গোধূলিলগ্নে বৃত্তাকার ঐ সূর্যটা আত্নহত্যা করা মাত্রই, ঋতিবাদী পাখিরা আবশ্যিক
গন্তব্যে রওয়ানা করে। রওয়ানা করে, যখন বিষণ্ণ অথর্ব দিনের আলো, ডাকাত আঁধারের
নিকট সেচ্ছায় আত্নসমর্পন করে। বুঝি বা আঁধারই প্রকৃত দেবতা সত্তা। দিগন্ত বিস্তৃত
শরীর নিয়ে নিরব, কিন্তু তাৎপর্যময় আগমন ঘটায়।
বিষণ্ণতার চারদেয়াল, আত্নহননস্পৃহাকে সিলিং বানিয়ে মাথায় করে রাখে। হাহাকার,
অসন্তোষেরা ঘুরে বেড়ায় সারা ঘরময় নির্দ্বিধায়, ক্লান্তিহীন। আর ওদের দিকে তাকিয়ে
মিটিমিটি হাসে শৈল্পিকতায় সমৃদ্ধ একটি, কিন্তু বৈশিষ্টপূর্ণ সুমহান পরাজয়। স্বপ্নভুক
মৃতপ্রায় ইচ্ছেরা, কাঙ্ক্ষিত চিত্রকল্পের প্রত্যাশায় পাহারা দেয় নিথর, নিস্তব্ধ ঘরটিকে।
ঋষিসুলভ গাম্ভির্যে রবিবাবু ঠিকই উঠে আসে, কিন্তু নিথর ঘরটিতে চলতে থাকা বিষণ্ণতা
শিরোনামের নাটকটি, একের পর এক নতুন অধ্যায় প্রসব করতে থাকে।
আমি যখন কিছুই বুঝতে পারিনা তখন বুঝি কবিতা ভালো হয়েছে। বানান ভুল সহ ছন্দের ব্যাপার কবিতার সৌন্দর্যের কাছে গৌণ তাই ঐ সব নিয়ে মাথা ঘামালাম না।
ভাল লাগল পড়ে। চিত্রকল্পগুলো সৌন্দর্যে মাখা। :rose:
আচ্ছা ” ঋতিবাদী পাখিরা” এখানে ঋতিবাদী কথাটার অর্থ কি? নাকি শব্দটি ‘রীতিবাদী’ হবে?
:yes:
আমি ছন্দ বুঝিনা। আর যারা বোঝে তাদেরকে ঈর্ষা করি। কিন্তু কবিতায় ছন্দ বা ছন্দহীনতা কোনটি যে বেশি প্রয়োজন তা বলতে পারবনা। কারণ আমার মতে এখানে প্রয়োজনীয়তার প্রশ্নই অর্থহীন। কবিতা অনেক সময় শব্দের, অনেক সময় চিত্রকল্পের, অনেক সময় অনুভূতির বা অনুভবের আর অনেক সময় এসব ব্যাপারের সমন্বয়ের। আমি কবিতায় ছন্দের চেয়ে সৌন্দর্যকে বেশি প্রাধান্য দেই। আমার কাছে কবিতার আরেক নাম “সৌন্দর্য”। এ সৌন্দর্য ভাষা, কাহিনী, শব্দ, চিত্রকল্প, অনুরাগ, বিরাগ, সুখ, দুঃখ, অর্থ, আনর্থ, নিরর্থ বা যে কোন কিছুর হতে পারে। 🙂
@লীনা রহমান,
চমৎকার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল খুব। আমার চিন্তাধারা অনেকটা আপনার মতই। ছন্দের চেয়ে মনে হয় সৌন্দর্যটাই বেশী প্রয়োজনীয়। কবিতাতো আর পণ্য নয় যে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করব। তাই না? 🙂
আর শব্দটা ঋতিই। ঋতি মানে হল শব্দের অর্থ হল, গতি।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
@সাইফুল ইসলাম, আপনি মনে হয় অনেক কবিতা পড়েন, তাইনা? আপনার কাছ থেকে নতুন শব্দ শিখলাম। কবিতা পড়া এবং তা ভেতরে নেয়া অনেক সময়ের ব্যাপার এবং এর জন্য উপযুক্ত পরিবেশের দরকার (কথাটা শুধু আমার জন্যও সত্যি হতে পারে) মাঝে মাঝে মাথায় ভুত চাপে তখন দিনরাত শুধু কবিতা পড়ি যখনই সময় পাই। তবে প্রায়ই সুযোগ হয়না। 🙁
@লীনা রহমান,
যদি না থাকত কবিতা
জীবন হইত ফাতাফাতা। 😀
ভালো লেগেছে। :rose:
@তানভীরুল ইসলাম,
হেই তানভির ভাই, আপনি কবিতা পড়েন? বিজ্ঞানী মানুষ……।।
অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্য। :rose2:
বেশ লাগল।
@আফরোজা আলম,
পাঠের জন্য ধন্যবাদ জানাই। 🙂
কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না……… কিন্তু এটুকু বলতে পারি যে, ভালো হয়েছে। :rotfl: :yes: :lotpot:
@Ruman,
আমি মনে হয় চিনতে পেরেছি আপনাকে। ফেসবুকে কথা হয়েছিল তাই না?
যাই হোক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
@সাইফুল ইসলাম, হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। :coffee: চালিয়ে যান।
কবিতাটি পড়ে দুটো বিষয়ে লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:
এক. শব্দের বানান বিষয়ে যত্নবান হতে হবে,
দুই. ছন্দজ্ঞান থাকা প্রয়োজন, পরিশেষে কবিতা ভালোবাসি বলে এই কবিতাটিও পড়েছি। এবং লিখতে থাকুন।
@আলী রেজা,
অনেক ধন্যবাদ আলী রেজা ভাইকে কবিতাটা পড়ার জন্য।
ছন্দ জ্ঞান হয়ত থাকা প্রয়োজন, কিন্তু সব কবিতায় তার প্রয়োগ দরকার আছে কি?
আপনার কবিতা ভালো লাগে জেনে ভালো লাগল। বলুন তো আপনার প্রিয় কয়টি কবিতায় নিখুত ছন্দ দেখেছেন? 🙂
@সাইফুল ইসলাম, “ছন্দ জ্ঞান হয়ত থাকা প্রয়োজন, কিন্তু সব কবিতায় তার প্রয়োগ দরকার আছে কি?
আপনার কবিতা ভালো লাগে জেনে ভালো লাগল। বলুন তো আপনার প্রিয় কয়টি কবিতায় নিখুত ছন্দ দেখেছেন?”
শুদ্ধ কবিতা রচনার জন্য ছন্দের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যিক। মুক্ত মনা’য় ছন্দের প্রয়োগ ও প্রকরণ বিষয়ক একাধিক সুলিখিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, স্মৃতিসংকটের কারণে এইমূহুর্তে লেখকের নাম মনে করতে পারছিনা বলে লেখকের নিকট আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছি। আপনি এই নিবন্ধসমূহ থেকে নিজকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারেন। ছন্দকে আত্মস্থ করেই তারপর একে ভেঙ্গেচুরে নতুন ছন্দ বিনির্মাণ করতে পারেন। ছন্দ-শৈথিল্যহেতু ধ্বনি-মাধুর্যের অভাবে কবিতাটি আবৃতিকালে শ্রুতিকটু লাগে।
আপনার শেষের জিজ্ঞাসাটি একেবারে শিশুসুলভ হয়ে গেল, সে যাই হোক, আমি দু-একটির নাম ছন্দের পর্ববিন্যাস সহ উল্লেখ করলাম:
অন্ধ রেলগাড়ী, হুমায়ুন আজাদ। মাত্রাবৃত্ত ছন্দ, সাত মাত্রার পর্ববিন্যাস, কাঠামো
৭+৭+৭+৭, কবিতাটির প্রথম লাইন:
অন্ধ রেলগাড়ী/বধির রেলগাড়ি/অন্ধ রেল বেয়ে/চলছে দ্রুত বেগে/
মাত্রাবৃত্তে বদ্ধস্বর সবসময় দুই মাত্রা নেয়।
লিচু চোর, কাজী নজরুল ইসলাম। সাত মাত্রার মন্দাক্রান্তা ছন্দ।
জতুগৃহ, জয় গোস্বামী। প্রবহমান অক্ষরবৃত্তে রচিত।
@আলী রেজা,
ধৈর্য সহকারে উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে সাধুবাদ।
কবিতার সংজ্ঞাই মনে হয় আমরা কেউ দিতে পারব না, সেখানে শুদ্ধ কবিতা মনে হয় অনেক দূরের ব্যাপার। 😀
আমি কিন্তু ছন্দের প্রয়োজনীয়তার কথা অস্বীকার করিনি। 🙂
আপনি হুমায়ুন আজাদের কবিতার উদাহরন দিয়েছেন। হুমায়ুন আজাদের প্রায় সব কবিতা আমার পড়া আছে। আপনি হুমায়ুন আজাদের ছন্দবদ্ধ কবিতার উদাহরন যতগুলো দিতে পারবেন অন্য কেউ কিন্তু তার নির্দিষ্ট কোন ছন্দ ছাড়া কবিতার তার থেকে ঢের বেশি উদাহরনও দিতে পারবে। 🙂
এবং আমি নিশ্চিত আপনিও তার এমন অনেক কবিতার কথাই জানেন।
আপনার সাথে কথা বলে অনেক ভালো লাগল রেজা ভাই। অনেক ধন্যবাদ। :rose2:
@সাইফুল ইসলাম, লেখাটার মর্মার্থ মনে হয় ঠিক ধরতে পারলাম না, তবে এতটুকু লেখায় এত বানান ভুল আছে যে দেখতে খারাপ লাগছে। একটু ডিকশানারী দেখে বানানগুলো ঠিক করে দিন প্লিজ।
@ফাহিম রেজা,
হুমায়ুন আজাদ একবার বলেছিলেন, কবিতা বোঝা মানে ঐ কবিতার মৃত্যু হওয়া। বোঝার দরকার নেই। ফিল করুন। :laugh:
ডিকশানারী দেখে যতটুকু পারলাম ঠিক করলাম। 😀