ভার্সিটি থেকে বাসায় এসেই মেইল বক্সে ঢুকলাম, স্যারের হ্যান্ড আউট পাঠানোর কথা। কোন ম্যাসেজ পেলাম না। কিছুদিন আগের একটা মেইল চোখে পড়ল, সাবজেক্ট খুব ইন্টারেস্টিং লাগায় পড়তে বসলাম। মেইলের সাবজেক্টঃ মিসিং শারিকা; মাহবুব ভাই পাঠিয়েছেন। ভাবলাম উনার মাথা খারাপ হয়ে গেল নাতো! প্রেমে ট্রেমে পরলেন কিনা, পড়তে পড়তে বুঝলাম যে নাহ! উনার হিসেবে মাথা ঠিকই আছে। আমিই বিষয় বস্তু ভুল দেখেছি, বিষয় বস্তু শারিকা নয়, শারিয়া! মেইল পড়ে মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারলাম না, ইনবক্স ভাল মত ঘেটে তিনটা মেইল পেলাম।

————————————————————

কপি ফরম মাহবুব_ভাই@JIW,com আশাকরি আল্লার দয়ায় ভাল আছো। বেশ কিছুদিন হল জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে এসেছি। যদিও নবীজি বলেছেন চীন দেশে যেতে, কিন্তু ওখানে নাস্তিকের সংখ্যা বেশী। নাস্তিকরা বড়ই খারাপ মানুষ, জানি তুমি বলবা তারা কম্যুনিষ্ট, বাট তুমি নিজেও জানো সকল কম্যুনিষ্ট নাস্তিক। তবে চীন দেশে না যাওয়াতে যে এইখানে আরামে আছি তা কিন্তু নহে, ঈমান আমল নিয়া বড়ই টেনশিত থাকতে হয়। যে কোন সময় পেটের মধ্যে হারাম ঢুকে যেতে পারে। হারাম ঢুকলে ঈমান তার সাথে বসবাস করতে পারে না। আমার ধারনা কিছুটা হারাম ঢুকে গেছে, মাঝে মাঝেই এখানকার বেগানা নারীদিগকে দেখলে মধ্যপ্রাচ্যের মিনার খাড়া হয়া যায়। তাহাকে কিছুতেই দমায় রাখতে পারি না। সুন্নতি লেবাসের মধ্য দিয়া বারবার প্রকাশিত হয়ে পরে। আমাদের প্রিয় নবী শয়তানের আসর হতে মুক্ত ছিলেন, তারপরেও একদা এক নারীকে দেখিয়া তার বাধ ভাঙ্গিয়া যাবার উপক্রম হইলে তিনি তৎক্ষনাৎ গৃহে ফিরিয়া সোহবত সারিলেন। সাহাবী দিগকে কহিলেন যে একজন নারী শয়তানের রুপ ধারণ করিয়া তার দিকে আগাই আসিলে তিনি এই পন্থা অবলম্বন করিয়াছেন। এইখানে আমার কোন স্ত্রী নাই, তাই রাসুলের আদেশও মান্য করতে পারিনা।

যাহোক, যেই জন্যে তোমাকে লিখছি, দেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়া যাচ্ছে, কিছুদিন আগে পত্রিকায় আমার গ্রামের একটা খবর পড়লাম, “মধ্যযুগীয় বর্বরতায় কিশোরীর মৃত্যু: ভেতরের খবরে তারা লিখেছে ব্যভিচারের দায়ে চৌদ্দ বছর বয়সী এক কিশোরীর বেত্রাঘাতে মৃত্যু ঘটেছে। পত্রিকা ওয়ালার কতবড় সাহস যে আল্লার আইনকে বর্বর বলে আখ্যায়িত করেছে! আরো লিখেছে রহিমা নামক মেয়েটি অনেকদিন ধরেই পাশের গ্রামের মোস্তফার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের লোকেরা বিষয়টি টের পেয়ে উভয়কে হাতে নাতে ধরে ফেলে, সালিশে বিচার নির্ধারিত হয় যে, যেহেতু ঘটনাটি মোস্তফার গ্রামে ঘটেছে, তাই রহিমাই মোস্তফাকে ফুসলিয়েছে। মোস্তফা গ্রামের মাতব্বরের শ্যালক, আমি তাকে চিনি, কয়েকবার সে আমার সাথে জমাতে গিয়েছিল। তাকে না ফুসলালে এরকম ঘটনা ঘটতো না। এ জন্যেই নবী বলেছেন যে বেগানা নারী শয়তানের রুপ ধারণ করে, তাই নারীকে বোরখা পরতে বলা হয়েছে যাতে নারীকে দেখে পুরুষের বাধ ভেঙ্গে না যায়। দয়াল নবী পুরুষদের সমস্যা নিয়ে বড়ই দয়ালু ছিলেন বলেই এমন বিধান দিয়ে গিয়েছেন। আসলে তিনি নিজেইতো এর ভুক্তভোগী ছিলেন, আর মোস্তফা ভাই সামান্য মানুষ মাত্র। তার উপর শয়তানের আসর অবসম্ভবী।

ঘটনাটি জানার পর গ্রামের বাড়ীতে যোগাযোগ করি, ছোটভাই মারফত জানতে পারলাম মেয়ের বাবাকে মাতবর সাব তার সাথে বিয়ের পয়গাম পাঠায়ছিল, কিন্তু মেয়ের বাবা বুড়া ভাম বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। মাতবর সাবের বয়সই বা কত! বড়জোড় পয়তাল্লিশ হবে। আর মেয়েওতো মাশাল্লা বালেগাই ছিল। এরকম বিয়ের উদাহরণ কি ধর্মে নাই? এমনিতেই হিন্দি সিনেমা নাটক দেখে আজকাল মেয়ে মানুষরা প্রি-ম্যাচিউর সেক্স রোগে ভুগতেসে, এই কারণে তাদেরকে যথাসম্ভব দ্রুত বিয়ে দেয়া উচিত। বিয়ের পয়গাম কিছুতেই ফিরায়া দেয়া উচিত হয় নাই। এখন মেয়ে দোষ করেছে আর তারা মাতবর সাহেবের শ্যলকের উপর ধর্ষণের কেস করেছে, তাদের দাবী মেয়ে নাকি ঐ গ্রামের ম্যাডামের কাছে পড়তে যেত, কতবড় চালবাজ! সালিশের সময়ও আল্লার বিধান তারা ভংগ করেছে, তিরিশটা দোররা মারার পর চেতনা দেখতে না পেয়ে বাকী সত্তুরটা বারি দিতে না দিয়ে তারা মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অথচ কুরানে বলা আছে মারার সময় কোন দয়া দাক্ষিন্ন মনে যতে না জাগে। এদের কারণেই তো সমাজে পরকিয়া সহ নানান রকমের অনাচারের সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে এসে এসব অনাচারের বিপক্ষে শক্ত কিছু করতে হবে। বাকী দোররা গুলোও পাপিষ্ঠের কবরের উপর মেরে আসতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে বেশ বিচলিত ছিলাম। তোমাকে লিখে হালকা বোধ করছি।
————————————————————

এসব লিখে তিনি হালকা হলেও তা পড়ে অনেক ভারি বোধ করলাম। ভাবছি পরের মেইলগুলো পড়ে দেখব কিনা, ভাবতে ভাবতে মেইল লোডিং হয়ে গেল।

————————————————————

কপি ফরম মাহবুব_ভাই@WJI,com তোমাকে তিনদিন আগে লিখেছি, কোন জবাব পেলাম না। এদিকে মহান আল্লাহ পাক আমার উপর তার অসীম রহমত নাজিল করেছেন। কাফের মুশরিকদের দেশে এসে ব্যপক সমস্যায় পড়েছিলাম। তখনই আল্লা পাক বিশ্ব জামাতি ইসলামীর এক নেতার সাথে আমার মোলাকাত ঘটায় দিলেন। তিনি এক মসজিদের ঈমাম। আমাকে কয়েকদিন লক্ষ্য করেই তিনি আমার সমস্যা বুঝে গেলেন। আমাকে বললেন বিবাহ করতে ইচ্ছুক কিনা। আমি চুপ থাকায় তিনি বললেন ইয়া ব্রাদার! পুরুষ মানুষ চুপ থাকেনা, আসসুকুতু নিসফুর রিদা অর্থাৎ মৌনতা সম্মতির লক্ষণ ইহা শুধু নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমি তাকে টাকা পয়সার সমস্যা বলতেই তিনি বললেন এসব কোন ব্যাপরি না! মেয়ের বাবাই সব ব্যবস্থা করে দেবেন, তিনি সৎকর্মশীল পাত্র খুজছেন, আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি শুধু সৎকর্মশীলই নন, জ্ঞানী মানুষ বটে! এবার তার কানে কানে আরেকটি সমস্যা বললাম। তিনি আমাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে মেয়ের বাবার সাথে ফোনে আলাপ করলেন। আমাকে বললেন মেয়ের বাবা আপনার সততায় মুগ্ধ, তিনি এতেও রাজী, আমি আলহামদুলিল্লাহ পড়লাম। ইমাম সাহেব আমাকে ছোট্ট একটা সমস্যার কথা জানালেন, তিনি বললেন মেয়ের ১৬ বছর পূর্ণ হয়নি, তাই বিয়েটা গোপনে হবে, যেহেতু মেয়ের বাবা রাজী আছেন, তাই ধর্মমতে কোন সমস্যা নাই সেটা আপনিও জানেন, যা সমস্যা এখানকার সেক্যুলার ইহুদী নাসারাদের আইন। আমরা জানি আল্লার আইনের উপর কোন আইন নাই তাই না? তবে এক বছর পেট বানানো থেকে একটু দুরেই থাকবেন। আর বাকী সমস্যা আপনার আর আমার ক্ষেত্রে একই। মেয়েকে নিয়া কোন সমস্যা নাই, মেয়ে ধর্মপ্রাণ, পর্দানশীল, শুদ্ধভাবে কুরান পড়তে পারে, আবার বাংলাতেই কথা বলে। আল্লার অনুমতি থাকলে আগামি শুক্রবার বাদ জুমা আমরা পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ হব। আমাদের জন্যে দোয়া করবা।

————————————————————

মেইল পড়ে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম! ঠিক পড়ছি কিনা নাকি অন্য কারো মেইল পড়ছি তা আরেকবার দেখলাম। নাহ! একই মেইল আইডি থেকে আসা তিনটা মেইল, ভাবতে ভাবতে শেষ মেইলটা আবার ওপেন করলাম।

————————————————————

Form: [email protected]
Subject: মিসিং শারিয়া 

বন্ধু! তুমি আমাকে ভুলে গেলা নাকি? ছয়মাসেও আমার মেইলের জবাব দাও নাই, এদিকে আমি খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। বিবাহের পর তোমার দ্বিতীয় ভাবির সাথে আনন্দেই ছিলাম। চারদিক যেন রহমতে রহমতে পূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তাকে নিয়ে ঘুরেছি ফিরেছি, খেলেছি। খেলেছি মানে আশাকরি বুঝতে পারছো। এর মধ্যে দেশে যাবার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিল। আমার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারটি দেশে কাউকে জানাইনি। তোমার দ্বিতীয় ভাবীও বিষয়টি জানতো না, শুধু তার বাবা আর ইমাম সাহেব জানতেন। যেহেতু ইসলামে এ নিয়ে কোন সমস্যা নাই, তাই কারো কোন সমস্যা থাকার কথা না। কিন্তু দেশে আসার পর একদিন ফোনে তোমার প্রথম ভাবীর সাথে আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর কথা হয়ে যায়। ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে প্রায় মারতে বসেছিল, আরেকটু হলেই আমি শহীদ হয়ে যেতাম! কোন রকমে বেচেছি। এরপর সে বাপের বাড়ীতে চলে যায়, তারে নিয়া আমার আগেই সন্দেহ ছিল, একা বাড়িতে থাকে, বাড়িতে আমার জোয়ান ছোট ভাই আছে, ধর্মে তার সাথে সম্পর্ক অতীব নিষিদ্ধ, অথচ সে ভাইকে আদর যত্ন করত বলে খবর পেতাম। কিছুদিন পর সে তালাক চেয়ে আমাকে চিঠি পাঠায়। সে কোনভাবেই রাজী না যে আমার সাথে আর ঘর করবে। আমি তাকে তালাক দেয়নি, যদি সে তার ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে আমি তাকে গ্রহন করতে রাজি, তাকে সমান সমান অধিকার দিব, যেই রাতে আমি তার কাছে থাকবো না, সে-রাতে তিনি জিকির আযকার আর তাহাজ্জুদে ব্যস্ত থাকতে পারবেন। সপ্তাহে ছয়দিন পালা করে উভয়কে সময় দিব, সপ্তম দিন আমার ইবাদতের দিন থাকবে, সেদিন উভয়ের থেকে দূরে থাকব, আমাকে ছেড়ে গেলে দেন-মোহরের টাকা ফেরত দেয়া তাদের জন্যে কঠিন হবে, এসব জানিয়ে তাকে চিঠি দিলাম। এর কয়েকদিন পর তারা কেস করে, থানা পুলিশ দৌড়ে আমার জান যায় যায় অবস্থা। কোন রকমে গ্রাম থেকে পালিয়ে এসেছি। তোমাদের আইনে অনুমতি ছাড়া বিয়ে করায় তালাক চাওয়া বৈধ আছে, কিন্তু শরিয়া আইনে এইটা কোন গ্রাউন্ড-ই না। এই ব্যাপারটা কেউ বুঝল না। এদিকে আমার ইংল্যান্ডে যাবারো উপায় নাই। মেয়েটা আমার প্রথম বিয়ের কথা জানতো না, বাবাই তার কাছে গোপন করে রেখেছিল। সে জানার পর চাচাদের সহায়তায় আইনের আশ্রয় নিয়েছে। বড়ই মুসিবতের মধ্যে আছি, যদিও বল হারাই নাই, আল্লার উপর ভরসা নিয়া চলছি, আহারে আমার স্বপ্নের ঘর আর গড়া হইল না। আমার উপর তারা যে জুলুম করল এর বিচার আল্লাহ করবেন।

তোমারে অনেক খুজতেসি, বাড়ী পাল্টাইসো মনে হয়। ফোন নাম্বারটাও নাই। আমি শরিয়ারে বড়ই মিস করতেসি। আই এম মিসিং দ্যা ল’স অব শরিয়া ;-(

————————————————————

মেইল পড়া শেষ করে একটা মিশ্র অনুভুতি নিয়ে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। মনে মনে ভাবলাম আপনার মতন নোংরা মানুষদের সাথে আর যোগাযোগ রাখতে চাই না। শরিয়া বা ইসলাম তোমাকে শাস্তি না দিতে পারলেও মানুষের অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে যে অপরাধ তুমি করেছো তার শাস্তি তুমি অবশ্যই পাবা। তোমার কাছে বালিকা মানেই সেক্স মেশিন। আর মেশিনের মালিকানা তোমরা খরিদ করে নাও মহরানার নামে। মর্মান্তিক হলেও সত্য যে তোমাদের মত মানুষেরা আজ ব্লগ সহ বিভিন্ন জায়গায় বিরচরণ করছে, যারা শরিয়ার আইন গেল বলে যারপরাণাই চিন্তিত। তাদের অনেকেই কিশোরীটিকে প্রি-ম্যাচিউর সেক্স রোগে আক্রান্ত বলে আখ্যায়িত করেছে! কেউ আবার নিয়ে এসেছে পরকীয়া কে, সমাজের দুর্বলতা কে। এরা মেয়েদেরকে প্যাকেটাইজ করে পুরুষের চোখে নারীর শয়তান রুপের আগ্রাসান থেকে রক্ষা করতে চায়, কিন্তু পুরুষদের এই ধরনের বৈধ পরকীয়ায় এদের কোন বিকার ঘটে না। এদের এ অনুভুতিরো উদ্রেক হয় না যে নারীরাও এতে কষ্ট পায়, কারণ এটিকে তারা অপরাধই গণ্য কর না। এ ধরনের আচরণ তাদের কাছে ভীষণ ভাবে নৈতিক। নারীকেই বরং মেনে নিতে বলা হয়, তাকে দেখানো হয় জাহান্নামের ভয় অথবা জান্নাতের লোভ। চিন্তার বদ্ধ পুকুরে পঁচে যাওয়া মতবাদের দুর্গন্ধ এদের কাছে মেশক আম্বরের মত মনে হয়। বিবেকের কাছে এদের দায়বদ্ধ নেই, আর তাই এরা প্রত্যাশা করে কেতাবের মত মানুষ গড়তে। ধর্মের ঠুলি পরা এসব চোখ এমন বর্বর আইনের কোনই ত্রুটি খুজে পায় না। তার উপর কালজয়ী এক বাণীতো আছেই, “আসল দোষ ইসলামের না!”

ডিসক্লেইমারঃ এই গল্পে সকল চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে শুধু ঘটনাগুলার মিল খুজে পাওয়া যেতে পারে। প্রথম ঘটনা আমাদের গ্রামে বা শহরে, মুল্লা আধুষ্যিত মুসলিম বিশ্বে প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। বাকী দুটি ঘটনা দুজন মুসলিম নারীর। গল্পের প্রয়োজনে কিছুটা পরিবর্তিত করা হয়েছে। মুল ঘটনা এখান থেকে পড়ে নিতে পারেন ঘটনা এক এবং ঘটনা দুই। দ্বিতীয় গল্পটি খুবই খারাপ লেগেছে, তারচেয়েও বেশী খারাপ লেগেছে উত্তর পড়ে।