গল্পে শোনা সেই অন্ধ রাজহাঁস হয়ে যাচ্ছি যখন তখন,
সারাটা সময় ঠোকর খাচ্ছি, এখানে সেখানে সবখানে।
কাশবন পেরিয়ে মস্ত দীঘি; ভাল্লাগে একমাত্র সেখানেই
কেউ একটু নাবিয়ে দিলেই শুধু অনাবিল শান্তি জোটে।
অন্ধদের যেমন হয় আরকি, অনুভূতি আমার বেশ ভাল
দীঘিপথের শুরুটা চিনলেও, যেতে ভয় পাই, ধাক্কা খাই,
আবেশি আলোর আভাতেও অন্ধচোখে সব ঘোলা ঠেকে
ভয় পাই; ঠোকর খাই, শুধু কেউ নাবিয়ে দিলেই শান্তি।
মানুষগুলো শুধু খাই খাই করে, খামোখা বেদম লাথি মারে
শিয়াল কুকুরগুলো বরং ভাল, কামড়াতে চাইলে বোঝা যায়;
মানুষগুলো কিচ্ছু বোঝা যায়না, কী যে চায় বোঝাই যায়না,
আমি ভয় পাই। মস্ত ঐ দীঘিটা; ভাল্লাগে একমাত্র সেখানেই।
দীঘিটায় কী যেন একটা আছে, অনন্ত থেকে; বহুকাল আগের,
ওটা অসীম হয়ে আমার সঙ্গে কথা কয় ফিসফিস; ফিসফিস,
হাঁসচোখ, মন আর রহস্যজট খুলে যায়, ভয়গুলো উড়ে যায়,
কেন যায় আমি জানি। ঐ দীঘিটা; ভাল্লাগে শুধূমাত্র সেখানেই।
এই পর্যন্ত বেশ ভালো লেগেছে। তারপরের প্যারাটাতে মনে হয়েছে আরেকটু সচেতন হয়ে লিখলে ভালো আসত।
শেষের প্যারাটা আবার জোস হইছে।
কোপায়া লিখতে থাকেন। কুনো বিরতি দিয়েন না। :))
@সাইফুল ইসলাম,
কথা ঠিক কইছেন। পাব্লিকের দিমাগ বুঝা দায়। কখন যে কি চায় বুঝা যায়না। জ্ঞানের কথা কইলেই মারতে আহে। হেল্লেগা ঐ প্যারাটা ডরাইছে। যাউজ্ঞা, কোপাইয়া লিখার কথা মনে ভালা পাইছে। মনে রাখমু। ভালা থাইকেন। 😀
@কাজী রহমান, মুক্তমনায় স্বাগতম। স্বাগত জানাতে দেরী করে ফেললাম বলে দুঃখিত, আগেই জানানো উচিত ছিল। এই এক ঝামেলা মুক্তমনায়, কবিতা দেখলেই আমার মত অনেকেই মনে হয় ভয় পেয়ে যান 🙁 । কবিতা তেমন একটা বুঝি না, তবে আপনার দেওয়া ব্যাখ্যাটা যে বুঝেছি তা তে কোন সন্দেহ নেই।
@বন্যা আহমেদ,
আপনি আলাদা করে স্বাগত জানিয়েছেন তাতেই আমি অনেক অনেক খুশী।
বাংলায় লেখা আপনাদের উপহারগুলো পাচ্ছি বলেই খুব দ্রুত শিখতে পারছি। আমার মত মানুষেরা মুক্তমনার কাছে বড়ই কৃতজ্ঞ। ভালো থাকুন। 🙂
আপনার কবিতাটা বেশ লেগেছিল আমার। ব্যাখা দেবার পরে আরো ভাল লাগলো পড়ে।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাদের মন্তব্য পেয়ে এখন ভালো লাগছে। শ্রাবণ আকাশের সবেধন নীলমনি মন্তব্যের আগে পর্যন্ত বেশ অভিমান হচ্ছিল। ধন্যবাদ ফরিদ ভাই
@কাজী রহমান,
অভিমানের কিছু নেই। গদ্য-পদ্য মিলিয়ে লিখতে থাকুন হাত খুলে। সেই সাথে চলুক মন্তব্য এবং আলোচনা অন্যদের লেখায়। মাঝে মাঝে একটু আধটু ঝগড়া-টগড়া হলেও মন্দ হয় না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
ঠিক আছে, তাই হবে।
@কাজী রহমান,
অভিমানের আসলেই কিছু নেই। আপনার লেখা এবং মন্তব্য খুবই আকর্ষনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তমনায় অন্যান্য ব্লগের মত ‘ভাল লেগেছে’, ‘দারুণ’, ‘থাম্পস আপ’ জাতীয় মন্তব্য এমনিতেই কম পড়ে। এখানে দায়সারা গোছের মন্তব্যের চেয়ে যোগ্য সমালোচনা আর সঠিক পর্যালোচনাই বেশি হয়। সেগুলো কম হলেও আমার মতে ভাল। ভাল জিনিস কম থাকাই ভাল, কী বলেন!
ব্যক্তিগতভাবে কবিতাটি যে ভাল লেগেছে তা জানিয়ে গেলাম। আপনার সুন্দর ব্যাখ্যার পর আরো ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
পথ চেনাবার মুক্ত মানুষরা আমার লেখাতে মন্তব্য করছে, আমার অসম্ভব ভালো লাগছে। 🙂
বুঝতে পারছি না। তবে একটু একটু করে শুরু করি- 🙂
সেই কখন থেকে “নাবিয়ে” শব্দটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এই শব্দটার পেছনে বিশেষ কোনো কারন আছে কি?
“মানুষগুলো কিচ্ছু বোঝা যায়না” মানুষ নাকি পুরুষ?
কেউ নামিয়ে না দিলেও চলতে চলতে তো ধুপ করে দীঘিতে একসময় পড়ে যাওয়া যায়, উঠার ব্যাপারটা কিরকম হবে?
@শ্রাবণ আকাশ,
দিঘীটাকে জ্ঞান আহরণ, মুক্তবুদ্ধি চর্চার গ্রন্থাগার বা মুক্ত জ্ঞানচর্চার একটা মিলনয়াতন ধরে নিয়ে লেখা এই কবিতাটা।
অন্ধের মত অনেক ঘুরপথে পাঁক খেয়ে খেয়ে শেষ পর্যন্ত মূলধারার মুক্তচিন্তার সত্যনুসন্ধানিদের জ্ঞানদিঘীতে পৌঁছানোর কথা বলেছি। শুদ্ধ-সত্যি জ্ঞানচর্চার শুরুর পথটা চেনা থাকলেও মুক্তমনাদের সাহায্য ছাড়া ওতে যেয়ে পড়া প্রায় অসম্ভব। তাই দিঘিতে নাবিয়ে বা নামিয়ে দিতে মুক্ত মনের মানুষদের উল্লেখ। আশপাশ আর অভিভাবকদের মাধ্যমে আরোপিত ধর্মভাবনা, সৃষ্টিতত্ত্ব, ভয় ইত্যাদির কারনে শুদ্ধ চিন্তার শুরুটাই তো বেশ কঠিন। সাধারন অর্থে সাধারন মানুষদেরকেই মানুষগুলো বলেছি যারা খাবার, পোশাক, বাসস্থান, কাম, ক্রোধ ইত্যাদির বাইরে খুব একটা ভাবে না।
কবিতাটা যথেষ্ট স্পষ্ট হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। জটিল শব্দ দিয়ে না লিখতে চাওয়াটাও এর কারন হতে পারে। আশা করি কিছুটা বোঝাতে পেরেছি।
মন্তব্য করবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি অনুগ্রহ করে ওটি না করলে ব্যাখ্যা দেবার সুযোগটাই তো পেতাম না। সত্যি ধন্যবাদ।
:-Y
@কাজী রহমান, এবার পুরোটাই দীঘির জলের মত পরিষ্কার! এতক্ষণ শুধু হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ সহজ ভাবে বুঝিয়ে দেবার জন্য। 🙂
(মাথা ঠুকছেন যে; সেতো আমারই করা উচিত!)