( আমার প্রবাসী ভাইকে বিদায় জানানোর পরের অনুভূতি)
খুশির ঝালর
হৃদয়ের কুলে সিক্ত হল
এখন কী দিবারাত্রি
স্মৃতি সম্বল করে
সারাক্ষণ আড়ালে বসে থাকা।
প্রকৃ্তি কত নির্বোধ
বেদনায় গাঢ়
অপ্রকাশিত মন
পেছনে ঘুরে সর্বদা
সর্বক্ষণ।
চকিতে দেখে কেউ
আমার অস্থিরতা
এলোমেলো ভাবনা
আর,
নিশীথে ফুঁপিয়ে কান্না।
কবিতা ভালো লাগলো। অনূভূতি, কুলে, আপ্রকাশিত—এই বানানগুলো শুধরে নেন। চোখে লাগছে।
@এন্টাইভণ্ড,
যথা সম্ভব ঠিক করে নিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ব্যাকরণ বিষয়ক সমস্যাটা সমাধান দেবার জন্য।
(Y) (F)
@কাজী রহমান,
আপনার গোলাপ আনন্দের সাথে গ্রহন করলাম।
@আফরোজা আলম,
কবি নই, ছন্দ-পতন বুঝিনা তাই মার্জনা করতে পারি কিন্তু বানান?
এখানে
শব্দটা ঘুরে হবে।
অন্যটার (ঘোরে ) উদাহরণ দিলে পার্থক্যটা বুঝতে সুবিধা হবে-
ঘুমের ঘোরে সপ্ন দেখি-
এখন দেশের ঘোর দুর্দিন-
শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা-
জ্বরের ঘোরে বালকটি কী বলেছে –
শরীরটা কেমন আছে? তোমার কবিতা পেলে মনে করি তুমি ভাল আছো। ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা রইল।
@আকাশ মালিক,
আপনি এখানে “ঘোর” শব্দের যে যে উদাহরণ দিয়েছেন সেগুলোর সাথে “ঘোরা” ক্রিয়াপদের কোনো সম্পর্ক নেই। ঘুমের ঘোর, ঘোর দুর্দিন/ঘনঘটা, জ্বরের ঘোর, এগুলো হচ্ছে ঘোর শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থের প্রয়োগ। আফরোজা কিন্তু ব্যবহার করেছেন “ঘোরা” ক্রিয়াপদ। (সে ঘোরে জ্বরের ঘোরে—এইখানে দুই “ঘোরে”র উৎপত্তি আলাদা এবং অর্থও ভিন্ন।)
“ঘোরা” ক্রিয়াপদের সমাপিকা এবং অসমাপিকা ফর্মের জন্য যথাক্রমে ও-কার এবং উ-কার ব্যবহৃত হবে।
উল্টো ঘোরো। পেছনে ঘোরে সর্বদা
সর্বক্ষণ। [সমাপিকা ফর্মের জন্য ও-কার]
কিন্তু অসমাপিকা ফর্মের জন্য উ-কার…
উল্টো ঘুরে দাঁড়াও। তার পেছনে ঘুরে ঘুরেই জীবনটা কেটে গেল।
{{একইরকম আরো কিছু উদাহরণ:
১. বইটা তোলো। বইটা তুলে টেবিলে রাখো সে বইটা তুলেছে।
২. পাখি ওড়ে। পাখিটা উড়ে যাচ্ছে। পাখিটা উড়ছে।}}
ব্যাপারটা মনে রাখার জন্য আমি নিজের জন্য একটা শর্টকাট নিয়ম বানিয়ে নিয়েছি। সেটা হলো, দুই অক্ষরের কোনো ক্রিয়াপদ ব্যবহারের সময় যদি প্রকাশিতব্য ক্রিয়া ঐ দুই শব্দেই পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয় (সমাপিকা ফর্ম), তাহলে সেটি ও-কার দিয়েই হবে। অন্যথায় (অসমাপিকা ফর্ম) উ-কার।
(মোটামুটি কাজ চলে যায় বলে ভালোভাবে চেক করি নি। কারো চোখে সমস্যা মনে হলে বলবেন।)
@আকাশ মালিক,
ঠিক করে দিলাম আকাশ ভাই,
আমি ভালোই আছি। আর রোগ,শোক তো থাকবেই। যন্ত্রণা না থাকলে সৃষ্টি হবে কি দিয়ে। অনেকদিন আপনার লেখাও পাইনা অনুযোগ করলাম। শীঘ্র লেখা চাই।
চিন্তাই করতে পারিনা এক ভাইএর প্রতি বোনের এত দরদ থাকে।
কবিতাটা মন ছুঁয়ে গেল।
@আবুল কাশেম,
কীবা নিশি দিবা, বোনের ভালোবাসা এমন করেই কাঁদে ভাইয়ের জন্য।
আপনার আবেগের পুরনাঙ্গ বিকাশ ঘটেছে এই কবিতায়।
ধন্যবাদ
@নীল,
আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ভাল লাগল!
আর আমাদের তো-
দিবা রাত্রি-
@লাইজু নাহার,
হাঁ এই স্মৃতি নিয়েই আমাদের বেচে থাকা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
গদ্যময় জগতে আমার কবিতার দ্বারা ছন্দ-পতন হলে মার্জনীয়। 🙂
@আফরোজা আলম,
চৈত্রে (গদ্যময় জগতে ) আপনার কবিতা এক পশলা বৃষ্টি ঝরিয়ে দিল।
@গীতা দাস,
আপনার উপমাটা দারূণ লাগলো। 🙂