মহান সিঁধুর কথায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশ টিমকে নিয়ে কিছু কথা বলে নেই।
কী দেখলাম আজকে, কী দেখালো বাংলাদেশ, এক সপ্তাহ আগের গোহারা হেরে কাঁদতে কাঁদতে বনে চলে যাওয়া সেই দল আর আজকের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কি একই দ্ল? বাংলাদেশ ওয়েস্টইন্ডিজের হাতে বিশাল ভরাডুবির পর আজ যেভাবে ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করল তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আট উইকেট পরে যাওয়ার পর অবস্থা বেগতিক দেখে অনেকেই নাকি স্টেডিয়াম ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছিলেন। এই আল্লা খোদায় অবিশ্বাসী আমিও ভাবছিলাম একটু আল্লা বিল্লা শুরু করুম নাকি। অবশ্য তার দরকার পরে নাই। পিচ্চি শফিউল মাঠে নামার পরেই যেই তান্ডব ছুটালো তা গতকালকের ঝড়কেও ঠান্ডা বানায় দিয়েছে। যেটা ঘটলো তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়, যারা খেলাটা দেখেছেন তারাই শুধু বুঝবেন আমি কী বলতে চাইছি। আগামী দুটি খেলা নেদারল্যাণ্ডস আর সাউথ আফ্রিকার সাথে। এই দুটাতেই জয় চাই আমরা। অন্ততঃ হল্যান্ডের সাথে তো অবশ্যই। নাইলে আবার তাগুদি জনতা বাসে ইটা মারবে, এবারের পাটকেল আর বিদেশী দলের বাসে নয়, নিজেদের ঘাড়ে এসেই পড়বে ।
তবে ইটা মারামারি ছাপিয়ে যে খবরটা ইদানিং খুব বড় মার্কেট পেয়েছে তা হচ্ছে একসময়কার ভারতীয় মারকুটে ব্যাটসম্যান নভজোৎ সিং সিধুর জ্বিহবা । ভদ্রলোক একবার ঘুষি মেরে মানুষ মেরে ফেলেছিলেন। সেটা আশির শেষ দিকে কিংবা নব্বইয়ের শুরুর ঘটনা। তার গাড়ি রাস্তার জ্যামে আটকে গেলে রাস্তার এক লোকের সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদ বেধে যায়, আর তার ফলে সিঁধু ঘুষি মেরে লোকটিকে অজ্ঞান করে ফেলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক লোকটিকে মৃত ঘোষনা করে।
আমি যখন প্রথম খবরটা শুনি, তখনই মোটামুটি টাস্কি খাই। নিরামিষাশী ভারত – যার নেতা ঘুষখোর আজহার উদ্দিন নিরামিশাষীদের পাল্লায় পড়ে গরু খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলো আর যে কিনা মিন মিন করে কথা বলা ছাড়া কথা বলতে পারত না – সেই দলে কিনা মাইক টাইসনের মত রগ চটা বক্সার। ঘুষি মেরে মানুষ খুন? আমি তো ভেবেছিলাম তখনই ব্যাটার ফাঁসি হয়ে যাবে। মানুষ মারলে তো তাই হয় জানি। কিন্তু মারলে কি হবে, ভারতের জাতীয় দলের খেলোয়ার বলে কথা, সিধু পার পেয়ে গেল। সিধু তো আর সামান্য ফাহিম রেজা না যে কেবল কুমীর দেখাবে।
তবে ঘুষাঘুষিই সিঁধুর একমাত্র সম্বল নয়। দশভুজা দেবীর মত তার দেহের সকল অঙ্গই মাশাল্লা কর্মক্ষম। খেলাধুলা থেকে অবসর নেওয়া হলেও অঙ্গদিয়ে গুঁতাগুতি করার অভ্যাসটা যায়নি। ইদানিং তার হাতের সাথে জীবটাও চলে মাশাল্লাহ। যেকোন গর্ত দেখলেই নাকি তার জীব ঢুকে যায় সযত্নে। আর কোন এক অজ্ঞাত কারণে ভদ্রলোক বাংলাদেশকে দেখতে পারেন না। হতে পারে স্টেডিয়ামে ঢুকার আগে কোন দর্শক হয়তো তার বিখ্যাত পাগড়ি ধরে টান দিয়েছিল, কিংবা কে জানে কোন এক বাঙ্গালী ললনা হয়ত তাকে প্রত্যাখান করেছিল সর্বক্ষণ তার দাঁড়িতে গন্ধ থাকে বলে, কিংবা হয়তো বাংলাদেশের সাথে অজস্রবার শুন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরাও এর কারণেও হতে পারে, আমার কথা বিশ্বাস না হলে – এই যে দিচ্ছি শুন্য রানে প্যাভিলিয়নে যাওয়া সিধুর সেরম একটা পরিসংখ্যান –
যা হোক যা বলছিলাম, খেলা ছাড়ার পর, একজন ‘জ্বালামায়ী’ ক্রিকেট ভাষ্যকার হিসেবে সিঁধুর আবির্ভাব। ইএসপিএন-স্টার স্পোর্টসেই সিঁধুকে বেশি ধারাভাষ্য দিতে দেখা যায়, আর ধারাভাষ্যে আবোল তাবোল কথা বলাতেই তার বিশেষত্ব। অনিয়ন্ত্রিত কথা বলে এর আগে কয়েকবারই বিভিন্ন মহলের ক্ষোভের কারণ হয়েছিলেন তিনি। প্রথম দিকে এটাকে অনেকে বিনোদন মনে করলেও এখন সিঁধুর কথা শুনলেই মহা বিরক্ত হয় বেশিরভাগ দর্শক। এবারের বিশ্বকাপে ইএসপিএন-স্টার স্পোর্টসে ম্যাচ পূর্ব ও পরবর্তী একটি টকশোতে অংশ নিচ্ছেন নভজোৎ সিং সিঁধু। বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হারশা ভোগলের উপস্থাপনায় এই টক শোনাতে অংশ নিচ্ছেন, ইয়ান চ্যাপেল, সৌরভ গাঙ্গুলি, প্যাট সিমকক্স থেকে শুরু করে ডারমট রীভ ও অন্যান্য সাবেক ক্রিকেটাররা। এই আলোচনায় বাংলাদেশকে তেলাপোকার সাথে তুলনা করেন এই মহাবিস্ময়কর প্রতিভাটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তিনি ইয়ান বোথামের একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেন, হ্যা পাখিও উড়ে আর তেলাপোকাও উড়ে, ওয়েস্ট ইণ্ডিজো ক্রিকেট খেলে আর বাংলাদেশও ক্রিকেট খেলে।
বাংলাদেশের অগনিত দর্শকেরা তো মহা চটিতং হয়েছেনই, সেই সাথে দিন কয়েক আগে নিয়ে দীপন নামের একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্ত আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত বরাবর একটি ই-মেইল পাঠিয়ে প্রতিকারও চেয়েছেন। দীপন সিঁধুকে অভিযুক্ত করেন একজন ‘বর্ণবাদী’ হিসেবে। তাঁর অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশ নিয়ে সেই টক শোতে সিঁধু যেসব মন্তব্য করেন, সেগুলো আইসিসির বর্ণবাদ বিরোধী নীতিমালা ও কোড অব কন্ডাক্টের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত দীপনের এই ই-মেইল বার্তাটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্তও চালান। আইসিসি সেই তদন্তে ইএসপিএন-স্টার স্পোর্টসের সেই অনুষ্ঠানটির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিঁধুর বিরুদ্ধে বর্ণবাদী কথাবার্তার সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে। এই নিয়ে পড়ুন প্রথম আলোর রিপোর্ট ।
আজকে দেখলাম বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দেখা যাচ্ছে সিঁধু ভিজে বেড়াল হয়ে মিউ মিউ করছেন। কোথায় গেল সেই মানুষ খুন করা বক্সারের হম্বি তম্বি? ছালায় পুরে পিটালে বাঘও বিড়াল হয়ে যায়।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, সিধুর এই লাগামহীন বর্ণবাদী মন্তব্যের পর দিন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন ভারতীয় এক সাংবাদিক। তামিম খুব মজার একটা কথা বলেছিলেন তখন সিধু সম্পর্কে। বলেছিলেন, সিধু তো মানসিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তামিম বলেন –
‘লোকটা পাগল হয়ে গেছে। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। সমালোচনা যে কেউই করতে পারে। তবে তার একটা ভাষা আছে!’ সে ভাষাতেই সিধুকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তামিম, ‘১০ বছর আগে সিধুর নিজের দেশ ভারতের ক্রিকেট কোথায় ছিল? অত দূর যেতে হবে না। চার বছর আগের বিশ্বকাপে ভারত কী করেছিল? তিনি তখন কোথায় ছিলেন?’
আমরা সবাই জানি, চার বছর আগের বিশ্বকাপে ভারতকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় জানিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই বেতের বাড়ির দাগ সিধুর পিঠ থেকে শুঁকায় নাই এখনো। আমার মনে হয় তখন থেকেই বাঘকে তেলাপোকা ভেবে ভয় পায় সিধু। মাথা আউলালে এর’ম অনেক কিছুই ঘটে। সিধু যে একজন মানসিক রোগী তা ভাল টের পেয়েছে তার স্ত্রী। পাগলের সাথে থাকা সম্ভব না মনে করে তার স্ত্রী নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বার কয়েক। এখানে আছে একটি রিপোর্ট, এখানে আরেকটা।
অবশ্য তেলাপোকা নিয়ে কিছু উড়োখবর বাজারে চালু আছে। পাবনার হেমায়েতপুর থেকে প্রকাশিত ‘দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খবরের সাইট’ উরাধুরা নিউজ একটি খবর ছাপিয়েছে নভোজিত সিং সিধুর পতংগ প্রেম শিরোনামে। মুক্তমনায় পাঠকদের বিনোদনের জন্য নিউজটি দেওয়া গেল –
সাম্প্রতিক কালে বর্ণবাদী মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়া সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার নভোজিত সিং সিধুকে আমরা চিনি একজন দুর্বিনীত ভাষ্যকার হিসেবে। তবে আমরা অনেকেই যে তথ্যটা জানি না সেটা হলো তিনি একজন কীটপতংগ প্রেমী ব্যক্তি। সিধুর ব্যাক্তিগত সংগ্রহে আছে প্রায় হাজার খানেক বিরল ও বিপন্ন কীটপতঙ্গ, যার একটা বিরাট অংশই বিভিন্ন প্রজাতির তেলাপোকা।
“অর্থোপোডা গোত্রের প্রতিটি পতঙ্গই আমার অত্যন্ত প্রিয়, আর তাদের ভেতর আমাকে সবচেয়ে বেশী যে পতঙ্গটি আমার দৃষ্টি আকর্ষন করে তা হলো তেলাপোকা” গর্বের সাথে সিধু বলেন, “আমার কাছে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত প্রায় শখানেক তেলাপোকা আছে…”
এই সব পতংগ সংগ্রহ করতে গিয়ে ঝক্কিও কম পোহাতে হয়নি সাবেক এই ক্রিকেটারকে। ভিনদেশের হোটেলে গিয়ে তেলাপোকা খুজতে গিয়ে বেশ কয়েকবার হোটেল কতৃপক্ষের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি।
এই নিয়ে সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে এই বিশ্বকাপের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে, যেখানে বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিস দলের ভেতর শক্তিমত্তার তুলনা করতে গিয়ে পাখি আর তেলাপোকার আকাশে ওড়ার দৃষ্টান্ত দিয়েছেন তিনি। যার ফলাফল হিসেবে আইসিসি সতর্ক করে দিয়েছে পরবর্তীতে মাইকের সামনে বুঝে শুনে কথা বলার জন্য।
“তেলাপোকা বলে আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি আমি” বললেন সিধু, “আমার বাসায় একটি ঘরই আছে যার সমস্তটাই তেলাপোকায় ভরা, আমি মাঝে মাঝেই এই ঘরে গিয়ে সময় কাটাই…”
তবে একান্ত আলাপে বোঝা গেছে, পরবর্তীতে এই প্রকার বর্নবাদী কথা বলার অভিযোগ উঠলে আইসিসির পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে, তাই আক্রমনাত্বক ধারায় কথা বলার পুরোনো অভ্যাস ত্যাগ করে টিভির সামনে ভেবে চিন্তে মেপে কথা বলাই এখন অভ্যাস করছেন এই টিভি ভাষ্যকার।
তাই করুন আপনি মহামান্য সিঁধু। ভেবে চিন্তে মেপে কথা বলাই ভাল আপনার জন্য হপে। আপনার জীব যতক্ষণ আপনার মুখের গর্তেই আটকে থাকে আপনিও ভাল থাকবেন, আমরাও ভাল থাকব। ভাল থাকবে নিরীহ তেলাপোকারাও। তেলাপোকারা জ্বলে উঠলে কি দশা হয় আজকে ইংল্যান্ড ভালমতই টের পেয়েছে। আপনিও পাচ্ছেন আশা করি।
কৃতজ্ঞতাঃ ছবি এবং কার্টুনগুলো ইন্টারনেট এবং ফেইসবুক হতে সংগৃহীত।
সিঁধু কি আসলেই বাংলাদেশের খেলাকে খেলা মনে করে না? যদি তাই না করে তাহলে সে যে বর্ণবাদী মন্তব্য করতেছে সেগুলো মন থেকেই করতেছে তা খেলার জন্য না হয়ে অন্য কারনে করতে পারে। যেমন আমাদের দেশের বিহারীরা ইন্ডিয়া যতই ভাল খেলুক, কোন দিন তারা ইন্ডিয়াকে ভাল বলবে না, তেমনি পাকিস্তান খারাপ খেললেও পাকিস্তানের প্লেয়ার কখনো খারাপ খেলেনা, যদি পাকিস্তান হেরে যায় তাহলে এই হারার কারন পাকিস্তানের বিপক্ষদলেরই, এই হল বিহাড়ী দের মন্তব্য যা সিঁধু করে।
এই সব মন্তব্য দেখলে সিঁধু নিশ্চয় বলতেন
হালার একটা দেশ পাইছি-যেখানের লোক আমার থেকেও বড় সর্দার!
@বিপ্লব পাল, কি বোঝাতে চাইলেন এই কমেন্ট দিয়ে? উপরে যেসব বাংলাদেশী কমেন্ট করেছেন তারা সিঁধুর মতোই আবাল? বাংলাদেশের সব মানুষই ঐরকম? ‘বড় সর্দার’ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? …..আমার মনে হয় এইখানে মুক্তমনা নামেরর আবডালে অনেক ‘সিঁধু’ই লুকিয়ে আছে….আপনার কমেন্ট সেই কথাটা আবার মনে করিয়ে দিলো।
আসলেই দারুণ খেলা হল ইংল্যান্ড আর বাংলাদেশেরটা। শেষ বল পর্যন্ত উত্তেজনা, বাসার বুড়া থেকে শুরু করে পিচ্চি পর্যন্ত এক চিন্তায় অস্থির, এক বুলি মুখে “বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ…”
আমি টি।এস।সি যেতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলামনা, আমাকে বাসায়ই ঢুকতে দিতনা, আর মেয়েদের হলও বন্ধ হয়ে যায় রাত ৯।৩০ টার মধ্যে। বাংলাদেশে মাইয়া হওয়াটা আসলেই কাজের কথা না :-X
মনে হয় একটা খুশির খবর আসছে। আজকে স্টার ক্রিকেট সেট-এ মহামান্য সিধুকে না পেয়ে ভাবলাম ঘটনা কি, ব্যাটায় গেল কই? পরে গুগুল (দঃ) এর স্মরণ নিয়ে পাইলাম যুগান্তকারী কিছু লিঙ্ক –
Navjot Singh Sidhu is being fired as the ICC threatens ESPN and Star Sports to be careful
একই নিউজ আছে এখানে এবং আরো অনেক জায়গায়।
ইএস্পিন স্টার অবশ্য ব্যাপারটা অস্বীকার করছে। তবে ভিতরে যে একটা ক্যাচাল হয়েছে সেটা ঠিক – ESPN-Star Sports Corporate Communications head Himanshu Verma�also denied reports that Sidhu’s association with the channel is over. He said his [Sidhu’s] contract is “being changed from an exclusive one to a non-exclusive one.”
কোন ঝামেলা না থাকলে এক্সক্লুসিভ থেকে নন এক্সক্লুসিভ স্টেটে অবনমনের কারণ কি?
@ফাহিম রেজা,
Last Upadated, September 02, 2003
তেলাপোকা বোঝো; মানুষ বোঝো না!
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/03/navjot_sidhu_cartoon_20070115.jpg[/img]
এই মাত্র পরম পরিতৃপ্তির সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতের পরাজয় উপভোগ করলাম। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের যে কারো সাথে জয় আর পাকিস্তানের যে কোনো কারো কাছেই পরাজয়ে সমান উল্লাস অনুভব করতাম আমি। সেই অনুভূতি এখনো বদলায় নি, তবে পাকিস্তানের সাথে এখন ভারতও যুক্ত হয়েছে ওই তালিকায়।
কিছু ভারতীয়ের বাংলাদেশ বিদ্বেষ আসলে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিচেন টেবিলে এই বিদ্বেষ সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গণমাধ্যমেও এখন তারা সেগুলোকে নিয়ে আসছে। গত বিশ্বকাপে মন্দিরা বেদী এই কুকর্ম করেছে, আর এই বছরে শুরু করেছে খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এই বিজেপির রাজনীতিবিদ সিঁধু মিয়া।
এই ব্যাটা মনে হয় ক্রনিক ডায়রিয়াতে ভোগে। তবে, অন্য মানুষের যেখানে নীচ দিয়ে নির্গত হয়, এর সেখানে ডায়রিয়ার দুর্গন্ধময় বর্জ নির্গত হয় মুখ দিয়ে।
বুজরুকটা সামান্য কারণে মাথা গরম করে পঁচিশ বছর বয়সের তাগড়া সময়ে ঘুষি মেরে পয়ষট্টি বছরের এক বৃদ্ধকে মেরে ফেলেছিল। এর জন্য হাইকোর্টে তার তিনবছরের জেল সাজাও হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আপিলের ফলে সেই সাজা আপাতত স্থগিত রয়েছে। আশা করছি যে, এই স্থগিতাদেশ অকার্যকর হবে এবং অচিরেই খুনীটাকে টেলিভিশনের বদলে চৌদ্দ শিকের মধ্যে দেখতে পাবো।
তবে দীপনকে টুপি খোলা অভিবাদন। বিনা চ্যালেঞ্জে এই দাঁড়িওয়ালা চতুষ্পদীটাকে ছেড়ে না দেবার কারণে। কালকে বাংলাদেশের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলো যে রকম মাটি কামড়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এই রকম মাটি কামড়ানো লড়াই প্রতিটা বাংলাদেশিরই করা উচিত নিজেদের সম্মান রক্ষার খাতিরে।
হারুন লোরগাতকে করা দীপনের ইমেইল এবং তার পালটা জবাব এখানে তুলে দিচ্ছি।
Date: Tue, Mar 1, 2011 at 6:08 PM
Subject: Anti-racial remarks and ICC Code of Conduct Article 2- RACIAL OFFENCE
To: Haroon Lorgat
Cc: [email protected], [email protected], [email protected]…m, [email protected], ……[email protected],
Attn: Mr. Haroon Lorgat, Chief Executive Officer, International Cricket Council (ICC)
Dear Sir,
It has been observed that ESPN-Star TV commentator Mr. Novjot Singh Sidhu has deliberately commenting against Bangladesh Cricket which is a clear violation of ICC ANTI-RACISM CODE FOR PLAYER SUPPORT PERSONNEL under Article 2- RACIAL OFFENCE that refers
“2.1 The following conduct, if committed by a Player or Player Support Personnel at any time during, or in relation to, an International Match,shall amount to an offence under the Anti-Racism Code:
2.1.1 Engaging in any conduct (whether through the use of language, gestures or otherwise) which is likely to offend, insult, humiliate, intimidate, threaten, disparage or vilify any reasonable person in the position of a Player, Player Support Personnel, Umpire, Match Referee or any other person (including a spectator) on the basis of their race, religion, culture, colour, descent, national or ethnic origin.”
Mr. Navjot has no sense of manner and we are so offended by his comments like ‘even cockroach is a king in his territory’….’when Ian botham said Bangladesh has better chance over WI of qualifying into Quarter Final…its pain”!” and so on and on and on…(REF: BD vs IRE Post match analysis on Star Cricket)
We strongly protest his offensive racial remarks against Bangladesh cricket. We do believe ICC has maintained zero-tolerance against racial remarks as it is considered to be a serious offence by ICC.
If a spectator is not above this Ant-Racism law then why a TV commentator should not be show-caused in this matter.
I look forward to your kind attention and action in this regard.
Thanks and Regards,
Deepon
Reply from ICC Chief Executive Officer “Haroon Lorgat”
From: Haroon Lorgat
Sent: Sat, Mar 5, 2011 at 10:11 AM
To: dEEPON
Cc: [email protected]; David Richardson;David Becker; Campbell Jamieson;
…
Dear Mr. Deepon
The issue that you have raised had caught into my attention and we are completely aware of the fact on this matter. ICC has strictly maintained zero- tolerance in any form of racism related to ICC Cricket. The initial video evidence of the alleged offence had been reviewed by ICC and it indicates the breach of anti-racism ICC’s code during this event.
ICC has cautioned ESS, officially appointed broadcasting partner for the event through IDI (ICC Development International Limited, the commercial arm of the ICC) to follow the code of conduct applicable to all.
We deeply regret on this issue.
Kind Regards
Haroon Lorgat
Chief Executive Officer
International Cricket Council
@ফরিদ আহমেদ,
ভাল একটা মন্তব্য করেছেন, সেই সাথে দারুণ একটা ছবি। আমিও দুইটা দেই। লোহা গরম থাকতে থাকতেই চাপাতি দিয়ে কুপা কুপি করার উত্তম সময়।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/03/sidhu_pant_heen.jpg[/img]
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/03/sidhu_oggo.jpg[/img]
আজকের ভারত সাউথ আফ্রিকা ম্যাচের পর ভারতীয় মিডিয়া আর তেলাচোরা প্রেমিক সিধুর মুখ কিছুদিন স্কচটেপ দিয়ে বন্ধ থাকবে মনে হয়। কি বলেন?
@ফাহিম রেজা,
আহা রে! কী পোলা রে বাঘে খাইলো!! :lotpot:
হা হা হা, ওই ব্যাটিং স্কোর খুঁজে খুঁজে পেলেন কিভাবে?
@রৌরব,
তিষ্ঠ বৎস, ঝুলিতে আরো মাল আছে। সবে তো একটা দিলাম। বাংলাদেশ না হয় ক্রিকেট টিকেট খেলে অনেকদিন ধরে, আরব আমীরাতের মাল বোলারদের সামলাতে না পেরে সিঁধু যে গোল্লা মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ গিয়েছিল সেটা কি মনে আছে?
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2011/03/shidhu_golla2.jpg[/img]
ভাবছি উৎপল শুভ্ররে সরিয়ে দিয়ে প্রথম আলুর রিপোর্টার হিসেবে যোগ দিব কিনা।
@ফাহিম রেজা, :lotpot:
সিঁধুররা তো সব সময় সব জায়গাতেই থাকবে, নিজেরা ভালো খেললে এইসব সিঁধুদের কথায় কিছুই আসবে যাবে না! আপনার লেখাটা কেমন যেন একটু দুর্বলের আহাজারির মত শোনালো :-Y ।
সিধুকে নিয়ে ফেসবুক ব্লগ সব জায়গাতেই দেখি বিশাল আলোচনা চলছে। আমার মনে হয় না লোকটা এতটা পাত্তা পাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশ যদি তেলাপোকা হয়, তাহলে সেরকম উদ্ধৃতি তো আমরাও দিতে পার – রবি শাস্ত্রীও ভাস্যকার সিধুও ভাস্যকার, ঈগল পাখিও পাখি, চামচিকাও পাখি। এগুলো বক্তব্যের কি আসলে কোন গন্তব্য আছে?
তবে বাংলাদেশের খেলে দেখে আমি সত্যই অভিভূত। যে দলটা গত ম্যাচেই ৫৮ রানে বসে গিয়েছিল, ইংল্যান্ডের সাথে দেখালো ঠিক উলটো দৃশ্য। বিশেষতঃ ৮ উইকেট পড়ে যাবার পর শফিউল আর মাহামুদউল্লাহ মিলে একটা অবিশ্বাস্য ইনিংস উপহার দিল আমাদের। ভাগ্যিস প্র-আলুর কলামিস্ট উৎপল শুভ্রের পেয়ারী লোক আশরাফুলকে টিম ম্যানেজমেন্ট এবারে দলে রাখে নি। আশরাফুল থাকলে আর মাহামুদউল্লাহর দলে জায়গা হত না। আর মাহামুদ উল্লাহ না থাকলে এ খেলার ফলাফল কী হত তা সহজেই অনুমেয়।
ক্রিকেট নিয়ে আরো পোস্ট আসুক মুক্তমনায়। লেখাটির জন্য ফাহিম রেজাকে ধন্যবাদ।
গত বিশ্বকাপে ছিল মন্দিরা বেদি,আর এবার তার থেকেও দুই কাঠি বাড়া সিধু। এই লোকটার মাথার প্রসেসরের ক্লক পালসের সিন্ক্রোনাইজেশনে বড়সড় সমস্যা আছে।
সিধুর কথা আর কী বলবেন? ভারতে সিধুর নাম শুনলেই মানুষ নাকি একচোট হেসে নেয়, তারপর ওর কথা শুনে আরেকচোট হাসে। প্রথম হাসিটা সে কতোবড় ছাগল সে জন্য আর দ্বিতীয় হাসিটা ওর ছাগলমার্কা কথাবার্তার জন্য।
একটা পরাজয় হল একটা জয়ের পথের সুচনা।বাংলাদেশ যে তাদের পরাজয়কে শেষ কথা না মনে করে পরিশ্রম দিয়ে বিজয় আদায় করে নিয়েছে। তাদের এই মনবল,বিশ্বাস ও পরিশ্রমকে আমি সন্মান জানাই।
আর সিধুর কথা বলব যে আপনার পতংগ প্রেম আপনার বাড়িতেই থাক ওটা আপনার ব্যাক্তিগত জীবন খেলার মাঠে অটা প্রকাশ্যে না এনে আলাদা ভাবে মিডিয়া কনফারেনস ডেকে প্রকাশ করুন।খেলার মাঠে আপনার কথাশিইল্পের ধারাবাহিকতা বজাএ রাখুন।
মাঠের খেলা অথবা জীবনের যে কোন খেলায় মনোবল না হারিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়াটাই অলিখিত নিয়ম। ‘সম্মানজনক পরাজয়’ বলে কিছু নেই , আর যদিও থাকে বোকার স্বর্গেই শুধু সেটা পাওয়া যাবে। ইতিহাস পরাজিতদের একেবারেই পছন্দ করে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ সেই নিয়মটা মেনেই জয় তুলে নিয়েছে। এই ধারা সামনের দিন গুলোতে অক্ষুন্ন থাকলেই আমি খুশী।
@সংশপ্তক,
।
ব্যাপারটাকে আমি এভাবে দেখিনা। যে কোন লড়াই থেকে মনেবল হারিয়ে পড়াজয় জেনে লড়া। আর লড়তে লড়তে পরাজিত হওয়া এক ব্যাপার বলে মনে হয়না।