আবুল কাশেম
নারীরা যে একেবারেই নিকৃষ্ট তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
এবার শুরু করা যাক বিস্তারিত আলোচনা।
সুরা বাকারা, আয়াত ২২৮ (২:২২৮):
আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের ওপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের ওপর, নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে।
এই হল শুরু। পরস্পরের ওপর এই অধিকারটা যে কত প্রকার ও কি কি, তা পরিষ্কার করে পুরো কোরানের কোথাও কিচ্ছু বলা হল না বটে, কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বটা ঠিকই খামচে ধরল পুরুষ, একেবারে চিরকালের জন্য। যাহোক, মেয়েদের যে অধিকার বলে একটা পদার্থ আছে, তার স্বীকৃতি একটুখানি হলেও পাওয়া গেল এখানে। পয়গম্বর হয়ত চেষ্টা করেছিলেন মেয়েদের কিছুটা হলেও অধিকার দিতে, কিন্তু সম্ভবত: সেই বেদুঈন পুরুষদের শত শত বছরের প্রতিষ্ঠিত একচেটিয়া ক্ষমতার সমাজে উল্টো প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনায় তিনি এ ব্যাপারে ধুম ধাড়াক্কার কোন বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিতে চান নি।
এবারে সুরা নিসা, আয়াত ৩৪ (৪:৩৪):
পুরুষরা নারীর উপর কর্তৃত্ব শীল। এ জন্য যে আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সেমতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাজত যোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাজত করে। আর যাদের মধ্যে আবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করোনা।
না, আর কোন রাখা-ঢাকা নেই, পুরুষের কর্তৃত্বশীলতা বলেই দেয়া হল এখানে। যে কর্তৃত্ব করে, আর যার ওপরে কর্তৃত্ব করা হয়, এ দু’জন কখনো সমান হয় না, হতে পারে না। পুরুষকে কোরান এ কর্তৃত্ব দিল স্পষ্ট ভাষায় সম্ভবতঃ টাকা-পয়সার এবং শারীরিক শক্তির কারণেই। কিন্তু শারীরিক শক্তি কোন যুক্তিই হতে পারে না। তাহলে আফ্রিকার জঙ্গলের গরিলাই হত মহান আশরাফুল মাখলুকাত, সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। কিংবা হাতী বা তিমি মাছ। টাকা-পয়সার ব্যাপারটা তখনকার সমাজে হয়ত ঠিকই ছিল, কিন্তু আজকে?
আজকের পৃথিবীতে বহু মেয়েই উপার্জনক্ষম, বহু মেয়ের উপার্জনেই সংসারে বাপ-ভাইয়ের মুখে অন্ন জুটছে, বহু স্ত্রীর উপার্জন স্বামীর চেয়ে বেশী, পিতৃহারা বহু সন্তানই মানুষ হচ্ছে শুধুমাত্র মায়ের উপার্জনেই। তা ছাড়া প্রহার করা তো সাংঘাতিক একটা মানসিক অপমানও বটে। যে অধিকার একটা ভালো লোককেও রাগের মুহূর্তে পশু বানিয়ে দিতে পারে, কোন বেহেশতি ধর্ম তেমন একটা বিপদজনক অধিকার কাউকে কেন দেবে? বৌ বেচারাদের টাকা-পয়সা উপার্জনের সুযোগই দেয়া হয়নি, তাদের খাওয়া-পরার জন্য স্বামীর ওপরে চিরকাল নির্ভরশীল করে রাখা হয়েছে, সেজন্য? তাহলে যেসব স্বামীরা বৌয়ের উপার্জনে খায়, তারা কি বৌয়ের হাতে মার খাবে? এ অন্যায়টা কিন্তু কোন কোন মওলানার মাথায় ঠিকই ঢুকেছে। তাই কোরানের কোন কোন অনুবাদে আপনি দেখবেন ‘প্রহার কর’ কথাটার সাথে ব্র্যাকেটের ভেতর ‘আস্তে করে’ কথাটা ঢোকানো আছে। মানেটা কি? ‘আস্তে করে প্রহার কর’ – কথাটার মানেটাই বা কি? এ কি সেই ছোটবেলার পাঠশালার পণ্ডিত মশাইয়ের ধমক: অ্যাই! বেশী জোরে গণ্ডগোল করবি না! গণ্ডগোলের আবার আস্তে-জোরে কি?
আসলে ওটা হল অনুবাদকের কথা, কোরানের নয়। প্রায় সবগুলো অনুবাদেই আল্লার কথার সাথে সু প্রচুর ব্র্যাকেটের মধ্যে অনুবাদকের অবারিত লম্বা নাকটা ঢুকে আছে। এদিকে প্রত্যেকটি অনুবাদ বইতেই কিন্তু মস্ত একটা তফসির, অর্থাৎ ব্যাখ্যার অংশ আছে। তোমার যা বলার সেটা ব্যাখ্যার অংশে বল না কেন বাপু! অনুবাদের মধ্যে নিজের কথা ঢোকানোর অধিকার তোমাকে কে দিল? তা নয়, ভাবখানা এই যে আস্তে করে, কথাটা যেন কোরানের-ই কথা। কিন্তু মানুষ কি গাধা? আস্তে করে ‘ছোট্ট কলমই শাক দিয়ে কি প্রহার কর’ বলে বিরাট কুমীরটা ঢাকা যায়? যায় না। এ প্রহার সকাল-বিকাল দিন-রাত চললেও কোন অসুবিধে নেই কারণ সে ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। আর, বৌকে পিটিয়ে স্বামী যাতে মনে মনে অপরাধ বোধে না ভোগে, তার ব্যবস্থাও স্পষ্টভাবে দেয়া আছে হাদিসে।
সুনান আবু দাউদ, বই ১১ হাদিস ২১৪২:
ওমর বিন খাত্তাব বলেছেন: নবী (দঃ) বলেছেন, “কোন স্বামীকে (পরকালে) প্রশ্ন করা হবে না কেন সে বৌকে পিটিয়েছিল”।
কি সাংঘাতিক ধর্মীয় সমর্থন, কল্পনা করা যায়? এ-ই হল সেই নির্লজ্জ সমর্থন, যা শুধু বইয়ের লেখাতে সীমাবদ্ধ থাকে না, কেয়ামতের মত যা নারীর মাথায় ভেঙ্গে পড়ে। এরই শক্তিতে এই ২০০২ সালে দুবাই আদালত বিধান দিয়েছে, স্বামীরা বৌকে পেটাতে পারবে। এই সভ্য যুগে পৃথিবীর কোন দেশের আদালত এই বিধান দিতে পারে, কল্পনা করা যায়? উদ্ধৃতি দিচ্ছি:-
দুবাই, ১লা এপ্রিল। দুবাইয়ের একটি আদালত রবিবার এক রায়ে স্বামীদের বৌ পেটানোর অধিকার দিয়েছে। দুবাই কোর্ট অফ ক্যাসেশনের রায়ে বলা হয়, ‘স্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণ’ (নিয়ন্ত্রণে?) রাখতে স্বামীরা তাদের মারধর করতে পারবে। তবে মারধরের মাধ্যমে স্ত্রীদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন বা ক্ষত সৃষ্টি করা যাবে না’’। সূত্র:- দুবাই থেকে প্রকাশিত দৈনিক গাল্ফ নিউজের বরাতে টরন্টো থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দেশে বিদেশে, ৪ এপ্রিল, ২০০২। টরন্টোর ‘নমস্তে ক্যানাডা’ পত্রিকাতেও এ খবর ছাপা হয়েছে।
এখন বলুন, ইসলামে নারীর এ কেমন মর্যাদা? এর পরে আপনি বৌ-পেটালে আপনাকে ঠেকিয়ে রাখার মত বাপের ব্যাটা দুনিয়ায় পয়দা হয় নি, হবেও না। সাধারণ মুসলমানেরা বৌ পেটায় না, সে শুধু মানুষের স্বাভাবিক মানবতা। কিন্তু তাহলে মেয়েদের বানানোই বা হল কেন? শস্যক্ষেত্রে শুধু চাষ করে ফলানো ছাড়াও এ ব্যাপারে হাদিস কেতাবে কি বলছে তা পরীক্ষা করার আগে খোদ কোরান শরীফ কি বলছে তা দেখা যাক।
সুরা আল আরাফ আয়াত ১৮৯ (৭:১৮৯), এবং সুরা আর রূম আয়াত ২১ (৩০:২১):
যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র স্বত্বা থেকে। আর তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া, যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। ‘‘তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক।
হাওয়ার আগে যে আদম সৃষ্টি হয়েছে, তা সবাই জানে। উপরের আয়াত থেকে স্পষ্ট বোঝা গেল কে কার জন্য সৃষ্টি হয়েছে এবং কি জন্য সৃষ্টি হয়েছে। পুরুষের শরীরের সাথে ম্যাচ করেই যে নারীর শরীর বানানো হয়েছে, সেটা ও কোন কোন পুরুষ পন্থী ইসলামী চিন্তাবিদ বলতে ছাড়েন না। জব্বর বিশ্লেষণ বটে। এ বিশ্লেষণে নারী এ জীবনে শুধু বিছানার যৌবন আর বেহেশতে অতি অপূর্ব বাহাত্তর হুরীর শরীরের উত্তপ্ত প্রলোভন। সেখানে নারী মমতার সাগর মা নয়,স্নেহময়ী বোন নয়, প্রেমময়ী স্ত্রী নয়,জ্ঞানী শিক্ষয়িত্রী নয়, সক্ষম নেত্রী নয়, সে শুধু যৌবনের কামুক উন্মাদনা ছাড়া আর কোন কিছুই নয়।
সাধারণ মেয়েরা স্বামীর ইসলামী-পিট্টি খাবে, তা না হয় হল। কিন্তু অসাধারণ নারীরা?
এক নির্ভুল সত্য: শারিয়া হয়েছে পুরুষদের স্বার্থে—
ইসলামে শারিয়া বলে একটা কথা আছে, যা কিনা হল ইসলামী আইন। এ আইন মেয়েদের আর অমুসলমানের জন্য এতই বে-আইন যে তা দু এক কথায় বলে শেষ করা যাবেনা। অমুসলমান খুন করলে মুসলমানের মৃত্যুদণ্ড হবেনা। সাত-সাতটা বিষয়ে মেয়েদের চোখের সামনে ঘটনা ঘটলেও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। যারা নিজের চোখে ধর্ষণ দেখেছে, এমন চার জন বয়স্ক মুসলমান পুরুষের সাক্ষ্য আদালতে পেশ না করতে পারলে ধর্ষিতার কপালে জুটবে পাথরের আঘাতে মৃত্যুদণ্ড (বিবাহিতা হলে) অথবা চাবুকের আঘাত (অবিবাহিতা হলে)। এইসব হল শারিয়ার আইন-কানুন, এতই উদ্ভট যে বিশ্বাস করাই মুশকিল। এ বইয়ের অন্য জায়গায় বিস্তারিত বলা আছে এ ব্যাপারে, প্রমাণ সহ।
এমনিতে কলমা-নামাজ-রোজা-হজ্ব-জাকাত, ইসলামের এই হল পাঁচটা স্তম্ভ, নবীজির দিয়ে যাওয়া। এর পরেও শারিয়া কি করে যেন ইসলামের অঘোষিত ছয় নম্বর স্তম্ভ হয়ে, ইসলামের অংশ হয়ে বসে আছে?
উত্তরাধিকারে মেয়েরা তো পুরুষের অর্ধেক বটেই, টাকা-পয়সার লেনদেনেও শারিয়াতে মেয়েদের সাক্ষী হল পুরুষের অর্ধেক। সাক্ষীতে কেন অর্ধেক? কারণ তারা ভুলে যেতে পারে। আর পুরুষ? না, পুরুষ হল যেন কম্পিউটার, কোনদিন কোনই ভুল সে করতেই পারে না!
চলুন দেখি এবার কোরান শরীফ, সুরা বাকারা, আয়াত ২৮২ (২:২৮২):
যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋণের আদান প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ
করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গত ভাবে তা লিখে দেবে;
….. দু’জন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্য থেকে। যদি দু’জন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর – যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
ব্যস, হয়ে গেল। উত্তরাধিকারে বোন ভায়ের অর্ধেক পাবে এটা তো আছেই, তার ওপরে দু’জন নারীকে সাক্ষী হবার ব্যাপারে এই যে এক পুরুষের সমান করা হল, এটা হাদিসে আইনে পরে বাড়তে বাড়তে একেবারে এমন স্বর্গে পৌঁছে গেল যে এখন ইউনিভার্সিটি-কলেজের ছাত্রীবাসে পাঁচিল টপকে ঢুকে আপনি ডজন ডজন ছাত্রীর সামনেই অতি স্বচ্ছন্দে পছন্দসই কোন আসরার সর্বনাশ করে আসতে পারেন, এবং কোর্টকে কাঁচকলা দেখিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে যেতে পারেন।
কারণ? কারণ, ইসলামী আইন অনুযায়ী চারজন মুসলমান পুরুষের চাক্ষুষ সাক্ষী পাওয়া যাবেনা। আর, মেয়েদের সাক্ষী তো নৈব নৈব চ’, তা তিনি ইন্দিরা-হাসিনা-খালেদা হলেও। কি সাংঘাতিক কথা, মেয়েদের কি সাংঘাতিক অপমান, তাই না? বিশ্বাস হচ্ছে না তো? জানি। দেখতে চান দলিল? এ বইয়েরই ইসলামী আইন অধ্যায়ে দেখানো আছে সব, দলিলের আতা পাতাও দেয়া আছে। বটতলার মোল্লা-মুন্সীর নয়, একেবারে বাঘের ঘরের ইসলামী দলিল, পোকায় খেয়ে যাবে তার বাপের সাধ্যি নেই। এরপরেও দরকার হলে ফ্যাক্স নম্বর পাঠাবেন, ফ্যাক্স করে পাঠিয়ে দেব। তার পরেও যদি কোন কাঠমোল্লা তেড়ে আসে, শুধু জিজ্ঞাসা করবেন, পাকিস্তানের জাফরান বিবি, নাইজেরিয়ার আমিনা লাওয়াল কুরামীর কেইস টা কি বলুন তো? এ গুলো তো মধ্যযুগের নয়, এসব এই দু’হাজার এক সালের ইসলামী কোর্টের ঘটনা। দেখবেন, জোঁকের মুখে নুন আর হুঁকোর পানি দু’টোই একসাথে পড়েছে, কাঠমোল্লা বাবাজী প্রচণ্ড গুস্সায় দ্বিগুণ বেগে তসবী ঘোরাতে ঘোরাতে অতিবিলম্বে সবেগে উল্টো পথে হাঁটা ধরেছেন।
একটু মস্করাই হয়তো করছি, কিন্তু বড় দুঃখেই করছি। হাজার হলেও ধর্মটা আমারই, এর মধ্যে এত অন্যায়ের, এত নিষ্ঠুরতার লজ্জা আমি রাখব কোথায়? নবী করিমের হাদিসেই দেখুন:
সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:
আবদুল্লা বিন ওমর বলেছেন, আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া।
সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩:
উসামা বিন যায়েদ বলেছেন, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।
দেখলেন? আরও দেখাচ্ছি। এক সহিহ্ হাদিসই যথেষ্ট, তবু এ হাদিস আছে সহিহ্ মুসলিম বই ১, হাদিস ১৪২ নম্বরেও। বর্ণনা দিচ্ছি:
সহিহ্ বোখারি, ভলুম ১, হাদিস ৩০১:
আবু সাইদ আল খুদরী বলেছেন:- একদিন নবী (দঃ) ঈদের নামাজের জন্য মাসাল্লাতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু নারীদের সামনে দিয়ে যাবার সময় তিনি বললেন, “তোমরা সদকা দাও, কেননা আমি দোজখের আগুনে বেশীর ভাগ নারীদেরই পুড়তে দেখেছি”। তারা বলল:-“এর কারণ কি, ইয়া রসুলুল্লাহ?” তিনি বললেন:-“তোমরা অভিশাপ দাও এবং তোমাদের স্বামীদের প্রতি তোমরা অকৃতজ্ঞ। ধর্মে আর বুদ্ধিতে তোমাদের চেয়ে খাটো আমি আর কাউকে দেখিনি। একজন বুদ্ধিমান সংযমী পুরুষকে তোমাদের কেউ কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে”। তারা বলল:- “ইয়া রসুলুল্লাহ! ধর্মে আর বুদ্ধিতে আমরা খাটো কেন?” তিনি বললেন: “দু’জন নারীর সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সমান নয়?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন: “এটাই হল বুদ্ধির ঘাটতি। এটা কি সত্যি নয় যে মাসিক-এর সময় নারীরা নামাজ এবং রোজা করতে পারে না?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন: “এটাই হল ধর্মে ঘাটতি”।
অবাক হচ্ছেন,পাঠক? এ তো সবে শুরু। নারী আর উটের মধ্যে তফাতটাই বা কি?
দেখা যাক এ ব্যাপারে সুনান আবু দাউদ কি বলছে।
সুনান আবু দাউদ ১১ খণ্ড, হাদিস ২১৫৫:
আবদুল্লা বিন আম’র বিন আ’স বলছেন: ‘নবী (দঃ) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ দাস-দাসী কিনলে বা বিয়ে করলে তাকে বলতে হবে- ও আল্লাহ! আমি এর স্বভাব চরিত্রে ভালো কিছুর জন্য তোমার কাছে প্রার্থনা করি। আর এর চরিত্রের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। কেউ উট কিনলেও তাকে উটের কুঁজো ধরে এ কথা বলতে হবে”’।
মাতৃত্ব হল মানবজীবনের সর্বপ্রধান সম্পদ। এর চেয়ে বড় আশীর্বাদ মানুষ কল্পনাই করতে পারে না। এই মাতৃত্বের জন্যই স্বাভাবিকভাবে মাসিকের আয়োজন করেছে প্রকৃতি। অথচ এই একান্ত স্বাভাবিক ব্যাপারটাকে সমস্ত পুরুষতন্ত্র চিরটা কাল এত নিষ্ঠুর ভাবে মেয়েদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে যে ভাবলে অবাক হতে হয়।
হিন্দু (সনাতন)ধর্মে তো কথাই নেই, ইসলামেও মাসিককে ‘রোগ’ বা ‘নোংরামি’ হিসেবে দেখিয়ে মেয়েদের একেবারে অপবিত্র এবং খুঁতযুক্ত বানিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই সময়টায় তারা যে ‘নোংরা’, তা বিশ্বাস করতে বাধ্য করা হয়েছে। কোরানের সুরা বাকারা,আয়াত ২২২ (২:২২২) এবং সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৩, হাদিস নম্বর ১৭২-এ একথা স্পষ্ট লেখা আছে। তাই মুসলমান মেয়েদের ওই অবস্থায় ইসলাম নামাজ-রোজা করতে বা কোরান পড়তে দেয় না। মাতৃত্বের জন্য মেয়েদের কেন এ রকম কঠিন মূল্য দিতে হবে? মাসিকের অবস্থায় কি এমন তাদের মানসিক ঘাটতি হবে যে তারা বিরাট জটিল ব্যবসা চালাতে পারবে, বিচারক হয়ে কয়েদীদের জেল দিতে পারবে, খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবে, কিন্তু উপাসনা-আরাধনা করতে পারবে না? মেয়েদের বিরুদ্ধে এটা একটা হীন চক্রান্ত ছাড়া আর কি?
এহেন নারীকে ইসলাম কি কোন দেশের রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধান মন্ত্রী হতে দেবে?
পাগল আর কি! তাই কি হয়?
সহিহ্ বোখারী ভল্যুম ৫,৭০৯:
সাহাবী আবু বাক্রা বলছেন, নবী (দঃ) বলেছেন যে, যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে, সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না।
মাঝে মাঝে মনে হয়, মেয়েরা কি এমন অন্যায়-অপরাধ করেছে যে জীবনের প্রতি পদে তাদের এত অপমান, অবজ্ঞা আর অত্যাচার সহ্য করতে হবে? পৃথিবীর যত দার্শনিক-বৈজ্ঞানিক-মহাপুরুষ এমনকি নবী-রসুলকে পেটে ধরেনি তারা? মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করে জন্ম দেয় নি তারা? পৃথিবীর যত খুন-জখম দাঙ্গা-হাঙ্গামা সব তো পুরুষই করেছে এবং করে চলেছে। আশ্চর্য! যত শিক্ষিতাই হোক, যত আলোকিত উদার মনাই হোক, যত মেধাবী-বুদ্ধিমতীই হোক, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যত প্রাজ্ঞই হোক, মেয়ে হলেই তার আর রক্ষা নেই, সর্বগ্রাসী পুরুষ তন্ত্র ইসলামের অন্ধকার কারাগারে তাকে আবদ্ধ করে রাখবেই। আর তার মাথাটা এমন মোহন ভাবে ধোলাই করে দেবে যে সে মেয়ে নিজেই সেই কারাগারে বসে বেহেশতের স্বপ্ন দেখবে, বেরোতেই চাইবে না সেখান থেকে যেখানে তাদের অপমান করতে করতে একেবারে শয়তান বলা হয়েছে।
অসহ্য! দেখুন:
সহিহ্ মুসলিম, বই ৮ হাদিস ৩২৪০:
জাবির বলেছেন: আল্লাহর নবী (দঃ) একদিন এক স্ত্রীলোক দেখে তাঁর স্ত্রী জয়নাবের কাছে এলেন, সে তখন একটা চামড়া পাকা করছিল। তিনি তার সাথে সহবাস করলেন। তারপর তিনি তাঁর সাহাবীদের কাছে গিয়ে বললেন, নারী শয়তানের রূপে আসে যায়। তাই তোমাদের মধ্যে কেউ কোন নারীকে দেখলে নিজের স্ত্রীর কাছে যাবে, তাতে তার মনের অনুভূতি দুর হবে।
আশ্চর্য লাগে এই ভেবে যে, ইসলাম পুরুষদের ভেবেছে কি? ইসলাম ধরেই নিয়েছে আমাদের পুরুষদের শিক্ষা দীক্ষা নৈতিক বোধ বলতে কিছুই নেই, আমরা পুরুষেরা নারী দেখামাত্র একেবারে উন্মাদ বামা ক্ষ্যাপা হয়ে কাপড় চোপড় খুলে তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ব। নারীর সাথে সাথে আমাদের পুরুষদেরই বা এভাবে অপমান করার অধিকার ইসলামকে কে দিল?
ইমাম গাজ্জালীর মত বুলন্দ সুউচ্চ ধর্মনেতা ইসলামের ইতিহাসে বেশী নেই। তিনি যে শুধু ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক তা-ই নয়, বহু বহু মওলানার মতে তাঁর স্থান স্বয়ং নবী (দঃ) এর পরেই। এ হেন শ্রেষ্ঠ দার্শনিকের লেখা এহিয়া উলুম আল দীন বইতে তাঁর যে উগ্র নারী-বিদ্বেষী চেহারা আছে, তা সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দু’একটা দেখাচ্ছি।
এহিয়া উলুম আল দীন, ভলুম ২ পৃষ্ঠা ৩৬৭:
শয়তান নারীকে বলে: তোমরা আমার সৈন্যদলের অর্ধেক। তোমরা আমার অব্যর্থ তীর। তোমরা আমার বিশ্বস্ত। আমি যা চাই তা তোমাদের মাধ্যমে হাসিল করি। আমার অর্ধেক সৈন্য হল কামনা, বাকি অর্ধেক হল ক্রোধ।
একই বই, ভলুম ২ পৃষ্ঠা ৩৭০-৩৭১ থেকে:
সাইদ ইবনে জুবায়ের বলেছেন, শুধুমাত্র দেখেই দাউদ (দঃ) এর মনে বাসনার উদ্রেক হয়েছিল। তাই তিনি তাঁর পুত্রকে (সুলায়মান দঃ) বললেন:- হে পুত্র! সিংহ বা কালো-কোবরা সাপের পেছনে হাঁটাও ভাল, তবু কোন নারীর পেছনে হাঁটবে না। নবী (দঃ) বলেছেন:-“নারীর প্রতি কামনার চেয়ে পুরুষের জন্য বেশী ক্ষতিকর কিছু আমি রেখে যাচ্ছি না”।
একই বই ভল্যুম ২,পৃষ্ঠা ৩৭৩:
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর চারটি বিষয় কম থাকতে হবে নতুবা সে তাকে অবজ্ঞা করবে: বয়স,শারীরিক উচ্চতা, ধন সম্পদ, এবং বংশগৌরব। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর চারটি বিষয় বেশী থাকতে হবে:- সৌন্দর্য, চরিত্র, আদব-কায়দা, এবং ধর্মে মতি।
কি লজ্জা, কি লজ্জা! মা-বোনদের সামনে আমাদের লজ্জার আর অবধি রইল না। ওহ! পাঠক! আমাদের মা-বোন কন্যা-স্ত্রীরা যে আমাদের জন্য এত বড় অভিশাপ আমরা তো তা জানতামই না! এখন তাদের নিয়ে কি করা যায় বলুন তো? সবগুলো মেয়েদের ধরে ধরে নিয়ে জেলখানায় পুরে দেব? সে জন্যই বোধ হয় পর্দার নামে আপাদমস্তক ঢাকা বোরখার জেলখানা চালু হয়েছে। পৃথিবীর আর কোন ধর্মে এ উন্মাদনা নেই। তাই বুঝি মোল্লা নন্দ কবি বলেছেন:- “মাথা থেকে পা ঢাকা কাপড়ের বস্তায়, ঘুলঘুলি চোখে ভুত চলছে যে রাস্তায়”।
চলবে (৩য় পর্বে)।
অসাধারণ।।।।।। আপনার গবেষণা।।।।। এসব প্রশ্ন আমিও ভাবতাম আজ উওর পেলাম।।।। ভাল কাজের প্রশংসা খুব কম মানুষই করে।।।। জেগে ঘুমালে কাওকে কি আর জাগানো যায়??? আপনার চেষ্টাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।।।।।।।।।।।।।।।। ?
উন্মাদ! আপনি আপনার মতামত আগে নিজ ঘরে অ্যাপ্লাই করুন! ফলাফল দেখুন। আর হ্যা মৃত্যুকে স্মরণ করুন। সবকিছুর যৌক্তিকতা বার বার বিচার করুন। আর, মনে রাখবেন, আপনি যা চান তা আবেগে চান, আবেগে!!! আর আপনার কথামত নিজের স্ত্রী কন্যাদের চালালেই সবকিছুর যথার্থতা বুঝতে পারবেন।
আর আপনি ও আপনাদের দলের উল্লুকদের রেফারেন্স নিয়ে সন্দেহ আছে, আগে পিছে কি লেখা আছে তা না পড়েই চিল্লা-পাল্লা করেন!
মনোবিজ্ঞান অ্যাপ্লাই করলে বুঝা যায় আপনি, এইসব জিনিসই খুজতেছিলেন। তাই মনোযোগ ঐসব জায়গায় কেন্দ্রীভূত হইছে।
(১) হে আল্লাহ’র রাসুল, আমার উপর সবচেয়ে বেশি হকদার কে? -‘তোমার মা’ -তারপর কে? -‘তোমার মা’ -তারপর কে? ‘তোমার মা’ -তারপর কে? ‘তোমার বাবা’
(২) মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত
(৩) তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের পোশাক স্বরূপ, এবং তারাও তোমাদের পোশাক স্বরূপ
(৪) জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য অবশ্য কর্তব্য
(৫) তোমাদের মধ্যে সে-ই সবচেয়ে উত্তম যে নিজের স্ত্রীর কাছে উত্তম
(৬) যার একটি কন্যা বা বোন আছে, সে যদি তাকে উত্তম শিক্ষা দিয়ে সুপাত্রস্থ করতে পারে, তাহলে সে একটি বেহেশতের মালিক হবে
(৭) ওই সব মেয়েরা ভাগ্যবতী যাদের প্রথম সন্তান মেয়ে সন্তান
(৮) বাইরে থেকে কোনো জিনিস আনলে প্রথমে কন্যা সন্তানকে তা প্রদান কর
(৯) মুমিন পুরুষদের বলে দিন তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে ও লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে
(১০) প্রথম মুসলিম ছিলেন একজন নারী (খাদিজা র:) ইসলাম বেড়ে উঠেছে তাঁর আশ্রয়ে
(১১) স্বামীর আয়ে স্ত্রীর অধিকার আছে, যেহেতু বিয়ের পর পুরুষের ভরণ-পোষণ বাধ্যতা মূলক।কিন্তু স্ত্রীর আয়ে স্বামীর অধিকার নেই, স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া।
(১২) ঘরের কাজ করতে স্ত্রী বাধ্য নয়। বরং স্ত্রী যদি স্বামীর চেয়ে বেশি সফল হয় তাহলে কাজের লোক রাখতে হবে।
(১৩) আরবি কাওয়ামুনা শব্দের অর্থ তত্ত্বাবধায়ক, কর্তৃত্বশীল/ শ্রেষ্ঠ নয়। পুরুষ আর নারীর দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া আছে। পুরুষদের অতিরিক্ত দায়িত্ব নারীকে সুরক্ষা দেয়া।
(১৪) মুহাম্মদ স. কে আরবের শ্রেষ্ঠ নারী দিতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি অস্বীকার করেছেন, তার স্ত্রীদের মধ্যে কেবল একজনই কুমারী ছিলেন। বেশিরভাগ বিয়েই হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে, এবং কখনই একসাথে চার জনের বেশি স্ত্রী ছিল না।
(১৫) মেয়েদের প্রতি পুরুষদের দুর্নিবার আকর্ষণ যে আছে এ কথাটা তো মিথ্যা নয়। আসে পাশের বিজ্ঞাপন দেখলেই তো টের পাওয়া যায়। কোটি কোটি ডলারের পর্ণ ব্যবসা কি জন্য চলছে? মেয়েরা তো আর পুরুষ দেখলে কুত্তার মত করেনা। পুরুষরা করে।
(১৬) এই মুহুর্তে যা যা মাথায় আসলো তাই বললাম। সময় নিয়ে লিখলে হয়ত আরো অনেক কিছু লেখা যাবে। আপনারা ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য ডলার পান, তাই আপনাদের এই আংশিক উল্লেখ করা আর আংশিক চেপে যাওয়া।
@যুধিষ্ঠির, @যুধিষ্ঠির,
১) এ তো গেল মা হিসেবে নারীর মূল্য। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত যে মায়ের প্রতি ছেলেদের টান বেশি থাকে। তাই পরুষতান্ত্রিক ইসলামেও মা কে খানিকটা গুরুত্ব দেওয়া হয়, খানিকটা বললাম এই জন্য যে এত কিছুর পরেও পুরুষ কিন্তু নারীর চেয়ে ইসলামিক দৃষ্টিকোণে স্রেঠ। আর কোন নারী যদি মা না হতে পারে? যদি সে বিয়েই না করে? তাহলে তার মূল্য কি?
২) হা হা হা… তার মানে কি? নারীর পরিচয় খালি মা, মেয়ে, বৌ এর মাঝেই সীমাবদ্ধ। একজন “নারী” হিসেবে তার দাম ইস্লামে পরুষের অনেক নিচে।
৩) একজন পরুষের কাছে তার বৌ পোশাক স্বরূপ… হুম… মজা পাইলাম। আর এই পোশাকের ইসলামী কায়দায় যত্ন নিতেই বুঝি এত বর্বর শরিয়া আইন? বাহ! আর আবার নারীকে “বৌ” এর বেড়াজালে আটকিয়ে খানিকটা সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করা হল!
৪) একমত, কিন্তু মহিলাদের জ্ঞান অর্জনের কতটুকু সুযগ ইসালাম দেয়, যেখানে পুরুষ সঙ্গি ছাড়া তার বাড়ির বাইরে বের হওয়াই মানা?
৫) হুম…কঠিন কথা ! তা যে বৌ কে আপনি আপনার অর্ধেক ধরেছেন, যার স্বাধীনভাবে উপার্জনে ইস্লামে এত কড়াকড়ি, আপনার অনুমুতিতে যার বাড়ির বাইরে বের হওয়াই বারন, যাকে কম বুদ্ধিসম্পন্ন বিবেচনা করেন, সেই স্ত্রীর কাছে উত্তম হওয়া নিশ্চয় মটেও কঠিন কিছু নয়? কি? যাকে এই পৃথিবীতে স্বাধীনভাবে বাঁচার কোন সুযোগই দেওয়া হল না, তার উপর শ্রেষ্ঠত্ব ফলানো তো খুবি সোজা, আর এইটাই তো ইসলামী চাল !
৬) হা হা হা…তার মানে কি হল? সুপাত্রস্থ হওয়াই বুঝি নারীর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য? ও না…উত্তম শিক্ষার কথাও তো আছে দেখছি!! তা এই উত্তম শিক্ষাপ্রাপ্তির কি সুযোগটা ইসলাম দেয় তা তো আগেই বলেছি।
৭) খুবি হাস্যকর কথা। নারীকে এত অপমান করার পরেও এই কথা বলার মানে হল সুধুই সান্ত্বনা পুরষ্কার প্রদান, ছেলে ভুলান মোয়া হাতে ধরিয়ে দেওয়া, কারন এটুকু না করলে তো আবার উৎপাদন থেমে যাবে যে !
৮) হা হা হা… মজা পাইলাম। আপনাদের কাছে নারীর দাম দেওয়ার তো এর চেয়ে ভাল আর কোন উপায়ই জানা নেই ! আবার ছেলে ভুলানো মোয়া খাওয়ালেন…
৯) ” মুমিন পুরুষদের বলে দিন তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে ও লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে” হুম… আর যদি না করে তখন যেন দাসী ভোগ করে (সহি মুসলিম, Book 8, Number 3384) অথবা যুদ্ধবন্দিনি ধর্ষণ করে ( মুসলিম Book 8, Chapter 29) ছিঃ
১০) হাসলাম।
১১) এইখানেই তো ইসলামের সবচেয়ে বড় চাল। নারীকে পুরুষের অধিনস্ত করে তার উপর কর্তৃত্ব ফলানো হয়, নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কতটুকু সুযোগ ইসলাম দেয়??
১২) “ঘরের কাজ করতে স্ত্রী বাধ্য নয়” আর তাই তো প্রয়জন দাশীর। আর তাই বুঝি ইস্লামে দাস প্রথা হালাল? সেই সাথে দাসি সহবৎ করাও? মজা পাইলাম…
১৩) “আরবি কাওয়ামুনা শব্দের অর্থ তত্ত্বাবধায়ক, কর্তৃত্বশীল/ শ্রেষ্ঠ নয়” আবার ছেলে ভুলানো মোয়া। শ্রেষ্ঠ নয় বললেই হল?? এতভাবে নারীকে খাটো করার পরও বলবেন ইস্লামে পুরুষ নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়?? আর কর্তৃত্বশীল মানে কি হল? নারী পুরুষের উপর নির্ভরশীল, তাই তো? মানে নারীকে স্বাধীন হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না, তাকে নির্ভরশীল করে রাখা হবে, আর তার উপর কর্তৃত্ব ফলিয়ে পুরুষেরা মহৎ সাজবে। বাহ !! মজাই মজা !! আর বৌএর সামান্য আয়ে ভাগ না বসিয়ে তার হাতে আবার ছেলে ভুলানো মোয়া ধরিয়ে দেওয়া, হা হা হা…
১৪) ” মুহাম্মদ স. কে আরবের শ্রেষ্ঠ নারী দিতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি অস্বীকার করেছেন” ও আচ্ছা.. তাই নাকি? মজা পাইলাম। কই পাইলেন এইসব কথা?? আর এতই যদি তিনি সংযমী হবেন তাহলে দাসী + যুদ্ধবন্দী সহবৎ হালাল করেছেন কেন??
১৫) সব পুরুষই মেয়ে দেখলে কুত্তার মত করে না, তবে আপনার নবিজির সাহাবি + উম্মতদের কথা ভিন্ন। আর এই অজুহাতেই তো আপনারা নারীদের বরকায় ঢুকাইতে চান। কারন নারী স্বাধীনতাই তো পুরুষ তান্ত্রিক ইসলামের ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় আঘাত। তাই পুরুষের লালসার অজুহাত দেখিয়ে নারীকে বরকায় ঢুকাইতে চান। অথচ আপনার নবিই দাসী সবত হালাল করেছেন, যুদ্ধবন্দী ধর্ষণ হালাল করেছেন। বিকৃত লালশাকে আপনারা “হালাল” ভাবেন, আমরা ধিক্কার জানাই।
১৬) নিশ্চয় আপনার মত জানাবেন। সুস্থভাবে যুক্তির আদান প্রদান সবাই চায়। ইসলাম বিদ্বেষ কোথায় ছড়ানো হল? হাদিস কোরান থেকেই তো সব কিছু বলা হয়েছে। পারলে পাল্টা যুক্তি দেখান। আপনার যুক্তি খণ্ডন করা হল, পারলে আপনি লেখকের যুক্তি খণ্ডন করুন।
@তাম্মাম হাসান,
স্যার এর এত বড় একটা লেখা, কত Reference.আর যুধিষ্ঠির যা লিখল তাতে কোন Reference
আছে? কেন সব ফালতু কথাকে এত গুরুত্ব দেন? কত গুল শোনা কথা উনি বলেছেন। কোনটাই প্রমান
করেন নাই বা করতে পারেন নাই। তারপরেও স্যার ত প্রথম পর্বেই এ কথার জবাব দিয়েছেন,
:-Y
আমরা যখন বলি তখন সহি হাদিসও অসহি বা ভুল অনুবাদ হয়ে যায়, আর উনারা ঘুমের ঘোরে যা বলেন সব ঠিক!
কে সভ্য আর কে অসভ্য তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে? এত পাত্তা তাদের দেয়া কেন?
উনাদের সেসব কথাকে কেন এত মুল্যবান করে তোলেন যেখানে সেগুলো ন্যুনতম Argument হওয়ারও প্রাথমিক যোগ্যতা রাখে না। আমার মনে হয় মুক্ত-মনার ন্যুনতম সূক্ষতা টুকু যেসব Comment এ অনুপস্থিত সেগুলোর জবাব দেওয়া অর্থহিন। কারণ এটা অনর্থক BLAH BLAH করার জায়গা না। যেসব Comment মুক্ত-মনার সূক্ষতাকে হেলা করে সেসব Redundant। সূক্ষতার সাথে শুধু সূক্ষতাই মানায়। খেয়াল করলে দেখবেন মুক্ত-মনার অনেক লেখার comment অংশের শেষে যুধিষ্ঠির এর মত লোকেরা spoiler দেন। এটা কাপুরুষতার নমুনা ছাড়া(পৌরানিক যুধিষ্ঠির চরিত্র) আর কি?
উনাদের ত কোন পড়াশোনা দরকার হয়না। এইসব স্থুল প্রশ্নের জবাব হিনতায় যেটুকু(রাগে হোক আর জিদে হোক) পড়াশনার সুযোগ তৈরী হত তাও নষ্ট হয়। উপরন্তু উনারা convinced ও হননা। কারণঃ
উনাদের সময় বোধহয় কখনও হবে না। হলেও তা কি উতপাদন করবে তার নমুনা ত
উনার এই Comment।:-D ইসলাম এ নারী হচ্ছে কোরবাণির পশুর মত, এতই প্রিয় যে তাকে হত্যা করা হয়।
এই কথাই ত উনার উদ্দেশ্য ও চরিত্র(type) প্রমান করে। উনি যে মরুভুমির পাইপ থেকে গলগল করে আসা দিনার পাননা তার কি প্রমান? নাযিরা Nazism এর ভয়াবহতার কথা বললে এ রকম কথা বলত বলে শুনেছি।
@আবুল কাশেম,
ইসলাম মানেই তো শান্তির পথে চলা । এত আয়াত দেখার পরো যে বিশ্বাস করে না, সে মাত্র একটি বিষয়, আয়াত দেখে বাধিত হবে এটা অবিশ্বাস্য ।
ইসলামকে নিজের ধর্ম হিসেবে পরিচয় দেন কেন ? নাস্তিক বলুন ।
আমি চ্যালেন্জ করছি যে, আপনি কোরান, হাদীস কোনটাই সম্পূর্ণ পড়েন নাই, অন্যের বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন ।
ফুল আয়াত কখনোই তুলে ধরেননি, আংশিক বা অসম্পূর্ণ ।
মোবাইলে এত লেখা যায় না ।
কাছে থাকলে বুঝাতে পারতাম, জানি আপনি যদি বুঝেও থাকেন তারপরো তর্ক করবেন ।
ভাল থাকবেন
@উইলিয়াম লুইস,
আচ্ছা তাই নাকি :-O
আমি শুনেছি তিনি অনেক আলেমদের চাইতে বেশী জানেন। আপনি বরং কিছু লিখুন বলুন, একটু জানি শুনি। কি বলেন ঠিক না?
@আবুল কাশেম , এক কথায় অসাধারণ । আপনার কাছে একটা অনুরোধ থাকবে যে অন্যান্য ধর্মে মেয়েদের কি অধিকার দিয়েছ আর ইসলাম মেয়েদের কেমন অধিকার দিয়েছ তার একটা তুলনামূলক তথ্যচিত্র দেওয়া …। :guru:
@অগ্নি,
আপনি আকাশ মালিকের লিখা ‘যে সত্য বলা হয় নি’ পড়ুন। এই এ-বই মুক্তমনাতেই পাবেন। এই বইতে অন্যান্য ধর্মের আকাম কুকামের কথা আছে খুব সংক্ষিপভাবে।
আমার পক্ষে সব ধর্মে বিশেষজ্ঞতা লাভ করা সম্ভব নয়। আমি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেছি–তাই ইসলাম নিয়ে লিখি।
হিন্দু অথবা খ্রিষ্টান মুর্তাদরা লিখতে পারেন তাঁদের স্ব স্ব ধর্মের নারীদের প্রতি আচরণ সম্পর্কে।
@আবুল কাশেম,
উনি ছিলেন সাহাবি হজরত তালহা (রাঃ)। কোরানের সুরা আহজাবের তাফসির দেখুন-
Tafseer Mazhari Volume 7 page 407, Allamah Thana’ullah Panee Pathee
al Itqan fi Asbab al Nuzool page 182
Tafseer Ibn Katheer Volume 6 page 506
Tafseer Khazaan Volume 5 page 225
“It is not permissible to pain the Prophet that—–”
“this verse descended in honour of Talha who expressed his intention of marrying Ayesha in the eventuality of Rasulullah (s) dying”.
We read the remarkable words of Talha in Tafseer Mazhari:
“Talha said, “Muhammad refrains us from marrying our cousin’s, and yet marries our women when we die, after his death we shall marry his wives’ after this, the verse descended “You cannot marry the wives of Rasulullah”.
আরো একটা কারণ হতে পারে যে, মুহাম্মদের সন্দেহ ছিল তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীগনকে কেউ বিয়ে করলে তাদের ঘরে সন্তান জন্ম নিতে পারে, যা তিনি নিজে তাদেরকে দিতে পারেন নি।
@আকাশ মালিক,
শোনা যায় আয়েশা নবীজির প্রিয়তম বিবি ছিলেন।তিনি সুন্দরী,বুদ্ধিমতি এবং শিশু ছিলেন। আয়েশার প্রতি এতো ভালবাসা থাকার পরেও নবীজি একের পর এক শুভকর্ম করা থেকে বিরত হননি কেন? তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর প্রিয় পত্নীদের স্বামীহীন,সন্তানহীন,নিঃসঙ্গ,অসহায়,দুর্বিষহ, দীর্ঘদিবসরজনী কীভাবে কাটবে তা তিনি কখনো ভেবে দেখেছিলেন কি? তাছাড়া তারা স্বনির্ভর হতে এমনকী ঘরের বাইরে যেতেও নিষিদ্ধ ছিল। যিনি নিজের পত্নীদের প্রতি এতো অবিচার করতে পারেন,এতো নির্মম হতে পারেন তিনি কী করে বিশ্বজাহানের ত্রানকর্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসাবে বিশ্বের অসংখ্য মানুষের কাছে পরম পূজনীয়?
@আকাশ মালিক,
হাঁ, এটা হতে পারে।
তবে আমার মনে হয় এর চাইতে বড় কারণ ছিল নবীজি চান নি তাঁর কোন বিবির গর্ভে কোন পুত্র সন্তান হউ্ক। সেই পুত্র হয়ত নবীজির সব গুমর ফাঁক করে দিত সময়মত। আর সেই সাথে মারা যেত ইসলাম ও মুহম্মদ।
মনে রাখতে হবে নবীজি ছিলেন এক পুত্রের কাঙ্গাল। উনার সব পুত্রই অল্প বয়সে মারা যায়। তাই তিনি কোন উত্তরাধিকারী রেখে যেতে পারলেন না। এটাই ছিল তাঁর জীবনের সব চাইতে বড় ট্রাজেডী। আর এই জন্যেই উনি মৃত্যুর শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন উত্তরাধিকার মনোনয়ন করেন নাই।
@অগ্নি,
এখান থেকে দেখতে পারেন হিন্দু ধর্মে নারীর অবস্থান
প্রতিদিন বইমেলায় যাবার পথে কতিপয় বোরকা পরা মহিলা দলে দলে
দজ্জাল দজ্জাল
বলে একটা বই নিয়ে গলা ফাটিয়ে ফেলছে। কৌতুহলি হয়ে পাশের সঙ্গিকে জিজ্ঞাসা করালাম
-জজ্জাল কী?
— আরে কি বলো দুনিয়ায় নাকি দজ্জাল এসে গিয়েছে তারা নানান ভাবে ইসলাম আবার প্রতিষ্ঠা করবে।
শুনে ভাবলাম কী সর্বনাশ? আবার কোন নতুন পাগলের আমদানি।
ভাবছি একখানা দজ্জাল কিনেই ফেলি। :))
@আফরোজা আলম,
আমার মনে হয় এটা হবে ইসলাম নষ্ট করা। যাই হোক হাদিসে আছে দজ্জাল মক্কা ও মদীনা ছাড়া অন্য সমস্ত স্থানে গিয়ে অনেক কুকান্ড করবে। এই ব্যাপারটা হবে যিশুর আবার আগমনের আগে–যাকে মাসিহ বলা হয় ইসলামী ভাষায়। যিশু এসে দাজ্জালকে হত্যা করবেন, জিজিয়া বন্ধ করবেন, শুকরদের মেরে ফেলবেন এবং মুসলমান হয়ে রাজত্ব চালাবেন খুব সম্বতঃ চল্লিশ বছর। তারপর কেয়ামত হবে।
এই ভাবেই লিখা আছে বিভিন্ন হাদিসে। তবে কোরানে তেমন বিশদ কিছু নাই দজ্জালের ব্যাপারে। বই মেলার ঐ বোরকা পরিহিতারা দজ্জাল নিয়ে যা বলতে চাচ্ছিল আমার মনে হয় তা হচ্ছে—এখন দুনিয়াটা দজ্জালে ভরে গেছে—তাই এখন দজ্জালের হাত থেকে সবাইকে উদ্ধার করতে হবে।
অন্যভাবে এটাও বলা যায় যে দজ্জাল আসার পর ও তাকে হত্যার পর ইসলাম পরিপূর্নভাবে কায়েম হবে—কিন্তু তা করবেন ইসলামী যিশু—খ্রীষ্টানদের যিশু নন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর আর বেহেশতিয় এই লেখাটা উপহার দেয়ার জন্যে|
পরের অংশের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম|আর ঘন্টা তিনেক বাদে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ আর ভারতের|আল্লাহপাক এই ক্রিকেট কিংবা খেলাধূলা নিয়ে কি বিধান দিয়েছেন পবিত্র” পরিপূণ জীবন বিধান” গ্রন্থে? যে কোন অধ্যায়ে বয়ান করবেন নিশ্চয়? স্ত্রীদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কোন ধরনের ব্যায়াম কিংবা খেলাধূলার বিধান রাখা আছে কি? নারীর শরীর ঠিক না থাকলে পুরুষ সহবাসে সুখ পাবে কি করে?
হাতের কাছে একটা বই আছে,” Zoya’s story-an Afghan woman’s struggle for freedom”| পড়ছি| ভয়াবহ সব তালেবানি অত্যাচারের কাহিনী|এক জায়গায় আছে,” .Taliban did not stop at simply ordering that women wear burqas.They dictated that Hindu women should all wear yellow burqas.Yellow is the colour of sickness, and of hate,…”
এটাও কি পবিত্র জীবন বিধান গ্রন্থে আছে?আল্লাহর প্রিয় রং কি? সবুজ!!আমাদের এক মুক্তমনা প্রিয় মানুষের ওয়েবসাইটের সবুজ রঙ কি সেখান থেকেই নেয়া? জামাতে ইসলামীর সব কিছুতেই কিন্তু সবুজের ছড়াছড়ি। ধন্যবাদ…
@ভজন সরকার,
তালিবানরা যা করেছে এবং করছে তা শতকরা একশত ভাগ ইসলাম মেনেই করছে। ইসলামী আইন অনুযায়ী বিধর্মীরা ইসলামী দেশে বাস করতে চাইলে যখন তারা ঘরের বাইরে যাবে তখন তাদের দেহে হলুদ বা ঐ ধরণের পোষাক থাকতে হবে। এথেকে হিন্দু নারীরা বাদ যাবে কেন? আর তালিবানরা যে হিন্দুদের জীবিত রেখেছে সেটাই ত তাদের বিশাল করুণা। ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী ইসলামী রাস্ট্রে হিন্দুদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই। হয় তারা ইসলাম গ্রহণ করবে নয়ত মৃত্যু বরণ করবে।
অবশ্য হিন্দুস্তানের ব্যাপারে একটু ছাড় আছে। যেহেতু এখানে হিন্দুরা এখনও শক্তিশালী তাই তারা জিজিয়া দিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
এরপরেও ধমর্মান্ধরা বলবে, ইসলামই নারীর জন্য সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছে!! এগুলো কোরআন হাদিস থেকেই নেয়া হয়েছে। কোরআন হাদিস ঘেটে এগুলো বের করার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি। এসব বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত আকষর্ণ একসময় ছিল। নিজে পড়তে গিয়ে অনেক কিছু পেয়েছ। পরবর্তিতে দেখলাম বতর্মান অনুবাদগুলো তে কিছু কিছু বদলে দিয়েছে। সম্প্রতি একজন প্রকাশক/লেখক তার ঝুলি থেকে বের করে বাংলা কোরআন শরীফ দেখালেন, যেখানে নারী বিদ্বেষী লেখাগুলোকে হাইলাইট করে রেখেছেন। একজন ব্যাংকার লেখকের বাংলা কোরআন শরীফেও এরকমটি দেখেছিলাম। এসব নিয়ে আপনি পূর্ণাঙ্গ একটি বই লিখতে পারেন। তবে মৌলবাদীদের বিষয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি বাঁধা হয়ে থাকবে।
@Mojib Rahman,
খুব সত্যি কথা—এমনকি কিছু কিছু হাদিস পর্য্যন্ত গায়েব হয়ে গেছে। এই সহিহ্ বোখারীর পুরোন অনুবাদ (ডঃ মহসীন) যা মদিনা থেকে প্রকাশ হয়েছিল তাতে অনেক হাদিস ছিল যে গুলো নতুন ভার্সনে বেমালুম গায়েব।
এমনকি ইউসুফ আলীর অনুবাদে অনেক পাদটিকা গায়েব করা হয়েছে–নতুন ভাবে প্রকাশিত মদিনা থেকে। আমার কাছে সেই পুরোন (১৯৩২?) সনে প্রকাশিত ইউসুফ আলীর ছাপানো অনুবাদ আছে। নতুন সংস্করণের সাথে যাচাই করতে গিয়ে আমার আক্কেল গুড়ুম। এই একই চালবাজী চলেছে ইন্টারনেট ভার্সানেও। বিশ্বাস না হলে ছাপানো (১৯৩২) সনের ইউসুফ আলীর সাথে ইন্টারনেটের তুলনা করে দেখুন–আপনিও আশ্চর্য্য হয়ে যাবেন।
@আবুল কাশেম,
অনেক দিন পর আর একটি তথ্যবহু্ল, সুখপাঠ্য ‘আবুল কাশেমী” লিখা পড়ে খুব ভাল লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেকদিন মুক্তমনা তে আসা হয় না। এসেই দেখি আপনার মূল্যবান ও তথ্য বহুল নিবন্ধ। ধন্যবাদ আপনাকে।
যখন কোন ধর্মপরায়ণ মুসলিম নারীকে জিজ্ঞেস করা হয়- পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য আল্লাহ জান্নাতে অসংখ্য হুর তৈরি করে রেখেছেন, নারীদের জন্য কি তৈরী করে রেখেছেন? কোন যুতসই উত্তর দিতে না পেরে তারা বলে- সব ধরনের সুখ শান্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তখন আমি বলি- তাহলে আল্লাহ ৬/৭ টা আয়াতে পুরুষের জন্য কি ব্যবস্থা আছে তা পরিস্কার ভাবে উল্লেখ করলেন, একবারও নারীদের জন্য কি ব্যবস্থা আছে তার উল্লেখ কেন করলেন না? তারা আর কোন উত্তর দিতে না পেরে বলে সেটা আল্লাহই ভাল জানেন। এখন এ ব্যপারে আপনি কি জানেন বলবেন দয়া করে?
@ভবঘুরে,
অপেক্ষা করতে হবে আসছে পর্বগুলোর জন্যে।
ঐ সব পর্বে অনেক মজার ব্যাপার জানতে পারবেন। তাই মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য রাখবেন।
হাঁ, অনেকদিন পর আপনাকে মুক্তমনায় পেলাম। সে জন্য খুব ভাল লাগছে। মনে আছে আপনি মুক্তমনায় কতই না ঝড় তুলেছিলেন। ফিরিয়ে আনুন সেই সব দিন গুলো। কেন জানিনা আমার মনে হচ্ছে মুক্তমনা বেশ নীরব হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। এটা আমার একেবারেই ব্যক্তিগত ধারণা–হয়ত ভুলও হতে পারে।
@আবুল কাশেম,
আবার ঝড় তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে বেশী ঝড় তুললে দেখি অন্যরা একটু অন্যরকম ভাবে গ্রহন করে। অনেকে আবার নানারকম সবকও দেয়। তাই আপাতত: চুপ আছি। তার চাইতে বড় কথা একটু ব্যস্ত আছি পেশাগত কাজ নিয়ে আর জানা-শোনার চেষ্টায় আছি। না জেনে তো আর ঝড় তোলা যায় না , তাই না ? যাহোক, আপনাদের অনুপ্রেরণা আমাকে দারুনভাবে উৎসাহিত করে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
শুনেছিলাম নারীদের জন্য গেলমান তৈরী করে রেখেছেন।
@রনবীর সরকার,
দু:খিত ভাই, ভুল শুনেছেন মনে হয়। গেলমান তৈরী করা হয়েছে পুরুষদেরকে সূরা পরিবেশন করার জন্য, নারীদের মনোরঞ্জনের জন্য নয়। এটা আমার কথা নয়, আল্লাহর কিতাব কোরানের কথা। হাদিসে আছে- পূন্যবতী রমনীরা তাদের স্বামীর জন্য বরাদ্দ হুরদের সর্দারনী হবে। অর্থাৎ তারা কোন্ হুর কখন তার স্বামীর সাথে লীলা করবে তার তালিকা তৈরী করা সহ পাহারা দেবে। তারা নিজেরা লীলা করতে পারবে কিনা তা অস্পষ্ট।
@ভবঘুরে,
তাইলে মনে হয় ভুলই শুনেছি। তবে আবার গেলমান তৈরী করার কি দরকার ছিল? হুররাইতো সুরা পরিবেশন করতে পারত।
@রনবীর সরকার,
নারীদের জন্য গেলমান? আহা কি মধুরই না ব্যাপার। :lotpot:
@আফরোজা আলম,
ভবঘুরে যা বলল তাতে তো ব্যাপারটা আর মধুর রইল না। যাহোক এতগুলা হুরদের সর্দারনী হইবেন, সেটাই বা কম কিসে।:)
তবে আমার আফসোস এতগুলা হুর পাইলেও, একটা কম্পিউটার পামু না।:( দেখতে হবে গেলমানদের বলে কয়ে একটা কম্পিউটার এর ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
@রনবীর সরকার,
পাইবেন পাইবেন, সাচ্চা মুসলমান সাচ্চা দিল হইলে সব পাওয়া যায়।
আমার বর যেমন বলে,
‘ আমি মরে গেলে কফিনে করে কবর দিও, কেননা নানান পোকা মাকড়ে খাবে। আর সাথে দিবা
ব্ল্যাকলেভেল কেননা কব্বরে শুইয়া আমি যেন তেন ব্রান্ড বোতল খেতে পারব না। আর হ্যাঁ সাথে মোবাইলটা দিয়া দিও, কেননা গার্ল ফ্রেন্ড দের সাথে ইয়ে 😉 করা লাগবে না? বলে এতো সুন্দর শরিরটা পোকায় খাবে ইশশ :-X ,
না বাবা তোমাদের বিশ্বাস নাই। আমার কব্বরের কফিন আমিই বানিয়ে রাখব,
আমি বলি- ওগো এই সব বলছো তখন কেউ কি এমন খিরিস্টানি পদ্ধতিতে তোমাকে কবর দেবে?
বলে কি – না বাবা তাহলে আমি একদিনের জন্য খিরিষ্টান হবো। না হলে তোমরা কি না কিসে
শোইয়াইবা
তাহলে বুঝুন :hahahee:
আহা কি যে মধুর হবে। স্বামীকে যখনই দেখব, অন্য মাইয়াদের সাথে ইয়ে মানে 😛
করছে সাথে সাথে একটানে তরবারি বার করে মুন্ডু কাটব। :-[ :guli:
@রনবীর সরকার,
আল্লাহ পাক কথা দিয়েছেন–
৫২:২২ আমি তাদেরকে দেব ফল মূল এবং মাংস যা তারা চাইবে।
৫২:২৩ সেখানে তারা একে অপরকে পানপাত্র দেবে, যাতে অসার বকাবকি নেই এবং পাপকর্মও নেই।
৫২:২৪ সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের সেবায় ঘুরাফেরা করবে।
৫২:২৫ তারা একে অপরের দিকে মুখ করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
এই সব লীলাখেল উন্মুখত প্রাঙ্গনে সবার চক্ষুর সম্মুখে হবে। পিতা, ভ্রাতা, চাচা, মামা…ইত্যাদি সকলেই একে অপরের সম্মুখে এই যৌনলীলায় এবং আমোদ প্রমোদে মত্ত থাকবে। কারণ এই খেল অনুষ্টিত হবে স্বর্গের এক বিশাল স্টডিয়ামে। অনুমান করা হচ্ছে সবাই উলঙ্গ থাকবে এবং প্রত্যেকে ৭২ জন কুমারী হুরেরে সাথে লিঙ্গ লিপ্ত থাকবে। প্রত্যেকের যে দুজন স্ত্রী (যারা ইহকালে ছিল) তারা নিকটে থেকে তাদের স্বামীদের এই লীলাখেলায় উৎসাহ দিয়ে যাবে–কিন্তু এই স্ত্রীরা এই যৌন মহোৎসবে যোগদান করবে না।
এই-ই হচ্ছে ইসলামী স্বর্গ যা প্রত্যকে পুরুষ মুসলিমকে আল্লাহ পাক প্রতিজ্ঞা করেছেন।
@আবুল কাশেম,
কোরান পড়ে বোঝা যায় মোহাম্মদ ভীষণ রকম নারী বিদ্বেষী ছিলেন। নইলে গেলমান যখন আল্লাহ সৃষ্টিই করলেন তাদেরকে তিনি পূন্যবতী নারীর জন্যও বরাদ্দ রাখতে পারতেন। আর সূরা ও মদিরা পরিবেশনের দায়িত্ব তিনি হুরদের ওপর ছেড়ে দিতে পারতেন। তাতে কোন অসুবিধা হতো বলে মনে হয় না। এতে পুরুষ ও নারী দু দলকেই সন্তুষ্ট রাখতে পারতেন। আর আপনার মত লেখকের পক্ষে এ ধরনের নিবন্ধ লেখা সম্ভব হতো না। মোহাম্মদ নারীদেরকে মানুষ বলে স্বীকার করতেই রাজি ছিলেন না ( যা কোরান ও হাদিসের পাতায় পাতায় বিবৃত) আর তাই তারাও যে যৌন আনন্দ উপভোগের ব্যপারে পুরুষের মত সমান দক্ষ ও পারঙ্গম তা বোঝারও দরকার মনে করেন নি।কোরান হাদিস থেকে জানা শোনার পরেও কিভাবে শিক্ষিত মুসলিম নারীরা এখনও নামাজ রোজা রেখে ইসলাম পালন করে যায় তা বোঝা দুস্কর। কিছু কিছু নারীকে তো পুরুষের চাইতেও বেশী মৌলবাদী মনে হয়েছে আমার।
@ভবঘুরে,
আপনি এক কঠিন সত্য বলেছেন। আমার অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি ইসলামের নারীরা পুরুষদের চাইতে বেশী মৌলবাদী। ইসলাম যে তাদের সমস্ত মান সম্ভ্রম, সম্মান এবং মোলিক মানবিক অধিকার হরণ করে তাদেরকে পশুর পর্যায়ে রেখেছে–তা তারা ভালোমত জানা সত্বেও ইসলামের এই কুৎসিত, বর্বর রূপকে দুই হাতে এবং বুকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পছন্দ করে। তাই আমার মনে হয় মুসলিম নারীরা কোনদিন তাদের নিজেদের চেষ্টায় ইসলামের নাগপাশ থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ করবে না। এই যুদ্ধ করতে হবে পুরুষদেরকে নারীদের পক্ষ হতে।
তবুও একটু আশা দেখি যখন কিছু আধুনিক মুর্তাদ নারী ইসলামের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
হাঁ, আপনি ঠিক লিখেছেন–শিক্ষিত মুসলিম নারীরাই ইসলামের সবচাইতে বড় সমর্থক–এ এক তাজ্জব ব্যাপার। বাংলাদেশ হচ্ছে সবচাইতে সুন্দর উদাহরণ।
@আবুল কাশেম,
শুধু বাংলাদেশ কেন বলছেন! এই আমেরিকাতে ও বহু মহিলা ডাক্তার রিতিমত ইসলামী হিজাব পড়ে অফিস করছে। তাদের অনেকের সাথে আলাপ করে জেনেছি তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে “ইসলাম নারীদের সন্মান,অধিকার ও নিরাপত্তা” দিয়েছে। প্রমান, নবী তার বিদায় হ্ব্জ ভাষনে সমবেত পুরুষ সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ” you have rights over your wives and they have rights over you”.
তারা আরো বলে, “কোন ধর্মই মেয়েদের কোন সন্মান দেয় নি। ইসলাম নারীদের কিছুটা হলেও সন্মান এবং অধিকার দিয়েছে, যা অন্য ধর্মে অনুপস্থিত”। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি? তুলনামূলক বিচারে অন্যান্য major ধর্মের নারীদের চেয়ে মুসলীম নারীরা কি সত্যিই “ধর্মসম্মত” বেশী সন্মান এবং অধিকার ভোগ করে?
@গোলাপ,
এই কথা যে কতবড় ভাঁওতাবাজী আমি তা দেখাব সামনের এক পর্বে।
@আবুল কাশেম,
কি বলছেন ভাই বেহেশতে কি শাক-সবজি পাওয়া যাবে না? আমি তো আবার ভেজিটেরিয়ান।
আর পানপাত্র থেকে পান করাও সম্ভব না। এক ট্যুরে বন্ধুদের জোরাজুরিতে একটু পান করেছিলাম। তাতেই যা অবস্থা। 🙁
কিশোররা সেবা করার দরকার কি? কিশোরী মানে হুরেরা করলেই তো হত।
@রনবীর সরকার,
অনেকেই মনে করেন এই ব্যবস্থা করা হয়েছে আরব সমকামিদের জন্য। এখানে সমকামি বলতে আরব মুসলিম পুরুষদেরকেই বোঝান হয়েছে। আরবা মুসলিম নারীরা যে সমকামি হতে পারে এই ধারণা মনে হয় নবীজি অথবা আল্লাহ পাকের ছিল না।
আর একটা কথা এই সব মোতির মত কিশোরগুলো আসবে মুর্তিপূজকদের থেকে, মওলানা মউদুদির মত।
@রনবীর সরকার,
শাক-সব্জি না থাকলে ও ফল,মূল আছে।তাছাড়া রয়েছে দুধের নদী,মধুর নদী,পানির নদী ও সুরার নদী।সুরা পানের অভ্যাস না থাকলেও অসুবিধা নেই।যারা সুরা পানে অনভ্যস্ত তাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরী করা হয়েছে অন্যান্য সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর পানীয়ের নদী।কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রতি যাদের বিন্দুমাত্রও প্রশ্ন বা সন্দেহ আছে, তারা যত মহানই হোকনা কেন কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নামের নিম্নতম স্থান।এবং সেখানে খাদ্য-পানীয় হিসাবে থাকবে গলিতপূঁজ,গলিতশিশা,ফুটন্তপানি ও যাক্কুমগাছের ফল।তাছাড়া অবিরাম মারধোর ও আগুনতো রয়েছেই।কাজেই আমাদের মতো সন্দেহকারী ও অবিশ্বাসীদের ,পরকালে সুস্বাদু খাবারের আশা ত্যাগ করে পূঁজ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। 🙁
@আবুল কাশেম,
এই স্টেডিয়ামটা কত বড় হবে বলে অনুমান করা যায়? :-s :-s :-s :-O
@রনবীর সরকার,
এই দেখুন আল্লাহ পাক কি বলেছেন–
৫৬:২৭ যারা ডান দিকে থাকবে, তারা কত ভাগ্যবান।
৫৬:২৮ তারা থাকবে কাঁটাবিহীন বদরিকা বৃক্ষে
৫৬:২৯ এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
৫৬:৩০ এবং দীর্ঘ ছায়ায়
৫৬:৩১ এবং প্রবাহিত পানিতে,
৫৬:৩২ ও প্রচুর ফল মূলে,
৫৬:৩৩ যা শেষ হবার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়,
৫৬:৩৪ আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
৫৬:৩৫ আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
৫৬:৩৬ অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী,
৫৬:৩৭ কামিণী, সমবয়স্কা
৫৬:৩৮ ডান দিকের লোকদের জন্যে।
৫৬:৩৯ তাদের একদল হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে।
৫৬:৪০ এবং একদল পরবর্তীদের মধ্য থেকে।
ইবনে মাজাহর হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি–
ইসলামী স্বর্গের পুরুষদের পুরুষাঙ্গ থাকবে সর্বদা দৃঢ় ও খাড়া এবং তা কহনও অবনমিত হবে না। ৭২ জন হুরীর মধ্যে ২ জন হবে স্ত্রী আর বাকী ৭০ জন হবে যৌন সঙ্গিনী। প্রত্যেকের থাবে সুন্দর উপভোগ্য যোনী।
আমি ইবনে মাজাহর ইংরাজি এখানে সংক্ষিপ্ত দিলাম। বাংলায় অনুবাদের সময় নাই, নিজেই অনুবাদ করে নিবেন।
Each inmate of paradise will have 72 women; two will be from his wives on earth and 70 will be from the non-believers’ women; everyone with pleasant vagina; the man will have permanent erection; pharaohs wives will be inherited by the Muslims…5.4337
Wish in paradise a son—get in one hour…5.4338
@আবুল কাশেম,
যাদের দু’য়ের অধিক বিবি থাকে পৃথিবীতে, তারা বেহেস্তে গিয়ে কোন্ দুইজন বিবি পাবে?আর বাকি বিবিদের কী হবে,তারা কোথায় যাবে?৭২ জনের সাথে শারীরিক সম্পর্কের ফলেতো স্বর্গে যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বর্গবাসীদেরকে অকালে মৃত্যু বরন করে নরকে চলে যেতে হবে।
@তামান্না ঝুমু,
আচ্ছা পুরুষ মানুষ কি শুধুমাত্র যৌনলীলা করার জন্যই ধর্ম কর্ম করবে ? যৌনলীলার চাইতে বেশী আনন্দদায়ক আর কিছুই কি মোহাম্মদের মাথাতে আসেনি ? তা ছাড়া বেহেস্তবাসীর কি যৌনলীলা করা ছাড়া আর কিছুই কি করনীয় নেই? কারন ৭২ টা হুর এর সাথে একের পর এক যৌনলীলা করতে থাকলে অন্য কিছু করার সময়ই তো পাওয়া যাওয়ার কথা না। বিষয়টি এত দৃষ্টিকটু ভাবে ভালগার হওয়া সত্তেও কিভাবে শিক্ষিত মানুষ এত প্রগাঢ় বিশ্বাস নিয়ে ইসলাম পালন করে ? এসব জানার পর নারীরাইপ যে কিভাবে ইসলাম পালন করে সেটাই বিস্ময়কর।
@তামান্না ঝুমু,
এই ব্যাপারে আমি পরিষ্কার কিছু জানিনা। তবে মনে হয় যে দুই স্ত্রীকে সব চাইতে পরে বিবাহ করা হবে তারাই হয়ত তাদের স্বামীর যৌনলীলা উপভোগ করার সুযোগ পাবে–কিন্তু তারা ঐ যৌন উন্মাদনায় এবং মদ খাওয়ার অধিবেশনে যোগ দিতে পারবে না।
বাকী স্ত্রীরা নরকে থাকবে বলেই মনে হয়।
একজন মাত্র স্ত্রী থাকলে কি হবে তা আশা করি আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন।
আরও লক্ষ্য করুন, আমি হাদিস দিয়েছি যাতে বলা হচ্ছে প্রত্যেক মুসলীম পুরুষ স্বর্গের ৭২ টি হুরপরী থেকে আরও দুটি স্ত্রী পাবে। অর্থাৎ মোট চারটি স্ত্রী স্বর্গেও পাবে। আমি জানিনা কেন এই দুই অধিক স্ত্রী দেওয়া হবে। বোধ করি পরচারিকার জন্যে।
@আবুল কাশেম,
শুনেছি আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদ সঃ ১৪টি বিবাহ করেছিলেন।তাঁর কয়টি বিবি তাঁর সাথে স্বর্গে বাস করার সৌভাগ্য পাবেন, তাঁরা কারা এবং বাকিরা কোথায় যাবেন? তিনি কয়টি হুরী পাবেন? চারের অধিক বিবাহ করেছে এমন মসলিম পুরুষের সংখ্যা মধ্যপ্রাচ্যে কম নয়।পরকালে তারা কয়টি বিবি পাবে, যেসব বিবিগন সারাজীবন স্বামীর বাধ্য থাকে ও ধর্মীয় বিধিবিধান সম্পূর্নরূপে মেনে চলে তারা পরকালে স্বামী সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হবে কেন?
@তামান্না ঝুমু,
শুনেছি আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদ সঃ ১৪টি বিবাহ করেছিলেন
আমি যতটুকু জানি নবীজি প্রায় ২৪ নারীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধুমাত্র তাঁর মৃত্যু কালে ৯ বিবি ও দুই যৌন দাসী ছিল।
এই ব্যাপারে পড়তে পারেন আমার লিখা–Muhammad had Violated the Quran.
আপনার বাকী প্রশ্নগুলো নিয়ে আমিও অনেক সময় চিন্তা করেছি–আজ পর্যন্ত সদুত্তর পাই নি। মনে হয় আল্লাহ পাক নবীজির ব্যাপারে কিছু ছাড় দিবেন। মানে হচ্ছে নবীজি সব বিবিকেই সাথে পাবেন ইসলামী স্বর্গে।
@আবুল কাশেম,
নবীজি তাঁর মৃত্যুর পরে তঁর বিবিদের পুনরায় বিবাহ নিষিদ্ধ করেছেন কেন?তাঁর মৃত্যুকালে আয়েশার বয়স ছিল মাত্র আঠার বছর মানে বর্তমান বিশ্বের আইনে সবেমাত্র বিয়ের বয়স।আয়েশা সহ বাকি বিবিগন কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন?বিবিগন কি তাঁর মৃত্যুর পরে একই গৃহে বাস করেছিলেন নাকি বিভিন্ন জায়গায় ছরিয়ে গিয়েছিলেন?নবীপত্নীদের মোমিনদের মা ঘোষনা করা হয়েছ । কিন্তু বলা হয়েছে পালিত পুত্র,পুত্র নয়।নিজের সন্তানের মতো করে পালন করা এতিম ছেলে মেয়ে যদি পুত্র-কন্যা না হতে পারে তাহলে মুসলিম পুরুষগন তাঁর বিবিদের পুত্র হলো কি হিসাবে?উনার বিবিরা যদি মুসলিমদের মা হন তাহলে মুসলিমদের বাবা কে? নিশ্চই তিনি।উনার যুক্তি মোতাবেক তিনি মোমিন নারীদের বাবা হয়েও তাদের সাথে কীভাবে শুভকর্ম সম্পাদন করেছিলেন এবং বিবাহ ছাড়াও অনেকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছিলেন?
অধিকারভুক্ত দাসী ও গনীমতেরমাল হিসাবে পাওয়া যুদ্ধবন্দিনীরা ও কি নবীর সাথে বেহেস্তে স্থান পাবে? কোথায় যেন পড়েছিলাম, হাদিসে নাকি বলা হয়েছে উটের মূত্র পান করতে। এটা কি সত্য? যদি সত্য হয় এতে কি ধরনের ভিটামিন রয়েছে এবং এ পর্যন্ত কেউ তা পান করেছেন কিনা, করে থাকলে কোন বিশেষ উপকার পাওয়া গিয়েছে কিনা?
@তামান্না ঝুমু,
আপনার এত প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে আরও একটি পূর্নাঙ্গ প্রবন্ধ লিখতে হবে। সময় পেলে আমি একদিন তা লিখব। এখন এই রচনাটা শেষ করা দরকার—কারণ আরও অনেক পর্ব আছে। কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর সেই সব পর্বগুলোতে পেতে পারে্ন।
সংক্ষিপ্তঃ
নবীজি চান নাই অন্য কোন পুরুষ তাঁর বিধবা বিবিদের বিবাহ করে তাদের সাথে যৌন ্সম্পর্ক স্থাপন করেন। অনেক ্জীবনিকার মনে করেন নবী খুব ইর্শা কাতর লোক ছিলেন। আর এক হাদিসে দেখা যায়, সুন্দরী, অল্পবয়স্কা, ্বিশাল যৌনাবেদনময়ী আয়েশাকে দেখে নবীজির এক সাঙ্গ বলল যে নবীজি মারা যাবার পর সে আয়েশাকে বিবাহ করবে। এই কথা শোনা মাত্র নবীজি আল্লাহ হতে আয়াত আনলেন উনার বিধবা স্ত্রঈদের কেউ বিবাহ করতে পারবেনা।
নবীজির লুটের মাল এবং খায়বারের ইহুদিদের থেকে কেড়ে নেওয়া বাগান থেকে যা আসত তাই দিয়ে নবীজির বিবিরা বেঁচে থাকল। এই মর্মে নবী এক নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। প্রত্যেক বিধবা বিবির একটি করে থাকার ঘর ছিল–এক কক্ষ বিশিষ্ট।
এই ব্যাপারে আরও জানতে চাইলে পড়ে নিন–আকাশ মালিকের লিখা ‘যে সত্য বলা হয় নি।’
@আবুল কাশেম,
এই রকম অশ্লীল কথার পর কোন সভ্য মানুষের পক্ষে ইসলাম পালন সম্ভব?
@ভবঘুরে,
খুবই সম্ভব। দেখুন না বিশ্বব্যাপি কি হচ্ছে–ইসলামের জয় জয়কার। এ এক অপূর্ব পরিস্থিতি। আমরা যতই ইসলামের কুৎসিত রূপ তুলে ধরছি, মোমিনরা ততই বেশী ইসলামকে আঁকড়ে ধরছে। হতে পারে স্বর্গের ঐ স্থায়ী, দৃঢ় এবং খাড়া লিঙ্গের জন্য।
এত মজা যখন ইসলামে তখন কে ঠেকাবে ইসলামকে যুক্তি, তর্ক এবং বিজ্ঞান দিয়ে?
@ভবঘুরে,
শুধুই অশ্লীল নাকি ভাই? এ যে রীতিমত দুঃস্বপ্ন।সারাদিন আমার পুরুষাঙ্গ খাড়া থাকলে অন্য কাজ করব কিভাবে?ইয়াল্লাহ কি মুসিবত বেহেশতে।আমার মনে হয় হুযুরে পাক ২৪ রমনী সঙ্গমেও তৃপ্ত হতে পারেন নি, তাই এইসব আবলতাবল কথা বলে গেছেন।
@আবুল কাশেম,
বেহেস্তে শুনেছি খুন জখন হত্যা নেই। তাহলে হত্যা করা ছাড়া মাংস কোথা থেকে পাওয়া যাবে ? আমার মনে হয় এখানে মোহাম্মদ একটা বড় রকম সমস্যা করে ফেলেছেন বেহেস্তের বর্ননা দিতে গিয়ে।
@ভবঘুরে,
ওটা ইনভিট্রো মাংস হতে পারে। আল্লাহ হয়ত তা তৈরীর জন্য কয়েকজন বিজ্ঞানীকেও বেহেশতে নিয়ে যেতে পারেন।
@রনবীর সরকার,
এক অশিক্ষিত কৃষকের প্রশ্নের জবাবে এক হুজুর বলেছেন যে, বেহেস্তে পদ্মার ইলিশ এবং হুক্কাও পাওয়া যাবে।
সুবহাল্লাহ, সুবহাল্লাহ।
@ভবঘুরে,
আমি কোরানে এই ধরণের কিছু পড়ি নাই–আর এই ধরণের কোন হাদিসও আজ পর্যন্ত দেখি নাই।
কেউ দেখে থাকলে জানাবেন।
মনে হচ্ছে স্বর্গেও কসাইখানা থাকবে। সেখান থেকে এই সব মাংস সরবরাহ করা হবে। অথবা এমনও হতে পারে স্বর্গের মোমিন মুসলিমরা যা চাইবে তাইই সাথে সাথে পেয়ে যাবে। হয়তবা এই মাংস নিমেষের মাঝে পৃথিবী থেকে আমদানি হয়ে যাবে।
এই ব্যাপারে আমি আপনাকে সঠিক উত্তর দিতে পারলাম না, সে জন্যে দুঃখিত।
“আমার বিশ্বাসকে ধারণ করবে আমার সন্তান
আমার সম্পত্তি রক্ষা করবে আমার সন্তান
এ সন্তান আমার
আর এর জন্য চাই বিশ্বাসযোগ্য শষ্যক্ষেত্র (নারী)।”
আপনার লেখাটা পড়তে পড়তেই আমার ওপর এই ঐশী বাণী …
সমস্যা হলো আমরা সবকিছুই রক্ষা করতে চাই, শুধু ধর্মটাকে বাতিল করে। তাই কি হয়?
অনেক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে, যা লিখেছেন, কারো নিদ্রা ভঙ্গ হোক আর না হোক – “হাল ছেড়ো না বন্ধু”
@স্বপন মাঝি,
হে নবী;
আপনার জন্য হালাল করেছি সকল উর্বর শষ্যক্ষেত্র। আপনি যেমনভাবে চান অমনিভাবেই বীজ বপন করেন ঐ শষ্যক্ষত্রে।
@আবুল কাশেম,
জন্মসূত্রে পাওয়া এ ধর্মটা যে আপনার হতেই হবে বা থাকতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতায় নিজেকে না বাঁধলেই হয়।তাহলে আমরা ( নারীরা) অনেক দুঃখ, লজ্জা ও অন্যায়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।
@গীতা দাস,
কথাটি খুব সত্যি। এই প্রবন্ধটা লিখা হয়েছিল প্রায় দশ বছর আগে। আমি এবং XXXX আজ এই প্রবন্ধ লিখলে অন্যভাবে লিখতাম তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। বিগত দশ বছরে অনেক কিছুই ঘটেছে–বিশ্ব দেখেছে ইসলামের ভয়ঙ্কর রূপ–আর আমিও আজ ছেড়েছি ইসলামকে সম্পূর্নরূপে।
দশ বছর আগে ভাবতাম হয়ত ইসলামকে শোধরানো যাবে–কিন্তু আজ আমি জানি ইসলামকে কেউ কোনদিন শোধরাতে পারবে না। হয়ত ইসলামকে প্রাণাধিক ভালবাসতে হবে (যা আত্নঘাতীরা প্রমাণ করছে) অথবা ইসলামকে ত্যাগ করতে হবে জীবন থেকে। এর মাঝামাঝি যাঁরা আছেন তাঁরা যে কি তা আমি আজও বুঝতে পারি না।
ইসলামী সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা “Hypocrite”. সাধারন সংজ্ঞা অনুযায়ী “ভাল মানুষ” – যারা হয় ইসলামের আসল পরিচয় জানেন না অথবা জেনেও সামাজিক ও অন্যান্য বহুবিধ কারনে ‘প্রথাগত বিধান’ পালন করে পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলেন।
অনেক প্রয়োজনীয় একটা লেখা। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
@মোজাফফর হোসেন,
একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। ইসলামের সমালোচনা করে লিখা সহজ নয়।
ইসলাম নিঃসন্দেহে পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম। অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম নেয়া সবগুলা ইব্রাহিমী ধর্মই পুরুষতান্ত্রিক। কোরআন হাদিস ঘাটার সময় আমাদের সময়কার মডারেট মুসলমানদের নাই। এরা বরাবরি ইসলাম’কে সাম্যের ধর্ম বলে দাবি করে আসছে। এদের জন্য এইটা একটা রেফারেন্স পোস্ট হতে পারে।
@পারভেজ আলম,
হিন্দু ধর্ম আরো বেশী খারাপ। আসলে সকল ধর্মই পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম।
@আকাশ মালিক,
(Y)
সকল ধর্মকেই পুরুষতান্ত্রিক বলাটা ভুল হবে। অনেক আদিবাসী সমাজে এখনো নারীকেন্দ্রীক ধর্মের অস্তিত্ব আছে। বৌদ্ধ ধর্মকেও ঐভাবে পুরুষতান্ত্রিক বলা যায় না বোধহয়।
@পারভেজ আলম,
আমিও আপনার কথায় একমত বা সহমত হতাম যদি না নিজে চোখে কিছু চিত্র না দেখতাম।
দৃশ্যপট ক- বলে রাখা দরকার এই পরিবারের সাথে আমাদের যে কোনো কারনেই হোক অনেক সখ্যতা, এবং হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক।
কিছু বিবরণ দেই। গৃহকর্তা ঘুম থেকে উঠার আগেই গৃহিনী রান্না বান্না করে তৈরি, স্বামী উঠে খাবার খাবে সে কারনে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার সব একত্রে রান্না শেষ করে তারপরে দোকানে ছুটলেন।
এই হচ্ছে বৌদ্ধ এবং আদিবাসিদের একান্ত ঘরোয়া চিত্র। যা আমি নিজ চোখে আজ ১০।১৫ বছর ধরে দেখে আসছি। এবং ওখানকার অধিকাংশ চিত্রই একই রকম।
তাহলে আমরা কী ভাবতে পারি। কেবল তাই নয়। দোকান পাট বন্ধ করে আবার ফিরে এসে রাতের রান্না, স্বামীকে মদ্য পরিবেশন সবই নিজ হাতে করেন সেই স্ত্রী।
এখন আপনি বলুন এ কেমন ধরণের নারীতান্ত্রিক পরিবেশ? বা নারী প্রধান পরিস্থিতি?
আমার তো মাথায় আসেনা।
এও এক ধরণের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নয় কী? রুপ কেবল আলাদা।
@পারভেজ আলম, নারীকেন্দ্রিক ধর্মের দরকার নেই। পুরুষ কেন্দ্রিক ধর্মের ত প্রশ্নই আসে না । যদি সত্যি ভালকিছু থাকে এই দুনিয়াতে তা হল নারী ও পুরুষের সমান অধিকার।আর এই অধিকার খর্ব করার ক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মই এক নাম্বার এ আছে। তারপর হিন্দু ধর্ম।ক্যাথলিক রাও বর্তমানে পিছিয়ে নেই কারন চার্চ আগে ধর্ষিতা রমনী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, প্রাথমিক অবস্থায় গর্ভপাতের অনুমোদন দিত কিন্তু ১৮৭০ সাল থেকে তাও বন্ধ হয়ে গেছে। কারন শুক্রানু আর ডিম্বাণু এক হলেই নাকি ঈশ্বর পবিত্র আত্মা জীবন সৃষ্টি করে দেন। ভাল কথা, আমার প্রশ্ন হল যদি ঈশ্বরই জীবন সৃষ্টি করেন তবে উনার মুরোদ হয়না কেন নারীর গর্ভের বাইরে সেই প্রান কে টিকিয়ে রাখতে? আসলে সোজা কথায় নারী কে ইনকিউবেটর বানানোই হল এর আসল উদ্দেশ্য। এই পোপে তাই পাপাল ইনফ্যালিবিলিটির ঘোষক।এই সন ধর্ম গুরুরাই ত আসলে ঈশ্বরের অবতার, তাছাড়া ঈশ্বর বলে কিছু ত নেই আসলে। :-s
http://en.wikipedia.org/wiki/Catholicism_and_abortion
@পারভেজ আলম,
আমি কোরান ও হাদিস পড়ে কোথাও পড়িনি যে ইসলাম সাম্য ও শান্তির ধর্ম।
কেউ যদি এই রকম কোন আয়াত আমাকে দেখাতে পারেন তবে বাধিত থাকব।
@আবুল কাশেম, হুম, সেইটাই তো। কোরআন হাদিসে তো নাই। আমিও তো সেইটাই বললাম। মডারেট মুসলমানরা এই দাবি করে। অথচ, ১৪০০ বছর আগের আরবে আমরা সাম্য বলতে যা বুঝি সেই ধরণের কোন ধারণার জন্মই হয় নাই।
@পারভেজ আলম,
ধন্যবাদ এই রচনা পড়ার জন্যে।
@আবুল কাশেম,
ভাল হয়েছে ।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধর্মের বর্বরতা গুলো ধার্মিকদের নজর কীভাবে এড়িয়ে যায় তা বুঝতে পারিনা।ধর্ম বিষয়ক লেখাগুলো মোমীন ব্যাক্তিদের চোখে পড়ুক এবং তাদের অন্তরচক্ষু খুলে যাক সে কামনা করছি ।মহান রাব্বুল আলামিন যাতে তাদের দিলের সীল-মোহর অতি শীঘ্রই খুলে দেন,আমীন।
১ম পর্বের মতই চমৎকার । তবে একটু দেরিতে এই যা । ৩য় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
@লিটন,
মুক্তমনায় নানা ভিড়ের জন্যে এই পর্ব একটু দেরী হয়ে গেছে।
সামনের পর্ব তাড়াতাড়ি হবে আশা করছি।
@আবুল কাশেম,
আরো কিছু ইসলামি নারী শিক্ষা-
Sahih Bukhari, Volume 4. No, 460
Narrated Abu Huraira:
Allah’s Apostle said, “If a husband calls his wife to his bed to have sexual intercourse and she refuses and causes him to sleep in anger, the angels will curse her till morning.”
আহারে! সারাটা রাত ফেরেশ্তাদের ঘুম নাই, কী কষ্ট। বাট, “If a wife calls her husband to her bed to have sexual intercourse and he refuses and causes her to sleep in anger, then what angels do? ছাগল পালক আরবের বেকুবেরা মুহাম্মদকে এ কথা না হয় জিজ্ঞেস করলোনা, ১৫শো বছর পরে আজও কি কারো মনে এ প্রশ্ন জাগে?
আপনি বলেছেন নারীর মাথাটা এমন ভাবে ধোলাই করে দেয়া হয় যে সে নিজেই সেই কারাগারে বসে বেহেশতের স্বপ্ন দেখবে, বেরোতেই চাইবে না সেখান থেকে যেখানে তাদের অপমান করতে করতে একেবারে শয়তান বলা হয়েছে। এখানে দেখুন নিজের মেয়ের প্রতি একজন মগজ ধোলাই করা মায়ের উপদেশ-
‘O my daughter, you are about to leave the home in which you grew up, where you first learned to walk, to go to a place you do not know, to a companion to whom you are unfamiliar. By marrying you, he has become a master over you, so be like a servant to him, and he will become like a servant to you.
‘Take from me ten qualities, which will be a provision and a reminder for you.
‘The first and second of them are: be content in his company, and listen to and obey him, for contentment brings peace of mind, and listening to and obeying one’s husband pleases Allah.
‘The third and fourth of them are: make sure that you smell good and look good; he should not see anything ugly in you, and he should not smell anything but a pleasant smell from you. Kohl is the best kind of beautification to be found, and water is better than the rarest perfume.
‘The fifth and sixth of them are: prepare his food on time, and keep quiet when he is asleep, for raging hunger is like a burning flame, and disturbing his sleep will make him angry.
‘The seventh and eight of them are: take care of his servants (or employees) and children, and take care of his wealth, for taking care of his wealth shows that you appreciate him, and taking care of his children and servants shows good management.
‘The ninth and tenth of them are: never disclose any of his secrets, and never disobey any of his orders, for if you disclose any of his secrets you will never feel safe from his possible betrayal, and if you disobey him, his heart will be filled with hatred towards you.
‘Be careful, O my daughter, of showing joy in front of him when he is upset, and do not show sorrow in front of him when he is happy, because the former shows a lack of judgment whilst the latter will make him unhappy.
‘Show him as much honour and respect as you can, and agree with him as much as you can, so that he will enjoy your companionship and conversation.
‘Know, O my daughter, that you will not achieve what you would like to until you put his pleasure before your own, and his wishes before yours, in whatever you like and dislike. And may Allah choose what is best for you and protect you.”
(Jamharah Khutah al-‘Arab, 1/145)
এ হল সর্বকালের অনুসরণীয়, অনুকরণীয়, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ট নবির নারী শিক্ষা।
@আকাশ মালিক,
ভাই আকাশ মালিক;
কষ্ট করে লেখাটা পড়েছেন সে জন্যে ধন্যবাদ। আসলে বাংলা লিখায় আমার হাতেখড়ি বলতে পারেন। তাই কি লিখব, কেমন করে লিখব, পাঠকেরা কি লেখা পছন্দ করবে এই সব চিন্তা করতে অনেক সময় চলে যায়।
যাই হোক আপনার উদ্ধৃতি গুলো খুবই চমৎকার ।
আসলে ব্যাপার হল, ইসলামে নারীদের ব্যাপারে এতই কুৎসিত, আবর্জনাপূর্ণ কথাবার্তা আছে যে তা লিখতে একটা বই লাগবে।
এই রচনায় পাঠকের ধৈর্য্য ও সময় বিবেচনা করে অনেক কিছু কাটছাঁট করতে হয়েছে।
আসছে পর্বগুলিতে আরও অনেক মজার ব্যাপার থাকবে।
(Y)