অষ্টাদশ শতাব্দীর অজ্ঞেয়বাদের বিপরীতে, ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী সময়কালে ইউরোপীয় দার্শনিকদের চিন্তা-চেতনায় ইহজাগতিকতা ও মানুষের অফুরন্ত সম্ভাবনার সুর বেশ জোর দিয়েই জাগ্রত হয়। উনবিংশ শতাব্দীতে দার্শনিক ফয়েরবাখ, মার্ক্স ও এঙ্গেলস চেতনাকে বস্তু থেকে পৃথক করে দেখার বিভ্রান্তিকে দূর করেন। মার্ক্স (১৮১৮-১৮৮৩) ও এঙ্গেলস (১৮২০-১৮৯৫) বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সাথে দ্বান্দ্বিকতার সমন্বয় করে বস্তুবাদী দর্শনকে পূর্ণতা দান করেন। যে কোন বস্তুগত অবস্থার মধ্যে যে পরিবর্তনের শর্ত বা দ্বন্দ্ব বর্তমান থাকে, তাঁরা এই বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে স্পষ্ট করে তোলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে দর্শনের এই অগ্রগতি বিজ্ঞানের দর্শনের পরিপূর্ণ আবির্ভাবের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখেছে।
যা হোক আমি মার্ক্স সম্পর্কে পুরনো বাণী বারবার শুনিয়ে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। সংক্ষেপে বলা যায় মার্ক্স তার জার্মান দর্শন অনুসারে এমন একটি সমাজ ব্যবস্থার কথা শুনিয়েছিলেন যেখানে সমাজের পুঁজিপতিদের ক্রমাগত শোষণের ফলে শোষিতদের পিঠ যখন দেয়ালে থেকে যাবে তখন বিপ্লবের মাধ্যমে এই শোষিত শ্রেণীই ক্ষমতা দখল করবে এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটবে। (অবশ্য যেটুকু লিখলাম তাতে মার্ক্সবাদের অতি সামান্যই প্রকাশ পায়)।
মার্ক্সের এই দর্শনের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে মার্ক্সবাদ। এই মার্ক্সবাদ ক্রমেই জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। মার্ক্সের দর্শন জার্মানি তথা ইউরোপ ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ে। উপমহাদেশেও এর বিস্তৃতি ছিল এবং আজও আছে। মার্ক্স তথা মার্ক্সবাদের সমালোচনা নিয়ে আমি অবশ্য লিখতে আসি নি। মার্ক্সবাদের সমালোচনা করা এই অধমের কলমে সাজে না। আমি লিখতে এসেছি মার্ক্সবাদের ধারক ও বাহক মার্ক্সবাদীদের নিয়ে। অনেক মার্ক্সবাদী দাবী করে তাদের এই মার্ক্সবাদ একটি বিজ্ঞান। মার্ক্সের দর্শনের প্রতিটি ক্ষেত্র, প্রতিটি পয়েন্ট পুরোপুরি বিজ্ঞা্নসম্মত উপায়ে প্রতিষ্ঠিত। মার্ক্স তার দর্শনের সবকিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাদের এই দাবী কতটুকু বিজ্ঞান সম্মত তা বলাই বাহুল্য।
একসময় আমিও তাদের সমর্থন করতাম। মার্ক্সবাদীদের প্রচারণার কারণে একসময় আমিও নিজেও মনে করতাম যে মার্ক্সবাদ বিজ্ঞানেরই একটি অংশ। মার্ক্সবাদীদের সব কথাই শুনতাম আর সত্য বলেও মেনে নিতাম। পরে অবশ্য আমার ভুল ভাঙ্গে। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সিনিয়র নেতাকে সরাসরি জিজ্ঞাসাও করেছিলাম, ‘মার্ক্সবাদ কি আসলেই বিজ্ঞান?’। উত্তরে তারা ‘হ্যাঁ, অবশ্যই’ বললেও ‘কেন ও কি ভাবে?’ এর কোন সন্তোষজনক উত্তর আর দিতে পারে নি। ধর্মবাদীরা যেমন প্রায়ই দাবী করেন তাদের ধর্মগ্রন্থ বিজ্ঞানসম্মত মার্ক্সবাদীদের এ দাবিটা অনেকটা এমনই শুনায়। বিংশ শতাব্দিতে বিজ্ঞানের কদর যখন দর্শন, কলা, সাহিত্য সব কিছু ছাড়িয়ে গেল তখনই শুরু হল যাকে তাকে ধরে বিজ্ঞান বানানোর আজব খেলা। মার্ক্সবাদীদের বোঝানো মুশকিল যে কোনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ হলেই তা বিজ্ঞান হয়ে ওটে না। যেমন আমরা ইতিহাসকে বিজ্ঞান বলব না। বিজ্ঞানের রয়েছে নিজস্ব প্রক্রিয়া-বিশ্লেষণ পদ্ধতি। আর কার্ল মার্ক্স যেভাবে মানব সমাজ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন ওটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে যাচাই-বাছাই অসম্ভব, তাই কোনো অবস্থাতেই মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলা যায় না। আর বিজ্ঞান নয় বলে তার গুরুত্ব এতটুকুও কমে যায় না। মার্ক্সবাদীদের মত করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা তাদের রাজনৈতিক দর্শনকেও যদি বিজ্ঞান বলতে থাকেন কেমন হবে ভেবে দেখা যেতে পারে।
মার্ক্সবাদ অনুসারে শ্রেণীবৈষম্যবিহীন যে সমাজ ব্যবস্থার কথা বলা হয় সেটা দেখে হিন্দুধর্মের সেই সত্যযুগ কিংবা ইসলামের খিলাফতের শাসন ব্যবস্থার কথাই বারবার মাথায় চলে আসে। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দ্বারা শ্রেণীব্যবস্থার বিলোপ হওয়ার পর উদয় হওয়া সমাজের পরিবর্তনের সেখানেই সমাপ্তি ঘটে যাওয়াটাকে কিভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক দাবি করা যায় এর সদুত্তর তাদের কাছে কখনোই আর পাই নি। মার্ক্সবাদ যদি বিজ্ঞান হত তবে দেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সংখ্যা এত বেশি কেন আর এদের মতের পার্থক্যও এমন আকাশ পাতাল কেন? এদের ‘বিজ্ঞান’কে যদি বিজ্ঞান বলে মেনে নিই তবে একবার কল্পনা করুন, পদার্থবিজ্ঞান তাহলে কেমন বিজ্ঞান হত? বিশ্বের পদার্থবিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যেত, কোন পক্ষের দাবি থাকত ‘নিউটন পদার্থবিজ্ঞানের জনক। তার তত্ত্বে যে সন্দেহ প্রকাশ করবে সে প্রকৃত পদার্থবিজ্ঞানী নয়’। আবার কারো দাবি থাকত, ‘নিউটনের দাবি প্রাগৈতিহাসিক, এটা মোটেও আধুনিককালে বিজ্ঞান বলে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না’। উত্তরাধুনিককালে আবার হকিংবাদী পদার্থবিজ্ঞানীদের আরেক গ্রুপের উদয় হত।
আমাদের আজকের এই দেশি মার্ক্সবাদীদের কার্যকলাপ যে প্রথম শ্রেণীর জোকারকেও হার মানায় তা আমি আমার এই পোস্টসহ পরবর্তী লেখা সমুহে আপনাদের দেখাব। শুরুতে আমি মার্ক্সের একটি অমর উক্তি তুলে ধরছি।
“ধর্ম হল নিপীড়িত জীবের দীর্ঘশ্বাস, হৃদয়হীন জগতের হৃদয়, ঠিক যেমন সেটা হল আত্মাবিহীন পরিবেশের আত্মা। ধর্ম হল জনগণের জন্য আফিম। মানুষের মায়াময় সুখ হিসেবে ধর্মকে লোপ করাটা হল মানুষের প্রকৃত সুখের দাবী করা। বিদ্যমান হালচাল সম্বন্ধে মোহ পরিত্যাগের দাবিটা হল যে – হালচালে মোহ আবশ্যক, সেটাকে পরিত্যাগের দাবি। তাই ধর্মের সমালোচনা হল ধর্ম যার জ্যোতির্মণ্ডল সেই অশ্রু উপত্যকার (এই পার্থিব জীবনের) সমালোচনার সুত্রপাত।“
সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে মার্ক্স এই উক্তিটি করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলতে পেরেছিলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে জনগণের প্রকৃত সুখীজীবন কায়েম না হলে এই সমাজ, ধর্মভীরু মানুষদের কুসংস্কার ও মায়ার জাল (যেমন ইহকাল তো কিছুই নয়, পরকালেই না প্রকৃত সুখ) হতে কখনোই মুক্তি পাবে না। এরপর পৃথিবী এগিয়ে গেছে বহুদুর। বিজ্ঞান ও দর্শনের অসামান্য উন্নতি সাধিত হয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর এই মার্ক্সীয় দর্শনকে মার্ক্সবাদীরাও অনেকদুর টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তারা কতদূর পেরেছেন, সেটা আমাদের আজকের এই মার্ক্সবাদীদের ধ্বজভঙ্গ অবস্থা দেখেই টের পাওয়া যায়। ঊনবিংশ শতাব্দীতে করা মার্ক্সের সেই উক্তিটিকে আজ মার্ক্সবাদীরা কিরকম বিবর্তিত করেছেন শুনুন। মার্ক্স বলেছিলেন ধর্ম জনগণের জন্য আফিম। আর আমাদের মার্ক্সবাদীরা বলেন, “না না, মার্ক্স সরাসরি এমন ধর্মের বিরুদ্ধে কোন কথাই বলেননি। তিনি তো শুধু বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, এই পুঁজিবাদীরা ধর্মকে আফিমের মত করে ব্যবহার করে; তাদের পুঁজিবাদী স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে”। আজ যেখানে অনেকেই মনে করেন ধর্ম সম্পর্কে করা মার্ক্সের এই উক্তি নিতান্তই নিরীহদর্শন। অস্ট্রেলিয়ান সাহিত্যিক ফিলিপ অ্যাডামস এর মতে,
“মার্ক্স ভুল ছিলেন। ধর্ম মানুষের মাদকাসক্তি নয়। মাদক মানুষকে তন্দ্রাচ্ছন্নতা, অসাড়তা আর বোধহীনতা দেয়। কিন্তু প্রায়শই ধর্ম এমন এক ভীতিকর উদ্দীপক এর নাম, যা জাগ্রত করে মানুষের পশুত্ত্ব কে। সবচে ভালো যখন, তখন তা আত্মা কে তুলে আনে আর উঁচু করে কিছু মসজিদ, মন্দির কিংবা চার্চ এর চুড়া। সবচে মন্দ যখন তখন সভ্যতা কে পরিনত করে গোরস্থানে”।
আমার কাছে মনে হয়, ধর্ম আফিমস্বরুপ নয়, ধর্মকে তুলনা করা যায় LSD . (LSD-25 নামেও পরিচিত এই মাদকদ্রব্যটির পুরো নাম হল Lysergic Acid Diethylamide. যা ব্যবহারে মানুষ কখন কি করে আর কোথায় থাকে কোন হুঁশ থাকে না। মানুষ ভাবে একটা আর করে আরেকটা। এমনও দেখা গেছে যে LSD এর প্রভাবে সিঁড়ি মনে করে এক ব্যক্তি সাত তলার ছাদের কার্নিশ থেকে পা বাড়িয়ে দিয়েছেন) এর সাথে। আর সেখানে এই মার্ক্সবাদীদের চিন্তার অগ্রগতি দেখুন।
এই দলটি তাদের এক সমাবেশের প্রচারপত্রে শিরোনাম দিয়েছিল এরকম,
“পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে একত্রিত হন”
জানেনই তো, দেশের ধর্মভীরু সমাজের একটা বড় অংশেরই এলার্জি আছে ওই মৌলবাদ শব্দটির প্রতি। তাদের মাথায় সর্বদাই চিন্তা থাকে যে, মৌলবাদ মানেই এখানে ধর্মবিদ্বেষি কোন আইটেম থাকবে। যা হোক উনারা এই লিফলেটের শিরোনাম দেখলেই প্রশ্ন করে উঠতেন, ‘রাখেন আপনাদের আন্দোলন, আগে কন এই মৌলবাদ বলতে আপনারা কি বুঝাইতেছেন?’। মৌলবাদের মূল সংজ্ঞা উনারা দিয়ে দিতে পারতেন। কোন ব্যবস্থার মৌলিক বিধি-বিধানকে সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর অবিকলভাবে প্রয়োগ করতে চাওয়ার মানসিকতাই হল মৌলবাদ। কিন্তু না, এর জন্য উনারা প্রচার স্থগিত করে এক জরুরি মিটিংএর আয়োজন করেন। মৌলবাদের সংজ্ঞা কি দেয়া উচিত তার উপর। সুদীর্ঘ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হল প্রশ্নকর্তাদের মৌলবাদ বলতে বোঝানো হবে, যারা ধর্মের অপব্যবহার করে তারা হল মৌলবাদী আর ওদের কাজকারবার হল মৌলবাদ। এই সমাজতন্ত্রীরা নিজেরাও জানেন যে মার্ক্সবাদীরাও মৌলবাদী হতে পারে। মৌলবাদ কাকে বলে, এ নিয়ে যথেষ্ট জানাশোনা থাকলেও এই নেতারা সাধারণ জনতার কাছে চেপে যান, পাছে তাদের পার্টির উপর যদি ধর্মবিরোধী ট্যাগ লেগে যায়।
এরাই হল আমাদের আজকের মার্ক্সবাদী। যারা নিজেদের বাম রাজনীতির আদর্শের একমাত্র ধারক দাবি করেন। এই দাবি অবশ্য অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দলগুলোও করে থাকে। (যেমনটা এদেশের প্রতিটি ইসলামী দল নিজেদের প্রকৃত ইসলামের ঝাণ্ডাধারী দাবি করে, আর বাকিদলগুলোর গায়ে ইহুদি-নাসারা, নাস্তিক-কমিউনিস্টদের এজেন্টের তকমা লাগিয়ে দেয়)।
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যখন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তখন তার তহবিল গঠন করা হয় সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্য সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে। সবার মধ্যেই বিশ্বাস থাকে স্রষ্টার দরবারে যে দান করা হয় সেই দান কয়েকগুন হয়ে আবার আখেরাতে ফিরে নিজের হাতে ফিরে আসে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও জোর গলায় প্রচার চালায়, যে যত বেশি দান করতে পেরেছে সে তত বেশি ধার্মিক এবং স্রষ্টার নিকট প্রিয় পাত্র বলে গণ্য হয়। একই সংস্কৃতি এই সমাজতন্ত্রীদের মধ্যেও দেখা যায়। যেকোন সভা-সমাবেশের ফান্ডে যে নেতা বা কর্মী যতবেশি ‘কন্ট্রিবিউশন’ করতে পারে, দলের প্রতি তার আনুগত্য তত বেশি বলে বিবেচিত হয়। তার নাম বেশ জোরের সাথেই ঘোষণা করা হয়, সবাই করতালির মাধ্যমে সেই একনিষ্ঠ বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। দলের উঁচু পর্যায়ের পদোন্নতি লাভের সম্ভাবনাও অনেক বেশি বেড়ে যায়। আর আমরা যারা কোনমতে দিন পার করে দিই, যৎসামান্য পকেটমানি থেকেও কিছু পরিমান অর্থ বাঁচিয়ে ওই ফান্ডে দান করি তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ‘তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত’।
আসলেই। সত্যিই এখন মনে হয় আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত, কি মনে করে যে ওই দলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত যে ওদের ফান্ডে অকারণে অর্থ ঢেলেছিলাম, লজ্জা হওয়া উচিত এই মনে করে যে, রাজপথে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও শ্লোগান দিয়েছিলাম, ‘. . . . জিন্দাবাদ’। যেখানে তাদের বার বার বুঝিয়েছি ‘জিন্দাবাদ’ কতটা বিতর্কিত একটি শব্দ, আমাদের এখানে অন্য কোন শ্লোগান ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যদিও কোন জনসভায় শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে ‘জিন্দাবাদ পার্টি’ বলে।
এই হল আমাদের আজকের সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ঝান্ডাধারীদের মস্তিস্কের অবস্থা। মার্ক্সের আদর্শকে নাকি ইনারাই বহন করে চলেছেন। আর ইনারাই কিনা আজও দিবাস্বপ্ন দেখেন দেশের সকল শোষিতদের ঐক্যবদ্ধ করে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটানোর। আর সেটাও কিনা আগামী দশকেই।
তথ্যসূত্রঃ
ডা. মনিরুল ইসলামঃ বিজ্ঞানের মৌলবাদী ব্যবহার
আকাশ মালিকঃ যে সত্য বলা হয়নি
কার্ল মার্ক্স ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসঃ ধর্ম প্রসঙ্গে
Karl Marx: Contribution to the Critique of Hegel’s Philosophy of Right
দাদা,
সময় সল্পতা ও বিশেষত তথ্যসূত্রের অপ্রতুলতার দরুন খুব একটা জোতসই প্রতিবাদ হয়ত করেতে পারলামনা,কিন্তু আপনার সুন্দর লেখনীর ও পরবর্তীতে প্রাপ্ত মন্তব্যগুলোর ধৈর্যের সাথে যুক্তি খন্ডনের ধারাবাহিকতার জন্য অবশ্যই আপনি প্রশংসার দাবিদার।তবে একটা ব্যাপারে আমি স্পষ্ট অবস্থান সবসমই নেই আর তা হল যুক্তিবাদী পরিবর্তনের।বার্ট্রান্ড রাসেলের একটা কথা আছে এরকম-“আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে মরতে চাইনা”।।কারন তিনি পরিবর্তনে বিশ্বাস করতেন।আর তাই মনে রাখতে হবে সারা জীবনের বিশ্বাস যে আগামিতে কোন নতুন মোড় নেবেনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।আর তাই সমাজতন্ত্রের তথা বাম রাজনীতির একজন অনুগামী হিসেবে এততুকু শিখেছি যে সমাজতন্ত্র বা গণতন্ত্র সেটা যাই হোকনা কেন অনড় বা ওপরিবর্তনীয় কিছু নয়,বরং সর্বদাই সেটা সময়,সভ্যতা,চাহিদা,বিজ্ঞান ও সর্বোপরি জণগণ দ্বারা পরিবর্তনীয় ও নিয়ন্ত্রিত।আর তাই সমাজ ব্যবস্থাটা যাই হোকনা কেন তার সময়োপযোগী সংস্করন সেই সমাজকেই তৈরী করে নিতে হবে।আর তাই সমাজতন্ত্র যদি কোন সমাজ ব্যবস্থায় বিফল হয় তার দায়ভার সমাজতন্ত্র কিংবা মার্ক্স এর নয়,বরংচ কতিপয় জ্ঞানপাপীদের।বাম রাজনীতির সমালোচনায় অনেকেই প্রসঙ্গ তোলেন বরতমান চীন,ঊত্তর কোরিয়া কিংবা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের।একজন কমিউনিস্ট মতাদর্শী হিসেবে এইসব রাষ্ট্রের ব্যর্থতা আমাকেও ব্যথিত করে,আর তার মানে এই নয়যে তা সমালোচনার দাবি রাখেনা।কমিউনিসমের স্বার্থেই এসবের আরও আলোচনার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।কোন একটি নির্দিষ্ট আদর্শে আমি পথ চলি বলে,আমার বিশ্বাস কখনও তথাকথিত ধর্ম গ্রন্থের মত অনড়-অপরিবর্তনীয় হতে পারেনা।রাজনীতি একটি প্রগতিশীল বিষয়,এখানে সমাজতন্ত্র আর গনতন্ত্র যাই বলেননা কেন সময়ের দাবির কাছে অনড় কিছুর অস্তিত্ব থাকতে পারেনা।আর তাই রাশিয়াতে সফল হয়নি বলে আর কোথাও হবেনা,কিংবা চীনা তত্ব আমাদের সমাজে খাপ খাবে এমনটা কিন্তু নয়।একেক সমাজ ব্যবস্থায় যেকোন তন্ত্রের প্রেক্ষাপট একেক রকম হতে পারে।খোদ সাংবিধানিক গণতন্ত্রের গঠন কাঠামো একেক ভূগোলে একেক রকম;নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মত গণতান্ত্রিক অধিকার প্রাপ্যতার ফারাকও বহুমাত্রিক।কমিউনিস্ট শাসিত(এই শাসিত শব্দেরই পরিবর্তন প্রয়োজন আধুনিক সমাজ জীবনে) চীনে যেখানে ৩ মিলিয়নেরও বেশী মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছে,সেখানে গণতান্ত্রিক ধ্বজাধারী আত্মস্বীকৃত গণতন্ত্রধারীরা চালিয়ে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনের নামে সাম্রাজ্যবাদ,বিক্রিত হচ্ছেন গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের তথাকথিত বোয়ালরা;যেমনটি হয়েছেনঃসাম্প্রতিক কালে অং সান সুচি,হামিদ কারজাই কত জনই।অথচ সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা লেখায় পরেছিলাম যে আফগানরা সেই জাতি যারা কখনও কোন জাতি দ্বারা শাসিত হওয়ার ইতিহাস ছিলনা,।কিন্ত ৯/১১ গণতান্ত্রিক মানবাতার নামে ইতিহাস পুনঃমুদ্রিত হতে বাধ্য হল!ঊনিশ শতকের মাঝমাঝিটাতো আরো নির্মম।বিশ্ব মানবতা বিশ্বমানবতার নামে আরও একটি বিশ্বযোদ্ধ দেখল।অখন্ড অনন্য বহুজাতিকতার প্রতিভু ভারত যে প্রেক্ষাপটে ৪৭ দেখল তার ভার বোধ করি বাঙ্গালিদের সবচেয়ে বেশী বইতে হল,আর যার দায় সোধ করতে হল ৭১ দিয়ে।এরপরও নানা চড়াই উতরাই আর কিছু অমোছনীয় কলঙ্কের ২ দশকের বিনিময়ে মিলল গনণতন্ত্র।আবার সেটাও কি সফলভাবে স্বরূপে।এখনও তবু প্রশ্ন রয়ে যায়।উল্লেখ্য কালের সেই গণপ্রজাতান্ত্রিক পাকিস্তান আজও লরছে,যেখানে আজও কোন গণতান্ত্রিক সরকার কিনা তাদের পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করতে অসমর্থ(রাজা পারভেজ আশরাফেরেরটাও খাবি খাচ্ছে সাম্প্রতিক জলপাই পোষাকের প্রচ্ছন্ন ছায়াতলে উত্থিত তাইর-উল-কাদরির হুংকারে)।তবে কি গণতন্ত্রধারী এসব রাষ্ট্রের বিফলাতার দায়ভারগণ গণতন্ত্রের?আমি তা মোটেই মনে করিনা।যেমনটি ইতিহাসের চরম পতন থেকে আজ অবধি বাম রাজনীতির বিশ্বজনীন বর্তমান পরিস্থিতির দায়ভার যেমন সমাজতন্ত্রের বা কমিউনিসমের নয় তেমনি বর্তমান বিশ্বের বহুল চর্চিত সমাজ ধারা গণতন্ত্রের পদে পদে হোচট খাওয়ার দায়ভারও গনতন্ত্রের নয়,বরং সেইসব বুর্জোয়াদের যারা সময়ে সময়ে পাল্টেছে মুখোশ,দিয়েছে বিশ্বায়নের নামে নতুন লেবাসে মোড়া আধুনিকতার নামের চকচকি রাংতায় মোড়ানো ধারনা,আমরা শুধু দেখেছি যা ওরা দেখিয়েছে।
আর তাই আমরা কিছু এখনও কমিউনিসমেও এক শোষনহীণ সমাজের স্বপ্ন দেখি।
কারন ব্যপারটা যেহেতু হয়ে আছে কেবল শাসক আর শোষিতের……
শ্রীহট্ট থেকে
একলব্য
বিঃদ্রঃযেকোন ত্রুটির জন্য অনুকম্পা প্রত্যাশী।যেহেতু এ পথে নতুন তাই e-mail যোগে সকলের সাহচর্য্য কাম্য।
এডমিন@ :-/ এই পোষ্টে আমি দুইটি মন্তব্য করেছিলাম। এখন খুজে পাচ্ছি না।
যদি সরিয়ে ফেলাহয়েছে কি? কিন্তু কেন?
@আসরাফ,
দুখিঃত।
রিলোড করার পর এখন দেখি দেখাচ্ছে।
সমস্যাটা কোথায়?
@আসরাফ,
সমস্যা হল আপনি সম্ভবত IE ব্যবহার করছেন। IE তে কমেন্ট করলে অনেক সময় রিফ্রেশ করার আগে দেখায়না।
মার্ক্সের সমালোচনা দূরের বিষয়, মার্ক্সবাদী দলের কোন সদস্য যদি তার পার্টির কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তখনই তার গায়ে ‘বুর্জোয়া’,পুঁজিবাদের দালাল’ ট্যাগ লেগে যায়।
অপরদিকে এই মার্ক্সবাদী দলের নেতারাই আবার প্রাইভেট কারে চড়ে বেড়ান, ফ্ল্যাট বাড়িতে বসবাস করেন, দলের ফান্ড থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন, নারীঘটিত কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়েন।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্ক্সবাদী নেতাদের কাছে শুনলাম, মার্ক্সবাদীরা নাকি আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিপ্লব করে এদেশে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন।ভাল কথা। তবে সমস্যা হল এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ধারণ করতে গিয়েই তারা ৩০টির মতো দলে বিভক্ত হয়ে গেছেন। আগামী বিশ বছরে আশা করা যায় এই সংখ্যা শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রীসংখ্যাকেও(১৬০০০) অতিক্রম করে যাবে।
@সিদ্ধার্থ,
বাংলাদেশের এক বামপন্থী দলের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃস্থানীয় দুইজন সহযাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিছুদিন আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে। এই বহিষ্কার আদেশ নিয়ে দলের ভিতর জল ঘোলা করা অব্যহত রয়েছে এখনো। পক্ষে-বিপক্ষে পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিছু কাগজপত্র আমাদের হাতে এসেছে। বহিষ্কৃত দুইজন দলের হাইকমান্ডের কয়েকজনের বেলাল্লাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দলীয় মিটিংয়ে বারেবারে জানিয়েও প্রতিকার পাননি। বরং ফলাফল হয়েছে দল থেকে বহিষ্কার।
ষাটের দশকের বামপন্থী রাজনীতি নাকি আদর্শবাদী ছিল। আমি দেখি নাই সেই রাজনীতি। কিন্তু সেই সময়েরই বড় বড় নেতারা যেভাবে পরবর্তীতে পাল্টি মেরেছেন দল থেকে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় ভিতরের আদর্শটা গভীর ছিল না মোটেও। ডিপার্টমেন্টের এক স্যার আমাদের প্রায়ই বলতেন, ‘চরিত্র হচ্ছে সুযোগের অভাব।’ স্যারের বক্তব্যের সত্যতা এখন অহরহই দেখতে পাই।
@অনন্তদা,
এই পোষ্ট নিয়ে এরই মধ্যে আমাদের পরিচিত কতিপয় বিশিষ্ট মার্ক্সিস্ট বৈজ্ঞানিকদের লম্ফজম্ফ শুরু হয়ে গেছে।উনারা আমাদের বিরুদ্ধে তাদের নিজেদের প্যাটেন্টকৃত ‘প্রগতিশীল’ শব্দটি অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন এবং নিজেদেরকে ‘প্রগতিশীল’ নামক তালগাছটির একমাত্র স্বত্ত্বাধিকারী বলে দাবী করছেন।
এই ডকুমেন্টগুলোর বক্তব্য ঐ দলের তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের ঘিলুতে আদৌ ঢুকবে কিনা সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।হতে পারে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আদৌ তারা অবহিত নন কিংবা তাদেরকে জানার সুযোগ দেয়া হয়নি।দলের নেতাদের ইশারায় সারাক্ষণ বাঁদর নাচ নাচতে গিয়েই তাদের সারা বেলা পগারপাড়।
@সিদ্ধার্থ,
তাই তো দেখলাম। তোকে ধন্যবাদ যে ওই লম্ফ ঝম্প দেখার সুযোগ করে দেয়ায়। অনেক দিন পর মনের আনন্দে বাঁদর নাচ উপভোগ করলাম।
মুক্তমনায় ইদানিং আকর্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এটা খুবই আশার কথা। মার্কসবাদ নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। বিপ্লব উপরে তার লেখার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক দিয়েছে।
মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান কিনা – ব্যাপারটা আমাকেও অনেকদিন ভাবিয়েছিলো। আমি বহুদিন ধরেই চিন্তা করছিলাম এ নিয়ে। শেষপর্যন্ত একটা লেখাও লিখেছিলাম এই শিরোনামে –
মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান?
এ লেখাটা লিখেই আমি বামপন্থিদের বিরাগভাজন হয়ে পড়ি। 🙂 আমাকে পশ্চিমা পুঁজিবাদের দালাল থেকে শুরু করে মৌলবাদী সহ এমন কিছু নেই যে ভাষায় গালাগালি করা হয়নি। কিছু উত্তর আমি দিয়েছিলাম এখানে –
‘মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান?’ প্রবন্ধের সমালোচনার উত্তরে
আর কিছু আনুষঙ্গিক ব্যাখ্যা দিয়েছিলাম এখানে।
অবশ্য তাতে যে খুব একটা লাভ হয়েছে তা নয়, গালাগালির মাত্রাই বেড়েছে কেবল। এর পর থেকে এগুলো নিয়ে আলোচনা আমি সস্নেহে এড়িয়ে চলি।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎদা,
আমাকে গালি দেয়া অবশ্য এত সোজা নয়। এদের হাঁড়ির খবর আমার জানা আছে। এখনো অনেক কিছুই লিখি নি।
এটার কি কোন রেফারেন্স দেয়া যাবে?
[email protected]
আমি আপনাকে একটা মেইল করতে চাই।
@আসরাফ,
আমার মেইল ঠিকানা
[email protected]
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ। এই লেখাটা লেখের জন্য। আপ্নের লেখার সমালোচনা করার সাহস আমার নাই। কারন আপনি মুক্ত মনার আকজন লেখক। আর আমি জানি মুক্ত মনার লেখক রা খুব ভাল লেখে। আর আমি লেখা লেখি খুব করি। মারক্স বাদ সম্পরকে কম জানি। তার পরে ও কিছু কথা বললাম। জানি না আমার কমেন্ট মুক্ত মনা প্রকাশ করবে কি না? কারন আমার আগের কিছু কমেন্ট মুক্ত মনা প্রকাশ করে নি।
আমি ধরে নিলাম, মারক্স বাদ কোন বিজ্ঞান না। কিন্তু এক্তা দর্শন তো। আর রাষ্ট বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞন কে কতোটা মিলান জায়। এর সাতে আপনি পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ান বিজ্ঞান কে মিলাতে চাইলে আপ্নের ধরনা এমন হবে সাভাবিক। আপনি যদি পাটির নেতা দের জন্য মারক্স সম্পকে খারাপ ধরনা হয় তা হলে আপনি কি জানেন এটা এক্তা সাধারন প্রশ্ন।এটা তো আপ্নার ব্যারথতা।
কিন্তু আমি তো পড়লাম পুরটাই মার্ক্সবাদের সমালোচনা।
আর অবষেশ আক্তা প্রশ্ন……আপ্নি যেহেতু মার্ক্সবাদের কে সাপোর্ট করেন না নিশ্চয় পুজি বাদি কে সাপোর্ট করেন। আর তা হলে আগের দাশ প্রথাই থাকা মনে হয় ভালো ছিল।
@বিজন,
এই ভন্ডামি আর কত দিন করবেন? কেউ গরু খেতে না চাইলে অবশ্যই শুয়ুর খায় এটা কি আপনার কাছে যুক্তিক মনে হয়।
বামপন্থি দেশগুলোতে মানুষ কি দাশ এর চেয়ে ভাল আছে??? :no:
@আসরাফ, আপ্নারা যদি মনে করেন প্রিথিবিতে আখন কনো বামপন্থি আছে বলে আমি জানি না, আপনি নিসসই জাদের নাম বলবেন বামপন্থি এর নামে ভন্দামি করে থাকে। এটা যদি আপ্নারা না বজেন তা হলে তো আর কিছু বোলার নাই।
@বিজন, আর আপ্নের জাখানে অপশন আছে ২ টা আপনি কোনটা খাবেন বলেন।
@বিজন,
@বিজন,
কেন সাহস থাকবে না? আমি কোন পয়গম্বর নই যে আমার সমালোচনা করলে ব্লাসফেমি আইনে আপনার মৃত্যুদণ্ড হবে।
আব্রাহাম লিংকন কি কমিউনিস্ট ছিলেন?
@অভীক, আপ্নারা কমিনিজম এর এত দোস বললেন। আমাদের আধুনিক রাজনিতিতে তের ছেয়া কম কিছু করছে। আর এক্তা কথা রবি ঠাকুর যখন রাশিয়া সফর করে তার পর তিনি রাশিয়ার চিঠী তে লিখিলেন “আমি যদি রাশিয়া ভ্রমন না করতাম তা হলে আমার জীবনে তীর্থ স্থান ভ্রমন বাকি থেকে জেত”।
আর সুকান্ত তার লেখায় কয় এক্তা জায়গা রশিয়া কে স্বর্গ বলেছেন।
আর সময় কাল তা আপ্নারা দেখিয়া নিয়েন।
আব্রাহাম লিংকন কি কমিউনিস্ট ছিলেন না। কিন্তু তার গনন্ত্র-এর সঙ্গা তা দাখেন। আর কমিউনিস্ট রা তাকে সিকার ও করেন।
@বিজন,
আপনার লেখার এই হাল কেন? অনেক কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
রবীন্দ্রনাথ মুসোলিনির প্রশংসা করে এসেছিলেন ইতালী গিয়ে, পরে রোমাঁ রোঁলা প্রভৃতির চড়-চাপড় খেয়ে আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। উনার কথা বাদ দিন। আরো সাধারণ ভাবে, তিরিশের দশক পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের বাস্তবতা সম্বন্ধে প্রগতিশীলদের প্রায় mass hallucination একটি বহু আলোচিত, বহু বর্ণিত phenomenon। এই hallucination-এর কারণ, বিকাশ ও সমাপ্তির ওপর বহু লেখালেখি আছে।
ভাল শুরু। পরবর্তী পর্বগুলো পড়বার অপেক্ষায়….
@রৌরব,
আশা করি চালিয়ে যেতে পারব। কমিউনিস্ট বিরোধী সিরিজ লিখছি তো। এবার স্বয়ং আল্লাহও আমার সাথে আছেন মনে হয়।
@অভীক,
:lotpot:
@অভীক,
শুধু আল্লাহ কেন, চাইলে কৃষ্ণ, যিশু, ইয়াহুয়া, পেন্টাগন, হোয়াইট হাউস সবই তোমার সাথে চলে আসবে!!
শুভ সূচনা। চালিয়ে যাও। অপেক্ষায় রইলাম।
@অনন্ত বিজয় দাশ,
দিলেন তো আমার পিঠে পেন্টাগন এজেন্টের ট্যাগ লাগায়া। এখন এটারে নিয়ে ওরা আরও বেশি লাফাবে।
আফিম আর এল এস ডি, এই হলো আপনার সমালোচনা!!! মার্রxএর আমলে এল এস ডি খাইতো না লোকেরা আফিম খাইতো, দুধের সাথে মিশিয়ে। বোঝা যাচ্ছে ধর্মের উগ্রতার জায়গাতেই আপনার আপত্তি! এও বোঝা যাচ্ছে আপনি মার্রxএর মূল প্যারাটিও পড়েন নি, আফিম এর রূপকটি কোথায় কেন ব্যবহার করেছিলেন মার্রx তার জন্য ধার করা লেখা না পড়ে একটু কষ্ট করে মার্রx এর মূল লেখাটা পড়ে নিতেন, সমালোচনা আরো সহজ আরো মৌলিক হতো।
আপনি তো পার্টি করতেন, অন্তত আদর্শে বিশ্বাস করতেন, আপ্নার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে কি শুধুই পার্টি নেতাদের কারণে? তাহলে বলতে হবে আপনি শুধুই বিশ্বাসী হতে গেছিলেন, আশাহত হয়ে মোহভঙ্গ ঘটেছে;
লেখাতে মৌলিক কিছু নেই, ক্রিটিক্যাল থিওরী আর পোস্ট মডার্ণ এসেসমেন্ট পড়ে দেখুন, মার্রxএর আরো ভালো সমালোচনা করতে পারবেন, অন্তত গুরু “প পা র” পড়ে নিন। বামেরা তাদের স্বরূপ আগেই দেখিয়েছে, এখন সোভিয়েট-জার্মানি টাকা পাঠায় না আর, এদের সমালোচনা করে লাভ নেই,ধন্যবাদ।
@তনুশ্রী রয়,
প্রথমেই ধন্যবাদ আপনার এমন মহামূল্যবান মন্তব্যখানার জন্য।
ওয়াহ। গোটা পোস্টে শুধু এই কথাটাই আপনার চোখে পড়ল?
Principles of sociology ৬ মাস ধরে পড়েছি। সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি ও ধর্মে মার্ক্স (নাকি মার্রx, আপনিই ভালো জানেন) এর অবদান এবং দৃষ্টিভঙ্গি কেমন এটা নিয়ে পার্টির তখনকার বড়ভাই (বর্তমানে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন) এর সাথে অনেক আলোচনা হয়েছে। মার্ক্সের বিভিন্ন বইয়ে উপর পাঠচক্রেই অংশগ্রহণ করেছিলাম।
এখানে একটি কথা আমি এই লেখায় মার্ক্সের নয় বরং মার্ক্সবাদীদের সমালোচনা করেছি। এই কথাটা আশা করি আপনার মাথায় আছে। পোস্ট সম্পূর্ণ পড়েছেন তো?
কিসের বিশ্বাস সেটা যদি একটু পরিষ্কার করে বলতেন। আপনি যদি মার্ক্সবাদের কথা বলেন তাহলে আশা করি আর কিছু বলার নেই, (বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর। আমি সংশয় প্রকাশ করেছি। তাই আদর্শচ্যুত হয়ে গেছি)।
,
মার্ক্স (অথবা মার্রx) এর সমালোচনার উদ্দেশ্যে আমি কি পোস্ট লিখেছি। আপনি লেখার কতটুকু পড়েছেন এ নিয়ে আমার সংশয় আরও বেড়ে গেল। আগেই উল্লেখ করেছি ‘মার্ক্স তথা মার্ক্সবাদের সমালোচনা নিয়ে আমি অবশ্য লিখতে আসি নি। মার্ক্সবাদের সমালোচনা করা এই অধমের কলমে সাজে না’। পোস্ট পড়তে যদি অনীহা থাকে বা পড়ার সময় যদি না থাকে তবে উপরের কমেন্টগুলো অন্তত পড়ে দেখেন।
“প পা র” সাহেব গুরু? কার আমার না আপনার? দেখুন ব্যাক্তিগত আক্রমণ আমি যতটা বর্জন করি ততটাই বর্জন করি ব্যাক্তিপূজাকে। যেকোন মানুষের লেখা আমার ভালো লাগতে পারে। আমি কারো নিয়মিত পাঠক হতে পারি। তবে কাউকে সবসময় গুরু বানিয়ে তার মুরিদ হয়ে বসে থাকার মত পাবলিক আমি নই।
এমন যদি হত যে তারা তাদের স্বরূপ শুধু আগে দেখিয়েই চুপ মেরে গেছে তাহলে না হয় মানা যেত। কিন্তু তাদের কয়েকজন কিন্তু এখনও স্বরূপ দেখিয়ে যাচ্ছে এবং বাকিরা ভোল পালটে প্রগতিশীলের লেবাস লাগিয়ে কাজ চালাচ্ছে। আর সোভিয়েত জার্মানি টাকা পাঠায় না এটা তো আরও ভয়ানক। উনারা সাধারণ মানুষের দেশের প্রতি দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে টাকা ‘কালেকশন’ করে নিজেদের পার্টি চালাচ্ছেন।
আশা করি এই মন্তব্য অন্তত সম্পূর্ণটা পড়েছেন। সেজন্য আবারও ধন্যবাদ।
@ অভিক,
আপনার লেখা সুখ পাঠ্য। লেখার মধ্যে রসবোধ রয়েছে। যেমন, “মার্ক্সবাদের সমালোচনা করা এই অধমের কলমে সাজে না।” কিম্বা, “যাকে তাকে ধরে বিজ্ঞান বানানোর আজব খেলা।”
আপনার আগের দুটো লেখাও স্বাদ পেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার নিচের কথার পরিপ্রেক্ষিতে-
এ বিষয়ে আপনার প্রতি ভরসা কম। আজ থেকে প্রায় ৯ মাস আগে কথা দিয়েছিলেন- কৌতুক সম্পর্কিত একটি লেখা দিবেন শীঘ্রই। কিন্তু তা আজও পেলাম না।
আসলে মুক্তমনায় অনেকে এভাবে কথা দেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাখে না। এমন কি অভিজিৎ দাদাও তার কথা রাখতে অপারগ হন বা ভুলে যান।
অস্ট্রেলিয়ান সাহিত্যিক ফিলিপ অ্যাডামস এর এই কথাগুলো আমাকে নতুনভাবে ভাবতে শেখাচ্ছে।
@মাহফুজ,
ধন্যবাদ। শুনে খুব খুশি হলাম।
আপনার স্মরণশক্তির প্রশংসা করতে হয়। আমার মনে হয় এর কারণ আমি জানিয়েছিলাম। ঠিক আছে এখন আবার বলছি। আমাদের বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিল হতে ধর্ম বিষয়ক কৌতুকের একটা কালেকশন প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঝে অন্য বই প্রকাশসহ আরও কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় সেটা মাঝপথে আটকে গেছে। তবে সেগুলো অবশ্যই প্রকাশিত হবে। আপনাদেরকে আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে আর কি।
@মাহফুজ,
:guli: :guli:
এটা কিন্তু আমার কমেন্ট না। হা হা হ….. :laugh: :laugh: :laugh:
এই ব্যাপারে প্রথম গবেষনা করেন স্যার কার্ল পপার। তিনিই প্রথম নির্নয় করেন দর্শনের কোন জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে আর কোন জ্ঞান করা যাবে না।
মার্কসবাদ মানেই ঐতিহাসিক বস্তবাদ না। মার্কসবাদের মূল ভিত্তি উৎপাদন ব্যাবস্থার পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে সমাজ পরিবর্তন। তার প্রথম দিকের প্রবন্ধ এবং গবেষনা মূলত ধনতন্ত্র এবং উৎপাদন ব্যাবস্থাকে কেন্দ্রকরে সমাজ পরিবর্তন। সেই প্রবন্ধ গুলি খুব বেশী অবৈজ্ঞানিক না। মার্কসের কাজ কি করে বিজ্ঞান থেকে অপবিজ্ঞানে নেমে এল সেই নিয়েই পপারের প্রচুর কাজ আছে। আমি মুক্তমনাতে নানান সময়ে সেটা নিয়ে লিখেছি। আপনি দেখে নিতে পারেনঃ
স্যার পপার এবং মার্ক্স
http://biplabpal2000.googlepages.com/MarxistScience.pdf
কম্যুনিউস্ট পাপের গল্প
http://biplabpal2000.googlepages.com/America11.pdf
কারা মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলে দাবী করে?
http://www.mukto-mona.com/Articles/biplab_pal/response_marxism.htm
মার্ক্সবাদ এবং প্রতিবাদি ধর্ম আন্দোলনঃ পার্থক্যটা কি?
http://www.mukto-mona.com/Articles/biplab_pal/marxbaad_shoshonmukti.htm
কমিনিউজম নিয়ে ভুল ধারনার তথ্যাবলীঃ
http://blog.mukto-mona.com/?p=3648
মার্ক্সবাদ এবং প্রযুক্তি বিপ্লব? মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ না প্রযুক্তি বিপ্লবকে ইঙ্গিত করে?
http://blog.mukto-mona.com/?p=8027
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ এই পোস্টে কমেন্ট করার জন্য এবং আপনার লিখার লিঙ্কগুলো শেয়ার করার জন্য। এই পোস্ট লিখার আগে আপনার লেখাগুলোর অনেকগুলোই আমি দেখে নিয়েছিলাম। এখন আরও কিছু লিঙ্ক পেয়ে উপকৃত হলাম। আমার পোস্ট সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন….
ভাল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছ। রাজনীতি, সাহিত্য বিজ্ঞান আলাদা আলাদা জিনিস। একটা আরেকটার মধ্যে ঢুকানো চলবে না।
কোন সিস্টেমটা মানুষের জন্য অধিক উপযোগী তা নির্ণয় করতে হলে মানুষের প্রকৃতিকে বিশ্লেষণ করতে হবে, একজন মার্ক্সের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে চলবে না।
(এখানে সব বোল্ড হয়ে যাচ্ছে কেন?)
@সৈকত চৌধুরী,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
কাল রাতে আমারও এমন সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এখন ঠিক হয়ে গেছে।
সাধারনত রাজনীতি , ধর্ম , লিঙ্গনীতি, যৌননীতি ইত্যাদি বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। তবে, বিজ্ঞানের প্রসঙ্গ যেহেতু আপানার প্রবন্ধে একাধিকবার এসেছে এবং বিজ্ঞানের সাথে যেহেতু আমার নিজের রুটি রুজির সম্পর্ক জড়িত , মন্তব্য করতে অসুবিধা নেই।
যাহোক , এরকম লেখা মুক্তমনায় মাঝে মধ্যেই থাকা দরকার এবং সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ব্যপারটা সহজ করলে দাড়ায় এরকম যে, পদার্থবিদ্যা , রসায়ন এবং জীববিদ্যা সংক্রান্ত বিজ্ঞানের শাখাগুলোতে চাপাবাজির সূযোগ খুবই সীমিত এবং হিসেবে উনিশ বিশ দেখানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক না হলেও একটা পর্যায়ে ধরা পড়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত, তাও আবার একই পেশার লোকের হাতে। কোন মাফ নেই। এই ফলসিফিকেশনের সংস্কৃতিই বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় গর্ব করা বিষয় যার কারনে আপনার আমার পরিবহনকারী বিমান ঘন কুয়াশার মধ্যেও চোখ বুজে ঠিকমত নিরাপদে রানওয়েতে ল্যান্ডিং (ক্যাট-৩ ল্যান্ডিং) করতে পারছে। পাশের নদীনালায় গিয়ে পড়ছে না। আপেক্ষিকতাবাদ, কোয়ান্টাম তত্ত্ব , অরবিটাল মেকানিকের মত বিষয়গুলো এক্ষেত্রে একসাথে কাজে লাগানো হচ্ছে। এখন এসব তত্ত্ব যদি ভূল হত বা ‘ইচ্ছামত’ ভাবে প্রয়োগ করা হত , হাজার হাজার মানুষের জীবন আজ প্রতিদিন বিপন্ন হত।
অপরদিকে , একজন নালায়েক বকলম অথবা চৌকিদার থেকে শুরু করে বড়কর্তা পর্যন্ত যে কাউকে রাজনীতি , ধর্ম , লিঙ্গনীতি, যৌননীতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করুন । ৯৯% ক্ষেত্রে কোন না কোন জবাব পেয়ে যাবেন। অজ্ঞতার স্বীকারোক্তির সম্ভাবনা হয়তো সেখানে ১%।
@সংশপ্তক,
আপনি রাজনীতি , ধর্ম , লিঙ্গনীতি, যৌননীতি ইত্যাদি বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা সত্ত্বেও আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বিজ্ঞানের ভুল প্রয়োগ কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা আপনার মন্তব্যে দেখিয়েছেন।
এই বিষয়গুলোতে নিজেদের পন্ডিতামি জাহির না করলে আসলে ইনাদের ভাত হজম হয় না। যদিও অনেকসময় দেখেছি, সাধারণ রিকশাওয়ালা কিংবা পানের দোকানদারও কখনোও রাজনীতি বিষয়ে শিক্ষিত লোকেদের চাইতেও ভালো বয়ান দিতে পারে।
@অভীক, সংশপ্তক:
মার্কসীয় তত্ত্বের মনে হয় কিছু যৌক্তিক সমস্যা আছে, যেগুলো এটাকে বিজ্ঞান বা বৈজ্ঞানিক বলার সাথে সম্পর্কিত।
১। বিজ্ঞান = বস্তুবাদি অতএব যেকোন বস্তুবাদি তত্ত্ব = বৈজ্ঞানিক।
এটা হল fallacy of the consequent.
যেমন, গরু = তৃণভোজী প্রাণী অতএব যেকোন তৃণভোজী প্রাণী= গরু কিংবা অভীক = ভাল লেখক অতএব যেকোন ভাল লেখক = অভীক বলার মত।
২। বিশ্বের অনেক প্রক্রিয়াই দান্দ্বিক অতএব সব প্রক্রিয়াই দান্দ্বিক।
এটা হল fallacy of generalization .
৩। সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিল্প সব কিছুরি ভিত্ত্বি হল উৎপাদন সম্পর্ক।
এটা হল reductionism.
সমাজ বিশ্লেষনে উৎপাদন সম্পর্ক অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ variable, কিন্তু একমাত্র variable নয়।
মার্কসের সময়ে বিজ্ঞানের দর্শন ততটা পরিপক্ক ছিলনা; বিশেষ করে বিজ্ঞানের ভিত্ত্বি হিসেবে falsifiability এর ধারনাটা তখনো আসেনি। অতএব তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে কিংবা মানদন্ডে মার্কসীয় তত্ত্বে খুব বেশী ভ্রান্তি ছিলনা। কিন্তু মার্কসের পরবর্তিকালের অনুসারীরা যে এর যৌক্তিক দুর্বলতাগুলো ধরতে পারেননি বা আলোচনা করেননি সেটা তাদের বৌদ্ধিক গোঁড়ামীর পরিচয় দেয়। তার উপর তারা মার্কসবাদকে “বিজ্ঞান” বলে প্রচার করতে থাকেন যদিও মার্কস নিজেও তার তত্ত্বকে বিজ্ঞান বলেননি, “বৈজ্ঞানিক” বলেছেন। অনেকটা “বাবু যত বলে পারিষদ দলে বলে তার শত গুন” ধরনের অবস্থা।
@মোঃ হারুন উজ জামান,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি নিজেও বেশ কার্যকর কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন, কেন মার্ক্সবাদকে বিজ্ঞান বলা যায় না এটা একাধিকবার বোঝানোর পরও মার্ক্সবাদীরা কখনোই মেনে নেয় না।এখানেও তাদের স্বভাব অন্যান্য তালগাছবাডিদের মতই।
আমরাও তেমনটি মনে করি