আর কিছু বাকি নেই
গ্রীষ্মের গোধূলিতে
এখন দু’চোখে অন্ধকার।
ভারি হয়ে আসে বুক
এর মাঝেই যেতে হবে
কত দূর,
মধ্যরাতের অজ্ঞাত রাস্তায়
পথ ভুলে স্বর্গ ছোঁবো
নিঃসঙ্গ বাতাসে,
অণূভুতিময় পাখির শিস-।
হয়তো এই রাত্রিই জীবনের
শেষ রাত্রি।
জন্ম-মৃত্যুর মাঝে প্রবাহিত
হৃদয়ের কন্দরে কন্দরে
নতুন জলের ঢেউ বয়ে যায়।
একটি কথাই বলার বাকি-
আমারও সময় হল যাবার,
ধাপে ধাপে এগোয় সময়
নশ্বর মানুষের মত
এবার আমার শিকল খুলে দাও।
আপনার কবিতা খুবই ভালো লাগলো। ইসলাম বিষয়ে আপনি একটা গল্প লিখেছিলেন আগে দেখেছিলাম, ওই গল্পটা খুবই খুবই ভালো লেগেছিলো। ব্যস্ত থাকার জন্য প্রায় সময়ই মন্তব্য করা হয়না, তবে আপনার প্রত্যেকটি লেখাই পড়ি। চালিয়ে যান সাহিত্যের সুধা বর্ষণ আমাদের মাঝে। :rose:
@আল্লাচালাইনা,
ভাই, আপনার এই মন্তব্য কার উদ্দেশে করা? একবার মনে হচ্ছে কবি আফরোজা আলমের প্রতি, আবার শেষের বাক্যটি পড়ে মনে হলো আবুল কাসেমের প্রতি।
যদি দুজনের প্রতিই মন্তব্য করেন, তাহলে দুটো গোলাপ দেয়াই ভালো, তাই নয় কি?
@আল্লাচালাইনা,
কবিতাটা যেহেতু আমারই পোষ্ট করা ধরে নিয়েছি আমাকেই বলেছেন। আপনি বলেছেন,
এই বিষয় নিয়ে আমার আরও লেখার ইচ্ছে আছে।সময় স্বল্পতার কারনে আজকাল লেখা হয়ে উঠছে না।
সময় পেলেই লিখব। আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাই মাহফুজ;
আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে আমার কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুণ।
কোরান, বাইবেল ইত্যদি ্বইতে পড়েছি অনেক পয়গম্বরগণ যারা হুজুর এবং যীশুর পূর্বে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তারা নাকি শত শত বছর জীবিত ছিলেন। আচ্ছা তাই যদি সত্যি হয় তবে কেন আল্লা পাক জনাব যীশুকে ও হুজরকে এত অল্প বয়সে মেরে ফেললেন? আল্লা পাক কি পারতেন না হুজুরকে সহস্র বছর বাঁচিয়ে রাখতে?
চিন্তা করুণ, হুজুর যদি আজ জীবিত থাকেতেন–
অনেকদিন পূর্বে কোন বৈজ্ঞানিক সাময়ীকে তে পড়েছিলাম মানূষের জীবন ৫০০ বছরের বেশী হওয়া উচিত। কিন্তু কেন আমরা এত তাড়াতাড়ি মরে যাই সেটা বৈজ্ঞানিক`রা এখনও বুঝতে পারেন না। কারণটা জানতে পারলে এর প্রতিষেধক বের করে ফেলতে পারবেন। অর্থাৎ, হ্য়ত অচিরেই বিজ্ঞান পারবে আমাদের জীবনকে দীর্ঘায়ুত করতে। আচ্ছা, আমরা সবাই কি তখন পয়গম্বরে পরিণত হব?
কিন্তু বিজ্ঞানীদের এই সফলতা আসতে আরও অনেক দিন লাগবে–হয়ত কয়েক শতাব্দি। তার আগেই আল্লা পাক আমাদেরকে মেরে ফেলবেন এতে কোন সন্দেহ নাই। আল্লার রোষ থেকে আমাদের আপাততঃ মুক্তির কোন উপায় নাই।
হাঁ, অনেকদিন যাবৎ আমি নানা ব্যাপারে আবর্তিত–এর মাঝে স্বাস্থগত কারণও জড়িত। তিন মাস কাটিয়েছি আকাশ মালিকের বই-এর ইংরাজি অনুবাদ নিয়ে। এখন ইসলাম নিয়ে আরও পড়াশোনা করছি। জানিনা এই লিখাপড়ার কবে শেষ হবে।
যাই হোক, আপনারা যে আমার খুদ্রতম বাংলা লেখাকে পড়ার উপযোগী মনে করেছেন সেটাই তো আমার স্বার্থকতা। আপনার লেখা প্রায়`ই পড়ি। সময়ের অভাবে হয়ত মন্তব্য করতে পারি না–সেজন্য আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
@আবুল কাশেম ভাই,
আপনার মন্তব্য পড়ে সুখ পেলাম।
ঠিকই কইছেন, আচ্ছা উনার এত রোষ উঠে কেন? প্রায়ই উনি ফুসে উঠেন। আইলা, সিডর এসব দিয়ে সব লন্ডভন্ড করে দেন। ফুসে উঠা ছাড়া উনার যেন আর কোন কাম নাই। উনাকে সেজদা করলেও ফুসে উঠেন, না করলেও ফুসে উঠেন। রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না, ধার্মিক অধার্মিক আস্তিক নাস্তিক কাউরেই রেহাই দেন না। উনিই নাকি আবার ন্যায় বিচারক! একই অঙ্গে কত রূপ!
আফরোজার কবিতা দেখলেই পড়ে ফেলি। এই কবিতাটাও বাদ গেল না।
কবিতা পড়ে আমার চক্ষু আশ্রুশিক্ত–কিন্তু বাস্তব্তাকে মেনে নিতেই হবে।
আমরা বৃদ্ধ হবই–এর থেকে আমাদের পরিত্রানের উপায় নেই।
হায়, জীবন কেন এত ছোট, কেন এত ্নিষ্ঠুর!
@আবুল কাশেম,
এমনও তো একদিন আসতে পারে যেদিন বিজ্ঞান এমন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে, তাতে বৃদ্ধ হবার পথ রুদ্ধ করে দিবে।
আচ্ছা কাসেম ভাই, শুনেছি- আগের আমলে মানুষ বহু বছর জীবিত থাকতো। যেমন কেউ ৯০০ বছর, কেউ ৭০০ বছর আবার কেউ হাজার বছর জীবিত থাকতো। মানে দেরীতে বৃদ্ধ হতো। এখনও তো অনেক প্রাণী রয়েছে যাদের আয়ু মানুষের চেয়ে বেশি। বিজ্ঞান মানুষের আয়ুকে বাড়ানোর ব্যবস্থাও করতে পারে।
ভাই, অনেকদিন আপনার লেখা পড়ি না। সেই যে সৌদি নারীর কাহিনী পড়েছিলাম। আপনার লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত করবেন না প্লিজ। আফরোজা আলম কবিতায় বলছেন- “এবার আমার শিকল খুলে দাও।” আমারও আপনাকে বলতে ইচ্ছে করে- ‘এবার লেখনীর হাত বাড়িয়ে দাও।’
@মাহফুজ,
কিছু আশার কথা শোনাই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, একাধিক প্রাণী আছে যারা আক্ষরিক অর্থেই অমর অর্থাৎ যাদের মৃত্যু নেই। অতএব, প্রাণী মাত্রই মরণশীল কথাটা সত্য নয়। মানুষ কেন বৃদ্ধ হয়ে মারা যায় এটা এখন আমরা জানি। এখন চেষ্টা চলছে এটাকে রদ করার।
@সংশপ্তক,
আশার বাণী শুনতে কার না ভালো লাগে। তবে আমি আপনি সেই অমরত্বের সুফল ভোগ করতে পারবো না। “পাকা হরিতকির” অমরত্বের গুণ বাস্তবে পরিণত হতে কয়েক প্রজন্ম লেগে যাবে। প্রত্যেক প্রাণীই মরণশীল, কুল্লু নাফসিন জায়েকাতুল মাউত। কবিরাও বলেন- জন্মিলে মরিতে হইবে, অমর কে কোথা কবে?’ এসব বাক্যকে ভুল প্রমাণ করতে সময় তো লাগবেই।
কথাটা জানা ছিল না, আপনি জিন পরীর কথা বলছেন না তো? কোন প্রাণীর সন্ধ্যান পাওয়া গেল যার মৃত্যু নেই। নাম-টাম বলেন জেনে রাখা ভালো।
আচ্ছা, মানুষ কেন বৃদ্ধ হয়ে মারা যায়? আবার দেখা যায় এক্সিডেন্ট করেও মারা যায়। শিশুকালেও মারা যায়। মানুষ মরে কেন? কাশেম ভাইয়ের কথাটাই আবার বলি- হায়, জীবন কেন এত ছোট, কেন এত নিষ্ঠুর!
@মাহফুজ,
অমর প্রাণীটার নাম তুরিতপসিস নুত্রিকুলা । এরা বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়ার পর পুনরায় নিজেদের শিশুতে পরিনত করে।
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ নামটি জানানোর জন্য। ‘জেলি ফিস’ নামই শুনেছি শুধু। বিস্তারিত কিছুই জানি না। কিছুটা ধারণা পেলাম।
আপনার “মানুষ কেন বৃদ্ধ হয়ে মারা যায় এটা এখন আমরা জানি” এ-কথার পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি প্রশ্ন করেছিলাম। মানুষ কেন বৃদ্ধ হয়ে মারা যায়? এই প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চাচ্ছি। আবারও যদি কোন লিংক বা রেফারেন্স দেন তাহলে খুবই ভালো হয়।
@মাহফুজ,
এ ব্যপারে এখানে পড়ুন।
@সংশপ্তক,
কষ্ট করে এত সুন্দর একটা লিংক দেবার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
কোথায় যাবেন? আপনি চলে গেলে। এত সুন্দর সুন্দর কবিতা আমাদের কে উপহার দেবে?
ভাল লাগল কবিতা। ধন্যবাদ।
@সুমিত দেবনাথ,
নাহ নাহ,যাবো কি করে ?আপনারা যেতে দিলেন কই।অনেক ধন্যবাদ।
সুপ্রিয় পাঠক,
২০১০ ” দি সানডে ইন্ডিয়া”তে প্রকাশিত কটা কবিতার মাঝে একটা নতূন বছরের শুভেচ্ছা স্বরুপ দিলাম। জানিনা পাঠকের মন পাবো কি না।
@আফরোজা আলম,
এখন আর নারীরা চিটির শেষে বলেনা- ইতি তোমার চরণ দাসী। এরকম কথা অনেক প্রাচীন শুনায়, আধুনিক কবিতার সাথে মানায় না।
একটি কথাই বলার বাকি-
আমারও সময় হল যাবার,
ধাপে ধাপে এগোয় সময়
নশ্বর মানুষের মত
এবার আমার শিকল খুলে দাও।
দেবো না। মুক্তমনার আড্ডাঘর লোকে লোকারণ্য থাকুক। মনভাঙ্গা বিরহের গান গাওয়ার সময় এখনও হয়নি। তার চেয়ে বরং এটা শুনুন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=eUilnAS9Sx8&feature=related
@আকাশ মালিক,
:yes:
@আকাশ মালিক,
আপনার তুলনা আপনিই ছাড়া আর কাউকে পাইনা। আপনাকে তাই তো অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। যেতে চাইলেও আপনাদের মতন ভাই থাকতে যাই কি করে। নববর্ষের শুভেচ্ছা। :rose:
@আফরোজা আলম,
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
অনেকদিন পর কবিতা পেলাম। একটু অন্য ধরনের স্বাদ। বিষাদময় কবিতা। কিন্তু ঐটাই বাস্তব, সত্যিই আমাদেরকে একদিন চলে যেতেই হবে।
কষ্টদায়ক অনুভূতি, অন্য রকম ভালো লাগা। ভাষাহীন ভালো লাগা।
শেষে বলি-
কবিতায় বানানগুলোর দিকে একটু খেয়াল করুন।
গ্রীস্মের > গ্রীষ্মের
সর্গ > স্বর্গ
অনূভুতিময় > অনুভূতিময়
নতূন >নতুন
@মাহফুজ,
আপনার ভালোলেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ।