি হয়েছে। এজন্যেই বলে- কেতাবী বিদ্যা আর বাস্তব বিদ্যা দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। অযথা কেচাল বাদ দিয়ে ভাল কোন নিবন্ধ লিখুন যাতে মানুষ কিছু জানতে পারে বুঝতে পারে। এখানে কাউকে কোন হুমকি ধামকি দিয়ে লাভ নেই। কেউ কারও হুমকি ধামকির পরোয়াও করে না। কারন আমরা কেউ কাউকে চিনি না জানি না। এটাই হলো অন্তর্জালের মাজেজা। বিদ্যে বুদ্ধি যদি সত্যি কিছু রপ্ত করে থাকেন , কেশে ঝাড়ুন, আমরা কিছুটা আপনার কাছ থেকে গ্রহন করি। কথায় বলে না – বৃক্ষের পরিচয় হলো তার ফলে, গাছের বাহারে নয়।
@ভবঘুরে,
আপনার বিরুদ্ধে বিশাল অভিযোগ, :-O আপনার লেখা হইতে আমরা অনেক দিন বঞ্চিত। তাই বিনীত নিবেদন পুর্বক জানাইতেছি অতি শিঘ্র আমাদিগকে ভালো সুন্দর লেখা দিয়া পচুর গিয়ানজাম
হইতে রক্ষা করুণ। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ২৭৩ ধারার ২৫০ নং আসামীতে অভিযুক্ত করা হইবেক 😛 :-[
ইশশ কি বলিতে কি বলিলাম ভুল বুঝিবেন না। আসলে কিছুদিন হইতে আমার মস্তিস্কে একটা রোগ ধরা পড়িয়াছে তা হইল ভবঘুরের লেখা পাইনা কেন? 😛 :-Y
আসলে এইবার বলি @ ভবঘুরে
আপনার লেখার অনেক ভক্ত আমি। তাই কৌতুক করে বলেছি কথাগুলো। এবং সত্যি অর্থে অনেকদিন আপনার লেখা পাইনা তাই এই পোষ্টে জানালাম।
ভুল বুঝবেন না।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ আপনাকে। জেনে খুব খুশী হলাম যে আপনি আমার একজন ভক্ত।
শীঘ্রই ঝাপি নিয়ে হাজির হব বলে আশা করছি। প্লীজ আর একটু অপেক্ষা করুন।
@ভবঘুরে, :clap
@ভবঘুরে, ধন্যবাদ ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করার জন্য। আমার অজ্ঞতার ব্যাপারে আপনার জ্ঞানের দাবী সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, আমি অন্যের সাইকোলজী বুঝতে পারিনি। কেতাবী বিদ্যা ও বাস্তব বিদ্যার মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তা আপনার কাছে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
আপনাদেরকে দেবার মতো কিংবা ‘ঝাড়া’র মতো বিদ্যা-বুদ্ধি আমার নেই। সে-দাবী নিয়ে আসিওনি। কেনো যে আপনারা ধরে নিচ্ছেন যে, আমি দিতে এসেছি।
গত বছর থেকে বিভিন্ন জনের লেখা পড়ে বাঙালীর ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ বোঝার চেষ্টা করছিলাম। একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে মন্তব্য পাঠিয়েছিলাম বিপ্লব পালের লেখার উপর। তারপর থেকে তিনি আমাকে নানা রকম নেতি-মন্তব্য করে আসছেন। সর্বশেষ হচ্ছে আমি ‘ঠগবাজি’ করেছি। বললাম, গালি না দিতে। তাতে তার ভক্তজন কষে আরও গালি দিচ্ছে। এতোগুলো রাগান্বিত মুখ, আর আমার মাত্র দুটি হাত!
আমি তো কাউকে গালি দিইনি। আমি খুব বুঝি তাও দাবী করিনি। শুধু বলেছি, ভুল ব্যাখ্যা করেছেন মার্ক্সবাদের। তাও শুধু দাবী করিনি, প্রমাণ দেখিয়ে বলেছি।
বুঝতে পারছি, আপনাদের পৃথিবীতে হঠাৎ দেবতার আসন টলে উঠেছে। তাই রেগে গিয়ে সবাই গালাগাল দিচ্ছেন।
গালাগালের কোনো উত্তর আছে, পালটা গালাগাল ছাড়া? কিন্তু ওটি আমার পথ নয়।
সব বৃক্ষই ফল দেয় না। আমি কোনো ফলদায়ী বৃক্ষ নই। থাকি পড়ে ফলহীন এক বৃক্ষ হয়ে পৃথিবী এক কোণে। আপনার এতো ক্ষেপে উঠেছেন কেনো?
বিপ্লব পালের মার্ক্সবাদের ভুল ব্যাখ্যা কি তাতে ঠিক হয়ে যাবে?
আপনাদের পৃথবী আপনাদের মতোই হোক।
@মাসুদ রানা, সাইকোলোজী নিয়ে খুব আগ্রহ আছে। ছোটোবেলা ডিগ্রী লেভেলের একটা পাঠ্যবই হাতে পেয়ে খুব মজা লাগছিল। কিন্তু সেভাবে আর পড়া হয় নি। বিষয়টি নিয়ে ব্লগে লিখলে উপকৃত হতাম। সেই সাথে এই যে কিছু ঘটনা ঘটে গেল- এর পিছনে মানুষের সাইকোলোজী কী- তা নিয়েও একটা লেখা দিতে পারেন।
@শ্রাবণ আকাশ, শ্রাবণ আকাশ। নামেই একটা প্রশান্তি পেলাম। আপনি তপ্ত মরুভূমির মাঝে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ঝড়লেন যেনো। আপনি সত্যি কিউট!
আপনি গালি দিবেন না? জানি দিবেন না। দিতে পারেন না। যদি বহিষ্কৃত না হই, তাহলে লিখবো বৈ কি!
আমাদের নতুন প্রজন্ম আপনার মতো চমৎকার হোক!
দীর্ঘজীবী হোন।
@মাসুদ রানা,
বিপ্লব পাল আমার দেবতাও না শত্রুও না, ঠিক যেমনটি আপনি, বা অভিদা বা অন্য সবাই। সবার লেখার যে অংশ ভাল লাগে তাই সবাই বলি, যে অংশ ভাল লাগেনা তাও বলি। আপনাকেও তাই বলেছি সবাই। আপনি এভাবে বারবার আমাদেরকে অপমান করছেন কেন? বিপ্লব পালের ভক্ত বা চামচা ইঙ্গিত করে? ারো একটা কথা বারবার বলছেন অভিদা আপনাকে নিমন্ত্রন করেছেন, হেলাল সাহেবকে বলেছেন “আপনি হেলাল বা অভিজিৎ যেই হোন” এসবের মানে কি? এ ধরণের কথা কি ইঙ্গিত করে যে আপনি এই ব্লগের পরিবেশ ঘোলা করতে আসেননি?
আপনাকে কেউ নিরুৎসাহিত করেছি লিখতে? গালি দিয়েছি? আমাদের ভাল না লাগা প্রকাশ করলে যদি গালি মনে হয় তাহলে তা আপনার বোঝার ভুল নয় কি? আপনি আমাকে আপনার পোস্টে মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন
আপনি এ ধারণা কোথায় পেলেন এখানে কর্তৃপক্ষের বা বিপ্লব পালের কথায় সবাই বাহবা দেয়? আপনাকে আমার ভাল লাগার মত প্রকাশিত হতে কই বললাম, বললাম আমার ভাল লাগেনি, এটা কি দোষের? আপনি অনেকের সাথে খুব অদ্ভুতভাবে ঝগড়া করে বেড়াচ্ছেন।
@লীনা রহমান, আপনার সাথে কোনোক্রমেই ঝগড়া করতে চাই না। আপনি আমাকে একশো একটি গালি দিন। কিছুই বলবো না। এতোগুলো লোক একজনকে আক্রমণ করছে। কি অদ্ভূত নৈতিকতা!
খুশী থাকুন।
মাসুদ রানা সাহেবের প্রথম খোজ পাই বিপ্লব দা’র “মার্ক্সবাদের আসল নকল: জনবিপ্লব বনাম বিজ্ঞান- প্রযুক্তি বিপ্লব” লেখায়। সেখানে তার প্রথম মন্তব্য পড়েই আমি কিছুটা থমকে যায়। কারণ তিনি শুরুই করলেন এভাবে-“পাল সাহেব, আপনার ফ্যামিলি প্রেশার পাঠাকদেরকে শোনাতে হবে কেনো? লিখতে হলে লিখে ফেলবেন। কৈফিয়ত-তো কেউ চায়নি আপনার কাছে। সময় পান কি পান না, সেটিও প্রসঙ্গ হওয়া উচিত নয়। বুদ্ধিবৃত্তিক লেখায় এ-অ-সমস্ত লিখতে যান কেনো? লেখার গুণেই লেখা দাঁড়াবে, কৈফিয়ত দিতে হবে না।” উল্লেখ্য বিপ্লব দা তার লেখায় লিখেছিলেন যে তিনি সময় নিয়ে লেখাটা লিখতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি তা পারেন নি।
মাসুদ রানা সাহেবের করা প্রতিটি মন্তব্যই আমার কাছে যথেষ্ট আপত্তিজনক মনে হয়েছিল।
দ্বিতীয়বার মাসুদ রানা সাহেবের নিজের লেখা পোষ্ট দেখে আমি কিছুটা শঙ্কিত হয়ে পড়া শুরু করি এবং যতই পড়তে থাকি আমি ততই ভয় পেতে থাকি না জানি পরিবেশটা আবার খারাপ হওয়া শুরু করে।
জনাব মাসুদ রানা আপনি হয়তো জানেন না -আমার মত সাধারণ পাঠকরা মুক্তমনাকে কতটুকু ভালবাসি। এখানকার প্রতিটি সদস্যকেই আমাদের আপন মনে হয় কারণ তারা জানে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও কিভাবে তর্ক করতে হয়। আমি দু:খের সাথে বলছি -আপনি জানেন না কিভাবে মানুষকে সম্মান জানাতে হয়। আপনি নিজের যোগ্যতার কথা বলছেন না? এটা প্রমাণ করে না যে আপনি পাবনার উপযুক্ত না। আমাদের মডারেটরদের বেশী উদারতার সুযোগে মাতলামি না করে এখান থেকে বিদায় হলে আমাদের উপকার হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
@হেলাল,
এই কথাটা হাচা কইছেন ভাইজান। পাবনার হেমায়েতপুর পাগলাগারদ শুনেছি বহু উচ্চ ডিগ্রী ধারীতে ভরপুর।
@ভবঘুরে ও হেলাল, আপনাদের দুজনের সততার কাছেই প্রশ্নঃ হেলালের এই মন্তব্যটি ও ভবঘুরের পক্ষ থেকে অংশবিশেষে জোর দেয়া কি ব্যাক্তিআক্রমণ নয়?
যদি না হয়, তাহলে দয়া করে বলুন ‘ব্যাক্তিআক্রমণ’ জিনিসটি কি, জেনে ধন্য হই। তারপর নাহয় আপনাদের পাল্লায় আরেকবার মেপে দেখবো মাসুদ রানা কোথায় কোথায় ব্যাক্তিআক্রমণ করেছেন আর বিপ্লব, ফরিদ ইত্যাদি ব্যাক্তিবর্গও কোথায় কোথায় সেই অপকর্মটি করেছেন।
ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে, বুঝালেন আমি পাগল। তাইতো? শিরোধার্য্য! খুশী?
@হেলাল, উদারতা কাকে বলে? সমালোচনার মুখে সবাই মিলে সমালোচকে গালাগালি দেয়াকে উদারতা বলে?
মাতলামী? এসমস্ত কনস্ট্রাক্ট কোথা থেকে এবং কোন্ মূল্যবোধ থেকে আসছে? আমি বিদায় হলে আপনাদের উপকার হবে? হতে পারে।
বিভিন্ন তত্ত্বের চ্যালেইঞ্জ-হীন ভুল ব্যাখ্যা পেয়ে আপনাদের উপকার হবে বৈকি!
তো বিদায়ের জন্য অপেক্ষা করছি বহিষ্কারাদেশের। অথবা নাগরিকত্ব বাতিলের। তার আগে বলুন, আপনি অভিজিৎ কি না। কারণ অভিজিৎই আমাকে নিমন্ত্রণ করেছিলো। যাবার আগে চিনে নিতে চাই, যাতে বিচারে ভুল না করি।
আপনাদের উদারতার জন্য ধন্যবাদ।
@হেলাল, আপনার মতে, ব্লগ লেখার পর বিপ্লব পাল আমাকে যে ‘ঠকবাজি’ শব্দ-যোগে গালি দিলো, এটি ঠিক আছে? আর আমি যে প্রতিবাদ করলাম সে-গালির, তার দ্বারা প্রমাণিত হলো, আমি ব্যবহার জানি না। এবং আমাকে পাগলা গারদে পাঠানো উচিত?
চমৎকার একটি ভার্চুয়্যাল রাজ্য গড়ে তুলেছেন আপনারা!
আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন।
বিপ্লব পালের এক বছর আগের কোন পুরান লেখার উপর মাসুদ রানার লেখা আজই সকালে পড়লাম। আর বিপ্লব পাল ও ফরিদ আহমেদ সহ অন্যদের মন্তব্যও পড়লাম।
যুক্তি তর্ক তো স্বাভাবিক এবং অতিতেও দেখেছি আরও অনেক বেশী তর্কাতর্কি কিন্তু এই প্রথম দেখলাম কোন এক নতুন লোক তার প্রথম লেখাতেই নাড়িভুড়ি পাকিয়ে পুরো পরিবেশটাকেই অসহ্য করে তুলেছেন। শুধু তাতেই তিনি সীমায়িত নন। উপরন্তু মাথা গরম করে অন্য একজনকে ই-বার্তায় শিস্টাচারের সীমানা হারিয়ে আবোল তাবোল বোলেছেন
আপনার সাহস দেখে
তারিফ করতে ইচ্ছা করছে।
@সেন্টু টিকাদার, গালি দেয়া ছাড়া আপনাদের আর কী আছে? আমি ‘অন্তঃসার শূন্য হাম বড়া মনোভাবের’? হতে পারি।
কিন্তু তারিফ করার জন্যও কি অনুমতি নিতে হবে? ভালোই স্বৈরশাসনে পড়েছি বলে মনে হচ্ছে। এই তা হলে মুক্তমনা? অনেক কিছু লেখার ছিলো। কিন্তু এতো শাসন? এতো গালাগালি?
তো, টিকাদার সাহেব, গালি দিতেতো বুদ্ধির দরকার হয় না। পারলে আরও গালি দিন।
তবে, এটি এখন প্রমাণিত যে, প্রতিষ্ঠিত পণ্ডিত বিল্পব পালের ভুল ধরে মাসুদ রানা তার আসন টলিয়ে দিয়েছে, তাতে ক্ষেপে যেয়ে তিনি ও তার ‘পরিবারের’ লোকেরা মাসুদ রানাকে গালাগালি করছে এবং প্রায় ‘বেরিয়ে যাও’ ধরনের কথা বার্তা বলেছে।
দয়া করে আমার অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণ করবেন কি? বড়োই উপকৃত হবো। আর হামবড়া ভাব? কোথায় দাবী করেছি ‘হামবড়া’ অর্থাৎ আমি বড়ো?
বিপ্লব পাল যে সবাইকে ‘অজ্ঞ’ ইত্যাদি বলে নিজেকে জাহির করেন, সেটি খুব বিনয় বুঝি? আর তার প্রতিবাদ করাটা হচ্ছে হামবড়া?
পক্ষ নিচ্ছে্ন, নিন। নিতেই পারেন। পৃথিবীতে কেউ নিরপেক্ষ নয়। কিন্তু একটু বুদ্ধিবৃত্তিক পথে নিন। গালি দিচ্ছেন কেনো ভাই? আপনি তো আর কারো দালালীর টিকাদারী নেননি, টিকাদার সাহেব?
আপনার মঙ্গল হোক।
@মাসুদ রানা,
যে ” বিশেষণগুলি ” আপনাকে দিয়েছিলাম তা হয়ত ঠিক হয়নি কিন্তু আপনার ই-বার্তা পড়ে তাদক্ষনিক ভাবে আপনার যে প্রতিচ্ছবি আমার চোখে ফুটে উঠেছিল ওটা তারই প্রতিফলন। দুক্ষিত। মাফ করবেন।
ওই ধরনের শিস্টাচার রহিত ই- বার্তা মর্মান্তিক। দয়া করে ওটাকে তুলে নিন।
আমি কী? আপনাদের পরিবারের সদস্য না কি বাইরের লোক? পরিবারের সদস্যদের সকলকেই কি সমমনা হওয়া আবশ্যক?
মাসুদ রানা ভুল করতেই পারেন। উনি নুতন এই ব্লগে। হয়তো উনি কোন কারনে উত্তেজিত ছিলেন বা ব্লগে কিভাবে অন্যদের সাথে বিতর্কে জড়াতে হয় এমন পূর্বাভিজ্ঞতা তার ছিল না। যেটাই হোক , benefit of doubt তাকে দেয়া উচিৎ ছিল।
মাসুদ রানা সাহেবের এই ই-বার্তাটি ব্যাক্তিগত। এটা ব্লগে প্রকাশ করে ফরিদ আহমেদ অতীব গর্হিত কাজ করেছেন। মডারেটর হওয়ার কারনে তার এই কাজটি আরো নিন্দনীয়। কারন তার উচিৎ ছিল এই ব্লগ কিভাবে পরিচালিত হয় , সেটা ব্যাখ্যা করে মাসুদ রানাকে পাল্টা ই-বার্তা দেয়া। এরপরে ও যদি তিনি অনুরুপ ই-বার্তা পেতেন , তাহলে প্রকাশ করার চিন্তা ভাবনা করতে পারতেন ব্লগের অন্য মডারেটরদের সাথে আলোচনার পর।
ফরিদ আহমেদকে পারতপক্ষে ভাল লোক বলেই মনে হয় , তবে উনি মনে হয় অন্যকে অযাচিত ও অনাবশ্যক কড়া কথা বলে আনন্দ পান। উনার মধ্যে ‘কি হনুরে’ ভাবার প্রবনতা আছে।
ভিন্নমত সহ্য করা আসলেই কঠিন। মুখে বলে বা নীতিমালায় ভাল ভাল কথা রেখে কোন লাভ নেই , যদি না তার চর্চা করতে পারি।
@ফারুক,
আপনার এ কথাগুলো আমার খুব ভাল লেগেছে!
@লাইজু নাহার, আমার জন্য আপনাকে আক্রান্ত হতে হলো বলে, আমি সত্যি দুঃখিত। প্লীজ মনে কিছু নেবেন না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদেরকে নানা ভাবে আক্রান্ত হতে হয়। আমরা পুরুষেরা একসময় নারীর মতো সমান মানুষ হয়ে উঠতে পারবো, এ-বিশ্বাসে আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
গ্রহণ করুন।
@মাসুদ রানা,
আপনি তো আমাকে অসম্মান করেননি!
ক্ষমা চাইছেন কেন?
আসলেই সবকিছু দেখেশুনে মনে হয় এ পৃথিবীতে কিছু মানুষের
মানুষ হতে অনেক সময় নেবে!
সবচেয়ে বেশী অন্ধ যারা তারাই সবচেয়ে বেশী দেখে!
আর আমি সত্যটা উচ্চারণ করেছি মাত্র!
তাতেই দিশেহারা হয়ে যা তা বলেছে!
এসব মুখে আনতেও শালীনতায় বাঁধে আমার!
আপনি তাকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন,
জানিনা এরপর কি ঘটেছে!
আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা!
@ফারুক,
আমি আপনার সাথে এই ব্যপারে একমত। কিন্তু মাসুদ রানা কি ব্যপারটাকে এভাবে দেখেন?????????????????????????????????
@আসরাফ, ধন্যবাদ। আমি ভুল করতেই পারি। জীবনে বহু ভুল করেছি এবং ভবিষ্যতেও করতে পারি। কিন্তু ব্লগের লেখাতে কোনো ভুল করিনি কয়েকটি বানান ছাড়া।
আপনারা কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগই আমাকে গালাগাল করেছেন। এতে নিজেদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিশ বছর যাবৎ বঙ্গদেশের বাইরে থাকি। আমাদের লোকজনের সাংস্কৃতিক মানের কী পরিবর্তন ঘটেছে, তা আরও ভালো করে বোঝার একটা সুযোগ হলো।
পত্রপত্রিকায় ইসলামী মৌলবাদীদের ইনটলারেন্সের কথা বহু পড়ি। কিন্তু সেক্যুলার ও মুক্তমনের লোকদের টলারেন্সের মাত্রা কতোটুকু তা জানা ছিলো না। শিখলাম। এটিও একটি সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত – ভবিষ্যতে মানুষের জন্য কিছু করার আমার আকুল প্রত্যাশার ক্ষেত্রে।
@ফারুক,
মাসুদ রানা সাহেবের এই ই-বার্তাটি ব্যাক্তিগত। এটা ব্লগে প্রকাশ করে ফরিদ আহমেদ অতীব গর্হিত কাজ করেছেন। মডারেটর হওয়ার কারনে তার এই কাজটি আরো নিন্দনীয়। কারন তার উচিৎ ছিল এই ব্লগ কিভাবে পরিচালিত হয় , সেটা ব্যাখ্যা করে মাসুদ রানাকে পাল্টা ই-বার্তা দেয়া। এ ব্যাপারে একমত । মাসুদ রানা সাহেবের এপ্রোস হয়ত ঠিক ছিল না, কিনতু বিপ্লব পালের reply ও ছিল সমান আক্রমনাত্তক । একটা ব্যাপারে খুবই অবাক হলাম যে মডারেটর রা কেউই বিপ্লব পালের মার্ক্সবাদের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে কিছুই বলছেন না । আর Mr বিপ্লব পাল ও ঐ ব্যাপারটা সুচতুর ভাবে এড়িয়ে গেলেন । Mr বিপ্লব পালের তার নিজের ভূল বোঝা এবং অন্যদের কে সেই ভূল বোঝানোর জন্য দূঃখ প্রকাশ করা উচিত । মাসুদ রানা সাহেবের ও মনে হয় একটু সংযত হওয়া উচিত ।
@Sangram Nag, পৃথিবীতে যতো উন্নত জাতি আছে, দেখবেন তাদের নেতৃবৃন্দ ভুল করলে ভুল স্বীকার করে। এমনকি ভারতের ইন্দারা গান্ধীও ভুল স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু দেখুন জেনারেল এরশাদকে বাংলাদেশে। আমার প্রিয় বন্ধু বসুনিয়া, সেলিম দেলোয়ার-সহ অনেকগুলো প্রাণ নেবার পরও ভুল স্বীকার করেনি। এখন বরং ‘প্রগতিশীল’দের জোটে রয়েছেন। এবং প্রতি নির্বাচনেই বিপুল ভৌটে বিজয়ী হচ্ছেন। এইতো আমরা। সুতরাং অবাক হচ্ছেন কেনো?
আমাদের অধিকাংশই ক্ষমতার পক্ষে। কর্তৃপক্ষের ভুল হতে পারে, এটি ভাবতে পারার কিংবা ভাবলেও প্রকাশ করার জন্য আমাদের আরও অনেক যুগ অপেক্ষা করতে হবে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
@ফারুক,
এইটার উত্তর আপনি নিজেই দেনতো দেখি। বলুনতো, আপনি কী মুক্তমনা পরিবারের সদস্য নাকি বাইরের লোক?
পরিবারের সদস্যদের সমমনা হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে, অন্য সুদস্যদের বা পরিবারের পশ্চাতদেশে অঙ্গুলি প্রবেশের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে হয়। অন্য ব্লগে গিয়ে মুক্তমনা নিয়ে কী করেন না করেন তার কিছুটা নমুনা একদিন দেখেছি আমি।
আপনাকে মুক্তমনার মডারেটর হিসাবে নিয়োগ দিলে মন্দ হয় না। অহেতুক অনেক ঝগড়াঝাটি কমে যাবে মনে হচ্ছে এতে করে।
ভাল লোক কি না সেটা বলতে পারবো না আমি নিজেও। তবে অযাচিত এবং অনাবশ্যকভাবে কাউকে কড়া কথা বলে যে আনন্দ পাই না, সেটা জানি। কড়া কথাটা বাধ্য হয়েই বের হয়। কাউকে যদি কড়া কথা বলি, তবে নিশ্চিত থাকতে পা্রেন যে, সেই লোক ওই কড়া কথারই যোগ্য। আপনাকে প্রায়ই কড়া কথা শুনাই বলে অভিযোগ করেছেন। এটা অবশ্য মোটামুটি সত্য কথাই। কিন্তু একটা জিনিস এড়িয়ে গিয়েছেন আপনি। মুক্তমনায় আপনার পদচারণার প্রথম দিকেই মিষ্টি মিষ্টি কথার সমন্বয়ে আপনাকে একটা প্রশংসাপত্রও দিয়েছিলাম আমি। তখন অবশ্য বুঝতে পারি নি যে, ওটা আপনার ভেক ছিল। মুক্তমনায় স্থিতি পেয়েই আসল রূপটা দেখিয়ে ফেলবেন।
ভিন্নমত সহ্য করা অন্যদের জন্য হয়তো কঠিন, তবে মুক্তমনাদের জন্য নয়। ভিন্নমতকে গ্রহণ করার মধ্য দিয়েইতো তাঁদের পদচারণা শুরু হয়েছে। এতে আর ভয় কী তাঁদের। সমস্যা হচ্ছে অপমতকে নিয়ে। এটাকে সহ্য করাটা আসলেই কঠিন। আর কে না জানে, অপমত, অপবিজ্ঞান, অপযুক্তি এগুলোকে মুক্তমনায় আমদানী করার মিশন নিয়েই মুক্তমনায় এসেছেন আপনি। একে ভালবেসে, পরিবার হিসাবে দেখে নয়।
@ফরিদ আহমেদ,
মুক্তমনায় যখন লেখালেখি করি , সে হিসাবে তো অবশ্যই মুক্তমনা পরিবারের সদস্য। তবে আপনার সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর দলগত মুক্তমনা পরিবারের সদস্য অবশ্যই নই।
? প্রবেশের প্রচেষ্টার সাথে আপনি ও মুক্তমনার কিছু সদস্যই দুঃখজনক হলেও জড়িত। মুক্তমনা থেকেই এর অজস্র প্রমান দেয়া যাবে। আপনারা মডারেটররা যদি দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী না নিয়ে মুক্তমনার নীতিমালাকে মাথায় রেখে মন্তব্য ও পোস্ট ফিল্টার করতেন , তাহলে আমাকে অন্য ব্লগে যেয়ে কিছু সদস্য ও মুক্তমনার কার্যকলাপ নিয়ে লেখা লাগত না। প্রতিমন্তব্য ও মডারেটরদের অযৌক্তিক মডারেশন উল্লেখ করেই লিখেছি। আমার লেখা কখনো শিষ্ঠাচার বা শালীনতা বর্জিত কখনৈ ছিল না। আজকের যূগে স্ক্রীনশট নেয়া কোন ব্যাপার না। আপনার মতো এমন অশালীন মন্তব্য(পশ্চাতদেশে অঙ্গুলি প্রবেশের প্রচেষ্টা ) আমার কোন মন্তব্যেই দেখাতে পারবেন না। চ্যালেন্জ রইল।
আমাকে নয় , অন্যকে। আমি আপনার থেকেও কড়া কথা ও গালি শুনতে অভ্যস্ত। সাগরে নেমে শিশিরকে ভয় করলে কি চলে?
মনে হচ্ছে আপনার প্রশংসাপত্রের জন্য আমি লালায়িত ছিলাম? আপনার “কি হনুরে” ভাবার আরেকটি প্রমান। ভেক ধরা আমার চরিত্রের সাথে মেলে না।
এই মিশনের নিয়োগকর্তা কে?
আপনি বা আপনার দলের লোকজন বল্লেই তো আর অপমত, অপবিজ্ঞান, অপযুক্তি হয়ে যায় না। এটার ভার পাঠকের উপরে ছেড়ে দিতে এত ভয় কেন? আপনারা যুক্তি দিয়ে মন্তব্য করে তুলে ধরুন কেন আমার পোস্টটি অপমত, অপবিজ্ঞান, অপযুক্তি ? অপমত, অপবিজ্ঞান, অপযুক্তি হলে পাঠকরা তাদের নিজ নিজ বুদ্ধিতেই সেটা বাদ দেবে। প্রকাশ না হতে দিয়ে মুক্তমনা বলে গর্ব করাটা কতটুকু সঠিক?
“কৃত্রিম সুনামি ভূমিকম্প- স্রষ্টা আমেরিকা!” এটা বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান? এটা যদি প্রকাশ পায় , আমার পোস্ট কি দোষ করেছিল?
@ফারুক,
লেখালেখির হিসাবের কথা বাদ দেন। মুক্তমনায় বহু লোকই লেখে। এস এম রায়হানও একসময় মুক্তমনায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। আমার জিজ্ঞাস্য হচ্ছে, ভালবেসে কতখানি একে আপনি পরিবার বলে মনে করেন। আপনার মন্তব্যে প্রায়শই দেখি মুক্তমনা সম্পর্কে বিষোদগার করতে (সমালোচনার কথা বলছি না, সেটার অধিকার সদস্যদের আছে)। পরিবারের সদস্য ভাবলেতো সেটা থাকার কথা ছিল না।
মডারেটররা যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন সে বিষয়ে আপনার কাছে কী কোনো প্রমাণ আছে? আপনি ছাড়া এই অভিযোগ কেউ বোধহয় করে নি। আপনার কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে মুক্তমনাতেই জানাতে পারতেন। এখানে আমার বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে, মডারেশনের বিরুদ্ধেও একবার পোস্ট দিয়েছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ সরকার। কই সেগুলোর কোনোটাকেওতো আটকানো হয় নি। আপনার একটা লেখাকে অপবিজ্ঞান এবং কোনো একটা ইংরেজি লেখার হুবহু নকল বলে যখন মডারেটর জানিয়েছিল, তখন আপনি মডারেটরের সাথে তর্কযুদ্ধেও লিপ্ত হয়েছিলেন। মুক্তমনায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই সেটা সম্ভব হয়েছিল। কাজেই, আপনার কণ্ঠ রুদ্ধ বলে অন্য ব্লগে গিয়ে মুক্তমনা, এর মডারেটর বা সদস্যদের বিরুদ্ধে লেখার কোনো যুক্তি অন্তত আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
আপনার লেখা শিষ্টাচার বা শালীনতাবর্জিত যে নয় সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি। কিন্তু লেখা শালীনতাবর্জিত হলেই যে, কর্মকাণ্ড শালীনতাবর্জিত হবে এমন কোনো কথা নেই। পশ্চাতদেশে অঙ্গুলি প্রবেশ কথাটা অশ্লীল স্বীকার করে নিচ্ছি। এর বদলে পৃষ্ঠদেশে ছুরি মারার মত শালীন শব্দ ব্যবহার করা উচিত ছিল আমার। এর জন্য ক্ষমা চাইছি আমি। তবে, কথা হচ্ছে যে, আপনি যে কাজটা অন্য ব্লগে গিয়ে করেন সেটা কিন্তু আমার এই অশ্লীল বক্তব্যের চেয়েও অশ্লীল কাজ। আপনি হয়তো নিজেও সেটা জানেন না। আপনাকে নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যে, আপনি অপবিশ্বাসে ভরপুর একজন মানুষ। সেইসব অশ্লীল অপবিশ্বাসকে মুক্তমনায় যতই শালীনভাবে প্রকাশ করতে চান না কেন, এর বিরোধিতা কেউ না কেউ করবেই। শালীন অথবা অশালীন যে কোনোভাবেই।
কড়া কথা যে অন্যদেরকেও বলেছি সেটাতো জানি আমি। বিস্মৃতিপরায়ন ব্যক্তি আমি নই। অযাচিত এবং অনাবশ্যকভাবে শুধু আনন্দ পাবার কারণে কাউকে কড়া কথা বলেছি, সেটাই মানতে পারছি না। যাদেরকে কড়া কথা বলেছি, নিশ্চয়ই কোনো সুনির্দিষ্ট কারণেই সেটা তাদেরকে বলেছি।
প্রশংসার জন্য লালায়িত ছিলেন সেটা কি আমি বলেছি? কড়া কথার কথা বললেন, অথচ আমি যে, প্রায়শই লোকজনকে মিষ্টি কথা বলি, সেটার কথা বললেন না দেখে, আপনার নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ জাগলো। তাই ওটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম আপনাকে। আমরা অনিরপেক্ষ হতে পারি, আপনিতো আর তা নন।
আমার কি হনু ভাব নিয়ে আপনি মনে হয় বেশ অবসেসড আছেন। বার বার একই কথা বলছেন। 🙂
আপনার এই যুক্তি শুনলে রসময় গুপ্ত নিশ্চয়ই খুব খুশি হবেন। তার রসালো সব চটিকে মুক্তমনায় প্রকাশের কোনো বাধাই আর থাকবে না সেক্ষেত্রে।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার পুরো মন্তব্যের জবাব দেব না , পাঠকরাই বুঝে নিক যা বোঝার। শুধু আমার নিরপেক্ষতার ব্যাপারে এটাই বলব – “ফরিদ আহমেদকে পারতপক্ষে ভাল লোক বলেই মনে হয় ” এটা আপনার সম্বন্ধে আমার মূল্যায়ন। পারতপক্ষে বোঝায় overall আপনি ভাল লোক। আপনি নিশ্চয় দাবী করবেন না , আপনি দেবতুল্য।
@ফারুক,
দাবী হয়তো করতাম, কিন্তু ওই কী হনুরে শোনার ভয়ে আর করছি না। 😛
@ফরিদ আহমেদ, আসলে আমারি ভুল হয়েছে , আপনার মতো দেবতুল্য মানুষকে পারতপক্ষে ভাল মানুষ বলে অবমাননা করার জন্য। এত বড় ভুলের আসলেই কোন ক্ষমা নেই!! 😛
স্ট্রম্যান বানিয়ে সেটার উপর বন্দুক-তলোয়ার নিয়ে হামলে পড়া অসুস্থতার লক্ষণ কিনা জানি না, তবে এটার মধ্যে belligerence প্রকাশ পায়। আপনার যদি মনে হয় মডারেটররা আপনার বা আপনার বন্ধুদের মন্তব্য আটকে দিচ্ছে, তাহলে স্ক্রীনশট সহ পোষ্ট দিন(মন্তব্য ঘরে মন্তব্য লিখে সাবমিট করে সেটার স্ক্রিনশট রেখে দিন), আপনার তো সদস্যপদ আছেই। আপনার ওই পোষ্টে আরিফ নামক একজন দাবি করছেন আপনার পোষ্টের স্বপক্ষে যাওয়া অনেক মন্তব্য আটকে দেওয়া হচ্ছে, অথচ লাইজু নাহার, খারেজী, বিজনের(যার মন্তব্য আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে আরিফ সাহেব দাবি করেছেন) করা আপনার পোষ্টের প্রতি ইতিবাচক কয়েকটা মন্তব্য কিন্তু ঠিকই দেখা যাচ্ছে। এরপরও মডারেশনকে অভিযুক্ত করা আর কেউকে ই-বার্তায় হুমকি-ধামকি দেওয়াটা সুস্থতা বা sobriety এর মধ্যে পড়ে না।
@পৃথিবী, আমার মন্তব্য প্রায় ৮ ঘন্টা পর ছাড়া হয়েছে, সে সাক্ষ্য আমি মাসুদ রানার পোস্টেই দিয়েছি। বিজনের মন্তব্যের ব্যাপারে আমি কিছু দাবী করিনি, সম্ভবনার কথা উল্লেখ করেছি মাত্র। কারণ সারাদিন তার মন্তব্যটি দেখা গেল না, সন্ধায় যখন আমার মন্তব্যটি ছাড় পেল তখন দেখলাম তারটিও দেখা যাচ্ছে এবং সেটিও পোস্ট করা হয়েছে আমার মন্তব্যের মাত্র কয়েক মিনিট আগে। তথ্য নির্দেশে বস্তুনিষ্ঠ হোন দয়া করে।
আর ‘হুমকি’ ‘হুমকি’ করে পাড়া মাথায় তুলছেন কেন? হুমকি তো মাসুদ রানা দেননি, দিয়েছেন ফরিদ আহমেদ! তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন ‘অন্য পাড়ায় থাকতে।’ মডারেটর হয়ে কেমন করে তিনি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন? তার নিজের নোংরা মন্তব্য, যার পরিপ্রেক্ষিতে মাসুদ রানা এই উত্তর দিয়েছে সেটি এ পোস্টে না দিয়ে পাঠককে আরেক দফা ঠকাচ্ছেন ফরিদবাবু।
আশা করি একে আপনি ‘যুক্তিবাদী’ ও ‘মুক্তমনা’ সংস্কৃতি বলে দাবী করবেন না।
@আরিফ রহমান,
আপনি বোধ হয় বুঝতে পারছেন যে, মুক্তমনায় মডারেটরদের পক্ষে সর্বক্ষণ লগ ইন করে পোস্ট এপ্রুভের জন্য বসে থাকা সম্ভব নয়। তাদের সময় মতই তারা মন্তব্য পোস্ট করেন। আপনি অভিযোগ করেছিলেন হেলালের মন্তব্য সাথে সাথে পোস্ট হয়ে গিয়েছিল, আপনারতা হয়নি। এর কারণ হল, হেলাল ব্লগ সদস্য বিধায় উনি লগ ইন করে মন্তব্য করেছিলেন, তাই তা সাথে সাথেই পোস্ট হয় গেছে, আপনি যেহেতু সদস্য নন, অতিথি হিসেবে লগ ইন করে মন্তব্য করেছেন, তাই আপনারটা প্রকাশিত হতে সময় লেগছে। এটা বোঝা কি খুব কঠিন?
যা হোক, অযথা অভিযুক্ত করার আগে পুরো ব্যাপারটা ঠান্ডা মাথায় ভাববেন আশা করি।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ অভিজিৎ। আমি অবশ্যই আশা করি না যে, মডারেটররা সর্বক্ষণ লগ-ইন করে বসে থাকবেন। জনাব হেলাল যে সদস্য সেটা জানতাম না, অন্যদের নামের সাথে লিঙ্ক আছে ইনার নেই, তাই ধরে নিয়েছিলাম ইনি অ-সদস্য। ভুল বুঝা-বুঝি এখান থেকেই সম্ভবত। তথাপি, তার উত্তরে মডারেটরদের একজন ‘ফরিদ আহমেদ’ যে ভাষায় কথা বলেছেন এবং তাতে যে সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়েছে, সেটি মোটেও ‘মুক্তমনা’ শব্দটির সাথে যায় না। এটি আমার মত, আপনাদের ভিন্নমত থাকতেও পারে – কিন্তু তা বলে গালি দেয়াটা কি সমীচিন?
আমি মনে করি, না – গালি দেয়াটা সমীচিন নয়। ব্লগারদের একজন এ ভাষা ব্যবহার করলে ব্যাপারটা হয়তো ভিন্নতর হতো, কারণ সেক্ষেত্রে মডারেটররা রয়েছেন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবার জন্য। কিন্তু স্বয়ং একজন মডারেটর যখন যত্রতত্র নেতিবাচক বিশেষণ প্রয়োগ করেন তখন সেটি একেবারেই শোভন দেখায় না। কারণ বিচারককে হতে হয় বিচার্য্যের প্রতি ‘নির্লিপ্ত’। কে বন্ধু, কে আত্মীয়, কে পরিবারের সদস্য সেটি বিবেচনা করতে গেলে পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে মডারেটরের দায়ীত্ব পালন করা যায় না।
আশা করছি আপনি মাসুদ রানার পড়তে-পারা বনাম বুঝতে-পারাঃ বিপ্লব পালের মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে পোস্টটি ও সেখানে আসা মন্তব্যগুলো খতিয়ে দেখেছেন। এটিকে আমি একটি অসাধারণ সমালোচনামূলক প্রবন্ধ বলবো। সাব্জেক্টের প্রতি নির্লিপ্ত থেকে অবজেক্টিভ দিক থেকে বিপ্লব পালের পূর্বতন একটি প্রবন্ধের সমালোচনা করেছেন রানা। কিছুক্ষণের জন্য ‘বন্ধুর বিপক্ষে যাচ্ছে’ এই ভাবনাটুকু মাথা থেকে সরিয়ে রাখতে পারলেই বুঝতে পারা সম্ভব আমি কেন তা বলছি।
তিনি সেখানে বিপ্লবের লেখার অন্তত ৪টি ত্রুটি নির্ণয় করেছেন। একজন মুক্তমনের অধিকারী ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাপদ্ধতির সাথে পরিচিত ব্যাক্তির উচিৎ সেই ত্রুটিগুলোকে এক্সামিন করা। দুঃখজনক হলেও সত্য মুক্তমনার নিয়মিত ‘সদস্য’রা যারা দৃশ্যতঃ বিপ্লব পালের ভক্ত বা শুভাকাঙ্খী, তারা কেউই সেই ভুলগুলোর দিকে নির্দেশ করেননি। হয় তারা বন্ধুর মনে কষ্ট দিতে চাননি কিংবা আদতে তারা বুঝতেই পারেননি (এটির সম্ভবনা কম বলেই আমার ধারণা)। বরং যখন মাসুদ রানা নামের একজন সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দিলো (তুলনামূলকভাবে সভ্যতর ভাষায়) তখনি দল বেঁধে সকলে মাসুদ রানাকে উত্তক্ত করতে শুরু করে দিল। শেষে নোংরা ভাষা নিয়ে এসে যোগ দিলেন একজন মডারেটর স্বয়ং!
লক্ষ্য করলে দেখবেন, রানার লেখাতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বিপ্লব পাল শুরুই করেছেন গালি দিয়ে। কিন্তু তা নিয়ে কারো কোন বক্তব্য নেই! মাসুদ রানার লেখা প্রসঙ্গেও কারো কোন বক্তব্য নেই!
মোদ্দা কথা হচ্ছে যে, গোষ্টীবদ্ধভাবে গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রতি আনুগত্যের যে সংস্কৃতি আপনারা গড়ে তুলেছেন এবং চর্চা করছেন সেটি বৈজ্ঞানিক চিন্তার ধারক ও যুক্তিবাদী একটি ফোরামের কাছে কাম্য নয়। মুক্তমনে ভিন্ন মতকে এক্সামিন করুন, বাতিল করুন, উপযুক্ত হলে গ্রহণ করুন, তা না হলে ‘মুক্তমনা’ নাম ধারণ করা অর্থহীন হয়ে যাবে।
@আরিফ রহমান,
ধন্যবাদ ব্যাপারটি বুঝবার জন্য। যে সমস্ত ব্লগাররা নিজেদের প্রোফাইলের ওয়েব সাইটের ফিল্ডে পেইজ দিয়ে রাখেন, তাদের লিঙ্ক দেখা যায়, যারা করেননি তাদেরটা দেখা যায় না। এর সাথে সদস্য অসদস্যের কোন সম্পর্ক নেই। বহু অসদস্যও লিঙ্কায়িত হতে পারেন, যদি মন্তব্যের সময় তার কোন সাইটের লিঙ্ক ব্যবহার করেন।
আপনার বাকি মন্তব্যগুলো নিয়ে বলার কিছু নেই। বিপ্লব যে ভাষা ব্যবহার করে উত্তর দিয়েছে, সেটা ভুল। আমি একমত নই। একমত নই অন্য অনেকরই ভাষার ব্যবহারেও। যুক্তি খণ্ডন যুক্তি দিয়েই হবে সেটাই কামনা করি।
কিন্তু আপনি যে গোষ্ঠিবদ্ধতার দোহাই দিয়েছেন, সেটার প্রকাশ আপনার মধ্যেও কম বেশি পাবেন অনেকে। আপনি ফরিদ বা বিপ্লবের আক্রমণের কথা বললেন, আর যাকে প্রথম থেকেই সমর্থন যুগিয়ে আসছেন, সেই রানা সাহেবের কোন মন্তব্যেই ব্যক্তিগত আক্রমণ খুঁজে পেলেন না, এটাও কি একধরণের একচোখা দৃষ্টি হয়ে গেল না? অনেকেই কিন্তু উদ্ধৃতি হাজির করে মাসুদ রানার ব্যক্তিগত আক্রমনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। আপনি সেটা নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করছেন না, কেবল মাসুদ রানাকে ভিক্টিম বানিয়ে ছেড়েছেন। অথচ উনার অনেক মন্তব্যেই ব্যক্তি আক্রমনের ছাপ সুস্পষ্ট। “আপনি ভালো হাতে পড়েছেন। সুতরাং সাবধান!” কিংবা “পাড়া’র সর্দার হয়েছেন?” কিংবা “গীতার মতোই অমোঘ বাণী” – এগুলো কোন ভাল কথা নয়। আর ব্যক্তিগত ইবার্তায় যে ভাষায় লিখেছেন সেটাতে নাই বা গেলাম। সেগুলো আপনি বেমালুম ভুলে গেলেন কেন? উনি ইমেইল শুরু করেছেন ফরিদকে মালিক পক্ষ বানিয়ে। সম্ভবতঃ মার্ক্সীয় চিন্তায় সব কিছুতেই উনি মালিক-শ্রমিক খুঁজে পান। মুক্তমনার মডারেটর কোন মালিক পক্ষ নন, আর মাসুদ রানা কিংবা আপনিও এখানকার কোন শ্রমিক নন। এখানে কোন দাতা গ্রহিতার সম্পর্ক নেই। এটা নিছকই একটি ব্লগ। কেউ পছন্দ হলে লিখবেন, না হলে অন্য কোথাও লিখবেন, যার যেখানে ইচ্ছা।
আর বার বার বিপ্লবের ভুলের কথা, কিংবা লেখার দুর্বলতার কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন কেন? আমি তো আগেই বলেছি বিপ্লবের দর্শনের সাথে কিংবা তার মতের সাথে আমি বহু বিষয়েই একমত নই। আমার সাথে তার প্রচুর বিতর্কও হয়েছে। আর বিপ্লবের ভুল থাকলে তো মাসুদ রানাই তা তার লেখায় দেখিয়ে দিয়েছেন, আপনিও সেটা বলছেন। বিপ্লব যদি সেগুলোর যথার্থ উত্তর না দিতে পারে সে সমস্ত অভিযোগের, তাহলে তার ভুল সবাই বুঝবে। এখানে গোষ্ঠিবদ্ধতার দোহাই পারা অর্থহীন। স্বাধীনের মন্তব্য দেখুন, আল্লাচালাইনার মন্তব্য দেখুন। অনেকেই বলেছেন – বিপ্লব বরং মুক্তমনার অন্যতম সমালোচিত ব্লগার। এখানে তার সমর্থকই বরং নগন্য। যারা মাসুদ সাহেবের বিরোধিতা করছে – তারা বিপ্লব সঠিক মনে করে করছেন না, তারা করছে্ন কারণ মাসুদ রানার মনোভাব নেক বেশি উদ্ধত মনে হয়েছে বলে। তারপরেও গোষ্টীবদ্ধতার দোহাই পারলে আমি নিরুপায়। আপনি যেমন বিপ্লপবের শুভাকাংক্ষি আর সমর্থক সবাইকে বানিয়ে ছাড়ছেন, অনেকে বলতেই পারে – আপনিও তো প্রথম থেকেই মাসুদ রানার উগ্র মন্তব্যের ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন না। কাজেই – “সদস্য’রা যারা দৃশ্যতঃ বিপ্লব পালের ভক্ত বা শুভাকাঙ্খী, তারা কেউই সেই ভুলগুলোর দিকে নির্দেশ করেননি। হয় তারা বন্ধুর মনে কষ্ট দিতে চাননি কিংবা আদতে তারা বুঝতেই পারেননি (এটির সম্ভবনা কম বলেই আমার ধারণা)” – এই বাক্যটিতে বিপ্লব পালের বদলে “মাসুদ রানা” বসালেই বুঝবেন অপর পক্ষেরও গোষ্ঠিকেন্দ্রিকচিন্তা কম নয়।
@আরিফ রহমান,
আমি যুক্তিবাদ ও মুক্তমনার যে সংজ্ঞা জানি, তার আওতায় এসব কিছুই পড়ে না। এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, বস্তুজগত কিংবা জ্ঞানের উৎস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।
মাসুদ রানা, আপনি সহ আরও কয়েকজনের কথা শূনে মনে হচ্ছে মুক্তমনায় যেন বিপ্লব পাল তাঁর দোস্তদের নিয়ে আড্ডা দিতে আসেন। আপনারা যদি নিয়মিত মুক্তমনা পড়তেন, তাহলে লক্ষ করতেন যে ফরিদ আহমেদ অথবা বিপ্লব পালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়নি এমন লোক এই ব্লগে খুব কমই আছে। আমি তো একবার ফরিদ আহমেদ ও অভিজিতদার মধ্যেও বাদানুবাদ দেখেছিলাম। এসব অবশ্য আপনারা দেখলেও না দেখার ভান করবেন, কারণ তখন তো আর মুক্তমনা সম্পর্কে মনের মাধুরী মিশিয়ে বিষোদগার করা যাবে না। বাঙ্গালীর স্বভাবই হল খোচাখুচি করা, প্রতিপক্ষ না পাইলে নিজেরা নিজেরা হলেও খোচাখুচি করবে। খুব মজা লাগে যখন দেখি যে বামপন্থীরা আমাদের পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী বলে গাল দেয় আর ধার্মিকরা আমাদের “নাস্তিক কমিউনিস্ট” উপাধিতে ভূষিত করে।
যাক, আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি। আপনারা যদি এ ভেবে শান্তি পান যে মুক্তমনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, সবাই একে অপরের পিঠ চাপড়ায়, তবে তাই ভাবতে থাকুন।
@পৃথিবী, চমৎকার নাম আপনার। আমার বহু আগে লেখা ধারাবাহিক ‘এ লন্ডনে মধুর কেন্টিনে’ একটি চরিত্র ছিলো পৃথিবী। সে ছিলো নারী।
যা’ক, পৃথবীর ইতিহাসে সব সময় অবস্থিত ক্ষমতা কাঠামোর বাইরের ব্যক্তিদেরকে পাগল, অসুস্থ, বিকৃত মস্তিষ্ক বলে মার্জিনালাইজড করা চেষ্টা নতুন নয়।
স্ট্রম্যান বানিয়ে বন্দুক-তলোয়ার নিয়ে আমি হামলে পড়িনি। সুস্থতা ও অসুস্থতার লক্ষণতো পরে বিচার্য্য। আর আপনি যেটাকে belligerence বলছেন, এটি আপনার দেখার বিষয়। কিন্তু বুঝুন, আমাকে লড়তে হয়েছে একই সাথে বিপ্লব পালের গালি ‘ঠগবাজি’ এবং ভক্তদের অন্ধ-আবেগ-প্রসূত আক্রমণের বিরুদ্ধ। ওখানে আমাকে অবশ্যই দ্রুত এবং যথার্থ উত্তর দেবার প্রয়োজন ছিলো।
sobriety’র কথা বলছেন? ভিন্ন মতের জন্য ‘ঠগবাজি’, ‘মাতাল’ ইত্যাদি গালি এবং লাইজু নাহারের প্রতি কর্তৃপক্ষীয় ব্যক্তির কুৎসিত ইঙ্গিতকে আপনি কীভাবে দেখবেন?
অভব্য, অশালীন ও কুৎসিত মন্তব্য করাটা sobriety’র মধ্য পড়ে না, কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা হচ্ছে sobriety’র বাইরে?
আপনার মূল্যবোধ অভিনব। তবে পাওয়ার স্ট্রাকচারের পক্ষে। এত অবাক হবার কিছু নেই।
পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই তার পক্ষে। আর মানসিক সুস্থতা? এটি ঠিক হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে – নর্মাল কার্ভ (বেল শেইপ) ব্যবহার করে – বিজ্ঞানেও। কিন্তু এটি আপেক্ষিক এবং পৃথিবীর ইতিহাসের তুলনায় একটি সময়ের কর্তৃপক্ষীয় ক্ষমতা ও তার দেয়া মস্তিষ্কের সুস্থতা-অসুস্থতার সংজ্ঞার মেয়াদ-কাল খুবই ক্ষণস্থায়ী।
নিরাপদে থাকুন।
@পৃথিবী,
আমার কোন মন্তব্য আটকে দেয়া হয়নি।
ধন্যবাদ!
সুস্থ মস্তিস্কের দাবীকারীর কার্যক্রমে আমি উনাকে ঠিক মাথার লোক বলতে পারছিনা।
মাসুদ সাহেবের বুদ্ধির খেলার এই নমুনা? তো ঊন্মুক্ত ব্লগ ছেড়ে তিনি ই-বার্তার আশ্রয় নিলেন কেন? ভাষা দেখলে শালিনতার প্রতি এতটুকু শ্রদ্ধা আছে বলেও তো মনে হয় না।
কপাট তো খোলাই ছিল। তাহলে পিছনের দরজা দিয়ে আক্রমন কেন?
এটা কি মাসুদ সাহেব বুঝেন?
ঊনার ব্যাপারে মুক্তমনা এ্যাডমিনের অবস্থান খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
@বাদল চৌধুরী, আপনার লেখা পড়ছিলাম কাল রাতে। সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড। ধন্যবাদ লেখার জন্য। ধর্মের বিরুদ্ধে যুক্তিকে আশ্রয় করে লিখছেন। এটি একটি আকর্ষণী অবস্থান।
আমার বুদ্ধির খেলার নমুনা হিসেবে কোনটিকে নিয়েছেন? উন্মুক্ত ব্লগ ছেড়ে ই-বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানানো?
উত্তর সহজ। বলছি। ফরিদ আহমেদ যখন আমাকে ‘সুস্থ মস্তিষ্কে’ লেখার উপদেশ দিয়ে ‘মাতাল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ করে ব্লগে এলেন, তখন তার উত্তরে আমি যা লিখেছিলাম, তা সাবমিট করে পারিনি। ফরিদ আহমেদেরা আমাদের মন্তব্য সাবমিট করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাদে ক্ষমতা (অপ)ব্যবহার করে। তখন দেখলাম, মুক্তমনা থেকে কর্তৃপক্ষীয় লোকদের কাছে ই-বার্তা পাঠাবার একটি উপায় আছে। তাই ই-বার্তা পাঠিয়েছিলাম। এর চেয়ে বুদ্ধির কাজ কী হতে পারতো?
পিছনের দরজা দিয়ে আক্রমণ করিনি। যা বলার সরাসরিই বলেছি। আর দরজা খোলা ছিলো কি না? উত্তর নিনঃ খোলা ছিলো না।
এই যে আপনি ধর্মের বিরুদ্ধে লিখছেন! ধর্মে সমালোচনার জায়গা নেই বলেই তো আপনাকে ব্লগ লিখতে হচ্ছে। ধর্ম যদি বিতর্ক ও চ্যালেইঞ্জকে গ্রহণ করতে পারতো, তা হলো তো পৃথবী অন্য রকম হতো।
কিন্তু ধর্মই হোক, আর মার্ক্সবাদই হোক, যেকোনো আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান যখন প্রশ্নের মুখে ও সমালোচনায় আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, তখনই তাকে আমরা বলি প্রতিক্রিয়াশীল।
আপনি কোন পক্ষে যাবেন, তা নির্ভর করে আপনার অবস্থানের ওপর। এটি বুদ্ধির চেয়েও স্বার্থবুদ্ধির বিষয় বলে ইতিহাসে বারবার প্রমাণিত হয়েছে।
আপনার যুক্তিবাদ সর্বগামী হোক।
শুভেচ্ছা নিন।
দাদা আপনার অসীম র্ধৈর্য আছে।
এ ব্যপারেও তাই আশা করছি।
@আসরাফ, ধন্যবাদ আসরাফ। ধৈর্য্য একটা শক্তি।
শুভেচ্ছা নিন।
অবাক ব্যাপার :-O
রায়হানের ভাষায়
‘ দুনিয়াজুরা পচুর গিয়াঞ্জাম’
গীতাদির সাথে আমি একমত।
@আফরোজা আলম, ধন্যবাদ। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই শক্তির পক্ষে একমত থাকেন। আর এজন্যই শক্তি কর্তৃত্ব করে। নারীর প্রতি কুৎসিত পুরুষালী ইঙ্গিত অনেক নারীও উপভোগ করেন। কারণ, তারা পুরুষের হেজমনিতে সুখে বাস করেন। এজন্য অনেক নারীকেও তাসলিমা নাসরিনের প্রতি কুৎসিত মন্তব্য করতে দেখেছি।
নিরাপদ থাকুন।
@মাসুদ রানা,
আমি কিন্তু মোটামুটি হালকা চালে কথা বলেছি, একজনের উক্তি দিয়ে
‘ দুনিয়া জুরা পচুর গিইয়ানজাম”
পরে একমত পোষন করেছি অযথা ঝামেলা বাড়ানো আমার পছন্দ নয়। আর যার প্রসঙ্গে আপনি ইঙ্গিত করছেন সেই লাইজুন নাহারের সাথে আমার অতি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এই সব কথায় আমাদের কোনো ফাটল ধরবে না।
আমি জবাব দিতাম না কিন্তু, আপনি সব শেষে লিখেছেন,
নিরাপদে থাকুন।
এই কথার মানে বুঝলাম না। আমাকে হুমকি দিলেন নাকি সত্যি আজকাল যেন তেন দুর্ঘটনা ঘটে তাই বলেছেন,তা বুঝলাম না। আর সত্যি বলতে ব্লগে একদম পা দিয়েই আক্রমনাত্বক ব্যাবহার আমার কেমন জানি লাগছিল।
এটাও নিশ্চয় আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা। যদি প্রকৃত অর্থে নিরাপদে থাকার কামনা করেন, তো ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম, কথাটা না বুঝাতে পারার জন্য দুঃখিত। ‘নিরাপদে থাকুন’ বলে আপনার মঙ্গল কামনা করেছি।
আমি মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতেও রাজী আছি। আমি আপনার মতামতের বিরুদ্ধে থাকতে পারি, কিন্তু কেউ যদি আপনাকে বাধাগ্রস্ত করে, তার জন্য নির্বিঘ্নে লড়বো।
গালি না দিয়ে এবং অযথা হেয় করার জন্য কোনো শব্দ ব্যবহার না করে আপনি আমার মতামতের বিরোধিতা করুন, আমি আমার পত্রিকাতেও তা প্রকাশ করতে রাজী আছি।
জ্ঞানের ক্ষেত্রে গ্রহণে বা বর্জনে আমার কোনো সঙ্কোচ নেই – যাকে বলে একেবার নির্লজ্জ সরস্বতী (বানান ঠিক আছে তো?)।
আমার কাছ থেকে ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি একজন নিরীহ শিক্ষক, লন্ডনে থাকি। এখানকার বাঙালী সমাজের যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন, আমি কতো নিরীহ। কতোজন যে আমাকে ঠকিয়ে টাকা নিয়ে গেছে, কিন্তুও আমি রাগ করিনি। ক্ষমা করে দিয়েছি।
সুতরাং ভয়ের কিছু নেই। তাছাড়া আমি নিজে একজন নারীবাদী। নারীদের প্রতি আমি কোনো পর্যায়েই আক্রমণাত্মক হবো না। নিশ্চিত জানুন।
ভালো থাকুন।
পাগল নিজেকে পাগল ভাবে না, বলেও না।
আর পাগলে কি না বলে । কাজেই বার্তা প্রেরককে এবং এ বার্তাটিকে গুরুত্বহীন এবং অপ্রয়োজনীয় বিবেচনা করা হোক। এ নিয়ে অহেতুক সময় ব্যয় করা অপচয়।
@গীতা দাস, ধন্যবাদ। গীতার মতোই অমোঘ বাণী!
সাইকোলজীতে দুটো বাংলাদেশী ডিগ্রী (ঢাবি), একটি ব্রিটিশ ডিগ্রী (এলএসই) ডিগ্রী করে, ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটীর সদস্য হয়ে এবং সর্বোপরি সাইকোলজীর শিক্ষক হয়ে ভেবেছিলাম সাইকোলজীর বিষয়ে বোধ হয় কিছু শিখেছি। এখন দেখছি, গীতা-মতে আমি ‘পাগল’।
আপনার রায় শিরোধার্য্য, হে নারী! কিন্তু দয়া করে অন্য নারীর প্রতি কুৎসিত ইঙ্গিতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন (লাইজু নাহারের প্রতি ফরিদের কুৎসিত মন্তব্য )।
নিরাপদে থাকুন।
@মাসুদ রানা,
মুক্তমনায় অনেক জ্ঞানী, গুণী মানুষ আছেন কিন্তু কাউকে কখনো নিজের প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী নিয়ে এভাবে গর্ব করতে দেখিনি। কে কতটুকু জ্ঞানী তা প্রকাশ পাবে তার লেখায় তার আচরনে। এখানে ‘গীতা’ উনার নাম উনি নিজে গীতা নন।
আপনার নামের বানান ভুল লেখায় আপনি বিপ্লব পালকে বলেছেন, “আপনি ভালো হাতে পড়েছেন। সুতরাং সাবধান!” কিন্তু আপনি নিজেই বেশ কয়েকবার আভিজিৎদার নামের বানান লিখেছেন ‘আভিজিত’।টেকি সাফি আপনার কয়েকটি ভুল বানান ধরিয়ে দিলে, আপনি বলেছেন আপনার টাইপিং য়ে ভুল হয়েছে। টাইপিংয়ে ভুলতো যে কারো হতে পারে।
আপনি আরেক জায়গায় মিঃ পালকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন,”শুনেছি পি এইচ ডি করেছেন”। কারো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা তুলে কারো সাথে কথা বলা কেমন ব্যাপার? এখানে সবাই মুক্তমনে নিজের ভাবনা ও মতামত ভাগাভাগি করতে আসে, কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে নয়।
@তামান্না ঝুমু, আমার জ্ঞানের ক্ষুদ্রতা বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। আরও গালি আসুক। গালি দেবার একট অবজেক্ট পেলেন তো!
মুক্তমনার একজন সদস্য এরকম ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কাউকে ই-মেইল করতে পারেন ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। মুক্তমনায় লিখলেই যে মুক্তমনা হওয়া যায় না – এই ই-বার্তাটি তার প্রমাণ।
ফরিদ আহমেদ যদি ‘বাজে কথা বলার লোক’ হয়ে থাকেন – তাহলে ‘বাজে কথা’র সংজ্ঞা বদলাতে হয়। এবং সেই নতুন সংজ্ঞা অনুসারে মুক্তমনার অনেকেই ‘বাজে কথা বলার লোক’। তাই এই ‘বাজে কথা’র আসরে এরকম দর্পিত পদচারণ কি খুবই দরকার আছে এই মাননীয় ই-বার্তা প্রেরকের?
@প্রদীপ দেব, ধন্যবাদ। কোনো কিছুকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে বোঝা সম্পূর্ণ হয় না। আমি একটি অসম যুদ্ধে নেমেছি, জানি। যুদ্ধে হারতেও পারি। কিন্তু ফেয়ার ফাইট হবে আশা করি।
লক্ষ্য করুনঃ
(১) কর্তৃপক্ষীয় সার্কেলের বিপ্লব পালের মার্ক্সবাদের ভুল ব্যাখ্যা উদাহরণ-সহ উল্লেখ করে ব্লগ লিখেছিলাম।
বিপ্লব পালে শুরু করলেন গালি দিয়ে। বললেন, ‘আপনি প্রথমেই ঠগবাজি দিয়ে শুরু করলেন।’
(২) লাইজু নাহার লিখলেন, ‘বিপ্লব পালের বন্ধুরা দয়া করে আমার ওপর খড়গ হস্তে নামবেন না!’
ফরিদ আহমেদ উত্তরে লিখলেন, ‘নিজের উপর খড়গ নেমে আসার ব্যাপারে খুবই দুঃশ্চিন্তিত আপনি। ওদিকে আবার ঠিকই সোহানার মত মাসুদ রানার পেশী বলে বলীয়ান হয়ে বিপ্লবের ঘাড়ের উপরে খড়গ চালিয়ে দিলেন।’
‘সোহানার মত মাসুদ রানার পেশী বলে বলীয়ান হয়ে’ কথার মধ্যে দিয়ে আমার অপরিচিত এই ভদ্র মহিলাকে যে আমার নায়িকা হিসেবে ইঙ্গিত করলেন, তাতে কি কারও রুচিতে খারাপ লাগেনি?
এটি অবশ্যই বাজে কথা। সম্পূর্ণ নৌনসেন্স। এবং কুরুচিপূর্ণও বটে। সে-জন্যই বলেছি। মুক্তমনায় একজন নারীকে কথা বলার জন্য এভাবে আক্রমণ করা হবে, তা ভাবিনি। কারণ, অভিজিতকে আমি বুদ্ধিবৃত্তিক ও বিনম্র ভদ্রলোক হিসেবেই জানি। তার নিমন্ত্রণেই মুক্তমনায় এসেছি। এটিই আমার প্রথম ও একমাত্র ব্লগ।
ই-বার্তা পাঠানো হয়েছে তখন, যখন আমার পক্ষে মন্তব্য আর গ্রহণ করা হচ্ছিলো না। আমি যা লিখেছি, তা ব্লগে দেবার জন্যেই লিখেছিলাম। কিন্তু সাবমিট করতে গিয়ে দেখলাম, নিচ্ছে না। তাই পাঠিয়েছিলাম প্রকাশ করার জন্য। আমার এ্যাকাউন্ট থেকে ই-বার্তা করা আমার আর কী করার ছিলো?
আমার পদচারণ দর্পিত নয়। ঋজু ও ভয়শূন্য। আমি দাম্ভিক ও নই নতজানুও নই।
@মাসুদ রানা,
আপনার মত দাম্ভিক লোক আমি জীবনেও দেখিনি। আপনার আচারণ কথা- বার্তা আসলেই কুৎসিত। আপনি বিপ্লব পালের ভুল ধরে লেখা দিয়েছেন খুব ভালকথা। কেউ কী বিপ্লব পাল কে ডিফেন্ড করেছিল আপনার লেখায়? নাকি বলেছিল যে আপনি ভুল লিখেছেন? নাকি আপনি আশা করেছিলেন আপনার লেখা পড়ে সাথে সাথেই সবাই দা কুড়াল নিয়ে বিল্পব পালকে ট্যংগানী দেবে?
আগে আপনার নিজের করা কমেন্ট গুলো দেখুন
আপনার মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্নের আগে আপনি এই মন্তব্য গুলো করেছেন। এখন আপনি একটা মন্তব্য দেখান যেখানে বলা হয়েছে আপনার লেখায় ভুল আছে এবং বিল্পব পালের কথা ঠিকআছে। যদি না দেখাতে পারেন তাহলে স্বীকার করুন আপনি একটা প্রিমেডিটেড ধারণা নিয়ে এই ব্লগে কাঁদা ছোঁড়া ছুঁড়ি খেলতে এসেছেন। সবাই কে বিল্পব পালের সাগরেদ বানাচ্ছেন, জনে মুক্তমনা হবার উপদেশ দিচ্ছেন। আমি আপনার মতো স্বঘোষিত পণ্ডিত! কে উপদেশ দেবার ধৃষ্টতা করতে চাইনা। সে যোগ্যতাও আমার নেই। আমি মামুলি পাঠক মাত্র।মাঝে মাঝে মন্তব্য করি। তবে একটা আনুরোধ করি পাব্লিক ফোরামে যেহেতু লিখেছেন সেহেতু একটু চিন্তাভাবনা করে লিখলে নিজের জন্যেই ভাল মনে হয়।
পরিষেশ আপনাকে আরো একটা অনুরোধ করি।
http://blog.mukto-mona.com/?p=12402
এই লেখাটি পড়ে আসুন আগে। দেখুনতো মুক্তমনার সবাই বিল্পব পালের চামচা কী না। এই ধরণের গাদা গাদা লেখা পাবেন আপনি একটু খোঁজা খুঁজি করলে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে বিল্পব পালের লেখার চেয়ে বেশী সমালোচনা এইব্লগে কারো হয়েছে বলে মনে হয়না।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুস্থতা আপনার আসলেই বড় বেশী প্রয়োজন।
@নিদ্রালু, আমার মতো ‘দাম্ভিক’ লোক জীবনেও দেখেনি। আমার ‘আচরণ, কথা-বার্তা আসলেই কুৎসিত’। এটি আপনার গালি। গালিটা সম্ভতঃ কুৎসিত আচরণের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু নিশ্চয় নিম্ন ও অধঃপতিত সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত।
আপনার জাগরণ ঘটুক!
@মাসুদ রানা,
অনেক আগের পড়া। যতদূর মনে পড়ে কাজী আনোয়ার হোসেনের “মাসুদ রানা” সিরিজে সোহানা হলেন মাসুদ রানার নায়িকা। আমার মনে হয় সেই ফিকশনাল ক্যারেকটার তুলে এনে উনি মজাই করতে চেয়েছিলেন।
পরবর্তী লাইন-
বোঝা যাচ্ছে ঐ আগের কথাটাই সিরিয়াসলী ধরে নেয়াতে প্রথমেই ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।
@মাসুদ রানা,
ওই ই-বার্তার সূত্র ধরে বলছি: মুক্তমনায় আপনাকে ঠিক মানাচ্ছে না! (N)