বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত জনবহুল দেশ। মনে হয় গোটা বিশ্বে সবচাইতে বেশী জন ঘনত্বের দেশ। অত্যন্ত ছোট এ দেশটির আয়তন মাত্র ১,৪৩,৯৯৮ বর্গ কিলোমিটার কিন্তু জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি অর্থাৎ সরল পাটিগনিতের হিসাবে ১,১৮০ জন /বর্গকিলোমিটার। এখানে শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জ রাস্তা ঘাট হাট বাজার সর্বত্র শুধু মানুষ আর মানুষ । মানুষ ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ে না। পৃথিবীর সবচাইতে বেশী জনঘনত্বের দেশের একটা তালিকা দেয়া হলো নিচে-
২০০৯ সালের সর্বশেষ জরীপ অনুযায়ী( বিশ্ব ব্যপী ক্রম অবস্থানের ভিত্তিতে)
১.ম্যাকাও- ১৮,৫৩৪ জন/বর্গ কি.মি
২.মনাকো-১৬,৯২৩ জন/ বর্গ কি.মি.
৩.সিঙ্গাপুর- ৭,০২২ জন/বর্গ কি.মি.
৪.হংকং- ৬,৩৪৮ জন/বর্গ কি. মি.
৫.জিব্রাল্টার(ইউ.কে.)- ৪,৫৫৮ জন/বর্গ কি.মি.
৬.ভ্যাটিকান সিটি- ১,৮৭৭ জন/ বর্গ কি.মি.
৭.মাল্টা -১,৩১৭ জন/বর্গ কি. মি.
৮.বারমুডা-১,২২৬ জন/ বর্গ কি. মি.
৯.বাংলাদেশ- ১,১২৬ জন/ বর্গ কি. মি.
৩২. ভারত- ৩৬২ জন/ বর্গ কি.মি.
৭৮. চীন- ১৩৯ জন/বর্গ কি.মি.
১৭৮. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- ৩১.৬২ জন/বর্গ কি.মি.
২২৮. কানাডা- ৩.৩৭ জন/ বর্গ কি. মি.
২৩৩. অষ্ট্রেলিয়া- ২.৯২ জন/ বর্গ কি. মি.
উপরোক্ত তালিকা থেকে বাংলাদেশের ভয়াবহ অবস্থা সহজেই বোঝা যায়। বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে নবম। কিন্তু তার আগের যে দেশগুলো হলো নগর রাষ্ট্র। ম্যাকাও, মনাকো, সিঙ্গাপুর, হংকং সহ অন্য দেশগুলো এরা সবাই কিন্তু নগর রাষ্ট্র। মাল্টা ও বারমুডা ঠিক নগর রাষ্ট্র না হলেও দ্বীপ রাষ্ট্র যারা পর্যটনের জন্য বিখ্যাত। অর্থাৎ এসব দেশের মূল আয়ের উৎস হলো পর্যটন। পর্যটন কেন্দ্রিক দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ার কারনে এখানে জন ঘনত্ব বেশী। একটা নগর রাষ্ট্রের জনসংখ্যার ঘনত্ব একটা সাধারন দেশের ঘনত্বের চাইতে বেশী হবে সেটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ কোন নগর রাষ্ট্র নয় অথচ এর ঘনত্ব হলো ১,১২৬ জন/প্রতি বর্গ কি.মি. (মোট জনসংখ্যা ১৬২.২ মিলিয়ন ধরে), কিন্তু আসলে হওয়া উচিত ১,১৮০ জন সরল পাটিগনিতের হিসাবে।বিশ্বে সবচাইতে বেশী মানুষ বাস করে চীন ও ভারতে যাদের জনসংখ্যা যথাক্রমে ১৩৪ কোটি ও ১২০ কোটি অথচ তাদের দেশের জনঘনত্ব মাত্র যথাক্রমে ১৩৯ ও ৩৬২ জন প্রতি বর্গ কি. মি. এ। যদি বাংলাদেশের সমান জন ঘনত্ব চীন ও ভারতে হতো তাহলে তাদের দেশের জনসংখ্যা দাড়াত যথাক্রমে- ১০৮৫.৫ কোটি ও ৩৭৩ কোটি । বর্তমানে পৃথিবীর শুধু স্থলভাগে বসবাসকারী জনসংখ্যার গড় ঘনত্ব হলো -৫১,এন্টার্কটিকা মহাদেশকে বাদ দিয়ে আর মোট জনসংখ্যা হলো ৬,৮৮ কোটি প্রায় (২০১০ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী)। যদি গোটা পৃথিবীতে বাংলাদেশের মত জন ঘনত্ব থাকত তাহলে গোটা দুনিয়ার লোক সংখ্যা দাড়াত-প্রায় ১৫,২০০ কোটি। তাই সে হিসাবে দেশ রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জন ঘনত্ব তাবৎ দুনিয়াতে সবচাইতে বেশী এটা নি:সন্দেহে বলা যায়। শুধুমাত্র এ পরিসংখ্যান থেকে বাংলাদেশের জন ঘনত্বের ভয়াবহ চিত্রটা বোঝা যায়।
বাংলাদেশে যে সত্যিকার অর্থে একটা জন বিস্ফোরন ঘটেছে তা আর কাউকে দেখিয়ে দেয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র মানুষের যে বিপুল সমাগম দেখা যায় পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে তা দেখা যায় না। বঙ্গোপসাগরের মধ্যে জেগে ওঠা চরে যেখানে বসবাস করার ন্যুনতম কোন সুযোগ সুবিধা নেই সেখানেও বাস করছে হাজার হাজার মানুষ। সেখানে নেই কোন সুপেয় পানি, স্বাস্থ্য পরিসেবা, স্কুল, যোগাযোগ ব্যবস্থা, রাস্তা ঘাট কিছুই নেই। মানুষ যে কিভাবে সেখানে বসবাস করে তা স্বচক্ষে না দেখলে কারোরই বিশ্বাস হবে না। যদি কোন ঘুর্ণিঝড় সেসব অঞ্চলে আঘাত হানে মানুষ সেখানে অকাতরে মারা যায় মশা মাছির মত। মানুষের জীবনের যে কানা কড়িও মূল্য নেই তা বোঝা যায় এসব যায়গায় গেলে। প্রশ্ন হলো- কেন এহেন দুর্গম অঞ্চলে মানুষ বসবাস করছে? উত্তর হলো- এদের বসবাসের আর কোন যায়গা নেই। এ বিরাট পৃথিবীতে ছোট একটা কুড়ে ঘর বানিয়ে বাস করার কোন যায়গা তাদের নেই আর তাই তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে এসব প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বসবাস করে। বেশীদুর যাওয়ার দরকার নেই। ঢাকার মধ্যে বিশেষ করে রেল লাইনের পাশে যেভাবে ঝুপড়ি ঘর বেধে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে, তাদের নেই কোন পয়: নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানি। দেখা যায়- যেসব জায়গায় ময়লা জমা করে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে তার পাশেই মানুষ বস্তি ঘর বেধে ভয়াবহ দুর্গন্ধের মধ্যে বসবাস করছে। দেখা যায় , দুর্গন্ধ এতটাই প্রকট যে এমন কি বেওয়ারিশ কুকুর পর্যন্ত সেখানে যায় না , অথচ মানুষ দিব্যি সেখানে বসবাস করছে। এর চাইতে আর বেশী কিভাবে মানুষ অপমানিত হতে পারে ? জন ঘনত্বের চাপ ঢাকা নগরীতে এতটাই ভয়াবহ আর মারাত্মক যে রাজ পথের দুধারে যে ফুটপাথ আছে তা গভীর রাত পর্যন্ত জন স্রোতে ব্যস্ত থাকে, সে ফুটপাথ দিয়ে ভালভাবে হেটে যাওয়া প্রায় দু:সাধ্য। এছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত গোটা নগরী ভয়াবহ যানজটে আটকে থাকে। যে নগরীতে বড়জোর ৩০ লাখ লোক কোন মতে ভালভাবে বাস করতে পারে সেখানে স্থায়ীভাবে বাস করছে ১কোটি ৩০ লাখ লোক মানে বাড়তি ১ কোটি লোক ঢাকা নগরীতে বাস করে। এ ছাড়া প্রতি দিনে এ নগরীতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ লোক আসে আবার তারা কাজ শেষে ফিরে যায়। অর্থাৎ ১ কোটি ৩০ লাখ অতিরিক্ত লোক প্রতিদিন ঢাকা নগরীতে চাপ প্রয়োগ করছে। এ অতিরিক্ত লোকের জন্য নেই ভাল থাকার ঘর , রাস্তা ঘাট , স্বাস্থ্য পরিসেবা , খাবার পানি । পরন্তু এরা ৩০ লাখ লোকের জন্য বরাদ্ধ সব কিছুতে ভাগ বসিয়ে তাদের জীবনটাও দুর্বিসহ করে তুলেছে যে কারনে ঢাকা মহানগরী এখন তাবৎ দুনিয়ার সবচাইতে বাজে একটা নগরীতে পরিনত হয়েছে। উন্নত বিশ্বের লোকজন তো দুরের কথা , খোদ প্রবাসী বাংলাদেশীরা যদি একবার ঢাকা নগরীতে বেড়াতে আসে তো ফিরে গিয়ে আর কখনো বেড়াতে আসার কথা চিন্তা করে না। ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা ইত্যাদি অভিজাত অঞ্চলে এক সময় বিরাজ করত শুনশান নিরবতা , ছিল সত্যিকার আভিজাত্য। কিন্তু বর্তমানে সেসব অঞ্চলও সব সময় যান জটে আটকে থাকে, যত্র তত্র বহুতল ভবন নির্মান করে সেখানকার সৌন্দর্য অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। পৃথিবীর সব দেশেই উন্নতির সাথে সাথে দেখা যায়, অন্তত নগরীগুলোকে একটা পরিকল্পনার মাধ্যমে সাজাতে চেষ্টা করে। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে আমাদের ঢাকা মহানগরী হবে অপরিকল্পিত নগরীর মধ্যে গোটা বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন। ঢাকা মহানগরী যে কতটা অপরিকল্পিত আর ছন্ন ছাড়ার মত গড়ে উঠেছে তা বোঝা যায় বিমানে করে ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরনের সময়। বিমানে বসে কেউ যদি ঢাকা মহানগরীর দিকে নীচু হয়ে তাকায় সে নিজেই আহাম্মক বনে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের অন্য যেসব বিভাগীয় শহর বা নগর আছে সেগুলোর অবস্থাও প্রায় একই রকম।
গ্রাম গঞ্জে যারা ১৫/২০ বছর আগে গেছেন , তারা যদি এখন যান দেখবেন কৃষিজমির এক বিরাট অংশই বাড়ীঘর রাস্তা ঘাট তৈরীতে দখল হয়ে গেছে। আগে যেসব যায়গাতে বাগান ছিল সেখানে বাগান উজাড় করে ঘরবাড়ী বানান হয়েছে। খোলা ধানক্ষেতের মধ্যেও দেদারসে বাড়ী ঘর উঠেছে, নিত্যদিন উঠছে। মোট কথা অতিরিক্ত জনসংখ্যার ধাক্কা শুধু শহর বা নগরে নয় পল্লী অঞ্চলেও আঘাত হেনেছে ভয়ংকর ভাবে যে আঘাতে কৃষি জমি উজাড় হওয়ার পথে।
এমন যে মহাবিস্ফোরনের মধ্য দিয়ে দেশ এক অন্ধকার গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তা কিন্তু দেশের সরকার বা বিরোধী দলের কাজ কর্ম বা কথা বার্তায় বোঝা যায় না। এটা ঠিক , পোশাক শিল্পের বিকাশ ও প্রবাসী কর্মীদের প্রেরিত অর্থের কারনে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ আগের মত আর দুর্ভিক্ষের শিকার হয় না , অনাহারের হাহাকার আগের মত দেখা যায় না। কিন্তু দেশটা যে ধীর গতিতে একটা অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে তা কেউ দেখছে না। সবাই বর্তমান নিয়েই সন্তুষ্ট। এদের কোন চিন্তাই নেই যে তাদের ভবিষ্যৎ বংশধর কিভাবে এ দেশে বাস করবে । বা বর্তমানেই যে তারা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না তা নিয়েও তেমন কাউকে ভাবিত মনে হয় না। সবার মধ্যেই কেমন যেন একটা উদাসীন দৃষ্টি ভংগী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অথচ আজ থেকে প্রায় ত্রিশ বছর আগে জনসংখ্যার বিস্ফোরনকে চিহ্নিত করে এ ব্যপারে ব্যপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছিল।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বাংলাদেশে একটা অধিদপ্তর আছে। তাদের আছে সমস্ত উপজেলায় কার্যালয়, কর্মকর্তা, কর্মী। একসময় এসব কর্মীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করত, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করত কম সন্তান ধারনের ও প্রয়োজনীয় উপকরন সরবরাহ করত। তার ফলাফলও কিন্তু আমরা দেখেছি। এক সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটা নিয়ন্ত্রনের মধ্যে চলে এসেছিল। কিন্তু এখন আর সেসবের বালাই নেই। দপ্তর আছে, কর্মী আছে কিন্তু তাদের কোন কাজ নেই , কাজ থাকলেও তা বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ নেই। আর এর ফলাফলও হাতে নাতে , অতি দ্রুত জনসংখ্যা ১৭ কোটিতে পৌছে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দশ বছরে জনসংখ্যা পচিশ কোটিতেও পৌছে যেতে পারে। ১৭ কোটির ধাক্কায় বাংলাদেশ অন্ধকার , ২৫ কোটি হলে কি হবে এ একমাত্র আল্লাহ মালুম জানে।
বাংলাদেশে হঠাৎ করে জন্ম নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ার মধ্যে কেন জানি একটা ষড়যন্ত্র বা কোন আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা কাজ করছে বলে আমার মনে হয়। তার মধ্যে সর্বপ্রথম আমার কাছে ধর্মীয় কারনটাই প্রধান বলে মনে হয়। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে দেখা গেছে- সেখানে সৌদি অর্থ সহায়তায় অনেক মসজিদ মাদ্রাসা এতিম খানা গড়ে উঠেছে। কোন স্কুল , কলেজ বা বিশ্ব বিদ্যালয়কে কখনো সৌদিরা সাহায্য করেছে এরকম নজির নেই। বর্তমানে দুনিয়া ব্যপী ধর্মীয় জিগির চলছে। কোন ধর্মের লোকের সংখ্যা বেশী তা নিয়ে চলছে প্রতিযোগীতা। যাদের লোকসংখ্যা সবচাইতে বেশী হবে তাদের ধর্ম হবে সবচাইতে সেরা ও সত্য সেটা প্রমানের নানা রকম লক্ষন প্রকাশ্য্। এধরনের একটা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রনকে তেমন জোরদার ভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না ভাবার যথেষ্ট সংগত কারন আছে। গোটা বিশ্বে ইসলাম ধর্ম ছড়িয়ে দেয়ার মহান ও পবিত্র দায়িত্ব নিয়েছে সৌদি আরব সহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্র্। এর মধ্যে ইউরোপ আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত নানা রকম ইসলামী সংগঠন জড়িত আছে বলে ধরে নেয়া যায়। এরা প্রতি বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে এ মহান কর্মকান্ডে। সৌদি আরব সহ অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশ সরকারকে এ বলে হুশিয়ার করে দিতে পারে যে- যদি জন্ম নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম জোরে সোরে এদেশে চলে তাহলে তারা এ দেশ থেকে জন শক্তি আমদানী কমিয়ে দেবে বা বন্দ করে দেবে। আরব দেশগুলোতে মোট ৫০ লক্ষেরও বেশী বাংলাদেশী কাজ করে থাকে আর তারা দেশে সর্বোচ্চ পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়। সুতরাং আরব দেশগুলোর হুশিয়ারীতে কান না দিয়ে সরকারের উপায় নেই। বিষয়টা বোঝা যায় বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত বহু সংখ্যক আরবী লোকের সফরে। এরা প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে মসজিদ মাদ্রাসায় গিয়ে তাবলিক কায়দায় মানুষকে আরও বেশী করে ইসলামী বিধি বিধান পালনের জন্য উৎসাহিত করে থাকে। বাংলাদেশের সরকারের কর্মকান্ড দেখলেও বিষয়টি অনেকটা সত্য বলে মনে হয়। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম বিষয়ে বেশ কয় বছর ধরে তাদের সীমাহীন উদাসীনতা লক্ষনীয়। তাদের ভাবটা অনেকটা এরকম- মুখ দিয়েছেন যিনি , আহার দিবেন তিনি। তাই তাদের করনীয় কিছু নেই। বরং কোন কিছু করা মানেই হলো আল্লার কাজে হস্তক্ষেপ করা। তা করা জঘন্য গোনাহের সামিল। তাই তারা সভয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম থেকে নিজেদেরকে দুরে সরিয়ে রাখছে। যে কোন ভাবেই মুসলমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটা যে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত কাজ করছে তা বোঝা যায় মুসলমান প্রধান দেশগুলোর দিকে তাকালে। প্রতিটি মুসলমান প্রধান দেশের জন্মহার উচ্চ অথচ তাদের অধিকাংশই হতদরিদ্র দেশ। চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য – যে কোন ভাবে হোক মুসলমানদের সংখ্যা বাড়াতে হবে , তা তারা যতই হত দরিদ্র হোক কিছুই যায় আসে না। গরীব, ফকির, মিসকিন, অশিক্ষিত, মূর্খ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ দিয়ে দুনিয়া ভরে ফেলতে হবে। তারপর মানুষের কি হাল হলো তাতে কিছুই যায় আসে না। কারন, তাদের হেফাজত আল্লাহই করবেন।
সুত্র: wikipedia
[ //আল্লাহ মালুম জানে।// মালুম = জানে। ]
যেহেতু যৌন সম্পর্কের মুহূর্তে নারীর ইচ্ছাই মূল বিষয়, সেহেতু নারীশিক্ষা, ও নারীঅধিকার নিশ্চিতকরণ জনসংখ্যাবিস্ফোরণরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য বিষয়। সাথে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহরোধ, জনসাধারণকে কনডম ব্যাবহারে উৎসাহিত করা, ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় জনগণ যদি স্বেচ্ছায় ‘একটি সন্তানের বেশি নয়’ নীতি গ্রহণ করে।
মানুষ সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল নেয়, কিন্তু সেকেন্ডহ্যান্ড একটা বাচ্চা (এতিম শিশুকে দত্তক) নেয় না!
লিখাটি খুবই ভাল লাগলো। ভবঘুরেকে আন্তরিক ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর লিখার জন্য।
‘জন্ম নিয়ন্ত্রন’ কার্যক্রম যে এতটাই স্থবির তা জানা ছিল না। মনে পড়ে সত্তরের দশকের শ্লোগান ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক,দুটি সন্তানই যথেষ্ঠ’, আশির দশকের শ্লোগান “একটিই আদর্শ, দুটিই যথেষ্ঠ”, কর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা, বিনা মূল্যে জন্ম নিয়ন্ত্রন সামগ্রী সরবরাহ, vasectomy and tubal ligation -কারিদেরকে লুঙ্গী /শাড়ী দিয়ে উৎসাহ যোগানো – ইত্যাদি কার্যক্রম বেশ ফলপ্রসু ছিল। ২/৩ বছর পর পর দেশে বেড়াতে যাই, ৩/৪ সপ্তাহের জন্য। ঐ সব কার্য্যক্রম যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা খেয়ালই করিনি। হায়রে আমার বিচিত্র দেশ!
‘ধর্ম বানিজ্যে’ অর্থলগ্নির মুনাফার নিশ্চিত গ্যারান্টি। বিশেষ করে যদি তা করা হয় সমস্যা জর্জরিত জনগুষ্ঠির ধর্মীয় আবেগের সম্পুরক পন্থায়। এ বছরে প্রায় ২৮ লক্ষ লোক হ্ব্জে অংশগ্রহন করেছে বলে বলা হচ্ছে। প্রতিটি হ্বাজী যদি গড়ে মাথা পিছু (খাওয়া /থাকা বাবদ) এক হাজার মার্কিন ডলারও খরচ করে তা হলে সরল হিসাবে তার পরিমান ২৮০০ কোটি (2.8 Billion) মার্কিন ডলার। এ ছাড়া সারা বছর ‘ওমরাহ’ তে লক্ষ লক্ষ লোক ভ্রমন করছে। সৌদি আরব দুনিয়াব্যপি মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিকে “তর-তাজা” রাখার সুব্যবস্থা না করলেই তা আশ্চর্য্যের বিশয় হতো।এমন একটি বানিজ্যের প্রবর্তকের ‘আসমানী বাণী’ দুনিয়ার প্রতিটি মানুষের কানে পৌছিঁয়ে মুসল্লীদের বেহেশ্তের পথ দেখিয়ে দেওয়া তাদের জন্য ফরজ করে দেওয়া হয়েছে। মুসল্লীদের ‘বেহেশ্তের’ নিশ্চয়তা কখনোই ছিল না। কিন্তু এ প্রকল্পের পার্থিব মুনাফা ক্বাবা হেফাজতকারীদের জন্য (ছিল, আছে এবং থাকবে) গ্যারান্টেড।
তা তারা কখনোই করতে পারে না। এ কার্য্য ‘ধর্ম-বানিজ্য’ প্রকল্পের মূলমন্ত্রের সরাসরি বিপরীত এবং প্রতক্ষ্য সাংঘর্ষিক।
আমার মনে হয় অধিকাংশ লোকই ভবিষ্যৎচিন্তাহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। তাদের সামান্য সময়ের পুলক যে মহা সমস্যা ডেকে আনতে পারে,তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। আর ধর্ম তো আছেই। বিশ্বে মুসলিমপ্রধান বা অপ্রধান এলাকাগুলো যে জন্মনিয়ন্ত্রনে অবিশ্বাসী,তার কারন কোরানে বিশ্বাস। সাধে কি আমি বলি যে মুহম্মদ মানুষটা পৃথিবীর যত ক্ষতি করেছে,করছে বা করবে,তার সমান ক্ষতি কেউ করার ক্ষমতা রাখে না। একটা বই লেখার দরকার “দি হান্ড্রেড” এর মত,যেখানে পৃথিবীর সবথেকে ক্ষতিকারক ব্যক্তিদের তালিকা থাকবে। তার শীর্ষস্থানও নিঃসন্দেহে মুহম্মদুর রাসুলুল্লাহ দখল করবেন।
@রুশদি,
ভালই বলেছেন। তা ওই কাজটা আপনি করে ফেলেন না।
জনসংখ্যা বাড়ার বড় কারনের মধ্যে ধর্ম অন্যতম। এটা সন্দেহাতীত। আরেকটা কারন আমি যোগ করতে চাই তা হল, সচেতনতার অভাব এবং দরিদ্রতা। শুধুমাত্র একজন সন্তান যোগ হলেও দেশের জন্য কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে তা আমাদের বেশীরভাগ মানুষই জানে না।
দরিদ্র সমাজে, একজন মানুষের জন্য নুন্যতম যে বিনোদনের প্রয়োজন তাও নেই। দেখা যায় বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার আগেই পুরুষেরা বিয়ে করছে, তাদের মধ্যে বাস্তব জ্ঞ্যন স্বাভাবিকভাবেই কম থাকছে এবং সেক্সকেই বিনোদন হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলাফল জনসংখ্যা বৃদ্ধি।
ধন্যবাদ ভবঘুরেকে সময়পোযুগী একটা লেখা দেয়ার জন্যে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যার এই ঘনত্বের বিষয়টি আমিও লক্ষ্য করেছি। এত বড় আকারের দেশ এবং এত ঘনত্ব এই দু’টি মিলালে আমরাই সবার প্রথমে থাকবো, এবং কয়েকগুনে এগিয়ে থাকবো অন্যান্য সবার তুলনায়। জনসংখ্যাই আমাদের সকল সমস্যার মূলে। লেখাটিতে এই সমস্যার সমাধান নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করা হলে আরো ভাল হতো। বিশেষ করে চীনের মত এক/দু’টি সন্তানের নীতিমালা নিয়ে কিছু লেখা হলে বাকীরাও আলোচনা করতে উৎসাহ পেতো বলে আমার মনে হয়। এক/দু’ সন্তান নীতির ভালো/খারাপ দিকগুলো নিয়ে আলোকপাত করতে পারেন পরবর্তী লেখায়। অথবা এই লেখাতেই যুক্ত করে দিতে পারেন।
লেখাটি ভাল লেগেছে।
@স্বাধীন,
এটাও আমি লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে ভাবলাম বিষয়টা পাঠকের ওপর ছেড়ে দেই। যাহোক, এ বিষয়ে সত্ত্বর একটা নিবন্ধ লেখার আশা রইল।
ভবঘুরে,
খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরন। জনসংখ্যা রোধে অবিলম্বে এবং খুব জরুরীভাবে কোন কার্য্যকরী পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের অন্য যে কোন উন্নতি বিষয়ক পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে বাধ্য। আমি মনে করি জনসংখ্যা সমস্যাটি বাংলাদেশের প্রায়োরিটি নাম্বার ওয়ান সমস্যা হওয়া উচিৎ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সে ধরনের কোন উদ্যোগ যেমন জনগনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা বা কম সন্তান ধারনের জন্য উপকরন সরবরাহ করা ইত্যাদি প্রায় একেবারেই বন্ধ বলেই ধারনা হচ্ছে। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোন কারন আছে। সমস্যাটা মনে হয়,
একমত। এতে করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কার্য্যক্রম চালু করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কতখানি আন্তরিক হবে সে বিষয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারন আছে। আর তার পরিনতি যে হবে ভয়াবহ এটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
বাধ্য কি বলছেন? অলরেডি ভেস্তে যাচ্ছে। সামনে আমি অন্ধকার ছাড়া তো কিছু দেখি না।
ছোট কিছু টেকনিক্যাল আপডেট আছে। মুক্তমনা সদস্যরা লগইন করলে ডান সাইডবারে হিট কাউন্টারের উপরে ব্যক্তিগত ব্লগে যাবার সরাসরি লিংক পাবেন। সব পোস্ট ও মন্তব্য এখন ডিফল্টভাবে justify হয়ে প্রকাশিত হবে। প্রতিটি লেখার শেষে random ভাবে মুক্তমনার পুরোনো কিছু লেখার লিংক প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে,এতে পুরোনো লেখাগুলো নতুন পাঠকদের চোখে পড়বে। এছাড়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ ফিক্সিং এর কাজ করেছেন অভিজিৎ রায়।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
দিন দিন মুক্তমনা সুন্দর থেকে সুন্দরতম হচ্ছে। এবারের আপডেইটটা দারুণ আকর্ষণীয় হয়েছে। মুক্তমনার প্রতি আপনার অকৃত্রিম ভালবাসা, আপনার নিঃস্বার্থ অবদান কোনদিন ভুলার নয়, এ ঋণ কোনদিন শোধ হবার নয়।
:yes: :rose2:
@আকাশ মালিক,
আপনার এই মন্তব্য থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম,খুব ভালো লাগল :rose2: ।
@আকাশ মালিক,
ভীষণ সহমত। রামগড়ুড়ের ছানাকে বিশেষ ধন্যবাদ আমার পক্ষ থেকেও। :rose2:
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আপডেটের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুবই সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ।
গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ঢাকাকে de-centralise করার কোনো পরিকল্পনা কি সরকারের আছে? অবস্থা আর কত খারাপ হবার পর আমাদের সুবুদ্ধি হবে?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তাই কি ওরা জীবনে করবে নাকি? তাহলে তো আর ওদের কেউ পুছবে না পরে। এটা কি ওরা কখনো হতে দিতে পারে ?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমারও মনে হয় এটা একটা ভালো সমাধান হতে পারে। বাংলাদেশে সব কিছুর জন্য ঢাকাই কেন্দ্র হয়ে বসে আছে। কোন একটা ন্যাশনাল, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীর অফিস, কারখানা সব ঢাকা বা তার আশেপাশেই করা হয়।
দেশের ২য়, ৩য় বৃহৎ নগরীগুলোর বর্তমান সময়ের হিসাবে কোন অবকাঠামোগত উন্নতিই নেই। নতুন স্থাপনযোগ্য অফিস, কলকারখানা যদি অন্যান্য শহরে স্থাপন করা হত তাহলে ঢাকার চাপ কমত। তবে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ঢাকার সাথে ঐ শহরগুলোর বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে, খরচ কমাতে হবে। নাহলে তারা এটা মেনে নেবে না।
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দিল্লী রাজধানী, মুম্বাই বাণিজ্য নগরী ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, পুণে এডুকেশান/স্টুডেন্ট সিটি, অন্যান্য শহরগুলোও ক্ষেত্রবিশেষে তাৎপর্য্যপূর্ণ। আমার মনে হয় এভাবে গুরুত্বভেদে শহরগুলোকে দায়িত্ব ভাগ করার মাধ্যমে de-centralization করা সম্ভব।
নতুন টেকনিক্যাল আপডেটের জন্য ধন্যবাদ। :rose2:
বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবতে গেলে চোখে অন্ধকারই লাগে। দেশের অর্থনীতি দুইটা ভয়ঙ্কর দেশের হাতে কুক্ষিগত। একদিকে সৌদি আরব – সর্ববৃহৎ জনশক্তি আমদানিকারক, আরেকদিকে আমেরিকা – সর্ববৃহৎ পোষাক আমদানিকারক। সবার মন যুগিয়ে চলতে হয় বাংলাদেশকে। কোথায় যাবে বাংলাদেশ?
@তুহিন তালুকদার,
অন্ধকার লাগে কি ? অলরেডি অন্ধকার ।
খুব সময়উপোযোগী লেখা।
আসলে কী পরিবার পরিকল্পনা বলে কোনো অধিদপ্তর আছে? অনেক আগে এদের কিছু কার্যক্রম দেখেছিলাম। থাকলেও নামে মাত্র আছে,কার্যতঃ কিছুই নেই। খুব ভালো লিখেছেন,ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
এটা এখনও আছে। তবে এ দপ্তরের সবাই এখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় কারন সরকারের তরফ থেকেই তো এ ব্যপারে কাজ করার কোন তাগিদ নেই।
আমি মনেকরি সরকারকে আন্তরিক হয়ে এসব বিষয়ে নজর দেয়া উচিত। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালীভীত গড়াতে যাযা দরকার সেসবের প্রয়োজনীয়তাগুলোকে মূল্যায়ন করে বুদ্ধিদীপ্ত মহলের কাছে সহযোগীতার জন্য আহ্বান করা, অথবা, সুচিন্তিতমতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয়তাগুলোকে তুলে ধরা। সবকিছুর জন্য, শিক্ষাক্ষেত্রে জোড় দেয়া উচিত। শিক্ষাব্যতীত অন্ধকারাচ্ছন্ন জগতকে আলোকিত করানো সম্ভব না। এ সম্পর্কে সরকারকে অবগতি করাতে, যদি সম্ভব হয় মুক্তমনার সকল সদস্যরা পিটিশন করে সরকারের বরাবর চিঠি পাঠাতে পারেন।
@জয়েন্টু,
শুধু শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করলে কাজ হবে বলে মনে হয় না । এখন জরুরী ভিত্তিতে কিছু করা দরকার। চীনের মত এক সন্তান নীতির বড় দরকার এখন। তাহলে যদি কিছু হয়।
@ভবঘুরে,
আপনি যা বলছেন তা সঠিক, কিন্তু প্রেক্ষাপথের দিকে যদি নজর দিই বাস্তবে হঠাৎ করে প্রয়োগ…কেনো যেনো অসম্ভবের সম্ভাবনা থেকে যাই। কেননা চীন যা পেরেছে বাংলাদেশে তা করতে পারাটা অসম্ভব। কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই ধর্মে যে কুসংষ্কার সেসব নিয়ে ব্যস্ত। বৈজ্ঞানিক প্রয়োগের উপর এখনো আস্থাশীল হতে পারেনি। তাই শিক্ষা কাঠামোতে সবধরনের বৈজ্ঞানিক চিন্তা-চেতনা প্রয়োগ করে কুসংষ্কারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। হঠাৎ করে চীনাদের মতো করে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনীতির এক খেলা হবে মাত্র। অভার অল সামাজিক ব্যবস্থার উপর ও খেয়াল রাখার জরুরীতা গুরুত্ববহ মনে করি।
@ভবঘুরে,
আমার মনে হয়, মোল্লা- মওলানাদের বিয়ে করার উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত। :hahahee: