এই লেখায় সাইফুল ভাইয়ের মন্তব্যের জবাব লিখতে লিখতে লেখা পোষ্টের আকার হয়ে যাওয়ায় লেখাটি পোষ্ট আকারেই দিলাম। তাছাড়া এই বিষয়ে সকল সদস্যের আলোচনার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। আশা করি সকলের আলোচনার মধ্য দিয়ে মুক্তমনারই উপকার হবে। মুক্তমনায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্যেও এই আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
সাইফুল ভাইয়ের মন্তব্যের ক্ষুদ্র অংশ যেটির প্রতিমন্তব্য লিখছিলাম তা হলঃ
এখন তো দেখা যাইতেছে কেউই কিছু বলতেছে না।
কিছু বলার ইচ্ছে থাকে তখনই যখন জানবেন বলে কোন কাজ হচ্ছে। আমি একটি কথা মেনে চলি যে পূর্ণবয়ষ্ক একজন ব্যক্তিকে আপনি মানাতে পারবেন না যদি না তিনি নিজে থেকে বুঝতে সক্ষম হোন। এই ক্ষেত্রে আপনি যতই যুক্তি দিন না কেন, তিনি নিজস্ব বিশ্বাসেই অটল থাকেন। এই ক্ষেত্রে একজন আস্তিক যেমন অটল থাকেন তার বিশ্বাসে তেমনি সেই বিদ্বেষী অটল থাকেন তার বিশ্বাসে যে মুসলিম মাত্রেই ধরে ঠেঙ্গাও, বিশ্বাসী মাত্রেই উম্মাদ, অসুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী, আর কেউ বাল্যবিবাহ করলে সেটা মুহাম্মদকে অনুসরণ করেই করেছেন। হিন্দুধর্মে কত শত বাল্যবিবাহ রয়েছে সেটা তখন চোখে পড়ে না (অবশ্য তারাও যদি মুহাম্মদে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে তাহলে ভিন্ন কথা :-Y )। এর বাহিরে আর কোন যুক্তি হতে পারে না। তো এদের সাথে কথা বলে কোন লাভ আছে? তাই অনেক বলেছি, আর কথা বলে জনে জনে শত্রু হয়ে লাভ নেই। তবে স্বীকার করি কেউ কিছু না বলাটা এলার্মিং।
আমার যা বলার এখানে একেবারে বলে দিচ্ছি। বারংবার একই কথা বলে সময় নষ্ট করার মত সময় নেই। যদিও একই কথা আমি এর মাঝেই নানান মন্তব্যেই বলেছি। আমি মনে করি না কারো প্রতি কোন প্রকার বিদ্বেষ পুঁষে তার কোন প্রকার উন্নতি করা সম্ভব। যদি ধর্ম সভ্যতার জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত হয় তবে ধর্মে বিশ্বাসীদেরকে সে পথ হতে ফেরানোর জন্য তাঁদের কাছ পর্যন্ত আগে যেতে হবে। আপনার কথা তার কানে আগে পৌছাতে হবে। যদি আপনার কথা তার কানে পৌছানোর আগেই পৌছান বিদ্বেষের বানী তবে সেই বানী দিয়ে তার সাথে তর্ক করতে পারেন, তাকে তর্কে হারিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু তার মন জয় করতে পারবেন না। তাকে তার পথ হতে সরানোর জন্য তার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি আপনার লেখা/যুক্তি ব্লগে লিখে রাখছেন, যে কেউ পড়লেই বুঝতে পারবে আপনার কথা। কথা ঠিক নয়। লেখা থাকলেই লেখা পড়ে না কেউ। আবার পড়লেও আপনার যুক্তি মেনে নিবে সেটাও নয়। এ রকম হাজার লেখা পড়ে আছে, হাজার বই পড়ে আছে। কয়জন সেটা খুঁজে খুঁজে বের করে পড়ে আর নিজে থেকে বিশ্বাসের পথ হতে সরে আসে। তাই আপনাকেই যেতে হবে আপনার যুক্তি, বানী, লেখা নিয়ে তাঁদের মস্তিষ্ক পর্যন্ত। আপনার লেখায় এমন কিছু থাকতে হবে যেন তিনি সেটা পড়তে আগ্রহী হোন। লেখার মাঝে হাজার যুক্তি থাকলেও যদি একটিও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য থাকে তবে সেই পাঠক আপনার লেখা পড়লেও আপানার যুক্তির ক্রেডিটিবিলিটি তার কাছে থাকবে না। এই সহজ বিষয়টি বুঝতে ব্যর্থ হলে আমার তাঁর জন্য বলার কিছু নেই। ধর্মকে কেন মানুষ আঁকড়ে ধরে সেই সহজ সত্যটি সর্বাগ্রে অনুধাবণ করতে হবে। তার পর আসবে এখন কি করণীয় সেটা নির্ধারণে।
মুক্তমনা এডমিনদের আরেকটু ভাবতে হবে কিভাবে ঢালাও বিদ্বেষ্পূর্ণ মন্তব্য বন্ধ করা যায়। একটি কার্যত পন্থা অবলম্বন করা উচিত। এভাবে বার বার কিছু মন্তব্য আসবে, সেখানে কিছু মানুষ সময় নষ্ট করবে একই কথা বলে, সেটা নিয়ে তর্ক চলতে থাকবে, দু’পক্ষ ভাগ হয়ে যাবে এক পর্যায়ে, এগুলো ফোরামের জন্য ভাল নয়। লং রানে বিভক্তি সৃষ্টি করে। তাই নীচে কয়েকটি মতামত দিচ্ছি যা এডমিনেরা ভেবে দেখতে পারেন, এবং অন্যান্য সদস্যরাও এই ব্যাপারে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন।
১। কোন মন্তব্য কারোর কাছে আপত্তিকর মনে হলে এডমিন বরাবর ইমেইল করবেন। এডমিনের পক্ষে সকল মন্তব্য পড়া বা ফলো করা সম্ভব নয়। তাই এটা সদস্যদের দায়িত্ব হওয়া উচিত ইমেইল করে জানানো। জনে জনে আর মন্তব্য করতে পারবো না, তর্কের পর তর্ক করতে পারবো না। সবারই সময় একটি বড় সমস্যা।
২। যদি সম্ভব হয় শাফায়েতকে অনুরোধ করবো, প্রতিটি মন্তব্যের নীচে একটি বাটন “আপত্তি জানান”, কিংবা “এডমিনকে বার্তা পাঠান” দেওয়া যায় কিনা একটু ঘেঁটে দেখতে। কেউ আপত্তি জানালে সেটা যেন এডমিন বরাবর অটোমেটিক ইমেইলে চলে যায় সেটাও নিশ্চিত করতে।
৩। এভাবে তিনজন/পাঁচজন (পাঁচ বেশি হয়ে যায় মনে হয়) যদি কোন মন্তব্যে আপত্তি জানায় অথবা এডমিন বরাবর ইমেইল করে তবে কর্তৃপক্ষ নিজেরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা জানাবে। তাই সকল সদস্যের অংশগ্রহন এখানে প্রয়োজন। আপনি যদি বসে থাকেন অন্য কেউ কাজটি করবে সেটা ঠিক হবে না। আপনাকে আপনার দায়িত্ব পালন করতে হবে সর্বাগ্রে। এখন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মন্তব্যকারীর পক্ষেও হতে পারে, অথবা আপত্তিকারীদের পক্ষেও হতে পারে।
৪। যে কোন এক পক্ষ যদি সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন তবে সকল সদস্যের ভোটে প্রাপ্ত মতামত হবে শেষ মতামত। সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের মতামত মেনে নেওয়ার মানসিকতা সকলের থাকতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই। এই চার নম্বর ধাপটি অপশানাল। কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন যে সদস্যদের মতামত গ্রহন করা হলে নিজেরা ভারমুক্ত হবেন তবে তা করতে পারেন। সকল ক্ষেত্রেই বারংবার সদস্যদের ইনভলব করাটা সময় সাপেক্ষ। আমি মনে করি হয়তো কখনই এর প্রয়োজন হবে না। কিন্তু তারপরেও আমি এই পার্টটুকু রাখতে চাইবো যেন কোন কারণে কর্তৃপক্ষ, যারা তাঁদের মূল্যবান সময়, অর্থ, মেধা ব্যয় করে এরকম একটি সাইট বানিয়েছেন, যেন বিতর্কিত না হোন। উনারা যদি মনে করেন যে সদস্যদের মতামত পেলে ভাল হবে সে ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের উপর যেন সকলে আস্থা রাখতে পারেন তাই এই ব্যবস্থা।
৫। যে ব্যক্তির মন্তব্যে আপত্তি এসেছে তার মন্তব্য যদি এডমিনেরা আপত্তিকর মনে করেন তবে প্রথমবার সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার যদি একই ব্যক্তি একই রকমের মন্তব্য করেন তবে তাহাকে আবারো সতর্ক করা হবে। তবে এই বার উনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হোক যে তৃতীয়বার একই কর্ম করিলে সরাসরি সদস্য পদ বাতিল করা হবে, অথবা দ্বিতীয়বারেই এক সপ্তাহের জন্য মডারেশনের আওয়তায় আনা হোক। কিন্তু তৃতীয়বারে কোন মাফ নেই। লেখা মডারেশন অথবা মন্তব্য বন্ধ করা কোন কার্যকর শাস্তি নয়। উক্ত ব্যক্তি মডারেশনের মাধ্যমে একজন সাধারণ পাঠকের মত লেখা দিতে পারবেন এবং মন্তব্য করতে পারবেন। কিন্তু যদি তাহার পরেও সেই ব্যক্তি একই রকম বিদ্বষপূর্ণ কথা চালিয়ে যেতে থাকেন তবে আফসোস তাহার আইপি ব্যান করা ছাড়া তিনি আরো কোন পথ খোলা রাখেননি। এটা আমার কাছে মৃত্যুদন্ডের চেয়ে কষ্টকর। কিন্তু কেউ যদি পরিণতি যেনেও একই কাজ বারংবার করতে থাকেন তাহলে এছাড়া আর কোন উপায় আমার জানা নেই।
মানুষের সাইকোলজি নিয়ে নাড়াচড়া করতে গিয়ে আমার উপলব্ধি হচ্ছে মানুষ শক্তের ভক্ত নরমের যম, যদিও এটা বহু পুরোনো কথাই। যদি কঠিন শাস্তির ভয় না থাকে তবে কেউ কথা শুনতে চায় না। এ কারণেই বুঝতে পারেন কেন ধর্মে ভাল কথার চেয়ে বেশি আছে অন্যায় করলে কি কি কঠিন শাস্তি রয়েছে তা। জগতের সবচেয়ে বিভৎসতম শাস্তিগুলোর বর্ণনা ধর্মগ্রন্থেই রয়েছে। আমার ছোটবাচ্চা সেও ঠিক গলার স্বর বুঝে। নরম গলায় বললে কোন কাজই হয় না। গলা উচু হলে বুঝে যে না এবার বাবা সত্যিই রেঁগেছে। তাই বারংবার সতর্ক করা হলে কোন কাজই হবে না, যদি না এর শেষ কি হবে সেটা না বলা থাকে। পাশ্চাত্যে সবাই ঠিক পথে আছে কারণ সবাই উন্নত নৈতিকতার অধিকারী তা নয়। কারণ এখানকার শাস্তির মাত্রা অনেক বেশি। আপনি দশদিন অন্যায় করে একদিন ধরা খেলে একশত দিনের অন্যায়ের শাস্তি পেয়ে যাবেন। তাই এখানকার মানুষ নিয়ম মেনে চলে। একবার যদি ভুলেও ভুল করে ফেলে, দ্বিতীয়বার করার আগে দশবার ভাববে। আর আমাদের দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তারী করে কোটি টাকা কামানোর পর, কমপক্ষে কয়েক ডজন লোকের ক্ষতি করার পরে শাস্তি দেড় লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিনমাসের জেল। হাজার টাকার দুর্নীতির শাস্তি চাকুরী হতে বরখাস্ত। ভেজাল খাবারের দোকানের শাস্তি নাম মাত্র জরিমানা। তাহলে আপনি দুর্নীতি করবেন না কেন? দশদিন অন্যায় করে যদি একদিনের জরিমানা দিয়ে পার পেতে পারেন তবে তো মানুষ দুর্নীতি করবেই। যে দুর্নীতি করবে না সেই পরিবেশে তিনিই হেরে যাবেন টিকে থাকার খেলায়।
নৈতিকতা ধর্মের বানী দিয়ে সম্ভব নয়। প্রয়োজন মানুষের সাইকোলজি বুঝে সে রকম নীতিমালা এবং সেটার প্রয়োগ। যদি নীতিমালার প্রয়োগ সঠিক ভাবে করতে না পারেন তবেও আপনি আবার অনৈতিকতাকে উৎসাহ দিবেন। যাদের বাচ্চা আছে তিনি এটার ব্যাখ্যা ভাল বুঝতে পারবেন। আপনি যদি তাঁকে একেকবার একেক নীতি দেখান, নীতির প্রয়োগ একেক সময়ে একেক করেন তবে সেও সেই নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। আপনার শাসনের বিরুদ্ধাচারণ করার সাহস দেখায়। তাই সুশাসনের জন্য কনসিস্টেন্সি একটি বড় বিষয়। একজন বাচ্চা যেমন, একজন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষও তেমন। খুব বেশি পার্থক্য নেই। কনসিস্টেন্ট নীতির প্রয়োগ যদি কেউ দেখে তবে মস্তিষ্কে অবচেতনেই ঢুকে যায় নীয়ম ভাঙ্গার ফলাফল কি হতে পারে। তাই নীতিমালার যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সেটার কনসিস্টেন্ট প্রয়োগ। এই দু’টো যদি মেনে চলা যায় তবে গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। এই কথাটি শুধু ব্লগের মত ক্ষুদ্র পরিসরের জন্যেই প্রযোজ্য তা নয়। পরিবার, সমাজ, কিংবা রাষ্ট্রের মত বৃহৎ পরিসরেও কার্যকর। গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যক্তি মানুষের সাইকোলজি বুঝা খুব প্রয়োজনীয়। আর এ ক্ষেত্রে বিবর্তনীয় মনোবিদ্যাই দেয় সবচেয়ে ভাল বিশ্লেষণ। বুঝতেই পারছেন বিবর্তন কেন গুরুত্বপূর্ণ।
চমৎকার বাক্যের জন্যে আপনাকে :rose2: শুভেচ্ছা। আর এটাই হোক আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
মোটামুটি সবার বক্তব্যই পাওয়া হলো। এখন আর এই পোষ্টটিকে নীড়পাতায় রাখার যৌক্তিকতা দেখছি না। তাই এই পোষ্টটিকে নীড়পাতা থেকে সরিয়ে নিজের ব্লগে নিয়ে আসা হলো। ধন্যবাদ সকলকে তাঁদের মতামত জানানোর জন্য। সকলের সুস্থ মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তমনা এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশাই করি।
আলোচনা ভালই জমেছে দেখা যাচ্ছে। আগে খেয়াল করিনি এখন করলাম যে আমার নাম বার বার উঠে এসেছে। কি কারনে তা হল তা অধম আমি বুঝতে অক্ষম। চোর কে চোর বলা আর সত্যবাদীকে সত্যবাদী বলা যদি বিদ্বেষ হয়ে যায় তাহলে আমার বলার কিছু নেই।
আপত্তি জানান বাটনটা তুলে নেওয়ায় খুশি হলাম। দুপুরে বাটনটি দেখেছিলাম কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সরি ইন্টারনেটের পরিহাসে কোন কমেন্ট করতে পারি নি। আমার মুক্তমনাতে আসা খুব বেশী দিনের নয় তবে সেই ছোট পরিসরে আমি যা দেখেছি এখানের সবাই নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল। কোন অশালীন বা অশ্লীল মন্তব্য আমার চোখে পড়ে নি। কিন্তু আমি অনেক ব্লগ সাইট দেখেছি যেখানে ব্যাক্তি আক্রমন এবং অশ্লীলতা তুঙ্গে যা ভদ্র রুচীতে বাধে। মুক্তমনাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। এবং তার জন্য মুক্তমনার সুন্দর্য্য রক্ষা করতে হবে আমাদের এক হতে হবে। আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বৈরিতা শুরু করে দেই তা হলে আমরা আর উগ্র ধর্মবাদীদের মধ্যে পার্থক্য কথায় থাকবে। হ্যাঁ ধর্মের সমালোচনা করতে গিয়ে তা যেন কোন গোষ্টির উপর আক্রমন না করা হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিরপেক্ষ মনোভাব রাখতে হবে। আর ধর্মকে সমালোচনা করতে গেলে ধর্মের উপর আক্রমন আসবেই। এখানে তো লিখে সমালোচনা করা হচ্ছে কেউ তো বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নামছে না। আর যদি কারো কোন পোষ্ট, মন্তব্য পছন্দ না হয় তা হলে যুক্তি দিয়ে তা খন্ডন করুন।তাতে যে ব্যক্তি পোষ্ট করল সেও তার ভূল বুঝতে পারল আর পাঠকরাও যাচাই করতে পারলেন। আসুন মুক্তমনাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন দেখি সেই ভাবে কাজ করি। নিজেদের মধ্যে দন্ধ তৈরী করলে নিজেদেরই ক্ষতি করব।
এই কথাগুলো খুব ভালো লাগলো।
আমি মনে করি যে , মুক্তমনায় মুক্ত এবং যৌক্তিক বিতর্কের চর্চা নিয়ে নীতিগতভাবে কেউ আপত্তি করে না। যে কোন বিষয় নিয়েই যুক্তিনির্ভর, তথ্যবহুল ও বিজ্ঞানভিত্তিক মত বিনিময় করাই মুক্তমনার উদ্দেশ্য। এর পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে উৎসাহ দেয়ার ক্ষেত্রেও মুক্তমনার ভালো পরিচিতি রয়েছে।
এখন , এটা আমাদের বুঝতে হবে যে , সভ্য সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কখনই শর্তহীন নয়। এর সাথে দায়িত্বশীলতা জড়িত। ইউরোপে নাৎসীদের দ্বারা পরিচালিত গনহত্যাকে শুধু মুখের কথায় অস্বীকার করাকে ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক গোষ্টির বিরদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো বা এ ধরনের আচরণকে মহিমান্বিত করা বড় রকমের ‘হেইট ক্রাইম’ বলে বিবেচিত।
আমরা অনেকেই মুক্তমনায় ছদ্মনামে লিখে থাকি। কিন্ত অনেকেই আছেন যারা স্বনামে এখানে যুক্ত আছেন। তাঁদের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হব বৈ কি । ছদ্মনামে কেউ কিছু লিখলে তার দায়-দ্বায়িত্ব যারা স্বনামে আছেন তাদের উপরেও কিছু না কিছু বর্তাবে। এসব বিষয় নিয়ে সকলকে সংবেদনশীল ও দায়িত্ব সচেতন হতে হবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ পৃথিবীর কোন আইনেই – Carte Blanche হয় না, নৈতিকতার মানদন্ডে তো নয়ই। বিদ্বেষ ও বিজ্ঞান কখনই পরস্পরের সম্পূরক নয়। সমকামীতাকে সবার আগে বিজ্ঞানই স্বীকৃতি দিয়েছে , কোন ধর্ম সমালোচক নয়। আসুন আমরা সবাই আমাদের জীবনকে বিজ্ঞানের আলোকে আলোকিত করি।
অনেকেই আপত্তি জানান বাটনে আপত্তি জানিয়েছেন। এটা ঠিক আপত্তি জানান বাটনটি বাহুল্য, কারণ আপত্তি জানাতে চাইলে এডমিন বরাবর সেটা বার্তা পাঠিয়েই করা সম্ভব। কিন্তু কত জন সেই কষ্টটুকু করে, সেটাই আমার মনে প্রশ্ন ছিল?
তাই ভেবেছিলাম যে আপত্তি বাটন থাকলে, আসলেই কোন আপত্তিকর মন্তব্য হলে কেউ মন্তব্যে সময় নষ্ট না করে হয়তো একটি আপত্তি জানিয়ে যেতে পারতেন। আপত্তি জানান বাটন থাকলেও মন্তব্য করার সুযোগ তো সব সময়ই থাকছে। এটা সদস্যদের চয়েস হিসেবে থাকছে। কেউ চাইলে মন্তব্যের মাধ্যমেই আপত্তি জানাতে পারছেন, (সে ক্ষেত্রে এডমিন জানতে পারছে না কি হচ্ছে), না হলে সরাসরি এডমিনের কাছে আপত্তি জানাতে পারেন। আমিও চাইবো যে আপত্তি জানান বাটনের কোন ব্যবহার না করতে হলেই সবচেয়ে উত্তম। আর আপত্তি জানান বাটন না থাকলেও সমস্যা নেই, এডমিন বরাবর ইমেইলের অপশন তো আছেই সব সময়। আমার জন্য আসলে কোনটাই সমস্যা নয়। এই লেখা আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে নয় 😥 । এখন অধিকাংশ সদস্য যদি না চায় তবে আমার সেটাতেও কোন আপত্তি নেই।
@স্বাধীন, একটা প্রশ্ন। এখানে তো থাম্বস ডাউন এবং আপের অপশন আছেই, আলাদা করে ‘আপত্তি জানান’ এর কি কোন দরকার আছে? অতীতে আমিসহ অনেকেই (শুধু ফরিদ ভাই বা সাইফুল নয়) ভবঘুরে বা অন্যান্য লেখকের কোন কোন লেখা বা মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি। ইসলামের বদলে সকল মুসলমানদের বিরুদ্ধে বা যে কোন ধর্মাবলম্বীর বিরুদ্ধে মাত্রা ছাড়ানো আক্রমণ দেখলে তো মনে হয় অনেকেই প্রতিবাদ জানান এই ব্লগে। তবে, এটাও মনে রাখা দরকার যে সবাই হয়তো সব পোষ্ট পড়েন না, বা পড়লেও ক্যাচালে ঢুকতে চান না সেক্ষেত্রে হয়তো সব মন্তব্যের উত্তর দেওয়া হয় না, একই কথা প্রযোজ্য হবে ‘আপত্তি জানাও’ অপশানের ক্ষেত্রেও। আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘থাম্বস ডাউন’ এবং ‘আপত্তি জানান’ দুটো অপশান রাখার প্রয়োজন নেই, যে কোন একটা থাকলেই হয়। তবে সবাই যদি সিদ্ধান্ত নেন যে এই ‘আপত্তি জানান’ বাটনটারও দরকার আছে তাহলে অনুরোধ করবো তা যেন শুধু সদস্যদের জন্যই সংরক্ষিত রাখা হয়। অতীতে থাম্বস ডাউন বাটন নিয়ে যে নাটক দেখতে হয়েছে তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
@বন্যা আহমেদ,
থাম্বস ডাউন/আপ বাটনের কাজ হচ্ছে কোন মন্তব্য কারোর পছন্দ হয়েছে কি হয়নি শুধু সেটা জানানো। অনেক সময় অনেক মন্তব্যেই নিজের কথা চলে আসে তখন মানুষ শুধু সহমত জানিয়ে দেয়। থাম্বস ডাউন/আপ বাটনে সে কাজটা সহজ করে।
কিন্তু পছন্দ/অপছন্দ নয়, মন্তব্যের কোন অংশ সম্পর্কে যদি কারোর আপত্তি থাকে তবে এই আপত্তি বাটনের সাহায্যে তিনি তার আপত্তি এডমিন বরাবর জানাতে পারেন, তাই এই বাটন। তবে কোন মন্তব্যে আপত্তি জানানোটা মন্তব্যের মাধ্যমেই সম্ভব সেটা অস্বীকার করি না এবং একই কাজ এডমিন বরাবর ইমেইল করেও সম্ভব সেটাও স্বীকার করেছি। কিন্তু অনেকে সে কষ্টটুকু করতে চান না সেটাও বলেছি।
তবে নিজেও যেমন বলেছি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যদি না চান, তবে আমিও চাই না।
@বন্যা আহমেদ,
আমি কিন্তু ফরিদ ভাই বা সাইফুল ভাইয়ের সাথে আরো অনেকে আছেন সেটা বলেছি, যদিও আপনাদের নাম আর সরাসরি উল্লেখ করিনি। এই অনেকে যেন কমতে কমতে কিছুতে পরিণত না হয়ে সেই উদ্দেশ্যেই লেখাটি 🙂 ।
সবাইকে আলাদা করে মন্তব্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সময়ের অভাবে। আলোচনায় সবার মতামত জানা গেল এই লাভ হিসেবে নিচ্ছি পোষ্ট থেকে।
অনেকের কথাতে যেটা এসেছে সেটাকেই পজিটিভ হিসেবে নিচ্ছি যে আপত্তি বাটনটা বড় নয়, বড় হচ্ছে জায়গা মত এসে কথা বলা। এবং এটার চর্চা মুক্তমনার সদস্যরা চালিয়ে গেলেই চলবে। এই পোষ্টের যে বাক্যটা দিয়ে লেখা শুরু হয়েছে তা হল ‘এখন তো দেখা যাইতেছে কেউ কিছু বলতেছে না’। সাইফুল ভাই বলছেন কি মনোভাবে তিনি কথাটি বলেছিলেন, কিন্তু আমি নিয়েছিলাম ভিন্ন ভাবে। আমি আমার যে স্পিরিট নিয়ে লেখাটি লিখেছিলাম সেটাই আমার সত্যিকার স্পিরিট ছিল এটা জানাতে চাই। আমি চাই না যে মানুষ একই কথা বলে বলে টায়ার্ড হয়ে, প্রতিবাদ করা ছেরে দিক। আমি আমার এই চাওয়াটাকেই প্রকাশ করেছি কেবল।
ঘৃনার বিরুদ্ধে লেখা হবে না, কিংবা ইসলামের বিরুদ্ধে কিংবা নাৎসিজম, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লেখা যাবে না সেটা কখনো বলিনি। তবে হ্যাঁ, এখনো বলবো ঘৃনার বিরুদ্ধে ঘৃনা দিয়ে সেটাকে জয় করা যাবে না।
আল্লাচালাইনার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানালাম। এই লেখা “ভবঘুরে” কিংবা কাউকে সুনির্দিষ্ট করে লেখা হয়নি। যে কোন বিদ্বেষ্পূর্ণ লেখা, মন্তব্যের বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে।
আর আপনার হিট বা মন্তব্যের জবাবে বলার ভাষা আমার নেই। আমি হিট বা মন্তব্যের জোয়ারের লোভে লেখা লিখি না। লিখে নিজের আনন্দের জন্য। তাতে পাঁচটি মন্তব্য পড়লেই খুশি। তবে আপনার সাথে দ্বিমত নেই, নিজের লেখার মান নিয়ে নিজেই সব সময়ই সন্দিহান। এই বিষয়ে আপনার অভিযোগ মাথা পেতে নিলাম। আমার লেখনি কখনই শক্তিমান নয়, স্বীকার করি, কিন্তু নিজের আচার, চিন্তা, যুক্তির প্রতি আমার আস্থা আছে।
একজন সদস্য হিসেবে অন্যরা যেমন মতামত দিয়েছেন, তেমনি এই লেখাটিও সেরকম আমার মতামত। মতামতে দ্বিমত থাকবেই, যেমন বিপ্লব’দা, ফরিদ ভাই, সৈকত ভাই, ভবঘুরে সহ আরো অনেকে দিয়েছেন। সেরকম মন্তব্যই আশা করি মুক্তমনা সদস্যদের কাছ থেকে, কিন্তু আল্লাচালাইনার মত মন্তব্য নয়।
@স্বাধীন,
ভাই আপনি আল্লাচালায়না না যেন গাড়িচালায়না এর কথা উল্লেখ করলেন কেন আপনার মন্তব্যে? প্রতিবাদ করি। এইসব অতিমেধাবী লোকেদের কথায় কান না দেওয়াই হল প্রকৃত জবাব।
@সাইফুল ইসলাম,
কান না দিয়ে সম্ভব নয়। উনি মুক্তমনার একজন সদস্য। আমার সাথে দ্বিমত থাকতে পারে, আমার লেখা উনার পছন্দ না হতে পারেন, উনার মন্তব্য আমার ভাল না লাগতে পারে, কিন্তু সত্য হল যে উনি মুক্তমনার একজন সদস্য। উনি আমার ব্লগে এসেই মন্তব্য করেছেন, অন্য কোথাও নয়। অন্য ব্লগে বা উনার নিজের ব্লগে মন্তব্য করলে হয়তো কান না দিলেও চলতো। তাই উনার মতামতে আমাকে কান দিতেই হবে 😀 ।
@স্বাধীন,
তাথাস্তু স্বাধীন ভাই, আপনি আসলেই জোস।
:guru: :guru:
অভিদার এই কমেন্ট দেখে বাটনটা বানিয়েছিলাম। এখন দেখছি অন্যান্য মডারেটর সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তির এই বাটন নিয়ে কঠিন আপত্তি আছে। তাই আপাতত আমি বাটনটা সরিয়ে দিচ্ছি। আমার নিজের এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই,অভিদা চাইলে আবার বসিয়ে দিতে পারেন। থাম্বস আপ-ডাউন বাটন সরানোর কোনো দরকার আছে বলে আমার মনে হয়না।
@রামগড়ুড়ের ছানা, :yes:
অসাড় বোধ করছি,স্বাধীনের এই আহ্লাদী পোস্টটাতে মাইনাস কষাণোর শক্তিও পাচ্ছি না। প্রথমে আমি এই পোস্টটার স্পিরিট ধরতে পারিনি, এটাকে আমার একটা বিনাইন পোস্টই মনে হয়েছিলো, এছাড়াও মাঝে মাঝেই স্বাধীন কিছুটা হাস্যকরভাবে মুক্তমনা, সচলায়তন, দেশমাতৃকা, বিশ্বজননী ইত্যাদির ভবিষ্যত নিয়ে টেনশনে পড়ে যায় দেখেছি, এই পোস্টটাকেও আমার সেইরকমই একটি রুটিন হাইপারটেনশন অ্যাটাক মনে হয়েছিলো। কিন্তু এইমাত্র পোস্টটা মনযোগ দিয়ে পড়ে, এর স্পিরিটটা ধরে বুঝতে পারলাম যে এটা একটা অ্যাড্রেনাল পোস্ট যেইখানে স্বাধীনের বিষোদ্গারের লক্ষ্য হচ্ছে ‘ভবঘুরে’। স্বাধীন কি বলতে চায় এটাকি কেউ বুঝেছেন? ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ করা যাবে না, এ আবার কেমনতর আব্দার রে বাবা!!! কয়েকদিন পর সে হয়তো আবদার নিয়ে হাজির হবে যে নাতসিজম, ফ্যাশিজম, লৈঙ্গিকবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ এইসবের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষ করা যাবে না।
আপত্তি জানান??? সমস্ত মুক্তমনা সদস্যদের কিভাবে চলা উচিত এই বিষয়ক নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা প্রটোকল আকারে প্রকাশ করে যে জিয়াউর রহমানের মতো স্বাধীন আমাদেরকে দিয়ে বলছে এইবার তোমরা হ্যা-না ভোট দাও, আমি আপত্তি জানাই স্বাধীনের এহেন ধ্যাষ্টামোর বিরুদ্ধে। অন্যান্য মানুষজন কি করে জীবনধারণ করবে এই বিষয়ে পলিটিকাল কারেক্টনেসের বেদী হতে সার্মন ছাড়ার আগে আমি মনে করি তার মনযোগ দেওয়া উচিত নিজের লেখার মান কি করে আরো ভালো করা যায় এই দিকে। ভবঘুরের বিগত পাঁচটি পোস্টে গড় হিট ৮০০ এবং গড় মন্তব্য ৭২; স্বাধীনের বিগত পাঁচ পোস্টে গড়ে হিট কয়টা আর মন্তব্য কয়টা এইটা স্বাধীনই আমাদের হিসাব করে জানাক, এবং এইও জানাক যে কি কারণে ভবঘুরের বিরুদ্ধে একটা অ্যাড্রেনাল পোস্ট লিখার ঔধ্যত্ব প্রকাশ করাটা তার জন্য যুক্তিযুক্ত।
আমি দুঃখিত আমার মন্তব্য একটু রূঢ় হইয়ে গেলো, তারপরও আমি মন্তব্যটি করলাম এবং পাঁচ ক্লিক খেয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েই করলাম।
@আল্লাচালাইনা,
পাঁচ ক্লিকের প্রথম ক্লিকটা আমিই করতাম। রামগড়ুড়ের ছানা দেখলাম এর মধ্যেই রিপোর্ট বাটনটি সরিয়ে নিয়েছে সেটি নিজেই পাঁচ ক্লিক খেয়ে যাওয়ার অপরাধে। 😀
স্বাধীনেরটা আড্রেনাল পোস্ট কি না জানি না তবে আপনার মন্তব্যটা যে আড্রেনালপ্রসূত সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। 🙂
এই লেখার মূল টার্গেট যে ভবঘুরে সেটাও আমার মনে হয় নি। তাঁর বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষের বিষোদগার ছড়ানোরও কিছু পাই নি এখানে আমি। ভবঘুরে অত্যন্ত শক্তিশালী লেখক, সুদক্ষ তীরন্দাজ। তাঁর লেখা অন্য অনেকের মত আমিও খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ি। কিন্তু প্রায়শই তিনি তাঁর আক্রমণের দিক নিশানা ঠিক রাখতে পারেন না, ইসলামের বদলে সকল মুসলমানদের দিকে ঘুরে যায় তীরের ফলাগুলো অনাব্যশকভাবে।
ধর্মের বিষয়ে পলিটিক্যাল কারেক্টনেস আসলে ভণ্ডামিরই নামান্তর। এ ব্যাপারে আপনার সাথে একমত আমি। সেটা কেউ করলে আমরাও আপত্তি জানাবো। ধর্মগুলোকে কিডস গ্লোভ দিয়ে পিটুনির সুযোগ দেওয়ার কিছু নেই, পেটাতে হলে কঠিন করেই পেটাতে হবে। কিন্তু নিরীহ ধর্মানুসারীদেরকেও যদি একই সাথে পিটানো হয় তাহলেতো সেটা বড় অন্যায়।
স্বাধীনের লেখার মান খারাপ এটা মানতে পারলাম না কিছুতেই। হিট দিয়ে মনে হয় না সব কিছুকে বিচার করা ঠিক হবে। একটা লেখা ভালো কী মন্দ বা একজন লেখক কতখানি শক্তিশালী বা শক্তিশালী নন সেটা হিট দিয়ে সবসময় বোঝা যায় না। মুক্তমনায় সেরা পাঁচজন লেখকের নাম বলতে বললে আমি নির্দ্বিধায় সেই তালিকায় প্রদীপ দেবের নাম ঢুকিয়ে দেবো। অথচ দেখুন তাঁর লেখাতে হিট কত কম। অনিয়মিত উপস্থিতিই এর মূল কারণ, লেখার মান নয়।
@ফরিদ আহমেদ,
এটা খুবই স্বাভাবিক, আপনি মুক্তমনার একজন অনেক সিনিয়র সদস্য যেহেতু এবং যেহেতু একজন মডারেটর এটা আপনাকে না চাইলেও করতে হতো (পাঁচ ক্লিকের প্রথমটা), বস্তুত আমি বা যে কেউই যদি আপনার দায়িত্বে থাকতাম তবে তাকেও এই একই সিদ্ধান্ত নিতে হতো। এই জন্যই আমার ঝুঁকি নেওয়া। ঝুঁকি নেওয়াটা কিন্তু বিফল হয়নি দেখেন, আমার ওই মন্তব্যটাতে থাম্বস আপ পড়েছে চারটি, ডাউন পড়েছে তিনটি। ফেইসলেস অবস্থায় বেশীরভাগ মানুষেরই মন্তব্যটা এতোটা আপত্তিকর কিছু মনে হয়নি, যদিও ইনফেইস এরা কেউই হয়তোবা স্বাধীনের এই ধ্যাষ্টামোর প্রতিবাদ জানাতে আগ্রহী হতো না, হয়তোবা শঙ্কায়, হয়তোবা তাদের অন্যান্য অনেক পিছুটান রয়েছে। কিন্তু আমার তো কোন পিছুটান নেই। স্বাধীনের নিন্মোক্ত কথাগুলো বলার ডাইস খেয়াল করুন। এমনিতে শুনলে এই কথাগুলো বেশ বিনাইনই মনে হবে, কিন্তু এই কথাগুলোর প্রত্যেকটির একটা অংশ কিন্তু ভবঘুরেকে জড়িত কোরে। আর ভবঘুরের দোষ, সে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেছে। আমি ভবঘুরের জাগায় নিজেকে বসিয়েছি, আমাকে কেউ এই কথাগুলো বললে আমার কেমন লাগতো ভাবার চেষ্টা করেছি, কিংবা আমাকে এই কথাগুলো শোনানোর পরও অন্যান্য সদস্যেরা এসে তাকে একইসমান কটু কিছু কথা শুনিয়ে দিচ্ছে না, এটা আবিষ্কার করেই বা আমার কেমন লাগতো। কোন জীবই কর্নার্ড হতে চায় না আউটনাম্বার্ড হতে চায় না। অথচ এই পোস্টটা মন্তব্য আকারে না দিয়ে পোস্ট আকারে যে স্বাধীন দিয়েছে, সেটা যে নিছকই একজনকে অনেকজন নিয়ে কর্নার্ড ও আউটনাম্বার্ড করার অসদুদ্দেশ্যে এটা বোঝা যায় উনার কথার ধরণ দেখে-
এই উপরোক্ত বাক্যগুলো দিয়ে স্বাধীন যেই আঘাতটা করেছে সেটা হচ্ছে নিকৃষ্টতম আঘাত, আত্নবিশ্বাসে আঘাত, এটাতো হাতে মারা নয় এটা ভাতে মারা! এবং কাকে উদ্দেশ্য করে এইসব করেছেন তিনি? ভবঘুরেকে উদ্দেশ্য করে যে কিনা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়, নিজের মূ্ল্যবান সময়, শ্রম ও মেধা দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে লেখে, এবং সে ইসলাম নিয়ে লেখে বলেই আমি আমার অন্যান্য আরও যতো ফ্যান্সি ইন্টারেস্ট আছে সেগুলো নিয়ে লিখতে পারি। আমি ভালো করেই জানি মোটামুটি কটু ভাষায় স্বাধীনের এই কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় সর্বোচ্চ ক্ষতি কি হতে পারতো! তবে লাভ যেটা হতে পারতো সেটা হচ্ছে- মানুষ দেখতো যে নিজের আপাত সুবিধাজনক একটি অবস্থানকে পূঁজি করে মুক্তমনার সদস্যদের কাছে যে কেউ যে কোন জিনিষ বিক্রি করে দিতে পারে না। লাভ ক্ষতির এই হিসাবটা করেই আমি মন্তব্য করেছি। আমার মন্তব্যটা মোটেও কোন আড্রেনাল মন্তব্য ছিলো না, আমি হুট করে এই মন্তব্য করিনি, আমি ২৪ ঘন্টারও বেশী সময় নিয়েছি এই মন্তব্যটি করতে। এবং আমি ব্যাখ্যা করতে পারি কেনো আমি সেইটা করেছি।
ভবঘুরের যেই মন্তব্যটা নিয়ে এই পোস্ট সেটা ছিলো ‘বন্ধুর নাবালক মেয়েকে বিয়ে করে জিন্না হযরতের একজন যথার্থ অনুশরণকারীর পরিচয়ই দিয়েছে।’ এই কথাটা কি এতোটাই বিদ্বেষপূর্ণ, যে বলা যায়- এই কথাটার মধ্য দিয়ে সে ইসলাম নয় বরং সকল মুসলিমদের বিরুদ্ধেই বিষ ছড়িয়েছে? আমি তো মনে করি আসলেই একজন বা একদল মানুষ হচ্ছে তাদের সমুন্নত করা মূ্ল্যবোধেরই প্রতিফলন। ইসলামী মূ্ল্যবোধ একটি মানুষকে পশুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে আংশিক ভূমিকা অবশ্যই রাখবে। একজন মুসলিম হযরতকে আদর্শ হিসেবে মানে বলেই শিশুনির্যাতন তার কাছে সমস্যার কোন কিছু না। আবার একজন হিন্দুর কাছে শিশুনির্যাতন যথার্থ মনে হতে পারে তার মান্য করা অন্য কোন একটা আদর্শ ব্যক্তিত্বের গুনে যে কিনা হযরতের মতোই আরেকটি মাপেট। একজন হিন্দু হযরতকে আদর্শ মেনে শিশুনির্যাতন করে না বলে কি একজন মুসলমানের হযরতকে আদর্শ মেনে শিশুনির্যাতন করাটা হালাল হয়ে যায়? ভবঘুরের এই কথাটার সাথে স্বাধীন একমত পোষণ করেনি ভালো কথা। এটা নিয়ে ঐ থ্রেডে কোন মন্তব্য না করে আলাদা একটা থ্রেড খোলার প্রয়োজনীয়তা মনে করেছে সেটাও ভালো কথা। কিন্তু ঐ থ্রেডের মধ্যে চটপট একটি প্রটোকল বানিয়ে ঝটপট হাইপারঅ্যাকটিভ উচ্ছাস দেখিয়ে সেটাকে ফিক্স করে ফেলারযেই একটা স্কীম হাতে নেয় অন্য কেউ এসে এটা দেখে নিজের মতামত জানানোর আগেই, এটাকে তার কি ধরণের গনতান্ত্রিক মানসিকতা বলা যেতে পারে আমি জনিনা।
আর উনার ঐ প্রটোকলটা ছিলো কি? একজন মুক্তমনা আরেকজন মুক্তমনাকে সার্ভেইলেন্সের মধ্যে রাখবে, ইসলামবিদ্বেষী কোন আপত্তিকর মন্তব্য পেলে সেটা ফ্ল্যাগ করবে, এইরকম প্রক্রিয়া চলতে চলতে একসময় একদল মুক্তমান আরেকটি মুক্তমনাকে মুক্তমনা হতে আইপিসহ ব্যান করে দিবে। হাত কাটা, মাথা কাটা, বরকা পড়ানো, মাটিতে পুতে পাথর মারাকে মুসলমানেরা আল্লার আদেশ এবং অবশ্যই পালনীয় মনে করা সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ঢালা যাবে না। আপনার কি মতামত এই প্রটোকল সম্পর্কে? স্বাধীন না হয়ে যদি আমি কিংবা ভবঘুরে যদি এই প্রটোকল নিয়ে হাজির হতাম তবে আমাদের কি দশা হতো বলে আপনি মনে করেন? এই প্রটোকলেরই বা রিসেপশন কেমন হতো? কিংবা স্বাধীনই যে এই প্রটোকল নিয়ে হাজির হলো, এটাই তার কাছে কেনো প্রথম প্রায়রিটি মনে হলো; শাহবাজ নর্জুলেরা নানা নিকে এসে মুক্তমনা দূষিত করে যায়, স্বাধীন কি এই ব্যাপারে কোন প্রটোকল নিয়ে আসতে পারতো না এদের উতপাত থেকে কি করে আমরা মুক্তমনাকে মুক্ত রাখতে পারি? এক মুক্তমনা আরেক মুক্তমনাকে আইপি সহ ব্যান করে দিবে এটাই কেনো তার মনে হলো এই মুহুর্তে সবচেয়ে দরকারী? স্বাধীন একজন প্রবীন মুক্তমনা সদস্য, বস্তুত স্বাধীন না হয়ে অন্য কোন নবীন মুক্তমনা যেমন ভবঘুরের মস্তিষ্কমুবারক হতে যদি এই আইডিয়া নিষ্ক্রান্ত হতো, তবে যেই আক্রমনটি আমি চালাতাম তার উপর সেটি হতো একটি আত্নঘাতী আক্রমন। অথচ শুধুমাত্র এটা সুবোধ-প্রবীন স্বাধীন বলেই আমি সেটা করতে পারিনি, এবং যতোই পারছিলাম না ততোই বেশী পিড়ীত হচ্ছিলাম আমি। আপনি জানেন সুবোধ সেজে এর আগে মুক্তমনায় অনেকে অনেক কিছু বিক্রি করার চেষ্টা করেছে, যেমন- আব্দুর রহমান আবিদ, কুলদা রায়, ঋণগ্রস্থ প্রমুখেরা।
ভবঘুরে আর স্বাধীনের পোস্টে হিটের সংখ্যা তুলনা করার উদ্দেশ্য আমার এইটা ছিলো না যে- এবার আমি উপসংহার টানবো ভবঘুরে স্বাধীনের চেয়ে ভালো লেখক। আমার ঐ তুলনার সঠিক স্পিরিটটি (আবারও স্পিরিট :laugh: ) ছিলো যে- কি কাজ করলে ভবঘুরে এবং ভবঘুরের মতো অন্যান্যরা আইপিসহ মুক্তমনা থেকে ব্যান হয়ে যাবে এই বিষয়ে জাজমেন্ট ছাড়ার উপযুক্ত ও যোগ্য কর্তৃপক্ষ স্বাধীন নয়, তার নিজের চরকায় জেলী মাখানোতেই মন দেওয়া উচিত। স্বাধীন ভালো লেখে এটা মেনে নিতে আমার কোনই আপত্তি নেই। তার লেখা দেখে অনেক কিছু শিখি, তার মতো লেখক হতে চাই একদিন।
@আল্লাচালাইনা,
আপনার সাথে তর্কে যাবো না, কিন্তু লাগাতারভাবে কিছু বলে যেতে থাকলে এক পর্যায়ে মানুষ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে, আসলেই তো এক হাতে তো তালি বাজে না। তারমানে আল্লাচালাইনার বক্তব্যে কিছু সত্যতা তো আছেই। এই হিসেবে আপনার স্ট্র্যাটেজী ঠিক আছে। চালিয়ে যান।
আপনি আমার লেখা হতে নানান অংশ কোট করে অনেক কিছুই প্রমান করতে পারবেন যেমন ধার্মিকেরা খুঁজে পায় ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান, আর আকাশে উড়ে যাওয়া মেঘের মাঝে খুঁজে পাই নানান বস্তু। আপনি যে অংশগুলো কোট করে জোঁড়া দিয়ে একটি প্যারার মত করে বানিয়েছেন সেগুলোর আগে পড়ে অনেক কথা আছে। সেই বক্তব্যগুলো ব্যতীত কোন অংশের কোট করে সেটাকে ভিন্ন মানে দেওয়া হলে কোন লাভ নেই আমার কাছে।
আমি আগেও বলেছি এখনো বলে যাই, লেখাটি সাইফুল ভাইয়ের যে মন্তব্য থেকে নেওয়া, তার আগে অবশ্যই ভবঘুরের সাথে বিপ্লব’দা এবং সৈকত ভাইয়ের মন্তব্য বিনিময় হচ্ছিল। এমন নয় যে সেই লেখার লিঙ্কও আমি দেইনি। কিন্তু লেখাটি যেহেতু সুনির্দিষ্টভাবে উনাকে উদ্দেশ্য করে নয়, অনেকটা যারাই বিদ্বেষ্পূর্ণ কথা বলবেন তাদের উদ্দেশ্য, সে কারণেই নিছক মন্তব্য আকারে না দিয়ে, ইন জেনেরাল একটি লেখা দিয়েছি। আমার লেখায় কোথাও “ভবঘুরে” কে নির্দিষ্ট করে টানা হয়নি। সেখানে উনার বক্তব্য যেমন ছিল, বিশ্বাসী মাত্রেই পাগল সে বক্তব্যও ছিল। এই ঢালাও একতরফা বক্তব্যের বিরোধীতা করবোই।
আপনার নিজের কথাতেই বলি,
বিদ্বেষের বিরুদ্ধে যদি বিদ্বেষই জয়ী হতো তবে নাৎসিজমই টিকে থাকতো, ফ্যাসিজমই টিকে থাকতো, ধর্মই টিকে থাকতো। সেগুলো যখন টিকে থাকেনি, তখন আপনার বিদ্বেষও যে টিকে থাকবে না, সেটা আমি বুঝি। তাই বলে যান, সময়ই নির্ধারণ করবে কি টিকে থাকবে আর কি থাকবে না 😀 ।
@স্বাধীন,
আমার মনে হয়, আপনার এ নিবন্ধটার পিছনে সূক্ষ্ম কোন মতলব আছে। অথবা যে কোন সমালোচনা মূলক লেখাকেই আপনার কাছে বিদ্বেষ মনে হয়।কেউ সীমা লঙ্ঘন করে কোন কিছু লিখে পেষ্ট করলে সচেতন পাঠকরাই তার প্রতিবাদ করবে। আর তখন লেখক বাধ্য হয়ে পিছু হঠে যাবে। এটাই হলো সাধারন রীতি। কিন্তু আপনি বিষয়টি নিয়ে একেবারে বিরাট নিবন্ধ ফেদে বসে আছেন আর তা দিয়ে আবার সাইটের মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন, এটার পিছনে কোন মতলব না থেকেই পারে না। সাইটের মর্যাদা ও স্বাতন্ত্র রক্ষায় আমি এ ব্যপারে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তবে মডারেটররা যেভাবে বিষয়টাকে নিয়ে মহা উৎসাহে টানা হেচড়া করল তাতে তো মনে হয়ে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।
@ভবঘুরে,
আপনি সেই কন্সপেরাসি থিউরি খুঁজতে থাকুন, আমার কোন আপত্তি নেই। আপনার কথামত এটাকে একজন সচেতন পাঠকের প্রতিবাদ হিসেবে ধরতে পারেন আবার সূক্ষ্ম মতলবও ধরতে পারেন। ইট’স আপ টু ইউ।
তবে এর সাথে মডারেটরদের জড়িত করার যে চেষ্টা করলেন সেটা একটু ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখতে পেতেন যে এখানে মডারেটর সহ সিনিয়র অনেক সদস্যই এই লেখার বিপক্ষেই বলেছেন। তাই বিপক্ষ মতামতকেই বিদ্বেষ কখনো মনে করি না, বিদ্বেষকেই বিদ্বেষ মনে করি।
@আল্লাচালাইনা,
নিজেকে জাহির করার এত ইচ্ছা কেন আপনার? মাইনাস পর্যন্ত দিতে পারছেন না কিন্তু ঠিক কতগুলো আবযাব কথা বার্তা বলে ফেললেন।
ভাই আমরা জাতে বলদ তাই চিন্তা করি। আপনার মত অত উঁচু শ্রেনিতে উঠতে পারি নাই তাই নিজেরে নিয়া ভাব্বার সময় নাই। আপনে আপনারে নিয়াই ভাবেন।
এটার মধ্যে নতুনত্বের কিছু নাই। বরঞ্চ রূঢ় না হলেই অস্বাভাবিক হত। যাই হোক আসল কথায় আসি,
না দাদা আপনার মত কি কেউ আর বুঝে নাকি। আপনি জটিল জিনিস, পোষ্টে বা মন্তব্যে অপ্রয়োজনীয়ভাবে হুদা হুদা পেচানো কথা বলে মেধা প্রকাশ করেন। আপনার সাথে কি আমাদের যায় নাকি??
স্বাধীন ভাইয়ের কোন কথায় আপনার মনে হল যে তিনি বলেছেন ইসলাম বিদ্বেষী হওয়া যাবে না(আবার কোন কেমিকেলের নাম দিয়া ভারী বক্তব্য দিয়েন না, নাদান বালক আমি বুঝতে পারব না)? উনি বলেছেন মুসলমান বিদ্বেষী না হতে। যেটা যেকোন সুস্থমানুষই তা চাইবে।
স্বাধীন ভাইয়ের লেখার এই লাইনটা পড়েছেন?
ওহহ দুঃখিত, আপনার তো আবার বাংলা বুঝতে সমস্যা হয় মনে হয়। ইংলিশ জানা কোন পাবলিকের কাছ থেকে একটু কষ্ট করে অনুবাদ করে নেবেন।
আর আমি আপত্তি জানাচ্ছি আপনার এইসব রাসায়নিক দূর্গন্ধযুক্ত হাবিজাবি মন্তব্যের বিরুদ্ধে।
হিট দিয়ে লেখার মান বিচার করছেন? বিভিন্ন ব্লগে বাপ মা তুলে গালাগাল করে দেওয়া পোষ্টে হাজার হাজার হিট পড়ে। তো আপনার কথা অনুযায়ী এখন সেগুলো তো অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় পোষ্ট বলে মনে হচ্ছে। দেখি সেগুলো আবার পড়ে দেখতে হবে।
ভবঘুরে যেসব পোষ্ট লেখে সেই বিষয়ে ইন্টারনেট ঘাটলে মিলিয়ন রেজাল্ট দেখাবে। স্বাধীন ভাই যেগুলো নিয়ে লেখে বাংলাতে সেগুলো নিয়ে খুব বেশি লেখা ঠ্যাকা নাই। আর কিছু বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না। তাতে করে কার লেখা ভালো মন্দ সেই বিচার বিবেচনায় যেতে হবে। থাক দরকার নাই।
আমি শিওর আপনি আসলে পোষ্টটি পড়েন নি। পড়লে এই কথা বলতেন না।
আর তাছাড়া এসব অ্যাড্রেনাল পোস্ট লেখার
অভিজ্ঞতা আপনারই বা কম কিসে। পরে যদিও সদস্যদের ইচ্ছায় কমাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ভবঘুরের লেখায় মুসলমান বিদ্বেষ অত্যন্ত প্রকট। এটা আমার কথা না, সবাই এটা জানে। আমি নিজে এর প্রতিবাদও করেছি। লাভ হয় নি।
তো কোন সুস্থ মগজের মানুষ যদি তার কথায় ব্যথিত হয়ে তার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য কোন পোষ্ট দেয় তাহলে এর মধ্যে খারাপটা কি দেখছেন আপনি?? কিন্তু আসল কথা হল এই পোষ্ট সকল মুসলমান বিদ্বেষীদের জন্য। ভবঘুরের ব্যাপারটা প্রসঙ্গের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলাদা করে ভাবার কিছু নেই।
ধন্যবাদ।
@ফরিদ আহমেদ, @সাইফুল ইসলাম,
ধন্যবাদ আপনাদের দু’জনকে। মুক্তমনায় যদি সবাই এভাবে সক্রিয় থাকেন তবে আপত্তি জানান বাটনের প্রয়োজন নেই, আমার এই লেখারও প্রয়োজন নেই। এভাবে মন্তব্যের মাধ্যমেই নিজেদের মতামত, প্রতিবাদ মেলে ধরবো।
কিন্তু যে কারণে এই পোষ্ট সেটা আবারো বলি, কতদিন ফরিদ ভাই অথবা সাইফুল ভাইয়ের মত হাতে গোনা কয়েকজন এভাবে প্রতিবাদ করার মত সময় পাবেন। তখন অন্যরা যদি এগিয়ে না আসেন তখন এই মন্তব্যের কথাই টিকে থাকতে বাধ্য। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি প্রতিবাদ করে তো লাভ নেই। আমার হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে অন্যদের, অন্যদের হয়ে প্রতিবাদ করবো আমি। যা হোক, সময়ই বলে দিবে আমার চিন্তা কি শুধুই দুঃশ্চিন্তা ছিল কিনা।
@সাইফুল ইসলাম, আমি একজন বাঙ্গালী, তারচেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণভাবে আমি একজন বাঙ্গালী যে নিজের জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় একজন মুসলমান হিসেবে পার করেছে। তাই বলাই বাহুল্য যে- আমার রয়েছে একটি বি-শা-ল বি-শা-ল বড় মুখগহ্বর যার ভেতরে কিনা অনায়াশেই পার্ক করা যাবে একটি লিমোজিন গাড়ি। আর আপনারটার ভেতর কি পার্ক করা যাবে অনুমান করুনতো? একটা বোয়িং ৭৭৭।। সেটা খুব সতর্কতার সাথে করতে হবে যদিও, বোয়িং এর মাথা চোখাতো, গলা দিয়ে গড়িয়ে পেটে চলে যেতে পারে সহজেই কিংবা ফুসফুসে। আপনি কি বুঝতে পারছেন যে আপনি রেগে যাচ্ছেন বড়ই অশৈল্পিকভাবে? রেগে যাওয়াটা কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হয় গিয়ে যতোধিক রাগেন যদি ততোধিক বড়সড় ও মোটাতাজা একটা জার্ক রূপে ক্রমাগত নিজেকে প্রমান করে চলেন। স্বাধীনের আড্রেনাল পোস্ট আর আমার আড্রেনাল পোস্টের মধ্যে একটা বিশাল বিশাল পার্থক্য রয়েছে, আমার আড্রেনাল পোস্টে কয়টা থাম্ভস আপ পড়েছে আর স্বাধীনেরটায় কয়টা থাম্বস ডাউন এটা হিসেব করলে আপনিও এই একই উপসংহারে পৌছবেন।
এটা আপনি বিনয় করে বললেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে আমি আপনার চেয়ে বেশী উঁচু শ্রেণীতে আছি, তবে আপনার যা যা লেখার আছে, বলার আছে এবং মন্তব্য করার আছে সেগুলো ভালো করে পড়লে পরে নিশ্চিতভাবেই যে কেউ এই উপসংহারেই পৌছবে যে- জ্ঞানে, গরিমায়, আদর্শে, চেতনায় সকল দিক থেকেই আপনি আমার চেয়ে অ-নে-ক অ-নে-ক উঁচু শ্রেণীতে আছেন।
@আল্লাচালাইনা,
আপনার এই কথার উত্তর আমি অত্যন্ত শৈল্পিক ভাষায় দিতে পারতাম। বন্ধু মহলে এই ব্যাপারে আমার বেশ বদনাম আছে। কিন্তু সেটা করতে গেলে এখানে বাচ্চাদের মত শুধুই ঠেলাঠেলি হবে আসল কাজের কাজ কিছুই হবে না। আর তাছাড়া এটা একটা পাবলিক ফোরাম ঝগরাঝাটি না করাই কাম্য।
যাই হোক কাজের কথায় আসিঃ
জ্বি ভাই আমি রেগেছি। এবং এটা জানব না কেন? জানানোর জন্যেই আপনাকে অত্যন্ত উত্তেজিত ভাষায় প্রতিউত্তর দিয়েছি। ফরিদ ভাইয়ের মত
আমার উত্তরেও যদি কয়েকটা স্মাইলি বসিয়ে দিতাম তাহলে জিনিসটা অনেকটাই শৈল্পিক হয়ে যেত। কিন্তু আমি দরকার মনে করিনি। আপনি চাঁছাছোলা ভাবে বলেছেন আপনাকে আবার মাখন জেলী দিয়ে মাখিয়ে খাওয়াতে হবে কেন?
আমি রাগি প্রলাপ বকা দেখলে। সেটা শৈল্পিকতা নাকি অশৈল্পিকতা সেই বিচার বাহুল্য কারন রাগ শৈল্পিক না অশৈল্পিক সেটা বিবেচ্য নয়, বিবেচ্য হল আমি আপনাকে যে পয়েন্টগুলো বলেছি সেগুলো অযৌক্তিক কিনা। আমার বলা কথাগুলো কি অযৌক্তিক ছিল? অবশ্যই নয়।
তাহলে সেগুলোর কথা আপনার উত্তরে নেই কেন? উত্তর দিতে ভুলে গেছেন, নাকি না পড়েই উত্তর লিখতে বসে গেছেন, নাকি জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না, নাকি জবাব দিতে পারছেন না? পরিষ্কার ভাবে বলাটাই কি বেশি দরকারি না আমার অশৈল্পিক রাগের বিপরীতে আপনার শৈল্পিক রাগ দেখানোর চেয়ে?
আবার কথা অন্যদিকে ঘুরাচ্ছেন। কথা আড্রেনাল নিয়ে। আপনি লিখেছেন, আর আপনার কথা অনুযায়ী স্বাধীন ভাইও লিখেছে( যদিও আমি মনে করি না), তাহলে পার্থক্য কোথায়? প্রেক্ষাপট বিবেচনা পরে, আগে দেখি লিখেছেন কিনা,
তাই না?
আবার সেই হাত দেখানর ব্যাপার স্যাপার। আরে ভাই হাত দেখিয়ে যদি সব হত তাহলে এত দিনে বাংলাদেশে শরিয়া আইন আসার কথা ছিল। কারন এই আইনের জন্য দেশের বেশির ভাগ মানুষ থাম্ভস আপ
দেখানোর জন্য মুখিয়ে আছে। ফরিদ ভাইয়ের কথাগুলো পড়েছেন? ফরিদ ভাইয়ের মতে মুক্তমনায় লেখকদের সেরা পাঁচ জনের মধ্যে ড.প্রদীপ দেব একজন। কিন্তু তার লেখায় রেটিং দেখেন। কিছুই বুঝবেন না।
আমার বলা
কথাটা সত্যিই বলেছি। আমরা ভাই পড়ি স্যন্ডেল মারি হ্যন্ডেল টাইপ পাবলিক। আপনারা উচু তলার মানুষ। আপনাদের নিজেদের নিয়ে ভেবেই কুলকিনারা পান না। অন্যের কথা কখন ভাববেন। এটাই স্বাভাবিক। দোষের কিছু নাই।
আসল কথা হল, আপনার সাথে কথা বলতে আর জোস পাচ্ছি না। আপনি আপনার কথা থেকে সরবেন বলে মনে হচ্ছে না। আপনার কথা আপনি বলেই যাবেন। আমার এই উত্তরের প্রতিউত্তর যদি সঠিকভাবে আমার সমস্ত যুক্তি খন্ডন করে দিতে পারেন তাহলে দিয়েন নইলে বাদ দেন। আপনি ঔষধের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ভাবেন আমি হ্যন্ডেল মারি। দুজনের সময় বাঁচে।
ধন্যবাদ।
আপত্তির বাটনটা (এখন দেখছি ‘রিপোর্ট’ – পুলিশ-পুলিশ গন্ধ পাচ্ছি) আমার কাছেও বাহুল্য মনে হচ্ছে। তবে লগ-ইন করা সদস্যদের থাম্বসআপ-থাম্বসডাউন করার সুযোগটা থাকা দরকার, মনে করি।
‘আপত্তি জানান’ বাটনটাতে আপত্তি জানালাম আমি।
মুক্তমনা কোনো পুলিশি রাষ্ট্র নয় যে পান থেকে চুন খসলেই আপত্তি জানানোর বাটন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নিয়মাবলী করা হয় একটি প্রতিষ্ঠানকে মসৃনভাবে চালিয়ে নেবার জন্যে, কিন্তু পদে পদে এর ব্যবহার আসলে এর অগ্রযাত্রাকেই ব্যাহত করে। একারণেই, নীতমালার বাইরেও মুক্তমনা প্রশাসকদের নিজস্ব বিবেচনাবোধে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রেস দেওয়ার জায়গা থাকে, ফলে আপাত দৃষ্টিতে চুলচেরা বিশ্লেষণে কোনো মন্তব্য বা লেখাকে নীতিমালার বিরোধী মনে হলেও সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলোকে উপেক্ষা করা হয়, কঠোরভাবে নীতিমালা প্রয়োগ করা হয় না, আবার কিছু কিছু বিষয় আছে যেখানে পুরোপুরি জিরো টলারেন্স বহাল রাখা হয়। তাহলে কি বলবেন যে, মুক্তমনা প্রশাসন অনিরপেক্ষ। না, সেটা বলা যাবে না। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও এ জিনিসটা দেখবেন আপনারা। রাষ্ট্রীয় আইন কঠিনভাবে প্রয়োগ করতে গেলে গেলে প্রায় প্রতিটা নাগরিককেই কোর্টে নিয়ে ফেলা সম্ভব। যেমন ধরুন, আমেরিকায় হাইওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা সত্তর মাইল, কিন্তু আশি পচাশি মাইল গতিতে চালালেও পুলিশ সাধারণত গাড়ির চালকদের ধরে না। কেননা, ওইটুকু গ্রেস অলিখিতভাবে পুলিশ দিয়ে রেখেছে। যে রাস্তায় এই গ্রেস নেই, সেখানে সাইনবোর্ড লাগানো থাকে জিরো টলারেন্স বলে। অথচ ধর্ষণ, সেক্সুয়াল হারাসমেন্ট বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বা বিচারব্যবস্থার অবস্থান জিরো টলারেন্সে। এ কারণেই অনেক অসময় খেয়াল করলে দেখবেন যে, মুক্তমনা প্রশাসনের সাথে যুক্ত কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ হয়তো কারো লেখার বিষয়বস্তু বা মন্তব্য নিয়ে কঠোরভাবে সমালোচনায় মেতে উঠেছেন, কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তার মানে সেই লেখাটা বা মন্তব্যটা ওই গ্রেসের সুযোগটা পাচ্ছে।
মন্তব্যের ক্ষেত্রে আপত্তি বাটন না থাকার পিছনে আমার সবচেয়ে জোরালো যুক্তি হচ্ছে যে, মন্তব্যগুলো বেশিরভাগই করা হয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে। একজন লেখক যখন কোনো লেখা লেখেন, তখন তিনি অনেক ভাবনাচিন্তা করে লেখেন। কিন্তু মন্তব্যের ক্ষেত্রে অতোখানি ভেবে কেউ-ই মনে হয় না মন্তব্য করে। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে গেলে দেখা যাবে যে বহু মন্তব্যকেই আপত্তিকর এই কলংকের বোঝা কাঁধে নিয়ে নীরবে প্রস্থান করতে হবে মুক্তমনা থেকে। এতে করে এখন মন্তব্য করার ক্ষেত্রে পাঠকদের যে স্বতঃস্ফূর্ততা আছে সেটি বাধাগ্রস্ত হবে বিপুলভাবে। আখেরে ক্ষতি হবে মুক্তমনারই। কারণ, কে না জানে অনেক সময় মূল লেখার চেয়েও মন্তব্যগুলোই বেশি আকর্ষণীয় হয়। এর চেয়ে বরং কারো মন্তব্যে আপত্তিকর কিছু পেলে, সেখানেই প্রতিবাদ করা যায়, বা শোভনভাবে বলে দেওয়া যায় যে, আপনি সঠিক বলেন নি। এতে করে দেখা যাবে যে সেই সদস্য হয়তো তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন। সব সময় যে প্রকাশ্যেই তিনি সেটা স্বীকার করবেন এমন নয়, কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো তিনি আর ওই ধরনের মন্তব্য করবেন না। তবে হ্যাঁ, কারো সমস্যা যদি ক্রনিক হয়, নিরাময়ের অযোগ্য হয়, সেক্ষেত্রে মুক্তমনা প্রশাসনতো আছেই শেষ অবলম্বন হিসাবে।
শুধু আপত্তি জানান বাটনেই যে আমার আপত্তি আছে তা নয়। এখন যেমন লেখার এবং মন্তব্যের শেষে থাম্বস আপ বা থাম্বস ডাউন বাটন আছে সেটাও তুলে দেওয়ার পক্ষপাতি আমি। এমন কিছু লেখা আছে যেগুলো মুক্তমনা মডারেশন হয়ে এলে কখনোই মুক্তমনায় প্রকাশিত হতো না, সেগুলোতেও থাম্বস আপের ছড়াছড়ি দেখেছি আমি। আবার অনেক ভালো লেখায় দেখেছি থাম্বস ডাউনের অপপ্রয়োগ। তারমানে এটাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করছি না আমরা। কেউ কোনো লেখাকে ভালো বা মন্দ বলতে চাইলে মন্তব্যেই বলুক। সেক্ষেত্রে আমরা লেখকের সাথে সাথে সেই পাঠকের মান, রুচি বা পছন্দ অপছন্দের ধরনকে যাচাই করে নিতে পারবো। কিন্তু নিজেকে অদৃশ্য রেখে শুধুমাত্র বুড়ো আঙুল উঁচু বা নীচু করে দিয়ে কেউ চলে যাবে, সেটা হতে পারে না।
@ফরিদ আহমেদ,
এটা একটা ভাল পয়েন্ট। অন্য ব্লগেও দেখেছি লেখায় মাইনাস দিয়ে কেউ কেউ চুপিচুপি কেটে পড়ে, লেখার কোথায় সমস্যা মনে হয়েছে সেটা প্রকাশ করার প্রয়োজনবোধ করে না। এখান থেকেও অনেক ক্যাচালের সৃষ্টি হয়। লেখার সাথে একমত বা দ্বিমত হলে সেটা সরাসরি জানিয়ে দেওয়া উচিত। এই প্লাস-মাইনাসের সিস্টেমটা বাদ দিয়ে আমরা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি।
মন্তব্যগুলোর ক্ষেত্রে শুধু রিপোর্ট বাটনটা রাখলেই হয়। এতে করে কোন আপত্তিকর মন্তব্য এসে গেলে সেটা সবাই মিলে প্রতিহত করতে পারবে।
@ফরিদ আহমেদ,
একমত।
শুধু চিহ্ন বা ইমো দিয়ে এগুলি দিয়ে তেমন সিরিয়াস কিছু বোঝানো যায় না। আমি নিজে মনে পড়ে না কোন লেখায় কমেন্টে থাম্বস আপ এসব তেমন দিয়েছি বলে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। আমি মনে করি যে কোন মত, সে হিটলারের মত বিদ্বেষপূর্ন হলেও কমেন্ট হিসেবে আসতে পারে, তবে সাথে সাথে থাকবে সদস্যদের প্রতিবাদ। এটাই হবে ব্লগের স্বকীয়তা ও কৃতিত্ব।
যিনি কমেন্ট করেছেন তিনি হয়ত ভুল বুঝতে পারবেন যৌক্তিক আলোচনা থেকে, তেমনি নীরব পাঠকেররা মুক্তমনা সম্পর্কে ভুল ধারনা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
এ জাতীয় লেখায় কতটা কতটা কাজ হবে জানি না, ততেব কিছুদিন পর পর এমন ধরনের রিমাইন্ডার নীড় পাতায় আদেখা গেলে মন্দ হয় না। ওয়াজ মাহফিলে ঝিমানি এসে গেলে যেমন হুজুররা এটেনশন ফেরাতে হঠাত হঠাত আল্লাহু বলে বিকট দিয়ে ওঠেন অনেকটা তেমনই ব্যাপার।
ধর্ম বিরোধীতা আর ধর্ম বিদ্বেষ দুই জিনিস; আবার ধার্মিক বিদ্বেষ হল আরেক শ্রেনীর। এই বিষয় মাথায় রাখার কথা মুক্তমালার নীতি অনুযায়ীই, কিন্তু প্রায়ই এত বাত্যয় ঘটে।
তবে বিদ্বেষপূর্ন মন্তব্য কাকে বলে তা অনেক সময় বিতর্কিত হতে পারে। অনেক সময় ব্যাক্তি বিবেচনার উপর নির্ভর করতে পারে। আমি নিজে ধর্ম বিষয়ক যেসব কথাবার্তা বলি তাতে অনেকের চোখে আমি ইসলাম বিদ্বেষী, হয়ত উদাহরনটা একটু চরম কারন তেমন লোক মুক্তমনায় মনে হয় নেই। তবে অন্য ব্লগে দেখেছি, একই কথা ধার্মিকদের কাছেই মনে হয় গ্রহনযোগ্য আবার অনেকের কাছে হয় বিদ্বেষ।
আমার মনে হয় নুতন অপশনের থেকেও বেশী কাজে দেবে অন্তত নিয়মিত সদস্যরা আরেকটু দায়িত্ববোধের পরিচয় দিলে। এডমিনের কাছে মেল করে এডমিনের হস্তক্ষেপের প্রয়োযন পড়বে না যদি বিদ্বেষপূর্ন মন্তব্যের প্রতিবাদ সদস্যরা কয়েকজন একসাথে করেন। এডমিনের হস্তক্ষেপ দরকার হতে পারে পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে গেলে। নিজেদের মুক্তমনা দাবী করলে তা কাজেও দেখানো উচিত। দূঃখজনকভাবে আমি মাঝে মাঝেই অনেক সদস্যদের কাছ থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখি না। সাইফুলের কোট করা অংশ তারই প্রতিধ্বনি। কগনিটিভ বায়াসনেস কি একেই বলে? জানি না, আমি এসব তত্ত্বীয় এনালাইসিস জানি না।
স্বাধীনের কথায় কয়েকটি ভাল পয়েন্ট এসেছে, আমি আগেও ছাড়া ছাড়া ভাবে সেগুলি বলেছি। ধর্মের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে মনে রাখতে হবে যে আপনি সংখ্যালঘু হয়ে শুধু সংখ্যাগুরুদের বিরুদ্ধেই নয়, তাদের অতি আবেগের বিষয় নিয়ে নাড়া চাড়া করছেন। আপনার উদ্দেশ্য আসলেই সত হলে আপনাকে আগে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। সেটা কিভাবে করা যায় তা অভিজিত বিপ্লব এনারা ভাল বলেছেন। এ নিয়ে আগেও কথা হয়েছে, কেউ কেঊ এই থিয়োরী খন্ডনে কটু কথাও বলেছেন। অনেকে বলতে পারেন যা আগেও শুনেছি যে অন্যেকে আঘাত না করে সত্য প্রকাশ কিভাবে সম্ভব? সম্ভব ঠিকই, তবে একটু ধীরে আর সুশৃংখল ভাবে এগুতে হবে এটাই কথা। তারপরেও কতটা কাজ হবে তা পরের কথা। আপনি ধার্মিক আবার বিজ্ঞানী হয় কেমন করে, মুসলমান মানেই জেহাদী বোমারু, মোহাম্মদ হলেন ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃনিত শিশু ধর্ষনকারী এই ধরনের এনালাইসিস বা শব্দ ব্যাবহার করে কোনদিন ধর্মের বিরুদ্ধে লেগে সফলতা পাবেন না। বড়জোর কাগুজে তর্কে কিছু সময় নষ্ট ছাড়া। তাতে আরো উলটা ফল হবে, সাধারন ধার্মিকেরাও খেপে উঠবে।
আরেকটা বিষয় হল ধর্মের সমালোচনামূলক লেখায় ভাল রেফারেন্সের প্রয়োযনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ন। আপনি যেহেতু মূল ধারার বিরুদ্ধে লিখবেন তাই আপনাকে এক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। একজন ধার্মিক কোরান হাদীসের ভুল বা মনগড়া অনুবাদ কোন ইসলামী সাইট থেকে কোট করে দিয়ে ভুল প্রমান হলে বেশীরভাগ ধার্মিক লোকে তার দোষ ধরবে না। কিন্তু আপনি নিজে কোন এনালাইসিস বা এন্টি-ইসলামিক কোন সাইট থেকে কোট করে কিছু চালিয়ে ধরা খেলে তার পরিনতি হবে ভয়াবহ। এটা আনফেয়ার হলেও সোজা সমাধান নাই, আপনাকেই বেশী দায়িত্বপূর্ন হতে হবে।
এই পোষ্ট টা যে কি উদ্দেশ্যে ছাপানো হলো এটাই বুঝলাম না। মুক্তমনা মানে মনকে মুক্ত করে প্রকাশ করা আর তা করতে গিয়ে এত হ্যাপা হলে তো আর এটা মুক্তমনা থাকে না, হয়ে যাবে যুক্তমনা। বাক স্বাধীনতা, গনতন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে এত কথা বলি, কিন্তু নিজে একটু ক্ষমতাধর হলে ওসব কে বেমালুম ভুলে যাব এটা তো হয় না। বিষয়টা যেন- নিজের বেলায় বাক স্বাধীনতা , অন্যের বেলায় বাক রূদ্ধতা। যাহোক , এ সাইটের নিয়ন্ত্রকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটা কথা বলতে চাই। বেশী আইন কানুন করলে কিন্তু এর জনপ্রিয়তা বা পাঠক সংখ্যা দুটোই কমে যেতে পারে। যতটুকু নিয়ম না থাকলেই নয় , সেটুকু রেখে বাকীটা আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেন ভাই। মানীর মান আল্লায় রাখে।
আমিও আপত্তি জানানোর অপশনের ব্যাপারে সহমত না। কেউ এসে যদি বলে “মুসলমানদের সব বোমা মেরে উড়ায়া দেওয়া দরকার”, তখন এই বাটনটার ঠিকই সদ্ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কুলদা রায়ের মত কেউ যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুক্তমনার কাউকে বা পুরো মুক্তমনা সাইটের বিরুদ্ধেই কিছু লিখে এবং এতে করে কেউ যদি ক্ষেপে গিয়ে বাটনটাতে প্রেস করে, তবে সেটা পরিস্কারভাবেই এবিউজ হবে। আপত্তিকর মন্তব্যগুলোতে সবাই মিলে থাম্বস ডাউন দিলে সেটা অদৃশ্য হয়ে যায়। মুক্তমনায় আমাদের সবারই যেহেতু মুসলিমবিদ্বেষ ও ইসলাম-সমালোচনার মাঝে পার্থক্যটা বোঝার ক্ষমতা আছে, তাই আমি মনে করি থাম্বস ডাউনের বাটনটাই যথেষ্ঠ। অবস্থা বেশি বেগতিক হলে মুক্তমনা এডমিনকে মেইল করার অপশন তো আছেই।
আর “আপত্তি জানান” বাটনটা যদি রাখতেই হয়, তবে সীমারেখাটা পাঁচজনের মধ্যে বেঁধে দেওয়া উচিত বলে মনে করি। তিনজন বোধহয় বেশি কম হয়ে যায়।
আপনার রেটিং?(লগইনকৃত সদস্যদের জন্য)
এইটা থাকাটাই যথেষ্ট বলে মনে করি, এতেই বুঝা যাবে কার লেখার মান কিরুপ, কে কি ভাবছে, যদি সবাই রেটিং দিয়ে সাথে কারনটি বলে দেন তাহলেই যথেষ্ট মনে হয়।
যার যা চিন্তা সে তার মত করে প্রকাশ করবে, হতে পারে তার চিন্তা হয়ত ভুল, বা অন্য কেউ তা বুঝতে পারেনি, বা গ্রহন করতে পারেনি তা মাইনাস দিয়েই বুঝিয়ে দেয়া যায়।
আমি যদিও এই ব্লগের সদস্য নই, তাও যেহেতু আমাকে মন্তব্য করতে দেয়ার সুযোগ আছে তাই একটু আগ বাড়িয়ে বলে ফেল্লুম আর কি।
ধন্যবাদ
আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরার জন্য। তবে একে মন্তব্য আকারে দিলেই ভাল হত , এভাবে মন্তব্যকে আলাদাভাবে পোস্ট করলে অনেকেই এ কাজে উৎসাহিত হতে পারে এবং মন্তব্যেই সমাধান হওয়া সম্ভব এরকম সমস্যাকে আলাদাভাবে পোস্ট করে সমস্যাকে দীর্ঘায়িত করতে পারে। দীর্ঘ মন্তব্য করার সুযোগ মুক্ত-মনায় তো রয়েছে।
উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই, আপনি মুক্ত-মনার মডারেটরদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। প্রয়োজনীয় কোনো পরামর্শ থাকলে সরাসরি ই-মেইল করতেও পারেন।
@ রামগড়ুড়ের ছানা,
“আপত্তি জানান” কথাটি দৃষ্টিকটু লাগছে। এক কাজ করলে কেমন হয়- শুধু বিশেষ একটা কালার দিয়ে একটা বাটন থাকল যাতে কার্সর রাখলে “আপত্তি জানান” কথাটি দেখাল ? আর এটা ডানদিকে সরিয়ে নেয়া বা অন্য কোনো সুবিধা জনক জায়গায় দিলেই ভাল হয়।
কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিপোর্ট করলে যিনি রিপোর্ট করেছেন তাকেই ব্যাখ্যা ও প্রমাণ করতে হবে অভিযোগটি।
বিপ্লব পালের মতামতের সাথে সম্পুর্ন একমত পোষন করছি।
বেশী নিয়ম কানুন অলটারনেট মিডিয়াতে থাকা উচিত না। শুধু অশ্লীলতা বন্ধ করলেই যথেষ্ট। এর বেশী বাক স্বাধীনতা কাড়া উচিত না।
আমার অভিজ্ঞতা বলছে যেসব ফোরামে আইন খুব বেশী-সেখান সুস্থ আলোচনা হয় ঠিকই-কিন্ত আস্তে আস্তে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা কমে আসে। এবং উৎপাদন শীলতার ভল্যুওম ও মান হ্রাস পায়।
কারুর ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা থাকলে লিখুক না। আরো দশ জন আছে সেই ঘৃণার বিরুদ্ধে লেখার জন্যে। ঘৃণা একদম আটকানোর চেয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে যুক্তিপূর্ণ লেখা আরো বেশী কাম্য। কারন এখানে না
লিখতে দিলে ঘৃণা থাকবেই-এবং সেই ঘৃণার উপসমের জন্যে পাবলিক ডিবেট অনেক ভাল।
@বিপ্লব পাল,
আপনার মন্তব্যকে তীব্র সমর্থন করলাম । মুক্ত-মনায় কেউ ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে আসবে এটা আশা করাটা ঠিক না। এখানে লেখালেখি করার পর পাঠকদের প্রতিক্রিয়া থেকে একজন শিখে নিতে পারেন তার দৃষ্টি ভঙ্গির সমস্যা কোথায়।
@সৈকত চৌধুরী,
ঠিক এই কারনেই স্বাধীনের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি। সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে মেইন স্ট্রইম কে গোলালে, সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতি হবে। স্যোশাল মিডিয়াতে লোকে অনেক বেশী ফ্রীডম অব এক্সপেশন আশা করে।
অর্কুটের গ্রুপ গুলো স্টাডি করে আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছি
যে একদম মডারেশন না থাকাও খারাপ আবার বেশী মডারেশন হলে, সেই গ্রুপে কেও বেশী আসে না।
@বিপ্লব পাল,
জীবনে প্রথম বারের মত বিপ্লব দা’র সাথে একটি ব্যাপারে সম্পুর্ন একমত পোষন করছি, অবশ্য উপসম বানান বাদে।
আল্লাহর ওয়াস্তে আপত্তি জানান অপশনটি তুলে নিন।
@আকাশ মালিক,
আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত। আপত্তিজনক লেখা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব শুধু মডারেটরদের হাতে থাকা ভাল। কেউ যদি মডারেটরদের চোখ এড়িয়ে হাত ফস্কে বেরিয়ে যান, তিনি নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দিতে পারেন। এর পরেও যদি আপত্তিজনক লেখা চালিয়ে যেতে থাকেন, তখন ধরা পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আর যতদিন মডারেটরদের কাছে ধরা না পড়েন, ততদিন পাঠকদের জন্য বিনোদনের ভাল একটা ব্যবস্থা হয়ে যায়। 😀
তাছাড়া এই ধরনের নির্বোধ লেখক মাঝে মাঝে পাঠকদের কাছ থেকে বিনামূল্যে ঝাড়ি খাওয়ার আশা করতে পারেন। আপত্তিজনক লেখাকে সেন্সর না করলেও লেখক যথেষ্ঠ হেনস্তা হবেন। অতএব স্বাধীনের “গণসেন্সরশিপ” প্রস্তাবটার কোন উপকারিতা আমি খুঁজে পাচ্ছিনা।
@সৈকত চৌধুরী,
মডারেটরের চোখ এড়াতে পারলেও অগণিত পাঠকের জোড়াজোড়া চোখকে ফাঁকি দিয়ে কোন সাম্প্রদায়িক লেখা বা মন্তব্য মুক্তমনায় টিকে থাকতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই। মুসলমান জাতির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বাক্য ব্যবহারের কারণে ঝানু শক্ত হাতের লেখকও পাঠকদের প্রতিবাদ থেকে রেহাই পান নি এমন রেকর্ডও আছে। বিচারের ভার পাঠকের হাতে ছেড়ে দেয়া হউক। মুক্তমনায় গণতান্ত্রিক পন্থায় সংখ্যাগরিষ্ট পাঠকদের সঠিক মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আগেও নেয়া হয়েছে, আগামীতেও হউক এটাই কামনা করি। আমরা সুন্দর ছিলাম, সুন্দর আছি। এবার সুন্দর দিনের একটা গান শুনুন-
করি যে ভাবনা
সেই দিন আর পাবোনা
ছিল বাসনা সুখি হইতাম
দিন হইতে দিন
আসে যে কঠিন
করিম দীনহীন কোন পথে যাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম….
httpv://www.youtube.com/watch?v=m63osNn14T4&feature=related
@মালিক ভাই,
মালিক ভাই, আপনার এই জিনিসটা আমার কাছে জটিল লাগে। হঠাৎ করে কোথার থেকে যেন মাঝে মাঝে অসাধারন সব গান নিয়ে আসেন। মারহাবা, মারহাবা। :guru: :guru:
@বিপ্লব পাল,
আমি আপনার এ বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করি। নিয়ম অবশ্যয় জরুরী, কিন্ত বেশি নিয়ম কানুন অংশগ্রহনকারীকে নিরুৎসাহিত করবে। অশ্লীলতা, ব্যক্তিগত আক্রমন বন্ধ রাখার ব্যাবস্থা অত্যন্ত জরুরী। এর বাহিরে কোন বাক স্বাধীনতা কাড়া উচিত নয়। ‘বাক স্বাধীনতার’ নিশ্চয়তা বিধান না করতে পারলে, যুক্তিভিত্তিক, গঠন মূলোক সমালোচনার সুযোগ না থাকলে আসল সত্যকে জানা কখনই সম্ভব নয়।
লেখকের মতের সাথে সহমত না হলে তা যুক্তি ও তথ্য দিয়েই খন্ডন করা উচিত। ‘মুসলিম /হিন্দু বিদ্দেষি, ঘৃনা ছড়াচ্ছে,’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে ব্যক্তি আক্রমন ত্যাগ করতে না পারলে মৌলবাদীদের সাথে মন্তব্যকারির বিশেষ কোন পার্থক্য থাকে না।
‘আপত্তি জানান’ বাটনটির পরিবর্তে ‘যুক্তি সহকারে’ কারো বক্তব্যের আপত্তি জানানোই গঠন মূলোক ভুমিকা রাখে বলে আমি মন করি।
তা না হলে ‘আপত্তি জানান’ বাটনটির যথেচ্ছা অপব্যাহারই নিশ্চিত হবে।
@বিপ্লব পাল,
আমার অভিজ্ঞতাও তাই বলে। ধমক খাবার ভয়ে লোকজন কথাবলা বন্ধ করে দিলে আসলেই বিপদ। আমরা একটা বয়স্কদের জন্য রাতের স্কুল খুলেছিলাম। আমার রাজনিতীর গুরুভাই বলতে খুব পছন্দ করতেন, আমিও ক্লাস নিতাম, তবে আমি আলোচনায় ওদের অংশগ্রহন করাতাম। দেখাগেল আমার ক্লাশের প্রতি তাদের আকর্ষন বেশি। এখানেও আমার মনে হয় অলোচনায় অংশগ্রহন নিরুৎসাহিত হয় এমন কিছু করা যাবে না।
“আপত্তি জানান” – একটি বাটন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আশা রাখি এই বাটনটির ব্যবহার কম হোক।
আসলেই ধর্ম বিষয়ে কথা না জেনে বলাটা খুবই সোজা, অনেকটা পেটে হাল্কা ব্যাথা বা গ্যাস হলেই যেমন বলে দেয়”এন্টাসিড” খান এই ধরনের; কিসের ব্যথা সেটা কেউ ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন বোধ করেনা। অনেকে ধারই ধারেন না।
“আপত্তি জানান” বাটনটিতে ক্লিক করলে পরবর্তিতে কি হবে? হতে পারে? আমারটায় আবার প্রেস করে কেউ দেইখেননা আবার। 🙂
ধন্যবাদ
@স্বাধীন,
প্রথমেই ইতিবাচক ব্লগিংয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে এ লেখাটা মুক্তমনায় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ইতিবাচক মানসিকতা স্থিতিশীল মনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন যা কেবল চর্চার মাধ্যমে গড়ে ওঠে , এমনকি প্রতিকূল পরিবেশেও।
সুশাসনের জন্য ধারাবাহিকতার যে কথা আপনি বলেছেন যা অনেকটা আপেক্ষিক ব্যপার। ধারাবাহিকভাবে অকার্যকর নীতিমালার অনুসরন ফলাফলের উপর নতুন কোন মাত্রা যোগ করতে পারে না। এজন্য দক্ষ প্রশাসনে প্রয়োজন ধারাবাহিক পর্যবেক্ষন, পর্যালোচনা ও মিটিগেশন।সুশাসন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের পারসনাল ইনটেগ্রিটি আরো বেশী জরুরী। ভার্টিকাল মডেলের পাশাপাশি হরাইজন্টাল মডেলের বিকাশ প্রয়োজন। এসব জিনিষ সব পরিস্থিতিতে মাইক্রো থেকে শুরু করে ম্যাক্রো পর্যায়ে প্রযোজ্য।
আরও প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্ব এবং আরও কিছু যা সীমিত পরিসরে বলা সম্ভব নয়। Friedrich Nietzsche -এর ভাষায় “To do great things is difficult, but to command great things is more difficult.”।
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে দ্বিমত নেই। তবে লক্ষ্য করবেন যে আমি এখানে শুধু ধারাবাহিকতার কথাই এনেছিলাম। নীতিটি সঠিক না বেঠিক কিংবা কার্যকরা না অকার্যকর সেটা মনে হয় অন্য বিতর্ক এবং সেটাও আবার মানুষের নিজস্ব পার্স্পেক্টিভের উপর নির্ভর করবে। আমার মতে যেই নীতি সঠিক অন্যজনের মতে হয়তো সঠিক নয়। তবে এটি নির্ধারণে আমি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের উপর ভরসা রাখতে পারি। নীতি যদি বেঠিক হয় সেটি ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করা হলে সেটা কার্যকর কোন ফলাফল বয়ে আনবে না সেই ব্যাপারে আমি সহমত।
এই ব্যাপারে ভবিষ্যতে আপনার সাথে জম-জমাট একটি আলোচনা হবে সেটা বুঝতে পারছি 🙂 । আপনি লিখুন না, আলোচনা না হয় সেখানে করা যাবে।
আমি তো পুরাই সেলিব্রিটি হইয়া গেলাম। :rotfl: পোষ্টের প্রথমে আমার নাম দেইখ্যা তো তব্দা। কি জানি ভুলচুক কইরা ফেললাম। যাই হউক মানির মান আল্লায় রাখছে। :laugh: :laugh:
আমি আসলে ঐ কথাটা বলেছিলাম মুসলমান বিদ্বেষীদের উদ্দেশ্যে। আদিল ভাইয়ের কথা শুনে সে পক্ষ থেকে কোন প্রতিমন্তব্য করছিল না। তাই আসলে ও কথা বলা।
তবে যাই হোক, এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চমৎকার এবং দরকারি কিছু কথা স্বাধীন ভাইয়ের কথায় উঠে এসেছে।
আমিও বুঝি না রোগ নিয়ে কথা না বলে রোগীর উপরে রাগ দেখিয়ে আসলে ফায়দাটা হবে কি? আমার একটা ব্যক্তিগত মতামত হল( ভুলও হতে পারে অবশ্যই) ধর্ম নিয়ে পড়াশোনার প্রথম দিকে এই ব্যাপারটা হয়। তখন ধর্মপালনকারীদের ব্যাপারে বিতৃষ্ণা ওঠে মনে। কিন্তু আস্তে আস্তে ব্যাপারটা পরিবর্তন হয়। তখন আসল ব্যাপারটা বোঝা যায়। বোঝা যায় আসলে ধর্ম পালনকারীরা অনেকটা না বুঝে রোগে পড়া রোগীর মত। তারা নিজেদের অজান্তেই এই রোগটা বাধিয়ে বসে। তারপরে আর সারাতে পারেনা। তখন এই রোগটাকেই স্বাভাবিক বলার বা স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপনের একটা প্রবনতা এসে পড়ে। এটা ভুল হতে পারে কিন্তু দোষের নয় বলেই মনে করি।
আমাদের সবারই গঠনমুলক আলোচনা করার মানসিকতা আছে। অন্য ব্লগের কথা তত ভালো জানি না, কিন্তু মুক্তমনার ব্যাপারে এই কথা বাজি ধরে বলতে পারি। তাহলে আমরা সেটা করব না কেন বলেন তো? 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য অভিনন্দন, নিন :rose2: ।
ভাল কিছু এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উঠে এসেছে স্বাধীনের লেখায়। আমি বার বারই বলি ধর্মের মত বিষয়ের সমালোচনার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান, ইতিহাস, নৃতত্ত্ব এবং সর্বোপরি বিবর্তনীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা জরুরী। আশার কথা যে, মুক্তমনার অনেক লেখকই সেই দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাপারগুলো দেখছেন। তবে একটু সময় লাগবে। উত্তেজক বক্তব্য দেয়া সহজ, কারণ ওতে কোন বিশ্লেষণ লাগে না। কিন্তু ইতিহাস এবং নৃতত্ত্ব বিশ্লেষন করে উত্তর খোঁজা ঠিক ততটাই কঠিন। মানসজগৎ পাল্টাতে সময় লাগে।
এডমিনের ভুমিকা নিয়ে একটু সমস্যা আছে। এর আগে বেশ কিছু ব্যাপারে এডমিন হস্তক্ষেপ করায় স্বাধীনই কিন্তু বাঁকা ভাবে বলেছিলেন ‘এডমিন বড্ড বেশি তাড়াতাড়ি এসে পড়ছে। এডমিনের ইন্টারভেনশন যত কম হয় ততই ভাল।’ এখন আবার এই পোস্টে এডমিনের আর বেশী তৎপরতা বাড়ানোর কথা তিনি বলছেন। আসলে সঠিক ব্যালান্সটা যে কী, সেটা বোঝাটাও বোধ হয় বড় সমস্যা। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হল – অবস্থা এমন কিছু খারাপ হয়নি যে, এটা নিয়ে এতোবেশি চিন্তা করতে হবে। মুক্তমনায় অধিকাংশ সদস্যেরই মানসিক একটা স্থিরতা হয়েছে বলে আমরা ধরে নেই। কাজেই অন্য অনেক ব্লগের মতো সদস্যদের হুমকি ধামকি, সাত দিনের জন্য মডারেশনের আওতায় আনা, ক্যাচাল থামাতে দু দিন পর পরেই মডারেশনের নত দেয়া’ প্রভৃতি ব্যাপার আমরা কম দেখতে চাই। তবে, মানসিক স্থিতির প্রমাণ না দিতে পারলে, কিংবা বারবারই নীতিমালা ভাঙ্গলে ব্যবস্থা নেয়া হয় বইকি। বিজয় নামের এক ভদ্রলোক মুক্তমনায় এসে আপত্তিকর মুসলিমবিদ্বেষী সব মন্তব্য শুরু করেছিলেন মনে আছে নিশ্চয়। তাকে তার উপযুক্ত পথ দেখিয়ে বলা হয়েছিল – মুক্তমনা তার জায়গা নয়। মানসিক স্থিরতা না দেখানোর কারণে অন্য কিছু ব্লগারকে সীমিত সময়ের জন্য মডারেশনের আওতায় আনা হয়েছিল। এগুলো ভবিষ্যতেও করা হবে, দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই।
আপত্তি জানান বাটনের আইডিয়াটা বেশ ভাল লাগলো। রামগড়ুড়ের ছানাের মতামতও জানতে আগ্রহী এ ব্যাপারে।
@অভিজিৎ,
আমার আগের কথার সাথে এই লেখার বক্তব্য কিন্তু কাছাকাছি বলেই মনে করি। যেমন প্রথমে সদস্যদের অংশগ্রহনের কথাই বলেছি। তিন/পাঁচ সদস্যের আপত্তি জানানোর পরেই এডমিনদের আসার কথা বলছি। সংখ্যাটা চাইলে আরো বাড়ানো যায় যদি মনে করেন। এতে করে এডমিনদের দায়িত্ব পালন সহজ হবে। এডমিনদের কাজ পালন কষ্টকর স্বীকার করি এবং এর জন্য বিশেষ ধন্যবাদও জানাই এই সুযোগে 🙂 । আমি যেটা বলার চেষ্টা করছি, তা হল সুনির্দিষ্ট প্রসেস থাকা হলে মানুষের মস্তিষ্ককে গাইড করা সহজ হয়। এখানে আমি একটি ছোট্ট প্রসেস/এলগরিদম দিলাম। অন্যরা এর উপর আরো মতামত দিক।
আপত্তিকর মন্তব্য-> তিন/পাঁচ সদস্যের আপত্তি -> প্রথম বার সতর্ক -> দ্বিতীয়বার সতর্ক অথবা এক সপ্তাহ মডারেশন -> তৃতীয়বার সম্পূর্ণ মডারেশন -> ফাইনাল আইপি সহকারে ব্যান।
এখানে সদস্যরাই মূল কাজ করছে কোনটা আপত্তিকর অথবা আপত্তিকর নয় সেটা নির্ধারণে। মডারেশন সে কাজগুলো বাস্তবায়ন করছে কেবল। এত করে মনে করি মডারেশনকে বিতর্ক মুক্ত রাখা যাবে এবং লং রানে লাভ হবে। এখন যেমন একজন ব্যক্তি ফরিদ ভাইকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে সেটা এড়ানো যাবে। কারণ আপত্তি আসবে সদস্যদের কাছ হতে। এখানে একজন মডারেটর নিজেও সদস্য হিসেবে আপত্তি জানাতে পারে। তবে কে আপত্তি জানাচ্ছে সেটা আর মন্তব্যে থাকছে না। এটা আমার মতে সদস্যদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি বন্ধ করতে সহায়তা করবে।
মুক্তমনার পরিবেশ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করার মত পরিস্থিতি হয়নি স্বীকার করি, কিন্তু চিন্তা করতে তো দোষ নেই, কি বলেন? একটু আগেই চিন্তা করে যদি ভবিষ্যতের বড় কোন ভুমিকম্পে ক্ষতি কমাতে পারি ক্ষতি কি 😀 ।
@স্বাধীন,
একদম এসব করা উচিত না। আপত্তি বাটন তুলে দেওয়া উচিত। এটা আগে রেডিফে ছিল। এত এবিউজ হত তুলে দিতে হয়েছে। কেওক্রমাগত আবিউজ করলে, তার পোষ্টিং এবিলিটি মডারেশনের আওতাই আনলেই হবে।
@অভিজিৎ,
আজকাল মুক্তমনার জন্য সাজেশন এর লিস্ট দেখলেই ভয় লাগে। 🙁
আপত্তি বাটন যোগ করে দিলাম। একটু ভেজালের ছিল কাজটা,আশা করছি ঠিকঠাক মত কাজ করছে। ওপেন সোর্সের জয় হবেই 🙂 ।
আশা করছি কেও এই অপশনের অপব্যবহার করে আমার ভেজাল বাড়াবেনা :guli: :guli: । ভেজাল করলে সোজা আই.পি ব্যান :rotfl: ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আপত্তির বাটনটা অপব্যবহার এড়াতে শুধুমাত্র লগ-ইনকৃত সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত করা দরকার । পজিশনিংটা লাল থাম্ব ডাউন বাটনের আশেপাশে বসালে ভালো হয়।
@সংশপ্তক,
:yes: একদম ঠিক কথা।
রামগড়ুড়ের ছানাকেও ধন্যবাদ খুব তাড়াতাড়ি কাজে হাত দেয়ার জন্য। সংসপ্তক সহ অন্যান্যদের সাজেশন অনুযায়ী ঠিক করে ফেলতে পার এবারে…
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ওয়াও এত তাড়াতাড়ি :rotfl: । রামগড়ুড়ের ছানা কে :guru: । নাও :rose2: ।
পজিশনটা “মন্তব্যের জবাব দিন” এর পাশে দেওয়া গেলে ভাল হতো।
আর সংশপ্তকের সাথে এক মত আপত্তি জানানোর অধিকার শুধুমাত্র লগ-ইনকৃত সদস্যদের জন্যে রাখাই ভাল। না হলে রেটিং এর মত অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়ে যায়।
আশা করি এখন হতে যে কোন মন্তব্যে আপত্তি থাকলে এই বাটনটির সাহয্য নেওয়া হবে। একই তর্কে বারংবার সময় নষ্ট হতে বিরত থাকি।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ইয়ে, মানে ঠিক ঠাক কাজ করছে কিনা সেটা দেখার জন্য তো মন্তব্যে আপত্তি জানানো ছাড়া কোন পথ দেখছি না :-X । কিন্তু আপত্তি জানালে যদি আবার আইপি সহকারে ব্যান করা হয়, তবে কি হবে? 😥
টেষ্ট করে দেখবো নাকি 😛 ? নাকি টেষ্ট করা হয়েছে?
@স্বাধীন,
টেস্ট করে দেখতে পারেন,রিপোর্টে “টেস্ট” লিখে দিয়েন,তাহলেই হবে।
পজিশনটা ঠিক করতে হবে। লগইনের অপশনটাও ঠিক করতে হবে। সবই হবে,আসলে হাতে সময়ের খুব অভাব। আপাতত এমন ব্যবস্থা রাখা আছে যাতে রিপোর্ট আসলে বোঝা যায় কে করেছে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
কোন সমস্যা নেই। এত তাড়াতাড়ি করা হবে সে আশাও করিনি। আমি টেস্ট করে দেখতেছি, দেখি কাজ হয় কিনা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
নিজের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে টেস্ট করিলাম 😥 ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ কাজটির জন্য। এখন যেভাবে দেয়া হয়েছে এতে করে মন্তব্যটা থেকে “রিপোর্ট” বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অন্য কোনো কালার দিয়ে বা অন্য কোনো ভাবে একে ছোট্ট আকারে রেখে দিলে ভাল হয় যাতে তা অতটা দৃষ্টি আকর্ষন না করে। কারণ এর কাজ তো হল শুধু বিশেষ সময়।
আর হ্যা, এখন তা না করে তোমার সুবিধামত যখন পার তখন করলেই চলবে। আর এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত মাত্র।
মজার বিষয় হল এতে করে মন্তব্যের দায় কিছুটা হলেও সকলের ঘাড়ে দেয়া সম্ভব হল- আগে তো একা শুধু মডারেটরদের দায়ী করা যেত 🙂 ।
@অভিজিৎ,
এ ক ম ত।
স্বাধীনের এলোমেলো চিন্তার লেখাটিও বেশ খানিকটা এলোমেলো ও বাহুল্য বলে মনে হয়েছে। একজন ব্যক্তির বালখিল্যতার জেরা না টানাই ভালো ছিল। :deadrose:
অফিসের প্রথম তিনটি ঘন্টা চলে গেল 😥 । তাই আপাতত কোন মন্তব্যের জবাব দেওয়া সম্ভব হবে না। রাতে বাসায় গিয়ে যদি কোন জবাব দেওয়ার থাকে তবে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনারা আপনাদের মতামত দিতে থাকুন নিঃসঙ্কোচে। অগ্রীম ক্ষমা প্রার্থী দ্রুত মন্তব্যের জবাব না দেওয়ার জন্য।