বইমেলা সমাচার-১
বইমেলা সমাচার-২
বন্ধুর কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে খুব ফুট্টোগ্রাপি করলাম দুদিন, আপনাদের দাবি অনুযায়ী একগাদি ছবি দিয়া পোস্টাইলাম :))
সম্ভবত ৬ তারিখে মেলায় গিয়েছিলাম মূলত শাফায়েতের ফোন পেয়ে। ওখানে গিয়ে দেখলাম সে, সাইফুল ভাই, নোর্শিয়া নীল আপু, রায়হান ভাই, সামিয়া আপু, আনাস ভাই, তানভীরুল ভাই প্রমুখেরা বিদ্যমান। মামুন ভাইকে ফোন দেয়াতে তিনিও একরকম ছুটেই এলেন মেলায়। মামুন ভাই আসার আগে ভাল রকম একটা ট্যুর দিয়ে নিলাম মেলা জুড়ে। উদ্দেশ্য ছবি তোলা আর ঘোরাঘুরি। এবার মেলায় যেটা দেখলাম তরুণ ও ব্লগারদের বই যেমন আছে প্রচুর সেগুলোর চাহিদাও বেশ ভাল।(আমি জানিনা গতবারও এমন অবস্থা ছিল কিনা। গতবার আমি কোন ব্লগের সাথে যুক্ত ছিলাম না বলে জানিনা ভালভাবে।)
আমার ব্লগের স্টলে গিয়ে কথা বলে জানলাম ব্লগারদের বই সম্পর্কে মানুষে আগ্রহও নাকি বেশ ভাল। এই স্টলের একটা বইয়ের কথা না বললেই নয়, তা হল “স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস সংকলন”


এটি প্রকাশ করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে একটি স্যুভেনির হিসেবে। বইটি সংগ্রহ ও প্রকাশনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন আমার ব্লগের ব্লগার অমি রহমান পিয়াল, প্রলয় হাসান প্রমুখেরা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে এখানে যান।
আমরা এরপর গেলাম মামুন ভাইকে আনতে। কিন্তু মামুন ভাইকে নিয়ে আমরা ফিরে এসে দেখি শুদ্ধস্বরের সামনে খা খা। সবাই এই সুযোগে ঘাও হয়ে গেছে। তবে তানভীকে পাওয়া গেল অপ্রত্যাশিত বোনাস হিসেবে। তাই শেষ পর্যন্ত আমি,মিথুন, মামুন ভাই, সন্ন্যাসী ভাই(সামু ব্লগার), আনাস ভাই, নান্নু ভাই, তানভী এরা মিলেই বেরোলাম ঘুরতে। চটপটির সাথে দারুণ আড্ডা হল, তবে চটপটি কে যে খেল তার প্রমান এই ছবি।

আমাদের সেদিনের আড্ডা

সেদিনের পরে আরো কয়েকবার মেলায় যাওয়া হয়েছে, মামুন ভাইয়ের সাথে হয়েছে ঘোরাঘুরি। সব মিলিয়ে দারুণ যাচ্ছে দিনগুলো। তবে একই সাথে মনে করিয়ে দিচ্ছে বিদায় বেলার কথা, মামুন ভাই চলে যাচ্ছেন ২৪ তারিখ আর বইয়ের পসরায় সজ্জিত বইওয়ালারা সরে যাচ্ছেন ২৮ শে ফেব্রুয়ারি। এরপর আসছে দীর্ঘ ১১ মাসের অপেক্ষার পালা। সামনের দিনগুলো মেলায় পড়ে থাকার চেষ্টা করব, “যেতে নাহি দেব হায় তবু যেতে দিতে হয়” এমন একটা দুঃখী দুঃখী চিন্তা নিয়ে 🙁

এবারের মেলার স্পেশালিটি ছিল কিন্তু আমাদের এই আড্ডাগুলোই, আলাদা করে এবারের মেলা সবসময়েই মনে থাকবে।

আরো কিছু ছবি-
রায়হান ভাই আর সামিয়া আপু

থিয়েটারের স্টলঃ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরঃ

লেখক আড্ডাঃ

টি এস সির ছবিগুলো প্রবাসীদের জন্য যারা একসময় হয়ত ঠিক সে জায়গাটিতে বসে আড্ডা মারতেন যেখানে আজ আমাদের অবস্থান, ঠিক সেখানে বসে প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করতেন বা হাত ধরে বসে থাকতেন যেখানে আমরা থাকি… বন্ধু, আড্ডা, গানসহ কত স্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য

অবিনাশি হূমায়ুন আজাদ স্যার। এবার মেলায় গিয়ে তাকে অনেক বেশি মিস করেছি, কারণ গতবারের মেলায়ও তাকে এমনি করে চিনিনি যেমনটি আজ চিনি। আগামীর সামনে, লেকচার থিয়েটা্রের সামনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে সবখানে তাকে খুঁজেছি যেখানে একদিন ছিল তার পথচলা…

নিচের ছবির বইগুলা নিয়া কিছুই বলার নাই, বায়ু চড়ে থাকা মনে হয় মূর্খদের চেনার একটা সহজ উপায়…

এইটা একটা ক্লাসিক বই, নাম দেখেই :lotpot:

সবশেষে মুক্তমনার লেখকদের বইয়ের কথা বলে শেষ করতে চাই। শুনলাম অবশ্বাসের দর্শনের ১ম সংস্করন নাকি সেই কবে শেষ! আমার মত যারা এই ব্যাপারটি হজম করতে পারছেননা 😛 তাদেরকে একটা কথা চুপি চুপি বলে রাখি, রোজ হাশরের মাঠে যদি আমাদের সব্বাইকে জিজ্ঞাসা করা হয় “অবিশ্বাসের দর্শন”এর প্রথম সংস্করন কিভাবে শেষ হল এত তাড়াতাড়ি তাহলে আমরা সব্বাই একবাক্যে i didn’t do it, he did বলে মামুন ভাইয়ের দিকে আঙ্গুল তাক করব 😉

অনন্ত্ দা আর সৈকত ভাইয়ের পার্থিবের হদিস পেয়েছি শুদ্ধস্বরে-কিনে ফেলব আগামীদিন। গীতা দির “তখন ও এখন” পেয়েছি হাতে, স্বপন মাঝির কবিতার বইটিও হস্তগত হয়েছে।
এই হল মোটামুটি মেলা নিয়ে কথাবার্তা (এই পোস্ট লেখা শুরু করেছিলাম প্রায় ৭ দিন আগে, পরে আইলসামিতে আর শেষ করা হয়নাই…অনেক কাহিনি ভুলে গেছি বলে ক্ষমা চাইছি)
ভার্চুয়াল আর ফিজিক্যাল সকল ধরনের বইমেলা ভ্রমণ সফল হোক (Y)