[মুক্তমনায় ভর্তি হয়ে গেলাম। অভিজিতকে ধন্যবাদ একটি এ্যাকাউন্ট খুলে আমাকে লিখতে নিমন্ত্রণ করার জন্য। বনবাস থেকে ফিরতে দেরী হওয়া দুঃখিত, তবে ঠকেননি নিশ্চিত জানবেন। শুরু করছি, যেখানে শেষ করেছিলাম প্রায় এক বছর আগেঃ বিপ্লব পালের লেখার সূত্র ধরে।]
সবাই কি সব-কিছু পড়ে সমান-ভাবে বুঝতে পারেন? প্রশ্নটি সাধারণ হলেও উত্তরটি জটিল। কগনিটিভ সাইকোলজীর বিষয়। সাইকোলজীর যতো ‘লেভেল অফ এ্যানালাইসিস’ আছে, তার মধ্যে কগনিটিভ এ্যানালাইসিসটাই জটিলতম বলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী মনে করেন।
কগনিটিভ সাইকোজীতে বহু থিওরী বা মডেল আছে যা কম্পিউটার সাইন্সকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছ। তাই, মানুষের কগনিশনকে কম্পিউটিংয়ের বেসিক ইনপুট-প্রসেসিং-আউটপুট এবং স্টৌরিং ও রিট্রাইভ্যাল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। কগনিটিভ এ্যানালাইসিসের বেসিক এ্যাসাম্পশনে মানুষকে ‘এ্যাক্টিভ প্রোসেসর অফ ইনফর্মেশন’ মনে করা হয়।
তবে এটিও মনে করা হয় যে, ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও মৌটিভেশনের মতো ফ্যাক্টরগুলো তার ইনফর্মেশন প্রোসেসিংকে প্রভাবিত করে। সুতরাং, দুটো কম্পিউটারে একই ডেইটা ইনপুট ও একই প্রোসেসিং-কমান্ড দিলে আমরা নিশ্চিত হুবহু একই আউটপুট পাবো, কিন্তু দুটো মানুষের ক্ষেত্রে তা হয় না।
বিজ্ঞানে মতবাদের অস্তিত নেই, বিপ্লব পালের এ-দাবীর বিপরীতে আমার সপ্রমান মন্তব্যের উত্তরে তিনি অপ্রাসঙ্গিক-ভাবে আমাকে ‘মার্ক্সবাদী সাহিত্যের গভীরে ঢোকা’র আহবান করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই যে-কোনো আহবানে আহুত ব্যক্তি প্রথমেই আহবায়ককে বুঝার চেষ্টা করেন। মার্ক্সবাদী সাহিত্যের গভীরে ঢোকার আহবায়ক বিপ্পব পালের নিজের বুঝাটা বুঝার জন্য আমি কয়েক দিন সময় নিয়ে তার কিছু লেখা পড়ার চেষ্টা করলাম। দেখলাম মার্ক্সের লেখা পড়ে বুঝার ক্ষেত্রে বিপ্লব পালের প্রোসেসিংয়ে গোলমাল আছে। কীভাবে বুঝলাম? তার আউটপুট দেখে। নিচে ব্যাখ্যা করার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হলামঃ
বিপ্লব পাল মার্ক্সবাদের আসল ও নকলের পৃথকীকরণের উদ্দেশ্যে লিখলেন জন বিল্পব বনাম প্রযুক্তি বিপ্লব বিষয়ে। তার মূল কথা হলো, মার্ক্স বলেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে-সাথে সামাজিক উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে, তাই শ্রেণী-সংগ্রাম সেখানে অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয়। তিনি ব্যঙ্গ করে লিখেলনে, ‘সাধের শ্রেনী বিপ্লবের কি হইবে?’
মার্ক্সকে উদ্বৃত করার চেষ্টা করলেন পাল। জানালেন, মার্ক্স ‘outlines of the critics of political economy’ প্রবন্ধে এ-প্রসঙ্গে লিখেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট ইংরেজী বাক্য উপস্থাপন করে তার বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা হাজির করলেন এবং তার উত্থাপিত বিষয়টি বুঝার জন্য সে-বাক্যটি বুঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবী করলেন। অখণ্ড মনোনিবেশে লক্ষ্য করলাম বিপ্লব পালের পর্যবেক্ষণ ও উপলব্ধির অগভীরতা ও যত্নহীনতা।
প্রথমেই হালকা দ্রব্য দিয়ে শুরু করি। বিপ্লব পালের নির্দেশিত প্রবন্ধের শিরোনামটি ভুল। যাকে ‘শুরুতে গলদ’ বলা হয়। প্রকৃত শিরোনামটি হলোঃ Outlines of a critique of political economy. দৃশ্যতঃ পালের দৃষ্টিতে ও মননে ধরা পড়েনি critique ও critics এর মধ্যে পার্থক্য। তিনি critique- কে critics বুঝেছেন।
প্রসঙ্গতঃ জানাই, critic হচ্ছে সমালোচক, আর critique হচ্ছে সমালোচনা। একটি ব্যক্তি, অন্যটি বিষয়। বিষয়ের আউটলাইন্স হতে পারে, কিন্তু ব্যক্তির আউটলাইন্স হয় না, যদি না তার পৌর্ট্রেইট আঁকা হয়।
দ্বিতীয়তঃ প্রবন্ধটি মার্ক্সের লেখা নয়। অবাক? হ্যাঁ, মার্ক্সের নয়। মার্ক্সের চেয়েও লম্বা দাড়ি-ওয়ালা এক লোকের লেখা এটি। নাম এঙ্গেলস। মার্ক্সেরই বন্ধু।
পলিটিক্যাল ইকোনমী নিয়ে তিনি মার্ক্সের অনেক আগে কাজ শুরু করেছিলেন এঙ্গেলস। ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয় তার এ-রচনা। মার্ক্স পড়ে তাতে ‘কন্ট্রিবিউট’ করেছেন পরে, যা দেড় দশক পরে ‘A contribution to the critique of political economy’ নামে প্রকাশিত হয়।
লক্ষ্য করুন, এঙ্গেলস ‘এ্যা ক্রিটিক’ লিখেছেন। ইন্ডিফিনিট আর্টিকল দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন। মার্ক্স পরে ‘দ্য ক্রিটিক’ হিসাবে ডেফিনিট আর্টিকলে রেফার করে তাতে কন্ট্রিবিউট করেছেন এবং পরে এই কন্ট্রিবিউশন তার বিখ্যাত ‘Des Capital’এ অন্তর্ভুক্ত হয়।
এঙ্গেলেসের কিছু-কিছু লেখা আছে, যার স্মরণে মার্ক্সবাদী সাহিত্য জানা ব্যক্তির ভুল করার কথা নয়। ‘দ্য কন্ডিশন অফ দ্য ওয়ার্কিং ক্লাস ইন ইংল্যান্ড ইন ১৮৪৪’, ‘দ্য অরিজিন অফ দ্য ফ্যামিলী, প্রাইভেট প্রোপার্টী এ্যান্ড দ্য স্টেইট’, ‘এন্টি ডুরিং’, ‘সোশ্যলিজমঃ ইউটোপীয়ান এ্যান্ড সাইন্টিফিক’ এবং পথ-প্রদর্শক লেখা ‘আউটলাইন্স অফ এ্যা ক্রিটিক অফ পলিটিক্যাল ইকোনমী’, ইত্যাদি লেখায় এঙ্গেলস বিখ্যাত। বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে জানা-শোনা লোকদের মধ্যে এমন কোনো উজবুক (উজবিকিস্তানী অর্থে নয়) আছেন কি, যিনি বলবেন দেবদাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন?
উপরের দু’টো বিষয় এতো আহা-মরি কিছু ভুল নয়। উল্লেখ করলাম, বিল্পব পালের দেখার ও বুঝার ক্ষেত্রে প্রিসিশনের অভাব বুঝাতে (আমি আকাশ মালিকের মতো তার বানান ত্রুটি নিয়ে বলিনি; জানি, বাঙালী শিক্ষিতেরা ইংরেজী বানান ভুল করলে নিজেকে ছোট মনে করলেও বাংলা বানান-ত্রুটিতে তারা অনেক সময় গর্ব-বোধ করেন)।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তৃতীয় বিষয়টি, যা পাল নিজেই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলেছেন। পালের কথার কপি-এ্যান্ড-পেইস্ট করে দেখাইঃ
‘মার্ক্স এর বক্তব্য ছিল বিজ্ঞানের বলেই মানুষ প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন ব্যাবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। এবং ধণতান্ত্রিক ব্যাবস্থায় “পুঁজির” উদ্ভাবনের মাধ্যমেই মানুষ বিজ্ঞানের দ্বারা উন্নততর উৎপাদন করছে-এই জন্যেই বিজ্ঞানকে একটি স্বয়ংপূর্ন শাখা হিসাবে দেখতে হবে, যেখানে উৎপাদন ব্যাবস্থাটিই বিজ্ঞান প্রযুক্তির একটি শাখা হিসাবে পরিণত হচ্ছে (The productive process becomes sphere of application of science)। শেষের কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ …’
গুরুত্ব বুঝাতে পাল তার বঙ্গানুবাদ আন্ডারলাইন করেছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কথাটা কি পাল নিজে ঠিকভাবে বুঝেছেন? দুঃখের সাথে জানাই, পাল ইংরেজী চাবি-শব্দগুলো এবং তা দিয়ে তৈরী গুরুত্বপূর্ণ বাক্যটি বুঝতে পারেননি অথবা বুঝতে চাননি। কীভাবে বলি এ-কথা? বলি বিনীত ভঙ্গিতে নিম্নরূপেঃ
বিপ্লব পাল ‘Productive process’ কথাটা বুঝেছেন ‘উৎপাদন ব্যবস্থা’ হিসেবে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। ‘Productive process’ এর অর্থ হচ্ছে উৎপাদন প্রক্রিয়া। ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। যদিও দুয়ের মধ্যে দ্বান্দ্বিক মিথষ্ক্রিয়া বর্তমান, কিন্তু প্রক্রিয়া মূলতঃ ব্যবস্থার ফল।
প্রসসেসিং হচ্ছে সিস্টেমের অংশ। এদুটো এক নয়। ব্যবস্থা অগ্রগামী আর প্রক্রিয়া অনুগামী। সিমান্টিক পার্থক্য ছাড়াও স্মূক্ষ্ম দার্শনিক পার্থক্য আছে এর মধ্যে। বুঝতে ভুল করলে সিদ্ধান্তেও ভুল হতে বাধ্য।
এঙ্গেলসের লেখা ধারালো। তিনি দেখিয়েছেন, শোষণ-মূলক ব্যবস্থা কীভাবে নিম্ন মানসিক প্রক্রিয়ার জন্ম দেয়। এঙ্গেলসের লেখায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মার্ক্স ‘এ্যা কন্ট্রিবিউশন টু দ্য ক্রিটিক অফ পলিটিক্যাল ইকোনোমী’তে আরও আলোকপাত করেছেন।
অর্থ বুঝার ক্ষেত্রে পালের দ্বিতীয় ভ্রান্তি ‘application of science’ ক্লজটির অনুবাদে প্রকটিত। ‘application of science’কে তিনি বুঝেছেন ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি’ হিসেবে। এটি মারাত্মক ভুল। ‘application of science’ কথাটার যথার্থ হচ্ছে ‘বিজ্ঞানের প্রয়োগ’ – অর্থাৎ, বিজ্ঞানের ব্যবহার।
শব্দার্থে পালের তৃতীয় ভুল sphere-কে ‘শাখা’ মনে করা। যেখানে sphere-এর অর্থ ‘গোলক’ বা ‘ক্ষেত্র’, সেখানে একে ‘শাখা’ মনে করার মধ্যে শুধু শব্দগত নয়, কাঠামোগত ভুলও প্রতিভাত। ‘শাখা’র মধ্যে অন্তর্নিহিত আছে একটি হাইয়ারার্কী। মূল না হলে শাখা হয় না। কোনো কিছুকে শাখা মনে করা হলে তার জন্য একটি অগ্রগামী মূল ভাবতে হবে। কিন্তু sphere তা নয়। sphere-এর মধ্যে একটি আপেক্ষিক স্বাধীনতা আছে। সুতরাং ‘স্ফিয়ার’ বুঝাতে বিপ্লব পালের ‘শাখা’য় আরোহণ শাখামৃগের চালাকী না হলেও অন্ততঃ মনুষ্য-ভ্রান্তি বলে মানতেই হবে।
উল্লিখিত তিন ভুলের উপর দাঁড়িয়ে বিপ্লব পাল চতুর্থ ও চূড়ান্ত ভুলটি করে শাখা থেকে সম্পূর্ণভাবে পতিত হলেন। ইংরেজী উদ্ধৃতি ‘The productive process becomes sphere of application of science’-এর অর্থ যেখানে, ‘উৎপাদন প্রক্রিয়া বিজ্ঞানের প্রয়োগ-ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে’, সেখানে তিনি বুঝলেন কিংবা বুঝালেন, ‘উৎপাদন ব্যবস্থাটাই বিজ্ঞান প্রযুক্তির একটি শাখা হিসাবে পরিণত হয়েছে’।
আমি শিক্ষক হিসেবে এ-জঘন্য অনুবাদের জন্য তাকে ১০ এর মধ্যে দুটো শূন্য (০০) দেবো। এটি একটি সম্পূর্ণ লেক্সিক্যাল, গ্র্যামাটিক্যাল, সিমান্টিক ও সর্বোপরি কনসেপচুয়্যাল ভ্রান্তি। দৃশ্যতঃ এর জন্য তার দার্শনিক দারিদ্র্য অথবা ইংরেজিতে কমান্ডের অভাবকেই দায়ী করবো। অথবা দুয়ের সঙ্গমে তার বোধের গর্ভে ভ্রান্তির জন্ম হয়েছে।
বোধের দারিদ্র্য পালকে বিদ্রোহী করে তুলেছে শ্রেণী সংগ্রামের বিরুদ্ধে। তিনি যেহেতু বুঝেছেন যে, মার্ক্স উৎপাদন ব্যবস্থাকে ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি’র শাখা হিসেবে মনে করেন, তাই ‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি’র উল্লম্ফন বা বিপ্লব হলে উৎপাদন ব্যবস্থারও স্বয়ংক্রিয় উল্লম্ফন বা বিপ্লব হবে। এটি একটি ম্যাকানিক্যাল ভাবনা – ডায়লেক্টিক্যাল নয়। কিন্তু তার চেয়ে বড়ো কথা, মার্ক্স-তো তা বলেননি।
বিপ্লব পালেরা প্রোডাক্টিভ সিস্টেম, প্রোডাক্টিভ ফৌর্স ও প্রোডাক্টিভ প্রোসেসের কথা বলেন, কিন্তু মার্ক্স যেটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন, সেটি বেমালুম চেপে যান। ‘A contribution to the critique of political economy’র প্রিফেইসে মার্ক্স সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন যে, একটি নির্দিষ্ট উৎপাদন ব্যবস্থায় মানুষ ইচ্ছা নিরপেক্ষভাবে একটি উৎপাদন সম্পর্কে প্রবেশ করে। সে উৎপাদন-ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত উৎপাদন-সম্পর্ক যখন উৎপাদিকা-শক্তির বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে, তখন বিকাশের স্বার্থে এই সম্পর্কের প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নতুন উৎপাদন-ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে।
মার্ক্সবাদের ডায়ালেক্টিক্স বুঝলে, এটি বুঝার ক্ষেত্রে সমস্যা হবার কথা নয় যে, এ-বিকাশ সরল থেকে জটিলে, অনুন্নত থেকে উন্নততর স্তরে উল্লম্ফিত হয়। এবং যে-পয়েন্টে এ-উল্লম্ফনটি সংঘটিত হয়, সেটিই পয়েন্ট অফ রেভ্যুলিউশন। এটি একটি নির্মম শ্রেণী সংগ্রামঃ ক্ষমতার জোরপূর্বক দখল – সরল শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর নয়।
বিপ্লব পালেরা শ্রেণী সংগ্রামের ধারণার বিরুদ্ধে। প্রচলিত ব্যবস্থায় যারা সুবিধাভোগী শ্রেণীতে অবস্থা করছেন, তারা শ্রেণী সংগ্রামের বিরুদ্ধাচরণ করবেন, তাতে আশ্চার্য্যান্বিত হবার কিছু নেই। আমি নিজেই সুবিধাভোগী শ্রেণী থেকে এসেছি এবং দিব্যি আরামেই রয়েছি। শ্রেণী সংগ্রাম তো আমার ভালো লাগার কথা নয়।
প্রসঙ্গ এখানে ভালো লাগা-না-লাগার নয়। প্রশ্ন হচ্ছে সঠিকতা ও ভ্রান্তি নিয়ে। ভূ-ভারতে প্রচুর ‘বাম’ (ইদানিং এটি একটি চতুর শব্দে পরিণত হয়েছে) আছেন, যারা ‘বিপ্লবে বিশ্বাস’ করেন কিন্তু শ্রেণী সংগ্রামে নয়। আরেক দল আছেন, যারা শ্রেণী সংগ্রাম বলতে নিজেদের সংজ্ঞা মতো যে-কোনো বিষয়ে প্রতিপক্ষকে খতম করা বুঝেন।
আমি বিপ্লব পালের শ্রেণী অবস্থান নিয়ে ভাবিত নই। আমি তাকে বেনিফিট অফ ডাউট দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তির অভিযোগ থেকে রেহাই দিচ্ছি। মার্ক্সবাদীরা হয়তো দিবেন না। তারা বিপ্লব পালকে উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তক হিসেবে চিহ্নিত করে বলবেন, মার্ক্সের বক্তব্যকে তিনি বিকৃত করেছেন। বলা বাহুল্য, বিকৃতির মধ্যে কোনো পাণ্ডিত্য নেই। বিকৃতির মধ্যে আছে শঠতা, কিংবা মূঢ়তা, কিংবা উভয়ই।
বিপ্লব পালের নিমন্ত্রণ ছিলোঃ ‘… আসুন মার্ক্সবাদী সাহিত্যের গভীরে ঢোকা যাক’। পালকে বলি মেট্যাফরিক্যালীঃ নিমন্ত্রণের আগে খাদ্যের প্রস্তুতি নিতে হয়, আর যে-খাদ্য আপনার নিজেরই বদ-হজম হয়েছে, তা আপনি আমাকে খাওয়াবেন কোন্ ভরসায়? সাহসের কথা না হয় বাদই দিলাম।
তবে, না-বুঝে যাচ্ছেতাই বলার নির্বোধ সাহসের জন্য আপনাকে তারিফ না করেও পারছি না। এটিও একটি গুণ বটে। এতে অধিকতর কিছু নির্বোধ ভক্ত জোটে, যারা ‘দাদা’, ‘দাদা’, বলে করতাল বাজাতে বাজাতে ছোটে। আপনাকে গোপনে বলি, আমিও আপনার অন্য রকমের ভক্ত। আমোদের আক্রার বাজারে আপনার লেখা কিন্তু আমার দারুন লাগে। চালিয়ে যান! আমি আছি আপনার পিছনে।
মাসুদ রানা
১০ জুন, ২০১০
পুলাউ পিনাং, মালেসিয়া
এই লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ রহিত করা হলো।
আমার এমনিতেই বড় বড় ভাবের বক্তব্য শুনতে ভাল লাগে না। তার উপর মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য অশালীনতার দিকে গড়াচ্ছে। মডারেশনকে অনুরোধ থ্রেডটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য,
থাম্বস আপ, মাসুদ রানা!
বন্ধুর দেয়া লিঙ্ক দেখে এখানে আসলাম। আপনার পর্যালোচনাটা সেই রকম হয়েছে।
যাকে বলে স্টিমরোলার চালানো, কিন্তু হয় কি, কারও বোধ বুদ্ধি যদি থকথকে হয় চূড়ান্ত রকমের, হয়তো খেয়ালই করবে না কি গেল গায়ের ওপর দিয়ে। বিপ্লব পালকে সেই রকমই মনে হয়েছে কমেন্টগুলো দেখে।
এই রকম ধোলাই খেয়েও বলে, তুই হারছিস!
হো হো হো
রাত দুপুরে পেটে ব্যাথা হল হাসতে হাসতে।
আর যারা রানার নিজের পর্যালোচনা জানতে চান, তাদের জন্য বলি, দুনিয়ার সবচে ভাল প্রবন্ধ আসলে পলিমিক্যাল, পরের সাথে কুস্তাকুস্তি। মার্কস নিজেই দুনিয়ার অস্তিত্বামান সবকিছুর রুথলেস ক্রিটিসিজম দিয়া শুরু করষিলেন। মাসুদ রানার বিগিনিঙও সেই রকম হেভিওয়েট।
শুভযাত্রা, মাসুদ রানা।
অবাক কান্ড!
উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম নানা দিক থেকে নানা কথা আসছে, কিন্তু
একটিবারের জন্যও কেউ বলছেন না যে বিপ্লব বাবু এঙ্গেলসের লিখাকে মার্ক্সের বলে জালিয়াতি করেছেন, বলছেন না যে তিনি critique কে critics বলে উল্লেখ করেছেন এবং ইচ্ছেমতো ইংরেজির ভুল বঙ্গানুবাদ করে মনের মাধুরী মিশিয়ে মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন! এবং এখন পর্যন্ত সে ভুল স্বীকার বা ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি কিংবা তার দাবীর স্বপক্ষে নতুন কোন প্রমাণও হাজির করতে পারেননি।
পালবাবুর এই ভুল অনুবাদ, তার ভিত্তিতে ভুল ব্যাখ্যা এবং ইত্যাকার আরো কিছু অবৈজ্ঞানিক আচরণ উন্মোচন করেছে এই লিখাটি। বিজ্ঞানমনষ্ক ব্যাক্তিদের কাছে লেখকের ধন্যবাদ পাওনা হয়েছে।
পালবাবুর সেই লিখাটা থেকেই কৌট করিঃ
দেখুন পাঠক, তিনি সমালোচনাকেই জ্ঞানের উৎস মনে করেন (‘ই’ প্রত্যয় লক্ষ্য করুন)। অথচ ইনি সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না! ইনি তাহলে জ্ঞান গ্রহন, সহ্য বা ধারণ করেন কেমন করে!
পালবাবুর শুভাকাঙ্খীদের সম্ভবত উচিত হবে তাকে সমালোচনা গ্রহণ করে নিজের ভুল শুধরাতে উৎসাহ দেয়া; ক্রমাগত তাকে বন্ধুত্বের আনুগত্য দিয়ে আরো অবৈজ্ঞানিক মনস্তত্ত্বের দিকে ঠেলে দেয়া নয়।
(আগের একটি মন্তব্য প্রকশিত হতে প্রায় সারাটা দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। জানি না এই মন্তব্যটি মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করবেন কী-না, করলেও কতঘন্টা পর, কে জানে!)
লেখা পড়লাম আপনার, পড়ে খারাপ লাগলো না; তবে সবকিছু যে বুঝে ফেললাম সেটাও হলফ করে বলতে পারবো না। আমি পৃথিবীর যেই কয়েকটা জিনিষ বুঝি না তার মধ্যে আছে হচ্ছে গিয়ে- ধর্ম হিসেবে ইসলাম, রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে কমিউনিজম, সোসালিজম, মার্ক্সিজম, লেলিনিজম হোয়াটএভার ইউ নেইম ইট, এবং একটি সুডোএকাডেমিক মতাদর্শ হিসেবে পোস্টমডার্নিজম। এই জিনিষগুলা আমি আসলেই বুঝি না, আমি বুঝতে চাই খুউব খুউব শক্ত করে, কিন্তু বুঝতে গিয়ে দেখি এর প্রত্যেকটিই প্রত্যেক মানুষ নিজের নিজের মতো করে বুঝেছে; তাদের একজনের বোঝাপড়ার সাথে অপরজনের বোঝাপড়ার কোন কনসেনসাস নেই। এর মানে কিন্তু আবার এইও না যে আমি কিছুই বুঝিনা। আমি অনেককিছুই বুঝি, আমি স্টেরিওস্ফেসিফিক এসিমেট্রিক শার্পলেস ইপক্সিডেশন বুঝি, আমি রেনিনি-এঞ্জিওটেনসিন-অল্ডোস্টেরন পাথওয়ে বুঝি, কিন্তু আমি কমিউনিজম বুঝি না, পোস্টমডার্নিজম বুঝি না! কেউ আমাকে পোস্টমডার্নিজম বা কমিউনিজম বোঝাতেও পারে না; অপরপক্ষে আমি কিন্তু ঠিকই পারি তাদেরকে শার্পলেস ইপক্সিডেশন বোঝাতে যদি তারা পর্যাপ্ত সময় আমাকে দেয়!
আপনার পোস্টের মুলবক্তব্য সম্ভবত হচ্ছে গিয়ে এইটা যে- “বিপ্লব পালের মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা is largely a bunch of hocum!” বিপ্লব পাল মার্ক্সবাদের কি ব্যাখ্যা দিয়েছিলো সেটা আমি পড়িনি, তবে না পড়েই মোটামুটি আত্নবিশ্বাসের সাথে আপনার সাথে মতৈক্য প্রকাশ করাটা অস্বাভাবিক হবে না যে- yes, indeed it was largely a bunch of hocum! 😀 এর কারন হচ্ছে গিয়ে আমার নিজেরও একটা নিজস্ব মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা আছে, রহিম-করিম-জলিল-খলিল এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব একেকটা আলাদা আলাদা মার্ক্সবাদের ব্যাখ্যা আছে। আমরা কেউই আমাদের ব্যাখ্যাসমুহ নিয়ে কোন কনসেনসাসে পৌছুতে যাচ্ছি না। ফলে, এই কনসেনসাসে পৌছুনো বরং অপেক্ষাকৃত সহজ যে আমাদের প্রত্যেকের ব্যাখ্যাই হচ্ছে গিয়ে largely a bunch of hocum! এইটাই কি সবচেয়ে সাম্যবাদী পথ না, সকলেই পরিশেষে আমরা সমান?
পৃথিবীতে মানুষ টিকে আছে ৫০ হাজার বছর। প্রতি বছরেই তারা প্রসব করেছে অজস্র অজস্র রাজনৈতিক মতাদর্শ। প্রত্যেকেই তারা দাবী করেছে যে আমার মতাদর্শটাই সবচেয়ে সঠিক সবচেয়ে ভালো। আমার মতাদর্শটাই পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের গ্রহন করা উচিত। কিন্তু হায়! পরিশেষে একদিন তাদের সকলকেই স্থান ছেড়ে দিতে হয়েছে আগামীর মতাদর্শের জন্য। এইসব প্রপঞ্চ দেখে আমি সিদ্ধান্তে পৌছেছি, কোনটা ছহি মার্ক্সিজম কোনটা ছহি মার্ক্সিজম নয় বাস্তবের নিরিখে এই আলোচনার ঠিক ততোটুকুই মুল্য রয়েছে, যতোটুকু মুল্য রয়েছে কিনা ‘কি ধরণের অদৃশ্য প্যাপারনি খচিত পিতজা খেতে পছন্দ করে এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি প্রদক্ষিণরত হোতকা লোমশ ওরাং-ওটাং!’ এতদসংশ্লিষ্ট আলোচনার।
শুভ অভিষেক।। (F)
@আল্লাচালাইনা,
:lotpot:
ভাল লাগল!
স্বাগতম আপনাকে!
বলতে ইচ্ছে করছে দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা…..
এ প্রসঙ্গে একটা কথা না বলেই পারছিনা….
বিপ্লব পালের বন্ধুরা দয়া করে আমার ওপর খড়গ হস্তে নামবেন না!
মুক্তমনায় বিপ্লব পাল ব্যক্তি আক্রমনে চ্যাম্পিয়ন!
সবার মঙ্গল কামনা করছি!(F)
@লাইজু নাহার,
নিজের উপর খড়গ নেমে আসার ব্যাপারে খুবই দুঃশ্চিন্তিত আপনি। ওদিকে আবার ঠিকই সোহানার মত মাসুদ রানার পেশী বলে বলীয়ান হয়ে বিপ্লবের ঘাড়ের উপরে খড়গ চালিয়ে দিলেন।
বিপ্লবকেতো ব্যক্তি আক্রমণের চ্যাম্পিওন বললেন। এবার এর পক্ষে দুই চারটা উদাহরণ হাজির করুন। নাহলে আপনার এই মন্তব্যটাই বরং ব্যক্তি আক্রমণের উদাহরণ হিসাবে বাধিয়ে রাখা যাবে মুক্তমনায়।
@ফরিদ আহমেদ,
আবারও বলছি, প্লিজ এই ভয়টাই করছিলাম!
আমার অনুমানটাই সত্যি হোল!
আমার একান্ত নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তা আমি বলেছি।
মুক্তমনায় আমি যখন প্রথম মন্তব্য করতে গেলাম গীতাদির একটা
পোষ্টে উনি হঠাৎ করে আমাকে আক্রমন করে বসলেন!
সম্ভবতঃ ২০০৯ এ।এর অবশ্য দীর্ঘজ উত্তর দিয়েছি আমি।
তারপর ওনার পোষ্টে মন্তব্য করতে যেয়ে ঐ একই অভিজ্ঞতা হয়েছে
আমার!
তবে ওগুলো খুঁজে বের করতে সময় লাগবে!
বিপ্লবের ঘাড়ের উপরে খড়গ চালিয়ে দিলেন।
আর শুধু শুধু আমি কারুর ঘাড়ে খড়গ চালাই না!
আপনার ধারনা অবাক করল আমাকে!
ধন্যবাদ!
@লাইজু নাহার,
নিজের অভিজ্ঞতা নিজের কাছেই রাখাটাই ভাল। কাউকে পাবলিক ফোরামে ব্যক্তি আক্রমণের চ্যাম্পিয়ন বলতে গেলে তার স্বপক্ষে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা প্রয়োজন। এটা আপনার কিচেন টেবিল নয় বা আপনিও অবুঝ বাচ্চা নন যে যা খুশি অন্যের নামে বলে ফেলতে পারবেন বিনা প্রতিরোধে।
কী কারণে বিপ্লবের ঘাড়ে খড়গ চালিয়েছিলেন সেটাই জানতে চেয়েছিলাম। এখন দেখছি শুধু শুধুই আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওর ঘাড়ে গদাম করে খড়গ চালিয়েছিলেন।
@লাইজু নাহার,
এই কিছুদিন আগেই না বিপ্লব’দার পক্ষে কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, উনারে সবাই মিলে ঝাড়লো কোন এক লেখায় । এখন উনার অনেক বন্ধু আবিষ্কার করে ফেললেন। শুধু তাই না এই সুযোগে উনাকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে ছাড়লেন। সাথে এই লেখাটিও আবার আপনি ভালু পেলেন। কেমন যেন “শত্রুর শত্রু আমার মিত্র” ভাবনার ছায়া দেখতে পেলাম। খুব ভালো।
@স্বাধীন,
দয়া করে কিছু মনে করবেন না!
আমার একান্ত নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তা আমি বলেছি।
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়!
ধন্যবাদ!
লেখাটি মুক্তমনার স্পিরিটের বিপরীতে যায়। অনেক স্থানে ব্যক্তি আক্রমন চোখে পড়লে। ভিন্ন মতকে ভিন্ন শ্রেনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস চোখে পড়লো। যদিও লেখাটি শুধু বিপ্লব পালের লেখার ভিক্তিতে শুরু করা কিন্তু এক পর্যায়ে ব্যক্তি “বিপ্লব পালকে” সমষ্টিগত “বিপ্লব পালেরা” তে নিয়ে গিয়েছেন।
লেখকের প্রথম লেখা হিসেবে এটিকে ব্যতিক্রম হিসেবেই ধরে নিচ্ছি। তবে ভবিষ্যতে লেখকের কাছ থেকে মার্ক্সবাদ সম্পর্কে উনার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা কি সেগুলো জানতে আগ্রহী। মার্ক্সের লেখা নিয়ে পক্ষে/বিপক্ষে সব লেখাই আসুক, কিন্তু ব্যক্তি আক্রমন বাদ দিয়ে। আমরা এখানে সবাই জানতে এসেছি এক অপরের কাছ থেকে। যেহেতু আপনার নিজস্ব ধারণাগুলো এই লেখায় পেলাম না তাই লেখা সম্পর্কে কোন আলোচনায় গেলাম না। আশা করি পরবর্তী লেখায় আলোচনা হবে। মুক্তমনায় স্বাগতম ।
@স্বাধীন, ধন্যাবাদ। আবারও বলি, মার্ক্সবাদ আমার প্রস্তাবনা নয়। মার্ক্সবাদ সম্পর্কে কোনো মতামত দিতেও এখানে আসিনি। আমি জানি এখানে মার্ক্সবাদকে আক্রমণ-করা লেখাই ডমিনেইট করে। তাতে আমার কিছু আসে যায় না।
আমি শুধু পয়েন্ট আউট করেছি যে, মার্ক্সবাদকে ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বিপ্লব পাল মার্ক্সের বক্তব্যকে উল্টে দিয়েছেন। এটি ভুল। ভুলকে ভুল স্বীকার করার মতো মানসিকতা দেখতে পাচ্ছি না।
বিপ্লব পালের লেখায় আমি অন্ততঃ চারটি ভুল ধরেছি। কর্তন করুন আমার এ-ভুল ধরা। রক্ষা করুন বিপ্লব পালকে। দেখান, তার অনুবাদ ঠিক ছিলো।
তবেই বলবো, এখানে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা হয়। আর ঢালাও মন্তব্য, ‘আপনি বুঝেননি’, ‘বোঝার সামর্থ্য নেই’ – এসমস্ত কথা দিয়ে কিছুই প্রমাণ করা যায় না। আমাকে ‘অজ্ঞ’ গালি দিয়ে বিপ্লবকে বাঁচানো যাবে না। বিপ্লব পালকে রক্ষা করতে হলে প্রমাণ করতে হবে, আমি যেগুলোকে ভুল বলেছি, সেগুলো ভুল নয়। দ্যাটস ইট!
আর আক্রমণের কথাই যদি বলুন, তাহলে ‘রুলস অফ দ্য গেইম’ ঠিক করে নিন। বিপ্লব পালকে ‘জাজমেন্টাল’ হতে বিরত রাখুন। প্রমাণ না করে প্রতিপক্ষকে অজ্ঞতার দোষ দেয়া নিশ্চয় মুক্তমনের পরিচয় নয়।
বিপ্লব পালের পক্ষে মন্তব্যগুলো বেশ আসছে। আমার পক্ষের মন্তব্যগুলো আটকে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ক’জন আমাকে ফৌনে জানিয়েছেন। চমৎকার! এর বেশি আর কী হতে পারে এ-‘পাড়া’য়?
ভালো থাকুন।
@মাসুদ রানা,
দুইটা কারনে খুব হাস্যকর মনে হয়েছে কথাটা।
১) আমি নিজে মুক্তমনার ফরিদ ভাইয়ের সাথে লেগে গেছিলাম একবার, কই আমাকেতো ব্লক করেনি !! ফারুক নামের একলোক উদ্ভট সব মন্তব্য আর পোস্ট করে (আমি মাইন্ড করি না যদিও কারন উনার ভুলগুলো ধরিয়ে দেন সবাই আর সেটা থেকেও আমি অনেক কিছু শিখি) কই উনিতো বলেন না তার মন্তব্য আটকে দেয়া হচ্ছে। আরো বড় কথাটা হলো আপনার পোষ্টটাই প্রকাশ করা না হলে কাক-পক্ষীটিও টের পেত না। মুক্তমনা এতই নিচু মনের হলে আপনার লেখাটি রিভিউ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে কিভাবে বের হয়ে আসলো? আপনার কথাটি তাই আমার যুক্তিতে ধোপে টিকছে না।
২) কেও আপনার পক্ষে মন্তব্য করতে চাইছে?! আবার না পেরে আপনাকে ফোন করেও জানাচ্ছে?! নাহ কিছু না একটু হাসি লাগলো 😀
@টেকি সাফি, আপনাকে হাসাতে পেরে তৃপ্তি বোধ করছি। আপনার ফরিদ ভাই’র সাথে আপনার লেগেছিলো, কিন্তু আপনাকে ব্লক করেনি। তার মানে কি সবার বেলাতেও একি হবে ধরে নিচ্ছেন?
মানুষ যন্ত্র নয়। মানুষের আবেগ অনুভূতি আছে এবং নিজের বিশ্বাস বা আইডিওলজী আছে। সুতরাং একই মানুষ সবার বেলায় একই পরিস্থিতিতে একই প্রতিক্রিয়া জানাবে, এমন ভাবা যায় কি?
আমাকে আটকাচ্ছে না, এখনও পর্যন্ত। কিন্তু আমার পক্ষে সবাইকে একইভাবে ট্রীট করবেই এটি কি নিশ্চত বলা যায়? আমি যা বলেছি, তা সত্যি। কারণ আমাকে ফৌনে তা বলা হয়েছে। এটি আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন তা আপনার ব্যাপার। হাসতেও পারেন, কাঁদতেও পারেন।
আপনার যুক্তিতে আমার কথা ধোপে না টিকারই কথা। কারণ, যুক্তিগুলো মানুষের উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখেই তৈরী করা হয়।
আমার পক্ষে কেউ মন্তব্য পাঠিয়ে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষার করার পর তা দেখতে না পেয়ে ফৌন করতে পারে, এটি কি এতোই অবিশ্বাস্য? আর তাতে আপনার হাসি পেলো?
খুব ভালো। হাসতে পারা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
যদি বিষয়টিতে অবদান রাখতে চান, তাহলে মূল কথায় আসুন। আমার বক্তব্যঃ বিপ্লব পাল মার্ক্সবাদের ভুল অনুবাদ করেছেন। সুনির্দিষ্ট ৪টি। বলুন, তিনি ভুল না সঠিক?
মার্ক্সবাদকে ডিফেন্ড করার দায়িত্ব আমি নিইনি। মার্ক্সবাদকে রেফার করে বিপ্লব পাল যে দাবী করেছেন, সেখানে বিকৃতি আছে। ঠিক না ভুল?
উপরের উত্তরটি দিয়ে হাসুন। আমিও আপনার সাথে যোগ দেবো।
ভালো থাকুন।
@মাসুদ রানা,
হ্যা! আমার কাছে অবিশ্বাস্য। আমি সম্ভবনার সর্বনিম্ন স্তরের অপশনটাকে কেন আগে বিশ্বাস করবো? আপনি কি বলতে চান মুক্তমনার মডুরা WP এর প্রোগ্রামিং, তাও আবার অ্যাডমিন প্যানেল এডিড করছেন? কই একটাওতো পেন্ডিং কমেন্ট আমি দেখলাম না :-s
খুব মজা তো! দেখবেন আমি পাশ কাটাই কিভাবে? বিপ্লব পাল ভুল বা ঠিক তার দায়িত্বওতো আমি নেইনি।
তাহলে মন্তব্য করছি কেন? কই আপনাকেওতো ভুল ভুল বলে চেচাচ্ছিনা!! যেখানে মজা পাচ্ছি, সেটা খালি দেখিয়েছি।
@মাসুদ রানা,
আপনি একটি ভুল ধারনা নিয়ে বসে আছেন। উপরে আমার মন্তব্যে কোথায় বিপ্লব পালকে রক্ষার বিষয় এসেছে। মার্ক্সবাদ নিয়ে এখনো জানছি, এবং আপনাদের দুজনের বিতর্কেও আরো জানার ইচ্ছে আছে, তাই মার্ক্সবাদ নিয়ে আমি আলোচনায় যাইনি।
আমি এনেছি ব্যক্তি আক্রমনের বিষয়টি। সেটি বিপ্লব পাল না হয়ে মুক্তমনার যে কোন সদস্য বা যে কোন পাঠকও হতে পারতো। মুক্তমনায় সুস্থ বিতর্ক দেখতে আগ্রহী। আপনার মন্তব্য এবং লেখার স্টাইল তর্কের স্টাইল নয়, বরং যুদ্ধ স্টাইল। আপনি শুরুতেই দুপক্ষ বানিয়ে কাউকে অপর পক্ষে আর কাউকে নিজের পক্ষে বানাচ্ছেন। আমার মন্তব্যে কোথাও কি আপনাকে অজ্ঞ, বা বুঝেননি এই সব বলেছি? কিন্তু আপনি ধরে নিলেন আমি এগুলো বলেছি? জানতে পারি কেন? অতীত অভিজ্ঞতা বলে এই মানসিকতা নিয়ে ব্লগ জগতে বেশিদিন টিকতে পারবেন না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটি বেশ শক্ত অভিযোগ, আশা করি অভিযোগের পেছনে প্রমান রয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে মডারেটররাই কোন কিছু বলবেন। শুধু আমি বলবো, এই অভিযোগ মিথ্যে হতে বাধ্য। ব্যক্তি আক্রমন বা অশ্লীল বিষয় না থাকলে কোন মন্তব্য আটাকনোর কথা নয়। আমার মন্তব্যকে যদি বিপ্লব পালের পক্ষেই ধরেন তবে বলবো যারা সদস্য তারা সরাসরি মন্তব্য করতে পারে। তাই আমাদের মন্তব্যগুলো সাথে সাথেই চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। অতিথি মন্তব্যগুলো হয়তো এখনো মডারেশনের পড়ে আছে। কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন ঠিকই আসবে। যারা মডারেশনের সাথে জড়িতে তারা সবাই স্বেচ্ছাসেবক। সারাদিন মুক্তমনায় বসে থাকা তাদের কাজ নয়। আবারো বলি শুরুতেই মুক্তমনাকে “এ পাড়া” “ও পাড়া” এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে আপনি নিজেই সবাইকে নিজের শত্রু হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। এভাবে কি মানুষের হৃদয় জয় করা যায়? নাকি আপনি সেগুলো ধার ধারেন না? আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।
@স্বাধীন, আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। প্রথমে বলে নিই। ‘অজ্ঞ’ ইত্যাদি শব্দ আপনি বলেছেন বলে বলিনি। বিপ্লব পাল তার আগে অন্য একজনকে ‘অজ্ঞ’ বলেছেন। আর আমার ক্ষেত্রে ‘পড়েননি’, ‘বোঝার সামর্থ্য নেই’ ইত্যাদি বলেছেন।
যে-কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় একেক জনের একেক মত থাকতেই পারে। কিন্তু আমার মতকে সমর্থন করলো না বললে সে অজ্ঞ হয়ে গেলো, তার বোঝার সামর্থ্য নাই, এ-রকম জাজমেন্টের মধ্যে কী ভিত্তি থাকতে পারে? এটি রীতিমতো অভব্যতা। নয় কি? বিপ্লব প্লালের আচরণের এ-ধরনটি গ্রহণযোগ্য নয়।
আমার কাছ থেকে মার্ক্সবাদ সম্পর্কে জানার কিছু নেই। আমি মার্ক্সবাদ প্রীচ করছি না এখানে। আমি কিছুই প্রীচ করছি না। আমি মার্ক্সবাদ সম্পর্কে বিপ্লব পালের একটি রেফারেন্সে ভুল ধরেছি মাত্র। আর বলেছি, ইংরেজী থেকে তিনি বাংলায় যে অনুবাদ করেছেন, সেটি ভুল হবার কারণে তিনি একটি দার্শনিক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আপনারা সে-বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন কেনো? এটি তো সিম্পল। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ ঠিক হলো কি না, তা বুঝার জন্য তো মার্ক্সবাদের পণ্ডিত হবার দরকার নেই। শুধু দু’টি ভাষা জানা দরকার।
বিপ্লব পাল মার্ক্সকে কৌট করতে যেয়ে কোথায় ভুল করেছেন বাংলায়, তা দেখার জন্য আমার পৌস্টে ফিরে যান এবং প্রমাণ করুন আমি ভুল। ব্যস। মেনে নেবো। ইটস সো সিম্পল এ্যান্ড ফেয়ার।
আক্রমণের কথা বলছেন? কে আক্রমণ করেছে? আমি না পাল? আমার পৌস্টের উত্তর তিনি প্রথম দিয়েছেন এবং বলেছেন, আমি ঠগবাজি দিয়ে শুরু করেছি। এটি কি আক্রমণ না শুভেচ্ছা? ভুলকে ভুল বলা কি ঠগবাজি? যে তথ্য বিকৃত করে সে ঠগ নয়। যে ভুল ধরে, সে ঠগ? কি বিচার! সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে দুই বিঘা জমির মতো!
আপনার নিরপেক্ষ বিচার করার ক্ষমতা থাকলে বলুন, কে আক্রমণাত্মক কথা বলেছে? আমি বলছি, পাঠককে ঠকিয়েছে বিপ্লব পাল মার্ক্সের তথ্য বিকৃতি করে।
আমি সবাইকে আমার শত্রু হিসেবে ধরে নিইনি। যারা যে-ভাবে কথা বলছে, সে-ভাবে তাদেরকে সিম্পল কেট্যাগোরাইজ করছি। দ্যাটস্ ইট। তাছাড়া, প্রতিষ্ঠিত অথোরিটীর বিরুদ্ধ প্রথম কথা বললে কাউকেই ফুল দিয়ে বরণ করা হয় না। সুতরাং, মন জয় ও সত্য বলা একত্রে না-ও যেতে পারে। বিশেষ করে প্রথমিক পর্যায়ে। আমি নিশ্চিত আছি, কিছু দিনের মধ্যে মুক্তমনার অনেক পাঠক ঘুরে দাঁড়াবে।
বিপ্লব পাল কর্তৃপক্ষীয় সার্কেলের, তা আমি জানি। তাকে ডিফেন্ড করার জন্য অনেকে হৈ হৈ করে ছুটে আসবে তাতে আশ্চার্য্যের কী?
মন জয় করার কথা বলছেন? আমি তো কারও মন জয় করতে আসিনি। আমি এসেছি তার ভক্তকূলকে বোঝাতে যে, তিনি একজন ভ্রান্ত পণ্ডিত। তার কথা যেনো চ্যালেইঞ্জ করে গ্রহণ বা বর্জন করা হয়। কারণ, তিনি ইংরেজি থেকে ভুল বাংলা অনুবাদ করে মার্ক্সকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন।
আসুন, প্রমাণ করুন আমি ভুল, তিনি ভুল নন।
আমি অবশ্যই মানুষের ‘ধার ধারি’ – আন্তরিকভাবে ‘ধার ধারি’। ধার ধারি বলেই মানুষকে ভুলের বিষয়ে সতর্ক করতে চাই। আপনি আমাকে বলুন, আমার কোন কথায় বুঝলেন আমি মানুষের ধার ধারি না? মানুষকে ধার না ধারলে তো কিছুই থাকে না। আমার ইস্যুটি এটিই। বিপ্লব পালকে বলেছি, দাম্ভিক হয়ে নিজেকে বিজ্ঞ আর অন্যকে অজ্ঞ করার প্রবণতা ঠিক নয়।
আমি বিপ্লব পালকে উইথস্ট্যান্ড করতে পারছি। অনেকে পারবেন না। অনেককে তিনি আপমান করেছেন। আমি তার ভুল ধরিয়ে তাকে আকাশ থেকে মাটিতে নামাতে চেয়েছি।
আমাদের সংস্কৃতিতে এটি একটি বড়ো সমস্যা। একজন মহারথী হয়ে যান এবং তার অনেক চামচা জন্ম নেয়। এবং সে ভুল করলেও তারা তাকে ঠিক ঠিক বলে চিৎকার করে সমর্থন করে। সমালোচককে মারতে আসে। এতো দেখে আসছি জন্মের পর থেকে। আমাদের সংগ্রাম এ-সমস্ত বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াপনা ও লেজুড়বৃত্তির বিরুদ্ধে।
মানুষের বিবেক-বুদ্ধি বন্ধনমুক্ত হোক! মানুষ মুক্তমনা হোক!
ভালো থাকুন।
@মাসুদ রানা,
মুক্তমনায় লিখতে গেলে সুস্থ মস্তিষ্কে লিখু্ন। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত বা মাতাল ব্যক্তিদের জন্য মুক্তমনা নয়। কোন মন্তব্য আটকে দেয়া হয়েছে বলে মনে হয় আপনার? আপনিতো লগ ইন করেই এক নাগাড়ে মন্তব্য করে যাচ্ছেন যা খুশি ইচ্ছামত মডারেশন ছাড়াই। তাহলে কে আটকাচ্ছে আপনার মন্তব্য? আপনার কোন ইয়ার দোস্তরা মুক্তমনার ভিতরের সব খবর রাখে যে তাঁরা আপনাকে ফোনে সব কিছু জানাচ্ছে?
জানেনই যখন তখন আর এ পাড়ায় আসার শখ হলো কেন? অন্য পাড়ায় থাকলেইতো ভাল ছিল।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি কি কর্তৃপক্ষের কেউ? আপনার নোংরা ভাষা আর উদ্ধত আচরণ দেখে আমি স্তম্ভিত!
আমার আগের মন্তব্যটি মুক্তমনা সারাদিন আটকে রেখেছে, বিজন নামের একজনের মন্তব্যও সম্ভবত। অথচ কয়েক মিনিটের ব্যবধানে লেখা হেলালের মন্তব্যটি ছাড় পেয়ে গেছে! এ থেকে যে কেউই অভিযোগ তুলতে পারেন যে সিলেকটিভলি কর্তৃপক্ষ এই কাজ করছে। অভিযোগ করাটা সকল সভ্য সমাজেই স্বীকৃত। অভিযোগ ভুল হলে সেটা খন্ডন করার পথে না গিয়ে অভিযোগকারীর ‘মস্তিষ্কের সুস্থতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা কিংবা ‘মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত বা মাতাল’ বলে সন্দেহ করাটা নিতান্তই অসভ্যতা।
আশা করি আপনি একাই কর্তৃপক্ষ নন (যদি কর্তৃপক্ষের কেউ আপনি আদৌ হয়ে থাকেন), প্যানেলে আরো সদস্য আছেন – মুক্তমনার মত ‘যুক্তিবাদী’র দাবীদার ওয়েবসাইটের মডারেশন প্যানেলের কাছে আরো মার্জিত ও দায়ীত্বশীল আচরণ কাম্য।
@আরিফ,
হ্যাঁ, আমি মডারেশন কমিটি্র একজন সদস্য। আপনার এক চোখ যে বন্ধ থাকে সেটা মনে হয় আপনি নিজেও জানেন না। না হলে মাসুদ রানা সাহেবের মন্তব্যগুলো পড়ে সেগুলো যে নোংরা ভাষাসমৃদ্ধ এবং অহেতুক ব্যক্তি আক্রমণে ভরপুর এবং প্রচণ্ড রকমের উদ্ধত এবং দুর্বিনীত, সেটা চোখে পড়তো আমার মন্তব্যের অনেক আগেই এবং স্তম্ভিত হতেন তখনই। আমার মন্তব্য পড়া পর্যন্ত দেরি করতে হত না।
একটা ব্লগে যখন লগ ইন করে মাসুদ রানা সাহেব পোস্ট দিতে পেরেছেন তখন তিনি নিশ্চয়ই ব্লগ সম্পর্কে ধারণা রাখেন। ব্লগের যারা সদস্য তাঁরা সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন। অতিথি লেখকদের মন্তব্য মডারেশনের কাছে জমা পড়ে। পরবর্তীতে কোনো একজন মডারেটর সেগুলোকে যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেন প্রকাশের জন্য। এই সরল বিষয়টা না জেনে অথবা জেনে, যিনি বন্ধুদের দোহাই দিয়ে মুক্তমনাকে অভিযুক্ত করেন বিনা কারণে, তাঁকে অসুস্থ মস্তিষ্ক বা মাতাল বলাতে এমন কী মহাভারত অশুদ্ধ হল?
এটা যারা মুক্তমনায় লেখালেখি করেন বা মন্তব্য করেন, তাঁদের কাছ থেকেও আশা করি আমরা।
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ ফরিদ, মডারেশনের রশিটা আরেকবার টেনে ধরুণ| ব্যক্তি আক্রমনের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তমনা হতে পারে না অবশ্যই!!!
@মাসুদ রানা,
এই ব্যাপারে আপনার সাথে একমত , কিন্তু উনাকে বিরত রাখার উপায় কী?
যেমন দেখুন টেকি সাফি ও জাজমেন্ট দিয়েছে –
ব্লগে জাজমেন্ট দেয়ার মতো লোকের অভাব নেই। এরি নাম ব্লগ!
@ফারুক,
আপনার পোস্ট গুলো উদ্ভট লাগে আমার কাছে। ব্যাক্তিগত অভিমত আর ‘জাজমেন্টাল’ দুটোর মধ্যে বিঘত খানেক তফাত আছে।
জাজমেন্টাল হতো যদি এমনটা বলতাম উনি উদ্ভট পোষ্ট করেন উনাকে দোররা মারা হোক(মজা করলাম)।
দয়া করে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে যেয়ে সব গুলিয়ে ফেলবেন না। আবার বলছি জাজমেন্ট দেয়া আর অপিনিয়ন দেয়ার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে, অভিধানটা দেখুন।
@টেকি সাফি,
এবার ঠিক হয়েছে , এটা অপিনিয়ন।
আপনি আগের মন্তব্যে কি বলেছেন – “ফারুক নামের একলোক উদ্ভট সব মন্তব্য আর পোস্ট করে” – এটা জাজমেন্ট। জাজমেন্ট অর্থ রায়ের সাথে সাথে শাস্তি ও দিতে হবে , তা কিন্তু নয়।
দেখলাম। আপনি ও দেখুন।
o·pin·ion – 5. a judgment or estimate of a person or thing with respect to character, merit, etc.: to forfeit someone’s good opinion.
The only difference between a judgment and an opinion is the existence of evidence to support an opinion therefore making it final or absolute. There is nothing wrong with a judgment of this type, however, the problem arises when we judge others in an aggressive tone.
Opinion: You might get more readers if you improved on the quality of your writing.
Judgement: You are not getting a lot of readers because of the quality of your writing.
Aggressive Judgement: Your content sucks so you are not getting any readers.
@ফারুক,
দেখুন অপিনিয়ন এর অর্থ
এটাও হয় আবার নিচের লাইনটাও সত্য।
A lawyer’s advice on the merits of a case
অর্থাৎ এ শব্দটার বেশ কিছু ব্যবহার এবং অর্থ আছে। আমি যে অর্থে ব্যবহার করেছি সেটা হলো প্রথম কোট করা লাইনটা।
আপনি উদ্ভট পোষ্ট করেন এটার জাজমেন্ট হয়েছে পাঠক দ্বারা এবং উপযুক্ত ফ্যাক্ট দ্বারা। এমনকি আপনার লেখা জীববিজ্ঞানের মানদণ্ডে উত্তীর্ন হতে পারেনি বলে প্রকাশ করা হয়নি। অর্থাৎ আপনাকে সেভাবেই জাজমেন্ট করা হয়েছে যেভাবে আমি এখানে বলেছি। নার পয়েন্টটা হলো জাজমেন্ট ওরা করেছে, আর আমি এখানে সেটা বলে তা সমর্থন করেছি। এটা আমার অপিনিওন।
আপনার জাজমেন্ট আর অপিনিওন এর পার্থক্যটা ঠিকই আছে এবং ঐ পার্থক্যের কারনেই আমার কথাটা অপিনিওন।
আমার অভিধানঃhttp://www.google.com/dictionary?source=dict-chrome-ex&sl=en&tl=en&q=opinion
ভাল থাকবেন।
@মাসুদ রানা,
আরেকটি বিষয় যুক্ত করি। এই ব্যাপারে কেন যেন আপনি পিছলিয়ে যাচ্ছেন বারংবার। উপরে অনেক সদস্যের মন্তব্যের জবাবেই আপনি একই জবাব দিচ্ছেন। দেখুন এখানে মার্ক্সবাদ বা ধর্মের বিপক্ষে লেখা ডমিনেন্ট বা বেশি আসা মানেই এই নয় যে মার্ক্সবাদ নিয়ে লেখা আসতে পারবে না। বরং উপরে সকল সদস্যের মন্তব্যগুলো দেখুন, সবাই এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি যে সবাই মার্ক্সবাদ নিয়ে আপনার নিজস্ব মতামত বা বিশ্লেষণ জানতেই আগ্রহী। তর্ক হতে পারে এইভাবেই। বিপ্লব’দা উনার মতামত তুলে ধরেছেন, আপনি আপনার মতামত তুলে ধরবেন। জাজমেন্টের দায়িত্ব পাঠকদের হাতে ছেড়ে দিবেন। আপনাকে কিন্তু কেউ বলেননি যে আপনি আপনার মার্ক্সবাদ নিয়ে মতামত দিতে পারবেন না। আপনি সেটা না করে উলটো রথ ধরলেন। আপনি বার বার বলছেন আপনার যুক্তিতে ভুল আছে কিনা সেটা তুলে ধরতে। সেটা পাঠক করবে কেন? সেটা করবে যার ভুল ধরেছেন তিনি। বিপ্লব’দা সময় করে হয়তো উনার যুক্তি নিশ্চয়ই তুলে ধরবেন। এখন আপনি লেখা দিয়েই যদি দাবী করে বসেন যে না এখনই দিতে হবে, আর না হলে আপনার বশ্যতা স্বীকার করে নিতে হবে সেটা যুক্তি/তর্কের কোন পন্থা নয়। আর যদি বলেন পাঠক হিসেবে আমাকেও কিছু বলতে হলে আমাকে স্বিদ্ধান্ত দিতে হবে সেটাও পাঠকের প্রতি অবিচার। আমার মতামত আমি জানাবো, কিন্তু তার জন্য আমার আরো উপাত্ত লাগবে। আপনার পুরো চিন্তা না জেনে শুধু কয়েকটা যুক্তি খণ্ডন দেখেই আমি আমার মতামত জানাতে পারি না। এ কারণেই আপনার মার্ক্সবাদ সম্পর্কে নিজের বিশ্লেষণ জানতে আগ্রহী। আগে সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করুন তারপর আলোচনা করা যাবে। সেটা না করে যদি পিছলাতে থাকেন তবে আমার মতামতও দিতে আমি বাধ্য নই। এই বিষয়ে আপাতত এই আমার মতামত।
মার্ক্সবাদ নিয়ে যদি আমার চিন্তা ধারনা জানতে চান তবে অধমের একটি লেখা রয়েছে মুক্তমনায়, পড়ে দেখতে পারেন। সেই লেখা সম্পর্কে যদি কোন কিছু বলতে চান উক্ত লেখায় মন্তব্য আকারে দিতে পারেন। সাধ্যমত চেষ্টা করবো নিজের মতামত তুলে ধরতে। তবে অগ্রীম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, খুব বেশি সময় দেওয়া কষ্টকর হতে পারে। মুক্তমনার অনেকেই জানে যে আমি আপাতত নিজের থিসিস লেখা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। তাই মন্তব্যের পর মন্তব্য করে যেতে পারবো না। আপনার প্রশ্নগুলো বা দ্বিমতগুলো জানিয়ে রাখলে সময় নিয়ে জবাব দিবো এই কথা দিতে পারি।
তিনমাস প্রায় কিছুই লেখার সময় পাই নি- একটু পেতেই ধর্মের মৃত্যু ঘন্টা লিখলাম। এবার মনে হচ্ছে এই প্রবন্ধের জন্যে ওটার মৃত্যুঘন্টা বেজে গেল :-Y
@বিপ্লব পাল, এটা মনে হয় ধর্মের প্রতিশোধের কারনে ঘটেছে!! :))
@ফারুক, বুঝিয়ে বলবেন কি? ধর্মের প্রতিশোধের কারণেই ঘটেছে কথাটার মানে কি? আমি কি এতে কোনো পার্টি? ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে?
শুভেচ্ছা!
@মাসুদ রানা, একটু মজা করেছি।
যদি সত্যিই এমন ঘটে থাকে , তাহলে আপনাকে পার্টি না বলে , আপনার অজান্তে ব্যাবহৃত হয়েছেন বলাই সঠিক হবে।
@ফারুক, ধন্যবাদ। এতো উত্তেজনার মধ্যে আপনার একটু মজা বেশ ভালোই লাগলো। আমি কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিন না। শুধু বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে যাচাই করে নিই। আমি ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারি? তা কার দ্বারা? ধর্মবাদীদের দ্বারা নাকি নাস্তিক্যবাদীদের দ্বারা?
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, বিপ্লব পাল যখন ধর্মের এক হাত নিচ্ছিলেন, তখন আমি তাকে এ-কাজ থেকে সরাবার উদ্দেশ্যে তার ভুল ধরে ব্লগ লিখেছি?
আপনার অকথিত ভাবনা সম্পর্কে আমার ধারণা যদি তা ঠিক হয়, তাহলে এটি হবে পৃথিবীর ইতিহাস সম্ভবতঃ সর্বশেষ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।
দয়া করে মনে কিছু নিবেন না। আমারটাও ঠাট্টা। কিন্তু প্লীজ বলুন, কার দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছি বলে মনে হচ্ছে?
আপনার কথাগুলো আমি সত্যিই এনজয় করেছি। আমি নিশ্চিত, পৃথিবী ব্যাপী আমার বন্ধুরাও এনজয় করবে।
ভালো থাকুন, ফারুক সাহেব!
@মাসুদ রানা, আপনি আসলেই একটি নির্ভেজাল মজার ভিতরে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুজে পাবেন , এমনটা আশা করিনি।
ধরে নিলাম , ওটা মজা ছিল না। আমি সত্যি সত্যিই বলেছি যে ওটা ধর্মের প্রতিশোধ ছিল। ধর্মের পক্ষে কে প্রতিশোধ নিতে পারে? ধর্মবাদীরা যদি আপনার যোগ সাজসে ষড়যন্ত্র করে আপনাকে দিয়ে লিখিয়ে থাকে , তাহলে সেটা তো আপনার অজানা থাকার কথা নয়।(আমার মন্তব্য খেয়াল করুন- আপনার অজান্তে ব্যাবহৃত হয়েছেন) এর অর্থ আপনি বা ধর্মবাদীরা এই ষড়যন্ত্রে অংশগ্রগণকারী নয়। এক জনই পারে আপনার অজান্তে আপনাকে দিয়ে লিখিয়ে প্রতিশোধ নিতে- ঈশ্বর। (যদিও আমি ধার্মিক , তবুও আমি মনে করি না , ঈশ্বর এমন একটি ফালতু বিষয়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিজেকে জড়াবেন।)
পৃথিবীতে কত কিছুইতো অহরহ ঘটছে , তার সব কিছুই কি আর শুধু বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে যাচাই করা সম্ভব?
যে কারও মতামতকে বিশ্লেষণ করে তার উপর নিজের মতামত দেয়াটা মানুষের জন্য একটা কগনিটিভ চ্যালেঞ্জ। মানুষের মন একই সাথে , একই সময়ে কার্যকরভাবে ‘সহজাত অনিশ্চয়তা’ এবং ‘প্ররোচিত অনিশ্চয়তা’ নিয়ে কাজ করতে অক্ষম। এছাড়া , মানুষের মধ্যে ‘কগনিটিভ বায়াস (bias)’ এবং অন্যান্য ‘অনিচ্ছাকৃত বায়াস (bias)’কাজ করে যেগুলো মানুষকে তার আনুমানিক অথবা প্রাথমিক নিজস্ব কোন মতামত কিংবা সিদ্ধান্তকে খণ্ডন করার চেয়ে সিদ্ধ করার দিকেই বেশী প্ররোচিত করে থাকে।
এসব কারনে অনেক সময়ই আমি কিছু সময়কাল বিরতি নিয়ে পুনরায় কোন গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্নে অন্যের মতামত আহবান করে থাকি এবং নিজস্ব মতামত দেয়ার সময় নিজের বেলায়ও সেটা করার চেষ্টা করি। আমারা আমাদের নিজেদের কগনিটিভ সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে যত বেশী সজাগ হব , সমঝোতার সম্ভাবনা ততই বৃদ্ধি পাবে।
আমি নিশ্চিত যে , কার্ল মার্ক্স কিংবা মার্চেন্ট অব ভেনিসের ‘সাইলাক’ সম্পর্কে এক বছর পূর্বে আমাদের যে মতামত ছিলো , এক বছর পরে সেটাতে কিছুনা কিছু রদবদল হবেই।
অতএব, পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক, কেউ যেন দুঃখভোগ না করে এই কামনাই সবসময় করি। 🙂
নিমন্ত্রন উপযুক্তভাবে রক্ষা হয়নি বলেই মনে হল, শুরুতেই বিপ্লব পালের এক বছর পুরোনো একটা লেখা নিয়ে এত কাহিনি ভাল লাগলনা। আপনার পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম যাতে আপনার মতামত সরাসরি থাকবে, অন্য কারো পুরোনো লেখার অযাচিত এবং অগঠনমূলক রিভিউ নয়। ধন্যবাদ 🙂
@লীনা রহমান, আপনার ভালোলাগার মতো-করে প্রকাশিত হতে পারলাম না বলে যার পর নেই কষ্ট হচ্ছে।
নিমন্ত্রণে বলা ছিলো না, কর্তৃপক্ষীয় সার্কেলের লোকদের কথায় ভুল ধরা যাবে না। থাকলে সে-নিমন্ত্রণে সাড়া দিতাম না। তবে আমি মনে করি না, অভিজিত ঐ পর্যায়ের। সম্ভবতঃ আমি ওকে চিনি।
লেখা যখন ব্লগে প্রকাশিত হয়, তা নিশ্চয় প্রেমপত্রের মতো ব্যক্তিগত নয়। সুতরাং তাতে মন্তব্য করাটা মোটেও অযাচিত নয়। আর রিভিউ গঠনমূলক কি-না? ভুল শব্দ, ভুল ফ্রেইজ, ভুল বাক্য, ভুল অর্থ ঠিক করে দেয়া যদি গঠনমূলক না হয়, তাহলে ভুলকে ‘বাহ্বা’, বাহ্বা বলাই কি তবে গঠনমূলক?
আপনার মূল্যবোধ আমার বোধের কাছে বেশ অভিনব মনে হচ্ছে।
সে যাগ্গে। তবুও বলি, নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করে দেখুন, ভুল স্বীকার না করে গাল দিলে কি ভুল শুদ্ধ হয়ে যায়?
পরিশেষে, সুযোগ পেলে আপনার ভালোলাগার মতো করে নিজে প্রকাশ করে ধন্য হবো।
তবু ভালো থাকুন।
মুক্তমনা, সবার মন্তব্য মুক্ত করে দিন! আর যিনিই আসুন, স্বনামে আসুন।
ধন্যবাদ
আমার তো মনে হয় প্রশ্নের মতোই উত্তরটা ও সাধারন। উত্তর – “না”। আপনার কাছে উত্তর কেন জটিল মনে হলো বা এর কি অন্য কোন উত্তর আছে?
@ফারুক, এটি লেখার স্টাইল। সেমিয়টিক্সের বিষয়। একটি প্রশ্নের মধ্য অন্য একটি প্রশ্ন ঢুকিয়ে প্রসঙ্গের অবতারণা করা।
প্রথম বাক্যটি একটি প্রশ্নের সাইন। বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলো সিগনিফাইয়ার হয়ে ‘সমান কি না’ তাকে সিগনিফাই করছে। এটি ফার্স্ট অর্ডার সিগনিফিকেশন, যেখান অর্থ শাব্দিক বা ডিনোটেশন। কিন্তু সেকেন্ড অর্ডার সিগনিফিকেশনে গোটা সাইনটাই সিগনিফাইয়ার হয়ে অন্য একটি প্রশ্নকে সিগনিফাই করছে। সে-টি এখানে এ্যাবসেন্ট বাট আন্ডারস্টুড, এটি তার কনোটেশন। আর এখান থেকেই লেখকের মূল লেখার শুরু।
উত্তর জটিল বলতে দৃশ্যমান প্রশ্নের উত্তর নয়, বরং অদৃশ্য প্রশ্নের উত্তর। এখানে যে একটি সরল দ্বন্দ্ব তৈরী হয়, সেখান থেকেই পাঠের আকর্ষণ শুরু হবে বলে লেখক আশা করতে পারেন। তবে তিনি যে সফল হবেনই, এমন কোনো কথা নেই।
আমি বুঝতে পারছি, আপনাকে আকর্ষিত করতে আমি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। তা, হতেই-তো পারি!
শুভেচ্ছা থাকলো।
@ফারুক, এটি লেখার স্টাইল। সেমিয়টিক্সের বিষয়। একটি প্রশ্নের মধ্য অন্য একটি প্রশ্ন ঢুকিয়ে প্রসঙ্গের অবতারণা করা।
প্রথম বাক্যটি একটি প্রশ্নের সাইন। বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলো সিগনিফাইয়ার হয়ে প্রশ্নটিকে তাকে সিগনিফাই করছে। এটি ফার্স্ট অর্ডার সিগনিফিকেশন, যেখান অর্থ শাব্দিক বা ডিনোটেশন।
কিন্তু সেকেন্ড অর্ডার সিগনিফিকেশনে গোটা সাইনটাই সিগনিফাইয়ার হয়ে অন্য একটি প্রশ্নকে সিগনিফাই করছে। সে-টি এখানে এ্যাবসেন্ট বাট আন্ডারস্টুড, এটি তার কনোটেশন। আর এখান থেকেই লেখকের মূল লেখার শুরু।
‘উত্তর জটিল’ বলতে দৃশ্যমান প্রশ্নের উত্তর নয়, বরং অদৃশ্য প্রশ্নের উত্তর। এখানে যে একটি সরল দ্বন্দ্ব তৈরী হয়, সেখান থেকেই পাঠের আকর্ষণ শুরু হবে বলে লেখক আশা করতে পারেন। তবে তিনি যে সফল হবেনই, এমন কোনো কথা নেই।
আমি বুঝতে পারছি, আপনাকে আকর্ষিত করতে আমি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। তা, হতেই-তো পারি!
শুভেচ্ছা থাকলো।
@মাসুদ রানা, আপনি এটাকে আপনার লেখার স্টাইল বলে চালালেও চলছে না যে। কারন আপনি ভাবছেন বিপ্লব পাল নিজে ভুল বুঝেছেন বা অন্যকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভুল বোঝাচ্ছেন। আপনার পোস্টে বিষয়ের থেকে ব্যাক্তি আক্রমনটিই বেশি ফুটে উঠেছে। Sorry to say. (এটাকে ব্যাক্তিগত ভাবে না নেয়ার বা আমাকে বিপ্লব পালের নির্বোধ ভক্ত না ভাবার অনুরোধ রইল)
সবাই সব-কিছু পড়ে সমান-ভাবে বুঝে না , এই সহজ উত্তরটাকে জটিল না করলেই মনে হয় কোন সমস্যা থাকত না।
@ফারুক, ধন্যবাদ। আপনার অনুরোধ গ্রহণ করলাম। জানলাম, আপনি বিপ্লব পালের ভক্তি নন।
ভালো থাকুন।
@ফারুক, ধন্যবাদ। ব্যক্তি আক্রমণের জায়গা ধরে দয়া করে আমাকেও আক্রমণ করুন। অথবা ক্ষমার মহত্ত প্রদর্শন করুন। দুটোরই অধিকার আপনার আছে। কিন্তু আমি যে-ভুলগুলো ধরলাম, সেগুলো সম্পর্কে চুপ করে আছেন কেনো? কারণ, বিপ্লব পালের বিপক্ষে যায়, সেই তো?
ঠিক আছে, বুঝতে পেরিছি।
ভালো থাকুন। অন্তরে সৎ থাকুন।
@মাসুদ রানা,
ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন। অনন্তর অন্তরে সৎ থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাকি..
হেলালের মন্তব্যে একমত হয়ে জানাচ্ছি, আপনি যদি মার্ক্সবাদ বা বিপ্লব নিয়ে আপনার নিজের মতামত গুলি সরাসরি তুলে ধরেন তাহলে আমার মত পাঠকের আরো ভাল লাগত।
@রৌরব, ধন্যবাদ। মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ আমার বিষয় নয়। এ-ব্যাপারে পাঠককে উপকৃত করার মতো মতামত দেবার কোনো প্রয়োজনীয়তা আমি বোধ করছি না। যিনি মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ জানতে যান, বুঝতে চান, তিনি নিজেই চেষ্টা করবেন।
আমার বিষয় ছিলো, একজন যেনো অপরের বক্তব্য নির্দেশে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিকৃতি না ঘটান। এটি অসততা।
একজন মার্ক্সবাদ-বিরোধী হতেই পারে। কিন্তু মার্ক্স যে-কথা বলেননি, সে-কথা মার্ক্সের বলে উল্লেখ করা ঠিক নয়। এই-তো!
শুভেচ্ছে রইলো।
@রৌরব, মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ আমার বিষয় নয়। এ-ব্যাপারে পাঠককে উপকৃত করার মতো মতামত দেবার কোনো প্রয়োজনীয়তা আমি বোধ করছি না।
যিনি মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ জানতে যান, বুঝতে চান, তিনি নিজেই চেষ্টা করবেন।
আমার বিষয় ছিলো, একজন যেনো অপরের বক্তব্য নির্দেশে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিকৃতি না ঘটান। এটি অসততা।
একজন মার্ক্সবাদ-বিরোধী হতেই পারে। কিন্তু মার্ক্স যে-কথা বলেননি, সে-কথা মার্ক্সের বলে উল্লেখ করা ঠিক নয়। এই-তো!
শুভেচ্ছে রইলো।
@মাসুদ রানা,
এই ধরনের আলোচনায় আমার আগ্রহ শূন্যের কাছাকাছি। আমি আকাশ মালিকের মত ব্যাকরন/শব্দগত ভুলও ধরি না কারন আমি নিজেই ফনেটিক পদ্ধতিতে লিখি, বানানও অনেক ভুল হয়। আমি শুধু একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করলাম।
আপনি বিপ্লব পালের বানান ভুল করা নিয়ে বলেছেন,
কিন্তু কমেন্টগুলো পড়তে পড়তেই চোখে পড়লো এগুলো,
😀
যাইহোক আপনার লিখা শক্তিশালী মনে হচ্ছে, আরো লেখা দেখতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
@টেকি সাফি,
এখানেও ভুল করেছেন। :)) আপনি সম্ভবত বলতে চেয়েছিলেন মনে না করলেও
এজন্যই এই ধরনের লেখায় আমি খুব একটা আগ্রহ পাইনা। :))
@টেকি সাফি, ধন্যবাদ। দ্রুত টাইপ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে। ভুলের ব্যাপারে আমি খোলা। স্বীকার করতে অসুবিধা নেই। আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে বলি, টাইপের ভুল ও বানান ভুলের ভিতর নিশ্চয় পার্থক্য আছে তাই?
ভালো থাকুন।
@টেকি সাফি, ধন্যবাদ। দ্রুত টাইপ করতে গিয়ে ভুল হতে পারে। ভুলের ব্যাপারে আমি খোলা। স্বীকার করতে অসুবিধা নেই। আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে বলি, টাইপের ভুল ও বানান ভুলের ভিতর নিশ্চয় পার্থক্য আছে । তাই নয় কি?
উত্তম সমালোচনা।
কৌট করার ক্ষেত্রে বিপ্লব পালের অযত্ন হতাশাজনক। মার্ক্সবাদের আসক নকল নিবন্ধে তিনি অযথাই সাইরিল স্মিথকে স্মরণ করেছিলেন, কিন্তু কৌট করেননি – এটি যে বাহুল্যবাদ তা তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর পরও সম্ভবত তিনি সেটি বুঝতে পারেনিনি। তারপর মন্তব্যের ঘরে গিয়ে আমাকে গুগোল থেকে দেখা নেবার নসিহত করলেন, অথচ যে পাতাটি দেখতে বললেন সেটি তিনি নিজেও হয় পড়েননি অথবা পড়েও বুঝতে পারেননি।
আশা করছি, পালবাবু এখন থেকে খানিকটা বাড়তি যত্ন নিবেন উল্টা-পাল্টা কৌট করার আগে।
আপনার লেখাটা অনকে ভাল লাগলো আপনার লেখা নিয়মিত দেখতে চাই। (F) (F) (F)
আর আমিও বিপ্লব পাল স্যারের লেখা পছন্দ করি আবার আমি একজন মার্ক্স বাদিও।
আমার একটা মার্ক্স বাদি সাইট আছে ইচ্ছা হলে ঘুরে আসতে পারেন লিবারেটর
@মাসুদ রানা,
কিছু মনে না করলে নিতান্ত একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে একটা কথা জিজ্ঞেস করি।
লেখাটিকি শুধুই বিপ্লব পালের জন্য লিখলেন নাকি আমাদের জন্যও? শুধু বিপ্লব পালের জন্য হলে তাকে ই-মেইল করে জানাতে পারতেন আর আমাদের জন্য হলে এতটা আক্রমণাত্মক না হলেই পারতেন।
মুক্তমনায় স্বাগতম। আপনার কাছ থেকে আরও লেখা আশা করছি।
@হেলাল, আপনার বোধের জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা আক্রমণাত্ম মনে হয়ে থাকলে এবং সে-কারণে আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি দুঃখিত। বিপ্লব পালের লেখার পৃষ্ঠে আমার মন্তব্য আপনি যদি আপনি পড়ে থাকুন, তাহলে লক্ষ্য করে থাকবেন, আমি কখনও আক্রমণাত্ম ছিলাম না। ওর দাম্ভিক মন্তব্য ও অন্যদেরকে হেয় করে লেখার জবাব দিয়েছি মাত্র।
লেখা অবশ্যই পাবেন। লিখতেই ভর্তি হয়েছি।
শুভেচ্ছা থাকলো।
@হেলাল, আপনার বোধের জন্য ধন্যবাদ। আমার লেখা আক্রমণাত্ম মনে হলে এবং এতে আপনি কষ্ট পেয়ে থাকলে, দুঃখিত।
আপনি হেলাল হোন, অথবা অভিজিত হোন, লক্ষ্য করে থাকবেন, বিপ্লব পালের লেখার পৃষ্ঠে আমি কোনো আক্রমণ করিনি। বরং দাম্ভিক ও অন্যকে বাতিল-করা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে তাকে বলেছিলাম। কিন্তু তার আক্রমণাত্নক মন্তব্য আমাকে বাধ্য করেছে তার ভুলগুলো তুলে ধরতে।
শুভেচ্ছা থাকলো।
@ মাসুদ রাণা
আপনি প্রথমেই ঠগবাজি দিয়ে শুরু করলেন।
আমার আগের প্রবন্ধে আমি দেখাতে বলেছিলাম লেনিনের সেই বিখ্যাত সাম্রাজ্যবাদের থিসিসে — এন্টি থিসিসের অস্তিত্বটা কোথায়???
আপনি প্রবন্ধটা ভাল করে পড়ুনঃ
আপনি বর্তমান লেখায় লেনিনের বিশ্লেষনে না গিয়ে আমার প্রবন্ধের বিশ্লেষনে গেলেন এবং এখান ওখান থেকে আউট অব কনটেক্সট বাক্য জোগার করে ভুল ভাল বকে গেলেন। আপনি আমার প্রবন্ধটি এখনো বোঝেন নি।
অর্থাৎ আপনি আমার ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জটি নেন নি।
এখানে বাংলাতে গন্ডোগল হল। শ্রেনী সংগ্রাম অপ্রাসঙ্গিক কথাটি যারা এস টি আর চর্চা করে বা আমার। মার্কস সেটা বলেন নি বরং তিনি শ্রেনী সংগ্রামের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। আপনি মার্কস, আমার এবং এস টি আরের লোকজনের বক্তব্য গুলিয়েছেন।
প্রশ্নটা উঠেছে
দার্শনিক মহল থেকে। মার্কসীয় সমাজ একটি এডিয়াবেটিক সিস্টেম। এখানের বিবর্তন মডেল ও এডিয়াবেটিক। সুতরাং প্রযুক্তির পরিবর্তন ছারা আর কোন কিছু ভাবেই সেই সিস্টেমের বিবর্তন সম্ভব না-অন্যদিকে ডারুইনিয়ান ঐতিহাসিক বস্তবাদি মডেল এন এডিয়াবেটিক । সেখানে পরিবেশের প্রভাবকেই পরিবর্তনের শিরোধা বলে ধরা হয়। সেখানে বরং শ্রেনী সংগ্রামের স্থান তাও দেওয়া যায়।
যাইহোক, আপনির প্রতিটা বক্তব্য আউট অব কনটেক্সট এবং এসটি আর ও মার্কসীয় বক্তব্যের মধ্যে আপনি গুলিয়েছেন। এই নিয়ে ভবিষয়তে আরো লিখছি। তবে লেনিনের লেখার ওপর চ্যালেঞ্জটা রইল। ওটা এখনো আপনি ঘাটেন নি।
@বিপ্লব পাল, প্রিয় বিপ্লব পাল,
প্রথমেই বলি, আমার নামের বানানটি ঠিক করে নিন। নামের বানান ভুল করার আপনাদের যে একটা ‘কেয়ারলেস’ ভাব আছে, ওটা ছাড়তে হবে। দিন-কাল পাল্টেছে। আপনি ভালো হাতে পড়েছেন। সুতরাং সাবধান!
দ্বিতীয়তঃ গালি দিবেন না। ওটি তুলে রাখুন নিজের জন্য। আমি ঠগবাজি করিনি। করেছেন আপনি। আপনি বিকৃত অনুবাদ করে পাঠককে ঠকিয়েছেন।
তৃতীয়তঃ লেনিন আমার প্রসঙ্গ নয়। আপনি আমাকে ‘প্রবেশ’ করার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলেন। আপনার নিমন্ত্রণ আমি গ্রহণ করিনি। কারণ, আপনার ইংরেজির পাঠ খুবই দূর্বল। আপনার বাংলারও অবস্থা খারাপ। আমি দূর্বলের সাথে লড়াই করি না।
আমি মার্ক্সবাদী কিংবা লেনিনবাদী নই। সুতরাং ওদের গোষ্ঠী উদ্ধার করলে আমার কিছু আসে যায় না। আমার বক্তব্য ছিলো সোজাঃ আপনি যেখানে নিজেই পড়ে বুঝতে পারেন না, সেখানে অন্যকে আহবান করেন কীভাবে?
আমি আপনাকে তারিফ করেছি, ভুল-ভাল বলে লোক হাসাবার জন্য। তবে গালি দেবার ইতর প্রকৃতিটি ছাড়তে হবে, দাদা।
স্নেহ রইলো।
@মাসুদ রানা,
আপনি আমার প্রবন্ধটি এখনো বোঝেন নি। মার্কসবাদ যে আপনি বোঝেন না সেটি আপনার এই বক্তব্যে আবার প্রমানিতঃ
এ্টি মার্কসিয় ডায়ালেটিক্সের লেনিনীয় ব্যাখ্যা। আমি সেটা ভুল না ঠিক না বলে, আবার বলছি মার্কসবাদ এবং মার্কস-লেনিনবাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারার মতন সামর্থ্য আপনার নেই। তাই কিছু মনে করবেন না। কিছু দিন অপেক্ষা করুন। আমি এস টি আরের ওপর আরেকটা প্রবন্ধ লিখে আপনার ভুলগুলো দূর করব। এখন বর্তমানে ধর্মের মৃত্যঘন্টা প্রবন্ধটিতেই কিছু দিন লেখা্লেখি করব।
@বিপ্লব পাল, আপনি আমার মতামতের বিরোধিতা করুন, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আপনি যে জাজমেন্টাল হয়ে যান, এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনি বললেন, আমি বুঝিনি । আর আমি বলছি, আপনি বুঝেননি।
আপনি বলছেন, মার্ক্সবাদ এবং মার্ক্স-লেনিনবাদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারার সামর্থ্য আমার নেই। ভালো কথা। কিন্তু এটিতো শুধু বললেই চলবে না, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে। আপনি আমার বাক্য উদ্ধৃত করে বললেন এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়, আমি মার্ক্সবাদ বুঝিনি। হতে পারে। কিন্তু আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে এক্সেক্টলী কোন কথাটুকু মার্ক্সবাদ সম্মত হয়নি।
আর, আমি যে বলেছি, আপনি মার্ক্সের লেখা বুঝতে পারিনি কিংবা বিকৃত করেছেন, তাতো হাতে-কলমে দেখিয়ে দিয়েছি।
তাও আমপনি মানবেন না। আপনি আমাকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। করছি। কিন্তু প্রামাণ হাজির না করার আগে পর্যন্ত আমার প্রতি ছুঁড়ে দেয়া জাজমেন্টাল কথাগুলো আপনার কাছে রাখুন। তখন না হয় ব্যবহার করবেন।
আপাততঃ এটুকু মেনে নিন যে, আপনার অনুবাদ ভুল। কি সাহস আছে ভুল স্বীকার করার?
আপনি অনেক বাজে বকেছন। আপনাকে থামাতে আমি এসেছি। যদি মানুষকে সম্মান দেখিয়ে ভাবনার বিনিময় করতে চান। তাহলে ভালো। আর যদি নিজে বড়ো দেখিয়ে অন্যকে ‘অশিক্ষিত’, ‘অজ্ঞ’, ‘সামর্থ্য নাই’, ইত্যাদি বলেন, তাহলে একই কথা শোনার জন্য আপনাকেও তৈরী থাকতে হবে।
দাদাগিরির দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ-কথা আপনারা কেনো মানতে পারছেন না?
আপনার বন্ধু ও রক্ষক অভিজিত যদি আমাকে আটকে না দেয়, তাহলে আমি প্রমাণ করবো আপনি কী। আপনিও অপেক্ষা করুন।
কিন্তু ফেয়ার গেইম খেলবেন। গালি দিবেন না। এবং মুক্তমনায় বিশেষ অবস্থানের সুবিধা নিবেনা না।
ভালো থাকুন।
@মাসুদ রানা,
মার্কসবাদ সামাজিক বিবর্তন না বিপ্লবকে ইঙ্গিত করে -এটি মার্কসবাদের একটি একশো বছরের চর্চিত বিতর্ক। এবং সেই নিয়ে আমার বহুদিন ধরেই লেখার ইচ্ছে ছিল। তবে ইচ্ছে থাকলেই ত লেখার সময় হাতে থাকে না। তাই একটু অপেক্ষা করুন। এই বিষয়টা নিয়ে বহুদিন থেকেই লিখব ভাবছিলাম। একটু ধর্য্য ধরুন। আপনার লেখা পড়েই বুঝেছি- আপনি এখনো এই পাড়াতে আসেন নি। সেই দরজা আপনাকে খুলে দেব।
@বিপ্লব পাল, মার্ক্সবাদ আমার প্রস্তাবনা নয়। আমি শুধু আপানাকে চ্যালেইঞ্জ করেছি আপনার কৃত প্রস্তাবনায়। লেনিনও আমার প্রস্তাবনা নয়। আপনিই আমাকে ডেকেছিলেন লেনিনের মধ্যে অসঙ্গতি আছে কি নেই তা প্রমাণ করতে। আপনার কথা যুক্তি সঙ্গত হতো, যদি আমি মার্ক্স বা লেনিনকে প্রস্তাবাকারে নিয়ে আসতাম।
আপনার প্রস্তাব আপনাকেই ডিফেন্ড করতে হবে। আমাকে নয়। পিএইচডি করেছেন শুনেছি, তো এটি বুঝতে পারছেন না কেনো? আপনার থিসিস আপনি ডিফেন্ড করেছেন নাকি অন্য কেউ?
আপনাকে আবারও বলি, আপনি খামাকাই লেনিনের মধ্যে সমস্যা আছে কি নেই, এ-রকম একটি দ্বন্দ্ব তৈরী করে আমাকে একটা পক্ষে নিতে বলেছেন।
আমি বলেছি, আপনার সাথে মার্ক্সবাদী বা লেনিনবাদী সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতে আমি ভরসা পাই না, কারণ আপনি ইংরেজি পড়ে তা ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না। এটি আমার দাবী নয়। এটি আমি ডেমোনস্ট্রেইট করেছি অবজেক্টিভলী।
আপনি আপনার পপার বাবুকে এনে আমার কথা ‘ফলসিফাই’ করুন। পপার ও আমি একই প্রতিষ্ঠানের – লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্সের। ইনি বেঁচে থাকলে সাক্ষী দিতেন, আমার হাইপোথেসি বৈজ্ঞানিক, কারণ এটি ফলসিফাইএবল। আপনি ডেইটা নিয়ে এসে একে ফলসিফাই করুন। আপনার অনুবাদ ও মার্ক্সের কথার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, এই নাল হাইপোথেসিস প্রমাণ করে আমার হাইপোথেসিস ‘ভুল আছে’কে রিজেক্ট করুন। কোন্ লেভেল অফ সিগনিফিকেন্সে টেস্ট করতে চান? কোন করমের টেস্ট চান? পেরামেট্রিক নাকি ননপেরামেট্রিক?
আপনি না বৈজ্ঞানিক? কিন্তু কথা বলছেন তো পয়গম্বেরের মতো। আর থেকে-থেকে ‘ওহি’ ‘নাযেল’ হবার মতো ‘একটা লেখা লিখবেন’ বলে ভয় দেখাচ্ছেন। আপনি তো দারুন রসিক মশাই! বন্দুক গুলি ব্যবহার করে শুধু লাইসেন্স দেখিয়েই বাঘ মারতে চান? তা তো হয়, না। সত্যিকারের বাঘ লাইসেন্সে ভয় পায় না।
আর যে বললেন, মার্ক্সবাদ সামাজিক বিবর্তন না বিপ্লবকে ইঙ্গিত করে, এটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে একশো বছর ধরে। তা এতো কষ্ট করে বিতর্ক করার দরাকার কি ভাইটি? মার্ক্স ও তার বন্ধু এঙ্গেলসের মুখেই শুনুন না কেনো?
কোনো ইঙ্গিত-টিঙ্গিত নয়। তারা বলেছেন, উদ্দেশ্যকে গোপন করতে তারা ঘৃণাবোধ করেন। তারা সরাসরি ঘোষণা করেন যে, তারা বল প্রয়োগের মাধ্যমে অবস্থিত সমাজ ব্যবস্থার উৎখাত চান। এবং তারা শাসক শ্রেণীকে বিপ্লবের ভয় দেখাচ্ছে্ন। বিবর্তনের নয় ভয় নয়। আমার কথা যদি বিশ্বাস না হয়, তাহলে ওদের মুখেই শুনুনঃ
The Communists disdain to conceal their views and aims. They openly declare that their ends can be attained only by the forcible overthrow of all existing social conditions. Let the ruling classes tremble at a Communistic revolution. The proletarians have nothing to lose but their chains. They have a world to win.
বিশ্বাস করুন, উপরের লেখাটি মার্ক্স ও এঙ্গেলসের কমিউনিস্ট পার্টির মেন্যুফেস্টোর শেষ পৃষ্ঠা থেকে সরাসরি ‘কপি এ্যান্ড পেইস্ট’ করা। বুঝতে অসুবিধা হলে অনুবাদ করে দিতে পারি। কিন্তু আমার মনে হয়, এটি বাংলায়ও অনুদিত হয়েছে।
তারপরও কি আপনি বলবেন, না মার্ক্স মোটেও বিপ্লব নয়, বরং সামাজিক বিবর্তন চেয়েছেন। আমি বুঝতে পারছি না, আমি ও আপনি একই ভাষা সিস্টেমের মধ্যে বাস করছি কি না।
আপনার পাড়াতে আমি আসিনি। ঠিকই বলেছেন। আপনার পাড়া যে একটা অন্ধ গলি, তা উপরে দেয়া মার্ক্সের উদ্ধৃতির সাথে আপনার দাবী মিলালে যে-কোনো নিরপেক্ষ মানুষ বুঝতে পারবে। আপনার বন্ধুরাও বুঝতে পারছেন। কিন্তু আপনাকে ওরা খুব ভালোবাসে বলে কিছু বলতে পারছেন না। এই আরকি?
কিন্তু ধর্মের মৃত্যুঘন্টা ছেড়ে দিবেন না, দয়া করে। আমি আপনার বুদ্ধিবৃত্তির চর্চার বিরোধী নই। কেনোই বা হবো?
শুধু বলেছি, শব্দ বা বাক্য যখন ব্যবহার করবেন, তখন তা যেনো ভুল না হয়। এবং কারও সঙ্গে মতের দ্বন্দ্ব করতে যেয়ে তাকে ‘অজ্ঞ’ এবং আপনি ‘বিজ্ঞ’ এভাবে জাহির করবেন না। বৃক্ষ ফলবতী হলে মাটির দিকে নুয়ে আসে। জ্ঞানীকে বিনম্র হতে হয়। আপনি উদ্ধত শব্দ ও ভঙ্গি দিয়ে নিজেকে জ্ঞানী প্রমাণ করতে পারবে না। আমি নিশ্চিত, আপনি তা ঠিকই বুঝতে পারছেন।
মাথা গরম করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় মার্ক্সের উপরের কথাগুলো পড়ুন। আর ভাবুন।
এবং অবশ্যই ভালো থাকুন।