ভূমিকা: সেই যে কবে ফরাসী ডাক্তার মরিস বুকাইলি একখানা বই লিখে বেশ কিছু পাগলের সাঁকো নাড়িয়ে দিয়েছেন; তার পর থেকে আজ অবধি সেই সাঁকো নাড়া নাড়ি থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই ই-মেইল, ফেসবুক, ব্লগ, কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় এসন শুনতে শুনতে, পড়তে পড়তে কান, চোখ সব পচে গেছে। এরকমই একজন সাঁকো নাড়ানো ব্লগার ইদানীং সামহয়্যারইন ব্লগে তার মনের মাধুরী মেশানো অখাদ্য একের একের পর এক উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। তাকে বলেছিলাম যে আপনার পোস্টে ভুল তথ্য আছে। উনি আমাকে বললেন পারলে যেন সেগুলো নিয়ে লিখি। তরাই ফলশ্রুতিতে আমার এই পোস্টের অবতারনা। লেখাটি আগে সামহয়্যারইন এবং আমারব্লগে প্রকাশিত। তবে বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনা করে মুক্তমনার পাঠকদের জন্য মূল বক্তব্য ঠিক রেখে কিছুটা সংশোধন করে লেখাটি মুক্তমনায় প্রকাশ করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মূল লেখা:
যে লেখাটির পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই লেখা সেটি হলো: মহাজাগতিক বিস্ময়গুলো সম্পর্কে আল-কোরআনের নির্ভুল তথ্যগুলো সত্যিই বিস্ময়কর!
লেখাটির মূল বিষয়বস্তু হলো আজ থেকে ৫ বিলিয়ন বছর পরে সূর্য্য শ্বেত বামন তারকায় পরিণত হবে এবং সেটা কোরানে সূরা আত্-তাকভীর- (81.At-Takwir // The Overthrowing) -আয়াত নং-০১ ও ০২ এবং সূরা মুরসালাত -(77.Al-Mursalat // The Emissaries)-সূরা নং-৭৭, আয়াত নং-৮ এ সুনির্দিষ্ট ভাবে বর্ননা করা আছে । কোরান এবং বিজ্ঞান উভয় বিষয়েই কিঞ্চিত ধারণা থাকার কারণে তার দেয়া ব্যাখ্যা পড়ে আমার আক্কেলগুড়ুম হয়ে গেছে। কিছু কিছু যায়গায় তিনি কোরানের ব্যাপারে একান্তই নিজস্ব মতামত জোর করেই চাপিয়ে দিয়েছেন এবং বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য চেপে গিয়েছেন তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।
আলোচনার সুবিধার্থে মূল লেখাটির সমালোচনা করে লেখা আমার এই পোস্টটাকে আমি দুভাগে ভাগ করেছি। প্রথম ভাগে সূ্র্য্য সম্পর্কে কোরানের ব্যাখ্যা সম্পর্কিত। আর দ্বিতীয় ভাগে বিজ্ঞানের ব্যাখা সম্পর্কিত। ধৈর্য্য ধরে যদি পুরোটা পড়েন তাহলে তার দেয়া ফাঁকিগুলি ধরতে কোন অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না, বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক ফাঁকিগুলি।
প্রথম ভাগ:: কোরান বিকৃতি
লেখকের উদ্ধৃত আয়াতগুলি দেখার আগে চলুন দেখে আসি সেই সময়ের মানুষের সূ্র্য্য সম্পর্কে কি ধারণা ছিলো, যা কোরনেও স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে।
সূরা নূহ (৭১), আয়াত ১৬
Ibn Kathir: And has made the moon a light therein, and made the sun a lamp
Muhsin Khan: And has made the moon a light therein, and made the sun a lamp?
Yusuf Ali: “‘And made the moon a light in their midst, and made the sun as a (Glorious) Lamp?
কুরানশরীফডটঅর্গ: এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরুপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরুপে।
এছাড়াও Sahih International, Pickthall, Shakir, ডাঃ জহুরুল হক, আশরাফ আলী খান তানভী সহ প্রত্যেকেই সূর্যকে একটি ল্যাম্প বা প্রদীপরুপে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
এই সূরায় নূহ তার সময়কার লোকজনকে আল্লাহ কিভাবে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন তার বর্ননা দিতে গিয়ে সূর্য্য এবং চাঁদকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এখানে পরিষ্কার ভাবেই দেখা যাচ্ছে প্রত্যেকেই একটি ব্যাপারে একমত আর সেটি হলো সূর্যকে আল্লাহ একটি বাতি হিসাবে সৃ্স্টি করেছেন। দ্বিমতের কোন অবকাশ নাই। এখন যে কোন বাতির একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটা জ্বলতে জ্বলতে এক সময় নিভে যাবে। দুনিয়াতে কোন কালেই মানুষ এমন কোন বাতি দেখেনি যার জ্বালানী শেষ হয়ে গেলে নিভে যায় না। এর মধ্যে মিরাকুলাস কোন ব্যাপার স্যাপার নাই।
এখন আসি ঐ লেখকের উদ্ধৃত আয়াতগুলি ব্যাপারে।
(৮১ : ০১) অর্থ- যখন সূর্য জ্যোতিহীন বা নিষ্প্রভ হবে;
(81 : 1)= When the sun will be lusterless or dim,
(৮১:২) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি স্তিমিত হবে বা [su]অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে।[/su]
(৭৭:৮) অর্থ:- যখন নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে বা আলোবিহীন হবে।
(77 : 8)= So when the stars will be extinguished.
উপরের আমার দেয়া আয়াতের সংজ্ঞার সাথে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ন। তেল ফুরিয়ে গেলে বাতির আলো যেমন আস্তে আস্তে জ্যোতিহীন বা নিষ্প্রভ হয়ে যায় সূর্যটাও তেমনি একদিন জ্যোতিহীন বা নিষপ্রভ হয়ে যাবে। এখানে পাঠককে দুটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলব যা বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বিষয়দুটো হলো সূরা ৮১:২ এ নক্ষত্ররাজি (সূর্য নয়, বরঞ্চ মহাবিশ্বের সমগ্র নক্ষত্ররাজি) আর “বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে” এ কথা দুটি। এখানে উল্লেখ করা বিশেষ প্রয়োজন “বৃহদাকৃতির ঢেলায় পরিণত হবে।” কথাটি লেখকের নিজস্ব সংযোজন যা উপরেল্লিখিত ৮ জন অনুবাদক সহ আর কারও অনুবাদে নেই। এটি তিনি সংযোজন করেছেন মুনির উদ্দীন আহমদের ‘কোরআনের অভিধান’ (অনুবাদ নয়) এর উপর ভিত্তি করে। ধরেই নেয়া যায় এটি তিনি করেছেন এই বিশেষ অর্থটি তার বিশেষ উদ্দেশ্যকে সাপোর্ট করবে বলেই। তবে এটি যে শেষ পর্যন্ত কোন কাজের উদাহরণ না সেটা আমরা বিজ্ঞান পর্বের আলোচনায় দেখব।
উনি বলছেন, “তাছাড়া ধীরে ধীরে যে আকাশে নক্ষত্রগুলো স্তিমিত হবে ও নিভে যেতে থাকবে অর্থাৎ অসংখ্য শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে তা আল-কোরআনে প্রদত্ত নিচের আয়াত দুটি থেকে বুঝে নেয়া যায়-”
…. “তারকাগুলোর জ্বালানী যে ধীরেধীরে ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং আলোবিহীন হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে অর্থাৎ অবশেষে শ্বেবতবামন অথবা নিউট্রন তারকায় পরিনত হচ্ছে, সেই ইংগিতটিই এখানে ফুটে উঠেছে। আবার (৮১:০২) নং আয়াতে ব্যবহৃত ‘ইনকাদারাত’-এর আরেকটি অর্থ ‘যা ময়লা যুক্ত’ এমন কিছু এবং ‘কাদারাতুন’-এর অর্থ ‘বৃহদাকৃতির ঢেলা’-এর মত কোন বস্তুপিন্ডকে বোঝান হয়েছে।
আলো নিভে যাওয়া পর্যন্ত ঠিক আছে। সূর্য্যের আলো একদিন নিভে যাবে কিন্তু এ থেকে অসংখ্য শ্বেত-বামন ও নিউট্রন-তারকার সন্ধান পাওয়া যাবে কিভাবে বোঝা গেল? এ দুটো শব্দ হঠাৎ করে তার ব্যাখ্যার মধ্যে আমদানী করার কারণ কি? কারণ আর কিছুই না পাঠকদের মনে একটি কনফিডেন্স সৃষ্টি করা। অনেকটা বর্তমান সময়ের বিজ্ঞাপনদাতারা যেমন তাদের পণ্যের জন্য একটি Catch Phrase তৈরী করে ক্রেতাদের মনে আস্হা তৈরীর চেষ্টা করে অনেকটা সেরকম। যেমন একটা উদাহরণ দেয়া যাক, ইদানীং হরলিক্সের বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে “হরলিক্স মনযোগ শক্তি বাড়ায় আর বাচ্চাদের করে তোলে আরও বেশি বুদ্ধিমান।” যেকোন সচেতন মানুষই জানে যে এটা একটা ‘বাখোয়াজ’ কথা। কিন্তু সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা নিয়ে ভাবে না। তাদের অবচেতন মনকে এই দুটি কথা আকৃষ্ট করে এবং তারা হরলিক্স কেনেও। আমাদের আলোচ্য শ্বেত বামন বা নিউট্রন তারার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। আপনি যদি বলেন সূর্য্য এবং সব তারাগুলো একদিন নিভে যাবে তবে সেটা কারও মনে তেমন প্রভাব ফেলবে না। কারণ এটা সবাই জানে, সব বাতিরই ক্ষেত্রেই এটা ঘটে। আর আপনি যদি বলেন কোরানে আছে সূর্য্য একদিন শ্বেত বামনে পরিনত হবে তাহলে তো কোন কথাই নাই। আপনি অবশ্যই কোরানের বৈজ্ঞানিকতায় বিশ্বাস করবেন। তার প্রমাণ আলোচ্য পোস্টে ৪২টি প্লাস। আরও একটি ঘটনা প্রমাণ হবে এটা দ্বারা। সেটা হলো নিরক্ষর কোন মানুষের পক্ষে যে এই কথা বলা সম্ভব না সেটা প্রমানিত হবে।
লেখক আরেকটি কাজ খুবই চতুরতার সাথে করেছেন। সেটি হলো প্রথমে তিনি মাটির ঢেলাকে কোরানের আয়াতের অর্থ বানিয়েছেন আর তারপর শ্বেত বামন বা নিউট্রন তারাগুলোকে মাটির ঢেলার সাথে তুলনা করেছেন। আর পায় কে!! শ্বেত বামন বা নিউট্রন তারাগুলো আদতেই মাটির ঢেলার মত কিনা সেটা যাচাই করতে তো আর কেউ যাচ্ছে না।
দ্বিতীয় ভাগ:: বিজ্ঞানের ধর্ষণ
লেখক আরও বলছেন: “(৮১:০১), (৮১:০২) ও (৭৭:০৮) নং আয়াতে ব্যবহৃত ‘যখন’ শব্দটি দ্বারা কিয়ামতের বেশ কিছু সময় পূর্বের কথা বোঝান হয়েছে। কারণ এই আয়াতগুলোর আগে ও পরে প্রতিশ্রুত বিচার দিবস ও কিয়ামতের বিষয়ে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। আবার (৮১:০১) নং আয়াতে সূর্য জ্যোতিহীন বা নিষ্প্রভ হয়ে যাবে বলে ইংগিত দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ তখন সূর্যের আলোর প্রচন্ডতা বর্তমানের তুলনায় অনেক কমে যাবে, তবে একেবারে নিভে যাবে না।” ………
“বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে তারকাগুলো শীতল ও সংকুচিত হয়ে ঘন ‘বস্তু-পিন্ডের’ আকার ধারণ করে এবং শ্বেতবামন ও নিউট্রন তারকায় পরিণত হয়। সুতরাং এ থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে যেমন ছাই বা ভস্ম তৈরি হয়, তেমনি তারকাগুলোর জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে যে ভস্ম বা ময়লা অবশিষ্ট থাকে তা উত্তাপহীন বা শীতল হয়ে মহাকর্ষীয় চাপে সংকুচিত অবস্থায় স্থিতি লাভ করে এবং ‘ঘন বস্তু-পিন্ড’ অর্থাৎ ‘কাদারাতুন বা বৃহদাকৃতির ঢেলায়’ (শ্বেতবামন অথবা নিউট্রন তারকায়) পরিনত হয়।”
এখান থেকে আমরা যে কয়েকটি তথ্য পাই তা হলো:
১) সূর্য্য এবং মহাবিশ্বের অন্যান্য সব তারাগুলো যখন শ্বেত বামন বা নিউট্রন তারায় পরিনত হবে সে সময়টা হলো কিয়ামতের বেশ কিছু আগে।
২) সকল তারাগুলো শ্বেত বামন বা নিউট্রন তারায় পরিনত হবে।
৩) শ্বেত বামনের আলোর প্রচন্ডতা সূর্যের আলোর চেয়ে কম হবে তবে একেবারে নিভে যাবে না।
৪) শ্বেতবামন অথবা নিউট্রন তারকাগুলো আসলে বৃহদাকৃতির ঢেলার সাথে তুলনীয়
৫) যে কথা নেইকো বলা আল-কোরানে। কি এই পয়েন্টটা দেখে অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। সাথে থাকুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আসুন আমরা পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আলোচনা করি:
১) আসলেই কি সূর্য্যটা যখন শ্বেত বামনে পরিনত হবে তার কিছুদিন পর কিয়ামত হবে? উত্তর হলো … আর ইউ ক্রেজী? শ্বেত বামনে পরিনত হওয়ার বহু শত মিলিয়ন বছর পূর্বেই পৃথিবী নামক গ্রহটার কোন অস্তিত্বই থাকবে না। লেখক তার লেখায় যেটা বলেনি সেটা হলো শ্বেত বামনে পরিনত হওয়ার কয়েকশ মিলিয়ন বছর পূর্বেই বর্তমানের মেইন সিকোয়েন্স স্টার সূর্য্যটা লাল দানব বা রেড জায়ান্টে পরিনত হবে। হাইড্রোজেন শেষ হতে থাকায় সূর্যের সারফেস তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং সূর্য্যের “আউটার এটমস্ফিয়ার” সম্প্রসারিত হতে থাকবে। কিন্তু ইনার কোর হবে প্রচন্ড উত্তপ্ত। সূর্য্যের সারফেস তাপমাত্রা কমে গেলেও সেটা স্ফীত হয়ে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হতে থাকায় তাপমাত্রা আরও বেশী অনুভূত হবে, উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে বহু বহু গুন বেশী। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কিছু পরেই পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ধ্বংস হয়ে যাবে। বায়ু মন্ডলের ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ধ্বংস হওয়ার সাথে সাথে সূর্য্যের তেজস্ক্রিয় রশ্মির কারণে জীবন্ত সবকিছু পোড়া কয়লা হতে সময় নেবে কয়েক মিনিট। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে জীবন্ত সব কিছু। পৃথিবীর বুকে প্রাণ বলে কিছু থাকবে না। আর সুর্য্যটা যখন পুরোপুরি রেড জায়ান্টে পরিণত হবে তখন বুধ, শুক্র এবং পৃথিবীকে গ্রাস করে নেবে তার সম্প্রসারিত গ্যাসীয় এটমস্ফিয়ার। এমনকি মঙ্গল গ্রহও সূর্য্যের মধ্যে বিলীন হয়ে যেতে পারে। রেড জায়ান্ট হিসাবে কয়েকশ মিলিয়ন বছর থাকার পর একদিন সুর্য্যের আউটার এটমস্ফিয়ারে একটি নোভা বিস্ফোরণ ঘটবে যার ফলে আউটার এটমস্ফিয়ারের সমস্ত গ্যাসীয় পদার্থগুলো ছিটকে পরবে মহাশূণ্যে। যাকে বলা হয় প্লানেটারী নেবুলা। রয়ে যাবে সূর্য্যের মূল কেন্দ্রটা যা কিনা আয়তনে এখনকার পৃথিবীর কাছাকাছি আয়তনের হবে। তৈরী হবে সূর্য্য নামক শ্বেত দানবের। আপনি কি এখনও কিয়ামতের আশায় বসে আছেন? লেখকের কথা অনুযায়ী আমরা কিন্তু এখনও সেই সময়ে পৌছাইনি।
নিচের ভিডিওটিতে সূর্য্যের লাল দানবে পরিণত হওয়ার পথে পৃথিবীর পরিণতি কি হবে সেটা দেখানো হয়েছে।
২) লেখক ৮১:২ এবং ৭৭:৮ আয়াতের উপর ভিত্তি করে বলছেন সকল তারাগুলি শ্বেত দানব কিংবা নিউট্রন তারায় পরিনত হবে। তিনি বলেননি যে সূর্য্যের চেয়ে আকারে অনেক অনেক বড় তারারা সুপার নোভা এক্সপ্লোশনের পর হয় নিউট্রন তারা কিংবা ব্লাকহোলে পরিনত হয়। তারাটার সাইজ এবং ভরের উপর ডিপেন্ড করে সেটা কি নিউট্রন তারা হবে নাকি ব্লাক হোল হবে। তবে আমাদের ডাক্তার সাহেব কেন ব্লাকহোলের কথা বললেন না? কারণ একটাই আর তা হলো কোনভাবে শ্বেত বামন কিংবা নিউট্রেন তারার সাথে মাটির ঢেলার মিল গোজামিল দিয়ে দেখাতে পারলেও ব্লাক হোলকে আপনি মাটির ধেলার সাথে তুলনা করতে পারবেন না। যদিও ব্লাক হোলের নামের মধ্যেই কালো শব্দটা আছে তবে তুলনা করতে গেলে সাধু সাবধান। আর লেখক জাতে মাতাল হইলেও তালে ঠিক আছেন। আমি এই লেখাটা শেষ করার আগেই উনি আরেকটি লেখা পোস্ট করেছেন।
“ব্ল্যাকহোল” সম্পর্কে নিখুঁত তথ্যগুলো আল-কোরআনে কিভাবে এলো?- তা সত্যিই ভাবায় কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপর হলো তিনি কোরান থেকে অনেকগুলো আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছেন তবে তাতে ৮১:২ কিংবা ৭৭:৮ এর কোন উল্লেখ নাই। কি তাজ্জব কথা!!!!
৩) শ্বেত বামনের আলোর তেজ কি সূর্য্যের আলোর চেয়ে কম? কখনই না বরং আরও বেশী। মেইন সিকোয়েন্স স্টার থাকার সময় সূর্য্যের হাইড্রোজেন যখন শেষের অবস্হায় তখন সূর্য্যের কেন্দ্র কলাপস করবে এবং আউটার এটমস্ফিয়ার এক্সপ্যান্ড করবে। তবে শ্বেত বামন হওয়া মূল কেন্দ্রের তাপমাত্রা সুর্য্যের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে এবং বিলিয়ন বিলয়ন বছর শ্বেত বামন হিসাবে থাকার পর সূর্য্যের তাপমাত্রা কমতে থাকবে।[sb] তবে মনে রাখবেন মাহফুজ সাহেবের কথামত কোরান কিন্তু শ্বেত বামন হওয়ার সময়কার কথা বলছে। তার বিলিয়ন বছরে পরের কথা নয়। [/sb] নিচে The Hertzsprung-Russell ডায়াগ্রাম থেকে আমরা দেখতে পাই সব শ্বেত বামনদের তাপমাত্রাই সূর্য্যের বা একই সাইজের মেইন সিকোয়েন্স তারাগুলোর চেয়ে থেকে বেশী হয়। The Hertzsprung-Russell ডায়াগ্রাম মহাবিশ্বের সব তারাদের উজ্জ্বলতা, আলোর তরঙ্গের স্পেকট্রাম, এবং তাপমাত্রার মধ্যকার তুলনামূলক সম্পর্ক দেখায়।
৪) শ্বেত বামন তারাগুলো মাটির ঢেলার সাথে তুলনীয়। আমি বাক রহিত। শ্বেত বামন তারার সারফেস টেম্পারেচার গড়ে ১০০০০ থেকে ৩০০০০ ডিগ্রী হয় যেখানে সূর্য্যের সারফেস টেম্পারেচার ৬০০০ ডিগ্রী। আর নিচের শ্বেত বামনটার ছবি দেখে কি আপনার কাছে ময়লা অন্ধকার মাটির ঢেলার মত লাগছে? যেহেতু সূর্য্যের শ্বেত বামন সূর্য্যের আয়তনের থেকে অনেক অনেক গুন ছোট হবে তবে তাই তার উজ্জ্বলতা কমে যাবে। মানে তখন আকারে ছোট হয়ে যাওয়ায় অনেক কম উজ্জ্বল মনে হবে। তবে সেটা দেখার জন্য পৃথিবীতে কেউ কি থাকবে? পৃথিবী নামক গ্রহটাইতো তখন থাকবে না।
৫) লেখক যে জিনিষটা কোরান থেকে বের করতে পারেননি তা হলো ২.২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্হিত এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি ঘন্টায় ৫ লক্ষ কিলোমিটার বেগে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির দিকে ছুটে আসছে। আজ থেকে ৩ বিলিয়ন বছর পরে সেটা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির উপর এসে পরবে। আমাদের মিল্কিওয়েটা ১ লক্ষ আলোক বর্ষ ব্যাপী বিস্তৃত। আর এতে আছে প্রায় ৪ বিলিয়ন নক্ষত্র। আর এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের থেকে দ্বিগুন বড়। সেই সময় সূর্য্যের মিল্কিওয়ের অরবিটের সম্ভাব্য অবস্হানের উপর ভিত্তি দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। এক সূর্য্যটা ছিটকে লক্ষ আলোক বর্ষ দূরে মহাশূণ্যের অন্য কোন এক অবস্হানে গিয়ে পরতে পারে অথবা দুই গ্যালাক্সির মিলিত কেন্দ্রে যেখানে চলতে থাকবে মূল পার্টিটা ঠিক তার মাঝখানে গিয়ে পরতে পারে। তবে ঘটনা যাই ঘটুক পরিণতিটা যে খুব একটা সুখকর হবে না সেটা মনে হয় বলে দিতে হবে না। এর চেয়ে বেশী বর্ননা করে পাঠকদের ধৈর্য্যচ্যুতি করতে চাই না। তবে আসলে কি ঘটবে সেটা যদি লেখক আমদেরকে কোরান ঘেটে বলে দিতেন তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম। আর এরও ২ বিলিয়ন বছর পরে সূর্য্যের শ্বেত বামন হওয়ার পর কিয়ামতের অপেক্ষায় বসে না থাকাটাই যে শ্রেয় হবে সেটা মনে হয় বলে দিতে হবে না।
যাই হোক, লেখাটা অনেক বড় হয়ে গেল। আশা করি পাঠকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেনি। তবে শেষ করার আগে আরেকটি কথা বলতে চাই। আমার উল্লেখকরা পয়েন্টগুলা ছাড়াও আরও বেশ কিছু ভুল তথ্য আছে তার পোস্টে। একটা উদাহরণ দেই। উনি বলেছেন, “সূর্যের চেয়ে অনেক বেশী ভরসম্পন্ন বড় বড় তারকাগুলো ইতিমধ্যে তাদের জ্বালানী জ্বালীয়ে শেষ করেছে।” কথাটা যে কতটা ভুল তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। আমাদের মিল্কিওয়েতেই আছে ৪ বিলিয়ন নক্ষত্র। এর বেশির ভাগই সূর্য্যের চেয়ে অনেক অনেক বড়। আর বাকি মহাবিশ্বের বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সির শত কোটি বিলিয়ন নক্ষত্রের কথা নাইবা বললাম। সব নিয়ে লিখতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে। তার নতুন পোস্টটিতেও এরকম অনেক ভুল এবং গোঁজামিল দেয়া উদাহরণ আছে। তবে সেগুলো নিয়ে লেখার প্রয়োজন হবে বলে মনে করিনা। আর আশা করব আজকের পর কোরানকে বিজ্ঞানময় প্রমাণ করার জন্য বিজ্ঞানের ধর্ষন বন্ধ হবে এবং সুস্হ্য বিজ্ঞান চর্চার জয় হবে। সবাই ভালো থাকবেন।
আদিল মাহমুদকে অনেক ধন্যবাদ। লিঙ্কটা গিয়ে পড়লাম। খুরে নমস্কার এইসব লোকেদের। কয়েক বছর আগে পড়া একটা লেখা মনে পড়ে গেল। একটি স্থানীয় হিন্দু গ্রুপের ছাপা পত্রিকায়। বিজেপি নয়। পশ্চিমবঙ্গের কিছু বাঙ্গালীদেরই তৈরী। ভদ্রলোক লিখছেন – “শিবমন্দিরের মাথায় কেন ত্রিশুলটা থাকে জানেন? বাজ পড়া আটকাতে! ভাবুনতো, সেই যুগে ভারতে বিজ্ঞানের কত উন্নতি হয়েছিল।” বুঝুন।
তবে হ্যাঁ। সামহোয়্যারে প্রায় প্রত্যেকেই ওই পোষ্টারকে তুমুল ঝাড় দিয়েছে।
পাশাপাশী এই স্যাম্পেলটা দেখুন।
তবে সবার ওপরে এরা। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত থ্রি ডি সুরক্ষা!
@হোরাস,
ডাক্তার হলেই মানবতাবাদী হয় না,আর মানবতাবাদী না হলে তাকে যথার্থ মানুষও বলা যাবে না। আমরা তো মাঝে মধ্যে দেখতে পাই কিছুকিছু ডাক্তার মূমূর্ষ রোগী রেখে নামাজের জন্য দৌড়ায়। রোগী মারা গেলে ডাক্তারের কিছু যায় আসে না কিন্তু নামাজ না পড়লে বেহেস্ত পাওয়া যাবে না। বেহেস্তে না যেতে পারলে হুর পাওয়া যাবে না। এদের মানবতা কোথায়। হোরাস,আপনি জেনেছেন উনি একজন ডাক্তার। আরেকটু খোঁজ নিয়ে দেখেন তিনি হয়তো শিবিরের ক্যাডার ছিলেন। ডাক্তারী চর্চার চেয়ে কোরান চর্চাই বেশী করেছেন।আর তাই কোরান আর বিজ্ঞানের পার্থক্য ধরতে পারছেন না।আবারো ধন্যবাদ আপনার সুন্দর লেখা ও মন্তব্যের জন্য।
ধন্যবাদ লেখককে। আমি মনে করি যারা ধর্মকারী(ধার্মিক নন), তারা দুই ভাগে বিভক্ত। একদল ঠকে আরেক দল ঠকায়। যার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে এই লেখা, তিনি শেষোক্ত দলের। ধন্যবাদ সবাইকে।
@বোকাবলাকা,
উনি একজন ডাক্তার। তবেই বুঝুন অবস্হা।
অন্য ব্লগ ও তার কিছু নির্দিষ্ট লেখকদের নাম ধরে ধরে সমালোচনা করে, এই মূল্যবান প্রবন্ধটাকে হালকা করে দেয়া হচ্ছে। লেখাটি প্রথম যখন অন্য একটি ব্লগে পড়ি তখন থেকেই ইচ্ছে হচ্ছিল লেখককে অনুরোধ করবো প্রবন্ধের ভূমিকা পরিবর্তন করে মুক্তমনায় লেখাটি দেয়ার জন্যে। কিন্তু পেছনের নানা প্রকার অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে আর অগ্রসর হই নি। রায়হান,মূর্শেদ, কুলদা রায় বা অন্য ব্লগের কোন বিষয়কে এখানে টেনে আনার বা হাইলাইট করার কোন প্রয়োজন মনে করিনা।
খোদার কসম কাউকে কটাক্ষ বা হেয় করার উদ্দেশ্যে বলছিনা, বলছি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবন্ধিটির স্বার্থে ।
@আকাশ মালিক,
একমত।
ব্যাক্তি তুলে গালাগাল চালিয়ে গেলে আর মুক্তমনার সাথে তাদের তফাত রইল কই?
বিষয়ভিত্তিক আলোচনাই কাম্য, তবে রেফারেন্স হিসেবে এ জাতীয় অন্য লেখাও আসতে পারে, তবে সেগুলির লেখকের প্রতি বেশী মনোযোগ অপ্রয়োযনীয়।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি যদি হয়রানের কথা বলেন, হয়রানের একটি পোস্টে চার পাঁচাটার বেশী বাক্যইতো থাকে না, ওর পোস্ট নিয়ে কি আলোচনা হতে পারে? আর ওর পোস্ট নিয়ে যদি কেউ টু দি পয়েন্ট আলোচনাও করে যুক্তি-তর্ক ও বিজ্ঞান দিয়ে, অ্যাবিউস খেয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়না ঐ আলোচনাকারীর? হয়রানের সাথে কেনো যুক্তি কিংবা বিজ্ঞান নিয়ে কথা হবে? হয়রানের সাথে বিজ্ঞানের কথা বলা হলে কি হয়রানের কোন আরোগ্য হয় নাকি উল্টো বিজ্ঞান ব্যাপারটাই প্যাথলজিক হয়ে পড়ে? খাঁটি, তাজা, গরম-গরম, সদ্যনিষ্কৃত, লিকুইড নাইট্রোজেন কনডেন্সড, কনসেনট্রেইটেড শূঁয়োরের বিষ্ঠা দ্বারা নিজের চোখ, কান, নাক, মুখ ও ত্বক উপর্যুপোরিভাবে সিলগালা করে নিয়েই তো একটা মুসলমানকে মুসলমান হয়ে ওঠতে হয় নাকি? সেই গোবরগাঁদায় বিজ্ঞান কে ঢালতে যাবে?
আর মজা পেয়ে গেলেই বা মানুষের কি দোষ বলেন? ব্যক্তির লেখার চেয় ব্যক্তিটাই বেশী মজাদার বলেই তো মানুষ মজা পাচ্ছে তাই না? আর মজা দিলে মানুষ মজা পাবে না কেনো কিংবা অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে মজা বাড়িয়েই বা নিবে না কেনো? মজা পেয়ে গেলে সেটা আটকে রাখার চেষ্টা করলে হয়তোবা মন্টিপাইটনের বিগাগডিগাসের মতো অবস্থা হয়ে যেতে পারে। সেটাতো হবে আরও বেশী মজাদার!
httpv://www.youtube.com/watch?v=2K8_jgiNqUc
@আকাশ মালিক, এই লোক নিজে একজন ডাক্তার। এই সমস্ত উচ্চ শিক্ষিতদের ভন্ডামী ধরতে হলে এদের সম্পর্কে পোস্টে কিছু না বলে আলোচনা করা খুব কঠিন। মুক্তমনায় দেবার আগে তাই আমাকে এ নিয়ে বেশ কসরৎ করতে হয়েছে। আমার মূল উদ্দেশ্যই ছিলো ভন্ডামীটা প্রকাশ করে দেয়া। তাছাড়া মুক্তমনার প্রায় সবাই আমার চেয়ে বিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে বলেই আমার ধারণা।
@হোরাস,
আপনার বেশ ভাল কিছু লেখা দেখেছি যেগুলো মুক্ত-মনায় আসে নি। আপনি একটা কাজ করতে পারেন। এই লেখাগুলো মুক্ত-মনায় আপনার নিজের ব্লগে দিয়ে দিতে পারেন ধীরে ধীরে যাতে মুক্ত-মনার পাঠকরা এগুলো পড়তে পারে। নিজস্ব ব্লগে প্রকাশ করলেও মুক্ত-মনায় পাতার বাম দিকে সাম্প্রতিক পোস্টে এই পোস্টের লিংক দেখায় তাই তা পড়তে কারো অসুবিধা হবে না। (নিজস্ব ব্লগে প্রকাশ করার সময় সব নিচে ‘শুধু নিজের ব্লগে প্রকাশ করেন’ বলে যে অপশনটা দেখায় ওখানে ঠিক মার্ক দিয়ে দিলেই হয়ে যাবে)।
ও হ্যা, আপনার লেখাটা যে অসাধারণ হয়েছে তা-ই বলা হয় নি। এ ধরণের লেখাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী। :rose2:
@সৈকত চৌধুরী, খুব ভালো একটা বুদ্ধি দিয়েছেন। আমার নিজের প্রিয় কয়েকটা লেখা আছে যেগুলোতে খুব একটা পরিবর্তন করার সুযোগ নাই। এভাবে সেগুলো মুক্তমনার পাঠকদের সাথে শেয়ার করা যাবে। :rose2: :rose2:
@হোরাস,
“ব্যধি ই সক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
ইনারাই তো অল্প শিক্ষিত/অশিক্ষিত সরল বিশ্বাসী লোকদের “বিশ্বাসের বুনিয়াদ” মজবুত করে! সরল প্রান মুসুল্লীরা উদাহরন দেয়, ‘ডাক্তার সাহেব বলেছেন, ইন্জিনিয়ার সাহেব বলেছেন, বিজ্ঞানী অমুক –‘, ইত্যাদি।
তবে ইনারা যে সবাই ভন্ড তা কিন্ত নয়। এদের অধিকাংশই সৎ এবং অন্ধ বিশ্বাসী। তারা যা বলে ও লিখে তা মনে-প্রানে বিশ্বাস করে। এ ধরনের বেশ কিছু “subject” এর সাথে আমার পরিচয় আছে। আলাপ করে বুঝেছি, “ধর্ম এবং বিজ্ঞান” এ দুটো বিষয়েই এদের জ্ঞান খুবই ভাসাভাসা। সে কারনেই এ ধরনের আবোল তাবোল লিখা এবং তর্ক করা তাদের জন্য সহজ।
এ ধরনের আরো বেশী লিখা আশা করি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যারা ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান খোজেঁ বেড়ায়। তাদের দিকে একটু মানবিক দৃষ্টিদিন আপনারা। এইভাবে খোঁচান কেন ওদের? বেচারাদের কি দুর্দশা না ধরতে পারছে ওরা বিজ্ঞানকে না পারছে ধর্মকে। তাই এই বিশৃঙ্খল অবস্থা। বরং ওদের সাইকোথেরাপির প্রয়োজন যাতে এক রাস্তা ওরা ধরে।
@সুমিত দেবনাথ,
ওদেরকে সাইকো থেরাপিই তো দিচ্ছি। 😀
আপনাদের নামে শক্ত অভিযোগ রয়েছে হোরাস। আপনারা বাঘা বাঘা নাস্তিকেরা তো সব চিকেন আউট করছেন। সদালাপের মোর্শেদ পাগলা আপনাকে অভিজিতকে চ্যালেঞ্জ জানায়। চ্যালেঞ্জ গ্রহন করাতো দূরে থাকুক, তার জ্বরা-ব্যাধির আখড়া ম্যালনিউট্রিয়েন্ট ভঙ্গুর মুসলমান দেহটি নিয়ে যে সে পৃথিবীর বুকে এখনও অস্তিত্ববান, একবার তার দিকে চোখ মেলে তাকিয়ে তার অস্তিত্বের স্বীকৃতিটা পর্যন্ত দেওয়ার সৌজন্যবোধটুকু প্রদর্শন করেন না আপনারা? মরো-মরো মোর্শেদ কি এতোটাই ক্ষুদ্রজীবী, এতোটাই মাইক্রোস্কপিক? তাকে খালিচোখে দেখতে পাওয়ার মতো চোখের জ্যোতিটুকু আল্লা আপনাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে বোধহয়। তবে জয় কিন্তু শেষমেশ মোর্শেদরই হয়েছে। সে বলছে- অভিজিত হোরাস আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেনি, অর্থাৎ বিবর্তন ডিফেন্ড করার কোন যুক্তি তাদের নেই, অর্থাত বিবর্তনবাদ মিথ্যা, অর্থাৎ আকাশে আমার কল্পনাকৃত গঁদাবাবার অস্তিত্বটি সত্যি, অর্থাৎ তার মনোনীত ধর্ম ইসলামই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, এবং ইসলামের পালের গোঁদা হয়রতই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্যাঙ্গলিডার, অর্থাত তার প্রিয় পানীয় উটের মূত্রই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে স্ব্যাস্থকর পানীয়, প্রতিদিন আমি একসের করে গরম গরম উষ্ঠ্রীমূ্ত্র পান করবো straight from the tap, শুধু আমি একাই নয় পৃথিবীর বাদবাকী সকল মানুষকেও এই পানিয় পান করতে হবে, যে এটা করবে না সে একজন ইসলামফোবিক। এইভাবে নিজ যুক্তির স্লিপারি স্লোপ বেয়ে মোর্শেদ অবশেষে চু-ই-ই করে হৃদয়ের সকল জন পরিজন নিয়ে হারিয়ে গেলো কোন ফিচেল পাতালে। কিন্তু, হায় তারপরও তো তার দিকে আপনারা একটিবারও দৃষ্টিপাত করার প্রয়োজনীয়তাটা বোধ করলেন না।
@আল্লাচালাইনা, এই পোস্টে আপনার প্রতিটা মন্তব্য পড়ে হা হা প গে :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@আল্লাচালাইনা, আমি সদালাপে যাইনা। তবে আদিল মাহমুদ এবং যুদ্ধদেবের মাধ্যমে আমি লিঙ্ক পেয়েছিলাম। এই মুর্শেদ সাহেবের লেখা আমি কস্মিনকালেও পড়িনি বা তার সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়াও নেই। তবে সে যে একখানা চীজ তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তার চ্যালেঞ্জ করার এত শখ থাকলে মুক্তমনা কিংবা আমার ব্লগে করেনা কেন বুঝতে পারলাম না। ]
হা হা…. আমি পরাজয় মেনে নিলাম :hahahee: :hahahee: তবে অভিজিৎ মেনে নেবে কিনা সেটা উনিই ভালো বলতে পারবে।
মাজে মাঝে মনে হয় ইশস যদি আপনার মত করে শক্ত করে কথা বলতে পারতাম তাহলে মনে হয় অনেক উটকো ঝামেলা থেকে রেহাই পেতাম। আমার জন্য একটু দোয়া কইরেন। 😀
@হোরাস,
পরাজয় হাসি মুখে মেনে নেওয়ায় ধন্যবাদ জনাব হোরাস চন্দ্র রায়।
@হোরাস,
আপনার মত মানুষই পরাজয় মেনে নিলো, আমি ত কোন ছাড়। 😀
আমার মনে পড়ছে, ক্রেগ ভেন্টর যখন কৃত্রিম প্রাণ তৈরির ক্ষেত্রে সফল হয়েছিলেন, তখন আমি একটা লেখা লিখেছিলাম। আমি জানি বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক অগ্রগামীতায় তাদের আঁতে ঘা লাগে। তারা তখন প্রাণপনে দেখাতে চান, ভেন্টরের কৃত্রিম প্রাণ, কিংবা স্টিফেন হকিং এর শুন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি সবই তাদের ধর্মসম্মত! আলমুর্শেদ ভেন্টরকে দাজ্জাল বানিয়ে দিয়ে সদালাপে লিখেছিলেন –
:lotpot:
তো এ লোকের সাথে তর্ক করবে কে বলুন? মুর্শেদের লেখা কিংবা মন্তব্য পড়লেই আমার মার্ফির সূত্রটির কথা মনে পড়ে –
“Never argue with an idiot, people may not be able to tell the difference.”
@অভিজিৎ, হা হা হা … কোরানকে বিজ্ঞানময় প্রমাণ করার জন্য এরা যে কোন ধরণের বেকুবি করতেও প্রস্তুত। এতেই প্রমাণ হয় যে কোরান সত্যি। 😉
@হোরাস,
মুক্তমনায় তো উনারা প্রতি সেকেন্ডে আমাদের যুক্তিখন্ডন করে মন্তব্য পাবলিশ করছেন, এডমিন মহাশয় কোন এক রহস্যময় কারণে তা প্রকাশ করছেন না(প্রমাণ চাহিয়া লজ্জা দিবেন না)। আমারব্লগে আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সবাই সাধারণত উনাদের উপর গালিবর্ষণ করে থাকেন(রায়হান সাহেবের বহুবিবাহ জায়েজ করা নিয়ে আমারব্লগে ক্যাচালটা দেখছিলেন নাকি?)। চারপাশে এখন ইসলামবিদ্বেষের ছড়াছড়ি, নিজেদের ডিজিটাল ইসলামিক হ্যাভেন ছাড়া উনারা কোথাও নিরাপদ নন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, হাদিস-কোরান ঘাটলে কেয়ামতের ঠিক আগে আগে মুসলমানদের বাঁচানোর জন্য সদালাপ.কম সাইটের আগমনের ইঙ্গিতও খুজে পাওয়া যাবে।
@পৃথিবী, 🙂
আমি অন্য ব্লগে ঢু মারা শুরু করার আগে বাংলা ব্লগে ওনাদের অবস্থান ঠিক জানতাম না, তাই ওনাদের গালিগালাজ ওয়ালা লেখা পড়লে বেশ রাগ হত আগে। পরে যখন আবিষ্কার করলাম ওনাদের মানুষে, বিশেষ করে যেই ধর্মের কারনে ওনাদের এত আক্রোশ সেই ধর্মের সাধারন ধার্মিকেরাই ওনাদের কি চোখে দেখেন তা জানার পর থেকে ওনাদের ওপর আর রাগ করতে পারি না 😀 ।
করুনাই হয়।
@পৃথিবী,
আমিতো কোরানে জোকার নায়েকের কথা খুঁজে পাইছি। খুবই দোটানার মধ্যে আছিরে ভাই। 😛
:guru: :clap2:
দারুন পোস্ট। কিছু ধান্দাবাজের শুরু করা ট্রেন্ডে সব ভেড়ার দল গড্ডলিকা প্রবাহে ভেসে যাচ্ছে।
গতদিন আমার ছাত্রীকে কথায় কথায় বলছিলাম বিবর্তনের ধারায় কখন থেকে মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হওয়া শুরু হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তখন সে আমাকে জানালো যে সে বিজ্ঞানকে অনেক শ্রদ্ধা করে কিন্তু বিবর্তন মানলে কবিরা গুনাহ হবে কারণ আল্লাহ বলেছেন তিনি আদমকে সঠিক রূপেই পাঠিয়েছেন, বিবর্তনের ধারায় নয়।তাই এক্ষেত্রে যতই প্রমান থাকুক ঈমান নষ্ট করা যাবেনা। যাহোক তখন সে জানালো সে বিজ্ঞানকে শ্রদ্ধা করে আরেকটা কারণে। তা হল বিজ্ঞানীরা যেকোন আবিষ্কার করার আগে নাকি কুরানটা একবার ঘেঁটে নেয় :lotpot: :rotfl: সুতরাং বিজ্ঞানের আবিষ্কার আসলে কুরানের কথারই প্রতিধ্বনি। আমি হাসি গোপন করে বললাম তাহলে যেসব মুসলমানেরা সারাদিন কুরান পড়ে তারা তো অনেক কিছু আবিষ্কার করে ফেলত। তখন সে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করল যে তার কথা সত্যি কারণ সে তার এক বন্ধুর ব্লগে এটা দেখেছে (তার বন্ধু বিজ্ঞানের ব জানে বলে তো মনে হয়না)। আমি বললাম যে আমি অনেক কুরান হাদিস পড়েছি আর বিজ্ঞানও মোটামুটি জানি। আমি তো এমন কিছু পাইনি। তখন সে তার জটিল ডায়লগটা ছাড়ল। “বাংলায় কুরান পড়লে তো বুঝবানা। ভালভাবে বুঝার জন্য আরবীতে কুরান পড়তে হবে” আমি মনে মনে কল্পনা করার চেষ্টা করলাম যে সব বিজ্ঞানীরা হুজুরদের কাছে দলে দলে আরবী শিখতে যাচ্ছে মাদ্রাসায়, আর ল্যাবে বসে রাত জেগে কুরান পড়ছে।তবে ডারউইন মনে হয় কোন বজ্জাত হুজুরের কাছে গিয়েছিল যে ডারউইনকে কে আরবী পড়ানোর সময় পাশের বাসার ৬ বছরের মেয়েটিকে নগ্ন অবস্থায় কল্পনা করছিল আর কুৎসিত বাঁদরের মত দেখতে বড় বিবিদের চৌকিদারির যন্ত্রনার কথা ভাবছিল । তাই ডারউইনের মাথায় মানুষ আর বাঁদরের মাঝে মিল আছে এ ভুল ধারণাটা ঢুকে গিয়েছিল।তাই তো সে বিবর্তনের মত অবৈজ্ঞানিক(!) তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিল। হতভাগা ডারউইন মনোযোগ দিয়ে নামাজ কালাম পড়তোনা দেখেই তো আল্লাহ তার ভুল ভাংগাননি, তাই ওই ব্যাটা চিরকাল পুড়ুক জাহান্নামের আগুনে।
@লীনা রহমান, উল্টাটাওতো হতে পারে। ডারউইনের দাড়ি ছিলো, হয়তোবা সে ছিলো একজন ক্লজেট মুসলিম যে কিনা আমাদের পক্ষ থেকে গুপ্তচরবৃত্তি করে বিবর্তনবাদ নামক তার আজব তত্বটি কৃস্টান সমাজে প্রচার করে ব্যাপক প্রসার পেয়ে সমস্ত কৃস্টানকে গাফেল করে দিয়েছে। তারা বিবর্তন নিয়ে মেতে আছে আর আমরা মুসলমানরা সেই সুযোগে কোরান চোরান ঘেটে এইযে ধরুন বিগব্যাং, তারপর ব্লাকহোক, হোয়াইট ডোয়র্ফ ইত্যাদি সব যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেলছি? btw আপনার ছাত্রটি আমার ছাত্র হলে ঠোয়া মোয়া যেতো বোধহয় দুই এক ঘা এতোদিনে, পুরোনদিনের মতো 🙂 ।
@আল্লাচালাইনা,
কি করব ভাই। পেটের দায় 😉
@আল্লাচালাইনা,আমাদের এই ডাক্তার কোন ঐ পোস্টে এক কমেন্টে (২২ এর উত্তর) কি বলেছে দেখেন:
@হোরাস
ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে।
– অন্তত এই অংশটা কিন্তু ডাক্তার সাহেব ঠিকই লিখেছিলেন, এতে তেমন সন্দেহ নেই। এসব লেখার মূল অনুপ্রেরনা তো সেখানেই।
@হোরাস, আমার দেয়া লিঙ্কে এক লোক কমেন্ট করছিল
স্বাভাবিকভাবেই উনি পিছলাইছিলেন :hahahee:
@লীনা রহমান,
কথায় আছে, শিক্ষিত মায়েরা নাকি শিক্ষিত জাতি উপহার দেয়। আপনার ছাত্রীটি বা ভবিষ্যতের এক মায়ের যদি এই অবস্হা হয় তবে সে তার সন্তানদের কি শিক্ষা দেবে? এদের জন্যই এধরনের লেখাগুলিকে আমরা উপেক্ষা করতে পারিনা বা করা উচিৎ না। যদি সম্ভব হয় তবে আপনার ছাত্রীটিকে আমার এই লেখাটি প্রিন্ট করে পড়তে দেবেন। জানতে চাইবেন তার প্রতিক্রিয়া।
আর একটা কথা, যার লেখা নিয়ে আমার এই পোস্ট উনি একজন ডাক্তার। তাহলে এবার ভাবুন অবস্হাটা।
@হোরাস,
এটা মনে হয় সম্ভব হবেনা। আমি যখন পড়াতে যাই তখন ক্লান্ত থাকার কারণে মন মেজাজ ভাল থাকেনা। আর এই লেখা পড়ার পর আন্টি আর আমার ছাত্রী মিলে আমাকে যে বয়ান দেবে তা আমার সইবেনা। জানেন তো তালগাছবাদীদের যুক্তির (!!!) অভাব হয়না। এখন যেহেতু আমার এনার্জি নাই তাই আপাতত এই পরিকল্পনা বাদ থাক। হয়ত পরে এক সময় তার সাথে কথা বলা যাবে। এভাবে এড়িয়ে যাওয়া আমারো পছন্দ না তবে কখনো কখনো এড়িয়ে যেতে হয়।
তিন ধরনের লোকেরা কোরান বা ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান পায়-
মূর্খ্য ( যাদের বিজ্ঞানে বুৎপত্তি নেই-উদাহরন সদালাপী পি এই চ ডি),
পাগল ( আগে দুই এক পিস ছিল-এই ফোরামেও আছে-নাম বলছি না)
আর ধান্দাবাজ ( বুকাইল, জাকির নায়েক ইত্যাদি)। এদের সাথে এক সময় এই সব ব্যাপার নিয়ে তর্ক করেছি ভাবলে খুব আফশোস হয় কিভাবে জীবনের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করেছি। এক সদালাপী পি এউ চডি ডিগ্রিধারী ছাগল যার বিজ্ঞানে নুন্যতম জ্ঞানটুকুও নেই, তার সাথে তর্ক করতে ৮ টা খন্ড লিখেছি! ভাবা যায়-কি অপচয় ওই সব ভুলভাল লোকেদের পেছনে সময় নষ্ট। এখন মুলচেকা দিয়েছি-গাধাকে গাধার স্বরেই সব থেকে ভাল চেনা যায়-তাই তাদের গাধামো করতে দিন।
@বিপ্লব পাল, হা হা … আপনার মত আমাকেও মনে হয় ঠেকেই শিখতে হবে। ইগ্নোরতো করতেই পারি তবে সাধারণ Gullible পাঠকদের কথা ভেবেই এত কষ্ট করা।
@হোরাস, :yes:
@বিপ্লব পাল, কাউকে না কাউকে নোংরা কাজটা করতেই হবে, নয়ত আবর্জনায় সবকিছু ছেয়ে যাবে।
@ হোরাস ভাই- মুক্তমনায় কিন্তু অন্যত্র প্রকাশিত লেখা পোষ্ট করার নিয়ম নেই। এরপর থেকে মুক্তমনায় কোন লেখা পোষ্ট করতে চাইলে আগে এখানে প্রকাশ করে পরে অন্য কমিউনিটি ব্লগে শেয়ার করতে পারেন(তবে ব্যক্তিগত ব্লগের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটে না)।
@পৃথিবী,
দেখুন লেখক কি বলেছেনঃ
আমার যতদুর মনে পড়ে, অভি দা একবার কূলদা রায়কেই বোধ হয় বলেছিলেন কিছুটা সংশোধন করে অন্য ব্লগে পোষ্ট করা লেখা মুক্তমনায় দিতে,
যদি একান্তই জরুরি হয় বা এই জাতীয় কিছু।
এখানে লেখক মুক্তমনার নীতিমালা সম্পর্কে জানেন বলেই আমার মনে হয়েছে। আগে কোন কোন ব্লগে লেখাটি প্রকাশিত তা লেখক নিজেই বলেছেন।
এর পরও এবিষয়ে কিছু বলার থাকলে সেটা মডারেসনের তরফ থেকে হলেই সবচেয়ে ভাল হতো।
@আতিক রাঢ়ী, আমারও তাই মত। যদিও এই ব্যাপারে কথা বলার আমি কেউ নই, তবেআমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে হোরাসের লেখা বিজ্ঞানকে ডিফেন্ড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এমন প্রতিটি ফোরামেরই নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করে কয়েকদিন স্টিকি করে রাখা উচিত। কুলদা রায়ের লেখা আর হোরাসের লেখার মধ্যেও বিস্তর ফারা রয়েছে বলে মনে করি। কুলদা রায় লেকা দিয়ে পুরো ব্লগ বিষিয়ে দেয়, অপরপক্ষে হোরাসের লেখা আলোচনা সামালোচনা হাস্যরস কৌতুক সবকিছুর যোগান দিয়ে ব্লগে প্রাণের সঞ্চার করে খানিকটা। আমি মনে করি হোরাসের লেখার রয়েছে মোটামুটি সর্বস্তরের মানুষের কাছেই পৌছতে পারার একটা ক্ষমতা, এবং অন্তত সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হলেও মুক্তমনায় তার লেখা থাকা উচিত, যেহেতু বাইরের প্রচুর মানুষও মুক্তমনার পাঠক। 🙂
@আল্লাচালাইনা, আপনাদের কাছ থেকে এতটা প্রশংসা পাব কখনও ভাবিনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :rose2: :rose2:
@পৃথিবী, আমার এই পোস্টটি যেহেতু অন্য একটি ব্লগের লেখার উপর ভিত্তি করে লেখা দেয়া তাই সেখানেই আগে দেয়াটা সমীচিন মনে করেছি। আর তাছাড়া এখানে দেয়ার আগে আমি অভিজিত রায়ের সাথে আলাপ করে নিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
@বিপ্লব পাল, লালগোল্লা হয়রানের কথা বলছেন বুঝি? ও যদি আজকে বাংলা ব্লগে লেখা টেখা বন্ধ করে দেয় আমার মতো ব্যথিত বোধহয় আর কেউ হবেনা। আমি যে কতোটা উতসাহের সাথে ওর লেখা পড়ি বলে বোঝানো যাবেনা। সেদিন বিকালে দেখি সদালাপে ঢোকা যাচ্ছে না। কতোটা মনোকষ্টে যে পড়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম আমার মতো কোন সশস্ত্র নাস্তিক কি সাইবার হামলা চালিয়ে গোটা সদালাপই গদাগাপ করে দিলো? দিলে তাকে আমি কেয়ামত পর্যন্ত লানত দিয়ে যেতাম। আর গোল্লাবাবা হয়রান যুক্তিগুলা যে দেয় মাশাল্লা। আমি জমিয়ে জমিয়ে পড়ি। একদিন একটা একটা করে যুক্তি পড়ে রেখে দেই পরবর্তীটি কালকে পড়বো বলে। হয়রানের পোস্ট কিন্তু আবার মিস করা সম্ভব না চাইলেও। হয়রান একবার একটি পোস্ট লেখে, অন্যের পোস্টে আবার নিজের সেই পোস্ট মন্তব্য আকারে দেয়, এভাবে যতো বেশী সংখ্যক বার একটা পোস্ট দেওয়া যায় ততোবারই দেয়। পোস্টগুলো ছোটছোট তো এটে যায় মন্তব্যের ঘরে। আর না আঁটলে ইউটিউব ভিডিও দুইটা কম দেয়। যেমন পরিবেশ তেমন অভিযোজন you got to be clever। হয়রান নাকি দাবী করে ওর দেওয়া ‘হয়রান’ নামটা মুক্তমনা কর্তৃক দেওয়া। আমার তার অভিযোগ সত্য বলে মনে হয়নি। বস্তুত রায়হান হচ্ছে এমন একটা নাম ব্যাকগ্রাউন্ড মিউটেশনে পড়েই যেটার কিনা ‘হয়রান’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক! কিংবা মিউটেশন যদি তার কাজ এমনকি নাও করে, একটি জনসমাবেশে আমার মতো দুই একজন ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার উপস্থিত থাকারও সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে যারা কিনা সবলেই রায়হানকে ‘হয়রান’ বানিয়ে দিবে মিউটেশন সিলেক্সনের কোন তোয়াক্কা না করেই। হয়রানের লেখালেখি অব্যাহত থাকুক আল্লার কাছে এই দুআই করি।
@আল্লাচালাইনা, আমি হয়রানের কোন লেখা আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়তে পারিনি। আল্লাহ আমাকে সেই তৌফিক দেননি। উনার লেখা পড়তে পড়তে যখন বুকে ব্যাথা উঠে যায় তখন লেখা পড়া বাদ দিয়ে কমেন্ট পড়ি। আর হাসতে হাসতে পড়ে যাই চেয়ার থেকে। :lotpot:
@লীনা রহমান,
কি যে কন। সদালাপ আমার বিশুদ্ধ এন্টারটেইনমেন্টের জায়গা। মাথা খুব জ্যাম হয়ে গেলে বিশুদ্ধ বিনোদনের জন্যে আমি ওদের ওখানে ঢুঁ মারি। ওখানকার লেখকরাও জানে না, ওদের গ্যালারী শো আমাদের খুব পছন্দ।
@বিপ্লব পাল, আমি আসলে সময় পাইনা এসব বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার। তবে আমার এক বন্ধু এসব ব্লগে নিয়মিত যায় বলে তার বদৌলতে বাড়াবাড়ি বিনোদনমূলক কাহিনিগুলো মিস হয়না। 😀 তবে আমার একটি প্রশ্ন,আমাদের মত নাফরমানদেরকে যারা বিনা পয়সায় এভাবে মজা দিচ্ছে তারা কোথায় যাবে? বেহেস্তে না দোজখে? ইস আমি দোজখে তাদেরকে খুব মিস করব।ওখানে বসে বসে আমরা সবাই মনে হয় আমাদের হারিয়ে যাওয়া এই সব দিনের কথা মনে করে গান গাবো “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম” 😛
@লীনা রহমান,
হয়রানের লেখা পড়তে না পারলে বলাই বাহুল্য জীবনের সুধাপাত্র হতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুমুক আপনি মিস করছেন। কষ্ট না করলে তো আর কেষ্ট মিলেনা। হয়রানের লেখা পেইনফুল এটা সত্যি, তবে পড়তে যদি পারেন মোটামুটি ভালোই মজা পাওয়া যায়, মানে সত্যি সত্যিই হাসি আসে, সিরিয়াসলি। আর সেইটা হয় একটা ভিন্ন ধরনের হাসি। প্রথম প্রথম রাগ লাগে মনে হয় ক্যাতক্যাতায় দুই ঘা উষ্টা দেই ধরে, তবে মাঝামাঝি এসে রাগে দুঃখেই হাসি লাগে। পড়ে দেখতে পারেন। স্ক্রিনশট আর ইউটিউব ভিত্তিক পোস্টগুলো পড়া কঠিন সত্যি। তবে কালেভদ্রে ছোকড়া দুই একটা বড় বড় লেখাও লিখে। এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন। পোস্টের লেয়াউট দেখলেই আমি নিশ্চিত হাসতে হাসতে মরে যাবেন। দুইটি ইউটিউব ভিডিওর মাঝখানে একটা করে করে প্যারা। সেই প্যারার টাইটেল আবার ‘বিনোদন-১’, ‘বিনোদন-২’ এইরকম, যেনো এগুলো একেকটা সদরঘাট-টু চাঁদপুর স্টিমারের নাম। সেটা আবার লিখা গোলাপী রং দিয়ে :lotpot:। নিচে দেখবেন যে একটা লেজওয়ালা মানুষের ছবি, মানুষের লেজটা আবার লালগোল্লাবদ্ধ হাইলাইটেড, ভুলক্রমেও যাতে কারও দৃষ্টি এডিয়ে না যায়। আরও নীচে আছে স্ক্রীনশটগুলো, লালগোল্লা কোথায় কোথায় বসছে এটা খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল করবেন। এইতো। শুভ প্রমোদবিহার 😀 ।
@আল্লাচালাইনা, দেখলাম তাদের বিনোদন। আহারে বেচারা হোরাস চন্দ্র রায়(!!) সে যে কাফের মূর্তিপূজক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত তা জেনে বড়ই মর্মাহত হইলাম। ইসলামে যেহেতু বলা আছে বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবেনা তাই তার সাথে তো এখন থেকে কথা বলা যাবেনা। আপনার নাম আবার আল্লাচালাইনা জন বেনেডিক্ট টাইপ কিছু না তো? 😛
কঠিন বিনোদন। আমি এখন থেকে সদালাপে ঢুকব সময় পেলেই।
এবার যে লেখকের লেখার ভিত্তিতে এই লেখা তার আরেকটি অমর লেখার লিঙ্ক দিলাম।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Mahfuzhappy/29261752#c5422804
বিঃদ্রঃকমেন্ট পড়লে বেশি মজা পাবেন। বুঝতে পারবেন নাস্তিকদের কাছে বিদেশ থেকে আমদানি করা যত উন্নতমানের ভস্মই থাকুকনা কেন তালগাছবাদীরা আল্লাহর নাম নিয়ে আল্লাহর অসীম কুদরতে পিছলাতে সফল হবেই। 😉
কিভাবে যে বিজ্ঞানকে অপমান করা হচ্ছে। দেখে রাগও লাগে হাসিও পায়।মানুষের সাথে কত বড় প্রতারণা! আর কিছু মানুষও এমন প্রতারিত হবার জন্য মুখিয়ে আছে চোখে পট্টি বেধে। :-Y
@লীনা রহমান,
খুবই মর্মাহত এবং মনোকষ্ট পাইলাম। 😥
@হোরাস, ভাই কথা কওয়া যাবেনা কিন্তু কথা লেখা যাবেনা এমন কোন কথা তো বলা নাই। মুক্তমনা আছে কিজন্যে? 😀
আর আপনারে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া তো জায়েজ আছে। তাই দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার ফাকে ফাকে লুকায় লুকায় আপনার থেকে কাফেরি কিছু কথা-বার্তাও শুইনা নিমুনে। পরে নাহয় বুড়া বয়সে হজ্ব কইরা তওবা পইড়া আসলাম। :rotfl:
আপনার ধৈর্যের প্রশংসা না করে পারছি না, এই প্রলাপের পেছনে এতটা সময় ব্যয় করেছেন। তবে এটার প্রয়োজনও অস্বীকার করা যায় না।
আপনাকে বা এখানে অন্য যারা ইসলাম বিশেষজ্ঞ আছেন তাদের কাছে প্রশ্ন: ইসলামের epistemology টা কি? ইসলাম-মতে, সত্য বা জ্ঞান কি ও তা কিভাবে জানা যায়? এই পোস্টের সাথে এটা tangentially জড়িত বলে প্রশ্নটা করে ফেললাম।
@রৌরব,
সহমত। কাওকে না কাওকে এসব প্রলাপের উত্তরদিতে হবে, নইলে সবকিছু ওদের দখলে চলে যাবে। ধন্যবাদ লেখককে।
@আতিক রাঢ়ী,
এই লেখা দেখেই এত ক্ষীপ্ত হচ্ছেন?
জ্বীনের কোয়ান্টাম ব্যাখ্যার ব্যাপারে কি বলবেন?
@আদিল মাহমুদ, তবে আপনাকে ঐ ব্লগারের কল্পনা শক্তির প্রশংসা করতেই হবে। গাঞ্জা খেয়েও কারও পক্ষে এরকম লেখা সম্ভব না যদি না তার ব্রেন অলরেডি “বিশেষ” জ্ঞান দ্বারা ফ্রাইড না হয়ে থাকে।
@আদিল মাহমুদ,
“জ্বীনের কোয়ান্টাম ব্যাখ্যা” পড়লাম। পইড়া “আল্লাগোওওওওওওওওও” বলে একটা চিক্কুর দিলাম। এই ধরনের লিঙ্ক দেয়া মোটেও উচিত না। আপনি কি জানেন আমি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারতাম??? 😛
আমার এক বন্ধু অন্য ব্লগে নিয়মিত যায়, আমি ওর কাছে এই টাইপ লেখার কাহিনি নিয়মিত শুনি।(অবশ্য ভাল লেখার কথাও যে কম শুনি তা নয়) আহারে বেচারা বিজ্ঞান!!! এরা কি নিষ্ঠুরভাবে একে বলাৎকার করে!!!
দুঃখিত। এই লিঙ্কটা দেয়ার লোভ সামলাতে পারলামনা
জ্বিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন (জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস) বইটি পড়ুন
http://www.somewhereinblog.net/blog/MAINUDDINbd/29233586
:hahahee:
@লীনা রহমান,
🙂
অনেক ধন্যবাদ। এই জাতীয় জ্ঞানের পুস্তকে আমার আগ্রহ অসীম। নিজের জ্ঞান স্বল্পতা হেতু কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বিবর্তনবাদের মত নাফরমানি অপবিজ্ঞান বুঝি না।
নিজে ভোজন রসিক বলে জ্বীনের খাদ্য সম্পর্কে কিঞ্চিত কৌতূহল হয়েছিল। দেখলাম বেচারাদের কপালে জান্নাতেও খানা খাদ্য নেই, তাদের নাকি খাওয়া দেওয়া হবে না। ডাউনলোড করে নিয়েছি, সময় করে পুরো পড়ে ফেলব ইনশাল্লাহ।
কত সূস্থ মাথার পাগলে দিব্ব্যী আশে পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কে খবর রাখে, বড়ই আফসোস।
@আদিল মাহমুদ,
চাচা হলেও আপনার ভোজন রসনার উপর আমার আস্থা একটু কম। আমার ধারণা আপনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন জ্বীনেরা আলুর সিঙ্গারা খায় :guli: :guli: ।
@লীনা রহমান, পাকিস্হানের পারমানবিক প্রোগ্রামের প্রাণপুরুষ সুলতান বশিরউদ্দীন মাহমুদ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হককে দিয়ে জ্বিন বিষয়ক একটি প্রজেক্ট শুরু করেছিলেন। তিনি এনিয়ে পেপারও লিখেছিলেন। পেপারের মূল বক্তব্য এরকম ছিলো: জ্বিনরা যেহেতু নূর বা আলোর তঐরী (ঐ কার দিতে পারছি না) তাই তাদেরকে ধরে বন্দী করে এনার্জী ক্রাইসিসসের সমাধান করা যেতে পারে।
এখানে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবরের লিঙ্ক দিলাম।
@হোরাস,
আমি চিন্তাই করতে পারছিনা এমন একজন nuclear scientist -এর পেপারে এ ধরনের হাস্যকর ফালতু বক্তব্য থাকতে পারে। ধন্যবাদ, লিঙ্কটি কাজে লাগবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ধর্ম যে কত ইফেক্টিভ এক নেশার বস্তু তার প্রমাণ এর চেয়ে বেশী কি হতে পারে?
@হোরাস,
পড়ে আবারো চিৎকার দিলাম। আল্লাগোওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওওও
খামাখা আমাদের দেশ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হইল।নইলে তো জ্বিন বেইচাই বড়লোক হইয়া যাইতাম। আচ্ছা এই বিজ্ঞানীকে কিডন্যাপ করে wএদেশে এনে বাংলাদেশের জ্বিন নিয়ে গবেষণা করতে বলা যায় না? :-/
@লীনা রহমান,
উনি মনে হয় গবেষনার স্বার্থে নিজেই এখন জ্বীনদের রাজ্য ওকাব দেশে চলে গেছেন, নইলে কমান্ডো পাঠিয়ে চেষ্টা চালানো যেত।
ছোটবেলায় মোল্লা মাওলানাদের কাছে শুনতাম যে জ্বীনরা থাকে সাগরের ঐ পারে, ওকাব দেশে। তাদের বাদশাহ হলেন সোলায়মান।
@আদিল মাহমুদ,ওকাব না, খুব সম্ভব দুনিয়ার জ্বীনের দেশ ইউ, এস, এ চাপ দিয়ে ওনারে নিজ ঘরে আটকে রাখছে।দয়া করে বলবেন না যে, উনি অনেক কাজ করার পর পরিবার কে সময় দেয়নি তাই আমেরিকা বুঝতে পেরে ওনাকে পরিরাবে মনোযোগ দেয়াচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস নিজ দেশেও বায়াসড খবরের জন্য পচা। ওনাকে পাগল কেন বলে যানেন? উনি বলছিল যে, পাকিস্তানের পারমানবিক বোমা সকল মুসলিম দেশের জন্য।সবাই যখন তেলের জন্য মুসলিম আরব দেশে যা তা করে তখন মুসলিমদের পক্ষে কিছু করেতে গেলেই সব শেষ, বিজ্ঞানী হলে পাগল আর সাধারন হলে টেরোরিস্ট। একজোট হয়ে এত জুলুম করলে ভিকটিম দল কি করবে? আলোচনা হয় না,সমালোচনা হয় না,দাবী শুনে না তো কি করবে মানুষগুলো??আসলে নিজেদের আসল চেহারা ঢাকতে এখন মুসলিম জুজু বের করছে,মুসলিম রা ওদের এ্যটাক করার অনেক আগে থেকেই আরব দেশগুলোর কপাল পুড়েছে। এসব দেখলে তখন বিশ্বাস না করে উপায় থাকে না যে,” তোমরা কাফেরদের সাথে দোস্তি কইরো না, খারাপ মানুষের অন্তর সিসা আবৃত”। যখন তখন মিথ্যা বলে অপরের সম্পদ ডাকাতি করে ওরা।সবচেয়ে কষ্ট লাগে, যখন আমারা সাধারন মানুষ ও ওদের অন্যায় নিয়ে কিছু বলি না। উল্টা জাস্টিফাই করি। আমার একজন বিজ্ঞা নাস্তিক বন্ধু যে অনেক জানে,খুব যুক্তিবান,বিজ্ঞানের বাইরে কিছুই একসেপ্ট করে না, সে ও একদিন বলে যে, ইসরাইল “প্রমিসড ল্যান্ড”, হায় হায় হালুয়া!!! সারাদিন শুধু সব ধর্মের খারাপ দেখলো,সব ধর্ম মিথ্যা প্রমান করলো, আর ফাইনালি বলে তোরাহ র কথা!! এত বায়াসড কেন?? সকল রেফারেন্স পাই আপনাদের লেখায় শুধু যেগুলা আপনারা দেখতে চান। দেখেন, এক জেনারেশন ডাকাত হয় পরের টা সাধু ও হ্য়,কেউ কেউ একজীবনেই ডাকাত/সাধু দুই ই হয়, মানুষ অনেক গভীর। ব্ল্যাক হোল খুজতে খুজতে সময় ই যাবে, মিলিয়ন-বিলিয়ন বছর আগে পরের হিসাব করে লাভ নাই। হিসাব গুলা দেখছি, কতবার বাইরে থেকে দুনিয়ারে ধাক্কা দিতে কত কিছু আসলো! আপনাদের কাগজেই আসলো শুধু, আসলে না! পরে বলেন যে,” অদ্ভুদ কারনে সেটি সরে গেছে”! শুরু হয় নতুন অংক। মানুষ নাকি বান্দর!! আজকে আমি ৬ ফুট, একদিন ১ ফুট ছিলাম, যখন আমার ১ দিন বয়স তখন দেখতে ছিলাম এলিয়েনের মত। এখন যদি এইটা নিয়া, গবেষনা করি তাইলে কত কিছুই তো বের হবে। ধর্ম যেমন মানে যে উপরে “কন্ট্রোল” আপনারা বলেন “অটো কন্ট্রোল” ওকে, হইছেটা কি?? যার যার ধর্ম/ বিশ্বাস তার তার, এইটা বলেছে ইসলাম। পলিটিকস মানুষরে নিয়া খেলে,ফায়দা লুটে,বলে ওর বিশ্বাস আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ভাই, এত চালাক আপনারা, একটু ভেবে দেখেন না, এই যে দলাদলি, কেন হইতাছে? কে করাইতাছে? কেন করাইতেছে? ওরা কারা? কি স্বার্থ?
@Theist,
আপনার কথার মূল তেমন কিছু বুঝলাম না, হয়ত আমারই ব্যার্থতা।
একজন বৈজ্ঞানিক উন্মাদের মত কথাবার্তা (এখানে জ্বীন ধরে ধরে তা থেকে এনার্জি কব্জা করার উপায়) বললে সে নিয়ে হাসিঠাট্টা করাটা গুরুতর অপরাধ নয়।
এর সাথে বিশ্ব রাজনীতি, পশ্চীমি মিডিয়া, সন্ত্রাসবাদ কেন টানতে চাইছেন ঠিক বুঝলাম না। আপনার যদি মনে হয় যে নিউ ইয়র্ক টাইমের এই পার্টিকুলার সংবাদ ভুল তা হলে তা সূত্রসহ জানাতে পারেন। দুনিয়ার সব মিডিয়াই কম বেশী ভুল খবর দেয়, কখনো বা খবর বানায়, তাই বলে যেকোন কিছু ছাপালেই তো মিথ্যা এমন নাও হতে পারে। কোন খবর সন্দেহজঙ্ক মনে হলে একটু খোঁজ খবর করে দেখতে পারেন আসলেই মিথ্যা কিনা, গনহারে ষড়যন্ত্র আবিষ্কার না করে সেটাই হল যুক্তিসংগত পথ।
জিয়াউল হকের আমলে পাকিস্তানে ব্যাপক ইসলামাইজেশন করা হয়। সে সময় তিনি জ্বীন বিষয়ক গবেষনার জন্য বিশাল ফান্ডিং দিয়েছিলেন, এটা কোন বানানো খবর নয়।
এখানেও দেখতে পারেন।
The government of Zia-ul-Haq in 1987 introduced fundamentalist doctrines in the teaching of science at all levels, from primary schools to universities. The regime organized international conferences and provided funding for research on such topics as the temperature of hell and the chemical nature of jinns (demons).14 After considerable damage had been done to science education, secularists counterattacked and in 1988 won the right to teach and research modern science. In spite of extensive publications and academic exchanges, Islamic science has not taken hold outside of Pakistan, where its support appears to be on the decline.
এই লেখায় মুসলিম বিশ্বের জ্ঞান বিজ্ঞানের দূর্গতির উপর ভাল পয়েন্ট আছে, পুরোটা পড়ে দেখতে পারেন।
@আদিল মাহমুদ,আমার দুর্বল লেখার জন্য আমিই লজ্জিত। আপনার নয় এর পুরোটাই আমার ব্যার্থতা। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম যে, মোটা দাগের অনেক অপরাধ ঢাকতে মুসলিম দের সুক্ষ ভুল ফোকাস করা হচ্ছে। আমি ধর্ম নিয়ে চিন্তিত না, তবে ধর্ম নিয়ে চারদিকে এত মাতামাতি তে আশংকিত। আমি আসলে আপনাকে এই অপ্রাসঙ্গিক কথাটি বলতে চাইছিলাম। আমার কথা হয়তো, অপ্রাসঙ্গিক , কিন্তু দেখবেন যে মানুষে মানুষে ফারাক বাড়ছে এবং এবং ধর্মীয় আফিম ব্যাবহার হচ্ছে এবং খুব সুক্ষভাবে সাধারন মানুষদের সাম্প্রদায়িক দলে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। অনেকটা, মাছ ঢাকতে শাক,শাক ঢাকতে মাটি,মাটি ঢাকতে সিমেন্টের ঢালাই দেয়া চলছে।
আর সেই বৈজ্ঞানিক কে এখন আটক করে রাখা হয়েছে, এই আটকের কারন কি?
@Theist,
হাইপারপ্রজননশীল ভিক্টিম-দল যদি আপাতত মুরগীর ছানার মতো বাচ্চা ফুঁটিয়ে ফুঁটিয়ে পৃথিবীকে ভারাক্রান্ত করা বন্ধ রাখে কিছুদিনের জন্য, খুউব ভালো হয়। অথবা প্রজনন চালিয়ে যেতে পারে যদি কিনা ঝড়, বন্যা, দুর্ভিক্ষ আল্লার কাছ থেকে অবতীর্ণ হওয়া ইত্যাদি পরীক্ষার মধ্যে পড়ে পেরেশান হয়ে গিয়ে পরে নিজেদের হিউম্যানিটারিয়ান ত্রানের চাহিদা নিজেরাই পূ্রণ করতে পারে। তাহলে বেঁচে যাওয়া ত্রানের টাকা জালিমরা একটা নতুন ড্রাগ আবিষ্কারের পিছনে ব্যয় করলো। সেই ড্রাগ মুসলমানরাও ব্যাবহার করলো। মুসলমানরা দুই দিক দিয়েই লাভবান হলো!
হ ব্রাদার আশায় থাকি আমরা আমাদের মুসলিম দেশরে পারমানবিক বোমা দেওয়াইবো খালি। কলের বোমা বানানোর প্রযুক্তিই মুসলমানদের আবিষ্কার করতে হয় ইথুওপিয়া থেকে আর তারা পারমানবিক বোমা চায়। বোমা দিলে দেখা যাবে কি করতে হবে বুঝে চুঝে নাই কিছু, নিজেদের কানের ডগায় বোমা টোমা ফুটীয়ে নিজেরাই সব হাপিশ হয়ে গিয়েছে, রিস্ক। মুসলমানরা আগে কিভাবে একটা সাইকেল বানাতে হয় সেইটা ভালভাবে রপ্ত করুক, পারমানবিক বোমার কথা তারপর বিবেচনা করা যাবে।
আমারও তাই মত। দুর্ভিক্ষের সময় কাফেররা তো এমনিতেই ত্রান টান সব পাঠাবে, বন্ধুত্ব করলেও পাঠাবে না করলেও পাঠাবে। তাইলে বন্ধুত্ব না করেই আমরা দেখি না কেনো let’s give it a try। ক্ষতি তো আমাদের হচ্ছে না কোন, লাভ হলেও হতে পারে, নাকি?
ঠিকই তো আছে। মুসলমানদের একটু আট্টু মডারেট পিটানীতো দেওয়াই উচিত। পিটায় পুটায় ঠান্ডা রাখে তাতেই মুসলমানদের যেই চোটপাট, পিটনি না দিলে প্রতিদিন প্রত্যেকটা মানুষ দশটা করে করে আত্নঘাতী বোমাহামলা খেতো।
বান্দরদেরকে যদি মুসলমান দেখিয়ে বলা হয় ‘এই দেখ আইটা হচ্ছস তোরা। বিবর্তনের ধারায় তোরা এইগুলা জন্ম দিছস।’ অনুভুতিতে আঘাত পেয়ে মনোকষ্টে বান্দর অনশন করতে পারে মানুষ কর্তৃক বানরকে মুসলমানের সাথে তুলনা করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে। :laugh:
@আল্লাচালাইনা, হাইপারপ্রজননশীল ভিক্টিম-দল যদি আপাতত মুরগীর ছানার মতো বাচ্চা ফুঁটানোর সাথে সাথে অস্ত্র হতে নিয়েছে। কোন একজন কে দেখলে আসলেই মনে হয় যে, কবে আর এ মানুষ হবে? শিক্ষা তো পারলোই না,বিবর্তনবাদ ও এরে মানুষ করতে পারলো না!
@লীনা রহমান,
এ প্রবন্ধের সূত্রে যেভাবে জিকির করছেন আপনি, বহু পূণ্য জমা হচ্ছে। হোরাসকে এজন্যও আপনার ধন্যবাদ দেয়া উচিত।
@রৌরব,
@রৌরব,
এই সুযোগে আমিও কিছু পূন্যের ভাগীদার হইলাম। 😀
@লীনা রহমান,
বিশ্বখ্যাত মওলানা জালালুদ্দিন পোয়াতী (রঃ) নিজেই আবার একজন জীন না তো :-/ ? নাহলে জীন সম্পর্কে ছোকড়া এতোকিছু জানে কি করে, তাদের সব ঘরের খবর? সে নিজে জীন হলে কিন্তু এটা হুমকীজনক বটে, জীন মানে তো একটা ছোটখাটো আল্লা তাই না? সবকিছু দেখে শুনে , যেখানে খুশী যেতে পারে, যা খুশি করতে পারে। নিশ্চিত না হয়ে তাকে নিয়ে ফাজলামো করছি না কোন আমি এই মুহুর্তেই। অল্প বয়সে ভূতের কামড় খেয়ে অপঘাতে মরার কোন ইচ্ছা নেই আমার।
@আল্লাচালাইনা, জিন তো হুমকি বটেই,ফাইনালি মুসলমান না?
সে মুসলিম, তাই কি আপনি তার নামটি নিয়ে এরকম “বাজে” জোক করলেন? পোয়াতী মানে গর্ভধারন।মাতৃত্ব। এই বিষয় নিয়ে আপনি কিভাবে এরকম জোক করেন? আপনি একজন লেখক হয়ে একজন লেখক, একজন মা, একজন মহিলা এবং ফাইনালি একজন মানুষ কে এভাবে অপমান করলেন , আপনি এমন করতে পারেন না। দুঃখ জনক।মুক্তমনার ভক্ত হিসাবে আমি এর নিন্দা জানাই, মুক্তমনা সবসময় গঠনমুলক আলোচনা,সমালোচনা পোস্ট করে এবং নারীদের প্রতি যেকোন ব্যাঙ্গমুলক কথা/কাজের বিরোধিতা করে তাই আমি সব বিষয়ে একমত না হয়ে ও এখানে সবসময় আসি এবং পড়ি কারন এই ব্লগ আসলেই মুক্তমনা, কিন্তু আপনার এরকম বাজে জোক দেখে নিন্দা না জানিয়ে পারলাম না
@Theist, বাজে জোক বলছেন কেনো, পোয়াতী মানে গর্ভধারণরত, একটা পুরুষ কি গর্ভধারণ করতে পারে না? স্বাভাবিক উপায়ে না পারলেও, আল্লার অসীম কুদরতবলে, যাদুক্ষমতাবলে তো পারতেও পারে তাই না? জালালুদ্দিন পোয়াতীকে হয়তো আল্লা মুমিনদের জন্য নিদর্শন সরূপ পোয়াতী বানিয়ে দিতে পারেন তার জীবনচক্রের কোন না কোন একটি পর্যায়ে, এবং মুমিনদের বলতে পারেন ‘দেখো আমার পক্ষে কি করা সম্ভব সম্ভব নয়!’ অথবা আমাদের মতো নাস্তিকদের জন্যও নিদর্শন সরূপ জালালীকে পোয়াতী বানাতে পারেন, এবং নাস্তিকদের বলতে পারেন ‘এইবালে ভালো হয়য়া যাও নাহলে কিন্তু তোমারেও ওর মতো করে দেবো, জীনের বই লিখতে হবে তখন।’
পোয়াতী জীনের বই লিখছে এই জন্য ওকে নিয়ে একটু মজা করার কারণে যদি থেয়িস্ট নামক একজন মুক্তমনা ভক্তের ভঙ্গমনা হয়ে যাওয়াটা যদি আসলেই চিন্তাজাগানিয়া হিসেবে গন্য হতো তাহলে আপনাকে আর চিন্তা করতে হতো না মুক্তমনা নিজেই পোয়াতীর লেখা অন্যান্য বইগুলো সংগ্রহ করে ই-বুক সংগ্রহে আর্কাইভ করে রাখতো, ওকে?
@আদিল মাহমুদ,
আপনার রস জ্ঞানে আমার ইর্ষা আরো বেড়ে গেল। 😀
মানে এসবের খোঁজ খবর রাখা, প্রকৃ্ত রশিক ছাড়া সম্ভব না। আপনাকে :guru:
@আতিক রাঢ়ী,
আমার কোনই কৃতিত্ব নেই এতে, আমি নিমিত্ত মাত্র। আমি সামুতে যাই না। আকাশ মালিক ভাই একদিন আমুতে এই অমৃতের সন্ধান দিয়েছিলেন। যে রাতে পড়েছিলাম সে রাতে আমি ঘুমের মাঝেও থেকে থেকে হেসে উঠছিলাম।
ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের অন্বেষনে নুতনত্বের তেমন কিছু নেই। তবে জ্বীনের কোয়ান্টাম মেকানিক্স বা পার্টিক্যাল ফিজিক্স ব্যাখ্যা কারো পক্ষে সূস্থ মাথায় সম্ভব তা কল্পনাতীত ছিল। খুব অবাক হবারও কিছু নেই। কিছুদিন আগে আমুতে একজন জোর গলায় নেপালে মসজিদের গম্ভুজ নিজে নিজে উড়ে গিয়ে লেগে গেছে এই ঘটনায় সংয়বাদীদের নিদারুন সব যুক্তি দিয়ে ধরাশয়ী করেছিলেন। সংশয়বাদীদের সব অমেরুদন্ডী প্রানী বলে তিনি রায় দিয়েছিলেন 🙂 ।
শুধু মুক্তমনায় পড়ে থাকলে এই জাতীয় বহু বিনোদন থেকে বঞ্চিত হবেন।
আপনারা অযথাই পবিত্র জ্বীন নিয়ে হাসাহাসি করেন! ইসলামী বৈজ্ঞানিকেরা কতোটা এগিয়ে গেছেন জ্বীন-গবেষণায়, সেটা জেনে নিয়ে তারপরে মন্তব্য করুন।
httpv://www.youtube.com/watch?v=_-NoJnu9jf8&feature=player_embedded
@নির্ধর্মী,
এনাদের আর দোষ কি?
আমাদের মহাজ্ঞানী জাকির নায়েকও তো দেখলাম এক লেকচারে জ্বীনে ধরা রোগ সম্পর্কে বলেছেন।
ওনার পরামর্শ হল আগে ডাক্তার সাইকিয়াট্রিষ্ট এর কাছে যাও, তারা সারাতে না পারলে ধরে নিতে হবে জ্বীনে ধরা কেস। তখন কেবল মাত্র উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মহাজ্ঞানী জ্বীন বিশেষজ্ঞ খুজে পাওয়া গেলেই নিষ্কৃতি মিলবে। দূঃখজনক ভাবে এমন সহি জ্বীন বিশেষজ্ঞ খুবই কম বলে তিনি আফসোস করেছেন।
@আতিক রাঢ়ী, আপনাকেও ধন্যবাদ। :rose2:
@রৌরব, যে পরিমাণ পাঠক ঐ পোস্টে প্লাস দিয়েছে তাতে চিন্তিত না হয়ে উপায় নেই।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলে নেয়া জরূরী আমি কোন ইসলাম বিশেষজ্ঞ না। তবে আমি যতটুকু বুঝি তা থেকে উত্তর দেবার চেষ্টা করলাম।
আপনার প্রশ্নটাকে আমি যদি সিম্পলিফাই করি এভাবে বলা যায়, “How do Muslims know what they know (as truth)? এর সোজা উত্তর হলো They believe (know) on authority. Authority of God and his messengers.
মুসলিমরা বিশ্বাস করে কোরান এবং হাদিসে সমগ্র মানুষের জন্য জীবন বিধান অর্থাৎ কোরানে (এবং হাদীসে) সব জ্ঞান আছে। এটা যেহেতু আল্লাহ এবং তার রসুলের কাছ থেকে এসেছে তাই এর সাথে সাংঘর্ষিক কোন তথ্য গ্রহনযোগ্য না। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় মিরাজের ঘটনা, বা জিব্রাইল কতৃক ওহী নিয়ে আসা। আধুনিক জ্ঞানের সব শাখাই মোটামুটি সংশয়বাদকে জ্ঞান অর্জনের প্রধান ক্রাইটেরিয়া মনে করলেও ইসলাম তা করে না। এখানেই ধর্ম তথা ইসলামের সাথে মূলত বিজ্ঞানের পার্থক্য।
ইসলামে epistemology’র একটা উদাহরণ দেই। আমাদের আলোচ্য লেখকের প্রোফাইলে এই কথাটি লেখা আছে, “Al-Quran”, The source of science -” আমার মনে হয়না না এরপর আর কিছু বলার আছে।
ধন্যবাদ।
@রৌরব, হ্যা আমি একজন ইসলাম বিশেষজ্ঞ বলুন কি জানতে চান। এপেস্টেমোলজি? হোঁয়াঁটঁ!!! আমরা মুসলমানরা এমন বেদীন জ্ঞানের চর্চা করি না। আমরা মানুষের জ্ঞান গবেষণা ইত্যাদিতে একটি ফোকা খুজি যেটা কিনা বড়ও হতে পারে ছোটও হতে পারে। অতপর বড় ছোট যাই হোক সেই ফোকা দিয়ে একটা আল্লা ঠেঁসে দেই ঢুকুক কিংবা না ঢুকুক। কৃস্টানরা এই পাকপবিত্র জ্ঞানচর্চাকেই শয়তানী করে নাম দিয়েছে গড অফ দ্যা ফোকা।
@আল্লাচালাইনা,
:laugh:
@হোরাস,
তাহলে বিজ্ঞানের সাথে, অর্থাৎ পর্যবেক্ষণের সাথে মিলল কি না মিলল তাতে কি এসে যায়। কোরান যদি সত্যের সংজ্ঞা হয়, তাহলে কোন কাফের বিজ্ঞানী টেলিস্কোপে কি দেখল, সেটাতো সম্পূর্ণ অবান্তর। তার সাথে মিললেই কি, না মিললেই বা কি। আমি আসলেই এটা জানতে চাইছি। ইসলাম মতে, কোরান কি আরো কোন মৌলিক criteria-র বিচারে সত্য বলে প্রতিভাত, নাকি সংজ্ঞানুযায়ী সত্য?
@রৌরব,
মুসলিমরা আপনার মত করে যদি অবান্তর বলতে পারত তাহলেতো কোন সমস্যা ছিলো না। কিন্তু মেলে না দেখেই তো তারা একটা দোদুল্যমান অবস্হার মধ্যে পরে যায়। তাদের অবস্হা হয় না শ্যাম রাখি না কূল রাখি? আর দুটোকেই রাখতে চাওয়ার ফলশ্রুতিতে কিছু উর্বর মষ্তিস্কের এই সমস্ত উদ্ভট আবিষ্কার যে আধুনিক বিজ্ঞানের সব কিছুই কোরানে আছে।
ইসলাম মতে কোরান সত্য এর একটাই ক্রাইটেরিয়া আর সেটা হলো এটা আল্লার নিজের লেখা বই মানে। আর কোন ক্রাইটেরিয়া নেই এবং থাকার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করে না। এমনকি আল্লাহর লেখা বই কেমন হতে পারে সে সম্পর্কেও কোন পূর্ব ধারণার দরকার নেই।
@আল্লাচালাইনা,
:laugh:
শেষের ছবিটা সাইজ দেখে হার্টফেইল করার অবস্থা হয়েছিল 😥 । ছোট করে দিলাম। চেষ্টা করবেন ছবির আকার ৫৫০*৫০০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে।
@রামগড়ুড়ের ছানা, আসলে তাড়াহুড়া থাকায় ছবিটা তখন ঠিক করার সময় পাইনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঠিক করে দেবার জন্য। :rose2: